Tag: news in bengali

news in bengali

  • Nisith Pramanik: “ফল প্রকাশের পর তৃণমূল তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে”, গণনার আগে তোপ নিশীথের

    Nisith Pramanik: “ফল প্রকাশের পর তৃণমূল তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে”, গণনার আগে তোপ নিশীথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল মঙ্গলবার হল অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের গণনা পর্ব। ইতিমধ্যে রাজ্যে তৃণমূল এবং বিজেপি কটা আসন পাবে, তা নিয়ে সমীক্ষার হিসাব রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলেছে। রাজ্যে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকে যে বেশি আসন পেতে চলেছে, এই নিয়ে বিজেপি দারুণ আশাবাদী। ইতিমধ্যে কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) বিজেপির জয় নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগেছেন। তিনি বলেছেন, “নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর তৃণমূল তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে।” উল্লেখ্য মমতা বুথ ফেরত সমীক্ষা মানেন না বলে মন্তব্য করেছেন আগেই।

    কী বললেন নিশীথ (Nisith Pramanik)?

    কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) বলেন, “দেশে ৪০০-বেশি সিট নিয়ে এনডিএ সরকার গঠন করবে। পশ্চিমবঙ্গে ২৫টির বেশি আসন পাবে বিজেপি। তবে ৩০ পেরিয়ে গেলেও অবাক করার কিছু নেই। উত্তরবঙ্গের ফলাফল নিশ্চিত ভাবে ভালো হবে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে রোড-শো, জনসভায় প্রচুর লোক সমাগম হয়েছে। মানুষের উচ্ছ্বাসের মধ্যেই লক্ষ্যটা বোঝা গিয়েছিল। নির্বাচনের আগেই মানুষ নিজের মনকে স্থির করে ফেলেছিলেন। কোথায় ভোট দেবেন তা বুঝতে পেরে গিয়েছিলেন। মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পেরেছেন। আগের বার থেকে আমাদের আসন অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।”

    আরও পড়ুনঃমুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিই সার, রেল দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারে আজও মেলেনি চাকরি

    আর কী বললেন?

    গণনার আগের দিন বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) আরও বলেছেন, “এই বারের লোকসভার নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ হয়েছে। মানুষ নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন। ভাঙড়ে আইএসএফ তৃণমূলের শক্তিকে প্রতিরোধ করেছে। যেখানে মানুষ তৃণমূলকে প্রত্যাখান করছে সেখানেই অত্যাচার বৃদ্ধি করেছে ওরা। ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে চায় শাসক দল। তৃণমূল আসলে কাউন্টিং এজেন্টদের ধরে রাখতে পারবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়ে গিয়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024: ‘চূড়ান্ত ফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত…’! এজেন্টদের বিশেষ বার্তা বিজেপি নেতৃত্বের

    Loksabha Election 2024: ‘চূড়ান্ত ফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত…’! এজেন্টদের বিশেষ বার্তা বিজেপি নেতৃত্বের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই শুরু ভোট (Loksabha Election 2024) গণনা। আর তার আগে প্রস্তুতি চালাচ্ছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। চূড়ান্ত ফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত গণনা কেন্দ্র ছাড়বেন না বলে পোলিং এজেন্টদের (Bjp Prepare Counting Agent) বার্তা দিল বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।

    বিজেপি নেতৃত্বের বার্তা

    কাউন্টিং এজেন্টদের বিজেপি নেতৃত্বের বার্তা, প্রত্যেক রাউন্ডের পরে হিসাব মিলিয়ে নিতে হবে। কোনও গুজবে কান দেওয়া যাবে না। গুজব শুনে গণনা (Loksabha Election 2024) কেন্দ্রের টেবিল ছাড়লে হবে না। যেমন, অমুক আসনে তৃণমূল জিতে গিয়েছে, তাই এখানেও জিতে যাবে, এখানে থেকে কী হবে?, এই ধরনের মানসিকতা যেন কোনওভাবেই না কাজ না করে। ভুয়ো কোনও খবর শুনে গণনা কেন্দ্র ছাড়া যাবে না। ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি হলে সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশন আধিকারিকদের জানানোর (Bjp Prepare Counting Agent) কথাও বলা হয়েছে বলে খবর। কোনও সন্দেহ হলে পুনরায় গণনার দাবি জানাতে হবে। গণনা কেন্দ্রের বাইরে কর্মী-সমর্থকদের জমায়েত সময়ের সঙ্গে বাড়াতে হবে। পাশাপাশি এজেন্টদের মধ্যে সমন্বয় বজায় রেখে চলার কথাও বলা হয়েছে। কোনও এজেন্ট সমস্যায় পড়লে পাশেরজন তাঁকে সাহায্য করবেন।

    এজেন্টদের সতর্ক থাকার নির্দেশ (Bjp Prepare Counting Agent) 

    উল্লেখ্য, প্রায় সব সংস্থারই বুথ ফেরত সমীক্ষায় দাবি, তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে নরেন্দ্র মোদি। বাংলাতেও বিজেপির আসন বৃদ্ধির আভাস মিলছে একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষার রিপোর্ট থেকে। তবে এ প্রসঙ্গে বিজেপির বক্তব্য, এগজিট পোলে বিজেপি জিতে গিয়েছে দেখে গণনাকেন্দ্রে ফুরফুরে মেজাজে থাকলে তৃণমূল শিবির শেষবেলায় খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে। তাই এজেন্টদের বারবার সতর্ক করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। এই উদ্দেশ্যেই চার ধাপে ভাগ ভাগ করে রবিবার জেলা সভাপতি, প্রার্থী, কেন্দ্র ভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সেখানে। সোমবারও আবার গণনা কেন্দ্রের কর্মীদের এলাকা ভিত্তিক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ চলেছে বলে খবর।

    আরও পড়ুন: চুরি করতে এসে এসি ঘরে ঘুমিয়ে গেল চোর! পুলিশের ডাকে ভাঙল ঘুম 

    সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশ 

    রবিবার সুকান্ত মজুমদার-সহ রাজ্য বিজেপির তাবড় নেতারা দফায় দফায় বৈঠক সারেন দলের কাউন্টিং এজেন্টদের সঙ্গে। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মঙ্গলবার গণনা। কাউন্টিং এজেন্টদের আমরা বলেছি, এগজিট পোলে (Loksabha Election 2024)  কী দেখিয়েছে, তা নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত গণনাকেন্দ্রগুলিতে মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হবে।” 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajiv Kumar: জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন কবে, জানিয়ে দিলেন রাজীব কুমার

    Rajiv Kumar: জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন কবে, জানিয়ে দিলেন রাজীব কুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই হয়ে যাবে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীনই একথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি এ-ও জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার আগেই (সেপ্টেম্বরের মধ্যেই) শেষ হবে উপত্যকার নির্বাচন। তবে জম্মু-কাশ্মীরে ঠিক কবে হবে বিধানসভার নির্বাচন, এবার তা জানিয়ে দিলেন জাতীয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Rajiv Kumar)। তিনি জানিয়েছেন, শীঘ্রই আয়োজন করা হবে ওই নির্বাচনের। প্রসঙ্গত, ভূস্বর্গে শেষবার বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালে।

    সাংবাদিক বৈঠকে রাজীব (Rajiv Kumar)

    সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজীব। সেখানেই তিনি জানান, কাশ্মীরে এবার ভোটের হার বেড়েছে তাৎপর্যপূর্ণভাবে। রাজীব বলেন, “উপত্যকার মানুষ গণতন্ত্রের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে প্রস্তুত।” এর পরেই তিনি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরে আমরা খুব শীঘ্রই বিধানসভা নির্বাচনের আয়োজন করতে চলেছি। সেখানে লোকসভায় যে হারে মানুষ ভোট দিয়েছেন, তাতে আমরা উৎসাহিত।” জম্মু-কাশ্মীরে লোকসভার আসন রয়েছে পাঁচটি। জম্মুতে ভোট পড়েছে ৫৮.৫৮ শতাংশ। আর কাশ্মীরে ৫১.০৫ শতাংশ। রাজীব (Rajiv Kumar) বলেন, “চার দশকের মধ্যে এবার লোকসভা নির্বাচনে জম্মু-কাশ্মীরে ভোট পড়েছে সর্বোচ্চ, শতাংশের হিসেবে ৫৮.৫৮।”

    ভূস্বর্গে শেষ ভোট

    ২০১৪ সালের শেষের দিকে শেষ বারের মতো বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন ভূস্বর্গের মানুষ। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বার দিল্লির তখতে ফিরে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিল করে দেয় মোদি সরকার। এই ধারার বলে ভূস্বর্গ ভোগ করত বিশেষ অধিকার। সেই সময় বিলোপ করা হয়েছিল রাজ্যের মর্যাদাও। যদিও রাজনৈতিক অচলাবস্থার জেরে তার বছর তিনেক আগেই ভেঙে দেওয়া হয়েছিল বিধানসভা। জারি হয়েছিল রাষ্ট্রপতি শাসন। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত বিধানসভার নির্বাচন হয়নি উপত্যকায়। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পায়নি জম্মু-কাশ্মীর।

    আর পড়ুন: “ধ্যানের মধ্যেও নিরন্তর ভেবেছি উজ্জ্বল ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    কেবল বিধানসভা নয়, অন্য কোনও ভোটও হয়নি উনিশের লোকসভা নির্বাচনের পর। দীর্ঘদিন পর এবার লোকসভা নির্বাচনে তাই হাত উপুড় করে ভোট দিয়েছেন উপত্যকাবাসী। যার জেরে উৎসাহিত কেন্দ্রের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনও (Rajiv Kumar)। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন করতে হবে বলে আগেই নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Odisha Train accident: মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিই সার, রেল দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারে আজও মেলেনি চাকরি

    Odisha Train accident: মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিই সার, রেল দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারে আজও মেলেনি চাকরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পয়েন্ট-সিগন্যালের সমস্যায় তিন ট্রেনের সংঘর্ষে মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০২৩ সালের ৩ জুন। ওড়িশার বাহানাগার রেল দুর্ঘটনায় (Odisha Train accident) মৃতদেহের স্তূপ থেকে শনাক্ত করা হয়েছিল মোট এই রাজ্যের ৯০ জনের মৃতদেহকে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত পরিবারের একজন করে স্পেশাল হোমগার্ডে চাকরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল খড়্গপুরের হীরা নায়েকের। আজ এক বছর অতিক্রম করলেও চাকরি মেলেনি হীরার মেয়ে ভবানীর। দরিদ্র অসহায় পরিবার দিন কাটাচ্ছেন আর্থিক সঙ্কটে।

    রেল দুর্ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী কী বলেছিলেন(Odisha Train accident)?

    গত বছর ৫ জুন হুগলির টোল প্লাজায় রেল দুর্ঘটনায় (Odisha Train accident) মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “আমি ঠিক করেছি মৃত পরিবারকে পাঁচ লাখ করে টাকা দেব, সঙ্গে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি দেব।” এরপর থেকে কাজ শুরু করেছিল প্রশাসন। খড়্গপুরের প্রশাসনের লোকেরা হীরার বাড়িতে গিয়ে চাকরির জন্য নথি দিতে বলেছিলেন। কিন্তু লাভ কিছুই মেলেনি মৃতের পরিবারগুলির। চাকরি আজও মেলেনি। প্রশ্ন করলে বর্তমান প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহকুমা শাসক যোগেশ আশোকরাও বলেন, “ওই রেল দুর্ঘটনার অনেক পরে আমি এখানে দায়িত্বে এসেছি। আমার কাছে কেউ এই বিষয়ে সরাসরি এসে এখনও পর্যন্ত কেউ কিছু বলেননি। যদি এমন কোনও ঘটনা থাকে, তা হলে ৪ জুনের পরে আমার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করুন। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখে নিশ্চই পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”

    আরও পড়ুনঃ “দলের একাংশ কংগ্রেস-বিজেপির হয়ে কাজ করছে”, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    পরিবারের বক্তব্য

    খড়্গপুরের আম্বেডকর রেলবস্তির বাসিন্দা হলেন ভবানী। গত বছর ২ জুন মৃত্যু হয়েছিল হীরা নায়কের। যশবন্তপুরের ইঞ্জিন থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল হীরার দেহ। মা কশিতা দাসকে চিকিৎসা করে কটক থেকে এই যশবন্তপুর এক্সপ্রেসেই ফিরছিলেন হীরা। কিন্তু পথেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Odisha Train accident) ঘটেছিল। রাজ্য সরকারের সাহায্য বা চাকরির কোনও সুবিধাই পাননি তাঁরা। অত্যন্ত অভাবের মধ্যে দিন কাটছে পরিবারের। দুবেলা খাবার ঠিক মতো জোটে না ভাল ভাবে। হীরার পরিবারের তরফ থেকে মেয়ে ভবানী বলেছেন, “বার বার ঘুরেও নতুন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। পরবর্তী সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর নবান্নের শ্রমদফতরে গিয়ে ছিলাম। কিন্তু চাকরি হয়নি। মাননীয়া চাকরি দেবেন বলায় আমরা চেয়েছিলাম, কিন্তু চাকরি হল কোথায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Burglar Enters House: চুরি করতে এসে এসি ঘরে ঘুমিয়ে গেল চোর! পুলিশের ডাকে ভাঙল ঘুম

    Burglar Enters House: চুরি করতে এসে এসি ঘরে ঘুমিয়ে গেল চোর! পুলিশের ডাকে ভাঙল ঘুম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একি আজব কাণ্ড বলুন দেখি! চুরি করতে এসে স্বয়ং চোরই (Burglar Enters House) কিনা ঘুমিয়ে পড়ল? আসলে চুরি করতে এসে এসির ঠান্ডা হাওয়া পেতেই ঘুমিয়ে পড়েছিল চোর। আর সেই ঘুম ভাঙল পুলিশের ডাকে। মজার এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) রাজধানী লখনউতে (Lucknow)। আর এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই হেসে লুটোপুটি খেতে শুরু করে নেটিজেনরা।

    ঠিক কী ঘটেছিল? 

    জানা গিয়েছে, ঘটনাটি লখনউ-এর (Lucknow) ইন্দিরানগর থানা এলাকার সেক্টর-২০ এর। সুনীল পান্ডে নামের ওই এলাকার এক ব্যক্তির ফাঁকা বাড়িতে ঢুকে পড়ে চোর। পেশায় ডাক্তার সুনীলবাবু ওইদিন  কাজের সূত্রে ছিলেন বারাণসীতে। আর সেই সুযোগেই ফাঁকা বাড়িতে চুরির উদ্দেশ্যে (Burglar Enters House) ঢুকে পড়ে চোর। বাড়ির মেন গেট খুলে ড্রয়িং রুমে পৌঁছতেই সেখানে এসি রয়েছে দেখে সেটা চালিয়ে দেয় সে। ঘর ঠান্ডা হতে শুরু করতেই চোখ ক্রমশ পড়ে আসতে থাকে চোরের। আর এরপর চুরি করা বাদ দিয়ে এক সময় সে মেঝেতে শুয়ে পড়ে। কিছুক্ষনের মধ্যেই গভীর ঘুমে চলে যায় চোর। 
    এদিকে, প্রতিবেশীরা গেট খোলা দেখে বাড়ির মালিক ডাক্তারবাবুকে ফোন করে খবর দেন। এরপর সুনীল বাবু বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ (police) ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় চোর ঘরের এসি চালিয়ে আরামে ঘুমাচ্ছে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।   

    আরও পড়ুন: ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বাংলার ৫৫ গণনাকেন্দ্রেই! ভোটগণনা ঘিরে তৎপর কমিশন

    পুলিশ আধিকারিকের মন্তব্য (Burglar Enters House) 

    এ প্রসঙ্গে ঘটনার দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিক বলেন, “চোর চুরির উদ্দেশ্য নিয়ে ঢুকেছিল (Burglar Enters House) কিন্তু সে এসির ঠান্ডা হাওয়ায় ঘুমিয়ে পড়েছিল এবং এতটাই ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে যায় যে সে আর উঠতে পারেননি। প্রতিবেশীরা খবর দিলে তাকে আটক (Arrest) করা হয়।”

      
    যদিও চুরি করতে এসে চোরের ঘুমিয়ে পড়ার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও অন্ধ্র প্রদেশের গোদাবরী জেলায় এক গৃহস্থের বাড়িতে চুরি করতে এসে এসি-র মায়ায় পড়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল চোর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: গণতন্ত্রের ইতিহাসে রেকর্ড, ভারতে ভোট দিয়েছেন ৬৪.২ কোটি ভোটার

    Lok Sabha Election 2024: গণতন্ত্রের ইতিহাসে রেকর্ড, ভারতে ভোট দিয়েছেন ৬৪.২ কোটি ভোটার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাস সৃষ্টি করল অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। দেশে এই প্রথম নির্বাচন-পর্ব চুকে যাওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠক করলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তিন কর্তা। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের নির্বাচনের দিকে নজর ছিল তামাম বিশ্বের। কত মানুষ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেন, কত প্রাণ বলিদান হয়, রক্ত ঝরে কিনা, মূলত এসবের দিকেই নজর ছিল বিশ্ববাসীর।

    বিশ্ব রেকর্ড (Lok Sabha Election 2024)

    এবার লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে ভারত। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানান, এবার ভোট দিয়েছেন ৬৪.২ কোটি ভোটার। জি৭-এর সদস্য দেশগুলির মোট ভোটারের চেয়ে দেড় গুণ বেশি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে পুনর্নির্বাচন হয়েছিল ৫৪০টি আসনে। এবার হচ্ছে মাত্র ৩৯টি। গত চার দশকের মধ্যে এবার সব চেয়ে বেশি ভোট পড়েছে জম্মু-কাশ্মীরেও। রাজীব বলেন, “উপত্যকার মানুষ গণতন্ত্রের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে প্রস্তুত। এবার প্রথম হিংসা হয়নি ভোটে। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরার মতো জায়গায় আগে কী হত, তা আপনারা দেখেছেন, এবার শান্তিপূর্ণ ভোট করার জন্য দু’বছর ধরে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কাজটা খুব একটা সহজ ছিল না।”

    বাজেয়াপ্ত টাকার পরিমাণ

    মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, “এবার লোকসভা নির্বাচনে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। এটাও কমিশনের তৎপরতার ফল। আগে কীভাবে টাকা ছড়ানো হত, মদ-শাড়ি দেওয়া হত, তা আপনারা দেখেছেন। দক্ষিণ ভারতে কীভাবে টাকা দেওয়া হত, তাও দেখেছেন।” তিনি বলেন, “আমরা ভুয়ো খবর নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলাম। এবার অবশ্য সেভাবে কিছু হয়নি। কৃত্রিম মেধা দিয়ে ভুয়ো ছবি-ভিডিও সেভাবে ছড়ায়নি। নির্বাচনী বিধিভঙ্গ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছিল ৪৯৫টি। এর মধ্যে ৯০ শতাংশেরই সমাধান করা হয়েছে। অনেক বড় নেতাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।”

    আর পড়ুন: জয়জয়কার বিজেপির-ই, ভবিষ্যদ্বাণী সাট্টা বাজারেরও

    ভোট গণনা-পর্বেও ভুল হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই জানান রাজীব। বলেন, “ভোটগণনা খুবই বলিষ্ঠ একটি প্রক্রিয়া। দেশে মোট সাড়ে ১০ লাখ বুথ রয়েছে। ৩০-৩৫ লাখ পোলিং এজেন্ট থাকবেন বাইরে। থাকবে নজরদারি দলও। থাকবেন গণনা অফিসাররা। কোনও ভুল হতেই পারে না। সিসি ক্যামেরা থাকবে। মানুষের ভুল হতেই পারে, তবে গণনায় কারচুপির কোনও সম্ভাবনাই নেই (Lok Sabha Election 2024)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: “দলের একাংশ কংগ্রেস-বিজেপির হয়ে কাজ করছে”, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    Malda: “দলের একাংশ কংগ্রেস-বিজেপির হয়ে কাজ করছে”, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তম দফায় দেশের লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে শনিবার। আগামীকাল ৪ জুন গণনা পর্ব। ঠিক তার আগেই শাসক দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এসেছে। দলের অন্তরেই তৃণমূল নেতার বক্তব্য, “দলের একাংশ কংগ্রেস-বিজেপির হয়ে কাজ করছে।” এই কথা অকপটে স্বীকার করেছেন মালদা (Malda) জেলা পরিষদের সদস্য বুলবুল খান। এই মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে। যদিও লোকসভার টিকিট বণ্টন এবং ভোট প্রচার পর্বে এই জেলার নেতা-কর্মীদের মধ্যে একাধিক বার কোন্দলের চিত্র প্রকাশ্যে এসেছিল।

    ঠিক কী বললেন তৃণমূল নেতা (Malda)?

    মালদা (Malda) জেলার তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য বুলবুল খান বলেন, “আমাদের পার্টির কাছে রিপোর্ট আছে, কারা দলের ভিতরে কাজ খারাপ করেছেন। যাঁরা এসব কাজ করেছেন, তাঁদের নজরে রাখা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আমার কাছে খবর আছে, দলের হয়ে কিছু কিছু লোক কংগ্রেস ও বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন।” তাঁর এই মন্তব্যে শাসক দলের মধ্যে কোন্দলের চিত্র ফের একাবার প্রকাশ্যে এলো। যদিও গণনার আগে তৃণমূল নেতার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি, তৃণমূলের ঘর ভেঙে পড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    দলের অন্দরে তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যকে ঢাল করে বিজেপির মালদা (Malda) জেলা সম্পাদক রুপেশ আগরওয়াল বলেছেন, “৪ জুনের পর তৃণমূলের মধ্যে একটি বড় ভূমিকম্প হবে। এই ভূমিকম্পে তৃণমূলের দল ভেঙে ছাড়খার হয়ে যাবে। তৃণমূল দলের মধ্যে কে কাজ করছেন আর কে করছেন না, সেই তালিকা তাঁদের কাছ থেকে নেওয়াই ভাল। বিষয়টা তাঁদের দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু গণনার পর তৃণমূলকে ভূমিকম্পের কারণে খুঁজে পাওয়া যাবে না।”

    আরও পড়ুনঃরাতের অন্ধকারে আক্রমণ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের! গণনা পর্যন্ত সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা

    কংগ্রেসর বক্তব্য

    একই ভাবে উত্তর মালদার (Malda) কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, “প্রকাশ্যে না করলেও গোপনে অনেকেই বাম-কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন। প্রচুর মানুষ আছেন যাঁরা বাম-কংগ্রেসের পতাকা ধরতে ভয়পান। অনেক মানুষ নীরবে ভোট দানের মাধ্যমে বিপ্লব ঘটিয়েছেন।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “ধ্যানের মধ্যেও নিরন্তর ভেবেছি উজ্জ্বল ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “ধ্যানের মধ্যেও নিরন্তর ভেবেছি উজ্জ্বল ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতের উন্নয়নের গতিপথ আমাদের অহংকার ও গর্বের স্বপ্ন পূরণ করেছে।” ভারতবাসীর উদ্দেশে লেখা এক চিঠিতে এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নির্বাচনী প্রচারের শেষে দেশের দক্ষিণতম বিন্দু কন্যাকুমারীতে গিয়ে টানা ৪৫ ঘণ্টা ধ্যান করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রীর উপলব্ধি (PM Modi)

    কন্যাকুমারীর ধ্যান মণ্ডপে (যেখানে বসে স্বামী বিবেকানন্দ ধ্যান করেছিলেন) প্রায় দু’দিন ধরে ধ্যান করার পর তাঁর উপলব্ধি, “এই দু’দিন বহির্জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলাম আমি।” চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আমাদের দেশে আজই (পয়লা জুন) শেষ হচ্ছে গণতন্ত্রের বৃহত্তম উৎসব। এই দেশ গণতন্ত্রের মাতৃস্বরূপা। কন্যাকুমারীতে তিনদিনের আধ্যাত্মিক যাত্রা শেষে আমি এই মাত্র দিল্লির উড়ান ধরলাম। এই দিনে কাশী এবং আরও কয়েকটি আসনে ভোট গ্রহণ-পর্ব চলছে। আমার মনে অনেক অভিজ্ঞতা, আবেগ সঞ্চিত হয়েছে।” তিনি (PM Modi) লিখেছেন, “আমি নিজের মধ্যে অপার শক্তির প্রবাহ অনুভব করেছি। এই সময় নির্বাচনের কোনও তাপ-উত্তাপ, কূট-কচালি আমায় স্পর্শ করেনি।”

    চিঠিতে কী লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আমার মধ্যে বহির্জগৎ থেকে বিচ্ছিন্নতার একটা ভাব এসেছিল…আমার মন বর্হিজগৎ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এত বিশাল দায়িত্বের মধ্যে ধ্যান করে যাওয়াটা আমার কাছে চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছিল। কিন্তু কন্যাকুমারীর ভূমি এবং স্বামী বিবেকানন্দের প্রেরণা আমার কাজকে অনায়াস করে দিয়েছিল।” তিনি লিখেছেন, “আমি নিজেও একজন প্রার্থী, আমার প্রচারের ভার আমি ছেড়ে দিয়েছিলাম আমার প্রিয় কাশীবাসীর ওপর। তাঁদের ওপর দায়িত্ব দিয়ে আমি এখানে চলে এসেছিলাম। আমি ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞ এই ভেবে যে আমার জন্মের সময় থেকে তিনি আমার মধ্যে এই মূল্যবোধ গেঁথে দিয়েছিলেন। আমি আজীবন এটাকেই লালন-পালন করেছি। চেষ্টা করেছি এই মূল্যবোধ নিয়েই বেঁচে থাকতে।”

    আর পড়ুন: জয়জয়কার বিজেপির-ই, ভবিষ্যদ্বাণী সাট্টা বাজারেরও

    তিনি লিখেছেন, “বহির্জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও, অপার শান্তি এবং নীরবতার মধ্যে থাকলেও আমার মন নিরন্তর ভেবে গিয়েছে উজ্জ্বল ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে, ভারতের লক্ষ্য নিয়ে। কন্যাকুমারীর উদীয়মান সূর্য আমার চিন্তা-ভাবনাকে এক নয়া উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল। দিগন্ত বিস্তৃত সমুদ্র আমার ধারণাকে প্রসারিত করেছে। মহাবিশ্বের মধ্যে নিহিত ঐক্য এবং একত্ব আমায় উপলব্ধি করিয়েছে আকাশ আর সমুদ্রের মিলনরেখা (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: বাংলার ৫৫ গণনাকেন্দ্রেই ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা! ভোটগণনাকে ঘিরে তৎপর কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: বাংলার ৫৫ গণনাকেন্দ্রেই ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা! ভোটগণনাকে ঘিরে তৎপর কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত দফায় রাজ্যের ৪২টি কেন্দ্রেই ভোট (Lok Sabha Election 2024) শেষ হয়েছে। এ বার ভোটগণনার পালা। আগামী ৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশ। রাজ্যে বিভিন্ন দলের মোট ৫০৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে মঙ্গলবার। প্রতিবারের মতো এ বারেও গণনাকেন্দ্রগুলিতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত (Counting Preparations) রাখছে নির্বাচন কমিশন। সিসি ক্যামেরায় ২৪ ঘণ্টা চলছে নজরদারি। গণনা কেন্দ্রগুলিতে থাকবেন মাইক্রো অবজার্ভার-সহ ২৫ হাজার গণনাকর্মী।   

    নিরাপত্তার দায়িত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Counting Preparations) 

    কমিশন সূত্রে খবর, ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার মধ্যে প্রথম স্তরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। দ্বিতীয় স্তরে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী। আর শেষ স্তরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিকেরা। জানা গিয়েছে শুধু গণনাকেন্দ্রগুলিতেই নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হচ্ছে ৯২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    আরও পড়ুন: শরীরের পক্ষে ডিম কতটা স্বাস্থ্যকর? জেনে নিন এর কিছু উপকারিতা

    পোস্টাল ব্যালটের পর ইভিএমের ভোট গণনা 

    রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনে ভোট (Lok Sabha Election 2024) গণনার জন্য মোট ৫৫টি কাউন্টিং সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। ৪১৮টি গণনাকক্ষে থাকছে ৪,৯৪৪টি টেবিল। সর্বোচ্চ ২৩ রাউন্ড ভোটগণনা হতে পারে। আর সবচেয়ে কম ৯ রাউন্ড। গড়ে প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ রাউন্ড করে ভোটগণনা হবে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে তিন লক্ষেরও বেশি ভোটদাতা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন। আগে পোস্টাল ব্যালটের ভোট গ‌োনার পর ইভিএমের মাধ্যমে পড়া ভোটের গণনা শুরু হবে।
    উল্লেখ্য, এবছর নির্বাচন চলাকালীন অশান্তির খবর উঠে এসেছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। কিছু কিছু এলাকায় ভোটে (Lok Sabha Election 2024) কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচন মিটে যাওয়ার পরও রাজ্যে অশান্তি অব্যাহত। এক বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগও উঠেছে। আর সেই আবহেই মঙ্গলবার নির্বাচনের ফলপ্রকাশ। তাই বিভিন্ন জায়গায় স্ট্রং রুম তৈরি করে ব্যালট বাক্স রাখা হয়েছে। চার পাশে রয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: রাতের অন্ধকারে আক্রমণ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের! গণনা পর্যন্ত সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা

    Sandeshkhali: রাতের অন্ধকারে আক্রমণ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের! গণনা পর্যন্ত সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মিটতেই রাতের অন্ধকারে এলাকাবাসীদের উপর আক্রমণ চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গত ১ জুন ছিল রাজ্যের সপ্তম দফা লোকসভা নির্বাচনের শেষ ভোট গ্রহণ পর্ব। ২০১১ সালের পর এই প্রথম ভোট দিতে পেরেছিলেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) গ্রামের মানুষ। আর তাই গতকাল রবিবার রাতে বাড়িতে ঢুকে তৃণমূলের গুন্ডারা আক্রমণ চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অপর দিকে গণনার দিন পর্যন্ত এলাকায় প্রশাসনের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।

    জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আক্রমণ (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার অন্তর্গত খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের নিতাই মোড় সংলগ্ন এলাকায় রবিবার গভীর রাতে তৃণমূল নেতা দেবজ্যোতি সান্যাল, বিপ্লব বর্মন, কৌশিক মন্ডল, দেবব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন দুষ্কৃতীরা বাইকে করে ঘুরে ঘুরে জয় বাংলা স্লোগান দেয় এবং এরপর হুমকি দেয় সাধারণ মানুষকে উদ্দেশ্য করে। কিন্তু আচমকা সেই সময় সঞ্জীব মণ্ডল ও পিয়ালী মণ্ডলের বাড়িতে ঢুকে মারধর করে ওই দুষ্কৃতী বাহিনী। প্রতিবাদ করতে গেলে এলাকার মানুষদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনার পর রাতেই  দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় লিখিত অভিযোগ জানান গ্রামবাসীরা।

    আক্রান্তদের বক্তব্য

    তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আক্রমণ বিষয়ে আক্রান্ত পিয়ালী মণ্ডল বলেছেন, “আমরা ভোট দেওয়ায় তৃণমূলের গুন্ডারা বাড়িতে (Sandeshkhali) ঢুকে হামলা করেছে। ব্যাপক মারধর করে ভাতের থালা ফেলে দিয়েছে ওরা। আমার স্বামীকে লাঠি, বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয়েছে। স্বামীকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও হাতে, পীঠে মারধর করে দুষ্কৃতীরা। আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিয়েছে ওরা। কীভাবে এলাকায় থাকব, এই নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।”

    ফল বেরনো পর্যন্ত জারি ১৪৪

    সন্দেশখালিতে ভোটের পরদিন গতকাল ২ জুন থেকে ফলাফল ঘোষণার ৪ জুন পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ প্রশাসন। ন্যাজাট (Sandeshkhali) থানা এলাকার সরবেড়িয়া থেকে বয়ারমারি গোটা এলাকাজুড়ে জারি এই নির্দেশিকা। ভোটের দিনেই সন্দেশখালির বেড়মজুর, বয়ামারি, আগারহাটি, কানমারি সহ একাধিক এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। একই ভাবে এলাকার মহিলারা আন্দোলনে নেমে ছিলেন।

    আরও পড়ুনঃ বিজেপি ক্ষমতায় এলে ‘উত্তর প্রদেশ ট্রিটমেন্ট’! সুকান্ত মজুমদারের কণ্ঠে এবার যোগীর সুর

    পুলিশ তৃণমূলের হয়ে ভোট করিয়েছিল!

    ভোটের দিন বয়ারমারি (Sandeshkhali) গ্রামে বিজেপির ক্যাম্প অফিসে হামলা চালিয়ে ছিল ৬০ থেকে ৭০ জন তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী। চঞ্চল খাটুয়া নামে এক বিজেপি কর্মীর মাথা ফেটেছিল। এলাকায় অশান্তির বাতাবরণ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। নির্বাচন কমিশন ঘটনায় অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়েছিল। আবার ন্যাজাট থানার অন্তর্গত বয়রামারিতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। বিজেপির অবশ্য অভিযোগ ছিল, পুলিশ তৃণমূলের হয়ে ভোট করিয়েছিল। সেই জন্য মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ পুলিশের ওপর গিয়ে পড়ে। পাল্টা পুলিশ ধরপাকড় শুরু করেছে এলাকায়। বিজেপির এক নেতা পরিতোষ সর্দারকে গ্রেফতার করায়, মহিলারা পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share