Tag: news in bengali

news in bengali

  • Paris Olympics 2024: আজ শুরু অলিম্পিক্স ফুটবল, নামছে ইউরো জয়ী স্পেন, কোপা জয়ী আর্জেন্টিনা

    Paris Olympics 2024: আজ শুরু অলিম্পিক্স ফুটবল, নামছে ইউরো জয়ী স্পেন, কোপা জয়ী আর্জেন্টিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে অপেক্ষার অবসান। প্যারিস অলিম্পিক্সের (Paris Olympics 2024) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে ২৬ জুলাই, শুক্রবার। তবে তার দুদিন আগেই ফুটবল (Olympic Football)-সহ কিছু খেলা চালু হয়ে যাচ্ছে। বুধবার প্রথম দিনেই মাঠে নামছে ইউরো কাপ জয়ী স্পেন এবং কোপা আমেরিকা জয়ী আর্জেন্টিনা। স্পেন খেলবে উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে। আর আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ মরক্কো। এবারের প্যারিস অলিম্পিক্সে ভারত থেকে অংশ নেবেন মোট ১১৭ জন প্রতিযোগী।

    কোন কোন দেশ অংশ নিচ্ছে? (Paris Olympics 2024) 

    আর্জেন্টিনার গ্রুপে রয়েছে মরক্কো, ইরাক এবং ইউক্রেন। স্পেনের গ্রুপে রয়েছে উজবেকিস্তান, মিশর এবং ডমিনিকান প্রজাতন্ত্র। ফ্রান্সের গ্রুপে রয়েছে আমেরিকা, গিনি এবং নিউ জিল্যান্ড। অপর গ্রুপটিতে রয়েছে জাপান, প্যারাগুয়ে, মালি এবং ইজরায়েল। ২০০৮ সালের পর অলিম্পিক্স ফুটবলে (Olympic Football) ফিরেছে আমেরিকা। আর্জেন্টিনা দলে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ জয়ী দলের চার জন খেলোয়াড় রয়েছেন। এঁরা হলেন জুলিয়ান আলভারেস, নিকোলাস ওটামেন্ডি, জেরোনিমো রুলি এবং থিয়াগো আলমাদা। অলিম্পিক্সের ফুটবলে মূলত অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলারেরাই খেলেন। সঙ্গে তিন জন সিনিয়র ফুটবলার খেলতে পারেন। এই নিয়মের কারণে আলভারেস, ওটামেন্ডি এবং রুলি অলিম্পিক্সে খেলতে পারছেন। সোনার দাবিদার মনে করা হচ্ছে আর্জেন্টিনাকেই। তবে স্পেন, ফ্রান্স এবং মরক্কোও জোর টক্কর দিতে পারে। 
    অলিম্পিক্সে (Paris Olympics 2024) ১৯০০ সাল থেকে চালু হয়েছে ফুটবল। অর্থাৎ ফুটবল বিশ্বকাপেরও আগে থেকে। তবে একচ্ছত্র আধিপত্য কোনও দেশেরই নেই। সর্বোচ্চ তিন বার করে সোনার পদক জিতেছে হাঙ্গেরি এবং গ্রেট ব্রিটেন। দুবার করে সোনা জিতেছে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, অবিভক্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং উরুগুয়ে। এ ছাড়া, অবিভক্ত যুগোশ্লাভিয়া, স্পেন, পোল্যান্ড, অধুনালুপ্ত পূর্ব জার্মানি, নাইজেরিয়া, পূর্বতন চেক প্রজাতন্ত্র, ফ্রান্স, ইটালি, সুইডেন, মেক্সিকো, বেলজিয়াম, কানাডা এবং ক্যামেরুন একটি করে সোনা জিতেছে।

    আরও পড়ুন: ক্ষমা চাইতে বললেন রাহুলকে, নিট নিয়ে সুপ্রিম-নির্দেশের পরই বড় ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

    সেজে উঠেছে প্যারিস

    উল্লেখ্য, গত কয়েকবছর ধরে ধীরে ধীরে সেজে উঠেছে প্যারিস। হাজারও বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে শুক্রবার অলিম্পিক্সের (Paris Olympics 2024)  গ্র্যান্ড ওপেনিং। জানা গিয়েছে, এবার প্রথম স্টেডিয়ামের বাইরে খোলা আকাশে হবে অলিম্পিক্সের উদ্বোধন। আইফেল টাওয়ারের পূর্ব দিক থেকে শেইন নদীতে ৬ কিলোমিটার জুড়ে চলবে এই অ্যাথলেটদের প্যারেড। নদীবক্ষে বোটে অংশ নেবেন ৬০০০-৭০০০ অ্যাথলেট। এই অনুষ্ঠান দেখতে পাবেন প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ। গ্র্যান্ড ওপেনিংয়ে একটি টিকিটের দাম ২৯০০ মার্কিন ডলার। অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করেছে ১৬টি দল। চারটি করে দল রেখে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি গ্রুপের শীর্ষস্থানীয় দুই দল যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। সেখান থেকে সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল। ব্রোঞ্জ পদক জয়ের ম্যাচও থাকছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Budget 2024: বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বাড়ল বরাদ্দ, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’য় জোর?

    Budget 2024: বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বাড়ল বরাদ্দ, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’য় জোর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট (Budget 2024) পেশ করল তৃতীয় মোদি সরকার। সংসদে বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এবারের বাজেটে সব চেয়ে বেশি বরাদ্দ প্রতিরক্ষা (Defence) মন্ত্রকে। প্রতিরক্ষায় দক্ষতা ও আত্মনির্ভরতা বাড়াতে নজিরবিহীনভাবে এদিন পেশ হওয়া বাজেটে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৬.২২ লাখ কোটি টাকা। এবারের বাজেটের মোট বরাদ্দের ১২.৯ শতাংশ। গত বাজেটের চেয়ে ৪.৭৯ শতাংশ বেশি।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বক্তব্য (Budget 2024)

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, বাজেট বরাদ্দের মধ্যে থেকে ১.৭২ লাখ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম অধিগ্রহণের জন্য। এর মধ্যে যেমন থাকবে অত্যাধুনিক এবং প্রাণঘাতী অস্ত্রশস্ত্র, তেমনি থাকবে যুদ্ধবিমান, জাহাজ, সাবমেরিন এবং ড্রোনও। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী যাতে যুদ্ধের জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকে, তা নিশ্চিত করতে, রক্ষণাবেক্ষণ ও অপারেশনাল প্রস্তুতির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৯২ হাজার ৮৮ কোটি টাকা। এ ক্ষেত্রে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে গত অর্থবর্ষের চেয়ে ৪৮ শতাংশ। বাজেট বরাদ্দের ১.০৫ লাখ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে দেশীয় সংস্থাগুলির থেকে বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য। এই উদ্যোগ ভারতের আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। অর্থনীতিবিদদের আশা, এতে একদিকে যেমন বাড়বে জিডিপি সংগ্রহ, তেমনি তৈরি হবে কর্মসংস্থানও।

    আরও পড়ুন: বাজেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদি, ভাষণে নিলেন যাদের নাম

    মেক ইন ইন্ডিয়া

    বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ায় খুশি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, “প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ((Budget 2024)) আত্মনির্ভরতা ও মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচি আরও গতি পাবে।” অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন ও সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার আধুনিকীকরণের জন্যই এই অর্থ ব্যয় করা হবে বলেও জানান তিনি। সীমান্ত এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বাজেটে। এজন্য বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনকে দেওয়া হয়েছে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা। উপকূলীয় নিরাপত্তা রক্ষায় ভারতীয় কোস্ট গার্ডের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৭,৬৫১.৮০ কোটি টাকা। কেবল দ্রুতগামী টহলদারি যান, বৈদ্যুতিন নজরদারি (Defence) ব্যবস্থার উন্নতি ও অস্ত্র সংগ্রহের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা (Budget 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • NEET-UG: নতুন করে আর নিট-ইউজি পরীক্ষা নয়, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট

    NEET-UG: নতুন করে আর নিট-ইউজি পরীক্ষা নয়, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন করে আর নিট-ইউজি (NEET-UG) পরীক্ষা নয়, এবার জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ২০২৪ সালের সর্বভারতীয় ডাক্তারি পরীক্ষা পুরোপুরি বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “রেকর্ডে থাকা নথিগুলি প্রশ্নপত্রের পদ্ধতিগত ফাঁসের ইঙ্গিত প্রকাশ করে না।”

    সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য (NEET-UG)

    সুপ্রিম কোর্টের নিট (NEET-UG) মামলার বিষয়ে রায় প্রদানের সময়ে বিচারকেরা এদিন মন্তব্য করেছেন, “গত ৫ মে ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় কিছু ত্রুটি ছিল। কিন্তু পরীক্ষা পরিচালনায় সামগ্রিক ভাবে পদ্ধতিগত লঙ্ঘন হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে পাওয়া নথি বিশ্লেষণ করে দেখার পর তা প্রমাণিত হচ্ছে না। ২৪ লাখ পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যতের কথা ভেবে নতুন করে নিট নেওয়ার আর দরকার নেই। কারণ পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হলে তা বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়বেন।” এই প্রসঙ্গে আবার প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) আরও বলেছেন, “ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ এবং বিহারের পাটনায় নিট ইউজির প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। যে চক্র এর পিছনে ছিল, তারা কিছু নথি পুড়িয়ে ফেলেছে। অভিযুক্তরা এখন সিবিআই হেফাজতে রয়েছে। এই প্রশ্ন ফাঁসের কারণে মোট ১৫৫ জন পরীক্ষার্থী লাভবান হয়েছে। তার মধ্যে ৩০ জন পাটনার এবং ১২৫ জন হাজারিবাগের।”

    আরও পড়ুনঃ বাজেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদি, ভাষণে নিলেন যাদের নাম

    এক সঙ্গে ৬৭ জন প্রথম নিটে!

    এবছর ৫ মে ৫৭১টি শহরের ৪ হাজার ৭৫০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা (NEET-UG) অনুষ্ঠিত হয়। ২৩ লাখেরও বেশি প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। কিন্তু ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে একসঙ্গে প্রথম স্থান অধিকার করেছে মোট ৬৭ জন পড়ুয়া। এরপর থেকেই ভূরি ভূরি অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে বিশেষ গ্রেসমার্কসের অভিযোগও তোলা হয়। এই নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nikhil Lemo: ওষুধ খেতে ভুলে গিয়েছেন? চিন্তা নেই, মনে করিয়ে দেবে রোবট

    Nikhil Lemo: ওষুধ খেতে ভুলে গিয়েছেন? চিন্তা নেই, মনে করিয়ে দেবে রোবট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনে হয়তো দশ-বিশটা ওষুধ খেতে হয়। মনেও থাকে না সব সময়। তাই কোনও ওষুধ হয়ত দুবার খাওয়া হয়ে গেল। কোনওটা হয়ত আবার খাওয়াই হল না। নিট ফল, ব্যাধির বিকার বেড়েই চলল। কষ্টার্জিত পয়সা ধ্বংসের পাশাপাশি রোগীরও আর রোগ আরোগ্য হয় কই? তবে এবার আর এসব নিয়ে ভাবতে হবে না আপনাকে। কারণ আবিষ্কার হয়ে গিয়েছে ‘মেডিটেল’ (Meditel) নামের একটি পুচকে রোবট। আবিষ্কারকও যে কেউকেটা, তা কিন্তু নয়। মেডিটেল যার ব্রেন চাইল্ড, সে (Nikhil Lemo) পড়ে একাদশ শ্রেণিতে, গুজরাটের ভাদোদরার নবরচনা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।

    নিখিল লেমোর আবিষ্কার (Nikhil Lemo)

    নয়া আবিষ্কৃত এই যন্ত্রের একটা জুতসই নামও দিয়েছে নিখিল লেমো নামের ওই পড়ুয়া। মানবযন্ত্রটির নাম মেডিটেল। তার দাদু-ঠাকুমাকে সাহায্য করার কথা ভাবতে গিয়ে জন্ম হয় মেডিটেলের। যেহেতু এই যন্ত্রমানব ওষুধ খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেয়, তাই তার নামেই রয়েছে মেডিসিনের গন্ধ। নিখল বলে, “আমি দেখেছিলাম, প্রায়ই ওষুধ খেতে ভুলে যায় আমার দাদু-ঠাকুমা। তখনই মাথায় আসে, এমন একটা অ্যালার্ম সিস্টেম তৈরি করতে হবে, যা বাজলেই মনে পড়ে যাবে ওষুধ খাওয়ার কথা।” একাদশ শ্রেণির এই পড়ুয়া জানায়, তার একটি খাতার শেষ পৃষ্ঠায় একটা ডুডল ছিল। বিজ্ঞান মেলায় যোগ দেবে বলে বারংবার সে ডুডলটি দেখছিল। এর পরেই মাথায় চলে আসে মেডিটেলের আইডিয়া। মেডিটেলের (Meditel) ‘বাবা’ বলে, “ একটি বিজ্ঞান মেলায় যোগ দেওয়ার শর্ত হিসেবে আমাদের নতুন কিছু করে নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। তখনই ডুডল এবং আমার দাদু-ঠাকুমার সমস্যার কথাটা মাথায় চলে আসে। ব্যাস, জন্ম নিল মেডিটেল।”

    কী বলছে খুদে বিজ্ঞানী?

    এই খুদে বিজ্ঞানী (Nikhil Lemo) বলে, “আপনাদের তো বললামই যে প্রথমে আমি একটা অ্যালার্ম সিস্টেম বানাব ভেবেছিলাম। পরে ভাবলাম, ওষুধ খাওয়ার সময় না হয় মনে করিয়ে দিল অ্যালার্ম। ওষুধও না হয় হাতের কাছে রয়েছে। কিন্তু, জল! সেটা তো কাউকে এনে দিতে হবে। নয়তো নিজেকে গিয়ে আনতে হবে। দ্বিতীয় অপশনটা বয়স্কদের ক্ষেত্রে বেশ সমস্যার। তাই তাঁরা ওষুধ খাবেন কী করে?” এই ভাবনা থেকেই নিখিল এই ডিভাইসের সঙ্গে একটি জলের বোতলও জুড়ে দিল। ভেলক্রো দিয়ে সেটা জোড়া হল ডিভাইসের সঙ্গে। এতেই কেল্লাফতে। যন্ত্রমানব যেমন রোগীকে তাঁর ওষুধ খাওয়ার কথাটা মনে করিয়ে দেবে, তেমনি এগিয়ে দেবে জলও। এর পর আর ওষুধ না খেয়ে থাকেন কী করে রোগী?

    মেডিটেলের কাজ

    মেডিটেলের আবিষ্কর্তা বলে, “মেডিটেল প্রতিদিন ছ’টা পর্যন্ত ওষুধ খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেবে রোগীকে। সকালে না রাতে, জলখাবারের আগে না পরে, বিকেলে টিফিনের আগে না পরে, নাকি লাঞ্চ কিংবা ডিনারের পরে কখন খেতে হবে ওষুধ, তা মনে করিয়ে দেবে এই যন্ত্র।” একাদশ শ্রেণির এই পড়ুয়ার বক্তব্য, মেডিটেলের যন্ত্রাংশ জোগাড় করা এবং ডিভাইসগুলোকে এক জায়গায় করা এক জিনিস। আর কোডিং করে অ্যালার্ম সিস্টেমটাকে ঠিকঠাক করানোটা আর এক জিনিস। দ্বিতীয়টা চ্যালেঞ্জিং। সে বলে, “স্ক্র্যাচ করে আমি এ পর্যন্ত যতগুলো মডেল বানিয়েছি, এটা সেগুলোর মধ্যে প্রথম হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: বাজেটে কর্মসংস্থানে ৩ প্রকল্পের ঘোষণা সীতারামনের, জানুন বিশদে

    ইউনিসেফের স্বীকৃতি

    নিখিলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তার মেন্টর মুকেশ বিন্দ। তিনি বলেন, “২০১৯ সালে বিশ্ব রোবট অলিম্পিয়াডের সময় নিখিলের সঙ্গে আমার দেখা হয়। পরে সে আমার কাছে রোবটিক্স শিখতে শুরু করে। আমাদের একটা সেশনের সময় যে এমন একটা ডিভাইস তৈরির ইচ্ছে প্রকাশ করেছিল, যেটা তার দাদু-ঠাকুমাকে ওষুধ খেতে সাহায্য করবে।” গত নভেম্বরে নিখিলের (Nikhil Lemo) মেডিটেল পায় ইউনিসেফের স্বীকৃতি। তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত ডেভিড বেকহ্যাম স্বয়ং। বেকহ্যামের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হওয়ায় যারপরনাই খুশি খুদে বিজ্ঞানী। তবে সে যে ইউনিসেফের কাছে প্রকল্পটি পাঠায়নি, তাও জানিয়েছে নিখিল। বলে, “আমি কখনওই ইউনিসেফের কাছে আবেদন করিনি। গুজরাট ইউনিভার্সিটির ইনকিউবেশন সেন্টার আয়োজিত অন্য একটি প্রতিযোগিতায় আবেদন করেছিলাম। তারাই আমার প্রকল্প পাঠিয়েছিল ইউনিসেফে।”

    মেডিটেলের অপার সম্ভাবনা

    গুজরাট ইউনির্ভাসিটি স্টার্টআপ অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিউরশিপ কাউন্সিলের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সানিয়াম ছাজেদ বলেন, “মেডিটেলের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।” তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, মেডিটেলের (Meditel) মতো একটি ডিভাইস তার ছোট আকার ও সহজ ব্যবহারযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য বয়স্কদের কাছে একটি যুগান্তকারী পণ্য বলে পরিগণিত হবে (Nikhil Lemo)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Expensive City: বিশ্বের সবচেয়ে দামি শহর হংকং, সব থেকে সস্তা ইসলামাবাদ, কলকাতা কত নম্বরে?

    Expensive City: বিশ্বের সবচেয়ে দামি শহর হংকং, সব থেকে সস্তা ইসলামাবাদ, কলকাতা কত নম্বরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি আর্থিক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি শহর (Expensive City) হল হংকং। সবচেয়ে সস্তার শহর হল পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ। মোট ২২৬টি মহানগরীর জীবন ধারণের খরচের তুলনামূলক হিসেব তুলে ধরা হয়েছে এই রিপোর্টে। আবার ভারতের সব থেকে সস্তার শহর বলা হয়েছে কলকাতাকে (Kolkata)। সমীক্ষায় কী বলছে আসুন জেনে নিই।

    বিশ্বের কোন শহর কোথায় (Expensive City)?

    আর্থিক সমীক্ষা সংস্থা মারসর প্রকাশিত ‘কস্ট অব লিভিং সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৪’ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০টি প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এবং চারটি আরও মাপকাঠির বিচারে সবথেকে বেশি খরচ করতে হয় চিনের হংকং শহরে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ—পূর্ব এশিয়ার সিঙ্গাপুর এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশ সুইৎজারল্যান্ডের জুরিখ। এরপর ক্রমে রয়েছে জেনেভা, বাসেল, বার্ন, নিউ ইয়র্ক, লন্ডন, বাহামাসের নাসাউ এবং লস অ্যাঞ্জেলেস। খরচের তুলনামূলক পরিসংখ্যান তুলে ধরে রিপোর্টে জানা গিয়েছে বিশ্বের সব থেকে সস্তার শহর ইসলামাবাদ। তার উপরে রয়েছে আফ্রিকার দেশ নাইজিরিয়ার দুটি শহর লাগোস এবং আবুজা। পাকিস্তানের বেহাল আর্থিক পরিস্থিতির জন্য এই অবস্থা এসে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ বাজেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদি, ভাষণে নিলেন যাদের নাম

    কলকাতা শহর ২০৭ নম্বরে

    আবার ‘কস্ট অব লিভিং সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৪’ অনুযায়ী ভারতের সবচেয়ে দামি শহর (Expensive City) মুম্বই। এই শহর হল ভারতের আর্থিক রাজধানী। বিশ্বের মোট ২২৬টি শহরের তালিকায় মহারাষ্ট্রের রাজধানীর স্থান রয়েছে ১৩৬ নম্বরে। তারপরে দেশের রাজধানী দিল্লি ১৬৫ নম্বর স্থানে। এছাড়াও, চেন্নাই শহর রয়েছে ১৮৯ নম্বরে, বেঙ্গালুরু রয়েছে ১৯৫ নম্বরে, হায়দরাবাদ রয়েছে ২০২ নম্বরে এবং পুণের স্থান ২০৫ নম্বরে। তালিকায় ভারতের মধ্যে সবচেয়ে কম খরচের শহর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে কলকাতাকে (Kolkata)। বিশ্বের ২২৬টি শহরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের এই রাজধানীর স্থান রয়েছে ২০৭ নম্বরে। তবে এই মান বিচার করা হয়েছে শহরের আবাসন, পরিবহণ, খাদ্য, পোশাক এবং বিনোদনকে মাথায় রেখে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • WhatsApp: হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হতে  লাগবে না কোনও ফোন নম্বর, শীঘ্রই আসছে নতুন ফিচার

    WhatsApp: হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হতে লাগবে না কোনও ফোন নম্বর, শীঘ্রই আসছে নতুন ফিচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) ওয়েব ক্লায়েন্টে নতুন বৈশিষ্ট্য যুক্ত করতে চলেছে। এবার থেকে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের যে কোনও ওয়েব ব্রাউজারে ব্যবহার করা যাবে। কোনও ফোন নম্বর ছাড়াই লগ ইন করা যাবে। ইতিমধ্যেই এই প্ল্যাটফর্মে মেটা, এআই, চ্যাটবট-এর পরিষেবা উপলব্ধ করেছে। শীঘ্রই এবার মেসেজিং অ্যাপে লোকেদের নম্বর নিরাপদ রাখতে একটি নতুন গোপনীয় বিকল্প ফিচারকে সংযুক্ত করবে। এতে ব্যবহারকারীদের অনাবশ্যক তথ্য চুরির ভয় থাকবে না।

    পরীক্ষার কাজ চলছে (WhatsApp)

    তবে হোয়াটসঅ্যাপের এই নতুন বৈশিষ্ট্যটি এখনও ক্রমবিকাশের স্তরে রয়েছে। আরও নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য কাজের জন্য হোয়াটসঅ্যাপকে (WhatsApp) কীভাবে ব্যবহার করা যায় সেই প্রচেষ্টা নিরন্তর চলছে। পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সফল হওয়ার পরই তা বাস্তবায়ন হবে বলে জানা গিয়েছে। অনেকে মনে করেন, হোয়াটসঅ্যাপে খুব বেশি অনুপ্রবেশ ঘটার আশঙ্কা থাকে। কারণ, তাঁদের ফোন নম্বর ব্যবহার করেই অনেকে তাঁদের পৌঁছে যেতে পারেন এই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। ফলে একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় যদি কেউ নম্বর জানে এবং এরপর হোয়াটসঅ্যাপে ঢুকে পড়ে। তাই এবার থেকে মেসেজিং অ্যাপে ব্যবহারকারীর নাম যুক্ত করার বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। ফলে ফোন নম্বরের বিনিময়ের উপর কেবল সবটা নির্ভর করবে না। আর তাই শীঘ্রই হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব সংস্করণ করে এই বিষয়ে নতুন ফিচার যুক্ত করা হবে।

    আরও পড়ুনঃ স্ক্রিন শেয়ারিংয়ের সময় অডিও সাপোর্ট মিলবে হোয়াটসঅ্যাপে, জানেন এর সুবিধা?

    আইডি গঠন করার কথা বলবে

    ব্যবহারকারীদের কাছে একটি বার্তা থাকবে, আর সেখানেই হোয়াটসঅ্যাপের এই বৈশিষ্ট্যটির উদ্দেশে ব্যাখ্যা স্বরূপ লেখা থাকবে, “যে কোনও বন্ধু এবং পরিবার, এই ব্যবহারকারীর নাম ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপেের (WhatsApp) সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারবে।” যাদেরকে ব্যবহারকারী নিজের তালিকায় যোগ করতে চায়, এই বৈশিষ্ট্য নিশ্চিত করবে যে মোবাইল নম্বর বিনিময় না করেই এবার থেকে অ্যাপে যুক্ত করা যাবে। ব্যবহারকারীর নাম একাধিক হতে পারে, তাই সম্ভবত হোয়াটসঅ্যাপ এবার থেকে অ্যাকাউন্টের জন্য একটি আইডি গঠন করার কথা বলবে। বৈশিষ্ট্যটি এখনও চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি। তবে পরিকল্পনাগুলি ঠিকঠাক থাকলে, আমরা আগামী সপ্তাহগুলিতে নয়া ফিচার লক্ষ্য করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

        

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kamala Harris: প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে আত্মবিশ্বাসী কমলা! উৎসবের প্রস্তুতি শুরু তামিলনাড়ুতে

    Kamala Harris: প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে আত্মবিশ্বাসী কমলা! উৎসবের প্রস্তুতি শুরু তামিলনাড়ুতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চড়ছিল উত্তেজনা। কে হতে চলেছেন ডেমোক্র্যাটদের তরফে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী, রবিবার থেকেই এ সব নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড় থেকে জো বাইডেন সরে দাঁড়ানোয় ডেমোক্র্যাট শিবিরের নতুন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে তিনি প্রস্তাব করেছেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের (Kamala Harris) নাম। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী (Us President Candidate) হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সমর্থন অর্জন করে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে বলেন, ”আমাদের দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সমর্থন অর্জন করতে পেরে আমি গর্বিত।” 

    কমলা হ্যারিসের প্রতিশ্রুতি (Kamala Harris) 

    কমলা হ্যারিসের নাম দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনায় উঠে আসছিল। অবশেষে এই নিয়ে মুখ খুললেন এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন রাজনীতিবিদ। তাঁর প্রতিশ্রুতি, ”আগামী কয়েকমাসের মধ্যে আমেরিকার বিভিন্ন শহরে পৌঁছে যাব। সকলের সঙ্গে কথা বলব। দল এবং দেশকে এককাট্টা করতে উদ্যোগ নেব। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করবই।” 

    আরও পড়ুন: প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতের রফতানি ছাড়াল ২০০ বিলিয়ন! ৮০০ বিলিয়ন বার্ষিক লক্ষ্যে পৌঁছাতে আত্মবিশ্বাসী সরকার

    কমলার জন্য তামিলনাড়ুতে শুরু উৎসব 

    যদিও দলের তরফে এখনও পর্যন্ত সিলমোহর পড়েনি, তবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলার (Kamala Harris) ‘দেশের বাড়ি’ তামিলনাড়ুর তুলাসেন্দ্রপুরমে বাঁধ ভাঙতে শুরু করেছে উচ্ছ্বাস। বাইডেনের সরে দাঁড়ানো ও কমলার নাম প্রস্তাব হতেই ওয়াশিংটন থেকে প্রায় ১৩ হাজার কিলোমিটার দূরের এই প্রত্যন্ত গ্রাম কোমর বাঁধছে আসন্ন ‘উৎসবের’ জন্য। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, যদি কমলা নির্বাচনে জিতে যান এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট (Us President Candidate) হন, তা হলে আরও বড় করে উদ্‌যাপন করা হবে। 
    উল্লেখ্য, আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলার দাদুর জন্ম এই গ্রামে। কমলার (Kamala Harris) যখন পাঁচ বছর বয়স, তখন এক বার এই গ্রামে এসেছিলেন তিনি। দাদুর হাত ধরে ঘুরেছেন চেন্নাইয়ের সমুদ্র সৈকতেও। যদিও আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনি আর এই গ্রামে পা রাখেননি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mashco Piro: সভ্যতার আলো এখনও পৌঁছায়নি ‘মাশকো পিরো’ উপজাতির কাছে, এই প্রথম ছবি প্রকাশ্যে এলো

    Mashco Piro: সভ্যতার আলো এখনও পৌঁছায়নি ‘মাশকো পিরো’ উপজাতির কাছে, এই প্রথম ছবি প্রকাশ্যে এলো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর প্রায় সকল আদিম উপজাতিগুলি সভ্যতার স্পর্শ পেয়েছে। কিন্তু আন্দামানের জারোয়াদের মতো বেশ কিছু উপজাতি এখনও সভ্যতার আলো থেকে দূরেই থাকতে চায়। ঠিক এমন একটি উপজাতি হল পেরুর আমাজন জঙ্গলের গভীরে বসবাসকারী ‘মাশকো পিরো’ (Mashco Piro)। ইতিপূর্বে আগে কোনও দিন তাদের ছবি তোলা যায়নি। তারা হল সভ্যতার সঙ্গে বিছিন্ন সব থেকে বড় উপজাতি গোষ্ঠী। বর্তমান সময়ে ‘সারভাইভাল ইন্টারন্যাশনাল’ নামে এক আদিবাসী অধিকার গোষ্ঠীর ক্যামেরায় এই লোকজনদের বিরল ছবি ধরা পড়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি নদীর তীরে ঘোরফেরা করছে তারা।

    কেন অস্তিত্ব সঙ্কটে (Mashco Piro)?

    এই ছবিকে ঘিরে আদিবাসী (Tribe) অধিকার গোষ্ঠীর কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ছবির মধ্যে দিয়ে এই মাশকো পিরো উপজাতিদের (Mashco Piro) শরীর এবং স্বাস্থ্য কতটা সুস্থ, তা নিয়ে একটা উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তাদের জঙ্গলের বাইরে বেরিয়ে আসার কারণ হিসাবে মনে করা হচ্ছে, এলাকায় অধিক পরিমাণে গাছ কাটা। নিজেদের ঘরবাড়ি, ভিটে-মাটি ছেড়ে দূরে সরে চলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে এই উপজাতির লোকজনকে। খাদ্য এবং নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য তাদের বার বার স্থান পরিবর্তন করতে হচ্ছে। ফলে তাদের স্বাস্থ্যের ওপর দারুণ প্রভাব পড়েছে। ‘সারভাইভাল ইন্টারন্যাশনাল’ জানিয়েছে যে এই ছবিগুলি এই বছরের জুন মাসে তোলা হয়েছিল। স্থানটি হল ব্রাজিলের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পূর্ব পেরুর মাদ্রে দি দিওসের একটি নদীর তীর। এই সংস্থার নির্দেশক ক্যারোলিন পিয়ার্স বলেছেন, “এই উপজাতি হল মাশকো পিরো, তারা এখনও সভ্যতার আলো থেকে বঞ্চিত। যেখানে এই ছবি তোলা হয়েছে সেখানেই দেখা গিয়েছে পাশে গাছ কাটা চলছে। আর এই জন্য তাদের বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে। অবশ্য এই ছবি তোলার আগে ৫০ জনের একটি দলকে ইয়িন উপজাতির একটি গ্রামের কাছে দেখা গিয়েছিল। ১৭ জনের আরও একটি দলকে দেখা গিয়েছিল পুয়ের্তো নুয়েভোর নিকটবর্তী এক গ্রামে।”

    আরও পড়ুনঃ অশান্তি আটকাতে আরও কঠোর হবে বাংলাদেশ সরকার, জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    ৫৩০০০ হেক্টর জঙ্গলে গাছ কাটার ছাড়পত্র

    অনেক আগে থেকেই মাদ্রে দি দিওসের দুটি সংরক্ষিত জঙ্গলের মধ্যে মাশকো পিরো (Mashco Piro) বসবাস করে থাকে। কিন্তু এই জঙ্গলগুলিতে কাঠ কাটার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। কাঠ বহনের জন্য ট্র্যাক চলাচলের নিমিত্ত ২০০ কিমি রাস্তাও নির্মিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মাদ্রে দি দিওসের ৫৩০০০ হেক্টর জঙ্গলে, সেডার, মেহগিনি কাঠ কাটার জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এরফলেই এই ‘মাশকো পিরো’-দের (Mashco Piro) ওপর সঙ্কট তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই উপজাতিরা (Tribe) বাইরের লোক দেখলেই পালিয়ে যায়, তাই তাদের এতদিন পর্যন্ত কোনও ছবি তোলা সম্ভবপর হয়নি।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Budget 2024: কৃষিক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ল বাজেটে, কত হল জানেন?

    Budget 2024: কৃষিক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ল বাজেটে, কত হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারও বাজেটে (Budget 2024) কৃষিক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই পেশ হল তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট। বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ২০২৪-২৫ সালের বাজেটে কৃষি ও কৃষির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়িয়ে (Farm Allocation Hike) দেওয়া হল ১২ লাখ কোটি টাকা। গত অর্থবর্ষে এর পরিমাণ ছিল ১.১৪ লাখ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষে সেটাই বেড়ে হল ১.৫২ লাখ কোটি টাকা।

    কী বললেন সীতারামন? (Budget 2024)

    বাজেট পেশ করে সীতারামন জানান, আগামী দু’বছরে সারা দেশে এক কোটি কৃষককে প্রাকৃতিক চাষে উৎসাহিত করা হবে। ডাল এবং তৈলবীজ উৎপাদনে স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রী জানান, সর্ষে, চিনাবাদাম, তিল এবং সয়াবিনের মতো তৈলবীজের জন্য আত্মনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, “এই বাজেটের (Budget 2024) ফোকাস হবে ১০৯টি নয়া উচ্চ ফলনশীল, ৩২টি ক্ষেত্রে জলবায়ু সহনশীল জাত এবং উদ্যান ফসলের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে গবেষণা ও জলবায়ু সহনশীল জাতগুলির বিকাশ।

    ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাকস্ট্রাকচার

    কৃষিক্ষেত্রে ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাকস্ট্রাকচার রূপায়নেও কাজ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্বে কেন্দ্র কৃষক ও তাঁদের জমির রেকর্ডকে তিন বছরের মধ্যে এই পরিকাঠামোর অন্তর্ভুক্ত করতে সাহায্য করবে। এই ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাকস্ট্রাকচার ব্যবহার করে খারিফ শস্যের ক্ষেত্রে ডিজিটালি শস্য উৎপাদনের পরিমাণ সার্ভে করা হবে। দেশের ৪০০টি জেলায় এটা করা হবে। জমি রেজিস্ট্রিতে নিয়ে আসা হবে ছ’কোটি কৃষক এবং তাঁদের জমির যাবতীয় বিবরণ।

    আরও পড়ুন: বাজেটে কর্মসংস্থানে ৩ প্রকল্পের ঘোষণা সীতারামনের, জানুন বিশদে

    এদিকে, ‘কিষান সম্মান নিধি’ প্রকল্পে বাড়ল অনুদানের পরিমাণও। এতদিন এই প্রকল্পে কৃষকরা পেতেন বছরে ৬ হাজার টাকা করে। দুহাজার টাকা বাড়ানোয় এবার থেকে তাঁরা পাবেন বার্ষিক ৮ হাজার টাকা করে। চারটি সমান কিস্তিতে দেওয়া হবে এই অর্থ। ফান্ডিংয়ের গেরোয় পড়ে কৃষক যাতে বিপদে না পড়েন এবং তাঁদের আর্থিকভাবে সাবলম্বী করতে এই অনুদানের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে বলে অর্থমন্ত্রক সূত্রে খবর। এতদিন এই প্রকল্পের সুবিধা পেতেন ১৪ কোটি কৃষক। এবার বাড়ানো হয়েছে আরও দুকোটি। সব মিলিয়ে এবার থেকে এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন ১৬ কোটি কৃষক। কেন্দ্রীয় অনুদানের এই টাকা (Farm Allocation Hike) সরাসরি চলে আসবে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে (Budget 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Budget 2024: বাজেটে কর্মসংস্থানে ৩ প্রকল্পের ঘোষণা সীতারামনের, জানুন বিশদে

    Budget 2024: বাজেটে কর্মসংস্থানে ৩ প্রকল্পের ঘোষণা সীতারামনের, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মসংস্থান (Employment) নিয়ে বড় ঘোষণা তৃতীয় মোদি সরকারের বাজেটে (Budget 2024)। মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ঘোষণা করেন, এক মাসের বেতন দিয়ে আর্থিক সহায়তা থেকে শুরু করে উৎপাদন ক্ষেত্রে নয়া কর্মসংস্থান এবং ভাতারও। প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেজের অংশ হিসেবেই সরকার রূপায়ন করবে এই তিন প্রকল্প। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, প্রকল্পগুলি কী কীঃ

    স্কিম এ – ফার্স্ট টাইমার’ (Budget 2024)

    ‘ফার্স্ট টাইমার’ স্কিমটি হল, প্রথমবার যাঁরা চাকরি করতে আসবেন, তাঁদের জন্য। এই প্রকল্প অনুযায়ী, ইপিএফওতে নাম নথিভুক্ত হলেই এক মাসের বেতন বাবদ ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। বেতনের ওই টাকা দেওয়া হবে তিনটি কিস্তিতে। প্রতি মাসে যাঁদের বেতন এক লাখ কিংবা এক লাখ টাকার মধ্যে, তাঁরাও সুবিধা পাবেন এই প্রকল্পের। এতে ২১০ লাখ যুবক উপকৃত হবেন বলে আশাবাদী কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

    স্কিম বি – উৎপাদন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান

    সীতারামন (Budget 2024) বলেন, এই স্কিমটি প্রথমবারের কর্মীদের কর্ম সংস্থানের সঙ্গে যুক্ত উৎপাদন খাতে অতিরিক্ত কর্মসংস্থানকে উৎসাহিত করবে। কর্মজীবনের প্রথম চার বছর তাঁদের ইপিএফও কন্ট্রিবিউশনের ক্ষেত্রে কর্মী এবং তাঁর নিয়োগ কর্তা দু’পক্ষকেই একটি নির্দিষ্ট স্কেলে ইনসেনটিভ দেওয়া হবে। সীতারামনের আশা, এই প্রকল্পে উপকৃত হবেন প্রথমবার চাকরিতে যোগ দেওয়া ৩০ লাখ যুবক ও তাঁদের নিয়োগ কর্তারা।

    আরও পড়ুন: নামমাত্র সুদে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত শিক্ষা ঋণ, বাজেটে বিশেষ ঘোষণা নির্মলার

    স্কিম সি – সাপোর্ট টু এমপ্লয়ার্স

    এটি একটি এমপ্লয়ার-ফোকাসড স্কিম। সমস্ত ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কর্মসংস্থানে সহায়তা করবে এই প্রকল্প। এই প্রকল্পে সমস্ত অতিরিক্ত কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে, যাঁদের মাসিক বেতন এক লাখ টাকা কিংবা তার মধ্যে, তাঁরাই পাবেন এই প্রকল্পের সুবিধা। সরকার নিয়োগ কর্তাদের প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত দেবে। টাকা মিলবে দু’বছর পর্যন্ত। ইপিএফওতে তাঁদের কনট্রিবিউশনের জন্যই এই টাকাটা দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, “এই স্কিম (Budget 2024) ৫০ লাখ মানুষের অতিরিক্ত কর্মসংস্থানকে উৎসাহিত করবে বলে আশা করা যায়।” দেশের তরুণ প্রজন্মকে কর্মদ্যোগী করাই অন্যতম মূল লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণেই পদক্ষেপ (Employment) কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share