Tag: news in bengali

news in bengali

  • ED Raid in Kolkata: রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযান ইডির, শহরের ৬ জায়গায় একযোগে হানা

    ED Raid in Kolkata: রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযান ইডির, শহরের ৬ জায়গায় একযোগে হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় ফের সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED Raid in Kolkata)। মঙ্গলবার সকালে শহরজুড়ে ‘অ্যাকশন’ ইডি-র। বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় একযোগে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। শুরু হয়েছে তল্লাশি-অভিযান। 

    সাত-সকালে দুয়ারে ইডি

    এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে জানা গিয়েছে, রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় সল্টলেক-সহ কলকাতার ছ’জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি (ED Raid)। একটি দল সল্টলেক আইবি ব্লকে পৌঁছেছে। নিউ আলিপুরের একটি বহুতলে পৌঁছে গিয়েছে তদন্তকারীদের একটি দল। বাগুইআটির একটি আবাসনেও চলছে ইডির হানা। এছাড়া— পার্ক স্ট্রিট-রাসেল স্ট্রিট, বন্দর এলাকা, বাগুইহাটি-কৈখালি এলাকার একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছেন ইডি গোয়েন্দারা। তদন্তকারীদের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও। সূত্রের খবর, ৮ থেকে ১০টি টিম আজ তদন্তে বেরিয়েছে। এদিন ২টি মামলায় মূলত তল্লাশি চলছে। একটি রেশন দুর্নীতি, অপরটি স্টক এক্সচেঞ্জ সংক্রান্ত।

    এক বিশ্বজিৎ দাসকে খুঁজছে ইডি, কে তিনি?

    সূত্রের খবর, এদিন সকাল ৭টা নাগাদ সল্টলেকে আইবি ব্লকে যেখানে হানা দেয় ইডি-র (ED Raid in Kolkata) দল, তা বিশ্বজিৎ দাস নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি। জানা গিয়েছে, সেই সময় বিশ্বজিৎ বাড়িতে ছিলেন না। ‘সার্চ ওয়ারেন্ট’ দেখিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন ইডি আধিকারিকেরা। বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। খবর পেয়ে পৌঁছে যায় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। এদিন বিশ্বজিতের দুটো ফ্ল্যাটে তল্লাশি চলে। তাঁর আমদানি রফতানির ব্যবসা আছে। পাশাপশি ফরেন মানি এক্সচেঞ্জেরও ব্যবসা আছে বলে জানা গিয়েছে।

    শঙ্কর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ বিশ্বজিৎ!

    ইডি (ED Raid in Kolkata) সূত্রের খবর, শঙ্করকে গ্রেফতারের পর আদালতে ইডি জানিয়েছিল, ৯০টির বেশি ফরেক্স বা বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের সংস্থা রয়েছে শঙ্কর এবং তাঁর পরিবারের। ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা তিনি বিদেশে লেনদেন করা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, রেশনকাণ্ডে যে কোটি কোটি টাকা নয়ছয় করা হয়েছিল, সেই টাকা কোথায় এবং কী ভাবে বিনিয়োগ করা হয়েছে, তা জানতেই এই তল্লাশি অভিযান চলছে। ইডি-র আরও দাবি, এই বিশ্বজিৎ শঙ্কর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ। রেশনকাণ্ডের (Ration Scam) এই টাকা নয়ছয়ের সঙ্গে যোগ রয়েছে বিশ্বজিতের। সেই সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতেই এই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি ।

    এছাড়া, এদিন বাগুইআটির একটি অভিজাত আবাসনে হানা দেয় ইডি। আবাসনটি হানিস তসরিওয়াল নামে এক ব্যবসায়ীর। অন্যদিকে, দক্ষিণ কলকাতার নিউ আলিপুরে ব্যবসায়ী সুনীল কায়ানের বাড়িতে তল্লাশি (ED Raid in Kolkata) চলছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: সন্দেশখালিকাণ্ডে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে, শুনানি মঙ্গলেই!

    Calcutta High Court: সন্দেশখালিকাণ্ডে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে, শুনানি মঙ্গলেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ড গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার দায়ের হল মামলা। মামলা দায়ের হয়েছে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। মামলাকারীদের বক্তব্য, “গোটা সন্দেশখালি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে রাখা হয়েছে। আমাদের জমি জবর দখল করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা চূড়ান্ত বিঘ্নিত হয়েছে সন্দেশখালিতে। একটা দ্বীপে মানুষগুলো আটকে রয়েছে। মামলাটুকু দায়ের করার জন্য আসতে হলেও, হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ।”

    শুভেন্দু অধিকারীকে বাধা

    আইনজীবীদের যাতে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়, সেই আবেদনও জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির আশ্বাস দিয়েছেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। এদিকে, এদিন সন্দেশখালি (Calcutta High Court) যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপির আইনজীবী সেলের সদস্যরা।

    সন্দেশখালি গেলেন রাজ্যপাল

    এদিন সন্দেশখালির পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সন্দেশখালির আন্দোলনকারী মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। শেখ শাহজাহান, উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরার কড়া শাস্তির দাবিও জানান তাঁরা। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন রাজ্যপাল। এরপর মহিলারা তাঁর হাতে পরিয়ে দেন রাখি। এদিন সন্দেশখালি গিয়েছিলেন (Calcutta High Court) রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরাও।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির অরাজকতা রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট, তোপ স্মৃতি ইরানির

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যান ইডির আধিকারিকরা। সেখানে ইডির ওপর হামলা চালায় তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বাহিনী। তাদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির দুই কর্তা। জখম হন তাঁদের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানও। এই ঘটনার পরেই গা ঢাকা দেয় তৃণমূলের তাজা নেতা শাহজাহান। শাহজাহান পগার পার হতেই তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে সরব হন স্থানীয় মহিলারা। এলাকায় শাহজাহানের অনুগামী হিসেবে পরিচিত উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন স্থানীয়রা। উত্তমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এখনও নাগাল মেলেনি শাহজাহান ও শিবুর। শাহজাহান বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছে বলে অসমর্থিত একটি সূত্রে খবর (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Smriti Irani: সন্দেশখালির অরাজকতা রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট, তোপ স্মৃতি ইরানির

    Smriti Irani: সন্দেশখালির অরাজকতা রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট, তোপ স্মৃতি ইরানির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপির স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। তাঁর সাফ কথা, সন্দেশখালিতে যে অরাজকতা হয়েছে, তা আদতে রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট। সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “সন্দেশখালিতে মহিলারা মিডিয়ার কাছে তাঁদের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, তৃণমূলের গুন্ডারা প্রতিটি ঘরে ঘুরে ঘুরে মহিলাদের নিশানা করত। মমতার গুন্ডারা প্রতি রাতে মহিলাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যেত বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয় মহিলারা।” স্মৃতি (Smriti Irani) বলেন, “এই মহিলাদের বক্তব্যগুলি শুনুন, মহিলাদের বাড়িতে এসে চিহ্নিত করে যেত তৃণমূলের গুন্ডারা। এরা সকলেই শেখ শাহজাহানের লোক। বাড়ি গিয়ে মমতার গুন্ডারা মেয়েদের ধর্ষণ করছে। এ সবই হয়েছে সরকার ও প্রশাসনের মদতে।”

    অন্ধের রাজত্ব

    তিনি বলেন, বাংলায় অন্ধের রাজত্ব চলছে। মহিলারা বলছেন, এসবই হত পুলিশের সামনে। এরা সবাই শেখ শাহজাহানের লোক। রাজ্য সরকার বা প্রশাসন কোনও কাজ করছে না। আর বিধানসভায় এ নিয়ে প্রশ্ন তুললে বিরোধী দলের বিধায়কদের সাসপেন্ড করা হচ্ছে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “তৃণমূলের অত্যাচারের শিকার মহিলারা। তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। সন্দেশখালির মহিলারা সাহায্য ও নিরাপত্তার জন্য চিৎকার করছেন।”

    তৃণমূলের গুন্ডাদের কীর্তি!

    স্মৃতি বলেন, “বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূলের গুন্ডারা দেখে আসে, কাদের বাড়ির মেয়ে সুন্দরী, কোন মেয়েদের বয়স কম। তাঁদের স্বামীদের বলা হয়েছে, তুমি স্বামী হতে পার, কিন্তু তোমার কোনও অধিকার নেই। মহিলারা বলছেন, নিয়ে চলে যাবে রাতের পর রাত। যতক্ষণ তাদের মন না ভরবে, ততক্ষণ তোমার রেহাই নেই।” তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জবাব দিতে হবে শাহজাহান কোথায়? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনি রাজনৈতিক লাভের জন্য তফশিলি জাতি, মৎস্যজীবী পরিবার, কৃষক সম্প্রদায় ও তাঁদের মহিলাদের সম্মান নষ্ট করেছেন।”

    সন্দেশখালিতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “এখন সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, যাতে মহিলারা জমায়েত করতে না পারেন এবং কথা বলতে না পারেন।” তাঁর (Smriti Irani) প্রশ্ন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন তৃণমূলের গুন্ডাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করতে দিলেন, যাতে মহিলাদের ধর্ষণ করে লাগাতার ধর্ষণ করা যায়?”

    আরও পড়ুুন: ছোট হচ্ছে ইন্ডি জোটের ‘পিন্ডি’, আড়েবহরে বাড়ছে এনডিএ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ফেব্রুয়ারির শেষে বঙ্গ সফরে আসছেন অমিত শাহ, কী কী কর্মসূচি রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর?

    Amit Shah: ফেব্রুয়ারির শেষে বঙ্গ সফরে আসছেন অমিত শাহ, কী কী কর্মসূচি রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বাংলায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে রাজ্যে আসার কথা ছিল তাঁর। তবে শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে যায় তাঁর সফর। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, এবার তিনি আসছেনই এবং সেটাও ফেব্রুয়ারির শেষ দিন ২৯ তারিখে। এদিনই মায়াপুরে ইস্কন মন্দির দর্শনে যাবেন তিনি।

    শাহের কৃষ্ণ দর্শন

    ২০২১ সালেও মায়াপুরে ইস্কন মন্দির দর্শনে গিয়েছিলেন শাহ। ফের যাচ্ছেন এবার। যেহেতু দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন, তাই শাহের এই ইস্কন সফরে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন বিরোধীরা। ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের। গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন বালক রাম। তবে এখনও রাম-দর্শন করেননি শাহ (Amit Shah)। তার আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসছেন কৃষ্ণ-দর্শনে। বিজেপি সূত্রে খবর, ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে শাহ আসবেন শহরে। পরের দিন সকালে যাবেন মায়াপুরে, কৃষ্ণ দর্শনে।

    দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক

    মন্দির দর্শন শেষে রানাঘাট সহ আশপাশের কয়েকটি লোকসভা কেন্দ্রের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। যেহেতু ওই সময় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলবে, তাই জনসভা করবেন না। সেই কারণেই নেতাদের সঙ্গে করবেন বৈঠক। কলকাতায় ফিরে রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন বিজেপির এই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর নিয়ে এত তাড়াতাড়ি নিশ্চিত হওয়া যায় না। ফেব্রুয়ারির শেষ দিনে তিনি বাংলায় থাকবেন বলে কথা দিয়েছেন। তবে কখন এবং কোথায় কী কর্মসূচি হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।”

    আরও পড়ুুন: পার্টি অফিসে ধর্ষণ করেছিলেন শাহজাহান! রিপোর্ট তলব মহিলা কমিশনের

    নির্বাচনের আগে ‘তীর্থ’ করা বিজেপি নেতাদের কাছে নতুন কিছু নয়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মায়াপুরে কৃষ্ণ দর্শনে গিয়েছিলেন শাহ। বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। মতুয়া সম্প্রদায়ের পরম পূজ্য হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মস্থান এটি। মাঝ-এপ্রিলে লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে বাংলায় এসে কালীঘাট মন্দিরে গিয়েছিলেন শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি জেপি নাড্ডা। দর্শন করেছিলেন উত্তর কলকাতার মহাত্মা গান্ধী রোডের একটি গুরুদ্বারও।

    রাজনৈতিক মহলের সিংহভাগের মতে, বাংলায় রামের প্রভাব তেমন একটা নেই। রামকে নারায়ণের অবতার বলে মেনে নিলেও, রাম পুজোর চল এ রাজ্যে খুব একটা নেই। এখানকার হিন্দুরা কালী-কৃষ্ণের ভক্ত। সেই কারণেই শাহের ইস্কন মন্দির দর্শন। কৃষ্ণের আশীর্বাদ নিতেও তিনি মায়াপুরে যাচ্ছেন বলে শাহের (Amit Shah) ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: ছোট হচ্ছে ইন্ডি জোটের ‘পিন্ডি’, আড়েবহরে বাড়ছে এনডিএ

    Lok Sabha Elections 2024: ছোট হচ্ছে ইন্ডি জোটের ‘পিন্ডি’, আড়েবহরে বাড়ছে এনডিএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘর ভাঙছে ইন্ডি জোটের। আর ফুলে ফেঁপে উঠছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024) যখন কড়া নাড়ছে দোরে, তখন এই ভিন্ন ছবিই দেখা যাচ্ছে শাসক এবং বিরোধী শিবিরে। নির্বাচন কমিশন এখনও প্রকাশ করেনি নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। তবে কিছু দিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের আসার কথা বাংলায়। সেই সময়ই বাজিয়ে দেওয়া হতে পারে ভোটের ঘণ্টা। অষ্টাদশতম লোকসভা নির্বাচন শুরু হতে পারে এপ্রিলের মাঝামাঝি। তাই প্রস্তুতি (Lok Sabha Elections 2024) তুঙ্গে। লড়াইয়ের ময়দানে মুখোমুখি হবে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ এবং বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ইন্ডি।

    ফিরছে মোদি সরকার

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একাই পেয়েছিল ৩০৩টি আসন। অথচ সরকার গড়তে প্রয়োজন ছিল ২৭২টি আসনের। সেবার এনডিএ পেয়েছিল ৩৫৩টি আসন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আরও বেশি কেন্দ্র জয় করে কেন্দ্রের কুর্সিতে ফিরতে চাইছে মোদি সরকার। বাঁধা হয়ে গিয়েছে স্লোগানও – আপ কি বার, চারশো পার।

    কলেবর বাড়ছে এনডিএর

    লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ চারশোর অনেক বেশি আসন পাবে বলে মনে করছেন ভোট বিশেষজ্ঞরা। কারণ হিসেবে তাঁরা জানাচ্ছেন, ইন্ডি জোট যখন ভাঙছে, তখন সেই জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসা দলগুলি ভিড়ছে এনডিএ শিবিরে। বিজেপির একাংশের মতে, মোদি-জাদুর টানেই একূল (ইন্ডি জোট) ভেঙে ওকূল (এনডিএ) গড়ছে রাজনৈতিক দলগুলি। স্বাভাবিকভাবেই স্ফীতকায় হচ্ছে এনডিএ।

    আরও পড়ুুন: পার্টি অফিসে ধর্ষণ করেছিলেন শাহজাহান! রিপোর্ট তলব মহিলা কমিশনের

    এই যেমন জয়ন্ত চৌধুরীর রাষ্ট্রীয় লোক দল। প্রথমে (Lok Sabha Elections 2024) ইন্ডি জোটে থাকলেও, দিন দুয়েক আগে দলবল নিয়ে তিনি যোগ দেন এনডিএ শিবিরে। ইন্ডি জোটকে রামধাক্কা দিয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বছর দেড়েক আগে বিজেপি-সঙ্গ ছেড়ে মহাগটবন্ধনের সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের পদধ্বনি শুনতে পেয়েই ফের শিবির বদলেছেন নীতীশ। ফিরেছেন এনডিএ শিবিরে। অথচ ইন্ডি জোটের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন তিনিই।

    রাজ ঠাকরের নব নির্মাণ সেনাও এনডিএ শিবিরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই দুই শিবিরের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়ে গিয়েছে চুক্তি। টিডিপি সুপ্রিমো এন চন্দ্রবাবু নাইডুও বুধবার দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। সেখানেও দু পক্ষে কথা হয়েছে জোট নিয়ে। বিজেপির পুরানো বন্ধু পঞ্জাবের শিরোমনি আকালি দলও এনডিএ শিবিরে ভিড়তে পারে বলে সূত্রের খবর (Lok Sabha Elections 2024)।

    রাজনৈতিক মহলের মতে, এভাবে চলতে থাকলে দিনের শেষে ইন্ডি জোটের হাতে রইবে শুধুই পেন্সিল!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড ৬ বিজেপি বিধায়ক, ‘‘আমরা গর্বিত’’, প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড ৬ বিজেপি বিধায়ক, ‘‘আমরা গর্বিত’’, প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। তার আঁচ এবার গিয়ে পড়ল বিধানসভাতেও। সন্দেশখালি নিয়ে কক্ষে বিক্ষোভ প্রদর্শন করায় সোমবার বিধানসভা (West Bengal Assembly) থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহ ৬ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পরেই শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমরা গর্বিত’’।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালি যাচ্ছেন শুভেন্দু, বাধা পেলে পথেই অবস্থান-বিক্ষোভ

    ‘সন্দেশখালি সঙ্গে আছি’

    সোমবার অধিবেশনের শুরু থেকেই কার্যত উত্তপ্ত হয়ে কক্ষ। সন্দেশখালি ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি, ‘সন্দেশখালি সঙ্গে আছি’ লেখা টিশার্ট গায়ে দিয়ে কক্ষে ঢোকেন বিজেপি বিধায়করা। তাতে আপত্তি জানান স্পিকার। এর পরেই বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি হুইসেল বাজাতে শুরু করেন তাঁরা। 

    আরও পড়ুন: পার্টি অফিসে ধর্ষণ করেছিলেন শাহজাহান! রিপোর্ট তলব মহিলা কমিশনের

    শুভেন্দু-সহ ৬ জন বিধায়ক সাসপেন্ড

    শাসক দলের তরফে বিধানসভার (West Bengal Assembly) মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ বিজেপির পুরো পরিষদীয় দলকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন। পরে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সেই প্রস্তাব সংশোধন করে শুভেন্দু-সহ ৬ জন বিধায়ককে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন। এর পরই, শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) সহ ৬ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন শুভেন্দু ছাড়াও সাসপেন্ড হয়েছেন অগ্নিমিত্রা পাল, মিহির গোস্বামী, তাপসী মণ্ডল, বঙ্কিম ঘোষ ও শঙ্কর ঘোষকে সাসপেন্ড করা হয়। চলতি বছরের রাজ্য বাজেট অধিবেশনে আর এক দিনও অংশ নিতে পারবেন না তাঁরা।

    ‘‘যত সাসপেন্ড করবে তত এগোব…’’

    এর পরই বিধানসভা (West Bengal Assembly) থেকে ওয়াকআউট করে বিজেপি। বাইরে বেরিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সাংবাদিকদের সামনে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় আসেন না। আজ পর্যন্ত বিজেপি বিধায়কদের স্বরাষ্ট্র দফতরের কোনও প্রশ্নের জবাব দেন না তিনি। বিধানসভায় সন্দেশখালি নিয়ে প্রশ্নের জবাবও দেননি। সন্দেশখালির মা বোনেদের সম্মান বাঁচাতে আমরা সাসপেন্ড হয়েছি। আমাদের যত সাসপেন্ড করবে আমরা তত এগোব। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই হয়েছে। সাসপেন্ড হয়ে আমরা গর্বিত। আমাদের কোনও দুঃখ নেই।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • UCC: “অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে মুসলিমদের ভয়ের কিছু নেই”, বললেন আরএসএস নেতা

    UCC: “অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে মুসলিমদের ভয়ের কিছু নেই”, বললেন আরএসএস নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সস্তা ভোট কুড়োতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (UCC) ‘জুজু’ দেখিয়ে চলেছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। তবে তার যে কোনও সারবত্তা নেই, তা সাফ জানিয়ে দিল আরএসএস। ভারতে বসবাসকারী সংখ্যালঘু মুসলমানদের এ বিষয়ে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই বলেও জানিয়ে দিয়েছেন আরএসএসের প্রবীণ নেতা ইন্দ্রেশ কুমার।

    ইন্দ্রেশের অভয়-বার্তা

    রবিরার এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কোনও ধর্মের মানুষের প্রতিই হুমকি নয়। মুসলমানদের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে কিছু নেতা তাঁদের এ ব্যাপারে ভুল বোঝাচ্ছেন। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে ইসলাম এবং মুসলমানদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।” আরএসএসের প্রবীণ এই নেতা বলেন, “ভারতীয় সংবিধান এবং সুপ্রিম কোর্ট দেশের সর্বত্র শাসন করে চলেছে। দেশের প্রতিটি রাজ্যেই বৈচিত্র্য রয়েছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি তৈরি হওয়া উচিত সেই রাজ্যের মতো করে। এ ব্যাপারে এখনও কোনও কেন্দ্রীয় আইন তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়নি।”

    ভয় দেখাচ্ছেন কিছু নেতা!

    তিনি বলেন, “এটা মনে রাখতে হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কোনও ধর্ম, বর্ণ এবং ভাষার প্রতি হুমকি স্বরূপ নয়। তাই এটি কারও মনে ভয়ের সঞ্চার করতে পারে না। আমাদের দেশের কিছু নেতা এ বিষয়ে মুসলমানদের মনে ভয়ের সঞ্চার করছে। প্রশ্ন হল, তাহলে অন্য সম্প্রদায়ের কী হবে? মুসলমানদের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে তাঁদের ভুল বোঝাচ্ছেন ওই নেতারা। এ থেকে ইসলামের ভয়ের কিছু নেই।” ইন্দ্রেশ বলেন, “আমি সমস্ত মুসলমানদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়াবে, তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে।”

    আরও পড়ুুন: মুক্তি পেলেন কাতারের জেলে বন্দি ৮ ভারতীয়, দেশে ফিরে কি বললেন জানেন?

    উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানির হিংসা প্রসঙ্গে আরএসএসের এই প্রবীণ নেতা বলেন, “যাঁরা বলছেন অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (UCC) সঙ্গে হলদোয়ানির হিংসার যোগ রয়েছে, তাঁরা মিথ্যে বলছেন। এটি একটি আলাদা ষড়যন্ত্র। দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের ঐক্য, সৌভ্রাতৃত্ব এবং অগ্রগতির জয়যাত্রা স্তব্ধ করতেই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।”

    রাম মন্দির প্রসঙ্গও উঠে এসেছে ইন্দ্রেশের ভাষণে। তিনি বলেন, “২২ জানুয়ারির পর অখিলেশ যাদব অযোধ্যা দর্শনে যাবেন বলেছিলেন। কংগ্রেস বলেছে পরে যাবে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তিনি কালীর ভক্ত। একটি রাম মন্দির গড়বেন বলেও জানিয়েছিলেন। তাই বলি কী, ভক্তির মধ্যে কোনও ঘৃণার (UCC) বাতাবরণ তৈরি করা উচিত নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Qatar: চরবৃত্তির অভিযোগে কাতারে ধৃতদের মুক্তি, ঠিক কী ঘটেছিল গত ১৮ মাসে?

    Qatar: চরবৃত্তির অভিযোগে কাতারে ধৃতদের মুক্তি, ঠিক কী ঘটেছিল গত ১৮ মাসে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল ভারতীয় নৌবাহিনীর আট প্রাক্তন কর্মীকে। দীর্ঘ ১৮ মাস কাতারের (Qatar) জেলে বন্দি ছিলেন তাঁরা। শেষমেশ মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার কাকভোরে পা রেখেছেন ভারতভূমে। দেশে ফিরে তাঁরা যেমন ভারত মাতা কী জয় স্লোগান দিচ্ছেন, তেমনি উদাত্ত কণ্ঠে গাইছেন মোদি প্রশস্তিও।

    চরবৃত্তির অভিযোগ

    নৌবাহিনীর এই প্রাক্তন সদস্যরা কাজ করছিলেন আল ধারা নামের এক বেসরকারি সংস্থায়। চরবৃত্তির অভিযোগে ২০২২ সালের অগাস্টে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। ২০২২ সালের অক্টোবরে বন্দি করা হয় কাতারের কারাগারে। গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগ আনা হয় তাঁদের বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালের ২৫ মার্চ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কাতারের (Qatar) আইনে শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। ওই বছরেরই মে মাসে আল ধারা গ্লোবাল দোহায় তাদের অপারেশন বন্ধ করে দেয়। এই অপারেশনে যাঁরা যোগ দিয়েছিলেন, যাঁদের সিংহভাগই ভারতীয়, তাঁরা দেশে ফেরেন।

    মৃত্যুদণ্ড

    ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ধৃত আট ভারতীয়কে মৃত্যুদণ্ড দেয় কাতারের আদালত। সে দেশের এই রায়কে দুঃখজনক বলে অভিহিত করে ভারত সরকার। এই রায়ের বিরুদ্ধে থাকা সমস্ত বৈধ অপশনগুলি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। ৯ নভেম্বর মাসে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করে ভারত। সেই আপিল গ্রহণও করে কাতারের উচ্চ আদালত। ১৬ নভেম্বর ভারত সরকার আপিলের কথা জানায়। সরকারের তরফে এও জানানো হয় সদর্থক কিছু ঘটতে চলেছে।

    বিদেশমন্ত্রকের তৎকালীন মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, “কাতার সরকারের সঙ্গে এ ব্যাপারে নিয়মিত আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত ৮ ভারতীয়কে মুক্ত করতে যা যা করা প্রয়োজন, সরকার তা করবে।” ২৩ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিল গ্রহণ করে কাতার আদালত। ডিসেম্বরের ৭ তারিখে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত কাতারে বন্দি আট ভারতীয়র সঙ্গে দেখা করেন। অরিন্দম বাগচী বলেন, “মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে যে আপিল করা হয়েছিল, তার দুটো শুনানি হয়ে গিয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: রাজ্যসভা নির্বাচনে ১৪ জনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির, জায়গা পেলেন কারা?

    ২৭ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড রদ করা হয় বলে জানায় কাতারের আদালত। বিষয়টিকে ভারতীয় কূটনীতির বিরাট সাফল্য বলে মনে করে বিদেশমন্ত্রক। তার আগে অবশ্য কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি কাতার আদালত জানায় মৃত্যুদণ্ড রদের কথা। ১২ ফেব্রুয়ারি মেলে কাঙ্খিত মুক্তি। এদিন ভোরেই দিল্লি এসে পৌঁছান সাত ভারতীয়। দেশে তাঁদের স্বাগত জানানো হয় সরকারের তরফে (Qatar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মুক্তি পেলেন কাতারের জেলে বন্দি ৮ ভারতীয়, দেশে ফিরে কি বললেন জানেন?

    PM Modi: মুক্তি পেলেন কাতারের জেলে বন্দি ৮ ভারতীয়, দেশে ফিরে কি বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সয়েছেন দীর্ঘ জেল যন্ত্রণা। বিদেশে কারাবাসের যে যন্ত্রণা তা ভাষায় বলে বোঝানো যায় না কাউকে। শেষমেশ মিলল মুক্তি। গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন যে আট কর্মীকে বন্দি করেছিল কাতার, তাঁদের দেওয়া হয়েছে মুক্তি।

    “ভারত মাতা কি জয়”

    দেশে ফিরে তাঁরাই সমস্বরে বললেন, “ভারত মাতা কি জয়।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নামেও জয়ধ্বনি দেন তাঁরা। সোমবার ভোরে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘কাতারে আটক আট ভারতীয় নাগরিক, যাঁরা দাহরা গ্লোবাল কোম্পানিতে কাজ করছিলেন, তাঁদের মুক্তিকে ভারত সরকার স্বাগত জানায়। এঁদের মধ্যে সাতজন ভারতে ফিরে এসেছেন। এই নাগরিকদের মুক্তি ও দেশে ফিরে আসার ক্ষেত্রে কাতারের আমিরের সিদ্ধান্তের আমরা প্রশংসা করি।’

    কূটনৈতিক সাফল্য মোদির

    গত ডিসেম্বরে কাতারি আদালত আল দাহরা গ্লোবাল মামলায় গ্রেফতার হওয়া এই আট ভারতীয়ের মৃত্যুদণ্ড রদ করে। পরিবর্তে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কাতারে ধৃত নৌবাহিনীর এই (PM Modi) কর্মীরা হলেন, ক্যাপ্টেন নবতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার বর্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বাসিস্ট, কমান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সুগুনাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্তা এবং নাবিক রাজেশ। কাতারের আদালত এঁদের মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করলে, ভারত সরকার সেই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানায়। তার পরেই মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে দেওয়া হয় কারাদণ্ড। শেষমেশ মেলে মুক্তি। আটজন ছাড়া পেলেও, ভারতে ফিরেছেন সাতজন। এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান তাঁরা।

    আরও পড়ুুন: “লোকসভা ভোটে বিজেপি ছাড়াবে ৩৭০ আসন”, মধ্যপ্রদেশে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মুক্তি পাওয়া নৌবাহিনীর এক কর্মী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদির হস্তক্ষেপ ছাড়া আমাদের এখানে এসে দাঁড়ানো সম্ভব হত না। ভারত সরকারের ক্রমাগত প্রচেষ্টার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।” অন্য এক মুক্তি পাওয়া প্রাক্তন নৌবাহিনীর আধিকারিক বলেন, “আমি স্বস্তি বোধ করছি। নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পেরে আমি যারপরনাই খুশি। এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি (PM Modi) হস্তক্ষেপ না করলে, মুক্তি মিলত না। কৃতজ্ঞতা জানাই কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে। মুক্তি পাওয়া নৌবাহিনীর আর এক প্রাক্তন কর্তা বলেন, ভারতে ফিরতে আমাদের প্রায় আঠারো মাস অপেক্ষা করতে হয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। তাঁর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ ও কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছাড়া এটা সম্ভব হত না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • Haldwani Violence: হলদোয়ানির হিংসায় ধৃত ৩০, “দেবভূমির পবিত্রতা নষ্ট করা যাবে না”, বললেন ধামি

    Haldwani Violence: হলদোয়ানির হিংসায় ধৃত ৩০, “দেবভূমির পবিত্রতা নষ্ট করা যাবে না”, বললেন ধামি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারের হিংসার পর কেটে গিয়েছে আরও দুদিন। এখনও থমথমে উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানি এলাকা (Haldwani Violence)। ফের অশান্তির আশঙ্কায় কাঁটা বনভুলপুরার বাসিন্দারা। ভয়ে তল্পিতল্পা গুটিয়ে ভিটে ছাড়ছেন অনেকে। যাঁদের সে উপায় নেই, তাঁরা রয়েছেন ঘরে সিঁটিয়ে।

    গ্রেফতার ৩০

    হিংসার ঘটনায় রবিবার বিকেল পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ৩০ জনকে। এদিকে, রাজ্য সরকারের তরফে আরও মিলিটারি ফোর্স মোতায়েন করতে বলা হয়েছে কেন্দ্রকে। বনভুলপুরা এলাকায় এখনও জারি রয়েছে কারফিউ। কয়েকটি এলাকায় দোকানদানি খুলেছে। ইন্টারনেট পরিষেবাও মিলছে। ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। রবিবার তিনি (Haldwani Violence) বলেন, “দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “হলদোয়ানিতে দুষ্কৃতীরা মহিলা পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গেও অশালীন আচরণ করেছে। দুর্ব্যবহার করেছে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গেও। দুষ্কৃতীরা তাঁদের জীবন্ত পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিল। দেবভূমির পবিত্রতা নষ্ট করতে দেওয়া হবে না কোনওভাবেই। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    হিংসার নেপথ্যে

    প্রসঙ্গত, হলদোয়ানিতে সরকারি জমি দখল করে মাদ্রাসা ও মসজিদ তৈরি করার অভিযোগ উঠেছিল। সেগুলি তুলে দিতে পদক্ষেপ করেছিল উত্তরাখণ্ড সরকার। ওই মাদ্রাসা ও মসজিদকে বেআইনি নির্মাণ বলে ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন। এর পরেই আদালতের নির্দেশে ওই নির্মাণ দুটি ভাঙতে যায় পুলিশ-প্রশাসন। তখনই ছড়ায় হিংসা। পুলিশের ওপর হামলা চালায় স্থানীয়দের একটা বড় অংশ। পুলিশকর্মী, পুরসভার কর্মীদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয় পাথর। হামলায় জখম হয়েছেন পুলিশের কয়েকজন কর্মী। জখম হয়েছেন সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরাও। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বাইক এবং গাড়িতে।

    আরও পড়ুুন: সুবক্তা, দলের একনিষ্ঠ সৈনিক শমীক ভট্টাচার্যকেই রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে বিজেপি

    পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ কর্মী। দেরাদুন, হরিদ্বার ও উধম সিংহ নগরেও ব্যবস্থা করা হয়েছে কড়া নজরদারির। গঠন করা হয়েছে টাস্কফোর্স। প্রশাসন জানিয়েছে, বর্তমানে পরিস্থিতি রয়েছে নিয়ন্ত্রণে। দোষীদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। ভয়ে ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে চলে যাচ্ছেন স্থানীয়দের অনেকেই। ঘটনার খবর পেয়ে শুক্রবারই হলদোয়ানি এলাকায় গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মহিলা পুলিশ আধিকারিক সহ যাঁরা জখম হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেন (Haldwani Violence) তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share