Tag: news in bengali

news in bengali

  • Rash Behari Bose: বৈষ্ণব বেশে আত্মগোপন করেন নবদ্বীপে! জন্মদিনে জানুন রাসবিহারী বোসের রোমাঞ্চকর কর্মকাণ্ড

    Rash Behari Bose: বৈষ্ণব বেশে আত্মগোপন করেন নবদ্বীপে! জন্মদিনে জানুন রাসবিহারী বোসের রোমাঞ্চকর কর্মকাণ্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ মে ভারতের সশস্ত্র সংগ্রামের অন্যতম পুরোধা মহাবিপ্লবী রাসবিহারী বসুর জন্মদিন (Rash Behari Bose)। মহান এই বিপ্লবীর কর্মকাণ্ড এককথায় রোমাঞ্চকর। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পথের দাবীর সব্যসাচী চরিত্র যেন রাসবিহারী বসু নিজেই। লর্ড হার্ডিঞ্জের ওপর বোম নিক্ষেপ হোক অথবা দেশে সোনা অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টা। সবেতেই নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এরপর ব্রিটিশ পুলিশের চোখে ধূলো দিয়ে জাপানে চলে যান ১৯১৫ সালের ১২ মে। এক্ষেত্রে তিনি নিজের পরিচয় দেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মীয় হিসেবে। নাম নেন পি এন টেগোর। জানা যায়, খিদিরপুর ডক থেকে ‘সানুকি মারু’ নামক জাহাজে চড়ে তিনি জাপানের উদ্দেশে রওনা হন।

    রাসবিহারী বসু এনিয়ে কী লিখেছিলেন?

    গবেষকদের মতে, ১৯১৪ সালেই তাঁর বিদেশ যাওয়ার সমস্ত রকমের ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছিল (Indian Freedom Fighter)। তখন ব্রিটিশ সরকার তাঁকে গ্রেফতার করতে উঠেপড়ে লেগেছিল বলে জানা যায়। একাধিক বড় বড় রেলস্টেশনে তাঁর ছবি টাঙানো হয়েছিল। রাসবিহারীকে (Rash Behari Bose) ধরিয়ে দিলে মোটা টাকার পুরস্কার ঘোষণা হয়েছিল। তখন পুরস্কারের অঙ্কটা নেহাত কম ছিল না। এই সময়ই ঠিক হয় তিনি নবদ্বীপে থাকবেন। নিরাপদে আত্মগোপন করবেন। এনিয়ে রাসবিহারী (Rash Behari Bose) লিখেছেন, “নবদ্বীপ একটি তীর্থস্থান। অথচ সাধারণতঃ সেখানে তত বেশী লোক যাওয়া আসা করে না। কিছু দিন সেখানে থাকাই ঠিক হইল। তাছাড়া সেই সময় আমাদেরই একজন লোক সেখানে ছিল, তাহার মতে নবদ্বীপ খুব নিরাপদ স্থান। এই সমস্ত ঠিক করিয়া…‌‌ তখন একজন ভট্টাচার্য্য ব্রাহ্মণের মতন ছিলাম। পৈতে তো ছিলই, তার উপর একটি টিকিও ছিল… পশুপতি যেমন নির্ভীক তেমনি বুদ্ধিমান। তাহাকে সঙ্গে করিয়া বরাবর ট্রেনে নবদ্বীপ গিয়া হাজির। ঠাকুর (ত্রৈলোক্য মহারাজ) সেখানে ছিল। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করিয়া একটি বাড়ি ভাড়া করিবার জন্য খুঁজিতে বাহির হইলাম। নবদ্বীপের একপ্রান্তে এক বৈরাগীর এক বাড়ী ছিল। ২টি ঘর। সেটি ভাড়া করিলাম। সেখানে প্রায় একমাসের ওপর ছিলাম।”

    বাড়িটির বর্তমান অবস্থান

    জানা যায়, ওই বাড়িটি নবদ্বীপের ব্রজানন্দ গোস্বামী রোডে অবস্থিত। এমনটাই দাবি করে শ্রীমদনমোহন মন্দির কর্তৃপক্ষ। মন্দিরে ঢুকেই ডান হাতের প্রথম ঘরটিতেই থাকতেন রাসবিহারী (Rash Behari Bose), এমনটাই বলছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এমনকি বিপ্লবী যে টেবিল-চেয়ার ব্যবহার করতেন, যে টেমির আলোয় লিখতেন, সে সবও তাঁরা সংরক্ষিত হয়ে রয়েছে। তদানীন্তন মন্দির-প্রধান প্রভুপাদ প্রাণগোপাল গোস্বামীই তাঁকে আশ্রয় দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।

  • Bangladesh: ইউনূসের জমানায় ফের আক্রান্ত হিন্দুরা, যশোর হিংসায় ঘরছাড়া বহু

    Bangladesh: ইউনূসের জমানায় ফের আক্রান্ত হিন্দুরা, যশোর হিংসায় ঘরছাড়া বহু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূসের (Muhammad Yunus) বাংলাদেশে ফের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনার অভিযোগ সামনে এল। গত বৃহস্পতিবার ২২ মে বাংলাদেশের যশোর জেলার (Bangladesh) অভয়নগর উপজেলার অবস্থিত গ্রাম দাহার মাসিহাটিতে হিন্দুদের ওপর মৌলবাদীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই গ্রামের অসংখ্য হিন্দুদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করারও অভিযোগ উঠেছে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম প্রথম আলোতে।

    মাছের ভেড়ি নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত (Bangladesh)

    এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বিরোধের সূত্রপাত হয় একটি মাছের ভেরি নিয়ে। এখানেই ৫০ বছরের তারিকুল ইসলাম নামের একজনকে হত্যা করা হয়। তারপরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে (Bangladesh)। এরপরেই মৌলবাদীরা দাহার মাসিহাটি গ্রামে কুড়িটিরও বেশি হিন্দু বাড়িতে আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ। প্রথম আলো প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, তারা চারটি দোকান ভাঙচুর করে এবং আরও দুটিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই ঘটনার দশজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    গ্রামের পুরুষ সদস্যরা ঘরছাড়া (Bangladesh)

    প্রথম আলো প্রকাশিত খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, তারিকুল ইসলামের সঙ্গে পিন্টু বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তির জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। ইউনূসের বাংলাদেশে এমন সাম্প্রদায়িক হিংসার (Bangladesh) ঘটনা ফের একবার সামনে এল। সমাজ মাধ্যমে তা ব্যাপক ভাইরালও হয়েছে হিন্দুদের আক্রান্ত হওয়ার ছবি এবং ভিডিও (যদিও এর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িগুলি ভাঙচুরের দৃশ্য স্পষ্ট হয়েছে প্রথম আলোর একজন সাংবাদিকের প্রতিবেদনে। যিনি নিজে গ্রাউন্ড জিরোতে গিয়েছিলেন (Bangladesh)। দাহার মাসিহাটি গ্রামে পৌঁছে তিনি দেখতে পান যে হিন্দু বাড়িঘর এবং তাদের জিনিসপত্র একদম ছারখার হয়ে গেছে। ওই সাংবাদিক তাঁর প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন যে ছয়টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে গ্রামের সমস্ত পুরুষ সদস্য তাঁদের নিরাপত্তার কারণে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। কিছু হিন্দু মহিলা রয়ে গেছেন গ্রামে। আহতদের বেশিরভাগই মতুয়া সম্প্রদায় বলে জানা গিয়েছে।

  • Ramakrishna 361: শাস্ত্রের সার গুরুমুখে মুখে জেনে নিতে হয়, তারপর সাধন ভজন

    Ramakrishna 361: শাস্ত্রের সার গুরুমুখে মুখে জেনে নিতে হয়, তারপর সাধন ভজন

    ঠাকুরের ঘরের মেঝেতে নরেন্দ্রদাদি অনেক ভক্ত বসিয়াছেন। গিরিশও আসিয়া বসিলেন।
    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি)- আমি নরেন্দ্রকে আত্মার স্বরূপ জ্ঞান করি। আর আমি ওর অনুগত।

    গিরিশ- আপনি কারও অনুগত নন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (হাস্য)- ওর মদ্দে ভাব (পুরুষ ভাব) আর আমার মেদি ভাব (প্রকৃতি ভাব)। নরেন্দ্র উঁচু ঘর অখণ্ডের ঘর (Ramakrishna)।

    গিরিশ বাহিরে তামাক খাইতে লাগিলেন।

    নরেন্দ্র (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি)- গিরিশ ঘোষের সঙ্গে আলাপ হল। খুব বড়লোক। মাস্টারের প্রতি আপনারই কথা হচ্ছিল।

    শ্রী রামকৃষ্ণ- কী কথা?

    নরেন্দ্র- আপনি লেখাপড়া জানেন না, আমরা সব পণ্ডিত। এইসব কথা হচ্ছিল (হাস্য)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) নরেন্দ্র (পাণ্ডিত্য ও শাস্ত্র)

    মণি মল্লিক (ঠাকুরের প্রতি)- আপনি না পড়ে পণ্ডিত।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (নরেন্দ্রদাদির প্রতি)- সত্য বলছি আমি বেদান্ত আদি শাস্ত্র পড়ি নাই বলে একটু দুঃখ হয় না। আমি জানি বেদান্তে সার। ব্রহ্ম সত্য় জগত মিথ্যা। আবার গীতার সার কী। গীতা ১০ বার বললে যা হয় ত্যাগী ত্যাগী।

    শাস্ত্রের সার গুরুমুখে মুখে জেনে নিতে হয়। তারপর সাধন ভজন। একজন চিঠি লিখেছিল চিঠিখানি পড়া হয়নি। হারিয়ে গেল। তখন সকলে মিলে খুঁজতে লাগল। যখন চিঠিখানা পাওয়া গেল পড়ে দেখলে পাঁচ সের সন্দেশ পাঠাবে আর একখানা কাপড় পাঠাবে। তখন চিঠিটা ফেলে দিলে। আর সন্দেশ আর একখানা কাপড় জোগাড় করতে লাগল। তেমনি শাস্ত্রের সার জেনে নিলে আর বই পড়বার কী দরকার। এখন সাধন ভজন।

    এইবার গিরিশ ঘরে আসিয়াছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি) হ্যাঁগা, আমার কথা সব তোমরা কি করছিলে? আমি খাই দাই থাকি। গিরিশ আপনার কথা আর কি বলব। আপনি কি সাধু?

    শ্রীরামকৃষ্ণ- সাধু সাধু নয়, আমার সত্যিই তো সাধু বোধ নাই।

    গিরিশ- ফচকিমিতেও আপনাকে পারলুম না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- আমি লাল পেড়ে কাপড় পড়ে জয় গোপাল সেনের বাগানে গিয়েছিলাম। কেশব সেন সেখানে ছিল। কেশব লাল পেড়ে কাপড় দেখে বলল আজ বড় যে রং লাল পাড়ের বাহার। আমি বললুম কেশবের মন ভোলাতে হবে (Kathamrita) তাই বাহার দিয়ে এসেছি।

  • Puri Temple: এখানেই ড্রোন উড়িয়েছিল ‘পাক-চর’ জ্যোতি! পুরীর জগন্নাথধামে অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি বসানোর ভাবনা

    Puri Temple: এখানেই ড্রোন উড়িয়েছিল ‘পাক-চর’ জ্যোতি! পুরীর জগন্নাথধামে অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি বসানোর ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পরেই এদেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহরে ড্রোন হামলার চেষ্টা চালিয়েছিল পাকিস্তান। তবে ভারতের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, পাকিস্তানের সব ড্রোন অকেজো করে দেয়। এইবার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে (Puri Temple) সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ওড়িশা সরকার নিরাপত্তার জন্য অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি স্থাপনের কথা ভাবছে। এনিয়ে বিষয়ে ওড়িশা সরকারের (Odisha Government) কর্তাব্যক্তিরা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনাও আলোচনা করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। যাতে পুরী শ্রীমন্দিরকে অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত করা যায়।

    কী বললেন ওড়িশার আইনমন্ত্রী?

    একথা সাংবাদিক সম্মলেন করে জানিয়েছেন ওড়িশা সরকারের (Odisha Government) আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হরিচন্দন বলেন, ‘‘মন্দিরে (Puri Temple) অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি স্থাপনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে, এই সিস্টেমটি বসানোর পরে হামলার জন্য ব্যবহৃত ড্রোনগুলিকে সনাক্ত, ট্র্যাক এবং নিষ্ক্রিয় করার কাজ সহজ হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রয়োজন হলে শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের (SJTA) তহবিল থেকে অর্থ সরবরাহ করা হবে।’’

    দ্বাদশ শতকের এই মন্দিরের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতেই এই পদক্ষেপ

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। এর মধ্যেই ওড়িশা সরকার সম্প্রতি জগন্নাথ মন্দিরের (Puri Temple) নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেকটাই বাড়িয়েছে, যাতে যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়। এবার সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে ওড়িশার বিজেপি সরকার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি বসানোর পরিকল্পনা করছে। প্রসঙ্গত, দ্বাদশ শতকের এই ঐতিহাসিক মন্দিরের (Puri Temple) নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে, ওড়িশা সরকার রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত রথযাত্রা উৎসবের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে বলেও ঘোষণা করেন হরিচন্দন। রথ তৈরি সহ উৎসব আয়োজনের বিভিন্ন খরচ করতে তাঁর দফতর সাহায্য করবে বলে জানিয়েছেন হরিচন্দন। যাতে এই ঐতিহ্যবাহী উৎসব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়।

    পুরীর মন্দিরের ওপর উড়িয়েছিল ড্রোন, পাক গুপ্তচর জ্যোতিকে জেরার প্রস্তুতি ওড়িশা পুলিশের

    সম্প্রতি গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক করা হয় জ্যোতি মালহোত্রাকে। তাকে ওড়িশা পুলিশও জেরা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও সূত্রের খবর। কারণ গত বছর ২০২৪ সালে পুরীর জগন্নাথ মন্দির দর্শনে গিয়েছিল জ্যোতি। সেসময়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে,  জগন্নাথ মন্দিরের ওপর ড্রোন ওড়ানোর, যা সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ। তবে কি ড্রোনের মাধ্যমে করা ভিডিওগ্রাফি জ্যোতি পৌঁছে দিত পাকিস্তানে? নিরাপত্তার ঘেরাটোপ এড়িয়ে কী ভাবে এবং কেন জ্যোতি ওই সংবেদনশীল জায়গায় ড্রোন ওড়াল, এ সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই তাকে জেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে ওড়িশা পুলিশ।

  • Gujarat Man Arrested: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গুজরাটে গ্রেফতার স্বাস্থ্যকর্মী

    Gujarat Man Arrested: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গুজরাটে গ্রেফতার স্বাস্থ্যকর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির (Gujarat Man Arrested) অভিযোগে গ্রেফতার আরও এক। পড়শি দেশে পাকিস্তানের চরের জাল যে সর্বত্র বিছানো, তার প্রমাণ মিলল ফের। শনিবার গুজরাটের কচ্ছ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে (Pakistan) স্থানীয় যুবক সহদেব সিং গিলকে। এটিএসের (সন্ত্রাস দমন) হাতে ধৃত সহদেব পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ।

    মহিলাকে তথ্য পাচার করত ওই স্বাস্থ্যকর্মী! (Gujarat Man Arrested)

    আরও অভিযোগ, এক তরুণী চরকে বিএসএফ এবং ভারতীয় নৌসেনার গোপন তথ্য পাচার করত সে। গুজরাট এটিএসের এসপি কে সিদ্ধার্থ জানান, পাক চরকে বিএসএফ এবং ভারতীয় নৌসেনার বিষয়ে সংবেদনশীল তথ্য পাচারের জন্য ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১ মে সহদেবকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে জানিয়েছিল ২০২৩ সালের জুন-জুলাই মাস নাগাদ হোয়াটসঅ্যাপে অদিতি ভরদ্বাজ নামে এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরে সে জানতে পেরেছিল ওই মহিলা আদতে পাকিস্তানি গুপ্তচর। তার পরেও তার সঙ্গে সে যোগাযোগ রেখে চলেছিল বলে অভিযোগ।

    ৪০ হাজার টাকাও পেয়েছিল

    জেরায় সহদেব দাবি করেছে, বিএসএফ এবং নৌসেনার ঘাঁটি, অন্যান্য নির্মাণের ছবি, ভিডিও তুলে তাকে পাঠাতে বলেছিল অদিতি, বিশেষত নতুন তৈরি হওয়া বা নির্মীয়মাণ ঘাঁটির ছবি। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সে অদিতিকে ওই সব ছবি, ভিডিও পাঠাত। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ২০২৫ সালের শুরুতে নিজের আধার কার্ডের নথি দিয়ে মোবাইলের একটি সিমকার্ড কিনেছিল সহদেব। পরে হোয়াটসঅ্যাপও চালু করেছিল (Gujarat Man Arrested)। সেই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই সে অদিতির সঙ্গে যোগাযোগ রাখত বলে অভিযোগ। পাঠাত ছবি, ভিডিও-ও। অপরিচিত একজনের কাছ থেকে এজন্য সে ৪০ হাজার টাকাও পেয়েছিল। সহদেবকে কে টাকা দিয়েছিল, তার খোঁজে তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে সহদেবের মোবাইল।

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ১১ জনকে (Pakistan)। এদের বেশিরভাগই হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। এবার সেই তালিকায় জুড়ে গেল গুজরাটের নামও (Gujarat Man Arrested)।

  • Niti Aayog Meet: “কেন্দ্র-রাজ্য টিম ইন্ডিয়ার মতো কাজ করলে কোনও লক্ষ্যই অসম্ভব নয়,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Niti Aayog Meet: “কেন্দ্র-রাজ্য টিম ইন্ডিয়ার মতো কাজ করলে কোনও লক্ষ্যই অসম্ভব নয়,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উন্নয়নের গতি বাড়াতে হবে। কেন্দ্র ও সব রাজ্য এক সঙ্গে টিম ইন্ডিয়ার মতো কাজ করলে কোনও লক্ষ্যই অসম্ভব নয়।” নীতি আয়োগের (Niti Aayog Meet) দশম গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “প্রত্যেক ভারতীয়রই লক্ষ্য উন্নত ভারত। প্রত্যেক রাজ্য উন্নত হলে ভারত উন্নত হবে। এটাই ১৪০ কোটি ভারতবাসীর আশা।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাজ্য সরকারদের উচিত, তাদের রাজ্যের অন্তত একটা পর্যটনস্থল যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা-সহ আন্তর্জাতিক মানের করা।” তিনি বলেন, “এক রাজ্য : এক বিশ্বব্যাপী গন্তব্য।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটি প্রতিবেশী শহরগুলিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও আরও ত্বরান্বিত করবে।”

    উন্নয়নের গতি বাড়ানোর ওপর জোর (Niti Aayog Meet)

    শনিবারের এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে উন্নয়নের গতি বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে নীতি আয়োগের তরফে করা পোস্টে বলা হয়েছে, “বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের উন্নয়নের গতি বাড়াতে হবে। যদি কেন্দ্র এবং সমস্ত রাজ্য একজোট হয় এবং টিম ইন্ডিয়ার মতো এক সঙ্গে কাজ করে, তাহলে কোনও লক্ষ্য পূরণই অসম্ভব নয়।” এবার নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের বৈঠকের থিম ছিল ‘বিকশিত রাজ্য, বিকশিত ভারত @২০৪৭’। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিকশিত ভারত প্রতিটি ভারতীয়ের লক্ষ্য। যখন প্রতিটি রাজ্য বিকশিত হবে, তখন ভারতও বিকশিত হবে। এটাই ১৪০ কোটি নাগরিকের আকাঙ্খা।”

    অনুপস্থিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

    নীতি আয়োগের এই শীর্ষ বৈঠকে (Niti Aayog Meet) উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির লেফটেন্যান্ট গভর্নর এবং বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। সূত্রের খবর, এর আগেরবার তাঁর বক্তব্যের মাঝপথে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এই অভিযোগ তুলে সেবার নীতি আয়োগের বৈঠক ছেড়ে মাঝপথে বেরিয়ে এসেছিলেন মমতা। সেই কারণেই এবার তিনি যাননি। যদিও তৃণমূলের দাবি, কেন্দ্রের মোদি (PM Modi) সরকার একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। তাই এই বৈঠকে যোগ দেওয়া আর না দেওয়া একই ব্যাপার (Niti Aayog Meet)।

  • Nishikant Dubey: “১৯৯১ সালে করা ভারত-পাক চুক্তি মনে আছে?” রাষ্ট্রদ্রোহিতা কী, রাহুলকে মনে করালেন নিশিকান্ত

    Nishikant Dubey: “১৯৯১ সালে করা ভারত-পাক চুক্তি মনে আছে?” রাষ্ট্রদ্রোহিতা কী, রাহুলকে মনে করালেন নিশিকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করার অভিযোগ তুলে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করেছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Indo Pak Military Pact)। তার পরেই শুক্রবার সোনিয়া গান্ধীর দলকে একেবারে ধুয়ে দিলেন সাংসদ বিজেপির নিশিকান্ত দুবে (Nishikant Dubey)। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে এই পদ্ম সাংসদ লিখেছেন, “রাহুল গান্ধীজি, এটি আপনার সরকারের সময় করা একটি চুক্তি। ১৯৯১ সালে আপনার দল সমর্থিত সরকার একটি চুক্তি করেছিল যে ভারত ও পাকিস্তান যে কোনও আক্রমণ বা সেনা আন্দোলন সম্পর্কে তথ্য বিনিময় করবে। এই চুক্তি কি রাষ্ট্রদ্রোহিতা?” তিনি লিখেছেন, “কংগ্রেস পাকিস্তানি ভোটব্যাঙ্কের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করজি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করা কি আপনার পক্ষে শোভা পাচ্ছে?”

    নিশিকান্তর নিশানায় কংগ্রেস (Nishikant Dubey)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে নিশিকান্ত দুবে বলেন, “আমরা ১৯৪৭ সাল থেকে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসী জাতি হিসেবে বিবেচনা করি। ৭৮ বছর ধরে কাশ্মীর ইস্যুতে আমরা তাদের সঙ্গে লড়াই করছি এবং আমাদের কাশ্মীরের অংশ পাকিস্তান দখল করে রেখেছে। তার পরেও আপনারা (কংগ্রেস) পাকিস্তানকে ছাড় দিয়ে আসছেন। সেটা ১৯৫০ সালে নেহরু-লিয়াকত চুক্তি হোক, সিন্ধু জল চুক্তি হোক কিংবা ১৯৭৫ সালের শিমলা চুক্তিই হোক। আমরা সংসদেও কোনও জাতির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে কাজ করে, তা নিয়ে কথা বলি না।” পদ্ম সাংসদ বলেন, “কিন্তু ১৯৯১ সালে যখন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। তখন কেন্দ্রে চন্দ্রশেখরের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করছিল কংগ্রেস এবং ১৯৯৪ সালে যখন পিভি নরসিমহা রাওয়ের সরকার ছিল, তখন এই চুক্তি (চুক্তি) বাস্তবায়িত হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী কোথায় মোতায়েন করা হবে এবং বিমান বাহিনী কীভাবে কাজ করবে তা পাকিস্তানকে ১৫ দিন আগে থেকে জানাতে হবে…এসব কি রাষ্ট্রদ্রোহিতার সমান নয়?” তিনি বলেন, “কংগ্রেস কেবল ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে…ভারতের উচিত রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা শুরু করা এবং যারা এই চুক্তি করেছে এবং কংগ্রেস পার্টি…তাদের বিরুদ্ধেও এফআইআর করা উচিত।” এখানেই থেমে থাকেননি নিশিকান্ত। তিনি তুলে ধরেন, কীভাবে ১৯৬৮ সালে ইন্দিরা গান্ধীর সরকার কচ্ছ এলাকায় ৮২৮ বর্গিকিমি পাকিস্তানকে দিয়ে দিয়েছিল।  বিজেপি সাসংদ বলেন, ‘‘গোটা সংসদ বিরুদ্ধে ছিল। কিন্তু, আন্তর্জাতিক সালিশিসভার কাছে মাথা নত করে ভারতের ‘আয়রন লেডি’ পাকিস্তানকে গুজরাটের কচ্ছ প্রণালীর থেকে ৮২৮ বর্গ কিমি ভূমি পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এটা পরিষ্কার যে, কংগ্রেস সর্বদা পাকিস্তানের পক্ষে।’’

    ভারত-পাক চুক্তি

    প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের ৬ এপ্রিল নয়াদিল্লিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত (Nishikant Dubey) হয়েছিল সামরিক মহড়া, কৌশল এবং সৈন্য চলাচলের অগ্রিম নোটিশ সম্পর্কিত চুক্তিটি। এই চুক্তির (Indo Pak Military Pact) লক্ষ্য ছিল স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করা এবং দুই দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি বা অনিচ্ছাকৃত উত্তেজনার ঝুঁকি হ্রাস করা। চুক্তিটির মূল বিধান ছিল, উভয় দেশ সীমান্তের কাছে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক মহড়া, কৌশল এবং সৈন্য চলাচল সম্পর্কে একে অপরকে পূর্বাভাস দেবে। পরিকল্পিত কার্যকলাপ শুরু হওয়ার আগে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি আদান-প্রদান করতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী, আগ্রাসনের কোনও ধারণা রোধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে এই ধরনের সামরিক কার্যকলাপ পরিচালনা করা উচিত নয়। দুই দেশই সম্মত হয়েছিল যে প্রধান সামরিক মহড়ার কৌশলগত দিকটি অন্য দিকে পরিচালিত হবে না এবং সীমান্তের কাছাকাছি কোনও লজিস্টিক নির্মাণ করা হবে না।

    বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য

    অপারেশন সিঁদুরের অধীনে জয়শঙ্কর পাকিস্তানকে তাদের জঙ্গি পরিকাঠামোর ওপর হামলার বিষয়ে ‘অবহিত’ করেছিলেন বলে রাহুল গান্ধী যে অভিযোগ তুলেছেন, তা প্রত্যাখ্যান করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে রাহুলের অভিযোগকে তথ্যের সম্পূর্ণ ভুল উপস্থাপনা বলে বর্ণনা করা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “আমরা শুরুতেই পাকিস্তানকে সতর্ক করেছিলাম – এটা স্পষ্টতই অপারেশন সিঁদুর শুরু হওয়ার পর প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল। একে অভিযান শুরুর আগে বলে মিথ্যেভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। তথ্যের এই সম্পূর্ণ ভুল উপস্থাপনাকে চ্যালেঞ্জ জানানো হচ্ছে।” পাকিস্তানের গভীরে ঢুকে (Nishikant Dubey) জঙ্গি ঘাঁটিতে সফল হামলার পর ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানি প্রতিপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের কথা উল্লেখ করেছে বিদেশমন্ত্রক।

    পিআইবির ফ্যাক্ট চেক ইউনিটের দাবি

    প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরোর (পিআইবি) ফ্যাক্ট চেক (Indo Pak Military Pact) ইউনিটও দাবি করেছে যে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মন্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। তারা বলেছে যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিওটি দর্শকদের বিভ্রান্ত করার জন্য বেছে বেছে সম্পাদনা করা হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে করা পোস্টে জানানো হয়েছে, “সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলিতে ইএএম অ্যাট দ্য রেট ডঃ জয়শঙ্করের উদ্ধৃতি দিয়ে বোঝা যাচ্ছে যে ভারত অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে পাকিস্তানকে আগাম তথ্য দিয়েছিল। এটি মিথ্যে।”

    পিআইবির কর্তাদের বক্তব্য, বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য অভিযানের সময় একটি পরিকল্পিত বার্তার অংশ ছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল এটি তুলে ধরা যে ভারতীয় সেনাবাহিনী কেবল জঙ্গি শিবিরগুলিকে টার্গেট করবে এবং পাকিস্তানি সামরিক কাঠামোগুলিতে হামলা এড়িয়ে চলবে (Indo Pak Military Pact), যতক্ষণ না পাকিস্তান পরিস্থিতি আরও খারাপ করে (Nishikant Dubey)।

  • ISI Agent: গুপ্তচরবৃত্তির কেন্দ্র পাক হাইকমিশন! প্রার্থী বাছাই থেকে মগজধোলাই, কীভাবে চলত?

    ISI Agent: গুপ্তচরবৃত্তির কেন্দ্র পাক হাইকমিশন! প্রার্থী বাছাই থেকে মগজধোলাই, কীভাবে চলত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুপ্তচরবৃত্তির (ISI Agent) কেন্দ্র হল পাকিস্তানের হাইকমিশন, গোয়েন্দা রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। ভিসা অফিসার হিসেবে পাকিস্তান আদতে আইএসআই আধিকারিকদেরই নিয়োগ করে দিল্লিতে তাদের হাই কমিশনে (Pakistan High Commission)। ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে পাকিস্তানের হাইকমিশনের কর্মী আহসানুর রহিম ওরফে দানিশকে অবাঞ্ছিত বলে ঘোষণা করে দিল্লি। তার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ রয়েছে যে প্রায় ২৪ জন ব্যক্তিকে পাকিস্তানের ভিসার জন্য আবেদন করিয়েছিল দানিশ। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, দিল্লি পুলিশ এ বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে এবং পরবর্তীকালে ২৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু সে অর্থে এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক তথ্য না পাওয়া যাওয়াতে, তাঁদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

    ভিসা অফিসার নয়, দানিশ ছিল আইএসআই আধিকারিক (ISI Agent)

    এক্ষেত্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, কোনওভাবেই পাকিস্তান হাইকমিশনের (Pakistan High Commission) ভিসা অফিসার ছিল না দানিশ। আদতে সে ছিল আইএসআইয়ের ইন্সপেক্টর র‍্যাঙ্কের একজন অফিসার (ISI Agent)। জানা যায়, সে নিজের এই সমস্ত কার্যকলাপগুলি রিপোর্টিং করত তার উর্ধ্বতন আইএসআই অফিসারদের। যাদের মধ্যে একজনের নাম হচ্ছে শোয়েব। এদেশে থেকে দানিশ আইএসআইয়ের জন্য এজেন্ট নিয়োগ করত। এর পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন কোম্পানির সিম কার্ড সংগ্রহ করত। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, দানিশের পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়েছিল ইসলামাবাদ থেকে। সে ভারতের ভিসা পায় ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি। তথ্য বলছে, আইএসআইয়ের এজেন্ট দানিশের বাড়ি পাকিস্তানের নাড়োয়ালে। বর্তমানে এই স্থান পাকিস্তানের পাঞ্জাবে অবস্থিত। গত ১৩ মে দানিশকে অবাঞ্ছিত বলে ঘোষণা করা হয়। কারণ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে সে ভারতের নাগরিকদের আইএসআই এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ করছে এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করছে। এরপাশাপাশি এদেশে পাকিস্তানপন্থী বিভিন্ন ইস্যুকে প্রচারও করছে সে।

    জ্যোতিদের মতো এজেন্টদের নিয়োগ করত পাক হাই কমিশনের আইএসআই আধিকারিকরা

    এই দানিশেরই অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল হরিয়ানার জ্যোতি মালহোত্রা। যে কিনা একজন ট্রাভেল ভ্লগার (ভিডিও ব্লগার)। এই ইউটিবারও পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করত। হরিয়ানা থেকে পুলিশ সম্প্রতি তাকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের হাইকমিশনের একটা ইতিহাস রয়েছে, এই ধরনের কার্যকলাপ করার। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ পাক হাইকমিশনের বিরুদ্ধে নতুন নয়। এমনটাই জানাচ্ছেন গোয়েন্দারা। হাইকমিশনকে ব্যবহার করেই এ দেশে এজেন্ট নিয়োগের কাজ চালিয়ে যায় তারা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়োগ (ISI Agent) করা এজেন্টদের পোস্টিং দেওয়া হয়।

    কাদেরকে প্রার্থী হিসেবে বাছাই করত আইএসআই, কীভাবে হত মগজধোলাই?

    দিল্লি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের পাকিস্তান ডেস্ক পাক গুপ্তচরদের বিষয়ে যে তথ্য জোগাড় করেছে, এবং জ্যোতিকে জেরা করে যাা উঠে এসেছে, তার থেকে আইএসআই-এর মোডাস অপারান্ডি বা কার্যপদ্ধতি ফাঁস হয়েছে। জানা যাচ্ছে, দানিশের মতো আইএসআই এজেন্টরা এখানে জ্যোতিদের মতো ব্লগার ও ইনফ্লুয়েন্সারদের মূূলত টার্গেট করত। প্রার্থী বাছাইয়ে জোর দেওয়া হত তিনটি বিষয়ের ওপর। যাদের টাকার প্রয়োজন, ঘুরতে ভালোবাসে এবং একা থাকে— খোঁজা চলত এমন ক্যান্ডিডেটদের। এই শর্তগুলো মিলে গেলেই টোপ ফেলা হত। যেমন প্রথমেই পাকিস্তান ঘুরে আসার আমন্ত্রণ দেওয়া হয়। সহজে ভিসা জোগাড় করা থেকে শুরু করে সেখানে থাকা-খাওয়া-ঘোরার সুবন্দোবস্ত— সবকিছু করে দেয় আইএসআই। শুধু তাই নয়। এর পর ধীরে ধীরে, তাদের বলা হয় পরিবারের সদস্যদেরও সঙ্গে আনতে। এই ভাবে ধীরে ধীরে জাল ফেলা হয়। আটকা পড়লে, আসল খেলা শুরু হয়। বলা হয় ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানের তথ্য বা ছবি সরবরাহ করতে এবং সামরিক ও কেন্দ্রীয় কর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে গোপন নথি ও তথ্য হাতাতে। আইএসআই-এর টোপ গিলে নেয় জ্যোতি। আরও অনেকের কাছে ফেলা হয়। যারা গেলে না, তাদেরকে বাদ দেওয়া হয়।

    ভিসা অফিসারের মুখোশে আইএসআই অফিসারদের পাঠানো হয় হাইকমিশনে

    প্রসঙ্গত, আইএসআই (ISI Agent) এভাবেই পাক হাইকমিশনকে ব্যবহার করে। এদেশে তাদের এজেন্ট খোঁজে এবং তাদেরকে বিভিন্ন কাজও দেয়। তথ্য পাচার করার কাজে লাগায় তাদেরকে। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, এই সমস্ত পাকিস্তানের ইন্টেলিজেন্স অফিসারদের গুপ্তচরবৃত্তির প্রশিক্ষণ দেয় পাক সেনা। সেনা অফিসাররাই বাছাই করা আইএসআই অফিসারদের গুপ্তচর হিসেবে হাইকমিশন (Pakistan High Commission) গুলিতে পাঠায়। এখানে তারা আসে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে। তারা নিজেদের বলে ভিসা অফিসার। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের মে মাসে দিল্লি পুলিশের তদন্তে উঠে আসে দুজনের নাম। যারা নিজেদের পরিচয় দেয় ভিসা অফিসার কিন্তু তারা ছিল আইএসআই এজেন্ট। এ দুজনের নাম ছিল আবিদ হোসেন এবং তাহীর খান। এই দুজনকে ভারত থেকে বহিষ্কার করা হয়।

    পাক যড়যন্ত্র বুঝতে পেরে পাক হাইকমিশনে কর্মী সংখ্যা কমায় দিল্লি

    শুধু তাই নয়, ভিসার জন্য যে সমস্ত ভারতীয়রা পাকিস্তানে যেতে আবেদন করে তাদের কাছ থেকে ভারতীয় ফোনের সিম কার্ডও সংগ্রহ করে আইএসআই। এগুলো বিভিন্নভাবে তারা কাজে লাগায়। ঠিক এই গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পাকিস্তানের হাই কমিশনের (ISI Agent) কর্মী সংখ্যা ১৮০ থেকে ৯০ নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালে এরকম একটি স্টিং অপারেশন চালানো হয়েছিল। যেখানে একজন পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত ভিসা অফিসারের মুখোশ খোলা হয়। দেখা যায় হাইকমিশনের ওই কর্মী আসলে আইএসআই এজেন্ট।

    ২০১৬ সালেও সামনে আসে পাক হাইকমিশনের গুপ্তচরবৃত্তি

    ২০১৬ সালের একই ঘটনা ঘটে। যেখানে দিল্লি পুলিশের তদন্তে উঠে আসে আরও এক আইএসআই এজেন্টে। জানা যায়, তার নাম ছিল মেহমুদ আক্তার। ঘটনা ক্রমে, সেও ছিল হাইকমিশনের কর্মী। প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে প্রতিটি দেশই নিজেদের হাইকমিশনে বেশ কিছু কূটনৈতিক রক্ষাকবচ পায়। এটাকে ব্যবহার করেই দিল্লির হাইকমিশনকে আইএসআই-এর হাব বানিয়েছে পাকিস্তান। জানা গিয়েছে এই আক্তারকে আইএসআই নিয়োগ করে ২০১৩ সালে এবং হাইকমিশনের কর্মী হিসেবে তখনই পাঠায়।

  • Shubman Gill: অধিনায়ক শুভমন গিলই, ডেপুটি পন্থ! ইংল্যান্ড সিরিজের ভারতীয় দল ঘোষণা বোর্ডের

    Shubman Gill: অধিনায়ক শুভমন গিলই, ডেপুটি পন্থ! ইংল্যান্ড সিরিজের ভারতীয় দল ঘোষণা বোর্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোহিত-কোহলি জমানা অতীত। সম্পূর্ণ নতুন দল নিয়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমাচ্ছে ভারত। প্রত্যাশামতোই ইংল্যান্ড সফরের জন্য টেস্ট ক্যাপ্টেন হিসেবে বেছে নেওয়া হল শুভমন গিলকেই (Shubman Gill)। অতীতে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের ক্যাপ্টেন্সি করেছেন। ওয়ান ডে টিমে তাঁকে ডেপুটি করা হয়েছিল। তেমনই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও রোহিতের ডেপুটি ছিলেন। সেই শুভমন গিলকেই ক্যাপ্টেন করা হল। ভাইস ক্যাপ্টেন করা হয়েছে ঋষভ পন্থকে। টিমে জায়গা হয়নি মহম্মদ শামির। তরুণ ব্রিগেডেই ভরসা রেখেছে কোচ গৌতম গম্ভীর।

    কেন সুযোগ পেলেন না শামি

    মুম্বইয়ে বোর্ডের হেড কোয়ার্টারে মিটিংয়ের পর ইংল্যান্ড সফরের জন্য শনিবার ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করলেন নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর। নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর পরিষ্কার করে দেন, গত কয়েক মাস ধরেই শুভমনকে (Shubman Gill) ক্যাপ্টেন হিসেবে ভাবা হচ্ছিল। সেই সিদ্ধান্তটাই নেওয়া হল। স্কোয়াডে মহম্মদ শামির জায়গা না পাওয়ার কারণ হিসেবে, ফিটনেস সমস্য়াকেই তুলে ধরেছেন নির্বাচক প্রধান। বলেন, ‘গত কয়েক মাসে প্রচুর চোটে ভুগেছে। আমাদের মনে হয় না, ও পাঁচ ম্যাচ খেলার মতো জায়গায় রয়েছে। আশা করেছিলাম, কয়েক টেস্ট হলেও পাব। কিন্তু ওর মতো বোলারকে না পাওয়া খুবই কষ্টের।’ ভারত এ টিমে থাকলেও টেস্টের দরজা খোলেনি ঈশান কিষাণের। ঋষভ পন্থের সঙ্গে দ্বিতীয় কিপার হিসেবে স্কোয়াডে ধ্রুব জুরেল জায়গা করে নিলেন। টেস্ট টিমের দরজা খুলল বাঁ হাতি তরুণ পেসার অর্শদীপ সিংয়ের। তেমনই প্রত্যাবর্তন হল করুণ নায়ার এবং শার্দূল ঠাকুরের।

    কে কোথায় খেলবে

    ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওপেনিংয়ে প্রথমেই আসবে যশস্বী জয়সওয়ালের নাম। তবে তাঁর সঙ্গে বাংলার অভিমন্যু নাকি সাই সুদর্শন, কে নামেন সেটাই দেখার। তিন নম্বরে শুভমান গিল, চতুর্থ স্থানে কেএল রাহুল। তারপর আসতে পারেন ঋষভ পন্থ। আবার শুভমন ওপেনিংয়ে গিয়ে সুদর্শনকেও চতুর্থ বা পঞ্চম স্থানে খেলতে পারেন। এরপর আসবেন নীতীশ রেড্ডি, রবীন্দ্র জাদেজা। তিনি স্পিনের কাজটিও সামলে দেবেন। পিচ বুঝে ঢুকতে পারেন ওয়াশিংটন সুন্দর বা করুণ নায়ার। যিনি সাত বছর পর ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করলেন। ইংল্যান্ডের পিচে তিন পেসারেই যেতে পারেন গম্ভীর। সেক্ষেত্রে সিরাজ, বুমরা তো থাকবেনই। পরে পেসারদের ‘ওয়ার্কলোড’ বা ফর্ম বুঝে ঢুকতে পারেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, আকাশ দীপ।

    কবে কবে খেলা

    ২০ জুন থেকে শুরু হবে ভারতের পাঁচ টেস্টের সফর। প্রথম টেস্ট লিডসে। ২ জুলাই থেকে এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্ট। লর্ডসে তৃতীয় টেস্ট হবে ১০ জুলাই থেকে। ২৩ জুলাই থেকে চতুর্থ টেস্ট ম্যাঞ্চেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। শেষ টেস্ট ৩১ জুলাই থেকে, ওভালে। এছাড়া ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে দুটি প্রস্তুতি টেস্টও খেলবে টিম ইন্ডিয়া।

    ইংল্যান্ড সফরের জন্য ঘোষিত স্কোয়াড- শুভমন গিল (ক্যাপ্টেন), ঋষভ পন্থ (ভাইস ক্যাপ্টেন), যশস্বী জয়সওয়াল, লোকেশ রাহুল, সাই সুদর্শন, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, করুণ নায়ার, নীতীশ রেড্ডি, ধ্রুব জুরেল, রবীন্দ্র জাডেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, শার্দূল ঠাকুর, জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ, অর্শদীপ সিং, প্রসিধ কৃষ্ণ, কুলদীপ যাদব, আকাশ দীপ।

  • India Bangladesh Relation: বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকুন ইউনূস, চাইছে চিন-পাকিস্তান! নেপথ্যে কি শুধু ভারত-বিরোধিতা?

    India Bangladesh Relation: বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকুন ইউনূস, চাইছে চিন-পাকিস্তান! নেপথ্যে কি শুধু ভারত-বিরোধিতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে গিয়েছে বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের (Md Yunus)। আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। তারপর ক্ষমতার রাশ যায় ইউনূসের হাতে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, ইউনূসের মূল দায়িত্ব হল বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করা, যাতে একটি গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসতে পারে। কিন্তু নির্বাচন করাতে ইউনূসের কোনও হেলদোল দেখা যাচ্ছে না। তাই স্বয়ং সেনাপ্রধান ইউনূসকে আল্টিমেটাম দিয়ে দিয়েছেন।

    তুরুপের তাস ইউনূসই! (India Bangladesh Relation)

    তবে ইউনূসের বক্তব্য থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার, সেটা হল ২০২৬ সালের কোনও এক সময় সাধারণ নির্বাচন হতে পারে বাংলাদেশে। এই যে লম্বা সময়, সেটাকে তিনি পাকিস্তান ও চিনের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার কাজে লাগাতে চাইছেন। ভারতকে চাপে রাখতে চিন এবং পাকিস্তানও বাংলাদেশের সঙ্গে স্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী। হাসিনা জমানায় বিশেষ পাত্তা পায়নি চিন ও পাকিস্তান। তারাই এখন ইউনূসের কট্টর সমর্থক। এর প্রধান কারণ এই দুই দেশই গণতান্ত্রিক পরিচয়ের জন্য বিশ্বে পরিচিত নয়। ইউনূসকে সমর্থনের নেপথ্যে রয়েছে তাদের কৌশলগত ও আদর্শগত দুই প্রকার কারণই। এই দুই দেশই চায়, বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকুন ইউনূস। কারণ বিশ্বমঞ্চে নরেন্দ্র মোদির ভারতের উত্থান ঠেকাতে, স্বৈরচারীশাসনকে উৎসাহিত করতে এবং বাংলাদেশে ইসালামপন্থী শক্তিগুলিকে শক্তিশালী করতে ইউনূসই হতে পারেন তাঁদের তুরুপের তাস।

    চিনের উদ্দেশ্য

    চিনের কাছে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু। ইতিমধ্যেই শি জিনপিংয়ের দেশ বাংলাদেশের পরিকাঠামো উন্নয়নে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশে কোনও নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এলে এই সব প্রকল্প নিয়ে ফের আলোচনার পথে যেতে পারে। ইউনূস ক্ষমতায় থাকলে সে প্রশ্নই নেই। তাছাড়া চিনের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত প্রকল্পে ইউনূস কোনও প্রতিরোধও গড়ে তুলবেন না। তাই চিনা বিনিয়োগ যে আপাতত জলে যাবে না, সে ব্যাপারে নিশ্চিন্তে ড্রাগনের দেশের কমিউনিস্ট সরকার। চিন বরাবরই তার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে গণতান্ত্রিক সক্রিয়তা বিস্তারের বিরোধিতা করে এসেছে। সেদিক থেকেও ইউনূস তাঁদের কাছে ঢের বেশি নিরাপদ বাংলাদেশের অন্যান্য নেতা-নেত্রীর চেয়ে।

    পাকিস্তানের লক্ষ্য

    চিন যেমন লগ্নি বাঁচাতে সমর্থন করছে ইউনূসকে (Md Yunus), পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তেমনটা নয়। তাদের মূল উদ্দেশ্য ভারতের বিরুদ্ধে মৌলবাদী শক্তিকে লালন-পালনের কৌশলগত গভীরতা অর্জন। হাসিনা জমানায় বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিতে পারেনি ইসলামপন্থীরা। জঙ্গিদের বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থান নিয়েছিল তাঁর সরকার। নিয়ন্ত্রণ করেছিল পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কার্যকলাপও। ইউনূসের আমলে এসব কিছুই নেই। তাই তারা চাইছে, ভারতের সঙ্গে দূরত্ব রচনা করুক বাংলাদেশ, ঘনিষ্ঠ হোক শাহবাজ শরিফের দেশের সঙ্গে। পাকিস্তান চায় বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকুক ইউনূসের মতো এমন একজন নেতা, যিনি একই সঙ্গে নমনীয় এবং ভারত-বান্ধব নন। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলার পর পাকিস্তানে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। নয়াদিল্লির এই গুঁতোয় সিঁদুরে মেঘ দেখছে ইসলামাবাদ। ভারত ঘোষণা করে দিয়েছে পাকিস্তান কিংবা তার পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত যে কোনও জঙ্গি হামলাকে যুদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এবং সেক্ষেত্রে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। মোদি সরকারের এহেন ঘোষণায় অশনি সঙ্কেত দেখছে শাহবাজ শরিফের দেশ (India Bangladesh Relation)। তাই তারাও চাইছে, এই ঘোর বিপদের দিনে ইউনূসের মতো কাউকে একজনকে পাশে পেতে। সেই কারণেই বাংলাদেশে নির্বাচন হোক, চাইছে না পাকিস্তানও।

    কী বলছেন পর্যবেক্ষকরা?

    পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ নীতির মূল কথাই হল, হাজারো ক্ষতের মাধ্যমে রক্তাক্ত করো ভারতকে। বাংলাদেশে মৌলবাদ মাথাচাড়া দেওয়ায় সেই কাজটিই আরও অনায়াস হয়েছে পাক জঙ্গিদের কাছে। বাংলাদেশের পর্যবেক্ষকদের মতে, ইউনূস সরকারের আমলে সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হল ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলি বিশেষ করে জামাত-ই-ইসলামির (জেইআই) রাজনীতিতে ফিরে আসা। হাসিনার আমলে জামাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। তারপরেই (Md Yunus) রমরমা জামাতের। এটি একটি বিপজ্জনক আদর্শগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত। হাসিনার অনুপস্থিতির সুযোগে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন যেমন হিজবুত তাহরির ফের প্রকাশ্যে কাজকর্ম শুরু করেছে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (আল-কায়দা দ্বারা প্রাণিত একটি সংগঠন)-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত চরমপন্থী আলেম মুফতি জসিমউদ্দিন রহমানিকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে ইউনূস জমানায়। এসব ঘটনা থেকেই প্রমাণ হয় যে, ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার হয় এই উগ্র শক্তিগুলিকে দমন করতে অনিচ্ছুক, নয়তো সম্পূর্ণভাবে অক্ষম (India Bangladesh Relation)।

    জামাতের প্রভাব

    জামাতের প্রভাব কেবল রাস্তার উগ্রপন্থার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, ইউনূস প্রশাসনের অধীনে এটি রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরেও ঢুকে পড়েছে। ফার্স্টপোস্টের এক প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে যে, জামাতের ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবির (আইসিএস) হাসিনার অপসারণের নেপথ্যে ছাত্র আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়তেই সংখ্যালঘুদের ওপর হামলায়ও তারা জড়িত ছিল বলে অভিযোগ। জেইআইয়ের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক প্রভাবকে অনেকেই বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্র ভেঙে একটি ইসলামি ধর্মতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে একটি ধাপ হিসেবে দেখছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইউনূসের অধীনে প্রস্তাবিত সংবিধান সংশোধন এই লক্ষ্যেই পরিচালিত হতে পারে। নির্বাচিত জনমতের কোনও ভিত্তি ছাড়াই ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশের আইন ও শাসন কাঠামো পুনর্লিখনের জন্য বিভিন্ন কমিটি গঠন করেছে। সমালোচকদের মতে, এটি ধর্মীয় রক্ষণশীলতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার একটি পরিকল্পিত পদক্ষেপ (India Bangladesh Relation)।

    সিঁদুরে মেঘ

    ইউনূস সরকার ক্রমশ জঙ্গি সংগঠনগুলির হাতের পুতুলে পরিণত হওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও। বিএনপির প্রবীণ নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির বলেন, “একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সমন্বিত চক্রান্ত জাতীয় নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে নাগরিকদের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।” তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের জন্য অসংখ্য ছাত্র ও সাধারণ মানুষ যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। কিন্তু বর্তমানে রাজনৈতিক পরিবেশ অশনি সংকেতপূর্ণ ও অনিশ্চিত (Md Yunus)।”

    গণতান্ত্রিক গতি-প্রবাহকে দমন করা!

    মনে রাখতে হবে, বেজিং এবং ইসলামাবাদ উভয়েই গণতান্ত্রিক কার্যকলাপ ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে। সংস্কার এবং জাতীয় ঐকমত্যের অজুহাতে ইউনূসের নির্বাচন বিলম্বিত করার কৌশলটি ক্ষমতা সংহত করার লক্ষ্যে অন্যান্য স্বৈরাচারী শাসকদের ব্যবহৃত পদ্ধতির অনুরূপ। চিন ও পাকিস্তানের ইউনূসকে ক্ষমতায় দেখতে চাওয়ার কারণ হয়তো এক নয়। কিন্তু একটি বিষয়ে দুই দেশই একমত, সেটি হল এই অঞ্চলে গণতান্ত্রিক গতি-প্রবাহকে দমন করা যেখানে ভারতের গণতান্ত্রিক মডেলের প্রভাব দিন দিন বাড়ছে বিশ্বের দরবারে (India Bangladesh Relation)।

    ভারত হল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী, দীর্ঘদিনের মিত্রও। তবে নির্বাচিত সরকার উৎখাত হওয়ার পর ভারত অপেক্ষায় রয়েছে সে দেশে একটি নির্বাচিত সরকার আসার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যদি পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে বাংলাদেশ, তাহলে এটি দক্ষিণ এশিয়ায় কৌশলগত ভারসাম্য বদলে দিতে পারে। বাংলাদেশ পরিণত হতে পারে ভারতের বিরুদ্ধে কার্যকলাপ (Md Yunus) চালানোর একটি ঘাঁটিতে। বঙ্গোপসাগরে চিনের প্রভাব বিস্তার করার একটি করিডর হিসেবেও কাজ করতে পারে ইউনূসের দেশ (India Bangladesh Relation)।

LinkedIn
Share