Tag: news in bengali

news in bengali

  • RG Kar Rape-Murder: হাসপাতালে ১৪ লক্ষ টাকার সিসিটিভি আদৌ লাগাননি সন্দীপ! ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টে

    RG Kar Rape-Murder: হাসপাতালে ১৪ লক্ষ টাকার সিসিটিভি আদৌ লাগাননি সন্দীপ! ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Rape-Murder) হাসপাতালে সিসিটিভি লাগানোর জন্য ১৪ লক্ষ টাকার অর্ডার দেওয়া হলেও সেই সিসিটিভি লাগানোই হয়নি। ঠিক এমনটাই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) অভিযোগ উঠেছে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যার মামলায় প্রথম থেকেই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। তিনি তৃণমূল নেত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে বেশ প্রভাবশালী ছিলেন। রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি এমনটাই অভিযোগ তুলে তীব্র আক্রমণ করেছে।

    ক্যামেরা থাকলে খোঁজ করা যেত (RG Kar Rape-Murder)

    চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে (Supreme Court) স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হয়েছে। আইনজীবী করুণা নন্দী অভিযোগ করে বলেন, “প্রাক্তন অধ্যক্ষ আরজি কর (RG Kar Rape-Murder) হাসপাতালে ১৪ লক্ষ টাকার সিসিটিভি ক্যামেরা বসাননি। ক্যামেরা থাকলে ঘটনার বিবরণ সম্পর্কে খোঁজখবর করা সম্ভব হত। আমরা পাঁচ চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলকে সামনে এনেছি। তাঁরা সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য দেবেন। একই ভাবে খুন এবং ধর্ষণ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক তথ্য দেবেন তাঁরা। এই সমস্ত ঘটনার পিছনে প্রাতিষ্ঠানিক সমঝোতা রয়েছে। রাজ্য সরকারের গঠিত সিটের তদন্তে নজর দেওয়া উচিত। কারণ এই সিট তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করছে।”

    আরও পড়ুনঃ অন্যায় করলেও সাত খুন মাফ! সিভিকদের বোনাস বৃদ্ধি করে মন জয়ের চেষ্টা

    অবিলম্বে বোর্ড থেকে সন্দীপ ঘোষের নাম মুছে দিতে হবে

    আরজি কর হত্যাকাণ্ডে (RG Kar Rape-Murder) রাজ্যের সঙ্গে সারা দেশ এখন উত্তাল। সমাজের সকল স্তরের প্রতিবাদীদের দাবি, অবিলম্বে দোষীর শাস্তি চাই। এদিকে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ পড়াশুনা করেছিলেন বনগাঁ উচ্চ বিদ্যালয় বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুলে। সেখানে কৃতি ছাত্রদের তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। এবার ওই স্কুলের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা, প্রধান শিক্ষককে চিঠি লিখে বলেন, অবিলম্বে বোর্ড থেকে সন্দীপ ঘোষের নাম মুছে দিতে হবে। এক প্রাক্তনী সৌম্যদীপ সরকার বলেন,“সন্দীপ ঘোষ কোনও না কোনও ভাবে স্কুলের সঙ্গে যুক্ত। আজ তাঁকে রাজ্য পুলিশ ডাকছে, সিবিআই তলব করছে। সেই কারণে আমাদের আর্জি স্কুলের কাছে ওঁর নাম কৃতি ছাত্রদের বোর্ডে যেন না থাকে। বনগাঁ হাইস্কুলের গৌরব নষ্ট করেছেন তিনি।” অপর দিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক কুণাল দে বলেছেন, “প্রাক্তন ছাত্ররা একটা আবেদন জমা দিয়েছে। সন্দীপ ঘোষ যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তখন স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক, প্রাক্তন ছাত্র ও স্কুল পরিচালন সমিতির সঙ্গে বৈঠক করার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরান পাঠে না, বাংলাদেশে পদত্যাগে বাধ্য করা হল ডিনকে

    Bangladesh Crisis: বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরান পাঠে না, বাংলাদেশে পদত্যাগে বাধ্য করা হল ডিনকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন কেবল হিন্দুদের জোর করে পদত্যাগ করানো হচ্ছিল। এবার পদত্যাগ করতে বাধ্য করানো হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের (Dhaka University) ডিনকে (Bangladesh Crisis)। তাঁর ‘অপরাধ’, পড়ুয়াদের বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রকাশ্যে কোরান পাঠ করতে বারণ করেছিলেন তিনি। অভিযোগ, তার জেরে বাংলাদেশের নয়া অন্তর্বর্তী সরকার পদত্যাগে বাধ্য করেন তাঁকে।

    ডিনের পদত্যাগ (Bangladesh Crisis)

    জানা গিয়েছে, ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কোরান পাঠে না করার পরেই তাঁকে ঘিরে ধরেন পড়ুয়ারা। এর পরেই অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশে পদত্যাগ করেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন সে দেশের সমাজকর্মী সাহিব আহমেদ তুহিন। পোস্টে লেখা হয়েছে, “ইনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের ডিন। ইনি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রকাশ্যে কোরান পাঠে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। আজ পড়ুয়ারা তাঁর অফিসেই কোরান পাঠ করল। তাঁর গাইডেন্স প্রার্থনা করল এবং তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করল। পোয়েটিক জাস্টিস!”

    তসলিমার পোস্ট

    বাংলাদেশের নামী পত্রিকা ঢাকা ট্রিবিউনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘ফ্যাকাল্টি অফ আর্টসের ডিন অধ্যাপক আবদুল বসির পদত্যাগ করেছেন। ইস্তফাপত্রে তিনি লিখেছেন, ফ্যাকাল্টি অফ আর্টসের ডিন পদে আমি ইস্তফা দিচ্ছি। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিন।’ দিন দুই আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিনের পদত্যাগ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন বিশ্বশ্রুত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। ডিনের পদত্যাগের কারণ হিসেবে লেখা হয়েছে, ডিন নিসার হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় কোরান পাঠে বাধা দিয়েছেন। তাই তাঁকে পদত্যাগে বাধ্যা করিয়েছেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা।

    আরও পড়ুন: ধর্মান্তরণে জড়িত থাকলেই ব্যবস্থা, রায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    তসলিমার ভিডিওর নীচে বন্যা বয়ে গিয়েছে কমেন্টের। একজন লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ধীরে ধীরে মৌলবাদীদের গ্রাসে চলে যাচ্ছে।’ একজন আবার লিখেছেন, ‘দখলের শেষ পর্যায় আসতে খুব বেশি দেরি নেই।’

    ইতিহাসবিদ এস ইরফান হাবিব পাশে দাঁড়িয়েছেন দুই ডিনের। তাঁর প্রশ্ন, “কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মীয় গ্রন্থ পড়ানো হবে?” তিনি বলেন, “কেন কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মীয় গ্রন্থ পড়ানো হবে? বাড়িতে ধর্মগ্রন্থ পাঠ করুন এবং তারপর আসুন। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কাজটা করতে এসেছেন (Dhaka University), সেটা মন দিয়ে করুন। ভাবুন এবং স্টাডি করুন (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: মুসলিম বিবাহ ও বিবাহ-বিচ্ছেদে আসছে রেজিস্ট্রেশন, বড় ঘোষণা অসম সরকারের

    Himanta Biswa Sarma: মুসলিম বিবাহ ও বিবাহ-বিচ্ছেদে আসছে রেজিস্ট্রেশন, বড় ঘোষণা অসম সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে আরও একটি বড় পদক্ষেপ করার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। এবার মুসলিম বিবাহ ও বিবাহ বিচ্ছেদে (Muslim Marriages and Divorces) রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা আনতে চলেছে অসম সরকার। বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শীঘ্রই রাজ্য সরকারের তরফে নতুন একটি বিল আনা হবে। পরবর্তী অধিবেশনে এই বিল আনা হবে। সেখানে মুসলিমদের জন্য রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হবে।”

    ঠিক কী বলেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)?

    অসমে এই বিলের নামকরণ করা হবে অসম কমপালসরি রেজিস্ট্রেশন অব ম্যারেজ অ্যান্ড ডিভোর্স। বিলের খসড়া মোটামুটি ভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “রাজ্যের বাল্যবিবাহের হার কামাতেই এই বিল আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিবাহ-বিচ্ছেদের (Muslim Marriages and Divorces) রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক হলে, ১৮ বছরের কমবয়সি মেয়েদের বিয়ে বন্ধ করা আরও সহজ হবে। বিলে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে প্রাপ্তবয়স্ক না হলে, বিয়ের জন্য রেজিস্ট্রেশন করা যাবে না। তবে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন বিলের পাশাপাশি আরেকটি নতুন বিল আনা হবে, যেখানে লাভ জিহাদ-কে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। অপরাধ প্রমাণ হলে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হবে। একই ভাবে ভিন্ন ধর্মে জমি হস্তান্তর আটকাতে বিশেষ ভাবনাচিন্তা করছে সরকার।”

    আরও পড়ুনঃ ধর্মান্তরণে জড়িত থাকলেই ব্যবস্থা, রায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    বাল্য বিবাহের রেজিস্ট্রেশন বাতিল

    বুধবার অসম ক্যাবিনেটের পক্ষ থেকে মুসলিম রেজিস্ট্রেশন বিল ২০২৪ অনুমোদন করা হয়েছে। এই বিলে বলা হয় মুসলমানদের বিয়ের রেজিস্ট্রেশনে কাজিদের হাত থাকবে না। রাজ্য সরকার এবার থেকে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করবে। এই বিল আইনে পরিণত হলে বাল্য বিবাহের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে। উল্লেখ্য ২০২৪ সালের লোকসভার ভোটের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma) বলেছিলেন, খুব দ্রুত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করা হবে। রাজ্য সরকার, অসম রিপিলিং বিল ২০২৪-এর মাধ্যমে অসম মুসলিম বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ (Muslim Marriages and Divorces) নিবন্ধন আইন এবং বিধি ১৯৩৫ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রস্তাবিত নতুন আইনের সঙ্গে এই বাতিলের ঘোষণা রাজ্য বিধানসভার পরবর্তী অধিবেশনে পেশ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্টও বাতিল করে দিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার

    Sheikh Hasina: শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্টও বাতিল করে দিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সমেত তাঁর মন্ত্রিসভার সব সদস্য ও প্রাক্তন সাংসদদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করল অন্তর্বর্তী সরকার। নয়াদিল্লি-ঢাকার সন্ধি অনুযায়ী হাসিনা এবং দেশত্যাগী অন্য আওয়ামি লিগ নেতাদের ভারতে থাকা নিয়ে কি এবার তবে অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে? এমন প্রশ্নও উঠছে ইউনূস সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে।

    কূটনৈতিক বা সরকারি পাসপোর্ট থাকলে বাংলাদেশের কোনও নাগরিক অন্তত ৪৫ দিন কোনও ভিসা ছাড়াই ভারতে থাকতে পারেন 

    প্রসঙ্গত, অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে (Bangladesh) গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বোন রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে বিমানে ভারতের উদ্দেশে রওনা হন হাসিনা। উত্তরপ্রদেশের হিন্দন বায়ুসেনার ঘাঁটিতে অবতরণ করে তাঁর বিমান। সেই থেকেই তিনি ভারতে রয়েছেন। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হাসিনার (Sheikh Hasina) কাছে কূটনৈতিক পাসপোর্ট ছিল। প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ চুক্তি অনুযায়ী কূটনৈতিক বা সরকারি পাসপোর্ট থাকলে বাংলাদেশের কোনও নাগরিক অন্তত ৪৫ দিন কোনও ভিসা ছাড়াই ভারতে থাকতে পারেন। কিন্তু বর্তমানে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করল। এরফলে পরিস্থিতি কী হয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

    হাসিনার (Sheikh Hasina) বোন রেহানা হলেন ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী

    তবে হাসিনার (Sheikh Hasina) বোন রেহানা হলেন ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী। এর ফলে ভারতের মাটিতে পা রাখার পর ব্রিটিশ নাগরিকদের যে ভিসা দেওয়া হয়, সেই নিয়মই লাগু হবে রেহানার ক্ষেত্রে। আপাতত তাই যত দিন খুশি, ভারতে থাকতে পারেন রেহানা। প্রসঙ্গত, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে বিচারের জন্য বাংলাদেশে (Bangladesh) ফেরত পাঠাতে ইতিমধ্যেই ভারতকে হুমকি দিয়েছে খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। নয়া দিল্লি অবশ্য গুরুত্বই দেয়নি এই ঘটনাকে। এবার তবে কি অন্যভাবে হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে এমন সিদ্ধান্ত নিল অর্ন্তবর্তী সরকার? এমন প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। দেশের স্বরাষ্ট্র ও আইন—এই দুই মন্ত্রীর সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, তাঁকে এখন দেশে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anti Conversion Law: ধর্মান্তরণে জড়িত থাকলেই ব্যবস্থা, রায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    Anti Conversion Law: ধর্মান্তরণে জড়িত থাকলেই ব্যবস্থা, রায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণের (Anti Conversion Law) ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad HC)। রায়ে বলা হয়েছে, জোরপূর্বক ধর্মান্তরণের ক্ষেত্রে যে-ই জড়িত থাকুক না কেন, তাঁর খাতাব কিংবা ধর্মীয় পরিচয় যাই হোক না কেন, ‘উত্তরপ্রদেশ প্রোহিবিশন অফ আনলফুল কনভার্সান অফ রিলিজিয়াস অ্যাক্ট, ২০২১’ অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণে ব্যবস্থা (Anti Conversion Law)

    আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে, জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণের ক্ষেত্রে যদি কোনও ফাদার, মওলানা, কর্মকান্দি বা অন্য কোনও খেতাবধারী জড়িত থাকেন, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মওলানা মহম্মদ শানে আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এক যুবতীকে জোরপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত করেছিলেন এবং একজন মুসলিম পুরুষের সঙ্গে তাঁর বিবাহ দিয়েছিলেন। পরে গ্রেফতার করা হয় আলমকে। জামিনের আবেদন করেন মওলানা। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই নির্দেশ। একই সঙ্গে বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়ালের বেঞ্চ তাঁর জামিনের আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে (Anti Conversion Law)।

    ধর্ম পরিবর্তনের স্বাধীনতা

    এর আগে অন্য একটি মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছিল, ধর্ম পরিবর্তন করার স্বাধীনতা সবারই রয়েছে। কিন্তু সেই ধর্ম পরিবর্তন হতে হবে সমাজের আপত্তি ছাড়া এবং আইনিভাবে।কীভাবে ধাপে ধাপে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে, শুনানিতে তারও একটি রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছিলেন বিচারপতি প্রশান্ত কুমার। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ধর্ম পরিবর্তনে সমাজে যাতে আপত্তি না ওঠে, সেটা দেখাও কর্তব্য। এজন্য হলফনামা দাখিলের পরে ধর্ম পরিবর্তনের ইচ্ছের কথা এলাকায় বহুল প্রচারিত কোনও সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে হবে। এতে কোনও জায়গা থেকে আপত্তি না উঠলে তার পরে বিষয়টি গেটেজ নোটিফিকেশন করে চূড়ান্ত করা যেতে পারে।

    আরও পড়ুন: অন্যায় করলেও সাত খুন মাফ! সিভিকদের বোনাস বৃদ্ধি করে মন জয়ের চেষ্টা

    আলমের কাজ ধর্মান্তর বিরোধী আইন লঙ্ঘন করেছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Anti Conversion Law)। যাঁকে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে বলে আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁকে ভুল বোঝানো, ধর্ম পরিবর্তনে জোর করা, প্রতারণা করা, আনডিউ ইনফ্লুয়েন্স, জবরদস্তি কিংবা প্রলোভন দেখানো হয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই আইনের ২ (১) নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, রিলিজিয়ান কনভার্টার হবেন তিনিই, যিনিই এই ধরনের নিষিদ্ধ উপায়ে ধর্ম পরিবর্তন করাবেন। আদালত (Allahabad HC) দেখেছে, আইনের এই সংজ্ঞায় অনায়াসেই সংজ্ঞায়িত করা যায় আলমকে। এই আইনের বলেই তাঁকে দায়ী করা যায় (Anti Conversion Law)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর

    BJP: দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডার (JP Nadda) সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ করলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। ‘বিজেপিকে জানুন’ নামে একটি কর্মসূচিতে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন ওই দেশের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। তিনি সম্প্রতি তিন দিনের সফরে এসেছেন ভারতে। নাড্ডা দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে অত্যন্ত আশা প্রকাশ করেছেন।

    ঠিক কী বললেন নাড্ডা (BJP)?

    বিজেপির (BJP) বিদেশ পর্যবেক্ষক বিজয় চৌথাইওয়ালে জানিয়েছেন, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এই বৈঠকে ওই দেশের শাসকদল ও বিজেপির মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে ‘বিজেপিকে জানুন’-এর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে নাড্ডা (JP Nadda) নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে বলেন, “এই বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের শাসক দলের মধ্যে সম্পর্ককে শক্তিশালী করার ভাবনার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হাই দাতো সেরি আনোয়ার বিন ইব্রাহিমের সঙ্গে দেখা করে বেশ সম্মানিত হয়েছি। আমাদের দুই পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক দল সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি বিনিময় করতে পেরেছি। দুই দেশ এবং দুই শাসক দলের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়াকে আরও গভীর ভাবে অধ্যায়ন করা সম্ভবপর হয়েছে। ভারত-মালয়েশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য, কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে।”

    আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে ইউনূস জমানায় মুক্ত করে দেওয়া হল জঙ্গি নেতা রাহামানিকে

    শিক্ষা, কর্মসংস্থান, আয়ুর্বেদ নিয়ে আলোচনা

    বিজেপি (BJP) সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে একাধিক বিষয় নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। গত এক দশকে মালয়েশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের বেশ উন্নতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে একাধিক ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্ভাবনার বিষয়ে পর্যালোচনা হয়েছে। দুই দেশের শিক্ষা, কর্মসংস্থান, আয়ুর্বেদ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। দুই নেতার মধ্যে মতবিনিময়ে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং পিপলস জাস্টিস পার্টির মধ্যে সহজতর সম্পর্ক নির্মাণে আলোচনা হয়েছে। দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে অংশীদারিত্ব এবং পরস্পরের বোঝাপড়া গড়ার বিষয়ে ফলপ্রসূ মতবিনিময় হয়েছে। উল্লেখ্য মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির কার্যকালের প্রথম সফরসূচি বলে জানা গিয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ইউনূস জমানায় মুক্ত করে দেওয়া হল জঙ্গি নেতা রাহামানিকে

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ইউনূস জমানায় মুক্ত করে দেওয়া হল জঙ্গি নেতা রাহামানিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সে আল কায়েদা-প্রাণিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ (Ansarullah) বাংলা টিমের (ABT) প্রধান। ১৮ অগাস্ট তাকেই মুক্তি দিয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। জসিমুদ্দিন রাহামানি বন্দি ছিল গাজিপুরের কাশিমপুর উচ্চ নিরাপত্তা কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখান থেকে তাকে মুক্তি দেয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

    কী বলছেন জেল সুপার (Bangladesh Crisis)

    জেল সুপার বলেন, “তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলায় জামিন পাওয়ায় রবিবার দুপুর সওয়া একটা নাগাদ তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।” রাহামানিকে মুক্তি দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রসিকিউশনের আইনজীবী এবং সন্ত্রাসবাদ-বিরোধীরা। তাঁদের মতে, রাহামানির মুক্তি সন্ত্রাসের হুমকি বাড়াবে। সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইনে তাঁর বিরুদ্ধে  দায়ের করা মামলার বিচারে বাধার সৃষ্টি করবে।

    প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর বরগুনা থেকে গ্রেফতার করা হয় রাহামানিকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, হিংসায় জনগণকে প্ররোচিত করেছিল সে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ৩০ সদস্যকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই বন্দিদশা কাটাচ্ছিল রাহামানি। তার বিরুদ্ধে ছ’টি আলাদা আলাদা মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সবক’টি মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।

    ব্লগার খুনেও অভিযুক্ত

    ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর খুন হন ব্লগার রাজীব হায়দার। এই খুনের ঘটনায় রাহামানিকে (Bangladesh Crisis) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার একটি আদালত। বাংলাদেশের পল্লবী থানার এই মামলাটি ছাড়াও মহম্মদপুর থানায় তার বিরুদ্ধে আরও দুটি, গুলশান থানায় একটি, বরগুনা সদর থানায় একটি এবং উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই সব মামলাই বিচারাধীন বাংলাদেশের বিভিন্ন আদালতে। ২০২০ ও ২০২২ সালে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল জামিন দেয় তাকে। ২০২২, ২০২৩ এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে, অন্য তিনটি মামলায়ও জামিন দেওয়া হয় তাকে।

    আরও পড়ুন: নকশাল দমনের গতিপ্রকৃতি জানতে দু’দিনের ছত্তিশগড় সফরে যাচ্ছেন অমিত শাহ

    কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রানজিশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মহম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, “আমরা এখন রহমানিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। সে আমাদের নজরদারিতে থাকবে।” ভারতেও ঘাঁটি গেড়েছিল রহমানিয়ার সংগঠন। ২০২২ সালে অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, যেটা আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত, এ রাজ্যে সব চেয়ে সক্রিয় ছিল। গত ছ’মাসে রাজ্যে এবিটির (Ansarullah) পাঁচটি মডিউল ধরা পড়েছে (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeep Ghosh: মরদেহ লোপাট থেকে অবৈধ নিয়োগ! আর কী কী অভিযোগ সন্দীপের বিরুদ্ধে?

    Sandeep Ghosh: মরদেহ লোপাট থেকে অবৈধ নিয়োগ! আর কী কী অভিযোগ সন্দীপের বিরুদ্ধে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar Issue) মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর থেকেই সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) ভূমিকা আতস কাচের তলায়। প্রভাবশালী সন্দীপের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই তাঁকে ডেকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে সিবিআই। সন্দীপের বিরুদ্ধে উঠেছে হাসপাতালের মৃতদেহ লোপাট করার মতো মারাত্মক অভিযোগও। মর্গের রেজিস্টার গুম করে দিয়েছেন তিনি, ভেঙেছেন সরকারি নিয়ম, এক বছর আগে এই বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে নিয়ে এসেছিলেন আরজি কর হাসপাতালেরই এক চিকিৎসক। পেশাগত অনিয়মের কারণে বরাবরই বিতর্কের মধ্যে থেকেছেন সন্দীপ। অধ্যক্ষ হওয়ার পরে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের গায়ে লাথি মেরে চেম্বারে প্রবেশ করার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

    স্বজনপোষণ ছাড়াও সরকারি অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ 

    অধ্যক্ষ থাকাকালীন সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ ছাড়াও সরকারি অর্থ নয়ছয়েরও একাধিক অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, কোভিডের সময় অত্যাধুনিক যন্ত্র কিনেছিল আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হিসেব দেখানো হয়েছিল ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। পরে জানা যায়, ওই যন্ত্রের তৎকালীন বাজারমূল্য ছিল ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অভিযোগ ওঠে সন্দীপ ঘোষ নাকি টেন্ডারের ক্ষেত্রেও নিজের প্রভাব খাটিয়েছিলেন।

    প্রভাবশালী সন্দীপ (Sandeep Ghosh) করতেন অবৈধ নিয়োগ

    হাসপাতালে ল্যাব টেকনিশিয়ান নিয়োগের ক্ষেত্রেও সন্দীপের বিরুদ্ধে উঠেছে স্বজনপোষণের অভিযোগ। অবৈধ ভাবে ইন্টার্ন নিয়োগের অভিযোগও শাসক দল ঘনিষ্ঠ এই প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। তবে প্রভাশালী সন্দীপ বদলি হলেও বারবার ফিরে আসেন আরজি করে। অনেকে বলেন, স্বাস্থ্য ভবন তো আসলে সন্দীপেরই সাম্রাজ্য। একবার আরজি কর হাসপাতাল থেকে সরিয়ে তাঁকে পাঠানো হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে, জাদুবলে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে তিনি ফের ফিরে আসেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আবার বদলি হন উলুবেড়িয়াতে। সে বার ফিরতে সময় নিয়েছিলেন ২১ দিন। আরজি করে ডাক্তার ছাত্রীর খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় একাধিক অভিযোগ তো উঠেছে সন্দীপের বিরুদ্ধে। এর পাশাপাশি হাসপাতালের কর্তাব্যক্তিদের কর্তব্যে গাফিলতি এবং তা আড়াল করার চেষ্টার অভিযোগও উঠেছে প্রভাশালী সন্দীপের বিরুদ্ধে।

    ২০২১ সালেই তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে নোটিশ পাঠায় ক্যাগ

    অন্যদিকে, আরজি কর হাসপাতালে ওষুধ ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রেও গরমিল ধরা পড়ে। এই অভিযোগে ২০২১ সালেই তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে (Sandeep Ghosh) নোটিশ পাঠায় ক্যাগ। কিন্তু কোনওবারই জবাব দেননি সন্দীপ, এমনটাই অভিযোগ। প্রসঙ্গত, ওষুধ ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে রাজ্যের জিএসটির নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ ছিল ক্যাগের। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে আরজি করে (RG Kar Issue) আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সন্দীপের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমতিও দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ইডি তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হাসপাতালেরই এক প্রাক্তন পদাধিকারী। বুধবার আবেদন মঞ্জুর করেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: দলীয় পতাকা ছাড়াই ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক, ‘ব্যক্তিগত’ভাবে অংশ নেবেন শুভেন্দু

    RG Kar: দলীয় পতাকা ছাড়াই ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক, ‘ব্যক্তিগত’ভাবে অংশ নেবেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হত্যাকাণ্ডে (RG Kar) ন্যায় বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য। আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। মমতা সরকারের বিরুদ্ধে রাগে ফুঁসছেন রাজ্যবাসী। কোনও রকম দলীয় পতাকা বা প্রতীক ছাড়া ‘পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজ’-এর নামে ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে এই অভিযানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ‘ব্যক্তিগত’ ভাবে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে মঙ্গলবার শ্যামবাজার মোড়ে বিজেপি পাঁচদিনের জন্য ধর্না-বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছে। একই ভাবে জুনিয়র ডাক্তাররা স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে নেমেছিলেন। কলকাতা এবং জেলার বিভিন্ন জায়গায় একাধিক সামাজিক সংগঠনও তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়ে রাস্তায় নেমেছে।

    ঠিক কী বললেন শুভেন্দু(RG Kar)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), একজন মহিলা চিকিৎসককে (RG Kar) ধর্ষণ করে খুনের প্রতিবাদে বলেন, “সব পরিবারের পক্ষ থেকে একজন করে এই আন্দোলনে যোগদান করুন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে সেখানে যাব। তবে এটা কোনও দলের আহ্বান নয়। সকলেই বুঝে গিয়েছেন, সব সমস্যার মাথা মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে বলব, ২৬ তারিখের মধ্যে পদত্যাগ করুন, যাতে ২৭ তারিখে কোনও গুলি চালাতে না হয়।”

    আরও পড়ুনঃ টিএমসিপি-র জঙ্গি আন্দোলনে পদত্যাগ করলেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য!

    বিক্ষোভ-প্রতিবাদে উত্তাল রাজ্য

    আরজি করের (RG Kar) ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে সোমবার স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেছিল আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। কিন্তু স্বাস্থ্য ভবন যাওয়ার আগেই পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দিয়েছিল। এরপর এবিভিপি এবং পুলিশের মধ্যে ধুন্ধুমার বাধে, উভয় পক্ষের মধ্যে চলে সংঘর্ষ। ছাত্রদের দাবি, পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করেছে। এরপর ২০ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। একই ভাবে মহিলা ডাক্তার খুনের ঘটনায় পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে, বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কলেজ স্ট্রিটে আন্দোলন হয়েছিল। অপর দিকে গড়িয়াহাটে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল এবং যুবমোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ-র নেতৃত্বে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা পথ অবরোধ করে প্রতিবাদ সভা করেছিলেন। ঠিক একই সময়ে আবার হাওড়া ব্রিজে বিজেপির পক্ষ থেকে পথ অবরোধ করে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হয়। তাতে পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এইভাবে দিকে দিকে ক্রমেই জোরদার হচ্ছে রাজ্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mukhtar Abbas Naqvi: ওয়াকফ সংশোধনী বিল ‘সময়ের দাবি’, বললেন মুক্তার আব্বাস নাকভি

    Mukhtar Abbas Naqvi: ওয়াকফ সংশোধনী বিল ‘সময়ের দাবি’, বললেন মুক্তার আব্বাস নাকভি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Bill) ২০২৪ নিয়ে দেশজুড়ে চলছে বিতর্ক। এহেন আবহে মুখ খুললেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি (Mukhtar Abbas Naqvi)। তাঁর মতে, এই বিলটি সময়ের দাবি।

    ‘ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪’ (Mukhtar Abbas Naqvi)

    সংসদের সদ্য সমাপ্ত অধিবেশনে ‘ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪’ পেশ করেছে মোদি সরকার। এই বিল নিয়ে আলোচনার জন্য আজ, বৃহস্পতিবার প্রথমবার বৈঠকে বসতে চলেছে জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি। তার আগে বিলটিকে সময়ের দাবি বলে দাবি করেছেন বিজেপির সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি নাকভি। জানা গিয়েছে, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই বিলটি পাশ করাতে চায় এনডিএ সরকার।

    পার্লামেন্টারি জয়েন্ট কমিশনের বৈঠক

    তবে বিলটি সম্পর্কে যাবতীয় পর্যালোচনা করবে পার্লামেন্টারি জয়েন্ট কমিশন। এই কমিশনের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করবে বিলটির ভবিষ্যৎ। বিলটি পাশ করাতে মরিরা সরকার যে কেবল বিরোধীদের দাবির কথা শুনছে তা নয়, বিলটি যাতে বিতর্ক ছাড়াই পাশ করিয়ে নেওয়া যায়, সেজন্য বোঝানোর চেষ্টা চলছে এনডিএর গুরুত্বপূর্ণ শরিক দলের নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু এবং চিরাগ পাশোয়ানকেও। তাঁরা যাতে বিলটি সমর্থন করেন, জোর কদমে সেই চেষ্টাই করে চলেছে মোদি সরকার।

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে নাকভি (Mukhtar Abbas Naqvi) আগেই বলেছিলেন, “ওয়াকফ এবং ওয়াক্ত উভয়ের জন্যই এটি ভালো।” তাঁর মতে, সংস্কারগুলি সময়োপযোগী এবং প্রয়োজনীয়। এদিন তিনি বলেন, “পুরো সিস্টেমটাকে (ওয়াকফ বোর্ডে) বেরিয়ে আসতে হবে টাচ মি নট পলিটিক্স থেকে। ওযাকফ সিস্টেমটাকে উন্নত করতেই সরকার এই বিল এনেছে।”

    আরও পড়ুন: পোল্যান্ড সফরে মোদি, গুজরাটের রাজার স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা অর্পণ, বৈঠক প্রবাসীদের সঙ্গে

    তিনি বলেন, “এমন নয় যে এই প্রথম ওয়াকফ আইন সংশোধন করা হচ্ছে। এর আগেও ওয়াকফ আইন সংশোধন হয়েছে।” নাকভি বলেন, “কংগ্রেস এবং অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারের জমানায় এই আইন সংশোধন হয়েছে। সরকার যে বিল পেশ করেছে, তা নিয়ে বিতর্ক হওয়া উচিত, আলোচনা হওয়া উচিত, ডিটেইলসে বিশ্লেষণও করা উচিত। সেই কারণেই বিলটিকে পাঠানো হয়েছে জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটিতে।” তিনি (Mukhtar Abbas Naqvi) বলেন, “জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি একটা সাংবিধানিক বডি। এর (Waqf Amendment Bill) বৈঠকে বিলটি নিয়ে খোলা মনে আলোচনা হওয়া উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share