Tag: news in bengali

news in bengali

  • Kalki 2898 AD: বক্স অফিসে আরও সাফল্যের পথে ‘কল্কি’, এবার ১০০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ

    Kalki 2898 AD: বক্স অফিসে আরও সাফল্যের পথে ‘কল্কি’, এবার ১০০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুক্তির পর থেকেই রীতিমতো ঝড় তুলেছে নাগ অশ্বিনের সিনেমা ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ (Kalki 2898 AD)। চলচ্চিত্র অভিনেতা-অভিনেত্রী হিসাবে রয়েছেন অমিতাভ বচ্চন, প্রভাস, কমল হাসান দীপিকা পাড়ুকোন। তাঁদের অভিনীত এই সিনেমা, ‘দঙ্গল’, ‘পাঠান’-এর মতো ১০০০ কোটির ক্লাবে পৌঁছে গিয়েছে। কল্কি ২৮৯৮, ২০২৪ সালের ২৭ জুন মুক্তি পেয়েছিল। ভারতের পাঁচটি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে এই সিনেমা। তবে এটি তামিল চলচ্চিত্রটির সবচেয়ে সফল সংস্করণ ছিল। ২৩ দিনে সিনেমাটি ভারত থেকে ৬০০কোটি টাকার বেশি আয় করেছিল, এবার ২৫ দিনে ১০০০ কোটির ক্লাব ঘরে পৌঁছে গিয়েছে কল্কি।  

    ৬০০ কোটির বাজেটে ছিল (Kalki 2898 AD)

    কল্কি ২৮৯৮ হল এই বছরের সবচেয়ে সফল ছবি। ৬০০ কোটির বাজেটে তৈরি এই প্যান ইন্ডিয়া ফিল্ম মাত্র প্রথম সপ্তাহেই টাকা তুলে নিতে সক্ষম হয়েছিল। বিশ্ব বক্স অফিসে (Box Office) সফল ভাবে প্রদর্শিত হয়ে ২৫ দিন পূর্ণ করে, ১০০০ কোটিকে ছুঁয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। সারফিরা, ইন্ডিয়ান ২, কিল এবং ব্যাড নিউজ-এর মতো বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়ে কল্কি কিছুটা মন্থর গতিতে চললেও, প্যান ইন্ডিয়া ফিল্মে এখনও ব্যাপক অর্থ উপার্জন করে চলেছে।

    কোন কোন সিনেমা ১০০০ কোটিকে অতিক্রম করেছে?

    আমির খানের ‘দঙ্গল’ হল প্রথম ছবি যেটি ১০০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ করেছিল। ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটি বক্স অফিসে (Box Office) মোট সংগ্রহ ছিল ২০৫১ কোটি টাকা। এরপর প্রভাসের ‘বাহুবলী ২’, দ্বিতীয় সিনেমা যা ১৮১৪ কোটির ব্যবসা পর্যন্ত পৌঁছেছিল। আবার এসএস রাজামৌলি একই মাইলফলক অর্জনের জন্য আরেকটি চলচ্চিত্র তৈরি করেছিলেন। তাঁর নির্মিত ২০২২ সালের সিনেমা ‘আরআরআর’, বক্স অফিসে ১২৮৮ কোটি টাকা আয় করেছিল। পাশপাশি ইয়াশের ‘কেজিএফ ২’-এর মোট ব্যবাসা হয়েছে ১২০৮ কোটি টাকা। পরবর্তী সময়ে শাহরুখ খান দুটি পরপর সুপারহিট সিনেমা নিয়ে আসেন। ২০২৩ সালে প্রথম ছবি ‘পাঠান’ ১০৫০.8 কোটি আয় করেছিল এবং একই বছর, ‘জওয়ান’ বিশ্ব বক্স অফিসে ১১৫২ কোটি টাকা উপার্জন করেছিল। এবার ‘কল্কি’ (Kalki 2898 AD) নিয়েও দর্শক মহলে তীব্র উন্মাদনা।

    আরও পড়ুনঃ বক্স অফিসে কল্কি-ঝড় অব্যাহত, ২৩ দিনে ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: পানিহাটিতে তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট! প্রতিবাদে থানা ঘেরাও, এলাকায় উত্তেজনা

    North 24 Parganas: পানিহাটিতে তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট! প্রতিবাদে থানা ঘেরাও, এলাকায় উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পানিহাটিতে (North 24 Parganas) তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক মারপিট, অফিস ভাঙচুর এবং প্রতিবাদে খড়দা থানা ঘেরাও-এর ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর এবং যুব নেতার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এই কোন্দলের চিত্র লক্ষ্য করা গিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে নামানো হয়েছে পুলিশ।

    ঘটনা কীভাবে ঘটেছে (North 24 Parganas)?

    তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়েছে পানিহাটি( North 24 Parganas) পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড রেল পার্ক এলাকায়। অভিযোগ, রবিবার রাতে তৃণমূল কর্মী রানা বিশ্বাসকে মারধর করে আরেক তৃণমূল কর্মী পরিতোষের গোষ্ঠীর লোকজন। এরপর দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে খড়দা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কাউন্সিলর প্রবীর ভট্টাচার্যের দলবল। কিন্তু সোমবার সকালে, পাল্টা আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা বুবাই মল্লিকের অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। কার্যত অফিসে ঢুকে দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর করে জিনিসপত্র বাইরে বের করে দেয়। চেয়ার, টেবিল, কাচের দরজায় ভাঙচুর করে। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

    তৃণমূল কাউন্সিলরের বক্তব্য

    তৃণমূল নেতা এবং কাউন্সিলর (North 24 Parganas) প্রবীর ভট্টাচার্য এই সংঘর্ষ সম্পর্কে বলেছেন, “তৃণমূল করি তাই আমাদের দায়িত্ব আছে। এলাকার মানুষ এতটাই ক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছেন যে তার ফলাফল স্বরূপ এই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া এমনই হয়। এলাকায় দুষ্কৃতীদের ব্যাপক দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে। তবে তৃণমূল দল এই কাজের অনুমোদন দেয় না। প্রশাসনের কাছে আমরা অভিযোগ জানিয়েছি। মানুষের শান্তি শৃঙ্খলা চায়। বুবাই এবং পরিতোষ এলাকার গুন্ডা। তাঁদের কারণে কোনও মা-বোন সুরক্ষিত নয়। আমরা জেলা নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।”

    আরও পড়ুনঃ বছরে দেড় কোটি টাকার চাকরি পেয়েও বাবা-মাকে ছেড়ে আমেরিকায় গেলেন না বাংলার যুবক

    তৃণমূল যুব নেতা বুবাই মল্লিকের বক্তব্য

    আবার যুব তৃণমূল (TMC) নেতা বুবাই মল্লিক বলেছেন, “দলের একাংশ আমাকে কাজ করতে দিচ্ছে না। আমার অফিস খুলতেও বাধা দিচ্ছে। এলাকায় (North 24 Parganas) দীর্ঘ দিন ধরে আমাকে টার্গেট করছে দলেরই কিছু দুষ্কৃতী। তৃণমূল দল যাতে আমি না করি সেই জন্য আমাকে বার বার ভয় দেখানো হচ্ছিল। আমার অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এতো হুমকির মধ্যে আমি রবিবার ২১ জুলাই অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলাম। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আমি থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mangala Gouri 2024: শ্রাবণ সোমবার পালন করলে মঙ্গলে করুন মঙ্গলা গৌরী ব্রত, জানুন পদ্ধতি

    Mangala Gouri 2024: শ্রাবণ সোমবার পালন করলে মঙ্গলে করুন মঙ্গলা গৌরী ব্রত, জানুন পদ্ধতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুধর্মে ও জ্যোতিষশাস্ত্রে শ্রাবণ মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। এই মাস শিবের অত্যন্ত প্রিয় মাস। এই মাসে ভগবান শিবের পুজো করলে জীবনে সাফল্য পাওয়া যায়। রীতি অনুযায়ী শ্রাবণ মাসের সোমবার শিবকে উৎসর্গ করা হয় এবং মঙ্গলবার উৎসর্গ করা হয় দেবী পার্বতীকে। এই মঙ্গলবার গুলোতে পালন করা হয় মঙ্গলা গৌরী ব্রত (Mangala Gouri 2024)। 

    কেন পালিত হয় মঙ্গলা গৌরী ব্রত? (Mangala Gouri 2024)

    প্রথা অনুযায়ী, এই দিনে বিবাহিত মহিলারা অবিচ্ছিন্ন সৌভাগ্য, স্বামীর দীর্ঘায়ু এবং সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য উপবাস করে, অন্যদিকে অবিবাহিত মেয়েরা একটি ভালো জীবনসঙ্গী পাওয়ার জন্য পালন করে এই উপবাস। কথিত আছে, এই উপবাস পালন করলে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক মধুর হয়ে ওঠে।

    আরও পড়ুন: অল্পতেই সন্তুষ্ট হন মহাদেব, শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার কীভাবে পালন করবেন?

    কবে পালন হবে এই ব্রত? 

    এ বছর মঙ্গলা গৌরী ব্রত (Mangala Gouri 2024) শুরু হবে ২৩ জুলাই থেকে। এদিন প্রথম মঙ্গলা গৌরী উপবাস পালিত হবে। এরপর দ্বিতীয় মঙ্গলা গৌরী ব্রত পালিত হবে ৩০ জুলাই, তৃতীয় ব্রত ৬ আগস্ট এবং চতুর্থ তথা শেষ মঙ্গলা গৌরী ব্রত পালন করা হবে ১৩ অগাস্ট।

    পুজোর নিয়মাবলী

    মঙ্গলা গৌরী ব্রত (Mangala Gouri 2024) উপলক্ষে মঙ্গলবার ব্রহ্মমুহূর্তে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে শিব-পার্বতীর পুজো করে শুরু করা হয় উপবাস। এরপর লাল কাপড়ের উপর মাতা পার্বতীর দেবী মঙ্গলা গৌরী রূপের মূর্তি স্থাপন করা হয়। মা গৌরীর পুজোর জন্য নিবেদন করা হয় ফুলের মালা, ফল, পান, লাড্ডু, লবঙ্গ, সুপারি, এলাচ, বিয়ের উপকরণ সহ ১৬টি চুড়ি ও মিষ্টি। 

    মঙ্গলা গৌরী ব্রতের পৌরাণিক কাহিনী (Mangala Gouri 2024)

    প্রাচীনকালে, ধর্মপাল নামে এক বণিক ছিলেন, যার অর্থের অভাব ছিল না। তিনি নিজে সকল গুণে ধন্য ছিলেন। শেঠ ধরমপাল একজন মেধাবী কন্যাকে বিয়ে করেন। তবে বিয়ের পর বেশ কয়েক বছর পরও তাঁদের কোনও সন্তান হয়নি। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী। এরপর একদিন শেঠ ধর্মপালের স্ত্রী তাঁকে সন্তানের বিষয়ে একজন মহান পণ্ডিতের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। স্ত্রীর পরামর্শে ব্যবসায়ী শহরের সবচেয়ে বিখ্যাত পণ্ডিতের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। সেই সময় সেই পণ্ডিত ব্যবসায়ী দম্পতিকে শিব ও মা পার্বতীর পুজো করার পরামর্শ দেন। পরে ব্যবসায়ীর স্ত্রী রীতি অনুযায়ী ভগবান শিব ও মা পার্বতীর পুজো করেন। ধর্মপালের স্ত্রীর ভক্তিতে খুশি হয়ে একদিন দেবী পার্বতী আবির্ভূত হয়ে বললেন- আমি তোমার ভক্তিতে প্রসন্ন, তুমি যাহা চাও তাই চাও। তোমার ইচ্ছা অবশ্যই পূরণ হবে। সে সময় ধর্মপালের স্ত্রী সন্তান চেয়েছিলেন। দেবী পার্বতী তাকে পুত্র লাভের আশীর্বাদ করেছিলেন। এক বছর পর ধর্মপালের স্ত্রী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু সেই শিশু ক্ষণজন্মা ছিল। পুত্রের নামকরণ হলে ধর্মপাল জ্যোতিষীকে তাঁর পুত্রের ক্ষণজন্মা হওয়ার কথা বলেন। তখন জ্যোতিষী ধর্মপালকে পরামর্শ দেন যে মঙ্গলা গৌরী উপবাস (Mangala Gouri Brata) পালনকারী একটি মেয়ের সঙ্গে তার ছেলের বিয়ে দিতে। জ্যোতিষীর পরামর্শ অনুযায়ী শেঠ ধর্মপাল তাঁর ছেলেকে মঙ্গলা গৌরী উপবাস পালনকারী একটি মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেন। সেই মেয়ের পুণ্যের কারণে ধর্মপালের ছেলে মৃত্যুর কবল থেকে মুক্তি পান। এই ভাবে ছড়িয়ে পড়ে এই ব্রত। 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 83: “তোমরা খুব সেয়ানা, কেউ দশে আছো; কেউ ছয়ে আছো, কেউ পাঁচে আছো”

    Ramakrishna 83: “তোমরা খুব সেয়ানা, কেউ দশে আছো; কেউ ছয়ে আছো, কেউ পাঁচে আছো”

    শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ  কথোপকথন

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ত্রিভির্গুণয়ৈর্ভাবৈরেভিঃ সর্বমিদং জগৎ।

    মোহিততং নাভিজানাতি মামেভ্যঃ পরমব্যয়ম্‌।।

    (গীতা—৭১৩।)

    তিনি (Ramakrishna) লীলাময়ী! এ-সংসার তাঁর লীলা। তিনি ইচ্ছাময়ী, আনন্দময়ী। লক্ষের মধ্যে একজনকে মুক্তি দেন।

    ব্রাহ্মভক্ত—মহাশয়, তিনি তো মনে (Kathamrita) করলে সকলকে মুক্ত করতে পারেন। কেন তবে আমাদের সংসারে বদ্ধ করে রেখেছেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তাঁর ইচ্ছা। তাঁর ইচ্ছা যে, তিনি এইসব নিয়ে খেলা করেন। বুড়ীকে আগে থাকতে ছুঁলে দৌড়াদৌড়ি করতে হয় না। সকলেই যদি ছুঁয়ে ফেলে, খেলা কেমন করে হয়? সকলেই ছুঁয়ে ফেললে বুড়ি অসন্তুষ্ট হয়। খেলা চললে বুড়ীর আহ্লাদ। তাই লক্ষের দুটো-একটা কাটে, হেসে দাও মা হাত-চাপড়ি। (সকলের আনন্দ)

    তিনি মনকে আঁখি ঠেরে ইশারা করে বলে দিয়েছেন, যা এখন সংসার করগে যা। মনের কি দোষ? তিনি যদি আবার দয়া করে মনকে ফিরিয়ে দেন, তাহলে বিষয়বুদ্ধির হাত থেকে মুক্তি হয়। তখন আবার তাঁর পাদপদ্মে মন হয়।

    ঠাকুর (Ramakrishna) সংসারীর ভাবে মার কাছে অভিমান করে গাইতেছেন (Kathamrita);

    আমি ওই খেদ খেদ করি।

    তুমি মাতা থাকতে আমার জাগা ঘরে চুরি।।

    মনে করি তোমার নাম করি, কিন্তু সময়ে পাসরি।

    আমি বুঝেছি জেনেছি, আশয় পেয়েছি এ-সব তোমারি চাতুরি।।

    কিছু দিলে না, পেলে না, নিলে না, খেলে না, সে দোষ কি আমারি।

    যদি দিতে পেতে, নিতে খেতে, দিতাম খাওয়াতাম তোমারি।।

    যশ, অপজশ, সুরস, কুরস সকল রস তোমারি।

    ওগো রসে থেকে রসভঙ্গ, কেন কর রসেশ্বরী।।

    প্রসাদ বলে, মন দিয়েছ, মনেরি আঁখি ঠারি।

    (ওমা) তোমার সৃষ্টি দৃষ্টি-পোড়া, মিষ্টি বলে ঘুরি।।

    তাঁরই মায়াতে ভুলে মানুষ সংসারী হয়েছে। প্রসাদ বলে মন দিয়েছে, মনেরি আঁখি ঠারি।

    কর্মযোগ সম্বন্ধে শিক্ষা—সংসার ও নিষ্কামকর্ম

    ব্রাহ্মভক্ত—মহাশয়, সব ত্যাগ না করলে ঈশ্বরকে (Ramakrishna) পাওয়া যাবে না?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—নাগো! তোমাদের সব ত্যাগ করতে হবে কেন? তোমার রসে-বসে বেশ আছ। সা-রে-মা-তে! (সকলের হাস্য) তোমরা বেশ আছ। নক্স খেলা জানো? আমি বেশি কাটিয়ে জ্বলে গেছি। তোমরা খুব সেয়ানা। কেউ দশে আছো; কেউ ছয়ে আছো, কেউ পাঁচে আছো। বেশি কাটাও নাই, তাই আমার মতো জ্বলে যাও নাই। খেলা চলছে—এ তো বেশ। (সকলের হাস্য)

    আরও পড়ুনঃ “মাকড়সা ভিতর থেকে জাল বার করে, আবার নিজে সেই জালের উপর থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: জ্বলছে বাংলাদেশ! ঢাকার পরিস্থিতির দিকে নজর ভারতের

    Bangladesh Protest: জ্বলছে বাংলাদেশ! ঢাকার পরিস্থিতির দিকে নজর ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে এখনও স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি।  বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনে (Bangladesh Protest) এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন বহু মানুষ। জারি হয়েছে কার্ফু। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয়েছে সেনা। এমত পরিস্থিতিতে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নয়াদিল্লি বিষয়টি নিয়ে কী ভাবছে। এ প্রশ্নে তিনি এক লাইনে জবাব দিয়েছিলেন, ‘‘এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’’

    কূটনৈতিক মহলের মন্তব্য 

    রণধীর জয়সওয়ালের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কূটনৈতিক মহল বলছে, ভারতের সঙ্গে দীর্ঘতম সীমান্ত ভাগ করে নেওয়া দেশে প্রবল রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার ঘটনায় (Bangladesh Protest) সাউথ ব্লকের গভীর অস্বস্তি এবং উদ্বেগকেই আড়াল করতে চেয়েছেন রণধীর। কারণ এখন এ নিয়ে রা কাড়াও ভারতের পক্ষে বুমেরাংয়ের সমান। গত ছমাসেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ জুড়ে ভারত-বিরোধিতার যে ঢেউ দেখা গিয়েছে, তা-ই নতুন মোড়কে ফিরে এসেছে এখন। ঢাকার রাজপথে গর্জন শোনা গিয়েছে, ‘ভারত যাদের মামাবাড়ি, বাংলা ছাড়ো তাড়াতাড়ি।’ ফিরে এসেছে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক, ‘ভারতীয় আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে, ‘ভারতের তাঁবেদার সরকার’ আওয়ামী লীগকে হটানোর ডাক। আর এ সবই ঘটেছে নয়াদিল্লির নাকের ডগায়।

    এ প্রসঙ্গে নয়াদিল্লির মন্তব্য (Bangladesh Protest) 

    সব মিলিয়ে শীর্ষ নেতৃত্ব স্তরে ‘সোনালি অধ্যায়ের’ একটি ছবি দক্ষিণ এশিয়া দেখতে পেলেও, দুদেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বিভিন্ন স্তরে আরও বাড়ানোর কথাই যে এ বার ভাবতে হবে, তা ঘরোয়া ভাবে স্বীকার করছে নয়াদিল্লি। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশি ছাত্রদের জন্য আরও বেশি স্কলারশিপ বাড়ানো, নজরদারি বহাল রেখে ভিসা আরও শিথিল করা, ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করার মতো বিষয়গুলিতে কত দূর এগোনো যায়, সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে।

    দেশে ফিরল ৪৫০০ জন ভারতীয় পড়ুয়া (Indian students) 

    অন্যদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন (Bangladesh Protest) ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশে আটকে পড়েছিলেন কয়েক হাজার ভারতীয় পড়ুয়া। জানা গিয়েছে, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক, অভিবাসন দপ্তর, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF)-এর সঙ্গে সমন্বয় রেখে ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরাচ্ছে বিদেশ মন্ত্রক। হিসেব বলছে ৪৫০০ জন ভারতীয় শিক্ষার্থী বাংলাদেশ থেকে নিরাপদে দেশে ফিরেছে। তবে শুধু ভারতীয় পড়ুয়াই নয়, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপের বহু পড়ুয়ারাও বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে এসেছেন। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ফেরত এক ভারতীয় পড়ুয়া বলেছেন, ”অনেক শিক্ষার্থী বিমানের টিকিট বুক করেছিলেন। কিন্তু যেহেতু সেখানে কার্ফু রয়েছে, তাই তাঁরা বিমানবন্দরে যেতে পারেননি। বেশ কয়েকটি ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে। এখনও অনেক ভারতীয় ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়গুলির হস্টেলে রয়েছেন।” 

    আরও পড়ুন: নাশকতার ছক বানচাল! রাজৌরিতে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে আহত ১ জওয়ান

    প্রসঙ্গত, রবিবার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট আন্দোলনের (Bangladesh Protest) পক্ষে রায় দিয়েছে। সেই রায় অনুযায়ী সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে যে ৫৬ শতাংশ সংরক্ষণ ছিল, তা কমিয়ে ৭ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে। যেখানে এতদিন ‘মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের’ জন্য ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ ছিল,  তা কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। বাকি ২ শতাংশ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য এবং বিশেষ ভাবে সক্ষম ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। সুপ্রিম রায়ে আন্দোলনের জয়জয়কার হলেও বাংলাদেশ এখনও অশান্ত। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সে দেশে পড়তে যাওয়া বিদেশি পড়ুয়ারা। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ভারতীয় (Indian students)। বিষয়টি সামনে আসতেই ভারতের তরফে শুরু হয় তৎপরতা। এরপর ধাপে ধাপে তাঁদের ভারতে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Job in America: বছরে দেড় কোটি টাকার চাকরি পেয়েও বাবা-মাকে ছেড়ে আমেরিকায় গেলেন না বাংলার যুবক

    Job in America: বছরে দেড় কোটি টাকার চাকরি পেয়েও বাবা-মাকে ছেড়ে আমেরিকায় গেলেন না বাংলার যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরে দেড় কোটি টাকার বেতনের চাকরি পেয়েও আমেরিকায় (Job in America) গেলেন না বাংলার এই যুবক। বললেন, ‘বাবা-মা একলা হয়ে যাবেন’। কিন্তু সাধারণত কেরিয়ার নিয়ে সকলেই বিশেষ নজর দিয়ে থাকেন। মোটা টাকার বেতনের চাকরি তাও আবার বিদেশের মাটিতে, তাকে অস্বীকার করে ব্যাতিক্রমি দৃষ্টান্ত রেখেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটির ছাত্র আয়ুষ শর্মা। তাঁর এই এই সিদ্ধান্তে চোখে জল এনে দিয়েছে পরিবারের। বাবা-মায়ের জন্য মোটা প্যাকেজ এবং বিদেশ দুটোকেই ত্যাগ করেছেন তিনি।

    দেশ ছেড়ে বিদেশের মাটিতে কাজ করবনে না (Job in America)

    আয়ুষ শর্মা আমেরিকায় (Job in America) মোটা বেতনের চাকরির ডাক পেয়েছেন। ভারতীয় মুদ্রায় সেই দেশের টাকা বছরে প্রায় দেড় কোটির সমান। কিন্তু বাবা-মাকে এই দেশে রেখে এই লোভনীয় চাকরিতে যোগ দিতে রাজি হননি তিনি। কেউ কেউ হয়তো ভাবতে পারেন ভীতু, বাইরে থাকার অভ্যাস নেই, ঘরের কোণে থাকতে পছন্দ করেন। রাজ্য-দেশের গণ্ডির বাইরে বের হতে পারলেন না! কিন্তু বিষয়টা তা নয়, আয়ুষ মূলত দেশ ছেড়ে বিদেশের মাটিতে গিয়ে কোনও রকম কাজ করতে চান না। দেশে থেকে বাবা-মাকে পাশে নিয়ে দেশের জন্য কাজ করতে চান।

    আরও পড়ুনঃ অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ থেকে প্রায় দেড় হাজারের বেশি পড়ুয়া দেশে ফিরলেন বিএসএফের উদ্যোগে

    দেশে কিছু করতে চাই

    আয়ুষের বাড়ি কলকাতার বাগুইআটিতে। তিনি ক্যালকাটা পাবলিক স্কুলে পড়াশুনা করতেন। এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। মা গৃহবধূ এবং বাবা বীমা সংস্থায় চাকরি করেন। পরিবার অত্যন্ত মধ্যবিত্ত। ছোট বেলা থেকেই মেধাবী ছাত্র ছিলেন তিনি। কিন্তু জানা গিয়েছিল প্রথমে যে আইটি কোম্পানির কাজ, ওয়ার্ক ফ্রম হোম হবে কিন্তু পরে জানা গিয়েছে আমেরিকার (Job in America) অফিসে গিয়েই করতে হবে কাজ, তাই চাকরি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু কেন চাকরিতে যোগদান করেননি জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেছেন, “প্রথম কারণ হল বাবা-মা। তাঁদের বাড়িতে রেখে বিদেশে যাওয়া সম্ভবপর নয়। আমি চলে গেলে তাঁরা একলা হয়ে পড়বেন। বর্তমানে দেশে কিছু করতে চাই। এখন ওয়ার্নার্স ব্রাদার্সের চাকরিটা করবো। এখানে বাৎসরিক প্যাকেজ ২৪ লাখ। এই চাকরি বেঙ্গালুরুতে গিয়ে করতে হবে। তবে দেশের মধ্যেই থাকব এটা ভালো। বাবা-মা সমস্যায় পড়লে দ্রুত ফিরতে পারব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে দেড় হাজারের বেশি পড়ুয়া ফিরলেন দেশে

    Bangladesh Protest: পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে দেড় হাজারের বেশি পড়ুয়া ফিরলেন দেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে সারা বাংলাদেশ (Bangladesh Protest) এখন অগ্নিগর্ভ। সেই দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ভারতীয় পড়ুয়ারা দেশে ফিরে আসছেন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফিরে আসছেন। আবার একই ভাবে নেপাল, ভুটান এবং মলদ্বীপের পড়ুয়ারাও সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসে তারপর নিজের দেশে ফিরছেন। পড়ুয়াদের নিরাপদে নিজের দেশে ফিরতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষা বল অর্থাৎ বিএসএফ (BSF)।

    দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে ১২০৮ জন পড়ুয়া ঢুকেছে (Bangladesh Protest)

    ভারতের বিএসএফ সূত্রে বলা হয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল, ঘোজাডাঙা, নদিয়ার গেদে এবং মালদার মহদিপুর বর্ডারে বিশেষ হেল্প লাইন খোলা হয়েছে। গত ১৮ জুলাই থেকে রবিবার বিকেল পর্যন্ত এই চারটি সীমান্তবর্তী এলাকায় বিএসএফ সহযোগিতা করে প্রায় ১২০৮ জন পড়ুয়াকে বাংলাদেশ (Bangladesh Protest) থেকে ভারতে ঢুকতে সহযোগিতা করা হয়েছে। তার মধ্যে ১০৪৫ জন ভারতীয়, ১৫২ জন নেপালি, ৮ জন ভুটানি এবং ৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক। একই ভাবে উত্তরবঙ্গের হিলি, চ্যাংরাবান্ধা, ফুলবাড়ি দিয়ে অনেকই প্রবেশ করেছেন। কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা দিয়ে রবিবার ৪৪১ জন পড়ুয়া দেশে ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যে ২৪৩ জন ভারতীয়, ১৭৩ জন নেপাল, ২৫ জন ভুটান এবং একজন মলদ্বীপের ছাত্র। আবার শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন পড়ুয়া দেশে ফিরেছেন। এই দলে উত্তর প্রদেশের ১ জন, নেপালের ১০ জন এবং ভুটানের ৩ জন পড়ুয়া রয়েছেন। একই ভাবে অশান্ত বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে ভারত সরকার। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, “ভুটান এবং নেপালের অনুরোধ এই দুটি দেশের পড়ুয়াদেরও ভারতে আসতে সাহায্য করা হচ্ছে।”

    বিএসএফ আধিকারিকের বক্তব্য

    বিএসএফের (BSF) দক্ষিণবঙ্গের সীমান্তের ডিআইজি এ কে আর্য বলেছেন, “বাংলাদেশ (Bangladesh Protest) থেকে পড়ুয়াদের নিরাপদে ভারতে ফেরাতে আমরা অত্যন্ত সচেতন। বিজিপির সঙ্গে আমরা সবসময় যোগাযোগ রেখে চলেছি। রাতের বেলাতেও যাতে নিরাপদে ফিরতে পারেন সেই দিকে নজর রাখা হয়েছে। বর্ডারে বিশেষ হেল্প ডেস্ক সহ, মেডিক্যাল সুবিধার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ উৎসবের মেজাজে মদ-মাংস খেয়ে শহিদ দিবস উদযাপন তৃণমূল কর্মীদের

    পড়ুয়াদের বক্তব্য

    ঢাকা থেকে ২০জনের একটি ভারতীয় পড়ুয়াদের দল দেশে ফিরেছেন। এই দলের মধ্যে গুজরাট এবং কাশ্মীরের বাসিন্দা রয়েছেন। তাঁরা সকলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া। এক ছাত্র ফাইজা বলেছেন, “বাংলাদেশে (Bangladesh Protest) কার্ফু চলছে। তাই দেশে ফিরে এলাম। নিজেদের অত্যন্ত সুরক্ষিত মনে করছি।” একই ভাবে রংপুর কমিউনিটি মেডিক্যাল কলেজ সহ বগুড়া, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জায়গার ভারতীয় ডাক্তারি পড়ুয়ারা দেশে ফিরছেন। ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়েও অনেক পড়ুয়াকে ভারতে ফেরাতে সক্রিয় ভাবে কাজ করছে সীমান্ত সুরক্ষা বল।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Terrorist attack: নাশকতার ছক বানচাল! রাজৌরিতে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে আহত ১ জওয়ান

    Terrorist attack: নাশকতার ছক বানচাল! রাজৌরিতে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে আহত ১ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝরল রক্ত। ফের অশান্ত জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-Kashmir)। সোমবার সাতসকালে রাজৌরির সেনাঘাঁটিতে বড়সড় জঙ্গিহানার (Terrorist attack) খবর মিলল। ঘটনার পরে ইতিমধ্যেই গোটা এলাকায় নেমেছে সেনা, চলছে তল্লাশি অভিযান। নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে খবর, পাকিস্তান থেকে জঙ্গিরা এ দেশে ঢুকে কাশ্মীরে গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে। তাদের খুঁজে বার করতে জম্মুতে মোতায়েন করা হয়েছে প্যারা স্পেশ্যাল ফোর্সের ৫০০ জন কমান্ডোকে। শুধু তাই নয়, উপত্যকায় বাহিনী পুনর্বিন্যাসের কথাও ভাবছে নিরাপত্তা বাহিনী।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Terrorist attack) 

    নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে খবর, সোমবার ভোরে প্রচুর পরিমাণে গোলাবারুদ নিয়ে একদল জঙ্গি জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরির সেনাছাউনিতে অতর্কিতে হামলা চালায়। ভোর চারটে নাগাদ প্রথমে গুলি চালানো শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা গুলি চালান জওয়ানেরাও। প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে গুলির লড়াই। জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক জওয়ান জখম হয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে পেরে না উঠে পিছু হটতে বাধ্য হয় জঙ্গিরা। বানচাল হয় জঙ্গি নাশকতার ছক। এ প্রসঙ্গে সেনা মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুনীল বার্টওয়াল বলেন, ”রাজৌরির একটি দূর প্রান্তের গ্রামের সেনা ঘাঁটিতে বড়সড় হামলা চালিয়েছে সেনারা। জঙ্গিদের ধরতে অপারেশন চলছে।”
    প্রসঙ্গত, শনিবারই সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী জম্মুতে গিয়েছিলেন। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা ও অন্যান্য আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আলোচনা করেছেন উপত্যকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। সেই বৈঠকের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সেনা ছাউনিতে হামলা (Terrorist attack) চালাল জঙ্গিরা।

    আরও পড়ুন: ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারে ১০ লাখ ডলার দেবে ভারত! ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

    একের পর এক জঙ্গি হামলা 

    এটাই প্রথম নয়, এর আগেও গত কয়েক বছরে একের পর এক জঙ্গি হামলার (Terrorist attack) খবর মিলেছে জম্মু-কাশ্মীরে। সপ্তাহ দুয়েক আগে রাজৌরি জেলার মাঞ্জাকোটে সেনা ক্যাম্পের কাছে গুলি চালানোর খবর এসেছিল। সে সময় জঙ্গিরা মাঞ্জাকোটের ওই সেনা ক্যাম্পে রাতের অন্ধকারে হামলা চালানোর ছক কষে। সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষে আহত হয় এক জওয়ান। এর দিন ছয়েক আগে ডোডা জেলাতেও নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষ চলে। প্রাণ হারান একজন ভারতীয় সেনা অফিসার সহ চারজন নিরাপত্তারক্ষী। ফলে সব মিলিয়ে জম্মু এলাকায় ৩২ মাসে ৪৮ জন সেনা শহিদ হয়েছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UNESCO World Heritage Centre: ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারে ১০ লাখ ডলার দেবে ভারত! ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

    UNESCO World Heritage Centre: ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারে ১০ লাখ ডলার দেবে ভারত! ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের (UNESCO World Heritage Centre) জন্য এক মিলিয়ন ডলার দেবে ভারত। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন যে, ভারত, বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলিতে ঐতিহ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সাহায্যের জন্য ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারে এক মিলিয়ন ডলার দান করবে। এদিন নয়াদিল্লিতে ভারত মণ্ডপে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ৪৬ তম অধিবেশনের উদ্বোধনে বক্তৃতার সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, ”ভারত বিশ্ব ঐতিহ্য সংরক্ষণকে তার দায়িত্ব বলে মনে করে। তাই শুধুমাত্র ভারতেই নয় বরং ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য ভারত গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোতেও সহায়তা প্রদান করছে।”  

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য (PM Modi) 

    এদিন বক্তৃতার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”ভারত কম্বোডিয়ার আঙ্কোর ওয়াট, ভিয়েতনামের চাম মন্দির এবং মায়ানমারের বাগান স্তূপের মতো অনেক ঐতিহ্যের সংরক্ষণে সহায়তা করছে।” এরপরেই মোদি বলেন, ”আমি ঘোষণা করছি, ভারত ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারে (UNESCO World Heritage Centre) এক মিলিয়ন ডলার দান করবে। এই অনুদানটি সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলির সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হবে।” এদিন একে অপরের ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সবাইকে একত্রিত হওয়ারও আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী। 

    গত ১০ বছরে ভারতের উন্নয়ন 

    এদিন বক্তৃতায় মোদির (PM Modi) সময়কালে ভারতের উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”গত ১০ বছরে ভারত আধুনিক উন্নয়নের নতুন মাত্রা স্পর্শ করেছে। সে কাশীর বিশ্বনাথ করিডোর হোক কিংবা অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ বা প্রাচীন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ক্যাম্পাস, সারা দেশে এমন অসংখ্য কাজ হচ্ছে। আজ, আয়ুর্বেদের উপকারিতা সমগ্র বিশ্বে পৌঁছেছে, কিন্তু এটি ভারতের বৈজ্ঞানিক ঐতিহ্য। তাই ভারতের ঐতিহ্য শুধু ইতিহাস নয়, বিজ্ঞানও।”      
    প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, বিশ্বে ঐতিহ্যের বিভিন্ন স্থান রয়েছে, কিন্তু ভারত এতই প্রাচীন যে বর্তমানের প্রতিটি বিন্দু একটি গৌরবময় অতীতের ঘটনা বর্ণনা করে। বিশ্ব দিল্লিকে ভারতের রাজধানী হিসাবে জানে, তবে এই শহরটি হাজার বছরের ঐতিহ্যের কেন্দ্রও। এখানে, প্রতিটি পদক্ষেপে আপনি ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের সাক্ষী হবেন। এখান থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে কয়েক টন ওজনের একটি লোহার স্তম্ভ। এই লোহার স্তম্ভটি ২০০০ বছর ধরে খোলা আকাশের নীচে রোদ, ঝড়, জল মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, তবুও এখনও পর্যন্ত এতে কোনও জং বা মরচে পড়েনি। ফলে এর থেকেই বোঝা যায় সেই সময়েও ভারতের ধাতুবিদ্যা কতটা উন্নত ছিল।   

    আরও পড়ুন: “বিজেপি করে বলেই পিটিয়ে খুন করেছে তৃণমূল”, দাবি পরিবারের

    আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাচ্ছে ‘মায়দাম’

    একইসঙ্গে এদিন প্রধানমন্ত্রী জানান যে উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি ঐতিহাসিক স্থানকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের (UNESCO World Heritage Centre) তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন যে, উত্তর পূর্ব ভারতের ঐতিহাসিক ‘মায়দাম’ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি হবে ভারতের ৪৩ তম বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এবং উত্তর পূর্ব ভারতের প্রথম ঐতিহ্যবাহী স্থান যা সাংস্কৃতিক বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা পাবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Richa Ghosh: মেয়েদের ক্রিকেটে ইতিহাস ভারতের, চিনে নিন নেপথ্য কারিগরকে

    Richa Ghosh: মেয়েদের ক্রিকেটে ইতিহাস ভারতের, চিনে নিন নেপথ্য কারিগরকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়েদের ক্রিকেটে ইতিহাস গড়ল ভারত। কারিগর বাংলার কিপার ব্যাটার রিচা ঘোষ (Richa Ghosh)। তাঁর হাত ধরেই এই প্রথমবার টি-টোয়েন্টিতে ২০০ প্লাস স্কোর করল ভারত। বস্তুত, ভারত মহিলা এশিয়া কাপ (Womens Asia Cup 2024) অভিযান শুরুই করেছিল পাকিস্তানকে পর্যুদস্ত করে। রবিবার ছিল দ্বিতীয় ম্যাচ। এই ম্যাচে ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল সংযুক্ত আরব আমির শাহি। টস জেতে আরব। ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় তারা। তার পরেই রচিত হল ইতিহাস। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২০১ রান তোলেন হরমনপ্রীত কৌররা। রেকর্ড গড়েন রিচা।

    রিচার রেকর্ড (Richa Ghosh)

    টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের সর্বাধিক স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ১৯৮। ২০১৮ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে এই স্কোর করেছিল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট টিম। মুম্বইয়ে গড়া সেই রেকর্ড এদিন শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় ছাড়িয়ে গেল সে-ই ভারতই। কেবল তা-ই নয়, ভারতের প্রথম কিপার-ব্যাটার হিসেবে এশিয়া কাপে হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েন রিচা। মাত্র ২৬ বলে কেরিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করেন রিচা। ইনিংসের শেষ ওভারের শেষ পাঁচ বলেই বাউন্ডারি হাঁকান রিচা।

    বিধ্বংসী মেজাজে শুরু ভারতের খেল

    এদিন স্মৃতি-শেফালিও ইনিংস শুরু করে বিধ্বংসী মেজাজে। শেফালি ২০৫-এর বেশি স্ট্রাইকরেটে করেন ৩৭ রান। তবে স্লগ ওভাবে মাঠ কাঁপিয়েছেন রিচাই (Richa Ghosh)। এক ডজন বাউন্ডারি ও একটি ছয় হাঁকান রিচা। ২৯ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন। স্ট্রাইকরেট ২২০-র বেশি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এতদিন তাঁর সর্বাধিক স্কোর ছিল অপরাজিত ৪৭। স্মৃতি মান্ধানা মাত্র ১৩ রান করেন। ২ রান করে আউট হয়ে যান দয়ালন হেমলতা। এর পরেই শেফালি বর্মাকে নিয়ে টিম ইন্ডিয়ার স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন হরমনপ্রীত।

    আরও পড়ুন: “রামদেবের সমস্যা না থাকলে, রহমানের কেন?”, কানওয়ার বিতর্কে প্রশ্ন যোগগুরুর

    শেফালি আউট হন ৩৭ রান করে। শেফালি সাজঘরে (Womens Asia Cup 2024) ফিরে যাওয়ার পর মাঠে নামেন জেমিমা। ১৪ রানে আউট হন তিনি। শেষমেশ রিচা ও হরমনপ্রীত জয়ের ভিত মজবুত করে দেন টিম ইন্ডিয়ার। ৪৫ বলে ৭৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন তাঁরা (Richa Ghosh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share