Tag: news in bengali

news in bengali

  • Chandrayaan 3: কোথায় অবতরণ? জায়গা খুঁজে চলেছে ‘ল্যান্ডার বিক্রম’, ছবি প্রকাশ ইসরোর

    Chandrayaan 3: কোথায় অবতরণ? জায়গা খুঁজে চলেছে ‘ল্যান্ডার বিক্রম’, ছবি প্রকাশ ইসরোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝে আর মাত্র একটা দিন। ভারতের ইতিহাস গড়ার জন্য আর একটু সময় ধৈর্য্য ধরতেই হবে। চাঁদের মাটি ছোঁয়ার সময় যতই এগিয়ে আসছে, ততই চড়ছে প্রত্যাশার পারদ। ততই বাড়ছে আশা। ইসরো (ISRO) জানিয়েছে, বুধবার সন্ধেয় ৬টায় সামান্য কিছু পরেই, চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। তবে, তার আগেই সম্ভাব্য ল্যান্ডিং সাইটের ছবি সোমবার পাঠালো ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। 

    চাঁদের দক্ষিণ মেরু দেখতে কেমন? ছবি প্রকাশ ইসরোর

    চাঁদের মাটি থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’। চাঁদের বুকে নামার আগে শেষ প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতের মহাকাশযান। বুধবার বিকেল ৫টা বেজে ৪৫ মিনিটে চন্দ্রপৃষ্ঠে নামার প্রক্রিয়া শুরু করবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। সন্ধেয় ৬টা ৪ মিনিট নাগাদ চাঁদের অনাবিষ্কৃত ও অদেখা দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করার কথা ‘ল্যান্ডার বিক্রম’-এর (Lander Vikram)। কেমন সেখানকার ভৌগলিক বৈচিত্র্য? কী আছে সেখানে? ল্যান্ডিংয়ের আগে, সেই ছবি ধরা পড়েছে ল্যান্ডারে লাগানো ক্যামেরায়। সোমবার সকালে তেমনই বেশ কয়েকটি ছবি ট্যুইটারে শেয়ার করা হয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার হ্যান্ডেলে। 

    দক্ষিণ মেরুতে সফট-ল্যান্ডিং একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ

    পৃথিবী থেকে চাঁদের কেবলমাত্র একটি দিকই দেখা যায়। উল্টোদিকে কী আছে, তা পৃথিবী থেকে অধরা। চাঁদের এই দিককে বলা হয়ে থাকে ‘দ্য ডার্ক অফ দ্য মুন’। বিজ্ঞানীদের আরও দাবি, চির-আঁধারে ঘেরা চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের পরতে পরতে রহস্য। এই দক্ষিণ মেরুই সবচেয়ে এবড়ো-খেবড়ো। রয়েছে শয়ে শয়ে গহ্বর। ফলে, এই অঞ্চলে সফট-ল্যান্ডিং করা একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ। চাঁদের যে ছবিগুলো প্রকাশ পেয়েছে এদিন, সেগুলো তোলা হয়েছে ল্যান্ডার হ্যাজার্ড ডিটেকশন অ্যান্ড অ্যাভয়ডেন্স ক্যামেরায়। ইসরো জানিয়েছে, চাঁদে অবতরণের জন্য একটি সুরক্ষিত জায়গা খুঁজতে ‘ল্যান্ডার বিক্রম’-কে (Lander Vikram) সাহায্য করছে এই ক্যামেরা। অর্থাৎ, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর যেখানে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার অবতরণ করবে, সেখানে কোনওরকম বোল্ডার বা গভীর কোনও গর্ত না থাকে, বা জায়গাটা যাতে অবতরণের যোগ্য হয়, তা নিশ্চিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এই ক্যামেরা। অবতরণের সময় ভুল জায়গায় পা না পড়ে তাই আগেভাগেই এলাকায় চিহ্নিত করে রাখছে সে।

    আরও পড়ুন: বুধবার সন্ধেয় চাঁদে পা ‘চন্দ্রযান ৩’-এর! কখন-কোথায় সরাসরি সম্প্রচার, জেনে নিন

    অবতরণের সময় ল্যান্ডার গতি হবে ঘণ্টায় ৫ কিমি

    চাঁদে অবতরণের বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী এবং একইসঙ্গে সাবধানীও বটে ইসরো। গত ৫৭ বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সাবেক সোভিয়েত এবং চিন ছাড়া অন্য কোনও দেশের মহাকাশযানই চাঁদে সফট ল্যান্ডিং করতে পারেনি। রবিবারই চাঁদে আছাড় খেয়ে ধ্বংস (পরিভাষায় হার্ড ল্যান্ডিং) হয় রাশিয়ার লুনা ২৫ ল্যান্ডার। যদিও, ইসরো বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত, এবার সব ঠিকঠাক হবে। যেখানে উৎক্ষেপণের সময় ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) গতি ছিল ঘণ্টায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার, সেখানে চাঁদের কক্ষপথে ঢোকার পরে তা হয় ঘণ্টায় ৬ হাজার কিলোমিটার এবং অবতরণের সময়ে হবে ঘণ্টায় মাত্র ৫ কিলোমিটার। অর্থাৎ, একেবারে পালকের মতো চাঁদের মাটি ছোঁবে ‘ল্যান্ডার বিক্রম’ (Lander Vikram)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • AH-64E Apache: উৎপাদন শুরু হলো আমেরিকায়, ২০২৪ সালেই অ্যাপাচে হেলিকপ্টার পাচ্ছে ভারতীয় সেনা

    AH-64E Apache: উৎপাদন শুরু হলো আমেরিকায়, ২০২৪ সালেই অ্যাপাচে হেলিকপ্টার পাচ্ছে ভারতীয় সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীঘ্রই শক্তি বৃদ্ধি হতে চলেছে ভারতীয় সেনার (Indian Army)। আগামী বছরই ভারতের স্থলসেনার হাতে আসতে চলেছে বিশ্বের অন্যতম সেরা অ্যাটাক হেলিকপ্টার ‘এএইচ-৬৪ই অ্যাপাচে’ (AH-64E Apache)। সম্প্রতি, হেলিকপ্টারের নির্মাণকারী সংস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং-এর তরফে এমনটাই খোলসা করা হয়েছে। ট্যুইটারে বোয়িং জানিয়েছে, আমেরিকার অ্যারিজোনার মেসায় বোয়িংয়ের কারখানায় এই হেলিকপ্টারের উৎপাদনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ২০২৪ সালে এই যুদ্ধ-কপ্টার ভারতের হাতে পৌঁছে যাবে।

    চিন-পাক সীমান্তে বহুগুণ শক্তিবৃদ্ধি

    চিন ও পাকিস্তান সীমান্তের নিরাপত্তাকে নজরে রেখে ২০২০ সালে ছ’টি ‘এএইচ-৬৪ই অ্যাপাচে’ কপ্টার কেনার জন্য চুক্তি করেছিল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। চুক্তির মূল্য ছিল প্রায় ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এবার সেগুলোর উৎপাদন শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতীয় সেনার আর্মি এভিয়েশন কোরের জন্য এই ৬টি হেলিকপ্টার কেনা হচ্ছে। এর আগে, ২০১৯ সালে ভারতীয় বায়ুসেনায় যুক্ত করা হয়েছিল ২২টি ‘এএইচ-৬৪ই অ্যাপাচে’ (AH-64E Apache) হেলিকপ্টার। এবার ভারতীয় স্থলসেনার হাতেও আসতে চলেছে এই অত্যাধুনিক অ্যাটাক হেলিকপ্টার। বোয়িং জানিয়েছে, এই কপ্টারের মূল কাঠামো বা ফিউসেলাজ তৈরি হয়েছে হায়দরাবাদে অবস্থিত টাটা বোয়িং অ্যারোস্পেস লিমিটেডের কারখানায়। 

    ছুড়তে পারে ‘নরকের আগুন’!

    ‘এএইচ-৬৪ই অ্যাপাচে’ (AH-64E Apache) হল এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা ও আধুনিক অ্যাটাক হেলিকপ্টার। একসঙ্গে একাধিক কাজ করতে পারে কপ্টারগুলি। এই হেলিকপ্টারের সঙ্গে যুক্ত থাকে বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর বলে পরিচিত ‘হেলফায়ার’ মিসাইল, যা লেজার-চালিত। এয়ার-টু-এয়ার ‘স্ট্রিঙ্গার’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তেও সক্ষম অ্যাপাচে। এছাড়া, এই কপ্টার একলপ্তে ৮০টি ৭০ মিমি রকেট নিয়ে উড়তে সক্ষম। এতেই শেষ নয়। অ্যাপাচের ঠিক নাকের নিচে ৩০ এমএম বন্দুক রয়েছে। যা দু’মিনিটেরও কম সময় ১,২০০ রাউন্ড গুলি ছুড়তে পারে। 

    ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’ হিসাবে পরিচিত

    প্রতিপক্ষের ট্যাঙ্ক ধ্বংস করতে ‘এএইচ-৬৪ই অ্যাপাচে’ (AH-64E Apache) কপ্টারের জুড়ি মেলা ভার। তাই অ্যাপাচে হেলিকপ্টারগুলিকে ‘ট্যাঙ্ক কিলার’ নাম দেওয়া হয়েছে। প্রায় অভেদ্য বর্মের জন্য ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’ হিসাবেও জানা যায় এই কপ্টারকে। দিন হোক বা ঘুটঘুটে অন্ধকার, যে কোনও সময়, যে কোনও পরিস্থিতিতে লড়াইয়ে চূড়ান্ত দক্ষ ও নির্ভরশীল অ্যাপাচে। শত্রুঘাঁটিকে খুঁজে বের করে ধ্বংস করতে নিপুণ এই বিশেষ কপ্টার। এর পাশাপাশি, এই কপ্টারে রয়েছে লংবো ফায়ার কন্ট্রোল রেডার যা ১ মিনিটে ১২৮টি লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করতে সক্ষম। অ্যাপাচে এএইচ-৬৪ই হেলিকপ্টারের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৮৪ কিলোমিটার। প্রতি মিনিটে ২৮০০ ফুট ওপরে উঠতে সক্ষম আমেরিকায় তৈরি এই যুদ্ধ কপ্টার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর প্রথম ডিবুস্টিং প্রক্রিয়া সফল, চাঁদের দারুণ ছবি পাঠালো ‘চন্দ্রযান ৩’

    Chandrayaan 3: ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর প্রথম ডিবুস্টিং প্রক্রিয়া সফল, চাঁদের দারুণ ছবি পাঠালো ‘চন্দ্রযান ৩’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদে অবতরণ করতে এখনও দিন পাঁচেক বাকি। তার আগেই চন্দ্রপৃষ্ঠের দারুণ দারুণ ছবি পাঠাতে শুরু করলো ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। সেই ছবি ট্যুইটারে শেয়ার করেছে ইসরো। একইসঙ্গে এদিন প্রথম ‘ডিবুস্টিং’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গতি ও উচ্চতা কমালো ল্যান্ডার মডিউল।

    আরও পড়ুন: প্রপালশন মডিউল থেকে ছিন্ন হল চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম

    চন্দ্রপৃষ্ঠের ভিডিও ছবি পাঠালো ‘চন্দ্রযান ৩’

    আগামী ২৩ তারিখ চাঁদের বুকে সফট ল্যান্ডিং করতে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’। বর্তমানে চাঁদের ঠিক ওপরে ঘুরপাক খাচ্ছে ভারতের চন্দ্র মহাকাশযান (ISRO Moon Mission)। তবে, এরই মধ্যে বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও পাঠিয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। ইসরোর তরফে শুক্রবার দুটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে সংস্থার ট্যুইটার হ্যান্ডেলে। তাতে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর (Lander Vikram) শরীরে লাগানো ক্যামেরায় বন্দি হওয়া ২টি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, একটি ভিডিও তোলা হয়েছে ১৫ তারিখ। চাঁদের সেই ভিডিও তুলেছে ল্যান্ডার পজিশন ডিটেকশন ক্যামেরা (LPDC)। অন্যদিকে, ১৭ অগাস্ট যে ভিডিও তোলা হয়েছে, সেটি তুলেছে ল্যান্ডার ইমেজার এল-১ ক্যামেরা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ধূসর চন্দ্রপৃষ্ঠের এবড়োখেবড়ো নানা অংশ। ফ্রেমের বড় অংশ জুড়ে শুধুই চাঁদ ও তার পৃষ্ঠে ছড়িয়ে থাকা একাধিক নামকরা সব গহ্বর। প্রসঙ্গত, এর আগেও চাঁদের বেশ কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

     

    সফল ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর প্রথম ডিবুস্টিং প্রক্রিয়া

    এদিকে, এদিন বিকেলে ৩টে ৫০ মিনিট নাগাদ প্রথম ‘ডিবুস্টিং’ প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করেছে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। এর ফলে, ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর কক্ষপথ কিছুটা কমেছে। বর্তমানে এটি ১১৩ কিমি x ১৫৭ কিমি কক্ষপথে অবস্থান করছে। দ্বিতীয় ডিবুস্টিং প্রক্রিয়াটি আগামী ২০ তারিখ রাত ২টো নাগাদ হতে চলেছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার প্রোপালশন মডিউল থেকে আলাদা হয় ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। তার পর, শুক্রবার অর্থাৎ, আজ থেকে বৃত্তাকার কক্ষপথ থেকে চন্দ্র পৃষ্ঠের দিকে আরও নামানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, প্রথমে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ (Lander Vikram) বৃত্তাকার ১০০ কিমি x ১০০ কিমি কক্ষপথে প্রবেশ করবে। এরপর ১০০ কিমি x ৩০ কিমি কক্ষপথে প্রবেশ করিয়ে ল্যান্ডারকে চাঁদের আরও কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া হবে। ২৩ অগাস্ট ল্যান্ডারটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে স্পর্শ করার জন্য সেখানে চূড়ান্ত অবতরণ শুরু করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Upgraded MiG-29 Fighters: নজরে চিন-পাক সীমান্ত! শ্রীনগরে মোতায়েন ‘উন্নীত’ মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান

    Upgraded MiG-29 Fighters: নজরে চিন-পাক সীমান্ত! শ্রীনগরে মোতায়েন ‘উন্নীত’ মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুম উড়লো চিন-পাকিস্তানের। কারণ, স্বাধীনতা দিবসের আগেই কাশ্মীরে ‘উন্নীত’ মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান (Upgraded MiG-29 Fighters) মোতায়েন করলো ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। শ্রীনগর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের একটি স্কোয়াড্রন। সেখান থেকেই চিন ও পাকিস্তান — দুদিকই সামলানো সম্ভব হবে। জানা যাচ্ছে, এই ঘাঁটি এমন জায়গায় অবস্থিত, যেখান থেকে একসঙ্গে পাকিস্তান লাগোয়া কাশ্মীর এবং উল্টোদিকে চিন লাগোয়া লাদাখ সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে। 

    আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে নৌসেনার স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেটের উদ্বোধন কলকাতায়

    সরে গেল মিগ-২১, এলো মিগ-২৯

    রুশ-নির্মিত মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের আধুনিকীকরণের কাজ দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। সম্প্রতি, তা শেষ হয়েছে। এবার সেই ‘উন্নীত’ মিগ-২৯ বিমানগুলোকে (Upgraded MiG-29 Fighters) চিন-পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েন করা হলো। ভারতীয় বায়ুসেনা সূত্রে খবর, এতদিন শ্রীনগরের বিমানঘাঁটিতে মোতায়েন থাকতো মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমান। ২০১৯ সালে বালাকোটে জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলার সময় এই বিমানে করেই অভিযান চালিয়েছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলট অভিনন্দন বর্তমান। সেই সময় পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে ডগফাইট (মাঝ-আকাশে দুই যুদ্ধবিমানের লড়াই) হয়েছিল অভিনন্দনের মিগ-২১ বিমানের। তাতে মিগ-২১ বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। অভিনন্দনকে আটক করা হয়েছিল। এর পর থেকেই, মিগ-২১ যুদ্ধবিমানগুলোকে সরিয়ে তার জায়গায় অন্য আরও শক্তিশালী বিমান মোতায়েন করার ভাবনাচিন্তা চলছিল। এবার তা রূপায়িত করা হলো। 

    শ্রীনগর কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও সুবিধাজনক

    জানা যাচ্ছে, শ্রীনগরে মোতায়েন বায়ুসেনার ‘ট্রাইডেন্ট স্কোয়াড্রন’-এর হাতে এতদিন ছিল বায়ুসেনার (Indian Air Force) বহু যুগের সঙ্গী মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমানের দায়িত্বভার। এবার তারাই এই উন্নীত ও আধুনিকীকরণ হওয়া মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের দায়িত্ব নেবে। ইতিমধ্যেই, ওই স্কোয়াড্রনের হাতে চলে এসেছে নতুন বিমানগুলো। এই যুদ্ধবিমানের পাইলট তথা ‘ট্রাইডেন্ট স্কোয়াড্রন’ (যার অর্থ ত্রিশূল)-এর স্কোয়াড্রন লিডার বিপুল শর্মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে,  শ্রীনগর কাশ্মীর উপত্যকার কেন্দ্রে অবস্থিত। এর উচ্চতা সমতল ভূমি থেকে অনেক বেশি। মিগ-২৯ (Upgraded MiG-29 Fighters)  হাতে চলে আসার ফলে এখান থেকে পাকিস্তান ও চিন দুই সীমান্ত এলাকায় সহজে মোকাবিলা সম্ভব। আগে, এই যুদ্ধবিমানগুলো মোতায়েন ছিল জলন্ধর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। এবার তাদের মোতায়েন করা হলো শ্রীনগরে। যা, কৌশলগতভাবে আরও গুরুত্বপূর্ণ ও সুবিধাজনক।

    আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে মিগ-২৯

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, আধুনিকীকরণের পর মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান (Upgraded MiG-29 Fighters) এখন আগের থেকে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। এই যুদ্ধবিমানটি এখন আরও বেশি ও বৈচিত্র্যপূর্ণ অস্ত্রবহনে সক্ষম। এটি এখন দূরপাল্লার এয়ার টু এয়ার (আকাশ থেকে আকাশ) এবং এয়ার টু গ্রাউন্ড (আকাশ থেকে ভূমি) ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত। এখন এতে রয়েছে বিভিআর মিসাইল, যা দৃষ্টিসীমার বাইরে থাকা কোনও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এতে যুক্ত করা হয়েছে জ্যমার, যা শত্রু বিমানের যাবতীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা অকেজো করে দিতে পারে। আধুনিকীকরণের পর একই সঙ্গে বিভিন্ন দিকে আক্রমণ শানাতে দক্ষ মিগ-২৯। রাতের অন্ধকারেও দুর্দান্তভাবে কাজ করতে সক্ষম এই যুদ্ধবিমানগুলো। পাশাপাশি, আধুনিকীকরণের পর যুদ্ধবিমানে মাঝ আকাশেই জ্বালানি ভরতে পারে। যার ফলে, এর কার্যকারিতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Luna 25: চাঁদের দেশে পাড়ি রুশ ল্যান্ডারের, ‘লুনা ২৫’ না ‘চন্দ্রযান ৩’, আগে নামবে কে?

    Luna 25: চাঁদের দেশে পাড়ি রুশ ল্যান্ডারের, ‘লুনা ২৫’ না ‘চন্দ্রযান ৩’, আগে নামবে কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের কক্ষপথে চক্কর কাটছে ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। আগামী ২৩ তারিখ তার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করার কথা। এর মধ্যেই শুক্রবার, চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিল রুশ মহাকাশযান ‘লুনা ২৫’ (Luna 25)। গন্তব্য সেই এক— চাঁদের দক্ষিণ মেরু। ‘লুনা ২৫’-এর সম্ভাব্য অবতরণ সেই ২৩ তারিখেই। ফলত, এখনও পর্যন্ত অনাবিষ্কৃত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কে প্রথম অবতরণ করে, তা নিয়ে জোর কৌতুহল বিশ্বজুড়ে।

    স্বাধীন রাশিয়ার প্রথম চন্দ্রাভিযান

    ১৯৭৬ সালের ১৪ অগাস্ট মহাকাশে যাত্রা করেছিল ‘লুনা ২৪’। সেটিই ছিল সাবেক সোভিয়েত আমলের শেষ চন্দ্র অভিযান। তারপর ৪৭ বছর কেটে গিয়েছে। পতন হয়েছে সোভেয়েত সাম্রাজ্যের। এবার এতদিন পর অধুনা রাশিয়ার এটিই হচ্ছে প্রথম চন্দ্রাভিযান। শুক্রবার সকাল ৮টা ১০ মিনিটে (স্থানীয় সময়) মস্কো থেকে প্রায় ৫৫০০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত আমুর ওব্লাস্টের ভোস্টনি কসমোড্রোম থেকে সয়ুজ রকেটে চেপে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেয় ‘লুনা ২৫’। পাঁচ দিনের মধ্যে অর্থাৎ আগামী ১৬ অগাস্ট এটি চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে। এর পর ২৩ তারিখ সম্ভবত সেটি চাঁদের বুকে অবতরণ করবে। যদিও, রুশ মহাকাশ সংস্থা রসকসমস দাবি করেছে, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর অবতরণের ২ দিন আগেই, অর্থাৎ ২১ তারিখই চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ফলবে ‘লুনা ২৫’ (Luna 25)।

    মহাকাশে প্রতিযোগিতা ভারত ও রাশিয়ার!

    গত ১৪ জুলাই দুপুর ২টো ৩৫ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারের ‘লঞ্চিং প্যাড’ থেকে সফল উৎক্ষেপণ হয়েছিল মহাকাশযানটির। উৎক্ষেপণের ২২ দিন পর তা চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছেছে। ইসরো জানিয়েছে, আগামী ২৩ তারিখ বিকেল ৫টা ৪৭ মিনিটে রোভার প্রজ্ঞানকে সঙ্গে নিয়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরু ছোঁবে ল্যান্ডার বিক্রম। ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) কিংবা রাশিয়ার ‘লুনা ২৫’ (Luna 25), যে দেশের মহাকাশযানই প্রথমে অবতরণ করবে, তাদেরই নাম উঠবে ইতিহাসের পাতায়। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযান নামানোর পালক জুড়বে তাদের মুকুটে। ফলে, মহাকাশে এক প্রকার প্রতিযোগিতা চলছে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে। এদিনর সফল উৎক্ষেপণের জন্য রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমসকে অবশ্য শুভেচ্ছা জানিয়েছে ইসরো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: দ্বিতীয় কক্ষপথ বদল সফল! চাঁদ থেকে আর মাত্র ১,৪৩৭ কিলোমিটার দূরে ‘চন্দ্রযান ৩’

    Chandrayaan 3: দ্বিতীয় কক্ষপথ বদল সফল! চাঁদ থেকে আর মাত্র ১,৪৩৭ কিলোমিটার দূরে ‘চন্দ্রযান ৩’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের আরও কাছে পৌঁছল ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। পূর্ব নির্ধারিত সময় মতোই চাঁদের চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে দ্বিতীয়বার কক্ষপথ বদল করল ভারতের মহাকাশযান (ISRO Moon Mission)। গতকাল পর্যন্ত চাঁদের থেকে ৪,৩১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। আজ দুপুরে দ্বিতীয় কক্ষপথ বদলের পর সেই দূরত্ব কমে হলো ১,৪৩৭ কিলোমিটার। পরবর্তী কক্ষপথ বদল ঘটবে ১৪ অগাস্ট।

    চাঁদের আরও কাছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    এদিন ইসরোর তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, চাঁদের আরও কাছে। পরিকল্পনা মাফিক কক্ষপথ সঙ্কোচন প্রক্রিয়া অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে মহাকাশযানটি ১৭৪ কিমি x ১৪৩৭ কিমি কক্ষপথে অবস্থান করছে। পরবর্তী সঙ্কোচন প্রক্রিয়া হবে ১৪ তারিখ সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে। ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) এই কক্ষপথ বদল প্রক্রিয়াটি হয়েছে বেঙ্গালুরুস্থিত ইসরোর টেলিমেট্রে, ট্র্যাকিং অ্যান্ড কমান্ড নেটওয়ার্ক (ISTRAC) সেন্টার থেকে।

    পাখির চোখ ২৩ অগাস্ট

    গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এলভিএম-৩ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। টানা ১৮ দিন পৃথিবীর চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে একদিকে কক্ষপথের পরিধি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি গতিও বাড়িয়ে চলেছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। পাঁচবার এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর গত ১ অগাস্ট এক লাফে চন্দ্র-বৃত্তে পৌঁছে যায় ‘চন্দ্রযান ৩’। সেখান থেকে প্রায় পৌনে চার লক্ষ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ‘চন্দ্রযান ৩’ পৌঁছে যায় চাঁদের কক্ষপথের কাছে। পরের ধাপে গত ৫ তারিখ, চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে ‘চন্দ্রযান ৩’। সেই থেকে চাঁদের চারদিকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে ভারতের মহাকাশযান। আগামী ২৩ তারিখ চূড়ান্ত অবতরণ বা ‘টাচডাউন’-এর দিকে এগিয়ে যাবে ল্যান্ডার মডিউল। সম্ভবত, সেদিনই হবে কাঙ্খিত ‘সফট-ল্যান্ডিং’।

    সফট-ল্যান্ডিং হবেই, প্রত্যয়ী ইসরো প্রধান

    ল্যান্ডার বিক্রমকে সফলভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করানোই এখন মূল চ্যালেঞ্জ। সফল ল্যান্ডিংয়ের বিষয়ে আশায় বুক বাঁধছেন ১৪০ কোটি ভারতবাসী। একইসঙ্গে, সকলের মনে উৎকণ্ঠাও রয়েছে। কারণ, চার বছর আগে এই পর্বেই ব্যর্থ হয়েছিল ‘চন্দ্রযান ২’। তবে, এবার যথেষ্ট প্রত্যয়ী ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। গতকালই, দেশবাসীকে অভয় দিয়ে ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, ল্যান্ডার ও সেন্সর ব্যর্থ হলেও, মহাকাশযান (ISRO Moon Mission) সঠিকভাবেই অবতরণ করবে চাঁদের বুকে। তিনি বলেন, “মহাকাশযানে থাকা ল্যান্ডার বিক্রম-এর সমস্ত সেন্সর এবং দু’টি ইঞ্জিনও যদি কাজ না করে, তাহলেও ২৩ অগাস্ট চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করবে যানটি। ল্যান্ডারের পুরো নকশাটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা কোনওভাবেই এই মিশনটিকে ব্যর্থ হতে দেবে না।” তিনি যোগ করেন, যদি কিছু কাজ না করবে, তখন একমাত্র প্রপালশন সিস্টেম ভালোভাবে কাজ করবে।” এখানে বলে রাখা ভালো যে, এধরনের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) নকশা ব্যর্থতা-নির্ভর করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: পিছন দিকে মুখ করে চাঁদের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’! কেন?

    Chandrayaan 3: পিছন দিকে মুখ করে চাঁদের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’! কেন?

    সুশান্ত দাস

    চাঁদের চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) নিজের গতি ও কক্ষপথের পরিধি দুই-ই কমিয়ে ফেলছে। রবিবার রাত ১১টা নাগাদ প্রথম কক্ষপথ বদল করেছে ‘চন্দ্রযান ৩’। এইভাবে আরও চারবার এই একই প্রক্রিয়া চালানো হবে। যার শেষে চাঁদ থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় থাকবে ভারতের মহাকাশযান (ISRO Moon Mission)। সেখান থেকে শুরু হবে চূড়ান্ত অবরতণের প্রক্রিয়া।

    পেরিজি ও অ্যাপোজি ঠিক কী?

    কিন্তু, কীভাবে গতি কমানোর প্রক্রিয়া সম্ভব হচ্ছে? তা বোঝার আগে দেখে দেখে নেওয়া যাক উৎক্ষেপণের পর টানা ১৮ দিন ধরে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে ঠিক কীভাবে নিজের কক্ষপথ ও গতি বাড়িয়েছিল মহাকাশযানটি (ISRO Moon Mission)। তাহলেই সহজ হবে গোটা বিষয়টি। ১৪ তারিখ উৎক্ষেপণের সময় চন্দ্রযান মডিউলকে পৃথিবীর থেকে ১৭০ কিলোমিটার (পেরিজি) x ৩৬ হাজার কিলোমিটার (অ্যাপোজি) পরিধির ডিম্বাকৃতি কক্ষপথে স্থাপন করে এলভিএম-৩ রকেট। আগে দেখে নেওয়া যাক, পেরিজি ও অ্যাপোজি ঠিক কী? যেমনটা বলা হয়েছে, কক্ষপথের আকার ডিম্বাকৃতি। অর্থাৎ, একটি চন্দ্রযান পৃথিবীর চারপাশে এমন একটি কক্ষপথে ছিল, যার দূরত্ব (পৃথিবী থেকে) একটি জায়গায় ন্যূনতম এবং ঠিক তার উল্টোদিকে বৃহত্তম। এই ন্যূনতম দূরত্বের অবস্থানকে বলা হয় পেরিজি (অর্থ- পৃথিবীর কাছে)। অন্যদিকে দীর্ঘতম দূরত্বের পয়েন্টকে বলা হয় অ্যাপোজি (অর্থ- পৃথিবীর দূরে)।

    গতি ও কক্ষপথ বদলের নেপথ্যে ‘পেরিজি ফায়ারিং’! সেটা কী?

    এই ভাবে পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করতে করেত কয়েক দিন অন্তর যখন ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) ওই পেরিজি পয়েন্টে এসে পৌঁছত, তখন বেঙ্গালুরুতে স্থিত ইসরোর মিশন কন্ট্রোল (ISTRAC) থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউলে থাকা রকেটে সীমিত সময়ের জন্য ফায়ারিং করিয়ে তার কক্ষপথ বাড়িয়ে দেওয়া হতো। বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা হয় প্রথম আর্থ-বাউন্ড পেরিজি ফায়ারিং (Earth Bound Perigee Firing)। এটা সম্ভব হতো কারণ, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর দিশা যে দিকে থাকত, ঠিক সেই দিকে তার মাথা থাকতো, আর রকেট ইঞ্জিন থাকতো লেজ বা পিছনের দিকে। রকেট ফায়ারিংয়ের ফলে, ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউলের গতি বেড়ে যেত। এক কথায় তাকে কিছুটা বাড়তি ধাক্কা দিয়ে গতি বৃদ্ধি করে দেওয়া হতো, যার ফলস্বরূপ, কক্ষপথের পরিধিও বেড়ে যেত।

    পৃথিবীর বৃত্তে কেমন ছিল ‘চন্দ্রযান ৩’-এর কক্ষপথ বদল?

    এই ফায়ারিং যেহেতু পেরিজিতে করা হতো, তাই পেরিজি-দূরত্বে খুব একটা হের-ফের না হলেও অ্যাপোজি-দূরত্ব অনেকটা বেড়ে যেত। যেমন, অরবিট রেইজিং ম্যানুভারের (Orbit Raising Maneuvre) ফলে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর কক্ষপথের পরিধি বেড়ে হয়েছিল ১৭৩ কিমি x ৪১,৭৬২ কিমি। এর পর পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যানুভারের পর ‘চন্দ্রযান ৩’ কক্ষপথের পরিধি হয় যথাক্রমে ২২৬ কিমি x ৪১,৬০৩ কিমি, ২২৮ কিমি x ৫১,৪০০ কিমি এবং ২৩৩ কিমি x ৭১,৩৫১ কিমি। শেষ তথা পঞ্চম ম্যানুভারে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) কক্ষপথের পরিধি বেড়ে হয়েছিল ২৩৬ কিমি x ১,২৭,৬০৯ কিমি। পাঁচবার চক্কর কাটার পর, প্রয়োজনীয় গতি জোগাড় করা ‘চন্দ্রযান ৩’-কে গত ১ অগাস্ট নিক্ষেপ করা হয় চন্দ্র-বৃত্তে। এর পর প্রায় পৌনে চার লক্ষ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গত শনিবার চন্দ্র-কক্ষপথে প্রবেশ করে ‘চন্দ্রযান ৩’। চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আওতায় চলে আসে ভারতের মহাকাশযান (ISRO Moon Mission)। এবার তখন থেকে শুরু হয় উল্টো পদ্ধতি— অর্থাৎ গতি ও কক্ষপথের পরিধি কমানোর পালা। কী করে তা সম্ভব হলো?

    রিভার্স-গিয়ারে চাঁদের চারপাশে ঘুরছে ‘চন্দ্রযান ৩’! কীভাবে?

    ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চন্দ্র কক্ষপথে প্রবেশ করানোর সময় এমনভাবে রকেট ফায়ারিং করা হয়, যাতে দিশা এক থাকলেও, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর মাথা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায়। অর্থাৎ, পৃথিবী থেকে চাঁদের দিকে এগনোর সময় ‘চন্দ্রযান ৩’-এর মাথা ছিল চন্দ্র-অভিমুখে। এবার মডিউলের মুখ বিপরীত দিকে থাকায় চাঁদের চারপাশে মহাকাশযান প্রদক্ষিণ করে চলেছে পিছন দিকে মুখ করে। এক কথায়, যেন ‘চন্দ্রযান ৩’ চাঁদের চারপাশে ঘুরে চলেছে ব্যাক বা রিভার্স-গিয়ারে। অর্থাৎ, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর দিশা যেদিকে রয়েছে, সেদিকে রয়েছে রকেটের ইঞ্জিন। এবার লুনার পেরিজি ফায়ারিং বা পেরিলিউন ফায়ারিং-এর (Perilune Firing) মাধ্যমে সীমিত সময়ের জন্য রকেট চালানো হচ্ছে। এর ফলে, রকেট ব্যাক-থ্রাস্ট দিচ্ছে মহাকাশযানকে। অনেকটা ব্রেক কষার মতো। ফলস্বরূপ, এইভাবে বারে বারে ধাক্কা খেতে খেতে গতি ও পরিধি কমিয়ে নিচ্ছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। এক কথায়, আর্থ-বাউন্ড ম্যানুভারের ঠিক বিপরীত হচ্ছে মুন-বাউন্ড ম্যানুভার। কারণ, যে রকেট পৃথিবীর কক্ষে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর গতি বাড়াতে সাহায্য করছিল, তা এখন উল্টোভাবে রেট্রো-রকেটের ভূমিকা পালন করে গতি কমাতে সাহায্য করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: প্রথম চন্দ্র-কক্ষপথ বদল প্রক্রিয়া সফল, চাঁদের আরও কাছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    Chandrayaan 3: প্রথম চন্দ্র-কক্ষপথ বদল প্রক্রিয়া সফল, চাঁদের আরও কাছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত শনিবারই চন্দ্র-কক্ষপথে প্রবেশ করেছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। গতকাল চাঁদের প্রথম ছবি পাঠিয়েছে ভারতের তৃতীয় চন্দ্র মহাকাশযান। সেই সঙ্গে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, চাঁদের আরও কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’।  

    এর সঙ্গে সঙ্গেই, গতকাল আরেকটি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে ‘চন্দ্রযান ৩’। একটি ট্যুইটে ইসরো জানিয়েছে, চাঁদের চারপাশ প্রদক্ষিণ করতে করতে গতকাল রাত ১১টা নাগাদ প্রথম বার কক্ষপথ সঙ্কোচন সফলভাবে ঘটিয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’। বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হচ্ছে মুন-বাউন্ড ম্যানুভার (Moon-bound Maneuvre)। ইসরো জানিয়েছে, চাঁদ থেকে এই মুহূর্তে চন্দ্রযানের দূরত্ব মাত্র ৪ হাজার ৩১৩ কিলোমিটার। ইসরোর ট্যুইট অনুযায়ী, ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) বর্তমানে ১৭০ কিমি (অ্যাপোলিউন বা চন্দ্র থেকে নিকটে) x ৪,৩১৩ কিমি (পেরিলিউন বা চন্দ্র থেকে দূরে) কক্ষপথে অবস্থান করছে। 

    ধাপে ধাপে এমনই কয়েক বার কক্ষপথ পরিবর্তন করে চাঁদে পৌঁছবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। দ্বিতীয় কক্ষপথ সঙ্কোচন প্রক্রিয়া হতে চলেছে ৯ অগাস্ট দুপুর ১টা থেকে ২টোর মধ্যে। মোট পাঁচ বার কক্ষপথ পরিবর্তনের পরিকল্পনা রয়েছে ইসরোর। এইভাবে বার বার কক্ষপথ সঙ্কোচন এবং সেই সঙ্গে গতি কমিয়ে চন্দ্রের ১০০ কিমি কক্ষপথে অবতরণ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউল। সেখানে পৌঁছনোর পর ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউলের থেকে ল্যান্ডার মডিউল আলাদা হবে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সেখান থেকে সম্ভবত আগামী ২৩ তারিখ চূড়ান্ত অবতরণ বা ‘টাচডাউন’-এর দিকে এগিয়ে যাবে ল্যান্ডার মডিউল। সম্ভবত, অগাস্টের ২৩ তারিখ হবে কাঙ্খিত ‘সফট-ল্যান্ডিং’।

    গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এলভিএম-৩ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। টানা ১৮ দিন পৃথিবীর চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে একদিকে কক্ষপথের পরিধি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি গতিও বাড়িয়ে চলেছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। পাঁচবার এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর গত ১ অগাস্ট এক লাফে চন্দ্র-বৃত্তে পৌঁছে যায় ‘চন্দ্রযান ৩’। সেখান থেকে প্রায় পৌনে চার লক্ষ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ‘চন্দ্রযান ৩’ পৌঁছে যায় চাঁদের কক্ষপথের কাছে। পরের ধাপে গত ৫ তারিখ, চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আওতায় চলে আসে ‘চন্দ্রযান ৩’। সেই থেকে চাঁদের চারদিকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে ভারতের মহাকাশযান। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Draupadi Murmu: স্বাধীনতা দিবসের পরই একদিনের সফরে রাজ্যে আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু?

    Draupadi Murmu: স্বাধীনতা দিবসের পরই একদিনের সফরে রাজ্যে আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব ঠিকঠাক চললে, স্বাধীনতা দিবসের দু’দিন পর, অর্থাৎ ১৭ অগাস্ট, রাজ্যে ফের আসতে চলেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রে খবর, এক দিনের ওই ঝটিকা সফরে তিনি কলকাতায় একটি সরকারি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন (President Kolkata Visit)। 

    এক দিনের ঝটিকা সরকারি সফর

    জানা গিয়েছে, সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বিমানে করে রাষ্ট্রপতি কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেবেন। সাড়ে ১১ টায় কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তিনি। সেখান থেকে সরাসরি রাষ্ট্রপতি যাবেন গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডে (GRSE)। জানা যাচ্ছে, সেখানে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে তাঁর অংশগ্রহণ করার কথা। দুপুর পৌনে দুটো থেকে বিকেল ৩টে ১০ মিনিট পর্যন্ত ওই অনুষ্ঠানেই থাকার কথা তাঁর। এর পর, আবারও রাষ্ট্রপতির (Draupadi Murmu) কনভয় রওনা দেবে কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশে। বিকেল ৪টেয় কলকাতা থেকে দিল্লি রওনা হয়ে যাবেন রাষ্ট্রপতি। 

    জিআরএসই-তে রণতরীর উদ্বোধন!

    প্রশাসন সূত্রের খবর, গার্ডেনরিচে একটি যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে চলেছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, ভারতীয় নৌসেনার প্রোজেক্ট-১৭ আলফা বা সংক্ষেপে পি-১৭এ (P-17A) স্টেলথ ফ্রিগেট প্রকল্পের ষষ্ঠ রণতরী ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’-র (INS Vindhyagiri) উদ্বোধন হতে চলেছে সেদিন। সূত্রের খবর, দেশের সামরিক বাহিনীর সাংবিধানিক প্রধান হওয়ার নিরিখে তিনি ওই অনুষ্ঠানে থাকবেন। তবে, সবটাই রয়েছে প্রাথমিক স্তরে।

    মার্চ মাসে বঙ্গ-সফরে এসেছিলেন রাষ্ট্রপতি

    এর আগে, গত মার্চ মাসে দ্রৌপদী মুর্মু দুদিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন। রাষ্ট্রপতি (Draupadi Murmu) হওয়ার পর সেটাই ছিল তাঁর প্রথম বঙ্গ-সফর। সে বার রাজ্য সরকারের তরফে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। পাশাপাশি, বেলুড় মঠ এবং শান্তিনিকেতনে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তবে, রাষ্ট্রপতির এবারের সফরে (President Kolkata Visit) রাত্রিবাসের কোনও উল্লেখ নেই এখনও পর্যন্ত। এমনকী, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও পৃথক ভাবে সাক্ষাতের কোনও সূচি নেই বলেই এখনও পর্যন্ত প্রশাসন সূত্রে খবর। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: আজ সন্ধ্যায় চন্দ্র-কক্ষপথে প্রবেশ করতে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’! কতটা তাৎপর্যপূর্ণ এই ধাপ?

    Chandrayaan 3: আজ সন্ধ্যায় চন্দ্র-কক্ষপথে প্রবেশ করতে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’! কতটা তাৎপর্যপূর্ণ এই ধাপ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার বড়ো পরীক্ষার সামনে ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। সব ঠিকঠাক চললে, আর কয়েক-ঘণ্টা পরে আজ সন্ধ্যায় চন্দ্র কক্ষপথে প্রবেশ করতে চলেছে চন্দ্র-মহাকাশযান (ISRO Moon Mission)। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ট্যুইট করে এমনটাই জানিয়েছে ইসরো। সংস্থা আরও জানিয়েছে, দুই-তৃতীয়াংশ পথ ইতিমধ্যেই পাড়ি দিয়ে ফেলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’। আজকের এই প্রক্রিয়া সফল হলে, স্বপ্নপূরণের পথে একটা গুরুত্বপূর্ণ ধাপ উতরে যাবে ভারতের মহাকাশযান।

    আজ সন্ধ্যায় ঠিক কী হতে চলেছে?

    ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’ বর্তমানে চন্দ্র-বৃত্তে (Moon Sphere) অবস্থান করছে। ইসরো জানিয়েছে, আজ সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে। বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা হচ্ছে লুনার অরবিট অনসার্টশন (Lunar Orbit Insertion)। অর্থাৎ, এখান থেকেই চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আওতায় চলে আসবে ‘চন্দ্রযান ৩’। ইসরোর বিজ্ঞানীদের মতে, প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত জটিল, নিখুঁত অঙ্কের উপর নির্ভর করছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশেষ ইঞ্জিন ফায়ার করে মহাকাশযানের বেগ ও দিশা নিয়ন্ত্রণ করে তাকে সঠিক লক্ষ্যের দিকে পাঠানো হবে। ইসরো জানিয়েছে, এই সময় চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪০ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে থাকবে ‘চন্দ্রযান ৩’।

    এর আগে কী কী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে?

    গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এলভিএম-৩ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউল (ISRO Moon Mission)। সেই থেকে টানা ১৮ দিন পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে চলেছিল (Earth-bound Maneuvre) এই মহাকাশযান। অর্থাৎ, ততদিন পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ঘেরাটোপেই ছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। তবে, পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করতে করতে নিজের কক্ষপথ পাঁচবার বাড়িয়ে নিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। এই প্রক্রিয়া, বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে অরবিট রেইজিং ম্যানুভার (Orbit Raising Maneuvre), তার মাধ্যমে কক্ষপথ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নিজের গতিও বাড়িয়ে নিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’।

    এর পর, গত ১ অগাস্ট মধ্যরাতে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ‘চন্দ্রযান ৩’-কে নিক্ষেপ করা হয় বা ঠেলে দেওয়া হয় চাঁদের রাস্তায়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশন (Translunar Injection)। বেঙ্গালুরুতে স্থিত ইসরোর মিশন কন্ট্রোল (ISTRAC) থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউলে থাকা রকেটে সীমিত সময়ের জন্য ফায়ারিং বা চালু করা হয়। প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সুক্ষ্ম ও জটিল ছিল বলে জানান ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এর ফলে, পৃথিবীর টান পাকাপাকিভাবে কাটিয়ে চন্দ্র-বৃত্তে প্রবেশ করেছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ (Lunar Transfer Trajectory)।

    আজকের পর কী হতে চলেছে?

    চন্দ্র-কক্ষপথে পৌঁছে ফের চাঁদের চারপাশে ঘুরপাক খেতে শুরু করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হচ্ছে মুন-বাউন্ড ম্যানুভার (Moon-bound Maneuvre)। এর মাধ্যমে ‘চন্দ্রযান ৩’ নিজের কক্ষপথের পরিধি ও গতি দুই-ই ধীরে ধীরে কমিয়ে আনবে। বিশেষ রেট্রো-রকেট ইঞ্জিন ফায়ার করে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। জানা গিয়েছে, চাঁদকে চার থেকে পাঁচবার প্রদক্ষিণ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। এর পর, শেষ ধাপে যখন চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার ওপরে থাকবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3), তখন মহাকাশযান মডিউল থেকে পৃথক হয়ে চূড়ান্ত অবতরণ বা ‘টাচডাউন’-এর দিকে এগিয়ে যাবে ল্যান্ডার মডিউল। সম্ভবত, অগাস্টের ২৩ তারিখ হবে কাঙ্খিত ‘সফট-ল্যান্ডিং’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share