Tag: NIA

NIA

  • Vijay Mallya Nirav Modi: ‘পলাতক’ দুই ঋণখেলাপির খোঁজে লন্ডন যাচ্ছেন গোয়েন্দারা!

    Vijay Mallya Nirav Modi: ‘পলাতক’ দুই ঋণখেলাপির খোঁজে লন্ডন যাচ্ছেন গোয়েন্দারা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁরা ঋণখেলাপি। পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন ব্রিটেনে। ঋণখেলাপি সেই বিজয় মালিয়া ও নীরব মোদির (Vijay Mallya Nirav Modi) খোঁজে এবার লন্ডন পাড়ি দিচ্ছে সিবিআই-ইডি এবং এনআইএর পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে গঠিত একটি উচ্চপর্যায়ের দল। বিদেশ মন্ত্রকের মাধ্যমে ব্রিটেনের সর্বোচ্চ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ওই দুই ঋণখেলাপির প্রত্যর্পণের চেষ্টা করবে ওই তদন্তকারী দল। এজন্য ব্রিটেনের সর্বোচ্চ প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলবেন ওই দলের সদস্যরা। সিবিআই-ইডি এবং এনআইএর আধিকারিকদের নিয়ে গঠিত এই দলের লন্ডন সফর নিয়ে অবশ্য এখনও কিছু বলা হয়নি কেন্দ্রের তরফে।

    নীরব-বিজয়-সঞ্জয়

    নীরব মোদি হিরে ব্যবসায়ী। বিজয় মালিয়া কিংফিশার এয়ারলাইন্সের প্রাক্তন মালিক। এই দুই (Vijay Mallya Nirav Modi) ঋণখেলাপি ছাড়াও আরও এক পলাতক ব্যবসায়ীর প্রত্যর্পণের বিষয়েও গতি আনতে চাইছে নয়াদিল্লি। তিনি অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাণ্ডারি। ইউপিএ জমানায় একাধিক অস্ত্রচুক্তিতে তিনি মধ্যস্থতা করেছিলেন বলে অভিযোগ। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট বঢরার ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি লন্ডন ও দুবাইয়ে সম্পত্তি কিনেছেন।

    প্রত্যর্পণের চেষ্টা চলবে

    অর্থনৈতিক অপরাধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তপ্রক্রিয়া চললে এক দেশ অন্য দেশের সঙ্গে তদন্ত সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান করবে বলে চুক্তি রয়েছে নয়াদিল্লি ও লন্ডনের মধ্যে। অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও নীরব ও বিজয়কে প্রত্যর্পণের চেষ্টা করলেও, আইনি জটে এখনও তা সম্পন্ন হয়নি। সেই কারণেই ফের একবার চেষ্টা করছে ভারত।

    জানা গিয়েছে, ব্রিটেন পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষস্তরে কথা বলে পলাতক নীরব, বিজয় ও সঞ্জয়কে দেশে ফেরানোর চেষ্টার পাশাপাশি বিদেশে তাঁদের নামে-বেনামে কেনা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আবেদনও জানাবে সিবিআই-ইডি এবং এনআইএ আধিকারিকদের সমন্বয়ে গঠিত ভারতীয় গোয়েন্দাদের দলটি।

    আরও পড়ুুন: ফ্ল্যাট ‘প্রতারণা’কাণ্ডে বিপাকে তৃণমূলের নুসরত, কী বলল আদালত?

    প্রসঙ্গত, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের বিপুল পরিমাণ টাকা তছরুপের অভিযোগে কাঠগড়ায় নীরব। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পালানোর অভিযোগ লিকার ব্যারন বিজয়ের বিরুদ্ধে। আর সঞ্জয় দেশ ছাড়েন ২০১৬ সালে, ইডি এবং আয়কর দফতর তদন্ত শুরু করতেই (Vijay Mallya Nirav Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: তিন বিজেপি কর্মীকে খুনের পুরনো মামলায় শাহজাহানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: তিন বিজেপি কর্মীকে খুনের পুরনো মামলায় শাহজাহানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারির তদন্তে সন্দেশখালিতে গিয়ে প্রহৃত হয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের অনুগামীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির আধিকারিকরা। ঘটনার পর পরই গা ঢাকা দেন তৃণমূল নেতা।

    আদালতে শুভেন্দু 

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে তিন বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগও রয়েছে। এই ঘটনায় এবার সিবিআই কিংবা এনআইএ তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু বলেন, “ওরা চাপে আছে। ওরা আদালতে শাহজাহানকে আত্মসমর্পণ করাতে চায়। বরিশালের সঙ্গে যোগ আছে। বাংলাদেশে পাচারে যুক্ত শাহজাহান।” বাংলাদেশের বন্ধু সরকার শাহজাহানকে ধরতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    এনআইএ দাবি

    তিন বিজেপি কর্মী খুনে শাহজাহান যে জড়িত, তা আগেই জানিয়েছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ বিজেপির দিলীপ ঘোষ। সোমবার শুভেন্দুও বলেন, “কেবল রেশন কেলেঙ্কারি নয়, তিনজনের দেহ লোপাটেও অভিযুক্ত শাহজাহান। তিনটি পরিবার বিচার পায়নি, পুলিশ মামলা থেকে শাহজাহানকে নিষ্কৃতি দিয়েছে। সন্দেশখালির দুই মহিলা আমার কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন। ওই দুই পরিবারের ন’জনকে আমি নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করেছি।” বিজেপি কর্মী খুনে মূল অভিযুক্ত শাহজাহান। তার পরেও পুলিশ তাঁর টিকি না ছোঁওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পুলিশের চার্জশিট চ্যালেঞ্জ করে সিবিআই বা এনআইএ তদন্ত দাবি করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    আরও পড়ুুন: শিক্ষা দুর্নীতির চারটি মামলাতেই নাম জড়াল পার্থের! চূড়ান্ত চার্জশিট দিল সিবিআই

    ২০১৯ সালের ৬ জুন সন্দেশখালিতেই খুন হন বিজেপির তিন কর্মী। তাঁদের প্রত্যেকের দেহ লোপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পদ্ম শিবিরের। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “নিরাপত্তা নেই। তাই বাংলায় নির্বাচনকে ঘিরে এত হিংসা।” তিনি বলেন, “সিপিএম শুরু করেছিল। বৃত্ত সম্পূর্ণ করেছে তৃণমূল। গতকাল (রবিবার) ব্রিগেডে শাহজাহান শেখকে নিয়ে একটাও কথা নেই কেন?” জায়ান্ট কিলার (গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হারানোর পর রাজনৈতিক মহলে এই নামেই পরিচিত শুভেন্দু) (Suvendu Adhikari) বলেন, “তিনজনের দেহ লোপাট করেও স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় রেহাই পেয়ে গিয়েছিলেন শাহজাহান। ওই মামলা রি-ওপেন করে সিবিআই কিংবা এনআইএ তদন্তের দাবিতে হাইকোর্ট আর্জি জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহকে চিঠি সুকান্তর, তুললেন এনআইএ তদন্তের দাবি

    Sukanta Majumdar: সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহকে চিঠি সুকান্তর, তুললেন এনআইএ তদন্তের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডের পরে পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে টেলিফোন করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Sukanta Majumdar)। এই একই ইস্যুতে তাঁকে চিঠি লিখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। শুভেন্দুর মতো তিনিও এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছেন।

    আক্রান্ত ইডি

    রেশন কেলেঙ্কারি কাণ্ডের মূলে কুঠারাঘাত করতে শুক্রবার সাত সকালে সন্দেশখালিতে পৌঁছে যান ইডির তদন্তকারীরা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতেই তাঁরা গিয়েছিলেন সন্দেশখালিতে। সেখানে ওই তৃণমূল নেতার অনুগামীরা ইডির আধিকারিকদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। জখম হয়েছেন তাঁদের সঙ্গে থাকা সিআরপিএফের দুই জওয়ানও। এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে বেনজির মন্তব্য করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও।

    শাহকে চিঠি সুকান্তর

    এই ঘটনায়ই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন সুকান্ত। চিঠির এক জায়গায় বঙ্গ বিজেপির সভাপতি লিখেছেন, “আমি আপনাকে সনির্বন্ধ অনুরোধ করছি সন্দেশখালিকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিন। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিকঠাক রয়েছে কিনা, তা জানতে এনআইএ তদন্তের প্রয়োজন।” তিনি (Sukanta Majumdar) লিখেছেন, “কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আদালতে বলেছেন, এটি একটি সাংবিধানিক সমস্যা। রাজ্যপালের অবশ্যই হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন। প্রয়োজন রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করা। সন্দেশখালির অকুস্থলে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করতেও অনুরোধ করি আপনাকে। যাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।”

    আরও পড়ুুন: “জঙ্গলরাজ-গুন্ডাগিরি মুর্খের স্বর্গেই চলতে পারে”, সন্দেশখালিকাণ্ডে তোপ রাজ্যপালের

    এদিকে, সন্দেশখালিকাণ্ডে রোহিঙ্গা যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের এনে ক্যাম্প করে রাখেন। তারপর তাদের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেন।” তিনি বলেন, “বিজেপির তিন কর্মীকে খুনের অভিযোগ রয়েছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে। এঁদের মধ্যে দু’জনের দেহ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি।”

    সন্দেশখালিকাণ্ডে বিজেপি (Sukanta Majumdar) সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, “বাংলায় বারংবার গণতন্ত্র ব্যর্থ হচ্ছে। তাই ইডি কর্তারা আক্রান্ত হয়েছেন। যেসব সংগঠন দেশ বিরোধী কাজ করছে, তারা ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে। প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে বম্ব-পিস্তল ইত্যাদি। যদিও যথাযথ পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। তাই এই সরকারকে সরিয়ে দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যে জারি করা হোক জরুরি অবস্থা।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISIS: আইএস জঙ্গিদের তহবিলে টাকা দিতেন ভারতীয় রেলের ক্লার্ক! তদন্তে এনআইএ

    ISIS: আইএস জঙ্গিদের তহবিলে টাকা দিতেন ভারতীয় রেলের ক্লার্ক! তদন্তে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি করেন ভারতীয় রেলে। অথচ নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন আইএসআইএস (ISIS) জঙ্গির সঙ্গে! শুধু তাই নয়, ভুয়ো মেডিকেল বিল তৈরি করে রেলের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে সেই টাকা জমা করতেন জঙ্গিদের তহবিলে। এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে রেলের এক ক্লার্কের বিরুদ্ধে।

    তদন্তে এনআইএ

    রেলকর্মীর জঙ্গিযোগের মূলে পৌঁছতে তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ। দিল্লির একটি থানায় ওই ক্লার্কের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর। অক্টোবর মাসে তিন আইএসআইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। এরা হল, শাহনওয়াজ আলম, মহম্মদ আশরাফ এবং মহম্মদ আরশাদ ওয়ারসি। ধৃতদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে তাজ্জব বনে যান তদন্তকারীরা। তাঁরা জানতে পারেন, ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে কিছু সোর্স থেকে নিয়মিত টাকা ঢুকছে। এর পরেই কোমর কষে নামে পুলিশ।

    রেলের ওই কর্মী ফাইনান্স বিভাগে কর্মরত

    জানা যায়, নয়ডার বাসিন্দা পেশায় রেলকর্মী ওই জঙ্গিদের নিয়মিত টাকার জোগান দিতেন। ওই কর্মীর বিরুদ্ধে (ISIS) এফআইআর দায়ের করেছে উত্তর রেলওয়ে। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে অর্থ জালিয়াতির মামলা। রেলের ওই কর্মী ফাইনান্স বিভাগে কর্মরত। অর্থ সংগ্রহ করতে একাধিকবার ভুয়ো মেডিকেল বিল জমা দেন তিনি। এই টাকাই তিনি পাঠাচ্ছিলেন জঙ্গিদের তহবিলে। তদন্তে নেমেছে এনআইএ। অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

    আরও পড়ুুন: অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিনে দেশজুড়ে কর্মসূচি বিজেপির, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    ৯ ডিসেম্বর দেশজুড়ে আইএসআইএসের খোঁজে মহারাষ্ট্র সহ দেশের ৪৪টি ঠিকানায় হানা দেয় এনআইএ। গ্রেফতার করা হয় ১৫ জনকে। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, মহারাষ্ট্র মডিউলের চাঁই হল সাকিবা নাচান। এই মডিউলই গোটা দেশে জঙ্গি হামলার ছক কষছিল। বিবৃতিতে এনআইএ জানিয়েছে, তদন্তে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র মডিউলের সব আইএসআইএস সদস্যরা কাজকর্ম চালাচ্ছিল পদ্ম-বোরিভালি এলাকা থেকে। এখানে বসেই তারা দেশজুড়ে হামলার ছক কষছিল। জিহাদ, খিলাফত এসবের নামে জঙ্গিরা (ISIS) নষ্ট করতে চাইছিল দেশের শান্তি। এভাবেই তারা ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জারি করতে চেয়েছিল।

    মহারাষ্ট্র মডিউলের নাচান নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে পরিচিত একটি নাম। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকার মামলা রয়েছে এক ডজনেরও বেশি। তার ছেলে শামিল নাচানও সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে যুক্ত ছিল। গ্রেফতার করা হয়েছে শামিলকে (ISIS)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: ভেস্তে গেল প্রজাতন্ত্র দিবসে নাশকতার ছক, এনআইএ হানায় ধৃত ৮ জঙ্গি

    NIA: ভেস্তে গেল প্রজাতন্ত্র দিবসে নাশকতার ছক, এনআইএ হানায় ধৃত ৮ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিক ন’ দিনের মাথায় ফের গ্রেফতার ৮ আইএস জঙ্গি। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে ফের একবার ইসলামিক স্টেটসের (isis) নাশকতার ছক ভেস্তে দিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা সংক্ষেপে, এনআইএ (NIA)। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সোমবার কর্নাটকের বল্লারি সহ জঙ্গিদের বিভিন্ন ডেরায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দেহভাজন ওই জঙ্গিদের।

    জঙ্গি ডেরায় কী মিলল জানেন?

    জঙ্গিদের খোঁজে এদিন অভিযান চালানো হয়েছে মুম্বই, পুণে এবং দিল্লিরও কয়েকটি ঠিকানায়। উদ্ধার হয়েছে বিস্ফোরক তৈরির উপকরণ পটাশিয়াম ও সালফার নাইট্রেট, বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, গান পাউডার, চারকোল, সুগার, ইথানল, ধারাল অস্ত্র, নগদ টাকা, স্মার্টফোন, একাধিক ডিজিটাল ডিভাইস এবং বিভিন্ন নথিপত্র। ন’ দিন আগেই মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকের ধারাবাহিক অভিযান চালিয়েছিল এনআইএ (NIA)। সেই অভিযানে গ্রেফতার হয়েছিল ১৫জন জঙ্গি।

    গ্রেফতার এক চাঁই

    ওই অভিযানে গ্রেফতার হয়েছিল আইএসের এক মাথাও। সোমবার এনআইএ হানা দিয়েছিল জঙ্গিদের ১৯টি ডেরায়। গ্রেফতার করা হয়েছে আরও ৮জনকে। এদের মধ্যে রয়েছে বল্লারি মডিউলের ওই জঙ্গিদের নেতা মহম্মদ সুলেমান ওরফে মিনাজও। ধৃতদের মধ্যে বল্লারি ছাড়াও ছিল বেঙ্গালুরু, পুণে, মুম্বই, দিল্লি ও বোকারোর বাসিন্দারা। এনআইএ জেনেছে, দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল শহরের ব্যস্ততম এলাকায় নাশকতার ছক কষেছিল ধৃত জঙ্গিরা।

    আরও পড়ুুন: “ভিখারি হয়ে গিয়েছে রাজ্য, মোদির পা ধরতেই মমতা দিল্লিতে”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    এনআইএ-র তরফে জারি করা বিবৃতিতে মুখপাত্র জানিয়েছেন, “আজ আমরা মিনাজ ওরফে মহম্মদ সুলেমান ও সঈদ সমীরকে বল্লারি থেকে গ্রেফতার করেছি। মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আনাস ইকবাল শেখকে। বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মহম্মদ মুনিরুদ্দিন, সঈদ সামিউল্লা ওরফে সামি এবং মহম্মদ মুজাম্বেলকে। দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সঈদ রহমানকে। আর জামশেদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মহঃ শাহবাজ ওরফে জুলফিকার গুড্ডুকে।”

    তিনি বলেন, “এদিনের অভিযানে যে আট জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই আইএসের সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত। মিনাজ ওরফে মহঃ সুলেমানের নেতৃত্বে তারা কাজকর্ম করছিল।” এনআইএ (NIA) জানিয়েছে, দেশে ইরাক ও সিরিয়ার ইসলামিক স্টেটের মেরুদণ্ড ভাঙতে অভিযান চালানো হয়েছে। নিষিদ্ধ এই সংগঠন ভারত-বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যেসব রাজ্যে এদিন হানা দেওয়া হয়েছে, সেখানকার পুলিশকেও শামিল করা হয়েছিল অভিযানে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Birbhum: বীরভূমে ফের উদ্ধার প্রচুর বিস্ফোরক! এর পিছনেও কি তৃণমূল নেতার হাত?

    Birbhum: বীরভূমে ফের উদ্ধার প্রচুর বিস্ফোরক! এর পিছনেও কি তৃণমূল নেতার হাত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক মজুত থাকার হদিশ পেল পুলিশ। মজুত করা বিষ্ফোরকগুলির মধ্যে রয়েছে জিলেটিন স্টিক, ডিটোনেটর ও অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) নলহাটি থানার বাহাদুরপুর পাথর শিল্পাঞ্চলের চন্দননগর গ্রামে। উল্লেখ্য আগেও এক তৃণমূল নেতাকে বিস্ফোরক উদ্ধারের জন্য কেন্দ্রিয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করে ছিল। এবারও কী তৃণমূল নেতার হাত রয়েছে? বিজেপির অবশ্য দাবি, বিস্ফোরক সামগ্রীর আসল মালিক তৃণমূলের নেতারাই। তাই রাজ্যের নয় কেন্দ্রিয় তদন্তকারি সংস্থার দ্বারা তদন্তের দাবিতে তুলেছে বিজেপি।

    উল্লেখ্য গত একবছরের বেশি আগে রামপুরহাটের বগটুই হত্যাকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন অবৈধ বোমা, অস্ত্র, বিস্ফোরক উদ্ধারের জন্য। কিন্তু লাভ হয়নি। আবার এগরায় বাজি বিস্ফোরণের পরেও একই নির্দেশ দিয়েছিলেন কিন্তু তাতেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উপরন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক পরিমাণে বিস্ফোরকের ব্যবহারে ভাঙর থেকে সালার সর্বত্র উত্তপ্ত হয়ে গিয়েছিল। এবারও ফের একবার বীরভূমে বিস্ফোরক উদ্ধারে প্রশাসনের বিরুদ্ধে আঙুল উঠছে বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ।

    পুলিশ নিশ্চিত করেছে বিস্ফোরক (Birbhum)

    গতকাল শুক্রবার রাতে সূত্র মারফত খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নলহাটি (Birbhum) থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে চন্দননগর গ্রামের একটি বাড়িতে বিপুল পরিমানে বিষ্ফোরক মজুত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে। বাড়িটির চারিদিকে পুলিশ মোতায়েন করে ঘিরে রাখা হয়েছে। আজ শনিবার পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও বম্বস্কোয়ার্ডের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে মজুত থাকা বিষ্ফোরকগুলি উদ্ধার করে।

    আগেও গ্রেফতার হয়েছনে তৃণমূল নেতা

    উল্লেখ্য রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন চালার সময় গত ১০ জুন এই বীরভূমের (Birbhum) এলাকা থেকে বিষ্ফোরক মজুত রাখার অভিযোগে মনোজ ঘোষ নামে এক তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যকে গ্রেফতার করে এনআইএ। তার পরেও ওই এলাকায় বিপুল পরিমানে বিষ্ফোরক মজুত থাকার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এরপর তাঁর সূত্র ধরে গ্রেফতার করা হয় ইসলাম চৌধুরী নামক এক ব্যক্তিকে।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই ঘটনায় বীরভূমের (Birbhum) জেলা বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এই বিস্ফোরক ব্যবহার করে মানুষের ভোট লুট করেছে তৃণমূল। পুলিশ সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দিয়েছিল। আজকে উদ্ধার হওয়া এই বিস্ফোরকের পিছনে তৃণমূলের বিকি শেখ হল প্রধান অভিযুক্ত। এলাকার তৃণমূল নেতা আসাদ উদ্দিন, বিধায়ক এই বিস্ফোরকের পিছনে জড়িত। রাজ্য প্রশাসনের উপর আমাদের কোনও বিশ্বাস নেই। কেন্দ্রিয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবি জানাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Saigal Hossain: সায়গল হোসেনকে জেরা এনআইএ-র! বিস্ফোরকের কারবারিদের সঙ্গেও যুক্ত অনুব্রত-র দেহরক্ষী

    Saigal Hossain: সায়গল হোসেনকে জেরা এনআইএ-র! বিস্ফোরকের কারবারিদের সঙ্গেও যুক্ত অনুব্রত-র দেহরক্ষী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদা বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) জেরা করল এনআইএ (NIA)। বীরভূমের মহম্মদবাজারে জিলেটিন স্টিক উদ্ধারকাণ্ডে তিহাড় জেলে বন্দি সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গরু পাচার কাণ্ডে আপাতত তিহাড় জেলে রয়েছেন সায়গল ও অনুব্রত। সিবিআই, ইডির পর এবার বিস্ফোরকের কারবারিদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এনআইএ-র জেরার মুখে পড়লেন সায়গল।

    কেন জেরা

    এনআইএ সূত্রের দাবি, বীরভূমের মহম্মদবাজারে জিলেটিন স্টিক-সহ ডিটনেটর উদ্ধারের তদন্তে সায়গল হোসেনকে জেরা করে মিলতে পারে বিভিন্ন তথ্য। ২০২২ সালে মুরারই থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৮১ হাজার ডিটোনেটর। গাড়ির চালককে আটক করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ২৭ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এবং ১ হাজার ৯২৫ কেজি জিলেটিন স্টিক ও আরও ২ হাজার ৩২৫টি ডিটোনেটর উদ্ধার হয়। বিপুল এই বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তভার নেয় এনআইএ। পুলিশের একাংশের মদতে বিস্ফোরক সরবরাহকারীরা ডিটোনেটর-জিলেটিন স্টিক হাত বদল করতেন। তদন্তে এমনই তথ্য পেয়েছে এনআইএ। এই ঘটনায় ধৃতদের জেরা করেই সায়গলের তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি এনআইএর। যে জায়গায় মজুত করে রাখা হয়েছিল ওই ডিটোনেটর, তার মালিক সায়গলের অত্যন্ত ঘনিষ্ট বলেই দাবি এনআইএ-র। 

    আরও পড়ুন: চার রাজ্যে পিএলএফআইয়ের ডেরায় হানা এনআইএ-র, কী ছক কষেছিল জঙ্গিরা?

    এনআইএ-র জিজ্ঞাসাবাদ

    ২০১০ সালে কনস্টেবল পদে চাকরি পান সায়গল হোসেন। ২০১৬ থেকে অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী হিসেবে সর্বত্র দেখা যেতে থাকে সায়গল হোসেনকে। আর তারপরই তাঁর এই উত্থান। গরু পাচার, কয়লা পাচার-এর পর এবার জিলেটিন স্টিক উদ্ধার। বিস্ফোরকের কারবারিদের সঙ্গেও কি সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) যোগাযোগ ছিল? প্রভাবশালী যোগ ছাড়া কি এই বিস্ফোরকের কারবার চলতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই সায়গলকে জেরা করে এনআইএ। ৫ ঘণ্টা ধরে চলে সেই জেরা-পর্ব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: চার রাজ্যে পিএলএফআইয়ের ডেরায় হানা এনআইএ-র, কী ছক কষেছিল জঙ্গিরা?

    NIA: চার রাজ্যে পিএলএফআইয়ের ডেরায় হানা এনআইএ-র, কী ছক কষেছিল জঙ্গিরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠন পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (plfi) ডেরায় হানা এনআইএ-র (NIA)। সূত্র মারফত খবর পেয়ে চার রাজ্যে অভিযান চালায় এনআইএ। উদ্ধার হয়েছে ভারতীয় সেনার উর্দি এবং আগ্নেয়াস্ত্র। গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দেহভাজন দুই মাওবাদীকে। ঝাড়খণ্ড লিবারেশন টাইগার্স নামে পরিচিত পিএলএফআই আদতে মাওবাদীদের দলছুট একটি গোষ্ঠী। এদের বিরুদ্ধে তোলা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।

    কী কী মিলল?

    শুক্রবার ঘণ্টা চারেক ধরে অভিযান চলে। বিহারে এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন এনআইএ-র ডিএসপি মহেন্দ্র সিংহ রানা। উদ্ধার হয় ভারতীয় সেনার একটি উর্দি, দুটি বেআইনি অস্ত্র, প্রচুর নথিপত্র, নগদ টাকা এবং সোনার গয়না। চলতি বছর ১১ অক্টোবর পিএলএফআইয়ের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের করেছে এনআইএ। এর পরেই পিএলএফআইয়ের ডেরায় হানা দেওয়ার পরিকল্পনা করে এনআইএ। সেই মতো শুক্রবার চার রাজ্যের ২৩টি জায়গায় একই সময়ে হানা দেয় এনআইএ। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডে জঙ্গি কার্যকলাপ করার পরিকল্পনা করেছিল পিএলএফআই। তাদের বিরুদ্ধে জুলুম ও তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে।

    কোথায় কোথায় হানা? 

    এনআইএ (NIA) সূত্রে খবর, এদিন ঝাড়খণ্ড, বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও দিল্লির মোট ২৩টি জায়গায় হানা দেয় এনআইএ। সব মিলিয়ে বাজেয়াপ্ত হয়েছে দুটি পিস্তল, কিছু কার্তুজ এবং বিস্ফোরকের পাশাপাশি সোনার গয়না, নগদ তিন লক্ষ টাকা, বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম এবং নথিপত্র। এনআইএ (NIA) সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের গুমলা, রাঁচি, সিমডেগা, খুঁটি, পালামু, পশ্চিম সিংভূম জেলার ১৯টি ডেরায় অভিযান চালিয়েছে এনআইএ। অভিযান চালানো হয়েছে, মধ্যপ্রদেশের সিধি, বিহারের পাটনা এবং দিল্লির দুটি ডেরায়।

    আরও পড়ুুন: চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি ললিত ঝা-র, কী বলল লোকসভাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড?

    ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস। তার আগে মাওবাদীদের ডেরায় ভারতীয় সেনার উর্দি মেলায় জঙ্গিরা নাশকতার ছক কষেছিল কিনা, তাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা (NIA)। ফি বার প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতির উদ্দেশ্যে লালকেল্লায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিন দেশ-বিদেশের প্রচুর অতিথি-অভ্যাগত উপস্থিত থাকেন। তদন্তকারীদের একাংশের ধারণা, সেনার উর্দি পরে সেদিনই সেনার ভিড়ে মিশে গিয়ে হামলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Attack In Indian Embassy: আমেরিকাতেও ছড়িয়েছে গ্যাংস্টার-সন্ত্রাসবাদী আঁতাত, এফবিআইকে জানালো এনআইএ

    Attack In Indian Embassy: আমেরিকাতেও ছড়িয়েছে গ্যাংস্টার-সন্ত্রাসবাদী আঁতাত, এফবিআইকে জানালো এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্যাংস্টার ও সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে যে আঁতাত তৈরি হয়েছে, তার রেশ ছড়িয়ে পড়ছে আমেরিকার মাটিতেও। মঙ্গলবার এফবিআই কর্তাকে (Attack In Indian Embassy) সাফ জানাল এনআইএ-র ডিরেক্টর জেনারেল দিনকর গুপ্তা।

    এফবিআই-এনআইএ বৈঠক

    এদিন নয়াদিল্লিতে বৈঠকে বসেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই প্রধান ক্রিস্টোফার ওয়েরি এবং জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা সংক্ষেপে, এনআইএ-র দিনকর। সেই বৈঠকে অনিবার্যভাবে ওঠে সান ফ্রান্সিসকোয় ভারতীয় কনস্যুলেটে হামলার প্রসঙ্গ। তখনই এফবিআইয়ের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় ভারতীয় কনস্যুলেটে হামলার ঘটনায় প্রয়োজনীয় তদন্ত করছে আমেরিকা। ১৯ মার্চ ও ২ জুলাই সান ফ্রান্সিসকোয় ভারতীয় কনস্যুলেটে হামলা চালিয়েছিল খালিস্তানপন্থীরা। কানাডার মাটিতে খুন হয়েছিল খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর। তার (Attack In Indian Embassy) জেরে ২ জুলাই কনস্যুলেটে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল খালিস্তানপন্থীরা।

    দূতাবাসে হানা, পদক্ষেপের দাবি ভারতের 

    খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংকে ধরতে দেশজুড়ে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছিল পঞ্জাব পুলিশ। এরই প্রতিবাদে ১৯ মার্চ ভারতীয় দূতাবাসে ভাঙচুর করে খালিস্তানপন্থী স্লোগান লেখা পোস্টার টাঙিয়ে দিয়েছিলেন নিষিদ্ধ সংগঠন ‘শিখ ফর জাস্টিসে’র কর্মী-সমর্থকরা। এই জোড়া ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছিল ভারত। কানাডায় নিজ্জর খুনের পরে পরেই আমেরিকায় পালিয়ে যাওয়া আর এক খালিস্তানপন্থী জঙ্গি গুরপন্তওয়ান্ত সিং পান্নুনকে হত্যার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ভারতীয় এক অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলে আমেরিকা। এহেন আবহে এদিন এনআইএ-র সদর দফতরে গিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন এফবিআই কর্তা। তাঁর সঙ্গে এফবিআইয়ের কয়েকজন প্রতিনিধিও ছিলেন।

    আরও পড়ুুন: প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সাত সকালেই আয়কর হানা

    এই বৈঠকেই গ্যাংস্টার ও সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে যে আঁতাত গড়ে উঠেছে, সে সম্পর্কে এফবিআইকে সতর্ক করে দেয় এনআইএ। এখনই সতর্ক না হলে, অদূর ভবিষ্যতে যে ভয়ঙ্কর বিপদের সম্মুখীন হতে হবে, সে ব্যাপারেও আমেরিকাকে সতর্ক করে দিয়েছে ভারত। তার পরেই এফবিআইয়ের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ভারতীয় কনস্যুলেটে হামলার ঘটনার তদন্তে কোনও ঢিলেমি হবে না। প্রয়োজনীয় তদন্তও করবে আমেরিকা। এনআইএ-র মুখপাত্র জানান, এফবিআই ডিরেক্টর সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ওই ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত হবে (Attack In Indian Embassy)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA Raids:  ৪০ জায়গায় হানা এনআইএ-র, জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত সন্দেহ গ্রেফতার ১৩

    NIA Raids:  ৪০ জায়গায় হানা এনআইএ-র, জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত সন্দেহ গ্রেফতার ১৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার ১৩। শনিবার সকাল থেকে কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রের ৪০টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা সংক্ষেপে, এনআইএ (NIA Raids)। 

    দুই রাজ্যে হানা এনআইএ-র

    জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্রের ঠাণে গ্রামীণ এ শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চলছে। তল্লাশি চলছে পুণে এবং মীরা ভায়ান্দরেও। দুই জায়গার এই সব জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ১৩ জনকে। জানা গিয়েছে, ঠাণের গ্রামীণ এলাকার ৩১টি জায়গায় হানা দিয়েছে এনআইএ। ঠাণে সিটির ৯টি জায়গায়ও চলছে তল্লাশি। জানা গিয়েছে, অগাস্ট মাসে আইএস কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আকিফ আতিক নাচান নামে একজনকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। তাকে জেরা করে ধরা হয় আরও পাঁচজনকে।

    জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার 

    নভেম্বরে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাবিশ নাসের সিদ্দিকি নামের আরও একজনকে। জুবেইর নুর মহম্মদ শেখ ও আদনান সরকারকে গ্রেফতার করা হয় পুণে থেকে। ঠাণে থেকে গ্রেফতার করা হয় শরজিল শেখ ও জুলফিকার আলিকে। এদিকে, গত মাসেই একটি ষড়যন্ত্র মামলায় আইসিসের পুণে মডিউলের ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করেছিল এনআইএ (NIA Raids)। আইসিসের সংগঠনকে আরও মজবুত করতে ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হামলার ছক কষতে অর্থ সংগ্রহ করছিল অভিযুক্তেরা।

    এই সাতজনের কাছ থেকে আইইডি, অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র সহ নানা অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। এনআইএ-র দাবি, ওই সাতজন নানা জায়গায় শিবির করে তরুণদের আইসিসে যোগ দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করত। এর পাশাপাশি জঙ্গিদের গা ঢাকা দেওয়ার ব্যবস্থাও করত এই সাতজন।

    আরও পড়ুুন: ২৫০ কোটি পার…! কে এই ধীরজ সাহু, যার বাড়িতে মিলল ‘যখের ধন’!

    এনআইএ সূত্রে খবর, সাতজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ইউএপিএ, এক্সপ্লোসিভ সাবস্ট্যান্সেস অ্যাক্ট, আর্মস অ্যাক্টে অভিযোগ আনা হয়েছে। অক্টোবর মাসে দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করেছিল জঙ্গি শাহনওয়াজ আলমকে। সে পুণে আইসিস মডিউল সংক্রান্ত মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। এনআইএ-র খাতায় দীর্ঘদিন ধরেই ওয়ান্টেড ছিল এই (NIA Raids) জঙ্গি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share