Tag: news in bengali

news in bengali

  • Chandrayaan 3: প্রথম চন্দ্র-কক্ষপথ বদল প্রক্রিয়া সফল, চাঁদের আরও কাছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    Chandrayaan 3: প্রথম চন্দ্র-কক্ষপথ বদল প্রক্রিয়া সফল, চাঁদের আরও কাছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত শনিবারই চন্দ্র-কক্ষপথে প্রবেশ করেছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। গতকাল চাঁদের প্রথম ছবি পাঠিয়েছে ভারতের তৃতীয় চন্দ্র মহাকাশযান। সেই সঙ্গে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, চাঁদের আরও কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’।  

    এর সঙ্গে সঙ্গেই, গতকাল আরেকটি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে ‘চন্দ্রযান ৩’। একটি ট্যুইটে ইসরো জানিয়েছে, চাঁদের চারপাশ প্রদক্ষিণ করতে করতে গতকাল রাত ১১টা নাগাদ প্রথম বার কক্ষপথ সঙ্কোচন সফলভাবে ঘটিয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’। বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হচ্ছে মুন-বাউন্ড ম্যানুভার (Moon-bound Maneuvre)। ইসরো জানিয়েছে, চাঁদ থেকে এই মুহূর্তে চন্দ্রযানের দূরত্ব মাত্র ৪ হাজার ৩১৩ কিলোমিটার। ইসরোর ট্যুইট অনুযায়ী, ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) বর্তমানে ১৭০ কিমি (অ্যাপোলিউন বা চন্দ্র থেকে নিকটে) x ৪,৩১৩ কিমি (পেরিলিউন বা চন্দ্র থেকে দূরে) কক্ষপথে অবস্থান করছে। 

    ধাপে ধাপে এমনই কয়েক বার কক্ষপথ পরিবর্তন করে চাঁদে পৌঁছবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। দ্বিতীয় কক্ষপথ সঙ্কোচন প্রক্রিয়া হতে চলেছে ৯ অগাস্ট দুপুর ১টা থেকে ২টোর মধ্যে। মোট পাঁচ বার কক্ষপথ পরিবর্তনের পরিকল্পনা রয়েছে ইসরোর। এইভাবে বার বার কক্ষপথ সঙ্কোচন এবং সেই সঙ্গে গতি কমিয়ে চন্দ্রের ১০০ কিমি কক্ষপথে অবতরণ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউল। সেখানে পৌঁছনোর পর ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউলের থেকে ল্যান্ডার মডিউল আলাদা হবে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সেখান থেকে সম্ভবত আগামী ২৩ তারিখ চূড়ান্ত অবতরণ বা ‘টাচডাউন’-এর দিকে এগিয়ে যাবে ল্যান্ডার মডিউল। সম্ভবত, অগাস্টের ২৩ তারিখ হবে কাঙ্খিত ‘সফট-ল্যান্ডিং’।

    গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এলভিএম-৩ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। টানা ১৮ দিন পৃথিবীর চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে একদিকে কক্ষপথের পরিধি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি গতিও বাড়িয়ে চলেছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। পাঁচবার এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর গত ১ অগাস্ট এক লাফে চন্দ্র-বৃত্তে পৌঁছে যায় ‘চন্দ্রযান ৩’। সেখান থেকে প্রায় পৌনে চার লক্ষ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ‘চন্দ্রযান ৩’ পৌঁছে যায় চাঁদের কক্ষপথের কাছে। পরের ধাপে গত ৫ তারিখ, চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আওতায় চলে আসে ‘চন্দ্রযান ৩’। সেই থেকে চাঁদের চারদিকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে ভারতের মহাকাশযান। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Draupadi Murmu: স্বাধীনতা দিবসের পরই একদিনের সফরে রাজ্যে আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু?

    Draupadi Murmu: স্বাধীনতা দিবসের পরই একদিনের সফরে রাজ্যে আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব ঠিকঠাক চললে, স্বাধীনতা দিবসের দু’দিন পর, অর্থাৎ ১৭ অগাস্ট, রাজ্যে ফের আসতে চলেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রে খবর, এক দিনের ওই ঝটিকা সফরে তিনি কলকাতায় একটি সরকারি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন (President Kolkata Visit)। 

    এক দিনের ঝটিকা সরকারি সফর

    জানা গিয়েছে, সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বিমানে করে রাষ্ট্রপতি কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেবেন। সাড়ে ১১ টায় কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তিনি। সেখান থেকে সরাসরি রাষ্ট্রপতি যাবেন গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডে (GRSE)। জানা যাচ্ছে, সেখানে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে তাঁর অংশগ্রহণ করার কথা। দুপুর পৌনে দুটো থেকে বিকেল ৩টে ১০ মিনিট পর্যন্ত ওই অনুষ্ঠানেই থাকার কথা তাঁর। এর পর, আবারও রাষ্ট্রপতির (Draupadi Murmu) কনভয় রওনা দেবে কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশে। বিকেল ৪টেয় কলকাতা থেকে দিল্লি রওনা হয়ে যাবেন রাষ্ট্রপতি। 

    জিআরএসই-তে রণতরীর উদ্বোধন!

    প্রশাসন সূত্রের খবর, গার্ডেনরিচে একটি যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে চলেছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, ভারতীয় নৌসেনার প্রোজেক্ট-১৭ আলফা বা সংক্ষেপে পি-১৭এ (P-17A) স্টেলথ ফ্রিগেট প্রকল্পের ষষ্ঠ রণতরী ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’-র (INS Vindhyagiri) উদ্বোধন হতে চলেছে সেদিন। সূত্রের খবর, দেশের সামরিক বাহিনীর সাংবিধানিক প্রধান হওয়ার নিরিখে তিনি ওই অনুষ্ঠানে থাকবেন। তবে, সবটাই রয়েছে প্রাথমিক স্তরে।

    মার্চ মাসে বঙ্গ-সফরে এসেছিলেন রাষ্ট্রপতি

    এর আগে, গত মার্চ মাসে দ্রৌপদী মুর্মু দুদিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন। রাষ্ট্রপতি (Draupadi Murmu) হওয়ার পর সেটাই ছিল তাঁর প্রথম বঙ্গ-সফর। সে বার রাজ্য সরকারের তরফে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। পাশাপাশি, বেলুড় মঠ এবং শান্তিনিকেতনে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তবে, রাষ্ট্রপতির এবারের সফরে (President Kolkata Visit) রাত্রিবাসের কোনও উল্লেখ নেই এখনও পর্যন্ত। এমনকী, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও পৃথক ভাবে সাক্ষাতের কোনও সূচি নেই বলেই এখনও পর্যন্ত প্রশাসন সূত্রে খবর। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: আজ সন্ধ্যায় চন্দ্র-কক্ষপথে প্রবেশ করতে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’! কতটা তাৎপর্যপূর্ণ এই ধাপ?

    Chandrayaan 3: আজ সন্ধ্যায় চন্দ্র-কক্ষপথে প্রবেশ করতে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’! কতটা তাৎপর্যপূর্ণ এই ধাপ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার বড়ো পরীক্ষার সামনে ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। সব ঠিকঠাক চললে, আর কয়েক-ঘণ্টা পরে আজ সন্ধ্যায় চন্দ্র কক্ষপথে প্রবেশ করতে চলেছে চন্দ্র-মহাকাশযান (ISRO Moon Mission)। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ট্যুইট করে এমনটাই জানিয়েছে ইসরো। সংস্থা আরও জানিয়েছে, দুই-তৃতীয়াংশ পথ ইতিমধ্যেই পাড়ি দিয়ে ফেলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’। আজকের এই প্রক্রিয়া সফল হলে, স্বপ্নপূরণের পথে একটা গুরুত্বপূর্ণ ধাপ উতরে যাবে ভারতের মহাকাশযান।

    আজ সন্ধ্যায় ঠিক কী হতে চলেছে?

    ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’ বর্তমানে চন্দ্র-বৃত্তে (Moon Sphere) অবস্থান করছে। ইসরো জানিয়েছে, আজ সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে। বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা হচ্ছে লুনার অরবিট অনসার্টশন (Lunar Orbit Insertion)। অর্থাৎ, এখান থেকেই চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আওতায় চলে আসবে ‘চন্দ্রযান ৩’। ইসরোর বিজ্ঞানীদের মতে, প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত জটিল, নিখুঁত অঙ্কের উপর নির্ভর করছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশেষ ইঞ্জিন ফায়ার করে মহাকাশযানের বেগ ও দিশা নিয়ন্ত্রণ করে তাকে সঠিক লক্ষ্যের দিকে পাঠানো হবে। ইসরো জানিয়েছে, এই সময় চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪০ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে থাকবে ‘চন্দ্রযান ৩’।

    এর আগে কী কী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে?

    গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এলভিএম-৩ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউল (ISRO Moon Mission)। সেই থেকে টানা ১৮ দিন পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে চলেছিল (Earth-bound Maneuvre) এই মহাকাশযান। অর্থাৎ, ততদিন পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ঘেরাটোপেই ছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। তবে, পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করতে করতে নিজের কক্ষপথ পাঁচবার বাড়িয়ে নিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। এই প্রক্রিয়া, বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে অরবিট রেইজিং ম্যানুভার (Orbit Raising Maneuvre), তার মাধ্যমে কক্ষপথ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নিজের গতিও বাড়িয়ে নিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’।

    এর পর, গত ১ অগাস্ট মধ্যরাতে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ‘চন্দ্রযান ৩’-কে নিক্ষেপ করা হয় বা ঠেলে দেওয়া হয় চাঁদের রাস্তায়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশন (Translunar Injection)। বেঙ্গালুরুতে স্থিত ইসরোর মিশন কন্ট্রোল (ISTRAC) থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউলে থাকা রকেটে সীমিত সময়ের জন্য ফায়ারিং বা চালু করা হয়। প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সুক্ষ্ম ও জটিল ছিল বলে জানান ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এর ফলে, পৃথিবীর টান পাকাপাকিভাবে কাটিয়ে চন্দ্র-বৃত্তে প্রবেশ করেছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ (Lunar Transfer Trajectory)।

    আজকের পর কী হতে চলেছে?

    চন্দ্র-কক্ষপথে পৌঁছে ফের চাঁদের চারপাশে ঘুরপাক খেতে শুরু করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হচ্ছে মুন-বাউন্ড ম্যানুভার (Moon-bound Maneuvre)। এর মাধ্যমে ‘চন্দ্রযান ৩’ নিজের কক্ষপথের পরিধি ও গতি দুই-ই ধীরে ধীরে কমিয়ে আনবে। বিশেষ রেট্রো-রকেট ইঞ্জিন ফায়ার করে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। জানা গিয়েছে, চাঁদকে চার থেকে পাঁচবার প্রদক্ষিণ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। এর পর, শেষ ধাপে যখন চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার ওপরে থাকবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3), তখন মহাকাশযান মডিউল থেকে পৃথক হয়ে চূড়ান্ত অবতরণ বা ‘টাচডাউন’-এর দিকে এগিয়ে যাবে ল্যান্ডার মডিউল। সম্ভবত, অগাস্টের ২৩ তারিখ হবে কাঙ্খিত ‘সফট-ল্যান্ডিং’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Suvendu Slams Mamata: ‘‘পুলিশের কাজ ভোট লুট, টাকা তোলা’’, বেহালার ঘটনায় মমতাকেই দুষলেন শুভেন্দু

    Suvendu Slams Mamata: ‘‘পুলিশের কাজ ভোট লুট, টাকা তোলা’’, বেহালার ঘটনায় মমতাকেই দুষলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেহালার সড়ক দুর্ঘটনায় বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়ার মৃত্যুর জন্য সরাসরি পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিয়ে বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘‘এখন পুলিশের কাজ তৃণমূলের হয়ে ভোট লুট করা এবং রাস্তা থেকে টাকা তোলা। পুলিশ ব্যবস্থাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ করে দিয়েছেন, ধ্বংস করে দিয়েছেন। তার পরিণতিতে ওইরকম একটা ফুটফুটে বাচ্চার মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটল। পুলিশের এই অবস্থার জন্য আইপিএস এবং ইন্সপেক্টররা দায়ী, নিচুতলার কনস্টেবল বা এসআই দায়ী নন।’’

    পুলিশই দায়ী, বলছেন শিক্ষকরাও

    শুধু শুভেন্দু নন, ছোট্ট সৌরনীলের মৃত্যুতে পুলিশকেই দায়ী করেছেন স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে অভিভাবকরা। অভিযোগ, স্কুল শুরুর সময়ে প্রতি দিন যানজট দেখা গেলেও তা সামলাতে ট্র্যাফিক পুলিশের দেখা মেলে না। আরও অভিযোগ, পাশে অন্য বেসরকারি স্কুলের সামনে ট্র্যাফিক পুলিশ থাকে, ভিড় নিয়ন্ত্রণ করে, কিন্তু এই স্কুলের সামনে থাকে না। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘স্কুলে গরিব ঘর থেকে শিশুরা আসে, কেউ চার-চাকা করে আসে না। তাই স্কুলের সামনে নেই কোনও নিরাপত্তা।’’ তিনিও এই দুর্ঘটনার জন্য পুলিশকেই দায়ী করেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘সকালে আমার সঙ্গে কত কথা বলল…’’, ছেলের রক্তাক্ত ব্যাগ আঁকড়ে রয়েছেন সৌরনীলের মা

    ছোট্ট সৌরনীলকে পিষে দিয়ে যায় লরি

    শুক্রবার সাতসকালে বেপরোয়া লরির ধাক্কায় বেহালার বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া সৌরনীল সরকারের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ারে ভর্তি তার বাবা সরোজ কুমার সরকার। এই দুর্ঘটনাকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। উত্তেজিত জনতা রাস্তায় মৃতদেহ ফেলে রেখে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশের গাড়ি-বাইক জ্বালিয়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়ে ডায়মন্ড হারবার ট্রাফিক গার্ডে। অফিসে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কন্ট্রোল রুমে। পাল্টা লাঠিচার্জ-কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। দফায় দফায় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ। আহত হন পুলিশ এবং আমজনতা। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা।

    কী বললেন পুলিশ কমিশনার?

    এদিকে, ধুন্ধুমার কাণ্ডের পরে ঘটনাস্থলে যান কলকাতার নগরপাল পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল সহ শীর্ষ আধিকারিকরা। সিপি বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সেদিকে নজর রাখছি আমরা। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি যাতে ওই এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা হয়। সাউথ ওয়েস্ট ট্রাফিক গার্ডের সঙ্গে আলোচনায় বসবে বেহালা, ঠাকুরপুকুর, পর্ণশ্রী ও হরিদেবপুর থানা। এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে অসুবিধার কথা জেনেছি। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।”

    আরও পড়ুন: লরির ধাক্কায় মৃত খুদে পড়ুয়া! পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে ধুন্ধুমার বেহালায়

    রিপোর্ট তলব নবান্নর

    এদিকে, নবান্ন সূত্রের খবর, বেহালা দুর্ঘটনা ও তার পরবর্তী অশান্তিতে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী নিজে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও পুলিশ কমিশনারকে ফোন করে খোঁজখবর নিয়েছেন। লালবাজারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন। কলকাতা পুলিশের ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচির মধ্যে কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তা মুখ্যমন্ত্রী জানতে চেয়েছেন। পাশাপাশি, রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ স্তরের নির্দেশে স্কুলে পৌঁছেছেন স্কুল শিক্ষা দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তারাও পুলিশের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে। মৃত পড়ুয়ার বাড়িতেও যাচ্ছেন সরকারি অফিসাররা। শোনা যাচ্ছে, নিহতের বাড়িতে যেতে পারেন রাজ্যপালও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Behala Accident: ‘‘সকালে আমার সঙ্গে কত কথা বলল…’’, ছেলের রক্তাক্ত ব্যাগ আঁকড়ে রয়েছেন সৌরনীলের মা

    Behala Accident: ‘‘সকালে আমার সঙ্গে কত কথা বলল…’’, ছেলের রক্তাক্ত ব্যাগ আঁকড়ে রয়েছেন সৌরনীলের মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর ঠিক ২১ দিন পর, আগামী ২৫ অগাস্ট ছিল সৌরনীল সরকারের জন্মদিন। তেমনটাই নথিভুক্ত স্কুলের রেজিস্টারে। কিন্তু, বিধি বাম। তার আগেই অকালে ঝরে পড়ল একটি জীবন। খালি হয়ে গেল মায়ের কোল। 

    ‘‘সোনাই আর ফিরবে না…’’

    বেহালা চৌরাস্তায় বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সৌরনীল থাকতো নবপল্লী রবীন্দ্রনাথ টেগোর রোডে। শুক্রবার সকালে স্কুলে যাওয়ার জন্য বাবার হাত ধরেই রাস্তা পার করছিল ছোট্ট সৌরনীল। আচমকা, নিমেষের মধ্যে সৌরনীলকে পিষে দিয়ে চলে যায় একটি লরি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুর্ঘটায় আহত সৌরনীলের বাবা সরোজ কুমার সরকার। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। আর মা! তিনি কার্যত শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন। কখনও স্কুলে, তো কখনও মর্গে গিয়ে একরত্তি ছেলের নিথর দেহ ধরে কেঁদেই চলেছেন।

    একমাত্র সন্তান মৃত। স্বামী হাসপাতালে শয্যাশায়ী। এই পরিস্থিতিতে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই সৌরনীলের মা দীপিকা সরকার। আজ পরীক্ষা ছিল। নিজে হাতে খাইয়ে, পোশাক পরিয়ে বাবার সঙ্গে ছেলেকে পাঠিয়েছিলেন স্কুলে। মাকে টাটা করতে করতেই প্রতিদিনের মতো বাড়ির গেট দিয়ে বেরিয়েছিল ছোট্ট সৌরনীল। কিন্তু কে জানত, সেই দেখাই শেষ দেখা হবে! অস্ফুট কণ্ঠে তিনি বলে চলেছেন, ‘‘সকালেই আমার সঙ্গে কত কথা বলে বেরিয়ে ছিল। সোনাই আর ফিরবে না।’’ 

    আরও পড়ুন: লরির ধাক্কায় মৃত খুদে পড়ুয়া! পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে ধুন্ধুমার বেহালায়

    মর্গে বসেই প্রলাপ সন্তানহারা মায়ের

    স্কুলের তরফ থেকেই বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। সেখান থেকেই ছুটে আসেন মা। তাঁকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিদ্যাসাগরের হাসপাতালে মর্গেই রয়েছে সাত বছরের খুদের নিথর দেহ। বাইরে ছেলের রক্তাক্ত বইয়ের ব্যাগ আঁকড়ে বসে প্রলাপ বকে চলেছেন মা। মানতেই পারছেন না, তাঁর ছোট্ট সোনাই আর নেই। তাকে কোনওদিনও আদর করতে পারবেন না।

    স্কুলে সৌরনীলের ক্লাস টিচার মমতা ঘোষ জানিয়েছেন, জন্মদিন উপলক্ষে বাবা, মায়ের সঙ্গে প্রিন্সেপ ঘাটে ঘুরতে যাবে বলে জানিয়েছিল সৌরনীল। অত্যন্ত মিশুকে ও পড়াশোনায় খুবই ভালো ছিল সে। কোনও বিষয়ে ডাউট হলে, ভালো করে বুঝে নিত। শরীর খারাপ না হলে স্কুল কামাই একদম-ই করত না। কথা বলতে বলতে তিনিও কেঁদে ফেলেন…

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata on EVM Hacking: চব্বিশে ফিরছেন মোদি-ই! আঁচ করেই কি মমতার মুখে ফের ‘ইভিএম হ্যাক’ তত্ত্ব?

    Mamata on EVM Hacking: চব্বিশে ফিরছেন মোদি-ই! আঁচ করেই কি মমতার মুখে ফের ‘ইভিএম হ্যাক’ তত্ত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন (2024 Loksabha Polls) হতে এখনও প্রায় ৮ মাস বাকি। তার আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের মোকাবিলা করতে ঘটা করে গতমাসে ‘ইন্ডিয়া’ জোট গড়েছে ২৬টি বিরোধী দল— যার অন্যতম সদস্য হলো তৃণমূল কংগ্রেস। সেই দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটা করে বলেছিলেন যে, এই ‘ইন্ডিয়া’ নামটা নাকি তাঁরই দেওয়া, যা কি না সকলের মনে ধরেছে। গঠনের সময় বিরোধীরা ঠিক করেছিল, যে মোদিকে যেনতেন ভাবে নির্বাচনী ময়দানে রুখতে হবে। যার প্রথম ধাপ হবে সংসদ থেকে। অর্থাৎ, কিনা সংসদে মোদি সরকারের আনা কোনও বিল ও প্রস্তাব যাতে পাশ না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য সকল বিরোধী ঐক্যবদ্ধ ভাবে ‘মোদি-বিরোধিতা’য় সামিল হবে। 

    বিরোধীদের দুই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার

    কিন্তু, এক পক্ষকালও পার হয়নি, বিরোধীদের সেই রঙিন স্বপ্নের ফানুস ইতিমধ্যেই আছাড় খেয়ে মাটিতে লুটোপুটি খেতে শুরু করে দিয়েছে। সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে, বিরোধীরা দুটি ইস্যুকে হাতিয়ার করবে বলে বেছে রেখেছিল। এক, মণিপুর ইস্যুকে হাতিয়ার করে মোদির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে। দুই, দিল্লি পরিষেবা অধ্যাদেশ বিল রুখতেই হবে। বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে সংসদে। গৃহীতও হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এই নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক এবং ভোটাভুটি হওয়ার কথা। ঠিক একইভাবে, সংসদে সরকারের তরফে পেশ করা হয়েছে দিল্লি অধ্যাদেশ (সংশোধনী) বিল। 

    সংসদে কোনটা পাশ করবে, আর কোনটা আটকে যাবে— তা নির্ভর করে সংখ্যাতত্ত্বের ওপর। সংখ্যাতত্ত্ব অর্থাৎ, কক্ষে কোন পক্ষের সংখ্যা কত? বা বলা ভালো, কোন পক্ষ কতটা শক্তিশালী? যেদিন ‘ইন্ডিয়া’ জোট তাদের প্রথম বৈঠক করল, তার এক সপ্তাহ পরই, কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট তাদের শক্তিপ্রদর্শন করে। বিরোধীদের যেখানে ২৬টি দলের সমর্থন ছিল, সেখানে নরেন্দ্র মোদিকে সমর্থন দিতে এগিয়ে আসে ৩৯টি দল। এর পরই বিরোধীদের ফানুস ফেটে যায়। যে কারণে, বিরোধীদের তরফে থেকে বলতে শুরু করে দেওয়া হয় যে, ‘‘অনাস্থা যে পাশ হবে না, তা জানা ছিলই। আমরা চাই, যাতে মোদি সংসদে বলুন।’’

    লোকসভায় এনডিএ-র ধারেকাছে নেই বিরোধীরা

    কেন বিরোধীদের এই মতবদল? এর উত্তর লুকিয়ে সেই সংখ্যাতত্ত্বে। এবার এক নজরে দেখে নেওয়া বর্তমান সংখ্যাতত্ত্ব ঠিক কী বলছে। প্রথমে আসা যাক দুই কক্ষ-বিশিষ্ট সংসদের নিম্ন কক্ষ অর্থাৎ লোকসভার প্রসঙ্গে। যেখানে উঠতে চলেছে অনাস্থা ইস্যু। ৫৪৩ আসনের লোকসভায় সংখ্যা গরিষ্ঠতার জন্য দরকার ২৭২ আসনের। বর্তমানে লোকসভায় বিজেপির একারই সাংসদ সংখ্যা ৩০১। ফলে, বিজেপি একাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে। পুরো এনডিএ জোট ধরলে সংখ্যাটা ৩৩২।

    এছাড়া, শাসক জোটের সঙ্গী না হওয়া সত্ত্বেও নবীন পট্টনায়েকের বিজেডি ও জগন রেড্ডির ওয়াইএসআর মোদি সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছে। লোকসভায় বিজেডির ১২ ও ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ২২ জন সাংসদ রয়েছেন। এই সংখ্যাটা এনডিএ-র সঙ্গে যুক্ত হলে তা ৩৬৬-তে পৌঁছে যায়। এরপরেই চন্দবাবু নাইচুর সমর্থনের কথাও জানা যাচ্ছে। তার সদস্য রয়েছেন তিনজন। ফলে, ৩৭০-এর আশেপাশে। অন্যদিকে, বিরোধীদের কত সংখ্যা হলো, এটার পর সেই নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

    রাজ্যসভাতেও সংখ্যা নিয়ে নিশ্চিত এনডিএ

    এতো গেল লোকসভার কথা। কিন্তু, কোনও বিলকে আইনে রূপান্তর করাতে হলে, তাকে দুকক্ষেই পাশ হতে হবে। ফলে, এবার দেখে নেওয়া যাক সংসদের উচ্চকক্ষ অর্থাৎ রাজ্যসভার দিকে। যেমন, দিল্লি অধ্যাদেশ বিল লোকসভায় তো বটেই, রাজ্যসভাতেও পাশ করানোর বিষয়ে আশাবাদী কেন্দ্র। রাজ্যসভায় বিজেপি ও তাদের সহযোদীদের ১০৫ জন সদস্য রয়েছেন। এর সঙ্গে, পাঁচ মনোনীত সদস্যের ভোট পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বিজেপি তথা এনডিএ। এছাড়া, এক্ষেত্রেও, বিজেডি ও ওয়াইএসআর কংগ্রেসকে পাশে পাচ্ছে বিজেপি। তাদের রয়েছে ৯ সাংসদ। সমর্থন জানাচ্ছে অন্ধ্রের আরেক দল চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি। তাদের রয়েছে একটি আসন। এর পরে, যদি নির্দল সাংসদরা সমর্থন জানান এনডিএ-কে, তাহলে সংখ্যা ১৩০ ছাড়িয়ে যাবে। ২৪৫-আসনের রাজ্যসভায় সাতটিআসন ফাঁকা রয়েছে। ফলে, বর্তমান ২৩৮ আসনের বিচারে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১১৮-১২০।

    এখন থেকেই হারের ‘অজুহাত’ খোঁজা শুরু বিরোধীদের?

    এই দুই ইস্যু হাতছাড়া হয়ে গেছে বুঝতে পেরেই এখন থেকেই প্রমাদ গুণতে শুরু করে দিয়েছে বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোট। আগামী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনেও (2024 Loksabha Polls) যে মোদির জয়ধ্বজ অব্যাহত থাকবে, তা টের পেয়ে গিয়েছেন জোটের ‘হুজ হু’-রা। সেই কারণেই এখন থেকে হারের বিভিন্ন ‘অজুহাত’ খুঁজতে বেরিয়ে পড়েছেন ‘ইন্ডিয়া’-জোটের কাণ্ডারিরা। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ বৃহস্পতিবারই দেখিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata on EVM Hacking)। ফের একবার তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে ‘ইভিএম হ্যাক’-এর তত্ত্ব— যা বিরোধীদের অত্যন্ত পছন্দের অজুহাতের অন্যতম। এদিন নবান্ন থেকে মমতা বলেছেন, ‘‘ওরা (বিজেপি) এখন থেকেই নানা পরিকল্পনা করছে। ইলেক্ট্রিক মেশিন (ইভিএম) হ্যাক করার নানারকম ব্যবস্থা করছে। আমাদের কাছে খবর এসেছে। কিছু প্রমাণ পেয়েছি। কিছু খুঁজছি। ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে আলোচনা হবে।’’ 

    লোকসভা নির্বাচনের (2024 Loksabha Polls) ৮ মাস আগেই কি তাহলে হার মেনে নিলো মমতার ‘ইন্ডিয়া’!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nuh Violence: হিন্দুদের শোভাযাত্রা লক্ষ্য করে গুলি ‘একে-৪৭’ থেকে! নুহ্-এর সংঘর্ষ কি পূর্ব-পরিকল্পিত?

    Nuh Violence: হিন্দুদের শোভাযাত্রা লক্ষ্য করে গুলি ‘একে-৪৭’ থেকে! নুহ্-এর সংঘর্ষ কি পূর্ব-পরিকল্পিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার ঘটে যাওয়া বীভৎসতার পর ৪৮-ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কিন্তু সেদিনের কথা মনে পড়লেই এখনও শিউরে উঠছেন অনেকে। চোখে-মুখে মৃত্যুর আতঙ্ক। প্রাণে বেঁচে গেলেও, এখনও ত্রস্ত রয়েছেন হরিয়ানার মেওয়াটের নুহ্-তে (Nuh Violence) হিন্দু শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া পুণ্যার্থীরা।

    মহাভারত-সময়কালের মন্দির!

    প্রতি বছরের মত এবছরও শ্রাবণ মাসের সোমবার উপলক্ষে মুসলিম-অধ্যুষিত হরিয়ানার (Haryana Violence) মেওয়াটে একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দল। ‘ব্রিজ মণ্ডল জলাভিষেক যাত্রা’-য় কয়েক হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল নুহ্-তে অবস্থিত নলহাড়ে পঞ্চ শিবমন্দিরে গিয়ে পুজো দেওয়া। কথিত আছে, এই মন্দির নাকি মহাভারত-সময়কালের। সেই মন্দিরের পথেই এগোচ্ছিল শোভাযাত্রা। গুরুগ্রাম আলওয়ার হাইওয়েতে শোভাযাত্রা আটকে দেয় এক দল বিক্ষুব্ধ জনতা।

    তালিবানি স্টাইলে হত্যা হিন্দু পুণ্যার্থীকে!

    এর পরই শোভাযাত্রা লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় (Nuh Violence)। পুণ্যার্থীদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয় গুলি। ধেয়ে আসে অ্যাসিডের বোতল। জানা যাচ্ছে, অনেক মহিলা পুণ্যার্থীর সম্মানহানিও করা হয়। যাত্রায় অংশ নেওয়া প্রায় ৩০টি সরকারি ও বেসরকারি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ভীত-সন্ত্রস্ত মানুষ মন্দিরে আশ্রয় নেন। সেখানেও হামলা চালানো হয়। সেদিনের হামলায় ৬ জন মারা গিয়েছেন। এর মধ্যে দুই হোমগার্ড ও এক নাগরিক গুলিতে মারা যান। আহতের সংখ্যা প্রায় ৬০। নিহতদের মধ্যে একজনের নাম অভিষেক রাজপুত। তিনি ছিলেন ওই দিনের হামলাকারী মুসলিমদের প্রথম শিকার। প্রথমে অভিষেককে গুলি করা হয়। গুলি লাগে তাঁর পেটে। কিন্তু, তাতেই ক্ষান্ত হয়নি হামলাকারীরা। তালিবানদের মতো নলি কেটে বড় পাথর দিয়ে তাঁর মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়। সেখানেই মারা যান পেশায় মেকানিক অভিষেক।

    আরও পড়ুন: ফের উত্তেজনা হরিয়ানায়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ গুরুগ্রামের সাংসদের

    ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন আক্রান্তরা

    পরে, আক্রান্ত পুণ্যার্থীদের উদ্ধার করে নুহ্  (Nuh Violence) পুলিশ লাইনে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই নিজেদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শোনান আক্রান্তরা। সেদিন কী ঘটেছিল, তা বর্ণনা করতে গিয়ে এক পুণ্যার্থী বলেন, জলাভিষেক করে ফেরা প্রথম বাসটিকে মন্দির থেকে এক কিলোমিটার দূরে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তার পর পরই আরও ১৪-১৫টা গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তিনি যোগ করেন, খবর পেয়ে যখন তাঁদের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়, তখন তাঁদের গাড়িও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ওই আক্রান্ত স্পষ্ট দাবি করেন, একেবারে এক-৪৭ থেকে গুলি করা হয় পুণ্যার্থীদের লক্ষ্য করে। তিনি বলেন, ‘‘মন্দিরটি তিন দিকে পাহাড় দিয়ে ঘেরা। হামলাকারীরা ওই পাহাড় থেকে তিনদিক দিয়ে আমাদের গুলি করছিল।’’

    ৬ মাস আগে থেকেই এই হামলার পরিকল্পনা?

    আরেকজন পুণ্যার্থী জানান, পুলিশ পৌঁছে হামলাকারীদের (Nuh Violence) লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করে। তবে, হামলাকারীরা প্রস্তুত হয়েই এসেছিল। এক-ঘণ্টা ধরে পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময় হয়। তিনি যোগ করেন, জলাভিষেক যাত্রায় প্রায় ২৫ হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিল। ওই হামলার পর ৬-৭ হাজার মানুষ মন্দিরে আশ্রয় নেন। পুলিশ সাত ঘণ্টার চেষ্টায় তাঁদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। আরেক পুণ্যার্থীর দাবি, তিনি এক কিশোরকেও বন্দুক চালাতে দেখেছেন। তিনি বলেন, ‘‘বছর ১৪ কি ১৫র এক কিশোর আগ্নেয়াস্ত্র চালাচ্ছিল। এর থেকেই পরিষ্কার, ওরা ৬ মাস আগে থেকেই এই হামলার পরিকল্পনা করে রেখেছিল।’’

    ‘‘হিন্দুদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় প্রথমে’’

    হিন্দুদের ওপর হামলার (Haryana Violence) ঘটনা যে পূর্ব-পরিকল্পিত, তার ইঙ্গিত মিলেছে ওই হামলায় আহত হওয়া এক পুলিশ আধিকারিকের কথাতেও। তিনি বলেন, হিন্দুদের শোভাযাত্রা ঠিকঠাক চলছিল। তিরঙ্গা মোড়ে পৌঁছতেই পাথর হামলা শুরু হয়। তিনি যোগ করেন, হিন্দুদের শোভাযাত্রাকে আটকে সেখান দিয়ে একটি মিছিল বের করে মুসলিমরা। সেখান থেকেই হিন্দুদের লক্ষ্য করে প্রথমে পাথর ছোড়া শুরু হয়। অন্তত ১২ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।

    ঠিক একই সময়ে সাইবার থানায় হামলা হল কেন?

    শুধু হিন্দুদের শোভাযাত্রায় হামলা (Haryana Violence) চালানোই নয়। পুণ্যার্থীদের একটি বাস হাইজ্যাক করে নুহে্র সাইবার পুলিশ থানায় হামলা চালানো হয় সেদিনই। তেমনই একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও সেই ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ওই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বাসটি সোজা থানায় গিয়ে ধাক্কা মারে। লক্ষ্য ছিল, পুলিশের কাছে অপরাধের যে যে অভিযোগ ও নথিপ্রমাণ রয়েছে, তা নষ্ট করা। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েক বছরে দেশের সাইবার অপরাধের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছিল নুহ্। যে কারণে ২ বছর আগে এখানে সাইবার ক্রাইম শাখা পুলিশ থানা গঠন করা হয়। গত মে মাসেই, নুহ্ থেকে একটি সাইবার ক্রাইম চক্র ধরা পড়ে পুলিশের জালে। অভিযোগ, ২৮ হাজার মানুষকে ঠকানো হয়েছিল বিভিন্ন উপায়ে। প্রায় ১০০ কোটির প্রতারণা হয়েছিল। ১৪টি গ্রামে হানা দিয়ে ৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২৫০ জন এখনও পলাতক। দায়ের করা হয়েছিল প্রায় ১৩৫০ মামলা।

    ‘‘মিনি পাকিস্তান মেওয়াট’’! দাবি ভিএইচপি নেতার

    এর থেকেই গোয়েন্দাদের ধারণা, এই হামলা পূর্ব-পরিকল্পিত। বেশ কিছু দিন আগে থেকেই এর ছক কষা হয়েছে। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর ও রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ দুজনই একমত যে, এই হামলা পূর্ব-পরিকল্পিত এবং এর নেপথ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে। নুহ্ হামলার ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সংগঠনের যুগ্ম কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন বলেন, ‘‘হরিয়ানার নুহ্-তে (Nuh Violence) যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। যাত্রা শুরু হওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যেই বন্দুক, লাঠি ও তরোয়াল দিয়ে হামলা চালানো হয়। এক দিক দিয়ে ধেয়ে আসছিল বুলেট, অন্যদিক থেকে অ্যাসিডের বোতল। পাহাড়ে চড়ে মন্দিরেও ঢুকে পড়ে হামলাকারীরা।’’ এমনকী, মেওয়াটকে মিনি পাকিস্তান হিসেবে উল্লেখ করেন সুরেন্দ্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: শনিবারই প্রবেশ চন্দ্র-কক্ষপথে! পৃথিবীর টান কাটিয়ে চাঁদের পথে এগোচ্ছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    Chandrayaan 3: শনিবারই প্রবেশ চন্দ্র-কক্ষপথে! পৃথিবীর টান কাটিয়ে চাঁদের পথে এগোচ্ছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রাভিযানে (ISRO Moon Mission) গুরুত্বপূর্ণ ধাপ পার করলো ইসরো। পৃথিবীর ‘মায়া’ কাটিয়ে চাঁদের দেশের উদ্দেশে রওনা দিল ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। সোমবার রাত সোয়া ১২টা নাগাদ পৃথিবীর কক্ষপথে থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’-কে ঠেলে বের করে দেওয়া হয়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে লুনার ট্রান্সফার ট্যাজেক্টরি। এর ফলে, পাকাপাকিভাবে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাটিয়ে এবার চন্দ্র-বৃত্ত বা চন্দ্র কক্ষপথের দিকে এগিয়ে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’।

    মধ্যরাতে ঠিক কী ঘটেছে?

    এটা সকলেই জানেন যে, নিজের কক্ষপথে সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে চলেছে পৃথিবী। এই কক্ষপথকে বলা হয় আর্থ অরবিট। ঠিক একইভাবে, চাঁদও পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। আর চাঁদ সেই প্রদক্ষিণ করে চলে তার নিজস্ব কক্ষপথ ধরেই। যাকে বলা হয় লুনার অরবিট। আবার চাঁদ একইধারে পৃথিবীর সঙ্গেই সূর্যের চারপাশেও প্রদক্ষিণ করছে। ইসরো কর্তাদের মতে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কারণ, ‘চন্দ্রযান ৩’-কে এক কথায় নিক্ষেপ করা হলো বা ঠেলে দেওয়া হলো চাঁদের রাস্তায়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশন।

    কেন তাৎপর্যপূর্ণ এই প্রক্রিয়া?

    ইসরো জানিয়েছে, সোমবার রাত সওয়া ১২টা নাগাদ মিশন কন্ট্রোল (ISTRAC) থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউলে থাকা রকেটে সীমিত সময়ের জন্য ফায়ারিং বা চালু করা হয়। এই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সুক্ষ্ম ও জটিল বলে জানিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। একেবারে সেকেন্ডের ভগ্নাংশ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অঙ্ক কষে সেই হিসেব অনুযায়ী রকেট ফায়ার করতে হয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, এটা এতটাই সুক্ষ্ম যে, এক সেকেন্ডের হেরফের হয়ে গেলেই ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) চাঁদের দিকে এগনোর বদলে সোজা চিরতরে গভীর মহাকাশে (Deep Space) হারিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু, ইসরোর বিজ্ঞানীদের কুর্ণিশ (ISRO Moon Mission)। একেবারে সঠিক অঙ্ক কষেই তাঁরা ‘চন্দ্রযান ৩’ মহাকাশযানকে তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকেই ঠেলে পাঠিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন।

    এতদিন কোথায় ছিল ‘চন্দ্রযান ৩’?

    গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এলভিএম-৩ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউল। সেই থেকে টানা ১৮ দিন পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে চলেছিল এই মহাকাশযান। অর্থাৎ, এতদিন পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ঘেরাটোপেই ছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। তবে, ঘোরার ফাঁকে নিজের গতিও বাড়িয়ে চলছিল। পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করতে করতে নিজের কক্ষপথ পাঁচবার বাড়িয়ে নিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। এই প্রক্রিয়া, বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে অরবিট রেইজিং ম্যানুভার, তার মাধ্যমে কক্ষপথের সঙ্গে সঙ্গে গতি বাড়িয়ে নিচ্ছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। গতকাল সে শেষবারের মতো পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। তারপর মধ্যরাতে, ‘চন্দ্রযান ৩’-কে চাঁদের রাস্তায় ঠেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

    এবার কী হবে? পরের ধাপ কী?

    এখন লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে ‘চন্দ্রযান ৩’-কে (Chandrayaan 3)। প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে ‘চন্দ্রযান ৩’ সোজা এগিয়ে যাবে চাঁদের দিকে। জানা যাচ্ছে, ৫ থেকে ৬ অগাস্ট চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। এই বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে লুনার অরবিট ইনসার্টশন। তারপর চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শেষ পর্যন্ত ভারতের চন্দ্রযানকে চন্দ্র কক্ষপথে টেনে আনবে। সেখানে একইভাবে পাঁচবার চাঁদের কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে নিজের কক্ষপথ সঙ্কোচন ও গতি কমানোর প্রক্রিয়া চালাবে ‘চন্দ্রযান ৩’। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে মুন-বাউন্ড ম্যানুভার। শেষ ধাপে চাঁদের ১০০ কিলোমিটারের কক্ষপথে পৌঁছে পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহের বুকে চূড়ান্ত অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Chandrayaan 3: আজ মধ্যরাতে চাঁদের রাস্তায় পাড়ি দেবে ‘চন্দ্রযান ৩’, কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই প্রক্রিয়া?

    Chandrayaan 3: আজ মধ্যরাতে চাঁদের রাস্তায় পাড়ি দেবে ‘চন্দ্রযান ৩’, কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই প্রক্রিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের চন্দ্র মিশনে (ISRO Moon Mission) আজ একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজ মধ্যরাতে ঘটতে চলছে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। সব ঠিকঠাক চললে, আজ রাত থেকে চাঁদের দিকে সরাসরি এগিয়ে যাবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)।

    এখন ঠিক কোথায় আছে ‘চন্দ্রযান ৩’?

    গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এলভিএম-৩ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউল (ISRO Moon Mission)। সেই থেকে টানা ১৮ দিন পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে চলেছে এই মহাকাশযান। অর্থাৎ, এখনও পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ঘেরাটোপেই রয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’। তবে, ঘোরার ফাঁকে নিজের গতিও বাড়িয়ে চলেছে। এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করতে করতে নিজের কক্ষপথ পাঁচবার বাড়িয়ে নিয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’। এই প্রক্রিয়া, বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে অরবিট রেইজিং ম্যানুভার, তার মাধ্যমে কক্ষপথের সঙ্গে সঙ্গে গতি বাড়িয়ে নিয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। বর্তমানে পৃথিবীকে শেষবার প্রদক্ষিণ করছে মহাকাশযানটি। যাকে বলা হচ্ছে ফাইনাল আর্থ-বাউন্ড ম্যানুভার। এখন সেটি রয়েছে পৃথিবী থেকে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৬০৯ কিলোমিটার (অ্যাপোজি বা পৃথিবী থেকে দূরে) x ২৩৬ কিলোমিটার (পেরিজি বা পৃথিবী থেকে নিকট) পরিধির ডিম্বাকৃতি কক্ষপথে। 

    আজ মধ্যরাতে কী ঘটতে চলেছে?

    আজ রাতে ইসরোর মিশন কন্ট্রোল থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউলে থাকা রকেটে সীমিত সময়ের জন্য ফায়ারিং বা চালু করা হবে। এর ফলে, ফের একবার কক্ষপথ পরিবর্তন করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। তবে তফাতের মধ্যে, এবার আর পৃথিবীর কক্ষপথে সীমাবদ্ধ থাকবে না ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। আজকের এই বিশেষ প্রক্রিয়ার ফলে, ‘চন্দ্রযান ৩’ সোজা এক লাফে প্রতিস্থাপিত হবে চাঁদের কক্ষপথের রাস্তায়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে ‘লুনার ট্রান্সফার ট্যাজেক্টরি’। ইসরো সূত্রে খবর, এই বিশেষ প্রক্রিয়াটি হতে চলেছে রাত ১২টা থেকে রাত দেড়টার মধ্যে। 

    কেন তাৎপর্যপূর্ণ এই প্রক্রিয়া?

    এটা সকলেই জানেন যে, নিজের কক্ষপথে সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে চলেছে পৃথিবী। এই কক্ষপথকে বলা হয় আর্থ অরবিট। ঠিক একইভাবে, চাঁদও পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। আর চাঁদ সেই প্রদক্ষিণ করে চলে তার নিজস্ব কক্ষপথ ধরেই। যাকে বলা হয় লুনার অরবিট। আবার চাঁদ একইধারে পৃথিবীর সঙ্গেই সূর্যের চারপাশেও প্রদক্ষিণ করছে। ইসরো কর্তাদের মতে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কারণ, আজ ‘চন্দ্রযান ৩’-কে এক কথায় নিক্ষেপ করা হবে বা ঠেলে দেওয়া হবে চাঁদের রাস্তায়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে ‘ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশন’। 

    আজই কি চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে যাবে ‘চন্দ্রযান ৩’?

    আজকের বিশেষ প্রক্রিয়ার ফলে চাঁদের কক্ষপথের দিকে এগিয়ে যাবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। এরপর প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে ‘চন্দ্রযান ৩’ সোজা এগিয়ে যাবে চাঁদের দিকে। জানা যাচ্ছে, ৫ থেকে ৬ অগাস্ট চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। এই বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে ‘লুনার অরবিট ইনসার্টশন’। তারপর চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শেষ পর্যন্ত ভারতের চন্দ্রযানকে চন্দ্র কক্ষপথে টেনে আনবে। সেখানে একইভাবে পাঁচবার চাঁদের কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে নিজের কক্ষপথ সঙ্কোচন ও গতি কমানোর প্রক্রিয়া চালাবে ‘চন্দ্রযান ৩’। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে মুন-বাউন্ড ম্যানুভার। শেষ ধাপে চাঁদের ১০০ কিলোমিটারের কক্ষপথে পৌঁছে পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহের বুকে চূড়ান্ত অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

    কোথায় অবতরণ করবে?

    ইসরোর (ISRO Moon Mission) তরফে জানানো হয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার এবং রোভার। ৭০ ডিগ্রি দ্রাঘিমায় অবতরণ করার কথা এই মহাকাশযানের। এই এলাকাটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ২৩ বা ২৪ তারিখ চাঁদে অবতরণ করার পর সেখানে গবেষণা চালাবে ‘চন্দ্রযান ৩’। এখনও পর্যন্ত যে তিনটি দেশ চাঁদে পা রেখেছে, তাদের কেউই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে পারেনি। চাঁদের নিরক্ষীয় অঞ্চলের কাছে অবতরণ করেছে তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Dengue Outbreak: ‘‘ডেঙ্গি আসছে বাংলাদেশ থেকে’’! রাজ্যে প্রকোপ বাড়তেই সাফাই মমতার

    West Bengal Dengue Outbreak: ‘‘ডেঙ্গি আসছে বাংলাদেশ থেকে’’! রাজ্যে প্রকোপ বাড়তেই সাফাই মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষার মরশুম শুরু হতেই রাজ্যে শুরু ডেঙ্গির (West Bengal Dengue Outbreak) প্রকোপ। সরকারের পেশ করা হিসেব অনুযায়ী, গত ২ সপ্তাহে ডেঙ্গিতে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। বেসরকারি মতে এ পর্যন্ত ডেঙ্গিতে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে। কিন্তু, কেন বর্ষা নামতেই রাজ্যে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়ে গেল কেনই বা, গত বছরের থেকে শিক্ষা নিল না রাজ্য প্রশাসন (West Bengal Health Department)?

    ডেঙ্গি নিয়ে কী সাফাই প্রশাসনের?

    এরাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেই নিরিখে, বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দাবি করেন, রাজ্যে ডেঙ্গি (West Bengal Dengue Outbreak) সমস্যা প্রধানত এসেছে বাইরে থেকে। তাঁর মতে, ডেঙ্গি সমস্যা আসছে বাংলাদেশ থেকে। তিনি জানান, মূলত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় ডেঙ্গির বেশি প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ তত্ত্ব শোনাচ্ছেন, সেখানে জেলা প্রশাসন আবার পঞ্চায়েত ভোটকে ঢাল হিসেবে খাড়া করছে। প্রতিবারের মতো, এবছরও ডেঙ্গির প্রকোপ ধরা পড়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। সেই জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের আবার দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ব্যাহত হয়েছে ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ।

    মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন দাবিকে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মতে, তাহলে তো এখন বাংলাদেশে প্রতিনিধিদল পাঠানো উচিত। সেদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর। শুভেন্দু বলেন, ‘‘ওঁর উচিত অবিলম্বে চার্টার্ড বিমান নিয়ে ঢাকা যাওয়া। সঙ্গে ক্যানিংয়ের শওকত মোল্লা, ভাঙড়ের আরাবুল ইসলাম, ফলতার জাহাঙ্গিরদের নিয়ে যাবেন। কারণ, সীমান্ত এলাকায় এঁরা কাজকর্ম করেন, কে কী ভাবে ঢুকবে না ঢুকবে, নিয়ন্ত্রণ করেন। ডেঙ্গি বাংলাদেশ থেকে এলে এঁদেরও ব্যাপারটা দেখা উচিত। এই প্রতিনধিদল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আলোচনায় বসুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে!’’

    এদিকে, ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে (West Bengal Dengue Outbreak) দুই পর্যায়ে বৈঠক করল রাজ্য সরকার। প্রথমে, সব জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক, হাসপাতালের সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। পরে বিকেলে সব জেলা-কর্তাদের সঙ্গে পৃথক ভাবে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এর পরই, রাজ্যের তরফে ডেঙ্গি মোকাবিলায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়। হাসপাতালগুলি ও চিকিৎসকদের জন্য বিশেষ গাইডলাইন প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য ভবন (West Bengal Health Department)।

    আরও পড়ুন: দশ হাজারের নিচে নামলে তবেই প্লেটলেট! ডেঙ্গি নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের নয়া নির্দেশিকায় বিতর্ক

    ডেঙ্গি মোকাবিলায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা রাজ্যের

    নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, পরীক্ষার বিষয়টাতে এতটাই জোর দিতে হবে যাতে কোনও ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়ার ঘটনা চোখ এড়িয়ে না যায়, পরীক্ষায় যেন দেরি না হয়। প্রত্যেক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর হিসেব রাখা হয়। ডেঙ্গি পরীক্ষার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ২ থেকে ৭ দিন জ্বরে অসুস্থ থাকলেও পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এছাড়া মাথা ব্যাথা, রক্তক্ষরণ, দেহে র‌্যাশ বেরনোর মতো উপসর্গ থাকলেই ডেঙ্গি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক বলে উল্লেখ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। অর্থাৎ মশাবাহিত এই দুই রোগ নিয়ে যাতে কোনও রকম গা ছাড়া মনোভাব না দেখা যায়, সে ব্যাপারেই সতর্ক করেছে রাজ্য।

    বৈঠকে স্থির হয়েছে, প্রতিটি হাসপাতালে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ‘ফিভার ক্লিনিক’ চালু রাখতে হবে সর্বক্ষণ। সেটি দেখাশোনার দায়িত্ব এক জন সহকারী সুপারের। জেলায় ডেঙ্গি দমনে ৯০০০ চিকিৎসক, প্যারা মেডিক্যাল কর্মীকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, হাসপাতালগুলি এবং ব্লাড ব্যাঙ্কে অণুচক্রিকার (প্লেটলেট) জোগানে যাতে কোনও ঘাটতি না থাকে। রাজ্যের যে সব হাসপাতালে ডেঙ্গি (West Bengal Dengue Outbreak) আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা বেশি, সেখানে ডেঙ্গি পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতিটি হাসপাতালকেও ডেঙ্গি রোগীদের জন্য বেড তৈরি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share