Tag: news in bengali

news in bengali

  • NEET UG 2024: নিট-ইউজির কাউন্সেলিং কবে শুরু জানেন?

    NEET UG 2024: নিট-ইউজির কাউন্সেলিং কবে শুরু জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিট-ইউজির (NEET UG 2024) কাউন্সেলিং কবে হবে, তা নিয়ে কৌতূহলের অন্ত নেই পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে। তবে এই কাউন্সেলিং (Counselling) কবে হবে জানানো হবে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন কটি আসন রয়েছে, তা জানানোর পর। জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে তারা এই ঘোষণা করবে। শনিবার এ খবর জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। প্রথমে ঠিক ছিল, নিট ইউজি (NEET UG 2024) ২০২৪ সালের কাউন্সেলিং হবে ৬ জুলাই। সেটাই আপাতত স্থগিত হয়ে গিয়েছে। কতগুলি আসন রয়েছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন তা জানালে তবেই শুরু হবে কাউন্সেলিং।

    নিট ইউজি পরীক্ষা (NEET UG 2024)

    নিট ইউজি পরীক্ষা নিয়েছিল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। দেশের সব ধরনের বড় পরীক্ষাই নেয় এরা। তবে চলতি বছর এই সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে রয়েছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগও। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের অধীন। লিখিত পরীক্ষা নেয় এরাই। আর কাউন্সেলিং প্রক্রিয়াটি সম্পাদন করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এবং ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার। শুক্রবার এই মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নিট-ইউজি-র কাউন্সেলিংয়ের তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তাই এটি পিছিয়ে যাচ্ছে বলে যে খবর ছড়াচ্ছে, সেটি ভুল।’

    আর পড়ুন: কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করল রোবট!

    কী বলা হয়েছে বিবৃতিতে?

    এই বিবৃতিতেই আরও বলা হয়েছে, ‘মেডিক্যাল কাউন্সেলিং কমিটির অধীনে থাকা ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হেল্থ সার্ভিসের তরফে এখনও নিট ইউজি এবং পিজি ২০২৪ সালের কাউন্সেলিং সিডিউল ঘোষণা করা হয়নি। নিট পিজি ২০২৪ পরীক্ষা জুন থেকে পিছিয়ে নিয়ে গিয়ে করা হয়েছে অগাস্টে।’ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এবং ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ারের তরফে জারি করা ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এমসিসি তাদের ওয়েবসাইটে নিট ইউজি এবং পিজির কাউন্সেলিংয়ের সিডিউল ঘোষণা করবে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন কতগুলি আসন রয়েছে তা জানাবে এবং পরীক্ষা প্রক্রিয়া (Counselling) সম্পূর্ণ হওয়ার পর এই নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হবে (NEET UG 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jon Landau: ক্যান্সারে ভুগে প্রয়াত টাইটানিকের অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক জন ল্যান্ডিন

    Jon Landau: ক্যান্সারে ভুগে প্রয়াত টাইটানিকের অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক জন ল্যান্ডিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলচ্চিত্র দুনিয়ায় শোকসংবাদ। প্রবীণ চলচ্চিত্র পরিচালক জন ল্যান্ডো (Jon Landau) প্রয়াত হয়েছেন। যিনি বিজ্ঞান কল্পকাহিনী মূলক চলচ্চিত্র ‘অ্যাভাটার’ এবং ‘টাইটানিক’-এর মতো হলিউডে সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন। মাত্র ৬৩ বছর বয়সে জীবনাবসান হয়েছে তাঁর। এই সংবাদ প্রকাশ্যে আসতেই চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোক প্রকাশ করেছেন বিখ্যাত পরিচালক জেমস ক্যামরন। তবে কী ভাবে মারা গিয়েছেন এই পরিচালক, তা এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। মৃত্যুর কারণ শুধু ক্যান্সার বলা হয়েছে।

    ‘অবতার ২’-তে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলেন (Jon Landau)

    জেমস ক্যামরনের চলচ্চিত্র ‘অবতার ২’ সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। ১৯৯৭ সালে বিখ্যাত চলচ্চিত্র টাইটানিক ছবিতেও অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। সেই সময় জনকে অনেকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তিনি তিনবার অস্কার পুরস্কার পেয়েছিলেন। একই সঙ্গে সেরা পুরস্কারও জিতে ছিলেন। এই ছবিতে তাঁর সঙ্গে জেমস ক্যামেরনেরও পূর্ণ অবদান ছিল।

    প্রোডাকশন ম্যানেজার দিয়ে কাজ শুরু (Jon Landau)

    জন কর্মজীবনে প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। প্রসঙ্গত, জন ল্যান্ডিউ তাঁর কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ১৯৮০ সালে। তিনি কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার সঙ্গে চলচ্চিত্র প্রযোজক হওয়ার যাত্রা শুরু করেছিলেন। তিনি বিখ্যাত পরিচালক জেমস ক্যামেরনের সঙ্গে বিশাল ব্যয়ের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তাঁরা ১১ বার অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিলেন। জনের দুই ছেলে জেমি ল্যান্ডো এবং জোডি। তাঁর স্ত্রীর নাম জুলি। তাঁদের রেখে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন জন।

    আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর প্রচলন এখানেই! বাংলাদেশের মেধস মুনির আশ্রমের জমি দখলের অভিযোগ

    পুত্রের শোক প্রকাশ

    প্রযোজকের ছেলে জেমি ল্যান্ডিউ এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমার বাবা আর পৃথিবীতে নেই।” অন্যদিকে, জনের মৃত্যুতে জেমস ক্যামেরন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে এই চলচ্চিত্র নির্মাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রচুর ভক্ত। এছাড়াও হলিউডের আরও অনেক তারকা জনের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। তাঁরা জনের (Jon Landau) পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানিয়েছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hindus Under Attack: ভারতে কি শুরু হয়ে গেল হিন্দু ‘নিধন যজ্ঞ’?

    Hindus Under Attack: ভারতে কি শুরু হয়ে গেল হিন্দু ‘নিধন যজ্ঞ’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে কি হিন্দু ‘নিধন যজ্ঞ’ শুরু হয়ে গেল? গত এক সপ্তাহে ভারত (India) এবং বহির্ভারতে হিন্দুদের (Hindus Under Attack) ওপর অত্যাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই উঠছে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের এই প্রশ্ন। কখনও জোর করে ধর্মান্তকরণ, কখনও আবার বেছে বেছে হিন্দুদের খুন-মারধর, কখনও আবার হিন্দুদের জমি জোর করে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা, মন্দিরে ভাঙচুর, ঘৃণা ভাষণ এবং যৌন হিংসার ঘটনা শুরু হতেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি হিন্দু ধর্মের ওপর ফের নেমে এল অত্যাচারীদের খড়্গ-কৃপাণ? এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক গত ৩০ জুন থেকে ৬ জুলাই- এই এক সপ্তাহের ঘটনাপ্রবাহ।

    হিন্দু নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ (Hindus Under Attack)

    মহারাষ্ট্রের ঠানেতে এক হিন্দু মহিলাকে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে এক মুসলমানের বিরুদ্ধে। আফসানা পারভিন এই মিথ্যে পরিচয়ে দিল্লির এক তরুণকে ফাঁদে ফেলা হয়েছিল। তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরের সিএসআই ইমানুয়েল চার্চে রবিবারের প্রার্থনাসভায় হিন্দু-বিরোধী মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে প্রিন্স কেলভিনের বিরুদ্ধে। প্রার্থনাসভাটি পরিচালনা করছিলেন তিনিই (Hindus Under Attack)। অসমের গুয়াহাটিতে এক কুখ্যাত যুবকের প্রেম-প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় অপহরণ করা হয় এক আইনের ছাত্রীকে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় আশরাফ জামান নামে এক যুবককে।

    তালিকায় হরিয়ানা, রাজস্থান…

    হরিয়ানার ফরিদাবাদে জনতা কলোনি এলাকার এক কালী মন্দিরের সামনে নিদারুণভাবে নির্যাতন করা হয় মন্দিরের পুরোহিত রবি কাশ্যপকে। জখম অবস্থায় তাঁকে ফেলে রেখে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। রাজস্থানের মহাত্মা গান্ধী পার্ক এলাকায় কর্মসূচি পালন করছিলেন আরএসএসের স্বয়ংসেবকরা। অদূরেই ক্রিকেট খেলছিল কয়েকজন মুসলমান ছেলে। স্বয়ংসেবকদের ওপর হামলার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে ৬ জন ইসলাম ধর্মাবলম্বীকে।

    আর পড়ুন: দুর্গাপুজোর প্রচলন এখানেই! বাংলাদেশের মেধস মুনির আশ্রমের জমি দখলের অভিযোগ

    উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে দুই মুসলিম যুবক তানিম এবং ফৈজান হিন্দুদের কয়েকটি দোকানে ঢুকে পড়ে মারধর করে দোকানদার ও তাঁদের কর্মীদের। কর্ণাটকের কালাবুর্গি এলাকায় ভীমশঙ্কর দাশারা নামে এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করে কয়েকজন মুসলমান যুবক। পাঞ্জাবে শিবসেনা প্রধান সন্দীপ থাপারের ওপর কয়েকজন শিখ তরোয়াল নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে এক মুসলমান ফল বিক্রেতা পাথরের আঘাতে একটি চোখ নষ্ট করে দেয় নিতু সিং নামে একজনের। কেবল ভারত নয়, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশেও এই জাতীয় ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে (India) বলে অভিযোগ।

    সনাতনীদের ওপর এহেন আক্রমণ কেন (Hindus Under Attack)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 71: “আমি সাকারবাদীর কাছে সাকার, আবার নিরাকারবাদীর কাছে নিরাকার”

    Ramakrishna 71: “আমি সাকারবাদীর কাছে সাকার, আবার নিরাকারবাদীর কাছে নিরাকার”

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ঠাকুর অনন্ত ও অনন্ত ঈশ্বর—সকলই পন্থা—শ্রীবৃন্দাবন-দর্শন

    জ্ঞানীর মতে অসংখ্য অবতার-কুটীচক-তীর্থ কেন

    কবীরদাসের নিরাকারের উপর খুব ঝোঁক ছিল। কৃষ্ণের কথায় কবীরদাস বলত ওঁকে কি ভজব?—গোপীরা হাততালি দিত আর উনি বানর নাচ নাচতেন! (সহাস্যে) আমি সাকারবাদীর কাছে সাকার, আবার নিরাকারবাদীর কাছে নিরাকার।

    মণি (সহাস্যে)—যার কথা (Kathamrita) হচ্ছে তিনিও (ঈশ্বর) যেমন অনন্ত, আপনিও তেমনি অনন্ত!—আপনার অন্ত পাওয়া যায় না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—তুমি বুঝে ফেলেছ!—কি জানো—সব ধর্ম একবার করে নিতে হয়।–সব পথ দিয়ে আসতে হয়। খেলার ঘুঁটি সব ঘর না পার হলে কি চিকে উঠে?—ঘুঁটি যখন চিকে উঠে কেউ তাকে ধরতে পারে না।

    মণি–আজ্ঞা

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—যোগীর দুই প্রকার–বহুদক আর কুটীচক। যে সাধু অনেক তীর্থ করে বেড়াচ্ছে, যার মনে এখনও শান্তি হয় নাই, তাকে বহুদক বলে। যে-যোগী সব ঘুরে মন স্থির করেছে, যার শান্তি হয়ে গেছে—সে এক জায়গায় আসন করে বসে—আর নড়ে না। সেই এক স্থানে বসতেই তার আনন্দ। তার তীর্থে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন করে না। যদি সে তীর্থে যায়, সে কেবল উদ্দীপনের জন্য।

    আমায় (Ramakrishna) সব ধর্ম একবার করে নিতে হয়েছিল—হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান আবার শাক্ত, বৈষ্ণব, বেদান্ত, এসব পথ দিয়েও আসতে হয়েছে। দেখলাম, সেই এক ঈশ্বর (Ramakrishna)—তাঁর কাছেই সকলি আসছে—ভিন্ন ভিন্ন পথ দিয়ে।

    তীর্থে গেলাম তা এক-একবার ভারী কষ্ট হত। কাশীতে সেজোবাবুদের বৈঠকখানায় গিয়েছিলাম। সেখানে দেখি তারা বিষয়ের কথা (Kathamrita) কচ্ছে!–টাকা, জমি, এই সব কথা। কথা শুনে আমি কাঁদতে লাগলাম। বললাম, মা কোথায় আনলি! দক্ষিণেশ্বরে যে আমি বেশ ছিলাম। পইরাগে দেখলাম, সেই পুকুর, সেই দুর্বা, সেই গাছ, সেই তেঁতুল পাতা! কেবল তফাত পশ্চিমে লোকের ভূষির মতো বাহ্য। (ঠাকুর ও মণির হাস্য)

    আরও পড়ুনঃ “সাধন নাই, ভজন নাই, বিবেক-বৈরাগ্য নাই, দু-চারটে কথা শিখেই অমনি লেকচার!”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 70: “ঘরের ভিতরের রত্ন যদি দেখতে চাও, তাহলে চাবি এনে দরজার তালা খুলতে হয়”

    Ramakrishna 70: “ঘরের ভিতরের রত্ন যদি দেখতে চাও, তাহলে চাবি এনে দরজার তালা খুলতে হয়”

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    শ্রীরামকৃষ্ণ বিজয়াদিবসে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হাঁ তিনি (মা) গুরু—আর ব্রহ্মময়ী স্বরূপা।

    মণিচুপ করিয়া আছেন।

    কিয়ৎক্ষণ পরে আবার ঠাকুরকে জিজ্ঞাসা (Kathamrita) করিতেছেন—

    মণি—আজ্ঞা, নিরাকারে কিরকম দেখা যায়?—ও কি বর্ণনা করা যায় না?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (একটু চিন্তা করিয়া)—ও কিরূপ জানো?—

    এই কথা বলিয়া ঠাকুর একটু চুপ করিলেন। তৎপরে সাকার-নিরাকার দর্শন কিরূপে অনুভূতি হয়, একটি কথা বলিয়া দিলেন। আবার ঠাকুর চুপ করিয়া আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—কি জানো, এটি ঠিক বুঝতে সাধন চাই। ঘরের ভিতরের রত্ন যদি দেখতে চাও, আর নিতে চাও, তাহলে পরিশ্রম করে চাবি এনে দরজার তালা খুলতে হয়। তারপর রত্ন বার করে আনতে হয়। তা না হলে তালা দেওয়া ঘর—দ্বারের কাছে দাঁড়িয়ে ভাবছি, ওই আমি দরজা খুললুম, সিন্দুকের তালা ভাঙলুম—ওই রত্ন বার করলুম। শুধু দাঁড়িয়ে ভাবলে তো হয় না। সাধন করা চাই।

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ঠাকুর অনন্ত ও অনন্ত ঈশ্বর—সকলই পন্থা—শ্রীবৃন্দাবন-দর্শন

    জ্ঞানীর মতে অসংখ্য অবতার-কুটীচক-তীর্থ কেন

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—জ্ঞানীরা নিরাকার চিন্তা করে। তারা অবতার মানে না। অর্জুন শ্রীকৃষ্ণকে স্তব (Kathamrita) করেছেন, তুমি পূর্ণব্রহ্ম; কৃষ্ণ অর্জুনকে বললেন আমি পূর্ণব্রহ্ম কিনা দেখবে এস। এই বলে একটা জায়গায় নিয়ে গিয়ে বললেন, তুমি কি দেখছ? অর্জুন বললেন, আমি এক বৃহৎ গাছ দেখছি,– তাতে থালো থালো কালো জামের মতো ফল ফলে রয়েছে। কৃষ্ণ বললেন, আরও কাছে এস দেখ দেখি ও থালো থালো ফল নয়—থালো থালো কৃষ্ণ অসংখ্য ফলে রয়েছে—আমার মতো। অর্থাৎ সেই পূর্ণব্রহ্মমরূপ থেকে অসংখ্য অবতার হচ্ছে যাচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ “সাধন নাই, ভজন নাই, বিবেক-বৈরাগ্য নাই, দু-চারটে কথা শিখেই অমনি লেকচার!”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 69: “মা-দুর্গাকে হৃদয়মন্দিরে আনতে পারলে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, আপনি আসেন”

    Ramakrishna 69: “মা-দুর্গাকে হৃদয়মন্দিরে আনতে পারলে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, আপনি আসেন”

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    শ্রীরামকৃষ্ণ বিঁজয়াদিবসে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) —বল কি গো!

    মণি—দুর্গাপূজার বেশ ব্যাখ্যা শুনেছি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কি বল দেখি।

    মণি—কেশব সেনের বাড়িতে রোজ সকালে উপাসনা হয়,– দশটা-এগারটা পর্যন্ত। সেই উপাসনার সময় তিনি দুর্গাপূজার ব্যাখা করেছিলেন। তিনি বললেন (Kathamrita), যদি মাকে পাওয়া যায়—যদি মা-দুর্গাকে কেউ হৃদয়মন্দিরে আনতে পারে—তাহলে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, আপনি আসেন। লক্ষ্মী অর্থাৎ ঐশ্বর্য, সরস্বতী অর্থাৎ জ্ঞান, কার্তিক অর্থাৎ বিক্রম, গণেশ অর্থাৎ সিদ্ধি—এ-সব আপনি হয়ে যায়—মা যদি আসেন।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নরেন্দ্রাদি অন্তরঙ্গ

    শ্রীযুক্ত ঠাকুর (Ramakrishna) সকল বিবরণ শুনিলেন ও মাঝে মাঝে কেশবের উপাসনা সমন্ধে প্রশ্ন করিতে লাগিলেন। অবশেষে বলিতেছেন (Kathamrita), তুমি এখানে ওখানে যেও না—এইখানেই আসবে।

    যারা অন্তরঙ্গ তারা কেবল এখানেই আসবে। নরেন্দ্র ভবনাথ রাখাল—এরা আমার অন্তরঙ্গ। এরা সামান্য নয়। তুমি এদের কদিন খাইও! নরেন্দ্রকে তোমার কিরূপ বোধ হয়?

    মণি—আজ্ঞা, খুব ভাল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—দেখ, নরেন্দ্রের কত গুণ—গাইতে, বাজাতে বিদ্যায়, আবার জিতেন্দ্রিয়, বলেছে বিয়ে করবে না—ছেলেবেলা থেকে ঈশ্বরেতে মন।

    ঠাকুর মণির সহিত আবার কথা কহিতেছেন।

    সাকার না নিরাকার—চিন্ময়ী মূর্তি ধ্যান—মাতৃধ্যান

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তোমার আজকাল ঈশ্বরচিন্তা কিরূপ (Kathamrita) হচ্ছে? তোমার সাকার ভাল লাগে—না নিরাকার?

    মণি—আজ্ঞা, সাকারে এখন মন যায়ে না। আবার নিরাকারে কিন্তু মন স্থির করতে পারি না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—দেখলে? নিরাকারে একেবারে মনস্থির হয় না। প্রথম প্রথম সাকার তো বেশ।

    মণি—মাটিতে এই সব মূর্তি চিন্তা করা?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কেন? চিন্ময়ী মূর্তি।

    মণি—আজ্ঞা, তাহলেও তো হত-পা ভাবতে হবে? কিন্তু এও ভাবছি যে, প্রথমাবস্থায় রূপ চিন্তা না করলে মন স্থির হবে না—আপনি বলে দিয়েছেন। আচ্ছা তিনি তো নানারূপ ধরতে পারেন। নিজের মার রূপ কি ধ্যান করতে পারা যায়?

    আরও পড়ুনঃ “সাধন নাই, ভজন নাই, বিবেক-বৈরাগ্য নাই, দু-চারটে কথা শিখেই অমনি লেকচার!”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Colour Change Of Ocean: রং বদলাচ্ছে সমুদ্র, নীল থেকে হয়ে যাচ্ছে সবুজ, কেন জানেন?

    Colour Change Of Ocean: রং বদলাচ্ছে সমুদ্র, নীল থেকে হয়ে যাচ্ছে সবুজ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমুদ্রের জলের রং নীল। সেই নীল জলই কোনও এক অদৃশ্য কারণে (Mystery) হয়ে যাচ্ছে সবুজ (Colour Change Of Ocean)। আমাদের বাসযোগ্য এই গ্রহ পৃথিবীর ৭০ শতাংশেরও বেশি এলাকাজুড়ে রয়েছে সাগর-মহাসাগর। সেই বিপুল জলরাশির রং-ই যাচ্ছে বদলে। ব্রিটেনের ন্যাশনাল ওসানোগ্রাফি সেন্টারের বিজ্ঞানী বিবি ক্যালের এক গবেষণায়ই উঠে এসেছে সমুদ্র-জলের এই রং বদলের তথ্য।

    ক্যালের গবেষণাপত্র (Colour Change Of Ocean)

    নাসা অ্যাকোয়া স্যাটেলাইট থেকে কুড়ি বছরের তথ্য নিয়ে ক্যালে যে গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, রং বদলাচ্ছে সমুদ্রের মোট জলের ৫৬ শতাংশ। এই পরিমাণ জলরাশিরই রং নীল থেকে হয়ে যাচ্ছে সবুজ। এই ঘটনা ঘটছে বিশেষ করে নিরক্ষরেখার কাছে দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে। অ্যাকোয়া উপগ্রহে এমওডিআইএস নামের স্পেকট্রোরেডিওমিটার গবেষকরা ২০০২ সাল থেকে কুড়ি বছরের ডেটা বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন, সমুদ্র-জলের এই রং-বদলের কারণ ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটনের বাড়বাড়ন্ত। সমুদ্রের নীচে রয়েছে জলজ উদ্ভিদের বিশাল সাম্রাজ্য। রয়েছে সামুদ্রিক জীবজগৎও।

    আর পড়ুন: রথযাত্রায় জগন্নাথদেবকে দেওয়া হয় বিশেষ ছাপ্পান্ন ভোগ, কী এর মাহাত্ম্য?

    ফাইটোপ্লাঙ্কটনের উপস্থিতি!

    এইগুলি সবুজ রং তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ (Colour Change Of Ocean) এই প্রাণীগুলি ত্যাগ করে কার্বন ডাই অক্সাইড। তাই ফাইটো ফুলের উত্থান ঘটে। এই ফাইটোপ্লাঙ্কটনে সবুজ রয়ের ক্লোরোফিল থাকে। সেই কারণেই রং বদলাচ্ছে সমুদ্র। নীল থেকে জলের রং হচ্ছে সবুজ। সাউদাম্পটনের ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফি সেন্টারের বিজ্ঞানী ক্যালে বলেন, “এই রংয়ের বর্ণনা মানুষের ভাষায় করা যায় না। এই রং মানুষ ভালোভাবে দেখতেও পান না। তবে ম্যান্টিস চিংড়ি বা প্রজাপতি দেখতে পারে সমুদ্রজলের এই নয়া রং।”

    সমুদ্রজলে ক্লোরোফিলের বাড়বাড়ন্তকে মোটেই সহজভাবে নিচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, সমুদ্রজলের নীচে বেড়ে যাচ্ছে উষ্ণতা। এজন্য আদতে দায়ী মানুষ। তাদের তৈরি করা দূষণের কারণেই পরিবর্তন ঘটছে জলবায়ুর। জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলেই ক্লোরোফিল বাড়ছে সমুদ্রে থাকা বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদের। তারই প্রভাব পড়ছে জলে। যার জেরে রং বদলাচ্ছে সমুদ্র। প্রসঙ্গত, ইউরোপিয় ইউনিয়নের কোপারনিকাস ক্লাইমেট সার্ভিসের একটি রিপোর্টেও প্রকাশিত হয়েছিল (Mystery) সমুদ্রের জলের রং বদলের এই তথ্য (Colour Change Of Ocean)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kargil War: কার্গিল যুদ্ধের নায়ক বীর যোগেন্দ্র সিং যাদবকে চেনেন?

    Kargil War: কার্গিল যুদ্ধের নায়ক বীর যোগেন্দ্র সিং যাদবকে চেনেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীনগর থেকে কার্গিল এবং তার বাইরে ভ্রমণ করার সময় অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান হল দ্রাস। এখানে কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে এটি একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে। শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বাঁদিকে দেখা যায় একটি উঁচু পাহাড়। এটাই টাইগার হিল। ২৫ বছর আগে কার্গিল যুদ্ধের (Kargil War) সময়, এই পর্বত এবং তার চারপাশে মাইলের পর মাইল বিস্তীর্ণ এলাকা তখন পরিণত হয়েছিল রণাঙ্গনে। এই কার্গিল যুদ্ধেরই অন্যতম নায়ক যোগেন্দ্র সিং যাদব। আসুন, জেনে নিই তাঁর টাইগার হিল জয়ের কাহিনি। 

    কার্গিল যুদ্ধ কেন প্রয়োজন ছিল? (Kargil War)

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য টাইগার হিল দখল করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ এটি শ্রীনগর-কারগিল-লে লাদাখ মহাসড়কের জন্য সংযোগকারী একটি স্থান। এই রাস্তায় যানচলাচল, ওপর থেকে বোমাবর্ষণ এবং শত্রুদের ওপর নজর রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল টাইগার হিল। তখনকার লে-লাদাখের জন্য এই সড়ক একপ্রকার লাইফলাইন ছিল। কিন্তু তা পাকিস্তান জোর করে দখল করে নিয়েছিল। এই জায়গা ভারতের কাছে ফিরে পাওয়া ছিল একটি কঠিন কাজ। তাই ১৮ জনের একটি বাহিনীর ইউনিটকে এখানে বিশেষ অভিযানে পাঠানো হয়েছিল। ৩ জুলাই,, ১৯৯৯ সালে এই অপারেশন (Kargil War) শুরু হয়েছিল। যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যোগেন্দ্র সিং যাদব।

    টাইগার হিল দখল ছিল মূল লক্ষ্য

    যাদবের অবদানের কথা মাথায় রেখে তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান পরমবীর চক্র দেওয়া হয়েছিল। পুরস্কার দেওয়ার সময় ভুল করে বলা হয়েছিল, যোগেন্দ্রকে মরণোত্তর পরমবীর চক্র সম্মান দেওয়া হচ্ছে। সকলে তাই তাঁকে মৃত বলেই মনে করেছিলেন। পরে ভ্রম সংশোধন করা হয়। গুরুতর আঘাত পাওয়ায় একটি সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। পরে সুস্থও হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর মৃত্যু সংবাদের জন্য বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। গ্রেনেডিয়ার যোগেন্দ্র ১৯৯৯ সালের ৩-৪ জুলাই রাতে টাইগার হিল দখলের দায়িত্বপ্রাপ্ত দল প্লাটুনের নেতৃত্বে ছিলেন। পাহাড়ের শীর্ষে পৌঁছানোর পথটি ছিল খাড়া, তুষারাবৃত, পাথুরে। গ্রেনেডিয়ার যোগেন্দ্র ঝুঁকি রয়েছে জেনেও পিছপা হননি। তাঁর নেতৃত্বেই ওপরে ওঠার চেষ্টা করে বাহিনী। তাঁদের গতি রুদ্ধ করতে শত্রুরা (Kargil War) স্বয়ংক্রিয় গ্রেনেড, রকেট ও আর্টিলারি ফায়ার করে। শহিদ হন এক কমান্ডার সহ মোট তিনজন। এরপর প্লাটুনটি সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়।

    পরমবীরচক্রের সর্বকনিষ্ঠ প্রাপক 

    পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে, গ্রেনাডিয়ার যাদব শত্রুদের মোকাবিলা করতে শত্রুরা যেখানে অবস্থান করছে, সেখান পর্যন্ত হামাগুড়ি দিয়ে ওপরে উঠেছিলেন। সেই সময়ই পান একাধিক আঘাত। শত্রুপক্ষ পাথর বর্ষণ করছিল ওপর থেকে। এমতাবস্থায় বন্দুক দিয়ে ক্রমাগত গুলি চালিয়ে চার শত্রু সৈন্যকে বধ করেছিলেন যোগেন্দ্র। একাধিক আঘাত সত্ত্বেও, রণক্ষেত্র থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে অস্বীকার করেছিলেন তিনি। তাঁর অসম সাহস এবং বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্যই টাইগার হিল দখল মুক্ত (Kargil War) হয়েছিল। চরম প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সাহস, অদম্য বীরত্ব, দৃঢ়তা এবং সংকল্পের প্রতি নিষ্ঠা প্রদর্শন করেছিলেন তিনি। যোগেন্দ্র এখনও পর্যন্ত পরমবীর চক্রের সর্বকনিষ্ঠ প্রাপক। তিনি যখন এই পুরস্কার পেয়েছিলেন তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৯।

    যোগেন্দ্রের বাবাও সেনাকর্মী ছিলেন

    ২০২০ সালে, অমিতাভ বচ্চন কৌন বনেগা ক্রোড়পতির একটি বিশেষ শো হোস্ট করেছিলেন। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন যাদবকে। যাদব ওই শো-য়ে ২৫ লক্ষ টাকা জয়ী হয়েছিলেন। সেই অর্থ তিনি দান করেছিলেন সেনা কল্যাণ তহবিলে। কার্গিল যুদ্ধের (Kargil War) ঘটনা নিয়ে বলিউডে কয়েকটি সিনেমাও তৈরি হয়েছে। যাদবের জন্ম ১০ মে, ১৯৮০ সাল। উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহর জেলার ঔরঙ্গাবাদের আহির এলাকায় তাঁর গ্রামের বাড়ি। তাঁর বাবা করণ সিং যাদব কাজ করেছিলেন কুমায়ুন রেজিমেন্টে। অংশগ্রহণ করেছিলেন ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরের কুলগামে গুলির লড়াই, খতম ৪ জঙ্গি, শহিদ ২ জওয়ান

    ৬০ ফুট উপরে উঠে যুদ্ধ করেছিলেন

    টাইগার হিলে তিনটি শত্রু বাঙ্কার দখলমুক্ত (Kargil War) করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল যাদবের ইউনিট ১৮ গ্রেনেডিয়ারকে। এই বাঙ্কারগুলি ছিল ১০০০ ফুট (৩০০ মিটার) খাড়া পাহাড়ের ওপরে। এই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যাদব। তিনিই প্রথম চড়েছিলেন খাড়া পাহাড়ে। দড়ি ফেলে উঠতে সাহায্য করেছিলেন সতীর্থদের। ওপরে ওঠা এবং শত্রু দমনে দৃঢ় সঙ্কল্পবদ্ধ হয়ে উঠেছিলেন যোগেন্দ্র। যুদ্ধের তাঁর কুঁচকি এবং কাঁধে একাধিক গুলি লাগে। সেই অবস্থায়ও পিছু না হটে পাহাড়ের ৬০ ফুট (১৮ মিটার) ওপরে উঠে শীর্ষে পৌঁছেছিলেন। বাঙ্কারগুলি দখল করলে, হার স্বীকার করে পাক সেনা। ১২-১৩ জুন, ১৯৯৯ সালে টোলোলিং দখল করার পর টাইগার হিলের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে শ্রীনগর-কারগিল সড়ককে আয়ত্তে আনে ভারতীয় সেনা। যোগেন্দ্রদের অদম্য সাহস এবং বীরত্বের কারণে ভারতীয় সেনা কার্গিল জয় করে। টাইগার হিলের দখল পায়। এই বছর, কার্গিল জয়ের ২৫ বছর পূর্তি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Robot Committed Suicide: কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করল রোবট!

    Robot Committed Suicide: কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করল রোবট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজের চাপে আত্মহত্যা (Robot Committed Suicide) করতে বাধ্য হল রোবট! ঘটনায় হইচই বিশ্বজুড়ে। দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) গুমি সিটি কাউন্সিল এলাকার ঘটনা। ২৬ জুন এই কাউন্সিল ঘোষণা করে, সাইবর্গ (রোবটটির নাম) সাড়ে ছ’ফুট উঁচু সিঁড়ি থেকে লাফিয়ে নীচে পড়ে যায়। পরে উদ্ধার হয় তার ‘দেহ’। সাইবর্গ সিটি কাউন্সিল অফিসার হিসেবে কাজ করছিল। সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, রোবটটির মৃত্যু আদতে ‘আত্মহত্যা’ কিনা, তা জানা প্রয়োজন। ২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে সিটি কাউন্সিলের অফিসার নির্বাচিত করা হয়েছিল এই রোবটটিকে। লিফ্ট ডেকে নিজেই ফ্লোরে চলাফেরা করতে পারত সাইবর্গ।

    কী বলছেন সাইবর্গের সহকর্মীরা? (Robot Committed Suicide)

    রোবটটির জন্ম ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক রুট স্টার্টআপ বিয়ার রোবোটিক্সে। সিটি কাউন্সিলের এক কর্মকর্তা বলেন, “এটি দৈনিক নথি সরবরাহ, শহরে প্রচার এবং তথ্য সরবরাহে সহায়তা করত। অন্য যে কোনও স্থায়ী কর্মচারীর মতো সাইবর্গ সকাল ৯টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত কাজ করত। এর সিভিল সার্ভিস অফিসার কার্ডও ছিল।” সাইবর্গের (Robot Committed Suicide) এক ‘সহকর্মী’ বলেন, “রোবটটি ছিল পরিশ্রমী কর্মীর মতো। এই মুহূর্তে গুমি সিটি কাউন্সিল অন্য কোনও রোবট অফিসার আনার কথা ভাবছে না।” দক্ষিণ কোরিয়ায় রোবোটিক প্রযুক্তি ব্যবহারের রমরমা। ইন্টার ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রোবোটিক্সের মতে, এ দেশে বিশ্বের সর্বোচ্চ রোবট ঘনত্ব রয়েছে। প্রতি দশজন মানব কর্মচারীর জন্য একটি করে শিল্প রোবট রয়েছে।

    কীভাবে আত্মহত্যা করতে পারে?

    রোবট একটি মেশিন। তার আবেগ থাকার কথা নয়। নেইও। সে কীভাবে আত্মহত্যা করতে পারে? প্রযুক্তিবিদদের মতে, রোবটটি আত্মহত্যা করেনি। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণেই সেটির ‘মৃত্যু’ হয়েছে। জানা গিয়েছে, রোবটটি এমন প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছিল, যাতে সেটি কোনও অবস্থায়ই সিঁড়ির দিকে যেতে না পারে। তবে সাইবর্গ কীভাবে সিঁড়ির দিকে গেল, পড়েই বা গেল কীভাবে, সে প্রশ্ন উঠছে। সাইবর্গ যখন ‘আত্মহত্যা’ করে, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন ওই কাউন্সিলের কয়েকজন কর্মী। তাঁরা জানান, সে এমনভাবে (South Korea) পাক খাচ্ছিল, যে তাকে আটকানো সম্ভব হয়নি। সেন্সর এড়িয়ে সিঁড়ির দিকে এগিয়ে যায় সে। সেখান থেকে পড়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সাইবর্গ (Robot Committed Suicide)।

    আর পড়ুন: রথযাত্রায় জগন্নাথদেবকে দেওয়া হয় বিশেষ ছাপ্পান্ন ভোগ, কী এর মাহাত্ম্য?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Russia Relation: রাশিয়া-ভারত বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন মোদি, কী কী বিষয়ে আলোচনা হবে জানেন?

    India Russia Relation: রাশিয়া-ভারত বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন মোদি, কী কী বিষয়ে আলোচনা হবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরির খোঁজে গিয়ে না জেনেই ভারতীয়রা জড়িয়ে যাচ্ছেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি (India Russia Relation)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন রাশিয়া সফরে এই বিষয়ে আলোচনা হতে পারে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। বিদেশ সচিব বিনয় কাটোয়া এ খবর জানান। ৮ জুলাই দু’দিনের সরকারি (Annual Summit) সফরে রাশিয়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে রাশিয়ার প্রসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন তিনি। এই বৈঠকেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

    ভারতীয়দের জুড়ে দেওয়া হচ্ছে যুদ্ধে (India Russia Relation)

    মোটা অঙ্কের মাইনের টোপ দিয়ে ভারত (India Russia Relation) থেকে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কর্মপ্রার্থীদের। পরে তাঁদেরই প্রশিক্ষণ দিয়ে ভিড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে রাশিয়ান বাহিনীর সঙ্গে। এঁদের সিংহভাগকেই মোতায়েন করা হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত প্রহরায়। নিজেদের অজান্তেই কর্মপ্রার্থীরা জড়িয়ে পড়ছেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে। কেবল কর্মপ্রার্থীরা নন, রাশিয়ায় যাঁরা পড়াশোনা করতে যাচ্ছেন, তাঁদেরও বিপথে চালিত করে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে যুদ্ধে। কেবল ভারত নয়, পড়শি দেশ নেপাল থেকেও লোকজনকে চাকরির টোপ দিয়ে যুতে দেওয়া হচ্ছে যুদ্ধে। গত মে মাসেই এই পাচার চক্রে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অথচ এই ঘটনারও মাস তিনেক আগে ভারত সরকার দেশবাসীকে জানিয়ে দিয়েছিল তাঁরা যেন কোনওভাবেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে না পড়েন। পরিসংখ্যান বলছে, তার পরেও রুশ সেনা বাহিনীতে নাম লিখিয়েছেন অনেক ভারতীয়।

    আর পড়ুন: রথযাত্রায় জগন্নাথদেবকে দেওয়া হয় বিশেষ ছাপ্পান্ন ভোগ, কী এর মাহাত্ম্য?

    আসছে অকাল মৃত্যুর খবরও 

    যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার খবরও আসছে। চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি বছর তেইশের এক তরুণের মৃত্যু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন রণাঙ্গনে। তিনি ছিলেন গুজরাটের বাসিন্দা। গত ডিসেম্বরেই সিকিউরিটি হেল্পার হিসেবে তিনি যোগ দিয়েছিলেন রাশিয়ান বাহিনীতে। এই তালিকায় রয়েছে ভারতেরই আরও কয়েকজন। বিদেশ সচিব জানিয়েছেন, মোদি এবং রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্বার্থ নিয়ে আলোচনা করবেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হবে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। তিনি জানান, শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা এবং পিপল টু পিপল বন্ধন নিয়েও আলোচনা হবে। তিনি বলেন, “ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলন (Annual Summit) হচ্ছে তিন বছর পর। তাই আমরা একে ভীষণ গুরুত্ব দিচ্ছি (India Russia Relation)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share