Tag: news in bengali

news in bengali

  • Panchayat Election 2023: মাত্র ৪ ঘণ্টায় তৃণমূলের ৪০ হাজার মনোনয়ন কীভাবে সম্ভব? প্রশ্ন সুকান্তর

    Panchayat Election 2023: মাত্র ৪ ঘণ্টায় তৃণমূলের ৪০ হাজার মনোনয়ন কীভাবে সম্ভব? প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় শুরু হওয়া থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই ঘটেছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। বোমা-গুলিতে ঝরে গিয়েছে বহু প্রাণ। অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এরই মধ্যে  নির্ধারিত সময় শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টেয়। তবে, হাইকোর্টের নির্দেশে শুক্রবারও কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে মনোনয়ন জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলেছে (West Bengal Panchayat Election)।

     কমিশনের তথ্য কী বলছে?

    কমিশনের পেশ করা তথ্য অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের শেষ দু’দিন, অর্থাৎ, বুধ ও বৃহস্পতিবার, সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন জমা দিয়েছে শাসকদল। রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে হিসাব দিয়েছে তাতে শেষ দু’দিনে তৃণমূল জমা দিয়েছে ৭৬,৪৮৯টি। মনোনয়ন (Panchayat Election 2023) শুরু হয় গত শুক্রবার। রবিবার মনোনয়ন বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার রাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে হিসাব দেয় তাতে তৃণমূল জমা দিয়েছিল ৯,৩২৮টি। সেটাই বুধবার হয়ে যায় ৪৯,৪৯১। আর বৃহস্পতিবার দিনের শেষে সেই সংখ্যা হয়ে যায় ৮৫,৮১৭। অর্থাৎ, শেষ দু’দিনে তৃণমূল জমা দিয়েছে ৭৬,৪৮৯টি।

    পরিসংখ্যান হাতিয়ার বিজেপির

    রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যানকে হাতিয়ার করে কমিশন ও শাসক দলকে একত্রে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। চার ঘণ্টায় কি আদৌ ৪০ হাজার মনোনয়ন জমা দেওয়া সম্ভব? সেটাই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা। এদিন পরিসংখ্যানের ছবি ট্যুইট করে সুকান্ত মজুমদার লেখেন, ‘‘মাত্র ৪ ঘণ্টায় তৃণমূলের ৪০ হাজার মনোনয়ন জমা পড়েছে। অর্থাৎ, প্রতি দু’মিনিটে তৃণমূলের একটি করে মনোনয়ন জমা পড়েছে।’’ বিজেপি সাংসদের কটাক্ষ, ‘‘গণতন্ত্রকে পরিহাসে পরিণত করেছে রাজ্য সরকার।’’

    আরও পড়ুন: মনোনয়নে হিংসা ‘প্রশাসনিক ব্যর্থতা’! রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব আদালতের

    ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট

    রাজ্যের ২২টি জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) হবে আগামী ৮ জুলাই। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট হবে ২০টি জেলায়। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের প্রার্থী নির্বাচনে জন্য ভোট হবে ২০টি জেলায়। দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনে তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা ৩ হাজার ৩১৭টি, পঞ্চায়েত সমিতি ৩৪১টি এবং জেলা পরিষদের সংখ্যা ২০টি। ৩১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন রয়েছে ৬৩ হাজার ২২৯। ৩৪১টি পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন রয়েছে ৯ হাজার ৭৩০টি। অন্যদিকে, রাজ্যের ২০টি জেলা পরিষদে মোট আসন রয়েছে ৯২৮টি। অর্থাৎ, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ মিলিয়ে রাজ্যে মোট ৭৩,৮৮৭ আসনে ভোট হওয়ার কথা।

    আসনের চেয়ে ১২ হাজার মনোনয়ন বেশি তৃণমূলের!

    রাজ্য নির্বাচন কমিশন (West Bengal Panchayat Election) যে তথ্য শুক্রবার দুপুরে প্রকাশ করেছে, সেই অনুযায়ী তৃণমূলের প্রার্থী হতে মনোনয়ন জমা পড়েছে ৮৫,৮১৭টি। অর্থাৎ, ১১,৯৩০টি মনোনয়ন বেশি জমা পড়েছে। বিজেপির মনোনয়ন ৫৬,৩২১টি। এর পরেই সিপিএম ৪৮,৬৪৬। কংগ্রেস জমা দিয়েছে ১৭,৭৫০টি মনোনয়ন। মোট নির্দল প্রার্থী ১৬,২৯৩ এবং অন্যান্যদের ১১,৬৩৭টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। সব মিলিয়ে আপাতত মোট মনোনয়ন জমা পড়েছে ২,৩৬,৪৬৪টি।

    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মনোনয়ন অস্বাভাবিক কিছু নয়। অনেক সময়েই একই দলের একাধিক মনোনয়ন একটি আসনের জন্য জমা পড়ে। পরে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। শনিবার মনোনয়নের স্ক্রুটিনি। তাতে কিছু মনোনয়ন বাতিল হতে পারে। এর পরে ২০ জুন মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এর পরেই জানা যাবে কোন দলের কত প্রার্থী ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) কোন স্তরে লড়ছে।

    আরও পড়ুন: এবার শুরু মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি! কাঠগড়ায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Report: উত্তরে বন্যা সতর্কতা, অসহ্য গরমে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ! কবে আসবে বৃষ্টি?

    Weather Report: উত্তরে বন্যা সতর্কতা, অসহ্য গরমে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ! কবে আসবে বৃষ্টি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে (West Bengal Weather)। বর্ষা রাজ্যে ঢুকে গেলেও এদিকে বৃষ্টির কোনও দেখা নেই। এখনও একাধিক জেলায় জারি তাপপ্রবাহের সতর্কতা। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে (Weather Report), চরম অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে আরও নাকি দু’দিন! অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। রয়েছে বন্যার সতর্কতাও! সব মিলিয়ে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় জর্জরিত রাজ্যবাসী।

    গরমে নাজেহাল কলকাতাবাসী

    শহর কলকাতায় গত কয়েকদিন ধরেই ভ্যাপসা গরম। সকাল ৭টায় রোদের যা তেজ, মনে হচ্ছে যেন ১১টা বেজে গিয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বাড়ছে গরমের প্রকোপ। সেই সঙ্গে বাড়ছে অস্বস্তি। কলকাতা শহরে আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৩ ডিগ্রি, বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৫৫ থেকে ৯০ শতাংশ (Weather Report)।

    তাপপ্রবাহের সতর্কতা দক্ষিণে

    প্রায় একই অবস্থা গোটা দক্ষিণবঙ্গেই। পশ্চিমের কয়েকটি জেলায় এখনও জারি রয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর (West Bengal Weather) সূত্রে খবর, রবিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। বাকি জেলাতেও চরম অস্বস্তিকর আবহাওয়া গরম বাড়বে। শনি ও রবিবার অস্বস্তি আরও চরমে উঠবে।

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Report) সূত্রে খবর, শুক্র ও শনিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির বেশি সম্ভাবনা মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এবং বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। বাকি জেলাতেও হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। তবে, একইসঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বৃষ্টি হলেও অস্বস্তি পিছু ছাড়বে না। আগামী কয়েকদিন স্বাভাবিকের তুলনায় চার-পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি দিন ও রাতের তাপমাত্রা, সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে।

    আরও পড়ুন: রাতভর গুজরাটে তাণ্ডব চালিয়ে এবার রাজস্থানে

    কোথায় আটকে বর্ষা?

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে এমন গলদঘর্ম দশা চলবে আরও কয়েকদিন। শুক্র-শনিতেও অস্বস্তিকর গরম বজায় থাকবে। কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। রবিবার পর্যন্ত আবহাওয়ার তেমন বদল ঘটবে না (Weather Report)। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, মালদহের উপর থমকে দাঁড়িয়ে রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। রবিবার থেকে বুধবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে ঢুকবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। অর্থাৎ, বর্ষার দেখা পেতে পেতে সেই সোমবার। ততদিন পর্যন্ত এই ঘর্মাক্ত ভ্যাপসা গরম সহ্য করতে হবে দক্ষিণবঙ্গবাসীকে। আগামী ১৯ থেকে ২১ জুনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বর্ষা ঢুকে যাবে বলে ধারণা আবহবিদদের।

    উলটপূরাণ উত্তরে

    এদিকে, দক্ষিণের একেবারে বিপরীত ছবি উত্তরবঙ্গে। দক্ষিণে যেখানে হাঁসফাঁস পরিস্থিতি, সেখানে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Report) রয়েছে। এমনকি, জারি হয়েছে বন্যা-ধসের সতর্কতাও। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গে আরও চার-পাঁচ দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। শনিবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গের সব জেলাতে। 

    ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির সতর্কতা কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির কিছু অংশে। পার্বত্য এলাকার দুই জেলা দার্জিলিং ও কালিম্পঙে টানা বৃষ্টির জেরে ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে। একটানা ভারী বৃষ্টির জেরে উত্তরবঙ্গের নিচু এলাকাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে (West Bengal Weather)। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Terrorists Killed: জম্মুতে বড় সাফল্য বাহিনীর, এনকাউন্টারে খতম ৫ বিদেশি জঙ্গি

    Terrorists Killed: জম্মুতে বড় সাফল্য বাহিনীর, এনকাউন্টারে খতম ৫ বিদেশি জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি দমন (Terrorists Killed) অভিযানে জম্মু কাশ্মীরে বড় সাফল্য। সীমান্তের ওপার থেকে অনুপ্রবেশের বড়সড় ছক ভেস্তে দিল নিরাপত্তাবাহিনী। শুক্রবার সকালে জম্মু–কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয়েছে পাঁচ বিদেশি জঙ্গি। 

    অনুপ্রবেশ করার সময় সংঘর্ষ

    জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে বাহিনীর কাছে খবর এসে পৌঁছয় যে, জুমাগুন্ড দিয়ে বিদেশি জঙ্গিদের একটি দল ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে। সঙ্গে সঙ্গে তৎপর বাহিনী সেখানে ফোর্স পাঠিয়ে দেয়। ভারতীয় সেনা ও কাশ্মীর পুলিশকে নিয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী সেখানে গিয়ে তল্লাশি শুরু করে। বাহিনীকে দেখেই, আচমকা গুলিবর্ষণ শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। ভোর বেলা শুরু হওয়া এনকাউন্টারে দুপক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে সংঘর্ষ চলার পর বাহিনীর গুলিতে ৫ বিদেশি জঙ্গি খতম (Terrorists Killed) হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর অনুমান, এলাকায় আরও অনেক জঙ্গি লুকিয়ে থাকতে পারে। তাদের সন্ধানে চলছে সেনার তল্লাশি অভিযান।

    কী জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ?

    জঙ্গি নিধনের খবর নিশ্চিত করেছে কাশ্মীর জোন পুলিশ। এদিন সকালে কাশ্মীর জোন পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ট্যুইটে জানানো হয়, ‌কুপওয়ারা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার সকালে কুপওয়ারা জেলার নিয়ন্ত্রণরেখার অবস্থিত জুমাগুন্ড এলাকায় অভিযান চালিয়েছিল সেনা ও পুলিশের একটি যৌথ বাহিনী। এডিজিপি কাশ্মীর বিজয় কুমার এনকাউন্টারে পাঁচ বিদেশি জঙ্গি নিহত  (Terrorists Killed) হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তল্লাশি অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    চলতি মাসে আরও সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ

    এর আগে, গত ১৩ জুন পাক-সীমান্ত এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে দুই জঙ্গি নিধন হয়েছিল। কুপওয়ারা জেলার মাচিল সেক্টরে (এলওসি) সেনা এবং পুলিশের যৌথ অভিযানে দুই জঙ্গিকে খতম হয়। তার আগে, ২ জুন জম্মু কাশ্মীরের রাজৌরি জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে একজন জঙ্গি খতম (Terrorists Killed) হয়। রাজৌরির কাছে দাসাল গুজরানের বনাঞ্চলে সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করার পরে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের যৌথ বাহিনী অভিযান চালায়। তার একদিন আগেই, অর্থাৎ ১ জুন, নিরাপত্তা বাহিনী জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলায় দুই লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এবং তাদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। 

    আরও পড়ুন: মোদির সফরের আগেই মার্কিন ঘাতক প্রিডেটর ড্রোন কেনায় সম্মতি ভারতের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Biparjoy: রাতভর গুজরাটে তাণ্ডব চালিয়ে এবার রাজস্থানে ‘বিপর্যয়’

    Cyclone Biparjoy: রাতভর গুজরাটে তাণ্ডব চালিয়ে এবার রাজস্থানে ‘বিপর্যয়’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে রাতভর তাণ্ডব চালিয়ে এবার রাজস্থানের দিকে এগিয়ে চলল ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ (Cyclone Biparjoy)। 

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে গুজরাটের সৌরাষ্ট্রে ল্যান্ডফল করে ‘বিপর্যয়’। সেই সময় তার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১০-১১৫ কিমি। ঝোড়ো হাওয়ার গতি ছিল ঘণ্টাপ্রতি প্রায় ১২০ কিমির কাছাকাছি। সারা রাত ধরে গুজরাটে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে ‘বিপর্যয়’। ভাবনগরে মারা গেছেন অন্তত ২ জন। আহতের সংখ্যা কম করে ২২। মারা গিয়েছে ২৩টি পশুও। 

    ‘বিপর্যয়’-এ লন্ডভন্ড গুজরাট

    প্রশাসন পুরোদমে প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল। প্রায় এক লাখ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদ দূরত্বে। তাই হতাহতের সংখ্যা অনেকটাই আটকানো সম্ভব হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, প্রকৃতির বিস্তর ক্ষতি করেছে ‘বিপর্যয়’ (Cyclone Biparjoy)। ঝড়ের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড দ্বারকা, সৌরাষ্ট্র, পোরবন্দর, কচ্ছ উপকূল চত্বর। গুজরাটে ৫২৪টিরও বেশি গাছ এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে গিয়েছে। ৯৪০টি গ্রাম এখন বিদ্যুৎহীন। সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ উপকূলে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। কচ্ছ এবং মাণ্ডভি উপকূলেও এখনও প্রবল বৃষ্টি চলেছে। সমুদ্রের প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছে কচ্ছ উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রবল বৃষ্টি এবং ঝড়ের দাপটে জামনগরে একের পর এক গাছ উপড়োতে শুরু করে। সেই সঙ্গে জামনগরে প্রচুর ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে খবর।

    আরও পড়ুন: অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে সৌরাষ্ট্রে আছড়ে পড়ল বিপর্যয়! ১লক্ষ মানুষকে স্থানান্তর

    রাজস্থানের পথে ‘বিপর্যয়’

    তবে, গতকাল রাতে ল্যান্ডফলের পর কিছুটা শক্তি হারিয়ে বর্তমানে অতি প্রবল থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘বিপর্যয়’। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার বিকেলে আরও শক্তিক্ষয় করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে ‘বিপর্যয়’ (Cyclone Biparjoy)। ঝড়ের গতিবেগ নেমে আসবে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। ফলে, রাজস্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুক্রবার এবং শনিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে যোধপুর এবং উদয়পুরেও।

    ভারী বৃষ্টির সতর্কতা 

    শুক্রবার জয়সলমের, বারমের, জালোর এবং যোধপুরে এবং শনিবার যোধপুর, উদয়পুর এবং আজমেরে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে শক্তিশালী ঝড়ের সম্ভাবনাও রয়েছে। ইতিমধ্যেই মুখ্য সচিব, ডিজিপি এবং আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তিনি জানিয়েছেন, ‘বিপর্যয়’-এর (Cyclone Biparjoy) মোকাবিলা করার জন্য তৈরি রাজস্থান।

    বাতিল প্রায় ১০০ ট্রেন

    এদিকে, রেল সূত্রে খবর, যাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বাতিল করা হল ৯৯টা ট্রেন। এছাড়াও ৩৯টি ট্রেনের রাস্তা ঘুরিয়ে ও ছোট করে দেওয়া হয়েছে, নতুনভাবে যাত্রাপথ তৈরি করা হয়েছে ৩৮টি ট্রেনের। রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যাত্রীসুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • MQ-9 Predator Drone: মোদির সফরের আগেই মার্কিন ঘাতক প্রিডেটর ড্রোন কেনায় সম্মতি ভারতের

    MQ-9 Predator Drone: মোদির সফরের আগেই মার্কিন ঘাতক প্রিডেটর ড্রোন কেনায় সম্মতি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসেই প্রথমবার সরকারি আমন্ত্রণে মার্কিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঠিক তার আগে, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার। আমেরিকা থেকে ঘাতক ড্রোন (MQ-9 Predator Drone) কেনার বিষয়ে বৃহস্পতিবার অনুমোদন দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। 

    অপেক্ষা শুধু সিসিএস-এর চূড়ান্ত অনুমোদনের

    সূত্রের খবর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল (ডিএসি) বা প্রতিরক্ষা সামগ্রী ক্রয় পর্ষদ, যারা সামরিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম কেনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়, তারা এদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এমকিউ-৯ রিপার সিরিজের ‘প্রিডেটর’ ড্রোন (MQ-9 Predator Drone) কেনার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। এরপর বিষয়টি ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটির (সিসিএস) সামনে পেশ করা হবে। তারা চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেই নির্মাতাদের কাছে বরাত পেশ করতে পারবে ভারত।

    ৫০ হাজার ফুট উচ্চতা থেকেও লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত

    সূত্রের খবর, ভারত যে ড্রোনটি কিনতে চলেছে, তা হল এই প্রিডেটর সিরিজের এমকিউ-৯বি ‘সি-গার্ডিয়ান’ ড্রোন (MQ-9B Sea Guardian)। প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছে, ৩০টি ড্রোন কেনা হবে, যার মধ্যে ১৫টি নেবে নৌসেনা। হতে পারে পরবর্তীকালে, প্রয়োজনে সংখ্যা বাড়ানো হবে। আত্যাধুনিক এই ড্রোন কিনতে খরচ হবে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। এই ড্রোন তৈরি করেছে মার্কিন সংস্থা জেনারেল অ্যাটোমিক্স। হানাদার এই ড্রোনগুলি ৫০ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম। টানা ৩০ ঘণ্টা এটি উড়তে পারে। বহন ক্ষমতা সর্বোচ্চ ১৭৪৬ কেজি। ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার গতিতে উড়ে পারে এই ড্রোনটি।

    চাপে বাড়বে চিন-পাকিস্তানের

    আমেরিকার তৈরি ঘাতক ড্রোন (MQ-9 Predator Drone) ভারতের হাতে এলে প্রবল চাপে পড়ে যাবে পাকিস্তান ও চিন। কারণ, এর ফলে, সামুদ্রিক হোক বা পার্বত্য— যে কোনও ধরনের ভূমি ও পরিবেশে শত্রুর ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখতে পারবে ভারত। বর্তমানে, এই সিরিজের ২টি ড্রোন ভারতীয় নৌসেনা লিজ নিয়ে ব্যবহার করছে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা জাহাজের উপস্থিতি ও তার ওপর নজর রাখার পাশাপাশি সমুদ্রে জলদস্যুদের ওপরও নজর রাখতে সাহায্য করে এই ড্রোন। 

    আরও পড়ুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে তৎপর আইন কমিশন

    বিশ্বে ঘাতক ‘প্রিডেটর’ হিসেবে পরিচিত এই ড্রোন

    এই ড্রোনের হামলায় খতম হয়েছিল তালিবান নেতা মোল্লা ওমর কিংবা বায়তুল্লা মেসুদ। আল কায়দা প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরিকেও হত্যার সময় এই ড্রোন (MQ-9 Predator Drone) ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই সয়ম প্রিডেটর ড্রোন থেকে ‘হেলফায়ার’ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা খতম করা হয়েছিল জাওয়াহিরিকে। ভারতকে সেই মিসাইল আগেই দিতে রাজি হয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এই ড্রোনের মাধ্যমে সীমান্ত নজরদারি যেমন সম্ভব হবে, তেমনি জঙ্গি ঘাঁটি ওড়াতেও ব্যবহার করা যাবে। লাদাখে চিনা আগ্রাসনের সময় এই অত্যাধুনিক ড্রোন কেনার পরিকল্পনা নিয়েছিল নয়াদিল্লি। ন্যাটোভুক্ত দেশ না হয়েও ভারতই একমাত্র দেশ, যারা এমকিউ-৯ রিপার সিরিজের ড্রোন পেতে চলেছে।

    প্রথমবার সরকারি আমন্ত্রণে মার্কিন মুলুকে মোদি

    আগামী ২১ জুন চারদিনের সফরে আমেরিকা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমন্ত্রণে নমোর এটি তৃতীয়বার মার্কিন সফর। এই প্রথমবার সরকারি আমন্ত্রণে মোদি মার্কিন মুলুকে যাচ্ছেন। হোয়াইট হাউসে তিনি সরকারি নৈশভোজে অংশ নেবেন। সম্ভবত, ক্যাপিটলে তিনি ভাষণও দেবেন। সম্প্রতি, হোয়াইট হাউসের তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, মোদির এই মার্কিন সফর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। এদিন মার্কিন ঘাতক ড্রোন (MQ-9 Predator Drone) কেনার বিষয়ে অনুমোদন দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফরের মুখে এই সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Biparjoy: ধেয়ে আসছে ‘বিপর্যয়’! ১৩০ কিমি গতিবেগে আজ সন্ধ্যায় ল্যান্ডফল গুজরাটে

    Cyclone Biparjoy: ধেয়ে আসছে ‘বিপর্যয়’! ১৩০ কিমি গতিবেগে আজ সন্ধ্যায় ল্যান্ডফল গুজরাটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটের দুয়ারে ‘বিপর্যয়’! আজ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুজরাটের উপকূলবর্তী এলাকায় ল্যান্ডফল করতে চলেছে আরব সাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Biparjoy)। মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসাবে গুজরাটের কচ্ছের জাখুয়া বন্দরের কাছে আছড়ে পড়বে ‘বিপর্যয়’। ল্যান্ডফলের সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার থাকতে পারে।

    কোথায় তাণ্ডব চালাবে ‘বিপর্যয়’? 

    আরব সাগরের উপরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Biparjoy) প্রভাবে গতকাল বিকেল থেকেই গুজরাটের কচ্ছ ও সৌরাষ্ট্র উপকূলে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় যত স্থলভাগের দিকে অগ্রসর হবে, ততই ঝড়-বৃষ্টির দাপট বৃদ্ধি পাবে। আশঙ্কা রয়েছে গুজরাটের মাণ্ডবি থেকে পাকিস্তানের করাচি পর্যন্ত ৩২৫ কিলোমিটার এলাকা তোলপাড় করতে পারে বিপর্যয়।

    সরানো হয়েছে ৭৪ হাজার মানুষকে

    সৌরাষ্ট্র, দ্বারকা ও কচ্ছ উপকূলে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। গুজরাটের ৭৫টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সৈকতে পর্যটকদের নামার ক্ষেত্রে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। গুজরাটের উপকূলবর্তী জেলাগুলির মধ্যে কচ্ছ, দ্বারকা, মোরবি, রাজকোট ও পোরবন্দরে ঝড়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি থাকবে বলে সতর্ক করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই গুজরাটের বিভিন্ন উপকূল থেকে ৭৪ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রায় ২৫ হাজার মানুষকে কচ্ছের বিভিন্ন জায়গার আশ্রয় শিবিরে রাখা হয়েছে। অন্যদের রাখা হয়েছে জুনাগড়, জামনগর, পোরবন্দর, মোরবি, দ্বারকা ও রাজকোটের আশ্রয় শিবিরে।

    আরও পড়ুন: আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’! গুজরাটে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা

    ‘বিপর্যয়’ মোকাবিলায় প্রস্তুতি

    পরিস্থিতি মোকাবিলায় (Cyclone Biparjoy) তৈরি রাখা হয়েছে সেনা ও বিভিন্ন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। গুজরাটের ত্রাণ কমিশনার অলোক কুমার পাণ্ডে জানান, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৫টি দল, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১২টি দল, রোড অ্যান্ড বিল্ডিং বিভাগের ১১৫টি দল ও রাজ্য বিদ্যুৎ বিভাগের ৩৯৭টি দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিভিন্ন উপকূলবর্তী এলাকায় তাদের মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি ৩৩টি এনডিআরএফের দলকে গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে উদ্ধারকাজের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই দলগুলির প্রত্যেকটিতে প্রায় ৩৫-৪০ জন কর্মী রয়েছে এবং তাঁদের কাছে গাছ এবং খুঁটি কাটার যন্ত্র, বৈদ্যুতিক করাত, লাইফবোট, প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে।

    অমিত শাহের সফর বাতিল

    কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ট্যুইট করে জানান, সেনা, নৌসেনা ও বায়ুসেনার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়ে। সেনা বাহিনী ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Biparjoy) মোকাবিলা ও উদ্ধারকাজে সবরকমের সাহায্য করতে প্রস্তুত। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত বিএসএফ-ও। আন্তর্জাতিক সীমান্তে  অন্যদিকে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলও ১৬৪টি উপকূলবর্তী গ্রামে উদ্ধারকাজের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন। গোটা ঘটনার উপরে নজর রাখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি তাঁর তেলঙ্গানা সফর বাতিল করেছেন। ১৫ জুন খাম্মামে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রস্তাবিত জনসভা স্থগিত করা হয়েছে বলে তেলঙ্গানা বিজেপির সভাপতি বান্দি সঞ্জয় বুধবার ঘোষণা করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistanis in Indian Army: বারাকপুরের সেনা ছাউনিতে কাজ করছে ২ পাক নাগরিক! অভিযোগে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

    Pakistanis in Indian Army: বারাকপুরের সেনা ছাউনিতে কাজ করছে ২ পাক নাগরিক! অভিযোগে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনার (Indian Army) গোপন খবরাখবর পেতে সামরিক বাহিনীর একাধিক অফিসার ও কর্মীর জন্য ‘হানি ট্র্যাপ’ পেতেছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই— এমন খবর প্রায়ই শোনা যায়। বিভিন্ন সময়ে শত্রুর পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ধরাও পড়েছেন একাধিক সামরিক কর্মী। 

    কিন্তু, কোনও পাকিস্তানি নাগরিক ভারতীয় সেনা কর্মী হিসেবে ভারতে কর্মরত, এমন অভিযোগ আগে ওঠেনি। আগেও, আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল যে ভারতীয় সেনায় লোক ঢোকানোর চেষ্টা করছে আইএসআই, কিন্তু নির্দিষ্ট তথ্য মেলেনি। তবে, এবার শুধু দাবি-অভিযোগ উঠল তা নয়। দুই সেনা কর্মীর নামও উঠে এল, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা আদতে পাকিস্তানি নাগরিক। 

    অভিযোগ উঠেছে, নাম বদলে ভুয়ো পরিচয়, শংসাপত্র তৈরি করে সেনায় যোগ দিয়েছে (Pakistanis in Indian Army)। এখানেই শেষ নয়। আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে, এই চক্রে জড়িয়ে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তা থেকে শুরু করে সামরিক বাহিনীর একাংশও! গোটা ঘটনায় রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    চলতি মাসের ৬ তারিখ হুগলির মগরার বাসিন্দা বিষ্ণু চৌধুরী হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, বারাকপুরের সেনা ছাউনিতে দু’জন পাকিস্তানি নাগরিক কর্মরত রয়েছেন (Pakistanis in Indian Army)। ওই দুজনের একজনের নাম জয়কান্ত কুমার এবং অন্যজন প্রদ্যুম্ন কুমার বলে দাবি করেন মামলাকারী। তাঁর অভিযোগ, পাকিস্তান থেকে এসে তাঁরা ভারতীয় সেনায় যোগ দিয়েছেন। সরকারি পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের নিয়োগও হয়েছে। ওই পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় নথিপত্র জাল করে চাকরি পেয়েছেন তাঁরা। 

    মামলাকারীর দাবি, এই গোটা ঘটনার নেপথ্যে বড়সড় চক্র কাজ করছে। যাতে জড়িয়ে রয়েছে একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে শুরু করে স্থানীয় পুরনেতা। এছাড়া জড়িয়ে রয়েছে পুলিশ থেকে শুরু করে সেনারও একাংশ। মামলাকারীর দাবি, পুলিশ ও প্রভাবশালী ও সেনা বাহিনীতে কর্মরতরা এই নিয়োগে যুক্ত। ভুয়ো বাসস্থানের শংসাপত্র জোগাড় করে দিচ্ছে। একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিক জাল আবাসিক শংসাপত্র, জাতিগত শংসাপত্র বানিয়ে সহযোগিতা করছে। অভিযোগ, খড়দা থানা ও স্থানীয় কাউন্সিলরও তাদের চারিত্রিক সার্টিফিকেট দিয়েছে (Pakistanis in Indian Army)।

    আরও পড়ুন: ফের অসমে সক্রিয় আল কায়েদা! এনআইএ-এর জালে ৪

    কী বলছে কলকাতা হাইকোর্ট?

    এদিন মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। মামলাকারীর দাবি শুনে, বিষয়টিকে মারাত্মক অভিযোগ বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি। এর ফলে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে মন্তব্য করেন রাজাশেখর মান্থা। তাঁর পর্যবেক্ষণ, দেশের নিরাপত্তার প্রেক্ষিতে এই অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। আইএসআইয়ের চক্রান্তে ভারতীয় সেনায় পাকিস্তানের নাগরিকদের ঢোকানো অসম্ভব নয় (Pakistanis in Indian Army)।

    এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে অবিলম্বে সিআইডি-কে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আপাতত এই মামলা সংক্রান্ত অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখবে সিআইডি (Pakistanis in Indian Army)। একইসঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশ, সিবিআই ও কেন্দ্রকেও মামলায় যুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি, ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি)-কে ও মিলিটারি পুলিশকে মামলায় পার্টি করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। ২৬ জুন পরবর্তী শুনানি। পাশাপাশি মামলাকারী বিষ্ণু চৌধুরীকে প্রয়োজনে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Woman Kills Mother: রাগে মাকে খুন করে দেহ স্যুটকেসে ভরে থানায় মেয়ে, পুলিশ থ!

    Woman Kills Mother: রাগে মাকে খুন করে দেহ স্যুটকেসে ভরে থানায় মেয়ে, পুলিশ থ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায়ই মায়ে-ঝিয়ে ঝগড়া হতো। তাই রাগের বশে, মাকে মেরেই ফেলল মেয়ে। শুধু তাই নয়। এরপর যা কাণ্ড ঘটাল মেয়ে, তা শুনেই পিলে চমকে উঠবে। মায়ের নিথর দেহ স্যুটকেসে ভরে, সেটা নিয়ে সটান থানায় হাজির হলেন মেয়ে। সেই সময় থানায় উপস্থিত পুলিশকর্মীদের চোখ কপালে ওঠে। ঘটনা বেঙ্গালুরুর।

    হত্যার আগে মাকে ঘুমের ওষুধ

    সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। দক্ষিণ-পূর্ব বেঙ্গালুরুতে ফিজিওথেরাপিস্টের কাজ করতেন। বয়স প্রায় ৩৫ বছর। সাংসারিক বিষয় নিয়ে নিত্য সত্তরোর্ধ্ব মায়ের নিত্য ঝগড়া, ঝামেলা চলত। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবারও ঝগড়া শুরু হয় দু’জনের মধ্যে। এরপর মা-কে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান পেশায় ফিজিওথেরাপিস্ট মেয়ে। ঘুমে আচ্ছন্ন অবস্থায় মা-কে গলায় দোপাট্টার ফাঁস দিয়ে খুন করেন ওই মহিলা। তার পর মায়ের দেহ স্যুটকেসে ভরেন, সঙ্গে রেখে দেন বাবার একটি ছবি। সেই অবস্থায় স্যুটকেস নিয়ে সোজা পৌঁছে যান বেঙ্গালুরুর একটি থানায়। পুলিশকে জানান, তিনিই মাকে খুন করেছেন। 

    আরও পড়ুন: ফের অসমে সক্রিয় আল কায়েদা! এনআইএ-এর জালে ৪

    মহিলার কাণ্ড দেখে পুলিশ থ বনে যায়। পরে, অবশ্য পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। ধৃতের বিরুদ্ধে খুন সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। জানা গিয়েছে, মৃতার নাম বিভা পাল। অভিযুক্ত মেয়ের নাম সোনালি সেন। ফ্ল্যাটে স্বামী, মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে, শাশুড়ি ও মাকে নিয়ে থাকতেন সোনালি। খুনের সময় ঘরে ছিলেন না মহিলার স্বামী বা অন্য কোনও ব্যক্তি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকার বাসিন্দার মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। 

    দোপাট্টার ফাঁস দিয়ে মাকে হত্যা!

    পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জেরায় সোনালি জানিয়েছেন, মৃতার সঙ্গে তাঁর এবং শাশুড়ির প্রায়ই ঝগড়া হতো। সোমবার, ঝগড়া চলাকালীন তাঁর মা ঘুমের ওষুধ খাওয়ার হুমকি দেন। রাগের বশে, মাকে জোর করে ১৫-২০টা ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেন সোনালী। এরপর দোপাট্টার ফাঁস দিয়ে মাকে হত্যা করেন। এই হত্যার পিছনে নিছক ঝগড়া, নাকি রয়েছে অন্য কোনও কারণ, তা জানতে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

  • Abhishek Banerjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ ইডি দফতরে হাজিরা অভিষেকের, না গেলে কী পদক্ষেপ?

    Abhishek Banerjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ ইডি দফতরে হাজিরা অভিষেকের, না গেলে কী পদক্ষেপ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Teacher Recruitment Scam) আজ, মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ডেকে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) বা সংক্ষেপে ইডি। গত সপ্তাহে হাজিরার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল তৃণমূল সাংসদকে। সরাসরি, কালীঘাটের বাড়ির ঠিকানায় গিয়েছিল সেই চিঠি। কিন্তু, সংবাদমাধ্যমে অভিষেক জানিয়েছিলেন, তিনি পঞ্চায়েত ভোটের আগে ইডি দফতরে যেতে পারবেন না। আইনজীবী মারফত তা জানিয়ে দেবেন ইডিকে। কিন্তু ইডি সূত্রে খবর, হাজিরা না দেওয়ার বিষয়টি এখনও মেল করে বা চিঠি দিয়ে ইডি-কে জানাননি অভিষেক। ফলে, আজ অভিষেকের হাজিরা দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। 

    অভিষেক না এলে কী পদক্ষেপ করতে পারে ইডি?

    ইডি সূত্রের খবর, সোমবার বিকেল পর্যন্ত অভিষেকের (Abhishek Banerjee) তরফে তাদের কাছে সরকারিভাবে কোনও জবাব আসেনি। সেই কারণে ইডির আধিকারিকরা ধরে নিচ্ছেন, মঙ্গলবার তৃণমূল নেতা হাজিরা দেবেন। সেটা মাথায় রেখেই ইডির অফিসাররা প্রশ্নমালা তৈরি রাখছেন। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার নির্ধারিত সময় অবধি অপেক্ষা করেও যদি অভিষেকের বা তাঁর তরফে কোনও উত্তর না আসে, সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় বার অভিষেককে নোটিস পাঠাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    আরও পড়ুন: রাজ্যপাল নিযুক্ত অন্তবর্তীকালীন উপাচার্যদের বেতন ও ভাতা বন্ধের নির্দেশ রাজ্যের

    চেয়ে পাঠানো হয়েছে অভিষেকের মন্তব্যের ফুটেজ?

    ইডি সূত্রে আরও খবর, বৃহস্পতিবার অভিষেকের (Abhishek Banerjee) করা এমন মন্তব্যের অসম্পাদিত ভিডিও ফুটেজ চেয়ে পাঠানো হয়েছে ইডির দিল্লি সদর দফতরের তরফে। ফুটেজ চাওয়া হয়েছে ইডির পূর্বাঞ্চলীয় কলকাতা দফতরের কাছে। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, অভিষেকের মন্তব্য ভালো ভাবে নেয়নি তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বেলা একটা পর্যন্ত ইডির অফিসাররা অপেক্ষা করবেন। তার মধ্যে তিনি না এলে দিল্লির কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা হবে। ইডির পদস্থ কর্তারা আইনি পরামর্শও নিয়ে রাখছেন। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত অভিষেকের জিজ্ঞাসাবাদ মুলতুবি রাখতে রাজি নন তদন্তকারীরা। সে ক্ষেত্রে অভিষেক হাজিরা না দিলে আদালতকে জানানো হবে কি না সেই ব্যাপারেই আইনজীবীদের পরামর্শ চাইবেন ইডি আধিকারিকরা।

    গত সপ্তাহেই কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিল ইডি। রুজিরা ইডি দফতর থেকে বেরনোর পরই তলব করা হয় অভিষেককে। এর আগে, গত ২০ মে প্রায় দশ ঘণ্টা অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে জেলবন্দি বহিষ্কৃত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের চিঠির সূত্রে অভিষেককে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vikramaditya-Vikrant: প্রথমবার পাশাপাশি ‘ভি-২’! একসঙ্গে আরব সাগরে ঝড় তুলল ‘বিক্রান্ত-বিক্রমাদিত্য’

    Vikramaditya-Vikrant: প্রথমবার পাশাপাশি ‘ভি-২’! একসঙ্গে আরব সাগরে ঝড় তুলল ‘বিক্রান্ত-বিক্রমাদিত্য’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জল্পনা চলছিলই। এবার সাক্ষাত হল সেই দৃশ্য। আরব সাগরের নীলাভ জলে ঢেউ তুলে প্রথমবার একসঙ্গে পাশাপাশি এগিয়ে চলল ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) দুই বিমানবাহী রণতরী— আইএনএস বিক্রমাদিত্য ও আইএনএস বিক্রান্ত (Vikramaditya-Vikrant)। 

    একা তো নয়! দুই দুই এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ারকে ‘এসকর্ট’ (Vikramaditya-Vikrant) করে সঙ্গে চলল তাদের নিজস্ব ‘ব্যাটল গ্রুপ’। কী নেই তাতে! দুই বিশাল জাহাজের ডেকে অভিযানে প্রস্তুত ৩৫টি ফাইটার জেট। বাঁয়ে-ডাইনে, আগে-পিছনে ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেট, এএসডব্লু করভেট। জলের নিচ দিয়ে চলা সাবমেরিন ও আকাশে ভ্রাম্যমান নজরদারি বিমান। সাম্প্রতিক অতীতে, এত বড় আকারে শক্তি-প্রদর্শন করেনি ভারতীয় নৌসেনা। 

    আরও পড়ুন: সুরাটে মিলল আইএস মডিউলের সন্ধান! ধৃত ১ মহিলা-সহ ৪

    সাম্প্রতিক অতীতে, ভারত মহাসাগর অঞ্চলে ক্ষমতার আস্ফালন করতে বার বার দেখা গিয়েছে চিনকে। যে হারে সমুদ্রে নিজেদের কায়েমি বৃদ্ধি করে চলেছে ড্রাগনের দেশ, তার মোকাবিলা করতে কোনও ভাবেই একটা অপারেশনাল বিমানবাহী রণতরী যথেষ্ট নয়। বিশেষ করে, ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম সীমান্ত— উভয় দিকই সামন্তরালভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ, একসঙ্গে চিন ও তার ‘সব ঋতুর বন্ধু’ পাকিস্তানের মোকাবিলা করতে পাশাপাশি, দুটি অপারেশনাল এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। এতদিনে সেটা বাস্তব রূপ পেল।

    এই প্রদর্শনের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু অবশ্যই ছিল বিক্রান্ত ও বিক্রমাদিত্য (Vikramaditya-Vikrant)। তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দুই বিমানবাহী রণতরীকে তাদের নিজস্ব বহর নিয়ে এগোতে দেখে, দেশবাসী যে অনেকটাই নিরাপদ অনুভব করবেন, তা নিশ্চিত। বিক্রান্ত-বিক্রমাদিত্য ক্যারিয়ারের ডেক থেকে এক-এক করে উড়ছে মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমান। কখনও আবার ল্যান্ডিং করছে এমএইচ-৬০আর, কামোভ, এএলএইচ হেলিকপ্টার। এই মহড়া বা প্রদর্শনের অন্যতম লক্ষ্য ছিল দুই বিমানবাহী রণতরীর মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলা। 

    গত সেপ্টেম্বর মাসে ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয় আইএনএস বিক্রান্ত। অন্যদিকে দীর্ঘ রক্ষণাবেক্ষণের পর ফের জলে নেমেছে আইএনএস বিক্রমাদিত্য। নৌসেনার মুখপাত্র কমান্ডার বিবেক মাধওয়াল বলেন, ৩৫টি যুদ্ধবিমান নিয়ে আরব সাগরে দুটি ক্যারিয়ার ব্যাটল গ্রুপের অপারেশন চালিয়েছে নৌসেনা। তিনি জানান, নৌসেনার ইতিহাসে এটি একটি অনন্য দৃষ্টান্ত (Vikramaditya-Vikrant)। জাতীয় স্বার্থ, আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা ও বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে সমুদ্রে সুসম্পর্ক স্থাপন ও সহযোগিতাপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর ভারতীয় নৌসেনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share