Tag: news in bengali

news in bengali

  • Asansol: “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”, ভোটের আগেই নিখোঁজ শত্রুঘ্ন সিনহা? বিজেপির পোস্টারে চাঞ্চল্য

    Asansol: “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”, ভোটের আগেই নিখোঁজ শত্রুঘ্ন সিনহা? বিজেপির পোস্টারে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন। তার পরেই এই কেন্দ্রে লোকসভা ভোট (Loksabha Election 2024। ভোটের প্রাক্কালে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে জমজমাট আসানসোলের (Asansol) রাজনৈতিক মঞ্চ। এরই মাঝে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ তথা আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার (Satrughna Sinha) বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। পোস্টারে লেখা “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”। প্রার্থী নাকি নিখোঁজ! তাঁকে দেখা কিংবা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে নির্বাচনী প্রচারে।

    পোস্টারে ঠিক কী লেখা রয়েছে (Asansol)?

    ইতিমধ্যেই ভোট প্রচারে ব্যস্ত সমস্ত রাজনৈতিক দল। আসানসোলের (Asansol) এই কেন্দ্রে বর্ষীয়ান নেতা এস এস আহলুওয়ালিয়াকে (S. S. Ahluwalia) প্রার্থী করেছে বিজেপি। তিনি এই কেন্দ্রেরই বাসিন্দা। অন্ডাল গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেল পোস্টার এবং লিফলেট। তাতে লেখা, “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই, মাননীয় শত্রুঘ্ন সিনহা মহাশয়কে দীর্ঘকাল যাবৎ আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। যদি কোনও সহৃদয় ব্যক্তি তাঁকে খুঁজে পান আমাদের জানাবেন।”

    বিজেপির বক্তব্য

    কেন অন্ডাল এলাকায় এই ধরনের পোস্টার? এই বিষয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিজেপির কিষান মোর্চার সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিজেপির আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় দল বদল করে তৃণমূলে যোগদান করেছেন, ২০২২ সালে সেই জায়গা পূরণ করার জন্য হয় উপনির্বাচন। উপনির্বাচনে ভয়ানক ভয়ভীতির পরিবেশে শত্রুঘ্ন সিনহা, শাসক দলের হয়ে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকেই তাঁকে দেখতে পাওয়া যায় না বলেই এই ধরনের পোস্টার দিয়েছেন মানুষ। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “এবারেও আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা, তাই হয়তো এবারও ভোট দিলে তাঁকে আর দেখতে পাওয়া যাবে না। মানুষের কাছে এই বার্তা দিতেই এই পোস্টার দিয়েছেন এলাকার মানুষ।”

    আরও পড়ুনঃ দেশবাসীকে রাম নবমীর শুভেচ্ছা মোদি-শাহ-যোগীর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে অন্ডাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুধীন পান্ডে বলেন, “বিজেপি আসানসোলের প্রার্থী দেওয়ার মতো লোক খুঁজে পাচ্ছিল না। বর্তমানে বিজেপির আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে যাঁর নাম ঘোষণা করেছে, তিনিই দুর্গাপুরে পাঁচ বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর নামেও পোস্টার পড়েছিল দুর্গাপুর শহর অঞ্চল জুড়ে। বিজেপির কিছু নেই বলেই এই ধরনের কুৎসা ছড়াচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha election 2024: আসন্ন প্রথম দু’দফা নির্বাচনে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা প্রকাশ করল কমিশন

    Loksabha election 2024: আসন্ন প্রথম দু’দফা নির্বাচনে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা প্রকাশ করল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার (Loksabha election 2024) প্রথম দফায় নির্বাচন আগামী শুক্রবার ১৯ এপ্রিল। রাজ্যে তিনটি কেন্দ্রে ভোট হবে। এর জন্য বুধবার শেষ প্রচারের দিন। তার আগে রাজ্যের প্রথম এবং দ্বিতীয় দফার ছ’টি আসনে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে উত্তরবঙ্গের ছটি আসনে যে স্পর্শকাতর বুথে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে মোট ১৮৬২টি বুথ স্পর্শকাতরের তালিকায় রয়েছে। ভোট ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে তল্লাশিতে নগদ টাকা, মাদক, নেশাজাত দ্রব্য ও সোনার গয়না সহ ২২৪ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর (Loksabha election 2024)

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে প্রথম দফায় যে তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন (Loksabha election 2024) হবে তার মধ্যে কোচবিহার (Coochbehar) কেন্দ্রের ২০৪৩টি নির্বাচন কেন্দ্রের মধ্যে ১৯৬টি, আলিপুরদুয়ার (Aliporeduar) লোকসভা কেন্দ্রের ১৮৬৭টির মধ্যে ১৫৯টি এবং জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) কেন্দ্রের ১৯০৪ টি নির্বাচনী বুথের মধ্যে ৩৯১টি স্পর্শকাতর বুথ তালিকায় রয়েছে। প্রথম দফার তিনটি কেন্দ্রের মধ্যে জলপাইগুড়িতে সর্বাধিক স্পর্শকাতর বুথের কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশন। দ্বিতীয় দফায় দার্জিলিং (Darjeeling), রায়গঞ্জ (Raiganj) ও বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন হবে। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে ১৯৯৯টি বুথের মধ্যে ৪০০টি, রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের ১৭৩০টি বুথের মধ্যে ৪০৮টি ও বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের ১৫৬৯টি বুথের মধ্যে ৩০৮টি বুথকে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত বালুরঘাট থেকে নির্বাচনে লড়ছেন বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দ্বিতীয় দফায় বাংলায় এই কেন্দ্রেই সবচেয়ে কম স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে। দুই দফায় উত্তরবঙ্গের ছটি লোকসভা কেন্দ্রে মোট স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৬২ টি।

    নেশাজাত দ্রব্য ও সোনা গয়না উদ্ধার

    নির্বাচন কমিশনের তরফে এদিন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যজুড়ে তল্লাশিতে নগদ টাকা, মাদক, নেশাজাত দ্রব্য ও সোনা গয়না সহ যা বাজেয়াপ্ত হয়েছে তার ভারতীয় মুদ্রায় মূল্য ২২৪ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা। ভোটের আগে বাংলা থেকে এত পরিমাণ অর্থ সামগ্রীর একটা বড় অংশ নির্বাচনে (Loksabha election 2024) খরচ করার উদ্দেশ্য ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই আগেভাগেই সতর্ক হয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী প্রত্যেক বুথেই সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। দিনক্ষণ হিসেবে দক্ষিণবঙ্গে এখনও নির্বাচনে ঢের দেরি রয়েছে। কিন্তু ছোটখাটো গন্ডগোল শুরু হয়েছে বহু জায়গায়। প্রথম কয়েক দিন সশস্ত্র বাহিনীকে (Central Forces) এলাকা চেনানো হলেও তারপর বাহিনীকে বসিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এমনকী যে সমস্ত জায়গায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ হচ্ছে সেখানেও পুলিশ নিজে থেকেই আইন-শৃঙ্খলা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। বাহিনীকে সেই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাহলে কী এবারও বাহিনীকে যথাসম্ভব নিষ্ক্রিয় রাখার ছক রয়েছে পুলিশের, উঠছে প্রশ্ন।

    আরও পড়ুনঃ ভোটের মুখে আরাবুলকে কনভেনর পদ থেকে সরালো তৃণমূল, ভাঙড়ের দায়িত্বে শওকত

    অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য

    রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, “নির্বাচনে (Loksabha election 2024) তৃতীয় পর্যায়ের কাজ চলছে। ১৭ মে ভোট হবে জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ, মালদহ উত্তর ও মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রে। প্রচারের ফাঁকেই মনোনয়ন দাখিলের কাজ চলছে। মালদা উত্তরে ৬টি, মালদা দক্ষিণ ৩টি, জঙ্গিপুরে ৫টি, মুর্শিদাবাদে ৪টি, ভগবানগোলা উপনির্বাচনে এখন পর্যন্ত ১টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এই দফায় ১৯ এপ্রিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। নির্বাচন যাতে সুস্থভাবে করা যায় তার জন্য ৪১ হাজারের বেশি লাইসেন্স যুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে। ৬৪৯টি ফ্লাইয়িং স্কোয়াড ও নজরদারি দল কাজ করছে। এছাড়াও বহু জায়গায় বেআইনি বোমা, গুলি ও আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন অভিযুক্ত অপরাধীদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: দেশবাসীকে রাম নবমীর শুভেচ্ছা মোদি-শাহ-যোগীর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    Ram Navami 2024: দেশবাসীকে রাম নবমীর শুভেচ্ছা মোদি-শাহ-যোগীর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচশো বছরের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। গত ২২ জানুয়ারি দ্বারোদ্ঘাটন হয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের। প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছে বিগ্রহ রামলালার। তার পর আজ, বুধবার রাম নবমী। মহা সমারোহে অযোধ্যায় পালিত হচ্ছে দিনটি। রাম নবমী (Ram Navami 2024) উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী?

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “অযোধ্যায় প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর প্রথম রাম নবমী (Ram Navami 2024) এই প্রজন্মের কাছে এক নতুন মাইল ফলকের মতো। আশা ও অগ্রগতির এক নতুন যুগের সূচনার সঙ্গে শতাব্দী প্রাচীন ভক্তির পথ। এই দিনটির জন্য কোটি কোটি ভারতীয় অপেক্ষা করছিলেন।” তিনি আরও লিখেছেন, “অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর এটাই প্রথম রাম নবমী।” তিনি বলেন, “প্রভু শ্রী রামের আশীর্বাদ সর্বদা আমাদের ওপর থাকুক এবং আমাদের জীবনকে জ্ঞান ও সাহসে আলোকিত করে ন্যায় ও শান্তির দিকে পারিচালিত করুক।” রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল তাঁর। সেদিনের সেই স্মৃতি আজও অমলিন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    শাহি শুভেচ্ছা

    রাম নবমীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “জয় শ্রীরাম! রাম নবমী উপলক্ষে প্রত্যেককে শুভেচ্ছা জানাই।” তিনি বলেন, “মর্যাদা পুরুষোত্তম ন্যায়ের জন্য লড়াই, জনকল্যাণ এবং আত্মমর্যাদার প্রতীক। নিজের জীবন দিয়ে ভগবান প্রতিষ্ঠা করেছেন সত্য ও ধর্ম। এভাবেই গোটা বিশ্বকে যুগের পর যুগ ধরে দিশা দেখিয়ে যাচ্ছেন তিনি।”

    শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। তিনি বলেন, “রাজ্যবাসীর পাশাপাশি সমস্ত ভক্তকে রাম নবমীর আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।” তিনি বলেন, “কয়েক শতাব্দী অপেক্ষার পর অযোধ্যা ধামে তৈরি হয়েছে ভগবান রামলালার নতুন, প্রাসাদোপম, স্বর্গীয় মন্দির। যা দেখে লাখ লাখ রাম ভক্ত ও মানব সভ্যতা খুশি ও গর্বিত (PM Modi)।”

    আরও পড়ুুন: ‘স্পাই ইমাম’ প্রজেক্টে গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ নিতে ইমামদের তুরস্কে পাঠাচ্ছে পাক আইএসআই!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Iran Israel War: ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের কতটা প্রভাব পড়বে ভারতে? কেন উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি?

    Iran Israel War: ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের কতটা প্রভাব পড়বে ভারতে? কেন উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কা ছিলই। আর সেটাই সত্যি হল। ইজরায়েলে হামলা চালাল ইরান (Iran Israel War)। এই হামলায় ইজরায়েলের বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হলেও, বিশ্বে আরও একটা সংঘাতের আগুন জ্বলে উঠল। রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের পর সৃষ্টি হল আরেকটা যুদ্ধের ফ্রন্ট— ইজরায়েল বনাম ইরান। এর ফলে, বিশ্ববাসীর সামনে উঠে এল মোকাবিলা করার জন্য আরও একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ আর্থিক মন্দার, মুদ্রাস্ফীতির, মূল্যবৃদ্ধির। এই চ্যালেঞ্জ যতটা অর্থনৈতিক, ঠিক ততটাই আবার কূটনৈতিক। তবে, ভারতের কাছে এই চ্যালেঞ্জ (Impact On India) অন্যদের তুলনায় অনেকটাই যেন বেশি। কিন্তু কেন?

    ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী ইজরায়েল

    ইরান ও ইজরায়েল— উভয়ের সঙ্গেই কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে ভারতের। দশকের পর দশক ধরে, দুপক্ষের সঙ্গে একটা ভারসাম্যের কূটনীতি পালন করে এসেছে নয়াদিল্লি। কিন্তু, বর্তমান ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ (Iran Israel War) শুরু হওয়ার ফলে সেই ভারসাম্য বা নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে ভারতের। এর কারণ— একদিকে ইজরায়েলের সঙ্গে গভীর কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে ভারতের। বিশেষ করে, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে। গত দশকে এই সম্পর্কের বিষয়টি উন্মুক্ত হয়েছে অনেকটাই। যে কারণে, গত বছর ৭ অক্টোবর তেল আভিভের আকাশে হামাসের জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেছে ভারত। চরমপন্থা থেকে নাশকতার সমস্যা এবং তার মোকাবিলা নিয়ে ভারত ও ইজরায়েলের মনোভাবে অনেকটাই মিল। কারণ, ২৬/১১ মুম্বই হামলার সময় উভয় দেশই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এযাবৎকালে, অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহের ক্ষেত্রে ভারতের অন্যতম বড় যোগানদার হিসেবে উঠে এসেছে ইজরায়েল। 

    অর্থনৈতিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইরান

    অন্যদিকে, সাম্প্রতিককালে ইরানের সঙ্গেও কৌশলগত ও কূটনৈতিক সম্পর্ককে প্রভূত উন্নত করেছে ভারত। তরল জ্বালানির ক্ষেত্রে ভারতকে বেশিরভাগটাই নির্ভর করতে হয় আমদানির ওপর। এক্ষেত্রে, অশোধিত তেলের যোগানদার হিসেবে রয়েছে ইরান। তবে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে, সেই যোগানের পরিমাণ ধাক্কা খেয়েছে বটে। আবার, পাকিস্তানে উৎস হওয়া নাশকতার শিকার হয়েছে এই দু’দেশই। উভয় দেশই তালিবানের একাধিক নীতির—বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের অধিকার কেন্দ্রিক— সমোচ্চরে বিরোধিতা করেছে। তবে, ভারতের কাছে সবচেয়ে বড় কৌশলগত গুরুত্ব হল চাবাহার করিডরের। ইরানের এই বন্দর ব্যবহার করে ভারত। এই বন্দর দিয়েই আফগানিস্তান থেকে শুরু করে মধ্য এশিয়া ও ইউরোপের সঙ্গে বাণিজ্য করতে হয় ভারতকে। কারণ, ভারতীয় পণ্যকে পরিবহণের জন্য নিজেদের ভূমি দিতে অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। ফলত, চাবাহার বন্দর ভারতের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

    ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ (Iran Israel War) নিয়ে কেন উদ্বিগ্ন ভারত?

    এই দুই দেশ নিজেদের মধ্যে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে, আখেরে ক্ষতি ভারতেরই (Impact On India)। কারণ, ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে কোনও এক দিক বেছে নেওয়া সহজ হবে না ভারতের। যে কারণে, জাতীয় স্বার্থকে মাথায় রেখেই, ভারসাম্যের কূটনীতির মাধ্যমে দু’দেশকেই ভারত আবেদন জানিয়েছে অবিলম্বে যুদ্ধ থামানোর। যেটা অমূলক নয় একেবারেই। ভারত এখন উভয় দেশের কাছে শান্তির আবেদন করেছে। ভারত বিলক্ষণ জানে, ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ আরও বাড়লে তিন দিকে সমস্যা হবে নয়াদিল্লির— প্রবাসী ভারতীয় সম্পৃক্ত, অর্থনৈতিক ও কৌশলগত।

    প্রবাসী ভারতীয়দের নিয়ে চিন্তা

    প্রথমত, ইজরায়েল ও ইরানে বর্তমানে বসবাস করছে যথাক্রমে প্রায় ১৮ হাজার এবং ৫ থেকে ১০ হাজার ভারতীয়। এছাড়া, প্রায় পশ্চিম এশিয়া ও গাল্ফ অঞ্চলে কর্মরত প্রায় ৯০ লক্ষ ভারতীয়। যে কোনও সংঘাতের (Iran Israel War) ফলে, গোটা অঞ্চলে অস্থিরতা তৈরি হবে। এমনিতেই, ইজরায়েল-গাজা যুদ্ধের ফলে, সেখানে একটা অনিশ্চয়তা ও আশঙ্কার পরিবেশ আগে থেকেই ছিল। তার ওপর এখন ইজরায়েল-ইরান পুরোদমে যুদ্ধ বাঁধলে, সমস্যা বহুগুণ বেড়ে যাবে। ভারত জানে, এতে সেখানে বসবাসকারী ভারতীয় সম্প্রদায়ের জটিলতা বৃদ্ধি পাবে (Impact On India)। হতে পারে, ভারতীয়দের সেখান থেকে বের করে নিয়ে আসতে হবে। যেমনটা হয়েছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুতে। 

    অর্থনৈতিক চাপ বৃদ্ধির শঙ্কা

    দ্বিতীয়ত, অর্থনৈতিক সঙ্কট। ভারতের অর্থনৈতিক স্বার্থ জ্বালানির সঙ্গে জড়িত। জ্বালানি চাহিদার অধিকাংশটাই আমদানি করে সামাল দিতে হয় ভারতকে। আর এই আমদানির ৮০ শতাংশ হয় পশ্চিম এশিয়া অঞ্চল থেকে। ফলত, এখানে যুদ্ধ বাঁধলে (Iran Israel War), অশোধিত তেলের জোগান কমবে, বাড়বে দাম। যার প্রভাব পড়বে ভারত সহ আন্তর্জাতিক বাজারে। ফলে, পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা থাকছে। যার ফলস্বরূপ, দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধিও হবে অনিবার্যভাবে (Impact On India)। ভারত অবশ্য গত ২ বছরে পশ্চিম এশিয়ার ওপর এই নির্ভরতা অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে পশ্চিম এশিয়ার পাশাপাশি রাশিয়া থেকে ন্যায্য মূল্যে অশোধিত তেল কেনে ভারত। কিন্তু, সেও তো যুদ্ধে লিপ্ত।

    বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে ভারতের

    তৃতীয়ত, আরব-মুলুকে তথা মধ্যপ্রাচ্যে বিপুল বিনিয়োগ করেছে ভারত। বিনিয়োগ রয়েছে ইরান ও ইজরায়েলেও। দীর্ঘদিন ধরেই এই অঞ্চল দিয়ে ইন্ডিয়া-মিডল ইস্ট-ইউরোপ করিডর প্রকল্পকে বাস্তব রূপ দিতে উদ্যোগী ভারত। এখন, এই অঞ্চলে আরেকটা যুদ্ধ (Iran Israel War) হলে, সেই প্রকল্প, সেই স্বপ্ন জোর ধাক্কা খেতে পারে (Impact On India)। ভারত তা একেবারেই চাইছে না। যে কারণে, সব পক্ষকে যুদ্ধের পথ ছেড়ে আলোচনায় ফেরার আবেদন একাধিকবার করে চলেছে ভারত। নয়াদিল্লি বিলক্ষণ জানে, একবার এই করিডর সফল হলে, ভারতের বাণিজ্য বিশেষ করে রফতানি বহুগুণ বেড়ে যাবে। সহজেই বিদেশের বাজার ধরতে সক্ষম হবে ভারত। 

    রক্তাক্ত ভারতের শেয়ার বাজার

    এমনিতেই, ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ (Iran Israel War) শুরু হতেই তার প্রভাব পড়েছে ভারতের শেয়ার বাজারে। তেলের দাম বাড়া এবং বিনিয়োগে ধাক্কা এই জোড়া আশঙ্কার ফলে, গত তিন দিনে লাগাতার পতন হয়েছে স্টক মার্কেটে। গত শুক্রবার এবং চলতি সপ্তাহের সোম-মঙ্গল—এই তিনদিনে ভারতের শেয়ার বাজারে প্রায় ১০ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে একটিই শর্তে। তা হল, ইরান-ইজরায়েলের সংঘাতের পরিবেশে যেন না নতুন করে আগুন লাগে (Impact On India)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Local Trains Cancelled: ফের যাত্রী দুর্ভোগ! টানা ২০ দিন একাধিক ট্রেন বাতিল শিয়ালদা নর্থ লাইনে

    Local Trains Cancelled: ফের যাত্রী দুর্ভোগ! টানা ২০ দিন একাধিক ট্রেন বাতিল শিয়ালদা নর্থ লাইনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের যাত্রী ভোগান্তির আশঙ্কা শিয়ালদা (Sealdha) শাখায়। টানা ২০ দিন ধরে দমদম স্টেশনে রেলের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলবে। ফলে বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ২০ দিন বাতিল রাখা হবে একাধিক ট্রেন(Train Cancelled)। পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    পূর্ব রেল সূত্রে খবর

    পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, দমদমের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে কাজ চলবে। সেকারণে শিয়ালদা লাইনে টানা ৭ মে পর্যন্ত বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন বাতিল থাকবে। ফলে ফের একবার যাত্রী ভোগান্তির সময় আসতে চলেছে। পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ২০ দিনে শিয়ালদা শাখার মোট ২৪টি ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

     বাতিল ট্রেনের তালিকা

    এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক বাতিল ট্রেনের তালিকা। ট্রেনগুলি হল- ৩০৩৬১ মাঝেরহাট-হাসনাবাদ, ৩০৩২২ হাসনাবাদ-বিবাদী বাগ, ৩৩৩১১ বারাসত-হাসনাবাদ, ৩০৩৫৮ মধ্যমগ্রাম-মাঝেরহাট, ৩৩২৮২ হাসনাবাদ-দমদম, ৩০৩৫১, ৩০৩১৩ মাঝেরহাট-বারাসত। এছাড়াও রয়েছে ৩০১৪৫ বিবাদী বাগ-কৃষ্ণনগর সিটি, ৩৩২৩১ দমদম-ব্যারাকপুর, ৩৩২৭১ দমদম-গোবরডাঙা, ৩৩২৩২ ব্যারাকপুর-দমদম, ৩০৩৫৭ মাঝেরহাট-মধ্যমগ্রাম, ৩১২৪২ ব্যরাকপুর-শিয়ালদহ, ৩০৩৫৩ মাঝেরহাট-দত্তপুকুর, ৩০৩৩২ হাবরা-মাঝেরহাট, ৩৩৬৮৬ গোবরডাঙা-শিয়ালদহ, ৩০৩৩৩ মাঝেরহাট-হাবরা, ৩০৩১৪ দত্তপুকুর-মাঝেরহাট, ৩১২২৩ শিয়ালদহ-ব্যরাকপুর, ৩৩৪২৫ শিয়ালদহ-বারাসত, ৩০১১৬ ব্যারাকপুর-বিবাদী বাগ, ৩০১১৩ বিবাদী বাগ-ব্যারাকপুর, ৩০৩১২ বারাসত-মাঝেরহাট।

    যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত বহু ট্রেনের

    কেবলমাত্র ট্রেন বাতিলই নয় বহু ট্রেনের ক্ষেত্রে যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হবে বলেও জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। ১৮ এপ্রিল থেকে ৭ মে পর্যন্ত যে ট্রেনগুলির যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে সেই ট্রেনের তালিকাগুলি হল-৩০৩৪৬ বনগাঁ-মাঝেরহাট লোকাল দমদম ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত যাবে। ৩০৩২৪ হাসনাবাদ-মাঝেরহাট লোকাল দমদম ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত যাবে। ৩০৩৩১ মাঝেরহাট-হাবড়া লোকাল দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ছাড়বে। ৩০৩৪৪ বনগাঁ-মাঝেরহাট লোকাল দমদম ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত যাবে। ৩০৭১১ লক্ষীকান্তপুর-মাঝেরহাট লোকাল বালিগঞ্জ স্টেশন পর্যন্ত যাবে। ৩০৩১৭ মাঝেরহাট-দত্তপুকুর লোকাল বালিগঞ্জ হয়ে আপ কর্ড লাইন দিয়ে চলাচল করবে। ৩০১৪২ গেদে-মাঝেরহাট লোকাল রহড়া পর্যন্ত যাবে।

    আরও পড়ুন: “পঞ্চাশ হাজারের মিছিল হবে রাম নবমীতে”, হুঙ্কার দিলেন দিলীপ ঘোষ

    উল্লেখ্য কদিন আগেই দমদম স্টেশনের নন ইন্টারলকিং কাজের জন্য টানা কয়েকদিন ভোগান্তির শিকার হয়েছিলেন নিত্যযাত্রীরা। তবে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ মিটে গেলেও যাত্রী ভোগান্তি মেটেনি। বাতিল ট্রেন ছাড়াও, ট্রেন (Local Train) দেরিতে চলারও সমস্যা ছিল। এবার দমদম স্টেশনে ফের রেলের রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য ট্রেন বাতিলের খবর ছড়িয়ে পড়তেই আবারও ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন যাত্রী সাধারণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: “পঞ্চাশ হাজারের মিছিল হবে রাম নবমীতে”, হুঙ্কার দিলেন দিলীপ ঘোষ

    Ram Navami 2024: “পঞ্চাশ হাজারের মিছিল হবে রাম নবমীতে”, হুঙ্কার দিলেন দিলীপ ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাজো সাজো রব গোটা ভারত জুড়ে। কারণ আগামী কাল অর্থাৎ বুধবারই দেশ জুড়ে পালন করা হবে রাম নবমী (Ram Navami 2024)। দীর্ঘ  ৫০০ বছরের প্রচেষ্টার পর অযোধ্যায় (Ayodhya) তৈরি হয়েছে রাম মন্দির। তাই এবছরের রাম নবমী (Ram Navami 2024) বিশাল সমারোহের সাথে পালন করবেন হিন্দুরা। কিন্তু তার আগেই বর্ধমান দুর্গাপুরের হেভিওয়েট বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) রাম নবমী নিয়ে হুঙ্কার ছাড়লেন। রাজ্যের রাম ভক্তদের মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    রাম নবমীর মিছিল প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য

    মঙ্গলবার রাম নবমী (Ram Navami 2024) প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “পঞ্চাশ হাজারের মিছিল হবে রাম নবমীতে। কেউ আটকাতে পারবে না। এই দেশ রামের দেশ। ৫০০ বছরের চেষ্টায় রাম মন্দির হয়েছে। হিন্দুরা (Hindu) বিজয় উৎসব পালন করবে। আমি আবেদন রাখছি হিন্দু সমাজের কাছে। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নামুন। দিলীপ ঘোষ সঙ্গে আছে। ত্রিশূল ধরেছি। প্রয়োজনে সব ধরবো হিন্দু সমাজের জন্য। কোনও বাপের ব্যাটার হিম্মত নেই হিন্দুস্থানে হিন্দুদের আটকায়। আদালত এবং সংবিধান আমরা তৈরি করেছি দেশ রক্ষার জন্য। তৃণমূল (TMC) এলে তাঁদের এই নির্বাচনে সমূলে বিনাশ করুন।”

    রামমহোৎসব বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Ram Navami 2024)

    উল্লেখ্য রাজ্যে এখন ভোটের হাওয়া। রাম নবমীর (Ram Navami 2024) একদিন বাদেই অর্থাৎ ১৯ এপ্রিল থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে ২০২৪ সালের প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Vote 2024)। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত প্রতিটি দলের প্রার্থীরাই। কিন্তু অন্যদিকে ভোটের আবহের মধ্যেই রাজ্যে রামমহোৎসব শুরু করে দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। ১৫ দিন ধরে চলবে এই অনুষ্ঠান। তার মধ্যে আছে রাম নবমী এবং হনুমান জয়ন্তীও।

    আরও পড়ুন:রাজ্যের আপত্তি ধোপে টিকল না, হাইকোর্টের নির্দেশে হাওড়ায় দুদিন হবে রাম নবমীর শোভাযাত্রা

    গত বছর অশান্তি হয়েছিল রাম নবমীতে

    প্রসঙ্গত, গত বছর রাম নবমীকে (Ram Navami 2024) কেন্দ্র করে হাওড়া, হুগলি ও উত্তর দিনাজপুরের কয়েকটি জায়গায় অশান্তি হয়েছিল। তাই এবার একাধিক জনসভায় রাম নবমী নিয়ে দাঙ্গার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাম নবমীর অনুষ্ঠান ও মিছিলের অনুমতি পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সেই মামলার শুনানিতে সোমবারই আদালত রাম নবমীর মিছিলের অনুমতি দিয়েছে। শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, “রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) পক্ষে রাম নবমীর মিছিল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে তারা কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে পারবে। তবে সেক্ষেত্রে মিছিলের ২৪ ঘণ্টা আগে বাহিনী (Central Force) চাইতে হবে রাজ্য পুলিশকে। সেই মতো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: ভোটের প্রচারেই আবাস যোজনার বাড়ির প্রতিশ্রুতি তৃণমূল নেতার, আচরণবিধি ভঙ্গ!

    Jalpaiguri: ভোটের প্রচারেই আবাস যোজনার বাড়ির প্রতিশ্রুতি তৃণমূল নেতার, আচরণবিধি ভঙ্গ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছলে বলে কৌশলে চলছে তৃণমূলের রাজনীতি। রাজনীতি কথাটায় যে নীতি আছে, তার তোয়াক্কা অনেকেই করেন না। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির (jalpaiguri) একটি ঘটনাকে ঘিরে এমনই অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি (BJP)। বিজেপির অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। ভোটের দুদিন আগে আবাস (PM Awas) যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করাচ্ছেন মমতার এই দূতেরা। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকায়।

    ঠিক কী হয়েছিল?

    জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ এলাকার পানকৌড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। টেবিল-চেয়ার পেতে রীতিমতো শিবির খুলে আবাস যোজনার ফর্ম পূরণ করানোর প্রক্রিয়া চলছে। উদ্যোক্তা পানকৌড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) নেত্রী পাপিয়া দে। শিবির খোলার আগে এলাকায় প্রচার করা হয় আবাস যোজনার বাড়ি পেতে আগ্রহীরা শিবিরে যোগাযোগ করুন।

    রাজনৈতিক তরজা কেন?

    এই ঘটনা আদর্শ আচরণ (MCC) বিধি ভঙ্গের শামিল বলে দাবি বিজেপির। ভোটের মুখে এই ধরনের কাজ করা যায় না। যারা শিবিরে আসছে না তাদের বাড়ি গিয়ে ফরম পূরণ করানো হচ্ছে। বাড়িতে পৌঁছে তৃণমূল কর্মীরা বলছেন, “আমরা দিদির হয়ে এসেছি। এবার দিদিই ঘর দেবেন। বাংলার আবাস যোজনার একটা ফর্ম দিয়ে যাচ্ছি। ভোটের পর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অর্থাৎ এবছরের মধ্যেই আপনি ঘরের টাকা পেয়ে যাবেন। এবার কেন্দ্রের ভরসায় থাকতে হবে না।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনায় তৃণমূল নেত্রী পাপিয়া দে সরকার বলেন, “২০১৮ সালে একটি সার্ভে করা হয়েছিল। ২০২৪ সাল হয়ে গেলেও কেন্দ্রের টাকা আটকে থাকায় অনেকে ঘর পাননি। মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলেছেন রাজ্যই এবার থেকে বাড়ি বানিয়ে দেবে। সেই মতোই স্থানীয়দের মধ্যে যারা ঘর পায়নি তাদের ঘর পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। দিদি যেমন ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছেন, লোকসভা ভোট মিটে গেলে আবাস যোজনার টাকাও দেবেন। ২০১৮ সালে যাদের তালিকা নাম ছিল, যারা প্রকৃত দরিদ্র সীমার নীচে, তারা ঘর যাতে পায় সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে নিখোঁজ স্বামীর খোঁজ পেতে সিবিআই তদন্তের দাবি স্ত্রী’র

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির দাবি, তৃণমূল নির্বাচনে বিধি ভেঙে এসব কাজ করছে। স্থানীয় বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য নিতাই কর বলেন, “ভোট ঘোষণা হয়ে গেলে এসব করা যায় না। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এসব কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু তার দলের লোকেরা পাড়ায় পাড়ায় এসব করে বেড়াচ্ছে। আসলে তৃণমূল হতাশায় ভুগছে। তারা জানে উত্তরবঙ্গে তারা ভালো ফল করতে পারবে না। তাই এসব করছে ওরা। একাধিক এলাকায় পঞ্চায়েতেও হেরেছে তৃণমূল। ঘর দেবে বলে সাধারণ মানুষকে দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করানো হচ্ছে। আর বাড়ি যখন আসবে তখন পঞ্চায়েত প্রধানের আত্মীয়, স্বজনেরা বাড়ি পাবে। যারা ঘর পাওয়ার যোগ্য তারা বঞ্চিত হবে। আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Vote 2024: কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর নজর রাখতে জেলাস্তরে নোডাল অফিসার নিয়োগ কমিশনের

    Lok Sabha Vote 2024: কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর নজর রাখতে জেলাস্তরে নোডাল অফিসার নিয়োগ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Vote 2024) এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রতি জেলায় একজন করে নোডাল অফিসার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। শনিবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের তরফে সব জেলাশাসক তথা জেলার নির্বাচনী আধিকারিককে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর নজরদারি (Lok Sabha Vote 2024)

    সম্প্রতি ভোটে (Lok Sabha Vote 2024) বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন নির্বাচন কমিশনের স্পেশাল অবজারভার ও পুলিশ অবজারভার। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। কমিশন সূত্রের খবর, সিএপিএফ-এর জন্য এই নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হচ্ছে। জানা গেছে এই নোডাল অফিসারেরা (nodal officers) মূলত কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর নজরদারি চালাবেন। এর আগে ৬ এপ্রিল দুই বিশেষ পর্যবেক্ষকের সঙ্গে বৈঠকে এই একই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ঠিক করা হয়েছিল জেলাস্তরে একজন নোডাল অফিসারকে নিযুক্ত করা হবে, যিনি জেলায় জেলায় সবকটি কন্ট্রোল রুমের (Control Room) মধ্যে যোগসূত্র বজায় রাখবেন। এবার সেই সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিল নির্বাচন কমিশন।

    আরও পড়ুন: ফের বাংলায় সফট টার্গেট বন্দে ভারত! কাচ ভাঙল ইটে, চিন্তায় রেল

    প্রথম দফায় ভোট ১৯ এপ্রিল

    উল্লেখ্য আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় ভোট (Lok Sabha Vote 2024) হবে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে। উত্তরবঙ্গের ওই তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে ৫,৮১৪ টি ​​বুথ রয়েছে। কমিশন সূত্রের খবর, সুষ্ঠুভাবে ভোট (Election) সম্পন্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রথম দফার আগে রাজ্যে এসে পৌঁছেছে ২৭৭ কোম্পানি। যার মধ্যে ২৬৩ কোম্পানি ব্যবহার করা হবে প্রথম দফার নির্বাচনে। বাহিনীর পাশাপাশি ভোটের কাজে লাগানো হচ্ছে রাজ্য পুলিশকেও। কমিশন (Election Commission) সূত্রে খবর, ১০ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হতে পারে প্রথম দফার ভোটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “দেশকে কালো টাকার দিকে ঠেলে দেওয়া হল”, বললেন মোদি  

    PM Modi: “দেশকে কালো টাকার দিকে ঠেলে দেওয়া হল”, বললেন মোদি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী বন্ড বাতিলের ‘সুপ্রিম’ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে একটি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “দেশকে কালো টাকার দিকে ঠেলে দেওয়া হল।” তাঁর দাবি, নির্বাচনী বন্ড না থাকলে কেউ জানতেই পারতেন না, কোন সংস্থা, কোন দলকে কত টাকা দিচ্ছে। নির্বাচনী বন্ডকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অথচ সাক্ষাৎকারে নির্বাচনী বন্ডের পক্ষেই সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    নির্বাচনী বন্ডের পক্ষে সওয়াল (PM Modi)

    তিনি বলেন, “নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ করতেই নির্বাচনী বন্ড চালু করা হয়েছিল। যদি সৎ প্রতিফলন দেখা যায়, সকলেই একদিন তা নিয়ে অনুশোচনা করবে।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমি কখনওই বলিনি একটি সিদ্ধান্ত পুরোপুরি ত্রুটিমুক্ত। কিন্তু বিরোধী দলগুলি নির্বাচনী বন্ড নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে।” ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারতের প্রতিশ্রুতি পূরণ হবে বলেও নানা সময় দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের সাক্ষাৎকারে সে প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। কাউকে ভয় পাওয়ানো বা দমন করা আমার সরকারের লক্ষ্য নয়। যখন আমি বলি আমার বড় পরিকল্পনা রয়েছে, তখন কারও ভয় পাওয়া উচিত নয়। আমি কাউকে ভয় দেখানো বা তাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিই না। আমি দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সিদ্ধান্ত নিই।”

    ‘ট্রেলর, পুরো সিনেমা এখনও বাকি’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি সব সময় সঠিক পথে চলার চেষ্টা করেছি। তবুও দেখতে পাই যে, দেশে আমার এত চাহিদা রয়েছে। আমি কীভাবে প্রতিটি পরিবারের স্বপ্ন পূরণ করব, সেটাই বলার চেষ্টা করছি এই পরিকল্পনায়।” তাঁর সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা তো শুধু ট্রেলর। পুরো সিনেমা এখনও বাকি রয়েছে।” ‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’র পক্ষেও আরও একবার সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বার বার নির্বাচনের আয়োজন করতে গেলে উন্নয়ন কর্মসূচির ক্ষতি হয়। আমরা প্রতিশ্রুতি মতোই এই কর্মসূচি রূপায়ণের চেষ্টা করব।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আপনার স্বপ্নই হল মোদির সঙ্কল্প। আপনারা যখন বুথে ভোট দিতে যাবেন, তখন মাথায় রাখবেন এটা দেশের নির্বাচন। এটা দেশকে তৃতীয় আর্থিক বৃহত্তম শক্তি বানানোর নির্বাচন।”

    আরও পড়ুুন: বিজেপির ‘সঙ্কল্পপত্রে’ করা হয়েছে কোন কোন সঙ্কল্প, জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • D Subbarao: সুদের হার কমাতে চাপ দিতেন প্রণব, চিদম্বরম, তোপ আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নরের

    D Subbarao: সুদের হার কমাতে চাপ দিতেন প্রণব, চিদম্বরম, তোপ আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায় ও প্রাক্তন আর এক অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম ব্যাঙ্ক রেট নমনীয় করতে এবং বৃদ্ধির মনোহর ছবি তুলে ধরতে চাপ দিতেন। অন্তত এমনই দাবি করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর ডি সুব্বারাও (D Subbarao)। সম্প্রতি বাজারে এসেছে তাঁর একটি বই। শিরোনাম ‘জাস্ট এ মার্সিনারি?: নোটস ফ্রম মাই লাইফ অ্যান্ড কেরিয়ার’। সুব্বারাও লিখেছেন, “শীর্ষ ব্যাঙ্কের স্বায়ত্ত্বশাসনে সরকার সামান্য হলেও হস্তক্ষেপ করত।”

    সুব্বারাওয়ের নয়া বই (D Subbarao)

    ২০০৭-০৮ সালে অর্থসচিব ছিলেন সুব্বারাও (D Subbarao)। ২০০৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রশি ছিল তাঁর হাতেই। সুব্বারাওয়ের সাম্প্রতিক ওই বইটির একটি অধ্যায়ের শিরোনাম ‘রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অ্যাজ দ্য গভর্নমেন্টস চিয়ারলিডার’। এই অধ্যায়েই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর সু্ব্বারাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে সরকার শীর্ষ ব্যাঙ্কের সুদের হার কমাতে চাপ দিত। জনতার মন জয়ে বৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতির হার মনোহরণ করে তুলে ধরতেও চাপ দিতেন দুই প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী।

    কী লিখেছেন প্রাক্তন গভর্নর?

    তিনি লিখেছেন, “আমি এরকম একটি ঘটনার কথা স্মরণ করতে পারি। তখন প্রণব মুখোপাধ্যায় অর্থমন্ত্রী ছিলেন। অর্থসচিব ছিলেন অরবিন্দ মায়ারাম। মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন কৌশিক বসু। তাঁরা আমাদের এস্টিমেটকে কীভাবে তাঁদের এস্টিমেট দিয়ে সমতুল করে দেখাতেন।” তিনি বলেন, “একটি বৈঠকে মায়ারাম বলেছিলেন বিশ্বের সব দেশেই সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের কো-অপারেশন থাকে। আর এখানে, ভারতে এর উল্টো ছবি দেখা যায়।” সুব্বারাও বলেন, “রিজার্ভ ব্যাঙ্ক চিয়ার লিডারের মতো হোক, সরকারের এহেন দাবিতে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলাম আমি। অর্থমন্ত্রক বৃদ্ধির হার বাড়িয়ে দেখাবে, সুদের হার নমনীয় করার পক্ষে সওয়াল করবে, এটা আমায় হতাশ করত।”

    আরও পড়ুুন: বিজেপির ‘সঙ্কল্পপত্রে’ করা হয়েছে কোন কোন সঙ্কল্প, জানেন?

    এর আগেও একটি বইতে একই দাবি করেছিলেন সুব্বারাও। বইটির নাম, ‘হু মুভড মাই ইন্টারেস্ট রেটস’। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, “তাঁর আমলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদ না কমানোর অবস্থানে অনড় থাকায় বিরক্ত প্রকাশ করেছিলেন প্রণব ও চিদম্বরম। প্রাক্তন এই দুই অর্থমন্ত্রী বিশ্বাস করতেন বৃদ্ধির গতি বাড়ার পথে বাধা সুদের চড়া হার।” তা নিয়ে সরকারের সঙ্গে সংঘাতের মাশুল তাঁকে গুনতে হয়েছে বলেও দাবি সুব্বারাওয়ের (D Subbarao)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share