Tag: news in bengali

news in bengali

  • Jagannath Temple: জগন্নাথদেবের রত্নভান্ডারের দরজায় পড়বে সোনার প্রলেপ, শীঘ্রই আসছে রেডিও চ্যানেল

    Jagannath Temple: জগন্নাথদেবের রত্নভান্ডারের দরজায় পড়বে সোনার প্রলেপ, শীঘ্রই আসছে রেডিও চ্যানেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর জগন্নাথ (Jagannath Temple) মন্দিরের পক্ষ থেকে অতি শীঘ্রই চালু করা হবে নিজস্ব এফএম রেডিও চ্যানেল। একই ভাবে মন্দিরের রত্নভান্ডারের (Ratna Bhandar) দরজায় দেওয়া হবে সোনার প্রলেপ। মন্দিরের ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে পুরীতে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে এই নিজস্ব এফএম রেডিও চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কমিটি জগন্নাথ মন্দিরের জন্য ২০২৪-২৫ সালে ৪১০ কোটি টাকার বাজেটের অনুমোদন করেছে। এই ঘোষণায় ভক্তদের মধ্যে আরও উৎসাহ বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও বিজেপি সরকার গঠনের পর থেকেই একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে মন্দিরকে ঘিরে। এবার মন্দির প্রশাসনও বড় ঘোষণা করেছে।

    সুবিন্যস্ত দর্শনের জন্য এই পদক্ষেপ (Jagannath Temple)

    মন্দিরের নিজস্ব এফএম রেডিও চ্যানেল চালু করার কথা ঘোষণা করেছেন শ্রী জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) প্রশাসনের (এসজেটিএ) প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ পাধী। ভক্তদের জন্য সুবিন্যস্ত দর্শন ও  অভিজ্ঞতাকে সুসংহত করতে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই ভাবে মন্দিরের সেবকদের জন্য কল্যাণমূলক উদ্যোগ বাড়ানো সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে সুনিশ্চিত করেছে কমিটি। মন্দিরের ম্যানেজিং কমিটি ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরে, আগের বছরের বাজেটের থেকে ১১৮.১৭ কোটি টাকা বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে। এই বাজেট মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত একাধিক খাতে খরচ করা হবে। ওড়িশা সরকার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ম্যানেজমেন্ট কমিটির এক সদস্য বলেন, এর ফলে কার্যত ৯১৩ কোটি টাকা মন্দিরের উন্নয়নে ব্যবহার করা যাবে।

    মন্দির প্রসাশকের বক্তব্য

    এসজেটিএ প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ পাধী বলেন, “ম্যানেজিং কমিটি পুরীর শ্রীমন্দিরে (Jagannath Temple) ভক্তদের দর্শনকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। ভক্তরা যাতে নির্বিঘ্ন এবং ঝামেলামুক্ত হয়ে দর্শন করতে পারেন, সেই দিকে সর্বদা দৃষ্টি সজাগ রয়েছে আমাদের। কমিটি নাটমণ্ডপে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা স্থাপন সহ একাধিক আরও নতুন ব্যবস্থার অনুমোদন করেছে। এই উদ্যোগগুলি ভক্তদের জন্য পরিষেবাকে মাথায় রেখে করা হয়েছে। সমস্ত ভক্তদের জন্য একটি আরামদায়ক এবং নিরাপদ দর্শনকে নিশ্চিত করার জন্য নতুন ব্যবস্থাকে জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে মহিলা এবং শিশু এবং দিব্যাঙ্গদের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। সারা বছরেই ভক্তদের ঢল দেখা যায়, কিন্তু রথের সময় এই ঢল ব্যাপক মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। ভক্তদের স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ ভোটের মুখে তালা পড়ল হাওড়া জুট মিলে! বিপাকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক

    সেবায়েতদের জন্য একাধিক ঘোষণা

    এই পরিষেবাগুলি মন্দিরের (Jagannath Temple) সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সাথে পুঙ্খানুপুঙ্খ পরামর্শের পরে বাস্তবায়িত করা হবে। সমস্ত দর্শনার্থীদের জন্য একটি মসৃণ এবং মন্দিরের সঙ্গে ভক্তিমূলক সংযোগকে আরও সুনিশ্চিত করতে এই কাজের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। একই ভাবে মন্দিরের ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে সেবাতদের কল্যাণের বিষয়েও একাধিক পরিকল্পনার কথা ভাবা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিমা, আর্থিক সহায়তা, তাঁদের শিশুদের জন্য বৃত্তি, খেলাধুলো-সহ বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই উদ্যোগগুলি বাস্তবায়নের জন্য শীঘ্রই একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (SOP) গঠন করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    রত্নভান্ডারে পড়বে সোনার প্রলেপ

    গৃহীত অন্যান্য বড় সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে ম্যানেজিং কমিটি (Jagannath Temple) রত্নভান্ডারের Ratna Bhandar) দরজায় সোনার প্রলেপ দেওয়ার প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে। রত্নভান্ডার হল সেই জায়গা যেখানে সমস্ত মূল্যবান জিনিসপত্র, অলঙ্কার রাখা রয়েছে। রাজ্যে বিজেপি শাসনে আসার পর এই ভান্ডার খুলে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে দেশ ব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে। বর্তমানের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই) দ্বারা প্রয়োজনীয় মেরামতের কাজ চলছে। এই কাজ সমাপ্ত হওয়ার পরেই সোনার প্রলেপ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। রত্নেভান্ডারের ভিতরের এবং বাইরের চেম্বারের গেটগুলিকে এখন ঘিরে রাখা হয়েছে। এই ঘোষণার পর থেকে প্রভু জগন্নাথের ভক্তদের মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: বিশ্বজুড়ে বদলের মাঝে ভারতের নাগরিকরা হ্যাটট্রিক করে সরকার গড়েছেন, বললেন মোদি

    PM Modi: বিশ্বজুড়ে বদলের মাঝে ভারতের নাগরিকরা হ্যাটট্রিক করে সরকার গড়েছেন, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে বিশ্বের একাধিক দেশের নির্বাচনে পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। সরকারের বদল হয়েছে। সারা বিশ্বজুড়ে যখন পরিবর্তন হয়েছে সরকারের, তখনই ভারতবর্ষে ঠিক তার ব্যতিক্রম দেখা গিয়েছে। শনিবার নতুন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথাতেও উঠে এল সেই প্রসঙ্গ। শনিবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘অনেক দেশেই সরকারের বদল হয়েছে চলতি বছরে। কিন্তু ভারতবর্ষ ধারাবাহিকভাবে বেছে নিয়েছে আমাদের সরকারকেই। কারণ রাজনৈতিক সুস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্যই ভারতবাসী (India) এনডিএ সরকারকে তৃতীয়বারের জন্য ধারাবাহিকভাবে জিতিয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) গত ১০ বছরে ভারতের সমৃদ্ধি, উন্নতির কথাও শুনিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এদিন বলেন, ‘‘গত ১০ বছরে সারা বিশ্বে অর্থনীতির বৃদ্ধি হয়েছে ৩৫ শতাংশ। কিন্তু ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধি হয়েছে ৯০ শতাংশ।’’ তিনি আরও আশ্বাস দিয়েছেন ভবিষ্যতেও ভারতের অর্থনীতি এভাবেই বৃদ্ধি হবে।

    আমরা রিফর্ম-পারফর্ম-ট্রান্সফর্ম নীতিতে এগিয়ে চলেছি

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘আমাদের সরকার কোটি কোটি দেশবাসীর কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। আমরা রিফর্ম-পারফর্ম-ট্রান্সফর্ম নীতিতে এগিয়ে চলেছি। জনগণ দেখতেই পাচ্ছেন গত ১০ বছরে ঠিকই কতটা বদলে গিয়েছে দেশ। অনেক বড় বড় দেশের নাগরিকরা ভোট দিয়েছেন সরকারের বিপক্ষে। কিন্তু ভারতবর্ষের জনগণ ঠিক তার বিপরীত পথে হেঁটেছেন। ভারতের নাগরিকরা হ্যাটট্রিক করেছেন। ৬০ বছর পরে তৃতীয়বারের জন্য টানা জিতিয়েছেন কোনও সরকারকে। ভারতবাসী ভোট দিয়েছেন রাজনৈতিক সুস্থিরতা বজায় রাখতে, উন্নতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এবং অর্থনৈতিকভাবে দেশকে শক্তিশালী করতে।’’

    আজকে ভারতবর্ষের উন্নতি সারা বিশ্বের খবরের শিরোনামে এসেছে

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘আজকে ভারতবর্ষের উন্নতি সারা বিশ্বের খবরের শিরোনামে এসেছে। গত দশ বছরে ২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্রসীমা থেকে তুলে আনা গিয়েছে। কোনও দেশের গণতন্ত্রে এমন নজির নেই। তৃতীয়বার সরকার তৈরি হয়েছে ১০০ দিনও হয়নি এবং এই সময়ের মধ্যে গরিব, মহিলা এবং যুব ও কৃষকদের উন্নতির জন্য একাধিক বড় সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paralympics: প্যারিসের প্যারালিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতলেন ভারতীয় শ্যুটার রুবিনা

    Paralympics: প্যারিসের প্যারালিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতলেন ভারতীয় শ্যুটার রুবিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার প্যারিসের গ্রীষ্মকালীন প্যারালিম্পিক্সের (Paralympics) তৃতীয় দিন ছিল। এই দিনেই মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তল SH1-তে ব্রোঞ্জ জিতলেন ফ্রান্সিস রুবিনা (Indian shooter Rubina)। এর ফলে ভারতের পদক সংখ্যা হল পাঁচ। প্রসঙ্গত, টোকিও প্যারালিম্পিক্সে ফাইনালে সপ্তম স্থান অধিকার করেছিলেন রুবিনা। পদক জয়ের খুব কাছে গিয়েও ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। তবে এবার প্যারিস প্যারালিম্পিক্সে শেষ পর্যন্ত পদক ঘরে তুললেন রুবিনা।

    মধ্যপ্রদেশের রাজ্য স্পোর্টস অ্যাকাডেমিতে যোগদান করেন ২০১৭ সালে

    প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশের রুবিনার (Indian shooter Rubina) জন্ম থেকেই পায়ের সমস্যা রয়েছে। কিন্তু দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মনোভাব ও পরিশ্রমের জেরেই দেশকে পদক এনে দিতে সক্ষম হলেন তিনি। তিনি হলেন মধ্যপ্রদেশের দ্বিতীয় কোনও অ্যাথলেটিক যিনি ২০২৪ সালে পদক আনতে পারলেন। এর আগে বিবেক সাগর ভারতীয় হকি দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে প্যারিস অলিম্পিক্সে (Paralympics) ব্রোঞ্জ এনেছিলেন। প্রসঙ্গত রুবিনার যাত্রা শুরু হয় ২০১৭ সাল থেকেই, যখন তিনি মধ্যপ্রদেশের রাজ্য স্পোর্টস অ্যাকাডেমিতে যোগদান করেন এবং তাঁর কেরিয়ারের সূচনা করেন জব্বলপুরের গ্লোরি অ্যাকাডেমিতে। চলতে থাকে তাঁর প্রশিক্ষণ। টোকিও প্যারালিম্পিক্সে মেডেল থেকে সামান্য দূরেই থামতে হয় তাঁকে। কিন্তু কখনই হতাশ হননি তিনি। এর পরেও তাঁর পরিশ্রম চালিয়ে যেতে থাকেন এবং অবশেষে মেলে সাফল্য।

    রুবিনার পরিবার কী বলছে (Paralympics)? 

    জানা গিয়েছে জব্বলপুরে থাকে রুবিনার পরিবার। তাঁর বাবা সাইমন ফ্রান্সিস ৬২ বছরের একজন মেকানিক। বাবাও তাঁর মেয়ের কৃতিত্বে গর্বিত এবং তিনি জানিয়েছেন, ৯ বছরের দীর্ঘ পরিশ্রমের ফসল ঘরে তুলেছে তাঁর মেয়ে। নিজের বিবৃতিতে সাইমন ফ্রান্সিস আরও বলেন, ‘‘আমার মেয়ে প্রত্যেককে গর্বিত করেছে।’’ রুবিনার মায়ের নাম হল সুনিতা ফ্রান্সিস, পেশায় তিনি একজন নার্স এবং তাঁর দাদা আলেকজান্ডার একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। পরিবারের প্রত্যেকেই রুবিনার কৃতিত্বে গর্বিত। ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে অনেকগুলো জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের রেকর্ড গড়তে সক্ষম হন রুবিনা। জানা যায়, আন্তর্জাতিক স্তরে এই সময়ের মধ্যে ছয়টি মেডেল জিতেছিলেন রুবিনা এবং জাতীয় স্তরে ১৭টি মেডেল জিততে সক্ষম হন। প্যারালিম্পিক্সে পদক জয়ের পর রুবিনা বলছেন, ‘‘আমি স্কুলে পড়ার পাশাপাশি অন্য কিছু করতে চেয়েছিলাম। গান ফর গ্লোরি অ্যাকাডেমি শুটিংয়ের বিজ্ঞাপন দিতে আমার স্কুলে এসেছিল। তখনই আমি আমার বাবাকে বলেছিলাম যে শ্যুটিংয়ে আগ্রহ আছে আমার।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shreya Ghoshal: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ, নেতাজি ইন্ডোরে কনসার্ট পিছিয়ে দিলেন শ্রেয়া ঘোষাল

    Shreya Ghoshal: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ, নেতাজি ইন্ডোরে কনসার্ট পিছিয়ে দিলেন শ্রেয়া ঘোষাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ (RG Kar protest) হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতাতে নিজের কনসার্ট পিছিয়ে দিলেন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল (Shreya Ghoshal)। শনিবারই গায়িকার তরফ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয় এবং সেখানেই নিজের অনুষ্ঠান পিছিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন শ্রেয়া। প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শ্রেয়া ঘোষালের ওই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। নিজের বিবৃতিতে গায়িকা জানিয়েছেন, আরজি করের ঘটনায় তিনি গভীর দুঃখ পেয়েছেন এবং নৃশংসতায় তিনি শিউরে উঠেছেন। এই পরিস্থিতিতে গানের কনসার্ট করার মতো অবস্থায় তিনি নেই। কলকাতায় আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে যে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে, সেই আন্দোলনকেও সমর্থন জানিয়েছেন শ্রেয়া ঘোষাল।

    নিজের বিবৃতিতে কী বললেন শ্রেয়া ঘোষাল (Shreya Ghoshal)?

    শনিবার সকালে নিজের বিবৃতিতে শ্রেয়া ঘোষাল লেখেন, ‘‘কলকাতায় সম্প্রতি যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে, আমাকে তা গভীর ভাবে প্রভাবিত করেছে। এক জন মহিলা হিসেবে ঘটনার নৃশংসতায় আমি শিউরে উঠছি। নির্যাতিতাকে কী ধরনের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছিল, তা ভেবেই আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছে।’’ শ্রেয়া (Shreya Ghoshal) আরও বলেছেন, ‘‘আমি এবং আমার প্রচারক এফএম সংস্থা এই পরিস্থিতিতে কলকাতার কনসার্টটি পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ১৪ সেপ্টেম্বর ওই কনসার্ট হওয়ার কথা ছিল। আগামী অক্টোবরে কনসার্টটি হবে। আমরা সকলেই এই কনসার্টের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে প্রতিবাদীদের পাশে দাঁড়ানো অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বের মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করছি।’’

    আরজি কর কাণ্ড (RG Kar protest)

    প্রসঙ্গত গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। ঘটনার প্রতিবাদ আন্দোলন রাজ্য-দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়ে। উত্তাল হয় পশ্চিমবঙ্গ, যার রেশ এখনও রয়েছে। সমাজের সমস্ত ক্ষেত্রে, সমস্ত পেশার মানুষ এই আন্দোলনে সামিল হতে থাকেন। তখন থেকেই কর্মবিরতির মাধ্যমে প্রতিবাদ চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে এক অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত গিয়েছে সিবিআই-এর হাতে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বর্তমানে আরজিকর কাণ্ডের তদন্ত করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: হিন্দু-নির্যাতনের নয়া ভিডিও ভাইরাল, মৌলবীর কীর্তিতে অবাক দুনিয়া

    Bangladesh Crisis: হিন্দু-নির্যাতনের নয়া ভিডিও ভাইরাল, মৌলবীর কীর্তিতে অবাক দুনিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমানবিকতা চূড়ান্ত নিদর্শন! অকুস্থল সেই বাংলাদেশ। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় (Viral Video) ছিছিক্কার হিন্দু সমাজে। বন্যায় ভাসছে বাংলাদেশের একটা বড় অংশ। এমনই এক বানভাসি এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে এক মৌলবী। হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক হিন্দু বালক। তার গলা থেকে পৈতের সুতো কেটে ফেলে দিল সেই মৌলবী (Bangladesh Crisis)। তার পরেই দেওয়া হল ত্রাণসামগ্রী। বাংলাদেশের নোয়াখালি এলাকার ভিডিও। অবশ্য ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম

    মৌলবীর কীর্তি (Bangladesh Crisis)

    হিন্দুর ছেলে পৈতে ছিঁড়ে দিলেও, মৌলবীর মাথায় রয়েছে টুপি, দাড়িও। তার সঙ্গে আরও দুই তরুণকে দেখা যাচ্ছে। বালকটির কাছে এসে তারা দাঁড়াল। এর পরেই মৌলবী তার পৈতে ছিঁড়ে দিল। তার সঙ্গী যুবক হাতে ধরিয়ে দিল প্লাস্টিকের ব্যাগে থাকা ত্রাণসামগ্রী। ত্রাণসামগ্রী হাতে নিয়ে বালকটি মৌলবীকে বলছে, তার পৈতে ফিরিয়ে দিতে। অন্য এক যুবককে বলতে শোনা যায়, ছেলেটি যদি ফের পৈতে পরে, তাহলে সে মন্দ ভাগ্যের শিকার হবে। তার জীবনে নেমে আসবে অভিশাপ। মৌলবীর সঙ্গী অন্য যুবকটি আবার বালকটিকে হুমকি দিচ্ছি, পৈতে ফেরত চাইলে সে ত্রাণসামগ্রী পাবে না। ওই দুই (Bangladesh Crisis) যুবক তাকে ক্যামেরার দিকে তাকাতে বলে। পরে গুডবাই জানিয়ে চলে যায়। যাওয়ার আগে বলে যায়, “যাও, যাও আশা করি তুমি সুখী, এবার গুডবাই বলো।”

    হিন্দুমেধ যজ্ঞ

    সংরক্ষণকে ঘিরে অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। তারই আঁচ এসে লাগে সে দেশের হিন্দুদের গায়ে। নৃশংসভাবে খুন করা হয় ৬৫০-এরও বেশি হিন্দুকে। জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় হিন্দু মহিলাদের। ধর্ষণের অভিযোগও উঠেছে সে দেশের সংখ্যাগুরুদের বিরুদ্ধে। মুসলমান দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর করেছে হিন্দুদের মন্দির। ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তার পর হিন্দুদের ওপর অত্যাচার আরও চরমে ওঠে। এর অন্যতম প্রধান একটা কারণ হল, বাংলাদেশি হিন্দুরা হাসিনার দল আওয়ামি লিগের সমর্থক। হিন্দু বিতাড়নও আর একটা কারণ। হিন্দুদের তাড়িয়ে বাংলাদেশকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় মৌলবাদীরা (Viral Video)। তার জেরেই বাংলাদেশে হয়েছে হিন্দু নিধন যজ্ঞ (Bangladesh Crisis)।

    আরও পড়ুন: দোরগোড়ায় বিধানসভা নির্বাচন, ঝাড়খণ্ডে ঘর ভাঙছে শাসকের!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Jharkhand: দোরগোড়ায় বিধানসভা নির্বাচন, ঝাড়খণ্ডে ঘর ভাঙছে শাসকের!

    Jharkhand: দোরগোড়ায় বিধানসভা নির্বাচন, ঝাড়খণ্ডে ঘর ভাঙছে শাসকের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই ভাঙন ধরছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) শাসক শিবিরে। এ রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা হেমন্ত সোরেন। শিবু সোরেনের এই ছেলের সঙ্গেই মনোমালিন্যের জেরেই শিবুর দল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন (Champai Soren)। এবার আরও এক প্রবীণ উপজাতি নেতা শিবির বদলে নাম লেখালেন গেরুয়া খাতায়। তাঁর নাম লবিন হেমব্রম।

    ঘর ভাঙছে শাসকের!

    ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার এই বহিষ্কৃত নেতা শনিবার যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচিতে গিয়ে লবিন হাতে তুলে নেন পদ্ম আঁকা ঝান্ডা। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে রাজমহল কেন্দ্রে তিনি জেএমএম-এর প্রার্থী বিজয় হাঁসদার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন নির্দল হিসেবে। গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়ে তিনি বলেন, “গুরুজির (জেএমএম সুপ্রিমো শিবু সোরেন) আদর্শ থেকে সরে এসেছে জেএমএম। দলে এখন প্রবীণ নেতাদের সম্মান নেই। তাই আমি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঝাড়খণ্ডের উন্নয়ন ও আদিবাসীদের উন্নতির জন্য আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

    কী বললেন লবিন

    তিনি বলেন, “ঝাড়খণ্ডের উন্নয়নে আমি কাজ করব। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের রুখব। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জন্য উপজাতি অধ্যুষিত গ্রামগুলো উধাও হয়ে যাচ্ছে। ঝাড়খণ্ডে উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ বিপন্ন। উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষকে বাঁচাতে হলে আমাদের বিজেপির সঙ্গে থাকতে হবে (Jharkhand)।” তিনি বলেন, “একমাত্র বিজেপিই এই ইস্যুটি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে। তাই আমি বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপর আমার ভরসা রয়েছে। আমি এখন বিশ্বের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রয়েছি। আগে আমি একটি আঞ্চলিক দলের সঙ্গে ছিলাম। জয় শ্রীরাম।”

    আরও পড়ুন: মেদিনীপুর মেডিক্যালে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি, কী করেন জানেন?

    সাঁওতালদের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব রয়েছে হেমব্রমের। তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপির পায়ের নীচের মাটি শক্ত হল বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। হেমব্রমের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন। বিজেপির প্রবীণ নেতাদের উপস্থিতিতে পদ্মশিবিরে যোগ দেন তিনি। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এই দুজনই রয়েছেন ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনের দায়িত্বে।

    চম্পাইয়ের (Champai Soren) পর লবিন, এবার বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ড তাহলে পদ্মময় (Jharkhand)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kangana Ranaut: কঙ্গনা রানাউতকে অপমান, আকাশ ব্যানার্জির, নেপথ্যে কে?

    Kangana Ranaut: কঙ্গনা রানাউতকে অপমান, আকাশ ব্যানার্জির, নেপথ্যে কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউতকে (Kangana Ranaut) কটাক্ষ ইউটিউবার আকাশ ব্যানার্জির (akash banerjee)। যা নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। গত ২৮ অগাস্ট তিনি কঙ্গনার পুরানো একটি ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেন। এই ভিডিওয় কঙ্গনাকে একটা পার্টিতে নাচতে দেখা যাচ্ছে। এই ছবিই পোস্ট করে নারী বিদ্বেষী মনোভাব ব্যক্ত করেন আকাশ। প্রশ্ন করেন, কঙ্গনা যে নাচ নাচছেন, তার নাম কী?

    আগেও খবর হয়েছেন ইউটিউবার আকাশ (Kangana Ranaut)

    কিছুদিন আগেই বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন এই ইউটিউবার। তামাম বিশ্ব যখন দেখছে, বাংলাদেশে কার্যত হিন্দু নিধন যজ্ঞ হচ্ছে, তখন আকাশ সে দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতাকে হোয়াইট ওয়াশ করতে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এহেন এক ইউটিউবার ফের চলে এসেছেন খবরে। এবার অবশ্য বিদেশ নয়, স্বদেশের এক সাংসদকে অপমান করে।

    কঙ্গনাকে ‘অপমান’

    আকাশের গুণপনার শেষ এখানেই নয়। কঙ্গনার বিজ্ঞাপন সম্পর্কিত একটি পুরানো ভিডিও শেয়ার করে এই ইউটিউবার অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অসম্মানজনক মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। ভিডিওয় কঙ্গনাকে মজার মুডে দেখা যাচ্ছে। কঙ্গনা ‘চাবুক মারা’ নিয়ে মন্তব্য করে দলে তিরস্কৃত হয়েছিলেন। সেটাকেই হাতিয়ার করে আকাশ বলেন, “কঙ্গনা ফান পার্টিতে চাবুক খাওয়ার পর এখন নিজের রাজনৈতিক পার্টির কাছ থেকে চাবুক খাচ্ছেন।” এর পরেই এই ইউটিউবার হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখেন, “কঙ্গনা রানাউতের জার্নিটা খুব এক্সাইটিং।”

    এই প্রথম নয়, এর আগেও কঙ্গনা হিংসা এবং যৌন নির্যাতনের হুমকি পেয়েছেন। আকাশের মতো লোকজন তাঁর চরিত্রে কালি ছেটানোর চেষ্টা করেছেন আগেও। অনলাইনেও তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে বহুবার। আকাশের পোস্টের পর একলপ্তে সেই ঘটনা বেড়ে গিয়েছে বহুগুণ। ঘটছে অভিনেত্রীকে (Kangana Ranaut) অপমানের ঘটনাও।

    আরও পড়ুন: মেদিনীপুর মেডিক্যালে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি, কী করেন জানেন?

    ঘটনাচক্রে ভারতের মার্কিন দূতাবাস আকাশের মতো একজন নারী বিদ্বেষীকে সামাজিক পরিবর্তনের ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে বেছে নিয়েছে। ভারতীয় যুব সমাজ কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার শক্তিকে কাজে লাগাবে, কীভাবেই বা সক্রিয় নাগরিক হবে, তা শেখাবেন তিনি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আকাশের মতো ইনফ্লুয়েন্সাররা কখনওই সক্রিয় নাগরিকত্ব কিংবা ‘মিনিংফুল চেঞ্জে’র ক্ষেত্রে উৎসাহিত করতে পারেন না। বরং তাঁরা কেবল নারীদের (Kangana Ranaut) বিরুদ্ধে অসন্তোষজনক সত্য প্রকাশ করে কীভাবে নারী বিদ্বেষী হওয়া যায় এবং এটা একটা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যায়, সেই শিক্ষা দিতে পারে (akash banerjee)। এ ব্যাপারে অবশ্য মার্কিন দূতাবাসের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jagdish Tytler: শিখ বিরোধী দাঙ্গা, জগদীশ টাইটলারের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দিল্লির আদালতের

    Jagdish Tytler: শিখ বিরোধী দাঙ্গা, জগদীশ টাইটলারের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দিল্লির আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৮৪ সালের শিখ বিরোধী দাঙ্গায় (1984 Anti Sikh Riots) অন্যতম অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতা জগদীশ টাইটলারের (Jagdish Tytler) বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। গতকাল শুক্রবার ৩০ অগাস্ট আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইকে। বিচারপতি রাকেশ সিয়াল বলেন যে জগদীশ টাইটলারের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে, যাতে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো যায়।

    কোন কোন ধারায় চার্জ গঠন (Jagdish Tytler) 

    প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমানে চালু রয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী যে সময়ে ঘটনা ঘটেছে, সেই সময়ের আইন অনুযায়ী বিচার প্রক্রিয়া চলবে। এভাবেই জগদীশ টাইটলারের (Jagdish Tytler) বিরুদ্ধে লাগু হতে চলেছে আইপিসি-এর অনেকগুলি ধারা। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারা (বেআইনি জমায়েত), ১৪৭ ধারা (দাঙ্গা), ১৫৩ এ ধারা (দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ বাধানো), ১৮৮ ধারা (সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দান), ২৯৫ ধারা (ধর্মস্থান অবমাননা), ৪৩৬ ধারা (অগ্নিসংযোগ), ৪৫১ ধারা (অবৈধভাবে বাড়িতে প্রবেশ ও লুট), ৩৮০ ধারা (চুরি), ১৪৯ ধারা (সাধারণ উদ্দেশে বেআইনি জমায়েত), ৩০২ ধারা (খুন) ১০৯ ধারা (অপরাধে উস্কানি) ইত্যাদি ধারায় মামলা দায়ের করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।

    কংগ্রেস নেতার (Jagdish Tytler) প্ররোচনা

    চলতি বছরের গোড়াতেই ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে সিবিআই দাবি করেছিল যে অনেক প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছেন, যাঁরা নিজের চোখে দেখেছেন জগদীশ টাইটলার একটি ভিড়কে উস্কানি দিচ্ছেন, দাঙ্গা করার প্ররোচনা দিচ্ছেন ১৯৮৪ সালে। জানা যায়, জগদীশ টাইটলারের এই উস্কানির ফলেই দিল্লির গুরুদুয়ারায় তিনজন মানুষকে খুন করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাসেই সিবিআই তাদের চার্জশিটে জানিয়েছিল যে জগদীশ টাইটলারের বিরুদ্ধে দাঙ্গায় উস্কানি দেওয়া, প্ররোচনা দেওয়ার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে যা সংঘটিত হয়েছিল ১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর দিল্লিতে। এরপরেই ১ লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান জগদীশ টাইটলার ২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে। প্রসঙ্গত, ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পরেই দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে শিখ-বিরোধী দাঙ্গা। এই দাঙ্গা চলে ১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত। অজস্র কংগ্রেসী নেতা এই দাঙ্গায় অভিযুক্ত হন। এই সময়ে ৩,৩৫০ জন সাধারণ শিখ নাগরিককে (1984 Anti Sikh Riots) নির্মমভাবে হত্যা করে কংগ্রেস সমর্থকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: কেরলের পালক্কাড়ে শুরু হল আরএসএস-এর সমন্বয় বৈঠক, চলবে তিনদিন

    RSS: কেরলের পালক্কাড়ে শুরু হল আরএসএস-এর সমন্বয় বৈঠক, চলবে তিনদিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার ৩১ অগাস্ট কেরলের (kerala) পালক্কাড়ে শুরু হল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) তিন দিনের অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠক। বৈঠকে যোগ দিয়েছেন আরএসএস-এর সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত, আরএসএস-এর সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবালে সমেত অন্যান্য নেতারা। যোগ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডাও। শনিবার বৈঠকে শুরুতেই কেরলের (Kerala) ওয়ানাড়ে ভূমিধসের বিশদ বিবরণ ও আরএসএস-এর (RSS) স্বয়ংসেবকদের উদ্যোগে প্রদত্ত সহায়তা প্রদানের বিষয়ে উপস্থিত প্রতিনিধিদের অবগত করা হয়।

    সুনীল আম্বেকরের সাংবাদিক সম্মেলন

    গতকাল শুক্রবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ৩২০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের অন্যান্য শাখা সংগঠন থেকে ২৩০ জন এবং জাতীয় স্তরের আরএসএসের ৯০ জন পদাধিকারী এই বৈঠকে হাজির থাকবেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে তাঁদের কার্যকলাপ ও সমাজের কাজে তাঁদের অভিজ্ঞতা নিয়ে বক্তব্য পেশ করবেন। এর পাশাপাশি এই বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি নিয়েও। আলোচনা চলবে বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতেও। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে সুনীল আম্বেকর বলেন, ‘‘জাতীয় স্তরের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, দেশের নিরাপত্তা, সামাজিক ইস্যু, বর্তমানের ঘটনা প্রবাহ, রাজ্যস্তরের বিভিন্ন ইস্যুগুলি নিয়েই আলোচনা করা হবে।’’

    ২০২৫ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) পা দিচ্ছে ১০০ বছরে

    প্রসঙ্গত, আগামী ২০২৫ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ পা দিচ্ছে ১০০ বছরে। এই সময়ে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে দেখা যাবে সঙ্ঘকে। ইতিমধ্যেই আরএসএস ঘোষণা করেছে ২০২৫ সালের বিজয়া দশমীতে নেওয়া হবে পঞ্চ পরিবর্তন কর্মসূচি, যা চলবে ২০২৬ সালের বিজয় দশমী পর্যন্ত। পঞ্চ পরিবর্তনের বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে সামাজিক সম্প্রীতি, কুটুম্ব প্রবোধন যার অর্থ হল পরিবারকে শক্তিশালী করা, পরিবেশ সংক্রান্ত ইস্যু, আত্মনির্ভরতা-এক্ষেত্রে ঔপনিবেশিক চিহ্নগুলিকে মুছে ফেলার কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে, সব শেষে রয়েছে সিভিক ডিউটিস বা নাগরিক কর্তব্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Midnapore Medical College: মহিলা জুনিয়র ডাক্তারদের আইটেম গানে নাচ করতে বাধ্য করা হতো! অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্রনেতা

    Midnapore Medical College: মহিলা জুনিয়র ডাক্তারদের আইটেম গানে নাচ করতে বাধ্য করা হতো! অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্রনেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজ্য সহ গোটাদেশ এখন তোলপাড়। সর্বত্র একটাই আওয়াজ উঠছে, অবিলম্বে দোষীর শাস্তি চাই। ঠিক এর মধ্যেই এবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের (Midnapore Medical College) মহিলা জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর ব়্যাগিংয়ের অভিযোগে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। মূল অভিযুক্ত টিএমসিপি (TMC student leader) ইউনিটের প্রভাবশালী নেতা মুস্তাফিজুর রহমান এবং তার অনুগামীরা। ইতিমধ্যে হবু চিকিৎসকরা আন্দোলনে নেমেছেন, তাঁদের দাবি একটাই, বহিষ্কার করতে হবে এই টিএমসিপি নেতাকে।

    প্রতিবাদ করলেই প্রাণে মারার হুমকি (Midnapore Medical College)

    মেডিক্যাল কলেজের (Midnapore Medical College) জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, এই তৃণমূল ছাত্রনেতা মুস্তাফিজুর রহমান (TMC student leader) মহিলা জুনিয়র ডাক্তারদের আইটেম গানে নাচ করতে বাধ্য করত। বেছে বেছে সুন্দরী পড়ুয়াদের নাচ করতে বলা হতো। এর প্রভাব এতটাই যে কলেজে পাশ কে করবে, আর ফেল কে করবে, তাও ঠিক করত এই অভিযুক্ত। প্রতিবাদ করলেই প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হতো। আবার ওই তৃণমূল ছাত্রনেতা আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ। তাদের একাধিক ছবি সামাজিক মাধ্যমে দেখা গিয়েছে। ইতিমধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থেকে অভিযুক্ত মুস্তাফিজুরকে কলেজে আসতে বারণ করা হয়েছে। পড়ুয়াদের দাবি অভিযুক্তকে অবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে। ইতিমধ্যে কলেজের কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগের বিষয় নিয়ে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ আরজি করের ‘সন্দেহজনক’ মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর

    মুখ খুলতে সাহস দেখান না কেউ!

    সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর মেডিক্যালের (Midnapore Medical College) ছাত্রনেতা (TMC student leader) মুস্তাফিজুর রহমান এতটাই প্রভাবশালী যে কলেজের চিকিৎসকেরাও মুখ খুলতে সাহস দেখান না। এই বিষয় নিয়ে কলেজের প্রিন্সিপাল মৌসুমি নন্দীও কিছু বলতে চাননি। হাসপাতালের শিশু চিকিৎসক বিভাগের প্রধান তারাপদ ঘোষ, অভিযুক্ত এই তৃণমূল ছাত্র নেতার কলেজে আসার নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে স্বীকার করেছেন।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share