Tag: news in bengali

news in bengali

  • Kalash Tribe: ‘আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটে’র ‘হারানো সন্তান’রা পালন করেন হিন্দুধর্ম!

    Kalash Tribe: ‘আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটে’র ‘হারানো সন্তান’রা পালন করেন হিন্দুধর্ম!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশটা ইসলামি। তার ওপর দেশটার নাম পাকিস্তান। সে দেশেই কোনওক্রমে অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেন হাজার চারেক হিন্দু। এ যেন কয়েক হাজার ওয়াটের নিয়ন আলোর সামনে টিম টিম করে জ্বলা লণ্ঠন, কোনওক্রমে চালিয়ে যাচ্ছে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই! আজ্ঞে হ্যাঁ, আমরা পাকিস্তানের কালাশ (Kalash Tribe) হিন্দুদের কথাই বলছি। হিন্দুকুশ পর্বতের উপত্যকার জেলা চিত্রালে বাস করেন হাজার চারেক কালাশ সম্প্রদায়ের মানুষ। এঁরা মুসলমান নন।

    হিন্দুত্বের ধ্বজা (Kalash Tribe)

    হিন্দু গণহত্যার আবহেও ইসলামি এক রাষ্ট্রের বুকে এঁরা আজও উড়িয়ে চলেছেন হিন্দুত্বের ধ্বজা। মুসলমানদের কাছে এঁরা ‘কাফের’ নামে পরিচিত। যেহেতু এক সময় এই সম্প্রদায়ের প্রচুর মানুষ হিন্দুকুশ পর্বত অঞ্চলে বসবাস করতেন, তাই এই অঞ্চলের নাম ছিল ‘কাফেরস্তান’। ডুরান্ড লাইন বিভক্ত করেছে কাফেরস্তানকে। এদের একটা অংশের শাসক ছিল ব্রিটিশরা। অন্য অংশের বাসিন্দারা ছিলেন আফগান রাজা আমির আবদুর রহমানের অধীনে। নিজের অংশের প্রজাদের ধর্মান্তরিত করা হয়। এলাকার নাম বদলে রাজা করে দেন নুরিস্তান। ব্রিটিশদের অধীনে যাঁরা ছিলেন, তাঁর কালাশই রয়ে যান। এঁরা আজও সংস্কৃত ভাষা গোষ্ঠীর ইন্ডিক ল্যাঙ্গুয়েজে কথা বলেন।

    কোথায় বাস কালাশদের

    কালাশরা (Kalash Tribe) ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন বুম্বুরেট, রুম্বুর ও বিরির এই তিন উপত্যকায়। কালাশ অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে থাবা বসাতে পারেনি মৌলবাদ। এই সম্প্রদায়ের মানুষ পাকিস্তানের শাসন মানেন না। এঁরা নিজেদের গ্রীক বীর আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের সৈন্যের বংশধর বলে মনে করেন। তাই হাজার বছর ধরে লড়াই করেও কোনওক্রমে স্বতন্ত্র অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেন কালাশরা। কালাশদের দাবি, ইসলামেরও জন্মের আগে ভারতে এসেছিলেন সিকান্দার-ই-আজম (আলেকজান্ডার)। ভারত জয় করে তিনি ফিরে যান গ্রিসে। তাঁর কিছু সৈন্য হিন্দুকুশ অঞ্চলে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের প্রেমে পড়ে গিয়ে এখানেই থেকে যান। বিয়ে করেন স্থানীয় মহিলাদের। পাকিস্তানের মুসলমানরা যাঁদের কাফের বলেন, হিন্দুকুশের সেই কাফের কালাশরা তাঁদেরই বংশধর। কালাশদের (Kalash Tribe) জীবন বড় বর্ণময়। জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় সব কিছুই নিজেরাই তৈরি করে নেন তাঁরা। জীবিকা নির্বাহের জন্য এঁরা চাষবাস করেন, করেন পশুপালনও। কালাশ সমাজে নারী-পুরুষ সবাই সমান। তবে রজঃস্বলারা বা সন্তানের জন্ম দেওয়ার সময় মহিলাদের বাস করতে হয় গ্রামের প্রান্তের ‘বাশালেনি’ নামের একটি ঘরে।

    কালাশরাও পৌত্তলিকতায় বিশ্বাসী

    হিন্দুদের মতোই কালাশরাও পৌত্তলিকতা (পুতুল পুজো) বা মূর্তিপুজোয় বিশ্বাসী। এঁদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব তিনটি। মে মাসে হয় ‘চিলাম জোশি’, শরৎকালে যে সময় হিন্দুরা পালন করেন নবরাত্রি উৎসব, সেই সময় কালাশরা পালন করেন ‘উচাউ’। আর শীতকালের মাঝামাঝি একটি সময় তাঁরা পালন করেন ‘কাউমুস’ নামের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। দেবতার বাসগৃহকে কালাশরা ‘ডেভালক’ বলেন। ‘কাউমুস’ উৎসবের সময় ‘টক’ গাছের (স্থানীয় ভাষায় জায়গাটার নাম ইন্দানকোট) কাছে জড়ো হন স্থানীয়রা। মন্দিরে হয় পুজো। পুরোহিতরা ভক্তদের গায়ে বুলিয়ে দেন জুনিপার গাছের পাতা। এই উৎসবে ছাগল উৎসর্গ করেন কালাশরা। তাঁদের বিশ্বাস, এই সময় তাঁদের দেবতা ‘বালোমেন’ ঘুরে ঘুরে শোনেন ভক্তদের প্রার্থনা। দেবতার উদ্দেশে এই সময় পাহাড়ে জ্বালানো হয় আগুন-মশাল। বাঁশি বাজিয়ে, ড্রাম বাজিয়ে সেই আগুনের চারপাশে ঘুরতে থাকেন এই সম্প্রদায়ের মানুষ। কালাশদের প্রধান দেবতা ‘বালোমেন’ হলেও, তাঁর ভাই ‘ইনডর’ও পূজিত হন। পুজো পান ‘সরিযান’, ‘গসিদাই’, ‘মুনজেম’ ‘মালিক’, ‘মাহানদিও’, ‘দেজাউ’, ‘জেস্টাক’, ‘ডেজলিক’ নামের দেবতারাও। অর্থাৎ হিন্দুদের মতোই কালাশরাও ঈশ্বরের বহুত্বে বিশ্বাসী। কালাশদের বিশ্বাস, ‘বালোমেনে’র রুদ্ররূপ হলেন ‘জেস্টান’। কুকুরের রূপ ধরে পৃথিবীতে আসেন তিনি।

    কী বলছেন গবেষকরা?

    সংস্কৃত ভাষা নিয়ে চর্চা করেন মিখাইল উইটজেল। ‘দ্য ওরিজিনস অফ দ্য ওয়ার্ল্ডস মিথোলজিস’ গ্রন্থে তিনি বলেছেন, “কালাশ ধর্মের কিছু প্রবাদ, আচার এবং সমাজব্যবস্থার সঙ্গে ঋগ্বেদে বর্ণিত তথ্যের মিল আমি পেয়েছি।” তিনি মনে করেন, কালাশরা প্রাচীন বৈদিক ধর্ম পালন করেন। ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ অবশ্য ২০১৪ সালে লিখেছিল, “কালাশদের ডিএনএ বলছে, তাঁরা প্রাচীন ইউরোপীয় জনগোষ্ঠীর বংশোদ্ভুত।” মাইট্রোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ রিপোর্ট বলছে, এশিয়ার সঙ্গে কালাশ উপজাতির জিনগত কোনও সম্পর্ক নেই, মিল রয়েছে পাশ্চাত্যের ইউরেশিয়ানদের।

    আর পড়ুন: “আরএসএসে ছিলাম, ফিরে যেতেও প্রস্তুত”, অবসর নিয়ে বললেন বিচারপতি দাশ

    ইউনিভার্সিটি মাস ডার্টমাউথের ইসলামিক স্টাডির অধ্যাপক তথা লেখক ব্রায়ান গ্লিন উইলিয়াম “দ্য লস্ট চিল্ড্রেন অফ আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট: আ জার্নি টু দ্য পাগান কালাশ পিপল অফ পাকিস্তান” শীর্ষক প্রবন্ধে লিখেছেন”, ঊনবিংশ শতাব্দীতে কালাশ উপজাতিকে নির্মমভাবে শেষ করার চেষ্টা করেছিল আফগানরা। তাঁদের প্রাচীন মন্দির ও দেবতার কাঠের মূর্তি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। তবে তাঁদের জীবনযাত্রার বিভিন্ন চিহ্ন, সমাজব্যবস্থার ধরন, সংস্কৃতিগত প্রমাণ ও ডিএনএ রিপোর্টও প্রমাণ করতে চলেছে তাঁরা আলেকজান্ডারের সৈন্যদের বংশধর।”

    পণ্ডিতদের একটা অংশের মতে, কালাশরা হিন্দু। নুরিস্তানকে তাঁরা বলেছেন প্রাচীন হিন্দুধর্ম। খ্যাতনামা নুরিস্তান ভাষাতত্ত্ববিদ রিচার্ড স্ট্র্যান্ড বলেন, “ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার আগে নুরিস্তানের বাসিন্দারা প্রাচীন হিন্দু ধর্ম পালন করতেন (Kalash Tribe)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “খেতে যেতে পারেন, শুধু রামলালার দর্শনে আপত্তি”, লালু-রাহুলকে কটাক্ষ মোদির

    PM Modi: “খেতে যেতে পারেন, শুধু রামলালার দর্শনে আপত্তি”, লালু-রাহুলকে কটাক্ষ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আবহে আবারও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও আরজেডি সুপ্রিমো তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবকে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবার চম্পারনের এক প্রচার সভা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। এদিন সেই সভা থেকেই রাহুল (Rahul Gandhi) ও লালুকে মটন পার্টি নিয়ে কটাক্ষ করলেন তিনি। প্রসঙ্গে উঠল সেই পুরনো লালু-রাহুলের মটন পার্টির ভাইরাল ভিডিও।

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য (PM Modi)

    এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের একে অপরের বাড়িতে খাবার খেতে যাওয়ার সময় আছে কিন্তু রাম লালাকে দর্শন করার মত সময় তাদের কাছে নেই।” উল্লেখ্য, যখন জানুয়ারি মাসে অযোধ্যায় রাম লালার মন্দির প্রতিষ্ঠা হয় তখন সকলের মত রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ও লালু প্রসাদ যাদবকেও আমন্ত্রন জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় সেই আমন্ত্রন উপেক্ষা করে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “রাম মন্দির বিজেপির রাজনৈতিক অনুষ্ঠান।” এবার সেই ঘটনাকে প্রসঙ্গে এনেই রাহুল-লালুকে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী(PM Modi)।  

    আরও পড়ুন: শীঘ্রই চালু হবে নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট মেট্রোরুট! সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ শুরু অরেঞ্জ লাইনে

    অন্যদিকে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের একটি ভাইরাল ভিডিওর প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। যেখানে দুই নেতাকে একসাথে “চম্পারন মাটন” প্রস্তুত করতে দেখা গেছে। সেই প্রসঙ্গেই এদিন এমন মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। 
    উল্লেখ্য, কদিন আগেই নবরাত্রির সময় তেজস্বী যাদবের মাছ খাওয়া নিয়ে বিতর্ক ঘনিয়েছিল। সেই বিতর্কেই তেজস্বী সহ তাঁর বাবা লালুপ্রসাদ থেকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, সকলকে খোঁচা মেরে মোদির (PM Modi) দাবি, কংগ্রেস-সহ ইন্ডিয়া জোটের নেতারা দেশের সংখ্যাগুরু মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগ নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই। একইসঙ্গে দুই তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দলের নেতা লালু প্রসাদ ও রাহুল গান্ধীকে মোঘলদের মতো `বিধর্মী`দের সঙ্গেও তুলনা করেন মোদি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: হিন্দু-মুসলিম সকলের ভোটে জয়ী হবেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: হিন্দু-মুসলিম সকলের ভোটে জয়ী হবেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ২৫ মে ষষ্ঠ দফা নির্বাচন। ইতিমধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার। এই জেলার তমলুক কেন্দ্রের প্রার্থী হলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি এই তৃণমূল শাসনের শিক্ষক দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি নিয়ে যুগান্তকারী রায় দিয়েছিলেন। তাঁর নির্দেশে একাধিক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক গ্রেফতার হয়েছেন। বিজেপিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁকে প্রার্থী করে বিরাট চমক দিয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari), অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে নন্দীগ্রামে সভা করেন। সেখানে তিনি বলেন, “আমি চাইব কেবলমাত্র সনাতন হিন্দুদের সমর্থনে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, নন্দীগ্রাম থেকে লিড পাবেন তা নয়, সবার ভোট পাবেন।”

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামে এদিন লোকসভার প্রচার অভিযানে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ভুল বুঝিয়েছিল বলে আমি আপনাদের ভোট পাইনি। বুথগুলি আমি হিসেব করেছিলাম, ২০২১ সালে ৪০০–র মত রাষ্ট্রবাদী মুসলমান পেয়েছিলাম। বাম প্রার্থী পেয়েছিলেন ১২০০ ভোট। আর এলাকায় ভয়, সন্ত্রাস দেখিয়ে গায়ের জোরে এবং মিথ্যা কথা বলে বাকিটা পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে অবশ্য মমতার মিথ্যা কথাগুলি ভুল প্রমাণিত হয়েছিল। মোদি জি বাংলাকে রামরাজ্য করতে চাইছেন। রামরাজ্য মনে মাথার উপর ছাদ। এই রাজ্যে ৪০ লক্ষ বাড়ি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ সুফিয়ানের বড় বড় বাড়ি থাকলেও, সাধারণ মানুষের বাড়ি নেই। কেন্দ্র সরকার ফ্রিতে মানুষকে রেশন দিচ্ছে। এই রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে ৩০০০ করে টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেওয়া হবে। বগটুই হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার হবে। ভোটের জন্য সংখ্যা লঘুদের ব্যবহার করেন মমতা।”

    আরও পড়ুনঃ কমিশনে মমতাকে নিয়ে মন্তব্যের শোকজের জবাব দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    সিএএ নিয়ে মিথ্যা প্রচার

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari), মমতাকে এদিন প্রচার সভা থেকে তোপ দেগে বলেন, “নন্দীগ্রামে অপপ্রচার করে ভোট পেয়ছেন মমতা। মমতা সর্বত্র মিথ্যা কথা বলে ভুল প্রচার করেছিলেন। বিজেপির শাসিত রাজ্যগুলিতে মানুষের ধর্মা চরণে বাধা নেই। তৃণমূল সরকার অসত্য কথা বলে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে। চুরির লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছে তৃণমূল। সিএএ-এনআরসি নিয়ে অপপ্রচার করছে তৃণমূল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: শীঘ্রই চালু হবে নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট মেট্রোরুট! সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ শুরু অরেঞ্জ লাইনে

    Kolkata Metro: শীঘ্রই চালু হবে নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট মেট্রোরুট! সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ শুরু অরেঞ্জ লাইনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক নতুন প্রকল্প। ধাপে ধাপে কলকাতা মেট্রোকে (Kolkata Metro) ঢেলে সাজানোর কাজ করে চলেছে কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। ফলে সময়ের সাথে সাথে কলকাতা মেট্রো সেজে উঠছে নতুন রূপে। আর এরই মধ্যে নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট (Airport-Haldiram Metro) করিডর সংক্রান্ত প্রকল্প নিয়ে সামনে এলো বড় খবর। শীঘ্রই শুরু হবে হলদিরাম-এয়ারপোর্ট মেট্রোরুট। নিউ গড়িয়া থেকে এয়ারপোর্ট অংশের প্রায় ৩০ কিলোমিটারের বেশিরভাগটাই মাটির উপর দিয়ে গিয়েছে। তবে শেষের ৫০০ মিটারে মাটির তলায় প্রবেশ করবে মেট্রো। সেজন্যই এবার সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ শুরু হল।  

    সুড়ঙ্গ কাটার কাজ শুরু মেট্রোর অরেঞ্জ লাইনে

    কলকাতা ব্যস্ততম শহর। তাই অজস্র গাড়ির ভিড়ে ব্যস্ত ওই অংশের উপরে, যানবাহন চলাচলে যাতে সমস্যা না-হয়, সে জন্য ‘বক্স-পুশিং’ পদ্ধতিতে সুড়ঙ্গ কাটার কাজ শুরু হলো কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) অরেঞ্জ লাইনে। কবি সুভাষ থেকে বেরিয়ে মেট্রোর ওই দীর্ঘ পথ এলিভেটেড অবস্থায় আসার পর এয়ারপোর্টের কিছুটা আগে মাটির নীচে ঢুকে মেট্রো এগোবে জয় হিন্দ স্টেশনের দিকে। মেট্রোর এয়ারপোর্ট স্টেশনের নামই জয় হিন্দ। মেট্রোর লাইন যেখান থেকে মাটির নীচে ঢুকবে এয়ারপোর্ট থেকে হলদিরাম পর্যন্ত সেই ২.৪ কিলোমিটার অংশেই চলছে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ।    
    কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) এয়ারপোর্ট বা জয় হিন্দ স্টেশন আসলে কবি সুভাষের মতোই দুই লাইনের সংযোগস্থল। এই স্টেশনেই কলকাতা মেট্রোর নোয়াপাড়া-এয়ারপোর্ট এবং কবি সুভাষ-এয়ারপোর্ট অর্থাৎ ইয়েলো লাইন ও অরেঞ্জ লাইন মিলবে।

    আরও পড়ুন: অনুপস্থিত ৩ অভিযুক্ত! হল না কয়লা পাচার মামলার চার্জ গঠন

    কবে থেকে চালু হচ্ছে নতুন রুট? (Kolkata Metro) 

    জানা গিয়েছে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এয়ারপোর্ট থেকে হলদিরাম পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু  করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর সেই লক্ষ্যেই এবার নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট মেট্রো করিডরের (অরেঞ্জ লাইন) সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ শুরু করা হল। আর এই মেট্রোরুট চালু হলে শহরবাসীর যাতায়াতে যে কতটা সুবিধা হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 23: “বেঙাচির ল্যাজ খসলে জলেও থাকতে পারে, আবার ডাঙাতেও থাকতে পারে”

    Ramakrishna 23: “বেঙাচির ল্যাজ খসলে জলেও থাকতে পারে, আবার ডাঙাতেও থাকতে পারে”

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    কমলকুটিরে শ্রীরামকৃষ্ণ ও শ্রীযুক্ত কেশব সেন

    শ্রীরামকৃষ্ণ কাপ্তেনের বাটি হইয়া শ্রীযুক্ত কেশব সেনের কমলকুটির নামক বাটিতে আসিয়াছেন। সঙ্গে রাম, মনোমোহন, সুরেন্দ্র, মাস্টার প্রভৃতি অনেকগুলি ভক্ত। সকলে দ্বিতল হল ঘরে উপবেশন করিয়াছেন। শ্রীযুক্ত প্রতাপ মজুমদার, শ্রীযুক্ত ত্রৈলোক্য প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তগণও উপস্থিত আছেন।

    ঠাকুর শ্রীযুক্ত কেশবকে বড় ভালবাসেন। যখন বেলঘরের বাগানে সশিষ্য তিনি সাধন-ভজন করিতেছিলেন, অর্থাৎ ১৮৭৫ খ্রিষ্টাব্দে মাঘোৎসবের পর—কিছুদিনের মধ্যে ঠাকুর একদিন বাগানে গিয়া তাঁহার সহিত দেখা করিয়াছিলেন। সঙ্গে ভাগিনেয় হৃদয়রাম। বেলঘরের এই বাগানে তাঁহাকে বলেছিলেন, তোমারই ল্যাজ খসেছে, অর্থাৎ তুমি সব ত্যাগ করে সংসারের বাহিরেও থাকতে পার; আবার সংসারেও থাকতে পার; যেমন বেঙাচির ল্যাজ খসলে জলেও থাকতে পারে, আবার ডাঙাতেও থাকতে পারে। পরে দক্ষিণেশ্বরে, কমলকুটিরে, ব্রাহ্মসমাজ ইত্যাদি স্থানে অনেকবার ঠাকুর কথাচ্ছলে তাঁহাকে উপদেশ দিয়াছিলেন, নানা পথ দিয়া, নানা ধর্মের ভিতর দিয়া ঈশ্বরলাভ হতে পারে। মাঝে মাঝে নির্জনে সাধন-ভজন করে ভক্তিলাভ করে সংসারে থাকা যায়, জনকাদি ব্রহ্মজ্ঞানলাভ করে সংসারে ছিলেন; ব্যাকুল হয়ে তাঁকে ডাকতে হয়, তবে দেখা দেন; তোমরা যা কর, নিরাকার সাধন, সে খুব ভাল। ব্রহ্মজ্ঞান হলে ঠিক বোধ করবে—ঈশ্বর সত্য আর সব অনিত্য, ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা। সনাতন হিন্দু ধর্মে সাকার নিরাকার দুই মানে; নানাভাবে ঈশ্বরের পূজা করে—শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য মধুর। রোশনচৌকিওয়ালারা একজন শুধু পোঁ ধরে বাজায় অথচ তার বাঁশীর সাত ফোকর আছে। কিন্তু আর একজন তারও সাত ফোকর আছে, সে নানা রাগরাগিণী বাজায়।

    তোমরা সাকার মানো না, তাতে কিছু ক্ষতি নাই, নিরাকারের নিষ্ঠা থাকলেই হল। তবে সাকারবাদীদের টানটুকু নেবে। মা বলে তাঁকে ডাকলে ভক্তি-প্রেম আরও বাড়বে। কখন দাস্য, কখন বাৎসল্য, কখন মধুর ভাব। কোন কামনা নাই তাঁকে ভালবাসি, এটি বেশ। এর নাম অহেতুকী ভক্তি। বেদ, পুরাণ, তন্ত্রে এক ঈশ্বরেরই কথা আছে ও তাঁহার লীলার কথা; জ্ঞান ভক্তি দুইই আছে। সংসারে দাসীর মতো থাকবে, দাসী সব কাজ করে, কিন্তু দেশে মন পড়ে আছে। মনিবের ছেলেদের মানুষ করে, বলে, আমার হরি, আমার রাম, কিন্তু জানে, ছেলে আমার নয়। তোমরা যে নির্জনে সাধন করছ, এ খুব ভাল, তাঁর কৃপা হবে। জনক রাজা নির্জনে কত সাধন করেছিলেন, সাধন করলে তবে তো সংসারে নির্লিপ্ত হওয়া যায়।

    আরও পড়ুনঃ “গুরুর উপদেশ অনুসারে চলতে হয়, বাঁকাপথে গেলে ফিরে আসতে কষ্ট হবে”

    আরও পড়ুনঃ “পাপ করলে তার ফল পেতে হবে! লঙ্কা খেলে তার ঝাল লাগবে না?”

    আরও পড়ুনঃ “ব্যাকুলতা না এলে কিছুই হয় না, সাধুসঙ্গ করতে করতে ঈশ্বরের জন্য প্রাণ ব্যাকুল হয়”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: ভোট-পরবর্তী হিংসায় বিহারের সারণে নিহত ১, জখম দুই, বন্ধ ইন্টারনেট

    Post Poll Violence: ভোট-পরবর্তী হিংসায় বিহারের সারণে নিহত ১, জখম দুই, বন্ধ ইন্টারনেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বিঘ্নে চলছিল পঞ্চম দফার নির্বাচন। ২০ মে, সোমবার নির্বাচন হয়েছে দেশের ৪৯টি আসনে। এর মধ্যে ছিল বিহারের কয়েকটি আসনও। ভোট কেমন হচ্ছে, তা দেখতে দুপুরে বেরিয়েছিলেন আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদবের মেয়ে রোহিণী আচার্য। সারণ জেলার ছাপড়ার একটি বুথে আরজেডি প্রার্থী রোহিণী যেতেই আরজেডির কর্মী-সমর্থকরা সংঘর্ষে (Post Poll Violence) জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে।

    সংঘর্ষের নেপথ্যে (Post Poll Violence)

    স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় গিয়ে রোহিণী সটান ঢুকে পড়েন একটি বুথে। ভোটারদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করতে শুরু করেন। এর পরেই এলাকা ছেড়ে চলে যান আরজেডি সুপ্রিমোর মেয়ে। পরে আরজেডি কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের একপ্রস্ত বচসা হয়। মঙ্গলবার সকালে দু’পক্ষে সংঘর্ষ (Post Poll Violence) বাঁধে। ঘটনায় হত হন একজন। জখম হয়েছেন দু’জন। এঁরা হলেন মনোজ যাদব ও গুড্ডু যাদব।

    প্রকাশ্যে চলল গুলি

    জানা গিয়েছে, অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে গুলি ছোড়ে। গুলি লাগে মনোজ ও গুড্ডুর গায়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় একজনের। মনোজ ও গুড্ডুকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় হাসপাতালে। অশান্তির আগুন যাতে দ্রুত ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য দু’দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। অশান্তি পাকানোর অভিযোগে আটক করা হয়েছে দু’জনকে। সারণের পুলিশ সুপার গৌরব মঙ্গলা বলেন, “হিংসায় যারা ইন্ধন জোগাচ্ছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দু’দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।”

    আর পড়ুন: “আরএসএসে ছিলাম, ফিরে যেতেও প্রস্তুত”, অবসর নিয়ে বললেন বিচারপতি দাশ

    এই সারণ কেন্দ্র থেকেই আরজেডির টিকিটে লড়ছেন লালুর মেয়ে রোহিণী। তাঁর বিরুদ্ধে পদ্ম প্রতীকে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির বিদায়ী সাংসদ রাজীব প্রতাপ রুডি। এক সময় সারণ থেকেই লড়ে সংসদে গিয়েছিলেন লালু। রোহিণী যেদিন মনোনয়নপত্র জমা দেন, সেদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন বাবা লালু প্রসাদ এবং দাদা তেজস্বী যাদবও (Post Poll Violence)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: তৃণমূল দুষ্কৃতীর মারে গুরুতর আহত কাঁথির বিজেপি নেতা! আনা হচ্ছে কলকাতায়

    Lok Sabha Election 2024: তৃণমূল দুষ্কৃতীর মারে গুরুতর আহত কাঁথির বিজেপি নেতা! আনা হচ্ছে কলকাতায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ দফা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) আগেই কাঁথিতে বিজেপি নেতার উপর ভয়াবহ হামলা করা হয়েছে। মূল অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। আহত বিজেপি কর্মীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়েছে এলাকায়। উল্লেখ্য গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে মোদির সভা ছিল। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে অবতরণ করতে পারেননি। একাধিক ইস্যুতে নিশানা করেছিলেন তৃণমূলকে। একই ভাবে এই সভায় বিজেপি কর্মীদের ভোটের প্রচার ছিল জমজামাট।

    কোথায় ঘটেছে ঘটনা (Lok Sabha Election 2024)?

    আগামী ২৫ মে পূর্ব মেদিনীপুরের ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) ৫ দিন আগে কাঁথির ভূপতিনগরে বিজেপি নেতার বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর করা হয়। সেই সঙ্গে চলে লুটপাট। তবে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। আহত অর্জুননগরের বুথ সভাপতি বিজেপির নেতার নাম হল অবনি দে। তিনি এলাকার ২০৫ নম্বর বুথের সভাপতি। তাঁর সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ২ বিজেপি কর্মী। তাঁদের মধ্যে বুথ সভাপতির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাকি আরও ২ কর্মীকে কাঁথি হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। এই দুই কর্মীর নাম শুভঙ্কর দাস এবং অনিল মাইতি। বিজেপির অবশ্য অভিযোগ, মূলত এলাকায় বিজেপি কর্মী এবং ভোটারদের ভয় দেখিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে এই ধরনের আক্রমণ করা হচ্ছে। তৃণমূল হারবে বলেই এই ভাবে আচরণ করছে। বিজেপির পক্ষ থেকে ভূপতিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুনঃ কমিশনে মমতাকে নিয়ে মন্তব্যের শোকজের জবাব দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    নির্বাচনী প্রচার জমজমাট

    লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং কাঁথির প্রার্থী হয়েছেন সুমেন্দু অধিকারী। গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তমলুকে প্রচার সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে অবতরণ করা সম্ভব হয়নি। আর তাই ঝাড়গ্রাম থেকে এক যোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেন আকাধিক ইস্যুতে। রাজ্যের তৃণমূল সরকারের রেশন দুর্নীতি, চাকরি চুরি, বাংলার সাধু-সন্তদের আক্রমণ করা, রাজনৈতিক হিংসা, খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, জমি দখল সহ একাধিক বিষয়ে তৃণমূল সরকারকে তীব্র নিশানা করেছিলেন মোদি। একই ভাবে সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে মমতাকে নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ব্যাঙ্কিং সেক্টরে মুনাফা ছাড়াল ৩ লাখ কোটির ঘর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    PM Modi: ব্যাঙ্কিং সেক্টরে মুনাফা ছাড়াল ৩ লাখ কোটির ঘর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম ভারতীয় ব্যাঙ্কিং সেক্টর নিট লাভ করল ৩ লাখ কোটি টাকারও বেশি। বৃদ্ধির হার ৩৯ শতাংশ। এ খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই  পরেই পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি একে অভিহিত করলেন ‘উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়ানো’ বলে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ব্যাঙ্কের স্বাস্থ্যের এই উন্নতি আমাদের দেশের গরিব মানুষ, কৃষক এবং এমএসএমইদের ঋণ পাওয়া সহজলভ্য করতে সাহায্য করবে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    পূর্বতন কংগ্রেস সরকারকেও নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “আমরা যখন ক্ষমতায় আসি (২০১৪ সালে) তখন দেনায় ডুবে ছিল আমাদের ব্যাঙ্কগুলি। এনপিএস ছিল চড়া। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের ফোন ব্যাঙ্কিং নীতির জন্যই এসব হয়েছিল। সেই আমলে গরিবদের জন্য ব্যাঙ্কের দরজা বন্ধই হয়ে গিয়েছিল।” ২০১৪ সালে বিজেপির নেতৃত্বে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে এনডিএ সরকার। তার পর থেকেই স্বাস্থ্য ফিরছে দেশের অর্থনীতির।

    মোদি জমানায় স্বাস্থ্য ফিরেছে দেশের অর্থনীতির

    নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সরকারের অর্থনৈতিক নানা নীতির কারণে হাল ফিরছে ব্যাঙ্কিং সেক্টরেরও। ২০১৪ সালে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ১০ নম্বরে ছিল ভারতের নাম। গত দশ বছরে (মোদি জমানায়) ভারতের ঠাঁই হয়েছে পাঁচ নম্বরে। ব্রিটেনকে ছয়ে ঠেলে পাঁচ নম্বর জায়গাটি দখল করেছে ভারত। নীতি আয়োগের প্রাক্তন সিইওর দাবি, ২০২৭ সালের মধ্যেই চার নম্বরে থাকা জাপানকে পাঁচ নম্বরে ঠেলে দিয়ে ভারত উঠে আসবে চার নম্বরে। সেক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান হবে আমেরিকা, চিন এবং জার্মানির পরেই।

    আর পড়ুন: “আরএসএসে ছিলাম, ফিরে যেতেও প্রস্তুত”, অবসর নিয়ে বললেন বিচারপতি দাশ

    ভারতের আর্থিক স্বাস্থ্য যে ফিরছে, তার প্রমাণ মিলেছে ২০২৪ অর্থবর্ষে সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির সম্মিলিত লাভের পরিমাণ ৩.১ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি ব্যাঙ্কিং সেক্টরগুলি লাভ করেছে ১.০৪ লাখ কোটি টাকা। বৃদ্ধির হার ৩৪ শতাংশ। বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির লাভের হার ৪২ শতাংশ। টাকার অঙ্কে নিট মুনাফা ১.৭ লাখ। এই নিট লভ্যাংশ দেশের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যোন্নতির ইঙ্গিত দেয়। ব্যাঙ্কিং সেক্টরের এই লাভ ছাড়িয়ে গিয়েছে আইটি কোম্পানিগুলির মোট লভ্যাংশের পরিমাণকেও। ২০২৪ অর্থবর্ষে আই কোম্পানিগুলি মুনাফা অর্জন করেছে ১.১ লাখ কোটি টাকা (PM Modi)।

    আরও বড় কথা হল, পাবলিক ব্যাঙ্কগুলির নিট মুনাফা গত তিন বছরে বেড়েছে চারগুণেরও বেশি। তাদের ব্যালেন্সশিট থেকেই এই তথ্য জানা গিয়েছে। তাদের রোজগার যে বাড়ছে, তাও জানা গিয়েছে ওই ব্যালেন্সশিট থেকেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

                

  • Coal Scam Case: অনুপস্থিত ৩ অভিযুক্ত! হল না কয়লা পাচার মামলার চার্জ গঠন

    Coal Scam Case: অনুপস্থিত ৩ অভিযুক্ত! হল না কয়লা পাচার মামলার চার্জ গঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় তিন বছর ধরে চলছে কয়লা পাচার মামলা (Coal Scam Case)। আসানসোলের (Asansol) বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারকের নির্দেশ মতো ২০ মে মঙ্গলবার থেকেই মামলার ট্রায়াল শুরুর কথা ছিল। সেই মতো মঙ্গলবার ৪৩ জন অভিযুক্তকে তলব করা হয়েছিল আদালতে। কিন্তু অনুপস্থিত ছিলেন তিনজন। ফলে মামলায় চূড়ান্ত চার্জ গঠন হয়নি। জানা গিয়েছে আগামী ৩ জুলাই চার্জ গঠনের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। ওই দিন চার্জশিটে নাম থাকা সব অভিযুক্তকে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে।

    কয়লা পাচার মামলা (Coal Scam Case)

    এর আগে কয়লা পাচার মামলায় দুটি চার্জশিট জমা দিয়েছিল সিবিআই। দুটি চার্জশিটে মোট ৪৩ জন অভিযুক্তের নাম রয়েছে।  সেই ৪৩ জনের মধ্যে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি-সহ ৩৯ জন এদিন আদালতে হাজির হলেও অনুপস্থিত ছিলেন তিনজন। তাঁরা হলেন জয়দেব মণ্ডল, নারায়ণ খাড়গে ও বিনয় মিশ্র। এদের মধ্যে বিনয় ‘নিরুদ্দেশ’। প্রাথমিক অনুমান, তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। 
    তবে এদিন অভিযুক্ত জয়দেব মণ্ডল এবং নারায়ণ খারকার অনুপস্থিতি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারক৷ তাঁরা কোর্টে কেন অনুপস্থিত? এই প্রশ্ন বিচারক তাঁদের আইনজীবীদের করলে ওই আইনজীবীরা জানান, দুজনেই অসুস্থ৷ সেই কারণেই চার্জ গঠনের শুনানিতে উপস্থিত থাকতে পারেননি৷ যা শুনে বেজায় ক্ষুব্ধ হন বিচারক৷

    বিচারকের মন্তব্য

    এ প্রসঙ্গে বিচারক বলেন, “এই দুজনকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল একটাই শর্তে ৷ যখনই আদালতে তলব করা হবে, তাঁদের উপস্থিত থাকতে হবে ৷ যে কোনও পরিস্থিতিতে তাঁরা আদালতের নির্দেশ পালনে বাধ্য ৷ এভাবে অসুস্থ রয়েছে বলে দুটো মেডিক্যাল সার্টিফিকেট পাঠিয়ে দিলে চলবে না ৷ এই দুজনের জন্য বাকিরা উপস্থিত থাকলেও চার্জ গঠন করা যাচ্ছে না ৷ পরবর্তী শুনানির (Coal Scam Case) দিন অবশ্যই তাঁদের কোর্টে আসতে হবে ৷ অসুস্থ থাকলে প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে হবে ৷” 

    আরও পড়ুন: বিশ্ব মেডিটেশন দিবসে জেনে নিন এর কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা

    বিচারকের নির্দেশ 

    অন্যদিকে মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়ে আদালত চত্বরে এসে উপস্থিত হন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিক উমেশকুমার সিংহ। হাজির হন বেশ কয়েক জন অভিযুক্তের আইনজীবীও। সেসময় উমেশ কুমারের কাছে বিচারক জানতে চান, “এই তদন্ত প্রক্রিয়া আর কতদিন চলবে ?” বিচারকের এই প্রশ্নে ওই আইনজীবীদের কয়েক জন আদালতে দাবি করেন, কয়লা পাচার মামলায় (Coal Scam Case) তদন্ত সংক্রান্ত কোনও নথি হাতে পাননি তাঁরা। তার পরই বিচারক ওই আইনজীবীদের হাতে নথি তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
    পাশাপাশি আগামী শুনানির (Coal Scam Case) দিন সমস্ত অভিযুক্তদের হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক৷ যদি কেউ উপস্থিত না-থাকেন, তা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: কমিশনে মমতাকে নিয়ে মন্তব্যের শোকজের জবাব দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Ganguly: কমিশনে মমতাকে নিয়ে মন্তব্যের শোকজের জবাব দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতার উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে শোকজের জবাব দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। সন্দেশখালির নারী নির্যাতনের ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছিলেন তিনি। তৃণমূল দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্যে করে প্রাক্তন বিচারপতি এই বিজেপি প্রার্থী বলেছিলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তুমি কত টাকায় বিক্রি হও”। এই কথায় তৃণমূল কমিশনে গিয়ে অভিযোগ জানায়। এরপর কমিশন শোকজ করলে, নির্ধারিত সময়ে নিজের জবাব দেন অভিজিৎ।

    উত্তর নির্ধারিত সময়েই দিয়েছেন (Abhijit Ganguly)

    বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) নির্বাচন কমিশনকে নিজের বক্তব্যের শোকজের উত্তর নির্ধারিত সময়েই দিয়েছেন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, “সময়ের মধ্যেই নিজের উত্তর দিয়েছেন অভিজিৎ।” তবে অভিজিতের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল কমিশনে অভিযোগ করে জানিয়েছিল যে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চূড়ান্ত অবমাননা করা হয়েছে। আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করা হয়েছে। একই সঙ্গে একাধি জায়গায় মামলা দায়ের করার কথাও বলেছিল তৃণমূল। তবে প্রথমেই কমিশন বিজেপি প্রার্থীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেছিল, “সমীচীন, কুরুচিকর এবং অবমাননাকর মন্তব্য, একই সঙ্গে আদর্শ আচরণবিধির বিরুদ্ধ আচরণ।”

    আরও পড়ুনঃ ষষ্ঠ দফার আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে বদলির নির্দেশ কমিশনের

    ঠিক কী বলে ছিলেন অভিজিৎ?

    গত ১৫ মে তমলুকের এক প্রচার সভায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বলেন, “তৃণমূল মিথ্যা কথা বলেছে। ২০০০ টাকায় রেখা পাত্রকে কেনার কথা বলা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোয়াধ্যায়, তুমি কত টাকায় বিক্রি হও, তোমার হাতে আট লাখ টাকা গুঁজে দিলে একটা চাকরি দাও? তোমার হাতে ১০ লাখ টাকা গুঁজে দিলে রেশন নিয়ে অন্যদেশে হাওয়া করে দেয় পাচারকারীরা। ভারতেই থাকে না সেই রেশন। তোমার দাম ১০ লাখ টাকা? কেন? কেয়া শেঠকে দিয়ে মুখে ফুলটিস কর, সেজন্য মেকাপ করে বেরোও? আর রেখা পাত্র গরিবের মেয়ে। লোকের বাড়িতে কাজ করে খায়। এক মহিলা আরেক মহিলা সম্পর্কে কীভাবে এমন মন্তব্য করতে পারেন জানিনা। মমতা মহিলা তো? আমার মনে প্রশ্ন ওঠে মাঝে মাঝে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share