Tag: news in bengali

news in bengali

  • Bastille Day: বাস্তিল দিবসে প্রধান অতিথি নরেন্দ্র মোদি, কুচকাওয়াজে ভারতীয় সামরিক বাহিনী! কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    Bastille Day: বাস্তিল দিবসে প্রধান অতিথি নরেন্দ্র মোদি, কুচকাওয়াজে ভারতীয় সামরিক বাহিনী! কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিনের সফরে ফ্রান্সে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi In France)। এই দু’দিনে তাঁর ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে। তবে, তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ হল আগামিকাল প্যারিসে বাস্তিল দিবসের (Bastille Day) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা। যেখানে অংশগ্রহণ করতে চলেছে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর তিন শাখা—স্থল, নৌ ও বায়ুসেনা। কূটনৈতিক মহলের মতে, এই আমন্ত্রণ যেমন একদিকে গুরুত্বপূর্ণ, একইভাবে সমান তাৎপর্যপূর্ণও বটে! কারণ, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের পরে, মোদিই হলেন দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী যাকে এই সম্মান দেওয়া হয়েছে।

    বাস্তিল দিবসের (Bastille Day) তাৎপর্য ও ইতিহাস

    তার আগে জেনে নেওয়া যাক, বাস্তিল দিবস ঠিক কী? কী-ই বা এর ইতিহাস? বাস্তিল ডে বা বাস্তিল দিবস হল অনেকটা ফরাসি স্বাধীনতা দিবস। ফরাসিদের কাছে এটা ‘ফেত নাশিওনাল ফ্রঁসেজ’ বা ফরাসি জাতীয় উৎসব। ১৭৮৯ সালে ১৪ জুলাই পতন হয়েছিল বাস্তিল দূর্গের। ফরাসিদের কাছে এই দিনটির অন্য তাৎপর্য। কারণ, এই দিনটি ফরাসি বিপ্লব-এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দিন। ইতিহাসবিদদের মতে, এই দিন থেকেই নাকি সেদেশে সাম্রাজ্যবাদের পতন ঘোষণা হয়েছিল এবং ফরাসি বিপ্লবের সূচনা হয়েছিল। বর্তমানে, এদিন ফ্রান্সে সব কিছু ছুটি থাকে। বিশ্বব্যাপী ফরাসিরা এদিন উৎসবে মেতে ওঠেন। রাজধানী প্যারিসের (স্থানীয় ভাষায় পারি) রাজপথ শজেঁলিজে-তে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ ও শোভাযাত্রা হয়। সামরিক প্যারেড হয়। অনেকটা আমাদের দেশের প্রজাতন্ত্র দিবসের মতো। ফরাসিরা এই দিনটিকে ‘ফেত দ্য লা ফেদেরাশিয়োঁ’ বা ফরাসি রাষ্ট্রীয় উৎসব (Bastille Day) হিসেবে পালন করে থাকেন। ফরাসিদের মতে, এটি ফরাসি একতা প্রকাশের উৎসব। 

    আরও পড়ুন: ফ্রান্সের উদ্দেশে রওনা দিলেন নরেন্দ্র মোদি, দুদিনের সফরে কী কী কর্মসূচি রয়েছে?

    ভারতীয় সামরিক বাহিনী ও বিশ্বযুদ্ধ

    এবারের কুচকাওয়াজে অংশ নেবে পঞ্জাব রেজিমেন্ট। যা ভারতীয় সেনার প্রাচীন রেজিমেন্টগুলির অন্যতম। দু’টি বিশ্বযুদ্ধেই ব্রিটেনের হয়ে লড়াইতে অংশ নিতে হয়েছিল পরাধীন ভারতকে। ওই সময় ইউরোপ ও মধ্য প্রাচ্যের একাধিক রণাঙ্গণে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দেয় এই রেজিমেন্ট। প্রবল পরাক্রমের জন্য রয়্যাল ক্রস ও ভিক্টোরিয়া ক্রস-এর মতো সম্মান পায় এই রেজিমেন্ট। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল প্রায় ১৩ লক্ষ ভারতীয় ফৌজ। সেই সময়, জার্মান বাহিনীর ফ্রান্সে ঢোকা আটকে দিয়েছিলেন শিখ সৈনিকরা। তাঁদের সঙ্গে এঁটে উঠতে না পেরে পিছু হটেছিল জার্মানরা। ১৯১৬ সালে যুদ্ধ জয়ের সাফল্য তুলে ধরতে প্যারিসের রাস্তায় প্যারেড করেছিল পঞ্জাব রেজিমেন্ট। সম্প্রতি, তারই একটি ছবি নেট-দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, প্যারিসের রাস্তায় কুচকাওয়াজ করে যাওয়া শিখ জওয়ানের দিকে ফুল ছুড়ে দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এক ফরাসি তরুণী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও ১৬টি ব্যাটেল অনার পেয়েছিল পঞ্জাব রেজিমেন্ট।

    কুচকাওয়াজে অংশ নেবে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর তিন শাখাই

    এবারের বাস্তিল দিবস (Bastille Day) কুচকাওয়াজে ভারতীয় সেনার তিন শাখার তরফে অংশ নেবেন মোট ২৬৯ জন। এদের মধ্যে রয়েছে সেনার একটি ব্যান্ড দলও। প্যারেডে বায়ুসেনার টিমকে নেতৃত্ব দেবেন স্কোয়াড্রন লিডার সিন্ধু রেড্ডি। রাশিয়ার তৈরি মি-১৭ কপ্টারের ওড়াতে পারেন তিনি। চলতি বছরের প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির কর্তব্য পথে বায়ুসেনার ১৪৪ জনের টিমকে নেতৃত্ব দেন তিনি। অন্যদিকে, প্যারিসের মার্চ পাস্টে ভারতীয় স্থলসেনা দলের নেতৃত্ব থাকছে ক্যাপ্টেন অমন জগতপের কাঁধে। নৌবাহিনীর নেতৃত্ব করবেন কমান্ডার ব্রত বাঘেল। এছাড়া ফ্লাই পাস্টে অংশ নেবে ফরাসি সংস্থা দাসো নির্মিত ভারতীয় বায়ুসেনার তিনটি রাফাল ফাইটার জেট। গত কয়েক বছর ধরেই এই জেটগুলি ব্যবহার করা শুরু করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3 Launch: শুরু কাউন্টডাউন! অপেক্ষার আর ২৪-ঘণ্টা, শুক্রবার চাঁদে পাড়ি দেবে ‘চন্দ্রযান ৩’

    Chandrayaan 3 Launch: শুরু কাউন্টডাউন! অপেক্ষার আর ২৪-ঘণ্টা, শুক্রবার চাঁদে পাড়ি দেবে ‘চন্দ্রযান ৩’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর একটা রাতের অপেক্ষা। শুক্রবার দুপুরে চাঁদের দেশে পাড়ি দেবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3 Launch)। প্রথামাফিক ২৫ ঘণ্টা আগে, বৃহস্পতিবার দুপুর একটায় শুরু হলো চূড়ান্ত কাউন্টডাউন। তার আগে, এদিন সকালে লে অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি মন্দিরে প্রার্থনা করতে আসেন ইসরোর চেয়ারম্যান বিজ্ঞানী এস সোমনাথ, সচিব শান্তনু ভাতওয়াদেকর-সহ অন্যান্য বিজ্ঞানী। পরে, সোমনাথ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘চন্দ্রযান ৩ কাল যাত্রা শুরু করবে৷ আমরা আশা করছি, সব কিছু ঠিকঠাক হবে৷’’

    শুরু হলো কাউন্টডাউন

    ইসরোর ঘোষণা অনুযায়ী, আগামিকাল দুপুর ২.৩৫ মিনিট নাগাদ শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে জিএসএলভি মার্ক-৩ (অধুনা এলভিএম-৩) রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3 Launch)। রকেটের পেলোডে থাকবে চন্দ্রযান মডিউল। যাতে থাকবে প্রপালশন, ল্যান্ডার এবং রোভার। আগের মিশনে পাঠানো অরবিটরটি এখনও চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। তাই এ বারের অভিযানে ইসরো আর কোনও অরবিটার পাঠাচ্ছে না চাঁদের কক্ষপথে। ইসরো জানিয়েছে, সব ঠিকঠাক চললে আগামী ২৩ বা ২৪ অগাস্ট চন্দ্রপৃষ্ঠে সফল অবতরণ (বিজ্ঞানের পরিভাষায় সফট-ল্যান্ডিং) করবে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। 

    কতটা পথ পাড়ি দেবে চন্দ্রযান ৩?

    উৎক্ষেপণের সময় রকেটের ওজন প্রায় ৬৪২ টন থাকবে। এর মধ্যে শুধুমাত্র জ্বালানির পরিমাণ ৫৫৩ টনের বেশি। উৎক্ষেপণের পর ১৬ মিনিটেই চন্দ্রযান ৩ মডিউলকে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৭৯ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছে দেবে রকেট। সেখানে পেলোড ছেড়ে দেওয়া হবে। এর পরের ধাপে, চাঁদের উদ্দেশে ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটারের পথ পাড়ি দেওয়া শুরু করবে চন্দ্রযান ৩ মডিউল। মডিউলে থাকা তিনটি উপাদানের মধ্যে প্রোপালশন মডিউলের ওজন ২,১৪৮ কেজি, ল্যান্ডারটি ১,৭২৩ কেজি ও রোভারের ওজন ২৬ কেজি। 

    চাঁদে কী কী গবেষণা চালাবে চন্দ্রযান ৩?

    সোমনাথ জানিয়েছেন, চন্দ্রযান ৩-কে (ISRO Chandrayaan 3) পৃথিবী থেকে ৩৬ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বে নিয়ে যাবে এলভিএম-৩ রকেট। এর পর, চাঁদের কক্ষপথের ১০০ কিমির মধ্যে চন্দ্রযান ৩-কে পৌঁছে দেবে এই চন্দ্রযান প্রোপালশন মডিউল। চন্দ্রের কক্ষপথে প্রবেশের পর প্রোপালশন মডিউল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এই চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3 Launch)। শেষ পর্যায়ে, সেখান থেকে চূড়ান্ত অবতরণ শুরু করবে ল্যান্ডার বিক্রম। ল্যান্ডিংয়ের পর চাঁদের রেগোলিথ, চন্দ্র ভূকম্পন, চন্দ্র পৃষ্ঠের প্লাজমা বায়ুমণ্ডল এবং মৌলিক গঠনের তাপ পদার্থগত বৈশিষ্ট্যগুলি পরীক্ষা করার জন্য বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি বহন করবে চন্দ্রযান ৩-এ থাকা রোভার ‘প্রজ্ঞান’।

    ল্যান্ডিংয়ে বিশেষ গুরুত্ব

    চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3 Launch) আদপে হল চন্দ্রযান ২-এর একটি ফলো-আপ মিশন। ২০২৯ সালের সেপ্টেম্বরে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল চন্দ্রযান ২। কিন্তু, অবতরণের সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর, ল্যান্ডারটি চাঁদের বুকে ক্র্যাশ ল্যান্ড করে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রোভার।  সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এবারের মিশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে, জানিয়েছেন ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। এবারের চন্দ্রযানে (ISRO Chandrayaan 3) মোট ১৩টি ‘থ্রাস্টার’ রয়েছে, যা সফট ল্যান্ডিং করতে সাহায্য করবে। এই রোভারের আয়ু এক চন্দ্র-দিবস, বা ১৪ দিন।

    আরও পড়ুন: ‘ব্যর্থতা-ভিত্তিক পদ্ধতি’-তেই সফল হবে চন্দ্রযান ৩! দাবি ইসরো প্রধানের, বিষয়টা কী?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi In France: ফ্রান্সের উদ্দেশে রওনা দিলেন নরেন্দ্র মোদি, দুদিনের সফরে কী কী কর্মসূচি রয়েছে?

    PM Modi In France: ফ্রান্সের উদ্দেশে রওনা দিলেন নরেন্দ্র মোদি, দুদিনের সফরে কী কী কর্মসূচি রয়েছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্সের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতে ‘বন্ধু’ মাক্রঁর আমন্ত্রণে দুদিনের ফ্রান্স সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi In France)। আগামিকাল বাস্তিল দিবস (Bastille Day) উদযাপিত হবে ফ্রান্সে, যা ভারতের স্বাধীনতা দিবসের সমান। সেই অনুষ্ঠানে ‘সম্মানীয় অতিথি’ হিসেবে উপস্থিত ছাকবেন মোদি। এর পাশাপাশি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মজবুত ও দৃঢ় করতে একাধিক বৈঠকেও অংশগ্রহণ করার কথা তাঁর।

    বন্ধু মাক্রঁর আমন্ত্রণ

    ফ্রান্সের সঙ্গে বরাবরই সুসম্পর্ক রয়েছে ভারতের। প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi In France) আমলে সেই সম্পর্ক অন্য উচ্চতায় পৌঁছয়। কূটনৈতিক সম্পর্ককে মজবুত করতে বিদেশনীতিকে ব্যাপক বদল এনেছে মোদি সরকার। যার ফলও মিলেছে। সম্প্রতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সফর সেরে ফিরেছেন মোদি। সেখানে তাঁকে রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাঁর সম্মানে দেওয়া হয়েছিল রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ। এবার ফ্রান্সে গিয়েও ‘বন্ধু’ মাক্রঁর সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদি। একাধিক বিষয় নিয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনা হওয়ার কথা। 

    বিকেলে পৌছবেন প্যারিসে

    এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী দিল্লি থেকে ফ্রান্সের উদ্দেশে রওনা দেন। বিকেল ৪টে নাগাদ তিনি রাজধানী প্যারিসে পৌঁছবেন। তাঁর আগে এদিন এক বিবৃতি জারি করে মোদি জানান, দু’দিনের সফরে তিনি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে মহাকাশ, সিভিল নিউক্লিয়ার, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা, সংস্কৃতি সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। এই সফর দুই দেশের মধ্য়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে বলেও তিনি জানান। 

    বৃহস্পতিবার কী কী কর্মসূচি?

    বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন ভারতীয় সময় অনুযায়ী, বিকেলে প্যারিস পৌঁছনোর পর সোজা হোটেলে যাবেন মোদি (PM Modi In France)। সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ ফ্রান্সের সেনেটে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি সেনেট প্রেসিডেন্ট জেরাড লার্চারের সঙ্গে দেখা করবেন। রাত ৯টায় ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বর্নের সঙ্গে দেখা করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। এরপরে তিনি লাসেন মিউজিক্যাল অনুষ্ঠানে অনাবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন। এর পর ভারতীয় সময় অনুযায়ী, রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এলিজে প্যালেসে পৌঁছবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্য বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করবেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রঁ।

    বাস্তিল দিবসে ‘গেস্ট অব ওনার’ মোদি

    আগামিকাল, বাস্তিল দিবস (Bastille Day) অনুষ্ঠানে ‘গেস্ট অব ওনার’ হিসাবে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi In France)। সেখানে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর তিন বিভাগ – স্থল, নৌ ও বায়ু— এই ট্রাই-সার্ভিস বা তিন বাহিনীর মোট ২৬৯ জন সদস্যও কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন। পাশাপাশি ভারতীয় বায়ুসেনার তিনটি রাফাল ফাইটার জেটও ফ্লাইপাস্টে সামিল হবে ফ্রান্সের যুদ্ধবিমানগুলির সঙ্গে। পরে, বিখ্যাত ‘ল্য ল্যুভ্র’ মিউজিয়ামে বিভিন্ন সংস্থার সিইওদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন মোদি। সেখানে সরকারি নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rafale-M Fighter Jet: নৌসেনার চুক্তির ‘ডগফাইটে’ কীভাবে ‘এফ ১৮’-কে টেক্কা দিল ‘রাফাল এম’?

    Rafale-M Fighter Jet: নৌসেনার চুক্তির ‘ডগফাইটে’ কীভাবে ‘এফ ১৮’-কে টেক্কা দিল ‘রাফাল এম’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফরাসি রাফাল এম (Rafale-M Fighter Jet) নাকি মার্কিন এফ/এ-১৮ ই/এফ যুদ্ধবিমান— ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) দুই বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্য ও আইএনএস বিক্রান্ত-এর ডেক থেকে কে উড়বে? কয়েক বছর ধরেই সেই নিয়ে বিস্তর জল্পনা চলছিল, ছিল দাবি-পাল্টা দাবি। কেউ রাফাল-এম বিমানকেই পছন্দ করলে, তো কারও মতে সেরা বাজি ছিল এফ/এ-১৮। প্রায় তিন বছর ধরে দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অবশেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। সূত্রের খবর, ফরাসি রাফালের ওপরই ভরসা রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামিকালই বাস্তিল ডে উৎসবে যোগ দিতে ফ্রান্সে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই সম্ভবত, এই মর্মে ঘোষণা করা হবে। জানা যাচ্ছে, ২৬টি বিমানের বরাত দেওয়া হবে ফরাসি দাসো এভিয়েশনকে। 

    ‘রাফাল এম’ বনাম ‘এফ ১৮’ ডগফাইট

    এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) বরাত পাওয়ার ‘ডগফাইটে’ ঠিক কোন কোন জায়গায় প্রবল প্রতিপক্ষ এফ/এ-১৮ যুদ্ধবিমানকে টেক্কা দিল ফরাসি রাফাল? কীভাবে বোয়িংকে মাত দিল দাসো। নেপথ্যে এক নয়, রয়েছে একাধিক কারণ ও যুক্তি—

    ভারতীয় রণতরীর বিশেষ স্কি-র‌্যাম্প (সামরিক পরিভাষায় STOBAR) ভিত্তিক ডেক থেকে ওড়ার সক্ষমতা থেকে শুরু করে মাঝ-আকাশে ক্ষিপ্রতা, বিভিন্ন ধরনের মিশনে দায়িত্ব সম্পন্ন করার দক্ষতা ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেপণাস্ত্র বহনের ক্ষমতা ও বৈচিত্র্য— এই সব ক্ষেত্রেই দুই যুদ্ধবিমান প্রায় সমান-সমান। কেউ কারও থেকে পিছিয়ে ছিল না। এক কথায় টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ফারাক করা মুসকিল ছিল। 

    শুধুমাত্র তফাতের মধ্যে মার্কিন এফ/এ-১৮ এর তুলনায় রাফাল-এম (Rafale-M Fighter Jet) অনেকটাই হাল্কা বিমান। যে কারণে, রাফালকে সহজেই জাহাজের ডেকে অবরতণের করানো সম্ভব। কিন্তু, এটা একটা কারণ হলেও, বড় কারণ নয়। মার্কিন বিমানকে অন্য জায়গায় পিছনে ফেলে দিয়েছে রাফাল। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত লজিস্টিক্যাল অ্যান্ড অপারেশনাল কনভিনিয়্যান্স এবং ইন্টার-অপারেবিলিটি— এই জায়গায় রাফালে-এম এর থেকে পিছিয়ে পড়ে এফ/এ-১৮। 

    ইন্টার-অপারেবিলিটির সুবিধা

    প্রথম ও প্রধান কারণ, ইন্টার-অপারেবিলিটি। ভারতীয় বায়ুসেনা ইতিমধ্যেই রাফাল যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। ৩৬টি যুদ্ধবিমান ভারতীয় বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত। ফলত, নৌসেনাতেও (Indian Navy) যদি রাফাল-এম (Rafale-M Fighter Jet) আসে, তাহলে রক্ষণাবেক্ষণ ও যন্ত্রপাতি পেতে সহজ হবে। উপরন্তু, বায়ুসেনায় রাফালের যে ৮টি টুইন-সিটার ভেরিয়েন্ট রয়েছে, তাতে প্রশিক্ষণ নিতে পারবে নৌসেনার পাইলটরাও। যদিও, নৌসেনাও সম্ভবত কয়েকটি টুইন-সিটার রাফাল-এম ভেরিয়েন্ট নিতে পারে। প্রাথমিক স্তরে, সূত্রের খবর ২৬টির মধ্যে ১৮টি সিঙ্গল-সিটার ও ৮টি টুইন-সিটার হতে পারে। যৌথ অভিযানে নৌসেনার রাফাল-এম ও বায়ুসেনার রাফালের মধ্যে সমন্বয়ের কোনও সমস্যা হবে না। কারণ, এই দুই যুদ্ধবিমানের ৮৫ শতাংশ এক। অন্যদিকে, এফ/এ-১৮ ই/এফ কিনলে, গোটাটাই নতুন হবে। তার প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে কার্যপদ্ধতি, যন্ত্রপাতি, রক্ষণাবেক্ষণ। ফলে, তাতে খরচ বাড়বে।

    ভারত-ফ্রান্স প্রতিরক্ষা সম্পর্কের সুদীর্ঘ ইতিহাস

    দ্বিতীয় কারণ হল, ফরাসি নিশ্চয়তা। ভারতের সঙ্গে ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত। ঠিক যেমনটা একটা দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিরক্ষা সহযোগী ছিল ভারত ও রাশিয়া। আজ থেকে নয়, বিগত কয়েক যুগ ধরে ফরাসি যুদ্ধবিমান ব্যবহার কর আসছে ভারত। উরাগন থেকে শুরু করে সিপক্যাট জাগুয়ার, মিরাজ থেকে শুরু করে এখন রাফাল— ভারতীয় বায়ুসেনায় ফরাসি যুদ্ধবিমানের ইতিহাস দীর্ঘ। ভারত যে মিরাজ-২০০০ বিমান ব্যবহার করছে, তাতে কোনও সমস্যা দেখা দেয়নি। ২০২১ সালে, ভারত ২৪টি সেকেন্ড-হ্যান্ড মিরাজ কিনেছে। 

    প্রযুক্তি হস্তান্তরের নিশ্চয়তা

    তৃতীয়ত, ভারতের দেশে তৈরি নীতিতে ফ্রান্সের সম্মত হওয়া বিরাট ভূমিকা পালন করেছে। সবচেয়ে বড় কথা, প্রযুক্তি হস্তান্তর নিয়ে কোনওপ্রকার নিষেধাজ্ঞা নেই মাক্রঁর দেশের। নৌসেনায় (Indian Navy) ব্যবহৃত হচ্ছে, ফরাসি স্করপিন সাবমেরিন। সম্পূর্ণ প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে সেগুলি ভারতেই তৈরি হচ্ছে। এছাড়া, সম্পূর্ণ প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে মার্ক-৩ লাইট হেলিকপ্টার ইঞ্জিন তৈরিতে সাহায্য করতে ভারতকে প্রস্তাব দিয়েছে ফ্রান্স। সম্প্রতি, ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ভারতে নতুন জেট ইঞ্জিন তৈরির প্রস্তাবও দিয়েছে ফ্রান্সের সংস্থা সাফরান। এই ইঞ্জিনগুলি ভারতের ভবিষ্যতে দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের অ্যামকা যুদ্ধবিমানে ব্যবহার করা হবে। শুধু তাই নয়, অনেকেই জানেন না, ভারতের তেজস যুদ্ধবিমান অনেকটাই ফরাসি নকশায় তৈরি। তাতে একাধিক ফরাসি প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার হয়।

    ফলত, এত কিছু কারণের জন্যই নৌসেনার জন্য ফরাসি রাফাল-এম (Rafale-M Fighter Jet) যুদ্ধবিমানকে বাছতে চলেছে ভারত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Moloy Ghatak: কয়লা পাচারকাণ্ডে ফের মন্ত্রী মলয় ঘটককে দিল্লিতে তলব ইডি-র, এবার যাবেন কি?

    Moloy Ghatak: কয়লা পাচারকাণ্ডে ফের মন্ত্রী মলয় ঘটককে দিল্লিতে তলব ইডি-র, এবার যাবেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি জানিয়েছিলেন, পঞ্চায়েত ভোট থাকায় তিনি হাজিরা দিতে পারছেন না। ভোট মিটলে যাবেন। এবার তাই পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই ফের একবার রাজ্যের আইন ও শ্রমমন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক মলয় ঘটককে (Moloy Ghatak) দিল্লিতে ডেকে পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কয়লা পাচার মামলায় (Coal Smuggling Scam) জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে তাঁকে দিল্লিতে হাজির হতে বলা হয়েছে। 

    ১২ বার ইডির হাজিরা এড়িয়েছেন মলয়?

    শেষবার ২০ ও ২৬ জুন তলব করা হয়েছিল মলয় ঘটককে (Moloy Ghatak)। সেই সময় তিনি চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন যে, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ব্যস্ত আছেন। ভোট মিটলে তিনি হাজিরা দেবেন। সেইমতো ফের তাঁকে তলব করা হয়েছে। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য সামনে রেখে মলয় ঘটককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে ইডি সূত্রে খবর। উল্লেখ্য, কয়লা পাচার মামলায় এর আগে একাধিকবার আইনমন্ত্রীকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু, কোনওবারই তিনি হাজিরা দেননি। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত ১২ বার হাজিরা এড়িয়ে গেছেন তিনি। এবার তিনি কী করবেন, সেই দিকে নজর রয়েছে সকলের। 

    সিবিআইয়ের নজরেও মলয়

    এই মামলায় ইডির আগে, সিবিআইও জেরা করেছিল মন্ত্রীকে। মামলা তদন্তে সিবিআই বিরাট অভিযান চালিয়েছিল। তারা পৌঁছে গিয়েছিল মলয়ের আসানসোলের বর্তমান বাড়ি, পৈতৃক বাড়িতে। এমনকী রাজভবনের মন্ত্রী কোয়ার্টারের যে ফ্লোরে মলয় (Moloy Ghatak) থাকেন সেখানেও হানা দিয়েছিল সিবিআই। পরে, এই মামলায় ইডি-ও সামন্তরাল তদন্ত শুরু করলে, ডাক পড়ে মলয় ঘটকের। যে প্রেক্ষিতে, মন্ত্রীমশাই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। 

    এবার হাজিরা না দিলে কী পদক্ষেপ?

    শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, অন্তত ১৫ দিন সময় নিয়ে মন্ত্রীকে ডাকতে হবে। সেই মতো, ৫ জুন কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Smuggling Scam) মলয় ঘটককে হাজিরার নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। তবে সেই ডাকে সাড়া দেননি রাজ্যের আইনমন্ত্রী। ১৯ জুন দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি যাননি। এরপর ২৬ জুনও হাজিরা দেননি তিনি। এই পরিস্থিতিতে মলয় ঘটক (Moloy Ghatak) এবারও যদি হাজিরা না দেন, তাহলে কী আইনি পদক্ষেপ করা যায়, সেই বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে ইডি সূত্রে দাবি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘এটা যে জনমত নয় তা সকলেই জানেন’’, পঞ্চায়েত ফলাফলকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘এটা যে জনমত নয় তা সকলেই জানেন’’, পঞ্চায়েত ফলাফলকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪-ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও চলছে পঞ্চায়েত ভোটগণনার (Panchayat Elections 2023) কাজ। ফলে, চূড়ান্ত ফল আসতে এখনও কিছুটা দেরি। তবে, তৃণমূল কংগ্রেস যে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। শাসক শিবির যে জিতছে, তা ধরে নিয়েই আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও, পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের এই জয়কে আমল দিতে নারাজ নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর কটাক্ষ, এটা যে জনমত নয়, তা সকলেই জানেন।

    ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু?

    মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘প্রশাসনের সঙ্গে মানুষ কীভাবে লড়বে। এটা জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন নয়। এবারের নির্বাচনে ২০ হাজারের বেশি আসন তৃণমূলের পাওযার কথা নয়। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, পুরুলিয়ায় বিজেপির জয় হতো। রাজ্যের পুলিশ কার্যত খোলাখুলি সমর্থন করল। আদালতে আমাদের লড়াই চলবে। বহু কাউন্টিং এজেন্ট বাড়ি ফিরতে পারছেন না ভয়ে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ দু-তিনবার ফোন করেছেন। কেন্দ্রীয় নেতারা এটা নিয়ে ভাবিত নন, কারণ এটা যে জনমত নয় তা সকলেই জানেন।’’

    গণনা নিয়ে কী অভিযোগ বিরোধী দলনেতার?

    ভোট গণনা (Panchayat Elections 2023) নিয়েও বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। ব্যালট পেপার গোনা ও বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তৃণমূলকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে সরব হন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, প্রিসাইডিং অফিসারের সই না থাকলেও তৃণমূলের পক্ষে যাওয়া ব্যালট পেপারগুলি গৃহিত হয়েছে। আর তেমনই ব্যালটে যদি বিরোধীদের পক্ষে ভোট গিয়ে থাকে, তাহলে সেগুলি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর গড়ে গেরুয়া ঝড়, আবির মেখে উচ্ছ্বাস বিজেপি কর্মীদের

    এদিকে, তৃণমূলের জয় নিয়ে শাসকদলের নেতা হয়েও দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী (Abdul Karim Chowdhury)। তিনি বলেন “এরকম রক্তাক্ত করে জিতে কী হবে। জেতার জন্য খুন, লুট, পুলিশকে ব্যবহার করা যায় না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Safran Jet Engine: ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তরে ভারতেই যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরির প্রস্তাব ফ্রান্সের

    Safran Jet Engine: ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তরে ভারতেই যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরির প্রস্তাব ফ্রান্সের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী পরশু অর্থাৎ, ১৩ তারিখ ফ্রান্সে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ১৪ জুলাই, ফরাসি জাতীয় দিবস ‘বাস্তিল দিবস’-এর (Bastille Day) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তিনি। ফরাসি রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল মাক্রঁর পাশে বসে কুচকাওয়াজ দেখবেন তিনি, যাতে অংশ নিতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা ও নৌসেনা। 

    মোদির সফরেই রাফাল-এম যুদ্ধবিমানের চুক্তি?

    ঠিক তার তিনদিন আগে, বড় খবর এল কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রে। সোমবারই জানা গিয়েছিল, এবারের সফরে বড় সামরিক মউ হতে চলেছে ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে। ওই দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনার জন্য ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান ও দুটি ফরাসি স্করপিন সাবমেরিন কেনার বিষয়। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, মোদির এই সফরে যৌথভাবে যুদ্ধবিমানের জেট ইঞ্জিন তৈরির (Safran Jet Engine) করার বিষয়টিরও নিষ্পত্তি হতে পারে। আরও পড়ুন: ফ্রান্স থেকে ফের রাফাল, সাবমেরিন কিনবে ভারত!

    তেজস মার্ক-২ এর জন্য এফ-৪১৪ ইঞ্জিন চুক্তি সম্পন্ন

    দীর্ঘদিন ধরেই, ভবিষ্যতের দেশীয় যুদ্ধবিমানের জন্য উন্নতমানের বিদেশি জেট ইঞ্জিন জোগাড় করার বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে ভারত। সম্প্রতি, সদ্য মার্কিন সফরের মধ্যেই এরকমই একটি চুক্তি সম্পন্ন করেছে দেশীয় যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের কর্তারা। চুক্তি মোতাবেক, মার্কিন জেনারেল ইলেকট্রিকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এদেশেই তৈরি করা হবে অত্যাধুনিক জিই-এফ৪১৪ ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন মূলত ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য তৈরি হতে চলা তেজস মার্ক-২ যুদ্ধবিমানে ব্যবহার করা হবে। আরও পড়ুন: সামরিক শক্তিকে মজবুত করতে বিশেষ ফাইটার ইঞ্জিন তৈরি হবে ভারতেই

    অ্যমকা ও টিইডিবিএফ-এর জন্য শক্তিশালী ইঞ্জিনের খোঁজ

    তবে, তেজস-এর পাশাপাশি, পরবর্তী প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরির কাজও এগিয়ে চলেছে ভারতে। এই যুদ্ধবিমান হল অ্যাডভান্সড মাল্টি-রোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট বা সংক্ষেপে অ্যামকা। একইসঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে, নৌসেনার জন্য আরেকটি অধিক-শক্তিশালী ও অত্যাধুনিক বিমানবাহী রণতরী থেকে উড়তে সক্ষম যুদ্ধবিমান যার নাম রাখা হয়েছে টুইন ইঞ্জিন ডেক-বেসড ফাইটার বা সংক্ষেপে টিইডিবিএফ (Jet Engine For AMCA)। ভারত চাইছে এই দুই যুদ্ধবিমানে জিই-এফ৪১৪ ইঞ্জিনের চেয়েও আরও শক্তিশালী ইঞ্জিন ব্যবহার করতে। সেই তালিকায় দুটি ইঞ্জিন বাছাই করা হয়েছিল। একটি ফরাসি সাফরান ইঞ্জিন ও দ্বিতীয়টি ইংল্যান্ডের রোলস-রয়েস। এখন কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, রোলস-রয়েসকে টপকে ফরাসি সাফরানকেই (Safran Jet Engine) হয়ত বাছতে চলেছে কেন্দ্র। 

    ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তর!

    সূত্রের খবর, ফরাসি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা সাফরান-এর তৈরি ইঞ্জিনটি (Jet Engine For AMCA) ১১০ কেএন (কিলো নিউটন) থ্রাস্ট উৎপন্ন করতে সক্ষম। যা ভারী যুদ্ধবিমানকে অতি সহজেই প্রয়োজনীয় গতি ও ক্ষমতা দিতে পারবে। তবে, এই ইঞ্জিনকে বাছার এটাই একমাত্র কারণ নয়। জানা যাচ্ছে, ফরাসি সংস্থাটি ভারতকে কোনও গোপনীয়তা ছাড়া ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে এই ইঞ্জিন দিতে রাজি। সম্প্রতি, সাফরানকে এই মর্মে অনুমতি দিয়েছে মাক্রঁ সরকার। যার পরই, সাফরানের তরফে, ভারতকে এই নিয়ে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। 

    ভারতে তৈরি হবে সাফরানের নতুন ইঞ্জিন

    সূত্রের খবর, ফরাসি সংস্থার থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা অস্বীকার করা অত্যন্ত কঠিন। জানা যাচ্ছে, ভারতের জন্য একেবারে সম্পূর্ণ নতুন ডিজাইনের ইঞ্জিন (Safran Jet Engine) ছাড়াও তৈরি করার যাবতীয় নতুন উপাদান, নতুন পরিকাঠামো দেওয়া হবে। সঙ্গে থাকবে যন্ত্রপাতির পূর্ণ ভান্ডার। সর্বোপরি, গোটাটাই তৈরি হবে ভারতে। যা নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নীতির সঙ্গে সাজুয্য। এক কথায়, এই নতুন ইঞ্জিনটি শুধুমাত্র ভারতেই তৈরি হবে। ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ ট্যাগ নিয়ে বাজারে আসবে। 

    ভারতে বড় বিনিয়োগে রাজি সাফরান

    কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, অ্যামকা ও টিইডিবিএফ-এর জন্য ফরাসি সাফরান ইঞ্জিন (Jet Engine For AMCA) ব্যবহার করতে উৎসাহী ভারত। এর পাশাপাশি, সাফরান বর্তমানে ১২৫ কেএন ইঞ্জিন নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। ভবিষ্যতে, সেই ইঞ্জিনও ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও দুদেশের মধ্যে চুক্তি হতে পারে। ইতিমধ্যেই, হায়দরাবাদে সাফরানের একটি কারখানা গড়ে উঠছে। সেখানে এয়ারবাস এ৩২০ ও বোয়িং ৭৩৭ যাত্রীবিমানে ব্যবহৃত লিপ ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতির কাজ হবে। এছাড়াও, ভারতে গ্যাস টার্বাইন তৈরির একটি কারখানা গড়ছে সাফরান। 

    যদিও এই প্রস্তাবের বিষয়ে ভারতের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি। ডিআরডিও প্রধান সমীর ভি কামাত সম্প্রতি প্যারিসের সাফরানের কারখানায় গিয়েছিলেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া প্যারিস এয়ার শো-তেও হাজির ছিলেন তিনি। এই প্রস্তাবটি বিষয়টি এখনও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আলোচনার অধীনে রয়েছে। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, চুক্তি হওয়ার পর, এই ইঞ্জিনকে হাতে পেতে অন্তত ১০ বছর লাগবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: চলছে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের ভোট গণনা, গ্রাম বাংলা থাকবে কার দখলে?

    Panchayat Elections 2023: চলছে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের ভোট গণনা, গ্রাম বাংলা থাকবে কার দখলে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ পঞ্চায়েত ভোটগণনা (Panchayat Elections 2023)। নির্ধারিত সময় মেনেই সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে গণনার প্রক্রিয়া। রাজ্যের ২২টি জেলায় ৩৩৯টি কেন্দ্রের ৩,৫৯৪ কক্ষে একযোগে চলছে গণনার কাজ। গণনার জন্য কেন্দ্রগুলিতে মোট ৭৬৭টি স্ট্রংরুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোট ৩,৫৯৪টি ঘরের ৩০,৩৯৬টি টেবিলে চলবে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল (Bengal Panchayat Polls)। 

    ব্যালটে ভোট, গণনায় লাগবে সময়

    প্রথমে গ্রাম পঞ্চায়েত, তার পর পঞ্চায়েত সমিতি এবং সব শেষে জেলা পরিষদের আসনে গণনা হবে। পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের ফল প্রকাশ করার কথা সংশ্লিষ্ট ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের। এদিকে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রকাশ করবেন কাউন্টিং আধিকারিকই। প্রত্যেক স্তরে দু’রাউন্ড করে অর্থাৎ মোট ৬ রাউন্ড গণনা হবে। এদিকে যেহেতু পঞ্চায়েতে (Panchayat Elections 2023) ব্যালটে ভোট হয়, তাই গণনায় অনেকটাই সময় লাগে। কোথও যদিও আজ ভোট গণনা শেষ না হয়, তাহলেও আগামিকালও ভোট গণনা চলবে। 

    সব আসনে গণনা হচ্ছে না

    রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত (Panchayat Elections 2023) ব্যবস্থায় মোট গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের সংখ্যা ৬৩,২২৯। পঞ্চায়েত সমিতির আসন সংখ্যা ৯,৭৩০। আর জেলা পরিষদ আসন সংখ্যা ৯২৮। তবে সব আসনের গণনা হচ্ছে না। গ্রাম পঞ্চায়েতে ৬৩ হাজার ২২৯ আসনের মধ্যে আট হাজার দু’টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন প্রার্থীরা। এর মধ্যে তৃণমূল জিতেছে ৭,৯৪৪টি আসনে। দু’টি আসনে জয়ী বিজেপি। তিনটি আসনে জয়ী সিপিএম। অন্য প্রার্থীরা জয়ী ৫৩টি আসনে। পঞ্চায়েত সমিতিতে ৯,৭৩০ আসনের মধ্যে ৯৯১টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। এর মধ্যে তৃণমূল জিতেছে ৯৮১টি আসনে। অন্যরা জিতেছে ১০টি আসনে। আবার জেলা পরিষদে ৯১২টি আসনে গণনা হবে। কারণ ১৬টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। 

    একাধিক নির্দেশ কমিশনের

    নির্বাচন কমিশন (Panchayat Elections 2023) সূত্রে জানা গেছে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদের গননার সময় থাকবেন একজন করে কাউন্টিং অফিসার এবং একজন কাউন্টিং অ্যাসিস্ট্যান্ট। সঙ্গে থাকবেন প্রতি প্রার্থীর একজন করে কাউন্টিং এজেন্ট। প্রতি গণনা কেন্দ্রে ব্লক পিছু একজন করে অবজারভার ও জেলা পিছু একজন করে স্পেশাল অবজার্ভার থাকবেন। গ্রাম পঞ্চায়েতে এবং জেলা পরিষদের প্রার্থী এবং কাউন্টিং এজেন্ট থাকতে পারলেও পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র প্রার্থী থাকতে পারবেন কোনও এজেন্ট থাকতে পারবেন না।

    কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    গণনাকেন্দ্রগুলিকে (Bengal Panchayat Polls) নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে থাকবে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়। এর দায়িত্বে থাকবে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সঙ্গে থাকবে প্রয়োজন মতো রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী। থাকছে সিসিটিভির নজরদারি। গণনা কেন্দ্রের বাইরে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: হানাহানির ভোটে শীর্ষে মুর্শিদাবাদ, দ্বিতীয় কোচবিহার! ভোটের দিন খুন ১৫

    Panchayat Elections 2023: হানাহানির ভোটে শীর্ষে মুর্শিদাবাদ, দ্বিতীয় কোচবিহার! ভোটের দিন খুন ১৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Elections 2023) নির্ঘণ্ট হওয়া থেকে শুরু করে শুক্রবার অর্থাৎ, ভোটের আগের সন্ধে পর্যন্ত গত ৩০ দিনে রাজ্যে ভোট–পূর্ববর্তী হিংসার বলি হয়েছিলেন ১৮ জন। ফলে, শনিবার অর্থাৎ আজ ভোটগ্রহণের দিন কী হতে চলেছে তার একটা পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছিল। আর সেই আশঙ্কা সত্যিও হলো। 

    এদিন সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভোট হিংসার (Bengal Poll Violence) খবর আসতে শুরু করে। উত্তর হোক বা দক্ষিণ— রাজ্যের সর্বত্র রক্ত ঝরেছে। বিভিন্ন প্রান্তে মৃত্যু হয়েছে। শাসক হোক বা বিরোধী— সব দল, সব রঙের কর্মী-সমর্থকরা এই হিংসার শিকার হয়েছেন। কোচবিহার থেকে বর্ধমান, উত্তর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদা থেকে মুর্শিদাবাদ— বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছে মৃত্যুর খবর। আগের দিন যে সংখ্যা ১৮ ছিল, শনিবার সন্ধে পর্যন্ত সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৩। অর্থাৎ, শুক্রবার রাত থেকে শুরু করে শনিবার সন্ধে পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ১৫ জন। গুলিবিদ্ধি হয়ে চিকিৎসাধীন অনেক। এছাড়া, বোমার ঘায়ে বা মারধরে জখমের সংখ্যা বহু। 

    ভোট হানাহানিতে শীর্ষে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। সমস্যা শুরু হয়েছিল মনোনয়নের প্রথম দিন থেকেই। তবে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Elections 2023) আগের রাত থেকে পরিস্থিতি চরমে পৌঁছেছে। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোটের দিন দুপুর পর্যন্ত সেই জেলায় পাঁচ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে শুধুমাত্র শাসকদলেরই তিন জন কর্মী খুন হয়েছেন। এক কংগ্রেস কর্মী এবং এক জন সিপিএম সমর্থককেও খুনের অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় দু’নম্বরে কোচবিহার। একই সময়ে এই জেলায় তিনজন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে ২ জন বিজেপির এবং একজন তৃণমূলের। 

    আরও পড়ুন: নদিয়ার বুথে বোমাবাজি তৃণমূলের, জবাবে শূন্যে গুলি কেন্দ্রীয় বাহিনীর

    একবার দেখে নেওয়া যাক এই ১৫ জনের মধ্যে কে কোথায় মারা গিয়েছেন (Bengal Poll Violence)—

    কোচবিহার

    কোচবিহার-১ নম্বর ব্লকের ফলিমারী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপি পোলিং এজেন্ট মাধব বিশ্বাসকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। বুথ কেন্দ্রে ঢুকতে যাওয়ার সময় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। তারপরে উত্তেজনা ছড়ালে তাঁকে গুলি করা হয়। ঘটনায় আহত হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী মায়া ভৌমিক সরকারও। 

    তুফানগঞ্জে তৃণমূলের বুথ চেয়ারম্যানকে খুনের অভিযোগ ঘিরে শোরগোল এলাকায়। শুক্রবার রাতে গণেশ সরকারের (৫০) রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। গণেশ কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের রামপুরের ৯/৬৪ নম্বর বুথের চেয়ারম্যান ছিলেন। স্থানীয় টোটো ইউনিয়নের সভাপতিও ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।

    দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকে গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হল দিনহাটা হাসপাতালে। মৃতের নাম চিরঞ্জিত কার্জি। শনিবার সকালে দিনহাটার কালীরপাট গ্রামে ভোট ঘিরে তুমুল অশান্তি শুরু হয়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বুথে ঢুকে তাণ্ডব শুরু করে। বাধা দেওয়ায় বিজেপি কর্মীদের উপর চড়াও হয় তারা। বুথের মধ্যেই গুলি চলে। মারা যান চিরঞ্জিত। গুলিবিদ্ধ রাধিকা বর্মন নামে আরেক বিজেপি কর্মী।

    দক্ষিণ দিনাজপুর

    ভোট চলাকালীন বুথের মধ্যেই খুন হলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর-১ ব্লকের চাকুলিয়া থানার ২ নম্বর বিদ্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেবরা গ্রামের ১৯২ বুথে। কংগ্রেস ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হন মহম্মদ শাহেনশা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়েন তিনি। পরে, হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।

    মুর্শিদাবাদ

    বেলডাঙায় ভোট (Panchayat Elections 2023) হিংসার বলি হন তৃণমূলের কর্মী বাবর আলি (৪০)। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা থানার অন্তর্গত কাপাসডাঙা ষষ্ঠীতলা এলাকায়।  শুক্রবার সন্ধেয় বেলডাঙা কাপাসডাঙ্গা এলাকায় বাড়ির সামনে বসে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন বাবর আলি। অভিযোগ, আচমকাই স্থানীয় কংগ্রেস নেতা শফিকুল শেখ ও মুরসালিম শেখের নেতৃত্বে কিছু দুষ্কৃতী বাবরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। রক্তাক্ত অবস্থায় বাবরকে উদ্ধার করে বেলডাঙা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

    রেজিনগরে তৃণমূল কর্মীকে বোমা মেরে খুন করার অভিযোগ। শনিবার সকালে রেজিনগর থানার নাজিরপুরে মৃত্যু হয়েছে ইয়াসিন শেখ নামে এক শাসকদলের কর্মীর। অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে ইয়াসিনের। নিহত ওই ব্যক্তি স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থী কবিতা বিবির আত্মীয়। অভিযোগ, গভীর রাতে ওই এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয়। বাড়ির ছাদ থেকে বোমা ছোড়া হয়। সেই বোমা ফেটেই নিহত হন ইয়াসিন শেখ। 

    খড়গ্রামেও একটি ফাঁকা জমি থেকে শনিবার সকালে তৃণমূল কর্মী সাত্তারউদ্দিন শেখের দেহ উদ্ধার হয়। খড়গ্রামের রতনপুরেই মনোনয়নের প্রথম দিন খুন হন কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখ। স্থানীয় সূত্রে খবর, সাত্তারউদ্দিনই সেই খুনের মূল অভিযুক্ত ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, সেই খুনের বদলা নেওয়ার জন্যই শনিবার ভোট শুরুর ঠিক আগে তৃণমূল কর্মী সাত্তারুদ্দিনকে খুন করা হয়েছে।

    বহরমপুরের নওদাতে কংগ্রেস কর্মীকে মারধর বুথের সামনে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

    লালগোলায় বুথে সংঘর্ষ হয় বাম-তৃণমূলের। সেই সংঘর্ষে মৃত্যু হয় বাম সমর্থকের। একটি বুথে শাসকদলের কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে সিপিএমের। ভোট দিতে এসে সেই সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান রওশন আলি নামে ওই সিপিএম সমর্থক। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।

    মালদা

    মানিকচকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের এক কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। দাবি, কংগ্রেসের হামলায় নিহত হয়েছেন তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি মহম্মদ নাসিরের কাকা শেখ মালেক। পায়ে গুলি লেগে আহত হয়েছেন নাসিরও।

    নদিয়া

    চাপড়ার কল্যাণদহে এক তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। শাসক দলের দাবি, দলবদ্ধ ভাবে ভোট দিতে যাওয়ার সময় তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালান কংগ্রেস কর্মী সমর্থকেরা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। আমজাদ হোসেন নামে এক তৃণমূল কর্মীকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

    উত্তর ২৪ পরগনা

    বারাসত-১ ব্লকের কদম্বগাছিতে এক নির্দল প্রার্থীর সমর্থককে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। আবদুল্লা আলি নামে এক নির্দল প্রার্থীকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। বয়স ৪১ বছর৷ অভিযোগের আঙুল উঠেছে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ভোটের আগের দিন রাতে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। গভীর রাতে তাঁকে বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

    দক্ষিণ ২৪ পরগনা

    ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে আচমকা ছোড়া বোমার আঘাতে মৃত্যু হল এক তৃণমূল কর্মীর। শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে। নিহতের নাম আনিসুল ওস্তাগর। তিনি স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থীর আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে। ওই ঘটনায় বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় নির্দল প্রার্থীর দলবলের বিরুদ্ধে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। 

    পূর্ব বর্ধমান

    কাটোয়ায় খুন হয়েছেন তৃণমূল কর্মী গৌতম রায়। অভিযোগ, সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলার নেপথ্যে। অভিযোগ, কাটোয়ার সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বুথের (Panchayat Elections 2023) বাইরে বার করে এনে পিটিয়ে খুন করা হয় গৌতমকে। 

    আউশগ্রামে তৃণমূল ও সিপিএম সংঘর্ষে এক সিপিএম কর্মী নিহত হন (Bengal Poll Violence)৷ মৃতের নাম রাজিবুল হক৷ গতকাল পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের অমরপুর পঞ্চায়েতের বিষ্ণুপুরে ভোটকর্মীদের সামনেই দুই গোষ্ঠীর বচসা শুরু হয়৷ এরপর তা মারামারিতে পৌঁছয়৷ এই ঘটনায় দু’পক্ষের চারজন আহত হয়েছেন৷ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: ভোটের সকালে খুন ৫, আগের রাতে আরও ৩, রাজ্যে ভোট-হিংসার বলি ২৬

    Panchayat Elections 2023: ভোটের সকালে খুন ৫, আগের রাতে আরও ৩, রাজ্যে ভোট-হিংসার বলি ২৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কা ছিলই। সেটাই সত্যি হল। ভোটের (Panchayat Elections 2023) সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজনৈতিক হিংসার (Bengal Poll Violence) খবর আসতে শুরু করেছে। উত্তর হোক বা দক্ষিণ— রাজ্যের সর্বত্র রক্ত ঝরেছে। বিভিন্ন প্রান্তে মৃত্যু হয়েছে। শাসক হোক বা বিরোধী— সব দল, সব রঙের কর্মী-সমর্থকরা এই হিংসার শিকার হয়েছেন। কোচবিহার থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদা থেকে মুর্শিদাবাদ— বিভিন্ন জেলা থেকে আসছে মৃত্যুর খবর। শুক্রবার রাত থেকে মুর্শিদাবাদে তিন জন খুন হয়েছেন। কোচবিহারে মারা গিয়েছেন ২ জন। শুক্রবার সন্ধে পর্যন্ত রাজ্যে ভোট-পূর্ববর্তী হিংসার বলি হয়েছিলেন ১৮ জন। শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৬। সেটাও খাতায়-কলমে। 

    কোচবিহার:

    কোচবিহার-১ নম্বর ব্লকের ফলিমারী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপি পোলিং এজেন্ট মাধব বিশ্বাসকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। বুথ কেন্দ্রে ঢুকতে যাওয়ার সময় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। তারপরে উত্তেজনা ছড়ালে তাঁকে গুলি (Bengal Poll Violence) করা হয়। ঘটনায় আহত হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী মায়া ভৌমিক সরকারও। আরও পড়ুন: কোচবিহারে বুথে বোমাবাজি, বিজেপির পোলিং এজেন্ট খুন, মালদায় খুন তৃণমূল কর্মী

    তুফানগঞ্জে তৃণমূলের বুথ চেয়ারম্যানকে খুনের অভিযোগ ঘিরে শোরগোল এলাকায়। শুক্রবার রাতে গণেশ সরকারের (৫০) রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। গণেশ কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের রামপুরের ৯/৬৪ নম্বর বুথের চেয়ারম্যান ছিলেন। স্থানীয় টোটো ইউনিয়নের সভাপতিও ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।

    মুর্শিদাবাদ:

    বেলডাঙায় ভোট হিংসার (Panchayat Elections 2023) বলি হন তৃণমূলের কর্মী বাবর আলি (৪০)। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা থানার অন্তর্গত কাপাসডাঙা ষষ্ঠীতলা এলাকায়।  শুক্রবার সন্ধেয় বেলডাঙা কাপাসডাঙ্গা এলাকায় বাড়ির সামনে বসে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন বাবর আলি। অভিযোগ, আচমকাই স্থানীয় কংগ্রেস নেতা শফিকুল শেখ ও মুরসালিম শেখের নেতৃত্বে কিছু দুষ্কৃতী বাবরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। রক্তাক্ত অবস্থায় বাবরকে উদ্ধার করে বেলডাঙা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

    রেজিনগরে তৃণমূল কর্মীকে বোমা মেরে খুন করার অভিযোগ। শনিবার সকালে রেজিনগর থানার নাজিরপুরে মৃত্যু হয়েছে ইয়াসিন শেখ নামে এক শাসকদলের কর্মীর। অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমের আঘাতে (Bengal Poll Violence) মৃত্যু হয়েছে ইয়াসিনের। নিহত ওই ব্যক্তি স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থী কবিতা বিবির আত্মীয়। অভিযোগ, গভীর রাতে ওই এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয়। বাড়ির ছাদ থেকে বোমা ছোড়া হয়। সেই বোমা ফেটেই নিহত হন ইয়াসিন শেখ। 

    খড়গ্রামেও একটি ফাঁকা জমি থেকে শনিবার সকালে তৃণমূল কর্মী সাত্তারউদ্দিন শেখের দেহ উদ্ধার হয়। খড়গ্রামের রতনপুরেই মনোনয়নের প্রথম দিন খুন হন কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখ। স্থানীয় সূত্রে খবর, সাত্তারউদ্দিনই সেই খুনের মূল অভিযুক্ত ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, সেই খুনের বদলা নেওয়ার জন্যই শনিবার ভোট শুরুর ঠিক আগে তৃণমূল কর্মী সাত্তারুদ্দিনকে খুন করা হয়েছে।

    মালদা:

    মানিকচকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত (Panchayat Elections 2023) এলাকায় তৃণমূলের এক কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। দাবি, কংগ্রেসের হামলায় নিহত হয়েছেন তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি মহম্মদ নাসিরের কাকা শেখ মালেক। পায়ে গুলি লেগে আহত হয়েছেন নাসিরও।

    নদিয়া:

    চাপড়ার কল্যাণদহে এক তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। শাসক দলের দাবি, দলবদ্ধ ভাবে ভোট দিতে যাওয়ার সময় তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালান কংগ্রেস কর্মী সমর্থকেরা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালানো (Bengal Poll Violence) হয় বলে অভিযোগ। আমজাদ হোসেন নামে এক তৃণমূল কর্মীকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

    উত্তর ২৪ পরগনা:

    বারাসত-১ ব্লকের কদম্বগাছিতে এক নির্দল প্রার্থীর সমর্থককে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। আবদুল্লা আলি নামে এক নির্দল প্রার্থীকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। বয়স ৪১ বছর৷ অভিযোগের আঙুল উঠেছে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ভোটের (Panchayat Elections 2023) আগের দিন রাতে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। গভীর রাতে তাঁকে বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। আরও পড়ুন: নির্দল কর্মীকে কুপিয়ে খুন, প্রতিবাদে রণক্ষেত্র কদম্বগাছি, খড়গ্রামে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share