Tag: news in bengali

news in bengali

  • Gautam Gambhir: শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে দ্রাবিড়ের বার্তা গম্ভীরকে, কী বললেন জানেন?

    Gautam Gambhir: শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে দ্রাবিড়ের বার্তা গম্ভীরকে, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার শুরু হচ্ছে শ্রীলঙ্কা সিরিজ (Sri Lanka Series)। ভারতীয় দলের কোচ গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়। সেই দায়িত্বই বর্তেছে গম্ভীরের ওপর। শ্রীলঙ্কা সিরিজ শুরুর আগে দ্রাবিড়ের কাছ থেকে বিশেষ বার্তা পেলেন বর্তমান কোচ গম্ভীর।

    ভিডিও বার্তা (Gautam Gambhir)

    বিসিসিআইয়ের তরফে এই বার্তার একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দ্রাবিড়কে বর্তমান কোচের উদ্দেশে বলতে শোনা যাচ্ছে, “ক্রিকেট দুনিয়ার সব চেয়ে উত্তেজক দায়িত্ব ভারতের কোচ হওয়া। সেই কাজে তোমায় স্বাগত। তিন সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে আমি দায়িত্ব ছেড়েছি। যেভাবে শেষটা হয়েছে, তা স্বপ্নের মতো। সেটা বার্বাডোজ হোক কিংবা মুম্বইয়ে। সেই মুহূর্তগুলো আমি কোনওদিন ভুলতে পারব না। আমি চাইব, কোচ হিসেবে তুমিও এই স্বাদ পাও। আশা করব, তোমার দলের সব ক্রিকেটার সুস্থ থাকবে। সব সময় তুমি তাদের পাবে। কোচদের কিছুটা ভাগ্যের সাহায্য প্রয়োজন হয়। আশা করি, তুমি সেটা পাবে।”

    অগ্নিপরীক্ষা

    দ্রাবিড়ের রেখে যাওয়া জুতোয় পা গলিয়েছেন গম্ভীর (Gautam Gambhir)। তাই এটা তাঁর অগ্নিপরীক্ষা। পরীক্ষা নয়া টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবেরও। গম্ভীরের উদ্দেশে দ্রাবিড়কে আরও বলতে শোনা যায়, “ব্যাট করার সময় তোমায় সঙ্গী হিসেবে দেখেছি, ফিল্ডার হিসেবে দেখেছি। তুমি সব সময় জয়ের জন্য ঝাঁপাতে। আইপিএলেও তোমার হার না মানার মানসিকতা দেখেছি। তোমার মধ্যে জেতার খিদে রয়েছে। তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে সেরাটা বের করে নিয়ে আসার ক্ষমতাও রয়েছে। প্রত্যাশার চাপ থাকবে। সমালোচিতও হবে। কিন্তু তুমি কখনওই একা থাকবে না। ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ, প্রাক্তন অধিনায়ক, ম্যানেজমেন্ট তোমার পাশে থাকবে। সেই সঙ্গে থাকবে ভারতের সমর্থকরা।”

    আরও পড়ুন: জার্মানির প্রাচীনতম মসজিদে হানা পুলিশের, কারণ জানলে ভিরমি খাবেন

    এদিকে, আজ, সিরিজ শুরুর আগে অনুশীলন সেশনে অংশ নেয় টিম ইন্ডিয়া। এই সময় হার্দিক পান্ডিয়াকে দেখা গেল স্পিন বোলিং করতে। তাঁকে পেসারের ভূমিকায়ই দেখতে অভ্যস্ত ক্রিকেটপ্রেমীরা (Sri Lanka Series)। বস্তুত, বোলিং অ্যাকশনটাকেই বদলে ফেলেছেন গম্ভীর (Gautam Gambhir)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Auto Industry: লক্ষ্য ২০৩০! দেশের অটো শিল্পে প্রয়োজন ২ লাখ দক্ষ কর্মীর!

    Auto Industry: লক্ষ্য ২০৩০! দেশের অটো শিল্পে প্রয়োজন ২ লাখ দক্ষ কর্মীর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার গেরো কাটিয়ে দেশ ফিরেছে ছন্দে। কেবল দেশ নয়, বিশ্ববাজারও চাঙা। স্বাভাবিকভাবেই সুদিন ফিরেছে ভারতের অটোমোটিভ শিল্পেও (Auto Industry)। জানা গিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে এই শিল্পে ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে। দক্ষ লোকের প্রয়োজন হবে ২ লাখ। কেন্দ্র চাইছে, এই সময়সীমার মধ্যে দেশে গাড়ি শিল্পের মোট বাজারের ৩০ শতাংশ দখল করুক ইলেকট্রিক যান। সেটা করতে গেলেই প্রয়োজন দক্ষ কর্মীর। এবং সেটাও একটা-আধটা নয়, দুলাখ।

    কী বলছে সিয়াম?

    সোশ্যাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স (SIAM) জানিয়েছে, এই কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও মাইনে দিতে ১৩ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সোশ্যাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্সের তরফে প্রেসিডেন্ট বিনোদ আগরওয়াল বলেন, “আমরা যদি সামনের দিকে তাকাই, তাহলে দেখব যে সব চেয়ে বড়ো যে বাধাটা অটো শিল্পে আসবে, সেটা হল দক্ষ ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল ক্যাপাবল ম্যানপাওয়ারের মৃত্যু।” সম্প্রতি একটি ওয়ার্কশপে যোগ দিয়েছিলেন বিনোদ। সেখানেই তিনি জানান, আগামী ছ’বছরের মধ্যে কত দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন হবে।

    দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন

    আগরওয়াল ভলভো ইচার কমার্সিয়াল ভেহিক্যাল লিমিটেডের এমডি এবং সিইও-ও। তিনি জানান, ব্যাটারি টেকনোলজি (Auto Industry), পাওয়ার্ড ইলেকট্রনিক্স এবং মোটর ডিজাইন এরিয়ায় প্রচুর দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন হবে। তিনি বলেন, “গ্লোবাল ট্রেন্ডে পদক্ষেপ করতে হলে এবং আমাদের অটো শিল্পকে বৈশ্বিক কম্পিটিটিভ ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত করতে হলে জরুরি প্রয়োজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ কর্মীর। যাঁরা দক্ষ রয়েছেন, তাঁদেরও প্রশিক্ষণ দিয়ে আরও দক্ষ কর্মীতে পরিণত করতে হবে।”

    আরও পড়ুন: জার্মানির প্রাচীনতম মসজিদে হানা পুলিশের, কারণ জানলে ভিরমি খাবেন

    ভাইস প্রেসিডেন্ট শৈলেশ চন্দ্র বলেন, “২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের প্রয়োজন এক থেকে দুলাখ দক্ষ কর্মীর। সরকার যে ৩০ শতাংশ ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল তৈরির মিশন নিয়েছে, তার জন্যই প্রয়োজন এই বিপুল কর্মীর। এই কর্মীদের মধ্যে ব্লু-কলার এবং হোয়াইট কলার প্রোফেশনালস থাকবেন। কর্মীদের মধ্যে যেমন টেকনিক্যাল প্রোফেশনাল থাকবেন, তেমনি থাকবেন (SIAM) পিএইডি ডিগ্রিধারী বিজ্ঞানী এবং আর অ্যান্ড ডি ইঞ্জিনিয়াররাও (Auto Industry)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • NEET-UG 2024: প্রকাশিত হল নিট-ইউজির সংশোধিত ফলাফল, মেধা তালিকার প্রথমে বাংলার পড়ুয়াও

    NEET-UG 2024: প্রকাশিত হল নিট-ইউজির সংশোধিত ফলাফল, মেধা তালিকার প্রথমে বাংলার পড়ুয়াও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ স্নাতক স্তরে সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট-ইউজি-র (NEET-UG 2024) সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে মেধা তালিকাও প্রকাশিত হয়েছে। এই মেধা তালিকায় (Merit list) প্রথম স্থান অধিকার করেছে একসঙ্গে ১৭ জন। উল্লেখ্য তাঁদের মধ্যে একজন বাংলার পড়ুয়াও রয়েছেন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর হল ৭২০।

    পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রথম স্থানে অর্ঘ্যদীপ (NEET-UG 2024)

    শুক্রবার এনটিএ প্রকাশিত ফলাফলে জানা গিয়েছে, প্রথম স্থান অধিকারীদের মধ্যে রয়েছেন রাজস্থানের ৪ জন, মহারাষ্ট্রের ৩ জন, দিল্লি-উত্তর প্রদেশের ২ জন করে, তামিলনাড়ু, কেরল, পাঞ্জাব, চণ্ডীগড়, বিহারের ১ জন করে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রথম স্থানে রয়েছেন অর্ঘ্যদীপ দত্ত। ওয়েব সাইট থেকে এই সংশোধিত ফল দেখা যাবে। উল্লেখ্য আগে যে ফল প্রকাশ করা হয়েছিল সেখানে দেখা গিয়েছিল প্রথম স্থানে ছিলেন ৬১ জন। এরপর থেকেই ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছিল। পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠে এবং মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে।

    পুরোপুরি বাতিলের পক্ষে ছিল না সুপ্রিম কোর্ট

    গত ৫ মে সারা দেশব্যাপী নিট-ইউজি (NEET-UG 2024) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২৪ লক্ষের বেশি পড়ুয়া এই পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছিলেন। পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে দেশ ব্যাপী শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এই অবস্থায় ২০২৪ সালে নিট-ইউজি বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল। গত মঙ্গলবার এই মামলার রায় দেন প্রধান বিচারপতি ডিওইয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, “২০২৪ সালের নিট-ইউজি পুরোপুরি বাতিলের পক্ষে নয় সুপ্রিম কোর্ট।” এরপর এনটিএ সংশোধিত ফলাফল (Merit list) প্রকাশে উদ্যোগী হয়।

    আরও পড়ুনঃ অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক, এবার খালিস্তানিদের ময়দানে নামাচ্ছে পাকিস্তান

    কীভাবে দেখবেন এই নিটের ফালাফল?

    নিচের চারটি ধাপে ক্লিক করলেই রেজাল্ট (NEET-UG 2024)  দেখা যাবে।

    ১) প্রথমে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) অফিসিয়াল ওয়েবসাইট exams.nta.ac.in/NEET-তে যেতে হবে।

    ২) এরপর হোমপেজের উপরের দিকেই ‘LATEST NEWS’ আছে। তার মধ্যে আছে ‘Click Here for Revised Score Card’। তাতে ক্লিক করতে হবে।

    ৩) এরপর নতুন একটি পেজ খুলে যাবে। সেই পেজের উপরের দিকেই আছে ‘NEET 2024 Revised Score Card Link’। সেটার নীচেই আছে ‘Click here for NEET 2024 Revised Score Card’। তাতে ক্লিক করতে হবে।

    ৪) তারপর সেখানে নিজের অ্যাপ্লিকেশন নম্বর, জন্মতারিখ, ইমেল আইডি বা মোবাইল নম্বর এবং সিকিউরিটি পিন দিয়ে সাবমিট করতে হবে। তাহলে স্ক্রিনে সংশোধিত রেজাল্ট দেখতে পারবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক পাকিস্তান-খালিস্তানিদের! সতর্কবার্তা গোয়েন্দাদের

    Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক পাকিস্তান-খালিস্তানিদের! সতর্কবার্তা গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমরনাথ যাত্রা ভণ্ডুল করতে চাইছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI)। এমনই সতর্কবার্তা দিয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের তরফে এবার ময়দানে নামানো হয়েছে খালিস্তানি সংগঠন বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালকে। অমরনাথ যাত্রায় (Amarnath Yatra) বড় কোনও নাশকতার ছক রয়েছে এই জঙ্গি সংগঠনের। অন্যদিকে পাকিস্তানের কোনও ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনকেও সাহায্য করার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

    গোয়েন্দা রিপোর্টে হামলার ইঙ্গিত (Amarnath Yatra)

    জানা গিয়েছে, অমরনাথ যাত্রা (Amarnath Yatra) বন্ধ করার জন্য পূর্ণ্যার্থীদের শিকার বানানোর চেষ্টা করছে আইএসআই (ISI) এবং খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠনগুলি। এই হামলায় পাঞ্জাবের গ্যাংস্টার, মৌলবাদী সংগঠন এবং বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনকে কাজে লাগানো হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গোয়েন্দাদের আরও আশংকা খালিস্তানপন্থী সংগঠনকে ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠনগুলি অস্ত্রশস্ত্র এবং জঙ্গি ট্রেনিং দিয়ে করে সাহায্য করতে  পারে। রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে, দিল্লির এক বিজেপি নেতা এবং হিন্দুত্ববাদী নেতাদের উপর হামলা হতে পারে।

    পাকিস্তানকে জবাব কবে? উঠছে প্রশ্ন (ISI)

    গোয়েন্দা সংস্থাগুলি জানিয়েছে, অমরনাথ যাত্রায় (Amarnath Yatra) ভিন্ন ঘটানোর জন্য ওত পেতে বসে আছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি। প্রাথমিক টার্গেট পুণ্যার্থীরা। সম্প্রতি পাঠানকোটে সাতজন জঙ্গির অনুপ্রবেশ ঘিরে পাঞ্জাব ও জম্মুতে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পাকিস্তানের বর্ডার অ্যাকশন টিমের তরফে বেশ কয়েক বছর পর এবার সরাসরি সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের (ISI) তরফে যে বৃহত্তর চক্রান্ত চলছে, তা ভালোভাবেই আঁচ করতে পেরেছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। তবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, হঠাৎ করে কেন মোদি প্রশাসন জঙ্গিদের বাড়বড়ন্ত হলেও পাকিস্তানের বিষয়ে রক্ষণাত্মক মেজাজে চলে গিয়েছেন। এর আগে পাক সাহায্যপ্রাপ্ত বড় ধরনের কোনও হামলা হলেই সার্জিক্যাল জবাব দিত ভারত। কিন্তু মোদি ৩.০ সরকারের আমলে পরপর হামলা হলেও, ভারতের তরফ থেকে কোনও সার্জিক্যাল জবাব আসেনি।

    আরও পড়ুন: ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের

    যদিও অনেকে মনে করছেন, পাকিস্তানকে খুব শীঘ্রই ভারতের তরফে যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, “পাকিস্তান ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় নি। তাঁরা যে ভাষায় চাইছে, সেই ভাষায় জবাব দেওয়া হবে।”

    অমরনাথ যাত্রা ঠেকাতে ব্যর্থ জঙ্গিরা  

    প্রসঙ্গত ২৯ জুন থেকে শুরু হয়েছে অমরনাথ যাত্রা। এই যাত্রা চলবে ৫২ দিন ধরে। ১৯ আগস্ট যাত্রা শেষ হবে। শেষ ২৮ দিন ধরে অমরনাথে (Amarnath Yatra) চার লক্ষের বেশি পুণ্যার্থীর সমাগম হয়েছে। পাকিস্তান আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইলেও অমরনাথ যাত্রায় কোনও প্রভাব পড়েনি। এবং যাত্রায় এখন পর্যন্ত কোনও ধরনের বড় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারেনি জঙ্গিরা। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ হিন্দু বাবা অমরনাথের দর্শন করতে আসেন। এ বছরও তার অন্যথা হয়নি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sleeping With AC: আপনি কি বাড়িতে এসি চালিয়ে ঘুমোন? অজান্তেই নিজের ক্ষতি করছেন না তো?

    Sleeping With AC: আপনি কি বাড়িতে এসি চালিয়ে ঘুমোন? অজান্তেই নিজের ক্ষতি করছেন না তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ইউরোপীয় কপার্নিকাস নেটওয়ার্ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিনে বিশ্বব্যাপী রেকর্ড করা গরম পড়েছিল। তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। গোটা বিশ্ব বর্তমানে তীব্র তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হয়েছে। এই তাপমাত্রা চরম ভাবে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবী এখন তীব্র তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হয়েছে। এটা ধীরে ধীরে মহামারির রূপ নেবে। কোটি কোটি মানুষ মারাত্মক বিশ্ব উষ্ণায়নের শিকার হয়েছেন।”

    এমন প্রচণ্ড গরমে, স্বস্তি ও আরামের জন্য এসি বা বাতানুকূল যন্ত্রে (Sleeping With AC) অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। যদিও এসি স্বস্তি দিতে পারে, তবে দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘুমালে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ (Victim) হতে পারে। এসি চালিয়ে ঘুমানোর ফলে স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। আসুন জেনে নিই একনজরে কেমন প্রভাব ফেলে এসি।

    শুষ্ক চোখ:

    এসি (Sleeping With AC) বাতাস থেকে আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়। যার ফলে চোখে শুষ্কতা, চুলকানি এবং অস্বস্তি (Victim) হয়।

    অলসতা:

    শীতল তাপমাত্রা শরীরে পরিপাকের হার কমাতে পারে এবং শরীরের বাকি প্রক্রিয়াগুলিকে ধীর করে দেয়। যার ফলে ক্লান্তি এবং তন্দ্রা দেখা দেয়।

    ডিহাইড্রেশন:

    শুষ্ক বায়ু দ্রুত আর্দ্রতা হ্রাস করতে পারে। ফলে পর্যাপ্ত জল পান না করলে শরীরের শূন্যতা তৈরি করে। ফলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।

    শুষ্ক বা চুলকানি ত্বক:

    এসির শুষ্ক বাতাসে ত্বকের আর্দ্রতা হারাতে পারে, যার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এমন কী জ্বালা-পোড়া হতে পারে।

    মাথাব্যথা:

    এসির কারণে শরীরে তাপমাত্রার পরিবর্তন হলে ঠান্ডা, শুষ্ক বাতাস মাথাব্যথা এবং সাইনাসের কারণ হতে পারে।

    শ্বাসকষ্ঠ জনিত সমস্যা:

    ঠান্ডা এবং শুষ্ক বায়ু শ্বাসনালীতে জ্বালাভাব তৈরি করতে পারে। হাঁপানি এবং অ্যালার্জির মতো অবস্থার মতো সমস্যা বাড়তে পারে।

    অ্যালার্জি এবং হাঁপানি:

    এয়ার কন্ডিশনার সিস্টেমগুলি ধুলো, পরাগ এবং ছাঁচের মতো অ্যালার্জেনকে আশ্রয় দিতে পারে, যা অ্যালার্জি সৃষ্টি করে।

    শব্দ দূষণ:

    ক্রমাগত এসি থেকে নির্গত শব্দ ঘুমকে ব্যাহত করতে পারে এবং বিরক্তির কারণ হতে পারে।

    সংক্রামক রোগ:

    রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকঠাক না হলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ছত্রাক ছড়াতে পারে। এতে সংক্রমণ হতে পারে।

    অভ্যন্তরীণ দূষণকারী:

    এয়ার কন্ডিশনার ধুলো, পোষা প্রাণীর খুশকির মতো ময়লা জমা করতে পারে। যার ফলে শ্বাসকষ্ট এবং স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়।

    ইমিউনিটি কমে যায়:

    বেশিরভাগ মানুষই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কর্মক্ষেত্র বা অফিসে এসি-তে সময় কাটিয়ে থাকেন। তারপর বাড়ি ফিরে রাত হলেই আবার এসি চালিয়ে শুয়েও পড়েন। আর এই ভুলটা করেন বলেই বহু মানুষের ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। কারণ গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে দীর্ঘক্ষণ ঠান্ডায় থাকলে রক্তনালী ক্রমশ সংকুচিত হয়ে পড়ে। আর সেই সুবাদে ঠিকমতো কাজ করতে পারে না রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা হয় ব্যাপক। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে আজ থেকেই রাতে এসি চালিয়ে ঘুমানোর বদভ্যাসগুলি বদল করা একান্ত প্রয়োজন।

    আরও পড়ুনঃ প্রকোপ বাড়ছে হেপাটাইটিসের! জমা জলেই কি বিপত্তি? কী পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের?

    শিশুদের অতিরিক্ত ঠান্ডা এড়ানো উচিত

    ত্রিবান্দ্রমের এসপি মেডিফোর্ট হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ বিদ্যা বিমল বলেছেন, “সঠিকভাবে বাতানুকূল যন্ত্র (Sleeping With AC) ব্যবহার করা হলে নবজাতক শিশুদের জন্য নিরাপদ হয়। পিতামাতার উচিত শিশুর শরীরের তাপমাত্রার সাথে বাতানুকূল যন্ত্রের (Sleeping With AC) তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ এবং সামঞ্জস্য করা। নবজাতককে ঘরে আনার কমপক্ষে ২০ মিনিট আগে এসি চালু করা এবং ২৫-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বজায় রাখা প্রয়োজন। কাশি এবং সম্ভাব্য নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করতে ঠান্ডা বাতাস কম ব্যবহার করার দিকে নজর রাখতে হবে। কিছু শিশুরও ঠান্ডায় অ্যালার্জি হতে পারে, তাই অতিরিক্ত ঠান্ডা এড়ানো উচিত।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এবং এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে সর্বদা বিশেষজ্ঞের মতামত নিন এবং সেই পরামর্শ অনুযায়ী চলুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে ভয়! তাই কি মাইক বন্ধের ‘নাটক’ মমতার?

    Mamata Banerjee: বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে ভয়! তাই কি মাইক বন্ধের ‘নাটক’ মমতার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে শনিবার বসেছে নীতি আয়োগের (NITI Aayog) নবম গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রীরা। রাজ্যের প্রতিনিধিস্বরূপ ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু, বৈঠকের মাঝপথে তিনি ওয়াক-আউট করেন। বেরিয়ে এসে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে তিনি দাবি করেন, তাঁকে নাকি বলতে দেওয়া হয়নি। তাঁর বলার সময় নাকি মাইক বন্ধ করা ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি কতটা যুক্তিযোগ্য বা তাঁর এই দাবির গ্রহণযোগ্যতা কতটা, তা জানার চেষ্টা করেছিল মাধ্যম। সেখান থেকে যে তথ্য উঠে এল, তা এক কথায় চমকপ্রদ।

    মাইকের নিয়ন্ত্রণ বক্তার হাতেই…

    কেন্দ্র এবং রাজ্য রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যা জানা গেল, তা হল— যে হলে বা ঘরে এধরনের বৈঠক হয়, সেখানকার মাইকগুলি ‘সেল্ফ অপারেটড’। বক্তার মুখের কাছেই মাইক স্ট্যান্ড। সেই স্ট্যান্ডেই থাকে অন-অফ করার সুইচ। অর্থাৎ, মাইকের নিয়ন্ত্রণ বক্তার হাতেই থাকে। এই একই সিস্টেম সংসদ সহ যে কোনও কনফারেন্স রুমে এখন থাকে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলে যে তত্ত্ব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) খাড়া করেছেন, তা অসত্য এবং অপপ্রচার ছাড়া কিছুই নয়। তাঁদের আরও দাবি, এসব করে তিনি মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছেন মাত্র।

    বাংলাদেশ-কেন্দ্রিক প্রশ্ন এড়ানোর কৌশল?

    এখন প্রশ্ন হল, হঠাৎ করে কেন এমনটা করতে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? কী উদ্দেশ্য নিয়ে? এখানেই উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য ও তত্ত্ব। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে মমতার করা মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে ঢাকা থেকে। প্রতিবেশি রাষ্ট্রের ক্ষোভ প্রশমনে বাধ্য হয়ে ময়দানে নামতে হয় দিল্লিকে। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার মমতাকে (Mamata Banerjee) কড়া কথা শোনায় কেন্দ্র। বুঝিয়ে দেওয়া হয় যে, বিদেশনীতি নিয়ে কথা বলা রাজ্যের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। জানা গিয়েছে, গোটা বিষয় নিয়ে মমতাকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করতে এদিন উদ্যোগ নিচ্ছিলেন বৈঠকের বাইরে উপস্থিত সাংবাদিকরা। মুখ্যমন্ত্রী তা আঁচ করে নেন আগেভাগেই। সে সব এড়াতেই অত্যন্ত সচেতনভাবে এমন একটা ইস্যু (পড়তে হবে নাটক) তৈরি করলেন, যা দিয়ে বাংলাদেশ-কেন্দ্রিক প্রশ্ন পিছনের সারিতে চলে গেল। 

    আরও পড়ুন: “নেতাদের থাকতে হবে”, জেল বাজেট বাড়ানোর দাবি আপ নেতার, হাসির রোল সংসদে

    প্রচারের আলো টানার চেষ্টা?

    এছাড়া, আরও একটা কারণ থাকতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাদের মতে, লোকসভা ভোটের অব্যবহিত পরে ফের একবার বিরোধী শিবিরে ‘মধ্যমণি’ হয়ে উঠেছেন রাহুল গান্ধী। বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধী ‘ইন্ডি’ ব্লকের সর্বগ্রহণযোগ্য মুখ হয়ে উঠছেন রাহুল। ফলত, ‘ইন্ডি’ জোটে অনেকাটই ম্লান মমতার (Mamata Banerjee) দখল। অন্য সময়ে মমতা দিল্লি যাত্রা করলে, যা আকর্ষণ হত কেন্দ্রীয় (পড়তে হবে বিরোধী) রাজনীতিতে, বর্তমানে তা অনেকটাই ফিকে। রাহুলকে কেন্দ্র করেই কেন্দ্রে বিজেপি-বিরোধী রাজনীতি গড়ে উঠছে। তা বুঝতে পেরেই, নিজের দিকে প্রচারের আলোর অভিমুখ ঘোরানোর উদ্দেশ্যেই মমতা এই মাইক-তত্ত্ব খাড়া করেছেন বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

    কনস্ট্রাকটিভ পলিটিক্সে স্বাচ্ছন্দ্য নন…

    আরও একটা চমকপ্রদ তত্ত্ব উঠে এসেছে। যেটাও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বটে। অনেকের মতে, মমতা বরাবরই বিরোধী-রাজনীতি করে এসেছেন। তিনি তাতেই অভ্যস্ত, সাবলীল। রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা কোনওদিনই ডেভলেপমেন্টাল বা কনস্ট্রাকটিভ পলিটিক্স করেননি। ২০১১ সাল পর্যন্ত, উনি ছিলেন বাম-বিরোধী। এখন মোদি-বিরোধী। এমনকী, রাজ্যে ক্ষমতা দখলের পরও, তাঁর একাধিক কর্মকাণ্ড দেখেও বোঝা দায় ছিল যে তিনি শাসক না বিরোধী। সেখানে, নীতি আয়োগ (NITI Aayog) হল আদ্যান্ত উন্নয়নমূলক বিষয়বস্তু-কেন্দ্রিক আলোচনার মঞ্চ। এখানে রাজ্য-কেন্দ্র সমন্বয়ে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা হয়। মমতা (Mamata Banerjee) যে এধরনের বৈঠকে সাচ্ছন্দ্য নন, তা সহজেই অনুমেয়। ফলস্বরূপ, এদিনের এই ‘নাটক’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Germany: জার্মানির প্রাচীনতম মসজিদে হানা পুলিশের, কারণ জানলে ভিরমি খাবেন

    Germany: জার্মানির প্রাচীনতম মসজিদে হানা পুলিশের, কারণ জানলে ভিরমি খাবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার জার্মানির (Germany) বিখ্যাত ব্লু-মস্ক বা নীল-মসজিদে অভিযান চালাল পুলিশ। হামবুর্গের এই মসজিদটি সে দেশের প্রাচীনতম মসজিদগুলির একটি। মসজিদটি ইমাম আলি মসজিদ নামেও পরিচিত। সম্প্রতি এই মসজিদেই হামলা চালায় পুলিশ। বালাক্লাভাসের অফিসাররা মসজিদ প্রাঙ্গন থেকে প্রচুর নগদ টাকা ও একটি কালো রংয়ের অডি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে। জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লার (Hezbollah) সঙ্গে যুক্ত নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছে জার্মান পুলিশ।

    মসজিদে পুলিশি অভিযান (Germany)

    তার জেরেই পুলিশি অভিযান চালানো হয় ওই মসজিদে। ইরানি শাসনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ইসলামিক জঙ্গি দমনে কড়া পদক্ষেপ করছে জার্মান পুলিশ। সেই সূত্রেই এবার তারা ঢুকে পড়ল দেশের প্রাচীনতম একটি মসজিদে। জানা গিয়েছে, তদন্ত চালিয়ে জার্মান পুলিশ দেখেছে, ‘ইসলামিক সেন্টার হামবুর্গ’ কেবল ধর্মীয় কাজকর্ম করে না। তারা কাজ করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা খোমেইনির প্রতিনিধি হিসেবে। জার্মানিতে তারা ইসলামি বিপ্লব রফতানি করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ। জার্মানির ইন্টিরিয়র মন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার ব্লুমবার্গ মসজিদ পরিচালনাকারী সংগঠন ‘ইসলামিক সেন্টার হামবুর্গ’কে (ICH) চরমপন্থী গোষ্ঠী দেগে দেন।

    মসজিদে ঝুলিয়ে দেওয়া হল তালা

    মসজিদটিকে নিষিদ্ধও ঘোষণা করা হয়েছে। ফয়েসার বলেন, “এই গোষ্ঠীটি একটি চরমপন্থী প্রচারকারী সংগঠন। এরা এ দেশে ইরানি বিল্পব রফতানি করতে চায়। এরা হিজবুল্লাকে সমর্থন করে। এই হিজবুল্লা ইরানপন্থী প্রতিরোধের অক্ষ। তাই জার্মানিতে (Germany) নিষিদ্ধ।” তিনি বলেন, “আমরা ধর্মের পরিপন্থী নই। আমরা বিশেষত ইসলামিক উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে। জার্মানিতে যেসব মুসলমান শান্তিতে ধর্মাচরণ করছেন, তাঁদের থেকে এই জঙ্গিদের বিচ্ছিন্ন করতে চাইছি আমরা।” ইন্টিরিয়র মন্ত্রী বলেন, “আমরা একটা সুস্পষ্ট লক্ষ্মণরেখা টানতে চাইছি। যে জঙ্গিদের কোমর ভেঙে দিতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি, তাদের সঙ্গে সেই সব মুসলমানদের দূরে রাখতে চাইছি, যাঁরা নিজেদের ধর্ম বিশ্বাস নিয়েই রয়েছেন।” তিনি মনে করিয়ে দেন, “এই নিষেধাজ্ঞা শিয়া ধর্মের শান্তিপূর্ণ অনুশীলনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।”

    শিশু মনে পোঁতা হচ্ছিল ইরানি বিপ্লবের বীজ!

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরে ইরান বিরোধী সাংসদ এবং সমাজকর্মীরা  ব্লু-মসজিদ বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তার পরেই শুরু হয় তদন্ত। ২০১৭ সালে গোয়েন্দা সূত্র মারফৎও প্রশাসন খবর পায়, জার্মানিতে ইরানের সরকারপন্থী কার্যকলাপের সব চেয়ে প্রভাবশালী কেন্দ্র এই মসজিদ। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করে জার্মান সরকার। তার পরেই নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করা হয় দিন দুই আগে (Germany)। জানা গিয়েছে, ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদে শিশুদের ইসলামিক শিক্ষা দেওয়া হয় ফার্সি, আরবি এবং জার্মান ভাষায়। এর নেতৃত্ব দিত ইরানি বিপ্লবের কট্টর সমর্থকরা। শিশু মনে তারা পুঁতে দিত ইরানি বিপ্লবের বীজ।

    আরও পড়ুন: বাতাসে বারুদের গন্ধ, জেলেনস্কির ডাকে ইউক্রেনে যাচ্ছেন মোদি?

    খামেইনির প্রতিনিধিত্ব করছিল চরমপন্থীরা

    হামবুর্গের নিরাপত্তা মন্ত্রী অ্যান্ডি গ্রোট মসজিদে এই নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “ইসলামিক জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এটা একটা রামধাক্কা।” ‘ইসলামিক সেন্টার হামবুর্গ’কে তিনি জঙ্গিদের আউটপোস্ট বলেও উল্লেখ করেন। গত নভেম্বরেও মসজিদটিতে অভিযান চালিয়েছিল জার্মান পুলিশ। সেই সময় দেশে চলছিল শিয়া বিরোধী আন্দোলন। এর কিছুদিন আগেই শুরু হয়েছে গাজা-ইজরায়েল লড়াই। জার্মান পুলিশের দাবি, মসজিদটিতে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তার স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে হিজবুল্লা এবং ২০২৩ সালে হামাস সমর্থকদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করেছিল জার্মান প্রশাসন। নীল-মসজিদের কাজকর্মকে জার্মানির গোয়েন্দারা সাংবিধানিক নির্দেশের বিরোধী বলে অভিহিত করেছেন। এরা ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা খামেইনির প্রতিনিধিত্ব করছিল। চলতে চাইছিল খামেইনির আদর্শ নিয়ে। এসবই তারা করতে চাইছিল সন্ত্রাসের পথে। সেই কারণেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মসজিদটি।

    জার্মান সরকারের বিবৃতি

    ইরান সমর্থিত লেবানের জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লা। হিজবুল্লাকে জঙ্গি সংগঠন বলে দেগে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ২০২০ সালে হিজবুল্লাকে বেআইনি ঘোষণা করে আইসিএইচ-ও। জার্মান (Germany) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সংগঠন (হিজবুল্লা) মানব মর্যাদা, নারীর অধিকার, স্বাধীন বিচারব্যবস্থা এবং গণতান্ত্রিক শাসনের বিরোধিতা করে একটি ইসলামপন্থী চরমপন্থী, সর্বগ্রাসী মতাদর্শ প্রচার করে। নিষেধাজ্ঞাটির লক্ষ্যবস্তু যে চরমপন্থী ইসলামিরাই, সে কথাও (Hezbollah) সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিবৃতিটিতে (Germany)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 88: “কারু ভিতর ক্ষীরের পোর, কারু ভিতর নারিকেলের ছাঁই, কারু ভিতর কলায়ের পোর”

    Ramakrishna 88: “কারু ভিতর ক্ষীরের পোর, কারু ভিতর নারিকেলের ছাঁই, কারু ভিতর কলায়ের পোর”

    শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ  কথোপকথন

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    সংনিয়ম্যেন্দ্রিনিদ্রয়গ্রামং সর্বত্র সমবুদ্ধয়ঃ।

    তে প্রাপনুবন্তি মামেব সর্বভূতিহিতে রতাঃ।।

    গীতা- ১২/৪/

    শ্রীযুক্ত কেশব সেনের সহিত নৌকাবিহার—সর্বভূতহিতে রতাঃ

    ভাট পড়িয়াছে। আগ্নেয়পোত কলিকাতাভিমুখে দ্রুতিগতিতে চলিতেছে। তাই পোল পার হইয়া কোম্পানির বাগানের দিকে আরও খানিকটা বেড়াইয়া আসিতে কাপ্তেনকে হুকুম (Kathamrita) হইয়াছে। কতদূর জাহাজ গিয়াছিল, অনেকেরই জ্ঞান নাই—তাঁহার মগ্ন হইয়া শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) কথা শুনিতেছেন। কোন দিক দিয়া সময় যাইতেছে, হুঁশ নাই।

    এইবার মুড়ি নারকেল খাওয়া হইতেছে। সকলেই কিছু কিছু কোঁচড়ে লইলেন ও খাইতেছেন। আনন্দের হাট। কেশব মুড়ি আয়োজন করে এনেছেন। এই অবসরে ঠাকুর দেখিলেন বিজয় ও কেশব দুইজনেই সঙ্কুচিতভাবে বসিয়া আছেন। তখন ঠাকুর যেন দুইজন অবোধ ছেলেকে ভাব করিয়া দিবেন। সর্বভূতহিতে রতাঃ

    শ্রীরামকৃষ্ণ (কেশবের প্রতি)—ওগো! এই বিজয় এসেছেন। তোমাদের ঝগড়া-বিবাদ—যেন শিব ও রামের যুদ্ধ। (হাস্য) রামের গুরু শিব। যুদ্ধও হল, দুজনে ভাবও হল। কিন্তু শিবের ভূতপ্রেতগুলো আর রামের বানরগুলো ওদের ঝগড়া কিচকিচ আর মেটে না! (উচ্চ হাস্য)

    আপনার লোক তা এরূপ থাকে। লব কুশ জে রামের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন। আবার জানো মায়ে-ঝিয়ে আলাদা মঙ্গলবার করে। মার মঙ্গল, আর মেয়ের মঙ্গল যেন দুটো আলাদা। কিন্তু এর মঙ্গলে ওর মঙ্গল হয়, ওর মঙ্গলে এর মঙ্গল হয়। তেমনি তোমাদের এর একটি সমাজ আছে। আবার ওর একটি দরকার। (সকলের হাস্য) তবে এ-সব চাই। যদি বল ভগবান নিজে লীলা (Kathamrita) করেছেন, সেখানে জটিলে-কুটিলে কি দরকার? জটিলে-কুটিলে না থাকলে লীলা পোষ্টাই হয় না! (সকলের হাস্য) জটিলে-কুটিলে না থাকলে রগড় হয় না। (উচ্চহাস্য)

    রামানুজ বিশিষ্টাদ্বৈতবাদী। তাঁর গুরু ছিলেন অদ্বৈত্যবাদী। শেষে দুজনে অমিল। গুরুশিষ্য (Ramakrishna) পরস্পর মত খণ্ডন করতে লাগল। এরূপ হয়েই থাকে। যাই হোক, তবু আপনার লোক।

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    পিতাহসি লোকস্য চরাচরস্য ত্বমস্য পূজ্যশ্চ গুরুর্গরীয়ান্‌।

    ন ত্বৎসমোহস্ত্যভ্যধিকঃ কুতোহন্যো, লোকত্রয়েহপ্যপ্রতিমপ্রভাব।।

    গীতা—১১/৪৩/

    কেশবকে শিক্ষা—গুরুগিরি ও ব্রাহ্মসমাজে—গুরু এক সচ্চিদানন্দ

    সকলে আনন্দ করিতেছেন। ঠাকুর (Ramakrishna) কেশবকে বলিতেছেন, তুমি প্রকৃতি দেখে শিষ্য কর না, তাই এইরূপ ভেঙে ভেঙে যায়।

    মানুষগুলি দেখতে সব একরকম, কিন্তু ভিন্ন প্রকৃতি। কারু ভিতর সত্ত্বগুণ বেশি, কারু রজোগুণ বেশি, কারু তমোগুণ। পুলিগুলি দেখতে সব একরকম। কিন্তু কারু ভিতর ক্ষীরের পোর, কারু ভিতর নারিকেলের ছাঁই, কারু ভিতর কলায়ের পোর। (সকলের হাস্য) ভিন্ন প্রকৃতি।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sanjay Singh: “নেতাদের থাকতে হবে”, জেল বাজেট বাড়ানোর দাবি আপ নেতার, হাসির রোল সংসদে

    Sanjay Singh: “নেতাদের থাকতে হবে”, জেল বাজেট বাড়ানোর দাবি আপ নেতার, হাসির রোল সংসদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অন্তত জেলের বাজেট (Jail Budget) বাড়িয়ে দিন, কারণ নেতারা জেলে যাবেন। আজ হোক বা কাল সকলকে জেলে যেতে হবে। তাই অন্তন্ত জেলের বাজেট বাড়িয়ে দিন।” বক্তা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং (Sanjay Singh) । সংসদের উচ্চ কক্ষে বাজেটের উপরে চর্চার সময় আপ সাংসদ বলেন, “জেলের বাজেট বাড়িয়ে দিন। কারণ এক না একদিন সকলকে জেলে যেতে হবে। আজ আমাদের অনেকে আছে। কাল আপনাদের (শাসক পক্ষের) যেতে হবে। ৩০০ কোটিতে কিছু হবে না। তাই জেলের বাজেট অন্তত বাড়িয়ে দেওয়া দরকার ছিল।” মজা করে রাজ্যসভার অধ্যক্ষ জগদীপ ধনখড় শাসকপক্ষকে সঞ্জয় সিং-এর এর আবেদনের উপরে নজর দিতে বলেন।

    বিরোধীদের ঠিকানা জেল (Sanjay Singh)

    সঞ্জয় সিং অভিযোগের সুরে বলেন, “আপনারা (শাসক) দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জেলবন্দী করে রেখেছেন। বাংলার তিনজন মন্ত্রী জেলে রয়েছেন। সাংসদের (Jail Budget) এই বক্তব্যে আপত্তি জানিয়ে ধনখড় বলেন, “দেশ আইনের উপর নির্ভর করে চলে। পুলিশ গ্রেফতার করে। আদালত অভিযুক্তকে জেলে পাঠায়। দেশের যে কোনও পদে, যে কেউ থাকুক না কেন, সে জেলে যাবে কিনা, নির্ভর করে আদালতের ওপর। আপনি (Sanjay Singh) জেলে গিয়েছিলেন, প্রথমে এজেন্সির জন্য। পরে যখন জেলে ছিলেন, সেখানে আদালতের নির্দেশ ছিল।”

    সঞ্জয়ের অভিযোগ (Jail Budget)

    সঞ্জয়ের (Sanjay Singh) অভিযোগ, মোদি সরকার কোনও সমস্যার সমাধান চায় না। ন্যায় বিচার চায় না। সরকার চায়, শুধু বিরোধীদের নানান অভিযোগে অভিযুক্ত করে জেলে ভরে রাখতে।”

    আরও পড়ুন: ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের

    তাঁর আরও অভিযোগ, অরবিন্দ কেজরিওয়াল অসুস্থ। তা সত্ত্বেও তাঁকে জেলে বন্দী করে রাখা হয়েছে। তিনি একদা জামিন পেয়েছিলেন, তা সত্ত্বেও জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে চলে গিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা। তাঁরা চাইছে, যে কোনও ভাবে তাঁকে জেলে রাখতে।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: উত্তাল সমুদ্র! বইছে ঝোড়ো হাওয়া, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি কোন কোন জেলায়?

    Weather Update: উত্তাল সমুদ্র! বইছে ঝোড়ো হাওয়া, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি কোন কোন জেলায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরের উপর ঝোড়ো হাওয়া বইছে। নিম্নচাপের (Weather Update) প্রভাব এখনও কাটেনি। সাগরে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আপাতত আরও ২৪ ঘণ্টা এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে নিম্নচাপটি ওড়িশার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ায় বিক্ষিপ্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির (Heavy rain) সম্ভাবনা রয়েছে।

    আগামী কয়েকদিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি (Weather Update)

    বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ (Weather Update) থাকলেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কিছুটা কমবে। শনিবার থেকে কোনও জেলাতেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। হাওয়া অফিসের তরফে কোথাও আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনও সর্তকতাও জারি করা হয়নি। তবে বৃষ্টি চলবে সর্বত্র। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী কয়েকদিন বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। একাধিক জেলায় আবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি (Heavy rain) হতে পারে।

    উত্তরবঙ্গে সতর্কতা

    একই ভাবে বৃষ্টি (Weather Update) চলবে উত্তরবঙ্গেও। সেখানে অবশ্য দুটি জায়গায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতার কথা বলা হয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং কালিম্পংয়ে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই জেলাগুলিতে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গে আর কোথাও তেমন ভাবে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়নি।

    আরও পড়ুনঃ ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে হার! প্রয়াত হলেন রাজ্যের প্রাক্তন কারামন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরী

    আবহওয়া দফতর সূত্রে খবর

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গপোসাগরের উপরে পশ্চিমবঙ্গের উপকূল সংগলগ্ন এলাকায় ঝড়ো (Weather Update) হাওয়া প্রবাহিত হচ্ছে। হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি হবে। তবে দমকা হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটারেও পৌঁছাতে পারে। সমুদ্রের পরিস্থিতি এখন উত্তাল। সেই জন্য আপাতত গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে মৎস্যজীবীদের।

    শনিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৩ ডিগ্রি বেশি। শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৪ ডিগ্রি কম। শনিবার দিনেও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সোমবার থেকে কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share