Tag: news in bengali

news in bengali

  • TMC attacks on BJP: বীরভূমে বিজেপি কর্মীকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের

    TMC attacks on BJP: বীরভূমে বিজেপি কর্মীকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট, হাতে গুনে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ইতিমধ্যেই ভোট প্রচারের মাধ্যমে সাধারণ ভোটারদের মন জয় করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সব দলের প্রার্থীরাই। আর এরই মধ্যে আবারও মারধরের অভিযোগ উঠল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রাতের অন্ধকারে বিজেপির (TMC attacks on BJP) তিন জন কর্মীকে আক্রমণ করা হয়। ঘটনা ঘটেছে বীরভূম জেলায়।

    ঘটনা বীরভূমের কোথায় ঘটেছে (TMC attacks on BJP)?

    ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে বীরভূমের (birbhum) মহম্মদ বাজার এলাকায়। মহম্মদ বাজারের (mohammad bazar) কপিস্টার গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারকাটা গ্রাম থেকে দলীয় বৈঠক করে বাড়ি ফেরার সময় তিন বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরেই রবিবার রাতে আহত বিজেপি কর্মীদের ভর্তি করা হয়েছে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। আহতদের দেখতে গিয়েছেন জেলা বিজেপির নেতারা। তবে ঘটনায় তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুনঃ ভোটে বাংলায় এক নম্বর দল হতে চলেছে বিজেপি, অনুমান পিকে-র

    বাঁশ ও রড দিয়ে মারের অভিযোগ

    ঘটনায় বিজেপির অভিযোগ হল, অন্ধকার রাস্তায় বাইক নিয়ে আসার সময় কয়েকজন তৃণমূলের (TMC) আশ্রিত দুস্কৃতীরা আচমকা হামলা করে। প্রথমে পথ আটকায়, এরপর বাঁশ ও রড দিয়ে মারধর (TMC attacks on BJP) করা হয়। এরপর কোনক্রমে সেখান থেকে আহত বিজেপি কর্মীরা পালিয়ে আসে মহম্মদ বাজারে। পরে তাদের আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় সিউরি হাসপাতালে।

    বিজেপির বক্তব্য

    ঘটনার খবর পৌঁছাতেই আহতদের দেখতে রাতেই হাসপাতালে পৌঁছান বীরভূম বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা (Dhruba saha)। তবে কেবল জেলা সভাপতি নয়, সোমবার সকাল হতেই আহতদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিজেপি প্রার্থী দেবাশিষ ধরও (Debashis dhar)। এই প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “জেলার সাধারণ সম্পাদক নরেন মিস্ত্রী, তিনি মিটিং করে ফিরছিলেন, সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আক্রমণ (TMC attacks on BJP) করে। আমাদের সভাপতি প্রসেনজিৎ দত্ত ও আমদের যুব নেতাও আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। অভিযুক্তদের কালকের মধ্যে যদি গ্রেফতার (arrest) না করা হয়, ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।” অপর দিকে বিজেপি প্রার্থী দেবাশিষ ধর বলেন, “তৃণমূল হারার ভয়ে এই আচরণ করছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে যাবো। কর্মীদের পাশে সব সময় রয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মোদির সমর্থনে ‘বিজেপির বন্ধু’দের মিছিল আমেরিকার ১৬টি শহরে

    PM Modi: মোদির সমর্থনে ‘বিজেপির বন্ধু’দের মিছিল আমেরিকার ১৬টি শহরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর (PM Modi) ক্ষমতায় ফেরাটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। বলছে প্রাক-নির্বাচনী নানা সমীক্ষা। তবে তিনি কেন্দ্রে ফিরুন, তা যেমন চাইছেন সিংহভাগ ভারতবাসী, তেমনি চাইছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিজেপির বন্ধুরাও। যার হাতে গরম প্রমাণ মিলল রবিবাসরীয় সকালে। এদিন আমেরিকার ১৬টি শহরে নরেন্দ্র মোদির সমর্থনে মিছিল করলেন বিজেপির সমুদ্রপারের বন্ধুরা। শোভাযাত্রার নাম ছিল ‘মোদি কা পরিবার মার্চ’।

    ‘ওভারসিজ ফ্রেন্ডস অফ বিজেপি’ (PM Modi)

    আমেরিকায় ‘ওভারসিজ ফ্রেন্ডস অফ বিজেপি’ (PM Modi) নামে একটি সংগঠন রয়েছে। সে দেশে বসবাসরত প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে বিজেপির নীতি নিয়ে প্রচার করে এই সংগঠন। এদিন সকালে আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে নারী, পুরুষ ও শিশুরা জড়ো হন ক্যাপিটল হিলে। তাঁদের গায়ে ছিল ‘মোদি কা পরিবার মার্চ’ লেখা টি-শার্ট। বিজেপির পাশাপাশি তাঁদের হাতে ছিল আমেরিকা ও ভারতের জাতীয় পতাকা। এদিন ওয়াশিংটন মনুমেন্টের সামনেও জড়ো হয়েছিলেন মোদির অনেক সমর্থক। তাঁদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল প্রধানমন্ত্রীরই তৈরি স্লোগান – “আব কি বার ৪০০ পার”, “মোদি ৩.০” এবং “শিখ আমেরিকানস ফর মোদি”।

    ‘মোদি কা পরিবার মার্চ’

    “মোদি গ্যারান্টি”, “ইন্ডিয়া’জ থার্ড লার্জেস্ট ইকনোমি” লেখা পোস্টারও ছিল তাঁদের হাতে ধরা। সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, ‘ঐক্য ও সমর্থন, সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়ার আইকনিক গোল্ডেন গেট ব্রিজে ৭ এপ্রিল সকাল ১১টায় হয়েছে মোদি কা পরিবার মার্চ।’ এঁদের হাতেও ছিল “আব কি বার ৪০০ পার” লেখা পোস্টার। এখানকার জমায়েতেও উপস্থিত ছিলেন শিশু থেকে বৃদ্ধ-সহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ। মিছিলে যাঁরা হেঁটেছিলেন তাঁদের অনেকের গায়েই ছিল গেরুয়া পোশাক, বিজেপির ঝান্ডা, ব্যানার এবং প্ল্যাকার্ড। যাঁরা এদিনের মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন ‘বিজেপি-ইউএসএ ওভারসিজ ফ্রেন্ডস অফ বিজেপি ইউএসএ’-র তরফে তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদও জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘ইন্ডি’ জোটে ফাটল! অনন্তনাগ-রাজৌরিতে এবার ফুটবে পদ্ম?

    আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে, “মোদি কা পরিবার মার্চ” কেবল যে মোদি ফের ক্ষমতায় ফিরুন চাইছে তা নয়, কর্মসূত্রে প্রবাসে বাস করলেও, স্বদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভবিষ্যতে অংশও নিতে পারেন তাঁরা (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: ‘ইন্ডি’ জোটে ফাটল! অনন্তনাগ-রাজৌরিতে এবার ফুটবে পদ্ম?

    Lok Sabha Elections 2024: ‘ইন্ডি’ জোটে ফাটল! অনন্তনাগ-রাজৌরিতে এবার ফুটবে পদ্ম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ফাটল ‘ইন্ডি’ জোটে! রবিবার ‘ইন্ডি’ জোটের শরিক ন্যাশনাল কনফারেন্সের বিরুদ্ধে উপত্যকার তিন আসনেই (Lok Sabha Elections 2024) প্রার্থী দিয়ে দিলেন পিডিপির মেহবুবা মুফতি। অনন্তনাগ-রাজৌরি কেন্দ্র থেকে লড়ছেন মুফতি স্বয়ং। সীমানা পুনর্বিন্যাসের জেরে অনন্তনাগ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়েছে রাজৌরি ও পুঞ্চের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার পরেই অনন্তনাগ কেন্দ্রের নাম বদলে হয়েছে অনন্তনাগ-রাজৌরি।

    ‘ইন্ডি’ জোটে ফাটল! (Lok Sabha Elections 2024)

    বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’তে রয়েছে ভূস্বর্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবার দল। জম্মু-কাশ্মীরের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার দল ন্যাশনাল কনফারেন্সও রয়েছে ‘ইন্ডি’ জোটে। অনন্তনাগ-রাজৌরি, শ্রীনগর ও বারামুলায় প্রার্থী দিয়েছে ফারুকের দল। জোটের শর্ত হিসেবে তাদের সমর্থন করছে কংগ্রেস। জম্মুর দুটি লোকসভা কেন্দ্রে লড়বে সোনিয়া গান্ধীর দল। ন্যাশনাল কনফারেন্সের সমালোচনা করে মুফতি বলেন, “তারা (ফারুকের দল) প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে লড়া ছাড়া আমাদের সামনে অন্য কোনও উপায় রাখল না। মুম্বইয়ে ইন্ডি জোটের বৈঠকে ফারুক আবদুল্লাকে (Lok Sabha Elections 2024) বলেছিলাম, আসন সমঝোতা নিয়ে আপনি সিদ্ধান্ত নিন এবং যথার্থ বিচার করুন। ভেবেছিলাম, তিনি দলের স্বার্থ পাশে সরিয়ে রাখবেন।”

    দিল্লিতে দোস্তি, কাশ্মীরে কুস্তি!

    সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে ‘ইন্ডি’ জোটের মহামঞ্চে এক সঙ্গে দেখা গিয়েছিল ফারুক ও মুফতির দলের নেতাদের। পরে উপত্যকায় ফিরেই প্রার্থী ঘোষণা করে দেন ফারুক। এদিন মুফতি বলেন, “আমরা কাশ্মীরের তিনটি আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। জম্মুতে কংগ্রেসকে সমর্থন করব। কাশ্মীরেও জোট গঠনের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ন্যাশনাল কনফারেন্স নিজেদের মতো করে প্রার্থী দিয়ে দেওয়ায় বাধ্য হয়েই আমাদের আলাদা করে লড়তে হচ্ছে।”

    আরও পড়ুুন: “এটা আপনাদের টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের মানসিকতার প্রতিফলন”, কংগ্রেসকে নিশানা মোদির

    অনন্তনাগ-রাজৌরিতে এনসির প্রার্থী মিঞা আলতাফ। পিডিপি সুপ্রিমো স্বয়ং এই আসনে প্রার্থী। উপত্যকার আরও এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লড়ছেন এই কেন্দ্র থেকে। তিনি কংগ্রেস ছেড়ে নিজের দল গড়া গুলাম নবি আজাদ। ২০০৪ ও ২০১৪ সালে তৎকালীন অনন্তনাগ কেন্দ্রে জিতেছিলেন মুফতি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হয় ফারুকের দল। সেবার এই কেন্দ্রে মুফতির দল চলে গিয়েছিল তৃতীয় স্থানে। এবার ফের একবার ভাগ্য পরীক্ষায় নামছেন মুফতি। তবে এবার তাঁর ভাগ্য সুপ্রসন্ন হবে কিনা, তা বলবে সময়। কারণ মুফতির গলার কাঁটা যেমন ফারুকের দলের প্রার্থী, তেমনি গুলাম নবি আজাদও। সেক্ষেত্রে এই কেন্দ্রে এবার পদ্ম ফোটাই স্বাভাবিক (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “এটা আপনাদের টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের মানসিকতার প্রতিফলন”, কংগ্রেসকে নিশানা মোদির

    PM Modi: “এটা আপনাদের টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের মানসিকতার প্রতিফলন”, কংগ্রেসকে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা আপনাদের টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের মানসিকতার প্রতিফলন।” কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রবিবার রাজস্থানের এক জনসভায় এই প্রতিক্রিয়াই ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জম্মু-কাশ্মীর ও সেখানে ৩৭০ ধারা রদ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন খাড়্গে।

    ‘আমি লজ্জিত’ (PM Modi)

    সে প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি এই ধরনের মন্তব্য শুনে লজ্জিত। কংগ্রেসের উচিত আমার কথা শোনা। বিহার, রাজস্থা থেকেও যুবকরা জম্মু-কাশ্মীরকে রক্ষা করতে গিয়েছেন, আত্মত্যাগ করেছেন। কত জওয়ান তেরঙ্গা উড়িয়েছেন। আপনারা বলছেন কাশ্মীরের সঙ্গে কী লেনাদেনা?” এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা আপনাদের টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের মানসিকতার প্রতিফলন।” তিনি বলেন, “মোদি গ্যারান্টি দিয়েছিল, কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের। কী ফল হল? আমরা করে দেখালাম। ওরা (বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ইন্ডি) বাবাসাহেব আম্বেদকরের সংবিধান রক্ষার কথা বলে, কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরে তা কার্যকর করেনি। তোমরা সংবিধান নিয়ে গান গেয়েছো, কিন্তু এই মোদিই বাবাসাহেব আম্বেদকরের সংবিধানকে এত বছর বাদে জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ে গিয়েছে।”

    ‘দেশবিরোধী শক্তির ঘাঁটি’

    তিনি বলেন, “আমাদের কি এই ধরনের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত এই ভাষা ব্যবহারের জন্য? যাঁরা আমাদের জন্য প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের অপমান সহ্য করা উচিত? ইন্ডি জোট হচ্ছে ঘৃণা ও দেশবিরোধী শক্তির ঘাঁটি। এদের কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।” ইন্ডি জোটকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “এরা দিল্লিতে এক সঙ্গে দাঁড়িয়েছে, এরাই আবার বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে একে অপরকে গালি দিচ্ছে। বিহারে ওদের নিজেদের মধ্যে বিরোধ চলছে।”

    আরও পড়ুুন: “আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল হচ্ছে তৃণমূল”, তোপ মোদির

    তিনি বলেন, “ইন্ডি জোট দুর্নীতিবাজদের আখড়া।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জনপ্রিয় সেন্টিমেন্টগুলির বিষয়ে ইন্ডি জোট এত শত্রুতাপূর্ণ আচরণ করছে কেন, তা আমি বুঝতে পারছি না। জনগণের পয়সায় অযোধ্যায় রাম মন্দিন নির্মাণ হলেও, প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যোগ দেয়নি তারা। দোরগোড়ায় রামনবমী। তাদের পাপের কথা ভুলে যাবেন না।” তিনি বলেন, “বিরোধীরা মোদি কি গ্যারান্টি নিয়ে এত ভীত যে তারা আমায় এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া থেকে বিরত করতে চায়। তবে মোদি এমন নয় যে কেবল সম্মান নিয়েই খুশি থাকবে। মোদি (PM Modi) জন্মেছেই পরিশ্রম করার জন্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bhupatinagar Case: প্ররোচনা ছাড়াই সেদিন হামলা হয়েছিল ভূপতিনগরে, বিবৃতি দিয়ে জানাল এনআইএ

    Bhupatinagar Case: প্ররোচনা ছাড়াই সেদিন হামলা হয়েছিল ভূপতিনগরে, বিবৃতি দিয়ে জানাল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনওরকম প্ররোচনা ছাড়াই সেদিন হামলা হয়েছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের ওপর। রবিবার প্রেস (Bhupatinagar Case) রিলিজে একথা জানাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের এক সকালে আচমকাই বিস্ফোরণ ঘটে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে।

    এনআইএর ওপর হামলা (Bhupatinagar Case)

    বিস্ফোরণের অভিঘাতে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চারজনের। এঁরা হলেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তাঁর ভাই দেবকুমার ও জনৈক বিশ্বজিৎ গায়েনের। আরও একজনের পরিচয় মেলেনি। ওই ঘটনায় নাম জড়ায় স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতার। এঁদের মধ্যে দুজনের খোঁজে শনিবার তল্লাশিতে যান এনআইএর আধিকারিকরা। অভিযোগ, এর পরেই সন্দেশখালির কায়দায় তাঁদের ওপর (Bhupatinagar Case) হামলা চালায় স্থানীয়দের একাংশ। যারা এলাকায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থক হিসেবেই পরিচিত। হামলায় জখম হন এনআইএর তদন্তকারীরা। ভেঙে দেওয়া হয় তাঁদের গাড়ির কাচ।

    গ্রেফতার ২ তৃণমূল নেতা

    পরে এলাকার পাঁচ জায়গায় হানা দিয়ে গ্রেফতার করা হয় বলাই মাইতি ও মনোব্রত জানা নামে তৃণমূলের দুই অভিযুক্তকে। এনআইএর দাবি, বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল চক্রী এঁরাই। এনআইএর তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, বোমা তৈরির ষড়যন্ত্র করেছিলেন বলাই ও মনোব্রত। এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতেই ঘটানো হয়েছিল বিস্ফোরণ। তাঁদের ধরতে গিয়েই বিনা প্ররোচনায় হামলা চালানো হয় এনআইএর আধিকারিকদের ওপর। বাধা দেওয়া হয় কর্তব্য করতে। রাজ্যের আর পাঁচটা ঘটনার মতো ভূপতিনগরকাণ্ডেও বিজেপির হাত দেখতে পান তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গে বসেই তিনি দাবি করেন, বিজেপির হয়ে কাজ করছে এনআইএ। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের ধরতে সাত সকালে গিয়েছিল এনআইএ।

    আরও পড়ুুন: “আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল হচ্ছে তৃণমূল”, তোপ মোদির

    অথচ মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করলেন, “কেন তাঁরা (এনআইএর আধিকারিকরা) মধ্যরাতে অভিযানে গিয়েছিল? তাঁদের কাছে কী পুলিশের অনুমতি ছিল? স্থানীয়রা ভেবেছেন বহিরাগত কেউ মধ্যরাতে এসেছে। তাই ওই রকম প্রতিক্রিয়া করেছেন। ঠিক নির্বাচনের আগে আগেই কেন তারা লোকজনকে গ্রেফতার করছে? বিজেপি কী মনে করে, তারা তৃণমূলের প্রত্যেক বুথ এজেন্টকে গ্রেফতার করবে? এনআইএর কী আধিকার আছে? তারা এসবই করছে বিজেপির মদতে। বিজেপির এই নোংরা রাজনীতির কথা আমরা গোটা বিশ্বকে জানাতে চাই।”মুখ্যমন্ত্রীর এহেন প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতেই এনআইএ জানিয়ে দিল, কোনওরকম প্ররোচনা ছাড়াই হামলা হয়েছে তাদের আধিকারিকদের ওপর (Bhupatinagar Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bhupatinagar Blast: বিস্ফোরণকাণ্ডে তদন্তকারীদের আতস কাচের নীচে তৃণমূল নেতাদের কল রেকর্ড 

    Bhupatinagar Blast: বিস্ফোরণকাণ্ডে তদন্তকারীদের আতস কাচের নীচে তৃণমূল নেতাদের কল রেকর্ড 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে (Bhupatinagar Blast) এবার নিহত তৃণমূল (TMC) নেতার কল ডিটেলস-এর দিকে নজর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র(NIA)। বিস্ফোরণে মৃত তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না সহ আরও দুজনের মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই তালিকায় রয়েছেন এনআইএ-র ওপর হামলার ঘটনায় আটক বলাই মাইতি এবং মনোব্রত জানা।

    ২ ডিসেম্বর কী নিয়ে কথা হয়েছিল? (Bhupatinagar Blast)

    ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর ভূপতিনগরে (Bhupatinagar Blast) ভয়াবহ বিষ্ফোরণ হয়েছিল। বোমা বাঁধতে গিয়ে বিষ্ফোরণ হয় বলে জানা যায়। মৃত্যু হয়েছিল রাজকুমার ও তার ভাই দেবকুমার ও বিশ্বজিৎ গায়েনের। মৃত্যু হয়েছিল আরও একাধিক মানুষের। বিষ্ফোরণের ভয়াবহতায় বাড়ির ছাদ উড়ে যায়। ছিন্নভিন্ন দেহ ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থল থেকে কয়েক ফুট দূরের পুকুরে। বোমা বাঁধার আগে রাজকুমার মান্নার সঙ্গে বলাই ও মনোব্রতর কথা হয়েছিল, এমন একাধিক প্রমাণ (Bhupatinagar Blast) এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। ২ ডিসেম্বর কী নিয়ে কথা হয়েছিল রাজকুমারের সঙ্গে বলাই ও মনোব্রতর, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। তা জানতেই কল ডিটেলস খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। কল ডিটেলসের সঙ্গে তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের বয়ান মিলিয়ে দেখতে চান। কার নির্দেশে রাজকুমার তৈরি করছিলেন, বোমা তৈরির কাঁচামাল কারা দিয়েছিল, কাদের কাছে বোমা পৌঁছে দেওয়ার বরাত ছিল, সেই সব বিষয় বিস্তারিত খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই বলাই ও মনোব্রতকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে।

    পাল্টা চাপ সৃষ্টি করার কৌশল (Bhupatinagar Blast) 

    প্রসঙ্গত আদালতের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে নিয়েছে এনআইএ। কিন্তু আদালতে নির্দেশে যে তদন্ত হচ্ছে, তাতেও রাজনৈতিক রঙ লাগানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হামলার মুখে পড়েছেন তদন্তকারীরা। এনআই এ-র উপরে হামলা চালানো হয় সন্দেশখালির কায়দায়। মারধরের পর পুলিশে অভিযোগ জানান তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। শ্লীলতাহানি সহ একাধিক ধারায় এনআইএ’র আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের উপর পাল্টা চাপ সৃষ্টি করার কৌশল নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন, এমনটাই অভিযোগ বিজেপির (Bhupatinagar Blast)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: “হিন্দুস্থান রয়েছে, ছিল এবং থাকবেও”, রাহুলকে নিশানা করতে গিয়ে বললেন স্মৃতি

    Lok Sabha Elections 2024: “হিন্দুস্থান রয়েছে, ছিল এবং থাকবেও”, রাহুলকে নিশানা করতে গিয়ে বললেন স্মৃতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমার এই কণ্ঠস্বর যদি রাহুল গান্ধীর কাছ পর্যন্ত পৌঁছায়, তাহলে আমি তাঁকে বলতে চাই, তাঁর মতো অনেকে এলেন, গেলেনও, হিন্দুস্থান রয়েছে, ছিল এবং থাকবেও।” চেন্নাইয়ের এক জনসভায় (Lok Sabha Elections 2024) কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।

    রাহুলকে তোপ স্মৃতির

    শনিবার ভেপ্পারি জেলার ওয়াইএমসিএ অডিটোরিয়ামে বিজেপি প্রার্থী বিনয় পি সেলভামের সমর্থনে ভাষণ দিচ্ছিলেন তিনি। সেখানেই তোপ দাগেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের তাৎপর্যের বিষয়েও এদিন জোর দেন কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী। স্মৃতি বলেন, “এই দেশে অনেক রাজ্য রয়েছে, যেখানে ইন্ডি জোটের শরিকরা জয় শ্রী রাম বলার জন্য মানুষকে হত্যা করেছে। এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গে এবং কেরলে। আর আজ? আমাদের সব চেয়ে বড় সৌভাগ্য হল, আমরা ভগবান রামের পায়ে মাথা নত করে দাঁড়িয়ে রয়েছি। মন্দির করে নির্মাণ হবে, তা বলা হয়েছিল, মন্দির নির্মাণ হয়েছে।

    রামের মহিমা

    ভগবান রামের মহিমাও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। যাঁরা এক সময় রামের অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলতেন, তাঁদেরও আজ ভগবান রাম ডাকছেন। রামের নেতৃত্ব নিয়েও তাঁদের ঔদ্ধত্য প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।” প্রসঙ্গত, (Lok Sabha Elections 2024) চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি দ্বারোদ্ঘাটন হয় অযোধ্যার রাম মন্দিরের। এদিনই প্রাণ প্রতিষ্ঠাও হয় রামলালার।

    আরও পড়ুুন: “আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল হচ্ছে তৃণমূল”, তোপ মোদির

    মোদির নিশানাতেও রাহুল

    এদিকে, শনিবার রাজস্থানের এক জনসভা থেকে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “কংগ্রেস অযোধ্যায় রাম মন্দিরে বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করেছিল। কংগ্রেসের একজন ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় তাঁকে ছ’বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাম মন্দির নির্মাণ হয়েছে। তাতে আপনারা খুশি হয়েছেন না হননি? প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যাওয়ার বিরোধিতা করা হয়েছিল। এটা কী ঠিক হয়েছিল? কেবল এটাই নয়, কেউ যদি প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যায়, তাকে দল থেকে ছ’বছরের জন্য বহিষ্কার করা হবে! এদেশে এমনটা ঘটতে পারে? ভগরাম রাম ছাড়া এ দেশের অস্তিত্ব আপনি ভাবতে পারেন (Lok Sabha Elections 2024)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bhupatinagar Incident: ভূপতিনগরকাণ্ডে রিপোর্ট চাইলেন রাজ্যপাল, ৩ তৃণমূল নেতাকে তলব এনআইএ-র

    Bhupatinagar Incident: ভূপতিনগরকাণ্ডে রিপোর্ট চাইলেন রাজ্যপাল, ৩ তৃণমূল নেতাকে তলব এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনআইএ-র ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল। তিনি এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করলেন। শনিবার রাতে এনআইএ-র শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস ( C.V. Anand Bose)। সেদিন সকালে ঘটনাস্থলে এনআইএ-র (NIA) আধিকারিকদের সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল, কীভাবে হামলা হল, হামলার সময় কতজন মানুষ ওখানে ছিল, তার বিস্তারিত বর্ণনা শোনেন তিনি। কেন আধিকারিকরা সেখানে গিয়েছিলেন, সেই সম্পর্কেও জানতে চান রাজ্যপাল। রাজভবন (Governer’s House) সূত্রে খবর, পুরো বিষয় জানার পর রাজ্যপাল সম্পূর্ণ রিপোর্ট তলব করেছেন।

    সেদিন কী ঘটেছিল?

    প্রসঙ্গত ভূপতিনগর (Vupatinagar Blast) বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে শনিবার সকালে হামলার মুখে পড়েন এনআইএ আধিকারিকরা। তাঁদের গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। এক এনআইএ আধিকারিকের উপর লাঠি নিয়ে হামলা করা হয়। সেই আধিকারিক এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের ভূপতিনগরে প্রচণ্ড জোরে বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণের ভয়াবহতায় কেঁপে উঠেছিল আশপাশের এলাকা। এই ঘটনায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তার ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েনের মৃত্যু হয়। মৃত্যু হয়েছিল আরও একজনের। ছিন্নভিন্ন, ঝলসে যাওয়া দেহ উদ্ধার হয়েছিল বাড়ির ছাদ ও কয়েক মিটার দূরের পুকুর থেকে। সেই ঘটনায় মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় এনআইএ’র কাঁধে।

    ৩ তৃণমূল নেতাকে নোটিশ

    এই ঘটনায় তৃণমূলের জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মানবকুমার পড়েয়া, সুবীর মাইতি ও নবকুমার পান্ডাকে ফের নোটিশ দিল এনআইএ। শনিবার তিনজনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন এনআইএ আধিকারিকরা। তাদের সোমবার সকালে নিউটাউনের এনআইএ দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আগেও তলব করা হয়েছিল। কিন্তু একবারও তাঁরা হাজিরা দেননি।

    মানহানির মামলার হুমকি জিতেন্দ্রর

    এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এনআইএর কর্মকাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিক রঙ দিতে তৎপর। হেমতাবাদের সভা থেকে তিনি বলেন, “হামলা মেয়েরা করেনি, করেছে এনআইএ। গদ্দারটা জানে হারবে। তাই লোকের বাড়িতে লোক পাঠাচ্ছে। তুমি লোকের বাড়িতে ঢুকে যাবে রাতে। তৃণমূলের সব সভাপতিকে এমএলএকে গ্রেফতার করবে। সবাই শাঁখা-পলা পড়ে বসে থাকবে?” প্রসঙ্গত জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে এক এনআইএ আধিকারিকের বাড়ি গিয়ে নামের তালিকা তুলে দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল শাসক দল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযোগ তুলেছিলেন, ২৬ মার্চ জিতেন্দ্র তিওয়ারি N.I.A.’র এসপি ধরাম সিং-এর কলকাতার বাড়িতে গিয়ে একটি খাম তুলে দিয়ে এসেছিলেন। জিতেন্দ্র তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “মানহানিকর বক্তব্য রাখা হয়েছে। সাত দিন সময় দিলাম। নিজের বক্তব্য ফেরত না নিলে মানহানিকর মামলা করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: “ভারত নয়, পাকিস্তানে ভোটের জন্য ইস্তাহার বানিয়েছে কংগ্রেস”, তোপ হিমন্তর

    Lok Sabha Elections 2024: “ভারত নয়, পাকিস্তানে ভোটের জন্য ইস্তাহার বানিয়েছে কংগ্রেস”, তোপ হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত নয়, পাকিস্তানে নির্বাচনের জন্য ইস্তাহার তৈরি করেছে কংগ্রেস।” শনিবার গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে এই ভাষায়ই কটাক্ষ করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি (Lok Sabha Elections 2024) নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। হিমন্তকে পাল্টা দিয়েছে কংগ্রেসও। তাদের বক্তব্য, ধর্মনিরপেক্ষতা নীতি বোঝার ক্ষমতা নেই হিমন্তর। এদিন কংগ্রেসের ইস্তাহার প্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটা তোষণের রাজনীতি। এই ইস্তাহার দেখে মনে হচ্ছে, এটা ভারতের জন্য নয়, পাকিস্তানের নির্বাচনের জন্য করা হয়েছে।”

    কী বললেন হিমন্ত? (Lok Sabha Elections 2024)

    তিনি বলেন, “দেশে কোনও ব্যক্তি তিনি হিন্দুই হোন বা মুসলমান, কেউই তিন তালাক ফিরিয়ে আনতে চান না। বাল্যবিবাহ বা বহুগামিতাও সমর্থন করেন না। কিন্তু কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে এরা সমাজকে বিভক্ত করে দেবে।” হিমন্তর আগে এদিন (Lok Sabha Elections 2024) কংগ্রেসের ইস্তাহারকে নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি বলেছিলেন, “ইস্তাহারে গুচ্ছ গুচ্ছ মিথ্যা কথা বলে কংগ্রেস নিজেদের মুখোশ খুলে দিয়েছে। প্রতিটি পাতায় ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার কথা বলা হয়েছে। স্বাধীনতার আগে মুসলিম লিগের ভাবনার প্রতিফলন রয়েছে এই ইস্তাহারে। এখানে কমিউনিস্ট ও বামপন্থীদের চিন্তাধারার প্রতিফলনও ঘটেছে।”

    ‘অসমের সব আসনেই জয়ী হবে বিজেপি’

    অসমে লোকসভার আসন রয়েছে ১৪টি। সব ক’টিতেই বিজেপি জয়ী হবে বলেও আশাবাদী হিমন্ত। তিনি বলেন, “বিজেপি একটি আন্দোলনের রূপ ধারণ করেছে, যা দেশকে বিশ্বগুরু করে তুলবে।” অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ আমাদের দলের প্রতিষ্ঠা দিবস। বিজেপি দেশের জন্য কাজ করেছে। দেশ আমাদের ধর্ম। আমি দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি।”

    আরও পড়ুুন: “কংগ্রেসকে শেষ না করা পর্যন্ত থামবেন না রাহুল”, মধ্যপ্রদেশে কটাক্ষ-বাণ রাজনাথের

    এদিকে, এদিনই মধ্যপ্রদেশের ভোপালে কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও। তিনি বলেন, “কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই সব প্রতিশ্রুতির কিছুটাও যদি তারা পূরণ করতে পারত, তাহলে ভারত আজ আরও শক্তিশালী দেশ হত। আমাদের ইস্তাহারপত্র দেখুন। ১৯৮৪ সাল থেকে আমরা রাম মন্দির নির্মাণের কথা বলে এসেছি। সেই সময় থেকে বিরোধীরা মন্দির তৈরির তারিখ নিয়ে কটাক্ষ ভরা প্রশ্ন করত। তবে এখন অযোধ্যার মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন (Lok Sabha Elections 2024) রামলালা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

     

  • Balurghat: রক্তক্ষরণ অব্যাহত বামেদের, এসএফআইয়ের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিজেপিতে   

    Balurghat: রক্তক্ষরণ অব্যাহত বামেদের, এসএফআইয়ের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিজেপিতে   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুরে দাঁড়ানো দূরের কথা, উঠে দাঁড়ানোই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে বামেদের পক্ষে। তাদের রক্তক্ষরণ অব্যাহত। ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে লাল পতাকাধারীদের। একদিকে জোট নিয়ে জটিলতা, অন্যদিকে কর্মীরা দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিচ্ছেন। এবার এসএফআইয়ের (SFI) প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা সিপিআইএমের (CPIM) জেলা কমিটির সদস্য সুরজিৎ সরকার দলবল সহ যোগ দিলেন বিজেপিতে। বালুরঘাটের (Balurghat) বিজেপি (BJP) জেলা কার্যালয়ে এই যোগদান পর্ব আয়োজিত হয়।

    সুকান্তের উন্নয়নেই আকৃষ্ট হয়ে দলত্যাগ (Balurghat)

    দল ছাড়ার পর সিপিএমের তরফে দাবি করা হয়, সুরজিৎ সরকারকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কেউ দল ছেড়ে অন্য দলে গেলে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কারের রেওয়াজ রয়েছে সিপিএমে। দলের তরফে যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। ছিলেন জেলার সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারাও। প্রসঙ্গত এই লোকসভা আসনে বালুরঘাট থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনিই এলাকার বর্তমান সাংসদ। যোগদানকারীদের দাবি, সুকান্ত মজুমদার যেভাবে বালুরঘাট জুড়ে উন্নয়ন করেছেন, তা দেখেই আকৃষ্ট হয়েছেন সুরজিৎ সরকার।

    বিজেপির সংগঠন মজবুত হল (Balurghat)

    সুরজিৎ যোগদানপর্ব শেষে বলেন, “সুকান্তবাবু বিরোধী দলে থেকেও নিজের এলাকার উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছেন। উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাজনীতির রং দেখেননি। রাজ্যের শাসকের শত বাধা সত্ত্বেও একের পর এক উন্নয়নমূলক কাজ করে তিনি অন্যদের কাছে উদাহরণ তুলে ধরেছেন। সবেচেয়ে বড় ব্যাপার তিনি সেরা সাংসদের পুরস্কার পেয়েছেন।” প্রসঙ্গত এদিনের যোগদানের ফলে এলাকায় বিজেপির সংগঠন মজবুত হল। অন্যদিকে আঞ্চলিক স্তরে তৃণমূল ও সিপিএমের সংগঠন অনেকটাই ধাক্কা খেল। সব মিলিয়ে ভোটের মুখে এই জেলার চিত্রটা যে অনেকটাই বিজেপির অনুকূলে চলে এল, তা বলাই যায়। যদিও বামেদের দাবি, এতে তাদের কোনও ক্ষতি হবে না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share