Tag: news in bengali

news in bengali

  • Bangladeshi Hindus: বাংলাদেশে আতঙ্কে রয়েছেন হিন্দুরা, সুরক্ষা দিক ভারত, চাইছে সঙ্ঘ

    Bangladeshi Hindus: বাংলাদেশে আতঙ্কে রয়েছেন হিন্দুরা, সুরক্ষা দিক ভারত, চাইছে সঙ্ঘ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন হিংসার ঘটনা বাড়তে শুরু করেছে। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকে হিংসা, অগ্নিসংযোগের পরিমাণ আরও বেড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় দোকানপাট লুট করা হচ্ছে। সরকারি দফতরে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। কোটা বিরোধী আন্দোলন পরিণত হয়, সরকার বিরোধী আন্দোলনে। সরকারের পতনের পর এখন হিন্দুদের (Bangladeshi Hindus) টার্গেট করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতির জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আরএসএস (RSS)।

    আরএসএসের দাবি (RSS)

    এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি হিন্দুদের রক্ষা করতে ভারত সরকারের কাছে আর্জি জানাল আরএসএস। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সর্বভারতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সুরেশ ভৈয়াজি জোশি বলেন, বাংলাদেশে (Bangladeshi Hindus) হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আরএসএস কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সম্মুখীন।” জোশি মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় একথা জানান। তিনি আরও বিশদভাবে বলেন, “বাংলাদেশ একটি ভিন্ন দেশ। সন্ত্রাস কবলিত বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি জেলায় হিন্দুদের বাড়ি এবং দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু মন্দির।

    আহ্বান জানিয়েছে ভিএইচপিও

    শুধু আরএসএস নয়, এর আগে, কেন্দ্রের কাছে একই অনুরোধ করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদও। মঙ্গলবার, ভিএইচপি নেতা অলোক কুমার বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের কথা তুলে ধরে বলেন, “সমস্ত সংখ্যালঘু হিন্দু ও শিখদের পাশে আমরা রয়েছি। হিন্দুদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, বাড়ি-ঘর, মন্দিরকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা হামলা চালাচ্ছে। ভারত অবশ্যই বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে অন্ধ হয়ে থাকতে পারে না। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নিতে ভারত সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি।’’

    হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ সেনা

    বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান একতা পরিষদ জানিয়েছে, প্রায় ৩০০ জন হিন্দুর দোকানঘর এবং বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রায় ২৪টির মতো মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। ৪০ জনের বেশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা মনে করছে, হিন্দুরা শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগের সমর্থক। সেই ভাবনা থেকেই হিন্দুদের (Bangladeshi Hindus) উপরে বেশি আঘাত নেমে আসছে বলে অভিযোগ। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা প্রদান করার কথা বললেও সকল হিন্দুদের নিরাপত্তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি বাংলাদেশের সেনাবিহিনী।  

    বাংলাদেশে কমছে হিন্দুদের সংখ্যা (Bangladeshi Hindus)

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে ২০টির বেশি জেলায় হিন্দুরা আক্রান্ত হয়েছেন। বিশেষ করে দিনাজপুর, বগুড়া, রংপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নড়াইল, যশোর, পটুয়াখালী, খুলনা, নরসিংদী, সাতক্ষীরা, টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, হাবিবগঞ্জ, ঢাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদের উপর আক্রমণ বজায় রয়েছে। ভাঙচুর শেষে (Bangladeshi Hindus) তাঁদের সম্পত্তি লুটপাট করা হয়েছে। বাংলাদেশ ২৫ শতাংশ থেকে কমতে কমতে হিন্দুদের জনসংখ্যা ৮ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vinesh Phogat: স্বপ্নভঙ্গ বিনেশের! এক্স হ্যান্ডেলে সান্ত্বনা-পোস্ট মোদির, ফোন পিটি ঊষাকেও

    Vinesh Phogat: স্বপ্নভঙ্গ বিনেশের! এক্স হ্যান্ডেলে সান্ত্বনা-পোস্ট মোদির, ফোন পিটি ঊষাকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর সোনার পদকের লক্ষ্যে প্যারিস অলিম্পিক্সে নামার কথা ছিল বিনেশ ফোগাটের (Vinesh Phogat)। কিন্তু সব যেন এক লহমায় বদলে গেল। খেলা শুরুর আগেই বুধবার সকালে অলিম্পিক্সে কুস্তির ফাইনাল থেকে বাদ পড়ল বিনেশ ফোগাটের নাম। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। একইসঙ্গে বিনেশের মনোবল বাড়িয়ে, তাঁর পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।

    কী জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi) 

    বিনেশকে (Vinesh Phogat) সান্ত্বনা দিয়ে এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘তুমি তো বরাবরই চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসো। আমার বিশ্বাস তুমি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে। আমরা তোমার পাশে আছি।’’একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “বিনেশ, তুমি চ্যাম্পিয়নের চ্যাম্পিয়ন! তুমি দেশের গর্ব এবং প্রতিটি ভারতীয়ের কাছে অনুপ্রেরণা। আজকের ধাক্কাটা বেদনাদায়ক। আমি কী অনুভব করছি, তা যদি শব্দে বোঝাতে পারতাম..”

    উত্তাল হয়ে উঠল সংসদ

    প্রসঙ্গত, বুধবার রাতেই প্যারিস অলিম্বিক্সে (Paris Olympics) কুস্তির ফাইনাল খেলার কথা ছিল বিনেশের (Vinesh Phogat)। তার আগে বুধবার সকালে হঠাৎই তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় তিনি ফাইনাল খেলতে পারবেন না। কারণ তাঁর ওজন নির্ধারিত সীমার থেকে ১০০ গ্রাম বেশি রয়েছে। আর বিনেশের নাম অলিম্পিক্স থেকে বাদ হওয়ার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ ভবন। বিরোধীরা অভিযোগ করেন, ফাইনালে পৌঁছেও বিনেশের এমন আচমকা বাদ যাওয়া সাধারণ ঘটনা হতে পারে না। এর নেপথ্যে নিশ্চই কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে। এমনকি, তাতে ভারত সরকারেরও হাত থাকতে পারে। 

    আরও পড়ুন: মাত্র ১০০ গ্রাম ওজন বেশি! ফাইনালে উঠেও ডিসকোয়ালিফায়েড বিনেশ ফোগট

    পিটি ঊষাকে ফোন মোদীর

    যদিও বিনেশের (Vinesh Phogat) নাম ফাইনাল থেকে বাদ পড়তেই ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থার প্রেসিডেন্ট পিটি ঊষাকে ফোন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঊষার কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানতে চান, ঠিক কী ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত কী কী করতে পারে, সেটাও জানতে চান মোদি। প্রধানমন্ত্রী এটাও বলেন, এই শাস্তির বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ জানালে যদি ফোগাটের কোনও লাভ হয়, তা হলে সেটাও যেন করা হয়। জানা গিয়েছে, বিনেশকে ফাইনাল থেকে বাতিল করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের উপর হিংসা অব্যাহত, উদ্ধার ২৯ জনের দেহ

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের উপর হিংসা অব্যাহত, উদ্ধার ২৯ জনের দেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকেই বাংলাদেশে জুড়ে হিংসা (Bangladesh Crisis) মারাত্মক আকার নিয়েছে। গত ৫ অগাস্ট থেকে আওয়ামি লিগের (Awami League) নেতা-কর্মীদের উপর ব্যাপক হামলা অব্যাহত। সোমবার থেকেই সেদেশে হিংসার ঘটনায় বহু লিগ কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। কোথাও বাড়ি-ঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে আবার কোথাও চলছে সম্পত্তির লুটপাট। এমনকী রেহাই পাচ্ছেন না দলের কর্মীদের পরিবারও। বুধবার হাসিনার দলের ২৯ জনের নেতা-কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দেশজুড়ে এখনও পর্যন্ত হিংসার বলি ৪০০-র বেশি। একইভাবে, হাসিনার সহকর্মী মন্ত্রী, সাংসদদের ঘরে ঘরে হানা দিচ্ছে সেনাশাসিত বাংলাদেশের গোয়েন্দারা। অন্যদিকে, হামলা চলছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরে।

    বগুড়া-লালমনিরহাট-সাতক্ষীরায় চলছে হত্যালীলা (Bangladesh Crisis)!

    দ্য ঢাকা ট্রিবিউন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সাতক্ষীরায় উন্মত্ত জনতার হাতে নিহত হয়েছেন ১০ জন আওয়ামি লিগ (Awami League) কর্মী। একই দিনে কুমিল্লায় নিহত কমপক্ষে ১১ জন। তাঁদের মধ্যে ৫ জন কিশোর। হাসিনার দলের প্রাক্তন কাউন্সিলর মহম্মদ শাহ আলমের বাড়িতে দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে ভস্মীভূত করে দিয়েছে। এই বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন আরও ৬ জন। আবার মঙ্গলবার আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুলের বাড়িতে। সেখানেও চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সোনাগাজী উপজেলায় যুব লিগের আরও দুই নেতার দেহ পাওয়ার খোঁজ মিলেছে। লালামনিরহাট থেকে সেই জেলার আওয়ামি লিগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন খানের বাড়ি থেকে ৬ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। বগুড়াতে আরও দুই যুবলিগের নেতাকে কুপিয়ে খুন করেছে বিক্ষোভকারীরা। উল্লেখ্য, মনে করা হয়েছিল হাসিনার পদত্যাগের পর অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির কিছুটা বদল ঘটবে, কিন্তু সেনাপ্রধান দেশের মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষায় চূড়ান্ত ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। দেশজুড়ে চলছে ভাঙচুর, লুটপাট। গত তিন দিন ধরে দেশজুড়ে শয়ে শয়ে মানুষ হিংসার প্রত্যক্ষ শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। একই ভাবে হামলাকারীদের থেকে রেহাই পাচ্ছেন না সংখ্যালঘু হিন্দুরাও। ভারতের অভ্যন্তরেও একাধিক সামজিক সংগঠন বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। 

    বিএনপি ও জামাতপন্থী আইনজীবীরা আগুন দিয়েছে

    অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগে কার্যত জ্বলছে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। প্রথম আলো সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল বিএনপি ও জামাতপন্থী আইনজীবীরা। এই ভবনের মূল প্রবেশদ্বারের কাছে বঙ্গবন্ধু কর্নারেও চালানো হয় ব্যাপক ভাঙচুর। একই ভাবে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় সেখানকার বইপত্রে। পুড়িয়ে ফেলা হয় শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি। সূত্রের খবরে আরও জানা গিয়েছে, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুর রহমান হাওলাদার এবং সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার শাহাদাত শাওনের কার্যালয়েও ভাঙচুর চালায় তাণ্ডবকারীরা। সেই দেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুপরের পর থেকে ঢাকায় আওয়ামি লিগের (Awami League) সদর দফতরে চলছে ব্যাপক লুটপাট, সেই সঙ্গে লাগানো হয়েছে আগুন।

    আরও পড়ুনঃ অরাজক পরিস্থিতি বাংলাদেশে, অব্যাহত হিন্দু নিধন যজ্ঞ

    দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন একাধিক মন্ত্রী

    ঢাকা টাইমস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে হাসিনা সরকারের একাধিক মন্ত্রী এবং সাংসদরা দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী, ক্রীড়ামন্ত্রী, সমবায়মন্ত্রীও বিদেশে চলে গিয়েছেন। ইতিমধ্যে আরও কয়েকজন মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই ভাবে সেনাশাসিত গোয়েন্দারা আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে হানা দিচ্ছে। রীতিমতো তীব্র রাজনৈতিক এই সঙ্কটের মধ্যে উত্তেজিত আক্রমণকারীদের রোষানলে পড়েতে হচ্ছে লিগ সমর্থিত লোকজনকে। আইনের শাসন সম্পূর্ণভাবে নেই বললেই চলে।

    উদ্বিগ্ন ভারত সরকার

    শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকেই উন্মত্ত দুষ্কৃতীরা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শত শত বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ-ভাংচুর করছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংসদে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার বক্তব্য রেখেছেন। পরিস্থিতি অত্যন্ত  উদ্বেগজনক এবং তার ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। একইভাবে নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে জয়শঙ্কর বলেছেন, “শেখ হাসিনা দিল্লিতে আসার কথা জানিয়ে অল্প সময়ে আবেদন করলে, ভারত সরকার সদর্থক ভূমিকা পালন করেছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vinesh Phogat: মাত্র ১০০ গ্রাম ওজন বেশি! ফাইনালে উঠেও ডিসকোয়ালিফায়েড বিনেশ ফোগট

    Vinesh Phogat: মাত্র ১০০ গ্রাম ওজন বেশি! ফাইনালে উঠেও ডিসকোয়ালিফায়েড বিনেশ ফোগট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বপ্নভঙ্গ! তীরে এসে তরী ডুবল বিনেশ ফোগটের (Vinesh Phogat)। প্যারিস অলিম্পিক্সের ফাইনালে উঠেও খেলতে পারলেন না ভারতীয় এই কুস্তিগির। এবারের অলিম্পিক্সে (Paris Olympics) মহিলাদের ৫০ কেজি বিভাগে নেমেছিলেন বিনেশ। বুধবার ছিল ফাইনাল। কিন্তু খেলা শুরুর আগে বুধবার সকালে তাঁর ওজন মাপা হয়। সেখানেই দেখা যায় ১০০ গ্রাম বেশি ওজন রয়েছে তাঁর। সেই কারণে ফাইনাল থেকে বাদ পড়ল বিনেশের নাম। 

    ফাইনালে উঠেও হৃদয়ভঙ্গ বিনেশের (Vinesh Phogat)

    বিনেশ সাধারণত ৫৩ কেজি বিভাগে লড়াই করেন। কিন্তু এ বারের অলিম্পিক্সে (Paris Olympics) তিনি নেমেছিলেন ৫০ কেজি বিভাগে। সেমিফাইনালে কিউবার গুজমান লোপেজকে হারিয়ে ফাইনালে নিজের নাম পাকা করেছিলেন বিনেশ। ভিডিও কল করে মাকে জানিয়েছিলেন, “সোনা জিততে হবে। সোনা জিতে দেশে ফিরব।” কিন্তু সোনা জেতার স্বপ্ন আর পূরণ হল না তাঁর। আসলে প্রতিযোগিতার আগে নিয়ম মাফিক ওজন মাপা হয় তাঁর। সেখানেই দেখা যায়, প্রতিযোগীর ওজন ৫০ কেজির থেকে ১০০ গ্রাম বেশি। এই আবহে ভিনেশ সেই ওজন ঝড়ানোর জন্যে অতিরিক্ত কিছুটা সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। অলিম্পিক্স ফাইনাল থেকে বাতিল হয়ে যায় বিনেশের নাম। ফলে এবারের অলিম্পিক্সে কোনও পদকই আর জেতা হল না তাঁর।

    আরও পড়ুন: প্যারিসে দুরন্ত শুরু ‘সোনার ছেলে’র, প্রথম থ্রোতেই জ্যাভলিনের ফাইনালে নীরজ

    এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে যে, কুস্তিতে মহিলাদের ৫০ কেজির ফাইনাল থেকে বিনেশ ফোগাট (Vinesh Phogat) বাতিল হয়ে গিয়েছে। ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে সারা রাত ধরে চেষ্টা করা হয়েছিল বাড়তি ওজন কমানোর। কিন্তু আজ সকালে ৫০ কেজির থেকে কিছু গ্রাম বেশি ওজন হয়েছে ওর। এখনই ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে এর বেশি কিছু জানানো হবে না।’’ 

    খেলার নিয়ম (Paris Olympics)

    আসলে অলিম্পিক্সে খেলার আগে নিয়ম অনুযায়ী, কুস্তিগীরদের দুদিন ওজন পরীক্ষা করা হয়। প্রথম দিন কুস্তিগীরদের ওজনের জন্য সময়সীমা থাকে ৩০ মিনিট, আর দ্বিতীয় দিন ওজনের জন্য সময় থাকে ১৫ মিনিট। এই সময়ের মধ্যে যতবার ইচ্ছে খেলোয়াড়েরা ওজন পরীক্ষা করতে পারে। এছাড়াও খেলোয়াড়দের সংক্রামক রোগের কোনও লক্ষণ আছে কিনা তাও পরীক্ষা করা হয়। একইসঙ্গে হাতের নখ ছোট করে কাটা কিনা তাও দেখা হয়। এইসমস্ত পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই খেলার অনুমতি মেলে। তাই বুধবার খেলতে নামার আগে শেষ ওজন পরীক্ষার সময়ই মাত্র ১০০ গ্রাম ওজন বেশি হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী, অলিম্পিক্স (Paris Olympics)  থেকে বাদ পড়লেন বিনেশ (Vinesh Phogat)। যদিও এ প্রসঙ্গে কোনও বাক্যব্যয় করেনি ভারতীয় দল বা বিনেশ ফোগট। বিনেশের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাঁকে বিরক্ত না করার জন্যে অনুরোধ করা হয়েছে সংবাদমাধ্যমকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 97: “সংসারীর তমোগুণের লক্ষণ—নিদ্রা, কাম, ক্রোধ, অহংকার”

    Ramakrishna 97: “সংসারীর তমোগুণের লক্ষণ—নিদ্রা, কাম, ক্রোধ, অহংকার”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    মাঞ্চ যোহথব্যভিচারেণ ভক্তিযোগেন সবতে।

    স গুণান্‌ সমতীত্যৈতান্‌ ব্রহ্মভূয়ায় কল্পতে।।

    গীতা—১৪/২৬

    নিতাই কোনরকমে হরিনাম করিয়ে নিতেন। চৈতন্যদেব বলেছিলেন (Kathamrita), ঈশ্বরের নামে ভারী মাহাত্ম্য (Ramakrishna)। শীঘ্র ফল না হতে পারে, কিন্তু কখন না কখন এর ফল হবেই হবে। যেমন কেউ বাড়ির কার্নিসের উপর বীজ রেখে গিয়েছিল; অনেকদিন পরে বাড়ি ভূমিসাৎ হয়ে গেল, তখন সেই বীজ মাটিতে পড়ে গাছ হল ও তার ফলও হল।

    মানুষ্যপ্রকৃতি ও গুণত্রয়—ভক্তির সত্ত্ব, রজঃ, তমঃ

    যেমন সংসারীদের মধ্যে স্বত, রজঃ, তমঃ তিন গুণ আছে; তেমনি ভক্তিরও স্বত্ব, রজঃ, তমঃ তিন গুণ আছে।

    সংসারীর স্বত্বগুণ কিরকম জানো? বাড়িতে এখানে ভাঙা, ওখানে ভাঙা—মেরামত করে না। ঠাকুরদালানে (Ramakrishna) পায়রাগুলো হাগছে, উঠানে শেওলা পড়েছে হুঁশ নাই। আসবাবগুলো পুরানো, ফিটফাট করবার চেষ্টা নাই। কাপড় যা তাই একখানা হলেই হল। লোকটি খুব শান্ত, শিষ্ট, দয়ালু, অমায়িক, কারু কোনও অনিষ্ট করে না।

    সংসারীর রজোগুণের লক্ষণ আবার আছে। ঘড়ি, ঘড়ির চেন, হাতে দুই-তিনটা আঙটি। বাড়ির আসবাব খুব ফিটফাট। দেওয়ালে কুইনের ছবি, রাজপুত্রের ছবি, কোন বড় মানুষের ছবি। বাড়িটি চুনকাম করা, যেন কোনখানে একটু দাগ নাই। নানারকমের ভাল পোশাক। চাকরদেরও পোশাক। এমনি এমনি সব।

    সংসারীর তমোগুণের লক্ষণ—নিদ্রা, কাম, ক্রোধ, অহংকার এই সব।

    আর ভক্তির (Ramakrishna) সত্ত্ব আছে। যে ভক্তের স্বত্বগুণ আছে, সে ধ্যানকরে অতি গোপনে। সে হয়তো মশারির ভিতর ধ্যান করে—সবাই জানছে, ইনি শুয়ে আছেন, বুঝি রাত্রে ঘুম নাই, তাই উঠতে দেরি হচ্ছে। এদিকে শরীরের উপর আদর কেবল পেটচলা পর্যন্ত; শাকান্ন পেলেই হল। খাবার ঘটা নাই। পোশাকের আড়ম্বর নাই। বাড়ির আসবাবের জাঁকজমক নাই। আর সত্ত্বগুণী ভক্ত কখনও তোষামোদ করে ধন লয় না।

    ভক্তির রজঃ থাকলে সে ভক্তের হয়তো তিলক আছে, রুদ্রাক্ষের মালা আছে। সেই মালার মধ্যে মধ্যে আবার একটি সোনার দানা। (সকলের হাস্য) যখন পূজা করে, গরদের কাপড় পরে পূজা করে।

    আরও পড়ুনঃ “ঈশ্বরের নামে ভারী মাহাত্ম্য, শীঘ্র ফল না হতে পারে, কিন্তু…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে নিপীড়িত হিন্দুরা, ভিডিও শেয়ার করে পাশে দাঁড়ালেন সোনু সুদ

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে নিপীড়িত হিন্দুরা, ভিডিও শেয়ার করে পাশে দাঁড়ালেন সোনু সুদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন এখন সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের (Bangladesh Crisis) রূপ নিয়েছে। হিন্দু নিধনের বিরুদ্ধে ভারতের বিশ্বহিন্দু পরিষদ ইতিমধ্যে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। গত সোম–মঙ্গলবার চলেছে লাগাতার হিন্দুদের উপর অত্যাচার। নির্বিচারে মন্দির ও মূর্তি ভাঙার ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে। সামাজিক মাধ্যমে উঠে আসছে নিপীড়িত হিন্দুদের বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ছবি। এবার ‘হিন্দুদের ওপর নির্যাতন’ নিয়ে ভিডিও শেয়ার করলেন বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ (Sonu Sood)। তিনি স্পষ্ট অবস্থান নিয়ে বলেছেন, “এটা খালি আমাদের সরকারের দায়িত্ব নয়, ওঁদের জীবনে যাতে শান্তি ফেরে তার জন্য সকলের ভাবা উচিত।”

    কী বললেন সোনু সুদ (Bangladesh Crisis)?

    রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে চলেছে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। আইন-শৃঙ্খলার চূড়ান্ত অবনতি ঘটেছে। আন্দোলনকারীরা গণভবন লুট করার পর থেকেই টানা ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে রংপুর, ঢাকা, খুলনা, যশোর, সিলেট, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, গোপালগঞ্জে চলছে নির্বিচারে হিন্দুদের উপর অত্যাচার। সমাজিক মাধ্যমে লাইভ করে নিজেদের ওপর হওয়া অত্যাচারের বিবরণ দিয়ে ভেঙে পড়ছেন হিন্দুরা। ঠিক এমন এক মহিলার ওপর অত্যাচারের ভিডিও বিনিময় করে সোনু (Sonu Sood) বলেছেন, “আমাদের সবটা দিয়ে নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। ভারতীয় নাগরিকদের অবিলম্বে বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। অত্যাচারের শিকার হওয়া মানুষদের জীবন সুরক্ষিত করতে সকলকে একসঙ্গে কাজে নামতে হবে। শুধু ভারত সরকারের একক কাজ নয়। ওঁদের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ জীবন দেওয়ার প্রচেষ্টা করা প্রয়োজন। ওঁরাও নিজের মতো করে আপ্রাণ চেষ্টা করছে। আমাদেরও একটা বড় দায়িত্ব রয়েছে। জয় হিন্দ।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘একমাত্র মোদি পারবেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে’’, দাবি বিজেপি সাংসদের

    আইনের শাসন প্রয়োগে কি ব্যর্থ সেনা বাহিনী?

    বাংলাদেশে বিক্ষোভকারীদের (Bangladesh Crisis) চূড়ান্ত রাজনৈতিক সন্ত্রাসের কারণে হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। সেই দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন এবং নাগরিকদের জান-মালের সুরক্ষার কথা জানিয়ে দায়িত্ব নিয়েছিলেন সেনাপ্রধান। কিন্তু বাস্তবে আইনের শাসন প্রয়োগে ব্যর্থ হয় সেনাবাহিনী। পুলিশকে লক্ষ্য করে আন্দোলনকারীরা সারা দেশজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে। আওয়ামি লীগের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদ-সমর্থক, প্রাক্তন ক্রিকেটার, অভিনেতা, সাংবাদিক কাউকেই রেহাই দেওয়া হচ্ছে না। তবে সব থেকে বড় টার্গেট করা হয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়ি-ঘর, সম্পত্তি এবং মন্দিরকে। বাংলাদেশের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীরা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। একই ভাবে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ইস্কনের মন্দির ভাঙচুর, ছত্রখান বিগ্রহও

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ইস্কনের মন্দির ভাঙচুর, ছত্রখান বিগ্রহও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ আর ২০২৪ সালের মধ্যে সময়ের ফারাক বিস্তর। কালের নিয়মে এই সময়-পর্বে পদ্মা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। তবে নানা অছিলায় বাংলাদেশে হিন্দু নিধন যজ্ঞ (Bangladesh Crisis) বন্ধ হয়নি। ১৯৭১ আর ২০২৪ সাল দুটোর প্রেক্ষাপট আলাদা। তবে বাংলাদেশি মুসলমানদের (Islamist Mob) চাঁদমারি কিন্তু সেই হিন্দুরা। যেন-তেন-প্রকারে হিন্দু বিতাড়ন কিংবা নিধন করে জমিজমা দখল করাই পরোক্ষ লক্ষ্য বাংলাদেশি মুসলমানদের, এমনটাই বলছেন অভিজ্ঞরা। প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও সেই কারণেই হিন্দুদের মন্দিরে হানা দিচ্ছে বাংলাদেশি মুসলমানরা। বাংলাদেশের মেহেরপুরে রয়েছে ইস্কনের মন্দির। এই মন্দিরের মুখপাত্র সুমোহন মুকুন্দ দাস সেই অবর্ণনীয় (Bangladesh Crisis) ছবির ভিডিও শেয়ার করেছেন। ৫ অগাস্ট রাতে এই মন্দিরে ভাঙচুর চালায় মুসলমানরা। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় নিরপরাধ দেব বিগ্রহগুলিকে।

    কী বলছেন ইস্কনের সেবায়েত

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, “বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭০ সালের চেয়ে খুব একটা আলাদা কিছু নয়। বেছে বেছে আক্রমণ করা হচ্ছে হিন্দু রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং মন্দিরগুলিকে।” ইস্কনের ওই মন্দিরের মুখপাত্র বলেন, “ওরা আমাদের ইস্কন মন্দিরকে টার্গেট করেছিল। ভাঙচুর করেছে। মন্দিরের ভেতরে বোমা বিস্ফোরণও করা হয়েছে।” প্রাণ বাঁচাতে বিগ্রহকে অন্তর্যামীর ভরসায় রেখে রাতের অন্ধকারে জঙ্গলে আশ্রয় নেন তাঁরা। তিনি বলেন, “আমি এখনও জঙ্গলেই লুকিয়ে রয়েছি। স্থানীয় কয়েকজনের বাড়িতে (Bangladesh Crisis) আশ্রয় নিতে গিয়েছিলাম। তারা মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। বলেছিল, আপনাদের আশ্রয় দিলে ওরা (মুসলমানরা) আমাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেবে। অগত্যা জঙ্গলেই আশ্রয় নিতে হল। এখনও জঙ্গলেই লুকিয়ে রয়েছি। আপনাদের মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে বলতে চাই, বাংলাদেশে হিন্দুরাই টার্গেট মুসলমানদের। ১৯৭১ থেকে ২০২৪ – হিন্দু-পীড়ন চলছেই।”

    বাংলাদেশের আর একটি ইস্কনের মুখপাত্র যুধিষ্ঠির গোবিন্দ দাস বলেন, “খবর যা পেয়েছি, তাতে জেনেছি মেহেরপুরে আমাদের ইস্কনের মন্দিরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। মন্দিরে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহ ছিল। মন্দিরে যে তিন ভক্ত ছিলেন, তাঁরা কোনওক্রমে পালিয়ে বেঁচেছেন। দুষ্কৃতীরা রেহাই (Bangladesh Crisis) দেয়নি বিগ্রহদের।” আধপোড়া বিগ্রহের ছবি ভাইরাল হয়েছে। তাতে দুঃখ পেয়েছেন ভারতীয় হিন্দুরা। তাতে অবশ্য কিছু যায় আসে না বাংলাদেশি মুসলমানদের।

    সুপ্ত ইচ্ছে (Bangladesh Crisis)

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হিন্দুদের সম্পত্তি দখল যদি একটা উদ্দশ্যে হয়, তাহলে আরও একটা সুপ্ত ইচ্ছে আছে বাংলাদেশি মুসলমানদের। সেটা হল, বাংলাদেশকে হিন্দুশূন্য রাষ্ট্রে পরিণত করা। সেই কাজটাই সুচারুভাবে করে চলেছে বাংলাদেশি মুসলমানদের একটা বড় অংশ। তাই কোনও একটা ছুতো পেলেই বাংলাদেশি মুসলমানদের সফট টার্গেটে পরিণত হয় হিন্দুদের মন্দির ও আরাধ্য দেবতা। হিন্দু মতে বিগ্রহ নাবালক, তাই তাঁর সেবা করতে হয় শিশুপুত্র কিংবা শিশুকন্যার মতো। অভিভাবক যে গৃহস্থ, খুন করা হয় তাঁকেও। 

    স্পিকটি নট ‘সোনার বাংলা’র বুদ্ধিজীবীরা

    যারা যুক্তি-বুদ্ধির ধার ধারে না, তারা যে দেবতাকেও রেহাই দেবে না, তা তো জলের মতোই পরিষ্কার। সংখ্যালঘুদের পালক চাপা দিয়ে রক্ষা করা যে সংখ্যাগুরুদের কর্তব্য, তা ধর্তব্যের মধ্যেই আনে না বাংলাদেশের সিংহভাগ মুসলমান। তাই দেশে হিন্দু নিধন যজ্ঞ হলেও, স্পিকটি নট ‘সোনার বাংলা’র বুদ্ধিজীবীরা। মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকেন বাংলাদেশের ভারতীয় জামাইরাও। তাই মুসলমানদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয় হিন্দুর দেবতাকে। ১৯৭১ সালে যখন স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়, তখন সেই ডামাডোলের বাজারেও বাংলাদেশে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে হিন্দুদের। যার জেরে প্রাণ বাঁচাতে কাতারে কাতারে বাংলাদেশি হিন্দু রাতের (Bangladesh Crisis) আঁধারের বুক চিরে চলে এসেছেন ভারতে। সেই সঙ্কটকালেও স্রেফ দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে যাঁরা রয়ে গিয়েছিলেন ওপার বাংলায়, তাঁদের অবস্থা করুণ।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক ভারত সরকার, আর্জি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    নিত্য কমছে হিন্দুর হার

    পরিসংখ্যান (Islamist Mob) বলছে, স্বাধীন বাংলাদেশ গঠিত হওয়ার সময় সে দেশে হিন্দুর হার ছিল মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশের আশপাশে। কমতে কমতে ৫৪-৫৫ বছরে সেটাই এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র আট শতাংশে। এই সামান্য শতাংশকেও ভিটেমাটি ছাড়া করতে পারলে কেল্লাফতে। বাংলাদেশ হয়ে যাবে একশো শতাংশ মুসলমানের দেশ। এই মুসলমানের ‘দ্যাশ’ করতে গিয়েই খুন করা হচ্ছে সে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের (Bangladesh Crisis)। ২০২৪ সালের ছবিটাও সেই সময়কার চিত্রের চেয়ে খুব একটা আলাদা নয়। 

    অকৃতজ্ঞ!

    সনাতন ধর্মের আঁতুড়ঘর যে ভারতের সাহায্য ছাড়া স্বাধীন হতে পারত না বাংলাদেশ, যে ভারতের আর্থিক সাহায্য ছাড়া বাংলা হতে পারত না সোনার বাংলা, সেই দেশেই স্লোগান ওঠে ‘ইন্ডিয়া আউট’। দিনের বেলায় যারা ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগান দেয়, সূর্য অস্ত গেলে তারাই লোটাকম্বল নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে দুমুঠো ভাতের আশায় চলে আসে ভারতে। তুষ্টিকরণের রাজনীতির কারবারিদের আশ্রয়ে এবং প্রশ্রয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করে তারা মিশে যায় ভারতীয় জনারণ্যে। ভারত হয়ে ওঠে ‘বিবিধের মাঝে মিলন মহানে’র দেশ। আর ‘আ-মরি বাংলা ভাষা’র দেশের (Islamist Mob) হিন্দুরা বলতে ভয় পান (Bangladesh Crisis), “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি…”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Rail Service: ভারত-বাংলাদেশের বাতিল ট্রেনের টিকিটের টাকা ফেরত দিচ্ছে রেল

    India Bangladesh Rail Service: ভারত-বাংলাদেশের বাতিল ট্রেনের টিকিটের টাকা ফেরত দিচ্ছে রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ (India Bangladesh Rail Service) বাতিল ট্রেনের টিকিটের (Train Ticket) টাকা ফেরত দিচ্ছে রেল। মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রীদের জন্য এই বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখন অগ্নিগর্ভ। ওই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক। হাসিনাকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে হয়েছে। রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগ সরকার ভেঙে দিয়েছেন। সেনাবাহিনী আইনের শাসন ফেরাতে ব্যর্থ। সোমের পর মঙ্গলবারও বহু জায়গায় খুন, হত্যা, লুটপাট, ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগের খবর উঠে আসছে। দেশের বেশিরভাগ থানায় নেই কোনও পুলিশ। রাজধানী ঢাকা সহ একাধিক জেলায় জেলায় চলছে ব্যাপক হিংসাত্মক ঘটনা। সংখ্যালঘু হিন্দু সামাজের ওপরও চলছে নির্বিচারে অত্যাচার।

    বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে খবর (India Bangladesh Rail Service)

    বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯ জুলাইয়ের কলকাতা থেকে ঢাকাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি (India Bangladesh Rail Service) এবং ২০ জুলাই কলকাতা থেকে খুলনাগামী বন্ধন এক্সপ্রেস বাতিল আগেই করা হয়েছিল। এই দুই ট্রেনে অনেক মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে টিকিট (Train Ticket) কেটে ছিলেন, কিন্তু ট্রেন বাতিল হওয়ায় যাত্রীরা গন্তব্যে যাত্রা করতে পারেননি। এবার যাত্রীরা যাতে টিকিটের সম্পূর্ণ মূল্য ফেরত পান, সেই দিকে রেল বিশেষভাবে নজর দিয়েছে। কবে কখন কোন কাউন্টার থেকে ট্রেনের টিকিট দাম ফেরত পাওয়া যাবে, সেই সব কিছু বিশদে জানিয়ে দেওয়া হবে সামজিক মাধ্যমে। তবে বেশির ভাগ যাত্রীই এই সকল সুবিধা পাবেন কলকাতা স্টেশন ও ফেয়ারলি প্লেসের টিকিট কাউন্টারগুলিতে।

    আরও পড়ুনঃ ভারতীয় বায়ুসেনার সুখোই-৩০, তেজস যুদ্ধবিমানে বসতে চলেছে নতুন ‘অস্ত্র

    এখনও পর্যন্ত ৮ লক্ষ টাকার উপর ফেরত দেওয়া হয়েছে

    রেলের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, গত ২০ জুলাই, ২০২৪ থেকে ০৪ অগাস্ট, ২০২৪ পর্যন্ত ৮ লক্ষ ১২ হাজার ৮৯০ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এবং কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস (India Bangladesh Rail Service) পরিষেবা বন্ধ থাকবে আগামী ৭ অগাস্ট পর্যন্ত। বাংলাদেশের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য ভারতীয় রেলের তরফ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ রেলের তরফ থেকে পরবর্তী বার্তা না আসা পর্যন্ত রেল চালানোর তেমন কোনও ঘোষণা আপাতত নেই। জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ভারত-বাংলাদেশে রেল পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছিল।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশ সেনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে, জানালেন জয়শঙ্কর

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশ সেনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে, জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনের নাটকীয় পতনের (Bangladesh Crisis) পর ভারত সরকার বাংলাদেশের সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    আন্দোলনের জেরে হাসিনা সরকারের পতন (Bangladesh Crisis)

    সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে ছাত্ররা জুলাই মাস থেকে আন্দোলন শুরু করে। তাতে যোগ দেয় জামাত এবং বিএনপি। এরপর আন্দোলনের মোড় ঘুরে যায়। হাসিনা প্রশাসনের উপর ক্ষুব্ধ বিভিন্ন গোষ্ঠী এই বিক্ষোভ এবং হিংসায় যোগ দেওয়ার কারণে আন্দোলন উগ্র রূপ নেয় (Bangladesh Crisis) এবং অবশেষে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং ভারতে চলে আসেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে টানা চতুর্থবারের জন্য জয়ী হাসিনাকে ছয় মাসের মাথায় ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়।

    বিদেশমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া (S Jaishankar)

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) রাজ্যসভায় বলেন, “স্থিতিশীলতা এবং শান্তি গুরুত্বপূর্ণ। ১৯ হাজার ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। তাঁদের মধ্যে একটা বড় অংশকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হলেও, অনেকেই ওখানে থেকে গিয়েছেন। বাংলাদেশের বর্তমান সামরিক নেতৃত্বের সামনে তাঁদের নিরাপত্তার কথা তুলে ধরা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার চলছে, মন্দির (Bangladesh Crisis) ভাঙচুর হচ্ছে। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। সেটাও বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, ভারতের উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকরা বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং হিংসা বন্ধ করতে অনুরোধ করেছেন দরকার।

    সাহায্যের জন্য প্রস্তুত ভারত

    ভারতের (S Jaishankar) তরফে জানানো হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা এবং শান্তি বজায় রাখতে তাঁদের প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে ভারত প্রস্তুত। হাসিনার ভারতে আগমনের পর এখনও পরিস্থিতির বদল হচ্ছে। ফলে ভারত নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে। হাসিনা সরকারের পতনের পর সোমবার থেকে এ পর্যন্ত ১৫০ জনের বেশি মানুষ খুন হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে খুন করার পর তালিবানি কায়দায় রাস্তায় ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। সারাদিনের অস্থিরতা এবং উত্তেজনার পর ধীরে ধীরে মঙ্গলবার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: জ্বলছে বাংলাদেশ! আওয়ামি নেতার হোটেলে আগুন, মৃত ২১, খুন অভিনেতাও

    বাস ও যানবাহন রাস্তায় নামতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা অল্প হলেও কিছু দোকানপাট খুলেছেন। ব্যাংক খুলেছে ফের। তবুও মানুষ রাস্তায় বের হতে ভয় পাচ্ছেন। পরিস্থিতি এখনও থমথমে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Embassy: অগ্নিগর্ভ ব্রিটেন! আন্দোলনের আঁচ থেকে বাঁচতে ভারতীয়দের নির্দেশিকা হাইকমিশনের

    Indian Embassy: অগ্নিগর্ভ ব্রিটেন! আন্দোলনের আঁচ থেকে বাঁচতে ভারতীয়দের নির্দেশিকা হাইকমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুষ্কৃতী হামলাকে কেন্দ্র করে যে আন্দোলন (UK issues) শুরু হয়েছে ব্রিটেনে, এবার সেই আন্দোলনের আঁচ থেকে ব্রিটেনে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের বাঁচাতে সতর্কবার্তা জারি করেছে ভারতীয় হাইকমিশন (Indian Embassy)। যাঁরা ভারত থেকে ব্রিটেনে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে তাঁদেরকেও। 

    কী কারণে এই বিক্ষোভ? (UK issues) 

    সম্প্রতি ব্রিটেনের সাউথপোর্টে এক নাচের ক্লাসে ছুরি নিয়ে হামলা চালায় এক দুষ্কৃতী। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় ৩ জনের। রটে যায় ওই হামলাকারী একজন অভিবাসী এবং ইসলামিক কট্টরপন্থী। তার পর থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ মানুষ। দেশের নানা প্রান্তে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বর্তমানে কার্যত যা দাঙ্গার রূপ নিয়েছে। জায়গায় জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি দোকান ভাঙচুর, লুটপাটের অভিযোগ উঠছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতেই ব্রিটেনে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক করল ভারতীয় হাইকমিশন (Indian Embassy)। তবে ইতিমধ্যেই এ ঘতনায় ঘটনায় ১৫০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: নারী ক্ষমতায়নে জোর, ১৫ অগাস্ট লালকেল্লায় সম্মানিত হবেন ১৫০ জন মহিলা পঞ্চায়েত প্রধান

    এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট ভারতীয় হাইকমিশনের (Indian Embassy)

    মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে নির্দেশিকা জারি করে হাইকমিশনের তরফে জানানো হয়, ‘গত কয়েকদিন ধরে ব্রিটেনের বেশ কিছু জায়গায় অশান্তি ও অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে এখানে যে ভারতীয়রা রয়েছেন এবং যাঁরা ভারত থেকে আসছেন, তাঁদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বনের কথা বলা হচ্ছে। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ভারতীয় হাইকমিশন। সকলকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, স্থানীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর খবরে নজর রাখুন, তারপর ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিন। যেখানে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ সেই জায়গাগুলোয় এড়িয়ে চলুন। কোনও প্রয়োজন হলে হাইকমিশনের এমারজেন্সি নম্বর ৪৪২০৭৮৩৬৯১৪৭ এবং মেল আইডি inf.london@mea.gov.in-তে যোগাযোগ করুন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share