Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ramakrishna 86: “মা এই নাও তোমার পাপ, এই নাও তোমার পুণ্য, আমায় শুদ্ধাভক্তি দাও”

    Ramakrishna 86: “মা এই নাও তোমার পাপ, এই নাও তোমার পুণ্য, আমায় শুদ্ধাভক্তি দাও”

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    সর্বধর্মান পরিত্যাজ্য মামেকং শরণং ব্রজ।

    অহং ত্বাং সর্বপাপেভ্যো মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচঃ।।

    গীতা—১৮৬৬।

    ভগবানের (Ramakrishna) নাম করলে মানুষের দেহ-মন সব শুদ্ধ হয়ে যায়।

    কেবল পাপ আর নরক এই সব কথা (Kathamrita) কেন? একবার বল যে, অন্যায় কর্ম যা করেছি আর করব না। আর তাঁর নামে বিশ্বাস কর।

    ঠাকুর প্রমোন্মত্ত হইয়া নামমাহাত্ম্য গাইতেছেন;

    আমি দুর্গা দুর্গা বলে মা যদি মরি।

    আখেরে এ-দীনে, না তারো কেমনে জানা যাবে গো শঙ্করী।।

    আমি মার কাছে কেবল ভক্তি চেয়েছিলাম। ফুল হাতে করে মার পদপদ্মে দিয়েছিলাম, বলেছিলাম, মা এই নাও তোমার পাপ, এই নাও তোমার পুণ্য, আমায় শুদ্ধাভক্তি দাও, এই নাও তোমার জ্ঞান, এই নাও তোমার অজ্ঞান, আমায় শুদ্ধাভক্তি দাও, এই নাও তোমার শুচি, এই নাও তোমার অশুচি, আমায় শুদ্ধাভক্তি দাও, এই নাও তোমার ধর্ম, এই নাও তোমার অধর্ম, এই নাও তোমার অধর্ম, আমায় শুদ্ধাভক্তি দাও।

    ব্রাহ্মভক্তদের (Ramakrishna) প্রতি—একটি রামপ্রসাদের গান (Kathamrita) শোন;

    আয় মন, বেড়াতে যাবি।

    কালী-কল্পতরুমূলে রে (মন) চারি ফল কুড়ায়ে পাবি।।

    প্রবৃত্তি নিবৃত্তি জায়া, (তার) নিবৃত্তিরে সঙ্গে লবি।

    ওরে বিবেক নামে তার বেটা, তত্ত্ব-কথা তায় সুধাবি।।

    শুচি অশুচি লয়ে দিব্য ঘরে কবে শুবি।

    যখন দুই সতীনে পিরিত হবে, তখন শ্যামা মাকে পাবি।।

    অহংকার অবিদ্যা তোর, পিতামাতায় তাড়িয়ে দিবি।

    যদি মোহগর্তে টেনে লয়, ধৈর্যখোঁটা ধরে রবি।।

    ধুর্মাধর্ম দুটি অজা, তুচ্ছখোঁটায় বেঁধে থুবি।

    যদি না মানে প্রবোধ, জ্ঞান-সিন্ধু মাঝে ডুবাইবি।।

    প্রসাদ বলে, এমন হলে কালের কাছে জবাব দিবি।

    তবে বাপু বাছা বাপের ঠাকুর, মনের মতো মন হবি।।

    সংসারে ঈশ্বরলাভ (Ramakrishna) হবে না কেন? জনকের হয়েছিল। এ-সংসারে ‘ধোঁকার টাটি’ প্রসাদ বলেছিল। তাঁর পাদপদ্মে ভক্তিলাভ করলে—

    এই সংসারই মাজার কুটি, আমি খাই-দাই আর মজা লুটি।

    জনক রাজা মহাতেজা, তার কিসের ছিল ত্রুটি।

    সে যে এদিকে ওদিকে দুদিক রেখে, খেয়েছিল দুধের বাটি। (সকলের হাস্য)

    ব্রাহ্মসমাজ ও জনক রাজা-গৃহস্থের উপায়—নির্জনে বাস ও বিবেক  

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 85: “যে ব্যক্তি আমি বদ্ধ আমি বদ্ধ বার বার বলে, সে শালা বদ্ধই হয়ে যায়!”

    Ramakrishna 85: “যে ব্যক্তি আমি বদ্ধ আমি বদ্ধ বার বার বলে, সে শালা বদ্ধই হয়ে যায়!”

    শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ  কথোপকথন

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    সর্বধর্মান পরিত্যাজ্য মামেকং শরণং ব্রজ।

    অহং ত্বাং সর্বপাপেভ্যো মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচঃ।।

    গীতা—১৮৬৬।

    ব্রাহ্মদিগকে উপদেশ—খ্রিষ্টধর্ম, ব্রহ্মসমাজ ও পাপবাদ

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ব্রাহ্মভক্তদের প্রতি)—মনেতেই বদ্ধ, মনেতেই মুক্ত। আমি মুক্ত পুরুষ; সংসারেই থাকি বা অরণ্যেই থাকি, আমার বন্ধন কি? আমি ঈশ্বরের (Ramakrishna) সন্তান; রাজাধিরাজের ছেলে; আমায় আবার বাঁধে কে? যদি সাপে কামড়ায়, ‘বিষ নাই’ জোর করে বললে বিষ ছেড়ে যায়! তেমনি আমি বদ্ধ নই, আমি মুক্ত এই কথাটি (Kathamrita) রোখ করে বলতে বলতে তাই হয়ে যায়। মুক্তই হয়ে যায়।

    পূর্বকথা—শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) বাইবেল শ্রবণ—কৃষ্ণকিশোরের বিশ্বাস

    খ্রিষ্টানদের একখানা বই একজন দিলে, আমি পড়ে শুনাতে বললুম। তাতে কেবল পাপ আর পাপ। (কেশবের প্রতি) তোমাদের ব্রাহ্মসমাজেও কেবল পাপ। যে ব্যক্তি আমি বদ্ধ আমি বদ্ধ বার বার বলে, সে শালা বদ্ধই হয়ে যায়! যে রাতদিন আমি পাপী, আমি পাপী এই করে, সে তাই হয়ে যায়।

    ঈশ্বরের (Ramakrishna) নামে এমন বিশ্বাস হওয়া চাই—কি আমি তাঁর নাম করেছি, আমার এখনও পাপ থাকবে! আমার আবার পাপ কি? কৃষ্ণকিশোর পরম হিন্দু, সদাচারনিষ্ঠ ব্রাহ্মণ, সে বৃন্দাবনে গিছল। একদিন ভ্রমণ করতে করতে তার জলতৃষ্ণা পেয়েছিল। একটা কুয়ার কাছে গিয়ে দেখলে, একজন লোক দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাকে বললে (Kathamrita), ওরে তুই একঘটি জল আমায় দিতে পারিস? তুই কি জাত? সে বললে(Kathamrita), ঠাকুর মহাশয়, আমি হীন জাত—মুচি। কৃষ্ণকিশোর বললে, তুই বল, শিব। নে, এখন জল তুলে দে।

    আরও পড়ুনঃ “আমি মুক্ত পুরুষ; সংসারেই থাকি বা অরণ্যেই থাকি, আমার বন্ধন কি?”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India UK Relation: জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী, উঠবে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি প্রসঙ্গ?

    India UK Relation: জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী, উঠবে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি প্রসঙ্গ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক দিনের ভারত সফরে এলেন ইংল্যান্ডের (India UK Relation) বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। বুধবার নয়াদিল্লিতে পৌঁছন তিনি। সদ্যই ইংল্যান্ডের ক্ষমতায় এসেছে লেবার পার্টি। তার পর (Free Trade Agreement) থেকে ল্যামিই প্রথম পদস্থ কর্তা, যিনি রাজার দেশ থেকে এলেন ভারত সফরে। প্রসঙ্গত, টানা ১৪ বছর ব্রিটেনের ক্ষমতায় ছিল কনজারভেটিভ পার্টি। সদ্য সমাপ্ত সাধারণ নির্বাচনে তাদের পরাস্ত করে ক্ষমতায় আসে লেবার পার্টি। প্রধানমন্ত্রী হন কিয়ের স্টার্মার।

    মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (India UK Relation)

    জানা গিয়েছে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করবেন ল্যামি। পরে তিনি যাবেন লাওসের রাজধানী ভিয়েনতিয়েনে, এশিয়ান (ASEAN) বিদেশমন্ত্রী সম্মেলনে যোগ দিতে। লাওসের এই সম্মেলনে যোগ দেবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রীও। এদিন নয়াদিল্লিতে ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। জানা গিয়েছে, জয়শঙ্কর-ল্যামি বৈঠকে আলোচনা হতে পারে দীর্ঘ দিন ধরে ঝুলে থাকা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে। ভারত-ব্রিটেনের মধ্যে সর্বাত্মক কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিয়েও আলোচনা হতে পারে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর।

    মোদি-স্টার্মার আলোচনা

    ব্রিটেনের নির্বাচনে জয়ের জন্য স্টার্মারকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন ভারতের (India UK Relation) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে স্টার্মারও কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। টেলিফোনিক ওই আলোচনায় দুই রাষ্ট্রনেতাই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে রূপায়ণ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছিলেন। স্টার্মার ফোনে মোদিকে জানিয়েছিলেন, যেটা দু’তরফের পক্ষেই মঙ্গলদায়ক হবে (মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি), সেটা বাস্তবায়িত করতে তিনি এক পায়ে খাড়া।

    আরও পড়ুন: হিন্দুদের ‘স্বস্তিক’ ও নাৎসিদের ‘হুকড ক্রস’-এ রয়েছে বড় ফারাক, বলল আমেরিকা

    জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি-সহ নানা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রচেষ্টাকে স্বাগতও জানিয়েছিলেন স্টার্মার। ব্রিটিশ সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতি থেকেই জানা গিয়েছে স্টার্মার-মোদির টেলিফোনিক আলোচনার নির্যাস। প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, জটিল এবং নয়া উদ্ভাবিত প্রযুক্তি মায় জয়বায়ু পরিবর্তন নিয়ে আরও গভীর সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।

    উল্লেখ্য, গত জুনে ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচনের আগে আগে ল্যামি জোর দিয়েছিলেন ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (Free Trade Agreement) চূড়ান্ত করার ওপর (India UK Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বাংলাদেশ, খুলল অফিস, ফিরল ইন্টারনেট

    Bangladesh Protest: স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বাংলাদেশ, খুলল অফিস, ফিরল ইন্টারনেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কারফিউ (Bangladesh Protest) শিথিল হতেই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার রাত থেকে ফের শুরু হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। বুধবার থেকে খুলেছে অফিস-কাছারি। বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি অফিসগুলিকে চার ঘন্টা দফতর খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এদিনই খুলেছে বিভিন্ন কলকারখানা। সরকারি এবং সরকারি ব্যাংক ফের খুলেছে।

    স্বাভাবিক হচ্ছে বাংলাদেশ (Bangladesh Protest)

    টানা এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হিংসাত্মক আন্দোলনের পর বুধবার কারফিউ আংশিক শিথিল হতেই রাস্তাঘাটে শুরু হয়েছে যান চলাচল। ধীরে ধীরে ফের স্বাভাবিক হওয়ার পথে বাংলাদেশ। ঢাকার রাজপথেও গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে আগের তুলনায়। প্রসঙ্গত কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় জামাত ও বিরোধী দল বিএনপি (Quota Protest) ছাত্র আন্দোলনের আড়ালে হিংসাত্মক গতিবিধি বাড়িয়ে তুলতেই শুক্রবার রাত থেকে গোটা বাংলাদেশে কারফিউ জারি করা হয়েছিল। মাঝে অবশ্য কিছুক্ষণের জন্য শিথিল করা হয় কারফিউ। রবিবার থেকে মঙ্গলবার টানা তিন দিন পর্যন্ত সারা দেশে ছুটি ঘোষণা করেছিল হাসিনা সরকার। তবে সেই ছুটি আর বাড়ানো হয়নি। বুধবার থেকেই চার ঘন্টা অফিস কাছারি খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। না হলে সংকট বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছিল।

    আরও পড়ূন: কোটা আন্দোলনের জেরে বন্ধের মুখে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য

    এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম দুই থেকে তিন গুণ বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ বাংলাদেশের বাসিন্দাদের। কারফিউ শিথিল করে ফের স্বাভাবিক ছন্দে জনজীবন চালু করাই সরকারের উদ্দেশ্য।

    ৮০০ জন গ্রেফতার (Quota Protest)

    কারফিউ শিথিল হলেও ঢাকা সহ বিভিন্ন বড় শহরের রাস্তায় এখনও টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং পুলিশ। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন ধরে (Bangladesh Protest) হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে বাংলাদেশে মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ৮০০ জনের বেশি (Quota Protest) বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হিংসাত্মক আন্দোলনে মৃত্যু হয়েছে ১৬৮ জনের।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nepal Plane Crash: ১৯ যাত্রী নিয়ে কাঠমান্ডুতে ভেঙে পড়ল বিমান, ১৮ জনের মৃত্যু, বেঁচে একমাত্র পাইলট

    Nepal Plane Crash: ১৯ যাত্রী নিয়ে কাঠমান্ডুতে ভেঙে পড়ল বিমান, ১৮ জনের মৃত্যু, বেঁচে একমাত্র পাইলট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে নেপালে (Nepal Plane Crash)। বুধবার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সূর্য এয়ারলাইনসের একটি বিমান, ‘টেক অফ’-এর কিছু সময় পরেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। মোট ১৯ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল বিমানটি। এরপর আগুন ধরে যায় ক্রু। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা বিমান। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসে বিমান বন্দরের কর্মী এবং নিরাপত্তারক্ষীর কর্মীরা। এরপর শুরু হয় উদ্ধার কাজ, আপাতত বন্ধ করা হয়েছে বিমান পরিষেবা।

    সকাল ১১টার সময় ঘটনা ঘটেছে (Nepal Plane Crash)!

    ঘটনা যখন ঘটেছিল, সেই সময় নেপালের (Nepal Plane Crash) আবহাওয়া খারাপ ছিল। ‘টেক অফ’-এর একটু পরেই আগুন ধরে যায় এই যাত্রীবাহী বিমানটিতে। সূত্রে জানা গিয়েছে, রানওয়ে থেকে পিছলে গিয়েছিল চাকা। সকাল ১১টার সময় এই ঘটনা ঘটেছে। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়,  রানওয়ে ছাড়তেই বিমানটি বাঁক নিয়ে আছড়ে পড়ল পাহাড়ি এলাকায়। তার পরই একটা বিস্ফোরণ হয়। দু’টুকরো হয়ে যায় বিমানটি। ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। সাউথ এশিয়া টাইমের সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ জন যাত্রীর এবং ক্রু সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। একমাত্র বিমান চালককে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে পাইলটের অবস্থাও সঙ্কটজনক। তাঁকে শিনামঙ্গলের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।” 

    আরও পড়ুনঃ প্যারিস অলিম্পিক্সে পর্যটকের সংখ্যা কমের আশঙ্কা! হোটেল ভাড়া ক্রমশ নিম্নমুখী

    আগেও হয়েছে নেপালে বিমান দুর্ঘটনা

    ২০১০ সাল থেকেই নেপালে (Nepal Plane Crash) একেরপর এক বড় বিমান দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। গত ১৪ বছরে অন্তত ১২টি এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। এবার আরও একটি ঘটল। এই বছরের জানুয়ারি মাসে ইয়েতি এয়ারলাইনসের একটি বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। আগুন ধরে পোখরায় পড়ে গিয়েছিল বিমানটি। ওই বিমানে মোট ৭২ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সকলেই প্রাণ হারিয়েছিলেন। বার বার কেন এই রকম বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘দু’দুবার, আমাকে ফিজিক্যালি অ্যাসল্ট করতে চায়’, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘দু’দুবার, আমাকে ফিজিক্যালি অ্যাসল্ট করতে চায়’, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী নির্যাতন ইস্যুতে বুধবার সকাল থেকে তপ্ত বিধানসভা (West Bengal Legislative Assembly) অধিবেশন। এরই মধ্যেই নিজের শারীরিক নির্যাতনের ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুললেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ইতিমধ্যেই শাসকদলের বিধায়কের বিরুদ্ধে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, “বিধানসভার মধ্যেও আমরা নিরাপদ নই!”

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Suvendu Adhikari)

    বুধবার বিধানসভা অধিবেশনের শুরু থেকেই নারী নির্যাতন ও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি পাল্টা বলেন, “নারী নির্যাতন ঘটনা ঘটলে সবার আগে বাংলা প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়। ক্রিমিন্যাল জাস্টিস কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে রাজ্যের হাত থেকে।” আর সে ইস্যুতে তপ্ত হয়ে ওঠে অধিবেশন। বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দিতে থাকেন। পাল্টা স্লোগান দেন শাসক বিধায়করাও। প্রথম পর্বের অধিবেশন শেষ হয়। এরপর বিক্ষোভ দেখাতে দেখাতে বিধানসভার অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন বিজেপি বিধায়করা। অভিযোগ, সেই সময়েই বিধানসভার ভেতরে শুভেন্দুর সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন পূর্বস্থলীর তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়। বিরোধী দলনেতার দাবি, সেই বাগ্‌বিতণ্ডার সময়েই তাঁকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করেছেন। তাঁর দাবি, বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে হেনস্থা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নেপালকে হারিয়ে ৮২ রানে ম্যাচ জিতে এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারত

    বিরোধী দলনেতার মন্তব্য  

    এ প্রসঙ্গে এদিন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ”বিধানসভার লবিতে আমি যখন বেরোচ্ছিলাম, তখন পূর্বস্থলীর বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় আমাকে ফিজিক্যালি অ্যাসল্ট করতে চান। বিজেপি এমএলএ-রা কেন্দ্রীয় বাহিনী পায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বাইরে রাখার অর্ডার রয়েছে। আমি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলছি, লিখে পাঠাচ্ছি এখনই।” স্পিকারকে লেখা চিঠিতে বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, ‘এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিধানসভার মধ্যে তাঁকে শারীরিক নিগ্রহের চেষ্টা করা হল। একবার হাউসের ভিতরে করেছেন, আজকে লবিতে করলেন। আমি বিধানসভায় আক্রান্ত হয়েছি। কোনও বিজেপি বিধায়ক আক্রান্ত হলে, তার দায় স্পিকারের।” স্পিকার হিসেবে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না বলেও চিঠিতে স্পষ্টভাবে লিখেছেন শুভেন্দু। 
    একই সঙ্গে অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জিও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। যদিও শুভেন্দুর আনা শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bihar JDU: “বিহার যা পেয়েছে, তাতে আমরা খুশি”, বিরোধীদের নিশানা জেডিইউয়ের

    Bihar JDU: “বিহার যা পেয়েছে, তাতে আমরা খুশি”, বিরোধীদের নিশানা জেডিইউয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিহার যা পেয়েছে (Budget Allocation), তাতে আমরা খুশি।” এহেন মন্তব্য বিহারের শাসক দল জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)-এর (Bihar JDU)। বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দাবি করেছিল বিহার। কেন্দ্র মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সেই দাবিকে মান্যতা দেয়নি। এই দাবি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সংসদে বলেন, “এখনই বিহারকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া সম্ভব নয়।”

    বাজেটে খুশি নীতীশের দল (Bihar JDU)

    বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা না দেওয়া হলেও, বাজেটে বিহারের জন্য ভালোই বরাদ্দ হয়েছে। বড়সড় অর্থনৈতিক সাপোর্টের পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল সাপোর্টও দেওয়া হয়েছে নীতীশের রাজ্যকে। তাতেই মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি খুশি নীতীশের দলও। জেডিইউয়ের পরামর্শদাতা তথা জাতীয় প্রধান মুখপাত্র কেসি ত্যাগী বলেন, “বিহার যা পেয়েছে, তাতেই আমরা খুব খুশি।” বিহারকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা না দেওয়ায় জেডিইউ ক্ষুব্ধ বলে যেসব খবর করা হচ্ছে, তা ঠিক নয় বলেও জানান তিনি। ত্যাগী বলেন, “বিরোধীদের চিৎকার করতে দিন। বিষয়টা বিহারের উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বার্ষিক এক লাখ কোটি টাকার প্যাকেজ দেওয়া হচ্ছে আমাদের। এতে  আমাদের ভালোই হল।”

    তৃণমূলকে নিশানা

    তৃণমূলকেও নিশানা করেছেন জেডিইউয়ের (Bihar JDU) প্রধান মুখপাত্র। বলেন, “যখন একজন তৃণমূল নেতা কেন্দ্রের বাজেটকে ‘বিহার বাজেটে’র তকমা দেয়, তার অর্থ দাঁড়ায় বিহারকে স্পেশাল কেয়ার দেওয়া হয়েছে। স্পেশাল ক্যাটেগরি স্টেটাস পেলে প্রচুর কর্মসংস্থান হয়, তখন আর মাইগ্রেশন হয় না। সম্পত্তি হাত বদল হয় না। বদলে যায় না মানুষের ঠিকানা।” নীতীশের দলের এই মুখপাত্র বলেন, “আমাদের সব প্রকল্প, বিশেষ করে বিহারকে কলকাতা-অমৃতসর ইকনোমিক জোনের অংশ করায় এবং গয়ায় সদর দফতর হচ্ছে ঘোষণা করায় কর্মসংস্থান হবে।”

    প্রসঙ্গত, পূর্বের রাজ্যগুলির উন্নয়নকল্পে ‘পূর্বোদয়’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে কেন্দ্র। এই প্রকল্পেই বিহারের ব্যাপক উন্নতি হবে বলে আশাবাদী জেডিইউ। ত্যাগী বলেন, “আমরা একটি এয়ারপোর্ট এবং মেডিক্যাল কলেজেরও অনুমোদন পেয়েছি। সেগুলো কোথায় তৈরি হবে, তা ঠিক করবে রাজ্য সরকার। পাটনা-পূর্ণিয়া, বুদ্ধগয়া-বৈশালী এবং ভাগলপুর-বক্সার হাইওয়ে প্রজেক্টও আমরা পেয়েছি।”

    আরও পড়ুন: হিন্দুদের ‘স্বস্তিক’ ও নাৎসিদের ‘হুকড ক্রস’-এ রয়েছে বড় ফারাক, বলল আমেরিকা

    বাজেটে খুশি বিহারের মুখ্যমন্ত্রীও। নীতীশ বলেন, “আমি ওঁদের বলেছিলাম হয় আমাদের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দিতে হবে, নয়তো বিশেষ প্যাকেজ (Budget Allocation) দিতে হবে। এই বিশেষ প্যাকেজ দেওয়া শুরু হয়েছে (Bihar JDU)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paris Olympics 2024: প্যারিস অলিম্পিক্সে পর্যটকের সংখ্যা কমের আশঙ্কা! হোটেল ভাড়া ক্রমশ নিম্নমুখী

    Paris Olympics 2024: প্যারিস অলিম্পিক্সে পর্যটকের সংখ্যা কমের আশঙ্কা! হোটেল ভাড়া ক্রমশ নিম্নমুখী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৬ জুলাই অলিম্পিক্স গেমস প্যারিসে (Paris Olympics 2024) শুরু হওয়ার কথা, কিন্তু তার আগে হোটেল (Hotel Rent) ব্যবসায় বিরাট মন্দার ইঙ্গিত মিলেছে। শহরের পর্যটন বোর্ড প্যারিস জে টাইম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, রাজধানীতে অলিম্পিক্সের সপ্তাহে ১ কোটি ১৩ লক্ষ দর্শকদের সমাবেশ হবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যে শুধুমাত্র ১৫ লক্ষ দর্শকেদের নিশ্চয়তা পাওয়া গিয়েছে। ফলে হোটেল, ট্র্যাভেল, পর্যটন কেন্দ্রে বিপুল পরিমাণ ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। একটি রিপোর্টে কী বলেছে আসুন জেনে নিই।

    প্রত্যাশার ৮০% কম দর্শক (Paris Olympics 2024)!

    প্যারিসের (Paris-2024-Olympic) স্টেডিয়ামগুলিকে কেন্দ্র করে হোটেল, এয়ারলাইনস এবং ট্রাভেল এজেন্সিগুলির মধ্যে প্রবল আশার সঞ্চার হয়েছিল। স্পোর্টস ট্র্যাভেল ফার্ম ১৪ এসবির মালিক অ্যালান বাচন্দ বলেছেন, “অতীতে বড় প্রতিযোগিতা যেমন-সুপার বোল, ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ, অলিম্পিক্স-এর জন্য ব্যাপক চাহিদায় টিকিট বিক্রি করেছিলাম। চড়া মূল্যের টিকিট নিতে দর্শক মহলে ব্যাপক উত্তেজনা ছিল। আমরা ভালো প্যাকেজের ব্যবসা করেছিলাম। এই বারের বুকিং আগের অলিম্পিক্সে গেমগুলির তুলনায় প্রত্যাশার ৮০% কমে গিয়েছে। গত ২৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম আমরা ৩০ মাস আগে বুক করা হোটেল রুমকে কম টাকায় দিতে বাধ্য হচ্ছি। সাধারণ প্রতিযোগিতা শুরুর এক বছর আগে থেকেই যাওয়া-আসার টিকিট এবং হোটেল (Hotel Rent) বুকিং শুরু হয়। আমাদের হোটেলগুলিতে প্রতি রাতে খরচের মূল্য ছিল ১০০০ ডলার। যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৪০০ ডলারে।”

    ২৬ জুলাই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আর ঠিক তার আগে খুব কম সময় বাকি থাকায় হোটেলগুলি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। কম ভাড়া এবং ন্যূনতম থাকার প্রয়োজনীয়তাকে মাথায় রেখে ঝাঁ চকচকে বিলাসবহুল শহরের হোটেলগুলি পরিষেবা দিতে প্রস্তুতি শুরু করেছে। ওরসো হোটেলের ডিরেক্টর অফ অপারেশন গিলস লে ব্রাস বলেছেন, “ইউরোপে রেকর্ড পরিমাণে পর্যটকরা এই প্যারিসে আসেন। বছরে আন্তর্জাতিক দর্শক হিসাবে আমেরিকানদের আগমনে এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে ৮০০ বিলিয়ন টাকার অবদান থাকে। অন্যান্য প্যারিসের হোটেলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় আমরাও দাম কমাতে বাধ্য হচ্ছি। কারণ গত কয়েক মাস ধরে ক্রমাগত চাহিদা কমে গিয়েছে।”

    ২০১২, ২০১৬ সালের তুলনায় অনেক কম

    বুটিক গ্রুপের ফোর-স্টার রেটেড ওয়ালেস জানিয়েছেন, প্রতিদিন তাঁদের হোটেলের রুম ভাড়া ছিল প্রায় ৪৪৬ ডলার। এই স্থানটি অলিম্পিক্সের খেলার (Paris Olympics 2024) স্টেডিয়ামের কাছাকাছি উপস্থিত। এবার চাহিদা কমে যাওয়ায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই ভাড়া নির্ধারিত করা হয়েছে ৩৪০ ডলারে। আরেকটি চার-তারা হোটেল, ‘হোটেল ডেমি ডেস আর্ট’ যা ল্যাটিন কোয়ার্টারে অবস্থিত। ২৬ জুলাই থেকে ১১ আগস্টের মধ্যে যেকোনও দিন থাকার জন্য ১৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে।

    আবার ২৬ জুন প্রকাশিত কোস্টার-এর তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, প্রতিযোগিতা চলাকালীন প্যারিসের হোটেল বুকিং মাত্রা প্রায় ৮০%-এর কাছাকাছি ছিল। যা লন্ডনের ২০১২ এবং রিও-র ২০১৬ সালের হোটেল বুকিং ছিল গড়ে ৮৮.৬% এবং ৯৪.১%। এই বার প্যারিসে অনেক উল্লেখযোগ্যভাবে কম।

    আরও পড়ুনঃ হিন্দুদের ‘স্বস্তিক’ ও নাৎসিদের ‘হুকড ক্রস’-এ রয়েছে বড় ফারাক, বলল আমেরিকা

    দুর্দশা বিমান পরিষেবার সংস্থাতেও

    বিমানপরিষেবা সংস্থাগুলোও একই ধরনের দুর্দশার মধ্যে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। ১১ জুলাই, ডেল্টা এয়ার লাইনস ইনক অনুমান করে জানিয়েছে, এই বার ১০ কোটি ডলার লোকসানের সম্ভাবনা রয়েছে। মূল কারণ পর্যটকরা অলিম্পিক্সের (Paris Olympics 2024) সময় ফ্রান্সকে এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখনও অনেকগুলি টিকিট বিক্রি হয়নি। একই পরিস্থিতিতে রয়েছে এয়ারফ্রান্স লাইনেও। খেলার সময়ে মার্কিন শহরগুলি থেকে প্যারিসে যাওয়ার জন্য বিমানপরিষেবা ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। আবার মূল কোম্পানি এয়ার ফ্রান্স-কেএলএম এখনও পর্যন্ত জুলাই এবং আগস্ট মাসে কমপক্ষে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি ডলারের রাজস্ব ক্ষতির কথা জানিয়েছে। বহু টিকিট বিক্রি হয়নি, তাই টিকিটের দাম কমে গিয়েছে। আবার ব্যবসায়ী গিলবার্ট অট জানিয়েছেন, “নিউইয়র্ক, শিকাগো, আটলান্টা এবং এলএ-র মতো প্যারিসে বিমান পরিষেবা রয়েছে। এমন শহরগুলিতে প্যারিস অলিম্পিক্সের সময় জুলাইয়ের শেষের দিকে এবং আগস্টের মধ্যে এখনও চোয়াল-ড্রপিং রিওয়ার্ড ফ্লাইটের পরিষেবাও রয়েছে।”

    ট্র্যাক-এন্ড-ফিল্ড এবং সাঁতারের মতো সবচেয়ে কাঙ্খিত খেলাগুলিতে টিকিট বুকিং করার জন্য সাধারণত কয়েক মাস পরিকল্পনার প্রয়োজন হতো। কিন্তু হঠাৎ করে স্বতঃস্ফূর্ত পর্যটকদের চাহিদা কম হওয়ায় বিরাট প্রভাব পড়তে চলেছে। অ্যাথলিটদের পরিবার এবং বন্ধুরা কিছু কিছু বুকিং করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Women’s Asia Cup 2024: নেপালকে ৮২ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারতের মেয়েরা

    Women’s Asia Cup 2024: নেপালকে ৮২ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারতের মেয়েরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপে বিধ্বংসী মেজাজে নেপালকে ৮২ রানে হারিয়ে (India vs Nepal) সেমিফাইনালে উঠল ভারতীয় মেয়েরা। মঙ্গলবার এই ম্যাচে জয়ের মধ্য দিয়ে সেমিফাইনালে নিজেদের জায়গা পুরোপুরি নিশ্চিত করলেন স্মৃতি মন্ধানারা। অন্যদিকে ভারতের এই জয়ের সঙ্গে মেয়েদের এশিয়া কাপের (Women’s Asia Cup 2024) সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল পাকিস্তানও। 

    ভারতীয় দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্বে স্মৃতি মন্ধনা 

    এশিয়া কাপে (Women’s Asia Cup 2024) মঙ্গলবার ভারত-নেপাল ম্যাচ (India vs Nepal) হয়েছে শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলা শহরের রণগিরি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। নেপালের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ভারত। হরমনপ্রীত কৌর এই ম্যাচে খেলেননি। তাঁর জায়গায় দলকে নেতৃত্ব দেন মন্ধানা। মন্ধানার নেতৃত্বে শেফালি বর্মার সঙ্গে পাঠানো হয় দয়ালান হেমালতাকে। তাঁরা মিলে ১২২ রানের জুটি গড়েন। প্রথম উইকেট হিসেবে আউট হন হেমলতাই। ৪২ বলে ৪৭ রানে মূলত ইনিংস অ্যাঙ্কর করেন।

    আরও পড়ুন: অলিম্পিক্স ফুটবলের প্রথম দিনই মাঠে নামছে ইউরো জয়ী স্পেন ও কোপা আমেরিকা জয়ী আর্জেন্টিনা

    অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস শেফালির (Women’s Asia Cup 2024) 

    অন্যদিকে মেয়েদের এশিয়া কাপে একমাত্র সেঞ্চুরি হয়েছে দু-দিন আগেই। শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু ইতিহাস গড়েছেন। এদিনের ম্যাচেও হয়তো দ্বিতীয় সেঞ্চুরিয়ও পাওয়া যেত। বিধ্বংসী ব্যাটিং করছিলেন শেফালি ভার্মা। কিন্তু নেপালের বাঁ হাতি স্পিনার শর্ট লেন্থে বোলিং করেন, অফ স্টাম্পের বেশ কিছুটা বাইরে। শেফালি স্টেপ আউট করেছিলেন। বড় শট খেলার চেষ্টা করলেও বলের লাইন মিস হয়। তবে স্টাম্পিং মিস করেননি নেপালের কিপার। ফলে ৪৮ বলে ৮১ রানে খেলা শেষ করেন শেফালি। তিনি আউট হন ইনিংসের ১৬তম ওভারে। ফলে সেঞ্চুরির দুর্দান্ত সুযোগ মিস করে শেফালি।  
    উল্লেখ্য, এদিন নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট নিয়ে দ্রুত ম্যাচ (Women’s Asia Cup 2024) শেষ করাই টার্গেট ছিল ভারতীয় বোলারদের। যদিও নেপালকে অলআউট করতে পারেনি ভারত। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ৯৬ রান করে নেপাল। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে অভিজ্ঞ অফস্পিনার দীপ্তি শর্মা মাত্র ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন অরুন্ধতী রেড্ডি ও রাধা যাদব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Swastika: হিন্দুদের ‘স্বস্তিক’ ও নাৎসিদের ‘হুকড ক্রস’-এ রয়েছে বড় ফারাক, বলল আমেরিকা

    Swastika: হিন্দুদের ‘স্বস্তিক’ ও নাৎসিদের ‘হুকড ক্রস’-এ রয়েছে বড় ফারাক, বলল আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কী বলবেন একে? বিলম্বিত বোধোদয়? হয়তো তাই। তবে দেরিতে হলেও, শেষমেশ মার্কিনরা বুঝতে পেরেছেন সনাতনীদের ‘স্বস্তিকে’র (Swastika) সঙ্গে কী পার্থক্য রয়েছে নাৎসিদের ‘হ্যাকেনক্রেউজে’র। আমেরিকার (US) অরিগন ডিপার্টমেন্ট অফ এডুকেশন দুই প্রতীকের পার্থক্য খুঁজে বের করেছে। যার জেরে স্বস্তিতে জো বাইডেনের দেশের হিন্দুরা।

    ‘স্বস্তিক’ শব্দের অর্থ (Swastika)

    সনাতন ধর্মের সঙ্গে ‘স্বস্তিক’ চিহ্নের যোগ দেহের সঙ্গে আত্মার মতো। ‘স্বস্তিক’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ‘স্বস্তিক’ থেকে। যার অর্থ ‘মঙ্গলের জন্য সহায়ক’। ‘স্বস্তিক’ শব্দটিকে ভাঙলে দুটি শব্দ পাই। একটি ‘সু’, অন্যটি ‘অস্তি’। ‘সু’ মানে ‘ভালো’। ‘অস্তি’ শব্দের বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় ‘অস্তিত্ব’। তাই ‘স্বস্তিক’ শব্দটির মধ্যে সব ধর্মের মানুষেরই মঙ্গল বা কল্যাণ নিহিত রয়েছে। কেবল হিন্দু নয়, বৌদ্ধ এবং জৈন-সহ বিভিন্ন ধর্মে দেবত্ব ও আধ্যাত্মিকতার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয় এই চিহ্নটি। শুধু তাই নয়, কয়েকটি নেটিভ আমেরিকান ধর্ম এবং সংস্কৃতিতেও ‘স্বস্তিক’ চিহ্নের গুরুত্ব অপরিসীম।

    ‘স্বস্তিকে’র স্বীকৃতিতে খুশির হাওয়া

    এহেন একটি মঙ্গলের প্রতীককে জার্মানির নাৎসিদের প্রতীক ‘হ্যাকেনক্রেউজে’র সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছিলেন আমেরিকার নাগরিকরা। সেই কারণে আমেরিকায়ও অনেক ক্ষেত্রেই আড় চোখে দেখা হয় হিন্দুদের। তবে এবার বোধহয় ফুরোতে চলেছে সেই জমানা। সৌজন্যে, আমেরিকার অরিগন ডিপার্টমেন্ট অফ এডুকেশন। অফিসিয়ালি তারা স্বীকার করেছে, হিন্দুদের ‘স্বস্তিক’ এবং নাৎসিদের ‘হ্যাকেনক্রেউজে’র মধ্যে ফারাক রয়েছে বিস্তর। মার্কিন মুলুকে গড়ে উঠেছে হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশন। অরিগন ডিপার্টমেন্ট অফ এডুকেশনের এই স্বীকৃতিতে যারপরনাই খুশি তারা। তাদের বক্তব্য, এবার অন্তত মার্কিনরা পবিত্র একটি হিন্দু প্রতীককে (Swastika) মর্যাদা দেবে। গুলিয়ে ফেলবে না নাৎসিদের প্রতীকের সঙ্গে। এই সংগঠনের তরফেই সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় করা হয়েছে একটি পোস্ট। তাতে তারা আনন্দ প্রকাশের পাশাপাশি অরিগনে তাদের যারা সমর্থক রয়েছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে। ঐতিহাসিক এই জয় (স্বস্তিকের স্বীকৃতি) পেতে যে লড়াই তাঁরা করেছেন, সেজন্যও অভিনন্দন জানানো হয়েছে অরিগনে থাকা হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের সদস্যদের।

    স্বস্তিক ও ক্রসড হুডের ফারাক

    স্বস্তিক এবং ‘হ্যাকেনক্রেউজ’ – এই দুই প্রতীকের ক্ষেত্রে যে টার্ম ব্যবহার করা হয়, তার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে মার্কিন মুলুকের এই শিক্ষা দফতর। তারা সাফ জানিয়েছে, স্বস্তিকের সঙ্গে নাৎসিদের প্রতীকের পার্থক্য রয়েছে। ‘স্বস্তিক’ নাৎসিদের ব্যবহৃত ‘হুকড ক্রস’ (‘হ্যাকেনক্রেউজ’) নয়। ‘স্বস্তিকে’র মধ্যে নিহিত রয়েছে পবিত্রতা ও মঙ্গলের ধারণার বীজ। যা নেই ‘হুকড ক্রসে’।হিন্দুদের প্রতীক বনাম নাৎসিদের প্রতীকের এই যে পৃথকীকরণ, তার গুরুত্বও কিন্তু কম নয়। এতে কেবল ‘স্বস্তিকে’র পবিত্রতাই বজায় রইল না, দুই প্রতীকের পার্থক্য সম্পর্কেও সচেতন হবে আগামী প্রজন্ম। দুই প্রতীকের প্রকৃত অর্থ কী, তাও বুঝতে পারবেন মানুষ। মার্কিনদের একটা বড় অংশই ‘স্বস্তিক’কে ‘হুকড ক্রসে’র সঙ্গে গুলিয়ে ফেলে ঘৃণা এবং অসহিষ্ণুতার প্রতীক বলে মনে করত। এবার তাঁদের সেই ধারণাও ভেঙে যাবে। সম্মান করতে শিখবেন ‘স্বস্তিক’কে, ভারতীয় সংস্কৃতিকে। যে সংস্কৃতি কেবল হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টান নয়, সব ধর্মের মানুষের কল্যাণ কামনা করে। যে সংস্কৃতির মূল সুরই হল, ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’।

    আরও পড়ুন: ক্ষমা চাইতে বললেন রাহুলকে, নিট নিয়ে সুপ্রিম-নির্দেশের পরই বড় ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

    ‘স্বস্তিকে’র ‘বয়স’

    ‘স্বস্তিকে’র এই স্বীকৃতিতে আরও একটি উপকার হল বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা সনাতনীদের। দুই চিহ্নের মিল দেখে অনেকেই তাঁদের উগ্রপন্থায় বিশ্বাসী বলে মনে করত। এবার তাদেরও সেই ধারণা ভেঙে খান খান হয়ে যাবে। ‘স্বস্তিক’ (Swastika) কেবল মঙ্গলের প্রতীক নয়, সৌভাগ্যেরও প্রতীক, সমৃদ্ধির প্রতীক। হিন্দুদের ‘স্বস্তিক’ প্রতীকের জন্ম আজকে নয়। ৬ হাজার বছর আগেও পাহাড় এবং গুহাচিত্রে এই প্রতীকের দেখা পাওয়া যায়। এবং এই প্রতীকের শেকড় যে ভারতেই প্রোথিত, তাও প্রমাণিত হয় পুরাণাদি বিভিন্ন গ্রন্থের কল্যাণে। হিন্দুদের পবিত্র গ্রন্থ বেদেও উল্লেখ রয়েছে ‘স্বস্তিকে’র।

    বিশ্ববাসীর মঙ্গল কামনা করে, ‘স্বস্তিক’

    ‘স্বস্তিক’ কেবল যে মঙ্গল-কল্যাণ কিংবা সুখের প্রতীক তা নয়, সূর্য এবং ব্রহ্মকে বোঝাতেও এই প্রতীক ব্যবহার করা হয়। ‘স্বস্তিক’ শক্তির প্রতীক, আবার সৌভাগ্যের দেবতা গণেশেরও প্রতীক এই পবিত্র চিহ্ন। হিন্দু এবং জৈনরা হিসেবের নতুন খাতায়, বইয়ের প্রথম পাতায়, দরজা এবং ঠাকুরঘরে স্বস্তিক প্রতীক রাখেন। এতে কতটা মঙ্গল তাঁদের হয়, তা বলতে পারবেন (US) তাঁরাই। তবে এই প্রতীক যে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্ববাসীর মঙ্গল কামনা করে, ‘স্বস্তিকে’র (Swastika) অর্থই তার সব চেয়ে বড় প্রমাণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share