Tag: news in bengali

news in bengali

  • Janmashtami 2024: শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে ‘দহি হান্ডি’ উৎসবের আধ্যাত্মিক ও সামাজিক তাৎপর্য কী জানেন

    Janmashtami 2024: শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে ‘দহি হান্ডি’ উৎসবের আধ্যাত্মিক ও সামাজিক তাৎপর্য কী জানেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে ভাদ্র মাসে কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমীতে পালিত হয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী (Janmashtami 2024)। সারা ভারত জুড়ে উত্সাহের সঙ্গে পালিত হয় এই উৎসব। কৃষ্ণ হলেন ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার। এই বছর জন্মাষ্টমী পালিত হবে সোমবার, ২৬ অগাস্ট। দহি হান্ডি উতসব পালিত হবে মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট। জন্মাষ্টমীর সঙ্গে যুক্ত অনেক রীতিনীতির মধ্যে একটি হল দহি হান্ডি (Dahi Hand) উৎসব। গুজরাট, মহারাষ্ট্র সহ একাধিক রাজ্যে পালিত হয় এই উৎসব। আসুন জেনে নিই এই উৎসবের তাৎপর্য।

    কৃষ্ণের তরুণ বয়সের প্রতীক (Janmashtami 2024)

    জন্মাষ্টমীর (Janmashtami 2024) দহি হান্ডি (Dahi Hand) উৎসব হল কৃষ্ণের তরুণ বয়সের প্রতীক। হাঁড়িতে দই রেখে সেই হাঁড়ি ভাঙা। সংক্ষেপে এমন উৎসবের নামই হল দহি-হান্ডি উৎসব। এই উপলক্ষে একরকম প্রতিযোগিতাও চলে। যারা অংশ গ্রহণ করে, তারা মজার ছলে কৌতুকপূর্ণ এবং দুষ্টু প্রকৃতির ভাবনাগুলিকে ফুটিয়ে তোলে। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, কৃষ্ণ মাখন বেশ পছন্দ করতেন, প্রায়শই কৃষ্ণ গোকুলের গ্রামবাসীদের বাড়ি থেকে মাখন চুরি করতেন। মাখনের প্রতি ভালবাসা এতটাই তীব্র যে, বন্ধুদের সঙ্গে মিলে মানুষের পিরামিড তৈরি করতেন। একটি মাটির পাত্রে অর্থৎ হান্ডিতে মাখন এবং দই রেখে উঁচু থেকে ঝুলিয়ে রাখা হতো। এরপর মানুষের পিরামিড বেয়ে উঠে হান্ডি ভাঙা হয়। এই খেলা বেশ জনপ্রিয় ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যুগের পরিবর্তনে, মাখন চুরির কৌতুকপূর্ণ খেলাটি মহারাষ্ট্র, গুজরাট এবং ভারতের অন্যান্য অংশে অত্যন্ত উত্সাহের সঙ্গে পালিত হয়। এই উৎসবে হাজার হাজার কৃষ্ণভক্ত যোগদান করে থাকেন।

    দহি হান্ডির তাৎপর্য

    দহি হান্ডি (Janmashtami 2024) উদযাপনের গভীর প্রতীকী অর্থ রয়েছে। হান্ডি ভাঙার অর্থ হল মন্দের উপর ভালোর জয়কে চিহ্নিত করা। সামাজিক রীতিনীতির অনমনীয়তার উপর কৃষ্ণের ঐশ্বরিক বিজয়কে কৌতুকের সঙ্গে প্রতিধ্বনিত করা। এই উত্সবে মানুষের দলগত কাজ, ঐক্য এবং সাহসের মূল্যবোধের উপরও জোর দেওয়া হয়। কারণ যুবকদের দল, কৃষ্ণের নাম গোবিন্দ নামে পরিচিত হয়। মাটির পাত্র ভাঙার জন্য মানব পিরামিডের নির্মাণ করা হয়।

    দল এবং একতা

    শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে (Janmashtami 2024) দহি হান্ডির ঐতিহ্যের মধ্যে সহযোগিতা এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার গুরুত্বকে বিশেষ ভাবে প্রদর্শন করা হয়। গোবিন্দরা অর্থাৎ স্থানীয় যারা যোগদান করে, তারা একত্রে কাজ করে একটি সাধারণ লক্ষ্য অর্জনের প্রচেষ্টা করে থাকে। এই সবটাই একতার মধ্যে থাকা শক্তির প্রতীক। সাহস ও অধ্যবসায় ছাড়া উঁচুতে রাখা মাটির পাত্র ভাঙা সহজ কাজ নয়। পিরামিডগুলি বেশ লম্বা হতে পারে এবং কাজটির জন্য প্রচুর শারীরিক শক্তি, ভারসাম্য এবং সংকল্পের প্রয়োজন হয়। ফলে সাহস এবং অধ্যবসার মাধ্যমে কীভাবে প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে শক্তি সঞ্চয় করা যায়, সেটাই প্রমাণ করা হয় এই খেলায়। কৃষ্ণ (Janmashtami 2024) স্বয়ং সমস্যা থেকে জয় পেতে শক্তির প্রতীক ছিলেন।

    আধ্যাত্মিক তাৎপর্য

    এই উৎসবের (Janmashtami 2024) গভীরে রয়েছে আধ্যাত্মিক উচ্চতার রূপক। হান্ডি অহংকে প্রতিনিধিত্ব করে, যা ভাঙা কঠিন। তাই ভাঙার স্তরে পৌঁছানোর জন্য গোবিন্দকে আত্ম-উপলব্ধির মধ্যে দিয়ে মানব মনকে যাত্রা করাতে হয়। আবার মাটির পাত্রের মধ্যে থাকা দই ঐশ্বরিক আনন্দের মাধুর্যকে নির্দেশ করে, যা একজন ব্যক্তি অহং-কে ভেঙে দেয়। ফলে নিজের আত্মাকে উপলব্ধি করা এবং পরিচালনার জন্য মনকে অনুভব করা প্রয়োজন।

    আধুনিক সময়ে কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী

    সমসাময়িক সময়ে, দহি হান্ডি (Janmashtami 2024) একটি উৎসবমুখর পরিবেশে একটি প্রতিযোগিতামূলক ক্রীড়ায় পরিণত হয়েছে। অনেক রাজ্যে দহি হান্ডি প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়ে থাকে। যেখানে গোবিন্দদের দল সর্বোচ্চ পিরামিড গঠনের জন্য প্রতিযোগিতা করে এবং বিজয় সুনিশ্চিত করে পুরস্কার অর্জন করে থাকে। প্রতিযোগিতাটি সঙ্গীত, নৃত্য এবং “গোবিন্দ আলা রে” গানের সাথে একটি প্রাণবন্ত আনন্দময় পরিবেশ তৈরি করে থাকে। ভক্তরাও দারুণ উপভোগ করে থাকেন। জন্মাষ্টমীর ধর্মীয় উৎসব এখন একটি সামাজিক মাত্রাও অর্জন করেছে। আয়োজকদের দেওয়া পুরস্কারের অর্থ প্রায়ই জনকল্যাণ প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী এবং দহি হান্ডি প্রথা শুধু ধর্মীয় উৎসব (Dahi Hand) নয়, তার থেকেও চেয়েও বেশি পরিমাণে সামজিক উৎসবে পরিণত হয়েছে। মানুষের জীবন, আনন্দ এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞানের প্রবহমান ধারাকে নিশ্চিত করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: কলকাতায় এল বিশেষ সিবিআই দল, সন্দীপ ঘোষ সহ ৬ জনের পলিগ্রাফ টেস্ট শুরু

    RG Kar Incident: কলকাতায় এল বিশেষ সিবিআই দল, সন্দীপ ঘোষ সহ ৬ জনের পলিগ্রাফ টেস্ট শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Incident) ওই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)-সহ ৭ জনের পলিগ্রাফ টেস্ট করার অনুমতি দিয়েছিল শিয়ালদার অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। সেই মতো আজ, শনিবার কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে পলিগ্রাফ টেস্ট প্রক্রিয়া শুরু হল সন্দীপ ও বাকিদের। এজন্য দিল্লি থেকে সিবিআইয়ের একটি দল এসেছে কলকাতায়।

    পলিগ্রাফ টেস্ট (RG Kar Incident)

    এদিনই প্রত্যেকের পলিগ্রাফ টেস্ট করানো হবে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। এদিন রাতে আরজি করে ট্রেনি চিকিৎসক খুনে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের পলিগ্রাফও টেস্ট করতে পারেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। এদিন সকালেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান সন্দীপ। তার আগেই তিনি টেস্টে সম্মতি দিয়েছিলেন। তাঁর সম্মতি মেলার পরেই আয়োজন করা হয় পলিগ্রাফ টেস্টের। সিবিআইয়ের আধিকারিকদের পাশাপাশি এদিন সিজিওতে এসেছেন (RG Kar Incident) কলকাতা পুলিশের চার আধিকারিকও।

    সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট জরুরি

    সন্দীপ ছাড়াও আরজি করের চার ডাক্তারি পড়ুয়া এবং মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের ঘনিষ্ঠেরও পলিগ্রাফ টেস্ট করানো হবে। জানা গিয়েছে, এক সঙ্গে সকলের টেস্ট করানো হবে না। পরীক্ষা করানো হবে এক এক করে ছ’জনের। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছে জেল হেফাজতে। সিবিআই সূত্রে খবর, তারও পলিগ্রাফ টেস্ট করানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তবে তার টেস্ট জেলের ভেতরে হবে নাকি বাইরে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সঞ্জয়কে ভোর চারটে নাগাদ সেমিনার হলে ঢুকতে দেখা গিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। তাকে বের হতে দেখা গিয়েছে ৪টে ৪০ মিনিট নাগাদ। এই সময়ই ওই চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। তাই সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করা জরুরি।   

    আরও পড়ুন: “ইউক্রেন-রাশিয়ায় শান্তির সূর্যোদয় দেখতে চাই”, জেলেনস্কিকে বললেন মোদি

    অভিযুক্ত মিথ্যে বলছে কিনা, তা যাচাই করার পরীক্ষাই হল পলিগ্রাফ টেস্ট। জিজ্ঞাসাবাদের সময় বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়ার ওপর ভিত্তি করে এই পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার আগে সম্মতি নিতে হয় তাঁর, যাঁর পলিগ্রাফ টেস্ট করানো হবে। পলিগ্রাফ টেস্টের সময় চার থেকে ছ’টি সেন্সর ব্যবহার করা হয়। এই পরীক্ষার সময় একটি মেশিন ব্যবহার করা হয়। সেখানে এই সেন্সর থেকে একাধিক তরঙ্গ সংকেত গ্রাফ নকশা করা কাগজের একটি স্ট্রিপে রেকর্ড করা (Sandip Ghosh) হয়। সেই গ্রাফ খুঁটিয়ে দেখেই বোঝা যায়, যাঁর টেস্ট নেওয়া হচ্ছে, তিনি সত্যি বলছেন, নাকি মিথ্যে (RG Kar Incident)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • VHP: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জন্মাষ্টমীতে রাস্তায় নামছে ছোট ছোট ‘কৃষ্ণ’, উদ্যোগ ভিএইচপি-র

    VHP: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জন্মাষ্টমীতে রাস্তায় নামছে ছোট ছোট ‘কৃষ্ণ’, উদ্যোগ ভিএইচপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Issue) অভিনব প্রতিবাদ দেখা যাবে জন্মাষ্টমীতে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) উদ্যোগে রাস্তায় নামতে চলছে ছোট ছোট ‘কৃষ্ণ’। এই কচিকাঁচারাই সরব হবে বিচারের দাবিতে। প্রসঙ্গত, সোমবার (২৭ অগাস্ট) জন্মাষ্টমী তিথি রয়েছে, ঘটনাক্রমে সে দিনই আবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। সেই উপলক্ষেই সঙ্ঘ পরিবারের এই সংগঠন দেশজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। বাংলায় ক্ষেত্রে নেওয়া হয়েছে এই অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি। জন্মাষ্টমী তিথিতে তাই রাজ্যজুড়ে ‘বিচার চাই’ দাবিতে ছোট ছোট ‘কৃষ্ণ’দের মিছিল দেখা যাবে। তবে কৃষ্ণ সাজানোতেও বার্তা দিতে চায় পরিষদ। ব্রজের কৃষ্ণ নন, ‘বীর’ এবং ‘নারীর সম্ভ্রম রক্ষাকারী’ কৃষ্ণদের দেখা যাবে রাস্তায়। এ কৃষ্ণ কুরুক্ষেত্রের কৃষ্ণ। যাঁর একহাতে ছিল সুদর্শন চক্র এবং অন্য হাতে পাঞ্চজন্য শঙ্খ।

    কী বলছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)?

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ সিং সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গোটা দেশে নানা কর্মসূচি রয়েছে। তারই অঙ্গ হবে শ্রীকৃষ্ণের আহ্বান। ধর্মরক্ষার জন্য এখন তাঁকেই দরকার। সাধারণ মানুষের আন্দোলনে তাঁর শক্তিই প্রয়োজন। কারণ, মহাভারতে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের চেষ্টা করা হলে তিনিই সহায় হয়েছিলেন। এখন নারীর সম্ভ্রমরক্ষার জন্য চাই জনতারূপী শ্রীকৃষ্ণকেই।’’

    সারদা মায়ের বাংলা এক মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে নারী নির্যাতনের নরক হয়ে উঠেছে

    ভিএইচপি নেতা (VHP) আরও বলেন, ‘‘বাঙালি শক্তির তুলনায় ভক্তিতে বেশি আশ্বাস রাখে। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি, তাতে রাধাকান্ত কৃষ্ণ নন, প্রয়োজন কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুনকে পথ দেখানো কৃষ্ণের। তাঁর সাধনা করতে হবে। এটাই আমরা বলতে চাই।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘নীতিশিক্ষার জন্য ধর্মস্থাপন প্রয়োজন। আমরা জানি, ধর্ম সংস্থাপনের জন্য যুগে যুগে অবতার রূপে ভগবান আসেন। সেই ‘সম্ভবামি যুগে যুগে’ মন্ত্র নিয়েই আমরা ধর্ম স্থাপনার আন্দোলন চাই। যা হলে নারীর উপরে নির্যাতন, নারীর অসম্মান বন্ধ হবে।’’ বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে শচীন্দ্রনাথ সিং বলেন, ‘‘গোটা দেশেই আমরা বাংলার (RG Kar Issue) কথা বলব। কী ভাবে সারদা মায়ের বাংলা এক মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে নারী নির্যাতনের নরক হয়ে উঠেছে, তা আমরা গোটা দেশকে জানাতে চাই।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: হাইকোর্টের নির্দেশ, আরজি কর দুর্নীতিকাণ্ডের সব নথি সিবিআইকে হস্তান্তর করল সিট

    RG Kar Case: হাইকোর্টের নির্দেশ, আরজি কর দুর্নীতিকাণ্ডের সব নথি সিবিআইকে হস্তান্তর করল সিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারেই আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Case) আর্থিক দুর্নীতি মামলার সমস্ত নথিপত্র সিবিআইয়ের (CBI) হাতে তুলে দিল রাজ্যের গঠিত সিট। উল্লেখ্য, হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছিল, শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে এই নথি হস্তান্তর করতে হবে। সময় পেরনোর আগেই নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের অফিসে গিয়ে সব কিছু তুলে দেয় রাজ্য সরকারের গঠিত সিট।

    রাজ্যের উপর আস্থা নেই হাইকোর্টের (RG Kar Case)!

    প্রায় তিন বছরের বেশি সময় ধরে আর্থিক দুর্নীতির মামলা চলছিল আরজি করে (RG Kar Case)। তা নিয়ে গত সোমবার রাজ্য সরকার একটি সিট গঠন করেছিল। এই সিটের নেতৃত্বে ছিলেন আইপিএস প্রণব কুমার। এক সপ্তাহও যেতে পারল না, ঠিক তার মধ্যেই মামলা চলে গেল সিবিআইয়ের (CBI) হাতে। হাইকোর্টের নির্দেশে, মহিলা চিকিৎসক খুনের তদন্তও এখন করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাজ্য পুলিশের সিটের উপর আর কোনও আস্থা যে নেই তা আরও একবার প্রমাণিত হল। যদিও আর্থিক দুর্নীতি তদন্ত মামলায় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। কিন্তু এই আবেদন গ্রহণ করা হয়নি।

    আরও পড়ুনঃ আরজি কর ইস্যুতে রাজ্যজুড়ে বিজেপির থানা ঘেরাও, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, উত্তেজনা

    দুর্নীতিগ্রস্ত সন্দীপ ঘোষ

    শুক্রবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ একক বেঞ্চে বলেন, “একাধিক সংস্থা তদন্ত করলে বিষয়টি আরও জটিল ও সময়সাপেক্ষ হতে পারে। তাই আর্থিক দুর্নীতি মামলায় তদন্তভার সিবিআইকেই দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।” ইতিমধ্যে আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে ২০২১ সাল থেকে একাধিক আর্থিক দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। মৃতদেহ লোপাট থেকে টেন্ডার বিতরণ, ভর্তিতে দুর্নীতি সহ একাধিক বিষয়ে আর্থিক লেনদেনে নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। সব দুর্নীতির মাথায় যে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষই রয়েছেন, সেই দাবিও করেছে গেরুয়া শিবির।

    আরও অভিযোগ ছিল যে, সন্দীপ ঘোষ অসামজিক কাজে প্রত্যক্ষ মদত দিতেন এবং হাসপাতালকে দুর্নীতির আঁতুড়ঘরে পরিণত করেছিলেন। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এই হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি আরও বলেন, “প্রথম দিন থেকেই ওঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এক সময় ছাত্ররা ওঁর বিরুদ্ধে অনশন আন্দোলন করেছিল। টাকা নিয়ে ছাত্রদের পাশ করানোর কাজে যুক্ত ছিলেন তিনি। তবে আবার টাকা না দিলে মিথ্যা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার কুচক্রান্ত করতেন। জেলবন্দি করা উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Karnataka High Court: হিন্দু মহিলাকে ধর্ষণ ও ধর্মান্তকরণ, মুসলিম যুবকের জামিন খারিজ হাইকোর্টে

    Karnataka High Court: হিন্দু মহিলাকে ধর্ষণ ও ধর্মান্তকরণ, মুসলিম যুবকের জামিন খারিজ হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমে এক ২৮ বছর বয়সি দলিত মহিলাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ, আর তারপর তাঁকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা— এই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় কর্নাটকের বেলগাভির ৩৩ বছর বয়সি মুসলিম যুবক রফিককে। এই মামলাতে অভিযুক্তের জামিন খারিজ করল কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnataka High Court)। এই মামলায় বিচারপতি বলেন, ‘‘ধর্ষিতা মহিলার (Hindu Dalit Woman) যা মানসিক অবস্থা, তাতে অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া একেবারেই অনুচিত।’’ জানা গিয়েছে, তেত্রিশ বছর বয়সি রফিকের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারা, ‘কর্নাটক প্রোটেকশন অফ রাইট টু রিলিজিয়ন’, ‘তফশিলি জাতি-তফশিলি উপজাতি’ আইনের বিভিন্ন ধারা লাগু করা হয়েছে।

    ওই ধর্ষিতা মহিলা বর্তমানে দুই সন্তানের মা (Karnataka High Court) 

    প্রসঙ্গত, গত মে মাসেই নিম্ন আদালতে রফিকের জামিন খারিজ হয়। এরপরেই অভিযুক্ত উচ্চ আদালতে আবেদন করে। জানা গিয়েছে, রফিক পেশায় কৃষক। এদিন কর্নাটক হাইকোর্ট  (Karnataka High Court) আরও জানিয়েছে যে, জামিনের আবেদন বিবেচনা করার সময়, অপরাধের ধরন-প্রকৃতি, সেই অপরাধের সমাজে কী প্রভাব পড়ছে – এই বিষয়গুলি বিবেচনা করা দরকার। জানা গিয়েছে, ওই ধর্ষিতা মহিলা বর্তমানে দুই সন্তানের মা। ২০১৩ সালেই তাঁর বিয়ে হয়েছিল। নির্যাতিতার একটি দোকান ছিল এবং সেখানেই রফিক প্রথমে ঘনঘন যাতায়াত করত। এরপরেই গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। পরে নির্যাতিতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে ফেলে রফিক। এরপরেই নির্যাতিতাকে ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর ওপরে যৌন নির্যাতন চালায় রফিক। হিন্দু দলিত মহিলাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। নির্যাতিতার স্বামী এই ঘটনা জানতে পেরে জানতে পেরে তাঁকে বাপের বাড়িতে ফেরত পাঠান।

    ভাড়া বাড়ি থেকে কোনওরকমে পালিয়ে যান ওই হিন্দু মহিলা

    এরপরেই রফিক হুমকি দিতে থাকে যে, যদি ওই মহিলা তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক না করেন, তাহলে সে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে ছবি ও ভিডিও সমস্ত কিছুই সে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দেবে। জানা যায়, তারপরে বেলগাভির একটি ভাড়া বাড়িতে ওই মহিলাকে (Hindu Dalit Woman) বন্দি করে তাঁকে জোর করে ধর্মান্তরিত করে রফিক। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বাধ্য করা হয়। তাঁকে নামাজ পড়ানো হয় এবং ইসলামিক রীতিনীতি  (Karnataka High Court) মেনে চলতে চাপ দেওয়া হয়। ওই ভাড়া বাড়িতেই তাঁকে নিয়মিত ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপরেই ওই মহিলা ভাড়া বাড়ি থেকে কোনওরকমে পালিয়ে যান। পরবর্তীকালে রফিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Muslims Attack Hindus: “বাংলাদেশ বানিয়ে দেব”! হিন্দুদের হুমকি মুসলমানদের, দ্রুত পদক্ষেপ যোগীর পুলিশের

    Muslims Attack Hindus: “বাংলাদেশ বানিয়ে দেব”! হিন্দুদের হুমকি মুসলমানদের, দ্রুত পদক্ষেপ যোগীর পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ির মেয়েকে অশ্লীল টেক্সট পাঠানোর প্রতিবাদ করায় উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) এক হিন্দু তরুণীর বাড়িতে গিয়ে শ’চারেক মুসলমান (Muslims Attack Hindus) হুমকি দিচ্ছে, “বাংলাদেশ বানিয়ে দেব (বাংলাদেশ বানা দেঙ্গে)”। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই হুমকিই প্রমাণ করে ভারতে মুসলমানদের বাড়বাড়ন্ত।

    হিন্দু তরুণীকে অশ্লীল মেসেজ 

    ফেরা যাক খবরে। উত্তরপ্রদেশের বিজনোরে এক হিন্দু তরুণীকে ইনস্টাগ্রামে অশ্লীল বার্তা পাঠাচ্ছিল মুজাম্মেল নামে এক মুসলমান যুবক। প্রতিবাদ করেন ওই তরুণীর পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, তার পরেই শ’চারেক মুসলমান হামলা চালায় ওই হিন্দু তরুণীর বাড়িতে (Muslims Attack Hindus)। তাঁদের হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। এই সময়ই হেনস্থাকারীরা তরুণীর পরিবারকে হুমকি দেয়, বাংলাদেশ বানিয়ে দেওয়ার। প্রসঙ্গত, সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অশান্তি শুরু হয় বাংলাদেশে। সেই আবহে হিন্দুদের ওপর নিদারুণ অত্যাচার করা হয়। জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বহু হিন্দু মহিলাকে। অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ।

    বাড়ি বিক্রির হিড়িক

    বিজনোরের এই ঘটনার পরে ওই মহল্লায় বাড়ি বিক্রির হিড়িক পড়ে গিয়েছে। প্রতিবাদস্বরূপ, হিন্দুরা জানিয়ে দেয়, তাঁরা ওই মহল্লা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। বহু বাড়িতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘হাউস ফর সেল’ লেখা বোর্ড। তবে, দ্রুত পদক্ষেপ করে যোগীর পুলিশ (Muslims Attack Hindus)। উত্তেজনা যাতে না ছড়ায়, তাই এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হিন্দুদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে মুজাম্মেলকে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজনোরের চাঁদপুরের সারাই রফি মহল্লার মহম্মদ মুজাম্মেল এলাকারই এক হিন্দু তরুণীকে অশ্লীল মেসেজ পাঠায়। ঘটনাটি ওই তরুণী তার পরিবারের সদস্যদের জানান। এর পর ওই তরুণীর এক আত্মীয় মুজাম্মেলকে ভয়েস মেসেজ পাঠায়। ওই তরুণের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে মুসলমনরা। শুধু তা-ই নয়, এর পর তিন থেকে চারশো মুসলমান হামলা চালায় ওই তরুণীর বাড়িতে। হুমকি দেওয়া হয় বাংলাদেশ বানানোর।

    আরও পড়ুন: “ইউক্রেন-রাশিয়ায় শান্তির সূর্যোদয় দেখতে চাই”, জেলেনস্কিকে বললেন মোদি

    এ কোন সকাল!

    এই সময় প্রতিবাদ করেন স্থানীয় কয়েকজন হিন্দু। অভিযোগ, তাঁদের ওপরও হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। জখম হন কয়েকজন। এক মহিলাকেও বেধড়ক মারধর করে মুসলমানরা। ভয়ে বাড়ি-ঘরদোর বিক্রি করে মহল্লা ছেড়ে অন্য চলে যেতে চাইছেন সেখানকার হিন্দুরা (Muslims Attack Hindus)।

    উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনা ভয়াবহ বলেই ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত। তবে বাংলায় মাস কয়েক আগেই এমন হুমকি দিতে শোনা গিয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তৃণমূলের হুমায়ুন কবীরকে। তিনি বলেছিলেন, “আমি যদি দু’ঘণ্টার মধ্যে ভাগীরথীতে তোমাদের (হিন্দুদের!) ডুবিয়ে না দিই, রাজনীতি ছেড়ে দেব। শক্তিপুরে আপনাদের লোককে থাকতে দেব না। মনে রাখবেন, এখানে আপনারা ৩০ শতাংশ, আমরা ৭০ শতাংশ।”

    এ কোন সকাল!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • RG Kar Rape-Murder: সুপ্রিম-শুনানিতে আরজি করকাণ্ডে উঠে এল এক মহিলার নাম! কে তিনি?

    RG Kar Rape-Murder: সুপ্রিম-শুনানিতে আরজি করকাণ্ডে উঠে এল এক মহিলার নাম! কে তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Rape-Murder) একাধিক প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর আসল কারণ ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) থেকে হাইকোর্টে একাধিক প্রশ্নে রাজ্য সরকার কাঠগড়ায়। হাসপাতালের অধ্যক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকাও বিচারকেদের ক্ষোভের মুখে পড়েছে। ঠিক এর মধ্যেই শীর্ষ আদালতের শুনানিতেই উঠে এসেছে এক মহিলার নাম। কে এই মহিলা?

    বিচারপতির ঠিক প্রশ্ন কী ছিল (RG Kar Rape-Murder)?

    সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শুনানি চলাকালীন আইনজীবী কপিল সিব্বলকে বিচারপতি পার্দিওয়ালা প্রশ্ন করেন, “কে এই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার (RG Kar Rape-Murder)? তিনি মহিলা না পুরুষ?” জবাবে আইনজীবী বলেন, “তিনি একজন মহিলা।” আবার বিচারপতি বলেন, “তাঁর আচরণ অত্যন্ত সন্দেহজনক। তিনি কেন এরকম আচরণ করলেন? সন্দেহ শুধু একটা বিষয়ে নয়, ময়নাতদন্ত হওয়ার পর কেন ইউডি কেস বা অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করা হল? অস্বাভাবিক মৃত্যু না হলে ময়নাতদন্ত করলেন কেন?” উল্লেখ্য যাঁর সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্ট একথা বলেছে, তাঁর পক্ষে থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। কোন আচরণ ছিল তাও স্পষ্ট হয়নি। যদিও সিবিআইয়ের স্টেটাস রিপোর্ট দেখে বিচারপতি ওই প্রশ্ন করেছিলেন।

    আত্মহত্যার তত্ত্ব দেওয়া হয়েছিল

    মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যু (RG Kar Rape-Murder) নিয়ে প্রথমে যে আত্মহত্যার তত্ত্ব দিয়েছিলেন তিনি আর কেউ নন এই আরজি করের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার। ৯ অগাস্ট তিনি নির্যাতিতার বাড়িতে প্রথমে ফোন করে বলেছিলেন যে, তাঁদের মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। এই সংবাদ শুনে মৃতার মা-বাবা হাসপাতলে ছুটে যান। ফলে প্রশ্ন উঠছে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনাকে কীভাবে বললেন আত্মহত্যা! একই কথা সুপ্রিম কোর্টে শুনানির দিনেও উঠেছিল। তবে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের নাম জানা যায়নি, শুধু পদ জানা গিয়েছেন এবং তিনি একজন মহিলা। মৃতার বাবা জানিয়েছেন, আরজি কর থেকে প্রথম ফোন ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারই করেছিলেন। যদিও হাসপাতালে ৪-৫ জন রয়েছেন এই পদে। ফলে কে ফোন করেছিলেন সেই নাম এখনও সমানে আসেনি।

    আরও পড়ুনঃ প্রতিবেশী পার্থ-বালু, প্রেসিডেন্সি জেলের ‘পহেলা বাইশ’ সেলে ধৃত সঞ্জয়

    এফআইআর দেরিতে কেন?

    রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলের পেশ করা নথি অনুযায়ী জানা গিয়েছে, একটি মুখবন্ধ খামে এমএসভিপি সঞ্জয় বশিষ্ঠ টালা থানাকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বিভাগীয় চিকিৎসক সুমিত রায় তপাদারকে চেস্ট মেডিসিন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পিজিটির দেহ (RG Kar Rape-Murder) উদ্ধারের কথা তিনি জানিয়েছিলেন। প্রশ্ন হল সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ঘটনার কথা জানার পর দুপুর ২টো ৪৫ মিনিটে এফআইআর করার জন্য কেন আবেদন করা হল? এখানেই বড় প্রশ্ন। আবার ময়নাতদন্ত হয় সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট থেকে ৭টা ১০ মিনিটের মধ্যে। রিপোর্ট অফিসিয়ালি আপলোড করা হয় রাত ১০টা ২৫ মিনিটে। আর এফআইআর হয় রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে। ফলে এতো সময় কেন বিলম্ব হল, এটাও একটা বড় প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Janmashtami 2024: এ বারের জন্মাষ্টমী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কত তম জন্মতিথি, জানেন?

    Janmashtami 2024: এ বারের জন্মাষ্টমী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কত তম জন্মতিথি, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ জন্মাষ্টমী (Janmashtami 2024)। চলতি বছরের জন্মাষ্টমী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অনেকটাই বিশেষ। বাংলার ১৪৩১ সাল বা ইংরেজির ২০২৪ সালে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের (Lord Shri Krishna) ৫২৫০তম জন্মাষ্টমী পালন করা হচ্ছে।

    শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব কবে?

    বিভিন্ন হিন্দু শাস্ত্র থেকে জানা যায়, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ১২৫ বছর মর্ত্যলোকে ছিলেন। পুরাণ অনুসারে, মাঘ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ভগবান ইহধাম ত্যাগ করেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, সেই দিনই কলি প্রবেশ করে। জানা যায়, ওই দিন ছিল শুক্রবার। অর্থাৎ হিসেব করে দেখলে খ্রিস্টপূর্ব ৩১০১ সালে কলিযুগ শুরু হয়, বর্তমানে চলছে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। অঙ্কের হিসেবে কলির বয়স দাঁড়াচ্ছে ৩১০১ + ২০২৪= ৫১২৫ বছর। শ্রীকৃষ্ণের (Lord Shri Krishna) অর্ন্তধানের দিন কলি যুগের সূচনা বলে মনে করা হয়। আগেই বলা হয়েছে, শ্রীকৃষ্ণ ১২৫ বছর ধরাধামে ছিলেন। তা হলে শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব  ৫১২৫ + ১২৫= ৫২৫০ বছর পূর্বে হয়েছিল বলে বোঝা যাচ্ছে।

    জন্মাষ্টমী ২০২৪-এর তিথি (Janmashtami 2024)

    পণ্ডিতরা বলছেন, এবছর জন্মাষ্টমীতে অষ্টমী তিথি একদিনেই পড়েছে। অন্যান্যবার তা আলাদা-আলাদা দিনে হত। সেই কারণে চলতি বছরে সন্ন্যাসী ও গৃহস্থরা একই দিনে শ্রীকৃষ্ণের (Lord Shri Krishna) আরাধনা করতে পারবেন। পঞ্জিকা অনুসারে দেখা যাচ্ছে, এই বছর জন্মাষ্টমী পালিত হচ্ছে আজ, ২৬ অগাস্ট সোমবার। অষ্টমী তিথি পড়ে গিয়েছে আজ ভোররাত ৩টে ৪০ মিনিটে। তা থাকবে আজ গভীর রাত ২টো ২০ মিনিট (ইংরেজি মতে, ২৭ অগাস্ট, মঙ্গলবার) পর্যন্ত।

    কৃষ্ণের জন্মের সময় যে শুভ যোগ ছিল, এ বছরও সেই একই যোগ!

    আসলে জন্মাষ্টমী হল ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি, এ তো আমরা সবাই জানি। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে রোহিণী নক্ষত্র যোগে কৃষ্ণ মথুরায় কংসের কারাগারে মাতা দেবকীর অষ্টম সন্তান রূপে জন্মগ্রহণ করেন। কংসের কারাগারে কৃষ্ণের জন্মের সময় যে যোগ ছিল, এই বছর জন্মাষ্টমীতেও একই শুভ যোগ দেখা যাচ্ছে। এই বছরও জন্মাষ্টমী তিথিতে রয়েছে রোহিনী নক্ষত্র। ২৬ অগাস্ট বেলা ৩টে ৫৫ মিনিটে রোহিনী নক্ষত্র শুরু হচ্ছে এবং তা থাকবে ২৭ অগাস্ট ভোর ৩টে ৩৮ মিনিট পর্যন্ত। জ্যোতিষীরা বলছেন, এবছর জন্মাষ্টমীর (Janmashtami 2024) তিথিতে চাঁদ রয়েছে বৃষ রাশিতে। শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সময়ও চাঁদ বৃষ রাশিতেই ছিল বলে জানা যায়।

    জন্মাষ্টমীতে পুজোর শুভ সময়

    পণ্ডিতরা বলছেন, জন্মাষ্টমীতে সারাদিনই কৃষ্ণের আরাধনা আপনি করতে পারেন। তবে আজ গোপালের পুজো করার জন্য বিশেষ শুভ সময় রয়েছে বলে জানাচ্ছেন পণ্ডিতরা। এই নির্দিষ্ট সময়ে পুজো করলে তা কার্যকরী হয় বলে মনে করা হয়। জন্মাষ্টমীতে সকালের পুজো সকাল ৫টা ৫৬ মিনিট থেকে ৭টা ৩৭ মিনিটের মধ্যে করে নেওয়া ভালো। এর পর বিকেলের পুজো করতে পারেন বিকেল ৩টে ৩৬ মিনিট থেকে সন্ধে ৬টা ৪৯ মিনিটের মধ্যে। তবে জন্মাষ্টমীর নিশীথ কালের পুজো রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত করা অত্যন্ত শুভ বলে জানাচ্ছেন পণ্ডিতরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar Incident: প্রতিবেশী পার্থ-বালু, প্রেসিডেন্সি জেলের ‘পহেলা বাইশ’ সেলে ধৃত সঞ্জয়

    RG Kar Incident: প্রতিবেশী পার্থ-বালু, প্রেসিডেন্সি জেলের ‘পহেলা বাইশ’ সেলে ধৃত সঞ্জয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের ঠাঁই হল প্রেসিডেন্সি জেলে। প্রসঙ্গত এই জেলেই রয়েছেন রাজ্যের দুই প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এবার তাঁদেরই প্রতিবেশী হল আরজি করের ধৃত সঞ্জয় রায়। আপাতত তার ঠিকানা হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলের পহেলা বাইশ ওয়ার্ডের ২১ নম্বর সেলে। ওই ওয়ার্ডেরই দু’নম্বর সেলে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ২০২২ সালে গ্রেফতার করা হয়। পহেলা বাইশের পাঁচ নম্বর কুঠুরিতে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবিব নামে খুনে অভিযুক্ত এক বন্দি এতদিন থাকতেন পহেলা বাইশের ২১ নম্বর সেলে। ওই সেলই এবার বরাদ্দ করা হয়েছে সঞ্জয়ের জন্য। সে কারণে ইতিমধ্যেই হাবিবকে সরিয়ে নিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।

    জেলে বিক্ষোভের মুখে পড়তে পারে সঞ্জয় (Sanjay Roy)?

    অন্যদিকে, অভিযুক্ত সঞ্জয়কে জেলে অন্যান্য বন্দিরা ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে পারে, সে আশঙ্কাও থেকেই যাচ্ছে। কারণ দু’বছর আগে গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এই ধরনের বিক্ষোভের মুখেই পড়তে হয়েছিল। তবে এই ধরনের সেলগুলির ওপর বাড়তি নজরদারি রাখে জেল কর্তৃপক্ষ। কুখ্যাত অভিযুক্তদেরই এই সেলে রাখা হয়। সর্বক্ষণ চলে সিসিটিভির নজরদারি। দেখা হয় বন্দিদের গতিবিধি। প্রসঙ্গত শুক্রবারই শিয়ালদা অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে সঞ্জয়কে (RG Kar Incident) তোলা হয়েছিল। সেখানেও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পুলিশ। এর পরে আদালত সঞ্জয়কে ১৪দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠায়।

    শুক্রবার জেলে সঞ্জয়ের দু’বার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় (RG Kar Incident)

    শুক্রবার সঞ্জয়কে কারাগারে নিয়ে আসার আগে জেল হাসপাতালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। জেলের মেডিক্যাল টিম দ্বিতীয় দফায় (RG Kar Incident) ফের একবার পহেলা বাইশ ওয়ার্ডে সঞ্জয়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। অন্যদিকে, অভিযুক্তের পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য আবেদন করেছিল সিবিআই। আদালত সেই আবেদনের সম্মতি দিয়েছে। খুন-ধর্ষণের মামলার পাশাপাশি আরজি করে সন্দীপ ঘোষের আমলে যে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে, তারও তদন্ত এবার সিবিআইকে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ এই নির্দেশ দিয়েছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Union Health Ministry: ঔপনিবেশিকতার চিহ্ন! ডাক্তারদের সমাবর্তনে কালো পোশাক বাতিল কেন্দ্রের

    Union Health Ministry: ঔপনিবেশিকতার চিহ্ন! ডাক্তারদের সমাবর্তনে কালো পোশাক বাতিল কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের সমাবর্তনের পোশাক এবার থেকে বদলে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Union Health Ministry) শুক্রবারই এবিষয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে। ওই চিঠিতে কালো জামা এবং কালো টুপির বদলে সমাবর্তনে কোনও ভারতীয় পোশাক (Central Government) পরতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মোদি সরকারের ‘পঞ্চ প্রাণ’ কর্মসূচিরই অংশ হল এই নয়া নিয়মবিধি, এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে ওই চিঠিতে। 

    ২০২২ সালের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রীর পঞ্চ প্রাণ কর্মসূচির ঘোষণা 

    পঞ্চ প্রাণ কর্মসূচি আসলে কী? ২০২২ সালের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। পঞ্চ প্রাণের অন্যতম (Central Government) বিষয় ছিল, ভারতীয় সংস্কৃতিতে আস্থা এবং ঔপনিবেশিকতার চিহ্ন মুছে দেওয়া। প্রসঙ্গত, সমাবর্তনে কালো টুপি ও পোশাকের ভাবনা আসলে ব্রিটিশদের থেকে নেওয়া। এবিষয়েও উল্লেখ করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে পাঠানো চিঠিতে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ডাক্তারি পড়ুয়াদের সমাবর্তনে যে ধরনের পোশাক পরার রীতি চালু রয়েছে, তা মধ্যযুগীয়। ব্রিটিশ শাসনের সময়কালকেই মনে করিয়ে দেয় ওই পোশাক। সমাবর্তনে এবার থেকে তাই উঠে যাচ্ছে কালো জামা এবং কালো টুপি, পরিবর্তে আসছে ভারতীয়।

    এই ধরনের পোশাকের উৎস হল মধ্যযুগের ইউরোপ জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Union Health Ministry)

    মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলিতে যে চিঠি গিয়েছে, তাতে লেখা হয়েছে, ‘‘স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Ministry) অধীনে থাকা মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের কালো পোশাক এবং কালো টুপি পরতে দেখা যায়। এই ধরনের পোশাকের উৎস হল মধ্যযুগের ইউরোপ। তৎকালীন সময়ে ব্রিটিশরা তাঁদের উপনিবেশগুলিতে এই ধরনের পোশাক চালু করেছিলেন। ফলে এই রীতি আসলে ঔপনিবেশিকতার উত্তরাধিকারকেই বহন করে, যা বদলানো প্রয়োজন। স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Union Health Ministry) তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিভিন্ন মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠানের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের জন্য বিশেষ ভারতীয় পোশাকের নকশা তৈরি করবে। বিভিন্ন রাজ্যে সেই পোশাক বিভিন্ন রকম হতে পারে। স্থানীয় সংস্কৃতি অনুযায়ী পোশাক নির্দিষ্ট করা হবে।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share