Tag: news in bengali

news in bengali

  • PM Modi: ‘‘ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সঙ্গেই জুড়ে তামাম বিশ্বের অগ্রগতি’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘‘ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সঙ্গেই জুড়ে তামাম বিশ্বের অগ্রগতি’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছিলেন দেশে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছোঁবে ৭ শতাংশ। তার পর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) জানিয়ে দিলেন উন্নততর ভবিষ্যৎ হাতছানি দিচ্ছে। তিনি বলেন, “ভারত যখন বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে, তখন প্রত্যেকেই উন্নততর ভবিষ্যৎ দেখতে পাবেন।”

    ভারতের উজ্জ্বল অতীত স্মরণ

    শনিবার লালকেল্লায় ইন্ডিয়ান আর্ট, আর্কিটেকচার অ্যান্ড ডিজাইন বিন্নেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সঙ্গেই জুড়ে তামাম বিশ্বের অগ্রগতি। এর লক্ষ্যই হল, আত্মনির্ভর ভারত নতুন সুযোগ এনে দিচ্ছে।” এদিনের অনুষ্ঠানে ভারতের উজ্জ্বল অতীতের কথা মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। অতীতে ভারতের অর্থনীতি নিয়েও আলোচনা হত বিশ্বজুড়ে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সেই থেকে আজও ভারতের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে চলেছে।”

    ইন্ডিজেনাস ডিজাইনকে শিক্ষার অঙ্গ!

    লালকেল্লায় আত্মনির্ভর ভারত সেন্টার ফর ডিজাইনেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। কমেমরোটিভ স্ট্যাম্পও চালু করেন। এদিন প্রদর্শনীকক্ষ ঘুরেও দেখেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়ান আর্ট, আর্কিটেকচার অ্যান্ড ডিজাইন বিন্নেল দিল্লিতে সংস্কৃতিক ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করবে। এনিয়ে দেশের পাঁচটি শহরে প্রধানমন্ত্রী সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের উদ্বোধন করলেন। এই শহরগুলির হল দিল্লি, কলকাতা, মুম্বই, আহমেদাবাদ এবং বারাণসী। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দেশজ ভারত ডিজাইন: ইন্ডিজেনাস ডিসাইনস অ্যান্ড সমতা: শেপিং দ্য বিল্টকে মিশন হিসেবে নেওয়ার কথাও বলেন। ইন্ডিজেনাস ডিজাইনকে শিক্ষার অঙ্গ হিসেবে গড়ে তোলার ওপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। একে আরও সমৃদ্ধশালী করতে গবেষণাও করা প্রয়োজন বলে মনে করেন।

    আরও পড়ুুন: টপকে গেল পার্থ-অর্পিতাকেও! কংগ্রেস সাংসদের বাড়িতে উদ্ধার ৩০০ কোটি

    আত্মনির্ভর ভারত সেন্টার ফর ডিজাইনের উদ্বোধন সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সেন্টারটি একটা ইউনিক প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। এটি ভারতের রেয়ার একটি ক্র্যাফ্ট হিসেবে গড়ে উঠবে, যখন ডিজাইনাররা এখানে জড়ো হয়ে তাঁদের শিল্প কীর্তি গড়ে তুলবেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আর্টিজান ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে সাহায্য করবে। এর পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কেও দক্ষতা অর্জন করবে।” তিনি বলেন, “ভারতীয় শিল্পীরা গোটা বিশ্বে তাঁদের অবদান রাখতে পারেন।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “শিল্প ও সংস্কৃতি মানুষের মনের অন্তর্নিহিত ভাবনার সঙ্গে জড়িত এবং সেই অন্তর্নিহিত সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য শিল্প ও সংস্কৃতি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA Raids:  ৪০ জায়গায় হানা এনআইএ-র, জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত সন্দেহ গ্রেফতার ১৩

    NIA Raids:  ৪০ জায়গায় হানা এনআইএ-র, জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত সন্দেহ গ্রেফতার ১৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার ১৩। শনিবার সকাল থেকে কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রের ৪০টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা সংক্ষেপে, এনআইএ (NIA Raids)। 

    দুই রাজ্যে হানা এনআইএ-র

    জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্রের ঠাণে গ্রামীণ এ শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চলছে। তল্লাশি চলছে পুণে এবং মীরা ভায়ান্দরেও। দুই জায়গার এই সব জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ১৩ জনকে। জানা গিয়েছে, ঠাণের গ্রামীণ এলাকার ৩১টি জায়গায় হানা দিয়েছে এনআইএ। ঠাণে সিটির ৯টি জায়গায়ও চলছে তল্লাশি। জানা গিয়েছে, অগাস্ট মাসে আইএস কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আকিফ আতিক নাচান নামে একজনকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। তাকে জেরা করে ধরা হয় আরও পাঁচজনকে।

    জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার 

    নভেম্বরে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাবিশ নাসের সিদ্দিকি নামের আরও একজনকে। জুবেইর নুর মহম্মদ শেখ ও আদনান সরকারকে গ্রেফতার করা হয় পুণে থেকে। ঠাণে থেকে গ্রেফতার করা হয় শরজিল শেখ ও জুলফিকার আলিকে। এদিকে, গত মাসেই একটি ষড়যন্ত্র মামলায় আইসিসের পুণে মডিউলের ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করেছিল এনআইএ (NIA Raids)। আইসিসের সংগঠনকে আরও মজবুত করতে ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হামলার ছক কষতে অর্থ সংগ্রহ করছিল অভিযুক্তেরা।

    এই সাতজনের কাছ থেকে আইইডি, অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র সহ নানা অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। এনআইএ-র দাবি, ওই সাতজন নানা জায়গায় শিবির করে তরুণদের আইসিসে যোগ দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করত। এর পাশাপাশি জঙ্গিদের গা ঢাকা দেওয়ার ব্যবস্থাও করত এই সাতজন।

    আরও পড়ুুন: ২৫০ কোটি পার…! কে এই ধীরজ সাহু, যার বাড়িতে মিলল ‘যখের ধন’!

    এনআইএ সূত্রে খবর, সাতজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ইউএপিএ, এক্সপ্লোসিভ সাবস্ট্যান্সেস অ্যাক্ট, আর্মস অ্যাক্টে অভিযোগ আনা হয়েছে। অক্টোবর মাসে দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করেছিল জঙ্গি শাহনওয়াজ আলমকে। সে পুণে আইসিস মডিউল সংক্রান্ত মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। এনআইএ-র খাতায় দীর্ঘদিন ধরেই ওয়ান্টেড ছিল এই (NIA Raids) জঙ্গি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Congress: ২৫০ কোটি পার…! কে এই ধীরজ সাহু, যার বাড়িতে মিলল ‘যকের ধন’!

    Congress: ২৫০ কোটি পার…! কে এই ধীরজ সাহু, যার বাড়িতে মিলল ‘যকের ধন’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার পর এবার ঝাড়খণ্ড। তৃণমূল কংগ্রেসের পর এবার কংগ্রেস। ঝাড়খণ্ডের সাংসদের ডিস্টিলারি সংস্থায় হানা আয়কর দফতরের। উদ্ধার নগদ ২৫০ কোটি টাকা। ঘটনায় জড়িয়েছে কংগ্রেসের নাম। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড থেকে জিতে রাজ্যসভায় গিয়েছেন কংগ্রেসের ধীরাজ প্রসাদ সাহু।

    উদ্ধার কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা

    এই ডিস্টিলারি সংস্থাটি তাঁরই। ওড়িশার বলঙ্গির জেলায় একটি অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ২০০ কোটি টাকা। ওড়িশার সম্বলপুর, সুন্দরগড়, ঝাড়খণ্ডের বোকারো এবং রাঁচিতে অবস্থিত ধীরাজের বাড়ি ও সংস্থার বিভিন্ন অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে আরও কয়েক কোটি টাকা। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, আলমারি ও একাধিক বাক্সে থরে থরে সাজানো ছিল টাকা। সব মিলিয়ে ঠিক কত টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। 

     প্রসঙ্গত, গত বছর এ রাজ্যেও উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর নগদ টাকা। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে তদন্তে নেমে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার পর তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা। অভিযোগ, বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোটা টাকার বিনিময়ে নিয়োগ করা হয়েছি অযোগ্যদের। এই টাকা সেই ‘চাকরি বিক্রি’র টাকা, যা গচ্ছিত রাখা হয়েছিল অর্পিতার বাড়িতে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পার্থ।

    কে এই ধীরাজ?

    ধীরাজের বাড়ি ও সংস্থার অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা গুণতে ৩৬টি মেশিন আনা হয়েছিল বলে আয়কর দফতর সূত্রে খবর। তার মধ্যে কয়েকটি আবার নোট গুণতে গুণতে বিকল হয়ে যায়। প্রশ্ন হল, কে এই ধীরাজ? ১৯৫৫ সালের নভেম্বরে জন্ম ধীরাজের। তাঁর বাবা ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। বলদেব সাহু ইনফ্রা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সঙ্গে যোগ রয়েছে বৌধ ডিস্টিলারিজের। এর সঙ্গেই যুক্ত ধীরাজ। রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কলেজ থেকে স্নাতক হন ধীরাজ। তার পরেই জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে।  

    ১৯৭৭ সালে রাজনীতিতে আসেন। লাহরডাগা জেলা যুব কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তাঁর ভাই শিবপ্রসাদ কংগ্রেসের টিকিটে জিতে দু’ বার লোকসভার সাংসদ হয়েছিলেন। ২০১০ সাল থেকে রাজ্যসভার সাংসদ ধীরাজ। ২০১৮ সালে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার সময় ধীরাজ জানিয়েছিলেন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৩৪.৮৩ কোটি টাকা। তাঁর ২.৪ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন (Congress) ধীরাজ।

     

    আরও পড়ুুন: আশাতীত বৃদ্ধি জিডিপি-র, মোদি জমানাতেই বিশ্বের তৃতীয় বৃত্ততম অর্থনীতি হচ্ছে ভারত!

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • TATA: তামিলনাড়ুতে বৃহত্তম আইফোন প্ল্যান্ট গড়ছে টাটা, হবে ৫০ হাজার কর্মসংস্থান!

    TATA: তামিলনাড়ুতে বৃহত্তম আইফোন প্ল্যান্ট গড়ছে টাটা, হবে ৫০ হাজার কর্মসংস্থান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্য ফিরছে দেশীয় অর্থনীতির। আয় বাড়ছে সাধারণ মানুষের। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে আইফোনের ক্রেতাও। দেশে তৈরি আইফোনের কদর বাড়ছে দেশের পাশাপাশি বিদেশেও। তাই টাটা (TATA) গোষ্ঠী চাইছে দেশেই আইফোন তৈরির সর্ববৃহৎ প্ল্যান্ট তৈরি করতে। জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুর হোসুরে এই প্ল্যান্ট গড়তে চাইছে টাটা।

    ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ

    প্ল্যান্টটি তৈরি হবে ৫০০ একর জমির ওপর। জমি পরিদর্শনও সেরে ফেলেছেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। প্ল্যান্ট তৈরির বরাত পেয়েছে টাটা ইলেকট্রনিক্স প্রাইভেট লিমিটেড। এই সংস্থা টাইটান ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অটোমেশন লিমিটেডের প্রযুক্তিগত সাহায্যে গড়বে নয়া প্ল্যান্ট। ইতিমধ্যেই ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ফেলেছে টাটা (TATA) গোষ্ঠী। প্ল্যান্ট তৈরি করতে নিয়োগ করা হয়েছে ১৫ হাজারেরও বেশি কর্মী। জানা গিয়েছে, এই প্ল্যান্টে প্রায় ২০টি অ্যাসেম্বলি লাইন থাকছে। এখানেই হবে আইফোন অ্যাসেম্বল করার কাজ। প্ল্যান্টটিতে আগামী দু’বছরের মধ্যে ৫০ হাজার কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা করেছে টাটা গোষ্ঠী। তার বছরখানেক পর থেকেই শুরু হয়ে যাবে আইফোন তৈরির কাজ। 

    কর্নাটকেও রয়েছে টাটার আইফোন প্ল্যান্ট

    প্রসঙ্গত, কর্নাটকে আগেই একটি আইফোন প্ল্যান্ট গড়েছে টাটা গোষ্ঠী। সংস্থায় কর্মী রয়েছেন ১০ হাজারেরও বেশি। তাইওয়ানের সংস্থা ফক্সকন এবং পেগাট্রনও আইফোন নির্মাণ করছে দক্ষিণ ভারতে। ভারতে আরও বেশি করে আইফোন তৈরি করতে ১.৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার বিষয়েও চিন্তাভাবনা করছে ফক্সকন। প্রসঙ্গত, ভারতে তৈরি আইফোন ইতিমধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে বিশ্ব বাজারে। দেশেও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে দেশীয় এই আইফোনের। আইফোনের অত্যাধুনিক মডেল আইফোন ১৬। এই ফোনের ব্যাটারিও দেশে তৈরির পরিকল্পনা করছে লাক্সারি এই ফোন প্রস্তুতকারী সংস্থা।

    আরও পড়ুুন: আশাতীত বৃদ্ধি জিডিপি-র, মোদি জমানাতেই বিশ্বের তৃতীয় বৃত্ততম অর্থনীতি হচ্ছে ভারত!

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে রয়েছে বিপুল পরিমাণ দক্ষ শ্রমিক। এটাকেই কাজে লাগাতে চাইছে টাটা গোষ্ঠী। আইফোনের মানও আরও উন্নত করতে চাইছে সংস্থাটি। এই কারখানায় তৈরি আইফোন যাতে বিশ্ববাজারের বিরাট বাজার ধরতে পারে, সেই ব্যবস্থাও করতে চলেছে সংস্থাটি (TATA)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • GDP Growth: আশাতীত বৃদ্ধি জিডিপি-র, মোদি জমানাতেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হচ্ছে ভারত!

    GDP Growth: আশাতীত বৃদ্ধি জিডিপি-র, মোদি জমানাতেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হচ্ছে ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় রকেট গতিতে উত্থান হচ্ছে জিডিপির হার (GDP Growth)। চলতি অর্থবর্ষের শেষে এই হার আরও বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সংক্ষেপে আরবিআই। অর্থনীতির কারবারিদের দাবি, এভাবে চলতে থাকলে আগামী তিন বছরের মধ্যেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে ভারত।

    কী বলছেন আরবিআইয়ের গভর্নর

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় পাঁচ নম্বরে রয়েছে ভারত। দীর্ঘদিন এই জায়গাটা দখল করে রেখেছিল ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডকে সরিয়ে এই জায়গাটা দখল করেছে ভারত। ইংল্যান্ড গিয়েছে পিছিয়ে। আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, “চলতি অর্থবর্ষের শেষে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগে অনুমান করা হয়েছিল এটি ৬.৫ শতাংশ পর্যন্ত যেতে পারে।” বুধবার থেকে টানা তিনদিন দেশের অর্থনীতি নিয়ে আলোচনায় বসে আরবিআইয়ের মুদ্রা নীতি কমিটি। সেখানে জিডিপি সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

    বজায় থাকবে অর্থনীতির ভারসাম্য

    এই বৈঠক শেষে শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জিডিপি বৃদ্ধির হার নিয়ে আশার আলোর কথা শোনান আরবিআইয়ের গভর্নর। তিনি বলেন, “২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির (GDP Growth) হার পৌঁছতে পারে ৭ শতাংশে। তৃতীয় ত্রৈমাসিকে এটা ৬.৫ শতাংশ ও চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ৬ শতাংশ থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার পৌঁছবে ৬.৭ শতাংশে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ত্রৈমাসিকে যথাক্রমে ৬.৫ ও ৬.৪ শতাংশে পৌঁছে যেতে পারে জিডিপি বৃদ্ধার হার। ফলে অর্থনীতির ভারসাম্য বজায় থাকবে। ঝুঁকিও তেমন থাকবে না।

    আরও পড়ুুন: বাইডেন-সুনক নয়, বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রনেতা মোদি, বলছে আন্তর্জাতিক সমীক্ষা

    প্রসঙ্গত, এ মাসেরই প্রথম দিকে মার্কিন সংস্থা এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিংয়ের তরফে দাবি করা হয়েছিল ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার পৌঁছবে ৭ শতাংশে। আরবিআইয়ের অনুমান ঠিক হলে, তার ঢের আগেই ভারতের জিডিপি ছুঁয়ে ফেলবে ৭ শতাংশের মাইলস্টোন। এদিকে, এদিন ফের একবার সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল আরবিআই। মুদ্রানীতি বিবৃতিতে (GDP Growth) আরবিআই জানিয়েছে, রেপো রেট (বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে দেওয়া ঋণের সুদ) ৬.৫ শতাংশই থাকছে। তাই যাঁরা ইএমআই দেন, তাঁদের এই ইএমআইয়ের পরিমাণ বাড়ছে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Cash For Query Scam: খারিজ হল মহুয়ার সাংসদ পদ, ধ্বনিভোটে পাশ বহিষ্কারের প্রস্তাব

    Cash For Query Scam: খারিজ হল মহুয়ার সাংসদ পদ, ধ্বনিভোটে পাশ বহিষ্কারের প্রস্তাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যা হওয়ার ছিল, সেটাই হল। ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্নকাণ্ডে (Cash For Query Scam) লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra Expelled)। এদিন লোকসভায় ভোটাভুটির মাধ্যমে খারিজ করা হয় মহুয়ার সদস্যপদ। তার আগে, আধ ঘণ্টা এই বিষয়ে আলোচনা হয় সংসদের নিম্নকক্ষে। 

    সময় বরাদ্দ ৩০ মিনিট

    মহুয়া (Mahua Moitra Expelled) নিয়ে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট এদিন বেলা ১২টা নাগাদ লোকসভায় পেশ করা হয়েছিল (Cash For Query Scam)। রিপোর্ট পেশ করেছিলেন কমিটির চেয়ারম্যান তথা বিজেপি সাংসদ বিনোদ কুমার সোনকর। এথিক্স কমিটির রিপোর্টে করা সুপারিশে বলা হয়েছিল, ‘‘মহুয়া যে অবৈধ ভাবে টাকা নিয়েছেন, তা প্রতিষ্ঠিত সত্য। সেটি অস্বীকার করার জায়গাই নেই। সাংসদ হিসাবে তাঁর আচরণ অনৈতিক। সেই কারণে লোকসভা থেকে তাঁকে বহিষ্কৃত করা উচিত বলে মনে করে এথিক্স কমিটি। পাশাপাশি তিনি যে অপরাধ করেছেন, সরকারের তরফে তার আইনি তদন্তও করা দরকার।’’ এদিকে, রিপোর্ট পেশ হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লোকসভার অধিবেশন। সভা জুড়ে তুমুল হই-হট্টগোল বাঁধিয়ে দেন বিরোধীরা। স্লোগান দিতে শুরু করেন। রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার দাবি তোলে তৃণমূল। চেঁচামেচির জেরে দুপুর ২টো পর্যন্ত সভা মুলতুবি করে দেন স্পিকার।  পরে, দুপুর ২টোয় অধিবেশন পুনরায় শুরু হলে এদিন মহুয়ার স্বপক্ষে কথা বলেন ইন্ডি-জোটের অন্যতম শরিক দল কংগ্রেস। অধীর দাবি করেন, এই রিপোর্ট পড়তে সময় লাগবে। ভাল করে পড়ে এটা নিয়ে চর্চা করা উচিত। রিপোর্ট পড়ার জন্য তিন-চার দিন সময় চেয়ে বসেন আরেক কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি।

    মহুয়াকে থামিয়ে দিলেন স্পিকার

    কিন্তু, স্পিকার ওম বিড়লা জানিয়ে দেন, এই ইস্যুতে (Cash For Query Scam) কক্ষে আলোচনার জন্য ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ করা যেতে পারে। সেই অনুযায়ী, লোকসভায় শুরু হয় মহুয়া-চর্চা। সেই সময় কক্ষে বসেছিলেন মহুয়া। লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ জানান, তৃণমূলের তরফে তিনি কথা বলবেন না। কথা বলবেন মহুয়া নিজে। মহুয়া এর পর বলার চেষ্টা করলে, স্পিকার তাঁকে থামিয়ে দেন। প্রাক্তন লোকসভা স্পিকার প্রয়াত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের উদাহরণ টেনে এদিন কৃষ্ণনগরের সাংসদের (Mahua Moitra Expelled) উদ্দেশে ওম বিড়লা জানান, মহুয়া আগে এথিক্স কমিটির সামনে নিজের বক্তব্য জানানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। তাই আবার তাঁকে সুযোগ দেওয়া হবে না। মহুয়ার বলার প্রচেষ্টায় বাধা দেয় বিজেপিও। বিজেপি তার বিরোধিতা করে। অপরাজিতা সরঙ্গি বলেন, ‘‘মহুয়াকে বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তিনি সুযোগ পেলেও তখন কিছু বলেননি। ওয়াক আউট করে গিয়েছিলেন।’’ এর পরই, নিজের আসনে বসে পড়েন মহুয়া। তাঁর হয়ে সওয়াল করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

    আলোচনার পর স্পিকার এথিক্স কমিটির সুপারিশের (Cash For Query Scam) ওপর বিজেপির আনা ভোটাভুটির প্রস্তাব পেশ করেন স্পিকার। ধ্বনিভোটে প্রস্তাব পাশ হওয়ায় লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হন মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra Expelled)। এর পর, স্পিকার সকল সদস্যের উদ্দেশে পরামর্শ দেন, সকলে যেন তাঁদের প্রশ্ন নিজেই তৈরি করেন। অন্য কাউকে প্রশ্ন তৈরি করতে যেন দেওয়া না হয়। এই নিয়ম না মানলে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেন স্পিকার। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cash For Query Scam: মহুয়াকে নিয়ে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ লোকসভায়, কী আছে তাতে?

    Cash For Query Scam: মহুয়াকে নিয়ে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ লোকসভায়, কী আছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে টাকার বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে (Cash For Query Scam) তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ হল লোকসভায়। এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ রিপোর্ট পেশ হয়। এরপরই, সভায় হই-হট্টগোল শুরু হয়ে যাওয়ায় দুপুর ২টো পর্যন্ত সভা মুলতুবি করতে বাধ্য হন স্পিকার। আজই কি সাংসদ পদ খারিজ হচ্ছে মহুয়ার? এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে বিরতির পর, ২টোর সময় সভা পুনরায় চালু হওয়ার পরই। তখনই জানা যাবে কৃষ্ণনগরের সাংসদের ভবিষ্যৎ। 

    প্যানেলের প্রথম রিপোর্ট (Cash For Query Scam) এদিন পেশ করেন বিজেপি সাংসদ তথা এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান বিনোদ কুমার সোনকর। সূত্রের খবর, রিপোর্টে ‘কঠোর শাস্তি’ স্বরূপ মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশই করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘… মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) যে গুরুতর অপকর্ম করেছেন, তা কঠোর শাস্তির যোগ্য। কমিটি তাই সুপারিশ করেছে যে, সাংসদ মহুয়া মৈত্র সপ্তদশ লোকসভার সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হোক।’’ রিপোর্ট পেশ হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লোকসভার অধিবেশন। সভা জুড়ে তুমুল হই-হট্টগোল বাঁধিয়ে দেন বিরোধীরা। স্লোগান দিতে শুরু করেন। রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার দাবি তোলে তৃণমূল। চেঁচামেচির জেরে দুপুর ২টো পর্যন্ত সভা মুলতুবি করে দেন স্পিকার।  দুপুর ২টোয় অধিবেশন শুরু হলে, এই রিপোর্ট দেখেই স্পিকার প্রস্তাবনা আনবেন। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ থাকবে কি না, তা আজই স্থির হয়ে যাবে।

    এথিক্স কমিটির রিপোর্ট (Cash For Query Scam) নিয়ে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যখন বিষয়টা জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে, তখন সেটা আর পার্টির বিষয় থাকে না। এই নিয়ে কোনও রাজনীতি হওয়া উচিত নয়। যে জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে, তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা উচিত (Mahua Moitra) । নাহলে দেশের ১৪০ কোটির মানুষের প্রতিনিধিত্ব যাঁরা করেন, তাঁদের নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। এই নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক এবং কড়া পদক্ষেপ করা হোক, এটাই চাই।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • INDI Alliance: হিন্দি-বলয়ে গোহারা হওয়ার পর ইন্ডি-জোটে ফাটল, লোকসভা পর্যন্ত টিকবে তো?

    INDI Alliance: হিন্দি-বলয়ে গোহারা হওয়ার পর ইন্ডি-জোটে ফাটল, লোকসভা পর্যন্ত টিকবে তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়জয়কার প্রত্যক্ষ করেছেন দেশবাসী। মধ্যপ্রদেশ থেকে শুরু করে ছত্তিসগড় ও রাজস্থান— সর্বত্র আজ রাজ করছে গেরুয়া ঝান্ডা। এর মধ্যে ছত্তিসগড় ও রাজস্থান বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য। কারণ, এই দুই রাজ্যে শাসক কংগ্রেসকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণ করে তিন রাজ্যে বিপুল জয়লাভ করেছে গেরুয়া শিবির। আর এই জয়ের নেপথ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যোগ্য নেতৃত্ব ও বিজেপি নেতা-কর্মীদের সংগঠিত লড়াই। বিজেপি একদিকে যখন এই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তখন যেন ‘মোদি-ঝড়ের’ গ্রাসে বিরোধী শিবির।

    একা মোদির মোকাবিলায় ২৬টি দল!

    কংগ্রেস হোক বা তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি হোক বা আম আদমি পার্টি— সকলেই একমত ছিল যে, একা একা নরেন্দ্র মোদির মোকাবিলা করা অসম্ভব, অবাস্তব। তাই, মোদির মোকাবিলা করতে ২৬টি জাতীয় ও আঞ্চলিক দল নিয়ে গঠিত হয়েছিল ‘ইন্ডি অ্যালায়েন্স’ (INDI Alliance)। এই জোটের মূল হোতা অবশ্যই শতাব্দী প্রাচীন পার্টি, মায় কংগ্রেস। এই জোট তৈরি হওয়া ইস্তক গত এক বছরে বেশ ক’বার জোটের সদস্য দলগুলির শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠকও করেন। তৈরি হয় একাধিক নীল-নকশা। লক্ষ্য মোদিকে হারানো। কিন্তু, এত কিছু করে বাস্তবে কী হল?

    আরও পড়ুন: ১২ রাজ্যে ক্ষমতায় বিজেপি, কংগ্রেস মাত্র তিনে! প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘হ্যাটট্রিক’ কি সময়ের অপেক্ষা?

    সেমিফাইনালে গো-হারা কংগ্রেস

    সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটকে আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের (2024 LS Polls) আগে সেমি-ফাইনাল হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বলা বাহুল্য, এই পাঁচ (বিশেষ করে চারটি) রাজ্যের বিধানসভার ফলাফলের দিকে তাকিয়ে ছিলেন সকলেই। যা দেখা গেল, তা হল— বিজেপি-৩, কংগ্রেস-১। ফলাফলেই পরিষ্কার, খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে বিরোধী শিবির (INDI Alliance)। কংগ্রেস তথা ইন্ডি-জোটের মাথার ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড়। যার জেরে একেবারে লন্ডভন্ড অবস্থা বিরোধী জোটে। 

    পিঠ বাঁচাতে ‘ইভিএম’ কারচুপি তত্ত্ব

    বিভ্রান্ত কংগ্রেস নেতারা হারের দায় ঝেড়ে ফেলতে এবং নিজেদের পিঠ বাঁচাতে ‘ইভিএম’ কারচুপির তত্ত্ব খাড়া করেছে। যদিও, তাতে কেউ আমল দিচ্ছে না। শুধু তাই নয়। ফলাফল বের হওয়া ইস্তক, জোটের মধ্যেই দোষারোপের পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। নির্বাচনের ব্যর্থতার দায় কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে জোট-শরিকরা। ইন্ডি-জোটের অন্যতম সদস্য তৃণমূল। মমতা জানিয়েছেন, এটা কংগ্রেসের পরাজয়। তাদের কৌশল ভুল ছিল। একই কথা প্রকাশ্যে এসেছে জেডিইউ-র থেকেও।

    ইন্ডির বৈঠকে গরহাজির কারা

    বুধবার, ভোটের পর্যালোচনা ও আগামী দিনের পরিকল্পনা ও নীতি স্থির করতে দিল্লিতে ১০ রাজাজি মার্গে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে বৈঠক (INDI Alliance) ডাকা হয়েছিল। কিন্তু, সেখানে যাননি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, পাঠাননি কোনও প্রতিনিধিকে। উত্তরবঙ্গ সফরের আগে মমতা জানান, বৈঠকে সম্পর্কে তিনি নাকি কিছুই জানেন না। তাঁকে কেউ ফোন করেননি। বৈঠকে গরহাজির ছিলেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব। যাননি জেডিইউ-র নীতীশ কুমার ও জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন। বৈঠকে ছিলেন না শিবসেনার উদ্ধব-গোষ্ঠী সহ আরও একাধিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

    লোকসভা ভোট পর্যন্ত ইন্ডি-জোট টিকবে তো?

    এই ঘটনাগুলোই প্রমাণ করে যে, ইন্ডি-জোটের ভিতরে ঘোঁট পাকিয়ে গিয়েছে। ঘটা করে শুরু হয়েছিল ইন্ডি-জোট। ‘হানিমুন’ পর্ব শেষ। বছর পার হতে না হতেই এবার রুক্ষ বাস্তব প্রকাশ পেতেই একে একে সরে যাচ্ছে জোটের শরিকরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এটা হওয়ারই ছিল। কারণ হিসেবে তাঁরা জানান, ইন্ডি জোটের শরিক দলগুলির নিজ নিজ স্বার্থ ঢেকে দিচ্ছে বিজেপিকে মোকাবিলা করার অভিন্ন স্বার্থকে। যে কারণে, নিজেদের মধ্যেই একে অপরকে কটাক্ষ করার এই প্রবণতা থেকে গিয়েছে। কারণ জোটের সবকটি দল স্বার্থপর। লোকসভা ভোট (2024 LS Polls) পর্যন্ত বিরোধীদের সাধের ইন্ডি-জোট (INDI Alliance) টিকবে তো? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “ওখানে গিয়ে আমরা মুখোশ খুলব”, মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ওখানে গিয়ে আমরা মুখোশ খুলব”, মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পারিবারিক বিবাহ  অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুধবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ছ’ দিন থাকবেন তিনি। অনুষ্ঠান ছাড়াও একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে থাকাকালীনই সেখানে কর্মসূচি ঘোষণা করে দিল বিজেপি। ১২ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিজেপি।

    উত্তর উত্তরণের খোঁজে

    বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “ওখানে গিয়ে আমরা মুখোশ খুলব। আমাদের কোনও ওপেন মাঠ দেওয়া হয়নি। তাই ইন্ডোর কনভেনশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই আলোচনা সভার নাম দেওয়া হয়েছে উত্তর উত্তরণের খোঁজে।” তিনি বলেন, “এই কনভেনশনের জন্য আগে থেকে ফেসবুক লাইভের লিঙ্ক দেওয়া থাকবে। উত্তরবঙ্গের প্রতিটি প্রান্ত থেকে মানুষ যাতে আমাদের বক্তব্য শুনতে পান, সেই ব্যবস্থা করব। আমরা সেদিন তুলে ধরব উত্তরবঙ্গের বঞ্চনা। এই সরকারের মুখোশ খুলব আমরা।”

    কোন রানিমাকে ভোট দিয়েছেন আপনারা?

    শুভেন্দু বলেন, “এই ১২ বছরে ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে মমতা ব্যানার্জি ১৫টা গেস্ট হাউস করেছেন। এগুলোর চাবি থাকে ওঁর বাড়িতে, না হয় নবান্নের ১৪ তলায় গৌতম সান্যালের কাছে। কেউ থাকতে পারবেন না।” তিনি বলেন, “শুধুমাত্র উত্তরকন্যায় যে গেস্ট হাউস বানিয়েছেন থাকার জন্য, হাঁটার জন্য, ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য তার জন্য খরচ হয়েছে ৩০ কোটি টাকা। সেবক রোডে প্রাসাদের মতো গেস্ট হাউস তৈরি হয়েছে। এ কোন রানিমাকে ভোট দিয়েছেন আপনারা? সততার মুখোশ পরে ঘুরে বেড়ান? কোন চিটিংবাজ, ফোর টোয়েন্টি, ফেরেপবাজকে ভোট দিয়েছেন?”

    পাট্টা দেওয়ার নামে প্রতারণা! 

    আলিপুরদুয়ারে পাট্টা দেওয়ার নামে চা শ্রমিকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী প্রতারণা করেছেন বলেও অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ভোটের আগে উনি ৬০ হাজার জনকে পাট্টা দেবেন বলেছিলেন। আগেরটা তো হয়নি, চা সুন্দরী। ওটা ভুয়ো সুন্দরী হয়ে গিয়েছে। জীবনে একটা সত্যি কথা বলেননি মুখ্যমন্ত্রী!”    

    “আইসিডিএস কর্মীদের ফোনের টাকা চুরি”

    এদিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ১৫০ কোটি টাকা চুরির অভিযোগ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শুভেন্দু বলেন, “আইসিডিএস কর্মীদের মোবাইল ফোন কিনে অ্যাপ চালু করতে চার বছর আগে কেন্দ্র ১৫০ কোটি টাকা দিয়েছিল। এই অ্যাপের নাম আয়ুষ্মান ভারত হেল্থ অ্যাকাউন্ট। রাজ্য সরকার ওই টাকা চুরি করেছে বা অন্য খাতে খরচ করেছে। তাই অ্যাপ চালু হয়নি।” তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন, আইসিডিএস কর্মীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।”

    আরও পড়ুুন: “স্টেট স্পনসর্ড ওয়েডিং”! মমতার ভাইপোর বিয়ে নিয়ে ট্যুইটে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: অধিবেশনের শেষ দিনেও তপ্ত বিধানসভা, স্পিকারের দেওয়া পেয়ারা ফেরাল বিজেপি

    BJP: অধিবেশনের শেষ দিনেও তপ্ত বিধানসভা, স্পিকারের দেওয়া পেয়ারা ফেরাল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হতে পারত মধুরেন সমাপয়েত! হল কই? আজ, বৃহস্পতিবার ছিল বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিন। প্রতিবারের মতো এবারও বিধানসভার সদস্যদের জন্য ছোট ছোট পলিথিন প্যাকেটে করে বারুইপুরের পেয়ারা নিয়ে এসেছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ‘চোর’, ‘চোর’ স্লোগান

    সেই প্যাকেট ফিরিয়ে দিল বিজেপি (BJP)। বিজেপির চিফ হুইপ মনোজ টিগ্গা পেয়ারা ফিরিয়ে দেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করেছিলেন স্পিকার। জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে মিথ্যে মামলাও করা হয়েছে। এসবেরই প্রতিবাদে স্পিকারের দেওয়া পেয়ারা নেননি বিজেপি বিধায়করা। অধিবেশনের শেষ দিনেও অধিবেশন কক্ষে হয় ব্যাপক হট্টগোল। এদিনও বিজেপির তরফে ‘চোর’, ‘চোর’ স্লোগান দেওয়া হয়। স্লোগান, পাল্টা স্লোগানের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা।

    পেয়ারা ফেরাল বিজেপি

    এই সময়ই বিধায়কদের বারুইপুরের পেয়ারার প্যাকেট নিয়ে যেতে বলেন স্পিকার। এই বারুইপুরেরই বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবারই তিনি বিধায়কদের বারুইপুরের পেয়ারা খাওয়ান (BJP)। সেই মতো বিধানসভার ২৯৪ জন সদস্যের জন্যই নিয়ে এসেছিলেন পেয়ারা। সেই পেয়ারা না নিয়ে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। অধিবেশন কক্ষ থেকে ওয়াক আউট করার পর স্পিকার বিধানসভায় তাঁর নিজের ঘরে ডেকেছিলেন বিজেপির পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গাকে। ফের একবার তাঁদের পেয়ারা নিয়ে যেতে অনুরোধ করেন। যদিও টিগ্গা সেই অনুরোধ ফিরিয়ে দেন।

    আরও পড়ুুন: “এই জয় আমার নয়, টিম স্পিরিটের”, বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, অধিবেশনের শুরুর দিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তুমুল বচসা হয় স্পিকারের। এই সময় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সাসপেনশন মোশন আনেন বিধায়ক তৃণমূলের তাপস রায়। সেই প্রস্তাবে সম্মত হন স্পিকার। তার পরেই বিধানসভার চলতি অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয় শুভেন্দুকে। এই প্রথম নয়, এর আগেও সাসপেন্ড করা হয়েছিল শুভেন্দুকে। তবে সেবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সঙ্গে সাসপেন্ড করা হয়েছিল বিজেপির আরও চারজনকে। ২০২২ সালের ২৮ মার্চ সাসপেন্ড করা হয় বিজেপির ওই পাঁচ বিধায়ককে। পরে অবশ্য কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে প্রত্যাহার করা হয় সাসপেনশন(BJP)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share