Tag: news in bengali

news in bengali

  • BJP Resolution: রাম মন্দির নির্মাণের মধ্যে দিয়েই শুরু হল রাম রাজ্যের, পাশ রেজলিউশন

    BJP Resolution: রাম মন্দির নির্মাণের মধ্যে দিয়েই শুরু হল রাম রাজ্যের, পাশ রেজলিউশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হল বিজেপির দু’ দিন ব্যাপী জাতীয় কনভেনশন। অযোধ্যার রাম মন্দির নিয়ে এই কনভেনশনেই পাশ হল রেজলিউশন (BJP Resolution)। রাম মন্দির নির্মাণের মধ্যে দিয়েই শুরু হল রাম রাজ্যের, যা চলবে হাজার বছর ধরে। এই মর্মেই জোর দেওয়া হয়েছে এই রেজলিউশনে।

    রাম মন্দির

    রেজলিউশনে বলা হয়েছে, ভগবান রামের জন্মস্থান অযোধ্যায় রামের জন্মস্থানে নয়নাভিরাম রাম মন্দির গঠন করা হয়েছে। মন্দিরটি ভগবান রামকে উৎসর্গ করা হয়েছে। এটি জাতির একটি গৌরবজনক অধ্যায়। রাম মন্দির নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। রেজলিউশনে এও বলা হয়েছে ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে ভগবান শ্রী রাম এবং রামায়নের সীতার একটি বিশেষ জায়গা রয়েছে। আমাদের সংবিধানও যে রাম রাজ্যের ধারণা থেকে প্রাণিত হয়েছে, তারও উল্লেখ করা হয়েছে এই রেজলিউশনে।

    গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ

    এই রেজলিউশনেই (BJP Resolution) বলা হয়েছে, সংবিধানে যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও বিচারের ধারণা রয়েছে, তা মিলেছে ওই রাম রাজ্যের ধারণা থেকে। সংবিধানের যে আসল কপি, তাতেও ভগবান শ্রী রাম, মা সীতা এবং লক্ষ্ণণজির লঙ্কা জয় করে অযোধ্যায় ফিরে আসা, এসবেরই প্রেরণা রয়েছে সংবিধানের মৌলিক অধিকারের নেপথ্যে। রেজলিউশনে এও বলা হয়েছে, রাম রাজ্যের ধারণা থেকেই প্রাণিত হয়েছেন মহাত্মা গান্ধী। এটিই প্রকৃত গণতন্ত্রের এপিটোম।

    আরও পড়ুুন: “ভারতের সমালোচনা নয়, প্রশংসা করা উচিত”, বললেন জয়শঙ্কর

    চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের। এদিনই মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হয় বালক রামের মূর্তি। এই মন্দির নির্মাণের সিংহভাগ ক্রেডিটই বিজেপি নেতাকর্মীরা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। অযোধ্যার রাম মন্দির দর্শন করতে আসতে যাতে দর্শনার্থীদের কোনও অসুবিধা না হয়, সেজন্য তৈরি করা হয়েছে বিমানবন্দর। ঢেলে সাজানো হয়েছে অযোধ্যা রেলস্টেশনকেও। প্রতিদিন ৫০-৫৫ হাজার দর্শানার্থী আসছেন মন্দির দর্শনে। এই মন্দির উদ্বোধনের সময়ও বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছিল, সংবিধানেই রয়েছে রাম রাজ্যের ধারণা। পদ্ম শিবিরের বিশ্বাস, সেই রাম রাজ্যই প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে (BJP Resolution)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “ভারতের সমালোচনা নয়, প্রশংসা করা উচিত”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “ভারতের সমালোচনা নয়, প্রশংসা করা উচিত”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একাধিক অপশন থাকায় ভারতের সমালোচনা করা উচিত নয়।” শনিবার কথাগুলি বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ভারতের বিদেশনীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এই জবাব দেন বিদেশমন্ত্রী।

    মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স

    মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে জার্মানি গিয়েছেন জয়শঙ্কর। সেখানে এক প্যানেল ডিশকাসনে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও জার্মানির বিদেশমন্ত্রী আন্নালেনা বেরবক। সেখানে জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করা হয়, কীভাবে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য ও আমেরিকার সঙ্গে একই সঙ্গে জোট বজায় রাখতে পারছে নয়াদিল্লি? উত্তরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “এটা কি কোনও সমস্যা? কেন এটাকে কোনও সমস্যা হিসেবে দেখা হবে? আমি যদি একাধিক বিষয় সামলে নিতে পারি, তাহলে তো আপনার আমাকে সম্মান জানানো উচিত।” তিনি বলেন, “আজকের দিনে কোনও দেশের কাছেই এমন প্রত্যাশা করা উচিত নয়, যে তারা একমাত্রিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলবে।”

    জয়শঙ্করের জবাব

    ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনে রাশিয়ার পাশে না দাঁড়িয়েও কীভাবে সে দেশ থেকে অপরিশোধিত তেল কিনছে ভারত? এর উত্তরে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “এটা কেন কোনও সমস্যা হবে? আমি যথেষ্ট স্মার্ট, আমার কাছে একাধিক অপশন রয়েছে। এটাকে শ্রদ্ধা করা উচিত, সমালোচনা করা নয়। এটা কি অন্য কারও কোনও সমস্যা হতে পারে? আমার তো মনে হয় না।” এই সময় হাসতে দেখা যায় ব্লিঙ্কেনকে। জয়শঙ্কর বলেন, “আমাদের দেশের ওপর কী কী চাপ রয়েছে, সেগুলি আমরা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি। একমাত্রিক সম্পর্ক রাখা এ যুগে বড্ড কঠিন।”

    আরও পড়ুুন: শিবু গ্রেফতারে খুশির হাওয়া সন্দেশখালিতে, ফ্রিতে মিষ্টি-চা বিতরণ

    ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমি আপনাকে চাই না, এমনকি অসাবধানতাবশতও। এই ধারণাও দিতে চাই না যে আমরা সৎভাবে ট্রানজেকশনাল। আমরা তেমন নই। আমরা মানুষের সঙ্গে থাকি। আমরা কাজে বিশ্বাসী, কোনও কিছু ঘটলে আমরা তা শেয়ারও করি। কিন্তু এমন সময়ও আসে, যখন আপনি বিভিন্ন জায়গায় রয়েছেন, উন্নয়নের বিভিন্ন স্তর রয়ছে, অভিজ্ঞতাও ভিন্ন ভিন্ন। আসলে জীবন হল জটিল, প্রত্যেকের জীবন আলাদা আলাদা।” তিনি বলেন, “যারা ভালো বন্ধু তারা তাদের পছন্দগুলো জানিয়ে দেয়। আর যারা স্মার্ট বন্ধু, তারা এর কিছু পছন্দ গ্রহণ করে (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Russian Opposition Leader Dead: রাশিয়ার জেলে মৃত্যু পুতিন বিরোধী নেতার, কারণ কী জানেন?

    Russian Opposition Leader Dead: রাশিয়ার জেলে মৃত্যু পুতিন বিরোধী নেতার, কারণ কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের আগে রাশিয়ার জেলে মৃত্যু পুতিন বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনির (Russian Opposition Leader Dead)। বয়স হয়েছিল সাতচল্লিশ বছর। রাশিয়ার প্রিজন সার্ভিসের তরফে এ খবর মিলেছে। ডিসেম্বরেই নাভালনি নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন বলে খবর ছড়িয়েছিল। এখন এল মৃত্যুর খবর। আর্কটিক পেনাল কোলোনিতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

    অচৈতন্য হয়ে পড়েন নাভালনি

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে নানা সময় মুখর হয়েছিলেন নাভালনি। রাশিয়ার কারা বিভাগের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার জেলেই অসুস্থ বোধ করেছিলেন নাভালনি। তার আগে হাঁটছিলেন তিনি। হঠাৎই অচৈতন্য হয়ে পড়েন। জরুরি ভিত্তিতে তলব করা হয় মেডিক্যাল স্টাফদের। কিন্তু নাভালনিকে বাঁচানো যায়নি। নাভালনির মুখপাত্র কিরা ইয়ারমিস বলেন, “তিনি যে বেঁচেছিলেন (অচৈতন্য হওয়ার সময়), সে আশা ছিল না।”

    রাশিয়ার কারাগারে বন্দি

    একুশের জানুয়ারি মাস থেকে রাশিয়ার কারাগারে বন্দি ছিলেন পুতিন-বিরোধী (Russian Opposition Leader Dead) এই নেতা। গ্রেফতারির আগে পুতিন সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন তিনি। এ নিয়ে প্রচারও করেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পুতিনের কড়া সমালোচনাও করেছিলেন নাভালনি।  

    ক্রেমলিন বিরোধী বিক্ষোভের নেতৃত্বও দেন। তার পরেই উগ্রপন্থার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আদালত তাঁকে ১৯ বছরের কারাদণ্ড দেয়। ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার প্রিজন সার্ভিস নাভালনির মৃত্যুর সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছেন রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালি গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শিবু

    পুতিন বিরোধী নেতার জেলবন্দি দশায় মৃত্যুতে ফুঁসছে তামাম বিশ্ব। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, “এই ঘটনার জন্য পুতিনই দায়ী। পুতিন সরকারের দুর্নীতি, হিংসা এবং সব খারাপ কাজের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন অ্যালিক্সি। তাই তাঁকে মরতে হল। তাঁর মৃত্যুর জন্য পুতিন দায়ী। একমাত্র পুতিন দায়ী।” কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও বলেন, “এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল পুতিন কতদূর যেতে পারেন। রাশিয়ার মানুষের স্বাধীনতার পক্ষে যিনিই কথা বলতে চাইবেন, তাঁকে থামানোর জন্য যে কোনও পর্যায়ে নামতে পারেন পুতিন। গোটা বিশ্বের আরও একবার মনে পড়ে গেল, পুতিন ঠিক কত বড় (Russian Opposition Leader Dead) রাক্ষস।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শিবু

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শিবু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident)  গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শিবু হাজরা। তৃণমূলের আর এক নেতা পলাতক শেখ শাহজাহানের সাগরেদ ছিল শিবু। শনিবার ন্যাজাট থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সন্দেশখালিকাণ্ডে গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার ধারা যোগ করেছে পুলিশ। তাতে নাম রয়েছে শিবু ও বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দারের। মামলা রুজু হয়েছে খুনের চেষ্টার ধারায়ও। আগেই গ্রেফতার হয়েছিল উত্তম। এদিন ধরা পড়ল শিবুও।

    শাহজাহান কোথায়?

    তবে শনিবার সন্ধে পর্যন্ত শাহজাহানের টিকি ছুঁতে পারেনি পুলিশ। বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান বলেন, “ন্যাজাট থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে শিবপ্রসাদকে (ডাক নাম শিবু। এই নামেই সবাই চেনেন শিবপ্রসাদকে)। রবিবার তাঁকে হাজির করানো হবে আদালতে।” শনিবারই আদালতে সন্দেশখালির এক বধূর গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে শিবু ও উত্তমের বিরুদ্ধে (Sandeshkhali Incident) গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয় পুলিশ। এর পরেই বসিরহাটের পুলিশ জানিয়ে দেয়, কাউকে ছাড়া হবে না। এর পরে পরেই সাংবাদিক বৈঠক করে একই কথা বলেন রাজ্য পুলিশের ডিআইজি রাজীব কুমার। এরই কিছুক্ষণ পরে গ্রেফতার করা হয় শিবুকে।

    শিবুর গুণপনা

    তৃণমূল নেতা শিবুর গুণপনার শেষ নেই। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ এই নেতা স্থানীয়দের জমি দখল করে ভেড়ি বানিয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে লিজের টাকা দিত না। তৃণমূল নেতা হওয়ায়, তাকে কেউ ঘাঁটাতেও সাহস পেতেন না। স্থানীয়দের অভিযোগ, তৃণমূলের বৈঠকের অছিলায় গ্রামের সুন্দরী মহিলাদের কখনও তৃণমূল পার্টি অফিসে, কখনওবা নিজের খামারবাড়িতে নিয়ে যেত শিবু। কেউ যেতে না চাইলে বাড়িতে সাদা থান পাঠিয়ে দিত। শিবুর ডাকে মহিলারা উপস্থিত হলে কিছুক্ষণ পার্টির কর্মসূচি নিয়ে কথা হত। পরে বাছাই করা (অভিযোগ, যাঁকে যেদিন মনে ধরত শিবুর) কয়েকজনকে থেকে যেতে বলত শিবু ও তার অনুগামীরা। তারপর তাঁদের ওপর হত নির্যাতন।

    আরও পড়ুুন: ফের ভাঙছে কংগ্রেস! বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন সপুত্র কমল নাথ?

    ৭ ফেব্রুয়ারির শিবুদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন সন্দেশখালির মহিলারা। ভাঙচুর করা হয় তৃণমূলের তৎকালীন অঞ্চল সভাপতি উত্তমের বাড়ি। শিবুর বাগানবাড়ি ও মুরগির খামারও ভাঙচুর করা হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় মুরগির খামারে (Sandeshkhali Incident)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “আমার শিশুকে ছুড়ে ফেলেছিল পুলিশই!” বিস্ফোরক সন্দেশখালির সেই মহিলা

    Sandeshkhali: “আমার শিশুকে ছুড়ে ফেলেছিল পুলিশই!” বিস্ফোরক সন্দেশখালির সেই মহিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে যে বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর কোল থেকে তাঁর শিশুকে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে, তাঁর বাড়িতে গেলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। শনিবারই ওই বাড়িতে (Sandeshkhali) মেডিক্যাল টিম পাঠানোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে।

    কী বললেন চেয়ারপার্সন?

    কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস বলেন, “ওঁরা খুব ভয়ে ভয়ে রয়েছেন। বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না। আমরা শিশুটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ওঁরা যেহেতু বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না, তাই খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি দেখতে বলেছি। ওঁদের বাড়িতে নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আমরা আমাদের ব্যক্তিগত ফোন নম্বর দিয়ে এসেছি ওঁদের। প্রতিদিন সকালে ফোন করে খবর নেব বলে জানিয়েছি।”

    পুলিশে ভরসা নেই!

    তুলিকার কথায় (Sandeshkhali) যে শিশুটির পরিবার বিশেষ ভরসা পাচ্ছেন না, তা স্পষ্ট তার মায়ের কথায়ই। তিনি বলেন, “আমি ওদের বিশ্বাস করতে পারছি না। যারা আমার বাচ্চাকে ফেলে দিয়েছে, তারা কী তদন্ত করবে?” তিনি বলেন, “আমরা ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছি না। কমিশনের লোকজন চলে গেলে কী হবে? সব কথাই কমিশনের লোকজনকে জানিয়েছি।” ঘটনার সঙ্গে কারা যুক্ত এদিন তাদের ছবি কমিশনের সদস্যদের দেখান ওই মহিলা।

    আরও পড়ুুন: “মমতা দু-তিনজন ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করেন না”, তোপ দিলীপের

    কী বলেছেন ওই মহিলা?

    সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে ওই বিজেপি কর্মীর দিদি বলেন, “ওরা আমার ভাইকে খুন করবে বলে রাত তিনটের সময় তুলে নিয়ে যেতে এসেছিল পুলিশ-প্রশাসন সঙ্গে নিয়ে। ওদের দলে ২৫-৩০ জন ছিল। আমার ভাই বিজেপি করে বলে হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশের কাছে কী অভিযোগ জানাব? পুলিশ তো নিজেই ছিল এখানে। সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জ থানার বড়বাবুরা ছিলেন। শিশুটিকে পুলিশ নিজেই ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। তৃণমূলের লোকজন আমাদের তুলে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দিচ্ছে।” শিশুটির (Sandeshkhali) মা বলেন, “মুখে কালো কাপড় বেঁধে পুলিশ এসেছিল। স্বামীর নাম ধরে ডাকছিল। দরজা না খোলায় গালাগালি করেছিল। সন্দেশখালি থানার একজন আধিকারিক ছিল। ওরা আমার কোল থেকে বাচ্চাটাকে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল। আমার চুলের মুঠি ধরে টেনেছিল। এক পুরুষ পুলিশ কর্মী তো আবার আমার নাইটি ধরেও টেনেছিল।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “মমতা দু-তিনজন ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করেন না”, তোপ দিলীপের

    Dilip Ghosh: “মমতা দু-তিনজন ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করেন না”, তোপ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু-তিনজন ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করেন না।” শনিবার সকালে দিল্লির উড়ান ধরার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে কথাগুলি বললেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

    প্রসঙ্গ: বালুর মন্ত্রীত্ব

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রায় তিন মাস আগে গ্রেফতার করা হলেও, মন্ত্রীত্ব কেড়ে নেওয়া হয় শুক্রবার। এ প্রসঙ্গেই দিলীপ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু-তিনজন ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করতে পারেন না। উনি ভাবছেন যদি বেল পেয়ে যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এসে আবার মন্ত্রী হবেন। আবার কাকে করবেন, সে কি করবে, সে থাকবে না চলে যাবে এই চিন্তা-দুশ্চিন্তায় তিনি কাউকে দায়িত্ব দেন না।” বিজেপির এই সাংসদ (Dilip Ghosh) বলেন, “কেষ্ট জেলে থাকলেও পদে থাকেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলে থাকলেও মন্ত্রী থাকেন। এটা তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ করার ধরন।”

    প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি

    সন্দেশখালিকাণ্ডের জেরে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছে জাতীয় এসসি কমিশন। এ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেখানে পৌঁছেছে এবং টিএমসির লোকজন যেভাবে অত্যাচার করছে এর থেকে বাঁচার কোন রাস্তা নেই। যে সরকার মানুষকে সুশাসন দেবে তারা যদি লুটপাট, খুনখারাপি করে তাহলে মানুষের যাওয়ার রাস্তা থাকে না। প্রত্যেকে এখান থেকে মুক্তির রাস্তা খুঁজছেন। কেউ রাজ্যপালের কাছে যাচ্ছেন, কেউ রাষ্ট্রপতির কাছে যাচ্ছেন, কেউ কোর্টে যাচ্ছেন। দেখা যাক কোন রাস্তাটা ঠিক থাকে।”

    প্রসঙ্গ: আধার কার্ড বাতিল 

    পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে একাধিক ব্যক্তির আধার কার্ড বাতিল প্রসঙ্গে বিজেপির এই সাংসদ বলেন, “অনেক জায়গায় চিঠি এসেছে। আমরা জানি, পশ্চিমবঙ্গে বহু ধরনের কার্ড আছে যেগুলি ভুয়ো। রেশন কার্ড, আধার কার্ড, জবকার্ড লক্ষ লক্ষ, একটা-দুটো নয়, ৬২ লক্ষ রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে। সাড়ে ১৪ লক্ষ জবকার্ড আছে যেটা ভুয়ো, আধার কার্ড ভুয়ো। যাদের কাছে নথি নেই তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে, বাতিলও করছে। এ ব্যাপারে অথরিটি সঙ্গে যোগাযোগ করুন যাঁরা সমস্যায় পড়ছেন।”

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির অশান্তির আবহে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী! মার্চের প্রথম সপ্তাহে বারাসতে সভা?

    আধার কার্ড বাতিলকে বিজেপির চক্রান্ত বলে দাবি তৃণমূলের। এদিন সে প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “শাসক দল যদি বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়ে এসে, অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে এসে জোর করে আধার কার্ড বানিয়ে দেয়, নথি ছাড়া ভোটার লিস্টে নাম তুলে দেয়, তারা তো ভোটার হতে পারে না। সরকারের দায়িত্ব আছে বিদেশিদের আলাদা করা এবং দেশে ফেরত পাঠানো।”

    প্রসঙ্গ: কোথায় শাহজাহান

    শিবু হাজরা গ্রেফতার না হওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “শিবু হাজরা বলুন বা শেখ শাহজাহান প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সবাই জানে কে কোথায় রয়েছেন। মিডিয়াকে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন কিন্তু পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না। কারণ পুলিশ ওঁদের বাঁচিয়ে রেখেছে, পুলিশই ওঁদের তৈরি করেছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: কেন্দ্রের তলব উপেক্ষা করতে পারেন না রাজীব কুমাররা, মত বিশেষজ্ঞদের

    Sandeshkhali Incident: কেন্দ্রের তলব উপেক্ষা করতে পারেন না রাজীব কুমাররা, মত বিশেষজ্ঞদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali Incident) জেরে রাজ্য প্রশাসনের ৫ শীর্ষকর্তাকে তলব করেছে লোকসভার স্বাধিকার কমিটি। তলব করা হয়েছে— রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী, বসিরহাটের পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষকে। সেই ডাকে তাঁরা সাড়া দেবেন কিনা, তা এখনও জানা যায়নি। বিশেষজ্ঞদের সিংহভাগের মতে, লোকসভার স্বাধিকার কমিটির এই ডাক উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। রাজ্যের যেসব শীর্ষ কর্তাদের তলব করা হয়েছে, তাঁরা আইএএস কিংবা আইপিএস হওয়ায় কিছুটা হলেও টিকি বাঁধা থাকে কেন্দ্রের কাছে।

    স্বাধিকার কমিটি

    তাই লোকসভার স্বাধিকার কমিটির ডাক অমান্য করলে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে পারে কেন্দ্র। প্রবীণ আধিকারিকদের মতে (Sandeshkhali Incident), লোকসভার স্বাধিকার কমিটির ক্ষমতা অসীম। তারা শাস্তির সুপারিশও করতে পারে। এই সুপারিশের গুরুত্বও অপরিসীম। প্রবীণ আধিকারিকদের মতে, সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। ঘটনার দায় যে প্রশাসনিক কর্তারা এড়াতে পারেন না, দিল্লির ডাকেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

    লোকসভা নির্বাচন

    দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গেলেই প্রশাসন চলে যাবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তাই সেক্ষেত্রে বিপদে পড়তে পারেন দিল্লিতে তলব পাওয়া প্রশাসনিক কর্তারা। অতীতে নির্বাচনে এ রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনিক শীর্ষ কর্তাদের একাংশকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নজিরও রয়েছে। গত পাঁচ জানুয়ারি থেকে ফি সপ্তাহের আইনশৃঙ্খলা রিপোর্ট প্রতিটি জেলাকে পাঠাতে হচ্ছে দিল্লির নির্বাচন কমিশনে। সেই রিপোর্টের মাধ্যমে কমিশন আঁচ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কতটা সক্রিয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন।

    আরও পড়ুুন: মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘোষণা লোকসভা ভোট! রাজ্যে নোডাল অফিসার নিয়োগ কমিশনের

    মাঝ-এপ্রিলে লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। ৪ মার্চ এ রাজ্যে আসছে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। পরের দিন বেঞ্চের সদস্যরা বৈঠক করবেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে। তার আগে হবে সর্বদল বৈঠক। ৬ মার্চ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা। এমতাবস্থায় প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের যেভাবে তলব করেছে দিল্লি, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন প্রশাসনের (Sandeshkhali Incident) অনেকেই।

    তৃণমূলের পলাতক নেতা শেখ শাহজাহানের দলবলের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন স্থানীয় মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, সুন্দরী মহিলাদের রাতে ডেকে পাঠানো হত পার্টি অফিসে। তার পর চলত নির্যাতন। অভিযোগ পেয়ে সন্দেশখালিতে যেতে গিয়ে বাধা পান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদেরও বাধা দেওয়া হয় সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) যেতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে শিশু নিগ্রহের ঘটনায় পদক্ষেপ জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে শিশু নিগ্রহের ঘটনায় পদক্ষেপ জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে শিশু নিগ্রহের ঘটনায় পদক্ষেপ করল জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। যে শিশুটিকে কেন্দ্র (Sandeshkhali) করে এই অভিযোগ, তার চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করার নির্দেশও কমিশন দিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসককে। ওই শিশু ও তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

    কমিশনের নির্দেশ

    পরিবারটিকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে কমিশন। যারা একাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিশনকে জানাতে হবে, প্রশাসন কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে। জেলাশাসকের কাছে রিপোর্টও তলব করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ করেছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন।

    শিশুটির পরিবারে হামলা

    প্রসঙ্গত, ১০ ফেব্রুয়ারি (Sandeshkhali) একদল দুষ্কৃতী পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ওই শিশুটির পরিবারে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর চালানো হয় বাড়িঘরে। হেনস্থা করা হয় শিশুটির মাকে। মায়ের কোল থেকে শিশুটিকে ছিনিয়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলা হয় বলেও অভিযোগ। শিশুটির মা বলেন, “আমার কোলেই ছিল বাচ্চা। আমার হাতের কাছে ধরে টানাটানি করছিল ওরা। বাচ্চাটা কোলে ছিল। তাকে ফেলে দিয়েছে। আমার বাচ্চার বয়স সাত মাস।” কমিশনের মতে, এতে শিশুটির অধিকার খর্ব হয়েছে। কমিশনের এই পদক্ষেপের পাশাপাশি শুক্রবারই জাতীয় এসসি কমিশন রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট পেশ করে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি করেছে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সন্দেশখালি গিয়েই ছাড়ব’’, রাজভবনে রিপোর্ট দিল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম

    এদিনই সকালে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা। এই দলে অগ্নিমিত্রা পাল এবং সুনীতা দুগ্গল ছাড়াও ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক প্রমুখ। রামপুর এলাকায় তাঁদের পথ আগলায় পুলিশ। এনিয়ে দু পক্ষে বচসা শুরু হয়। বিজেপির তরফে পাঁচজনকে যেতে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। অভিযোগ, তাতে কর্ণপাত করেনি পুলিশ। এর পরেই ওই এলাকায় রাস্তার ওপর বসে পড়েন বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা। তাঁদের তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। বেশ কিছুক্ষণ পরে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন বিজেপির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সটান চলে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে (Sandeshkhali)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     

      

  • PM Modi: “যাঁরা রামকে কাল্পনিক বলতেন, তাঁরাই জয় সিয়ারাম বলছেন”, বললেন মোদি

    PM Modi: “যাঁরা রামকে কাল্পনিক বলতেন, তাঁরাই জয় সিয়ারাম বলছেন”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যাঁরা ভগবান রামকে কাল্পনিক বলতেন, তাঁরাই এখন জয় সিয়ারাম বলছেন।” শুক্রবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন হরিয়ানার রেউড়িতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি নিশানা করেন কংগ্রেসকে। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ এবং এক পদ এক পেনশন নীতির প্রসঙ্গও উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে।

    ‘তাঁরাও এখন সিয়ারাম গাইছেন’

    তিনি বলেন, “দেশ চেয়েছিল অযোধ্যায় রামের একটি মন্দির নির্মাণ হোক। আজ গোটা দেশ দেখছে, মনোরম রাম মন্দিরে বসে রয়েছেন রামলালা। কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা যাঁরা ভাবতেন রাম একটি কাল্পনিক চরিত্র, যাঁরা কোনওদিনই চাইতেন না রাম মন্দির নির্মাণ হোক, তাঁরাও এখন সিয়ারাম গাইছেন।” দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। এদিন প্রধানমন্ত্রী তারই প্রচার শুরু করলেন রেউড়ি থেকে। মনে রাখতে হবে, ২০১৩ সালে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে এখানেই প্রথম সভা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই এদিন সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। বক্তৃতা শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) রেউড়িতে ৯ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার একাধিক প্রজেক্টের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন তিনি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কিছুক্ষণ আগেই আমার সুযোগ হয়েছিল হরিয়ানায় ১০ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্টের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করার। এর মধ্যে রেউড়ি এইমসও রয়েছে। রয়েছে নয়া রেল লাইন, মেট্রো লাইন এবং একটি মিউজিয়াম। ভগবান রামের ইচ্ছেয় আমি এখন বিভিন্ন জায়গায় এসব পবিত্র কর্মের সঙ্গে যুক্ত হতে পারছি।” আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ ৪০০ আসন পাবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সন্দেশখালি গিয়েই ছাড়ব’’, রাজভবনে রিপোর্ট দিল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম

    তিনি বলেন, “যদি জি২০ সম্মেলন সফল হয়, তার কারণ আপনাদের আশীর্বাদ। যেখানে কেউ এখনও যেতে পারেনি, চাঁদের সেই দক্ষিণ মেরুতেও প্রথম পা রেখেছি আমরা। এসবই হয়েছে আপনাদের আশীর্বাদে। গত দশ বছরে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় এগারো নম্বর স্থান থেকে পাঁচে উঠে এসেছে ভারত। আমার তৃতীয় টার্মে আপানাদের আশীর্বাদে দেশকে আমি ওই তালিকার তিন নম্বরে নিয়ে যাব।” কংগ্রেসকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “যারা ইন্ডি জোটটাই ঠিকঠাক করে গড়ে তুলতে পারল না, তারা দেশ চালাবে!”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali: ‘‘সন্দেশখালি গিয়েই ছাড়ব’’, রাজভবনে রিপোর্ট দিল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম

    Sandeshkhali: ‘‘সন্দেশখালি গিয়েই ছাড়ব’’, রাজভবনে রিপোর্ট দিল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশি বাধায় সন্দেশখালি (Sandeshkhali) না গিয়েই কলকাতায় ফিরতে হল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যদের। এর পরেই তাঁরা সটান চলে যান রাজভবনে। বিজেপির এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল, হরিয়ানার সিরসার সাংসদ সুনীতা দুগ্গলও। শুক্রবার সুনীতা বলেন, “আমরা শুনতে পাচ্ছি যে আমাদের সঙ্গে যে মহিলারা কথা বলেছেন, তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এরকম প্রতিটি ঘটনার রিপোর্ট আমরা দেব মহামহিমকে।” তিনি বলেন, “আমরা শুনতে পেলাম, যে মহিলারা ভিডিও কলে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাঁদের এখন মারধর করছে পুলিশ।” এ ব্যাপারে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছে পুলিশ।

    ১৪৪ ধারা

    আদালতের নির্দেশে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থেকে। কয়েকটি পকেটে অবশ্য এখনও জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। এদিন সকালে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা। এই দলে অগ্নিমিত্রা এবং সুনীতা ছাড়াও ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক প্রমুখ। রামপুর এলাকায় তাঁদের পথ আগলায় পুলিশ। জানিয়ে দেয়, জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। এনিয়ে দু’পক্ষে বচসা শুরু হয়। বিজেপির তরফে পাঁচজনকে যেতে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। অভিযোগ, তাতে কর্ণপাত করেনি পুলিশ।

    প্রতিবাদ বিজেপির 

    এর পরেই ওই এলাকায় রাস্তার ওপর বসে পড়েন বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা। তাঁদের তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। তৃণমূল বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। বেশ কিছুক্ষণ পরে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন বিজেপির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সটান চলে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে। রাজভবনে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় বিজেপির ওই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের তরফে। অগ্নিমিত্রা বলেন, “সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করি। রামপুরে আটকে দেয়। রাজ্যপালকে বলি। উনিও দুঃখিত। আমরা উচ্চ আদালতে বিষয়টি জানাব। সন্দেশখালি গিয়ে ছাড়ব। যাঁদের ওপর অত্যাচার করেছে, তাঁদের সঙ্গে দেখা করবই। পুলিশ এখন রক্ষক নেই। পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে।”

    আরও পড়ুুন: কেন দলে দলে কংগ্রেস ত্যাগ করছেন নেতারা? আসল কারণ খোলসা করলেন মোদি

    প্রসঙ্গত, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি মামলায় সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির আধিকারিকরা। তার পরেই গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। এবার শাহজাহানের দলবলের বিরুদ্ধে মহিলাদের রাতে ডেকে নির্যাতন করা হত বলে অভিযোগ। তার জেরেই তপ্ত হয়ে রয়েছে সন্দেশখালি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share