Tag: news in bengali

news in bengali

  • Liquid Water On Mars: মঙ্গলগ্রহের গভীরে রয়েছে তরল জলের বিশাল ভান্ডার, দাবি বিজ্ঞানীদের

    Liquid Water On Mars: মঙ্গলগ্রহের গভীরে রয়েছে তরল জলের বিশাল ভান্ডার, দাবি বিজ্ঞানীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তরল আকারে জলের একটি বিশাল ভূগর্ভস্থ ভান্ডারের খোঁজ মিলল মঙ্গলগ্রহে (Liquid Water On Mars)। এই গ্রহের তলদেশে ভগ্ন-আগ্নেয়শিলার গভীরে রয়েছে ব্যাপক পরিমাণে তরল জল। মঙ্গলগ্রহের মাটির নীচের পরিবেশ সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করতে সক্ষম হয়েছেন নাসার (NASA) বিজ্ঞানীরা (American scientists)। তাঁদের দাবি, তরল জলের পরিমাণ এতটাই যে, তা দিয়ে মঙ্গলের গোটা পৃষ্ঠ ঢাকা পড়বে। অর্থাৎ, গোটা মঙ্গল জলের তলায় চলে যাবে! 

    নাসার পাঠানো রোবোটিক ইনসাইট ল্যান্ডার দ্বারা প্রাপ্ত সিসমিক ডেটার উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। ল্যান্ডারটি ২০১৮ সালে মঙ্গলগ্রহে অবতরণ করেছিল। তখন থেকেই এটি লালগ্রহের তরল ধাতব ভূত্বকের বিভিন্ন স্তর থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজ করেছে। এই মিশন শেষ হয়েছিল ২০২২ সালে। এই চাঞ্চল্যকর দাবিতে মহাকাশ গবেষণা এবং গ্রহ বিজ্ঞানীদের মধ্যে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    জীবের জীবন টিকিয়ে রাখার জন্য অনুকূল পরিবেশ (Liquid Water On Mars)

    ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত সান দিয়েগো স্ক্রিপস ইনস্টিটিউশন অফ অশেনোগ্রাফির গ্রহবিজ্ঞানী ভাসান রাইট একটি রিপোর্টে বলেন, “মঙ্গলগ্রহের (Liquid Water On Mars) পৃষ্ঠের প্রায় ৭.২ থেকে ১২.৪ মাইল (১১.৫ থেকে ২০ কিমি) নীচে অবস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণ জল রাশি। এই গভীরে তরল আকারে জল যেমন রয়েছে, তেমনই জীবের জীবন টিকিয়ে রাখার জন্য সম্ভাব্য অনুকূল পরিস্থিতিও রয়েছে সেখানে। তবে, ওপরের দিকে, অর্থাৎ, কম গভীর স্তরে জল বরফের অবস্থায় রয়েছে।’’

    তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা পরিমাপ করেছি ভূ-পৃষ্ঠে ক্রমবর্ধমান কম্পনের তরঙ্গের গতিকে। সেই সঙ্গে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পরিমাপ এবং শিলা পদার্থবিদ্যা মডেলগুলির অংশ সংগ্রহ করেছি। আবার গ্রহের আগ্নেয়গিরির মধ্যস্থ কম্পনের তরঙ্গের গতি পরিমাপ করতে সক্ষম হয়েছে ইনসাইট ল্যান্ডার। গভীরতার সঙ্গে কীভাবে এই তরঙ্গ পরিবর্তিত হয়, পৃষ্ঠদেশের শিলাটি কী দিয়ে তৈরি, কোথায় কোথায় ফাটল রয়েছে ইত্যাদি নানা বিষয়ে অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছি আমরা। মঙ্গলগ্রহের ক্রাস্ট বা সবচেয়ে বাইরের স্তরের মধ্যে ম্যাগমা বা লাভার ঠান্ডা রূপ এবং ভগ্ন আগ্নেয়শিলাগুলির মধ্যে তরল জলের উপস্থিতিকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। মঙ্গল-পৃষ্ঠে শিলার ফাটলগুলিও তরল জলে ভরা, তারও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ক্রমাগত ভূমিকম্পের ফলে মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশ আজ শীতল এবং জনশূন্য, কিন্তু একসময় ওই স্থান উষ্ণ ও ভেজা ছিল। অনুমানিক ৩০০ কোটি বছরেরও বেশি আগে পরিবর্তিত হয়েছিল এই গ্রহের রূপ। আমরা গবেষণায় দেখেছি যে, মঙ্গলগ্রহের উপরিভাগে যে জল ছিল, তার বেশির ভাগই মহাকাশে বিলীন হয়ে যায়নি বরং গ্রহের মধ্যে ফিল্টার হয়ে সঞ্চিত হয়েছে। আগামী দিনে মঙ্গলে রয়েছে আরও অপার সম্ভাবনা।”

    আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা, হিন্দু ছাত্রদের সঙ্গে আজ বৈঠক ইউনূসের

    মঙ্গলগ্রহেও জীব শক্তির উৎস রয়েছে

    গ্রহ বিজ্ঞানী (NASA) ভাসান রাইটের সহযোগী লেখক মাইকেল মাঙ্গা আবার বলেন, “পৃথিবীর ভূগর্ভের অভ্যন্তরে যেমন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জীবের প্রাণের সন্ধান পাই, ঠিক একই ভাবে এই মঙ্গলগ্রহেও (Liquid Water On Mars) জীব শক্তির উৎস রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে মঙ্গলগ্রহের উপরিভাগে নদী, হ্রদ এবং সম্ভবত মহাসাগরে তরল জল ছিল। এই গ্রহের ভূত্বকটিও তার ইতিহাসের প্রথম দিক থেকেই জলে পূর্ণ ছিল বলে মনে করা যেতেই পারে। পৃথিবীতেও ভূগর্ভস্থ জল, পৃষ্ঠদেশে থেকেই পাতালে প্রবেশ করেছিল। ফলে আমরা আশা করতে পারি মঙ্গলে জলের ইতিহাস পৃথিবীর মতোই হবে। তবে যখন এই জলরাশি অন্দরে প্রবেশ করেছে তখন এই গ্রহের উপরের ভূত্বকটি আজকের চেয়ে অনেক বেশি উষ্ণ ছিল। পৃথিবীর মানবজাতি কখনও মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠে মহাকাশচারীদের পাঠালে বা সেখানে সম্পর্ক স্থাপন করতে গেলে, এই জল একটি অত্যাবশ্যক সম্পদ হবে। তাছাড়া দীর্ঘ সময়ের জন্য ওই গ্রহে কিছু করার পরিকল্পনায় দারুণ ভাবে সহযোগী হবে এই জল। মঙ্গলগ্রহের মেরু অঞ্চলগুলির পৃষ্ঠে থাকা জমা জল বরফের আকারে রয়েছে। ফলে ভূপৃষ্ঠের গভীরতায় খনন করা খুব কঠিন কাজ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narenda Modi Government: নতুন সম্প্রচার বিলের খসড়া প্রকাশ নিয়ে বড় ঘোষণা মোদি সরকারের

    Narenda Modi Government: নতুন সম্প্রচার বিলের খসড়া প্রকাশ নিয়ে বড় ঘোষণা মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্কের মাঝেই সম্প্রচার পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ বিল নিয়ে ঘোষণা করল কেন্দ্র। প্রস্তাবিত সম্প্রচার পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ বিলের (Broadcasting Regulation Bill) একটি নতুন খসড়া প্রকাশ করা হবে। সোমবার এমনটাই ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। নরেন্দ্র মোদি সরকার (Narenda Modi Government) জানিয়েছে যে, সব পক্ষের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার পরে সম্প্রচার পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ বিলের নতুন খসড়া প্রকাশ করা হবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত মন্তব্য ও পরামর্শ পেতে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে। 

    কী জানাল তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক?  (Narenda Modi Government)  

    এর আগে, ২৪-২৫ জুলাইয়ের মধ্যে সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের তাদের কাছে থাকা ফিজিক্যাল কপিগুলি ফেরত দিতে বলে সম্প্রচার পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ বিল (Broadcasting Regulation Bill), ২০২৪-এর খসড়া প্রত্যাহার করেছে সরকার। এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা আগেই জানিয়েছিলেন, বিলটি সম্পূর্ণরূপে পুনর্নির্মাণ করা হবে। তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মন্ত্রক বিলের খসড়া নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা করছে। এব্যাপারে বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের থেকে একাধিক সুপারিশ-মন্তব্য-পরামর্শ পাওয়া গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: খুচরো মুদ্রাস্ফীতি কমল ৩.৫৪ শতাংশ, পাঁচ বছরে সর্বনিম্ন, জানাল কেন্দ্র

    আগে কী ঘটেছিল? (Broadcasting Regulation Bill) 

    প্রসঙ্গত, সংসদের বাদল অধিবেশনে নয়া এই সম্প্রচার বিলটির খসড়া উত্থাপন করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। গত বছরের নভেম্বরে এটির খসড়া তৈরি করা হয়। সে সময় এই খসড়া বিলের বিরোধিতা করে সরব হন বিরোধীরা। আপত্তি ওঠে সংশ্লিষ্ট পক্ষ থেকেও। সংবাদমাধ্যম এবং সমাজমাধ্যমে ‘লাগাম পরানোর’ উদ্দেশ্যেই সরকার (Narenda Modi Government) এই বিল আনতে চলেছে বলে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। নয়া এই বিলের মাধ্যমে সরকার বাক স্বাধীনতা, মানুষের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে বলে তোপ দেগেছিলেন তাঁরা। তবে এরই মাঝে এবার সম্প্রচার পরিষেবা (ব্রডকাস্টিং) নিয়ন্ত্রণ বিল ২০২৪-এর খসড়া প্রতাহ্যার করল কেন্দ্র।   
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: একসঙ্গে নৃত্য পরিবেশন ১০ হাজার কাশ্মীরি মহিলার, গড়লেন বিশ্ব রেকর্ড

    Jammu and Kashmir: একসঙ্গে নৃত্য পরিবেশন ১০ হাজার কাশ্মীরি মহিলার, গড়লেন বিশ্ব রেকর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বারামুলা জেলায় ‘কাশুর রিওয়াজ’ সাংস্কৃতিক উৎসবে ১০ হাজার মহিলা একসঙ্গে কাশ্মীরি লোকনৃত্য অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। যা ইতিমধ্যে বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করেছে। এই নৃত্যানুষ্ঠানটি (Folk Dance) সম্পন্ন হয় শওকত আলি ইন্ডোর স্টেডিয়াম। এই ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে নৃত্য, সঙ্গীত, ক্যালিগ্রাফি প্রভৃতি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে স্থানীয় ঐতিহ্যকে উপস্থাপন করা হয়। অল ইন্ডিয়া রেডিও নিউজের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল নৃত্যে অংশ নেওয়া শিল্পীদের একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়। স্বাধীনতা দিবসের আগে এই অনুষ্ঠান দেশব্যাপী ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

    মূল আকর্ষিণীয় নৃত্য ছিল ‘রউফ’ নৃত্য (Jammu and Kashmir)

    দেশের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসকে স্মরণীয় করতে বারামুলা (Jammu and Kashmir) জেলা প্রশাসন এবং ইন্দ্রানী বালান ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় সেনাবাহিনীর চিনার কোরের অন্তর্গত ড্যাগার ডিভিশনের দ্বারা আয়োজন করা হয়েছিল। এই কাশ্মীরি লোকনৃত্যে অংশগ্রহণ করা এক তরুণী বলেন, “আমরা গত একমাস ধরে এই নৃত্যানুষ্ঠানের (Folk Dance) জন্য অনুশীলন করেছিলাম। মূল আকর্ষিণীয় নৃত্য ছিল ‘রউফ’ নৃত্য। এখন তা বিশ্ব রেকর্ড করেছে। আমাদের পরিশ্রম সর্বাত্মকভাবে সার্থক। আমরা সত্যই কাশ্মীরবাসীরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত এবং গৌরবান্বিত।”

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by All India Radio News (@airnewsalerts)

    ইন্দ্রাণী বালান ফাউন্ডেশনের বক্তব্য

    এই বৃহৎ নৃত্যের অনুষ্ঠান সম্পর্কে ইন্দ্রাণী বালান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এক আধিকারিক বলেন, “এই অনুষ্ঠানটি কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) অসামরিক-সামরিক শিল্প এবং তরুণ-তরুণীদের সহযোগিতা এবং সৃজনশীল ভাবনার মেলবন্ধন ঘটিয়েছে।” উল্লেখ্য গত বছর, কেরলের কুত্তানেল্লুর সরকারি কলেজে একটি বিশাল তিরুভাথিরা নৃত্য পরিবেশনের আয়োজন করা হয়েছিল। কলেজ ক্যাম্পাসে মোট ৭,০২৭ কুদুম্বশ্রী সদস্য দলগতভাবে ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশন করেছিলেন।

    আরও পড়ুনঃ স্বাধীনতা দিবসে অতিথি তালিকায় যুব-দরিদ্র-নারী-কৃষকদের আমন্ত্রণ, উদ্যোগী মোদি

    প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপস্থিতি

    এই অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিক। জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সাংস্কৃতিক বিভাগ থেকে শুরু করে পুলিশ এবং এনজিও-র উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন সেনার চিনার কোরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই, মেজর জেনারেল রাজেশ শেঠি, জিওসি ড্যাগার এবং বারমুলার ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার রজত ভাট সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। স্বাধীনতার আগে এই অনুষ্ঠান কাশ্মীরের মানুষের স্বদেশ চেতনার স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে দিল্লিতে প্যারিস অলিম্পিক্স দলের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে দিল্লিতে প্যারিস অলিম্পিক্স দলের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর দুদিন বাদেই পালিত হবে ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস। আর সেই উপলক্ষে প্রতিবারের মত দিল্লিতে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। লাল কেল্লা থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, এরই ফাঁকে ভারতের প্যারিস অলিম্পিক্স দলের (Paris Olympics contingent) সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের পর দুপুর ১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী দলটির সঙ্গে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

    অলিম্পিক্স পদকজয়ীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, এদিনের অনুষ্ঠানে ভারতের ১১৭ জন অ্যাথলিটের সম্পূর্ণ দল উপস্থিত থাকবে। একইসঙ্গে এও জানা গিয়েছে, যে সব ক্রীড়াবিদরা এবছরের প্যারিস অলিম্পিক্স থেকে ভারতকে ছ-ছটি পদক এনে দিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা ভাবে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। যদিও প্যারিস অলিম্পিক্সে পদক জেতার পরেই প্রধানমন্ত্রী বিজয়ীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। অন্যদিকে,  একটুর জন্য পদক হাতছাড়া হওয়া ভিনেশ ফোগাটের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন তিনি এবং কুস্তিগীরের পরিস্থিতির পাশে থেকে ট্যুইট করে তাঁকে সাহস জুগিয়েছিলেন। 

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে অতিথি তালিকায় যুব-দরিদ্র-নারী-কৃষকদের আমন্ত্রণ, উদ্যোগী মোদি

    পদকজয়ীদের শুভেচ্ছা বার্তা মোদির 

    উল্লেখ্য, এবারের প্যারিস অলিম্পিক্সে ভারতের লক্ষ্য ছিল ১০টি পদক জেতার। তবে খেলা শেষে ভারতের ঝুলিতে এসেছে মোট ৬টি পদক, এর মধ্যে ১টি রুপো ও ৫টি ব্রোঞ্জ পদক রয়েছে। ২০২০ টোকিও অলিম্পিক্সে স্বর্ণপদক বিজয়ী নীরজ চোপড়ার হাত ধরেই এ বছর প্যারিস অলিম্পিক্সে একমাত্র রুপোর পদক এসেছে। আর অন্যদিকে মনু ভাকেরের হাত ধরে দু’দুটি ব্রোঞ্জ পদক এসেছে। মনু ভাকের ১০ মিটার এয়ার পিস্টল ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন এবং পরে সরবজোৎ সিংয়ের সঙ্গে ১০ মিটার এয়ার পিস্টল মিশ্র দল ইভেন্টে আরও একটি পদক যেতেন। এছাড়াও টেবিল টেনিসে মানিকা বাত্রা এবং শ্রীজা আকুলা উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছেন। ভারতের এই সাফল্যে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) পদকজয়ীদের শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়ে বলেছেন, ”সমস্ত ক্রীড়াবিদ (Paris Olympics contingent) তাদের সেরাটা দিয়েছেন এবং প্রত্যেক ভারতীয় তাদের জন্য গর্বিত। আমাদের ক্রীড়া নায়কদের তাদের এই প্রচেষ্টার জন্য শুভকামনা জানাই।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: স্বাধীনতা দিবসের আগে জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে পালিত বিজেপির তেরঙ্গা যাত্রা

    Jammu and Kashmir: স্বাধীনতা দিবসের আগে জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে পালিত বিজেপির তেরঙ্গা যাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির পক্ষ থেকে দেশব্যাপী ১১ থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত, হর ঘর তিরঙ্গার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে সোমবার কাশ্মীরেও দেখা গেল এই চিত্র। দেশপ্রেমের চেতনা এবং স্বাধীনতা দিবসর উদ্দীপনা উদযাপন করতে এদিন জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) বিজেপির যুব মোর্চার নেতৃত্বে বিরাট তেরঙ্গা যাত্রার আয়োজন করে। এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিজেপির (BJP) সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অশোক কৌল তেরঙ্গা র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় দেশের স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব এবং ঐক্য-অখণ্ডতা রক্ষার জন্য প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্যের ওপর জোর দেন তিনি। একইসঙ্গে উপত্যকার উন্নয়ন ও শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ে বিজেপির প্রতিশ্রুতির কথাও তুলে ধরেন কৌল।

    ঠিক কী বললেন কাশ্মীরের বিজেপি সংগঠন সম্পাদক (Jammu and Kashmir)?

    বিজেপি নেতা অশোক কৌল বলেন, “একজন ব্যক্তির প্রথম দায়িত্ব তাঁর দেশের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা। সেইসঙ্গে, রাষ্ট্রকে সর্বোপরি সম্মান প্রদান করে মাতৃভূমির জন্য সেবা করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব। তাই এই রাজ্যের (Jammu and Kashmir) প্রত্যেক মানুষকে তেরঙ্গা যাত্রার সমাবেশে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করব।” এই সমাবেশে জম্মু পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের সাংসদ যুগল কিশোর শর্মা, বিজেপি সহ-সভাপতি যুধবীর শেঠি, যুবমোর্চার সভাপতি অরুণ প্রভাত এবং অন্যান্যরা সমাবেশে যোগদান করেন।

    আরও পড়ুনঃ ভারতের জন্য গ্রেট নিকোবর দ্বীপে আন্তর্জাতিক ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্ট কতটা গুরুত্বপূর্ণ জানেন?

    রাজৌরি, কাঠুয়াতে পালিত হল তেরঙ্গা র‍্যালি

    এদিনই রাজৌরিতে (Jammu and Kashmir) রাজ্য বিজেপি (BJP) সাধারণ সম্পাদক বিবোধ গুপ্তা একটি তেরাঙ্গা সমাবেশে অংশ নেন। কাশ্মীরের বাস্তুচ্যুত জেলাগুলিতে এদিন বিজেপি জেলা সভাপতি রোহিত গাঞ্জু, যুব মোর্চার সহ-সভাপতি ডা. হিমজা মেঙ্গি সহ আরও অনেক নেতা এদিন তেরঙ্গা র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। আবার সানাসারে রামবান বিধানসভা কেন্দ্রে জাতীয় মিডিয়া ইনচার্জ এস আমনদীপ সিং তেরঙ্গা সমাবেশে যোগদান করেন। অপর দিকে, কাঠুয়া বিধানসভা কেন্দ্রে প্রবীণ বিজেপি নেতা মুনীশ শর্মা একটি জাতীয় পতাকা নিয়ে পদ যাত্রা করেন। একইভাবে, যুব মোর্চার পক্ষ থেকে নাগরোটা বিধানসভা কেন্দ্রে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রে যুব শাখার রাজ্য সম্পাদক ডাঃ সুনীল ভরদ্বাজের নেতৃত্বে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অনুষ্ঠান পালন হয়। ভাদেরওয়াহ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ সিং উপস্থিত থেকে জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করেন। জম্মু উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র ও খাজুরিয়াতেও তেরঙ্গা সমাবেশে লক্ষ্য করা গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Child Care Leave: পুরুষদের চাইল্ড কেয়ার লিভ ৩০ থেকে বেড়ে ৭৩০ দিন, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Child Care Leave: পুরুষদের চাইল্ড কেয়ার লিভ ৩০ থেকে বেড়ে ৭৩০ দিন, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মরত মহিলাদের মত এবার পুরুষরাও সন্তানদের দেখাশোনার জন্য (Child Care Leave) সমানভাবে ছুটি নিতে পারবেন। চাইল্ড কেয়ার লিভের ক্ষেত্রে পুরুষরাও মহিলাদের মত ৭৩০ দিন অর্থাৎ দু বছর ছুটি পাবেন। এক শিক্ষকের করা মামলায় বিচারপতি অমৃত সিনহার বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।

    সন্তান পালনে বৈষম্য দূর হবে (High Court)

    বিচারপতি অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ, সন্তান মানুষ করার ক্ষেত্রে মায়ের পাশাপাশি বাবারও সমান দায়িত্ব রয়েছে। তাঁরা কেন বঞ্চিত হবেন? তাঁরাও সমান (Child Care Leave) ছুটি পাওয়ার অধিকারী। এ বিষয়ে ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি নির্দেশ রয়েছে, মনে করিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। কর্তব্যরত মহিলারা সন্তানদের দেখাশোনার জন্য ৭৩০ দিন অর্থাৎ দু বছর চাইল্ড কেয়ার লিভ পেয়ে থাকেন। পুরুষদের জন্য ওই ছুটি এতদিন মাত্র ৩০ দিনের ছিল। চাইল্ড কেয়ার লিভের জন্য পুরুষ বা মহিলা কারও বেতন কাটা যেত না। নির্দিষ্ট সময়ের বেশি ছুটি নিলে অবশ্য বেতন কেটে নেওয়া হয়। পুরুষ এবং মহিলাদের ছুটির পার্থক্যকে চ্যালেঞ্জ করে এক শিক্ষক মামলা করেছিলেন আদালতে। আদালতের নির্দেশ, এ বিষয়ে (Child Care Leave) তিন মাসের মধ্যে রাজ্যকে নির্দেশিকা জারি করতে হবে।

    আরও পড়ুন: এ বছর বাজারে ‘ট্রেন্ডিং’ রাম দরবার-রাম মন্দির রাখি, দাম কত জানেন?

    রাজ্যকে পদক্ষেপ নিতে হবে। নির্দেশিকা জারি হয়ে গেলে মহিলাদের মত পুরুষরা ও সমান ছুটি পাবেন।

    ২০১৮ সালের নির্দেশিকা স্মরণ করিয়ে দিল আদালত (Child Care Leave)

    এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকার এক নির্দেশিকায় জানিয়েছিল মহিলাদের মত পুরুষরাও ৭৩০ দিন অর্থাৎ দু বছর (Child Care Leave) ছুটি পাওয়ার অধিকারী, তবে কেবলমাত্র সিঙ্গল প্যারেন্টরাই এই সুবিধে পাবেন বলে জানিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। সেই সঙ্গে ২০১৮ সালের ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল চাইল্ড কেয়ার লিভের দ্বিতীয় বছরে মূল বেতনের ২০ শতাংশ কম পাবেন আবেদনকারীরা। প্রথম দুটি সন্তানের ক্ষেত্রেই এই ছুটি পাওয়া যাবে। সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indo-US Jet Engine Deal: দেশেই তৈরি হবে যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন! মার্কিন সংস্থার সঙ্গে বড় চুক্তির পথে ভারত

    Indo-US Jet Engine Deal: দেশেই তৈরি হবে যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন! মার্কিন সংস্থার সঙ্গে বড় চুক্তির পথে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কফাইটার জেট ইঞ্জিনের (Fighter Jet Engine) প্রযুক্তি হস্তান্তর নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি বড় চুক্তি (Indo-US Jet Engine Deal) স্বাক্ষর করতে চলেছে ভারত। সূত্রের খবর, আগামী ৬ মাসের মধ্যেই ওই ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পন্ন হবে।

    এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, এই প্রযুক্তি হস্তান্তরের চূড়ান্ত আলোচনার প্রস্তুতিপর্ব হিসেবে মার্কিন ইঞ্জিন প্রস্তুতকারী সংস্থা জেনারেল ইলেকট্রিক ইতিমধ্যেই প্রযুক্তি-বাণিজ্যিক বরাতের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছে। আরও জানা গিয়েছে, প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ভারতেই ‘জিই৪১৪-আইএনএস৬’ ইঞ্জিন (GE414-INS6) নির্মাণ করতে প্রয়োজনীয় বিশেষ উৎপাদন লাইসেন্স অনুমোদন করার প্রায় দোরগোড়ায় কেন্দ্রীয় সরকার।

    ১০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের চুক্তি (Indo-US Jet Engine Deal)

    কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, জিই-র জমা দেওয়া দলিলগুলির বর্তমানে পর্যালচনার পর্যায়ে রয়েছে। প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের ওই চুক্তিতে বলা হয়েছে ৮০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তর করা হবে। যে তালিকায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল প্রযুক্তি রয়েছে। যেমন— ইঞ্জিনের হট এন্ডের জন্য আস্তরণ, ক্রিস্টাল ব্লেড এবং লেজার ড্রিলিং প্রযুক্তি। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই প্রযুক্তি হস্তান্তরের ব্যাপ্তি ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছেন জিই সংস্থার কর্তারা।

    হ্যালের নতুন কারখানায় তৈরি হবে নতুন ইঞ্জিন

    ভারতের তরফে এই চুক্তিতে (Indo-US Jet Engine Deal) স্বাক্ষর করবে রাষ্ট্রায়ত্ত যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)। এর জন্য কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর কাছে নতুন কারখানা গড়ার জন্য জমিও দেখে রেখেছে হ্যাল। জানা যাচ্ছে, বর্তমানে পরিবেশ ও দুষণ সংক্রান্ত ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রয়েছে হ্যাল। অতি শীঘ্রই শুরু হয়ে যাবে ওই কারখানা তৈরির কাজও। হ্যালের আশা, চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার দু’বছরের মধ্যেই নতুন কারখানায় নতুন ইন্দো-মার্কিন জেট ইঞ্জিনের (Fighter Jet Engine) উৎপাদনের কাজও শুরু হয়ে যাবে।

    টিইডিবিএফ, অ্যামকা-তে লাগবে এই ইঞ্জিন

    নৌসেনার জন্য স্বদেশীয় দুই-ইঞ্জিন বিশিষ্ট বিমানবাহী রণতরীতে উড়তে সক্ষম যুদ্ধবিমান নির্মাণ করছে ভারত। সেই যুদ্ধবিমানেই এই নতুন ‘জিই৪১৪-আইএনএস৬’ ইঞ্জিন (GE414-INS6) বসানো হবে (Indo-US Jet Engine Deal)। পরবর্তীকালে, ভবিষ্যতের স্বদেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের স্বদেশীয় যুদ্ধবিমান অ্যাডভান্সড মাল্টি-রোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (অ্যামকা)-র প্রথম দুটি স্কোয়াড্রনেও এই ইঞ্জিন (Fighter Jet Engine) বসানো হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayushman Bharat: দেশের দরিদ্রদের আর্থিক দুর্বলতা হ্রাস করছে আয়ুষ্মান ভারত! প্রকাশ্যে এল সমীক্ষার ফলাফল

    Ayushman Bharat: দেশের দরিদ্রদের আর্থিক দুর্বলতা হ্রাস করছে আয়ুষ্মান ভারত! প্রকাশ্যে এল সমীক্ষার ফলাফল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের (India) মানুষ যাতে বিনা পয়সায় চিকিৎসার সুযোগ পেতে পারেন সেই জন্য কেন্দ্র সরকার চালু করে আয়ুষ্মান ভারত যোজনা প্রকল্প। দেশের একেবারে গরিব এবং আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণির মানুষদের সুবিধার জন্য আয়ুষ্মান ভারত (Ayushman Bharat) যোজনা প্রকল্প চালু করা হয়। তবে সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষার তথ্যের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে যে আয়ুষ্মান ভারত যোজনা প্রকল্পের দ্বারা ২০১১-১২ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত দেশের দরিদ্রদের আর্থিক দুর্বলতার একটি বিরাট অংশ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। 

    সাম্প্রতিক এক সমীক্ষার ফলাফল (Ayushman Bharat) 

    এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ শমিকা রবির সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, এই দেশের (India) বেশিরভাগ পরিবারই প্রতি বছর বেশ ভালো মাত্রায় চিকিৎসা ব্যয়ের সম্মুখীন হন, কিছু কিছু  ক্ষেত্রে  গুরুতরভাবে আর্থিক চাপের সম্মুখীনও হন। এমত অবস্থায় কঠিন রোগে হসপিটালে ভর্তি রেখে রোগীর চিকিৎসাভার বহন করাও একপ্রকার দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে দরিদ্র শ্রেনির রোগীর পরিবারের পক্ষে। তবে আয়ুষ্মান ভারত কার্ড থাকলে ক্যান্সার, কার্ডিয়াক সার্জারি ও অন্যান্য মারণ রোগের চিকিৎসা করানো যায় সহজে। একইসঙ্গে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও ইউরোলজিস্টদের পরামর্শ ও পরিষেবা মেলে বিনামূল্যে। এর ফলে দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষগুলো আর্থিক দিক থেকে অনেকটা স্বস্তি পায়। সমীক্ষায় প্রকাশিত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে জানা গিয়েছে যে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ২০১১-১২ সালে ১৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২-২৩ সালে ২২ শতাংশে পৌঁছেছে।  

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দুরা, সুরক্ষার দাবিতে বর্ধমানে প্রতিবাদ মিছিল সনাতনীদের

    ফলে ২০১১-১২ সাল থেকে ২০২২-২৩ সালের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পরিবারের মধ্যে স্বাস্থ্য ব্যয়ের পরিমাণ মাসিক ব্যয়ের ১০.৮ শতাংশ থেকে ৯.৪ শতাংশে নেমে এসেছে। আর্থিক চাপের এই হ্রাস মূলত আয়ুষ্মান ভারত (Ayushman Bharat) যোজনার মতো জনস্বাস্থ্য উদ্যোগের জন্য সম্ভব হয়েছে, যা দরিদ্রদের জন্য স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী করে তুলেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 102: “ব্যক্তি সদা-সর্বদা ঈশ্বরচিন্তা করে সেই জানতে পারে তাঁর স্বরূপ কি?”

    Ramakrishna 102: “ব্যক্তি সদা-সর্বদা ঈশ্বরচিন্তা করে সেই জানতে পারে তাঁর স্বরূপ কি?”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ভক্ত্যা ত্বনন্যায়া শক্য অহমেবংবিধোহর্জুন।

    জ্ঞাতুং দ্রষ্টাং চ তত্ত্বেন প্রবেষ্টুং চ পরন্তপ।।

    গীতা—১১/৫৪/

    ঈশ্বরদর্শন—সকরা না নিরাকার

    ব্রাহ্মভক্ত—মহাশয়! ঈশ্বরের স্বরূপ নিয়ে এত মত কেন? কেউ বলে সাকার—কেউ বলে নিরাকার—আবার সাকারবাদী নিকট নানারূপের কথা শুনতে (Kathamrita) পাই। এত গণ্ডগোল কেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—যে ভক্ত যেরূপ দেখে, সে সেইরূপ মনে করে। বাস্তবিক কোনও গণ্ডগোল নাই। তাঁকে কোনরকমে যদি একবার লাভ করতে পারা যায়, তাহলে তিনি সব বুঝিয়ে দেন। সে পাড়াতেই গেলে না—সব খবর পাবে কেমন করে?

    একটা গল্প শোনঃ

    একজন বাহ্যে গিছিল। সে দেখলে যে গাছের উপর একটি জানোয়ার রয়েছে। সে এসে আর একজনকে বললে, দেখ অমুক গাছে একটি সুন্দর লাল রঙের জানোয়ার দেখে এলাম। লোকটি উত্তর করলে, আমি যখন বাহ্যে গিছিলাম আমিও দেখেছি—তা সে লাল রঙ হতে যাবে কেন? সে জে সবুজ রঙ! আর-একজন বললে (Kathamrita), না না—আমি দেখেছি হলদে! এইরূপে আরও কেউ কেউ বললে, না জরদা, বগুনী, নীল ইত্যাদি। শেষে ঝগড়া। তখন তারা গাছতলায় গিয়ে দেখে, একজন লোক বসে আছে। তাকে জিজ্ঞাসা করাতে সে বললে, আমি এই গাছতলায় থাকি, আমি সে জানোয়ারটিকে বেশ জানি—তোমার যা যা বলছ, সব সত্য—সে কখন লাল, কখন সবুজ, কখন হলদে, কখন নীল আরও সব কত কী হয়! বহুরূপী। আবার কখন দেখি, কোন রঙই নাই। কখন সগুণ, কখন নির্গুণ।

    অর্থাৎ যে ব্যক্তি সদা-সর্বদা ঈশ্বরচিন্তা (Ramakrishna) করে সেই জানতে পারে তাঁর স্বরূপ কি? সে ব্যক্তিই জানে যে, তিনি নানারূপে দেখা দেন, নানাভাবে দেখা দেন—তিনি সগুণ, আবার তিনি নির্গুণ। যে গাছতলায় থাকে, সেই জানে যে বহুরূপীর নানা রঙ—আবার কখন কখন কোন রঙই থাকে না। অন্য লোক কেবল তর্ক ঝগড়া করে কষ্ট পায়।

    আরও পড়ুনঃ “মহাশয় ঈশ্বরকে কি দেখা যায়? যদি দেখা যায়, দেখতে পাই না কেন?”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Port: ভারতের জন্য গ্রেট নিকোবর দ্বীপে আন্তর্জাতিক ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্ট কতটা গুরুত্বপূর্ণ জানেন? 

    Port: ভারতের জন্য গ্রেট নিকোবর দ্বীপে আন্তর্জাতিক ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্ট কতটা গুরুত্বপূর্ণ জানেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেট নিকোবরে ৪১০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগে নির্মিত হচ্ছে ট্রান্স-শিপমেন্ট পোর্ট (Port)। ভারত সরকার গালাথিয়া উপসাগরে গ্রেট নিকোবর দ্বীপে আন্তর্জাতিক ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর (Great Nicobar Transhipment Port) প্রকল্পকে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে চলেছে। এই বন্দর প্রকল্পটি শুরু করার সময় প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার মতো একটি বিষয় প্রথমে উদ্বেগ তৈরি করেছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে পরিবেশ এবং জলবায়ু মন্ত্রক থেকে ছাড়পত্র পাওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গে ন্যাশনাল গ্রীন ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি) থেকেও অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। ফলে বাস্তবায়নে আর কোনও বাধা নেই। এই বন্দর ভারতের আন্তর্জাতিক আমদানি-রফতানির জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

    বন্দর সচিবের বক্তব্য (Great Nicobar Transhipment Port)

    সংবাদ মাধ্যমের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় বন্দর, নৌপরিবহণ এবং জলপথ সচিব টি কে রামচন্দ্রন বলেছেন, “এই বন্দর (Great Nicobar Transhipment Port) প্রকল্পের ডিপিআরও চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং আমরা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এটির আরও বাস্তবায়নের জন্য কাজ শুরু করব। এই সমুদ্র বন্দর প্রকল্পটির জন্য অনুমানিক ব্যয় হবে প্রায় ৪১,০০০ কোটি টাকা। তবে সরকার এবং ব্যক্তিগত-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) দ্বারা প্রকল্পের অর্থ অনুমোদন করা হবে।”

    পিপিপি মডেলে তৈরি হবে

    গত বছর, বন্দর (Port), নৌপরিবহণ এবং জলপথ মন্ত্রক ঘোষণা করেছিল, ১১টি সংস্থা এই বন্দর (Great Nicobar Transhipment Port) প্রকল্পের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে, লারসেন অ্যান্ড টুব্র লিমিটেড, অ্যাফকান ইন্সুরেন্স লিমিটেড, জেএসডবলু ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের মতো কোম্পানি। বাজার ও ব্যবসার মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে স্টোরেজ এলাকা, কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সরঞ্জাম এবং অন্যান্য কাঠামো গঠন করা হবে। ৩০ থেকে ৫০ বছরের দীর্ঘমেয়াদী সময়ের জন্য পিপিপিকে ছাড় দেওয়া হবে। বন্দর পরিষেবা প্রদানের জন্য ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে কর সংগ্রহ এবং সামগ্রিক পরিচর্চার বিষয়ে তাদের বিশেষ অধিকার দেওয়া হবে।

    দুটি ধাপে সম্পন্ন হবে

    এই সমুদ্র বন্দরের (Great Nicobar Transhipment Port) প্রকল্পটি ২টি ধাপে তৈরি করা হবে। প্রথম পর্যায়ের জন্য আনুমানিক খরচ করা হবে প্রায় ১৮০০০ কোটি টাকা। এই পর্বে ব্রেকওয়াটার নির্মাণ, ড্রেজিং, পুনরুদ্ধার, বার্থ, স্টোরেজ এলাকা, বিল্ডিং এবং ইউটিলিটি, যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, ইনস্টলেশন এবং বন্দর কলোনির উন্নয়নের কাজ করা হবে। মূল অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারি সহায়তা করা হবে। দ্বিতীয় পর্বে বন্দরের জন্য পৃথক দরপত্র প্রণয়ন করা হবে। তবে প্রথম পর্যায় এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের মধ্যে সর্বাধিক সাত বছরের ব্যবধানের থাকবে। তবে যদি চাহিদা বাড়ে তবে এই সময়ের ব্যবধানটি কমিয়ে আনা হতে পারে।

    প্রকল্পের তাৎপর্য

    বর্তমানে, ভারতের ট্রান্সশিপড কার্গোর প্রায় ৭৫ শতাংশ ভারতের বাইরের বন্দরে পরিচালনা করা হয়ে থাকে। কলম্বো, সিঙ্গাপুর এবং ক্ল্যাং-এই বন্দরগুলিতে ৮৫ শতাংশেরও বেশি কাজ হয়ে থাকে৷ তবে এই ট্রান্সশিপড কার্গোর অর্ধেকের বেশি কলম্বো বন্দর দ্বারা পরিচালিত হয়। ভারতের এই বন্দর প্রকল্প অত্যন্ত কৌশলগত, কারণ এটি সিঙ্গাপুর, ক্ল্যাং এবং কলম্বোর মতো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য রুটে মধ্যে অবস্থিত। বৈদেশিক আমদানি-রফতানি এবং ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক নিরাপত্তা-সুরক্ষার বিষয় জড়িয়ে রয়েছে এই বন্দরের সঙ্গে। তাই ভারতের জন্য এই বন্দর (Great Nicobar Transhipment Port) অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। 

    আরও পড়ুনঃ অবৈধ বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করতে ঝাড়খণ্ড প্রশাসনকে নির্দেশ আদালতের

    ২০২৮ সালের মধ্যে চালু হবে বন্দর

    আন্তর্জাতিক জাহাজ বাণিজ্য পথের ৪০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থিত এই বন্দর (Great Nicobar Transhipment Port)। ২০ মিটারের বেশি প্রাকৃতিক জলের গভীরতায় জাহাজের আমদানি-রফতানির জন্য খুব সহায়ক হবে এই বন্দর। এই প্রস্তাবিত বন্দরটি সম্পূর্ণরূপে চালু হলে প্রতি বছর ১৬ মিলিয়ন কন্টেইনার ওঠা-নামানোর পরিকাঠামো নির্মিত হবে। যার প্রথম ধাপ ২০২৮ সালের মধ্যে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গ্রেট নিকোবর দ্বীপের সামগ্রিক উন্নয়নের অংশ হিসেবে একটি গ্রিনফিল্ড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেরও পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা বন্দরের (Port) সঙ্গে একযোগে বিকাশ ঘটাবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share