Tag: news in bengali

news in bengali

  • Sheikh Hasina: জামাত, ছাত্র শিবিরের মোকাবিলা জঙ্গি সংগঠনের মতোই, কড়া বার্তা শেখ হাসিনার

    Sheikh Hasina: জামাত, ছাত্র শিবিরের মোকাবিলা জঙ্গি সংগঠনের মতোই, কড়া বার্তা শেখ হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যেমনভাবে জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে মোকাবিলা করা হয়, ঠিক সেইভাবেই জামাত ও ছাত্র শিবিরের মোকাবিলা করতে হবে। বাংলাদেশের কট্টরপন্থী ইসলামি জঙ্গি সংগঠন জামাতে-ইসলামি (Jamaat-e-Islami) ও তাদের ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণার পর, ঠিক এই ভাবেই বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। ইতিমধ্যে সেই দেশের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা, জামাত শিবিরের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে ইসালামি জেহাদি সংগঠন আল-কায়দার যোগসূত্র থাকার চাঞ্চল্যকর ইঙ্গিত প্রকাশ্যে এনেছে।

    কী বললেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)?

    বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটি নোটিশ দিয়ে এই দুই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, “জামাত (Jamaat-e-Islami) ও ছাত্র শিবিরকে এখন থেকে জঙ্গি সংগঠন ধরেই মোকাবিলা করতে হবে। আমি নিশ্চিত, নিষিদ্ধ হওয়ার পরে এরা আত্মগোপনে করবে এবং নানা ধরনের নাশকতামূলক কাজ করবে। এতদিন রাজনৈতিক ভাবে জামাতের মোকাবিলার পথ চলেছিল। এখন আর উপায় নেই। এই বিপুল পরিমাণে প্রাণহানি এবং নাশকতার তদন্তে রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে সাহায্য চাইব।”

    নির্বাচন কমিশন আগেই জামাতকে অবৈধ বলেছে

    প্রায় অর্ধশতকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলি একাধিক সময়ে আন্দোলন করে দাবি তুলেছেন যে, জামাতে ইসলামিকে নিষিদ্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টেও আইনি লড়াইও চলছে। ইতিমধ্যে, বাংলাদেশের সংবিধানকে সর্বোচ্চ হিসেব স্বীকৃতি না দেওয়ার কারণে ২০১৮ সালে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামাতে ইসলামিকে অবৈধ ঘোষণা করে সেদেশের নির্বাচন কমিশন। এবার, সেই দেশের সন্ত্রাস-বিরোধী আইনে পাকিস্তানি সেনাদের সহচর জামাতে ইসলামিকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকার।

    আরও পড়ুনঃ অশান্তির জের, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হতে চলেছে জামাত, বড় সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনার

    পাঁচ হাজার ক্যাডারকে ঢাকায় আনা হয়েছিল

    সম্প্রতি বাংলাদেশে কোটা-বিরোধী আন্দোলনে, সাধারণ ছাত্রদের ঢাল করে দেশব্যাপি সন্ত্রাস, প্রাণহানি, লুটপাট, ধ্বংস, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদির মতো পরিস্থিতির জন্য জামাতে ইসলামি এবং তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরের বড় ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছে সেদেশের গোয়েন্দা সংস্থা। আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে গোয়েন্দারা দাবি করেন, গত তিন মাসে রাজশাহি, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, ফেনি, ফরিদপুর থেকে অন্তত পাঁচ হাজার ক্যাডারকে ঢাকায় আনা হয়েছিল। দাহ্য, তেল, বিস্ফোরক, দেশি অস্ত্র মজুত করা হয়েছিল। বাগমারা এলাকা থেকে প্রশিক্ষিত নিষিদ্ধ জামাত-উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) জঙ্গিদের ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছিল। জেএমবি সরাসরি আল কায়দার সঙ্গে যুক্ত। আন্দোলনের নামে বড়সড় নাশকতামূলক ছক করেছিল এই জামাত শিবির। তাই কড়া হাতে দমনের পথেই হাঁটছেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Digitalisation: ৮০ কোটি ভারতবাসীর দারিদ্র্য মুক্তি স্মার্টফোনেই! ডিজিটাল ভারতের প্রশংসায় রাষ্ট্রসঙ্ঘ

    Digitalisation: ৮০ কোটি ভারতবাসীর দারিদ্র্য মুক্তি স্মার্টফোনেই! ডিজিটাল ভারতের প্রশংসায় রাষ্ট্রসঙ্ঘ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুমাত্র স্মার্টফোন ব্যবহার করেই দারিদ্র্য থেকে মুক্তিলাভ! এও আবার সম্ভব নাকি? হ্যাঁ, গত পাঁচ থেকে ছয় বছরে ভারত ৮০ কোটি মানুষকে দারিদ্র্য (India poverty) থেকে বের করে এনেছে “শুধুমাত্র স্মার্টফোন ব্যবহারের মাধ্যমে”। সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভা (UNGA)-র ৭৮তম অধিবেশনের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিসের মুখে শোনা গেল এমনই বার্তা।

    ডেনিস ফ্রান্সিসের মন্তব্য 

    নিজের বক্তব্য পেশ করার সময়ে ডিজিটালাইজেশন (Digitalisation) নিয়ে ভারতের কাজের তুমুল প্রশংসা করেন ডেনিস ফ্রান্সিস। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের বিভিন্ন গ্রামে যাঁদের আগে ব্যাঙ্কিং পেমেন্ট সিস্টেমে অ্যাক্সেস ছিল না তাঁরা এখন স্মার্টফোন ব্যবহার করে বিল পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েছেন। ভারতে ডিজিটালাইজেশন নিয়ে যেভাবে কাজ হচ্ছে তাতে, গত ৫-৬ বছরে ৮০ কোটি নাগরিক দরিদ্রসীমা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

    কীভাবে ঘটল দারিদ্র্য থেকে মুক্তিলাভ? (India poverty)  

    কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ডিজিটালাইজেশনের (Digitalisation) উপর জোর দিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। গত এক দশক ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম ফোকাস এর উপরে রয়েছে। দেশে ইদানিং ডিজিটাল পেমেন্টও অনেকটাই বেড়েছে— ইউপিআই পেমেন্টেও জোয়ার এসেছে। ডেনিসের মতে, ভারতে ইন্টারনেট সহজলভ্য, সেই কারণেই এমন লাভ পেয়েছে ভারত। ডেনিস আরও বলেন, ”ভারতের গ্রামীণ ক্ষেত্রের কৃষকরা, যাঁদের এতদিন ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ ছিল  না, তাঁরাও এখন যাবতীয় লেনদেন স্মার্টফোনে করছেন। নিজেদের খরচ মেটাচ্ছেন, আবার নিজের অর্ডারও ওই স্মার্টফোনের মাধ্যমেই পাচ্ছেন। কিন্তু, এই পরিস্থিতি দক্ষিণ এশিয়ার বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথ-এর অধিকাংশ এলাকাতেই নেই।” 

    আরও পড়ুন: ”আগের সরকারের তুলনায় এই বছর অপরাধের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে,” আদিত্যনাথ

    নোটবন্দির পর থেকেই দেশে ডিজিটাল পেমেন্টে জোয়ার

    প্রসঙ্গত, গত ১০ বছর ধরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ডিজিটালাইজেশন (Digitalisation­)। ২০১৬ সালে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের পর থেকেই ডিজিটাল পেমেন্ট লেনদেনে অগ্রগতি আসে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর জন ধন, আধার এবং মোবাইল— সংক্ষেপে ‘জ্যাম’ (JAM) উদ্যোগের মাধ্যমে ডিজিটালাইজেশন বৃদ্ধি পেয়েছে। এই উদ্যোগের অধীনে, ভারতের বহু গ্রামের লক্ষ লক্ষ লোক তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিকে আধারের সঙ্গে যুক্ত করার ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেতেও সুবিধা হচ্ছে তাঁদের। এসব কারণেই স্মার্টফোনের মাধ্যমে ৮০ কোটি ভারতবাসীর দারিদ্র্যমুক্তি ঘটেছে গত কয়েক বছরেই।   
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pingali Venkayya: জাতীয় পতাকার রূপকার, স্বাধীনতা সংগ্রামী পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়ার জন্মদিন

    Pingali Venkayya: জাতীয় পতাকার রূপকার, স্বাধীনতা সংগ্রামী পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়ার জন্মদিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া (Pingali Venkayya) নামটা হয়ত অনেকের কাছেই অপরিচিত। তিনি ছিলেন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। তবে, তার চেয়েও বড় কথা, তিনি ছিলেন ভারতীয় জাতীয় পতাকার (National Flag) একজন রূপকার। তিনি মুক্ত ও স্বাধীন ভারত চেতনার সমর্থক ছিলেন। সেই সঙ্গে তিনি একজন কৃষিবিদ, ভাষাবিদ এবং ভূতাত্ত্বিক ছিলেন। গান্ধীবাদী মতাদর্শে দীক্ষিত পিঙ্গালি পরাধীন ভারতে সক্রিয়ভাবে অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছিলেন। আজ আমরা যে জাতীয় পতাকা দেখি, তা ছিল তাঁরই তৈরি করা নকশা। পরবর্তী সময়ে ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই, ভারতের গণপরিষদ এই নকশা গ্রহণ করেছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদান ছিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

    জন্ম ও পড়াশুনা (Pingali Venkayya)

    ১৮৭৬ ​​সালের ২ অগাস্ট অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া (Pingali Venkayya)। তেলুগু, হিন্দি, উর্দু, বাংলা, তামিল, ইংরেজি এবং জাপানির মতো অনেক ভাষা জানতেন তিনি। স্বদেশি পোশাক এবং বস্ত্র ব্যবহারের উপর বিশেষ জোর দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর বাবার নাম হনুমন্ত রাও এবং মা ছিলেন রুক্মিনাম্মা। তিনি মাছিলিপত্তনমের স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং পরে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি কলেজ ও শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূতত্ত্ব ডিগ্রি লাভ করেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগদানের আগে তিনি শিক্ষক, ভূতত্ত্ববিদ ও কৃষি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছিলেন।

    রাজনৈতিক জীবন

    ভেঙ্কায়া (Pingali Venkayya) আফ্রিকায় অ্যাংলো বোয়ার যুদ্ধের সময় দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। গান্ধীবাদী নীতিতে দৃঢ় বিশ্বাসী এবং ভারতীয় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সমর্থক ছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছিলেন তিনি। বিজয়ওয়াড়ায় পতাকার বিভিন্ন নকশার সঙ্গে তাঁর নকশাটিও দেখান। এরপর একটি জাতীয় পতাকার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে, গান্ধীজি ভেঙ্কাইয়াকে ১৯২১ সালে জাতীয় কংগ্রেসের সভায় একটি নতুন পতাকার নকশা করতে বলেন।

    আরও পড়ুনঃআজ শ্রাবণ শিবরাত্রি, কীভাবে করবেন পুজো? কখন লাগছে তিথি?

    ২০০৯ স্ট্যাম্প জারি করেছিল ভারত সরকার

    প্রাথমিকভাবে, ভেঙ্কাইয়া (Pingali Venkayya) পতাকায় কমলা এবং সবুজ রঙের ব্যবহার করেছিলেন। পরে তার কেন্দ্রে একটি চরকা এবং তৃতীয় আরও একটি সাদা রঙ যোগ করেছিলেন। ১৯৩১ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস আনুষ্ঠানিকভাবে এই পতাকাটি (National Flag) গ্রহণ করা হয়েছিল। ১৯৫৫ সালে তাঁঁকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল। ২০০৯ সালে ভারত সরকার তাঁকে স্মরণ করে একটি স্ট্যাম্পও জারি করেছিল। এরপর অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার ২০১৪ সালে ভারতরত্ন নামের জন্য তাঁর নাম সুপারিশ করেছিল। ২০১৫ সালে, তৎকালীন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নায়ডু বিজয়ওয়াড়ার নাম পরিবর্তন করে ভেঙ্কাইয়া রাখেন এবং সেখানে তাঁর মূর্তি উন্মোচন করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Wayanad Landslide: বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ে সংযোগ রক্ষায় ১৯০ ফুট বেলি ব্রিজ নির্মাণ সেনার

    Wayanad Landslide: বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ে সংযোগ রক্ষায় ১৯০ ফুট বেলি ব্রিজ নির্মাণ সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়েনাড়ের (Wayanad Landslide) পরিস্থিতি যেন সিকিমকেও টেক্কা দিল। ভূমিধসে বিপর্যস্ত অঞ্চলে যোগাযোগ রক্ষায় ১৯০ ফুটের বেলি ব্রিজ তৈরি করেছে সেনাবাহিনী। দক্ষিণ সিকিমের লোকান হ্রদে জলস্ফীতি এবং হড়পা বানের বিপর্যয়ের পর তিস্তা নদীর উপর ১৫০ ফুট দীর্ঘ বেলি ব্রিজ নির্মাণ করেছিল ভারতীয় সেনা এবং বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন। এবার কেরলের ওয়েনাড়ের বিপর্যস্ত এলাকায় উদ্ধার কাজ এবং ত্রাণ পৌঁছে দিতে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বিরাট সেতু তৈরি করল ভারতীয় সেনার (Indian Army) মাদ্রাজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ।

    চুড়ালমালা ও মুন্ডাক্কাইকে সংযোগ করবে বেলি ব্রিজ (Wayanad Landslide)

    ভারতীয় সেনার (Indian Army) সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন সেতুর মাধ্যমে বিকল্প পথে ভূমিধস কবলিত চুড়ালমালা (Wayanad Landslide) এবং মুন্ডাক্কাইয়ের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করা যাবে। ইরুভঞ্জিপ্পুঝা নদীর উপর নির্মিত এই বেলি ব্রিজ উদ্ধারকাজে ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে। উল্লেখ্য, গত বছর সিকিমের ভূমিধসের বিপর্যয়ে সেনার ‘ইঞ্জিনিয়ারিং কোর’-এর তৈরি ইস্পাতের অস্থায়ী সেতুও ভীষণভাবে উদ্ধারকাজে সাহায্য করেছিল।

    ‘কমলা’ সতর্কতা জারি

    এদিকে, বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ে (Wayanad Landslide) যত উদ্ধার কাজ এগিয়ে যাচ্ছে, তত যেন মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল প্রায় ২৯০। তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ৩০০ অতিক্রম করে যাবে। যদিও, রাজ্যের রাজস্বমন্ত্রী কে রাজন ভূমিধসের কারণে ১৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তবে, এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ, সন্ধান না পাওয়া গেলে মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা। আবহাওয়া দফতর ওয়েনাড় এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে ‘কমলা’ সতর্কতা জারি করেছে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এই জায়গায়। ফলে নতুন করে আবার চিন্তার ভাঁজ পড়ছে মানুষের কপালে।

    আরও পড়ুনঃ আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে সমাজবাদী পার্টিকে কোণঠাসা করলেন আদিত্যনাথ

    কলকাতায়ও নির্মিত হয়েছিল বেলি ব্রিজ

    উল্লেখ্য, একটা সময় কলকাতা শহরের আপদকালীন পরিস্থিতিতে নির্মাণ করা হয়েছিল বেলি ব্রিজ। ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টম্বর মাঝেরহাট সেতু ভেঙে গেলে ৫ জনের মৃত্যু হয়। বিপর্যয়ের ফলে বেহালা, ঠাকুরপুকুর সহ দক্ষিণ শহরতলির একটা বড় অংশে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। ব্রিজের নিচে শিয়ালদা-বজবজ শাখার রেল লাইন থাকায় বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করা যায়নি। সেই সময়, মাঝেরহাট স্টেশনের কাছে শিয়ালদা-বজবজ শাখার রেললাইন এবং চেতলা খালের উপর ইস্পাতের কাঠামো দিয়ে তৈরি একটি ১৬০ ফুটের দৈর্ঘ্যের অস্থায়ী বেলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। এক প্রান্তে আলিপুর অ্যাভিনিউ এবং অন্যদিকে হুমায়ন কবীর সরণিকে যুক্ত করেছিল এই সেতু। একই ভাবে ২০১৯ সালে উল্টোডাঙা উড়ালপুলের একাংশে ফাটল দেখা দিলে, লেক টাউনে কেষ্টপুর খালের উপরে আরও একটি বেলি ব্রিজ তৈরি করা হয়েছিল। ১৪০ ফুট লম্বা এই সেতুটি ১০০ টন ভার বহনে সক্ষম।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে সমাজবাদী পার্টিকে কোণঠাসা করলেন আদিত্যনাথ

    Yogi Adityanath: আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে সমাজবাদী পার্টিকে কোণঠাসা করলেন আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে সমাজবাদী পার্টিকে কোণঠাসা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তিনি জানিয়েছেন, আগের সরকারের তুলনায় এই বছর অপরাধের হার (Crime rate in UP) উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এদিন বিধানসভায় বাজেট নিয়ে আলোচনার জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”অযোধ্যায় সমাজবাদী পার্টির (এসপি) একজন কর্মী, অনগ্রসর শ্রেণির ১২ বছর বয়সি একটি মেয়েকে ধর্ষণে জড়িত বলে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সমাজবাদী পার্টি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। আমি বুঝতে পারছি না এই সব কী।” 

    উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য (Yogi Adityanath)

    এ প্রসঙ্গে আদিত্যনাথ আরও বলেছেন, ”গতকালই হারদোইতে একজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত সমাজবাদী পার্টির জেলা সভাপতি। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন জঘন্য অপরাধে ২৮টি মামলা রয়েছে। আমরা যদি এই ধরনের অপরাধীদের শাস্তি না দিই, তাহলে কি গলায় মালা দেব? এইসব মানুষেরা সমাজের ব্যাধি। সমাজ থেকে এদের না সরালে উত্তরপ্রদেশের অবস্থার উন্নতি করা কঠিন হয়ে পড়বে।” 

    আরও পড়ুন: মমতা রেলমন্ত্রী থাকাকালীন দুর্ঘটনা কত ছিল! পরিসংখ্যান তুলে আক্রমণ বৈষ্ণবের

    ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য প্রকাশ (Crime rate in UP) 

    মুখ্যমন্ত্রী এই মন্তব্যের পরেই (Yogi Adityanath) ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (NCRB) তথ্য প্রকাশ করে বলেন, ”২০১৬ সালে যখন রাজ্যে সমাজবাদী পার্টির সরকার ছিল, তার তুলনায় ২০২৪ সালে ডাকাতির ঘটনা ৮৬.৪৭ শতাংশ কমেছে। পাশাপাশি সেই সময়ের তুলনায় বর্তমানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ৭৮.১৭ শতাংশ, খুনের ঘটনা ৪৩.২১ শতাংশ, দাঙ্গা ৬৭.৪২ শতাংশ এবং অপহরণের ঘটনা ৭০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।” এছাড়াও আদিত্যনাথ এদিন আরও জানান, নারীদের যৌতুকের হার ১৭.৪৩ শতাংশ কমেছে। এ ছাড়া ধর্ষণের ক্ষেত্রে ২৫.৩০ শতাংশ, শ্লীলতাহানির ক্ষেত্রে ১৬.৫৬ শতাংশ এবং অপহরণের ক্ষেত্রে ০.১৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। 
    ফলে এ তথ্য আবারও প্রমাণ করল যে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) আসার পর থেকে সমগ্র রাজ্যে অপরাধের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। যা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যোগী আদিত্যনাথের গর্বের অন্যতম কারণ।  
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hamas: খতম হামাস প্রধান! কী উদ্দেশ্যে হামাস ভারতে সিমিকে প্রতিষ্ঠিত করছিল? জানুন ইতিহাস

    Hamas: খতম হামাস প্রধান! কী উদ্দেশ্যে হামাস ভারতে সিমিকে প্রতিষ্ঠিত করছিল? জানুন ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি তেহরানে নিজের বাড়িতে গুপ্তঘাতকের হাতে প্রাণ দেয় গাজার জঙ্গি সংগঠন, হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়ে। তেহরানে বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয়েছে হামাস (Hamas) প্রধানকে। বিবৃতি দিয়ে এমন দাবি করল স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি জঙ্গিগোষ্ঠী হামাস। শুধু তিনি একা নন, তাঁর দেহরক্ষীকেও গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছে। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডও বুধবার সকালে হানিয়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। 

    সিমির লক্ষ্য 

    স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (সিমি) মূলত জামাত-ই-ইসলামি হিন্দের (JIH) ছাত্র শাখা, যেটি ১৯৮১ সালে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের নেতা ইয়াসির আরাফাতের ভারত সফর নিয়ে মতপার্থক্যের কারণে মূল সংগঠন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে হামাস (Hamas) এবং সিমির যৌথ লক্ষ্য ভারতে (India) একটি ইসলামিক রাষ্ট্র তৈরি করা। সিমি ভারতের প্রেক্ষাপটে ইসলামি রাষ্ট্র গঠনের উপর বিশেষ জোর দেয়। তারা মনে করত যে, দেশে সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও, মুসলমানদের শরিয়ত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করা উচিত, কারণ তা করতে ব্যর্থ হলে তাদের নরকে ঠাঁই হবে। 

    আরও পড়ুন: সমুদ্রের নীচে ২১ কিমি টানেলের মধ্যে দিয়ে ছুটবে বুলেট ট্রেন! সংসদে জানালেন রেলমন্ত্রী

    সিমির আর্থিক উৎস 

    উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীর সহ একাধিক রাজ্যে ঘাঁটি সহ উপস্থিত ছিল সিমি। জামাত বাংলাদেশের ছাত্র শাখা ইসলামি ছাত্র শিবির (আইসিএস) এবং সৌদি আরবের জামাইয়াতুল আনসার (জেএ) উভয়ের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়েছিল সিমি। এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় মুসলমানদের পরামর্শদাতা কমিটি, কুয়েতে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ফেডারেশন অফ স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশনস এবং রিয়াধে মুসলিম যুবদের বিশ্ব সমাবেশকে অর্থের অন্যান্য উৎস হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীকালে সিমি সদস্যরা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই) এর মতো দলে যোগ দিয়েছিল। এরপর সিমির পুনর্গঠনের বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হলেও অনেকেই সিমিতে যোগদানে অনুপস্থিত ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Love Jihad Scandal: উত্তরপ্রদেশে ৬ সপ্তাহে ৫ হিন্দু নারী নিখোঁজ! অনশন ঘোষণা হিন্দু গোষ্ঠীর

    Love Jihad Scandal: উত্তরপ্রদেশে ৬ সপ্তাহে ৫ হিন্দু নারী নিখোঁজ! অনশন ঘোষণা হিন্দু গোষ্ঠীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) জালাউন জেলায় লাভ জিহাদের (Love Jihad Scandal) বেশ কয়েকটি ঘটনা সামনে এসেছে। ইতিমধ্যেই এই এলাকায় গত ৬ সপ্তাহে পাঁচজন হিন্দু নারী নিখোঁজ হয়েছেন। যা নিয়ে হিন্দু গোষ্ঠীগুলির মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এই নিখোঁজের ঘটনায় মুসলিম যুবকদেরই সন্দেহ করা হচ্ছে। ঘটনার প্রতিবাদে হিন্দু সংগঠনগুলি প্রশাসনের কাছে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেছে। অন্যদিকে, অভিযুক্তর সন্ধানে কর্তৃপক্ষ ১৫ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে। 

    অনশন ঘোষণা হিন্দু গোষ্ঠীর

    হিন্দু নারীদের এই নিখোঁজ (Love Jihad Scandal) হওয়ার ঘটনায় ইতিমধ্যেই হিন্দু সংগঠনগুলি জেলা কর্মকর্তাদের কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করে জানিয়েছেন, নিখোঁজ হওয়া নারীদের খোঁজ দিতে না পারলে ভবিষ্যতে তাঁরা অনশনে বসবেন। এরপরই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ সুপারইন্টেনডেন্ট এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন এবং তাঁরা আশ্বাস দেন যে এই গোটা ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা যুক্ত রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ সুপারইন্টেনডেন্টের এই আশ্বাসের পরেই বিক্ষোভ স্থগিত হয়। 

    আরও পড়ুন: সমুদ্রের নীচে ২১ কিমি টানেলের মধ্যে দিয়ে ছুটবে বুলেট ট্রেন! সংসদে জানালেন রেলমন্ত্রী

    একের পর এক নিখোঁজের ঘটনা (Uttar Pradesh) 

    জানা গিয়েছে, জালাউন শহরে মুসলিম যুবকরা হিন্দু মেয়েদের টার্গেট (Love Jihad Scandal) করে। কোতোয়ালি এলাকার একটি মেয়ের ১৪ জুলাই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বিয়ের আগেই ৩ জুলাই সে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। তাঁর ভাই জালাউন থানায় তাঁর নিখোঁজের অভিযোগ জানায়। এরপর ১৫ জুলাই, হিন্দু সংগঠনের নেতারা একটি মৌন মিছিলের জন্য দ্বারকাধীশ মন্দিরে জড়ো হন এবং সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের (SDM) মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। কিন্তু এত চেষ্টা করেও এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও নিখোঁজ তরুণীর সন্ধান পায়নি পুলিশ। শুধু মামলার প্রাথমিক সন্দেহভাজন হিসেবে একজন কে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে কেবল এই মামলাটিই নয়, সম্প্রতি সময়ে আর যে ৪টি নিখোঁজের ঘটনা রয়েছে সব ঘটনারই তদন্ত চলছে। 
    অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে সার্কেল অফিসার রাম সিং জানিয়েছেন যে, আকরাম নামে এক যুবক একটি মামলার সঙ্গে (Love Jihad Scandal) জড়িত থাকতে পারে বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁকে ধরার জন্য চারটি দল গঠন করা হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ মেয়েটিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। 
      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: এসসি-এসটির মধ্যে আলাদা উপশ্রেণি সংরক্ষণ করা যাবে, বড় রায় শীর্ষ আদালতের

    Supreme Court: এসসি-এসটির মধ্যে আলাদা উপশ্রেণি সংরক্ষণ করা যাবে, বড় রায় শীর্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কেউ যদি একবার একটা কমার্টমেন্টে ঢুকে পড়েন, তাহলে অন্যরা যাতে সেখানে ঢুকতে না পারেন অনবরত তার চেষ্টা করতে থাকেন তিনি।” কথাগুলি বললেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি বিআর গাভাই। সংরক্ষণের (Quota Ruling) ক্ষেত্রে এসসি-এসটির মধ্যে আরও নিখুঁত শ্রেণি বিভাজনের পক্ষে রায় দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন গাভাই।

    কী বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)

    বৃহস্পতিবার দেশের শীর্ষ আদালতের সাত বিচারপতির বেঞ্চ সম্মতি দেয় শিক্ষা ও চাকরিতে সংক্ষণের ক্ষেত্রে তফশিলি জাতি-উপজাতির মধ্যে শ্রেণি বিভাজনে। যাঁরা আক্ষরিক অর্থে পিছিয়ে পড়া, শিক্ষা ও চাকরিতে তাঁরা যাতে সুযোগ পান, তাই এই রায় বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত এও জানিয়েছে, তফশিলি জাতি-উপজাতির মধ্যে ‘ক্রিমি লেয়ার’ বা উপশ্রেণিকে সংক্ষরণের আওতায় আনার ক্ষমতা থাকবে রাজ্য সরকারের হাতে।

    কী বললেন গাভাই?

    এই রায় দিতে গিয়েই বিচারপতি গাভাই বলেন, “কেউ যদি একবার একটা কমার্টমেন্টে ঢুকে পড়েন, তাহলে অন্যরা যাতে সেখানে ঢুকতে না পারেন অনবরত তার চেষ্টা করতে থাকেন তিনি। সামাজিক ন্যায়ের কারণে তাঁরা নিজেরা সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু যখন রাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নেয় যে, প্রতিনিধিত্বহীন ব্যক্তিদের সেই সুবিধা দেওয়া হবে, তখন আর তা অস্বীকার করা যায় না।”

    প্রসঙ্গত, বিচারপতি (Supreme Court) গাভাই স্বয়ং দলিত সম্প্রদায়ের। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের পর তিনিই বসবেন ওই পদে। আগামী বছর প্রধান বিচারপতি পদে অভিষিক্ত হবেন তিনি। গাভাই ওই পদে বসলে, তিনিই হবেন দেশের দ্বিতীয় দলিত প্রধান বিচারপতি, কেজি বালকৃষ্ণণের পরে। এদিনের রায়ে গাভাই জানান, তফশিলি জাতি ও উপজাতির মধ্যে একটা ছোট্ট অংশই সংরক্ষণের সুবিধা ভোগ করতে পারছেন। বাকিরা বঞ্চনার শিকার হন। এপ্রসঙ্গে গাভাই বলেন, “বিআর আম্বেডকর বলেছিলেন, সামাজিক গণতন্ত্র না থাকলে, রাজনৈতিক গণতন্ত্র থেকে কোনও লাভ নেই। তফশিলি জাতির প্রতিটি শ্রেণির প্রতিবন্ধকতা আলাদা।”

    আরও পড়ুন: জাত বিতর্কে অখিলেশকে পাল্টা আক্রমণ অনুরাগ, কঙ্গনার

    সাত সদস্যের এই বেঞ্চের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, “অনেক সময়ই বৈষম্যের কারণে তফশিলি জাতি-উপজাতির সদস্যরা উন্নতির শিখরে পৌঁছতে পারেন না। ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে জাতির এই শ্রেণিবিন্যাসের অনুমতি দেওয়া (Quota Ruling) হয়েছে। ইতিহাসে প্রমাণ রয়েছে, পিছিয়ে পড়া শ্রেণি কখনওই সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল না (Supreme Court)।” সাত সদস্যের বেঞ্চের বাকি সদস্যরাও এসসি-এসটি সংরক্ষণের মধ্যে ‘ক্রিমি লেয়ার’ পৃথকীকরণের ওপর সহমত পোষণ করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ashwini Vaishnaw:  সমুদ্রের নীচে ২১ কিমি টানেলের মধ্যে দিয়ে ছুটবে বুলেট ট্রেন! সংসদে জানালেন রেলমন্ত্রী

    Ashwini Vaishnaw: সমুদ্রের নীচে ২১ কিমি টানেলের মধ্যে দিয়ে ছুটবে বুলেট ট্রেন! সংসদে জানালেন রেলমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় গঙ্গার নীচে মেট্রোর পর এবার সমুদ্র গর্ভে ছুটবে বুলেট। বুধবার লোকসভার অধিবেশনে নিজের ভাষণে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) দাবি করেন, দেশে উচ্চ গতির ট্রেন চালানোর জন্য অধিকাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এদিন বুলেট ট্রেন প্রকল্পের (Bullet Train Project) কথা বলতে গিয়ে দেশে প্রথম সমুদ্রের নিচ দিয়ে রেল টানেলের কথা বলেন রেলমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই প্রকল্পের জন্য সমুদ্রতলের ৩০ মিটার নীচে একটা টানেল হচ্ছে। ওই টানেলটি ২১ কিলোমিটারের। ভারতের প্রথম সমুদ্রতলের নিচ দিয়ে টানেল হবে। খুবই দ্রুত গতিতে কাজ চলছে।”

    ঠিক কী জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী? (Ashwini Vaishnaw) 

    এদিন লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বুলেট ট্রেন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে রেলমন্ত্রীর কাছে জানতে চান গুজরাটের ভালসাদের বিজেপি সাংসদ ধবল লক্ষ্মণভাই প্যাটেল। সেসময় রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, জাপান সরকারের সহযোগিতায় এবার বুলেট ট্রেনের (Bullet Train Project) জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এসেছে ভারতে। বুলেট ট্রেন একটি অত্যন্ত জটিল এবং প্রযুক্তিনির্ভর প্রকল্প। যাত্রীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে জাপানি রেলওয়ের সাহায্যে এই প্রকল্পের নকশা তৈরি করা হয়েছে। ভারতের পরিবেশ এবং চাহিদা অনুযায়ী প্রকল্পের কাজ এগোচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে বুলেট ট্রেনের প্রযুক্তি জাপানের কাছ থেকে নেওয়া হলেও এখন দেশের মাটিতে এমন অনেক প্রযুক্তি তৈরি হচ্ছে। 
    মহারাষ্ট্রের বান্দ্র-কুরলা কমপ্লেক্স থেকে শিলফাটা পর্যন্ত বুলেট ট্রেন চলাচলের জন্য টানেল তৈরি হবে। ২১ কিমি ওই টানেলের মধ্যে ৭ কিমি আরব সাগরের থানে খাঁড়ির নীচ দিয়ে যাবে। এদিন রেলমন্ত্রী (Ashwini Vaishnaw) আরও জানান, ৫০৮ কিমি দূরত্বের এই রুটে ১২টি স্টেশনে থামবে বুলেট ট্রেন। ২০২৭ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এই প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১.১ লক্ষ কোটি টাকা। 

    আরও পড়ুন: দুর্গতদের জন্য তৈরি মানবসেতু! বৃষ্টির মধ্যেও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সেনা

    কবে থেকে চালু হবে বুলেট ট্রেন? 

    অন্যদিকে এদিন মহারাষ্ট্রের প্রাথমিক কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরে অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) বলেন,”মুম্বই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পে (Bullet Train Project) মোট রেললাইন ৫০৮ কিলোমিটারের। তার মধ্যে ৩২০ কিলোমিটার রেললাইনের কাজ চলছে। মহারাষ্ট্রে প্রথম দিকে কাজ শুরুতে একটু সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু, একনাথ শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর জমি অধিগ্রহণ-সহ সমস্ত অনুমোদন দেন। সেখানে কাজ চলছে। কাঠামো, রেললাইন, বিদ্যুত সিগন্যালিং এবং টেলি যোগাযোগের কাজ সম্পন্ন হলেই বুলেট ট্রেন চালু করার দিনক্ষণ স্থির করা যাবে।”   
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anurag Thakur: জাত বিতর্কে অখিলেশকে পাল্টা আক্রমণ অনুরাগ, কঙ্গনার

    Anurag Thakur: জাত বিতর্কে অখিলেশকে পাল্টা আক্রমণ অনুরাগ, কঙ্গনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি সাংবাদিককে প্রশ্ন করেছিলেন “আপনার জাত কি?” জাত বিতর্ক (Caste Row) নিয়ে যখন দেশজুড়ে বিতর্ক তুঙ্গে, সেই সময় এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন হামিরপুরের সাংসদ তথা প্রাক্তন মন্ত্রী বিজেপির অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। ভিডিওটি সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদবের। একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কেউ কীভাবে জাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে পারে?” ভিডিওটিতে কোনও তারিখ দেখা যাচ্ছে না। তবে তাতে দেখা যাচ্ছে, অখিলেশ একজন সাংবাদিককে জাত নিয়ে প্রশ্ন করছেন।

    অনুরাগের বাক্য-বাণ (Anurag Thakur)

    ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। সংসদে চলছিল জাত গণনার দাবিতে আলোচনা। সেই সময় কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন অনুরাগ। বলেন, “কংগ্রেসের শাহজাদা আমাদের জ্ঞান দেবেন? বিরোধী দলনেতার পদ কী, তা আগে বুঝতে হবে ওঁকে। ওঁদের মিথ্যে ছড়ানো বন্ধ করতে হবে। বারবার ওবিসিদের কথা বলা হয়। বারবার করে জাতিগণনার কথা বলা হয়।” এর পরেই প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “যাঁদের নিজেদের জাতের ঠিক নেই, তাঁরাই জাত গণনার দাবি করছেন।” অনুরাগের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো তথা সাংসদ অখিলেশ যাদবও। তিনি প্রশ্ন করেন, “কারও জাত কি জানতে চাওয়া যায়? কারও জাত জানতে হবে কেন? অখিলেশের এহেন প্রশ্নের প্রেক্ষিতেই অনুরাগ পোস্ট করেন পুরানো ভিডিও। অনুরাগকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি জানান বিরোধীরা।

    মোদির কণ্ঠে অনুরাগ প্রশস্তি

    হামিরপুরের সাংসদের প্রশস্তি শোনা গিয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়ও। লোকসভার ভাষণ শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “আমার ছোট এবং উদ্যমী সহকর্মী অনুরাগ ঠাকুরের বক্তব্য অবশ্যই শুনতে হবে। ঘটনা এবং রসবোধের যথার্থ মিশ্রণ এটি। ‘ইন্ডি’ জোটের (বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট) নোংরা রাজনীতির উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন তিনি।” কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ শশী থারুরের একটি বই থেকে উদ্ধৃতিও দিয়েছেন অনুরাগ। রাহুলকে দিয়েছেন এলওপি-র ব্যাখ্যা। অনুরাগ (Anurag Thakur) বলেন, “এই দলের শাহজাদার প্রথমে বোঝা উচিত এলওপি-র অর্থ কী। এর অর্থ হল ‘লিডার অফ অপোজিশন’, ‘লিডার অফ প্রোপাগান্ডা নয়’।”

    হালুয়া প্রসঙ্গ

    হালুয়া প্রসঙ্গ তুলেও এদিন রাহুলকে চাঁদমারি করেন অনুরাগ। বলেন, “রাহুলজি, আপনি হালুয়া নিয়ে বলছেন। বোফর্স দুর্নীতির হালুয়া কে খেয়েছিল? অন্তরীক্ষ দিবস (Caste Row) দুর্নীতি, কমনওয়েল্থ গেমস, ন্যাশনাল হেরাল্ড, সাবমেরিন, ২জি স্ক্যাম, কয়লা, ইউরিয়া ও পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি থেকে কারা লাভ করেছিল? রাহুলজি ওই হালুয়াটা কি মিষ্টি ছিল নাকি বিস্বাদ? অনুরাগ বলেন, “কয়েকজন ওবিসি নিয়ে কথা বলেন, কিন্তু তাদের কাছে ওবিসির অর্থ হল, ‘ব্রাদার ইন ল কমিশন’। এই দল কিনা পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষদের নিয়ে কথা বলবে?

    বোমা ফাটালেন কঙ্গনা

    জাত নিয়ে কথা বলায় অনুরাগ যখন খুঁচিয়ে তুলেছেন অখিলেশের পুরানো ঘা, ঠিক তখনই পুরানো একটি ভিডিও শেয়ার করে রাহুল গান্ধীকে নিশানা করলেন গ্ল্যামার কুইন নায়িকা সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াত। পুরানো ওই ভিডিওয় রাহুল গান্ধীকেও লোকের জাত নিয়ে কথা বলতে শোনা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: “হিসেব দাও, টাকা নাও”, রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদকে মুখের মতো জবাব অমিত শাহের

    ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ভিডিও শেয়ার করে কঙ্গনা লিখেছেন, “আপনি নিজের জাত সম্পর্কে কিছুই জানেন না। আপনার দাদু মুসলিম, ঠাকুমা পার্সি, মা খ্রিস্টান। মনে হয় কেউ ভাত ও ডাল বানানোর জন্য কারিপাতা দিয়ে পাস্তা মেখেছেন। এদিকে উনি সবার জাত জানতে চান।” তিনি লিখেছেন, “কী করে তিনি প্রকাশ্যে মানুষকে তাঁদের জাত (Caste Row) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারেন, এমন (Anurag Thakur) অভদ্রভাবে, ছিঃ লজ্জা, রাহুল গান্ধী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share