Tag: news in bengali

news in bengali

  • PM Modi: ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাটে’র আগে মোদি-বিন জায়েদের রোড শো, কী বললেন আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট?

    PM Modi: ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাটে’র আগে মোদি-বিন জায়েদের রোড শো, কী বললেন আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বুধবার উদ্বোধন হয়েছে ভাইব্র্যান্ট গুজরাটের। উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তার আগে মঙ্গলবার আমেদাবাদে টানা তিন কিলোমিটার রোড শো-ও করেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিম। 

    ভাইব্র্যান্ট গুজরাট

    ভাইব্র্যান্ট গুজরাট এবার ১০ বছরে পড়ল। এই অনুষ্ঠানেই প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে ভারতে এসেছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট। এদিন রোড শো-র আগে মহম্মদ বিন জায়েদকে স্বাগত জানাতে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমানবন্দরে যান প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে স্বাগত জানানোর পর এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “আমার ভাই মহম্মদ বিন জায়েদ আপনাকে ভারতে স্বাগত। আপনি ভারত সফরে আসায় আমরা সম্মানিত বোধ করছি।”

    রোড শো দুই রাষ্ট্রপ্রধানের

    বিমানবন্দর থেকেই শুরু হয় রোড শো। চলে ১৫ মিনিট ধরে। পরে দুই নেতা গাড়িতে করে চলে যান আমেদাবাদের ইন্দিরা ব্রিগেডে। দুই নেতাকে দেখতে পুরো রাস্তাটার দু’পাশে সার দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কাতারে কাতারে মানুষ। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়ে লেখা পোস্টার-ব্যানারে ছয়লাপ গোটা রাস্তা। রোড-শো শেষে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন মোদি (PM Modi) ও আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট। এই বৈঠকে স্বাক্ষরিত হয় চারটি মউ।

    এগুলি হল, পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি, স্বাস্থ্য পরিষেবা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং বন্দর। এর আগে প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন টিমোরের প্রেসিডেন্ট লেস্টে জোশ রামোশ হোর্তা এবং মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট ফিলিপি জাসিন্টো নিউশির সঙ্গে। বিশ্বের একাধিক গ্লোবাল কর্পোরেশনের সিইওদের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: চাপ বাড়ল কাকুর, ‘‘কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলবে’’, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    গত সাত মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এনিয়ে চারবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসলেন মোদি (PM Modi) ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট। বৈঠক শেষে মহম্মদ বিন জায়েদ বলেন, “ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির অংশীদারিত্ব ক্রমেই বিকশিত হচ্ছে। দুই দেশের সহযোগিতা কীভাবে আরও বাড়ানো যায় এবং দুই দেশের নাগরিকদের স্বার্থে স্থায়ী উন্নয়ন কীভাবে করা যায়, এদিন মূলত আলোচনা হয়েছে তা নিয়েই।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Maldives Row: ভ্রমণ বাতিল করছেন ভারতীয়রা, এবার চিনকে পর্যটক পাঠানোর অনুরোধ মলদ্বীপের

    India Maldives Row: ভ্রমণ বাতিল করছেন ভারতীয়রা, এবার চিনকে পর্যটক পাঠানোর অনুরোধ মলদ্বীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করে বিপাকে মলদ্বীপ সরকার। প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করায় হাজার হাজার ভারতীয় পর্যটক বয়কট করতে শুরু করেন দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপকে (India Maldives Row)। বিমান-হোটেলের টিকিট বাতিল করতে থাকেন শ’য়ে শ’য়ে ভারতীয় পর্যটক। নিত্যদিন সেই সংখ্যার লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী। যার জেরে পর্যটন ব্যবসা ভয়ঙ্করভাবে মার খাবে বলে ইঙ্গিত পেয়ে যায় মলদ্বীপ সরকার।

    চিনা প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ

    ঠেলায় পড়ে মলদ্বীপের চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে অনুরোধ জানালেন আরও বেশি করে পর্যটক পাঠানোর। বর্তমানে পাঁচ দিনের চিন সফরে রয়েছেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। সেখানেই পর্যটক-ভিক্ষে করেছেন মুইজ্জু। কেবল তাই নয়, মলদ্বীপে বিশেষ পর্যটন অঞ্চল গড়ার জন্য চিনের সঙ্গে ৫ কোটি ডলারের একটি চুক্তিও স্বাক্ষর করেন মুইজ্জু। মঙ্গলবার ফুজিয়ান প্রদেশের একটি বিজনেস ফোরামে বক্তৃতা (India Maldives Row) দেন মুইজ্জু। তিনি বলেন, “প্রাক অতিমারি পর্বে চিন আমাদের প্রধান বাণিজ্য সহযোগী ছিল। আমরা আবার সেই পরিস্থিতিতে ফিরতে চাই।” এর পরেই মলদ্বীপে আরও বেশি করে চিনা পর্যটকরা যাতে যান, সেই আবদার করেন দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। 

    বিপাকে মলদ্বীপ সরকার

    সম্প্রতি কেন্দ্রশাসিত লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সফরের কিছু ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সমাজমাধ্যমে। অভিযোগ, এর পরেই মলদ্বীপের তিন জুনিয়র মন্ত্রী মরিয়ম শিউনা, মালশা শরিফ এবং মাহজুম মাজিদ কয়েকটি ছবিতে প্রধানমন্ত্রীকে পুতুল ও জোকার বলে মন্তব্য করেন। ভারত-ইজরায়েল সম্পর্ক নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়। এর পরেই আক্ষরিক অর্থে মলদ্বীপ বয়কটের হিড়িক পড়ে যায়। দলে দলে ভারতীয় পর্যটক মলদ্বীপ ভ্রমণের সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেন। মলদ্বীপ বয়কটের ডাকও দেন ভারতীয় পর্যটকরা। বিপাকে পড়ে যায় মলদ্বীপ সরকার।

    আরও পড়ুুন: বছরে মিলবে ১২ হাজার টাকা! মহিলা কৃষকদের নগদ বৃদ্ধির ভাবনা কেন্দ্রের

    ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়ে মুইজ্জু সরকার। বাধ্য হয়ে সাসপেন্ড করা হয় অভিযুক্ত তিন মন্ত্রীকে। যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি তোলেন মলদ্বীপেরই দুই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি ও মহম্মদ নাসির। তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন, ভারত মলদ্বীপের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এমন মন্তব্য বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে (India Maldives Row)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hafiz Saeed: পাক জেলে বন্দি মুম্বই হামলার চক্রী হাফিজ সঈদ, জানাল রাষ্ট্রসংঘ

    Hafiz Saeed: পাক জেলে বন্দি মুম্বই হামলার চক্রী হাফিজ সঈদ, জানাল রাষ্ট্রসংঘ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের জেলে বন্দি মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সঈদ (Hafiz Saeed)। সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার সাতটি আলাদা আলাদা মামলায় তাকে ৭৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে পাকিস্তানের আদালত। এমনই জানাল রাষ্ট্রসংঘ।

    গ্লোবাল টেররিস্ট

    মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ। ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে তাকে গ্লোবাল টেররিস্ট বলে দেগে দেয় রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি তালিকায়ও রয়েছে লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজের নাম। তার মাথার দাম এক কোটি ডলার ঘোষণা করেছিল আমেরিকা। মোস্ট ওয়ান্টেড এই জঙ্গি পাকিস্তানে বহাল তবিয়তে রয়েছে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। পাকিস্তানের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনেও সে অংশ নিতে পারে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। এহেন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘ জানিয়ে দিল, ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে পাকিস্তানে জেল খাটছে হাফিজ (Hafiz Saeed)।

    হাফিজকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ

    গত সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানকে হাফিজকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানিয়েছিল ভারত। তবে যেহেতু ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই, তাই হাফিজকে যে ভারত তার জিম্মায় পাবে না, তা এক প্রকার জানাই ছিল। সম্প্রতি সে কথা জানিয়ে দিয়েছে পাক বিদেশমন্ত্রকও। মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ বলেন, “ভারত সরকারের অনুরোধ গ্রহণ করেছে পাকিস্তান। তারা তথাকথিত আর্থিক তছরুপ মামলায় জড়িত হাফিজ সঈদের প্রত্যর্পণ চাইছে। কিন্তু এটাও মনে রাখা প্রয়োজন যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনও প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই।”

    আরও পড়ুুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ। ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গেও যোগ ছিল হাফিজের। হাফিজের বিরুদ্ধে নাশকতার ৭টি অভিযোগ রয়েছে। মুম্বই হামলার প্রধান ষড়যন্ত্রী যে হাফিজ, ভারত একাধিকবার তার স্বপক্ষে প্রমাণও দিয়েছে পাকিস্তানকে। তার পরেও হাফিজকে ভারতের হাতে তুলে দেয়নি পাক সরকার। মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি হাফিজকে নিরাপদ আশ্রয়ে রেখে পাকিস্তান তাকে নাশকতায় মদত দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছিল। হাফিজের বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘে নালিশও জানিয়েছিল ভারত। সেসবে অবশ্য বিশেষ কাজ হয়নি। পাকিস্তানের নিরাপদ আশ্রয়েই রয়েছে হাফিজ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, হাফিজ বাইরে থাকলে প্রাণহানির সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তাকে ‘আশ্রয়’ দেওয়া হয়েছে জেলে। যেখানে কারাদণ্ড ভোগ করার নামে বহাল তবিয়তে রয়েছে কুখ্যাত এই জঙ্গি (Hafiz Saeed)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • ED: সন্দেশখালিকাণ্ডে রাজ্যের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    ED: সন্দেশখালিকাণ্ডে রাজ্যের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে এবার রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শুক্রবার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির (ED) তিন আধিকারিক।

    কী জানতে চেয়েছে শাহের মন্ত্রক?

    ঘটনার পরে পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লেখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরে তাঁকে চিঠি লেখেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তারপর মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তলব করল শাহের মন্ত্রক। সন্দেশখালিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত কতজন ধরা পড়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে, এসবই জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই সূত্রেই শুক্রবার সকালে ইডির কয়েকজন আধিকারিক অভিযানে গিয়েছিলেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ শেখ শাহজাহানের বাড়িতে।

    ইডির অভিযান

    শাহজাহানের বাড়ি সরবেড়িয়া গ্রামে। সাত সকালে বাড়িতে গিয়ে শাহজাহানের নাম ধরে ডাকেন ইডি কর্তারা। ঘণ্টাখানেক ধরে ডাকাডাকি করা সত্ত্বেও দরজা খোলেনি শাহাজাহানের বাড়ির। এর পরেই দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ, এই সময় শাহজাহানের অনুগামীরা ইডি কর্তাদের বেধড়ক মারধর করেন। তাঁদের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের লক্ষ্য করে ইটও ছোড়া হয়। ভাঙচুর চালানো হয় আধিকারিকদের গাড়িতে। মারের চোটে জখম হন ইডির তিন আধিকারিক (ED)। জখম হয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানও।

    আরও পড়ুুন: ইডির চার্জশিটে স্ত্রী ও দুই মেয়ের নাম, লোকসভা ভোটের আগে বিপাকে লালু

    ঘটনায় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ইডি। সেই কারণে সোমবার রাতে দিল্লি থেকে কলকাতায় আসেন ইডির ডিরেক্টর রাহুল নবীন। মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে দফায় দফায় বৈঠকে বসেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন এনআইএ, এসএসবি, সিআইএসএফ, সিআরপিএফ এবং আইটির কর্তারাও। বৈঠক শেষে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ রাজভবনে যান নবীন। সেখানে বৈঠক করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গেও। জখম ইডি কর্তাদের সঙ্গেও দেখা করেন ইডির ডিরেক্টর।

    ইডি জানিয়েছে, সিআরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গে মিলে যখন আধিকারিকরা শাহজাহানের বাড়ির দরজা ভাঙার চেষ্টা করছিল, তখনও তিনি বাড়িতেই ছিলেন বলে মোবাইল লোকেশনে জানা যাচ্ছিল। তার পরেই শুরু হয় আধিকারিকদের ওপর হামলা। এদিকে, শুক্রবার ওই হামলার ঘটনায় ইডির এক তদন্তকারীর ল্যাপটপ খোয়া গিয়েছে। যা নিয়ে উদ্বেগে ইডি (ED) কর্তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ed Director: কলকাতায় ইডির ডিরেক্টর, বৈঠক করলেন রাজ্যপালের সঙ্গেও

    Ed Director: কলকাতায় ইডির ডিরেক্টর, বৈঠক করলেন রাজ্যপালের সঙ্গেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডের জেরে আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ইডি। যার জেরে সোমবার রাতে দিল্লি থেকে কলকাতায় এলেন ইডির ডিরেক্টর (Ed Director) রাহুল নবীন। মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে দফায় দফায় বৈঠকে বসেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন এনআইএ, এসএসবি, সিআইএসএফ, সিআরপিএফ এবং আইটির কর্তারা।

    রাজ্যপাল-ইডি ডিরেক্টর বৈঠক

    বৈঠক শেষে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ রাজভবনে যান নবীন। সেখানে বৈঠক করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গেও। ইডির প্রতিটি অভিযানে তদন্তকারীদের সঙ্গে থাকেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তাই নবীন এদিন কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গেও। এদিনের বৈঠকে রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি ও নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের অগ্রগতিও খতিয়ে দেখেন তিনি (Ed Director)। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই সূত্রেই শুক্রবার সকালে ইডি হানা দিতে গিয়েছিলেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ শেখ শাহজাহানের বাড়িতে।

    আক্রান্ত ইডি কর্তারা 

    শাহজাহানের বাড়ি সরবেড়িয়া গ্রামে। সাত সকালে বাড়িতে গিয়ে শাহজাহানের নাম ধরে ডাকেন ইডি কর্তারা। ঘণ্টাখানেক ধরে ডাকাডাকি করা সত্ত্বেও দরজা খোলেনি শাহাজাহানের বাড়ির। এর পরেই দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ, এই সময় শাহজাহানের অনুগামীরা ইডি কর্তাদের বেধড়ক মারধর করেন। তাঁদের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের লক্ষ্য করে ইটও ছোড়া হয়। ভাঙচুর চালানো হয় আধিকারিকদের গাড়িতে। মারের চোটে জখম হন ইডির তিন আধিকারিক।

    আরও পড়ুুন: “রাজ্যের হাতে ধরা দিলে পুলিশ শাহজাহানকে লাশ বানিয়ে দিতে পারে”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    বনগাঁয় প্রাক্তন পুরপ্রধান তৃণমূলের শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে গিয়েও আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। সন্দেশখালির ঘটনায় এফআইআর করে ইডি। তল্লাশি অভিযানে গিয়ে আধিকারিকরা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে কলকাতায় চলে আসেন নবীন। মঙ্গলবার করেন বৈঠক। বৈঠক শেষেই বেরিয়ে যান নবীন। তিনি (Ed Director) যে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, সে ব্যাপারেও বিবৃতি জারি করা হয়নি রাজভবনের তরফে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Land For Jobs Case: ইডির চার্জশিটে স্ত্রী ও দুই মেয়ের নাম, লোকসভা ভোটের আগে বিপাকে লালু

    Land For Jobs Case: ইডির চার্জশিটে স্ত্রী ও দুই মেয়ের নাম, লোকসভা ভোটের আগে বিপাকে লালু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের মুখে বিপাকে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদের দল আরজেডি। লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর রাবড়ি দেবী এবং মেয়ে মিসা ভারতীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল ইডি। রেলে জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় (Land For Jobs Case) রাবড়ি ও মিসার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।

    ইডির চার্জশিটে কারা?

    ইডির চার্জশিটে নাম রয়েছে লালুর আর এক মেয়ে হেমা যাদব, লালু পরিবারের ঘনিষ্ঠ অমিত কাত্যাল, রেলের কর্মী এবং সুবিধাভোগী (অভিযোগ) হৃদয়ানন্দ চৌধুরী, একে ইনফোসিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেড ও এক্সপোর্টস প্রাইভেট লিমিটেড নামে দুই সংস্থা এবং ওই দুই সংস্থার ডিরেক্টর শরিকুল বারীর নামও। লালু ও তাঁর ছেলে তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধেও ওই মামলায় তদন্ত করছে ইডি। প্রথম ইউপিএ সরকারে রেলমন্ত্রী ছিলেন লালু। অভিযোগ, ওই সময় বিহারের বহু যুবককে জমি ও টাকার বিনিময়ে (Land For Jobs Case) রেলে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। কাঠগড়ায় তোলা হয় রাবড়ি ও তাঁর দুই মেয়ে মিসা ও হেমাকে।

    ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিকে রেলে চাকরি

    সিবিআইয়ের দাবি, লালুপ্রসাদ রেলমন্ত্রী থাকার সময় বহু ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিকে মুম্বই, জব্বলপুর, কলকাতা সহ রেলের বিভিন্ন জোনে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, এজন্য তাঁদের কাছ থেকে জমি বা মোটা টাকা নিয়েছিলেন লালুর পরিবার ও ঘনিষ্ঠ নেতারা। অভিযোগ পেয়ে জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মূলে পৌঁছতে তদন্তে নামে ইডি।

    আরও পড়ুুন: “রাজ্যের হাতে ধরা দিলে পুলিশ শাহজাহানকে লাশ বানিয়ে দিতে পারে”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    ইডির আগে তদন্ত করেছিল সিবিআই-ও। ২০২২ সালের ২০ মে সিবিআই হানা দেয় দিল্লি, পাটনা-সহ দেশের ১৫টি জায়গায়। লালুর দল আরজেডির একাধিক নেতার বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই। ওই বছরেরই ২২ অক্টোবর লালুপ্রসাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। ওই চার্জশিটে লালু-পত্নী রাবড়ি এবং দুই কন্যা মিসা ও হেমার নামও ছিল। এই চারজন বাদে আরও ১২ জনের নামও ছিল সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটে। এবার ইডির চার্জশিটেও নাম রয়েছে রাবড়ি, মিসা এবং হেমার। মঙ্গলবার দিল্লির পিএমএলএ আদালতে চার্জশিট (Land For Jobs Case) পেশ করেছে ইডি। ১৬ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

    পদ্ম শিবিরকে ধরাশায়ী করতে গঠিত হয়েছে বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ইন্ডি। এই জোটে রয়েছে লালুর দলও। সপরিবারে অভিযুক্ত লালুর দলকে নিয়ে ইন্ডি জোটের নেতারা কী করেন, এখন সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ustad Rashid Khan: জীবনসফর শেষ পঞ্চান্নতেই, প্রয়াত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী উস্তাদ রশিদ খান

    Ustad Rashid Khan: জীবনসফর শেষ পঞ্চান্নতেই, প্রয়াত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী উস্তাদ রশিদ খান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র পঞ্চান্ন বছর বয়সেই থেমে গেল কণ্ঠের জাদু। প্রয়াত হলেন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জনপ্রিয় শিল্পী উস্তাদ রশিদ খান (Ustad Rashid Khan)। গত কয়েক বছর ধরে ভুগছিলেন প্রস্টেট ক্যান্সারে। বাড়াবাড়ি হওয়ায় বেশ কিছুদিন আগে ভর্তি করা হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে। চিকিৎসা চলাকালীনই স্ট্রোক হয় শিল্পীর। মঙ্গলবার বিকেল ৩টে ৪৫ মিনিটে প্রয়াত হন এই শিল্পী। অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পীর অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া শিল্পীমহলে।  

    উত্তরপ্রদেশ থেকে কলকাতায় রাশিদ

    রশিদের জন্ম উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁতে, ১৯৬৮ সালের ১ জুলাই। ইনায়েত হুসেন খাঁ সাহিব প্রতিষ্ঠিত রামপুর-সাসওয়ান ঘরানার শিল্পী ছিলেন রশিদ। তালিম নিয়েছিলেন উস্তাদ নিশার হুসেন খাঁ সাহিবের কাছে। ইনি ছিলেন রশিদের দাদু। মামা উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খাঁ সাহিবের কাছেও সঙ্গীতের পাঠ নিয়েছেন রশিদ। কৈশোরে পা দেওয়ার আগেই রশিদ চলে আসেন কলকাতায়। তার পর থেকে এই শহরই হয়ে ওঠে তাঁর ঘরবাড়ি। জীবনে বহু পুরস্কার পেয়েছেন রশিদ। এর মধ্যে রয়েছে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার, বঙ্গবিভূষণ এবং পদ্মশ্রী সম্মান। বলিউড এবং টলিউডের বহু ছবিতেই গান গেয়েছে রশিদ (Ustad Rashid Khan)।

    “শিল্পীদের প্রতি ঈশ্বরের ইঙ্গিত থাকে”

    রশিদের কণ্ঠের জাদুতে মজেছিল কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। প্রয়াত চলচ্চিত্রকার ঋতুপর্ণ ঘোষ তাঁর সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছিলেন, “ভূমণ্ডলের দীপ্যতম সুরগন্ধর্ব”। ভীমসেন জোশী বলেছিলেন, “ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত তার ভবিষ্যৎ পেয়ে গিয়েছে।” এই ভীমসেনের বাড়িতেই গান গেয়ে ১০ হাজার টাকা নজরানা পেয়েছিলেন রাশিদ। তিনি টাকা নিতে চাননি। একপ্রকার জোর করেই রশিদকে টাকা দিয়েছিলেন ভীমসেন। ঈশ্বরে বিশ্বাসী রশিদ বিশ্বাস করতেন, “শিল্পীদের প্রতি ঈশ্বরের ইঙ্গিত থাকে।” সেই ইঙ্গিতেই গানবাজনা করেন তাঁর মতো শিল্পীরা।

    আরও পড়ুুন: চালকল মালিকদের থেকে নিজেই কমিশন নিতেন জ্যোতিপ্রিয়! দাবি ইডি-র

    রশিদ বলতেন, “আমার গুরু উস্তাদ নিসার হুসেন সব সময় বলতেন, আর যাই করো, ভুলেও কাউকে কোনও দিন হিংসে কোরো না। হিংসে করলে সঙ্গীতের মৃত্যু অনিবার্য। সাধনা করতে করতেই গায়কি তৈরি হয়। সঙ্গীত দিল আর দিমাগের কাজ। ওখান থেকেই একটা সোচের জন্ম হয়। ওই সোচই আমায় দিয়ে নানারকম কাজ করিয়ে নেয়।” রশিদ সত্যিই ছিলেন ‘সুরগন্ধর্ব’। এহেন গন্ধর্বই অকালে চলে গেলেন সুরলোকে। ভূমণ্ডল নয়, তিনি চিরতরে হয়ে গেলেন নভঃমণ্ডলের বাসিন্দা (Ustad Rashid Khan)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: বিহার থেকে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করবেন মোদি, কবে সভা জানেন?

    PM Modi: বিহার থেকে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করবেন মোদি, কবে সভা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুয়ারে লোকসভা নির্বাচন। ছন্নছাড়া দশা বিরোধীদের। তবে আস্তিন গুটিয়ে ইতিমধ্যেই লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। এটা অবশ্য আন-অফিশিয়ালি। অফিশিয়ালি পদ্ম-শিবিরের প্রচার শুরু হবে ১৩ জানুয়ারি, বিহার থেকে। নীতীশ কুমারের রাজ্যের চম্পারণ থেকেই প্রচার শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    টার্গেট ৪০

    গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, এদিন বেত্তাই শহরের রামান ময়দানে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই সভার আগে প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসও করতে পারেন তিনি। এই প্রকল্পগুলির সবই বিহার কেন্দ্রিক। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ৪০০-র বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরতে চাইছে বিজেপি। এজন্য বিভিন্ন রাজ্য নেতৃত্বকে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বাংলার ক্ষেত্রে এই লক্ষ্যমাত্রা ৩৫। আর নীতীশের রাজ্যে ৪০ আসনেই জিততে চাইছে গেরুয়া শিবির। সেই কারণেই জানুয়ারি মাসজুড়ে বিহারে সভা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।

    বিহারে সভা করবেন কারা

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) তো রয়েইছেন। জানুয়ারির ১৫ তারিখ থেকে বিহারে প্রচারে ঝড় তুলবেন পদ্ম-সেনানীরা। বিহারের তিন জনসভায় সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এগুলি হল বেগুসরাই, বেত্তাই এবং অওরঙ্গাবাদ। জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নীতীশের রাজ্যে সভা করবেন তিনটি। এগুলি হল সীতামারি, মাধেপুরা এবং নালন্দা। আর বিহারের সীমাঞ্চল এবং ইস্টার্ন রিজিয়নে একাধিক সভা করবেন জেপি নাড্ডা। এক সময় বিজেপির সঙ্গ ধরেছিল নীতীশের দল জনতা দল ইউনাইটেড। পরে নীতীশ বেরিয়ে আসেন গেরুয়া ছত্রছায়া থেকে। মহাগটবন্ধন করে টিকিয়ে রেখেছেন সরকার।

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তান নয়, রত্নগর্ভা লাক্ষাদ্বীপ এল ভারতেই, লৌহমানবের কীর্তিতে অবাক বিশ্ব

    লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে মাত দিতে জোট বেঁধেছে বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছে ‘ইন্ডি’। এই জোটে শামিল হয়েছে নীতীশের দলও। বিহারে লোকসভার আসন রয়েছে ৪০টি। গত লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ-র দখলে ছিল ৩৯টি আসন। একটিতে জিতেছিল কংগ্রেস। এবার এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে ইন্ডি জোটে শামিল হয়েছে নীতীশের দল। তাই নীতীশকে শিক্ষা দিতে রাজ্যের ৪০টি আসনেই পদ্ম ফোটাতে চাইছেন বিজেপির (PM Modi) ভোট ম্যানেজাররা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Lakshadweep: পাকিস্তান নয়, রত্নগর্ভা লাক্ষাদ্বীপ এল ভারতেই, লৌহমানবের কীর্তিতে অবাক বিশ্ব

    Lakshadweep: পাকিস্তান নয়, রত্নগর্ভা লাক্ষাদ্বীপ এল ভারতেই, লৌহমানবের কীর্তিতে অবাক বিশ্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরব সাগরের বুকে ইতিউতি ছড়িয়ে বেশ কয়েকটি দ্বীপ। সাগরের নীল জলরাশির মধ্যে এখানে ওখানে মাথা তুলে রয়েছে ঘন সবুজ বনানী। জলের নীচে গেলেই ধাঁধিয়ে যায় চোখ। রং-বেরংয়ের প্রবাল প্রাচীরের সৌন্দর্য মনোমুগ্ধকর। এই হল লাক্ষাদ্বীপের (Lakshadweep) অপার সৌন্দর্যের নির্যাস।

    শিরোনামে লাক্ষাদ্বীপ

    মলদ্বীপের তিন মন্ত্রীর (অ)সৌজন্যের জেরে বর্তমানে ভারতের যে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল খবরের শিরোনামে। এহেন সৌন্দর্যের আধার দখল করে নিচ্ছিল পাকিস্তান। পারেনি। কারণ যে সময় পাক সেনা দখল করার চেষ্টা করেছিল লাক্ষাদ্বীপ, সেই সময় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন লৌহমানব সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। বিষয়টি তাহলে খুলেই বলা যাক। স্বাধীনতার পরে পরে দেশের সর্বত্র পতপত করে উড়ছে তিরঙ্গা পতাকা। দেশের যেসব অঞ্চল রাজা কিংবা রানির শাসনাধীন ছিল, সেই সব রাজা-রানিকে বুঝিয়ে ভারতের অন্তর্ভু্ক্ত করে ফেলেছেন দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। যেহেতু ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ হয়েছিল, তাই মুসলমান অধ্যুষিত লাক্ষাদ্বীপের রাশ যাওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানের হাতে। কারণ তখনও লাক্ষাদ্বীপ ছেড়ে যায়নি ব্রিটিশরা।

    লৌহমানবের কৌশলে কুপোকাত পাকিস্তান

    এমতাবস্থায় আরব সাগরের বুকে মুসলমান অধ্যুষিত লাক্ষাদ্বীপের (Lakshadweep) গুরুত্ব অনুধাবন করে দখল নিতে ছোটে পাক বাহিনী। সে খবর কানে পৌঁছে যায় লৌহমানবের। সঙ্গে সঙ্গে তিনি লাক্ষাদ্বীপের উদ্দেশে রওনা করিয়ে দেন ভারতীয় রণতরী। পাক বাহিনী লাক্ষাদ্বীপে পা রাখার ঢের আগেই সেখানে ইউনিয়ন জ্যাক (ব্রিটেনের পতাকা) নামিয়ে ভারতীয় সেনা তুলে দেয় তিরঙ্গা পতাকা। ভারত লাক্ষাদ্বীপের দখল নিয়েছে শুনে আর এগোনোর সাহস দেখায়নি পাক বাহিনী। লাক্ষাদ্বীপ অন্তর্ভুক্ত হয় ভারতের মানচিত্রে। যার পুরো ক্রেডিটই বর্তায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্যাটেলের ওপর।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সম্পত্তির হিসেব কি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে পারবেন অভিষেক?’’ প্রশ্ন বিচারপতির

    ৩৬টি দ্বীপের সমাহার লাক্ষাদ্বীপ। কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলের আয়তন ৩২.৬৯ বর্গ কিলোমিটার। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং কৌশলগত অবস্থানের কারণেই এই দ্বীপপুঞ্জের দখল নেওয়ার স্বপ্নে পাড়ি জমিয়েছিল পাক সেনা। পাকিস্তানের যে স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিয়েছিলেন ভারত গৌরব সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। প্রসঙ্গত, মালাবার উপকূলের কাছেই লাক্ষাদ্বীপ। ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উপলব্ধি করেছিলেন এই দ্বীপপুঞ্জের কৌশলগত অবস্থানের গুরুত্ব। তার জেরেই আজও রত্নগর্ভা এই দ্বীপপুঞ্জ (Lakshadweep) জ্বলজ্বল করছে ভারতের মানচিত্রে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Maldives row: “ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ককে শ্রদ্ধা করি”, মলদ্বীপকাণ্ডে জানাল চিন

    India Maldives row: “ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ককে শ্রদ্ধা করি”, মলদ্বীপকাণ্ডে জানাল চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ককে শ্রদ্ধা করি।” মলদ্বীপকাণ্ডে (India Maldives row) এবার জানিয়ে দিল কমিউনিস্ট পার্টি শাসিত চিন। ভারত বিরোধিতা করার জন্য মলদ্বীপকে চিনের তরফে কোনও উসকানিও দেওয়া হয়নি বলে সাফ জানিয়ে দিল বেজিং।

    ঘটনার নেপথ্যে চিনা উসকানি?

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করায় ব্যাপক হইচই হয় দেশজুড়ে। যেহেতু মলদ্বীপের নয়া প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু চিনপন্থী হিসেবেই পরিচিত, তাই অনেকের ধারণা চিনের তরফে উসকানি পেয়েই ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রী। এই ঘটনায় (India Maldives row) সোমবার দায় ঝেড়ে ফেলল ড্রাগনের দেশ। কিছুদিন আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিল একদলীয় চিনের সরকারি দৈনিক ‘গ্লোবাল টাইমস’। সেই গ্লোবাল টাইমসেই এদিন বলা হয়েছে, আমরা মলদ্বীপকে সমান স্তরের সহযোগী ভাবি এবং তাদের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি।

    চিন সফরে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট

    বর্তমানে চিন সফরে গিয়েছেন মুইজ্জু। ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের সম্পর্কের যাতে আর অবনতি না হয়, সেই কারণেই বেজিং ভারতকে বার্তা দিল বলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা। কারণ, মলদ্বীপে শিক্ষা-সহ নানা ধরনের উন্নতিতে দ্বীপরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করছে ভারত। গত সেপ্টেম্বরে মলদ্বীপে ক্ষমতায় আসেন মুইজ্জু। তার পর থেকে ভারত-বিরোধী নানা পদক্ষেপ করেছেন মলদ্বীপের চিনপন্থী এই শাসক। এহেন আবহে সম্প্রতি লাক্ষাদ্বীপে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সফরের কয়েকটি ছবি এবং ভিডিও তিনি পোস্ট করেছিলেন সমাজমাধ্যমে। সেই ছবি এবং ভিডিও ভাইরালও হয়।

    আরও পড়ুুন: বালু ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে হবে! সিদ্ধান্ত কোর কমিটির বৈঠকে

    অভিযোগ, মলদ্বীপের তিন মন্ত্রী মরিয়ম শিউনা, মালশা শরিফ এবং মাহজুম মাজিদ কিছু ছবিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ‘পুতুল’ ও ‘জোকার’ বলে মন্তব্য করেন। আপত্তিকর মন্তব্য করা হয় ভারত-ইজরায়েল সম্পর্ক নিয়েও। ঘটনার জেরে সাসপেন্ড করা হয় ওই তিন জুনিয়র মন্ত্রীকে। মলদ্বীপ ভ্রমণ বাতিল করতে থাকেন ভারতীয় পর্যটকরা। চাপে পড়ে যায় দ্বীপরাষ্ট্র। কারণ মলদ্বীপে ফি বছর যত পর্যটক আসেন, তার সিংহভাগই ভারতীয়। মুইজ্জুর বিরোধীরা তড়িঘড়ি জানিয়ে দেন, মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রীর মন্তব্য তাঁদেরই, মলদ্বীপের সাধারণ মানুষের নয়। এমতাবস্থায় মলদ্বীপকাণ্ড নিয়ে হাত ধুয়ে ফেলল চিনের শি জিনপিং সরকার। জানিয়ে দিল, “ভারত-মলদ্বীপের বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ককে আমরা শ্রদ্ধা করি। ভারতের সঙ্গ ছাড়তে চিন কখনওই বলেনি মলদ্বীপকে (India Maldives row)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share