Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ramakrishna 87: “সংসার-সমুদ্রে কামক্রোধাদি কুমির আছে, হলুদ গায়ে মেখে নামলে ভয় থাকেনা”

    Ramakrishna 87: “সংসার-সমুদ্রে কামক্রোধাদি কুমির আছে, হলুদ গায়ে মেখে নামলে ভয় থাকেনা”

    শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ ও কথোপকথন

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    সর্বধর্মান পরিত্যাজ্য মামেকং শরণং ব্রজ।

    অহং ত্বাং সর্বপাপেভ্যো মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচঃ।।

    গীতা—১৮৬৬

    ব্রাহ্মসমাজ ও জনক রাজা-গৃহস্থের উপায়—নির্জনে বাস ও বিবেক 

    কিন্তু ফস করে জনক রাজা হওয়া যায় না। জনক রাজা নির্জনে অনেক তপস্যা করেছিলেন। সংসারে থেকেও এক-বার নির্জনে বাস করতে হয়। সংসারের বাহিরে একলা গিয়ে যদি ভগবানের (Ramakrishna) জন্য তিনদিনও কাঁদা যায় সেও ভাল। এমনকি অবসর পেয়ে একদিনও নির্জনে তাঁর চিন্তা যদি করা যায়, সেও ভাল। লোক মাগছাগলের জন্য একঘটি কাঁদে, ঈশ্বরের জন্যে কে কাঁদছে বল? নির্জনে থেকে মাঝে মাঝে ভগবানের জন্যে সাধন করতে হয়! সংসারের ভিতর কর্মের মধ্যে থেকে, প্রথমাবস্থায় মন স্থির করতে অনেক ব্যাঘাত হয়। ফুটপাতের গাছ, যখন চারা থাকে, বেড়া না দিলে ছাগল-গরুতে খেয়ে ফেলে। প্রথমাবস্থায় বেড়া, গুঁড়ি হলে আর বেড়ার দরকার থাকে না। গুঁড়িতে হাতি বেঁধে দিলেও কিছু হয় না।

    রোগটি(Kathamrita) হচ্ছে বিকার। আবার যে-ঘরে বিকারের রোগী, সেই ঘরে জলের জালা আর আচার তেঁতুল। যদি বিকারের রোগী আরাম করতে চাও, ঘর থেকে ঠাই নাড়া করতে হবে। সংসারী জীব বিকারের রোগী; বিষয়—জলের জালা; বিষয়ভোগতৃষ্ণা-জলতৃষ্ণা। আচার তেঁতুল মনে করলেই মুখে জল সরে, কাছে আনতে হয় না; এরূপ জিনিসও ঘরে রয়েছে; যোষিৎসঙ্গ। তাই নির্জনে চিকিৎসা দরকার।

    বীবেক-বৈরাগ্য লাভ করে সংসার করতে হয়। সংসার-সমুদ্রে কামক্রোধাদি কুমির আছে। হলুদ গায়ে মেখে জলে নামলে কুমিরের ভয় থাকেনা। বিবেক-বৈরাগ্য—হলুদ। সদসৎ বিচারের নাম বিবেক। ঈশ্বরই সৎ, নিত্যবস্তু। আর সব অসৎ, অনিত্য; দুদিনের জন্য। এই বোধ আর ঈশ্বরে অনুরাগ। তাঁর উপর টান—ভালবাসা। গোপীদের কৃষ্ণের (Ramakrishna) উপর যেরূপ টান ছিল। একটা গান শোন;

    আর উপায়—ঈশ্বর অনুরাগ—গোপীদের মতো টান বা স্নেহ

    বংশী বাজিল ওই বিপিনে।

    (আমার তো না গেলে নয়) (শ্যাম পথে দাঁড়ায় আছে)

    তোরা যাবি কি না যাবি বল গো।।

    তোদের শ্যাম কথার কথা।

    আমার শ্যাম অন্তরের ব্যাথা (সই)

    তোদের বাজে বাঁশী কানের কাছে।

    বাঁশী আমার বাজে হৃদয়মাঝে।

    শ্যামে বাঁশী বাজে, বেরাও রাই।

    তোমা বিনা কুঞ্জের শোভা নাই।

    ঠাকুর (Ramakrishna) অশ্রুপূর্ণ নয়নে এই গান গাইতে গাইতে (Kathamrita) কেশবাদি ভক্তেদের বললেন, রাধাকৃষ্ণ মনো আর নাই মানো, এই টানটুকু নাও, ভগবানের জন্য কিসের এইরূপ ব্যাকুলতা হয়, চেষ্টা কর। ব্যাকুলতা থাকলেই তাঁকে লাভ করা যায়।

    আরও পড়ুনঃ “মা এই নাও তোমার পাপ, এই নাও তোমার পুণ্য, আমায় শুদ্ধাভক্তি দাও”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Madhya Pradesh: ছাত্রদের সংস্কৃত ‘শ্লোক’ পাঠে বাধা! প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর

    Madhya Pradesh: ছাত্রদের সংস্কৃত ‘শ্লোক’ পাঠে বাধা! প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংস্কৃত নয়, পড়ুয়াদের বলতে হবে ইংরেজি। এমনটাই চেয়েছিলেন প্রধান শিক্ষিকা। কিন্তু এই আচরণ মোটেও ভালোভাবে নেননি হিন্দুরা। স্কুলের সামনে প্রতিবাদ শুরু করেন তাঁরা। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) গুনা জেলার জনপ্রিয় এক কনভেন্ট স্কুলেই এমন কাণ্ড ঘটেছে। ঘটনার পরেই হিন্দুত্ববাদীদের রোষের মুখে পড়েছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (FIR Against Principal)  

    জানা গিয়েছে, গত ১৫ জুলাই মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) এই স্কুলের প্রার্থনায় ইংরেজির বদলে সংস্কৃতে শ্লোক পাঠ করছিল এক পড়ুয়া। ঠিক সেই সময় তাঁকে থামিয়ে ইংরেজিতে বলার নির্দেশ দেন কনভেন্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। আসলে অন্যান্য দিনের মতো সেদিনও স্কুল শুরুর আগে প্রার্থনার জন্য জড়ো হন সকলে। দুজন পড়ুয়ার দায়িত্ব ছিল প্রার্থনা শুরুর আগে বক্তৃতা রাখার। আর সেখানেই এক পড়ুয়া গীতার শ্লোক আওড়াতে শুরু করেন। ইংরেজির বদলে সংস্কৃত শুনেই ওই পড়ুয়াকে থামার নির্দেশ দেন প্রধান শিক্ষিকা। সবার সামনে তাঁর মাইক কেড়ে নিয়ে বলেন, এখানে স্রেফ ইংরেজি বলার নিয়ম রয়েছে। এমনকি ওই পড়ুয়াকে ঠিকমতো ইংরেজি স্পিচ শিখে আসার নির্দেশও দেন। 

    আরও পড়ুন: বক্স অফিসে নয়া রেকর্ড! ২৮ দিনে ১ হাজার ১০০ কোটি ছুঁল প্রভাসের ‘কল্কি’

    প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর (Madhya Pradesh) 

    আর এরপরেই ওই শিক্ষিকার এই আচরণের খবরে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে স্থানীয় হিন্দুবাদী সংগঠন এভিবিপির (Akhil Bharatiya Vidyarthi Parishad-ABVP) সদস্যরা। এইভাবে সংস্কৃতে গীতাপাঠ থামিয়ে দেওয়ার কথা জানতে পেরে দীর্ঘক্ষণ গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখান সংগঠনের সদস্যরা। এমনকি জোর করে স্কুলের ভিতরেও ঢুকে পড়েন কেউ কেউ। প্রধান শিক্ষিকাকে সবার সামনে ক্ষমা চাওয়ার কথাও বলেন সংগঠনের সদস্যরা। নিয়মের বদল না হলে, স্কুল বন্ধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা। এরপর প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ (FIR Against Principal) দায়ের করেছেন ওই হিন্দুত্ববাদীরা।

    যদিও এ প্রসঙ্গে শিক্ষিকা জানিয়েছেন, স্কুলে সপ্তাহের এক এক দিনে এক একটি ভাষায় বক্তৃতা রাখার নিয়ম। কোনওদিন হিন্দি আবার কোনওদিন ইংরেজিতে বক্তব্য রাখতে হয় পড়ুয়াদের। তার জন্য নির্দিষ্টভাবে বেছে নেওয়া হয় কয়েকজনকে। বক্ততৃতায় কোনও ধর্মগ্রন্থের উদ্ধৃতি নেওয়া যাবে না, এমন নিয়মও নেই। বরং প্রার্থনার সময় গীতা, কোরান, কিংবা বাইবেলের অংশও পাঠ করতে পারেন পড়ুয়ারা। শুধু খেয়াল রাখতে হবে কোনদিন কোন ভাষায় প্রার্থনার নিয়ম। ঘটনার দিন ইংরেজির কথা বলার দায়িত্ব ছিল ওই পড়ুয়ার। তার বদলে সংস্কৃত পাঠ শুরু করায় তাঁকে থামিয়ে দেন প্রধান শিক্ষিকা। একইসঙ্গে তিনি জানান, একটুও বকাবকি না করে সেদিন ওই পড়ুয়াকে ইংরেজিতে বক্তৃতা রাখার কথা বলেছিলেন তিনি। তবে পড়ুয়ার প্রস্তুতি না থাকায়, সময় দিয়ে প্রস্তুত হয়ে আসতে বলেন। তবে সেই ঘটনা যে এমন আকার নিতে পারে, তা ধারণা করতে পারেননি প্রধান শিক্ষিকা। 
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sunita Williams: ৫০ দিন ধরে মহাকাশেই আটকে, বিপত্তির মধ্যেই ‘বাগান’ নিয়ে গবেষণা সুনীতার

    Sunita Williams: ৫০ দিন ধরে মহাকাশেই আটকে, বিপত্তির মধ্যেই ‘বাগান’ নিয়ে গবেষণা সুনীতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) মহাকাশে আটকে পড়ে ৫০ দিন অতিক্রম করেছেন। কিন্তু এই বিপত্তির মধ্যেই মহাকাশে বাগান নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি নাসার একটি সুপরিকল্পিত ১০ দিনের মিশনের জন্য বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানে (Space) যাত্রা করেছিলেন। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে মহাকাশে আটকে রয়েছেন। তবে অ্যামেরিকা মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, হিলিয়াম গ্যাস ফাঁস হওয়ার কারণে বোয়িং স্টারলাইনারটি প্রপালশন সিস্টেম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। তবে সুনীতা এবং তাঁর সহযোগী নভশ্চর ব্যারি বুচ উইলমোর এই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS)-এ নিরাপদে রয়েছেন।

    গাছের বৃদ্ধি নিয়ে গবেষণা (Sunita Williams)

    গত ৬ জুন থেকে এক্সপিডিশন ৭১ ক্রুদের রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কাজ চলছে। নাসা জানিয়েছে, সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) এই তৃতীয় মহাকাশ মিশনের একজন অভিজ্ঞ মানুষ। মহাকাশের মাধ্যাকর্ষণজনিত আকর্ষণ বা মাইক্রোগ্রাভিটিতে গাছকে জল দেওয়া, বৃদ্ধি এবং পুষ্টি সাধন করে সুপরিপক্ক করার মতো সমস্যাকে দূর করতে তরল পদার্থ অন্বেষণ করার কাজ করছেন তাঁরা। ভবিষ্যতে মহাকাশে বাগান করার জন্য এটি একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ হবে। তাঁদের সফলতা একটি বিরাট নতুন সম্ভাবনার জন্ম দেবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

    ভূ-মণ্ডলের রিয়েল-টাইম নিয়ে গবেষণা

    সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) এবং উইলমোর একটি আল্ট্রাসাউন্ড ডিভাইস ব্যবহার করে শিরা বা নাড়ী স্ক্যান করার পরিচালনা করছেন। একই ভাবে ভূ-মণ্ডলের ডাক্তারদের দ্বারা রিয়েল-টাইম বিষয়েও পর্যবেক্ষণের কাজ করছেন। তাঁরা নিজেরা একে অপরের ঘাড়, কাঁধ এবং পায়ে শিরাগুলিকে ছবি তুলেছেন। সুনীতা, মহাকাশচারী ম্যাথিউ ডমিনিকের শিরাগুলি স্ক্যান করেছে। এই গবেষণা মানবদেহে মাধ্যাকর্ষণজনিত আকর্ষণ বা মাইক্রোগ্রাভিটির প্রভাব বুঝতে সাহায্য করবে।

    আরও পড়ুনঃ মহাকাশে আটকে সুনীতা উইলিয়ামস! কী সমস্যা, কীভাবে ফিরবেন পৃথিবীতে?

    জীববিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞান নিয়ে চলছে গবেষণা

    আইএসএস এখন উন্নত জীববিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণার কাজ করে চলেছে। মহাকাশ (Space) কীভাবে মানব জীববিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞানকে প্রভাবিত করে তা অনুসন্ধান চলছে। সুনীতারা আইএসএস জল ব্যবস্থা থেকে জীবাণু শনাক্ত করতে ডিএনএ বের করেছেন, যা ভবিষ্যতের মিশনে ক্রু স্বাস্থ্য এবং মহাকাশযানের পরিচ্ছন্নতা উন্নত করতে পারে। ইতিমধ্যে, ইঞ্জিনিয়ররা বোয়িং স্টারলাইনারের সমস্যাগুলি ঠিক করছেন। নাসা আরও জানিয়েছে, বিজ্ঞানীদের দলগুলি সম্প্রতি নিউ মেক্সিকোতে হোয়াইট স্যান্ডস টেস্ট ফ্যাসিলিটিতে একটি স্টারলাইনার থ্রাস্টারের গ্রাউন্ড হট ফায়ার পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন। তবে কবে সুনীতাদের (Sunita Williams)  ফিরিয়ে আনা হবে এই নিয়ে খুব দ্রুত ঘোষণা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: নিম্নচাপে সাগর এখনও উত্তাল! গভীর সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের যেতে বাড়ানো হল নিষেধাজ্ঞা

    Weather Update: নিম্নচাপে সাগর এখনও উত্তাল! গভীর সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের যেতে বাড়ানো হল নিষেধাজ্ঞা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে শনিবার এটি নিম্নচাপে পরিণত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, আপাতত ঘূর্ণাবর্ত দক্ষিণ দিকে হেলে থাকায় শুক্র ও শনিবার ভালই বৃষ্টি হবে। এদিকে নিম্নচাপের (Weather Update) প্রভাবে সমুদ্র এখনও উত্তাল হয়ে রয়েছে। মৎস্যজীবীদের (Fishermen) জন্য সতর্কতার সময় বৃদ্ধি করেছে হাওয়া অফিস। উত্তর এবং পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপরে ঝোড় হাওয়া বইছে। তাই আপাতত গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছে। অপরে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপের (Weather Update) জন্য উত্তর এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গপোসাগরে ঝোড় বাতাসের প্রকোপ চলছে। ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে এই হাওয়ার গতিবেগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কখনও কখনও দমকা হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ৬০ কিমি পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। এই রকম পরিস্থিতি আরও আগামী ৩৬ ঘণ্টা থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এই জন্য গভীর সমুদ্রে মাছ (Fishermen) ধরতে যেতে নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছে।

    শুক্রবার ভারী বৃষ্টি

    তবে এই নিম্নচাপের (Weather Update) প্রভাব পড়েছে স্থলভাগের উপরেও। গত কয়েক দিন ধরেই বৃষ্টি চলছে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়। আকাশ বেশিরভাগ সময়ে থাকছে মেঘলা। কখনও ঝেপে বৃষ্টি হচ্ছে আবার কখনও ঝিরিঝির বৃষ্টি হচ্ছে। এই রকম আবহাওয়ায় শুক্রবার সব জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু ইতিমধ্যে চার জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস থেকে জানা গিয়েছে, শুক্রবার পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই সব এলাকায় প্রয়োজনীয় সব রকম সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে রানাঘাটে জোড়া খুন, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    উত্তরবঙ্গে মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত

    একই ভাবে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির (Weather Update) সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই বৃষ্টিপাত চলবে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, আগামী সোম-মঙ্গলেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি উত্তরের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। এদিকে শুক্রবার কলকাতা শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.২ ডিগ্রি কম।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalki 2898 AD: বক্স অফিসে নয়া রেকর্ড! ২৮ দিনে ১ হাজার ১০০ কোটি ছুঁল প্রভাসের ‘কল্কি’

    Kalki 2898 AD: বক্স অফিসে নয়া রেকর্ড! ২৮ দিনে ১ হাজার ১০০ কোটি ছুঁল প্রভাসের ‘কল্কি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে নতুন মাইলস্টোন ছুঁয়েছে প্রভাসের ছবি ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’৷ দুটো ফ্লপ সিনেমার পর এবার নতুন অধ্যায় লিখতে চলেছেন দক্ষিণী তারকা প্রভাস৷ ইতিমধ্যেই তাঁর অভিনীত কল্কি বক্স অফিসে (Box Office Collection) যে বিজয় রথ দৌড় করাচ্ছেন তা থামানো মুশকিল পঞ্চম সপ্তাহতেও৷ হিসেব বলছে, গ্লোবাল বক্স অফিসে ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ (Kalki 2898 AD) ছুঁল নতুন রেকর্ড৷ এখনও পর্যন্ত কল্কির ঝুলিতে এসেছে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা৷ ফলে সিনেমার এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রযোজক-নির্মাতা সহ অনুরাগীরাও৷

    কী জানাল প্রযোজনা সংস্থা? (Kalki 2898 AD)

    নাগ অশ্বিন পরিচালিত এই ছবি ২৮ দিন ধরে টানা প্রেক্ষাগৃহে রাজত্ব করে চলেছে৷ এ নিয়ে প্রযোজনা সংস্থা বৈজন্তি মুভিসের তরফে বৃহস্পতিবার নতুন একটি পোস্টার সামনে আনা হয়েছে৷ সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, “বক্স অফিসে অসাধারণ সাফল্য প্রভাস ও দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত কল্কির৷ ১১০০ কোটি টাকা পার৷ পঞ্চম সপ্তাহেও দারুণ হচ্ছে ছবির কালেকশন৷” ‘কল্কি’র সাফল্য ভারতীয় সিনেমার জন্য গৌরবের৷

    ‘জওয়ান’-এর রেকর্ড ভেঙে ফেলবে ‘কল্কি’? (Box Office Collection) 

    ২৭ জুন দেশজুড়ে মুক্তি পায় ‘কল্কি’ (Kalki 2898 AD)৷ এমনকী, বিদেশের মাটিতেও এই ছবি দেখে মুগ্ধ হন অনুরাগীরা৷ প্রথমদিনেই ছবির ঘরে আসে ৯৫.৩ কোটি টাকা৷ কোনও প্রতিযোগিতা ছাড়াই বক্সঅফিস দখল করে নিতে সক্ষম হয় মাইথোলজিক্যাল এই ছবি৷ আর ২০ কোটি টাকা আয় হলেই শাহরুখ খানের ‘জওয়ান’-এর রেকর্ড ভেঙে ফেলবেন প্রভাস৷ নাগ অশ্বিনের মাইথোলজিক্যাল এই সাইন্স-ফিকশন ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে অমিতাভ বচ্চন, কমল হাসান, দিশা পাটানি, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে৷ তেলুগু ছাড়া ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ মুক্তি পেয়েছে তামিল, মালয়লম, কন্নড়, হিন্দি ও ইংরাজি ভাষায়৷

    আরও পড়ুন: বক্স অফিসে কল্কি-ঝড় অব্যাহত, ২৩ দিনে ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা

    উল্লেখ্য, ৬০০ কোটি টাকা বাজেট ছিল এই ছবির৷ তবে প্রযোজকের এই সিদ্ধান্তে চিন্তিত ছিলেন অভিনেতা প্রভাস৷ কারণ এর আগে আদিপুরুষ ও রাধেশ্যাম বিগ বাজেটের দুটি ছবি অসফল থাকে বক্সঅফিসে৷ ফলে এই ছবি কতটা দর্শকরা গ্রহণ করবেন, তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন অভিনেতা৷ তবে ছবি (Kalki 2898 AD) মুক্তির পর সাফল্যের ঢেউ ওঠে বক্সঅফিসে৷ মনে করা হচ্ছে, তেলেগু এবং অন্যান্য ভাষায় কম প্রতিযোগিতার কারণে ছবিটি ভারত এবং বিদেশ উভয় বক্স অফিসেই সফলতা পাচ্ছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paris Olympics 2024: অলিম্পিক্সে অন্য দেশের হয়ে নামছেন ৫ ভারতীয় বংশোদ্ভূত, তাঁরা কারা?

    Paris Olympics 2024: অলিম্পিক্সে অন্য দেশের হয়ে নামছেন ৫ ভারতীয় বংশোদ্ভূত, তাঁরা কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর কয়েক ঘণ্টার পর সরকারিভাবে শুরু হতে চলেছে প্যারিস অলিম্পিক্স (Paris Olympics 2024)। এবারের অলিম্পিক্সে মোট ১০,৫০০ অ্যাথলিট অংশ নিতে চলেছেন। এর মধ্যে ভারতের ১১৭ জন খেলোয়াড় অংশ নেবেন। এবারের অলিম্পিক্সে থাকছে একাধিক চমক। জানা গিয়েছে, এবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত বেশ কয়েকজন অ্যাথলিট প্যারিসে প্রতিনিধিত্ব করবেন অন্য দেশের হয়ে, একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেই সকল ভারতীয় বংশোদ্ভূত অ্যাথলিটদের (Athletes of Indian heriatge) তালিকা৷

    যে সকল ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্যারিস গেমসে বিভিন্ন দেশের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন

    রাজীব রাম (টেনিস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)- (Paris Olympics 2024)

    টেনিস সার্কিটে অতি পরিচিত নাম রাজীব রাম। ৪০ বছর বয়সি এই টেনিস প্লেয়ারের বাবা, মা বেঙ্গালুরু থেকে গিয়ে বাসা বেঁধেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে৷ রাজীবের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভারে। উচ্চশিক্ষিত রামের মা সুষমা একজন বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তিবিদ৷ তাঁর বাবা রাঘব বোটানিস্ট ২০১৯ সালে ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তবে ছোট থেকেই রামের ঝোঁক ছিল টেনিসের প্রতি৷ বাবা মারা যাওয়ার পর ৩৪ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে মিক্সড ডাবলস প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব ইন্দো-আমেরিকান রাজীব রামের৷ এরপর তিনি আরও পাঁচটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা জিতেছেন৷ একক ও ডাবলসে মোট ৯টি জাতীয় জুনিয়র শিরোপা জিতেছেন৷ তিনি কারমেলে হাইস্কুল টেনিসও খেলেছেন, অল-স্টেট সম্মানও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে৷

    পৃথিকা পাভদে (টেবিল টেনিস, ফ্রান্স)-  

     ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে জন্ম নেন পৃথিকা। পৃথিকার বাবার জন্ম ও বেড়ে ওঠা পুদুচেরিতে হলেও ২০০৩ সালে, তিনি বিয়ের পর প্যারিসে চলে যান তিনি। অর্থাৎ এবছর পৃথিকা আয়োজক দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন আসন্ন অলিম্পিক্সে৷ ৬ বছর বয়সে বাবার হাত ধরেই টেবিল টেনিসের দুনিয়ায় আসা পৃথিকার৷ মাত্র ১৬ বছর বয়সে টোকিয়োয় প্রথম অলিম্পিক্স গেমসে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। বর্তমানে ১৯ বছর বয়সী পৃথিকা রসায়ন এবং পরিবেশ বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছেন৷ এবার অলিম্পিক্সে (Paris Olympics 2024) তিনি মহিলাদের সিঙ্গলসের পাশাপাশি ডাবলস ও মিক্সড ডাবলসে অংশগ্রহণ করবেন৷   

    কনক ঝা (টেবিল টেনিস, কানাডা)- 

    এবারের প্যারিস অলিম্পিক্সে আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত অ্যাথলিট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্যাডলার কনক ঝা। তাঁর মা করুণা জন্মসূত্রে মুম্বইয়ের৷ বাবা অরুণ কলকাতা ও প্রয়াগরাজে বেড়ে উঠেছেন। দু’জনেই আইটিতে কর্মরত৷ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়ার মিলপিটাসের ইন্ডিয়া কমিউনিটি সেন্টারে টেবিল টেনিসের প্রতি তাঁর ঝোঁক বেড়ে ওঠে। তাঁর দিদিও একজন টিটি প্লেয়ার৷ এবার প্যারিসে টেবিল টেনিসে (Paris Olympics 2024) কানাডার হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: অলিম্পিক্সে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা! অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ খেলোয়াড় আক্রান্ত

    শান্তি পেরেরা (অ্যাথলেটিক্স, সিঙ্গাপুর)- 

    সিঙ্গাপুরের স্প্রিন্ট কুইন নামে পরিচিত ভেরোনিকা শান্তি পেরেরা৷ তবে তাঁর শিকড় রয়েছে কেরলে। তাঁর দাদু-ঠাকুমারা তিরুঅনন্তপুরমের ভেট্টুকাডের বাসিন্দা। কিন্তু চাকরি পাওয়ার পর পুরো পরিবার নিয়ে সিঙ্গাপুরে চলে যান তাঁর দাদু৷ ৪৯ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার পর ২০২৩ এশিয়ান গেমস-এ শান্তির হাত ধরে পদক আসে সিঙ্গাপুরে৷ মহিলাদের ১০০ মিটারে রুপো জিতেছিলেন তিনি। সিঙ্গাপুর স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে ‘বর্ষসেরা স্পোর্টসওম্যান’ এর পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি৷ এবার প্যারিসে (Paris Olympics 2024) মহিলাদের ১০০ মিটার দৌড়ে সিঙ্গাপুরের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। 

    অমর ধেসি (কুস্তি, কানাডা)-

    কানাডার পশ্চিম উপকূলের একটি ছোট প্রদেশ ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারেতে অমরবীর ধেসি জন্মগ্রহণ করেন (Athletes of Indian heriatge)। তাঁর বাবা বলবীর ধেসি, পঞ্জাবের জলন্ধর জেলার সাংঘওয়াল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রাক্তন গ্রেকো রোমান জাতীয় চ্যাম্পিয়ন৷ অমর নেতাজি সুভাষ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্পোর্টসে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন, এমনকী পঞ্জাব পুলিশে চাকরিও পেয়েছিলেন ৷ কিন্তু ১৯৭৯ সালে কানাডায় চলে যান৷ এবার প্যারিসে (Paris Olympics 2024) কানাডার হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। 
      
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Religious Conversion: ফ্যাশন ইনস্টিটিউটের আড়ালে হিন্দু মেয়েদের ধর্মান্তরণ! যোগী-রাজ্যে মামলা দায়ের

    Religious Conversion: ফ্যাশন ইনস্টিটিউটের আড়ালে হিন্দু মেয়েদের ধর্মান্তরণ! যোগী-রাজ্যে মামলা দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামেই ফ্যাশন ইনস্টিটিউট, কিন্তু তার আড়ালেই হিন্দু মেয়েদের ধর্মান্তরিত (Religious Conversion) করার জন্য চলছে ব্রেনওয়াশ। সম্প্রতি এই অভিযোগে নাম জড়াল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মোরাদাবাদের ল্যাকমে অ্যাকাডেমি নামে এক ফ্যাশন ইনস্টিটিউটের। মূলত ওই ইনস্টিটিউট পরিচালনাকারী রক্ষন্দা খানের (Rakshanda Khan) বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। গত ২২ জুলাই দুই হিন্দু ছাত্রী তানিয়া চৌধুরী এবং স্বাতী পাল মিলে জেলা কালেক্টর অনুজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করে ইনস্টিটিউট পরিচালনাকারী রক্ষন্দা খানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ জানিয়েছেন বলে খবর।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Religious Conversion)    

    অভিযোগকারীদের অভিযোগ, স্বপ্না ওরফে রক্ষন্দা খান মুসলিম ছেলেদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার জন্য তাদের ওপর রীতিমতো চাপ সৃষ্টি করেছেন। শিক্ষার্থীরা আরও জানিয়েছেন যে, রক্ষন্দা খান বলেছেন, ”মুসলিম ছেলেদের বিয়ে করতে কোনও সমস্যা নেই। আমিও আগে হিন্দু ছিলাম। ১৭ বছর আগে শাহনওয়াজ খান নামে একজন মুসলিম ব্যক্তিকে বিয়ে করি। সেসময় আমি হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম হয়েছিলাম এবং বর্তমানে মুসলিম পরিবারে খুব সুখী।”    

    ফ্যাশন ইনস্টিটিউটের আড়ালে কী চলে? 

    জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কাঁথ রোডে অবস্থিত ল্যাকমে অ্যাকাডেমি নামে ওই ফ্যাশন ইনস্টিটিউটে মূলত মেকআপ, চুল এবং ত্বকের পরিচর্যা শেখান রক্ষন্দা। এর জন্য বিভিন্ন কোর্স রয়েছে তাঁর একাডেমিতে। অ্যাকাডেমির প্রায় সব ছেলেই মুসলিম এবং বেশিরভাগ মেয়েই হিন্দু। অভিযোগ রক্ষন্দা খান প্রধানত মুসলিম ছেলে এবং হিন্দু মহিলাদেরই কর্মী হিসাবে নিয়োগ করতেন। এরপর রক্ষন্দা হিন্দু মেয়েদের এই মুসলিম ছেলেদের সাথে বন্ধুত্ব করতে উৎসাহিত করতেন, যাতে মুসলিম ছেলেদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে হিন্দু মেয়েরা বিয়ের পর হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ (Religious Conversion) করে।  

    কী জানিয়েছে অভিযোগকারীরা?  

    এ প্রসঙ্গে, তানিয়া চৌধুরীর অভিযোগ, ”ভর্তির সময় আমাদের বলা হয়েছিল যে অ্যাকাডেমিতে মাংস ও মাছ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, কিন্তু মুসলিম ছেলেরা প্রতিদিন এখানে মাংস ও মাছ নিয়ে আসে এবং সবার সামনে খায়।” অন্যদিকে স্বাতী পাল বলেন, ”অভিযুক্ত রক্ষন্দা খান হিন্দু ধর্মের অপব্যবহার করেন (Religious Conversion) এবং যে হিন্দু মেয়েরা তাঁকে মানে না তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এমনকি রক্ষন্দা হিন্দু মেয়েদের টিপ, টিকা, কপালে সিঁদুর এবং গলায় মঙ্গলসূত্র পরতে বাধা দিতেন। কোনও বিবাহিত মেয়ে মঙ্গলসূত্র ও সিঁদুর পরে এলে তাকে ইনস্টিটিউটে ঢুকতে দিতেন না। কিন্তু, মুসলিম ছাত্র ও মুসলিম প্রশিক্ষকদের অ্যাকাডেমিতেই নামাজ পড়ার স্বাধীনতা রয়েছে।”    

    আরও পড়ুন: কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ২০০-র গণ্ডি! কেমন আছে বাংলাদেশ?

    এরপর অভিযোগকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে, মোরাদাবাদ পুলিশ রক্ষন্দা খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের (Religious Conversion) করে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে। অন্যদিকে এই ঘটনার পরেই হিন্দু কর্মীরা রক্ষন্দা খানের কুশপুতুল পুড়িয়ে অ্যাকাডেমির বাইরে হনুমান চালিসা পাঠ করেন এবং অভিযুক্ত রক্ষন্দা খানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি তাঁর প্রতিষ্ঠানটি সিল করার দাবি জানান। এছাড়াও, তাঁরা দাবি করেন যে, শিক্ষার্থীরা যেন তাদের ফি ফেরত পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে।

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nabanna: এবার নবান্নেও ‘ভাইপোরাজ’? পিএমইউ নিয়ে নবান্নের নির্দেশিকায় গুচ্ছ প্রশ্ন

    Nabanna: এবার নবান্নেও ‘ভাইপোরাজ’? পিএমইউ নিয়ে নবান্নের নির্দেশিকায় গুচ্ছ প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি মুখ্যমন্ত্রী। তবে নামেই! হয় তাঁর কোনও ক্ষমতা নেই, নয়তো ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফুটো বোজাতে গিয়ে সময় দিতে পারছেন না রাজ্য চালানোয়। এই (Project Management) দুই সম্ভাবনারই ছাপ স্পষ্ট নবান্নের তরফে জারি করা সরকারি এক (Nabanna) নির্দেশনামায়।

    নির্দেশিকায় গুচ্ছ প্রশ্ন (Nabanna)

    রাজ্য প্রশাসনের প্রধান হলেন মুখ্যসচিব এবং ডিজি। তাঁরা রিপোর্ট করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু সদ্য জারি করা সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সব দফতরের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের নজরদারি ও পরিচালনা করবেন পঞ্চায়েত সচিব পি উলগানাথন। মুখ্যসচিবের কাজ কেন পঞ্চায়েত সচিব করবেন, ইতিমধ্যেই উঠেছে সে প্রশ্ন। আধিকারিকদের একাংশেরও প্রশ্ন, তবে কি পঞ্চায়েত সচিবের ওপর কিছুটা হলেও নির্ভর করে থাকতে হবে বাকি দফতরগুলির সচিব এবং জেলা প্রশাসনের কর্তাদের? কাজের গুণমান ঠিক না হলে দায় পড়বে কার ঘাড়ে?

    প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট

    সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন রাজ্যের (Nabanna) মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা। তাতে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট (PMU) গঠন করতে বলা হয়েছে। এই নির্দেশিকার নির্যাস, কেবল দফতরগুলিই নয়, চাহিদা মতো পিএমইউ-কে তথ্য পাঠাতে ও সহযোগিতা করতে কার্যত বাধ্য থাকবে সব জেলা প্রশাসনও। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পঞ্চায়েত সচিব পি উলাগানাথনই পিএমইউ-কে নেতৃত্ব দেবেন। সেই শাখার বাকি আধিকারিকদের নিয়োগ করবে কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতর।

    আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোতেও রাজনীতি শাসকের! সজলের পুজোকে চিঠি পুলিশের

    নবান্নের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জরুরি প্রকল্পগুলি সময়ের মধ্যে ঠিকঠাক রূপায়ণ করতে গেলে বিভিন্ন দফতর, জেলা প্রশাসন, প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে থাকা সংস্থার মধ্যে সমন্বয় জরুরি। তাই প্রত্যেক দফতর, জেলা প্রশাসন ও সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নির্বাচিত প্রকল্পগুলির গতি, সমস্যা ইত্যাদি সবই দেখভাল করবে পিএমইউ। দ্রুত কাজ শেষ করার লক্ষ্যে পরিস্থিতিও পর্যালোচনা করবে তারাই। প্রকল্পগুলির অবস্থা ও কার্যকারিতা মূল্যায়ন করে সরকারকে রিপোর্টও দেবে পিএমইউ।

    রাজনীতির কারবারিদের একটা বড় অংশের মতে, মুখ্যমন্ত্রী চলছেন ভাইপো তথা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অঙ্গুলি হেলনে। তার জেরে রাজ্যে হয়ে গিয়েছে অতিমুখ্যসচিব। যাঁর মাধ্যমে নবান্নে আদতে কায়েম হচ্ছে ‘ভাইপোরাজ’। তাই দিন দিন (Project Management) মুখ্যসচিব এবং মুখ্যমন্ত্রী হয়ে পড়ছেন ঠুঁটো। ব-কলমে রাজ্য চালাচ্ছেন ভাইপোই (Nabanna)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mukesh Ambani: শেয়ার বাজারে জোর ধাক্কা খেলেন মুকেশ আম্বানি, কেন জানেন?

    Mukesh Ambani: শেয়ার বাজারে জোর ধাক্কা খেলেন মুকেশ আম্বানি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপুল পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। সোমবার মুকেশের কোম্পানি রিলায়েন্সের (Reliance) মার্কেট ভ্যালুয়েশন এক ধাক্কায় ৭৩,৪৭০.৫৯ কোটি টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ২০,৩০,৪৮৮.৩২ কোটি টাকা। রিলায়েন্সের শেয়ার দর তিন শতাংশেরও বেশি কমে যেতেই এল এই ধাক্কা। জুন মাসে কোম্পানির তরফে যে ত্রৈমাসিক রিপোর্ট পেশ করা হয়েছিল, তাতে বলা হয়েছিল নিট মুনাফার পাঁচ শতাংশ দর কমে গিয়েছিল। সোমবার এক দিনেই কমল তিন শতাংশের বেশি।

    শেয়ারে ধস (Mukesh Ambani)

    জানা গিয়েছে,  সোমবার ব্লু-চিপ স্টকটি বিএসইতে ৩.৪৯ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৩০০১.১০ টাকায় থামে। দিনের বেলায় এটি এনএসইতে ৩.৫৬ শতাংশ কমে শেয়ারের দর হয়েছিল ২,৯৯৮.৮০ টাকা। ট্রেডেড ভলিউম টার্মের দিক থেকে দেখলে দিনের বেলায় কোম্পানির ১.৯০ লাখ শেয়ার ব্যবসা করেছে বিএসইতে। আর ৯৮.৩৭ লাখ শেয়ার ব্যবসা করেছে এনএসইতে। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের হেভি সেলিং প্রেসারও টেনে নামিয়েছে বেঞ্চমার্ক সূচকগুলিকে। টানা দুদিন পড়ে ৩০-শেয়ারের বিএসই সেনসেক্স ১০২.৫৭ পয়েন্ট বা ০.১৩ শতাংশ কমে যায়। এনএসই নিফটি ২১.৬৫ পয়েন্ট (শতাংশের হিসেবে ০.০৯) কমে পৌঁছে গিয়েছিল ২৪,৫০৯.২৫-এ।

    দ্বিতীয় হলেন মুকেশ

    এদিকে, তেলের দাম ৩১ শতাংশ কমে যাওয়ায় এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তির তকমা হারিয়েছেন ভারতের সব চেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। এবার এই তকমা পেলেন জ্যাক মা। ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, সোমবার প্রায় ৪২ হাজার ৮৮১ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে মুকেশের কোম্পানির। তাই ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার্স ইনডেক্সে এশিয়ায় দ্বিতীয় স্থানে চলে গেলেন মুকেশ।

    আরও পড়ুন: গুয়াতেমালায় মিলল মন্দিরের নিদর্শন, আদানপ্রদান হয়েছিল হিন্দু সংস্কৃতির?

    জানা গিয়েছে, সৌদি আরব ও রাশিয়ার মধ্যে রেষারেষির জেরে গত ২৯ বছরে সব চেয়ে বেশি কমে গিয়েছে তেলের দাম। তার জেরেই বিপুল ক্ষতির মুখ দেখলেন মুকেশ। কেবল মুকেশ নন, তেলের ব্যবসা যারাই করেন, তাঁদেরই এই হাল হয়েছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছর সব মিলিয়ে রিলায়েন্সের শেয়ার কমেছে ২৬ শতাংশ। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্নধার মুকেশই। এই কোম্পানির (Reliance) তেল, রিটেল, টেলিকম এবং আরও অন্যান্য ব্যবসাও রয়েছে (Mukesh Ambani)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Maldives Islands: চিনের দাদাগিরি রুখতে মলদ্বীপের কাছে সামরিক কার্যকলাপ বাড়াচ্ছে দিল্লি

    Maldives Islands: চিনের দাদাগিরি রুখতে মলদ্বীপের কাছে সামরিক কার্যকলাপ বাড়াচ্ছে দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও চিনের সীমান্ত রয়েছে প্রায় চার হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। দুই দেশের সীমান্ত নিয়ে সমস্যা প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসে। পৃথিবীর প্রথম দুই জনবহুল দেশের সংঘাত তবে বর্তমানে আর মাত্র চার হাজার কিলোমিটারের সীমানা জুড়েই সীমাবদ্ধ নেই। বর্তমানে তা মহাসাগর ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতেও (Maldives Islands) ছড়িয়ে পড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক রুটের দখল নিজেদের কাছেই রাখতে চায় বেজিং। চিনের দাদাগিরি রুখতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে দিল্লিও। নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে সামরিক কার্যকলাপও (Indian Armed Forces) বৃদ্ধি করেছে ভারত।

    লাক্ষাদ্বীপের মালিকু দ্বীপে নতুন সামরিক ঘাঁটি গড়ে তুলেছে মোদি সরকার 

    লাক্ষাদ্বীপের মালিকু দ্বীপে নতুন সামরিক ঘাঁটি গড়ে তুলেছে মোদি সরকার। সরকারি সূত্রে খবর, মালিকু দ্বীপের এই সামরিক ঘাঁটিগুলিতে (Indian Armed Forces) নতুন দুটি বিমান ঘাঁটি করা হবে আবার অন্যদিকে আগাত্তি দ্বীপের বর্তমানে যে সামরিক ঘাঁটি রয়েছে সেটিকেও ঢেলে সাজানো হবে বলে জানা গিয়েছে। কূটনৈতিকভাবে এই দুটি দ্বীপের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুটি দ্বীপই আরব সাগরে অবস্থিত এবং বিশ্বের যে প্রধান সামুদ্রিক বাণিজ্যপথ রয়েছে তার অর্ধেক রাস্তাই এই অঞ্চলে অবস্থিত। অর্থাৎ বিশ্বের সামুদ্রিক বাণিজ্য পথে চিনের দাপট রুখতে ভারতের এমন কূটনৈতিক পদক্ষেপ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    বিমান ঘাঁটিগুলি বাণিজ্যিক কাজেও ব্যবহার করা হবে

    ভারত সরকারের তরফ জানানো হয়েছে, এই বিমান ঘাঁটিগুলি বাণিজ্যিক কাজেও ব্যবহার করা হবে। দীর্ঘদিন ধরেই বেজিং উদ্যোগ নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে অর্থাৎ যে কোনও মূল্যে এই অঞ্চলগুলিতে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে চায় চিন। ঠিক এই কারণেই আফ্রিকা মহাদেশের ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে চিনা কোম্পানিগুলির ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি নজরে পড়ে। ওই দেশগুলির সেনাবাহিনীর সঙ্গে চিনের সেনা যৌথ মহড়াও করে। সামরিক চুক্তিও সম্পাদন করছে বেজিং। সামরিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় বেজিং ওই দেশগুলির সঙ্গে।

    ভারতকে রুখতে পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক

    আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, সাধারণভাবে সারা বিশ্বজুড়ে দুটি দেশের মধ্যে বিবাদ দেখা দিলে তা মেটানোর কাজ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমেত ইউরোপের দেশগুলি। ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধেও তা দেখা গিয়েছে, ঠিক একইভাবে এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলির এই জায়গাটি নিতে চাইছে চিন। এক্ষেত্রে ভারতই হয়ে উঠছে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ। ভারতকে রুখতে পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সকলেরই জানা। আর্থিক দিক থেকে, সামরিকভাবে পাকিস্তানকে সহযোগিতা করে চলেছে বেজিং। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পরিকাঠামোও নির্মাণ করেছে বেজিং। খুব সহজেই বোঝা যাচ্ছে, এশিয়া মহাদেশে প্রতিপক্ষ হিসেবে চিন ভারতকেই ভাবে।

    চিন ঘনিষ্ঠ মলদ্বীপের (Maldives Islands) ওপরেও কড়া নজর রাখতে চায় ভারত

    গত বছরে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু তাঁদের দেশ থেকে ভারতের সেনা সরানোর কথা বলেন। শুধু তাই নয় নির্বাচনে জেতার আগে এটাই ছিল মুইজ্জুর প্রতিশ্রুতি যে তিনি ক্ষমতায় ফিরলে দেশ থেকে ভারতের সেনা সরানো হবে। কূটনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, এমন সিদ্ধান্ত মুইজ্জুর নয়, এর পিছনে রয়েছে বেজিংয়ের কূটনৈতিক কৌশল। তবে মলদ্বীপের (Maldives Islands) খুব কাছেই ভারতের সামরিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি বেশ চোখে পড়ছে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের শক্তি আরও বাড়াতে গত মার্চের প্রথম সপ্তাহে নৌ-ঘাঁটি চালু করেছে ভারত। লাক্ষাদ্বীপের মিনিকয় দ্বীপপুঞ্জের এই নৌ-ঘাঁটির (নেভাল স্টেশন) নাম রাখা হয়েছে ‘আইএনএস জটায়ু’। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের অনুমান চিন ঘনিষ্ঠ মলদ্বীপে কড়া নজর রাখতে চায় ভারত। তাই লাক্ষাদ্বীপে বেড়েই চলেছে ভারতের সামরিক কার্যকলাপ।

    চলতি বছরেই মলদ্বীপে (Maldives Islands) এসেছিল চিনা গুপ্তচর জাহাজ

    চিন-মলদ্বীপ আঁতাঁতের কারণে জলসীমার এই অঞ্চলে নিরন্তর নজরদারি চালানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। চলতি বছরেই মলদ্বীপে এসেছিল চিনা গুপ্তচর জাহাজ। ফলে, সামগ্রিক দিক দিয়ে ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং সীমানাকে সুরক্ষিত রাখতে এই সামরিক ঘাঁটিগুলি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই ঘাঁটিগুলি থেকে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের যাবতীয় বাণিজ্যিক ও সামরিক গতিবিধির ওপর নজর রাখা সহজ হবে। আর লাক্ষাদ্বীপের অবস্থান মলদ্বীপের (Maldives Islands) ৫০ মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে হওয়ায় ওই রাষ্ট্রের গতিবিধির ওপরও নজর রাখবে ভারত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share