Tag: news in bengali

news in bengali

  • Suvendu Adhikari: “হকার উচ্ছেদ রুখতে প্রয়োজনে আমি বুলডোজারের সামনে দাঁড়াব”, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “হকার উচ্ছেদ রুখতে প্রয়োজনে আমি বুলডোজারের সামনে দাঁড়াব”, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হকার উচ্ছেদ রুখতে প্রয়োজনে আমি নিজে গিয়ে বুলডোজারের সামনে দাঁড়াব।” বুধবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। দখলদার উচ্ছেদ করতে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছেন, তাকে ‘অমানবিক’ আখ্যাও দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শুভেন্দুর সাফ কথা, তিনি বা তাঁর দল বেআইনিভাবে সরকারি জমি অধিগ্রহণের বিপক্ষে। তাঁর দাবি, রাজ্যের সর্বত্র নির্দিষ্ট একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই কাজ করতে হবে। এজন্য আগে রাজ্য সরকারকে স্ট্যান্ডার্ড ওপারেটিং প্রসিডিওয়র তৈরি করতে হবে।

    কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    এদিন বিকেলে কলকাতায় বিজেপির সদর দফতরে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “বিভিন্ন পুরসভা এলাকায় মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তদের সামান্য রোজগারের ওপর ভয়াবহ অর্থনৈতিক অবরোধ নামিয়ে আনা হয়েছে। বিজেপির তরফে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা। সরকারি জমি দখলের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার যে উদ্যোগী হয়েছে, আমরা প্রথমে তা মহৎ বলে মনে করেছিলাম। কিন্তু পরে দেখলাম, সরকারি জমি আদৌ উদ্ধার হচ্ছে না। বিশেষ কয়েকটি এলাকায় সাধারণ গরিব মানুষের ক্ষতি করা হচ্ছে। সবটাই হচ্ছে ক্যামেরার সামনে। অর্থাৎ কাজের চেয়ে প্রচারের তাগিদ বেশি।”

    ‘এসওপি তৈরি করুন’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “জেলা থেকে যে গরিব মানুষেরা প্রতিদিন কলকাতায় এসে সামান্য হকারি করে পেট চালান, এটা কি শুধু তাঁদের জন্য? না গোটা রাজ্যে এ নিয়ে কোনও নীতি তৈরি হয়েছে? আমার দাবি, প্রথমে একটি এসওপি তৈরি করুন। সরকারি জমি চিহ্নিত করুন। তারপর মানুষকে নোটিশ দিয়ে জমি ছাড়তে বলুন।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “হকার উচ্ছেদ করার পর প্রান্তিক গরিব মানুষকে বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী তো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় বলেছেন, তিনি অনেককে চাকরি দিয়েছেন। এবার কয়েক লক্ষ হকারকেও চাকরি দিন।”

    আর পড়ুন: প্রসঙ্গ মারুতি তৈরি, কংগ্রেসের আরও একটি কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “এভাবে অন্যায় অত্যাচার চললে আমরা হকারদের পাশে থাকব। প্রয়োজনে আমি নিজে বুলডোজারের সামনে গিয়ে দাঁড়াব। লালবাজারের পুলিশ অন্যায়ভাবে গরিব মানুষদের ব্যবসার জিনিসপত্র তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এটা মানবতাবিরোধী কাজ।” তিনি বলেন, “কলকাতা-সহ বিভিন্ন পুরসভা এলাকায় তৃণমূলের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে বিজেপি। এটা ওদের সেই হারের জ্বালার বহিঃপ্রকাশ (Suvendu Adhikari)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Zika Virus: চিকিৎসকের শরীরে মিলল জিকা ভাইরাস, আক্রান্ত কিশোরী কন্যেও

    Zika Virus: চিকিৎসকের শরীরে মিলল জিকা ভাইরাস, আক্রান্ত কিশোরী কন্যেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা শুরু হতেই উপদ্রব বাড়ছে মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের। এবার প্রকাশ্যে এল জিকা ভাইরাসে (Zika Virus) আক্রান্ত হওয়ার খবর। যিনি আক্রান্ত হয়েছেন তিনি নিজেই পেশায় চিকিৎসক। মহারাষ্ট্রের পুণের এই ঘটনায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক।

    জিকা ভাইরাস (Zika Virus)

    জানা গিয়েছে, দিন কয়েক ধরে জ্বরে ভুগছিলেন বছর ছেচল্লিশের ওই চিকিৎসক ও তাঁর কিশোরী কন্যা। জ্বর না সারায় তাঁদের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। রক্তের নমুনা পাঠানো হয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে। সেখানে রক্ত পরীক্ষায় জানা যায়, জিকা ভাইরাসে (Zika Virus) আক্রান্ত পিতা-পুত্রী। যদিও তাঁদের পরিবারের অন্য সদস্যদের রক্তে জিকা ভাইরাসের সন্ধান মেলেনি। জিকা ভাইরাস ডিজিজ একটি মশাবাহিত রোগ। এই রোগের ভাইরাস বহন করে এডিস মশা। এই এডিস মশাই ছড়ায় ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া এবং ইয়োলো ফিভার। এই মশা সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায়।

    রোগের লক্ষণ

    এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির হালকা জ্বর হবে। সারা গায়ে ফুসকুড়ি দেখা দেবে। মাথাব্যথা করবে। পেশি এবং গাঁটে গাঁটে ব্যথা হবে। চোখের নীচে হবে প্রদাহ। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির স্নায়বিক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। কোনও গর্ভবতী এই রোগে ভুগলে তাঁর শিশুর দেখা দিতে পারে জন্মগত ত্রুটি। পুণে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট হেল্থ অফিসার রাজেশ দিঘে বলেন, “৪৬ বছরের এক চিকিৎসক ও তাঁর কিশোরী মেয়ে যাঁরা পুণে শহরের এরান্ডওয়ান এলাকার বাসিন্দা, তাঁদের শরীরে জিকা ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। দুজনকেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকের শরীরে জিকা ভাইরাসের লক্ষণ দেখে রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছিল পুণের এনআইভিতে। ২১ জুন রিপোর্ট মেলে। তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদেরও নমুনা পাঠানো হয়েছিল। তাতেই জানা যায়, তাঁর মেয়েও এই ভাইরাসে আক্রান্ত। যদিও পরিবারের অন্য সদস্যদের শরীরে এই ভাইরাসের সন্ধান মেলেনি।”

    আর পড়ুন: জরুরি অবস্থা নিয়ে স্পিকারের মন্তব্য, হট্টগোলে মুলতুবি লোকসভার অধিবেশন

    তিনি জানান, এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রুখতে এলাকাবাসীকে তাঁদের বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, জিকা ভাইরাসের (Zika Virus) প্রথম সন্ধান মেলে ১৯৪৭ সালে, আফ্রিকার উগান্ডায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 59: “মা, কোথায় আনলে! আমি যে রাসমণির মন্দিরে খুব ভাল ছিলাম”

    Ramakrishna 59: “মা, কোথায় আনলে! আমি যে রাসমণির মন্দিরে খুব ভাল ছিলাম”

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    পূর্বকথা—শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম প্রেমোন্মাদ কথা—১৮৫৮

    অনেকদিন পরে কাপ্তেনের সঙ্গে সৌরীন্দ্র ঠাকুরের বাড়িতে গিছলাম। তাকে দেখে বললাম, তোমাকে রাজা-টাজা বলতে পারব না, কেননা, সেটা মিথ্যাকথা হবে। আমার সঙ্গে খানিকটা কথা কইলে। তারপর দেখলাম, সাহেব-টাহেব আনাগোনা করতে লাগল। রজোগুণী লোক, নানা কাজ লয়ে আছে। যতীন্দ্রকে খবর পাঠানো হল। সে বলে পাঠালে, আমার গলায় বেদনা হয়েছে।

    সেই উন্মাদ (Ramakrishna) অবস্থায় একদিন বরানগরে ঘাটে দেখলাম, জয় মুখুজ্জে জপ করছে, কিন্তু অন্যমনস্ক! তখন কাছে গিয়ে দুই চাপড় দিলাম।

    একদিন রাসমণি ঠাকুরবাড়িতে এসেছে। কালীঘরে এল। পূজার সময় আসত আর দুই-একটা গান গাইতে বলত। গান গাচ্ছি, দেখি যে অন্যমনস্ক হয়ে ফুল বাচ্ছে। অমনি দুই চাপড়। তখন ব্যস্তসমস্ত হয়ে হাতজোড় করে রইল।

    হলধারীকে বললাম, দাদা একি স্বভাব হল! কি উপায় করি, তখন মাকে ডাকতে ডাকতে ও-স্বভাব গেল।

    মথুরের সঙ্গে তীর্থ ১৮৬৮—কাশীতে বিষয় কথা শ্রবণ ঠাকুরের রোদন

    ওই অবস্থায় ঈশ্বরকথা (Ramakrishna) বই আর কিছু ভাল লাগে না। বিষয়ে কথা হচ্ছে শুনলে বসে বসে কাঁদতাম। মথুরবাবু যখন সঙ্গে করে তীর্থে লয়ে গেলে, তখন কাশীতে রাজাবাবুর বাড়িতে কয়দিন আমরা ছিলাম। মথুরাবাবুর সঙ্গে বৈঠকখানায় বসে আছি, রাজাবাবুরাও বসে আছে। দেখি তারা বিষয়ের কথা কইছে। এত টাকা লোকসান হয়েছে—এই সব কথা। আমি কাঁদতে লাগলাম, বললাম, মা, কোথায় আনলে! আমি যে রাসমণির মন্দিরে খুব ভাল ছিলাম, তীর্থ করতে এসেও সেই কামিনী-কাঞ্চনের কথা। কিন্তু সেখানে (দক্ষিণেশ্বরে) তো বিষয়ের কথা শুনতে হয় নাই।

    ঠাকুরের ভক্তদের, বিশেষঃ নরেন্দ্রকে, একটু বিশ্রাম করিতে বলিলেন। নিজেও ছোট খাটটিতে একটু বিশ্রাম করিতে গেলেন।

    হনুমান বললে, “ভাই, আমি বার তিথি নক্ষত্র—এসব কিছুই জানি না, আমি এক ‘রাম’ চিন্তা করি”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 58: তুমি কি রকম লোক গা! যুধিষ্ঠিরের কেবল নরকদর্শনই মনে রেখেছ?

    Ramakrishna 58: তুমি কি রকম লোক গা! যুধিষ্ঠিরের কেবল নরকদর্শনই মনে রেখেছ?

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    পূর্বকথা—শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম প্রেমোন্মাদ কথা—১৮৫৮

    আমায় বলেছিল, পৈতেটা ফেললে কেন? যখন আমার এই অবস্থা হল, তখন আশ্বিনের ঝড়ের মতো একটা কি এসে কোথায় কি উড়িয়ে লয়ে গেল! আগেকার চিহ্ন কিছুই রইল না। হুঁশ নাই! কাপড় পড়ে যাচ্ছে, তা পৈতে থাকবে কেমন করে! আমি বললাম, তোমার একবার উন্মাদ (Ramakrishna) হয়, তাহলে তুমি বোঝ!

    তাই হল! তার নিজের উন্মাদ হল। তখন সে কেবল ওঁ ওঁ বলত আর একঘরে চুপ করে বসে থাকত। সকলে মাথা গরম হয়েছে বলে কবিরাজ ডাকলে। নাটাগড়ের রাম কবিরাজ এল। কৃষ্ণকিশোর তাকে বললে, ওগো আমার রোগ আরাম কর, কিন্তু দেখো, যেন আমার ওঁকারটি আরাম করো না। (সকলের হাস্য)

    একদিন গিয়ে দেখি, বসে ভাবছে (Ramakrishna)। জিজ্ঞাসা করলাম, কি হয়েছে? বললে টেক্সোয়ালা এসেছিল—তাই ভাবছি। বলেছে টাকা না দিলে ঘটি-বাটি বেচে লবে। আমি বললাম, কি হবে ভেবে? না হয় ঘটি-বাটি লয়ে যাবে। যদি বেঁধে লয়ে যায় তোমাকে তো লয়ে যেতে পারবে না। তুমি তো ‘খ’ গো! (নরেন্দ্রাদির হাস্য) কৃষ্ণকিশোর বলত, আমি আকাশবৎ। আধাত্ম পড়ত কিনা। মাঝে মাঝে তুমি খ বলে, ঠাট্টা করতাম। হেসে বললাম, তুমি খ টেক্স তোমাকে তো টানতে পারবে না।

    উন্মাদ অবস্থায় লোককে ঠিক ঠিক কথা, হক কথা, বলতু! কারুকে মানতাম না। বড়লোক দেখালে ভয় হত না।

    যদু মল্লিকের বাগানে যতীন্দ্র এসেছিল। আমিও সেখানে ছিলাম। আমি তাকে বললাম, কর্তব্য কি? ঈশ্বরচিন্তা করাই আমদের কর্তব্য কি না? যতীন্দ্র বললে, আমরা সংসারী লোক। আমাদের কি আর মুক্তি আছে! রাজা যুধিষ্ঠিরই নরক দর্শন করেছিলেন। তখন আমার বড় রাগ হল। বললাম, তুমি কি রকম লোক গা! যুধিষ্ঠিরের কেবল নরকদর্শনই মনে রেখেছ? যুধিষ্ঠিরের সত্যকথা ক্ষমা, ধৈর্য, বিবেক, বৈরাগ্য, ঈশ্বরের (Ramakrishna) ভক্তি—এ-সব কিছু মনে হয় না। আর কত কি বলতে যাচ্ছিলাম। হৃদে আমার মুখ চেপে ধরলে। যতীন্দ্র একটু পরেই আমার একটি কাজ আছে বলে চলে গেল।  

    আরও পড়ুনঃ “সে শিব শিব বলে জল তুলে দিলে, অমন আচারী ব্রাহ্মণ সেই জল খেলে!”

    হনুমান বললে, “ভাই, আমি বার তিথি নক্ষত্র—এসব কিছুই জানি না, আমি এক ‘রাম’ চিন্তা করি”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Adjourned: জরুরি অবস্থা নিয়ে স্পিকারের মন্তব্য, হট্টগোলে মুলতুবি লোকসভার অধিবেশন

    Lok Sabha Adjourned: জরুরি অবস্থা নিয়ে স্পিকারের মন্তব্য, হট্টগোলে মুলতুবি লোকসভার অধিবেশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হট্টগোলের জেরে মুলতুবি হয়ে গেল লোকসভার অধিবেশন (Lok Sabha Adjourned)। তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন এনডিএর নেতা বিজেপির নরেন্দ্র মোদি। স্পিকার মনোনীত হয়েছেন ওম বিড়লা। স্পিকার হিসেবে বুধবারই ছিল তাঁর প্রথম বক্তৃতা। আর এদিনই বিরোধীদের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন নয়া স্পিকার।

    ‘জরুরি অবস্থার কালো দিন’ (Lok Sabha Adjourned)

    স্পিকার হিসেবে প্রথম বক্তৃতায়ই ‘জরুরি অবস্থার কালো দিনে’র প্রসঙ্গ টানেন ওম। জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সাংসদদের দু’মিনিট নীরবতা পালন করতেও বলেন। জনগণের জীবনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর স্বৈরাচারী শাসনের ক্ষতিকর প্রভাবও তুলে ধরেন তিনি। স্পিকার বলেন (Lok Sabha Adjourned), “এই হাউস ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থা জারির তীব্র বিরোধিতা করছে। একই সঙ্গে যাঁরা জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করেছিলেন, ভারতের গণতন্ত্র রক্ষায় সচেষ্ট হয়েছিলেন, তাঁদের অ্যাপ্রিসিয়েট করছে।” তিনি বলেন, “১৯৭৫ সালের ২৫ জুন ভারতের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হিসেবেই থেকে যাবে।”

    কী বলছেন বিরোধীরা?

    স্পিকারের এহেন বক্তব্যের প্রবল বিরোধিতা করেন বিরোধীরা। ‘দেশ কো জেল বানা দিয়া হ্যায়’, ‘তানাশাহি বন্ধ কর’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’-র সাংসদরা। এদিকে, দেশে জরুরি অবস্থা জারির জন্য কংগ্রেসকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করতে থাকেন এনডিএর সাংসদরা। বাদানুবাদের জেরে চরমে ওঠে হট্টগোল। তখনই এদিনের মতো সভা মুলতুবি করে দেন স্পিকার।

    এদিকে, লোকসভার অধ্যক্ষের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “মাননীয় স্পিকার জরুরি অবস্থার তীব্র নিন্দা করেছেন, সেই সময় ঘটনার বাড়াবাড়িগুলো তুলে ধরেছেন এবং যেভাবে গণতন্ত্রের শ্বাসরোধ করা হয়েছিল, তারও উল্লেখ করেছেন। এতে আমি আনন্দিত। সেই দিনগুলিতে যাঁরা নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন, তাঁদের সম্মানে নীরবতা পালন করাও দুর্দান্ত পদক্ষেপ।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “৫০ বছর আগে জরুরি অবস্থা জারি করা হলেও, আজকের যুবকদের এই ঘটনা সম্পর্কে জানা উচিত।” তিনি জানান, সংবিধানকে উপেক্ষা করা হলে, জনমতকে দাবিয়ে দেওয়া হলে এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হলে কী ঘটে, তার উপযুক্ত উদাহরণ হল জরুরি অবস্থা। তিনি লিখেছেন, “জরুরি অবস্থার সময় যা ঘটেছিল, তা স্বৈরাচারী শাসনের উদাহরণ (Lok Sabha Adjourned)।”

    আর পড়ুন: আয়কর দিতে হবে মন্ত্রীদেরই, বড় সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রদেশ সরকারের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Arabul Islam: ভোট মিটতেই শওকত -আরাবুল সংঘাত! টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েতের টিকিট দেওয়ার অভিযোগ

    Arabul Islam: ভোট মিটতেই শওকত -আরাবুল সংঘাত! টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েতের টিকিট দেওয়ার অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে খুন করার চক্রান্ত করেছে আরাবুল।” এবার ভাঙড়ের জেলবন্দি নেতা আরাবুল ইসলামকে (Arabul Islam) নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। প্রকাশ্য সভা থেকে শওকতের (Saokat Molla) দাবি, আরাবুলের কাজকর্মে ক্ষুব্ধ ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন আরাবুল। নিজের ছেলেকে জেলা পরিষদের টিকিট পাইয়ে দিতে তাঁর কাছে দরবার করেছেন।

    শওকত মোল্লার মন্তব্য (Saokat Molla) 

    এ প্রসঙ্গে শওকত মোল্লা বলেন, “পঞ্চায়েত সদস্য ও পঞ্চায়েত প্রধান করার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছে আরাবুল (Arabul Islam)। যে তথ্য সামনে এসেছে, তার প্রত্যেক বিষয়ে তদন্ত হবে। সে বিষয়ে পদক্ষেপও করা হবে। আমাদের সামনে অনেক তথ্য এসেছে। সেগুলো সময় মতো সামনে আনা হবে।” শওকত মোল্লার দাবি, জেলা পরিষদ সদস্য খাদিজা বিবি দলের সঙ্গে গদ্দারি করেছেন। তাঁদেরকে দলের কোনও মিছিলে ডাকা হবে না। প্রশাসনিকভাবে যাতে ওঁরা কোনও সহযোগিতা না পান, সে চেষ্টা করা হবে।

    আগে কী ঘটেছিল? 

    লোকসভা ভোটের আগে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নে এক আইএসএফ সমর্থকের মৃত্যুর মামলায় ভাঙড় ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলামকে (Arabul Islam) গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে জেলবন্দি রয়েছেন তিনি। এরপর লোকসভা নির্বাচনে ভাঙড় থেকে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন যাদবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। মঙ্গলবার দলীয় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানাতে ভাঙড় কলেজের মাঠে সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। সেখানে হাজির ছিলেন ওই বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শওকত মোল্লাও। সেখানেই জেলবন্দি আরাবুলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: ফের গুলির লড়াইয়ে কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ! এনকাউন্টারে খতম দুই জঙ্গি

    তৃণমূল বিধায়ক শওকতের (Saokat Molla) দাবি, দিন দুয়েক আগে তিনি একটি চিঠি পান। তাতে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার একটি হিসাব পেয়েছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট দেওয়ার নাম করে কারও কাছ থেকে ৬ লক্ষ, তো কারও কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তোলা হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান করার জন্য ২৫ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। আর এ সবের মূলে ছিলেন আরাবুল। তিনি বলেন, এসব ছাড়াও আরাবুলের (Arabul Islam) বিরুদ্ধে আরও অনেক অপকর্মের অভিযোগ এসেছে। সমস্ত অভিযোগের তদন্ত হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Coal Scam: কয়লা পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার ইসিএল-র প্রাক্তন জিএম সহ ৩, শোরগোল

    Coal Scam: কয়লা পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার ইসিএল-র প্রাক্তন জিএম সহ ৩, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Scam) গ্রেফতার ইসিএল-র প্রাক্তন জিএম সহ ৩ জন। জানা গিয়েছে, নিজাম প্যালেসে দফায় দাফায় জেরা করার পর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ইসিএলের কাজোরা অঞ্চলে জেনারেল ম্যানেজার নরেশ কুমার সাহা এবং অপর দিকে দুই কয়লা ব্যবসায়ী বাপি ঠাকুর ও বিদ্যা দাস কেও গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। বাপি ঠাকুর আসানসোলের জামুড়িয়ার কেন্দা এলাকার বাসিন্দা এবং বিদ্যা দাস রানীগঞ্জের বাসিন্দা। তবে মিডিল ম্যান হিসাবে অশ্বিনী কুমার যাদবের নাম উঠে এসেছে। ঘটনায় কয়লা পাচারকাণ্ডে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    সিবিআই সূত্রে খবর (Coal Scam)

    জানা গিয়েছে, ধৃত এই কয়লা (Coal Scam) মাফিয়াদের মাধ্যমে রাজ্যের প্রভাবশালীর কাছে টাকা পৌঁছাত। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের সঙ্গে কয়লা পাচারের সরাসরি সংযোগ রয়েছে। এই পাচার কাণ্ডে ধৃত ইসিএলের ম্যানেজার। ইসিলের ভিতরেই কয়লা পাচার! অবাক তদন্তকারী অফিসারেরা। নিজাম প্যালেসে এই ধৃতদের প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডাকা হয়। এরপর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ফলে যাঁদের রক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁরাই এখন ভক্ষকের আচরণ করছে। কয়লা পাচারের অভিযোগে পদস্থকর্তা গ্রেফতার হওয়ায় এই প্রশ্ন এখন ঘোরাফেরা করছে সর্বত্র। একই ভাবে আজ তাঁদের সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়। সিবিআই জানিয়েছে, ইসিএলের ভিতরে এখন সমান ভাবে সক্রিয় রয়েছে কয়লা পাচার চক্র।

    আরও পড়ুনঃ “কখনও শিখ কখনও সন্ন্যাসী, জরুরি অবস্থায় ছদ্মবেশে কাজ করতাম”, বললেন মোদি

    ২০ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়!

    নিজাম প্যালেসে ডাকার পর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর জানা যায়, অশ্বিনীর মাধ্যমে কয়লা (Coal Scam) পাচারের প্রায় ২০ লক্ষ টাকা নরেশের কাছে গিয়েছে। আসানসোলের আদালতে পেশ করার পর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এদিন তাঁদেরকে নিজেদের হেফাজতে চায়। সিবিআই আইনজীবী জানিয়েছেন, কয়লা পাচারকাণ্ডে ধৃতদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। একই ভাবে ধৃতদের আইনজীবীদের পাল্টা প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল আদালতে। তবে ২০২১ সালে নরেশের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে সেই সময় মোবাইল ছাড়া আর কিছু উদ্ধার হয়নি। কয়লাকাণ্ডের এই ঘটনায় আরেকবার চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Terrorists killed in encounter: ফের গুলির লড়াইয়ে কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ! এনকাউন্টারে খতম দুই জঙ্গি

    Terrorists killed in encounter: ফের গুলির লড়াইয়ে কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ! এনকাউন্টারে খতম দুই জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও ভূস্বর্গে জঙ্গি হামলা। সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu-kashmir) দোদায় নিরাপত্তা বাহিনীর এনকাউন্টারে (Terrorists killed in encounter) নিহত হয়েছে দুই জঙ্গি। বারামুলায় জঙ্গিরা হামলা চালাতে পারে বলে সম্প্রতি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, সম্ভাব্য জঙ্গিহানা ঠেকাতে বিভিন্ন এলাকায় সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও কড়া করা হচ্ছে। চালানো হচ্ছে তল্লাশি অভিযানও। তেমনই এক অভিযানের সময় গত ১৯ জুন জঙ্গিদের সঙ্গে পুলিশের গুলির লড়াই বাধে। সেই সময় গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয় ২ জঙ্গি। এখন পর্যন্ত দুই জঙ্গির পরিচয় জানা যায়নি। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Terrorists killed in encounter)

    জানা গিয়েছে এদিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-kashmir)। জঙ্গিদের খোঁজে ডোডা জেলার জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান শুরু করে ভারতীয় সেনা ও সিআরপিএফের যৌথ বাহিনী। আসলে গত ১১ ও ১২ জুন দুবার জঙ্গি হামলা চলে কাশ্মীরে। আর সেই হামলা পাকিস্তানী জঙ্গিরা করিয়েছিল বলে জানা যায়। তারপরেই পাকিস্তানী জঙ্গিদের ধরতে কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে চলে তল্লাশি অভিযান। পুলিশসূত্রের খবর, চার আতঙ্কবাদীকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫ লক্ষ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপরেই ১৯ জুন সকাল ৯টা ৫০ নাগাদ বারামুলা জেলায় জঙ্গিদের সন্ধান মেলে। সেখানেই সেনা জঙ্গির গুলির লড়াইয়ে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়। তবে বাকিদের খোঁজে এখনও চলছে তল্লাশি অভিযান। 

    আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধির জেরে অগ্নিগর্ভ কেনিয়া! ভারতীয়দের সতর্ক করল দূতাবাস

    একের পর এক জঙ্গি হামলা 

    প্রসঙ্গত, গত ৯ জুন মোদি সরকারের শপথের দিন থেকে কাশ্মীরে (Jammu-kashmir) সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সে দিন জম্মুর রিয়াসি জেলায় পুণ্যার্থীদের বাসে জঙ্গি হামলার ঘটনায় নজনের মৃত্যু হয়েছিল। এই ঘটনার পর কাঠুয়া ও ডোডা জেলার বেশ কিছু এলাকায় হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। এখনও পর্যন্ত জঙ্গি হামলায় এক সিআরপিএফ জওয়ান-সহ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা বহু। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  •  Narendra Modi: “কখনও শিখ কখনও সন্ন্যাসী, জরুরি অবস্থায় ছদ্মবেশে কাজ করতাম”, বললেন মোদি

     Narendra Modi: “কখনও শিখ কখনও সন্ন্যাসী, জরুরি অবস্থায় ছদ্মবেশে কাজ করতাম”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জরুরি অবস্থার পুরো সময় ধরেই ছদ্মবেশে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এক দুই বছর আগের সময় নয়, প্রায় ৫০ বছর আগেকার ঘটনা। ২৫ জুন ১৯৭৭ সালে তৎকালীন ইন্দিরা সরকার সংবিধানকে বিসর্জন দিয়ে গোটা দেশে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। সারা দেশ কারগারে পরিণত হয়েছিল। মোদি, কংগ্রেসের সেই সময়ের অন্ধকার দিনের কথা তুলে ধরেছেন সংসদে। কীভাবে দেশে এই গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করেছিলেন, সেই বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেছেন, “কখনও শিখ কখনও সন্ন্যাসী, জরুরি অবস্থায় ছদ্মবেশে কাজ করতাম।”

    কী বললেন মোদি (Narendra Modi)?

    সংসদে জরুরি অবস্থা সম্পর্কে ভাষণ দিতে গিয়ে মোদি (Narendra Modi) বলেছেন, “এই রকম দমন পীড়ন থেকে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে সবরকম কাজ চালিয়ে যেতে হবে। কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে গুজরাটে ছাত্রদের নেতৃত্বে আন্দোলন হয়েছিল। ১৯৭৪ সালে ছাত্রযুব সমাজ গড়ে তুলেছিল নবনির্মাণ আন্দোলন। ছাত্র সমাজের শক্তি সেই সময় দেখা গিয়েছিল। আমি সেই সময় আরএসএস-এর যুব প্রচারক হয়ে সামজিক কাজ করছিলাম। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের অধীনে আমরা কাজ করছিলাম। যুব সমাজের আন্দোলন দেশ ব্যাপী ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছিল। কংগ্রেসের আগ্রাসী চোখ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে ছদ্মবেশী রূপ নিয়ে নানান গোপন মিটিং করতাম। আমাদের অনেক সঙ্গীরা এই কাজে সমাজ জাগরণে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন।”

    আরও পড়ুনঃ লোকসভায় টানা দ্বিতীয়বার স্পিকার নির্বাচিত হলেন ওম বিড়লা, অভিনন্দন মোদির

    আর কী বলেন?

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) কংগ্রেসের এই জরুরি অবস্থকে অন্ধকার দিন বলেছেন। তিনি বলেছেন, “আমাদের আরএসএস বরিষ্ঠ নেতা জগড়া, বসন্ত গজেন্দ্রগড়করের সঙ্গে আলোচনা করে তথ্য দেওয়া-নেওয়ার কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। এই সময় রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ সমাজের অন্তরালে থেকে কাজ করছিল। গুজরাটে তৈরি করা হয়েছিল লোক সংঘর্ষ সমিতি। সেই আমি আমি মাত্র ২৫ বছর বয়সে সঙ্ঘের কার্যবাহ হয়ে গিয়েছিলাম। এই সময় নানান লেখালেখি করতাম। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লেখাগুলির মাধ্যমে যাতে চিহ্নিত না হয়ে যাই, সেই জন্য শিখ বা গৈরিক সন্ন্যাসীর বেশে আত্মগোপন করে কাজ করেছিলাম।”

    উল্লেখ্য ১৯৭৮ সালে জরুরি অবস্থার উপর ‘সংঘর্ষ মা গুজরাট’ নামক একটি বই লেখেন মোদি। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বাবুভাই যশভাই প্যাটেল এই বইয়ের প্রকাশ করেছিলেন। সেই সময় মোদির মাত্র বয়স ছিল ২৭ বছর।      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manoj Sinha: অমরনাথ যাত্রার বেসক্যাম্পে উপরাজ্যপাল, ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    Manoj Sinha: অমরনাথ যাত্রার বেসক্যাম্পে উপরাজ্যপাল, ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীনগরের রাজভবন থেকেই অমরনাথের ‘প্রথম পূজা’য় অনলাইনে যোগ দিয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা (Manoj Sinha)। মঙ্গলবার তিনি দর্শন করলেন বালতালে অমরনাথ যাত্রার বেস ক্যাম্প। বালতালের অবস্থান গান্ডেরবাল জেলায়। এদিন এই বেসক্যাম্পে গিয়েই তীর্থযাত্রার সমস্ত বিষয় খুঁটিয়ে দেখেন ভূস্বর্গের উপরাজ্যপাল। প্রসঙ্গত, চলতি বছর অমরনাথের তুষারলিঙ্গ দর্শন যাত্রা শুরু হবে ২৯ জুন। যাত্রা শেষ ১৯ অগাস্ট।

    বেসক্যাম্পে রাজ্যপাল (Manoj Sinha)

    এদিন উপরাজ্যপাল কথা বলেন বেসক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা প্রবীণ আধিকারিক, শ্রী অমরনাথজি শ্রাইন বোর্ড, পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে। অমরনাথ যাত্রা নিশ্চিদ্র (Manoj Sinha) করতে তারা যাতে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে, সেই নির্দেশও দেন উপরাজ্যপাল। উপরাজ্যপালের অফিসের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, “আজ গান্ডেরবাল জেলার বালতালে শ্রী অমরনাথ যাত্রার বেসক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। পবিত্র যাত্রার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুঁটিয়ে দেখেন। ওষুধ, অক্সিজেন, জল, খাবার, যাত্রাপথে শৌচাগার এবং টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থার বিষয়েও খোঁজখবর নেন।” অমরনাথ দর্শনে গিয়ে তীর্থযাত্রীরা যাতে দুর্ভোগের শিকার না হন, সেই নির্দেশও দেন উপরাজ্যপাল।

    আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    এদিকে, অমরনাথ যাত্রা বিঘ্নহীন করতে চেষ্টার কসুর করছে না উপত্যকার প্রশাসন। সম্প্রতি জম্মুর বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরে যাওয়ার পথে তীর্থযাত্রী বোঝাই বাসে হামলা চালায় জঙ্গিরা। নির্বিচারে চালানো হয় গুলি। প্রাণ হারান বেশ কয়েকজন পুণ্যার্থী। তার পরেই আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে অমরনাথ যাত্রায় অংশ নেওয়া পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা। অমরনাথের বেসক্যাম্প জম্মুতে। এখানে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। নিরাপত্তার এই ব্যবস্থা করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের নিরাপত্তা বিভাগ।

    আর পড়ুন: “সে শিব শিব বলে জল তুলে দিলে, অমন আচারী ব্রাহ্মণ সেই জল খেলে!”

    ফি বছর দেশ-বিদেশের কয়েক লাখ ভক্ত যান প্রকৃতির বিস্ময় অমরনার্থ দর্শনে। এখানকার একটি গুহায় তুষার জমে তৈরি হয় শিবলিঙ্গ। প্রাণ বাজি রেখে সেই লিঙ্গ দর্শনে আসেন পুণ্যলোভাতুরারা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অমরনাথ গুহার উচ্চতা ৩ হাজার ৮৮০ মিটার। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের সুপারইনটেনডেন্ট বিনোদ কুমার বলেন, “যাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জম্মুর ভগবতী নগরে বেসক্যাম্পে ব্যবস্থা করা হয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার (Manoj Sinha)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share