Tag: news in bengali

news in bengali

  • Lok Sabha Elections Result: জয়জয়কার বিজেপির-ই, ভবিষ্যদ্বাণী সাট্টা বাজারেরও

    Lok Sabha Elections Result: জয়জয়কার বিজেপির-ই, ভবিষ্যদ্বাণী সাট্টা বাজারেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয় হবে নিছক কেক-ওয়াক (Lok Sabha Elections Result)! বলছে সাট্টা বাজার। এই বাজারের ভবিষ্যদ্বাণী, তৃতীয়বারের জন্যও প্রধানমন্ত্রী পদে বসছেন নরেন্দ্র মোদি। তবে বিজেপি যে দাবি করছে, ৪০০ পার, পদ্ম-পার্টির সে আশা পূরণ হবে না বলেও দাবি বুকিদের। মুম্বইয়ের এক শীর্ষ বুকি বলেন, “প্রথম দফার নির্বাচনের আগে বিজেপির পক্ষেই হাওয়া ছিল। তৃতীয় দফার ভোটের পর সে হাওয়া ক্রমেই নিম্নগামী।”

    সাট্টা বাজারের ভবিষ্যদ্বাণী (Lok Sabha Elections Result)

    সাট্টা বাজারের ভবিষ্যদ্বাণী, বিজেপি জয়ী হতে পারে ২৯৫-৩০৫টি আসনে। কংগ্রেস পেতে পারে ৫৫-৬৫টি আসন। প্রথম দফার নির্বাচনের আগে এই বাজারেরই পূর্বাভাস ছিল (Lok Sabha Elections Result) বিজেপি পেতে পারে ৩১৫-৩২৫টি আসন। আর কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ৪৫-৫৫টি আসন। তৃতীয় দফার নির্বাচন শেষে বাজারের খবর, গেরুয়া ঝুলিতে যেতে পারে ২৭০-২৮০টি আসন। আর কংগ্রেস পেতে পারে ৭০-৮০টি আসন। ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের শেষে মুম্বইয়ের এই বাজারের পূর্বাভাস পদ্ম ফুটতে পারে ২৯৫-৩০৫টি কেন্দ্রে। হাত মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে ৫৫-৬৫টি আসনে।

    কী বলছেন বুকিরা?

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বুকি বলেন, “বিজেপির ৪০০ পার স্লোগান কখনওই সমর্থন করেনি বাজার। বেটিং রেট অনুযায়ী বিজেপির পক্ষে ৩৫০টি আসন পাওয়াও অসম্ভব।” বাজারের দাবি, গুজরাট হবে কেবলই পদ্মময়। মহারাষ্ট্রে এনডিএ পেতে পারে ২৮টি আসন। আর উত্তরপ্রদেশে এনডিএ-র ঝুলিতে যেতে পারে ৬৪ থেকে ৬৬টি আসন।

    বিশেষ কয়েকটি কেন্দ্রে কারা জিতবে, তাও জানিয়েছে বাজার। সেখানে দেখা যাচ্ছে, আমেঠিতে জিততে পারে বিজেপির স্মৃতি ইরানি। রায়বেরিলিতে জিততে পারেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী। ওয়েনাড়ও তাঁর দখলেই থাকবে। নাগপুরে জয়ী হতে পারেন বিজেপির নীতীন গডকরি। গান্ধীনগরে পাঁচ লাখেরও বেশি ভোটে জিততে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। লখনউ কেন্দ্রে আড়াই লাখেরও বেশি ভোটে জিততে পারেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।

    আর পড়ুন: ছাপ্পার অভিযোগে তৃণমূলের এজেন্ট গ্রেফতার, দুটি বুথে চলছে পুনর্নির্বাচন

    সাট্টা বাজারের পূর্বাভাস যে নিছক ফেলনা নয়, তার প্রমাণ মিলেছে অনেক ক্ষেত্রেই। ক্রিকেট হোক কিংবা নির্বাচন, সর্বত্রই তাদের ভবিষ্যদ্বাণী মিলে যায়। তবে এবার বুকিরা যে বিজেপির পক্ষে বাজি ধরেছেন, তার সমর্থন মিলেছে বিভিন্ন সংস্থার করা এক্সিট পোলেও। ভোট কূশলী প্রশান্ত কিশোরেরও পূর্বাভাস বিজেপি পেতে পারে ৩০০-র কিছু বেশি আসন (Lok Sabha Elections Result)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Benefits of Eating Eggs: শরীরের পক্ষে ডিম কতটা স্বাস্থ্যকর? জেনে নিন এর কিছু উপকারিতা

    Benefits of Eating Eggs: শরীরের পক্ষে ডিম কতটা স্বাস্থ্যকর? জেনে নিন এর কিছু উপকারিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চ মানের প্রোটিন, প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে পূর্ণ, বিশ্বের সবচেয়ে সহজ এবং সবচেয়ে বেশি পুষ্টিতে ঠাসা ব্রেকফাস্টগুলির মধ্যে একটি হল ডিম। ডিম হল একেবারে যাকে বলে মুঠোতে ভরা পুষ্টি এবং স্বল্প মূল্যের প্রাণীজ উৎস প্রোটিনগুলির মধ্যে একটি। ফলে ডিমকে স্বাস্থ্যকর একটি খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যাকে বলা হয় সুপার ফুড (National Egg Day)। 

    অনেকে কোলেস্টেরলের ভয়ে ডিম খান না। কিন্তু এটি ঠিক নয়। কারণ, একটি ডিমে ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে, যা খুব বেশি নয়। একটি সিদ্ধ ডিমে রয়েছে ৭৮ ক্যালরি, ৬.৩ গ্রাম প্রোটিন, ৫.৩৪ গ্রাম ফ্যাট ও সামান্য কার্বোহাইড্রেট। এ ছাড়া রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, আয়োডিন, সেলেনিয়াম, ফসফোরিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন ডি, জিংক, ফোলেট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, কোলিন, লুটেইন ও জেক্সানথিন। প্রতি বছর ৩ জুন জাতীয় ডিম দিবস (National Egg Day) হিসেবে পালিত হয়। সাশ্রয়ী মূল্যের পুষ্টিকর খাবার সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই দিনটি উদযাপিত হয়। আসুন আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক।

    ডিম খাওয়ার কিছু উপকারিতা- (Benefits of Eating Eggs) 

    শরীরের ভেতরের অনেক সমস্যার নিমেষে সমাধান করে ডিম। যদিও ডিম খাওয়ার কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, সকালের দিকে ডিম খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। 

    শরীরে প্রোটিনের জোগান 
    ডিমে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন। আর এই প্রোটিনে রয়েছে হাইড্রোলাইসেট নামক উপাদান, যা মস্তিষ্কের যত্ন নেয়। মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষ সচল রাখে এই রাসায়নিক উপাদান, যা মনোযোগ বাড়ায়, সৃজনশীল হয়ে উঠতে সাহায্য করে, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, উদ্বেগ কমায়। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ডিম দারুণ কার্যকর বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। 

    ভরপুর পুষ্টিগুণ
    ডিমে রয়েছে ভরপুর পুষ্টিগুণ। ডিমের পুষ্টি উপাদানের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে, যা শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। 

    রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
    ডিমে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ, যেমন ভিটামিন এ, ডি, বি১২ এবং আয়রন। এই পুষ্টিগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, যা আমাদের ছোট এবং বড় অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

    চোখের যত্ন
    ডিমে রয়েছে লুটেইন এবং জেক্সানথিনের মত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা চোখকে সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি বয়স-সম্পর্কিত ম্যাকুলার অবক্ষয় প্রতিরোধেও সাহায্য (Benefits of Eating Eggs) করতে পারে। 

    শরীরে জলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
    অনেকেরই একটা ভুল ধারণা আছে যে ডিম শরীরে তাপ তৈরি করে। তা কিন্তু একেবারেই না। বরং এটি সোডিয়াম, পটাসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের একটি ভালো উৎস, যা শরীরে জলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। 

    আরও পড়ুন: “মোদির ওপরই ভরসা রেখেছেন অরুণাচলবাসী”, বিপুল জয়ের পর বলছেন খাণ্ডু

    হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি হ্রাস
    হার্টের রোগে আক্রান্ত হলে বেশি ডিম খেতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। তবে আগে থেকেই যদি ডিম খাওয়া যায়, তা হলে আর হার্টের সমস্যা দেখা দেয় না। সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে, সপ্তাহে ৪-৭টি ডিম খেলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমে ৭৫ শতাংশ। 

    কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি
    সাম্প্রতিককালে ডায়াবিটিসি, উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি কোলেস্টেরলের সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। তবে রোজ যদি ডিম খেতে পারেন, তাহলে ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএলের মাত্রা বাড়ে। ফলে কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমে।

    ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা
    শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিনের অভাবে ওজন বাড়তে থাকে। তাই ডায়েটে প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। আর ডিম হল সেই প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস। প্রোটিনের গুণে ওজন ঝরে (Benefits of Eating Eggs) দ্রুত। তাই ডায়েট করলেও ডিম খাওয়া বন্ধ করা যাবে না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 35: “পুকুরে কলসীতে জল ভরবার সময় ভকভক শব্দ হয়, পূর্ণ হয়ে গেলে আর শব্দ হয় না”

    Ramakrishna 35: “পুকুরে কলসীতে জল ভরবার সময় ভকভক শব্দ হয়, পূর্ণ হয়ে গেলে আর শব্দ হয় না”

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

                                                                                                                                 ব্রহ্ম নির্লিপ্ত—জীবেরই সম্বন্ধে দুঃখাদি (Problem of Evil)

    মানুষ মনে করে, আমরা তাঁকে জেনে ফেলেছি। একটা পিঁপড়ে চিনির পাহাড়ে গিছল। এক দানা খেয়ে পেট ভরে গেল, আর এক দানা মুখে করে বাসায় যেতে লাগল, যাবার সময় ভাবছে—এবার এসে সব পাহাড়টি লয়ে যাব। ক্ষুদ্র জীবেরা এই সব মনে করে। জানে না ব্রহ্ম বাক্যমনের অতীত।

    যে যতই বড় হউক না কেন, তাঁকে কি জানবে? শুকদেবাদি না হয় ডেও-পিঁপড়ে—চিনির আট-দশটা দানা না হয় মুখে করুক।

    ব্রহ্ম সচ্চিদানন্দ স্বরূপ—নির্বিকল্পসমাধি ও ব্রহ্মজ্ঞান

    তবে বেদে, পুরাণে যা বলছে—সে কিরকম বলা জান? একজন সাগর দেখে এলে কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে, কেমন দেখলে, সে লোক মুখ হাঁ করে বলে, ও! কি দেখলুম! কি হিল্লোল কল্লোল! ব্রহ্মের কথাও সেইরকম। বেদে আছে—তিনি আনন্দস্বরূপ-সচ্চিদানন্দ। শুকদেবাদি এই ব্রহ্মসাগর তটে দাঁড়িয়া দর্শন স্পর্শন করেছিলেন। এক মতে আছে–তাঁরা এ-সাগরে নামেন নাই। এ-সাগরে নামলে আর ফিরবার জো নাই।

    সমাধিস্থ হলে ব্রহ্মজ্ঞান হয়; ব্রহ্মদর্শন হয়—সে অবস্থায় বিচার একেবারে বন্ধ হয়ে যায়, মানুষ চুপ হয়ে যায়। ব্রহ্ম কি বস্তু মুখে বলবার শক্তি থাকে না।

    লুনের ছবি (লবণ পুত্তলিকা) সমুদ্র মাপতে গিছল। (সকলের হাস্য) কত গভীর জল তাই খপর দেবে। খপর দেওয়া আর হল না। যাই নামা অমনি গলে যাওয়া। কে আর খপর দিবেক?

    একজন প্রশ্ন করিলেন, সমাধিস্থ ব্যক্তি, যাঁহার ব্রহ্মজ্ঞান হয়েছে তিনি কি আর কথা কন না?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বিদ্যাসাগরাদির প্রতি)—শঙ্কারাচার্য লোকশিক্ষার জন্য বিদ্যার ‘আমি’ রেখেছিলেন। ব্রহ্মদর্শন হলে মানুষ চুপ করে যায়। যতক্ষণ দর্শন না হয়, ততক্ষণই বিচার। ঘি কাঁচা যতক্ষণ থাকে ততক্ষণই কলকলানি। পাকা ঘির কোন শব্দ থাকেনা। কিন্তু যখন পাকা ঘিয়ে আবার কাঁচা লুচি পড়ে, তখন আর একবার ছ্যাঁক কলকল করে। যখন কাঁচা লুচিকে পাকা করে, তখন আবার চুপ হয়ে যায়। তেমনি সমাধিস্থ পুরুষ লোকশিক্ষা দিবার জন্য আবার নেমে আসে, আবার কথা কয়।

    যতক্ষণ মৌমাছি ফুলে না বসে ততক্ষণ ভনভন করে। ফুলে বসে মধু পান করতে আরম্ভ করলে চুপ হয়ে যায়। মধুপান করার পর মাতাল হয়ে আবার কখন কখন গুণগুণ করে।

    পুকুরে কলসীতে জল ভরবার সময় ভকভক শব্দ হয়। পূর্ণ হয়ে গেলে আর শব্দ হয় না। (সকলের হাস্য) তবে আর এক কলসীতে যদি ঢালাঢালি হয় তাহলে আবার শব্দ হয়। (হাস্য)

    আরও পড়ুনঃ “সাপের ভিতরে বিষ আছে, অন্যকে কামড়ালে মরে যায়, সাপের কিন্তু কিছু হয় না।

    আরও পড়ুনঃ “বিদ্যাসাগরের অনেক গুণ…দয়া সর্বজীবে, বিদ্যাসাগর দয়ার সাগর”

    আরও পড়ুনঃ “দক্ষিণেশ্বরের পরমহংস সামান্য নহেন, এক্ষণে পৃথিবীর মধ্যে এত বড় লোক কেহ নাই”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: রাজঘাটে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিহাড়েই ফিরে গেলেন ‘অসহায়’ কেজরিওয়াল

    Arvind Kejriwal: রাজঘাটে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিহাড়েই ফিরে গেলেন ‘অসহায়’ কেজরিওয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন-পর্ব শেষ। শেষ হয়ে গিয়েছে অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদও। সুপ্রিম কোর্টে জামিনের মেয়াদের আর্জি বাড়ানোর আবেদনও খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তাই রবিবার বিকেলে তিহাড় জেলেই ফিরে গেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)।

    জল্পনার অবসান (Arvind Kejriwal)

    শুক্রবারই তিনি ঘোষণা করেছিলেন, জেলে ফিরে যাওয়ার আগে বিকেল তিনটেয় গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করবেন। এর পরেই জল্পনা ছড়ায়, তাহলে কী স্ত্রী সুনীতাকে কিংবা দলের অন্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসিয়ে জেলে ফিরে যাবেন আপ প্রধান? এদিন দিনের শেষে অবশ্য দেখা গেল কোনও কিছু ঘোষণা না করেই তিহাড়ের নির্দিষ্ট সেলে ফিরে গিয়েছেন কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। তাঁর দলের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জেলে বসেই আগেই মতোই সরকার চালাবেন কেজরিওয়াল।

    কীভাবে চালাবেন সরকার?

    জেলে থেকেও তিনি যাতে সরকার পরিচালনা করতে পারেন, সে বিষয়ে অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাবেন কেজরিওয়াল। আপের একটি অংশের দাবি, তিহাড় জেলের পরিবর্তে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে কোনও অতিথিশালায় বন্দি রাখা হোক। তাহলে সেখান থেকে সরকার পরিচালনা করা তাঁর পক্ষে অনায়াস হবে। যদিও জেলের আচরণবিধি অনুযায়ী, বিচারাধীন বন্দির যাবতীয় কার্যকলাপের ওপর নজর থাকে জেল কর্তৃপক্ষের। তাই অতিথিশালায় তিনি মন্ত্রিসভার কোনও বৈঠক ডাকলে (জেলে এই জাতীয় বৈঠক ডাকাই যায় না। মন্ত্রী কিংবা আধিকারিকরা কোনও ফাইলও সই করাতে আসতে পারেন না।) সেই আলোচনাও রেকর্ড করবেন তাঁরা। অথচ, আইন অনুযায়ী মন্ত্রিসভার বৈঠক সম্পূর্ণ গোপনীয়। মন্ত্রিসভার সদস্য এবং মুখ্যসচিব ছাড়া আর কেউ সেখানে থাকতে পারবেন না।

    আর পড়ুন: “মোদির ওপরই ভরসা রেখেছেন অরুণাচলবাসী”, বিপুল জয়ের পর বলছেন খাণ্ডু

    এদিকে, ১০ জুন পর্যন্ত জেরে জারি থাকবে নির্বাচন কমিশনের আদর্শ আচরণ বিধি। আইন অনুযায়ী, ততদিন নয়া কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না সরকার। তাই এই ক’দিন ফাইল সই কিংবা মন্ত্রিসভার বৈঠক, কোনও কিছুরই প্রয়োজন হবে না। প্রশ্ন হল, তার পরের দিন থেকে কী হবে? অন্যদিকে, এদিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্ত্রী ও দলের নেতাদের নিয়ে কেজরিওয়াল প্রথমে যান রাজঘাটে, গান্ধীজির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে। সেখান থেকেই রওনা দেন তিহাড়ের উদ্দেশে।

    প্রসঙ্গত, দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় মার্চে গ্রেফতার হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। তার পর থেকে তিনি রয়েছেন তিহাড় জেলেই বন্দি। নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেবেন বলে ছাড়া পান অন্তর্বর্তী জামিনে। পয়লা জুন শেষ হয়ে যায় সেই মেয়াদ (Arvind Kejriwal)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Pema Khandu: “মোদির ওপরই ভরসা রেখেছেন অরুণাচলবাসী”, বিপুল জয়ের পর বলছেন খাণ্ডু

    Pema Khandu: “মোদির ওপরই ভরসা রেখেছেন অরুণাচলবাসী”, বিপুল জয়ের পর বলছেন খাণ্ডু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই সীমান্ত রাজ্যের বাসিন্দারা যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপরই আস্থা রেখেছেন, এই নির্বাচনের ফলই তার প্রমাণ।” ফের একবার সিকিম-বিজয় শেষে কথাগুলি বললেন অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খাণ্ডু (Pema Khandu)। অরুণাচল বিধানসভার আসন সংখ্যা ৬০। এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১০টি আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। এই দশজন বিজয়ী প্রার্থীর মধ্যে ছিলেন প্রেমা স্বয়ংও। এদিন গণনা শেষে দেখা যায় গেরুয়া ঝুলিতে এসেছে আরও ৩৪টি আসন। সব মিলিয়ে এ রাজ্যের বিধানসভায় বিজেপির আসন সংখ্যা দাঁড়াল ৪৪টি।

    কী বললেন খাণ্ডু?(Pema Khandu)

    ঘটনাচক্রে প্রেমার (Pema Khandu) বয়সও ৪৪। তিনিই দেশের কনিষ্ঠতম মুখ্যমন্ত্রী। কংগ্রেসকে ‘ক্ষয়প্রাপ্ত শক্তি’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। খাণ্ডু বলেন, “অরুণাচল প্রদেশে কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরে সরকার চালিয়েছে। সরকারকে দুর্নীতির আখড়া বানিয়ে ফেলেছিল ওরা।” তিনি বলেন, “কংগ্রেসের তৎকালীন নেতারা ধাক্কা না খেলে কোনও কাজ করতেন না। রাজ্যকে সুশাসন দিয়েছে বিজেপি।” অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই হয়েছে অরুণাচল প্রদেশ বিধানসভার ভোট। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই হয়েছে এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনও। সেই নির্বাচনের ফলই ঘোষণা হল এদিন।

    সুশাসন দিয়েছে বিজেপি

    তিনি বলেন, “উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলই বলে দিচ্ছে ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ফল কী হবে। অনেক এক্সিট পোলের সমীক্ষা বলছে বিপুল সংখ্যক আসন নিয়ে কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি।” তিনি বলেন, “অরুণাচল প্রদেশে বিজেপি পরিকাঠামো, রাস্তা এবং উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে কংগ্রেস জিতেছিল চারটি আসনে। এবার তাদের দখলে এসেছে একটি আসন।”

    আর পড়ুন: কুর্সিতে ফিরছে বিজেপি-ই, রবিবার টানা সাতটি বৈঠকে যোগ প্রধানমন্ত্রীর

    অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন হয়েছে সাত দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হয়েছিল ১৯ এপ্রিল। শেষ দফার ভোট হয়েছে পয়লা জুন। ফল বের হবে ৪ জুন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেই যে ফের বিজেপি ক্ষমতায় আসবে, তার ইঙ্গিত মিলেছে বিভিন্ন এক্সিট পোলের সমীক্ষায়। ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়ার দাবি বিজেপি পেতে পারে ৩৬১-৪০১টি আসন। নিউজ ২৪-টুডেজ চানক্যের দাবি বিজেপি পেতে পারে ৪০০ আসন। এবিপি নিউজ-সি ভোটারের সমীক্ষায় দাবি ৩৫৩-৩৮৩ আসন। রিপাবলিক ভারত-পি মার্গের সমীক্ষায় প্রকাশ, গেরুয়া ঝুলিতে যেতে পারে ৩৫৯টি আসন। ইন্ডিয়া নিউজ-ডি-ডাইনামিক্সের সমীক্ষাও জানিয়েছে ৩৭১টি আসন পেতে পারে কেন্দ্রের শাসক দল (Pema Khandu)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majhumdar: বিজেপি ক্ষমতায় এলে ‘উত্তর প্রদেশ ট্রিটমেন্ট’! সুকান্ত মজুমদারের কণ্ঠে এবার যোগীর সুর

    Sukanta Majhumdar: বিজেপি ক্ষমতায় এলে ‘উত্তর প্রদেশ ট্রিটমেন্ট’! সুকান্ত মজুমদারের কণ্ঠে এবার যোগীর সুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে মাত্র আর একদিন। তারপর লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা। আর নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগে বালুরঘাটে (Balurghat) রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majhumdar)। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সুকান্ত মজুমদার ভোট পরবর্তী রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর একাধিক হামলার ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে হুঁশিয়ারি দেন। সুকান্ত মজুমদারের মুখে উঠে আসে যোগীর সুর। 

    ভোট পরবর্তী হিংসায় সরব সুকান্ত মজুমদার

    এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসলে উত্তরপ্রদেশের মতো ট্রিটমেন্ট হবে। পুরো এনকাউন্টার করা হবে।” একইসঙ্গে তিনি (Sukanta Majhumdar) বলেন, “গতকাল কালীগঞ্জ থানার চাঁদপুর এলাকার বিজেপি কর্মী খুন হয়েছে, কারণ ভোট পরবর্তী হিংসা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে বসিরহাট, নদীয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় আমাদের কর্মীকে ধমকানো চমকানো, খুন করছে তৃণমূলের গুন্ডারা। কারণ তৃণমূল বুঝে গিয়েছে তাঁদের সময় শেষ। আমি পরিষ্কার এই গুন্ডা মস্তানদের বলে দিতে চাই বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর বিজেপির কোনো নেতাকে ধরে বিজেপির ঝান্ডা পতাকা ধরলেও কিন্তু তারা বাচঁবেনা। উত্তরপ্রদেশের মতো ট্রিটমেন্ট করা হবে। পুরো এনকাউন্টার হয়ে যাবে।” 
    অন্যদিকে, বুথ ফেরত সমীক্ষায় বাংলায় গেরুয়া ঝড়ের ইঙ্গিত। ম্যাট্রিজ, সিএনএক্সের সমীক্ষায় পঁচিশ থেকে ছাব্বিশটি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা পদ্ম শিবিরের। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majhumdar) বলেন, “আমি বুথ ফেরত সমক্ষায় খুব একটা বিশ্বাস করিনা। আমাদের এক্সিট পোল, বিজেপি কর্মীদের যে ফিডব্যাক, সেই ফিডব্যাকের উপর বিশ্বাস করে আমি বলতে পারি, আমি বিজেপির রাজ্য সভাপতি হবার পর একটা স্লোগান দিয়েছিলাম ‘এই বার পঁচিশ পার’। সেই স্লোগানটা আমাদের কর্মীরা আত্মবিশ্বাস করতে পারেনি। তখন দলের অবস্থা খারাপ ছিল। আজকে প্রায় আড়াই বছর পর এখন শুধু দল নয় প্রতিটি খবরের চ্যানেল বিশ্বাস করছে এইবার ২৫ পার। আমাদের টার্গেট ৩০। ৩০ পর্যন্ত যতক্ষণ না পৌঁছোচ্ছি আমাদের লড়াই চলবে। তিরিশে পৌঁছালে আমি ধরে নেবো যে আমরা জিতেছি। 

    আরও পড়ুন: ভোটই দিতে পারলেন না ববি! ডায়মন্ড হারবারের বিভিন্ন বুথে ছাপ্পা, অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর

    তৃতীয়বার মোদিজিই ক্ষমতায় 

    তৃতীয় মোদি সরকারের ইঙ্গিত, বুথ ফেরত সমীক্ষায়। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মোদিজি ক্ষমতায় আসবেন এইটা নিয়ে কারোর দ্বিমত নেই। আমাদের বিরোধী পার্টির যারা লিডার তারাও জানে যে মোদিজি ক্ষমতায় আসবে্ন। সেই জন্য তো মমতা ব্যানার্জি এক তারিখের ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে গেলেননা। কেন গেলেন না? কারণ উনিও জানেন মোদি আসছে। মোদির বিকল্প কিছু নেই। মোদিজি ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর জন্য শপথ নিতে চলছেন।” একইসঙ্গে তিনি জানান, এবার আরও একবারের জন্য  লাল কেল্লায় মোদিজির হাত ধরে পতাকা উঠবে।     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024: ভোটই দিতে পারলেন না ববি! পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলে কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    Loksabha Election 2024: ভোটই দিতে পারলেন না ববি! পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলে কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পর্ব মিটতেই ডায়মন্ড হারবারে উঠল পুনর্নির্বাচনের দাবি। সপ্তম দফায় ভোট (Loksabha Election 2024) ছিল ডায়মন্ড হারবারে। কিন্তু এদিন ভোটই দিতে পারেননি ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbor) বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস ওরফে ববি। পাশাপাশি এদিন ভোটে ছাপ্পার অভিযোগ তুলল বিজেপি। 

    কী কারণে ভোট দিতে পারলেন না বিজেপি প্রার্থী? 

    জানা গিয়েছে ভোটে (Loksabha Election 2024) ছাপ্পার অভিযোগ পেয়েই বুথে বুথে যাওয়া শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী এবং তখনই দফায় দফায় বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। আর তার জন্য নিজের কেন্দ্রে পৌঁছতেই সন্ধ্যা ৬টা বেজে যায়। ফলে ভোট দানের নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ায় ভোট দিতে পারলেন না ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থী। আর সেই কারনেই ডায়মন্ড হারবারের ৪৭০ টি বুথে পুনর্নির্বাচনের আবেদন করেছেন তিনি। 
    অভিজিৎ দাসের বক্তব্য, “প্রচুর ছাপ্পা পড়েছে। আমি রিপোলিং চাইছি। অন্যান্য বিরোধীরাও তাই চাইবেন। এমনকি যাঁরা পুরনো তৃণমূল প্রার্থী তাঁরাও চাইবেন পুনর্নির্বাচন হোক। যদিও বাতিল না হয়, অন্তত ৪৬০টা বুথে রিপোলিং হোক।”

    পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলে কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    বিজেপির দাবি, ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbor) ও মথুরাপুর কেন্দ্রের বেশিরভাগ বুথগুলিতেই ভোটগ্রহণ (Loksabha Election 2024) স্বচ্ছ ভাবে হয়নি। অনেক বুথে অবাধে ছাপ্পা ভোট দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, ভুয়ো ভোটও পড়েছে অনেক বুথে। কোনও কোনও বুথে কারচুপি হয়েছে সিসি ক্যামেরায়। আর সেই কারণেই ওই বুথগুলিতে পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। ওই দুই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর তরফে কমিশনে এই আবেদন জানিয়েছেন বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া। 

    আরও পড়ুন: রাজ্য জুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস! কোন কোন জেলায় সতর্কবার্তা? জানাল আবহাওয়া দফতর

    শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য 

    শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্য বিজেপির কার্যালয়ে বিজেপি (BJP) সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সে সময় তিনি বলেন, “হরিয়ানা, বিহারে এ রকম দেখা যেত। এ বার এখানে এই প্রবণতা শুরু হয়েছে। আপনারা ডায়মন্ড হারবারে দেখেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কোনও পদক্ষেপ করতে না দিয়ে রাজ্য পুলিশ চার ঘণ্টা ধরে আমাদের প্রার্থী অভিজিৎ দাসকে ফলতায় রাস্তার উপরে আটকে রেখেছে। যাতে তিনি অন্য কোনও বুথে যেতে না পারেন।” এর পরেই ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbor) কেন্দ্রের বহু বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলেন শুভেন্দু। 
    উল্লেখ্য, বিজেপির তরফে যে বুথগুলিতে পুনর্নির্বাচনের (Loksabha Election 2024) দাবি তোলা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের ফলতার সব কটি বুথ। এছাড়াও বজবজ, মহেশতলা বিধানসভা এলাকারও বহু বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলা হয়েছে। কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়েছে মথুরাপুর কেন্দ্রের সাগরের একাধিক বুথেও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Weather: রাজ্য জুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস! কোন কোন জেলায় সতর্কবার্তা? জানাল আবহাওয়া দফতর

    West Bengal Weather: রাজ্য জুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস! কোন কোন জেলায় সতর্কবার্তা? জানাল আবহাওয়া দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যেই প্রাক বর্ষার সম্মুখীন হয়েছে রাজ্য৷ উত্তরবঙ্গেও ঢুকে পড়েছে বর্ষা৷ আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন আপাতত কয়েকদিন উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গেও বৃষ্টি (Rainfall in South Bengal) চলবে। মঙ্গলবার পর্যন্ত কিছু কিছু জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস (West Bengal Weather) রয়েছে। যদিও রবিবারের পর থেকে কলকাতায় শুকনো আবহাওয়া থাকবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে আগামী কয়েক দিনে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে (West Bengal Weather) আগামী দিন তিনেক ঝড় বৃষ্টির দাপট চলতে পারে। শহর কলকাতার পাশাপাশি দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদিয়ায় চলবে বৃষ্টি। বৃষ্টির (Rainfall in South Bengal) সঙ্গে এই জেলাগুলিতে থাকবে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে হাওয়ার বেগ আরও বেশি থাকবে। জানা গিয়েছে ঘণ্টায় প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগেও হাওয়া বইতে পারে ওই চার জেলায়।

    উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

    উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করেছে ইতিমধ্যেই। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী উত্তরের পাঁচ জেলায় (West Bengal Weather) রবিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পঙে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে। সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে উত্তরের তিন জেলায়। 

    আরও পড়ুন: জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত

    শহরের আবহাওয়া (West Bengal Weather) 

    অন্যদিকে কলকাতায় রবিবার সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। শহরে আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তথ্য বলছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে এই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় থাকবে। তারপর ধীরে ধীরে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। 
    অতএব বোঝাই যাচ্ছে কম-বেশি সব জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির (Rainfall in South Bengal) সম্ভাবনা রয়েছে৷ সঙ্গে বইবে দমকা ঝোড়ো হাওয়া৷ ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি (West Bengal Weather) করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর৷ তবে ঝড়-বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রার তেমন কোনও হেরফের হবে না, এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর৷ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna Mission Incident: জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত

    Ramakrishna Mission Incident: জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত। জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনার (Ramakrishna Mission Incident) প্রায় দুসপ্তাহ পর মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই প্রদীপের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। অবশেষে ঘটনার ১৩ দিনের মাথায় তাঁকে গ্রেফতার করল শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ (SOG)। আগেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আট জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। আর এবার গ্রেফতার হলেন মূল অভিযুক্ত প্রদীপও।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Ramakrishna Mission Incident)

    গত শনিবার সেবক রোডের দ্বিতল ভবন ‘সেবক হাউসে’ হামলা চালায় ১০-১২ জন দুষ্কৃতী। অভিযোগ, সালুগারার বাসিন্দা প্রদীপ রায়ের প্ররোচনায় আচমকা আশ্রমের ভিতরে ঢুকে সন্ন্যাসীদের উপর চড়াও হয় তাঁরা। তাঁদের শারীরিক নিগ্রহ করে বাড়ির বাইরে বার করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, পাঁচ সন্ন্যাসী ও বাড়িটির নিরাপত্তারক্ষীদের তুলে নিয়ে গিয়ে এনজেপি স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
    ঘটনার পরেই এ নিয়ে ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে মিশন কর্তৃপক্ষ। তারপরই থানায় গিয়ে খোদ আক্রান্ত মহারাজের নামেই অভিযোগ জানান অভিযুক্ত প্রদীপ রায়। এরপর থেকেই ফেরার হন তিনি। তবে শেষমেশ পুলিশের জালে ধরা পড়লেন তিনি। 
    সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এসওজি জলপাইগুড়ি জেলার এক এলাকা থেকে প্রদীপকে গ্রেফতার করে ভক্তিনগর থানার হাতে তুলে দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর টানা জেরা চলছে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনার (Ramakrishna Mission Incident) মূল অভিযুক্তকে জেরা করে এ বিষয়ে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিশ। 

    আরও পড়ুন: পরপর দুটি গুলি, আর তার পরেই মাথা কেটে বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন!

    পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত

    জানা গিয়েছে প্রদীপের খোঁজে বেশ কিছু দিন ধরেই তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। রামকৃষ্ণ মিশনের পক্ষ থেকে করা অভিযোগে প্রদীপ রায়ই ছিলেন ঘটনার অন্যতম পাণ্ডা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা (Ramakrishna Mission Incident) নিয়ে সাড়া পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। ঘটনার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে একের পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছিল পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত প্রদীপ অধরা ছিলেন। প্রদীপের সঙ্গে পুলিশের একাংশের আঁতাঁতের অভিযোগও উঠেছে একাধিক বার। এ বার সেই প্রদীপই পুলিশের জালে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Kripal Yadav: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন রামকৃপাল

    Ram Kripal Yadav: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন রামকৃপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার দুষ্কৃতীদের নিশানায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পাটলিপুত্রের বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বিদায়ী সদস্য রামকৃপাল যাদবের (Ram Kripal Yadav)  কনভয় লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ল দুষ্কৃতীরা। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন তিনি। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে পাটলিপুত্রের মাসাউরি এলাকায়।

    বুথে গিয়ে মেটালেন ঝামেলা (Ram Kripal Yadav)

    জানা গিয়েছে, পয়লা জুন দেশের বিভিন্ন রাজ্যের আরও কয়েকটি আসনের সঙ্গে ভোট হয়েছে বিহারের পাটলিপুত্রেও। এই লোকসভা কেন্দ্রেরই একটি বুথ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন আরজেডি বিধায়ক রেখা পাশোয়ান। সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বুথে ঝামেলা হচ্ছে খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে চলে যান রামকৃপাল (Ram Kripal Yadav)। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এর পর কনভয় নিয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

    মন্ত্রীর কনভয়ে গুলি

    মাসাউরি এলাকায় পৌঁছতেই তাঁর কনভয় লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজনকে আটকে রেখে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। গুলি চালানোর খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। এর পরেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। হামলার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিজেপি। দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবিও তোলা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারির আশ্বাস দেয়। তার পরেই ওঠে অবরোধ। পূর্ব পাটনার পুলিশ সুপার ভরত সোনি বলেন, “পাটনা-জোহানাবাদ রোডে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে বলে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”

    আর পড়ুন: পরপর দুটি গুলি, আর তার পরেই মাথা কেটে বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন!

    রামকৃপালের বিরুদ্ধে বিজেপি-বিরোধীদের বাজি লালু প্রসাদ যাদবের মেয়ে রাজ্যসভার সাংসদ মিশা ভারতী। আরজেডির প্রার্থী মিশার পিছনে রয়েছে কংগ্রেস, সিপিআই, সিপিএম, সিপিআই-এমএলের সমর্থন। তাতেও শেষ রক্ষে হবে কিনা, তা জানা যাবে ৪ জুন, লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন। প্রসঙ্গত, বিহারের রাজনীতিতে লালু ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন রামকৃপাল। পরে তিনি নাম লেখান গেরুয়া খাতায়। ২০১৪ সাল থেকে তিনি পাটলিপুত্রের সাংসদ। এই দুই নির্বাচনেই তিনি (Ram Kripal Yadav) গোহারান হারিয়েছেন মিশাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share