Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ladakh: লক্ষ্য উন্নত পরিষেবা প্রদান! লাদাখে পাঁচটি নতুন জেলা তৈরি করল মোদি সরকার

    Ladakh: লক্ষ্য উন্নত পরিষেবা প্রদান! লাদাখে পাঁচটি নতুন জেলা তৈরি করল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল লাদাখে (Ladakh) তৈরি করা হল পাঁচটি নতুন জেলা। সোমবার, জন্মষ্টামীর দিন নতুন জেলাগুলির নাম ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। এই নিয়ে সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রী মোদি লাদাখের মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নিজের ট্যুইট বার্তায়। প্রসঙ্গত, অমিত শাহের মন্ত্রকই লাদাখের প্রশাসন পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। উন্নত পরিষেবা প্রদানের উদ্দেশেই এমন সিদ্ধান্ত বলে নিজের পোস্টে জানিয়েছেন শাহ।

    লাদাখের (Ladakh) নতুন ৫ জেলার নাম

    ২০১৯ সালেই ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয় লাদাখকে। লাদাখের প্রশাসনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এত দিন লাদাখে দু’টি জেলা ছিল একটি লেহ এবং অপরটি কার্গিল। এ বার নতুন করে পাঁচটি জেলায় ভাগ করা হল লাদাখকে (Ladakh)। নতুন পাঁচটি জেলা হল- জানস্কার, দ্রাস, শাম, নুবরা এবং চাংথাং। অমিত শাহ জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ করার ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা আরও সহজে ও দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যাবে।

    অমিত শাহের পোস্ট লাদাখ নিয়ে (Ladakh)

    সমাজমাধ্যমে পোস্টে শাহ লিখেছেন, ‘‘উন্নত এবং সমৃদ্ধ লাদাখ গড়ার যে লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অনুসরণ করছেন, তার প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক লাদাখকে পাঁচটি জেলায় ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানস্কার, দ্রাস, শাম, নুবরা এবং চাংথাং নামের পাঁচটি জেলা লাদাখের (Ladakh) মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা আরও ভালো ভাবে এবং আরও দ্রুত পৌঁছে দেবে। লাদাখের মানুষের জন্য অসংখ্য সুযোগ তৈরি করতে বদ্ধ পরিকর মোদি সরকার।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Unrest: ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ, আনসার ও ছাত্রদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ! আহত ৪০

    Bangladesh Unrest: ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ, আনসার ও ছাত্রদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ! আহত ৪০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ (Bangladesh Unrest) ত্যাগ করার পর কোটা বিরোধী আন্দোলনরত ছাত্রদের সঙ্গে আনসার বাহিনীর বেশ গালায় গালায় ভাব লক্ষ্য করা গিয়েছিল। সেই তাল কাটল রবিবার। ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সঙ্গে আনসার বাহিনীর সংঘর্ষে (Student Ansar forces clash) এক সমন্বয়ক-সহ আহত ৪০ জন হয়েছেন। রবিবার রাতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অনেকে মনে করছেন এই ঘটনা কার্যত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অশনি সংকেত। আহতদের মধ্যে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহকেও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    কীভাবে ঘটনার সূত্রপাত (Bangladesh Unrest)?

    ঘটনার সূত্রপাত হয় ঢাকায় বাংলাদেশ (Bangladesh Unrest) সরকারের সচিবালয়ে। রবিবার কয়েকশো আনসার সদস্য ঢুকে স্লোগান দিতে শুরু করে। তাদের বক্তব্য ছিল, বৈষম্যের অবসান চেয়ে হাসিনার সরকারের পতন ঘটেছে। অভিযোগ, বিগত সরকারের দ্বারা আনসার বাহিনী সব থেকে বেশি বঞ্চনার শিকার হয়েছে। এবার তারা চাকরির স্থায়ীকরণের দাবিতে সরব হয়। তাদের আরও দাবি, প্রতি তিন বছর অন্তর ছয় মাসের জন্য চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়, এই ব্যবস্থার দ্রুত অবসান করতে হবে। ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের উদ্দেশে তারা আরও জানায়, হাসিনার সময় ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে পুলিশের মতো আচরণ করেনি আনসাররা। কোথাও প্রকাশ্যে গুলি করা হয়নি, শূন্যে গুলি করা হয়েছিল কেবল। আজকে এই অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা অভিযুক্ত পুলিশের ঘেরাটোপের মধ্যে রয়েছে, এটা অত্যন্ত অন্যায়।

    আরও পড়ুনঃ আত্মরক্ষার অধিকার! লেবাননে হিজবুল্লার কয়েক ডজন জঙ্গিঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক ইজরায়েলের

    নিয়ন্ত্রণে সেনা বাহিনী

    আনসার সদস্যদের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকারীদের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পায়। ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে পড়েন সমন্বয়করা। আনসার বাহিনীর সদস্যদের আটকাতে গেলে ব্যাপক গোলমাল বাধে। ঘটনায় একপ্রকার সচিবালয় (Bangladesh Unrest) অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। এরপর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। অফিসে আটকে পড়েন উপদেষ্টা এবং আমলা-কর্মচারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ঠিক হয়, ছয় মাস কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাকে অবিলম্বে অবসান করা হবে। পরে বাকি দাবি-দাওয়া নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়। এরপর রাত সাড়ে আটটা নাগাদ সচিবালয় ছাড়েন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। কিন্তু সমন্বয়ক নাহিদ, সারজিস আলম এবং হাসনাত আবদুল্লা সচিবালয়ে ছিলেন। এদিকে আনসাররাও সেখানে অপেক্ষা করেন। অপর দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হস্টেলে রটে যায় যে, আনসার বাহিনী সচিবালয় ঘেরাও করেছে। ছাত্ররা উদ্ধার করতে গেলে ব্যাপক সংঘর্ষের (Student Ansar forces clash) ঘটনা ঘটে। চলে দুই পক্ষের মধ্যে ইট বৃষ্টি। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সেনাবাহিনী নামানো হয়। উপদেষ্টাদের নিরাপদে বাড়িতে ফেরানো হয় এবং আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape-Murder: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যের দেওয়া ‘বঙ্গরত্ন’ ফেরালেন সাহিত্যিক পরিমল দে

    RG Kar Rape-Murder: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যের দেওয়া ‘বঙ্গরত্ন’ ফেরালেন সাহিত্যিক পরিমল দে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হত্যাকাণ্ডের (RG Kar Rape-Murder) প্রতিবাদে বঙ্গরত্ন (Banga Ratna) প্রত্যাখ্যান করলেন আলিপুরদুয়ারের বিশিষ্ট লেখক সাহিত্যিক পরিমল দে। রীতিমত সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সরকারের দেওয়া পুরস্কারকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানান তিনি। রাজ্যের এক মহিলা চিকিৎসককে নির্মমভাবে অত্যাচার করে হত্যার ঘটনায় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পরিমলবাবু।

    দীর্ঘদিন ধরে নৈরাজ্য চলছে রাজ্যে (RG Kar Rape-Murder)

    এদিন রাজ্যে নারী নির্যাতনের (RG Kar Rape-Murder) পরিস্থিতি নিয়ে বিশিষ্ট সাহিত্যিক পরিমল দে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে নৈরাজ্য চলছে। দুর্নীতির পাশাপাশি আরজি করে যে অমানবিক ঘটনা ঘটেছে, তাতে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা রাজ্য। এই বাঙালি, বঙ্গবাসী ভারতের নানা রাজ্যে যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের সঙ্গে আমি একমত, সহমর্মিতা জানাই। এই জন্য আমি রাজ্য সরকারের দেওয়া পুরস্কার বঙ্গরত্ন ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।” উল্লেখ্য ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ উৎসবে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে তাঁর হাতে সাহিত্য রচনার জন্য বঙ্গরত্ন (Banga Ratna) সম্মান তুলে দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য এমন সম্মান ফেরানোর ঘটনা আগেও ঘটেছে। ২০২২ সালে মমতাকে বিশেষ সম্মান দিয়েছিল বাংলা অ্যাকাডেমি। এই ঘটনার প্রতিবাদে ‘অন্নদাশঙ্কর স্মারক সম্মান’ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রত্না রশিদ বন্দ্যোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুনঃ বঙ্গোপসাগরে ক্রমশ ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, জন্মাষ্টমীতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে

    মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ

    আরজি করকাণ্ড (RG Kar Rape-Murder) নিয়ে রাজ্য তথা দেশবাসীর মনে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। স্কুল, কলেজ, শিক্ষক, ডাক্তার, আইনজীবী থেকে শুরু করে সমাজের সকল স্তরের মানুষ আন্দোলনে নেমেছেন। অপর দিকে হত্যার পর হাসপাতালের অধ্যক্ষ, পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে ন্যায় বিচার চাইছে সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যে মামলার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। কিন্তু ধর্ষণের করে হত্যার পর মুখ্যমন্ত্রী মৃতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলে মানুষ আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়েছেন বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি ক্রমেই জোরাল হয়ে উঠেছে রাজ্য জুড়ে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • VHP: ৬০ বছর আগে জন্মাষ্টমীতেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, জানুন এই সংগঠনের ইতিহাস

    VHP: ৬০ বছর আগে জন্মাষ্টমীতেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, জানুন এই সংগঠনের ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ-বিদেশের কোটি কোটি হিন্দুর আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। অযোধ্যায় রাম জন্মভূমি আন্দোলনের নেতৃত্বদানের মাধ্যমে আপামর হিন্দু সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে পেরেছে এই সংগঠন। আজ জন্মাষ্টমীর পুণ্য তিথিতেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়। ১৯৬৪ সালের ২৯ অগাস্ট তিথি ছিল জন্মাষ্টমীর (Janmasthami)। সেই দিনই মুম্বইতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক মাধবরাও সদাশিবরাও গোলওয়ালকরের প্রেরণায় প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)।

    ৬৩ লাখ হিন্দুকে ধর্মান্তকরণের হাত থেকে রক্ষা করেছে এই সংগঠন

    বর্তমানে এই সংগঠন ভারত ছাড়াও বিদেশেও কাজ করছে হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করার জন্য। জানা যায়, ৫০টিরও বেশি দেশে রয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শাখা (VHP)। রাম মন্দির আন্দোলনে বিপুল সফলতা লাভ করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এরপর থেকেই এই সংগঠন গোহত্যা, জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ, লাভ জিহাদ- এই সমস্ত ইস্যু নিয়ে সরব হয়। হিন্দু সমাজের মধ্যে জাগরণ তৈরি করতে আন্দোলনও গড়ে তোলা হয়। জানা গিয়েছে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এখনও পর্যন্ত ৬৩ লাখ হিন্দুকে ধর্মান্তকরণের হাত থেকে রক্ষা করেছে এবং সনাতন ধর্ম ছেড়ে যাঁরা অন্য ধর্মে চলে গিয়েছিলেন সেই রকম ৯ লাখ ব্যক্তিকে তাঁরা হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে এনেছেন।

    ১৯৬৪ সালের ২৯ অগাস্ট মুম্বইয়ে কোথায় প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)

    ১৯৬৪ সালের ২৯ অগাস্ট মুম্বইয়ে অবস্থিত স্বামী চিন্ময়ানন্দ মহারাজের আশ্রমে একটি বৈঠকের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। জানা যায়, ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন স্বামী চিন্ময়ানন্দ, স্বামী তুকডোজি মহারাজ, শিখ নেতা মাস্টার তারা সিং, জৈন নেতা সুশীল মুনি, গীতা প্রেসের হনুমান প্রসাদ পোদ্দার এবং শ্রী গুরুজি (দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক)। জানা যায়, ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন ৪০ থেকে ৪৫ জন প্রতিনিধিও।

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রথম বড় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬৬ সালের কুম্ভ মেলাতে

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) প্রথম বড় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬৬ সালের কুম্ভ মেলাতে। সংগঠনের পুরনো নেতারা বলেন, সে বছর কুম্ভমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল জানুয়ারি মাসের ২২ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত। জানা যায়, ওই সম্মেলনে ২৫ হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছিলেন। শুধু ভারত থেকেই নয়,  অন্যান্য ১২টি দেশ থেকেও প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। যাঁদের মধ্যে তিনশোর বেশি খ্যাতনামা সন্ন্যাসীও ছিলেন। ওই সম্মেলনের মাধ্যমেই ‘ঘর ওয়াপসি’ ভাবনাও গ্রহণ করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। অর্থাৎ হিন্দু ধর্ম ছেড়ে যাঁরা অন্য ধর্মে গিয়েছেন, তাঁদেরকে পুনরায় সনাতনে ফিরিয়ে নিয়ে আসার যে প্রক্রিয়া, তা গ্রহণ করা হয় ১৯৬৬ সালেই। এর পাশাপাশি ধর্মান্তকরণ রোধের বিরুদ্ধেও ওই সম্মেলনে সরব হন সাধুসন্তরা। ১৯৬৬ সালের ওই সম্মেলনেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ তাদের নীতিবাক্য স্থির করে, ‘ধর্ম রক্ষতি রক্ষিতঃ’। প্রাচীন হিন্দু শাস্ত্র থেকে নেওয়া এই সংস্কৃত শ্লোকের অর্থ হল, ধর্মকে যিনি রক্ষা করেন, ধর্ম তাঁকে রক্ষা করে।

    ১৯৬৯ সালের ডিসেম্বর মাসে কর্নাটকের উদুপিতে বসে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ধর্ম সংসদ

    চলতি বছরে জন্মাষ্টমীতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) ৬০ বছরে পা দিল। এই সময়ের মধ্যে অসংখ্য সফল আন্দোলন তারা দেশ জুড়ে গড়ে তুলতে সমর্থ হয়েছে। হিন্দু সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই সংগঠনের অবদান উল্লেখযোগ্য। হিন্দু ধর্মের জাতিভেদ প্রথা রোধ করার জন্যও অনেক আন্দোলনই করেছে বা এখনও করছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। ১৯৬৯ সালের ডিসেম্বর মাসে কর্নাটকের উদুপিতে বসে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ধর্ম সংসদ এবং সেখানেই প্রস্তাব নেওয়া হয়, ‘হিন্দবঃ সোদরা সর্বে, ন হিন্দু পতিত ভবেত মম দীক্ষা হিন্দু রক্ষা, মম মন্ত্র সমানতা’- এই মন্ত্রের। অর্থাৎ, সব হিন্দু আমার ভাই, কোনও হিন্দু কখনও পতিত হতে পারে না। হিন্দুকে রক্ষা করাই আমার ধর্ম, সমানতাই আমার মন্ত্র। ওই ধর্ম সংসদে জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে সবাইকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। হিন্দু সমাজে সমতা রক্ষা করার কথা বলা হয়।

    ১৯৮৪ সালেই রাম মন্দির আন্দোলনের ঘোষণা, ওই বছরেই প্রতিষ্ঠিত হয় বজরঙ দল

    ১৯৮২ সালেই অশোক সিঙ্ঘল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতৃত্বে আসেন। তাঁর নেতৃত্বে সংগঠন সারা দেশ জুড়ে বিস্তার লাভ করতে থাকে। ১৯৮৩ সালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ একতা যাত্রা করে, যার লক্ষ্য ছিল গোটা হিন্দু সমাজকে একত্রিত করা। দেশের হাজার হাজার গ্রামে পৌঁছাতে সক্ষম হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। প্রায় ৬ কোটি হিন্দু প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন এই কর্মসূচিতে। 

    ১৯৮৪ সালের এপ্রিল মাসে নয়াদিল্লিতে ধর্ম সংসদের আয়োজন করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং সেখানে ১২৫টি সম্প্রদায় থেকে বিভিন্ন সাধুরা অংশগ্রহণ করেন। ওই বছরেরই ৮ অক্টোবর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ রাম মন্দির আন্দোলনের ঘোষণা করে এবং সেদিনই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব সংগঠন বজরঙ দল স্থাপিত হয়। বর্তমানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এক মহীরুহে পরিণত হয়েছে। এক লাখেরও বেশি প্রকল্প চলছে সারা দেশ জুড়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নামে। যার মধ্যে ৭০ হাজারেরও বেশি রয়েছে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ২,০০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ১,৮০০-এর বেশি স্বাস্থ্য পরিসেবা এবং দেড় হাজারেরও বেশি আত্মনির্ভর কেন্দ্র চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bengal BJP: দাবি এক— মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ, আরজি কর ইস্যুতে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির

    Bengal BJP: দাবি এক— মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ, আরজি কর ইস্যুতে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের (RG kar Issue) প্রতিবাদে প্রথম থেকেই আন্দোলনে রয়েছে বিজেপি (Bengal BJP)। বিক্ষোভ-ধর্নার পাশাপাশি গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার গেরুয়া শিবিরের স্বাস্থ্য ভবন অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল গোটা বিধাননগর। শ্যামবাজারে বিজেপির ধর্না তো চলছেই। সেখান থেকেই একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করল বিজেপি। জানা গিয়েছে, শ্যামবাজারের পর এবার ধর্মতলায় ধর্না কর্মসূচি চালাবে বিজেপি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, আগামী ২৮ অগাস্ট থেকে ধর্মতলায় ধর্নায় বসছে রাজ্য বিজেপি। সুকান্ত মজুমদারের কথায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ না করা পর্যন্ত ধর্মতলায় ধর্না চলবে।’’

    মহিলা কমিশনে তালা লাগানো হবে 

    রবিবার বিজেপির (Bengal BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ঘোষণা করেন, ২৮ অগাস্ট মহিলা কমিশনের অফিসে দুপুর ২টো নাগাদ তালা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মহিলারা এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। মহিলারাই নেতৃত্বে থাকবেন তাতে। সুকান্ত মজুমদার এবিষয়ে বলেন, ‘‘পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছি। না দিলে আদালতে যাব। মহিলা কমিশনে তালা লাগানো হবে।’’ এর পাশাপাশি, ২৯ অগাস্ট সব জেলার জেলাশাসকের কার্যালয় ঘেরাও হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। ওই দিন দুপুর ২টো নাগাদ এই কর্মসূচি পালিত হবে বলে জানা গিয়েছে। 

    ব্লকে ব্লকে অবস্থান, পথ অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা

    এরপর ২ সেপ্টেম্বর রাজ্যের প্রত্যেকটি ব্লকে একদিনের অবস্থান বিক্ষোভ করবেন বিজেপির (Bengal BJP) কর্মীরা। ৪ সেপ্টেম্বর প্রত্যেকটি মণ্ডলে (বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামোয়, একটি জেলাপরিষদের আসন অনুযায়ী মণ্ডল গঠিত হয়) এক ঘণ্টা ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিজেপি। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই পথ অবরোধ চলবে আরজি কর ইস্যুতে। জানা যাচ্ছে, এই এক ঘণ্টা একটি গাড়িও বিজেপি চলতে দেবে না। একইসঙ্গে, আজ সোমবার জন্মাষ্টমীর দিন অভয়ার বিচার (RG kar Issue) প্রার্থনায় প্রত্যেক বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানোর ডাক দিয়েছে বিজেপি। সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে, রাস্তার সামনে সাধারণ মানুষকে প্রদীপ জ্বালানোর ডাক দিয়েছে বিজেপি (Bengal BJP)।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Krishna-Janmashtami: স্কুল-কলেজে জন্মাষ্টমী পালনের নির্দেশিকা মধ্যপ্রদেশ সরকারের

    Krishna-Janmashtami: স্কুল-কলেজে জন্মাষ্টমী পালনের নির্দেশিকা মধ্যপ্রদেশ সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী (Krishna-Janmashtami) পালনের জন্য স্কুল ও কলেজগুলিকে অনুষ্ঠান করার নির্দেশ দিয়েছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) মোহন যাদবের সরকার। রাজ্যের স্কুলগুলিকে গুরু পূর্ণিমার জন্য বিশেষ দু’দিনের অনুষ্ঠান আয়োজনের নির্দেশের পর, বিজেপি সরকার এবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আগামী ২৬ অগাস্ট সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুরূপ নির্দেশ জারি করেছে৷ ইতিমধ্যে জেলাশাসকদের কাছে এই নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে। শ্রীকৃষ্ণের জীবন দর্শন, শিক্ষা ভাবনা, মানব দর্শন এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বকে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তুলে ধরার কথা বলেছে রাজ্য সরকার।

    কৃষ্ণের শিক্ষা তুলে ধরার নির্দেশিকা (Krishna-Janmashtami)

    প্রশাসন বিভাগ থেকে সমস্ত জেলাশাসকদের কাছে ছয় দফা নির্দেশ জারি করেছে মোহন যাদবের সরকার (Madhya Pradesh)। সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল-কলেজে পণ্ডিতদের দ্বারা বক্তৃতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। ভগবান কৃষ্ণের শিক্ষা, জীবন, দর্শন, মানবতা ও বন্ধুত্বের মূল্যবোধের বিষয়গুলিকে অনুষ্ঠানে রাখার জন্য বলা হয়েছে। নির্দেশে আরও বলা হয়েছে যে ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্য, যেমন যোগব্যায়ামের উপর প্রবন্ধ রচনার প্রতিযোগিতা, বক্তৃতামালার মধ্যমে বর্তমান সময়ে প্রাসঙ্গিক বিষয়কে উপস্থাপন করতে হবে। একই ভাবে জন্মাষ্টমীর (Krishna-Janmashtami) সময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মন্দিরগুলিকে পরিষ্কার করা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন নিশ্চিত করতে জেলাশাসকদের বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনপাভা (দেওয়াস), আমঝেরা (ধর), নারায়ণ এবং সন্দীপনি আশ্রম (উজ্জয়ন) সহ একাধিক জায়গা যেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জীবন কথা জড়িত হয়ে আছে, সেই ধর্মীয় স্থানগুলিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলা হয়।

    আরও পড়ুন: উচ্চ অসম ছাড়তে হবে সপ্তাহের মধ্যে, মিঞাদের ডেডলাইন ৩০ সংগঠনের

    কংগ্রেসকে পাল্টা তোপ বিজপির

    ভোপাল-মধ্যের কংগ্রেস বিধায়ক আরিফ মাসুদ মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) সরকারের এই নির্দেশিকাকে (Krishna-Janmashtami) তীব্র কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, “কেন এই সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে চাইছে? ধর্মীয় উপলক্ষ্যে ছুটি ঘোষণা করার বিধান তো রয়েছেই।” পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় দিয়ে ভোপালের হুজুরের বিজেপি বিধায়ক রামেশ্বর শর্মা, সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলেন, “আমাদের সরকার রাজ্য জুড়ে জন্মাষ্টমী উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ

  • Ramakrishna 113: “ঠাকুর শুনিয়াছেন…নরেন্দ্র প্রভৃতি ছোকরারা মিলিয়া ব্রাহ্মসমাজের উপাসনা করেন”

    Ramakrishna 113: “ঠাকুর শুনিয়াছেন…নরেন্দ্র প্রভৃতি ছোকরারা মিলিয়া ব্রাহ্মসমাজের উপাসনা করেন”

    সার্কাস রঙ্গালয়ে—গৃহস্থের ও অন্যান্য কর্মীদের কঠিন সমস্যা ও শ্রীরামকৃষ্ণ

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ষড়ভুজদর্শন ও শ্রীরাজমোহনের বাড়িতে শুভাগমন—নরেন্দ্র

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) গড়ের মাঠে যে দিন সার্কাস দর্শন করিলেন তাহার পরদিনেই আবার কলকাতায় শুভাগমন করিয়াছেন; বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ১৮৮২, কার্তিক শুক্লা ষষ্ঠী, (১লা অগ্রহায়ণ)। আসিয়াই প্রথমে গরাণহাটায় ষড়ভুজ মহাপ্রভু দর্শন করিলেন। বৈষ্ণব সাধুদের আখড়া; মহন্ত শ্রীগিরিধারী দাস। ষড়ভুজ মহাপ্রভুর সেবা অনেকদিন হইতে চলিতেছে। ঠাকুর বৈকালে দর্শন (Kathamrita) করিলেন।

    সন্ধ্যার কিয়ৎকাল পরে ঠাকুর সিমুলিয়া নিবাসী শ্রীযুক্ত রাজমোহনের বাড়িতে গাড়ি করিয়া আসিয়া উপস্থিত। ঠাকুর শুনিয়াছেন (Kathamrita) যে, এখানে নরেন্দ্র প্রভৃতি ছোকরারা মিলিয়া ব্রাহ্মসমাজের উপাসনা করেন। তাই দেখিতে আসিয়াছেন। মাস্টার ও আরও দু-একজন ভক্তের সঙ্গে আছেন। শ্রীযুক্ত রাজমোহন পুরাতন ব্রাহ্মভক্ত।

    ব্রাহ্মভক্ত ও সর্বত্যাগ বা সন্ন্যাস

    ঠাকুর (Ramakrishna) নরেন্দ্রকে দেখিয়া আনন্দিত হইলেন। আর বলিলেন (Kathamrita), তোমাদের উপাসনা দেখব! নরেন্দ্র গান গাহিতে লাগিলেন। শ্রীযুক্ত প্রিয় প্রভৃতি ছোকরারা কেহ কেহ উপস্থিত ছিলেন। এইবার উপাসনা হইতেছে। ছোকরাদের মধ্যে একজন উপাসনা করিতেছেন। তিনি প্রার্থনা করিতেছেন, ঠাকুর যেন সব ছেড়ে তোমাতে মগ্ন হই! ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে দেখিয়া বোধ হয় তাঁহার উদ্দীপন হইয়াছে। তাই সর্বত্যাগের কথা বলিতেছেন। মাস্টার ঠাকুর খুব কাছে বসিয়াছিলেন, তিনিই কেবল শুনিতে পাইলেন, ঠাকুর (Ramakrishna) অতি মৃদুস্বরে বলিতেছেন, তা আর হয়েছে!

    শ্রীযুক্ত রাজমোহন ঠাকুরকে জল খাওয়াইবার জন্য বাড়ির ভিতরে লইয়া যাইতেছেন।   

    আরও পড়ুন: “শ্রীরামকৃষ্ণ সংসারী বদ্ধজীবের কথা বলিতেছেন, তারা যেন গুটিপোকা…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘নারীদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য’’, আরজি কর-কাণ্ডের আবহে বললেন মোদি

    PM Modi: ‘‘নারীদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য’’, আরজি কর-কাণ্ডের আবহে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের আবহে মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধে (Crimes Against Women) কঠোর পদক্ষেপের আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবারই প্রধানমন্ত্রী হাজির ছিলেন মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে ‘লাখপতি দিদি’ সম্মেলনে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘নারীদের নিরাপত্তা অত্যন্ত জরুরি বিষয়। আমি আবার সব রাজ্য সরকারকে বলব নারীদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য। যারাই দোষী তাদের যেন ছাড় না দেওয়া হয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যে মহিলাদের অত্যাচার করে এবং যে তাকে বাঁচায়, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। হাসপাতাল হোক বা থানা, যেখানেই গাফিলতি, সেখানেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।’’

    বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি এবং প্রতারণার জন্য ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় আইন রয়েছে

    এদিন ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘নাবালকদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধের ঘটনায় নতুন আইনে মৃত্যুদণ্ড এবং যাবজ্জীবন সাজার জায়গা রয়েছে। এর আগে বিয়ের নাম করে মেয়েদের সঙ্গে প্রতারণা করা হলেও এই অপরাধের জন্য আলাদা করে কোনও আইন ছিল না। এখন বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি এবং প্রতারণার জন্য ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় আইন রয়েছে।’’

    বিয়ের পরে মহিলাদের ওপর হওয়া অপরাধ নিয়ে কী বললেন মোদি (PM Modi)?

    বিয়ের পরে মহিলাদের ওপর হওয়া অপরাধের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এই ধরনের অপরাধগুলি মোকাবিলা করতে বিএনএস-এ অনেক সংশোধনী এনেছে।’’ মহিলাদের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, ‘‘সমাজ এবং প্রতিটি সরকারের কর্তব্যই হল মহিলাদের নিরাপত্তা এবং মর্যাদাকে রক্ষা করা। আমরা কঠোর আইন এনেছি। মহিলাদের বিরুদ্ধে যারা অপরাধ (Crimes Against Women) করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।’’

    ই-এফআইআর চালু করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরও জানিয়েছেন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা চালু হওয়াতে বিচার ব্যবস্থা আরও সহজ হয়েছে। এখন সহজেই অভিযোগ দায়ের করা যায় বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘আগে প্রায় অভিযোগ আসত যে এফআইআর দায়ের হয়নি কিন্তু আমরা ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এনেছি এবং আগের ব্যবস্থার অনেকটাই সংশোধন করেছি। এখন কোনও মহিলা যদি থানায় নাও যেতে চান তবে তিনি ই-এফআইআর দায়ের করতে পারেন। কোনও ব্যক্তি ই-এফআইআর বদলাতে পারেন না।’’

    তাঁর সরকারের লক্ষ্য মহিলা সশক্তিকরণ

    বিগত ১০ বছর ধরে তাঁর সরকার মহিলাদের উন্নতি ও সশক্তিকরণে নানা কাজ করেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রীর মতে, ‘‘স্বাধীনতার পর থেকে আগের যে সমস্ত সরকার মহিলাদের জন্য যা কাজ করেছে গত ১০ বছরে তার চেয়ে অনেক বেশি কাজ হয়েছে।’’ এ বিষয়ের রীতিমত তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মোদি এবং তিনি বলেন, ‘‘২০১৪ সাল পর্যন্ত যে পরিসংখ্যান দেখা যাচ্ছে তাতে মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ২৫ হাজার কোটি টাকারও কম ঋণ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু বিগত ১০ বছরে সরকার ঋণ দিয়েছে ৯ লাখ কোটি টাকা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Railway Accident: সাম্প্রতিক রেল দুর্ঘটনাগুলির পিছনে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র, দাবি রেল প্রতিমন্ত্রীর

    Railway Accident: সাম্প্রতিক রেল দুর্ঘটনাগুলির পিছনে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র, দাবি রেল প্রতিমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে সবথেকে বেশি যে সব গণপরিবহণ ব্যবহার করা হয়, তার মধ্যে প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম হল রেল। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে রেল দুর্ঘটনার (Railway Accident) খবরে দেশজুড়ে শোরগোল পড়েছে। বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে রাঙাপানিতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা সহ ট্রেনে আগুন লাগা, কামরা লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা বেশ কয়েকটি ঘটেছে। সব মিলিয়ে গত কয়েক মাসে এক ডজনের বেশি দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে। এখন প্রশ্ন হল, সবটাই কি নিছন দুর্ঘটনা, নাকি কোনও বৃহৎ ষড়যন্ত্র। এবার এই বিষয়ে মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী (Minister of Railway) রভনীত সিং বিট্টু।

    রেল দুর্ঘটনার পিছনে রয়েছে ষড়যন্ত্র (Railway Accident)

    শনিবার রেল প্রতিমন্ত্রী (Minister of Railway) বিট্টু বলেন, “সম্প্রতি দেশে যে সব রেল দুর্ঘটনা (Railway Accident) ঘটেছে তার তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সবটাই ভয়ঙ্কর গভীর চক্রান্ত। ঠিক একদিন আগেই আলিগড়ে রেলের লাইনে অ্যালয় হুইল পাওয়া গিয়েছে। এর মানেই হল রেলে বড়সড় ষড়যন্ত্র চলছে। একে একে সব সামনে উঠে আসছে।” এখন প্রশ্ন হল কে এই ষড়যন্ত্র করছে? উত্তরে মন্ত্রী বলেছেন, “দেশে নরেন্দ্র মোদি তৃতীয় বারের জন্য সরকার গঠন করেছেন। দেশের অভ্যন্তরীণ অপশক্তি এবং বিদেশি শক্তি একযোগে কাজ করছে। রেল হল ভারতের লাইফ লাইন। তাকে ধ্বংস করে দেশে অস্থিরতা তৈরি করতে চাওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি রেলদুর্ঘটনাগুলি এই অপশক্তির ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই না।”

    ফারুখাবাদ এক্সপ্রেস অল্পের জন্য রক্ষা!

    শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট রাতে উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্জ ও ফারুখাবাদের মধ্যে চলা ফারুখাবাদ এক্সপ্রেস ট্র্যাকে রাখা একটি কাঠের গুঁড়ি সংস্পর্শে এসে অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা (Railway Accident) থেকে রক্ষা পায়। জানা গিয়েছে, ট্রেনটিতে প্রথমে হঠাৎ ঝাঁকুনি অনুভব হয়, এরপর লোকো পাইলট জরুরি ব্রেক করে ট্রেনটিকে থামান। পরে আরও জানা যায় যে কাঠের ওই গুঁড়িটি ট্রেনের ইঞ্জিনের নীচে আটকে গিয়েছিল। এরপর রেলকর্মীরা কাঠের গুঁড়িকে সরিয়ে ট্র্যাক পরিষ্কার করে দেওয় হয়। ঘটনায় ২৫ মিনিট ধরে ট্রেন চলাচলে ব্যঘাত ঘটেছিল। পরে শামশাবাদ রেল স্টেশনে পৌঁছে লোকো পাইলট বিষয়টি অভিযোগ আকারে জানান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি), রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (আরপিএফ) এবং ডগ স্কোয়াড। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিও পরিদর্শন করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তবে এমন ঘটনা এই প্রথম নয়। গত ১৭ অগাস্ট রাতে কানপুরের গোবিন্দপুরী স্টেশনের কাছে সবরমতি এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। ফলে সবটাই গভীর ষড়যন্ত্রের অঙ্গ বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel: আত্মরক্ষার অধিকার! লেবাননে হিজবুল্লার কয়েক ডজন জঙ্গিঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক ইজরায়েলের

    Israel: আত্মরক্ষার অধিকার! লেবাননে হিজবুল্লার কয়েক ডজন জঙ্গিঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক ইজরায়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ইরান সমর্থিত জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুল্লার (Hezbollah) কয়েক ডজন ঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক চালাল ইজরায়েলের (Israel) সেনা। জানা গিয়েছে, রবিবার ১০০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান লেবাননে এই অপারেশন চালিয়েছে। পাল্টা হিজবুল্লা জঙ্গিগোষ্ঠী ইজরায়েলের ভূখণ্ডের দিকে ৩২০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে খবর। এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে হিজবুল্লা জঙ্গিগোষ্ঠী জানিয়েছে যে তাদের কমান্ডার ফুয়াদ শুকরের হত্যার বদলা নিতেই এই হামলা। প্রসঙ্গত এই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ইজরায়েলে নেতানিয়াহুর সরকার সে দেশে ৪৮ ঘণ্টার জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন।

    আমাদের যারা ক্ষতি করে, আমরা তাদেরও ক্ষতি করি, বিবৃতি নেতানিয়াহুর (Israel)

    এর পাশাপাশি সে দেশের (Israel) রাষ্ট্রপ্রধান বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে বলে খবর। পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্যই এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘‘আমরা আমাদের দেশকে রক্ষা করার জন্য সমস্ত কিছু পদক্ষেপ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ইজরায়েলের উত্তর দিকের বাসিন্দাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমাদের যারা ক্ষতি করে, আমরা তাদেরও ক্ষতি করি।’’ অন্যদিকে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে তাদের যুদ্ধবিমানগুলি হাজার হাজার হিজবুল্লার রকেট লঞ্চারকে ধ্বংস করতে সমর্থ হয়েছে।

    ইজরায়েলের (Israel) আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের

    অন্যদিকে ইজরায়েল এবং হিজবুল্লার জঙ্গিগোষ্ঠীর এই সংঘাতের মাঝে হোয়াইট হাউসের বিবৃতিও সামনে এসেছে। মার্কিন দেশের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র শন স্যাভেট জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইজরায়েল-লেবাননের সংঘাতকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছেন। স্যাভেট আরও জানিয়েছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সর্বক্ষণ জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে বৈঠক করছেন। এর পাশাপাশি ঊর্ধ্বতন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা ইজরায়েলের প্রতিপক্ষ হিজবুল্লার (Hezbollah) সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ করে চলেছে বলেও জানা গিয়েছে। বিবৃতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট আরও জানিয়েছে যে ইজরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে তারা সর্বদাই সমর্থন করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share