Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ramakrishna 57: “সে শিব শিব বলে জল তুলে দিলে, অমন আচারী ব্রাহ্মণ সেই জল খেলে!”

    Ramakrishna 57: “সে শিব শিব বলে জল তুলে দিলে, অমন আচারী ব্রাহ্মণ সেই জল খেলে!”

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    পূর্বকথা—শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম প্রেমোন্মাদ কথা—১৮৫৮

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) নরেন্দ্রাদি ভক্তের প্রতি—আমার এই অবস্থার পর কেবল ঈশ্বরের কথা শুনিবার জন্য ব্যাকুলতা হত। কোথায় ভগবত, কোথায় আধাত্ম্য, কোথায় মহাভারত খুঁজে বেড়াতাম। এঁড়েদার কৃষ্ণকিশোরের কাছে আধ্যাত্ম শুনতে যেতাম।

    কৃষ্ণকিশোরের কি বিশ্বাস! বৃন্দাবনে গিছিল, সেখানে একদিন জলতৃষ্ণা পেয়েছিল। কুয়ার কাছে গিয়ে দেখে, একজন দাঁড়িয়ে রয়েছে। জিজ্ঞাসা করাতে সে বললে, আমি নীচ জাতি, আপনি ব্রাহ্মণ; কেমন করে আপনার জল তুলে দেব? কৃষ্ণকিশোর বললে, তুই বল শিব। শিব শিব বললেই তুই শুদ্ধ হয়ে যাবি। সে শিব শিব বলে জল তুলে দিলে। অমন আচারী ব্রাহ্মণ সেই জল খেলে! কি বিশ্বাস!

    এঁড়েদার ঘাটে একটি সাধু এসেছিল। আমরা একদিন দেখতে যাব ভাবলুম। আমি কালীবাড়িতে হলধারীকে বললাম, কৃষ্ণকিশোর আর আমি সাধু দেখতে যাব। তুমি যাবে? হলধারী বললে, একটা মাটির খাঁচা দেখতে গিয়ে কি হবে? হলধারী গীতা-বেদান্ত পড়ে কি না! তাই সাধুকে বললে মাটির খাঁচা। কৃষ্ণকিশোরকে গিয়ে আমি ওই-কথা বললাম। সে মহা রেগে গেল। আর বললে, কি! হলধারী এমন কথা বলেছে? যে ঈশ্বর (Ramakrishna) চিন্তা করে, যে রাম চিন্তা করে, আর সেইজন্য সর্বত্যাগ করেছে, তার দেহ মাটির খাঁচা। সে জানে না যে, ভক্তের দেহ চিন্ময়। এত রাগ-কালীবাড়িতে ফুল তুলতে আসত, হলধারীর সঙ্গে দেখা হলে মুখ ফিরিয়ে নিত! কথা কইবে না!

    আমায় বলেছিল, পৈতেটা ফেললে কেন? যখন আমার এই অবস্থা হল, তখন আশ্বিনের ঝড়ের মতো একটা কি এসে কোথায় কি উড়িয়ে লয়ে গেল! আগেকার চিহ্ন কিছুই রইল না। হুঁশ নাই! কাপড় পড়ে যাচ্ছে, তা পৈতে থাকবে কেমন করে! আমি বললাম, তোমার একবার উন্মাদ হয়, তাহলে তুমি বোঝ!

    হনুমান বললে, “ভাই, আমি বার তিথি নক্ষত্র—এসব কিছুই জানি না, আমি এক ‘রাম’ চিন্তা করি”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttarpara TMC: উত্তরপাড়ায় দীর্ঘ দিন দেখা নেই তৃণমূল বিধায়কের, চর্চায় কাঞ্চন মল্লিক

    Uttarpara TMC: উত্তরপাড়ায় দীর্ঘ দিন দেখা নেই তৃণমূল বিধায়কের, চর্চায় কাঞ্চন মল্লিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির উত্তরপাড়া এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে তৃণমূল বিধায়কের দেখা নেই। ২০২১ সালে ভোটে জেতার পর থেকেই অনুপস্থিত নিজের কেন্দ্রে। ঠিক এমনটাই অভিযোগ উঠেছে এলাকাবাসীর। একই সঙ্গে দলের (Uttarpara TMC) অন্দরেও প্রশ্ন উঠেছে। আর এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করতেই বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক ভীষণ ভাবে রেগে লাল হয়ে গেলেন।

    গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছিলেন কল্যাণ (Uttarpara TMC)

    উল্লেখ্য লোকসভার ভোটে প্রচারের সময় এই কাঞ্চন মল্লিককে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল। ঘটনা ঘটেছিল কোন্নগরের নবগ্রামে। এরপর থেকেই তাঁকে আর দেখা যায়নি এলাকায়। এখন তাঁকে চোখে দেখতে না পেয়ে এবং অনুপস্থিতিতে দলের (Uttarpara TMC) কর্মীদের মধ্যে বিরাট চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    কী বললেন কাঞ্চন?

    তৃণমূল বিধায়ক (Uttarpara TMC) কাঞ্চন মল্লিকের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করলে নিজে বলেন, “মান-অভিমান সব অতীত। ওই সব কোনও বিষয় নয়। এখন আউটডোর শ্যুটিং নিয়ে বিশেষ ব্যস্ততায় রয়েছি। আমি কি প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে অফিস করব?” তবে তৃণমূলের সূত্রে খবর, বিধায়ক হয়ে উত্তরপাড়া এবং কোন্নগরে একাধিক কার্যালয় খুলেছেন। কিন্তু সবসময় না হলেও মাঝে মাঝে বসতেন। কিন্তু বেশকিছুদিন ধরে তাঁকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। লোকসভায় চতুর্থবার জয়ী হওয়ার পর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজয় মিছিলেও তাঁকে দেখা যায়নি সেখানে। ফলে দলের কর্মীদের মনেও যা প্রশ্ন, সাধারণ মানুষের মনেও তাই।

    আরও পড়ুনঃ হিমাচলের শৃঙ্গে বরফে ‘দানবাকৃতি’ পায়ের ছাপ! পর্বত আরোহীদের অদ্ভুত অভিজ্ঞতা

    তৃণমূল সভাপতির বক্তব্য

    উত্তরপাড়া শহরের তৃণমূল (Uttarpara TMC) সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঘোষ বলেছেন, “মাখলায় আমাদের ক্লাবের অফিসে বিধায়ক বসেন। মুম্বইয়ের একটি শ্যুটিং-এর কাজে একমাস ব্যস্ত রয়েছেন। ফলে সময় দিতে পারছেন না। তবে তাঁর সেক্রেটারি নিয়মিত অফিসে আসেন। মানুষের কাজের সুবিধার জন্য আগাম কাগজে সই করে দিয়ে গিয়েছেন। পরিষেবা পেতে যাতে অসুবিধা না হয়, সেই দিকটা আমরা নজরে রেখেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mountaineer: হিমাচলের শৃঙ্গে বরফে ‘দানবাকৃতি’ পায়ের ছাপ! পর্বত আরোহীদের অদ্ভুত অভিজ্ঞতা

    Mountaineer: হিমাচলের শৃঙ্গে বরফে ‘দানবাকৃতি’ পায়ের ছাপ! পর্বত আরোহীদের অদ্ভুত অভিজ্ঞতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গল্পের বইতে ইয়েতি-র কথা অনেকেই শুনেছেন। দানবাকৃতি, অনেকটা গেরিলার মতো দেখতে। তুষারমানব নামেও পরিচিত। তবে বাস্তবে তার অস্তিত্ব রয়েছে কিনা এই নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে কয়েক জন বাঙালি হিমাচলে পর্বতে আরোহণ (Mountaineer) করতে গিয়ে এই দানবের পায়ের ছাপ দেখে জল্পনা উস্কে দিয়েছেন। রীতিমতো দানবাকৃতি পায়ের ছাপ দেখেছেন তাঁরা।

    পর্বত আরোহীর বক্তব্য

    পর্বত আরোহীদের (Mountaineer) সদস্য দেবাশিষ বিশ্বাস বলেছেন, “দেওটিব্বা অভিযানে ক্যাম্প ওয়ান থেকে ক্যাম্প টু-তে যাওয়ার সময় আমরা বরফের উপর অদ্ভুত পায়ের ছাপ দেখতে পাই। তবে অভিযাত্রীদের মধ্যে কেউ বুঝতে পারছিলেন না ঠিক কিসের এই পায়ের ছাপ। তবে পায়ের ছাপগুলি বেশ লম্বা। প্রায় সাড়ে ছয় ইঞ্চি চওড়া, বরফের উপর দিয়ে ক্রমেই এগিয়ে গিয়েছে উপরের দিকে। আমি ছাপগুলিকে ক্যামেরায় বন্দি করেছি। শেরপাকে প্রশ্ন করতে তারা জানায় এই ছাপ ভালুকের। কিন্তু তাদের মুখের কথা এবং হাবেভাবে বোঝা গিয়েছে, দৃঢ় বিশ্বাস ছাপ নিছক ভালুকের নয়। এটি ইয়েতির পায়ের ছাপ! ওত উপরে গাছপালা নেই, ফলের খোঁজও নেই। ভালুক কীভাবে থাকবে? তাছাড়া পায়ের ছাপের সঙ্গে ভালুকের পায়ের ছাপের তেমন মিল নেই। তবে দেওটিব্বা এবং ইন্দ্রাসন আরোহন সেরে ফেরার সময় এই ছাপ তুষারপাতের কারণে আর দেখা যায়নি।”

    আরও পড়ুনঃ খড়্গপুর ডিভিশনে টানা ১০ দিন তিনশোর বেশি ট্রেন বাতিল, ঘোষণা রেলের

    ১২ জনের দল ছিল (Mountaineer)

    হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট মাউন্টেনার্স এন্ড ট্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন’ ও ‘হিমালয়ান অ্যাসোসিয়েশন’-এর যৌথ উদ্যোগে হিমাচলপ্রদেশের ইন্দ্রাসন শৃঙ্গ (৬২২১ মিটার) ও পড়শি দেওটিব্বা (৬০০১ মিটার) শৃঙ্গে অভিযান চালাতে গিয়েছিল দু’টি অভিযাত্রী দল। তাঁদের বিশেষ নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এভারেস্টজয়ী (Mountaineer) মলয় মুখোপাধ্যায় এবং দেবাশিষ বিশ্বাস। হিমাচলের পীরপঞ্চাল হিমালয়ের সবচেয়ে কঠিন শৃঙ্গ ইন্দ্রাসন বরাবর পর্বতারোহীদের পছন্দের জায়গা। পথ অত্যন্ত বিপজ্জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এই বাধাকে অতিক্রম করে হাওড়ার ১২ জনের দলকে নিয়ে হিমাচলে গিয়েছিলেন মলয়। গত ১৫ জুন সকালে মলইয়-সহ দলের ৯জন সদস্য ডেওটিব্বার শীর্ষে পৌঁছে ছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Russia Terrorist Attack: রাশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে জঙ্গি হামলা, মৃত কমপক্ষে ১৯

    Russia Terrorist Attack: রাশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে জঙ্গি হামলা, মৃত কমপক্ষে ১৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দাগেস্তান অঞ্চলে দুটি সিনাগগ (ইহুদি উপাসনালয়), দুটি গির্জা এবং একটি পুলিশ চৌকিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ডারবেন্ট এবং মাখাচকালা শহরে এই প্রাণঘাতী হামলায় ১৫ জনেরও বেশি পুলিশ অফিসার এবং ৪ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন নিকোলাই কোটেলনিকভ নামে পাদরি, জঙ্গিরা তাঁকে নির্মমভাবে গলার নলি কেটে হত্যা করেছে। তিন মাসের মধ্যে এটি দ্বিতীয় বড় জঙ্গি হামলা।

    আধিকারিকদের বক্তব্য

    দাগেস্তান পাবলিক মনিটরিং কমিশনের চেয়ারম্যান, শামিল খাদুলায়েভ বলেন , “আমি যে তথ্য পেয়েছি তা হল ফাদার নিকোলেকে ডারবেন্টের চার্চের ভিতরে হত্যা করা হয়। জঙ্গিরা তাঁর গলা কেটে ফেলে। তিনি ৬৬ বছর বয়সী এবং খুব অসুস্থ ছিলেন। দেশের সন্ত্রাসবিরোধী কমিটির তথ্য অনুযায়ী, মোট ৫ জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। উল্লেখ্য, জঙ্গিরা বন্দুক ও মোলোটভ ককটেল নিয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা করে। ককটেল বোমা ছোড়ার পর তাঁরা নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে। রাস্তায় সাধারণ মানুষের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়।

    হামলার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায়

    সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায় যে ডারবেন্টে অবস্থিত একটি সিনাগগ সন্ত্রাসীরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। মাখাচকালায় একটি সিনাগগ এবং একটি পুলিশ ট্রাফিক পোস্টও হামলার শিকার হয়।

    দাগেস্তানের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে উপাসনালয়গুলোকে টার্গেট করার নিন্দা জানিয়েছে ইজরায়েল। দেশটির বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, “ডারবেন্টের সিনাগগে আগুন লাগিয়ে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিহত হয়েছেন স্থানীয় রক্ষীরা।”

    দাগেস্তানে তিন দিনের শোক পালন

    জানা গিয়েছে, হামলার সময় উপাসনালয়ে কোনও উপাসক ছিল না এবং ইহুদি সম্প্রদায়ের কোনও হতাহতের ঘটনাও জানা যায়নি। রাশিয়া সোমবার (২৩ জুন) থেকে এই অঞ্চলে ৩ দিনের শোক ঘোষণা করেছে। রাশিয়ান ফেডারেশনের ক্রিমিনাল কোডের অধীনে জঙ্গি হামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। জঙ্গি হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। সোমবার দাগেস্তানের গভর্নর সের্গেই মেলিকভ ভিডিও বার্তায় বলেছেন, দাগেস্তান ও পুরো দেশের জন্য এটা খুবই দুঃখের দিন। আমরা বুঝতে পারছি, এসব সন্ত্রাসী হামলার পেছনে কোন

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানের খাইবারে সেনার উপর জঙ্গি হামলা, মৃত পাঁচ জওয়ান

    সংগঠন জড়িত এবং তারা কোনও নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে হামলা চালিয়েছে। যদিও দায়ী হিসেবে কোনও সংগঠন বা ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেননি সের্গেই মেলিকভ।” প্রসঙ্গত মার্চ মাসে একটি সঙ্গীতের অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। সেবার হামলাত দায় নিয়েছিল আইসিস খুরাসান। সেই হামলায় ১৩০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। তিন মাসের মধ্যে ফের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে হামলা মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে পুতিন প্রশাসনের।  

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Britannia Factory Closed: তৃণমূলের ‘তোলাবাজি’-তেই বন্ধ হল তারাতলার ব্রিটানিয়া! অভিযোগ বিজেপির

    Britannia Factory Closed: তৃণমূলের ‘তোলাবাজি’-তেই বন্ধ হল তারাতলার ব্রিটানিয়া! অভিযোগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার স্বাদে ও আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে ব্রিটানিয়া বিস্কুট। আর সেই আবেগে আঘাত পড়ল সোমবার। তারাতলায় প্রোডাকশন বন্ধ হয়ে গেল ব্রিটানিয়া কোম্পানির (Britannia Factory Closed)। সূত্রের খবর, কোম্পানিতে স্থায়ী কর্মী ছিলেন ১২২ জন এবং অস্থায়ী কর্মী ছিলেন ২৫০ জন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে ২০১১ সালের পরে এই নিয়ে মোট ১৫টি কারখানা বন্ধ হল তারাতলা শিল্পাঞ্চলে। 

    বিজেপির অভিযোগ (BJP blames on TMC) 

    কারখানা বন্ধের এই ঘটনায় তৃণমূলের তোলাবাজিকেই সরাসরি দায়ী করছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মলব্য তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, “আজকের ব্রিটানিয়া ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানার বন্ধ (Britannia Factory Closed) হয়ে যাওয়া বাংলার একসময়ের গভীর বিশৃঙ্খলার প্রতিফলন।” একইসঙ্গে কারখানা বন্ধের জন্য বাম শাসন আমলে সিপিআই(এম) এর ‘ইউনিয়নবাজি’ এবং টিএমসির ‘তোলাবাজি’ (চাঁদাবাজি) এর সম্মিলিত প্রভাবকে দায়ী করেছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত, বাংলার ভাগ্য এখন ‘ইউনিয়নবাজি’ এবং ‘তোলাবাজি’র জোড়া অভিশাপে আটকে পড়েছে। এখন একটাই প্রশ্ন, এই অভিশাপ থেকে কবে মুক্তি পাবে বাংলা?” 

    অন্যদিকে অমিত মালব্যর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (BJP blames on TMC) বলছেন, ”এমন একটি দল, যারা সারাক্ষণ তোলাবাজি করে, তাদের উপস্থিতিতে সেখানে শিল্প আসবে না।  মুখ্যমন্ত্রীরও শিল্প-বিরোধী ভাবমূর্তি রয়েছে।”
    যদিও বিজেপির এই আক্রমণের পাল্টা আঘাত হেনে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলছেন, ”সংশ্লিষ্ট সংস্থার ম্যানেজমেন্টের নিজস্ব সমস্যা রয়েছে। যারা এটিকে রাজ্যের সামগ্রিক শিল্প পরিস্থিতির সঙ্গে মেশাচ্ছেন, তাঁরা ভুল করছেন।” 

    আরও পড়ুন: ধর্মের ভিত্তিতে ভোটদান! লোকসভা ভোটে বিরাট ভূমিকায় মুসলিম ভোটারেরা

    কর্মীদের অভিযোগ 

    অস্থায়ী কর্মীদের অভিযোগ, ২০০৪ সাল থেকে যে আড়াইশো জন অস্থায়ী কর্মী কাজ করছিলেন তাঁদেরকে কোম্পানি কোনও টাকাপয়সা না দিয়ে এই কোম্পানি বন্ধ (Britannia Factory Closed) করে দিয়েছে। তবে জানা গিয়েছে, স্থায়ী কর্মী যাঁরা ১০ বছরের উপরে চাকরি করছেন, তাঁদের এক এক জনকে ২২ লাখ ২৫ হাজার টাকা দিয়েছে কোম্পানি। ছয় থেকে দশ বছরের নিচে যাঁরা চাকরি করেছেন তাঁদেরকে ১৮ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দিয়েছে কোম্পানি। এর নিচে যাঁরা চাকরি করেছেন তাঁদেরকে ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে দিয়েছে কোম্পানি। কিন্তু অস্থায়ী কর্মীদের কোনও টাকা পয়সা এখনও পর্যন্ত দেয়নি কোম্পানি বলেই অভিযোগ। 
    কিন্তু কী কারণে কলকাতার (Kolkata) একমাত্র ব্রিটানিয়া কারখানা বন্ধ হয়ে গেল? ব্যবসায় মন্দা? নাকি শ্রমিক সমস্যা? এনিয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে ব্যবসায়িক দিক থেকে কোনও সমস্যা হয়নি বলেই মত শ্রমিকদের একাংশের। এখনও বঙ্গে ব্রিটানিয়ার খাদ্যসামগ্রী বিক্রিতে অন্য যে কোনও সংস্থার চেয়ে যথেষ্ট এগিয়ে। তবে কেন বন্ধ হল কারখানা (Britannia Factory Closed) সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kharagpur Railway Division: খড়্গপুর ডিভিশনে টানা ১০ দিন তিনশোর বেশি ট্রেন বাতিল, ঘোষণা রেলের

    Kharagpur Railway Division: খড়্গপুর ডিভিশনে টানা ১০ দিন তিনশোর বেশি ট্রেন বাতিল, ঘোষণা রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণপূর্ব রেলের খড়্গপুর ডিভিশনের (Kharagpur Railway Division) অন্দুল স্টেশনে টানা ১০ দিন ধরে চলবে নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ। এই কাজের জন্য শনিবার থেকে মেদিনীপুর-হাওড়া-মেদিনীপুর সহ মোট ২৩৭টি লোকাল ট্রেন এবং ৩২ জোড়া এক্সপ্রেস ট্রেন সহ মোট ৩০৩টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। যাত্রীরা যাতে স্টেশনে গিয়ে দুর্ভোগের শিকার না হন তা নিয়ে আগেই এই ঘোষণা রেলের।

    কী জানানো হয়েছে রেল সূত্রে (Kharagpur Railway Division)?

    গতকাল সোমবার রেলের দক্ষিণ পূর্ব শাখা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, দিন কয়েক আগেই অবশ্য রেলের তরফ থেকে ঘোষণা করে বলা হয়েছিল যে আন্দুল স্টেশনে নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজের জন্য ২২ জুন থেকে কোনও ট্রেন বাতিল (Kharagpur Railway Division) করা হচ্ছে না। যদি পরবর্তী সময়ে ট্রেন বাতিল করা হয় তাহলে দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হবে। অবশেষে সোমবার তা জানানো হল। মোট ৩০০-র বেশি ট্রেন বাতিল করা ছাড়াও যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে একাধিক ট্রেনের। সেই সঙ্গে কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ বদল করা হয়েছে। একই ভাবে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু ট্রেনকে। এই প্রি নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলবে ২৯ জুন থেকে ৬ জুন পর্যন্ত। ইন্টারলকিংয়ের কাজ হবে ৭ এবং ৮ জুলাই। আর তাই ২৯ জুন থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত ২৩৭টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ৩২ জোড়া যে ট্রেন বাতিল হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, তাম্রলিপ্ত, ইস্পাত, জনশতাব্দী, ইন্টারসিটি, ধৌলি, আরণ্যক, কাণ্ডারী, সামলেশ্বরী, আজাদ হিন্দ, শতাব্দী-র মতো একাধিক ট্রেন।

    আরও পড়ুনঃ২৫ জুন গণতন্ত্রের অন্ধকার দিন! জরুরি অবস্থার ৫০ তম বার্ষিকীতে বিরোধীদের আক্রমণ মোদির

    ১১ জোড়া ট্রেনের যাত্রা পরিবর্তন

    রেলের (Kharagpur Railway Division) তরফে আরও জানা গিয়েছে, এই ১০ দিনে মোট ১১ জোড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাপথের পরিবর্তন করা হয়েছে। সময় পরিবর্তন করা হয়েছে ১১১ জোড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের এবং যাত্রা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে ৩ জোড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের। ৬ জুলাই, ডিব্রুগড়-কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস ৯০ মিনিট এবং পুরী-হাওড়া এক্সপ্রেস ২০ মিনিট দেরিতে চলতে পারে বলে জানানো হয়েছে রেলের তরফে। ফলে আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে তাই নিত্যযাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: পাকিস্তানের খাইবারে সেনার উপর জঙ্গি হামলা, মৃত পাঁচ জওয়ান

    Pakistan: পাকিস্তানের খাইবারে সেনার উপর জঙ্গি হামলা, মৃত পাঁচ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) উত্তর পশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলে জঙ্গি হানায় ৫ জন পাকিস্তানি সেনার মৃত্যু হল। পাকিস্তান সেনার মিডিয়া বিভাগ ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন জানিয়েছে, জঙ্গিরা কুররাম জেলায় সেনাবাহিনীর গাড়ির উপরে হামলা চালায়। বিস্ফোরণে নষ্ট হয়ে যায় সেনার গাড়ি এবং ওই গাড়ির মধ্যে থাকা পাঁচ জন সেনা সেনার মৃত্যু হয়েছে।

    হামলায় নেপথ্যে টিটিপি, ধারণা প্রশাসনের

    চিনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া তাঁদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে মৃত সৈনিকদের বয়স ২৪ থেকে ৩৩ এর মধ্যে। এখন অবধি কোনও জঙ্গি সংগঠন এই হামলার দায়িত্বভার গ্রহণ করেনি। এমনকি (Pakistan) সেনা তরফ থেকেও কোন জঙ্গি সংগঠনকে আধিকারিক ভাবে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে তেহরিক-এ-তালিবান পাকিস্তান বা আফগান তালিবানের সহযোগী টিটিপি এই ঘটনার জন্য দায়ী। ইতিমধ্যে তালিবানরা ক্ষমতা দখল করার পর থেকে টিটিপি এই অঞ্চলে হামলা বাড়িয়েছে। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শিরিফ বলেছেন, “সেনার এই বলিদান ব্যর্থ যাবে না।”

    উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় দমন-পীড়ন

    পাকিস্তানে উপজাতি অধ্যুষিত ফাটা, সোয়াত ও খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় জঙ্গি দমন অভিযান চালাবার ঘোষণা করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। স্থানীয়দের অভিযোগ সেনা জঙ্গি দমনের নামে নির্বিচারে সাধারণ মানুষকেও সন্দেহের বশে গুলি করে মারছে। অন্যদিকে কয়েক লক্ষ আফগান শরনার্থীকে থেকে নভেম্বরের মধ্যে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বহু আফগান নাগরিককে ধরে ধরে আফগান সীমান্তের ছেড়ে দিয়ে আসা হচ্ছে। এই সব এলাকাতেও বহু আফগানীর বাস। কয়েক প্রজন্ম ধরে তাঁরা এখানে বসবাস করছেন। অথচ জঙ্গি দমন অভিযানের নামে তাঁদের উপরেও অত্যাচার চলছে। এই জেরে পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দানা বাঁধছে। ক্ষোভের জেরে পাল্টা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে তেহরিক এ তালিবান পাকিস্তান ওরফে টিটিপি নামে একটি উগ্রপন্থী গোষ্ঠী। মাঝেমধ্যেই তাঁরা সেনাবাহিনীর উপরে হামলা চালাচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক এই হামলার জন্য কারা দায়ী তা এখনও জানা যায়নি।

    জঙ্গি সন্দেহে ২২ জন গ্রেফতার (Pakistan)

    জানা গেছে পাঞ্জাব প্রান্ত থেকে পুলিশ ইতিমধ্যে ২২ জন ব্যক্তিকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করেছে। পাঞ্জাব পুলিশ সূত্রে খবর বিভিন্ন জেলায় ১৫২ টি অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে ইসলামিক স্টেট। তেহরিক-এ-তালিবান পাকিস্তান (TTP), লস্কর-এ-তৈয়বা, লস্কর-এ-জাহাঙওয়ী সংগঠনের ২২ জনকে জঙ্গি সন্দেহে ধরা হয়। পুলিশের জঙ্গি দমন শাখার এক আধিকারিকের বক্তব্য অনুযায়ী গোটা এলাকা জুড়ে জঙ্গি দমন অভিযান চালানো হচ্ছে। এদের মধ্যে কেউ সাম্প্রতিক (Pakistan) সেনাবাহিনীর উপরে হামলায় যুক্ত ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় জঙ্গিবাদের প্রভাব

    পাকিস্তান (Pakistan) সেনার একটি অংশ দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দিয়ে আসছে। জঙ্গিদের মদত করতে করতে এখন এই জঙ্গি সমস্যায় পাকিস্তানের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ জঙ্গিদের পাক সেনার কথা মত কাজ করতে হয়। জঙ্গিদের টার্গেট বাছার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা নেই। মতানৈক্য হলেই জঙ্গিদের খতম করিয়ে দেয় সেনা। ফলে যে সেনাবাহিনী এতদিন তাঁদের সমর্থন করছিল তারাই এখন জঙ্গিদমন অভিযান চালাচ্ছে। পাল্টা সেনার উপর হামলা করছে জঙ্গিরা। বিশেষ করে পাকিস্তানে উপজাতি অধ্যুষিত সোয়াত, খাইবার ও ফাটা

    আরও পড়ুন: চিন-পাকিস্তান যোগসাজশ! কাশ্মীরে জঙ্গিদের থেকে উদ্ধার চিনা টেলিকম সরঞ্জাম

    এলাকায় অনুন্নয়নের জেরে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয় মানুষদের মধ্যে। তাঁদের একাংশ হাতে সেনার অত্যাচারে বন্দুক হাতে তুলে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিচ্ছে। পাকিস্তান সেনা এদের নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে তাঁদের উপর আরও কড়া মনোভাব দেখাচ্ছে। যার ফলে সেই এলাকায় সেনার বিরুদ্ধেও বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় সেনাবাহিনীর কথামত না চললে অনেক ক্ষেত্রেই খুন এবং গুম করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Emergency: ২৫ জুন গণতন্ত্রের অন্ধকার দিন! জরুরি অবস্থার ৫০ তম বার্ষিকীতে বিরোধীদের আক্রমণ মোদির

    Emergency: ২৫ জুন গণতন্ত্রের অন্ধকার দিন! জরুরি অবস্থার ৫০ তম বার্ষিকীতে বিরোধীদের আক্রমণ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মঙ্গলবার ২৫ জুন। ১৯৭৫ সালের এই ২৫ জুন থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ২১ মাসের জন্য কংগ্রেস দ্বারা জারি করা জাতীয় জরুরি (Emergency) অবস্থার ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। এই নিয়ে বিজেপি কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছে। বিজেপি জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে সমস্ত আন্দোলনকারীদের এই দিনটিকে স্মরণ করে গণতন্ত্রের অন্ধকার দিন বলেছে। বিজেপি আরও বলেছে, “ভারতীয় গণতন্ত্র ও রাজনীতির অন্ধকারতম অধ্যায় ছিল এই দিনটি। জরুরি অবস্থা বিরোধী সকল সত্যাগ্রহীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল অভিবাদন এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার জন্য কুর্নিস জানাই।” সংসদে শপথ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জরুরি অবস্থা নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছেন।

    কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী (Emergency)

    প্রধানমন্ত্রী মোদি সোমবার সংসদে সদস্য হিসাবে শপথ নেওয়ার সাথে সাথে ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার স্মৃতি তুলে ধরেন। দেশের তৎকালীন নেত্রী ইন্দিরা গান্ধী স্বয়ং এই ঘোষণা করেছিলেন। মোদি বলেছেন, “আগামীকাল সেই কালাদিন। তরুণ প্রজন্ম কখনই ভুলবে না যে কীভাবে গণতন্ত্রকে হরণ করা হয়েছিল। কীভাবে গোটা দেশকে একটি কারাগারে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। ভারতীয় সংবিধানকে কীভাবে পরিত্যাগ করা হয়েছিল তা দেখে ছিলেন মানুষ। ৫০ বছর পূর্তিতে দেশ প্রতিশ্রুতি দেবে যে এই দিনটি আর কখনই দেখবে না। সংসদের অধিবেশনে কাজে ব্যাঘাত এবং বিশৃঙ্খলা দেখতে চান না সাধারণ মানুষ। কাজের বিষয়ে আলোচনা ও প্রচেষ্টার বিষয়বস্তুকেই মানুষ পছন্দ করেন বেশি। আমি আশা করছি বিরোধী দল জনগণের এই প্রত্যাশা পূরণ করবে।”

    আরও পড়ুনঃ “চ্যাটজিপিটির পরবর্তী প্রজন্মের বুদ্ধিমত্তা হবে পিএইচডি ডিগ্রিধারীর সমতুল্য”! দাবি সংস্থার

    কেন জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা?

    তৎকালীন সরকার ছিল ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস সরকার। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরীণ গোলযোগ ঘটছে বলে কারণে দেখিয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ। এরপর জাতীয় জরুরি অবস্থা (Emergency) জারি করেন। তিনি ভারতীয় সংবিধানের ৩৫২ নম্বর ধারার অধীনে আনুষ্ঠানিকভাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন। এই জরুরি অবস্থা স্থায়ী হয়েছিল ২৫ জুন, ১৯৭৫ থেকে ২১ মার্চ, ১৯৭৭ পর্যন্ত। আবার এই জরুরি অবস্থার মধ্যে ছিল দেশের গোটা নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রত্যহার করা এবং নাগরিকদের স্বাধীনতার পরিসীমাকে সীমিত করা। ফলে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা একক ক্ষমতার অধিকারী হয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর পুত্র সঞ্জয় গান্ধীও মানুষের মানবাধিকারকে কেড়ে নিয়ে ব্যাপক অত্যাচার করেছিলেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ধর্মের ভিত্তিতে ভোটদান! লোকসভা ভোটে বিরাট ভূমিকায় মুসলিম ভোটারেরা

    Lok Sabha Election 2024: ধর্মের ভিত্তিতে ভোটদান! লোকসভা ভোটে বিরাট ভূমিকায় মুসলিম ভোটারেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে মুসলিম ভোট। পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর হোক বা মহারাষ্ট্রের ধুলে লোকসভা কেন্দ্র, সেখানে মুসলমানরা প্রার্থীদের ভোট দেয় ধর্মের ভিত্তিতে। যার ফলে মুসলিম ভোটারদের একটা বড় অংশ এই লোকসভায় বিরাট ভুমিকা নিয়েছে। 

    গান্ধিজির আদর্শবাদী দৃষ্টিভঙ্গি 

    ১৯২৪ সালে ৮ অক্টোবর, গান্ধিজি তাঁর ২১ দিনের অনশন ভাঙার পর, মৌলানা মোহাম্মদ আলীকে লিখেছিলেন, “আপনি আমার কাছে ভাইয়ের চেয়েও বেশি। আপনার এবং আমার মধ্যে এই বন্ধনটি হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে একটি অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে পরিণত হোক। আমাদের নিজ নিজ ধর্মের ভালো, আমাদের দেশের ভালোর জন্য এবং মানবতার ভালোর জন্য।” তবে গান্ধিজির এই ঐক্যের আদর্শবাদী দৃষ্টিভঙ্গি সত্ত্বেও, মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুভূতিগুলি সম্পূর্ণ ভিন্ন বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করেছিল। 

    ধর্মের ভিত্তিতে ভোটদান বহরমপুরে

    এবছর লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরেই দেখা গেল ধর্মের ভিত্তিতেই ভোট (Muslim Voting Pattern) হয়েছে বহরমপুরে। ১৩ মে হয়েছিল লোকসভার ভোটের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ। এই দিন বাংলার ৭ কেন্দ্র সহ নির্বাচন হয় বহরমপুরেও। গত পাঁচ-পাঁচটি লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) অপরাজেয় ছিলেন অধীর চৌধুরী। ১৯৯৯ থেকে টানা ৫ বার এই কেন্দ্র থেকে জিতে সংসদে গিয়েছেন তিনি। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে একদশক কাটিয়ে ফেলেছে তৃণমূল। কিন্তু বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে দাঁত ফোটাতে পারেনি তৃণমূল। কিন্তু এবারের ভোটের ফলাফলে প্রকাশ হল অন্য তথ্য। ফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল অধীরের গড়ে ফুল ফুটিয়েছে ঘাসফুল শিবির। কারন এবছর বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের অধীরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। ফলে প্রার্থীকে দেখে এককাট্টা হয়ে সব মুসলিম ভোট পড়েছে তৃণমূলের দিকেই। 

    আরও পড়ুন: মন্ত্রীর পর রাজ্যসভার দলনেতা হলেন নাড্ডা, কে হবেন বিজেপির পরবর্তী সভাপতি?

    একই ছবি ধুলে লোকসভা কেন্দ্রেও

    এই একই ছবি রয়েছে ধুলে লোকসভা কেন্দ্রেও। সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী শোভা বাছাভ দুইবারের বিজেপি সাংসদ সুভাষ ভামরেকে হারিয়েছেন। ধুলে লোকসভা কেন্দ্রে রয়েছে ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্র: সিন্দাখেদা, মালেগাঁও আউটার, মালেগাঁও সেন্ট্রাল, ধুলে (গ্রামীণ), বাগলান এবং ধুলে শহর। এর মধ্যে মালেগাঁও সেন্ট্রালের মোট জনসংখ্যার ৭৬ শতাংশেরও বেশি মুসলিম সম্প্রদায়। ফলে বোঝাই যাচ্ছে এই ভোটের (Lok Sabha Election 2024) ফলাফলের কারন ঠিক কী। 
    এই বিস্ময়কর ফলাফলগুলি ভারতীয় রাজনীতিতে আরও একবার প্রমান করল যে মুসলমানরা প্রার্থীদের (Muslim Voting Pattern) ভোট দেয় ধর্মের ভিত্তিতেই। সে প্রার্থী যতই অনভিজ্ঞ রাজনিতিবিদ হোক না কেন! ফলে গোটা দেশ জুড়ে এই মুসলিম ভোট শক্তিশালী করছে ইন্ডি জোটকে, যার প্রভাব পড়ছে এনডিএ-র ওপর।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • OpenAI: “চ্যাটজিপিটির পরবর্তী প্রজন্মের বুদ্ধিমত্তা হবে পিএইচডি ডিগ্রিধারীর সমতুল্য”! দাবি সংস্থার

    OpenAI: “চ্যাটজিপিটির পরবর্তী প্রজন্মের বুদ্ধিমত্তা হবে পিএইচডি ডিগ্রিধারীর সমতুল্য”! দাবি সংস্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নেক্সট জেনারেশন চ্যাটজিপিটির (OpenAI) ইন্টেলিজেন্স লেভেল হবে পিএইচডির।” এক সাক্ষাৎকারে কথাগুলি বললেন মীরা মূর্তি। চ্যাটজিপিটির সিইও স্যাম অল্টম্যানকে অপসারণের পর কোম্পানির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মীরাকে।

    ইন্টেলিজেন্স লেভেল (OpenAI)

    তিনি বলেন, “জিপিটি-৩ এর ছিল টডলার-লেভেল ইন্টেলিজেন্স। জিপিটি-৪ এর ছিল হাইস্কুল পড়ুয়ার ইন্টেলিজেন্স লেভেল। আর স্পেসিফিক ক্ষেত্রে নেক্সট জেনারেশনের ইন্টেলিজেন্স লেভেল হবে পিএইডির সমতুল্য।” তিনি জানান, আগামী দেড় বছরের মধ্যেই নেক্সট জেনারেশন জিপিটি (OpenAI) বাজারে চলে আসবে। মীরা বলেন, “আপনি যখন নেক্সট জেন চ্যাটবটের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন, তখন কখনও কখনও মনে হবে ও আপনার চেয়ে অনেক বেশি স্মার্ট।”

    কী বললেন মীরা?

    চ্যাট জিপিটি অবিশ্বাস্যভাবে বুদ্ধিমান হলে মানুষের কী হবে? এ প্রশ্নের উত্তরে মীরা বলেন, “আমরাও এ নিয়ে বিশদে চিন্তাভাবনা করছি। এআই সিস্টেমের চেয়ে এটা নিশ্চিতভাবেই রিয়েল হবে। এর এজেন্ট ক্যাপাবিলিটিও থাকবে, ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযোগ করতে পারবে, পরস্পরের সঙ্গে কথাও বলতে পারবে, এজেন্টরা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে, এক সঙ্গে কাজও করতে পারবে। আজ আমরা নিজেরা যেমনভাবে কাজ করছি এআই নিয়েও তেমন ধরনের কাজ করব।”

    আর পড়ুন: এলআইসির গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ পাকিস্তানের জিডিপির দ্বিগুণ!

    তিনি বলেন, “নিরাপত্তার শর্তে, সুরক্ষার স্বার্থে এই কাজের একটা সামাজিক প্রভাব রয়েছে। আমার মনে হয়, এগুলো তখন আর থাকবে না। এটা এমন হতে পারে যে আপনি কিছু ধরনের প্রযুক্তি ডেভেলপ করলেন, তখনই এসব ইস্যু নিয়ে কীভাবে কাজ করতে হবে তা ভাবতে পারবেন।” তিনি বলেন, “এসব ইস্যু নিয়ে কাজ করতে হলে বরাবর প্রযুক্তির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। একে ঠিকঠাকভাবে কাজে লাগাতে হলে করতে হবে প্রযুক্তি এমবেড।” মীরা বলেন, “সক্ষমতা এবং নিরাপত্তা এরা পৃথক কোনও ডোমেনস নয়। এরা হাত ধরাধরি করেই চলে। স্মার্টার সিস্টেমকে নির্দেশ দেওয়াটা অনেক সহজ। কেবল বলতে হবে, এগুলো করো না। তাদের প্রয়োজন কম বুদ্ধি সম্পন্ন সিস্টেমের নির্দেশনা দান।” তিনি বলেন, “এটা অনেকটা কোনও একটা স্মার্টার কুকুর বনাম বোবা কুকুরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো। তাই বুদ্ধি এবং সুরক্ষা হাত ধরাধরি করে চলে (OpenAI)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share