Tag: news in bengali

news in bengali

  • Calcutta High Court: ডালিম, তপনের পর এবার নেতাই গণহত্যায় জামিন পেলেন সিপিএমের রথীন

    Calcutta High Court: ডালিম, তপনের পর এবার নেতাই গণহত্যায় জামিন পেলেন সিপিএমের রথীন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর জামিন পেয়েছিলেন নেতাই গণহত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ডালিম পাণ্ডে ও তপন দে। সোমবার ওই মামলায় জামিন পেলেন সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাট। প্রায় দশ বছর পর জামিন পেলেন তিনি। রথীনের জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ।

    সিবিআইয়ের অপদার্থতা!

    রথীনের জামিনের পর সিবিআইয়ের দিকে আঙুল তোলেন আইনজীবী সঞ্জয় বর্ধন। তিনি বলেন, “আজ নেতাইয়ের বাসিন্দারা সিবিআইয়ের কাছে প্রশ্ন করছেন। তাঁরা রাজনৈতিক মামলায় এত সক্রিয়। অথচ নেতাইয়ের নয় শহিদের পরিবার কেন এখনও বিচার পাচ্ছে না? সিবিআইয়ের অপদার্থতার জন্য আজও নেতাই মামলার বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। শহিদ পরিবার বিচার পাচ্ছে না।”

    নেতাইকাণ্ডের নেপথ্যে

    ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাই গ্রামে (Calcutta High Court) দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হয় ন’জন গ্রামবাসীর। গুলির ঘায়ে জখম হন ২৮ জন। অভিযোগ, স্থানীয় সিপিএম নেতা রথীনের বাড়ি থেকে গুলি চালিয়েছিল সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। রথীনের বাড়িতে সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনীর শিবির ছিল। স্থানীয়দের তারা নানাভাবে কাজে লাগাচ্ছিল। শিবিরের নানা কাজে সাহায্যের জন্য ডেকে পাঠানো হত বাড়ির মহিলাদের। এসব নিয়েই ক্ষোভ বাড়ছিল স্থানীয়দের মধ্যে। জানুয়ারির সাত তারিখে প্রতিবাদ আন্দোলনে শামিল হন স্থানীয়রা। তার পরেই রথীনের বাড়ি থেকে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: “চুরির সাত কাহন কাব্য লেখা উচিত”, তৃণমূলকে তোপ সুকান্তর

    ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। পরে ২০১৩ সালে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হাত বদল হয় তদন্তের রশি। তদন্ত শুরু করে সিবিআই। গ্রেফতার হন সিপিএমের তৎকালীন বিনপুর জোনাল সম্পাদক অনুজ পাণ্ডে-সহ ২০ জন সিপিএম নেতা-কর্মী। নেতাই গণহত্যা মামলায় বছরখানেক আগে জামিন পান ফুল্লরা মণ্ডল। গত ফেব্রুয়ারিতে জামিনে মুক্ত হন ডালিম এবং তপন। এদিন পেলেন (Calcutta High Court) রথীন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Case: “দীর্ঘদিন চাকরি করলেই অবৈধ নিয়োগ বৈধ হয় না”, বলল হাইকোর্ট

    SSC Recruitment Case: “দীর্ঘদিন চাকরি করলেই অবৈধ নিয়োগ বৈধ হয় না”, বলল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দীর্ঘদিন চাকরি করলেই অবৈধভাবে হওয়া নিয়োগ বৈধ হয়ে যায় না।” সোমবার এসএসসি নিয়োগ মামলায় (SSC Recruitment Case) এমনই মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির বেঞ্চে শুনানি হয় মামলাটির। তখনই বিচারপতি বলেন, “কে, কতদিন কাজ করেছেন, সেটা বড় বিষয় নয়, মূল বিচার্য হচ্ছে, নিয়োগ বৈধ কি না!”

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ

    নিয়োগ মামলায় অবৈধ সব নিয়োগ বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সব মামলার শুনানি কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে ছ’ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সেই বেঞ্চেই এদিন হয়েছে শুনানি। কর্মরত কয়েকজন শিক্ষকের আবেদন, দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা স্কুলে চাকরি করছেন সুপার নিউম্যারিক পদ তৈরি করে চাকরিতে বহাল রাখা হোক তাঁদের। কারণ তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন।

    কী বলল হাইকোর্ট?

    এই প্রসঙ্গেই বিশেষ বেঞ্চ (SSC Recruitment Case) বলে, মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হবে, তাতে অসুবিধা নেই। কিন্তু আদালত পদক্ষেপ করলে সেটা আদালতের এক্তিয়ার বহির্ভূত বিষয়। বিচারপতি জানান, নিয়োগের বৈধতার ওপরই নির্ভর করবে চাকরির ভবিষ্যৎ। যে নিয়োগ অবৈধভাবে হয়েছে, তা শুধু দীর্ঘদিন চাকরি করা হয়েছে এই যুক্তিতে বৈধ হয়ে যাবে না। এই মামলায় নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এতে আপত্তি জানিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।

    আরও পড়ুুন: শতাব্দীর সাংসদ তহবিলের ইডি, সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

    এ প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, “যখনই কেউ কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নেন, তখনই তিনি জানেন যে মেধাতালিকা প্রকাশিত হবে।” আদালতের প্রশ্ন, মেধাতালিকা বা প্যানেল প্রকাশিত হবে কীভাবে কারও সম্মানহানি হতে পারে? বিচারপতি বলেন, “এসএসসির উচিত ছিল আগেই ভুলগুলি স্বীকার করা। যাঁরা বেআইনিভাবে নিয়োগ হয়েছেন তাঁদের শনাক্ত করা প্রয়োজন ছিল (SSC Recruitment Case)। অন্যায়ভাবে যাঁরা সুযোগ পেয়েছেন, তাঁদের চাকরি বাতিল হওয়া উচিত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

      

  • PM Modi: “আমার সরকারের ১০টা বছরই উৎসর্গীকৃত দরিদ্রদের জন্য”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “আমার সরকারের ১০টা বছরই উৎসর্গীকৃত দরিদ্রদের জন্য”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমার সরকারের ১০টা বছরই উৎসর্গীকৃত দরিদ্রদের জন্য।” সোমবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন তিনি প্রধানমন্ত্রী জনজাতি আদিবাসী ন্যায় মহা অভিযানে প্রথম দফায় ৫৪০ কোটি টাকা অনুমোদন দেন। এই রুরাল হাউসিং স্কিমে উপকৃত হবেন এক লাখ মানুষ। উপভোক্তারা এই প্রকল্পের মাধ্যমে পাবেন বাড়ি, রান্নার গ্যাসের সংযোগ, বিদ্যুৎ এবং নলবাহিত পানীয় জল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সরকারের লক্ষ্যই হল, দেশের কেউ যেন জনকল্যাণমূলক এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত না হন।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছানো প্রয়োজন সব চেয়ে পিছিয়ে পড়া উপজাতি ভাই ও বোনেদের কাছে। পিএম জনমন মহা অভিযানের এটাই লক্ষ্য। সরকার প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছে প্রতিটি প্রকল্পের সুবিধা যেন তাদের কাছে পৌঁছায়। এখন সব চেয়ে পিছিয়ে পড়া ভাই ও বোনেরা আর সরকারি কোনও প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন না।”

    কী জানাল মহারাষ্ট্রের কিশোরী?

    এদিন ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) কথা বলেন মহারাষ্ট্রের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী জনজাতি আদিবাসী ন্যায় মহা অভিযান প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে তার পরিবার। প্রধানমন্ত্রী তাকে জিজ্ঞাসা করেন স্কুলে সে কী কী সুবিধা পায়। কুমারী ভারতী নারায়ণ নামের ওই ছাত্রী জানায়, খেলাধুলোর জন্য তাদের স্কুলে মাঠ রয়েছে, থাকার জন্য হস্টেল রয়েছে। সুস্থাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারও পরিবেশন করা হয়।

    আরও পড়ুুন: “শাহজাহান কোথায়, উত্তর আছে মা গঙ্গার কাছে”, ফের রাজ্যপালের মন্তব্য

    প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন ছত্তিশগড়ের যশপুরের একজনও। তাঁর পরিবারের সদস্য সংখ্যা পাঁচ। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তিনি পাকা বাড়ি পেয়েছেন। পেয়েছেন বিদ্যুৎ, ট্যাপের জল এবং গ্যাস সংযোগ। ১৫ নভেম্বর লঞ্চ হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জনজাতি আদিবাসী ন্যায় মহা অভিযান। বাজেট ছিল প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা। দিনটি ছিল জনজাতীয় গৌরব দিবস। এই প্রকল্পে উপভোক্তারা বাড়ি, স্বচ্ছ পানীয় জল, শৌচাগার, বিদ্যুৎ, রাস্তার সুযোগ পান। জীবনযাত্রার ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধাও মেলে এই প্রকল্পে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali Incident: হাইকোর্টের দ্বারস্থ সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূলের শাহজাহান

    Sandeshkhali Incident: হাইকোর্টের দ্বারস্থ সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূলের শাহজাহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali Incident) পর উধাও হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সোমবার, পৌষ সংক্রান্তির দিন ‘উদয়’ হলেন তিনি। তিনি তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতা। নিজে প্রকাশ্যে না এলেও, আইনজীবী মারফৎ জানান, সন্দেশখালি মামলায় যুক্ত হতে চান তিনি। কারণ, তিনি চান এই ঘটনায় তাঁর বক্তব্যও শোনা হোক।

    ইডির অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, তৃণমূলের এই নেতার বিরুদ্ধেই সন্দেশখালিতে গ্রামবাসীদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল ইডি। শাহজাহানের আইনজীবী জানান (Sandeshkhali Incident), মামলায় যুক্ত হতে চাইলে ওকালতনামা জমা দেওয়া হোক। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, “ঠিক আছে। রাজ্যকে এই মামলার কেস ডায়েরি নিয়ে আসতে হবে।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি মঙ্গলবার। রেশন বিলিকাণ্ডে গ্রেফতার (Sandeshkhali Incident) হন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনার নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই ঘটনায় নাম জড়ায় জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ শাহজাহানের।

    ইডির ওপর হামলা

    ৫ জানুয়ারি সরবেরিয়া গ্রামে তাঁর বাড়িতে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। সেখানে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও দরজা খোলেনি শাহজাহানের বাড়ির। যদিও শাহজাহানের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশনে দেখা যায় শাহজাহান রয়েছেন বাড়ির ভেতরেই। ইডির আধিকারিকরা দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন। এই সময় স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা ইডির আধিকারিকদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায়। ছুড়তে থাকে ইট-পাটকেল। ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে থাকা সিআরপিএফের দুই জওয়ানও জখম হন। সন্দেশখালির ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে ইডি।

    আরও পড়ুুন: “শাহজাহান কোথায়, উত্তর আছে মা গঙ্গার কাছে”, ফের রাজ্যপালের মন্তব্য

    পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের

    সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্ত হাজার তিনেক মানুষ। এই ঘটনায় মাত্র চারজন গ্রেফতার কেন, পুলিশকে ভর্ৎসনা করে আদালত। গোটা ঘটনার (Sandeshkhali Incident) তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার আবেদনও জানিয়েছে ইডি। কেস ডায়েরি না নিয়ে আসায় বিচারপতি বলেন, “পুলিশ এতদিন ধরে কী করছে, সেটা কেস ডায়েরি দেখেই বোঝা সম্ভব।” মঙ্গলবার কেস ডায়েরি আনতে হবে পুলিশকে। বিচারপতি পুলিশের কাছে জানতে চান, ঘটনার পরে কি পুলিশ শাহজাহানের বাড়িতে ঢুকেছিল? আদালত এজিকে বলেন, “সৎভাবে বিচার করার ইচ্ছে থাকলে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TET 2014: পিঠে চাবুক মেরে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের, কবে টনক নড়বে সরকারের?

    TET 2014: পিঠে চাবুক মেরে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের, কবে টনক নড়বে সরকারের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরির দাবিতে পথেই কাটিয়ে ফেলেছেন ৫০০ দিন। বিক্ষোভ দেখিয়েছেন একাধিকবার। তার পরেও টনক নড়েনি সরকারের। অগত্যা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে অভিনব উপায় বের করলেন ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিপ্রার্থীরা (TET 2014)।

    চাবুক মেরে বিক্ষোভ

    রবিবার মুখে কালি মেখে, পিঠে চাবুক মেরে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, রোদ-জল-ঝড় উপেক্ষা করে আন্দোলন করছেন তাঁরা। চাকরির জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কাছে দরবারও করেছেন (TET 2014)। তার পরেও সদর্থক কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। সেই কারণেই এদিন পাঁচশো দিনের মাথায় কষাঘাত করে সরকারের উদাসীনতার প্রতিবাদ জানালেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের মধ্যে একজন বলেন, “আমরা বছরের পর বছর ধরে অপেক্ষা করে চলেছি। আর কবে চাকরি পাব? সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে আমরা ক্লান্ত। এখন এই পন্থা ছাড়া আমাদের কাছে অন্য কোনও উপায় ছিল না।”

    চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য

    আর এক আন্দোলনকারী বলেন, “জানি না আর কতদিন এভাবে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আর কতদিন চোখের জল ফেলতে হবে। দুর্নীতি করে স্কুল দখল করে বসে রয়েছে, আর আমরা রাস্তায় বসে প্রাপ্য চাকরির জন্য হাহাকার করছি।” কষাঘাত কেন? চাকরি প্রার্থীদের (TET 2014) মধ্যে একজন বলেন, “আমাদের জীবনে আর আঘাতের কী বাকি আছে? ন’টা বছর তো এমনই কেড়ে নিয়েছে। আমরা বাবা-মায়ের মুখের দিকে তাকাতে পারি না। এই চাবুকের আঘাত আসলে সরকারের চাবুকের আঘাত, যা দেখা যায় না।” আর এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “মুখের কালি প্রতীকী। সংগঠিত অপরাধীদের কালি এটা। গত কয়েক দিনে বারংবার চাকরির প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসকদল বলছে আইনি জটিলতা রয়েছে। যা কাটলে তারা চাকরি দিতে প্রস্তুত।” তিনি বলেন, “দুর্নীতি হয়েছে। আর আমরা কেন তার পেনাল্টি দেব?”

    আরও পড়ুুন: “চোরেদের এনার্জি অভিষেক ব্যানার্জি”, বিশাল জনসভায় তৃণমূলকে তোপ সুকান্তর

    গান্ধী মূর্তির পাদদেশে চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা। হাজার বছর পূর্ণ হওয়ার দিন প্রতিবাদ জানাতে চুল কামিয়ে নেড়া হয়েছিলেন এক মহিলা আন্দোলনকারী। ক্ষোভের আগুনে ধামাচাপা দিতে দ্রুত তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেই সমস্যার সুরাহা হয়নি এখনও। তার মধ্যেই কষাঘাত করে আন্দোলনের আঁচ উসকে দিলেন প্রাইমারি টেট চাকরিপ্রার্থীরা। 

    আন্দোলনকারীদের (TET 2014) পিঠে নয়, এ চাবুকের ঘা বুঝি এসে পড়ল সমাজের বিবেকের পিঠে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: “ভগবান আমায় ডেকেছেন, তাই যাব”, অযোধ্যায় ডাক পেয়ে বললেন সাফাইকর্মী দুর্গা

    Ram Mandir: “ভগবান আমায় ডেকেছেন, তাই যাব”, অযোধ্যায় ডাক পেয়ে বললেন সাফাইকর্মী দুর্গা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজ করছেন আঠারো বছর ধরে। কাটাছেঁড়া করেছেন ৭০০-র বেশি লাশ। তিনি সন্তোষী দুর্গা, ছত্তিশগড়ের নরহরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যেকেন্দ্রে জীবনদীপ কমিটির সাফাইকর্মী। অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনে আমন্ত্রিত তিনিও। দুর্গার বিশ্বাস, ভগবান তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি যাবেন।

    দুর্গার সেরা প্রাপ্তি

    অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে ব্যবচ্ছিন্ন করা হয় শব। মৃত্যুর পরে দেহের ঠাঁই হয় মর্গে। সেই দেহ কাটাছেঁড়া করেন দুর্গার মতো কর্মীরা। আর মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। নরহরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যেকেন্দ্রে এই কাজই করেন দুর্গা। সমাজে অবদানের জন্য পেয়েছেন নানা স্বীকৃতি। তবে অযোধ্যা থেকে আমন্ত্রণ আসাই তাঁর সেরা প্রাপ্তি বলে মনে করেন বছর চল্লিশের এই মহিলা। দুর্গা বলেন (Ram Mandir), “সারা জীবনে আমি কখনও ভাবিনি আমায় অযোধ্যা থেকে ডাকা হবে। কিন্তু ভগবান রাম আমায় আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়ে ডেকেছেন।”

    আনন্দে চোখে জল

    তিনি জানান, রাম মন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের চিঠি পেয়ে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। ভগবানের আহ্বানে আনন্দে চোখে জল এসে গিয়েছিল তাঁর। বিরাট এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না দুর্গা। ১৮ জানুয়ারি তিনি রওনা দেবেন অযোধ্যার উদ্দেশে। রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নরহরপুরের বাসিন্দাদের সুখ-শান্তি এবং সমৃদ্ধি কামনা করবেন তিনি। মর্যাদা পুরুষোত্তমের এমন মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন দুর্গা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক সাফাই কর্মী অযোধ্যায় প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে ডাক পাওয়ায় গর্ব ঝরে পড়ছে নরহরপুরের ব্লক মেডিক্যাল অফিসার প্রশান্ত কুমার সিংহের গলায়। দুর্গাকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, “অযোধ্যা থেকে ওঁর আমন্ত্রণপত্র পাওয়া আমাদের সকলের জন্য গর্বের।”

    আরও পড়ুুন: “বাবর একদিনে ১ লক্ষ ৮০ হাজার হিন্দুকে খুন করেছিল” মন্দির ইস্যুতে তোপ শুভেন্দুর

    অযোধ্যায় মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ৭ হাজার জনকে। এঁদের মধ্যে ৩ হাজার জন ভিভিআইপি। বাকি যে ৪ হাজার জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দুর্গাও। যাঁরা নাগরিক কোনও সম্মান পেয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং রাম মন্দির আন্দোলনে যোগ দিয়ে মারা গিয়েছিলেন যেসব করসেবক তাঁদের পরিবারকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ২২ জানুয়ারির মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাঁদেরও, যাঁদের সওয়াল জবাবের জেরে আদালতে জয় হয়েছিল ‘যুদ্ধ’। আমন্ত্রিতের তালিকায় রয়েছেন হিন্দু সাধু-সন্ন্যাসী, শিখ, জৈন এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরাও। নোবেল পুরস্কার প্রাপক, ভারতরত্ন, পরমবীর চক্র এবং পদ্ম পুরস্কার প্রাপকদেরও জানানো হয়েছে আমন্ত্রণ। এহেন চাঁদের হাটে দেখা যাবে দুর্গার (Ram Mandir) মতো প্রান্তিক মানুষদেরও।

    রামলালার কাছে যে সবাই সমান!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Mandir: লাখো প্রদীপের রঙিন আলোয় ভেসে উঠলেন ধনুর্ধর রাম-মন্দির-মোদি

    Ram Mandir: লাখো প্রদীপের রঙিন আলোয় ভেসে উঠলেন ধনুর্ধর রাম-মন্দির-মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজনের রাজত্বে সমাধান হয়েছে বিতর্কের। গড়ে উঠছে মন্দির। আর যাঁর জন্য তৈরি হচ্ছে মন্দির, তিনি প্রতিষ্ঠিত হবেন ওই মন্দিরে। তাই অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দুজনেই সমান গুরুত্বপূর্ণ। দুজনের মধ্যে অবশ্য ফারাক রয়েছে। একজন ভক্ত, অন্যজন ভগবান। একজন পার্থিব, অন্যজন অপার্থিব। অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে রং-বেরঙের মাটির প্রদীপ দিয়ে তৈরি হচ্ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রামলালার ছবি (Ram Mandir)। আলোকমালায় দেখা যাবে রাম জন্মভূমি মন্দিরের ছবিও।

    রাম মন্দির উদ্বোধন

    ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। এদিনই গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হবেন রামলালার বিগ্রহ। মন্দির প্রতিষ্ঠার এই পুণ্যলগ্নের সপ্তাহখানেক আগেই শুরু হয়ে যাচ্ছে অনুষ্ঠান। ১৬ তারিখ থেকেই এই অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ভক্তরা সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছেন মাটির প্রদীপ (স্থানীয় ভাষায় দিয়া) হাতে (Ram Mandir)। তীর-ধনুক হাতে রাম এবং হিন্দিতে জয় শ্রীরাম লেখা জায়গায় প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন তাঁরা। প্রদীপ দিয়েই সাজানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ছবিও।

    রাম, রাম জন্মভূমি মন্দির…

    রাম, রাম জন্মভূমি মন্দির, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জয় শ্রীরামের ছবি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ প্রদীপ। এঁদের আঁকা ছবির রেখা বরাবরই জ্বালানো হয়েছিল প্রদীপ। ‘রাম পরাক্রমী রথযাত্রা’ শুরু হয়েছিল বিহার থেকে। রবিবার সেটি এসে পৌঁছানোর কথা অযোধ্যায়। এই সময় উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে। রাম জন্মভূমি মন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যাবে ১৬ জানুয়ারি থেকে।

    আরও পড়ুুন: “বাবর একদিনে ১ লক্ষ ৮০ হাজার হিন্দুকে খুন করেছিল” মন্দির ইস্যুতে তোপ শুভেন্দুর

    অযোধ্যার চিত্রটা বদলাতে শুরু করেছে ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট থেকে। এদিনই ভূমি পূজন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যার পর থেকেই ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে রাম মন্দির। রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের সাত হাজার মানুষ। এঁদের মধ্যে তিন হাজার জনই ভিভিআইপি। দশকের পর দশক ধরে যে অযোধ্যা পড়েছিল নিতান্তই অবহেলিত, সেই অযোধ্যারই ভোল বদলাচ্ছে রাতারাতি। যার মূলে রয়েছেন সেই ভগবান রাম (Ram Mandir)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: দিল্লির চেয়েও উষ্ণ কাশ্মীর, মার খেল পর্যটন ব্যবসা

    Weather Update: দিল্লির চেয়েও উষ্ণ কাশ্মীর, মার খেল পর্যটন ব্যবসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফলতে শুরু করেছে বিশ্ব উষ্ণায়ন নামক বিষ বৃক্ষের ফল। যার জেরে দিল্লির চেয়েও বেশি উষ্ণ কাশ্মীর (Weather Update)। শনিবার কাশ্মীরের শ্রীনগরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দু’ দশকে জানুয়ারি মাসে এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

    ভূস্বর্গের আবহাওয়া চিত্র

    বদলে গিয়েছে ভূস্বর্গের আবহাওয়া চিত্র। এ বছর জানুয়ারিতে একদিনও তুষারপাত হয়নি। তুষারপাত না হওয়ায় কাশ্মীর উপত্যকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে। চলতি শীতের মরশুমে রবিবার দিল্লিতে শীতলতম সকাল রেকর্ড হয়েছে। তাপমাত্রা নেমেছে সাড়ে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২১ ডিসেম্বর থেকে ২৯ জানুয়ারি সময়কালকে কাশ্মীরে বলা হয় ‘চিল্লাই কালান’ বা তীব্র ঠান্ডার চল্লিশ দিন। এর পর ২০ দিনের ‘চিল্লাই খুর্দ’ বা কম ঠান্ডা। ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পরবর্তী ১০ দিন ‘চিল্লাই বাছা’ বা শিশু ঠান্ডা।

    পশ্চিমী ঝঞ্ঝা

    আবহাওয়াবিদদের মতে, শীতের (Weather Update) এই সময়টা তাপমাত্রার ওঠাপড়া খুবই সাধারণ একটি ঘটনা। গ্রীষ্মেও এই ছবি দেখা যায়। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, অচিরেই জম্মু-কাশ্মীরে আবারও আঘাত হানবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। তখন প্রচুর তুষারপাত হতে পারে। চলতি মরশুমেই উপত্যকায় দেখা যেতে পারে তুষারপাত। তুষারপাত না হওয়ায় হতাশ কাশ্মীরে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা। স্কিয়িং, স্নোবোর্ডিং এবং ক্রশ-কান্ট্রি স্কিইংয়ের মতো যেসব রাইড পর্যটকদের টানে, সেগুলেতোও হা-পর্যটক দশা। কাশ্মীরে তুষারপাত হচ্ছে না জেনে গুলমার্গের বহু হোটেলের বুকিং বাতিল করেছেন পর্যটকরা।

    আরও পড়ুুন: এআই ব্যবহার করে বের করা হল রোগীর ফুসফুসের জমাট বাঁধা রক্ত!

    এদিকে, এখনও দূষণ-জালে রয়েছে দিল্লি। গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানের স্টেজ থ্রি নিয়ম আরোপ করেছে কেন্দ্র। দূষণ নিয়ন্ত্রণেই এটা করা হয়েছে। বায়ু দূষণের মাত্রা কমাতে রাজধানীজুড়ে স্টেজ থ্রি অ্যাকশন প্ল্যান রূপায়ন করতে উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্র। পাথর গুঁড়ো করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। খনি এবং খনি সম্পর্কিত কাজকর্মের লাগাম পরানো হচ্ছে। বহুতল নির্মাণ ও পুরানো বাড়ি ভাঙার কাজেও আপাতত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দিল্লির রাজ্য সরকারও গুচ্ছ নির্দেশিকায় জারি করেছে (Weather Update)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • AI Technology: এআই ব্যবহার করে বের করা হল রোগীর ফুসফুসের জমাট বাঁধা রক্ত!

    AI Technology: এআই ব্যবহার করে বের করা হল রোগীর ফুসফুসের জমাট বাঁধা রক্ত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোগীর বয়স ৬২। ফুসফুসে রক্ত জমে গিয়েছে। রক্ত জমাট বেঁধেছে পায়ের শিরায়ও। এই অবস্থায় রোগীকে নিয়ে এসে ভর্তি করা হল হরিয়ানার গুরগাঁওয়ের মেদান্ত হাসপাতালে। রোগীর অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছেন তাঁর আত্মীয়রা। তবে অভয় দিলেন চিকিৎসকরা।

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি (AI Technology) ব্যবহার করে শরীর থেকে বের করলেন জমাট বাঁধা রক্ত। নয়া জীবন পেলেন রোগী। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন মরণাপন্ন রোগীর আত্মীয়রা। মেদান্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, দেশের মধ্যে প্রথম এই হাসপাতালেই এআই টেকনোলজি (AI Technology) কাজে লাগিয়ে চিকিৎসা করা হল কোনও রোগীর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এআই-চালিত ডিভাইস পেনুম্ব্রা ফ্ল্যাশ ১২ এফ ক্যাথিটার ব্যবহার করা হয়েছিল রোগীর শরীর থেকে জমাট বাঁধা রক্ত বের করতে।

    কী বলছেন চিকিৎসকরা?

    ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে এ পর্যন্ত মেদান্ত হাসপাতালে পালমোনারি এমবলিজমের ২৫টি অপারেশন হয়েছে। এই রোগে রোগীর ফুসফুসে জমাট বেঁধে যায় রক্ত। চিকিৎসকদের মতে, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে রক্ত কম নষ্ট হয়, অ্যানিমিয়ার মতো জটিলতাও দেখা দেয় না। রোগীও সুস্থ হয়ে ওঠেন তাড়াতাড়ি। মেদান্ত হাসপাতালের চেয়ারম্যান তথা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ নরেশ ত্রেহান বলেন, “বুক ও আর্টারি খোলার চেয়ে জমাট বাঁধা রক্ত সাক করে নেওয়া ভালো। এআই আসপেক্টের সাহায্যে জমাট বাঁধা রক্ত সাক করে নিতে পারেন, রক্ত বের না করেই। অতীতে আমাদের যেসব বড়সড় অপারেশন করতে হয়েছে, সেখানে ঝুঁকিও ছিল অনেক বেশি। এখন সেটা অনেক কমেছে।”

    আরও পড়ুুন: জঙ্গি বিনাশে ভূস্বর্গে চলবে অপারেশন সর্বশক্তি, কীভাবে লড়বে সেনা?

    চিকিৎসক তরুণ গ্রোভার বলেন, “পেনুম্ব্রা ফ্ল্যাশ ১২ এফ ক্যাথিটার ব্যবহার করে এক বিমান চালকের জমাট বাঁধা রক্ত বের করা হয়েছে শরীর থেকে। অপারেশনের পর পরই রোগীর যন্ত্রণা কমে যায়, কমতে থাকে ফোলা ভাবও।” তিনি বলেন, “আগে অপারেশন করতে হলে রোগীকে পুরোপুরি অ্যানাস্থেশিয়া করতে হত। এই পদ্ধতিতে আর তা করতে হয় না। লোকাল অ্যানাস্থেশিয়া করতে হয়। রোগী নিজেই চাক্ষুষ করতে পারেন পুরো অপারেশন প্রক্রিয়াটা।” এআই (AI Technology) ব্যবহার করে কলঙ্কিত করা হয়েছে খ্যাতনামাদের। এআইয়ের কারণেই চাকরি গিয়েছে বহু মানুষের। সেই এআই ব্যবহার করেই নবজীবন দেওয়া হচ্ছে মরণাপন্ন রোগীদের।

    একই অঙ্গে দুই রূপ এআইয়েরও!   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Operation Sarvashakti: জঙ্গি বিনাশে ভূস্বর্গে চলবে অপারেশন সর্বশক্তি, কীভাবে লড়বে সেনা?

    Operation Sarvashakti: জঙ্গি বিনাশে ভূস্বর্গে চলবে অপারেশন সর্বশক্তি, কীভাবে লড়বে সেনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে রদ হয়েছে ৩৭০ ধারা। তার পর ক্রমেই ছন্দে ফিরছিল ভূস্বর্গ। ছবির মতো সাজানো এই উপত্যকায় শান্তি বিরাজ করুক, তা কখনওই চায়নি পাকিস্তান। প্রতিবেশী দেশটির এই অংশে নিত্য অশান্তি জিইয়ে রাখতে চায় ইসলামাবাদ। সেই কারণেই ভূস্বর্গে ফের বেড়েছে জঙ্গি উপদ্রব। জঙ্গিদের এই বাড়বাড়ন্তে পাকিস্তান ইন্ধন জুগিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। এমতাবস্থায় ভূস্বর্গে শান্তি ফেরাতে ‘অপারেশন সর্বশক্তি’ (Operation Sarvashakti) চালু করতে চলেছে সেনা বাহিনী। দু’ দশক আগে কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে চালু হয়েছিল অপারেশন সর্বশক্তি। ভূস্বর্গে জঙ্গি নির্মূলে এবার সেই ধাঁচেই চালু হচ্ছে অপারেশন সর্বশক্তি।

    ভূস্বর্গে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে সন্ত্রাসবাদ

    ইদানিং পাকিস্তানের মদতে ভূস্বর্গে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে সন্ত্রাসবাদ। বিশেষত, রাজৌরি পুঞ্চ সেক্টরের দক্ষিণ পির পাঞ্জাল রেঞ্জ এলাকায়। এই অঞ্চলে শহিদ হয়েছেন প্রায় ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। সর্বশেষ জঙ্গি-সেনা লড়াইয়ের ঘটনাটি ঘটে ডিসেম্বরের ২১ তারিখে, ডেরা কি গলি এলাকায়। সেদিন শহিদ হন চার জওয়ান (Operation Sarvashakti)। সেনা সূত্রে খবর, ২০০৩ থেকে ২০২১ এর অক্টোবর পর্যন্ত এই এলাকায় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেনি।  

    কী বলছেন সেনাকর্তা?

    নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্তা বলেন, “পির পাঞ্জাল রেঞ্জের দক্ষিণে বিশেষ করে রাজৌরি পুঞ্চ সেক্টরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ঠেকাতে এবার আমরা চালু করছি অপারেশন সর্বশক্তি। আশা করছি, ২০০৩ সালের মতো এবারও সাফল্য পাব আমরা।” ভূস্বর্গে শান্তি ফেরাতে এবং জঙ্গিদের সমূলে বিনাশ করতে শুক্রবার পুঞ্চে বৈঠকে বসেছিলেন সেনার পদস্থ কর্তারা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সেনার নর্দার্ন কমান্ডের জিওসি-ইন-সি লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী সহ পদস্থ কর্তারা। বাহিনীর এক পদস্থ কর্তা বলেন, “কাশ্মীরে যেভাবে জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়ছে তাতে এই ধরনের অপারেশন ছাড়া জঙ্গিদের নির্মূল করা অসম্ভব। তাই এই পদক্ষেপ।”

    আরও পড়ুুন: “সংবিধানেই রামরাজ্যের ধারণা নিশ্চিত করা হয়েছে”, বললেন ধনখড়

    অন্য এক সেনাকর্তা বলেন, “জঙ্গি দমনে পির পাঞ্জাল রেঞ্জের দু’দিক থেকেই চালানো হবে ‘অপারেশন সর্বশক্তি’। এই অভিযানে শামিল হবে শ্রীনগরস্থিত সেনার চিনার কোর এবং নাগরোটায় স্থিত হেডকোয়ার্টারের হোয়াইট নাইট কোর।” সেনার তরফে জানানো হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, সিআরপিএফ, স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলি একযোগে চালাবে অভিযান (Operation Sarvashakti)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share