Tag: news in bengali

news in bengali

  • Mamata Banerjee: বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে ভয়! তাই কি মাইক বন্ধের ‘নাটক’ মমতার?

    Mamata Banerjee: বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে ভয়! তাই কি মাইক বন্ধের ‘নাটক’ মমতার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে শনিবার বসেছে নীতি আয়োগের (NITI Aayog) নবম গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রীরা। রাজ্যের প্রতিনিধিস্বরূপ ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু, বৈঠকের মাঝপথে তিনি ওয়াক-আউট করেন। বেরিয়ে এসে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে তিনি দাবি করেন, তাঁকে নাকি বলতে দেওয়া হয়নি। তাঁর বলার সময় নাকি মাইক বন্ধ করা ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি কতটা যুক্তিযোগ্য বা তাঁর এই দাবির গ্রহণযোগ্যতা কতটা, তা জানার চেষ্টা করেছিল মাধ্যম। সেখান থেকে যে তথ্য উঠে এল, তা এক কথায় চমকপ্রদ।

    মাইকের নিয়ন্ত্রণ বক্তার হাতেই…

    কেন্দ্র এবং রাজ্য রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যা জানা গেল, তা হল— যে হলে বা ঘরে এধরনের বৈঠক হয়, সেখানকার মাইকগুলি ‘সেল্ফ অপারেটড’। বক্তার মুখের কাছেই মাইক স্ট্যান্ড। সেই স্ট্যান্ডেই থাকে অন-অফ করার সুইচ। অর্থাৎ, মাইকের নিয়ন্ত্রণ বক্তার হাতেই থাকে। এই একই সিস্টেম সংসদ সহ যে কোনও কনফারেন্স রুমে এখন থাকে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলে যে তত্ত্ব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) খাড়া করেছেন, তা অসত্য এবং অপপ্রচার ছাড়া কিছুই নয়। তাঁদের আরও দাবি, এসব করে তিনি মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছেন মাত্র।

    বাংলাদেশ-কেন্দ্রিক প্রশ্ন এড়ানোর কৌশল?

    এখন প্রশ্ন হল, হঠাৎ করে কেন এমনটা করতে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? কী উদ্দেশ্য নিয়ে? এখানেই উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য ও তত্ত্ব। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে মমতার করা মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে ঢাকা থেকে। প্রতিবেশি রাষ্ট্রের ক্ষোভ প্রশমনে বাধ্য হয়ে ময়দানে নামতে হয় দিল্লিকে। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার মমতাকে (Mamata Banerjee) কড়া কথা শোনায় কেন্দ্র। বুঝিয়ে দেওয়া হয় যে, বিদেশনীতি নিয়ে কথা বলা রাজ্যের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। জানা গিয়েছে, গোটা বিষয় নিয়ে মমতাকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করতে এদিন উদ্যোগ নিচ্ছিলেন বৈঠকের বাইরে উপস্থিত সাংবাদিকরা। মুখ্যমন্ত্রী তা আঁচ করে নেন আগেভাগেই। সে সব এড়াতেই অত্যন্ত সচেতনভাবে এমন একটা ইস্যু (পড়তে হবে নাটক) তৈরি করলেন, যা দিয়ে বাংলাদেশ-কেন্দ্রিক প্রশ্ন পিছনের সারিতে চলে গেল। 

    আরও পড়ুন: “নেতাদের থাকতে হবে”, জেল বাজেট বাড়ানোর দাবি আপ নেতার, হাসির রোল সংসদে

    প্রচারের আলো টানার চেষ্টা?

    এছাড়া, আরও একটা কারণ থাকতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাদের মতে, লোকসভা ভোটের অব্যবহিত পরে ফের একবার বিরোধী শিবিরে ‘মধ্যমণি’ হয়ে উঠেছেন রাহুল গান্ধী। বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধী ‘ইন্ডি’ ব্লকের সর্বগ্রহণযোগ্য মুখ হয়ে উঠছেন রাহুল। ফলত, ‘ইন্ডি’ জোটে অনেকাটই ম্লান মমতার (Mamata Banerjee) দখল। অন্য সময়ে মমতা দিল্লি যাত্রা করলে, যা আকর্ষণ হত কেন্দ্রীয় (পড়তে হবে বিরোধী) রাজনীতিতে, বর্তমানে তা অনেকটাই ফিকে। রাহুলকে কেন্দ্র করেই কেন্দ্রে বিজেপি-বিরোধী রাজনীতি গড়ে উঠছে। তা বুঝতে পেরেই, নিজের দিকে প্রচারের আলোর অভিমুখ ঘোরানোর উদ্দেশ্যেই মমতা এই মাইক-তত্ত্ব খাড়া করেছেন বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

    কনস্ট্রাকটিভ পলিটিক্সে স্বাচ্ছন্দ্য নন…

    আরও একটা চমকপ্রদ তত্ত্ব উঠে এসেছে। যেটাও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বটে। অনেকের মতে, মমতা বরাবরই বিরোধী-রাজনীতি করে এসেছেন। তিনি তাতেই অভ্যস্ত, সাবলীল। রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা কোনওদিনই ডেভলেপমেন্টাল বা কনস্ট্রাকটিভ পলিটিক্স করেননি। ২০১১ সাল পর্যন্ত, উনি ছিলেন বাম-বিরোধী। এখন মোদি-বিরোধী। এমনকী, রাজ্যে ক্ষমতা দখলের পরও, তাঁর একাধিক কর্মকাণ্ড দেখেও বোঝা দায় ছিল যে তিনি শাসক না বিরোধী। সেখানে, নীতি আয়োগ (NITI Aayog) হল আদ্যান্ত উন্নয়নমূলক বিষয়বস্তু-কেন্দ্রিক আলোচনার মঞ্চ। এখানে রাজ্য-কেন্দ্র সমন্বয়ে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা হয়। মমতা (Mamata Banerjee) যে এধরনের বৈঠকে সাচ্ছন্দ্য নন, তা সহজেই অনুমেয়। ফলস্বরূপ, এদিনের এই ‘নাটক’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Germany: জার্মানির প্রাচীনতম মসজিদে হানা পুলিশের, কারণ জানলে ভিরমি খাবেন

    Germany: জার্মানির প্রাচীনতম মসজিদে হানা পুলিশের, কারণ জানলে ভিরমি খাবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার জার্মানির (Germany) বিখ্যাত ব্লু-মস্ক বা নীল-মসজিদে অভিযান চালাল পুলিশ। হামবুর্গের এই মসজিদটি সে দেশের প্রাচীনতম মসজিদগুলির একটি। মসজিদটি ইমাম আলি মসজিদ নামেও পরিচিত। সম্প্রতি এই মসজিদেই হামলা চালায় পুলিশ। বালাক্লাভাসের অফিসাররা মসজিদ প্রাঙ্গন থেকে প্রচুর নগদ টাকা ও একটি কালো রংয়ের অডি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে। জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লার (Hezbollah) সঙ্গে যুক্ত নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছে জার্মান পুলিশ।

    মসজিদে পুলিশি অভিযান (Germany)

    তার জেরেই পুলিশি অভিযান চালানো হয় ওই মসজিদে। ইরানি শাসনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ইসলামিক জঙ্গি দমনে কড়া পদক্ষেপ করছে জার্মান পুলিশ। সেই সূত্রেই এবার তারা ঢুকে পড়ল দেশের প্রাচীনতম একটি মসজিদে। জানা গিয়েছে, তদন্ত চালিয়ে জার্মান পুলিশ দেখেছে, ‘ইসলামিক সেন্টার হামবুর্গ’ কেবল ধর্মীয় কাজকর্ম করে না। তারা কাজ করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা খোমেইনির প্রতিনিধি হিসেবে। জার্মানিতে তারা ইসলামি বিপ্লব রফতানি করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ। জার্মানির ইন্টিরিয়র মন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার ব্লুমবার্গ মসজিদ পরিচালনাকারী সংগঠন ‘ইসলামিক সেন্টার হামবুর্গ’কে (ICH) চরমপন্থী গোষ্ঠী দেগে দেন।

    মসজিদে ঝুলিয়ে দেওয়া হল তালা

    মসজিদটিকে নিষিদ্ধও ঘোষণা করা হয়েছে। ফয়েসার বলেন, “এই গোষ্ঠীটি একটি চরমপন্থী প্রচারকারী সংগঠন। এরা এ দেশে ইরানি বিল্পব রফতানি করতে চায়। এরা হিজবুল্লাকে সমর্থন করে। এই হিজবুল্লা ইরানপন্থী প্রতিরোধের অক্ষ। তাই জার্মানিতে (Germany) নিষিদ্ধ।” তিনি বলেন, “আমরা ধর্মের পরিপন্থী নই। আমরা বিশেষত ইসলামিক উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে। জার্মানিতে যেসব মুসলমান শান্তিতে ধর্মাচরণ করছেন, তাঁদের থেকে এই জঙ্গিদের বিচ্ছিন্ন করতে চাইছি আমরা।” ইন্টিরিয়র মন্ত্রী বলেন, “আমরা একটা সুস্পষ্ট লক্ষ্মণরেখা টানতে চাইছি। যে জঙ্গিদের কোমর ভেঙে দিতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি, তাদের সঙ্গে সেই সব মুসলমানদের দূরে রাখতে চাইছি, যাঁরা নিজেদের ধর্ম বিশ্বাস নিয়েই রয়েছেন।” তিনি মনে করিয়ে দেন, “এই নিষেধাজ্ঞা শিয়া ধর্মের শান্তিপূর্ণ অনুশীলনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।”

    শিশু মনে পোঁতা হচ্ছিল ইরানি বিপ্লবের বীজ!

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরে ইরান বিরোধী সাংসদ এবং সমাজকর্মীরা  ব্লু-মসজিদ বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তার পরেই শুরু হয় তদন্ত। ২০১৭ সালে গোয়েন্দা সূত্র মারফৎও প্রশাসন খবর পায়, জার্মানিতে ইরানের সরকারপন্থী কার্যকলাপের সব চেয়ে প্রভাবশালী কেন্দ্র এই মসজিদ। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করে জার্মান সরকার। তার পরেই নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করা হয় দিন দুই আগে (Germany)। জানা গিয়েছে, ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদে শিশুদের ইসলামিক শিক্ষা দেওয়া হয় ফার্সি, আরবি এবং জার্মান ভাষায়। এর নেতৃত্ব দিত ইরানি বিপ্লবের কট্টর সমর্থকরা। শিশু মনে তারা পুঁতে দিত ইরানি বিপ্লবের বীজ।

    আরও পড়ুন: বাতাসে বারুদের গন্ধ, জেলেনস্কির ডাকে ইউক্রেনে যাচ্ছেন মোদি?

    খামেইনির প্রতিনিধিত্ব করছিল চরমপন্থীরা

    হামবুর্গের নিরাপত্তা মন্ত্রী অ্যান্ডি গ্রোট মসজিদে এই নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “ইসলামিক জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এটা একটা রামধাক্কা।” ‘ইসলামিক সেন্টার হামবুর্গ’কে তিনি জঙ্গিদের আউটপোস্ট বলেও উল্লেখ করেন। গত নভেম্বরেও মসজিদটিতে অভিযান চালিয়েছিল জার্মান পুলিশ। সেই সময় দেশে চলছিল শিয়া বিরোধী আন্দোলন। এর কিছুদিন আগেই শুরু হয়েছে গাজা-ইজরায়েল লড়াই। জার্মান পুলিশের দাবি, মসজিদটিতে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তার স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে হিজবুল্লা এবং ২০২৩ সালে হামাস সমর্থকদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করেছিল জার্মান প্রশাসন। নীল-মসজিদের কাজকর্মকে জার্মানির গোয়েন্দারা সাংবিধানিক নির্দেশের বিরোধী বলে অভিহিত করেছেন। এরা ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা খামেইনির প্রতিনিধিত্ব করছিল। চলতে চাইছিল খামেইনির আদর্শ নিয়ে। এসবই তারা করতে চাইছিল সন্ত্রাসের পথে। সেই কারণেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মসজিদটি।

    জার্মান সরকারের বিবৃতি

    ইরান সমর্থিত লেবানের জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লা। হিজবুল্লাকে জঙ্গি সংগঠন বলে দেগে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ২০২০ সালে হিজবুল্লাকে বেআইনি ঘোষণা করে আইসিএইচ-ও। জার্মান (Germany) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সংগঠন (হিজবুল্লা) মানব মর্যাদা, নারীর অধিকার, স্বাধীন বিচারব্যবস্থা এবং গণতান্ত্রিক শাসনের বিরোধিতা করে একটি ইসলামপন্থী চরমপন্থী, সর্বগ্রাসী মতাদর্শ প্রচার করে। নিষেধাজ্ঞাটির লক্ষ্যবস্তু যে চরমপন্থী ইসলামিরাই, সে কথাও (Hezbollah) সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিবৃতিটিতে (Germany)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 88: “কারু ভিতর ক্ষীরের পোর, কারু ভিতর নারিকেলের ছাঁই, কারু ভিতর কলায়ের পোর”

    Ramakrishna 88: “কারু ভিতর ক্ষীরের পোর, কারু ভিতর নারিকেলের ছাঁই, কারু ভিতর কলায়ের পোর”

    শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ  কথোপকথন

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    সংনিয়ম্যেন্দ্রিনিদ্রয়গ্রামং সর্বত্র সমবুদ্ধয়ঃ।

    তে প্রাপনুবন্তি মামেব সর্বভূতিহিতে রতাঃ।।

    গীতা- ১২/৪/

    শ্রীযুক্ত কেশব সেনের সহিত নৌকাবিহার—সর্বভূতহিতে রতাঃ

    ভাট পড়িয়াছে। আগ্নেয়পোত কলিকাতাভিমুখে দ্রুতিগতিতে চলিতেছে। তাই পোল পার হইয়া কোম্পানির বাগানের দিকে আরও খানিকটা বেড়াইয়া আসিতে কাপ্তেনকে হুকুম (Kathamrita) হইয়াছে। কতদূর জাহাজ গিয়াছিল, অনেকেরই জ্ঞান নাই—তাঁহার মগ্ন হইয়া শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) কথা শুনিতেছেন। কোন দিক দিয়া সময় যাইতেছে, হুঁশ নাই।

    এইবার মুড়ি নারকেল খাওয়া হইতেছে। সকলেই কিছু কিছু কোঁচড়ে লইলেন ও খাইতেছেন। আনন্দের হাট। কেশব মুড়ি আয়োজন করে এনেছেন। এই অবসরে ঠাকুর দেখিলেন বিজয় ও কেশব দুইজনেই সঙ্কুচিতভাবে বসিয়া আছেন। তখন ঠাকুর যেন দুইজন অবোধ ছেলেকে ভাব করিয়া দিবেন। সর্বভূতহিতে রতাঃ

    শ্রীরামকৃষ্ণ (কেশবের প্রতি)—ওগো! এই বিজয় এসেছেন। তোমাদের ঝগড়া-বিবাদ—যেন শিব ও রামের যুদ্ধ। (হাস্য) রামের গুরু শিব। যুদ্ধও হল, দুজনে ভাবও হল। কিন্তু শিবের ভূতপ্রেতগুলো আর রামের বানরগুলো ওদের ঝগড়া কিচকিচ আর মেটে না! (উচ্চ হাস্য)

    আপনার লোক তা এরূপ থাকে। লব কুশ জে রামের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন। আবার জানো মায়ে-ঝিয়ে আলাদা মঙ্গলবার করে। মার মঙ্গল, আর মেয়ের মঙ্গল যেন দুটো আলাদা। কিন্তু এর মঙ্গলে ওর মঙ্গল হয়, ওর মঙ্গলে এর মঙ্গল হয়। তেমনি তোমাদের এর একটি সমাজ আছে। আবার ওর একটি দরকার। (সকলের হাস্য) তবে এ-সব চাই। যদি বল ভগবান নিজে লীলা (Kathamrita) করেছেন, সেখানে জটিলে-কুটিলে কি দরকার? জটিলে-কুটিলে না থাকলে লীলা পোষ্টাই হয় না! (সকলের হাস্য) জটিলে-কুটিলে না থাকলে রগড় হয় না। (উচ্চহাস্য)

    রামানুজ বিশিষ্টাদ্বৈতবাদী। তাঁর গুরু ছিলেন অদ্বৈত্যবাদী। শেষে দুজনে অমিল। গুরুশিষ্য (Ramakrishna) পরস্পর মত খণ্ডন করতে লাগল। এরূপ হয়েই থাকে। যাই হোক, তবু আপনার লোক।

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    পিতাহসি লোকস্য চরাচরস্য ত্বমস্য পূজ্যশ্চ গুরুর্গরীয়ান্‌।

    ন ত্বৎসমোহস্ত্যভ্যধিকঃ কুতোহন্যো, লোকত্রয়েহপ্যপ্রতিমপ্রভাব।।

    গীতা—১১/৪৩/

    কেশবকে শিক্ষা—গুরুগিরি ও ব্রাহ্মসমাজে—গুরু এক সচ্চিদানন্দ

    সকলে আনন্দ করিতেছেন। ঠাকুর (Ramakrishna) কেশবকে বলিতেছেন, তুমি প্রকৃতি দেখে শিষ্য কর না, তাই এইরূপ ভেঙে ভেঙে যায়।

    মানুষগুলি দেখতে সব একরকম, কিন্তু ভিন্ন প্রকৃতি। কারু ভিতর সত্ত্বগুণ বেশি, কারু রজোগুণ বেশি, কারু তমোগুণ। পুলিগুলি দেখতে সব একরকম। কিন্তু কারু ভিতর ক্ষীরের পোর, কারু ভিতর নারিকেলের ছাঁই, কারু ভিতর কলায়ের পোর। (সকলের হাস্য) ভিন্ন প্রকৃতি।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sanjay Singh: “নেতাদের থাকতে হবে”, জেল বাজেট বাড়ানোর দাবি আপ নেতার, হাসির রোল সংসদে

    Sanjay Singh: “নেতাদের থাকতে হবে”, জেল বাজেট বাড়ানোর দাবি আপ নেতার, হাসির রোল সংসদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অন্তত জেলের বাজেট (Jail Budget) বাড়িয়ে দিন, কারণ নেতারা জেলে যাবেন। আজ হোক বা কাল সকলকে জেলে যেতে হবে। তাই অন্তন্ত জেলের বাজেট বাড়িয়ে দিন।” বক্তা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং (Sanjay Singh) । সংসদের উচ্চ কক্ষে বাজেটের উপরে চর্চার সময় আপ সাংসদ বলেন, “জেলের বাজেট বাড়িয়ে দিন। কারণ এক না একদিন সকলকে জেলে যেতে হবে। আজ আমাদের অনেকে আছে। কাল আপনাদের (শাসক পক্ষের) যেতে হবে। ৩০০ কোটিতে কিছু হবে না। তাই জেলের বাজেট অন্তত বাড়িয়ে দেওয়া দরকার ছিল।” মজা করে রাজ্যসভার অধ্যক্ষ জগদীপ ধনখড় শাসকপক্ষকে সঞ্জয় সিং-এর এর আবেদনের উপরে নজর দিতে বলেন।

    বিরোধীদের ঠিকানা জেল (Sanjay Singh)

    সঞ্জয় সিং অভিযোগের সুরে বলেন, “আপনারা (শাসক) দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জেলবন্দী করে রেখেছেন। বাংলার তিনজন মন্ত্রী জেলে রয়েছেন। সাংসদের (Jail Budget) এই বক্তব্যে আপত্তি জানিয়ে ধনখড় বলেন, “দেশ আইনের উপর নির্ভর করে চলে। পুলিশ গ্রেফতার করে। আদালত অভিযুক্তকে জেলে পাঠায়। দেশের যে কোনও পদে, যে কেউ থাকুক না কেন, সে জেলে যাবে কিনা, নির্ভর করে আদালতের ওপর। আপনি (Sanjay Singh) জেলে গিয়েছিলেন, প্রথমে এজেন্সির জন্য। পরে যখন জেলে ছিলেন, সেখানে আদালতের নির্দেশ ছিল।”

    সঞ্জয়ের অভিযোগ (Jail Budget)

    সঞ্জয়ের (Sanjay Singh) অভিযোগ, মোদি সরকার কোনও সমস্যার সমাধান চায় না। ন্যায় বিচার চায় না। সরকার চায়, শুধু বিরোধীদের নানান অভিযোগে অভিযুক্ত করে জেলে ভরে রাখতে।”

    আরও পড়ুন: ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের

    তাঁর আরও অভিযোগ, অরবিন্দ কেজরিওয়াল অসুস্থ। তা সত্ত্বেও তাঁকে জেলে বন্দী করে রাখা হয়েছে। তিনি একদা জামিন পেয়েছিলেন, তা সত্ত্বেও জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে চলে গিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা। তাঁরা চাইছে, যে কোনও ভাবে তাঁকে জেলে রাখতে।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: উত্তাল সমুদ্র! বইছে ঝোড়ো হাওয়া, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি কোন কোন জেলায়?

    Weather Update: উত্তাল সমুদ্র! বইছে ঝোড়ো হাওয়া, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি কোন কোন জেলায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরের উপর ঝোড়ো হাওয়া বইছে। নিম্নচাপের (Weather Update) প্রভাব এখনও কাটেনি। সাগরে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আপাতত আরও ২৪ ঘণ্টা এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে নিম্নচাপটি ওড়িশার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ায় বিক্ষিপ্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির (Heavy rain) সম্ভাবনা রয়েছে।

    আগামী কয়েকদিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি (Weather Update)

    বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ (Weather Update) থাকলেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কিছুটা কমবে। শনিবার থেকে কোনও জেলাতেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। হাওয়া অফিসের তরফে কোথাও আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনও সর্তকতাও জারি করা হয়নি। তবে বৃষ্টি চলবে সর্বত্র। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী কয়েকদিন বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। একাধিক জেলায় আবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি (Heavy rain) হতে পারে।

    উত্তরবঙ্গে সতর্কতা

    একই ভাবে বৃষ্টি (Weather Update) চলবে উত্তরবঙ্গেও। সেখানে অবশ্য দুটি জায়গায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতার কথা বলা হয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং কালিম্পংয়ে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই জেলাগুলিতে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গে আর কোথাও তেমন ভাবে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়নি।

    আরও পড়ুনঃ ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে হার! প্রয়াত হলেন রাজ্যের প্রাক্তন কারামন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরী

    আবহওয়া দফতর সূত্রে খবর

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গপোসাগরের উপরে পশ্চিমবঙ্গের উপকূল সংগলগ্ন এলাকায় ঝড়ো (Weather Update) হাওয়া প্রবাহিত হচ্ছে। হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি হবে। তবে দমকা হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটারেও পৌঁছাতে পারে। সমুদ্রের পরিস্থিতি এখন উত্তাল। সেই জন্য আপাতত গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে মৎস্যজীবীদের।

    শনিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৩ ডিগ্রি বেশি। শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৪ ডিগ্রি কম। শনিবার দিনেও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সোমবার থেকে কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: বাতাসে বারুদের গন্ধ, জেলেনস্কির ডাকে ইউক্রেনে যাচ্ছেন মোদি?

    PM Modi: বাতাসে বারুদের গন্ধ, জেলেনস্কির ডাকে ইউক্রেনে যাচ্ছেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগাস্টে ইউক্রেন সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে শুরু হয়েছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War)। তারপর এই প্রথম কিভ (ইউক্রেনের রাজধানী) সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। অগাস্টেই রয়েছে ভারতের স্বাধীনতা দিবস। এই মাসেই স্বাধীনতা দিবস পালন করে ইউক্রেনও। তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তাঁকে আমন্ত্রণ জানায় ইউক্রেনও। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই কিভ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি! (PM Modi)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে দাঁড়ি টানতে নানা সময় উদ্যোগী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি রাশিয়া সফরে গিয়েও সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জড়িয়ে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের সময় নয়। ২২ সালের সেপ্টেম্বরে উজবেকিস্তানের সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকের ফাঁকে পুতিনের সঙ্গে প্রথমবার মুখোমুখি বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকেও মোদি পুতিনকে বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের সময় নয়। কূটনৈতিক কৌশলেই সমস্যার সমাধান করা যায়।

    বাতাসে বারুদের গন্ধ

    জুন মাসে জি৭ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোদি। ইতালির ওই সম্মেলনে গিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকও করেছিলেন মোদি। জাপানেও একান্তে কথা হয়েছিল দুই রাষ্ট্রনেতার। ফোনেও কথা হয়েছে একাধিকবার। প্রত্যেকবারই উঠেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ। তার পরেও যুদ্ধ চলছেই। মোদি-জেলেনস্কির এহেন কথোপকথনের আগে কিন্তু মোদি-পুতিনের আলিঙ্গনের সমালোচনা করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

    আরও পড়ুন: চাকরি ছেড়ে জৈব চাষ, বছরে ৪ কোটি আয় দিল্লির দীপকের

    জেলেনস্কি বলেছিলেন, “বৃহত্তম গণতন্ত্রের (PM Modi) প্রধানমন্ত্রী একজন যুদ্ধাপরাধীকে আলিঙ্গন করছেন। শান্তি প্রক্রিয়ার পক্ষে এটা বিরাট একটা ধাক্কা।” উষ্মা প্রকাশ করেছিল আমেরিকাও। মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছিলেন, “আমরা ভারতকে বলছি, ইউক্রেনে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য তাদের সমর্থন প্রয়োজন।”

    চলতি মাসেই ভারত-ইউক্রেনের মধ্যে কূটনৈতিক স্তরে একপ্রস্ত আলোচনা হয়েছে। ১৯ জুলাই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবার সঙ্গে আলোচনা (Russia Ukraine War) হয়েছে। তিনি জানিয়েছিলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কীভাবে আরও মজবুত করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Gold Price: বাজেটের পর সোনার দামে বিরাট হ্রাস! প্রতি ১০ গ্রামে কমল ৫০০০ টাকা

    Gold Price: বাজেটের পর সোনার দামে বিরাট হ্রাস! প্রতি ১০ গ্রামে কমল ৫০০০ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজেটে (Budget 2024) সোনা-রুপোর (Gold Price) উপর শুল্ক কমানো ঘোষণার পর থেকে এই মূল্যবান ধাতুর দাম কমে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ২৫ জুলাই বুলিয়ান বাজারে সোনার দাম ১০০০ টাকা কমেছে। প্রতি ১০ গ্রাম ৭০,৬৫০ টাকায় নেমে এসেছে। সরকার সোনার উপর প্রতি ১০ গ্রামে ৭ শতাংশ অর্থাৎ ৫০০০ টাকা আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। একই ভাবে রুপোর দামও ব্যাপক ভাবে হ্রাস পেয়েছে। প্রতি কেজিতে ৩৫০০ টাকা কমে ৮৪০০০ হাজার দামে পৌঁছেছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা এবার লাভজনক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    কেন কমে গেল সোনার মূল্য (Gold Price)?

    গত ২৩ জুলাই ২০২৪-এর বাজেটে (Budget 2024) দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মালা সীতারামণ সোনার (Gold Price) উপর শুল্ক কমানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন। আর তাই সোনার দাম গত তিন দিনে ১০ গ্রাম প্রতি ৫০০০ টাকা কমে গিয়েছে। ২২ জুলাই বুলিয়ন বাজারে সোনা প্রতি ১০ গ্রাম ৭৫,৬৫০ টাকায় বন্ধ হয়েছিল। তারপর সোনার দাম কমেছে ৬.৬০ শতাংশ। একই ভাবে রুপোর দাম কেজি প্রতি ৯১ হাজার থেকে কমে ৮৪ হাজার টাকায় নেমেছে। ফলে গত তিন দিনে রুপোর দামও কমেছে ৭,০০০ টাকা।

    বিদেশের বাজারে সোনার দাম কমেছে

    শুল্ক কমানোর জন্য বিদেশের বাজারেও সোনা-রুপোর (Gold Price) দাম কমে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম আউন্স প্রতি ৪২.২০ ডলার কমে ২,৪২১.৮০ ডলারে লেনদেন হচ্ছে। একই ভাবে রুপো আউন্স প্রতি ২৮.০৪ ডলারে বন্ধ হয়েছে। এই বুলিয়ান বাজারে সোনা-রুপোর দাম কমে যাওয়ায় দেশের বাজারেও প্রভাব পড়েছে। এইচডিএফসি সিকিউরিটিজের সিনিয়র কমোডিটি অ্যানালিস্ট সৌমিত্র গান্ধী বলেছেন, “ইউরোপের বাজারে সোনার দামে পতন ঘটায় বৃহস্পতিবারে সোনার দাম কমেছে। এ ছাড়া মার্কিন অর্থনীতির তথ্য প্রকাশের আগে সোনার দাম কমিয়ে আনা হয়েছে।” তবে সোনার বাজার বিশেজ্ঞরা বলছেন, শুল্ক কামানোর বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবে স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত দাম কমার ধারা অব্যাহত থাকবে। আগামী কয়েক সপ্তাহে এই প্রবাহ চলবে। আর তাই সোনা ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের বিশেষ ছাড় দিচ্ছেন।

    সোনা ব্যবসায়ীদের প্রতিক্রিয়া

    এলকেপি সিকিউরিটিজের কমোডিটি এবং কারেন্সির ভিপি রিসার্চ-এর বিশ্লেষক যতীন ত্রিবেদী বলেছেন, “সোনার দামে (Gold Price) মৌলিক শুল্ক কমায় হলদে এই ধাতুকে সস্তা করে তুলেছে। খুচরো বিনিয়োগকারীরা সোনার এই আকর্ষণীয় মূল্যের দ্বারা উপকৃত হবেন।” অনুরূপ ভাবে ইউনিমোনি ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের নির্দেশক ও সিইও কৃষ্ণান আর বলেছেন, “দাম কমের ফলে আরও বেশি লোক সোনার গহনায় বিনিয়োগ করতে উৎসাহ পাবেন। সোনা আর্থিক সম্পদ হিসেবে প্রায়শই মুদ্রাস্ফীতি এবং মুদ্রার অবমূল্যায়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সোনার দাম কম হওয়ায় গহনার চাহিদা পুনরুজ্জীবিত হবে।”

    আরও পড়ুনঃ ঝড় উপেক্ষা করে চিনা নাবিককে উদ্ধার ভারতীয় নৌসেনার, প্রশংসা বেজিংয়ের

    পিসি জুয়েলারের বক্তব্য

    পিসি জুয়েলারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলরাম গর্গ বলেছেন, “সোনায় (Gold Price) শুল্ক হ্রাস হওয়ায় দেশীয় বাজারে গহনার চাহিদা এবং বিক্রির বাজার আরও চাঙ্গা হবে। বাজারে বিনিয়োগ বাড়বে। ক্রেতাদের কেনাকাটার উপর দারুণ প্রভাব ফেলবে।” আবার মালাবার গ্রুপের চেয়ারম্যান এমপি আহমেদ বলেছেন, “এই মূল্য হ্রাস সোনা ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। ভারতীয় অর্থনীতির জন্য সোনার চোরাচালান ব্যাপক হুমকি স্বরূপ ছিল। এবার সোনার চোরাচালান অনেকটা কম হবে বলে আমার মনে হয়।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paris Olympics 2024: অলিম্পিক্সের উদ্বোধনের আগের রাতে একাধিক ট্রেনে আগুন! নাশকতা?

    Paris Olympics 2024: অলিম্পিক্সের উদ্বোধনের আগের রাতে একাধিক ট্রেনে আগুন! নাশকতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অলিম্পিক্স (Paris Olympics 2024) উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে প্যারিস। কিন্তু এরই মধ্যে উদ্বোধনের কয়েক ঘণ্টা আগে ঘটে গেল বিপত্তি৷ দুষ্কৃতী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ফ্রান্সের ট্রেন পরিষেবা (France train lines) ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, অলিম্পিক্সের আগের রাতে বেশ কয়েক জায়গায় ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ফ্রান্সের রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ক্ষয়ক্ষতি সামলে স্বাভাবিক পরিষেবা শুরু করতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। এমন ঘটনায় উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না নাশকতার আশঙ্কাও।

    কী জানিয়েছে ফরাসি রেল কর্তৃপক্ষ? (Paris Olympics 2024) 

    এ ঘটনায় ফরাসি রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, ধ্বংসের চেষ্টা চালানো হয়েছে গোটা রেল পরিষেবায়। একাধিক জায়গায় আগুন লাগিয়ে নষ্ট করা হয়েছে রেলের সম্পত্তি। আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ফলে দ্রুতগতির ট্রেন পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে৷ ফলে প্রায় আট লক্ষ মানুষ সমস্যায় পড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিপদ এড়াতে সাধারণ মানুষকে আগামী কয়েক দিন ট্রেন পথ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, একই সময়ে একাধিক এলাকায় তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। ফ্রান্স রেলের অ্যাটলান্টিক, নর্দার্ন এবং ইস্টার্ন শাখা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এই হামলার (France train lines) পিছনে কারা রয়েছে, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ফরাসি পুলিশ। অন্তর্ঘাতের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে অলিম্পিকের উদ্বোধনের ঠিক আগে এই ঘটনা বাড়িয়েছে উদ্বেগ ও আতঙ্ক।

    আরও পড়ুন: অবশেষে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় ঠাঁই পেল ‘অসমের পিরামিড’ মৈদাম 

    পরিস্থিতি সামাল দিতে হাজির ভারতের আধাসামরিক বাহিনী 

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভারতীয় সময় রাত ১১টা থেকে শুরু হবে অলিম্পিক্সের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। সে কারনেই সেজে উঠেছে গোটা প্যারিস। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কিন্তু, অলিম্পিক্সের (Paris Olympics 2024) উদ্বোধনের আগেই ফ্রান্সের রেল পরিষেবার এই হামলার ঘটনায় বিচলিত হয়ে পড়েছেন আয়োজকরা। যদিও প্যারিস অলিম্পিক্সে নাশকতামূলক ঘটনার আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল। সে জন্য কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল অলিম্পিক্সের শহরকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও রোখা গেল না এই অতর্কিত হামলা। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি সামাল দিতে নিরাপত্তার জন্য প্যারিসে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ভারতের আধাসামরিক বাহিনীর একটি বিশেষ দলও। প্যারিসে স্যেন নদীর তীরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন তারাও।  
    এ প্রসঙ্গে ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রী অ্যামিলি কাস্তেরা বলেছেন, ”এই ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করা হবে। দেশে যখন অলিম্পিক্স, তখন এমন ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে, তাদের দেশ বিরোধী বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি যত দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, সেই চেষ্টা আমরা চালাচ্ছি। অলিম্পিক্স (Paris Olympics 2024) দেখতে যাঁরা আসছেন, যে অ্যাথলিটরা অংশগ্রহণ করছেন, তাঁদের যাতে কোনও রকম অসুবিধে না হয়, সেই কাজ আমরা শুরু করে দিয়েছি।”
      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে বিরাট স্বস্তি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র, পুলিশকে মামলা খারিজের নির্দেশ

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে বিরাট স্বস্তি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র, পুলিশকে মামলা খারিজের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan) অবশেষে ‘স্বস্তি’ পেলেন কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। বাঁকুড়ার সোনামুখী থানায় দায়ের করা একটি পুরনো মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের বেঞ্চ, দায়ের করা এই মামালকে খারিজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিজেপি অবশ্য একাধিকবার দাবি করেছে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল পুলিশকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতা-কর্মী-সমর্থক-বিধায়ক-সাংসদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করছে।

    মামলা দায়ের হয়েছিল ২০২৩ সালে (Calcutta High Court)

    জানা গিয়েছে, গত বছর ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার অন্তর্গত মানিক বাজার এলাকায় এক বিক্ষোভ আন্দোলেন ভাষণ দিয়েছিলেন সৌমিত্র (Soumitra Khan)। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, এই সভা থেকে থানার সেই সময়ের ওসির বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। এরপর এই বিষ্ণুপুর সাংসদের বিরুদ্ধে হিংসা ছাড়ানো, মারধর এবং শ্লীতাহানির অভিযোগে এফএইআর দায়ের করেছিল থানার পুলিশ। সৌমিত্র যেহেতু একজন জনপ্রতিনিধি তাই তাঁর মামলা এতদিন শুনানি চলছিল বিধাননগর সাংসদ-বিধায়ক আদালতে। এই মামলায় একাধিকবার হাজিরা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। গত ৯ জুলাই ছিল হাজিরার নির্দেশ। কিন্তু হাজিরা না দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল পুলিশ। নিম্ন আদালতের নির্দেশের পর কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুনঃস্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ, থানায় অভিযোগ হতেই তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, শোরগোল

    আগেও মামলা দায়ের হয়েছিল

    এই প্রসঙ্গে বলা যায় ২০১৯ সালে বাঁকুড়ার পাত্রসায়র এবং বিষ্ণুপুর থানায় সৌমিত্রের বিরুদ্ধে আগেও মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আবার আদালত (Calcutta High Court) সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সময় পুলিশ বেআইনি অস্ত্র মামলা এবং বালি পাচার মামলা রুজু হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এই মামলার কারণে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময় নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোটের প্রচারে যেতে পারেননি। পরবর্তী সময়ে লোকসভা ভোটে জয়ী হয়ে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি পেয়ছিলেন। তবে সৌমিত্র পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একই ভাবে শাসক দল তৃণমূলকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assam Moidam: অবশেষে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় ঠাঁই পেল ‘অসমের পিরামিড’ মৈদাম

    Assam Moidam: অবশেষে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় ঠাঁই পেল ‘অসমের পিরামিড’ মৈদাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হল অসমের অহম রাজবংশের কবরের ঢিবি ‘মৈদাম’ (Assam Moidam)৷ ফলে ইউনেস্কোর ‘বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র’-এর  (UNESCO World Heritage Site) তালিকায় এ বার ঠাঁই পেল উত্তর-পূর্ব ভারত। প্রসঙ্গত, মৈদাম সমাধিক্ষেত্রকে গত বছর ‘বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র’ হিসাবে মর্যাদা দেওয়ার জন্য ইউনেস্কোর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ৪৬তম অধিবেশনে সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। 

    কী এই ‘মৈদাম’? (Assam Maidams) 

    অনেকটা পিরামিডের মতই আকার। এটি আসলে অহম রাজপরিবারের সমাধিস্থল। অসমে প্রায় ৬০০ বছর শাসন করেছিল অহম রাজবংশ। আজকের অসম আগে পরিচিত ছিল অহম হিসাবে। এবার সেই অহম রাজপরিবারের ‘কবরস্থান’ বা ‘মৈদাম’ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যশালী স্থান (UNESCO World Heritage Site) তকমা পেল। অনেকে এটিকে আবার ‘অসমের পিরামিড’-ও বলে। বিশেষত ইট, পাথর বা মাটি দিয়ে তৈরি ফাঁপা খিলানের উপরে একটি ঢিবি তৈরি করে এই অষ্টভুজাকার সমাধিস্থলগুলি তৈরি করা হত। ভিতরে ঢোকার জন্য সুড়ঙ্গের মতো প্রবেশপথ থাকত। প্রাথমিকভাবে  অসমের ছাড়াইদেও জেলায় এই সমাধিস্থলগুলি দেখা যায়। জানা গিয়েছে, ছাড়াইদেওতে  ৯০ টিরও বেশি রাজকীয় সমাধির ঢিবির রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ছাত্রদের সংস্কৃত ‘শ্লোক’ পাঠে বাধা! প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর 

    এক দশক পরে ফলপ্রসূ হল উদ্যোগ

    উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ছাড়াইদেও জেলায়, অহম সাম্রাজ্যের ‘ঢিপি সমাধি ব্যবস্থা’ ( mound burial system) ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যশালী স্থানে তকমা পাওয়ার জন্য প্রথম তালিকাভুক্ত হয়। সেসময় মৈদামগুলি (Assam Moidam) ইউনেস্কো হেরিটেজ ক্ষেত্রের তালিকায় ঢোকানোর চেষ্টা শুরু করেছিল অসমের তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। শেষ পর্যন্ত এক দশক পরে ফলপ্রসূ হল সেই উদ্যোগ। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী এই পদক্ষেপের জন্য ইউনেস্কোকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘‘এই দিনটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’’ 

    কী বললেন হেমন্ত বিশ্ব শর্মা?  

    এ প্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন যে, ”মৈদাম ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক সম্পত্তি বিভাগের অধীনে, বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এটি অসমের জন্য একটি দারুণ সাফল্য। কারণ, প্রথমবারের মতো উত্তর-পূর্ব থেকে কোনও স্থাপত্য (Assam Moidam) ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যশালী স্থানের তকমা পেল। কাজিরাঙ্গা ও মানস জাতীয় উদ্যানের পর এটি অসমের তৃতীয় বিশ্ব ইতিহ্যবাহী স্থান”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share