Tag: news in bengali

news in bengali

  • PM Modi: তিলোত্তমায় প্রথম রোড-শো প্রধানমন্ত্রীর, কলকাতা দেখল গণ-উন্মাদনা

    PM Modi: তিলোত্তমায় প্রথম রোড-শো প্রধানমন্ত্রীর, কলকাতা দেখল গণ-উন্মাদনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় প্রথম রোড-শো করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গল-সন্ধ্যায় শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান করে সূচনা হয়েছিল যে যাত্রার, সেই যাত্রাই শেষ হল আড়াই কিলোমিটার দূরে স্বামীজির বাড়ির সামনে গিয়ে, বিবেকানন্দকে শ্রদ্ধা জানিয়ে। কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের প্রার্থী তাপস রায়ের সমর্থনে এদিন রোড-শো করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ফুলেল রাস্তার বুক চিরেই চলল প্রধানমন্ত্রী যান (PM Mod)

    রাজ্যের আরও আটটি আসনের সঙ্গে এই কেন্দ্রেও নির্বাচন হবে পয়লা জুন, সপ্তম তথা শেষ দফায়। রোড-শো শুরুর সময় প্রধানমন্ত্রীর দু’পাশে বঙ্গ বিজেপির দুই প্রধান সৈনিক – রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ছিলেন দমদমের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত-ও। রোড-শো শুরু হতেই তাপসকে এগিয়ে দিয়ে পিছনে চলে যান শুভেন্দু। যাত্রা পথের (PM Modi) পুরোটা জুড়েই ছিল ফুল ছড়ানো। সেই ফুলেল রাস্তার বুক চিরেই ধীর লয়ে এগিয়ে চলে প্রধানমন্ত্রীর যান। প্রধানমন্ত্রীকে এক ঝলক দেখতে রাস্তার দু’ধারে ভিড় করেছিলেন লাখো জনতা। তাঁরা কেউ স্লোগান দিয়েছেন জয় শ্রীরাম, কাউকে আবার বলতে শোনা গিয়েছে, নরেন্দ্র মোদি জিন্দাবাদ। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে হাতজোড় করে প্রণামও করতে দেখা গেল একজনকে।

    প্রধানমন্ত্রীর উদারতা

    রোড-শো শুরুর আগে বাগবাজারে সারদা দেবীর বাড়িতে গিয়ে প্রার্থনা করেন প্রধানমন্ত্রী। দেখা করেন মহারাজদের সঙ্গে। এখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয় প্রসাদী শাল, ধুতি, চাদর, বই, সারদা মায়ের ছবি এবং নির্মাল্য। প্রধানমন্ত্রী তাঁর হয়ে সভা করতে আসায় যারপরনাই খুশি তাপস। বলেন, “এ হল প্রধানমন্ত্রীর উদারতা। এত বড় নেতা, দেশের নেতা, উনি আমার জন্য প্রচার করতে এসেছেন।” রোড-শোয়ের আগে এদিন নির্বাচনী সভা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    সেখানে বলেন, “আগে আপনাদের বলেছিলাম না, না খায়ুঙ্গা, না খানে দুঙ্গা। কথা রেখেছি। গত দশ বছরে কেন্দ্রে কোনও দুর্নীতি হতে দিইনি। আর এবার পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে বলছি, যারা দুর্নীতি করেছে, তাদের বের করে দেব। আর যাদের থেকে খেয়েছে, তাদের সব ফিরিয়ে দেব।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তৃণমূলের নেতাদের কাছে যে নোটের পাহাড় দেখা গিয়েছে, সেই সব টাকার হিসেব হবে। কীভাবে ফেরত পাবেন, তা আমি দেখছি। আইন তৈরি করে সেই টাকা ফেরত দেব (PM Modi)।”

    আর পড়ুন: “বাংলায় সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে বিজেপি”, সপ্তম দফার আগেই জানিয়ে দিলেন মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “শুধু তাজমহলই ভারত নয়, এদেশে আরও অনেক পর্যটনস্থল রয়েছে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “শুধু তাজমহলই ভারত নয়, এদেশে আরও অনেক পর্যটনস্থল রয়েছে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি তাজমহল। তবে এটাই দেশের একমাত্র পর্যটন গন্তব্য নয়। বিদেশিরা আকছার তাজমহল দেখতে আসেন। তবে ভারতে এছাড়াও আরও ছবির মতো সাজানো অনেক জায়গা রয়েছে, যেগুলি আবিষ্কারের প্রতীক্ষায় রয়েছে।” সোমবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে পর্যটকদের তিনি অনুরোধ করেন, “এই সব জায়গাগুলো ঘুরে দেখুন, পূর্ণ করুন অদ্ভুত অভিজ্ঞতার ঝুলি। দেশের ৩৬০ ডিগ্রিই ঘুরে দেখুন।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    ভারতের যে একটা নয়া ব্র্যান্ড তৈরি হয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। জি২০ সামিটের সময় ভারত ও তার বৈচিত্রের প্রতি বিশ্বশক্তিকে কৌতুহলীও করে তোলা হয়েছিল বলেও জানান তিনি। বলেন, “আমরা জি২০ সামিটের আয়োজন করেছিলাম। এই সম্মেলন কেবল দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হয়েছে। এর একটাই উদ্দেশ্য, বিশ্ববাসীকে এই বার্তা দেওয়া যে কেবল দিল্লিই ভারত নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গেলেই আবিষ্কার করা যাবে এই ভূমের বৈচিত্র।” তিনি বলেন, “শুধু তাজমহল দেখেই তামাম ভারতকে চেনা যায় না। এই দেশের অনেক শক্তি রয়েছে। আবিষ্কারের জন্য রয়েছে বিভিন্ন গন্তব্য।”

    জি২০ সম্মেলন

    জি২০ সম্মেলনের পরে যে ভারতে পর্যটকদের আনাগোনা আগের চেয়ে বেড়েছে, এদিন সাক্ষাৎকারে তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এই সম্মেলন কীভাবে ভারতের পর্যটনের সম্ভাবনাকে উৎসাহিত করেছিল, তাও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জি২০ সম্মেলনে ২০০-র বেশি বৈঠক হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এক লাখের বেশি নীতিনির্ধারক এই সব বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। দেশের বিভিন্ন অংশে হয়েছিল এই সব বৈঠক। অভ্যাগতরা কেবল ভারতের ওই সব লোকেশন আবিষ্কার করেনি, তাঁরা তাঁদের পরিবার এবং স্বদেশবাসীকেও ভারতের অতুলনীয় সৌন্দর্যের গল্প শুনিয়েছেন।”

    আর পড়ুন: “বাংলায় সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে বিজেপি”, সপ্তম দফার আগেই জানিয়ে দিলেন মোদি

    প্রসঙ্গত, ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও উনিশটি দেশ মিলে গঠিত হয়েছে জি২০। ফি বছর এই জি২০-র সম্মেলন হয় এর সদস্য রাষ্ট্রগুলিতে। গত বছর এই সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল ভারত। সরকার বা রাষ্ট্রের প্রধান, বিদেশমন্ত্রী, সচিব এবং অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকরা যোগ দেন এই সম্মেলনে। একেবারে শেষে হয় শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলনে যোগ দেন বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধান কিংবা তাঁদের প্রতিনিধিরা (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: রেমাল ঝড়ে এলাকা বিদ্যুৎহীন! হাসনাবাদ-লেবুখালি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

    North 24 Parganas: রেমাল ঝড়ে এলাকা বিদ্যুৎহীন! হাসনাবাদ-লেবুখালি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Parganas) হাসনাবাদ-লেবুখালি রোড অবরোধ করে বিদ্যুৎ সচলের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছেন বরুনহাটের গ্রামবাসীরা। প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে রাস্তা অবরোধ করেন বলে জানা গিয়েছে। আবার ঝাড়ের তাণ্ডবে বিদ্যুৎহীন হয়েছে গোটা গ্রাম। এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। বৃষ্টির কারণে সাময়িক ঠাণ্ডা লাগলেও গরমে অস্থির সকলে। অসহায় মানুষ গরম থেকে নিস্তার পেতে গাছের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকার এবং গরমের জন্য কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিনপাত করছেন। ঘটনা ঘটেছে বর্ধমানের কাটোয়াতে। গরমে গাছতলাই এখন আশ্রয়।

    বিদ্যুত সচলের দাবিতে বিক্ষোভ (North 24 Parganas)

    এলাকায় রেমাল ঝড়ের পর থেকে বিদ্যুৎ নেই। গরমে নাজেহাল জীবন। প্রতিবাদে হাসনাবাদ-লেবুখালি (North 24 Parganas) রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বরুনহাট গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে বরুনহাট গৌড়েশ্বর ব্রিজের সম্মুখে রাস্তা অবরোধ করে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখায়। তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ পরিষেবা না থাকায় গ্রামবাসীরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভের পদ বেছে নেন। বিক্ষোভকারী তুষার সরকার বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেই এই ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়। দ্রুত কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয় না হিঙ্গলগঞ্জ পাওয়ার সাপ্লাই-এর পক্ষ থেকে।” আরও এক বিক্ষোভকারী তরুণ হালদার বলেন, “প্রাকৃতিক বিপর্যয় ছাড়াও অন্য স্বাভাবিক সময়ও গরমের মধ্যে এই ধরনের বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে থাকে। বিদ্যুৎ পরিষেবা সচলের পাশাপাশি ডাম্পিং স্টেশনের দাবিও জানাই আমরা।”

    মোমবাতি জ্বালিয়ে পড়াশুনা চলছে

    উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) মতো কাটোয়ার অগ্রদ্বীপে সরওয়ারি পাড়ায় রেমাল ঝড়ের কারণে ইলেকট্রিক নেই। সূর্যাস্তের পর গোটা এলাকা ডুবে যাচ্ছে। মানুষকে মোমবাতি বা টর্চের আলোয় রাত কাটাতে হচ্ছে। গ্রামের বেশির ভাগ মানুষের বাড়ি টিনের। গরম থেকে রক্ষা পেতে গাছ তালার নিচে গিয়ে আশ্রয় নিতে হচ্ছে। এলাকার মানুষ বলেছেন, “বিদ্যুৎ এমনিতেই থাকে না, তারপর আবার ঝড়ের কারণে তিনদিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। প্রদীপ-মোমবাতি জ্বালিয়ে পড়াশুনা করতে হচ্ছে ছেলে-মেয়েদের। অসুস্থ মানুষকে হাত পাখা দিয়ে সেবা করতে হচ্ছে।”

    বিদ্যুৎ দফতরের বক্তব্য

    কাটোয়া বিদ্যুৎ দফতর থেকে বলা হয়েছে, ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ-এর খুঁটি পরে গিয়েছে। নদিয়া জেলায় দেবগ্রাম এলাকার সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ করা হয়েছে। আজ কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সংযোগ দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুনঃ রেমাল দুর্যোগে হাসপাতালে বন্ধ জেনারেটর, দেওয়া গেল না অক্সিজেন-নেবুলাইজার, মৃত্যু সদ্যোজাতের!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Old Man Beaten: তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি করায় বৃদ্ধকে মারধর, ভোটের আগে উত্তপ্ত রামচন্দ্রপুর

    Old Man Beaten: তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি করায় বৃদ্ধকে মারধর, ভোটের আগে উত্তপ্ত রামচন্দ্রপুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যত ভোট এগিয়ে আসছে তত শাসক দলের দাদাগিরির অভিযোগ সামনে আসছে। নির্বাচনী আবহে রাজ্যের একাধিক জায়গায় শাসক-বিরোধী দ্বন্দ্ব বারবার সমানে এসেছে। আর এবার শেষ দফার ভোটের আগেও তার অন্যথা হলনা। এবার মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া জব কার্ডের টাকা তুলে শাসক দলের নেতা কে না দেওয়ায় বৃদ্ধকে মারধরের (Old Man Beaten) অভিযোগ উঠল বুথ সভাপতি ও স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য তপন মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার (South 24 Paraganas) মন্দিরবাজার বিধানসভার ধনুরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের রামচন্দ্রপুর এলাকায়। 
    জানা গিয়েছে, সুশীল মন্ডল, প্রবীর মন্ডল সহ এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জব কার্ডে কাজ করে। জব কার্ডের টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকার পর সেই টাকা শাসকদলের নেতারা দাবি করেন। কিন্তু টাকা দিতে না চাওয়ার তাদের মারধর করা হয় বলেই অভিযোগ। 

    সুনীল মন্ডলের অভিযোগ (Old Man Beaten) 

    বৃদ্ধ সুনীল মন্ডলের অভিযোগ বাজার থেকে ফেরার পথে সুনীল মন্ডল, সুশীল মন্ডল ও প্রবীর মন্ডল সহ কয়েকজনকে লাঠি নিয়ে মারধর করে তৃণমূল বুথ সভাপতি তপন মুখোপাধ্যায় ও তার দলবলের লোকজন। যদিও মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন তৃণমূল বুথ সভাপতি।

    এই বিষয়ে (Old Man Beaten) বুথ সভাপতির পাল্টা দাবি তারা কোনও জব কার্ডের টাকা চাননি বরং বৃদ্ধ সুনীল মণ্ডল তার থেকে বেশ কিছু টাকা ধার নিয়েছিল। সেই টাকাই তিনি চেয়েছেন। অন্যদিকে দল ছেড়ে বিজেপি করার কথা স্বীকার করেছেন ঐ তৃণমূল নেতা। ইতিমধ্যেই মন্দিরবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।  

    আরও পড়ুন: “বাংলায় সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে বিজেপি”, সপ্তম দফার আগেই জানিয়ে দিলেন মোদি

    বিজেপির বক্তব্য 

    ঘটনার (Old Man Beaten) প্রসঙ্গে মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অশোক পুর্কাইত বলেন, “এই লোকসভায় শুধু মথুরাপুর নয় তারা বুঝতে পেরেছে মন্দিরবাজার এলাকাতেও তারা ধরাশায়ী হয়ে যাবে। সেজন্য এখন তাদের মধ্যে টাকার ভাগাভাগি চলছে। ”  এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “পুলিশ ও তৃণমূলের গুন্ডারা যেভাবে এখানে আক্রমণ চালাচ্ছে সেটা আগামী দিনে খুব ভয়াবহ। ” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 30: “বালককে বুঝাইলে যেমন নিশ্চিত হয়, ঠাকুরও তেমনি নিশ্চিত হইলেন”

    Ramakrishna 30: “বালককে বুঝাইলে যেমন নিশ্চিত হয়, ঠাকুরও তেমনি নিশ্চিত হইলেন”

    কলিকাতায় শ্রীঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণের মিলন

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    গাড়ি রামমোহন রায়ের বাগানবাটির কাছ দিয়া আসিতেছে। মাস্টার ঠাকুরের ভাবান্তর দেখেন নাই, তাড়াতাড়ি বলিতেছেন, এইটি রামমোহন রায়ের বাটী। ঠাকুর বিরক্ত হইলেন; বলিলেন, এখন ও-সব কথা ভাল লাগছে না। ঠাকুর ভাবাবিষ্ট হইতেছেন।

    বিদ্যাসাগরের বাটির সম্মুখে গাড়ি দাঁড়াল। গৃহটি দ্বিতল, ইংরেজ পছন্দ। জায়গায় মাঝখানে বাটী ও জায়গায় চতুর্দিকে প্রাচীর। বাড়ির পশ্চিমধারে সদর দরজা ও ফটক। ফটকটি দ্বারের দক্ষিণদিকে। পশ্চিমের প্রাচির ও দ্বিতল গৃহের মধ্যবর্তী স্থানে মাঝে মাঝে পুষ্পবৃক্ষ। পশ্চিমদিকের নিচের ঘর হইয়া সিঁড়ি দিয়া উপরে উঠিতে হয়। উপরে বিদ্যাসগার থাকেন। সিঁড়ি দিয়া উঠিয়াই উত্তরে একটি কামরা, তাহার পূর্বদিকে হলঘর। হলের দক্ষিণ-পূর্ব ঘরে বিদ্যাসাগর শয়ন করেন। ঠিক দক্ষিণে আর একটি কামরা আছে—এই কয়টি কামরা বহুমূল্য পুস্তক পরিপূর্ণ। দেওয়ালের কাছে সারি সারি অনেকগুলি পুস্তকাধারে অতি সুন্দররূপে বাঁধানো বইগুলি সাজানো আছে। এই হলঘরের পূর্ব সীমান্তে টেবিল ও চেয়ার আছে। বিদ্যাসাগর যখন বসিয়া কাজ করেন, তখন সেইখানে তিনি পশ্চিমাস্য হইয়া বসেন। যাঁহারা দেখাশুনা করিতে আসেন, তাঁহারাও টেবিলে চর্তুদিকে চেয়ারে উপবিষ্ট হন। টেবিলের উপর লিখবার সামগ্রী—কাগজ কলম। দোয়াত, ব্লটিং অনেকগুলি চিঠিপত্র বাঁধানো হিসাব-পত্রের খাতা দু-চারখানি বিদ্যাসাগরের পাঠ্যপুস্তক রহিয়াছে—দেখিতে পাওয়া যায়। ওই কাষ্ঠাসনের ঠিক দক্ষিণের কামরাতে খাট-বিছানা আছে—সেইখানেই ইনি শয়ন করেন।

    টেবিলের উপর যে—পত্রগুলি চাপা রহিয়াছে—তাহাতে কি লেখা রহিয়াছে? কোন বিধবা হয়তো লিখিয়াছে, আমরা অপোগণ্ডু শিশু অনাথ, দেখিবার কেহ নাই, আপনাকে দেখিতে হইবে। কেহ লিখিয়াছেন, আপনি খরমাতার চলিয়া গিয়াছিলেন, তাই আমরা মাসোহারা ঠিক সময় পাই নাই, বড় কষ্ট হইয়াছে। কোন গরিব লিখিয়াছে, আপনার স্কুলে ফ্রি ভর্তি হইয়াছি, কিন্তু আমার বই কিনিবার ক্ষমতা নাই। কেহ লিখিয়াছেন, আমরা পরিবারবর্গ খেতে পাচ্ছে না—আমাকে একটি চাকরি করিয়া দিতে হইবে। তাঁর স্কুলের কোন শিক্ষক লিখিয়াছেন, আমরা ভগিনী বিধবা হইয়াছে, তাহার সমস্ত ভার আমাকে লইতে হইয়াছে। এ বেতনে আমরা চলে না। হয়তো কেহ বিলাত হইতে লিখিয়াছেন, আমি এখানে বিপদগ্রস্থ, আপনি দীনের বন্ধু, টাকা পাঠাইয়া আসন্ন বিপদ হইতে আমাকে রক্ষা করুন। কেহ বা লিখিয়াছেন, অমুক তারিখে সালিসির দিন নির্ধারিত, আপনি সেদিন আসিয়া আমাদের বিবাদ মিটাইয়া দিবেন।

    ঠাকুর গাড়ি হইতে অবতরণ করিলেন। মাস্টার পথ দেখাইয়া বাটির মধ্যে লইয়া যাইতেছেন। উঠানে ফুলগাছ, তাহার মধ্য দিয়া আসিতে আসিতে ঠাকুর বালকের ন্যায় বোতাম হাত দিয়া মাস্টারকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন, জামার বোতাম খোলা র‍য়েছে,–এতে কিছু দোষ হবে না? গায়ে একটি লংক্লথের জামা, পরনে লালপেরে কাপড়, তাহার আঁচলটি কাঁধে ফেলা। পায়ে বার্নিশ করা চটি জুতা। মাস্টার বলিলেন, আপনিও ওর জন্য ভাবেন না, আপনার কিছুতে দোষ হবে না; আপনার বোতাম দেবার দরকার নাই। বালককে বুঝাইলে যেমন নিশ্চিত হয়, ঠাকুরও তেমনি নিশ্চিত হইলেন। 

    আরও পড়ুনঃ “বিদ্যাসাগরের অনেক গুণ…দয়া সর্বজীবে, বিদ্যাসাগর দয়ার সাগর”

    আরও পড়ুনঃ “দক্ষিণেশ্বরের পরমহংস সামান্য নহেন, এক্ষণে পৃথিবীর মধ্যে এত বড় লোক কেহ নাই”

    আরও পড়ুনঃ “দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি পরিবারের সদস্যরা সরকারি চাকরি পাবেন না”, ঘোষণা শাহের

    Amit Shah: “জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি পরিবারের সদস্যরা সরকারি চাকরি পাবেন না”, ঘোষণা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যারা জঙ্গি, পাথর ছোড়ার ঘটনায় যুক্ত, জম্মু-কাশ্মীরে তাদের পরিবারের সদস্যরা সরকারি চাকরি পাবেন না।” সাফ জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “তবে যদি কোনও পরিবার কিংবা পরিবারের কোনও সদস্য নিজের লোকের সন্ত্রাসী কাজকর্মের কথা পুলিশকে জানান, সেক্ষেত্রে রেহাই পাবেন তাঁরা। সরকারি চাকরিতে নিয়োগে তাঁদের কোনও বাধা থাকবে না। মানবাধিকার কর্মীরা বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেখানে সরকারেরই জয় হয়েছে।”

    কী বললেন শাহ? (Amit Shah)

    তিনি বলেন, “যদি কেউ আগে সরকারি চাকরি পেয়ে থাকেন ও তার পর তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন, সেক্ষেত্রে ওই আধিকারিককে ছাড় দেওয়া হবে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah) দাবি, “কাশ্মীরে সন্ত্রাসীর দেহ নিয়ে আগে শোভাযাত্রা বেরত। আমাদের সরকার এসে সেই রীতিতে ইতি টেনেছে। দেহ নিয়ে মিছিল করার সাহস আর এখন পান না কেউ।” দেশে চলছে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। ছ’দফায় নির্বাচন হয়ে গেলেও বাকি রয়েছে শেষ দফার নির্বাচন। সেই ভোট হবে পয়লা জুন। সেই আবহেই জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন শাহ।

    সন্ত্রাসের বাস্তুতন্ত্রে আঘাত

    তিনি বলেন, “২০১৮ সালে কাশ্মীরে যেখানে নাশকতার ঘটনা ঘটেছিল ২২৮টি, ২০২৩ সালে তা এসে ঠেকেছে ৫০-এ। কেন্দ্র সন্ত্রাসের বাস্তুতন্ত্রে আঘাত হানতেই এমনটা সম্ভব হয়েছে।” তিনি বলেন, “উপত্যকায় কেবল জঙ্গিদের শেষ করাই নয়, মোদি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার সন্ত্রাসের আবহ বদলে ফেলারও।” কেন্দ্র যে জঙ্গিদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরাতে আগ্রহী, তা-ও মনে করিয়ে দেন শাহ। বলেন, “যখন কোনও জঙ্গিকে নিরাপত্তাবাহিনী ঘিরে ফেলে, তখন তাকে প্রথমে আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হয়। তাঁর মা, স্ত্রী কিংবা পরিবারের কাছের সদস্যকে সেখানে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের মাধ্যমে ওই জঙ্গিকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। তার পরেও সে আত্মসমর্পণে রাজি না হলে করা হয় পরবর্তী পদক্ষেপ।”

    আর পড়ুন: “এমন ব্যবস্থা নেব, আগামী প্রজন্ম দুর্নীতি করার আগে ১০০ বার ভাববে”, বাংলায় এসে তোপ মোদির

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এনআইএ(জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা)-র মাধ্যমে আমরা টেরর ফান্ডিংয়ের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছি। তাই বন্ধ হয়েছে সন্ত্রাসে অর্থায়ন। টেরর ফান্ডিংয়ের বিষয়ে আমরা কঠোর অবস্থান নিয়েছি (Amit Shah)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “এমন ব্যবস্থা নেব, আগামী প্রজন্ম দুর্নীতি করার আগে ১০০ বার ভাববে”, বাংলায় এসে তোপ মোদির

    PM Modi: “এমন ব্যবস্থা নেব, আগামী প্রজন্ম দুর্নীতি করার আগে ১০০ বার ভাববে”, বাংলায় এসে তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের শেষবেলার প্রচারে মঙ্গলবার বাংলায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আগামী ১ জুন লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোটগ্রহণ। সপ্তম দফায় বাংলার নয়টি আসনে ভোট রয়েছে। ওই তালিকায় আছে কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, যাদবপুর, দমদম, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার এবং বারাসত। আর শেষ দফা ভোটের আগে বারাসত কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের সমর্থনে আশোকনগর হরিপুর মাঠে জনসভা (BJP Campaign in Barasat) করছেন মোদি। আর এই সভা থেকেই বাংলায় কর্ম সংস্থান সহ একাধিক প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন মোদি। 

    ‘একসময় লক্ষ লক্ষ দেশবাসীর রোজগারের উৎস ছিল বাংলা’

    এদিন মোদি বলেন, “গত ১০ বছরে বিজেপি সরকার পূর্ব ভারতের জন্য যত টাকা খরচ করেছে, তা গত ৬০-৭০ বছরেও হয়নি।” একইসঙ্গে রেল, রাস্তা, বিমানবন্দর সহ একাধিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন তিনি। এর ফলে আয়ের উৎস বেড়েছে বলেও মন্তব্য করেন। এরপর পশ্চিমবঙ্গের সম্পদের কথা বলতে গিয়ে, মোদি (PM Modi) বলেন, “বাংলা একসময় লক্ষ লক্ষ দেশবাসীর রোজগারের উৎস ছিল। এখন কারখানা বন্ধ হয়ে আছে। শ্রমিকরা চলে যাচ্ছেন। বাংলার এমন দুর্দশা করল কারা? আমি জানতে চাই। প্রথমে কংগ্রেস, তারপর সিপিএম লুঠ করেছে। আর এখন তৃণমূল দু হাতে লুঠ করছে।” 

    বাংলাতে লুঠ হওয়া টাকা ফেরানোর আশ্বাস মোদির 

    এছাড়াও মোদি বাংলায় হওয়া দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে আরও বলেন, “আমি কেন্দ্রীয় স্তরে ১০ বছরে একটাও দুর্নীতি হতে দিইনি। এখন দেশকে এবং পশ্চিমবঙ্গকে গ্যারান্টি দিচ্ছি যে দুর্নীতি করেছে, তাকে বাইরে বার করব। যাদের থেকে টাকা লুঠ হয়েছে, তাদের টাকা ফেরত দেব। এক এক টাকার হিসাব হবে। আমি আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি। লুঠ হওয়া ১৭ হাজার কোটি টাকা মানুষকে ফেরত দিয়ে দিয়েছি। বাংলাতেও আপনাদের লুঠ হওয়া টাকা আপনাদের ফেরত পেতে সাহায্য করব। এমন ব্যবস্থা নেব যে এদের আগামী প্রজন্মও দুর্নীতি করার আগে ১০০ বার ভাববে।”  

    আরও পড়ুন: বালুর মদতেই ‘বাঘ’ হয়ে ওঠেন শাহজাহান? ইডির তদন্তে সামনে এল নতুন তথ্য

    অন্যদিকে এদিন ওবিসি ইস্যুতে সরব হন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বলেন, “ভোট ব্যাঙ্ককে তোষণ করাই বিরোধীদের মূল উদ্দেশ্য। বাংলায় তৃণমূল ওবিসি-দের ধোঁকা দিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট বলেছে ৭৭ মুসলিম সম্প্রদায়কে ওবিসি ঘোষণা করা অসাংবিধানিক। অর্থাৎ তৃণমূল লক্ষ লক্ষ ওবিসি-র অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। আর হাইকোর্টের নির্দেশের পর মুখ্যমন্ত্রী কী বলছেন, তা তো শোনাই যাচ্ছে। বিচারপতিদের নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। প্রশ্ন করতে চাই, বিচারপতিদের পিছনেও কি আপনারা গুণ্ডা লাগিয়ে দেবেন?” তাঁর বক্তব্য, তৃণমূল সত্যিটা মেনে নিতে পারে না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “বাংলায় সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে বিজেপি”, সপ্তম দফার আগেই জানিয়ে দিলেন মোদি

    PM Modi: “বাংলায় সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে বিজেপি”, সপ্তম দফার আগেই জানিয়ে দিলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলায় সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে বিজেপি।” কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দু’দিনের সফরে মঙ্গলবার কলকাতায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেলে জনসভা করেন বারুইপুরে। সন্ধেয় কলকাতায় রোড-শো করার কথা। তার আগে সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে এক পেশে লড়াই হচ্ছে। এই লড়াই তৃণমূল লড়ছে স্রেফ অস্তিত্ব রক্ষার জন্য।”

    টিকে থাকার লড়াই তৃণমূলের! (PM Modi)

    অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়। সাত দফায় নির্বাচন হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গেও। ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে এখনও ভোট হয়নি ৯টি কেন্দ্রে। পয়লা জুন সপ্তম তথা শেষ দফায় নির্বাচন হবে এই কেন্দ্রগুলিতে। তার আগে দু’দিনের বঙ্গ সফরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “বাংলার ভোটে তৃণমূল দল কেবল টিকে থাকার জন্য লড়াই করছে। আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন বাংলায় বিজেপির তিনটি আসন ছিল। সেখান থেকে বেড়ে ৮০টি (আসলে ৭৭টি) হয়েছিল। গত লোকসভা নির্বাচনে আমরা প্রচুর সমর্থন পেয়েছিলাম।”

    বেস্ট পারফর্মিং রাজ্য

    এর পরেই তিনি বলেন, “গোটা দেশের মধ্যে বাংলা হবে বিজেপির বেস্ট পারফর্মিং রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গে সব চেয়ে বেশি সাফল্য পাবে বিজেপি।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলায় লাগাতার খুন আর হামলার ঘটনা ঘটছে। ভোটের আগে বিজেপি কর্মীদের জেলে ভরে দেওয়া হচ্ছে। এই সব অত্যাচার সত্ত্বেও বিপুল সংখ্যক মানুষ বেরিয়ে এসে নিজের ভোট নিজে দিচ্ছেন।” সাক্ষাৎকারে প্রত্যাশিতভাবেই ওঠে ওবিসিদের শংসাপত্র বাতিলের প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কলকাতা হাইকোর্ট বেআইনিভাবে দেওয়া ওবিসি সংরক্ষণ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। তৃণমূল এখন উচ্চ আদালতকে আক্রমণ করছে। বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে খারাপ কথা বলছে।”

    আর পড়ুন: সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধের নির্দেশ, সময় বেঁধে দিল হাইকোর্ট

    এদিন প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণের লক্ষ্য ছিল কংগ্রেসও। তিনি বলেন, “ওদের একটা সুনির্দিষ্ট ছক রয়েছে। প্রথম পাপ ওরা করেছে অন্ধ্রপ্রদেশে। সেখানে মুসলমানদের সংরক্ষণ দেওয়ার পাপ করেছে। ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের কোনও বিধান নেই সংবিধানে। তাই সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দিয়েছে। এবার ওরা পিছনের দরজা দিয়ে মুসলমানদের ওবিসির তালিকায় সংরক্ষণ দিতে চাইছে। কেড়ে নিতে চাইছে ওবিসিদের অধিকার।” নাম না করে ‘ইন্ডি’ জোটকেও আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “যাঁরা নতুন স্বপ্ন দেখে নতুন দৌড় শুরু করেছিলেন, তাঁদের কাছেও এটা শেষ দৌড়। কেবল নির্বাচনের নয়, ওদের অস্তিত্বেরই শেষ দৌড় (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Locket Chatterjee: হুগলিতে ইভিএম বদল হতে পারে! আশঙ্কায় স্ট্রং রুমে হানা দিলেন লকেট  

    Locket Chatterjee: হুগলিতে ইভিএম বদল হতে পারে! আশঙ্কায় স্ট্রং রুমে হানা দিলেন লকেট  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার হুগলির স্ট্রং রুম পরিদর্শন করতে যান বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। এই জেলার এইচআইটি কলেজে তৈরি করা হয়েছে স্ট্রং রুম। ইভিএম মেশিনের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ইভিএম বদল হতে পারে। আর তাই আশঙ্কায় স্ট্রং রুমে হানা দিলেন তিনি। পাল্টা তৃণমূল বিজেপি প্রার্থীকে দেখে তৃণমূলের কর্মীরা গো ব্যাক স্লোগান দিলে, বিজেপিও জয় শ্রী রাম ধ্বনি তোলে। ফলে ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি হয় ঘটনাস্থলে। 

    ইভিএম বদল হয়ে যেতে পারে (Locket Chatterjee)?

    হুগলি লোকসভার কেন্দ্রের স্ট্রং রুমকে ঘিরে এই কলেজ এলাকার চত্বরকে সিসি ক্যামেরা দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করা হয়েছে। তবে একই সঙ্গে রাজ্য পুলিশ বাহিনীকেও নিরাপত্তার কাজে লাগানো হয়েছে। তবে নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যেই ইভিএম বদল হয়ে যেতে পারে। ঠিক এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজেপি প্রার্থী লকেট (Locket Chatterjee)। তাই রবিবার রাতে স্ট্রং রুমে হাজির হন তিনি। আবার স্ট্রং রুম এইচআইটি কলেজের পাশেই রয়েছে বেসরকারি ইঞ্জিনারিং কলেজ। ঠিক এই কলেজের পিছন দিয়ে অন্ধকার পুকুর পাড় দিয়ে স্ট্রং রুমে পৌঁছে যান তিনি। এরপর খবর পেয়ে চন্দননগর থানার পুলিশ এসে হাজির হয় ঘটনাস্থলে।

    কী বললেন লকেট?

    বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) বলেন, “স্ট্রং রুম পাহার হচ্ছে কিন্তু পিছন দিকের জায়গা নিরাপদ নয়। পিছনে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। তাই এখানে নিরাপদ করতে ক্যামেরা লাগাতে হবে।” এরপর জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুনঃ রেমাল দুর্যোগে হাসপাতালে বন্ধ জেনারেটর, দেওয়া গেল না অক্সিজেন-নেবুলাইজার, মৃত্যু সদ্যোজাতের!

    তৃণমূলের বক্তব্য

    জেলার তৃণমূল নেতা গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, “নির্বাচনের বৈতরণী পাড় করতে চাইছেন। তিনি এখানে একটি গিমিক তৈরি করতে চাইছেন। দল নিয়ে ঢুকে পড়েছেন। বুথ এবং স্ট্রং রুমের মধ্যে বোধশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন।” উল্লেখ্য এই কেন্দ্র হল তারাকা প্রার্থী কেন্দ্র। বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) এবং তৃণমূলের প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৪ জুন ফলাফল ঘোষণার দিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: বালুর মদতেই ‘বাঘ’ হয়ে ওঠেন শাহজাহান? ইডির তদন্তে সামনে এল নতুন তথ্য

    Jyotipriya Mallick: বালুর মদতেই ‘বাঘ’ হয়ে ওঠেন শাহজাহান? ইডির তদন্তে সামনে এল নতুন তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারো সংবাদ শিরোনামে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। সন্দেশখালির জেলবন্দি তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখকে (Shahjahan Sheikh) জমি দখলের ‘বেতাজ বাদশা’ তৈরির কারিগর ছিলেন তিনিই। সম্প্রতি ইডির তদন্তে উঠে এলো এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জেলের চার দেওয়ালের মধ্যেই বর্তমানে দিন কাটছে তাঁর। জামিনের আবেদন করেও সুরাহা হচ্ছে না। এবার সেই জ্যোতিপ্রিয় ওরফে বালুরই নাম জড়াল সন্দেশখালির জমি দখল মামলায়। 

    ঠিক কী জানিয়েছে ইডি? 

    সোমবার জমি দখল মামলায় আদালতে চার্জশিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেখানে জ্যোতিপ্রিয়র (Jyotipriya Mallick) নাম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ইডি যে চার্জশিট দিয়েছে সেখানে উল্লেখ রয়েছে, শাহজাহানকে  সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ তৈরির নেপথ্যে ছিলেন এই বালুই। বাম জমানা থেকে ধীরে ধীরে সন্দেশখালির বুকে শাহজাহানের প্রভাব বাড়তে শুরু করলেও ‘জ্যোতিপ্রিয়-যোগে’র পর সন্দেশখালিতে শাহজাহানের রমরমা বৃদ্ধি পায়। 
    যদিও সরাসরি জমি দখলের সঙ্গে বালু যুক্ত না থাকলেও, এ বিষয়ে শাহজাহান (Shahjahan Sheikh) নাকি প্রশ্রয় পেয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর কাছ থেকেই। এছাড়াও ইডির একটি সূত্র এও জানিয়েছে, সময়ে সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে বালুর থেকে সমর্থন পেয়েছেন শাহজাহান। 

    আরও পড়ুন: আবারও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল! পূর্ব বর্ধমানে জখম ৫

    জমি দখল মামলাতেও বালু-শাহজাহান যোগ

    প্রসঙ্গত, এর আগে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে বালুর (Jyotipriya Mallick) সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল শাহজাহানের। সেই সূত্র ধরে শাহজাহানের সরবেড়িয়ার বাড়িতে ইডির তদন্তকারীরা হানাও দিয়েছিলেন। আর এ বার জমি দখল মামলাতেও বালু-শাহজাহান ‘যোগ’ প্রকাশ্যে এসেছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে ইডিরই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, শাহজাহানের বিরুদ্ধে প্রাক্তন মন্ত্রীর টাকা ‘পার্ক অ্যান্ড লন্ডার’-এর অভিযোগও রয়েছে। আইনি ব্যাখ্যায় যার অর্থ, কোনও একটি জায়গায় টাকা গচ্ছিত রাখা এবং তার পর তার বেআইনি লেনদেনের ব্যবস্থা করা। অর্থাৎ, বালুর টাকা ‘উপযুক্ত’ ঠিকানায় জমা দিয়েছেন শাহজাহান। তার পর সেখান থেকে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করে হাজার হাজার কোটির কালো টাকা সাদা করেছেন। এ ছাড়াও সন্দেশখালির স্থানীয় আদি তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশেরও দাবি ছিল, বালুর (Jyotipriya Mallick) ‘প্রশ্রয়েই’ নাকি বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল শাহজাহান শেখের মতো নেতার। ইতিমধ্যেই পুরো বিষয়টিতে বালুর আর কী ভূমিকা ছিল, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share