Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ration Scam: রেশনকাণ্ডে চতুর্থ গ্রেফতার, ইডি-র জালে শঙ্কর-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ

    Ration Scam: রেশনকাণ্ডে চতুর্থ গ্রেফতার, ইডি-র জালে শঙ্কর-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় (Ration Scam) আরও একজনকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বুধবার সকালে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ‘ডাকু’ শঙ্কর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসকে গ্রেফতার করেছে ইডি (ED Arrests Businessman)। এই নিয়ে রেশনকাণ্ডে মোট গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়াল চার। এর আগে গ্রেফতার হয়েছেন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুকে। তাঁর সূত্রে ধরে ধরা হয় বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকুকে। এ বার শঙ্করের ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীকে ধরল ইডি। 

    রাতভর জেরার পর গ্রেফতার

    মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ, সল্টলেকে বিশ্বজিতের প্রাসাদোপম বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। একইসঙ্গে মেট্রোপলিটন এলাকায় তাঁর আরও একটি ফ্ল্যাট, বাগুইআটির অফিস-সহ ৬টি জায়গায় চলে তল্লাশি। তবে তখন ব্যবসায়ী কলকাতার বাইরে ছিলেন। বিকেলে বিমানে কলকাতা পৌঁছলে তাঁকে বিমানবন্দরেই আটক করেন ইডির গোয়েন্দারা (Ration Scam)। নিয়ে যাওয়া হয় বাড়িতে। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। তদন্তকারীদের দাবি, বিভ্রান্তিকর জবাব দিয়ে তদন্তকে বিপথে চালনা করার চেষ্টা করছিলেন বিশ্বজিৎ। এমনকী তথ্য গোপন করেন তিনি। এর পরই, তদন্তে অসহযোগিতা এবং বক্তব্যে অসঙ্গতি থাকার জেরে এদিন সকালে গ্রেফতার (ED Arrests Businessman) করা হয়েছে ব্যবসায়ীকে। সেই সঙ্গে ধৃত ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ হাওয়ালা-সংক্রান্ত নথি উদ্ধার হয়েছে বলেও দাবি তদন্তকারী সংস্থার। 

    কীভাবে হত টাকা-পাচার?

    শঙ্করকে গ্রেফতারের পর আদালতে ইডি জানিয়েছিল, ৯০টির বেশি ফরেক্স বা বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের সংস্থা রয়েছে শঙ্কর এবং তাঁর পরিবারের। ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা তিনি বিদেশে লেনদেন করা হয়েছে। ইডি গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন, মধ‌্যপ্রাচ‌্য থেকে মূলত বাংলাদেশ হয়ে পাচার হওয়া সোনার বিস্কুট বা সোনার বাটের একটি বড় অংশ এসে পৌঁছয় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ও তার আশপাশের অঞ্চলে (Ration Scam)। ওই সোনা পাচারের অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ ছিল শঙ্কর আঢ‌্যর হাতে। অভিযোগ, সোনা পাচারকারীদের মাধ‌্যমে শঙ্করই বনগাঁ থেকে ওই সোনা কখনও ট্রেন, আবার কখনও বা সড়কপথে পাচার করতেন কলকাতায়। সেই সোনা তাঁরই এক আত্মীয়ের লোকজন কলকাতায় বসে নিতেন।

    বিশ্বজিতের ভূমিকা ঠিক কী?

    গোয়েন্দা আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, শঙ্কর ঘনিষ্ঠ বিশ্বজিতের (ED Arrests Businessman) বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার ব্যবসা রয়েছে, সোনার ব্যবসা রয়েছে, এছাড়াও এক্সপোর্ট ইমপোর্ট সংস্থা রয়েছে। ইডির অভিযোগ, মোটা কমিশনের বিনিময়ে এই ব্যবসায়ী শংকর আঢ্যকে কালো টাকা সাদা করতে সাহায্য করেছেন। বিদেশি মুদ্রার সংস্থার মাধ্যমে শঙ্করের কালো টাকা বিদেশে পাচার করেছেন তিনি। ভুয়ো আমদানি দেখিয়ে কালো টাকা সাদা করেছেন। জানা গিয়েছে, আজই বিশ্বজিৎ দাসকে হেফাজতে চেয়ে আদালতে পেশ করবে তারা (Ration Scam)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: দুবাইতে স্কুল খুলছে সিবিএসই, আবু ধাবিতে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: দুবাইতে স্কুল খুলছে সিবিএসই, আবু ধাবিতে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পক্ষ্ম বিস্তার করছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (CBSE)। খুব শীঘ্রই দুবাইতে স্কুল খুলছে তারা। মঙ্গলবার একথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আবু ধাবিতে প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠান আহলান মোদি (বাংলায় তর্জমা করলে দাঁড়ায় হ্যালো মোদি)-তে যোগ দেন তিনি। সেখানেই জানান সিবিএইর স্কুল খোলার খবর।

    খোলা হবে স্কুল

    অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেড় লাখেরও বেশি ভারতীয় পড়ুয়া সংযুক্ত আরব আমিরশাহির স্কুলে পড়াশোনা করছে। গত মাসে দিল্লি আইআইটির এখানকার ক্যাম্পাসে মাস্টার্স কোর্স চালু হয়েছে। এবার দুবাইতে খুব শীঘ্রই খুলতে চলেছে সিবিএসই বোর্ডের স্কুল। এখানে বসবাসকারী ভারতীয় পড়ুয়াদের সেরা শিক্ষাটা দেবে এই সব প্রতিষ্ঠান।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এখানে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ উপস্থিত রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের হৃদয় এক সুতোয় বাঁধা। তবে তাঁদের প্রত্যেকের হৃদয়ে বাজছে এক সুর – ভারত-সংযুক্ত আরব আমিরশাহি দোস্তি জিন্দাবাদ।”

    ভারত-প্রশস্তি 

    তিনি বলেন, “এই ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামে আমাদের প্রত্যেকের হৃদস্পন্দনে, প্রত্যেকের শ্বাসে, প্রত্যেকের কণ্ঠে একই সুর বেজে চলেছে, ভারত-সংযুক্ত আরব আমিরশাহি বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রত্যেক ভারতীয়ই ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করতে চান। কোন সেই দেশ যার অর্থনীতি দ্রুত সমৃদ্ধশালী হচ্ছে? ভারত। বিশ্বের কোন দেশে তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্টআপ রয়েছে? আমাদের ভারত। কোন দেশ প্রথম চেষ্টায়ই পৌঁছে গিয়েছে বুধে? আমাদের ভারত।”ভারতের চন্দ্রযান মিশন সাফল্যের কথাও শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে। তিনি বলেন, “বিশ্বের কোন দেশ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে? আমাদের ভারত। কোন দেশ নিজেদের চেষ্টায় ফাইভ-জি প্রযুক্তি তৈরি করেছে এবং ব্যবহার করা শুরু করে দিয়েছে? আমাদের ভারত। কোন দেশ একই সঙ্গে একশোটি স্যাটেলাইট লঞ্চের রেকর্ড করেছে? আমাদের ভারত।”

    প্রসঙ্গত, এদিন আবু ধাবি পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বৈঠক করেন ইউএইর প্রেসিডেন্ট মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে। দুই দেশ অন্তত আটটি ক্ষেত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বাণিজ্য এবং ডিজিটাল পেমেন্ট প্লাটফর্ম সংক্রান্ত বিষয়ও।

    আরও পড়ুুন: “আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ”, সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • LCA Tejas Mk1A: মার্চ মাসেই প্রথম ‘তেজস মার্ক-১এ’ হাতে পাচ্ছে বায়ুসেনা?

    LCA Tejas Mk1A: মার্চ মাসেই প্রথম ‘তেজস মার্ক-১এ’ হাতে পাচ্ছে বায়ুসেনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশীয় যুদ্ধবিমান লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (এলসিএ) তেজস মার্ক-১এ (LCA Tejas Mk1A) সংস্করণের উৎপাদন জোরকদমে চলছে। প্রথম বিমানের নির্মানের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। হতে পারে, প্রথম তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানটি মার্চ মাসেই হস্তান্তর করা হবে। একইসঙ্গে, দ্রুতগতিতে কাজ চলছে তেজসের সর্বাধুনিক সংস্করণ মার্ক-২ যুদ্ধবিমানের (HAL Tejas Mk2) প্রথম প্রোটোটাইপের পূর্ব-প্রস্তুতি পর্ব। সূত্রের খবর, ২০২৭ সাল নাগাদ এই মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফটের উৎপাদন শুরু হতে পারে।

    প্রথম তেজস মার্ক-১এ মার্চ মাসেই?

    ভারতীয় বায়ুসেনায় কমতে থাকা যুদ্ধবিমানের সংখ্যার মোকাবিলা করতে ২০২১ সালে তেজস মার্ক-১এ (LCA Tejas Mk1A) কেনার সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল কেন্দ্র। বর্তমানে ব্যবহৃত মার্ক-১ যুদ্ধবিমানগুলির তুলনায় মার্ক-১এ সংস্করণের ক্ষমতা অনেকটাই বেশি। এছাড়া এতে রয়েছে নতুন প্রজন্মের অত্যাধুনিক রেডার, ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম, মিড-এয়ার রিফুয়েলিংয়ের মতো বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা। এমন ৮৩টি এলসিএ তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের বরাত দেওয়া হয়েছিল দেশীয় সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যাল-কে। জানা যাচ্ছে, প্রথম বিমানটি মার্চ মাসেই বায়ুসেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে। অগাস্ট মাস নাগাদ বায়ুসেনার হাতে চলে আসতে পারে ৪টে তেজস মার্ক-১এ।

    উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে জোর 

    সূত্রে খবর, প্রথমে বরাত দেওয়া ৮৩টি মার্ক-১এ (LCA Tejas Mk1A) ছাড়াও আরও অতিরিক্ত ৯৭টি যুদ্ধবিমান কেনার কথা ভাবছে বায়ুসেনা। বর্তমানে, দেশে যুদ্ধবিমান উৎপাদনের বার্ষিক ক্ষমতা ৮। অর্থাৎ, ফি-বছর ৮টি যুদ্ধবিমান উৎপাদনের ক্ষমতা ও পরিকাঠামো রয়েছে দেশে। সেটিকে বাড়িয়ে ১৬ করার চেষ্টা চলছে। সম্ভবত, চলতি বছরেই সেই পরিকাঠামো তৈরি হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে, বায়ুসেনায় নতুন বিমানের অন্তর্ভুক্তিকরণের সময় অর্ধেক হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    ২০২৭ সালেই তেজস মার্ক-২

    বায়ুসেনা সূত্রে খবর, একবার উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে, তেজস মার্ক-২ যুদ্ধবিমান (HAL Tejas Mk2) নিয়ে দ্রুত এগনো সম্ভব হবে। এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, তা হল— ২০২৫ সালের মধ্যে তেজসের এই মিডিয়াম কমব্যাট ভেরিয়েন্ট বা সংস্করণের প্রথম প্রোটোটাইপ উন্মোচিত হবে। সেটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পর ২০২৭ সাল নাগাদ এই বিমানের উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, মার্ক-১এ (LCA Tejas Mk1A) তুলনায় মার্ক-২ আরও অনেক বেশি ভারী ও শক্তিশালী হতে চলেছে। যে কারণে, এটি এলসিএ শ্রেণিভুক্ত না হয়ে মিডিয়াম ক্যাটেগরিতে স্থান পেয়েছে। এটির ক্ষেপণাস্ত্র বহন ক্ষমতা অনেক বেশি হতে চলেছে। পাশাপাশি, ক্ষেপণাস্ত্রের বৈচিত্র্যেও এটি পূর্বসূরিদের টেক্কা দেবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: “আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ”, সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Ganguly: “আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ”, সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ। কিন্তু আপাতত মুখ বন্ধ রাখছি।” সন্দেশখালিকাণ্ড প্রসঙ্গে মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর নির্যাতনের যে সব অভিযোগ উঠেছে তা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। প্রশ্ন তোলেন প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। তার পরেই তিনি বলেন, “আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ। কিন্তু আপাতত মুখ বন্ধ রাখছি।”

    কী বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

    মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “আমি আমার জ্ঞান হওয়া থেকে এসব শুনিনি। যা দেখলাম টিভিতে। যেসব কথা ওঁরা বলছেন – বলা হচ্ছে রাতে ফোন করে ডাকা হত। জোর করে মিটিংয়ে নিয়ে যাওয়া হত।” তিনি বলেন, “বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জোর করে মিটিং-মিছিলে নিয়ে যায়। সেটা জানা থাকলেও, রাত্রিবেলা কাউকে পার্টি অফিসে যেতে বলা হচ্ছে, এটা আমার কাছে পরিচিত ঘটনা নয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি, আমি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ ও ক্ষুদ্ধ। আপাতত আমি মুখ বন্ধ করেই রেখেছি।”

    পলাতক শেখ শাহজাহান!

    রেশন বণ্টনকাণ্ডে নাম জড়ায় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায় ইডি। সেই সময় ওই তৃণমূল নেতার অনুগামীরা ইডির ওপর চড়াও হয়। ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির দুই কর্তা। জখম হন সিআরপিএফের দুই কর্মীও। এর পরেই পালিয়ে যান শাহজাহান।

    আরও পড়ুুন: রাজ্যপালের কনভয়ে অন্য গাড়ি, নেপথ্যে হাত তৃণমূলের শাহজাহানের!

    শনিবার স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ শাহজাহান ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় মহিলাদের রাতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত পার্টি অফিসে। না গেলে হুমকি দেওয়া হত। সন্দেশখালির এই ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। মঙ্গলবার দিল্লিতে এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কী কী ঘটেছে, তা গোটা দেশের জানা উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন স্মৃতি। সন্দেশখালি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। গিয়েছিলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ও। সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাধার সম্মুখীন হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মহিলা নির্যাতনের প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) প্রশ্ন, “প্রশাসন কি জানত না এমন ঘটনা ঘটছে? নাকি পুলিশ প্রশাসন সব জেনেও চোখ বুজে ছিল?”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • CV Ananda Bose: রাজ্যপালের কনভয়ে অন্য গাড়ি, নেপথ্যে হাত তৃণমূলের শাহজাহানের!

    CV Ananda Bose: রাজ্যপালের কনভয়ে অন্য গাড়ি, নেপথ্যে হাত তৃণমূলের শাহজাহানের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) কনভয়ে ঢুকে পড়ল অন্য একটি গাড়ি। দিল্লির এই ঘটনার পরেই কড়া নিরাপত্তায় রাজ্যপালকে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে গন্তব্যে। বাংলার রাজ্যপালের কনভয়ে কীভাবে অন্য গাড়ি ঢুকে পড়ল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। রাজভবনের অনুমান, এই ঘটনায় পলাতক তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ ও তার দলবলের হাত থাকতে পারে। ঘটনাটিকে নাশকতার ঘটনা হিসেবেই সন্দেহ করছে রাজভবন।

    কনভয়ে ঢোকার চেষ্টা অন্য গাড়ির

    সোমবারই সন্দেশখালি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। ফিরে ধরেন দিল্লির উড়ান। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে একটি বৈঠক সেরে পুসা এলাকায় কেন্দ্রীয় সরকারের গেস্ট হাউসে (দিল্লি গেলে এখানেই থাকেন রাজ্যপাল) ফিরছিলেন রাজ্যপাল। সেই সময় একটি গাড়ি বারবার তাঁর কনভয়ে ঢোকার চেষ্টা করে। ঘটনাটি নজরে পড়তেই গাড়িটিকে আটকানোর চেষ্টা করেন রাজ্যপালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফের জওয়ানরা। অভিযোগ, সেই বাধা এড়িয়ে গাড়িটি কনভয়ে ঢুকে ধাক্কা মারে। গাড়িটিকে আটক করা হয়েছে বলে রাজভবন সূত্রে খবর। গ্রেফতার করা হয়েছে চালককে।

    সন্দেশখালিতে রাজ্যপাল 

    প্রসঙ্গত, এদিন সন্দেশখালিতে গিয়ে রাজ্যপাল কথা বলেন স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে। রাজ্যপালের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। এর পরেই কড়া বার্তা দেন রাজ্যপাল। বলেন, “বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের ওপর অত্যাচার করছে গুন্ডারা। রবীন্দ্রনাথের বাংলায় এমন হতে পারে না। আমার ক্ষমতায় যা সম্ভব, করব।” তিনি বলেন, “এখানে প্রত্যেকেই আমার বোন। তাঁদের সম্মান রক্ষার্থে যা করার, আমি তা-ই করব। আজ যে ছবি দেখলাম, তা আমাকে মর্মাহত করেছে। আজ যা দেখলাম, আগে কখনও দেখিনি। আজ যা শুনলাম, আগে শুনিনি। আইন আইনের পথে না চললে মানুষ বিপন্ন বোধ করেন।”

    আরও পড়ুুন: “ভারত-সংযুক্ত আরব আমিরশাহি দোস্তি জিন্দাবাদ”, প্রবাসীর সুর প্রধানমন্ত্রীর মুখে

    প্রসঙ্গত, শনিবারই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালকে সন্দেশখালি যাওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যপাল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্দেশখালি না গেলে তিনি ধর্নায় বসবেন বলেও জানিয়েছিলেন। সেই সময়সীমা পেরনোর আগেই সন্দেশখালিতে যান রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। তার পরে পরেই ঘটে দিল্লিকাণ্ড।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

      

  • PM Modi: “ভারত-সংযুক্ত আরব আমিরশাহি দোস্তি জিন্দাবাদ”, প্রবাসীর সুর প্রধানমন্ত্রীর মুখে

    PM Modi: “ভারত-সংযুক্ত আরব আমিরশাহি দোস্তি জিন্দাবাদ”, প্রবাসীর সুর প্রধানমন্ত্রীর মুখে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরশাহির নেতাকে নিজের ভাই বলে সম্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বলেন, “আমার মনে হচ্ছে নিজের বাড়িতে এসেছি। এবং যখনই আমি আমিরশাহি আসি, তখনই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করি।” মঙ্গলবার আবু ধাবি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বৈঠক করে ইউএইর প্রেসিডেন্ট মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে। এদিন দুই দেশ অন্তত আটটি ক্ষেত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বাণিজ্য এবং ডিজিটাল পেমেন্ট প্লাটফর্ম সংক্রান্ত বিষয়।

    কী বললেন মোদি?

    এদিন বিন জায়েদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, “আবু ধাবিতে বিএপিএস মন্দির নির্মাণের মধ্যে এটি প্রতিফলিত হয়েছে। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া এটা সম্ভব হত না।” হিন্দু মন্দিরের জন্য জমি দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সমর্থন ও উদারতার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহির রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রতিটি ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব রয়েছে এবং উভয় পক্ষের ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের সংযুক্তিকরণ ফিনটেকের ক্ষেত্রে একটি নয়া যুগের সূচনা করবে, যখন দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তির দীর্ঘস্থায় প্রভাব থাকবে।”

    ভারতীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ

    এদিন সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয় সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘আহলান মোদি’, বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘হ্যালো মোদি’। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এখানে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ উপস্থিত রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের হৃদয় এক সুতোয় বাঁধা। তবে তাঁদের প্রত্যেকের হৃদয়ে বাজছে এক সুর – ভারত-সংযুক্ত আরব আমিরশাহি দোস্তি জিন্দাবাদ।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আপনারা আমায় অসম্ভব ভালোবাসেন। আমার সঙ্গে দেখা করতে আমরা সময় বের করেছেন। তাই আপনাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।” তিনি বলেন, “আমি আমার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। সঙ্গে নিয়ে এসেছি মাটির গন্ধ। সেই মাটি যে মাটিতে আপনারা জন্মেছিলেন, এবং এদেশে বয়ে নিয়ে এসেছেন ১৪০ কোটি মানুষের বার্তা। বার্তাটি হল, আপনার জন্য ভারত গর্বিত।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “বিন জায়েদ আমায় যা শ্রদ্ধা করেন, তা আমার কাছে একটি অতিমূল্যবান সম্পদ।”

    আরও পড়ুুন: ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি, তারকা-সাংসদ নুসরতের ফোন ‘সুইচড অফ’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • PM Modi: ‘প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর মুফত বিজলি যোজনা’র সূচনা, কীভাবে মিলবে সুযোগ?

    PM Modi: ‘প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর মুফত বিজলি যোজনা’র সূচনা, কীভাবে মিলবে সুযোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সূচনা হল ‘প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর: মুফত বিজলি যোজনা’র। মঙ্গলবার এই প্রকল্পের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের এক কোটি বাড়িতে বিনামূল্যে প্রতি মাসে ৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ দেওয়া হবে। এজন্য বিনিয়োগ করা হবে ৭৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। মোদি সরকারের দাবি, এই প্রকল্পের মাধ্যমে গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের আয় বাড়বে, কমবে বিদ্যুতের বিলের বোঝা। হবে কর্ম সংস্থানও।

    কী বলছেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রকল্পের সূচনা মঙ্গলবার হলেও, পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করা হয়েছে ঢের আগে। রাম মন্দির উদ্বোধনের পরে পরেই এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছিলেন, “পৃথিবীর সমস্ত ভক্ত সর্বদা সূর্যবংশী ভগবান শ্রীরামের আলো থেকে শক্তি পান। আজ অযোধ্যায় প্রাণপ্রতিষ্ঠার শুভক্ষণে আমার এই সঙ্কল্প আরও দৃঢ় হয়েছে যে ভারতবাসীর বাড়ির ছাদে তাদের নিজস্ব সোলার সিস্টেম থাকুক। অযোধ্যা থেকে ফিরে আসার পরে আমি প্রথম যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তা হল আমাদের সরকার ১ কোটি বাড়িতে ছাদে সোলার ব্যবস্থা বসানোর লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সূর্যোদয় যোজনা চালু করবে। এর ফলে গরিব ও মধ্যবিত্তের বিদ্যুৎ বিল তো কম হবেই, সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হবে ভারত।”

    নয়া প্রকল্প

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) সূর্যোদয় যোজনা নামে একটি প্রকল্প ছিল কেন্দ্রের। এবার নয়া প্রকল্পের নাম হল প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর: মুফত বিজলি যোজনা। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে প্রকল্প সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী জানান, এই প্রকল্পের উপভোক্তাদের ব্যঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ভর্তুকির টাকা পৌঁছে যাবে।

    প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত করতে https://pmsuryaghar.gov.in পোর্টালে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। রাজ্য, আবেদনকারী কোন বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার গ্রাহক, কনজিউমার নম্বর, মোবাইল নম্বর, ই-মেল আইডি দিতে হবে। এর পর বিদ্যুৎ সংযোগের কনজিউমার নম্বর ও মোবাইল নম্বর দিয়ে লগ ইন করতে হবে। তার পরেই আবেদন করতে হবে। দরিদ্র ও মধ্যবিত্তরা যাতে সোলারের সাহায্যে বিদ্যুৎ পেতে পারেন, সেই জন্যই এই প্রকল্প বলে দাবি কেন্দ্রের।

    আরও পড়ুুন: মুখ পুড়ল রাজ্যের! সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

    জানা গিয়েছে, বাড়িতে সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা হয়ে গেলে বছরে ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা খরচ কমবে। বাড়িতে ব্যবহারের পাশাপাশি বিক্রিও করা যাবে বিদ্যুৎ। সোলার প্যানেল বসানো ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অনেক কর্মসংস্থানও হবে (PM Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • NCPCR: পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপকহারে বাড়ছে শিশু নির্যাতনের ঘটনা, কেন্দ্রের রিপোর্টে উদ্বেগ

    NCPCR: পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপকহারে বাড়ছে শিশু নির্যাতনের ঘটনা, কেন্দ্রের রিপোর্টে উদ্বেগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইদানিং বাংলায় বাড়ছে শিশু নির্যাতনের ঘটনা। শিশুদের সুরক্ষা ও অধিকার নিয়েও বাড়ছে উদ্বেগ। ২০২১ এর এনসিআরবির (NCPCR) ক্রাইম রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে শিশুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা বেড়ে গিয়েছে প্রায় ৩২ শতাংশ। ২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি এনসিপিসিআর যে স্পেশাল রিপোর্ট সংসদে পেশ করেছে, তা থেকে জানা যাচ্ছে বাংলার রাজ্য সরকারের ক্ষেত্রে বারংবার লিগ্যাল প্রসিডিওর লঙ্ঘিত হয়েছে।

    এনসিপিসিআরের রিপোর্ট

    এনসিপিসিআরের (NCPCR) রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্যে (বাংলায়) বিভিন্ন সংবেদনশীল বিষয়গুলি যেগুলির সঙ্গে শিশুদের যোগ রয়েছে, সেসব ক্ষেত্রে আইনি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে কমিশন এও লক্ষ্য করেছে রাজ্য এবং জেলা প্রশাসন তদন্তের ক্ষেত্রে কোনও সাহায্যই করছে না। শিশুদের অধিকার রক্ষায় আইনি কোনও পদক্ষেপও করছে না।

    কী দেখলেন তদন্তকারীরা?

    কমিশন লক্ষ্য করেছে, শিশুদের ক্ষেত্রে ঘটে চলা অন্যায়ের ক্ষেত্রে বারংবার আইন লঙ্ঘিত হলেও, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। রাজ্যজুড়ে ঘটে চলা বোমা বিস্ফোরণের ক্ষেত্রে তদন্ত করতে গিয়ে তদন্তকারীরা দেখেছেন ঘটনাগুলির সঙ্গে প্রায় ৪০ নাবালক জড়িত। তদন্তের সময় কমিশন জানতে পারে, কোনও ক্ষেত্রেই লিগ্যাল প্রসিডিওর মেনে চলা হয়নি। এই সব বিস্ফোরণে বিভিন্ন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বোমাগুলিকে বল ভেবে খেলতে গিয়েই ঘটেছে বিপত্তি। মত্যু হয়েছে শিশুগুলির। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় অথরিটির সমন্বয়ের অভাবও দেখা গিয়েছে অনেক ক্ষেত্রে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘মনে হয় যেন আমারই বাড়ি…’’, আরব আমিরশাহিতে নেমে উচ্ছ্বসিত মোদি

    ২০২২ এর এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে ১৭টি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই অকাল মৃত্যু হয়েছে শিশুদের। কমিশনের মতে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই পূর্ণাঙ্গ তদন্তে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। দোষীরা পেয়ে গিয়েছে ছাড়া। কমিশন (NCPCR) স্বীকার করেছে শিশুরাই সব ক্ষেত্র টার্গেট হয়েছে। নৃশংসতার শিকার হয়েছে তারাই। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর এই ঘটনা বেড়েছে বই কমেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Farmers Delhi Chalo Protest: ফের পথে কৃষকরা, দুর্ভেদ্য ঘাঁটিতে পরিণত দিল্লি

    Farmers Delhi Chalo Protest: ফের পথে কৃষকরা, দুর্ভেদ্য ঘাঁটিতে পরিণত দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২০ সালের পর ফের ২০২৪। আবারও পথে নেমেছেন কৃষকরা। ডাক দিয়েছেন দিল্লি চলো অভিযানের (Farmers Delhi Chalo Protest)। চার বছর আগে কৃষকরা পথে নেমেছিলেন তিন কৃষি আইন বাতিল ও কৃষির ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাবিতে। এবার তাঁদের আন্দোলনের প্রস্তুতি লখিমপুর খেড়িতে কৃষক খুনের তদন্ত সহ একগুচ্ছ দাবিতে।

    কৃষকদের দাবি

    বিদ্যুৎ আইন, কৃষিঋণ মকুব, লখিমপুর খেড়িতে কৃষক হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির শাস্তিরও দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা। মৃত কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতেও সোচ্চার হয়েছেন তাঁরা। ২০২০ সালে আন্দোলনের সময় বেশ কয়েকজন কৃষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই সব মামলা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিলেও, তা করা হয়নি বলে অভিযোগ। সেই মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানানো (Farmers Delhi Chalo Protest) হয়েছে।

    অশান্তির আশঙ্কায় কড়া প্রহরা

    এদিকে, কৃষক বিক্ষোভের জেরে অশান্তির আশঙ্কায় বিভিন্ন জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লি সীমানায় ব্যবস্থা করা হয়েছে কড়া প্রহরার। জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে রাজ্যজুড়ে জারি হওয়া ১৪৪ ধারা চলবে ১২ মার্চ পর্যন্ত। দিল্লি পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরা বলেন, “একমাস ধরে রাজধানীতে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে যে কোনও বড় জমায়েতে। ট্রাক্টর নিয়েও প্রবেশ করা যাবে না দিল্লিতে। ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করলেই করা হবে গ্রেফতার।”

    আরও পড়ুুন: উত্তরাখণ্ডের পর এবার অসম, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পেশ হচ্ছে বিধানসভায়

    কৃষকদের আন্দোলন থেকে বিরত করতে চেষ্টার কম কসুর করেনি সরকার। সোমবার মধ্যরাতে চণ্ডীগড়ে কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা ও কেন্দ্রীয় ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তার পরেও আন্দোলনে অনড় কৃষকরা। মঙ্গলবার সাত সকালে পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে দুশোটিরও বেশি কৃষক সংগঠন রওনা দেয় দিল্লির উদ্দেশে। অন্তত ২০ হাজার কৃষক শামিল হয়েছেন এই অভিযানে।

    আন্দোলনকারীরা যাতে দিল্লিতে ঢুকতে না পারেন, তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে পুলিশের তরফে। গাজিপুর, সিংগু, টিকরি সহ পুরো সীমানা রূপান্তরিত করা হয়েছে সেনানিবাসে। গাজিপুর সীমানায় যানবাহন চলছে শ্লথ গতিতে। কুরুক্ষেত্র, আম্বালা, কাইথাল, জিন্দ, হিসার, ফতেহাবাদ ও সিরসায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার পর্যন্ত (Farmers Delhi Chalo Protest)। এদিকে, পঞ্জাব ও হরিয়ানার মধ্যবর্তী সীমানায় কৃষকদের গতি রুদ্ধ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। পুলিশ ও প্রতিবাদী কৃষকদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিও হয়। 

       

  • UCC: উত্তরাখণ্ডের পর এবার অসম, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পেশ হচ্ছে বিধানসভায়

    UCC: উত্তরাখণ্ডের পর এবার অসম, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পেশ হচ্ছে বিধানসভায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভগীরথ হয়েছিল উত্তরাখণ্ড সরকার। এবার তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চলেছে অসমের বিজেপি সরকার। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, রাজ্যে যে বাজেট অধিবেশন হবে, তখনই পেশ করা হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC)। উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় পাশ হয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। পাশ হয়েছে অসম মন্ত্রিসভায়ও। এবার সেটি পেশ করা হবে বিধানসভায় অনুমোদনের জন্য।

    মন্ত্রিসভায় পাশ

    মুখ্যমন্ত্রী জানান, বহুবিবাহ বিল ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি দুটি বিলই পাশ হয়েছে মন্ত্রিসভায়। এবার এই দুটি বিলকে আইনে পরিণত করতে বিধানসভায় পাশ করানো হবে। বিলটি আইনে পরিণত হলে বহু বিবাহকারী ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লঙ্ঘনকারীকে সিভিল অফেন্স হিসেবে গণ্য করা হবে। হিমন্ত বলেন, “দেশের প্রয়োজন একটিই নীতি। তাই আমরা বিধানসভা বহু বিবাহ ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পাশ করাব। বহু বিবাহ বিল ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধির মধ্যে ঐক্যসাধন করতে অসম সরকার একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। বিশেষজ্ঞ কমিটি বিল দুটি চূড়ান্ত করলে, চলতি বাজেট অধিবেশনেই তা পেশ করা হবে। তা না হলে এই বিল দুটি পেশ করা হবে পরবর্তী অধিবেশনে।”

    কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    প্রসঙ্গত, প্রথম থেকেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (UCC) পক্ষে সওয়াল করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত। তিনি বলেছিলেন, “সব মুসলমান মহিলাদের ন্যায় বিচার দেওয়ার জন্য এই আইন প্রবর্তন করা প্রয়োজন। কারণ প্রতিটি মুসলিম মহিলা চান অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হোক। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আমার কোনও ইস্যু নয়, এটা মুসলমান মহিলাদের চাহিদা। কারণ কোনও মুসলমান মহিলাই চাইবেন না যে তাঁর স্বামী ঘরে আরও তিনটি স্ত্রী নিয়ে আসুক।” তিনি বলেন, ‘যদি তাঁদের ন্যায় বিচার দিতে হয়, তাহলে তিন তালাক বাতিল করার পরে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনতে হবে।”

    আরও পড়ুুন: আবু ধাবিতে হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধনে মৈত্রীর বার্তা, দ্বারোদঘাটন করবেন মোদি

    বহু বিবাহ ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পাশ করার আগেই অসমের মন্ত্রিসভায় পাশ হয়েছে আরও একটি বিল। এটি হল, ম্যাজিক্যাল হিলিং প্র্যাকটিসেস। এই পদ্ধতিতে রোগ সারানোর নামে খ্রিস্টান মিশনারিরা ধর্মান্তরিত করেন বলে অভিযোগ (UCC)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share