Tag: news in bengali

news in bengali

  • Terrorist: জঙ্গি-যোগে চেন্নাইয়ে এসটিএফের জালে মঙ্গলকোটের আনোয়ার!

    Terrorist: জঙ্গি-যোগে চেন্নাইয়ে এসটিএফের জালে মঙ্গলকোটের আনোয়ার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। তবে সেইবার তথ্য প্রমাণ না মেলায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত শুক্রবার মঙ্গলকোটের কুলসোনা গ্রামের অভিযুক্ত আনোয়ার শেখকে চেন্নাই থেকে জঙ্গি-যোগে (Terrorist) আরেক বার গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হল, বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের শাখা ‘শাহদাত’-এর সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। চেন্নাইতে একটি লন্ড্রিতে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করত বলে জানা গিয়েছে। শনিবার তাকে দুর্গাপুর আদালতে তোলা হলে, ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

    গোয়েন্দা সূত্রের দাবি (Terrorist)

    মঙ্গলকোটের (Mangalkot) কুলসোনা গ্রামে আগেই জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে আনয়ারের বিরুদ্ধে। শিমুলিয়া মাদ্রাসার নাম উঠে আসে গোয়েন্দাদের হাতে। তদন্তকারী অফিসারদের সূত্রে খবর, এই মাদ্রাসায় যাতায়েত ছিল কালাম শেখের। তবে কালাম তখন পালাতক ছিল। কালামের খোঁজ পেতে আনোয়ারকে প্রথমে আটক করা হয়েছিল। পরে আনোয়ারকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এদিকে খাগড়াগড়কাণ্ডে অভিযুক্ত কালামের খোঁজ পেতে তিন লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল এনআইএ। পরবর্তী সময়ে তাকে কেরল থেকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে দোষী প্রমাণিত হয়ে জেলে বন্দি কালাম। এবার একই গ্রামের যুবক আনোয়ারকে আবার গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, খাগড়াগড়কাণ্ডের (Mangalkot) সঙ্গে যোগ থাকা এক জঙ্গি (Terrorist) চাঁইয়ের সঙ্গে আনোয়ারের যোগ ছিল বলে সন্দেহ করেছিলেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুনঃ চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গণপিটুনি, মৃত্যু আরও ১ যুবকের! রাজ্যে ৩ দিনে মৃত ৫

    পরিবারের বক্তব্য

    আনোয়ারের স্ত্রী রেজিনা বিবি বলেন, ‘‘আমার স্বামী জঙ্গি (Terrorist) সংগঠনের সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত থাকতে পারে না। শুক্রবার বিকেলে পুলিশ ফোন করে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে। গ্রামে কাজ ছিল না বলে আমার স্বামী মাস ছয়েক আগে চেন্নাইয়ে কাজে গিয়েছিল। ওকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Russia Relation: রাশিয়ায় জোরালো হচ্ছে হিন্দু মন্দিরের দাবি, মোদির সফরেই পূরণ হবে স্বপ্ন?

    India Russia Relation: রাশিয়ায় জোরালো হচ্ছে হিন্দু মন্দিরের দাবি, মোদির সফরেই পূরণ হবে স্বপ্ন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমিউনিস্ট শাসিত দেশ। এবার সে দেশেই উঠল হিন্দু মন্দির তৈরির দাবি (India Russia Relation)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। এই আবহেই চলতি মাসে রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম রুশ দেশে পা রাখতে চলেছেন মোদি।

    জোরালো হিন্দু মন্দিরের দাবি (India Russia Relation)

    রাশিয়া-ইউক্রেন (India Russia Relation) যুদ্ধ শুরুর পরেও এটাই তাঁর প্রথম রাশিয়া সফর। এসব দিক থেকে দেখতে গেলে প্রধানমন্ত্রীর এবারের রাশিয়া সফর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এহেন সফরের আগেই উঠল রাশিয়ায় হিন্দু মন্দির তৈরির দাবি। ইন্ডিয়ান বিজনেস অ্যালায়েন্সের সভাপতি স্যামি কোতওয়ানি রাশিয়ার মস্কোয় হিন্দু মন্দির তৈরির দাবি জানিয়েছেন। কমিউনিস্ট শাসিত হলেও, রাশিয়া ঐতিহ্যগতভাবে অর্থডক্স চার্চের জন্য পরিচিত। দেশটির সিংহভাগ বাসিন্দাই খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে হিন্দুদের সংখ্যাও। সেই জন্যই জোরালো হচ্ছে হিন্দু মন্দির তৈরির দাবি।

    রাশিয়ায় নিষিদ্ধ হয়েছিল গীতা!

    ভারতীয় জাতীয় সংস্কৃতি কেন্দ্র এসআইটিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, মস্কোয় মন্দির নির্মাণ হলে সেটি কেবল যে রাশিয়ার রাজধানীকেই সমৃদ্ধ করবে তা নয়, মজবুত করবে ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ককেও। এক সময় রাশিয়ায় নিষিদ্ধ হয়েছিল ভগবদ গীতা। মস্কোয় ইসকনের কৃষ্ণ মন্দিরও ছিল। ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে রাশিয়ার এই মন্দিরটি শহর কর্তৃপক্ষ ভেঙে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন ইস্কনের সন্ন্যাসীরা। এরপর মস্কোভা নদী দিয়ে গড়িয়েছে অনেক জল। ভারতের ক্ষমতায় এসেছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার। তার পর থেকে ক্রমেই মজবুত হয়েছে ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক। এই সম্পর্কের জেরেই এবার মস্কোয় হিন্দু মন্দির গড়ার দাবি উঠেছে।

    আর পড়ুন: “নরেন্দ্রকে ঠাকুর বলিতেছেন, চিদাকাশে হল পূর্ণ প্রেমচন্দ্রোদয় হে, এই গানটি একবার গা না”

    রাশিয়ায় হিন্দু ধর্মের প্রসার ঘটতে থাকে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে। এই সময় রাশিয়ায় চলছিল পেরেস্ত্রৈকা। এই সময়ই বদলে যার রাশিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি। পরিবর্তনের ঢেউ গিয়ে লাগে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও। এই সময়ই নানা কাজে এ দেশে আসেন হিন্দুরা। তাঁরাই দাবি তুলেছেন হিন্দু মন্দিরের (India Russia Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tarkeswar: চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে গণপিটুনি, মৃত্যু আরও ১ যুবকের! রাজ্যে ৩ দিনে মৃত ৫

    Tarkeswar: চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে গণপিটুনি, মৃত্যু আরও ১ যুবকের! রাজ্যে ৩ দিনে মৃত ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারে আবারও মৃত্যু হল এক যুবকের। বাংলায় গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। এবার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে হুগলির তারকেশ্বর (Tarkeswar) থানার নাইটা মাল পাহাড়পুরের গ্রাম পঞ্চায়েতের রানাবাঁধ এলাকায়। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ মান্না, বয়স ২৩। পেশায় একজন গাড়ি চালক ছিলেন। প্রশাসন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। গত শুক্র, শনি ও রবিতে মোট ৩ দিনে গণপ্রহারে মৃত ৫।

    কীভাবে গণপিটুনির ঘটনা ঘটল (Tarkeswar)?

    মৃত বিশ্বজিৎ-এর পরিবার (Tarkeswar) সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার কয়েকজন যুবক বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় তাঁকে। এরপর অভিযোগ তোলা হয়, একটি গাড়ি খোওয়া গিয়েছে। গাড়ি চোর সন্দেহে এরপর ব্যাপক মারধর করা হয়। ঘটনায় মূল অভিযুক্তরা হলেন, বিকাশ সামন্ত, দেবকান্ত সামন্ত এবং আরও বেশ কয়েকজন। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের আটক করেছে তারকেশ্বর থানার পুলিশ।

    মৃতের মায়ের বক্তব্য

    মৃত বিশ্বজিৎ-এর মা বলেছেন, “চোর (Theft) সন্দেহে ছেলেকে বাড়ি (Tarkeswar) থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। ছেলে চুরি করেনি বলে, বারবার আকুতি-মিনতি করেছিল, কিন্তু কেউ ওর কোনও কথাই শোনেনি। বেধড়ক মারে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল বিশ্বজিৎ। পরে আমাদের পরিবারের সদস্যরা ওকে উদ্ধার করে রাত দুটো নাগাদ তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করতে নিয়ে যায়। অবশ্য ততক্ষুণে শরীর থেকে প্রাণ চলে গিয়েছিল। চিকিৎসকরাও বিশ্বজিৎকে মৃত বলে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। আমার ছেলের খুনিদের কঠোর শাস্তি চাই।”

    আরও পড়ুনঃ “চোপড়ায় চলছে তালিবান শাসন”, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    আগেও পিটিয়ে মারা হয়েছে!

    অপর দিকে শনিবার পাণ্ডয়ায় মনসা পুজোর মাইক বাজানো নিয়ে বিবাদের কারণে এক যুবককে (Theft) পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। রাস্তায় ফেলে বাঁশ দিয়ে ব্যাপক ভাবে মারা হয়। রক্তবমি হয়ে পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আবার শুক্রবার ঝাড়গ্রামে চোর সন্দেহে ২ যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। গত তিন দিনে মোট ৫ জনের মৃত্যুর খবর আসছে। রাজ্যে গণপিটুনির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছে। এদিকে তারকেশ্বর (Tarkeswar) পুলিশ প্রশাসনের কপালেও খুনের ঘটনায় চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lonavala waterfall: লোনাভালার জলপ্রপাতে ভেসে গেলেন একই পরিবারের ৭ জন! প্রকাশ্যে ভিডিয়ো

    Lonavala waterfall: লোনাভালার জলপ্রপাতে ভেসে গেলেন একই পরিবারের ৭ জন! প্রকাশ্যে ভিডিয়ো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুরতে গিয়ে বিপত্তি। মুম্বইয়ের কাছে লোনাভালা জলপ্রপাতে (Lonavala waterfall) ঘুরতে গিয়ে স্রোতে ভেসে গেলেন একই পরিবারের সাত জন। ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু (Lonavala Drowning Death) হয়েছে বলে খবর। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মহিলা। আছে একাধিক শিশুও। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উদ্ধারকারী দল। উদ্ধারকাজে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারাও। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে সমাজমাধ্যমে। যা দেখে নেটাগরিকেরা অনেকেই শিউরে উঠেছেন। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Lonavala Drowning Death) 

    মহারাষ্ট্রের অত্যন্ত জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র লোনাভালার ভুশি বাঁধ। রবিবার ছুটির দিনে সেখানেই পিকনিক করতে গিয়েছিল পুনের সায়েদ নগরের আনসারি পরিবার। দুপুরে জল খানিকটা কম থাকায় নিচে নামে ওই পরিবারের সাত জন। তখনই কয়েক মুহূর্তে খরস্রোতা নদীর আকার নেয় জলপ্রপাত (Lonavala waterfall)। জলের একেবারে মাঝখানে আটকে পড়েন ওই তাঁরা। একে অপরকে আঁকড়ে বাঁচার চেষ্টা করলেও তাঁরা প্রবল জলের তোড়ে মুহূর্তের মধ্যেই ভেসে যান। আশেপাশে লোকজন দাঁড়িয়ে থাকলেও কেউ কিছুই করে উঠতে পারেনি।

    জানা গিয়েছে, ঘটনার পরে ওই সাত জনের মধ্যে দুজন সাঁতরে ডাঙায় উঠতে পেরেছিলেন। পুলিশ এসে তিন জনের দেহ উদ্ধার (Lonavala Drowning Death) করে। তবে এখনও খোঁজ মেলেনি দুজনের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতরা হলেন, সাহিস্তা লিয়াকত আনসারি (৩৬), আমিমা আদিল আনসারি (১৩), উমেরা ওরফে সালমান আদিল আনসারি (৮)। এখনও নিখোঁজ আদনান শাবাত আনসারি (৪), এবং মারিয়া আনসারি (৯)। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। তবে ভারী বৃষ্টি আর বজ্রপাতের জন্য তল্লাশিতে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে এই ঘটনায় লোনাভালায় (Lonavala waterfall) পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

    আরও পড়ুন: স্বামীর আনন্দের দিনে পাশে স্ত্রী অনুষ্কা! স্ত্রীর বার্তার জবাব দিলেন বিরাট

    স্থানীয়রা কী জানালেন? 

    উল্লেখ্য, প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক বর্ষার সময়ে লোনাভালায় ভিড় জমান। বেশ কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে উপচে পড়েছে বাঁধের জল। তাই প্রশাসনের তরফ থেকে পর্যটকদের একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু সব নিয়ম উপেক্ষা করে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় চলে যায় ওই পরিবার। আর তাতেই ঘটল বিপত্তি। তবে এ প্রসঙ্গে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জলপ্রপাতের (Lonavala waterfall) সামনে শ্যাওলা জমে রয়েছে। দীর্ঘদিন তা পরিষ্কার করা হয় না। তার জেরে হামেশাই অনেকে পা পিছলে পড়ে যান। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: দুই শীর্ষ পুলিশকর্তার অপসারণের দাবিতে নবান্ন ও কেন্দ্রকে চিঠি রাজ্যপালের, কেন?

    CV Ananda Bose: দুই শীর্ষ পুলিশকর্তার অপসারণের দাবিতে নবান্ন ও কেন্দ্রকে চিঠি রাজ্যপালের, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগের তদন্ত করার করার অভিযোগে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) কমিশনার এবং সংশ্লিষ্ট ডিসিকে অপসারণের আর্জি জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। নবান্ন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তিনি আর্জি জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রবিবার রাতে রাজভবন সূত্রে খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

    দুই আইপিএসকে কেন্দ্রীয়স্তরে ডেকে পাঠানোর দাবি (CV Anand Bose)

    জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল নবান্ন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আইএএস, আইপিএস ক্যাডার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ যথা ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিংকে (CV Anand Bose) এই চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, কলকাতা পুলিশের কমিশনার এবং ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় অসাংবিধানিক কাজ করেছেন। এর জন্য তাঁদের পদ থেকে যেন সরিয়ে দেওয়া হয়। ওই দুজন আইপিএস আধিকারিককে কেন্দ্রীয়স্তরে ডেকে পাঠানোর দাবি জানানো হয়। অবশ্য লালবাজারের তরফে এবিষয়ে এখন অবধি কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ (Kolkata Police)

    ২ মে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল রাজ্যপাল চাকরির পদোন্নতি প্রলোভন দেখিয়ে যৌন হেনস্থা করেছেন। কিন্তু সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগের তদন্ত করা যায় না, বলে কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি কলকাতা পুলিশ। কিন্তু অভিযোগ না নিলেও মহিলার বয়ানের ভিত্তিতে অনুসন্ধান চালিয়েছিল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। রাজভবনের কর্মীদের ডেকে পাঠানো হয়। ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। এমনকি, পরবর্তীকালে মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে একাধিক প্রতিক্রিয়া মেলে। ডিসি সেন্ট্রাল এবিষয়ে সক্রিয় হন বলে সুত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: “চোপড়ায় চলছে তালিবান শাসন”, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    মহিলাকে পুলিশের কাছে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজভবনের কয়েকজন আধিকারিকের নামে মামলাও রুজু হয়। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে সেই তদন্ত বন্ধ হয়ে যায়। তবুও এই অভিযোগ পর্ব থেকেই রাজ্যপাল, পুলিশ এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে যে তিক্ততা বেড়েছে তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Virat Kohli: স্বামীর আনন্দের দিনে বার্তা দিলেন অনুষ্কা! স্ত্রীকে কী জবাব দিলেন বিরাট?

    Virat Kohli: স্বামীর আনন্দের দিনে বার্তা দিলেন অনুষ্কা! স্ত্রীকে কী জবাব দিলেন বিরাট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। অবশেষে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে বিরাট কোহলির। স্বামীর আনন্দের দিনে পাশে স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা। বিশ্বকাপ জয়ের রাতেই অনুষ্কার ভালোবাসা মাখা পোস্ট এসেছিল বিরাটের (Virat Kohli) জন্য। এবার সোশ্যাল মিডিয়াতেই তাঁর জবাব দিলেন কোহলি। স্ত্রীকে নিয়ে লিখলেন মনের কথা। 

    কী জানিয়েছিলেন অনুস্কা? (Anuska Sharma) 

    এদিন বিশ্বকাপ জয়ের পরেই অনুষ্কা ইনস্টাগ্রামে বিরাটের (Virat Kohli)  একটি ছবি দেন। সেখানে জাতীয় পতাকা ঘাড়ে নিয়ে ট্রফি হাতে হাসিমুখে উল্লাস করতে দেখা যাচ্ছে বিরাটকে। সেই পোস্টে অনুষ্কা লেখেন, “এই মানুষটাকে আমি ভালবাসি। আমি ভাগ্যবতী যে তুমিই আমার সব কিছু। এ বার যাও, এক গ্লাস জল নিয়ে উৎসব করো।” নিজের শরীরের দিকে খেয়াল রাখেন বিরাট। তিনি যে জল পান করেন তা বিদেশ থেকে আসে। বিশেষ ভাবে তৈরি সেই জলের কথাই হয়তো বোঝাতে চেয়েছেন অনুষ্কা।

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by AnushkaSharma1588 (@anushkasharma)

    উত্তরে কী বললেন বিরাট? (Virat Kohli) 

    আর অনুষ্কার এই পোস্টের পরেই বিরাট রবিবার ইনস্টাগ্রামে একটি মিষ্টি পোস্ট করেছেন। আনুষ্কাকে (Anuska Sharma) সব সময় পাশে থাকার কৃতিত্ব দিয়ে বিরাট লিখলেন, “তুমি না থাকলে যা অর্জন করেছি তার কাছাকাছিও হয়তো আসতে পারতাম না। তুমি আমাকে নম্র এবং মাটির কাছাকাছি রাখো। সত্যিকারের সততা থাকলে কী অর্জন করা যায়, সেটা তুমিই আমায় বলো। তোমার কাছে আমি সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞ। এই জয় যতটা আমার, ততটাই তোমার। ধন্যবাদ। তুমি যে রকম, সেটার জন্যই তোমায় ভালবাসি।” 

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Virat Kohli (@virat.kohli)

    প্রসঙ্গত, এবারে ফাইনালের (T20 World Cup 2024 ) দিন মাঠে উপস্থিত থাকতে পারেননি অনুস্কা (Anuska Sharma)। বিরাটও যে জয়ের পর বউকে খুব মিস করছিল, তা স্পষ্ট ছিল হাবেভাবে। সতীর্থ খেলোয়াড়রা যখন কাছের মানুষগুলোর আলিঙ্গনবদ্ধ, তখন তিনি ভিডিয়ো কলে অনুষ্কা-ভামিকা-অকায়দের সঙ্গে। 

    আরও পড়ুন: আইপিসি অতীত! দেশে জারি হল ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’, নতুন কী রয়েছে এতে?

    উল্লেখ্য, এদিন ভারত বিশ্বকাপ জেতার পরে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি বিরাট (Virat Kohli), রোহিতেরা। আনন্দে কাঁদছিলেন তাঁরা। সেই কান্না দেখে বিরাট-ঘরনি অনুষ্কাকে প্রশ্ন করে ছোট্ট মেয়ে ভামিকা। অনুষ্কা সমাজমাধ্যমে সেই কথা জানিয়ে বিরাটদের ট্রফি তোলা ও উল্লাসের কয়েকটি ছবি দিয়ে লেখেন, “টেলিভিশনে সবাইকে কাঁদতে দেখে আমাদের মেয়ের সবচেয়ে বড় চিন্তা ছিল, ওদের কান্না মোছাতে কে জড়িয়ে ধরবে? আমার ছোট্ট সোনা, ওদের কান্না মোছানোর জন্য ১৫০ কোটি ভারতবাসী রয়েছেন। কী দারুণ জয়। কী দারুণ কৃতিত্ব। চ্যাম্পিয়নদের শুভেচ্ছা।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “সিধু-কানুদের সাহস দেশবাসীর কাছে প্রেরণার উৎস”, হুল দিবসে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “সিধু-কানুদের সাহস দেশবাসীর কাছে প্রেরণার উৎস”, হুল দিবসে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপজাতির নেতাদের শ্রদ্ধা প্রদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ৩০ জুন হুল দিবস উপলক্ষে তিনি শ্রদ্ধা জানান সিধু-কানু, চাঁদ-ভৈরব এবং ফুলো-ঝানোকে। দেশের রাষ্ট্রপতি পদে উপজাতি সম্প্রদায়ের দ্রৌপদী মুর্মুর নাম প্রস্তাব করে বিরোধীদের মাত দিয়েছিলেন তিনিই। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উপজাতি সম্প্রদায়ের প্রতিও যে তাঁর সমদৃষ্টি রয়েছে, সেই ঘটনাই ছিল তার সব চেয়ে বড় প্রমাণ। এদিন জনজাতি সম্প্রদায়ের শহিদদের স্মৃতিতর্পণ করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরও একবার এই বার্তা দিলেন, “আমি তোমাদেরই লোক”।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “জনজাতি সম্প্রদায়ের অসম সাহস, লড়াই এবং আত্মবলিদানের জন্য উৎসর্গীকৃত হুল দিবস হল একটি মহতী অনুষ্ঠান। এহেন পবিত্র দিনে সিধু-কানু, চাঁদ-ভৈরব এবং ফুলো-ঝানোকে আমি আমার অন্তরের শ্রদ্ধা জানাই।” তিনি লিখেছেন, “ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে তাঁদের আত্ম-মর্যাদা বোধ এবং সাহস দেশবাসীর কাছে হয়ে থাকবে চিরকালীন এক প্রেরণার উৎস।” প্রসঙ্গত, এবছর ছিল ১৬৯তম হুল দিবস। ইতিহাসে দিনটিকে সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে।

    ‘মন কি বাতে’র অনুষ্ঠানেও হুল দিবস

    তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এদিনই (রবিবার) ছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ‘মন কি বাতে’র অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানেও তিনি হুল দিবসের উল্লেখ করেন। এই দিনেই যে সিধু-কানু বিদেশি শাসকদের বিরুদ্ধে অদম্য সাহস নিয়ে গর্জে উঠেছিলেন, তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আজ ৩০ জুন, খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। আমাদের উপজাতি সম্প্রদায়ের ভাইবোনেরা দিনটিকে হুল দিবস হিসেবে পালন করেন। এই দিনটি সিধু-কানুর অদম্য সাহসের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। বিদেশি শাসকদের বিরুদ্ধে এঁরা রুখে দাঁড়িয়েছিলেন।”

    আর পড়ুন: রাজ্যে বাড়ছে গণপিটুনির ঘটনা, বাংলায় অরাজক পরিস্থিতি কেন?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বীর সিধু-কানু হাজার হাজার সাঁওতাল সঙ্গীকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধ সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করেছিলেন। এবং আপনারা জানেন, কখন এটা ঘটেছিল? এই ঘটনা ঘটেছিল ১৮৫৫ সালে। ১৮৫৭ সালে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধেরও দু’বছর আগে। সেই সময় ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগনায় আমাদের উপজাতি ভাইবোনেরা বিদেশি শাসকের বিরুদ্ধে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল (PM Modi)।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Viral Video: জরিমানা না দেওয়ায় চুলের মুঠি ধরে মার তরুণীকে, ভাইরাল ভিডিওয় কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Viral Video: জরিমানা না দেওয়ায় চুলের মুঠি ধরে মার তরুণীকে, ভাইরাল ভিডিওয় কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক তরুণীকে রাস্তায় ফেলে মারধর করছে একজন। লজ্জায়-ব্যথায়-ঘৃণায় কুঁকড়ে যাওয়া তরুণীটিকে ফের চুলের মুঠি ধরে টেনে মারছে সেই গুণধর। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় (Viral Video) খানিক পরেই দেখা যাচ্ছে, এক তরুণও ওই তরুণীর পাশে পড়ে পড়ে কাতরাচ্ছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, বেধড়ক মারধর করা হয়েছে ওই তরুণকেও।

    তৃণমূলের দাদার কীর্তি! (Viral Video)

    গোল হয়ে দাঁড়িয়ে পুরো ঘটনাটি দেখছে একদল মানুষ। যে ব্যক্তি ওই তরুণ ও তরুণীকে মারধর করছে, কেউই তাকে বাধা দিচ্ছেন না। নিরস্তও করার চেষ্টা করছেন না কেউ। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। রবিবার দুপুরে (Viral Video) এক্স হ্যান্ডেলে ভিডিওটি পোস্ট করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি লিখেছেন, “সালিশি সভাও নয়। অপরাধের বিচার ও শাস্তি দিচ্ছে তৃণমূলের পোষা গুন্ডা। যার ডাকনাম জেসিবি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে এভাবেই বিচার ব্যবস্থাকে দুরমুশ করা হচ্ছে চোপড়ায়।”

    কী বলছে বিজেপি?

    পরে ওই একই ভিডিও পোস্ট করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি লিখেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে থাকা বাংলার কুৎসিত মুখ।…প্রত্যেক গ্রামেই সন্দেশখালি রয়েছে।” উত্তর দিনাজপুর জেলা সিপিএমের দাবি, “যিনি মারধর করছেন, তাঁর নাম তাজম্মুল। চোপড়ার বিধায়ক তৃণমূলের হামিদুল রহমানের ঘনিষ্ঠ। এলাকায় সবাই তাঁকে জেসিবি নামেই চেনেন।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আনোয়ার উল হক বলেন, “শুনেছি, ভিডিওতে যে মহিলাকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হচ্ছে, তিনি বিবাহিত। তবে এক ব্যক্তির সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। পরে এলাকায় ফিরলে দুজনের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। জরিমানা না দিলে এলাকায় তাঁদের থাকতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। জরিমানা না দেওয়ায় অত্যাচার করা হয় তাঁদের ওপর।”

    আর পড়ুন: “বিচার প্রক্রিয়াকে দ্রুতগামী করতে ব্রিটিশ আইনে বদল আনা হয়েছে”, বললেন শাহ

    সাংসদ বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বাংলায় এ ধরনের ঘটনা অজস্র ঘটে। তবে অপরাধগুলোকে চেপে দেওয়া হয়।” তিনি বলেন, “বারাসতের একটি ছেলে বিয়ে করেছিল ভিন ধর্মের মেয়েকে। সে যখন তাঁর শিশুপুত্রকে দেখতে শ্বশুরবাড়িতে গেল, তখন তাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এক ভ্যানচালক তাঁকে নিয়ে গিয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি করান। সেই মামলা এখনও চলছে হাইকোর্টে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • ISRO: “সুনীতাদের ফেরা নিয়ে আশঙ্কার কোনও কারণ নেই”, বললেন ইসরো প্রধান

    ISRO: “সুনীতাদের ফেরা নিয়ে আশঙ্কার কোনও কারণ নেই”, বললেন ইসরো প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা প্রত্যেকেই সুনীতা উইলিয়ামসকে নিয়ে গর্বিত। তাঁর ঝুলিতে অনেকগুলি অভিযানের অভিজ্ঞতা রয়েছে। নয়া মহাকাশযানে চড়ে প্রথম মহাকাশে যাওয়া খুবই সাহসিকতার কাজ।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর (ISRO) প্রধান এস সোমনাথ।

    ‘স্পেস স্টেশন অত্যন্ত নিরাপদ স্থান’ (ISRO)

    গত ৫ জুন সুনীতা এবং তাঁর অভিযানসঙ্গী বুচ উইলমারকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে রওনা হয় ‘বোয়িং স্টারলাইনার’। গত ২৬ জুন তাঁদের ফেরার কথা ছিল। কিন্তু, মহাকাশযানে হিলিয়াম গ্যাস লিক সহ একাধিক ত্রুটি ধরা পড়েছে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের কাছেই একটি রুশ উপগ্রহে বিস্ফোরণ ঘটায় তার ধ্বংসাবশেষ চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে। ফলে. নাসা জানিয়ে দিয়েছে, এখনই পৃথিবীতে ফেরা হচ্ছে না সুনীতাদের। মার্কিন মহাকাশ সংস্থার আশঙ্কা, ৪৫ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত বিলম্ব হতে পারে সুনীতাদের ঘরে ফেরা।

    এপ্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ইসরো প্রধান বলেন, “ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন থেকে সুনীতাদের ফেরা নিয়ে এত গভীর আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন একটি অত্যন্ত নিরাপদ স্থান। মহাকাশচারীরা দীর্ঘদিন সেখানে নিরাপদে ও সুস্থভাবে থাকতে পারেন। সমস্ত রকম বন্দোবস্ত রয়েছে সেখানে।” তিনি বলেন, “সুনীতা ছাড়াও সেখানে আরও ন’জন মহাকাশচারী রয়েছেন। তাঁরা কেউই আটকে নেই। এমন শব্দ প্রয়োগ অনুচিত।”

    ‘কোনও সমস্যাই নেই’

    ইসরো কর্তা বলেন, “কোনও না কোনওদিন সকলকেই ফিরে আসতে হবে। নয়া মহাকাশযান বোয়িং স্টারলাইনকারের কর্মক্ষমতা যাচাই করতেই গিয়েছেন তাঁরা। কীভাবে সেটি মহাকাশে ঘুরপাক খেতে পারে, কীভাবে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারে, এগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” এই মহাকাশবিজ্ঞানী বলেন (ISRO), “মহাকাশচারীদের ফেরানোর নানারকম প্রযুক্তি রয়েছে ওই মহাকাশযানে। তাই কোনও সমস্যাই নেই। তাছাড়া মহাকাশচারীদের জন্য ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে অনেকদিন থাকার বন্দোবস্ত রয়েছে।”

    আর পড়ুন: “বিচার প্রক্রিয়াকে দ্রুতগামী করতে ব্রিটিশ আইনে বদল আনা হয়েছে”, বললেন শাহ

    বোয়িং স্টারলাইনারের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ইসরো কর্তা বলেন, “যখন আমরা বোয়িং স্টারলাইনারের মতো কোনও মহাকাশযান তৈরি করি, আমাদের মূল লক্ষ্য থাকে সেটি অভিযান সেরে সফলভাবে পৃথিবীতে পৃথিবীতে ফিরতে পারবে কিনা, তা যাচাই করে নেওয়া।” তিনি বলেন, “বোয়িং স্টারলাইনারের ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামানো হয়েছে বলেই আমার অনুমান।” সোমনাথ জানান, সুনীতা নিজেও ওই মহাকাশযানের ডিজাইন টিমে ছিলেন। তাঁর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নানা পরামর্শ দিয়েছেন।

    তিনি বলেন, “আমরাও একটি নয়া মডেল তৈরি করছি। তাই বুঝতে পারছি সুনীতার ক্ষেত্রে এই অভিজ্ঞতা কেমন ছিল।” তিনি বলেন, “আমাদের থেকে অনেক বেশি অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন সুনীতা। আমি কামনা করি, তিনি যেন সুস্থভাবে পৃথিবীতে ফিরে আসেন। পরে তাঁর এই অভিজ্ঞতার সাহায্যে নয়া মহাকাশযান তৈরিতে সাহায্য করুন।” ইসরো কর্তা বলেন, “মহকাশ অভিযান মানুষের জন্যই। বলা তো যায় না, হয়তো অন্য কোনও দেশের জন্য উদ্ধার কাজে যাবে ভারতের মহাকাশযান।”

    সোমনাথের কণ্ঠে ঝরে পড়ে প্রত্যয়। স্বাভাবিক। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম পা রেখে যে তামাম বিশ্বকে তাক লাগিয়েছে ইসরোই (ISRO)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Landslides in North Bengal: ফুঁসছে তিস্তা! ধসে যাচ্ছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক!

    Landslides in North Bengal: ফুঁসছে তিস্তা! ধসে যাচ্ছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না উত্তরবঙ্গে। শনিবার রাত থেকে একটানা বৃষ্টি চলছে ধুপগুড়ি-সহ ডুয়ার্সে। বৃষ্টি ও ঝড়ো হওয়ায় বিভিন্ন রাস্তায় উপরে পড়েছে গাছ। এদিকে একটানা বৃষ্টির জেরে জলস্তর বেড়েছে সমস্ত নদীতে। তিস্তায় জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। আর এর ফলে বিপর্যয়ের মুখে শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং এবং সিকিম যাওয়ার ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ধসের (Landslides in North Bengal) কারণে ওই রাস্তা দিয়ে যান চলাচল আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট জাতীয় সড়কটি তিস্তা নদীর পার ধরে গিয়েছে। ওই অংশটি ক্রমশ বসে যাচ্ছে বলে খবর।

    ধসের মুখে সিকিমের ‘লাইফলাইন’ (Landslides in North Bengal) 

    এনএইচ১০ সিকিমের ‘লাইফলাইন’ হিসেবে পরিচিত। শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং এবং সিকিমের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী এই সড়ক ধসের (National highway 10 affected) কারনে বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিপাকে পড়েন বহু মানুষ। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের গেইলখোলার কাছে সেলফিধরায় ধস নেমেছে। নতুন করে কালিঝোরা এবং হনুমান ঝোরায় ধস নেমে পুরো রাস্তাটাই বসে গিয়েছে। ফলে বিকল্প রাস্তা হিসাবে সেবকের করোনেশন সেতু হয়ে ওদলাবাড়ি, ডামডিম, গরুবাথান, লাভা, লোলেগাঁও হয়ে কালিম্পং যাতায়াত করছে যানবাহন। সিকিম যাওয়ার জন্যও আপাতত ওই রাস্তার উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপের নতুন সংযোজন মেটা এআই! জানেন এর কাজ কী?

    বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে তিস্তা

    জানা গিয়েছে, মাঝে কয়েক দিন বিরতির পর গত মঙ্গলবার রাত থেকে ফের পাহাড়ে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। গত ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি হয়েছে ১৩৬ মিলিমিটার। অন্যদিকে রবিবার সকালেই গজল ডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে প্রায় ২৬০০ কিউমেকের বেশি জল ছাড়া হয়েছে।  বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে তিস্তার জল। দফায় দফায় প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিম ও কালিম্পং। একাধিক এলাকায় ধস (Landslides in North Bengal) নেমেছে। তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, পাহাড়ে অতি বৃষ্টির ফলে ধসকবলিত যে সব এলাকা রয়েছে, সেখানকার রাস্তা ঠিকঠাক করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share