Tag: NIA

NIA

  • NIA Raids:  ৪০ জায়গায় হানা এনআইএ-র, জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত সন্দেহ গ্রেফতার ১৩

    NIA Raids:  ৪০ জায়গায় হানা এনআইএ-র, জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত সন্দেহ গ্রেফতার ১৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার ১৩। শনিবার সকাল থেকে কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রের ৪০টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা সংক্ষেপে, এনআইএ (NIA Raids)। 

    দুই রাজ্যে হানা এনআইএ-র

    জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্রের ঠাণে গ্রামীণ এ শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চলছে। তল্লাশি চলছে পুণে এবং মীরা ভায়ান্দরেও। দুই জায়গার এই সব জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ১৩ জনকে। জানা গিয়েছে, ঠাণের গ্রামীণ এলাকার ৩১টি জায়গায় হানা দিয়েছে এনআইএ। ঠাণে সিটির ৯টি জায়গায়ও চলছে তল্লাশি। জানা গিয়েছে, অগাস্ট মাসে আইএস কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আকিফ আতিক নাচান নামে একজনকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। তাকে জেরা করে ধরা হয় আরও পাঁচজনকে।

    জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার 

    নভেম্বরে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাবিশ নাসের সিদ্দিকি নামের আরও একজনকে। জুবেইর নুর মহম্মদ শেখ ও আদনান সরকারকে গ্রেফতার করা হয় পুণে থেকে। ঠাণে থেকে গ্রেফতার করা হয় শরজিল শেখ ও জুলফিকার আলিকে। এদিকে, গত মাসেই একটি ষড়যন্ত্র মামলায় আইসিসের পুণে মডিউলের ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করেছিল এনআইএ (NIA Raids)। আইসিসের সংগঠনকে আরও মজবুত করতে ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হামলার ছক কষতে অর্থ সংগ্রহ করছিল অভিযুক্তেরা।

    এই সাতজনের কাছ থেকে আইইডি, অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র সহ নানা অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। এনআইএ-র দাবি, ওই সাতজন নানা জায়গায় শিবির করে তরুণদের আইসিসে যোগ দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করত। এর পাশাপাশি জঙ্গিদের গা ঢাকা দেওয়ার ব্যবস্থাও করত এই সাতজন।

    আরও পড়ুুন: ২৫০ কোটি পার…! কে এই ধীরজ সাহু, যার বাড়িতে মিলল ‘যখের ধন’!

    এনআইএ সূত্রে খবর, সাতজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ইউএপিএ, এক্সপ্লোসিভ সাবস্ট্যান্সেস অ্যাক্ট, আর্মস অ্যাক্টে অভিযোগ আনা হয়েছে। অক্টোবর মাসে দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করেছিল জঙ্গি শাহনওয়াজ আলমকে। সে পুণে আইসিস মডিউল সংক্রান্ত মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। এনআইএ-র খাতায় দীর্ঘদিন ধরেই ওয়ান্টেড ছিল এই (NIA Raids) জঙ্গি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khalistani Terrorist Pannun: ভারতে আসছেন এফবিআই কর্তা, পান্নুন সম্পর্কে মুখ খুলবে এনআইএ

    Khalistani Terrorist Pannun: ভারতে আসছেন এফবিআই কর্তা, পান্নুন সম্পর্কে মুখ খুলবে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানপন্থী জঙ্গি গুরুপন্ত সিং পান্নুন (Khalistani Terrorist Pannun) সম্পর্কে এবার এফবিআইয়ের ডিরেক্টরের কাছে মুখ খুলবে ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা সংক্ষেপে, এনআইএ (NIA)। আগামী সপ্তাহে ভারতে আসতে পারেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের ডিরেক্টর খ্রিস্টোফার রে। তাঁর সামনেই পান্নুনের মুখোশ খুলবেন এনআইএর কর্তারা। ইতিমধ্যেই এনআইএর তরফে এ ব্যাপারে শুরু হয়ে গিয়েছে যাবতীয় প্রস্তুতি।

    পান্নুনকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ

    এফবিআইয়ের ডিরেক্টর যে ভারত সফরে আসছেন, বুধবার তা জানিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেট্টি। সূত্রের খবর, আসন্ন ভারত সফরে খ্রিস্টোফার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের পাশাপাশি এনআইএর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে চলেছেন। সম্প্রতি এফবিআইয়ের তরফে আমেরিকার মাটিতে পান্নুনকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে এক ভারতীয় ও ভারতীয় এক গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে। আমেরিকার এহেন অভিযোগের আবহেই ভারত সফরে আসছেন এফবিআইয়ের ডিরেক্টর।

    কী বললেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত

    এদিন (Khalistani Terrorist Pannun) নয়াদিল্লিতে আয়োজিত ‘গ্লোবাল টেকনোলজি সামিটে’ অংশ নিয়েছিলেন ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত গারসেট্টি। তিনি বলেন, “ভারত হল এক নম্বর দেশ যেখানে তিনি (মার্কিন অর্থ সচিব জেনেট ইয়েলেন) পা রেখেছেন আমেরিকা ছাড়া। চলতি বছরই তিনি চারবার এসেছেন। স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এদেশে এসেছেন তিনবার। প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন এখানে এসেছেন দুবার।” এর পরেই তিনি বলেন, “এফবিআই ডিরেক্টর আসছেন আগামী সপ্তাহে।” জানা গিয়েছে, ল’ এনফোর্সমেন্ট ইস্যুতে ভারত ও আমেরিকার সহযোগিতার সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতেই ভারতে আসছেন এফবিআই কর্তা। প্রসঙ্গত, এফবিআইয়ের ডিরেক্টর আসার ঠিক আগের দিনই ভারতে আসছেন মার্কিন প্রিন্সিপাল ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার জোনাথান ফিনার। ভারতের ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসার বিক্রম মিস্ত্রির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে কে? গুরুবারে ফের বৈঠকে বিজেপি নেতৃত্ব

    প্রসঙ্গত, গত মাসেই গুজরাটের আমেদাবাদের স্টেডিয়ামে খেলা ছিল বিশ্বকাপ ক্রিকেট ফাইনালের। ময়দানে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-অস্ট্রেলিয়া। তার আগে বার দুয়েক দিল্লি বিমানবন্দর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল খালিস্তানপন্থী জঙ্গি পান্নুন। চলতি মাসেও একবার হুমকি দিয়েছিল এই জঙ্গি। ভারত থেকে পালিয়ে গিয়ে আমেরিকায় রয়েছে পান্নুন। সম্প্রতি নিখিল গুপ্ত নামে এক ভারতীয় নাগরিক পান্নুনকে খুনের ষড়যন্ত্র করেছে বলে অভিযোগ তোলে (Khalistani Terrorist Pannun) আমেরিকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA Terror Probe: ভূস্বর্গকে ফের আশান্ত করতে তৎপর পাকিস্তান! এনআইএ-র হাতে চাঞ্চল্যকর প্রমাণ

    NIA Terror Probe: ভূস্বর্গকে ফের আশান্ত করতে তৎপর পাকিস্তান! এনআইএ-র হাতে চাঞ্চল্যকর প্রমাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূস্বর্গে কি ফের ফিরছে নাশকতার কালো মেঘ (Terrorism in Jammu Kashmir)? প্রশ্নটা উঠছে কারণ সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি সে-জঙ্গি এনকউান্টারের ঘটনার সাক্ষী থেকেছে জম্মু কাশ্মীর উপত্যকা। বাহিনী সজাগ থাকায় (NIA Terror Probe) জঙ্গিদের নাশকতার ছক বানচাল হলেও, প্রাণ গিয়েছে একাধিক বীর সেনানীর। অনন্তনাগ হোক বা রাজৌরি— জঙ্গিরা যে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে এদেশে নাশকতার জাল বিছোতে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। ঠিক যেমন বেশ কিছুদিন চুপ করে থাকার পর ফের কাশ্মীর দিয়ে সীমান্তপার সন্ত্রাস চালাতে তৎপর হয়েছে পাকিস্তান।

    পাকিস্তান থেকে লাগাতার অনুপ্রবেশ

    জঙ্গি-নেতারা যে প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে কাশ্মীরে লাগাতার অনুপ্রবেশের চেষ্টা (Terrorism in Jammu Kashmir) করে চলেছে এবং সেখান থেকেই যে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে, এটা আগে তো জানা ছিলই। তবে, এই মর্মে নতুন তথ্যপ্রমাণও হাতে পেয়েছেন এদেশের গোয়েন্দারা (NIA Terror Probe)। চলতি বছরের জানুয়ারিতে রাজৌরির ধাংরি গ্রামে হামলা চালায় জঙ্গিরা। আইইডি বিস্ফোরণে ৭ সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল। এর পর এপ্রিল মাসে পুঞ্চে সেনা কনভয়ে জঙ্গি হামলায় পাঁচ জওয়ান মারা গিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা তথা অনুসন্ধানকারী সংস্থা এনআইএ জানিয়েছে, এই দুই ঘটনাতেই একই জঙ্গিরা জড়িত ছিল। 

    স্থানীয়দের মদত পেয়েছিল জঙ্গিরা!

    এনআইএ তদন্তে উঠে আসে, জঙ্গিরা স্থানীয়দের মদত পেয়েছিল। হামলার পর তারা আন্ডারগ্রাউন্ড হয়ে যায়। গত সেপ্টেম্বর মাসে নিসার আহমেদ ও মুস্তাক হোসেন নামে দুজনকে পাকড়াও করে এনআইএ। গোয়েন্দাদের অভিযোগ, পুঞ্চের বাসিন্দা এই দুজনই ধাংরি হামলাকারীদের আশ্রয় দেওয়া থেকে শুরু করে যাবতীয় সাহায্য করেছিল। ধৃতদের জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে এনআইএ-র হাতে (NIA Terror Probe)। জানা যায়, নিসারের সঙ্গে লস্কর হ্যান্ডলার আবু কতল ওরফে কতল সিন্ধির নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। নিসারকে আগও গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২ বছর জেলে কাটিয়ে ২০১৪ সালে সে ছাড়া পায়। 

    গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে জঙ্গিদের ইনফর্মার হিসেবে নাকি কাজ করত এই নিসার (Terrorism in Jammu Kashmir)। ধাংরিতে হামলার ঘটনায় তাকে ডেকেও পাঠিয়েছিল পুলিশ। এনআইএ-কে নিসার জানিয়েছে, দুই জঙ্গিকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিল আবু কতল। এর পর মুস্তাক হোসেনকে ৭৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল ওই ২ জঙ্গির জন্য গুহার মধ্যে একটি গোপন আস্তানা তৈরি করে দিতে। ওই জঙ্গিদের বাড়িতে তৈরি খাবার দিয়ে আসত নিসার। 

    নির্দেশ দিয়েছিল পাক হ্যান্ডলাররা

    এনআইএ জানিয়েছে (NIA Terror Probe), জেরায় নিসার দাবি করেছে, এপ্রিলে সেনার ওপর হামলার ২ দিন আগে ওই জঙ্গিরা ২২টি রুটি চেয়ে পাঠায়। সেই মতো, সে রুটি পৌঁছে দেয়। এর পর জঙ্গিরা তাকে না জানিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। এনআইএ জানিয়েছে, এর পরই পুঞ্চের ভিম্বর গলি-সুরানকোট সড়কের ওপর ভাট্টা দুরিয়াঁর কাছে ঘটা হামলার খবর আসে (Terrorism in Jammu Kashmir)। গোয়েন্দাদের মতে, পাকিস্তান থেকে আসা লস্কর-ই-তৈবা হ্যান্ডলারদের নির্দেশ অনুযায়ী এই হামলাগুলো চালিয়েছিল জঙ্গিরা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সইফুল্লাহ ওরফে সাজিদ জট্ট, আবু কতল এবং মহম্মদ কাসিম নামে তিন লস্কর হ্যান্ডলার পাকিস্তান বসে জঙ্গিদের নির্দেশ দিয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • NIA Raid: রোহিঙ্গা পাচার কাণ্ডে ১০ রাজ্যে এনআইএ অভিযান! গ্রেফতার ৪৪, বাংলা থেকে ধৃত ৩

    NIA Raid: রোহিঙ্গা পাচার কাণ্ডে ১০ রাজ্যে এনআইএ অভিযান! গ্রেফতার ৪৪, বাংলা থেকে ধৃত ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা দেশে সক্রিয় মানব পাচার চক্র (Human Trafficking)। বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী বেশ কয়েকজনকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। বুধবারই মানব পাচার চক্রের হদিস পেতে দেশজুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে এনআইএ (NIA)। ১০ রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে মোট ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলা থেকে ধরা হয়েছে ৩ জনকে।

    ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গে অভিযান

    বাংলাদেশ থেকে বিগত কয়েক বছরে বহু রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে ভারতে। তাদের মধ্যে অনেকেই উত্তরপূর্ব হয়ে ভারতে প্রবেশ করে। আবার বাংলা দিয়েও কয়েকজন ঢোকে। এরপর তারা গা ঢাকা দিতে চলে যায় ভারতের অন্যান্য বিভিন্ন রাজ্যে। এদেরকেই পাচার করে দেওয়া হয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এই আবহে বুধবার দেশের ১০টি রাজ্যে একযোগে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল এনআইএ। এর মধ্যে ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গেও অভিযান চলে। দেশ জুড়ে মোট ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয় গতকাল। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২১ জনকে ধরা হয়েছে ত্রিপুরা থেকে। 

    কী বলল এনআইএ

    এনআইএ-র তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “১০ রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলজুড়ে চলা মানব পাচার চক্রের বিরুদ্ধে বড় সাফল্য। বিএসএফ ও রাজ্য পুলিশের সহযোগিতায় এনআইএ বুধবার সকালে দেশজুড়ে নানা জায়গায় অভিযান চালায়। এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে অনুপ্রবেশ ও বেআইনি মানব পাচার রোখা।” বুধবারের এনআইএ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৩ জন, ত্রিপুরা থেকে ২১ জন, কর্নাটক থেকে ১০ জন, অসম থেকে ৫ জন, তামিলনাড়ু থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া তেলঙ্গানা, পুদুচেরি ও হরিয়ানা থেকেও ১ জন করে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে নকল আধার কার্ড ও প্যান কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। নগদ ২০ লক্ষ টাকা ও ৪৫৫০ মার্কিন ডলারও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: সীমান্তে পাক গুলি, নিহত বিএসএফ জওয়ান, সোপিয়ানে বাহিনীর হাতে নিকেশ জঙ্গি

    অসম পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে ত্রিপুরা থেকে আগত একটি ট্রেনে একদল রোহিঙ্গাকে দেখতে পেয়েই আটক করে করিমগঞ্জ পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই মানব পাচার চক্রের খোঁজ মেলে। এখনও অবধি ৪৫০ জন রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে এবং তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সহায়তায়। অনুপ্রবেশকারীদের পাচারের সঙ্গে যুক্তদের চিহ্নিত করতে বাংলাদেশের কাছ থেকেও সাহায্য় চাওয়া হয়েছে, বলে খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: মানব পাচারের অভিযোগে এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার বারাসতের ব্যবসায়ী

    North 24 Parganas: মানব পাচারের অভিযোগে এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার বারাসতের ব্যবসায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানব পাচারের অভিযোগে বারাসতে (North 24 Parganas) এনআইএ-র হানা। ঘটনায় গ্রফতার করা হয়েছে ১ জন এবং অপর আরও ২ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। বাংলা ছাড়াও এদিন ত্রিপুরা, অসম, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, রাজস্থান সহ ১০ রাজ্যে তল্লাশি চালিয়েছে এনআইএ। এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে জেলা জুড়ে।

    মানব পাচার তদন্তে এনআইএ (North 24 Parganas)

    মানব পাচারের অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বারাসতেও এদিন অভিযান চালানো হয়। পর্যটন ব্যবসার আড়ালে চলত মানব পাচার। আর এই অভিযোগে বারাসতে ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটে মধ্যরাতে হানা দেয় এনআইএ। ভারত থেকে বাংলাদেশে এই মানব পাচারের করা হতো বলে অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। তবে এনআইএ-র অফিসাররা তদন্তের স্বার্থে এখনও পর্যন্ত কিছু বলতে চাননি।

    অভিযুক্ত ব্যবসায়ী কে?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসতে ট্যুর ট্রাভেলসের ব্যবসা করেন সঞ্জীব দেব। তাঁর বাড়ি বারাসতের (North 24 Parganas) নবপল্লির ১১ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন রমেশ পল্লি ছায়ানট অ্যাপার্টমেন্টে। তাঁর সাজানো গোছানো বিশাল বাড়ি। মধ্যরাতে সেই বাড়ির সামনেই আসে গাড়ি। সেই গাড়ি থেকে নামেন কয়েকজন আধিকারিক। এলাকাবাসীরা জানান, অফিসাররা বাড়ির দরজায় বেল টেপেন। এরপর সঞ্জীবকে একটা কাগজ দেখান এনআইএ-র অফিসাররা। তারপর অফিসাররা বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়েন। তখনও পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দারা কিছু বুঝে উঠতে পারেননি ঠিক কী হচ্ছে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে। পরে জানতে পারেন ওই ব্যবসায়ী নাকি পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি একই দিনে বারাসতের নবপল্লিতে আরও এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় এনআইএ-র আধিকারিকরা।

    এনআইএ সূত্রে কী জানা গেলো?

    এনআইএ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে মানব পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সঞ্জীব দেব। তাঁর স্ত্রী জানিয়েছেন, বাড়ির (North 24 Parganas) বিভিন্ন জায়গা তল্লাশি চালিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। বাড়ি থেকে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাড়ি থেকে সামান্য কিছুটা দূরেই তাঁদের অফিস। আধিকারিকরা ওই ব্যবসায়ীকে সঙ্গে করে নিয়ে তাঁর অফিসেও তল্লাশি চালান। অপর দিকে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে পাচার এবং নাশকতা রুখতে বিশেষ পদক্ষেপ করেছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পাচার রুখতে কড়া পদক্ষেপ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kerala Blasts: কেরল বিস্ফোরণে মৃত আরও এক, তদন্ত শুরু এনআইএ, এনএসজি-র

    Kerala Blasts: কেরল বিস্ফোরণে মৃত আরও এক, তদন্ত শুরু এনআইএ, এনএসজি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলের এর্নাকুলাম জেলার কালামাসেরি এলাকায় প্রার্থনা সভায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণের (Kerala Blasts) ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের। সোমবার ভোরে মৃত্যু হয়েছে বছর বারোর লিবিনার। এ নিয়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওই প্রার্থনা সভায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩। জখম হয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি। তদন্তকারীদের পাশাপাশি কেরল পুলিশেরও দাবি, ওই প্রার্থনা সভায় আইইডি ব্যবহার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা সংক্ষেপে এনআইএ।

    একাধিক সংস্থার তদন্ত

    ঘটনার নেপথ্যে হামাসের উসকানি রয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। তিনদিনের এই প্রার্থনা সভা শুরু হয়েছিল শুক্রবার। সেদিনই মুসলিম জঙ্গি সংগঠন হামাসের প্রাক্তন নেতা ভার্চুয়ালি প্যালেস্তাইনের পক্ষে ভাষণ দিয়েছিল। বিস্ফোরণ ঘটে রবিবার। সেদিনই ছিল প্রার্থনাসভার শেষ দিন। বিস্ফোরণের নেপথ্যে কার হাত রয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে একাধিক সংস্থা। এনআইএ-র পাশাপাশি তদন্ত করছে এনএসজিও। এই সংস্থা ব্ল্যাক ক্যাট নামেই পরিচিত। কেরল সরকারের নির্দেশে ২০ সদস্যের একটি দলও তদন্ত করছে।

    নাড্ডার নিশানায় কেরল সরকার

    ঘটনায় (Kerala Blasts) কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে একহাত নিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি বলেন, “আমূল রাজনৈতিক পরিবর্তনের পক্ষপাতী হওয়ায় কেরলে এমন বিস্ফোরণ ঘটছে।” সোমবার কালামাসারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। তিনি বলেন, “মৌলবাদ ও মৌলবাদীদের সঙ্গে বারংবার আপোস করছে কেরল সরকার। তার জেরে এমন ঘটনা ঘটছে।”

    আরও পড়ুুন: কেরল বিস্ফোরণের নেপথ্যে হামাসের উসকানি! তদন্ত দাবি বিজেপির

    কেরলের ঘটনার দায় স্বীকার করে রবিবারই স্থানীয় থানায় আত্মসমর্পণ করেছে এক ব্যক্তি। ডমিনিক মার্টিন নামের ওই ব্যক্তির দাবি, সে জিহোবা সাক্ষী (এই গোষ্ঠীই প্রার্থনা করছিল) নামে খ্রিস্টানদেরই একটি গোষ্ঠীর সদস্য। তবে তার বক্তব্য কতটা সত্য, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    এদিকে, ঘটনার (Kerala Blasts) জেরে দিল্লি এবং বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। দেশজুড়ে জারি হয়েছে সতর্কতা। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের আশঙ্কায় জনবহুল এলাকাগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। বাজার সহ বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে মুম্বইও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA Alert: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা, মোদি স্টেডিয়াম ওড়ানোর হুমকি-ইমেল এনআইএ-কে! দেশজুড়ে সতর্কতা বৃদ্ধি

    NIA Alert: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা, মোদি স্টেডিয়াম ওড়ানোর হুমকি-ইমেল এনআইএ-কে! দেশজুড়ে সতর্কতা বৃদ্ধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রাণনাশের হুমকি-চিঠি পাঠানো হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র কাছে। এর পরই দেশজুড়ে সতর্কতা বৃদ্ধি (NIA Alert) করেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।

    কী বলা হয়েছে হুমকি-ইমেলে?

    ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছুদিন আগে এনআইএ-র কাছে একটি হুমকি-ইমেল পাঠানো হয়। চিঠিতে অবিলম্বে জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই-এর মুক্তির দাবি করা হয়েছে। একইসঙ্গে ৫০০ কোটি টাকা দিতে হবে বলেও দাবি করা হয়েছে। চিঠি অনুযায়ী, এটা না করলে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা (Threat to PM Modi) করা হবে হুমকি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দেশ তথা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম— আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে ওই ইমেলে (NIA Alert)। 

    হুমকি-চিঠির জেরে সতর্কতা বৃদ্ধি

    হুমকি-চিঠি পাঠানো হয় এনআইএ-র মুম্বই দফতরে। এর পরই সঙ্গে সঙ্গে এনআইএ-র তরফে যোগাযোগ করা হয় মুম্বই পুলিশের সঙ্গে। চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে পুলিশকে অবগত করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা যেহেতু জড়িত এবং চিঠিতে যেহেতু তাঁর প্রাণনাশের হুমকি (Threat to PM Modi) দেওয়া হয়েছে, তাই কালক্ষেপ না করে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষার সঙ্গে জড়িত সকল গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ করে এনআইএ (NIA Alert)। তাদের পুরো বিষয়টার ‘ব্রিফ’ দেওয়া হয়। পাশাপাশি গুজরাট পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে বলে এআইএ সূত্রকে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

    ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলোর নিরাপত্তায় জোর

    একইসঙ্গে, ক্রিকেট স্টেডিয়াম উড়িয়ে দেওয়ার হমকিকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দেশে এই মুহূর্তে চলছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। আর বলা বাহুল্য, নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়াম হল সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। ফলে, যে কোনও ধরনের নাশকতামূলক হামলার চেষ্টা ও তার সম্ভাবনার বিষয়টিকে চূড়ান্ত গুরুত্ব দিয়ে বিচার করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এই হুমকি-চিঠি প্রাপ্তির পরই, দেশজুড়ে সতর্কতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। শুধু নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম নয়, মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে সহ বিশ্বকাপের সবকটি স্টেডিয়ামের সুরক্ষা-বলয় আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। নিরাপত্তাকে আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে (NIA Alert)। 

    চিঠির উৎস কোথায়? খোঁজ করছেন গোয়েন্দারা

    ২০১৪ সাল থেকে জেলে বন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। তবে, অভিযোগ, জেলের ভিতর থেকেই সে তার নেটওয়ার্ক সক্রিয় রেখেছে। তার বিরুদ্ধে পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে হত্যার মামলা চলছে। মুসওয়ালার উপর হামলার দায় স্বীকার করেছিল বিষ্ণোই। তার আগে, বলিউড তারকা সলমন খানকেও হত্যার হুমকি দিয়েছিল এই গ্যাংস্টার। প্রতিবেদন অনুযায়ী, হুমকি চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, হিন্দুস্তানে সব কিছু পাওয়া যায়, এবং তারা সেই সব জিনিস কিনেও ফেলেছে। তাদের দাবি, যতই সুরক্ষা বাড়ানো হোক, কেউ নিস্তার পাবে না। হুমকি-চিঠির (Threat to PM Modi) উৎস খুঁজতে দেশের সবকটি নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থা একযোগে কাজ করছে (NIA Alert)। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISIS Terrorists: শুধু শবরীমালা নয়, অযোধ্যার রামমন্দির ওড়ানোর ছকও কষেছিল ধৃত আইএস জঙ্গিরা!

    ISIS Terrorists: শুধু শবরীমালা নয়, অযোধ্যার রামমন্দির ওড়ানোর ছকও কষেছিল ধৃত আইএস জঙ্গিরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে উদ্বোধন হওয়ার কথা অযোধ্যার রামমন্দিরের। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মন্দিরে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। বিস্ফোরণে এই মন্দিরই উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল ধৃত আইএসআইএস জঙ্গি (ISIS Terrorists) মহম্মদ শাহনওয়াজ সহ তিনজন। নাশকতার ছক কষা হয়েছিল পাকিস্তানে বসে।

    জঙ্গিদের টার্গেটে ছিল মন্দির, জনবহুল এলাকা 

    ধৃত জঙ্গিদের জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, কেরলের শবরীমালা মন্দিরের পাশাপাশি অযোধ্যার রামমন্দিরও ছিল তাদের টার্গেট। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানার কয়েকজন নেতাকে খুনের ছকও কষেছিল জঙ্গিরা। ধৃতদের (ISIS Terrorists) জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, শবরীমালা মন্দির, রামমন্দির ছাড়াও জঙ্গিদের নিশানায় ছিল দিল্লির অক্ষরধাম মন্দির, জনাকীর্ণ বাজার এবং জনবহুল রেলস্টেশন। এর পাশাপাশি জঙ্গিদের নিশানায় ছিল আরএসএস এবং বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতাও।

    রামমন্দিরে নাশকতার ছকের মাস্টারমাইন্ড

    এনআইএ-র এক আধিকারিক বলেন, “ধৃত জঙ্গির মধ্যে একজনের নাম মহম্মদ শাহনওয়াজ। সে এনআইএ-র মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল।” ধৃত এই তিন জঙ্গির তথ্য দিলে ৩ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছিল এনআইএ। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, অযোধ্যার রামমন্দিরে নাশকতার ছকের মাস্টারমাইন্ড হল জঙ্গি ফারহাতুল্লাহ গোরি। পাকিস্তানে বসে এই ছক কষেছে সে। এজন্য শাহনওয়াজ সহ তিনজনকে প্রশিক্ষণও দিয়েছিল। ভারত থেকে পাকিস্তানে পালিয়ে আসা জঙ্গি ফারহাতুল্লাহ নাশকতার জন্য অনলাইনে কাশ্মীরি যুবকদের একাংশকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে বলেও জেনেছেন তদন্তকারীরা।

    পুলিশ জানিয়েছে, শাহনওয়াজ পুণের আইএসআইএস মডিউলের সদস্য। দিন কয়েক আগে পুণের পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে গিয়েছিল সে। তার সঙ্গে ধৃত আরও দুই জঙ্গিও পুণে মডিউলের সদস্য। ধৃতদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে পাকিস্তানের কয়েকটি পুস্তিকা, আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ, বোমা তৈরির উপকরণ। জানা গিয়েছে, ধৃত তিন জঙ্গিই বি-টেক পাশ। বোমা তৈরিতেও প্রশিক্ষিত। শাহনওয়াজ দিল্লিতে একটি সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।

    আরও পড়ুুন: ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ মামলায় ফের ইডির তলব অভিষেককে, হাজিরার নির্দেশ রুজিরাকেও

    এনআইএ-র দাবি, দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে বড় হামলার ছক কষেছিল শাহনওয়াজরা। ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার চেয়েও বড় হামলার ছক কষেছিল এই জঙ্গিরা (ISIS Terrorists)। চলতি সপ্তাহেই নয়াদিল্লিতে হবে দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাগুলির বিশেষ সম্মেলন। বৃহস্পতি ও শুক্রবার দু’ দিন ধরে চলবে সম্মেলন। সম্মেলন উদ্বোধন করার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। এই সম্মেলনের আগে আগেই ধৃত তিন জঙ্গির নাশকতার ছক প্রকাশ্যে আসায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA in Canada Row: খালিস্তানি দমনে কড়া ব্যবস্থা এনআইএ-র! দেশজুড়ে ৫০ জায়গায় হানা

    NIA in Canada Row: খালিস্তানি দমনে কড়া ব্যবস্থা এনআইএ-র! দেশজুড়ে ৫০ জায়গায় হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে নিষিদ্ধ খালিস্তান গোষ্ঠীর নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ভারত এবং কানাডার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতকে অভিযুক্ত করে ট্রুডোর বক্তব্যের এক দিন পরেই এনআইএ (NIA in Canada Row) ৪৩ জন নিষিদ্ধ জঙ্গির ছবি-সহ নামের তালিকা প্রকাশ করে। বর্তমানে তাদের অনেকেরই ঠিকানা কানাডা। ভারতের অভিযোগ, এ দেশে নিষিদ্ধ জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়েছে ট্রুডো সরকার। দেশবিরোধী কার্যকলাপ রুখতে সক্রিয় এনআইএ। সেই আবহে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-তে নতুন সাতটি পদ তৈরি করা হল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ওই পদগুলি তৈরিতে অনুমোদন দিয়েছে।এনআইএ-তে নতুন একটি সহকারী ডিরেক্টর জেনারেল (এডিজি) পদ তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া, ছ’টি ইনস্পেক্টর জেনারেল পদও নতুন করে সৃষ্টি করা হয়েছে। ওই পদগুলিতে নিযুক্ত হয়েছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা।

    তল্লাশি অভিযান

    খালিস্তানপন্থী নেতাদের সন্ধানে ৬ রাজ্যে একযোগে তল্লাশি শুরু করেছে এনআইএ (NIA in Canada Row)। ৬ রাজ্যের ৫০টি লোকেশনে চলছে তল্লাশি অভিযান। এর আগে ১৯ জন পলাতক খালিস্তানপন্থী নেতার তালিকা প্রকাশ করেছে এনআইএ। শুধুমাত্র পাঞ্জাবের ৩০টি জায়গায় চলছে তল্লাশি। এছাড়া রাজস্থানের ১৩টি জায়গা, হরিয়ানার ৪টি জায়গা, উত্তরাখণ্ডের ২টি জায়গা, এবং দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশের ১টি করে জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। 

    আরও পড়ুুন: কানাডায় হিন্দু-শিখদের লাগাতার হুমকি খালিস্তানপন্থীদের, গদি বাঁচাতে চুপ ট্রুডো

    বিদেশেও তল্লাশি

    দেশের পাশাপাশি বিদেশেও তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এনআইএ (NIA in Canada Row) খালিস্তান-আইএসআই এবং গ্যাংস্টারদের নিয়ে অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছে। গ্রেফতার হওয়া সমস্ত গ্যাংস্টার এবং খালিস্তানি সন্ত্রাসীদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় একাধিক তথ্য পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। সেই তদন্তেই গ্যাংস্টার-খালিস্তানি জোট, সন্ত্রাস যোগ, অস্ত্র সরবরাহের পাশাপাশি বিদেশের মাটি থেকে দেশবিরোধী কার্যকলাপ চালানোর একাধিক তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান থেকে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে খালিস্তানপন্থী সন্ত্রাসীদের হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। টাকার উৎস সন্ধানে কানাডা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া সহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়া খালিস্তানিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে ইডি, এনআইএ। আমেরিকাবাসী খালিস্তানি জঙ্গি গুরপাতবন্ত সিং পান্নুনের ভারতে অবস্থিত দু’টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনআইএ। ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান হিন্দুদের ভারতে ফিরে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এই পান্নুন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khalistani Terrorist: জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ শুরু এনআইএ-র, বাজেয়াপ্ত পান্নুর জমিজমা

    Khalistani Terrorist: জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ শুরু এনআইএ-র, বাজেয়াপ্ত পান্নুর জমিজমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মসূত্রে তিনি ভারতীয়। পরে অবশ্য নাগরিকত্ব নিয়েছেন আমেরিকার। কানাডায় গিয়ে ইন্ধন জোগাচ্ছেন খালিস্তানি আন্দোলনে। এহেন খালিস্তানপন্থী জঙ্গি (Khalistani Terrorist) গুরুপাতয়ান্ত সিং পান্নুর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)।

    বাজেয়াপ্ত পান্নুর জমি

    বুধবার এনআইএ যে মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি ও বিচ্ছন্নতাবাদীর তালিকা প্রকাশ করেছিল, তার ওপরের দিকে নাম রয়েছে ‘শিখস ফর জাস্টিসে’র প্রধান পান্নুর। তাঁর নামে ২২টি অপরাধমূলক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে আবার তিনটি অভিযোগ রয়েছে দেশদ্রোহিতার। শনিবার পান্নুর চণ্ডীগড়ের বাড়িতে হানা দেয় এনআইএ। পঞ্জাবের অমৃতসরে তাঁর নামে থাকা জমিও বাজেয়াপ্ত করা হয়। এনআইএ জানিয়েছে, অমৃতসরের খানকটে ৪৬টি জমি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। চণ্ডীগড়ে তাঁর নামে থাকা জমিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    পান্নুর হুমকি 

    জুন মাসে কানাডায় খুন হন খালিস্তানপন্থী মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি (Khalistani Terrorist) হরদীপ সিং নিজ্জর। সেই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে কানাডা। দিন কয়েক আগে সংসদে দাঁড়িয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সরাসরি ভারতকেই নিশানা করেন। তার জেরে অক্সিজেন পেয়ে যায় কানাডায় ঘাঁটি গেড়ে থাকা খালিস্তানপন্থীরা। কানাডায় বসবাসকারী হিন্দুদের হুমকি দেয় পান্নু। ভিডিও-বার্তায় বলে, “ইন্দো-কানাডিয়ানরা দেশে ফিরে যাও। তোমাদের গন্তব্য ভারত, কানাডা নয়। খালিস্তানপন্থীরা বরাবারই কানাডার প্রতি বিশ্বাসভাজন থেকেছে। তারা সর্বদা কানাডার পক্ষ নিয়েছে। তারা আইন-শৃঙ্খলা ও সংবিধান মেনে চলেছে।” এর পাশাপাশি পান্নু ২৯ অক্টোবর কানাডিয়ান শিখদের ভ্যাঙ্কুভারে জড়ো হওয়ার আবেদন জানিয়েছে। সেখানে ইন্ডিয়ান হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মা নিজ্জর খুনে জড়িত কিনা তা নিয়ে ভোটাভুটি হবে।

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানে গিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেয় নিজ্জর, ছক ভারতে হামলারও, চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের

    এনআইএ জানিয়েছে, পান্নুর সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ তরুণদের মগজধোলাই করছে। তাদের দিয়ে জঙ্গি (Khalistani Terrorist) কার্যকলাপ করাচ্ছে। পান্নুই ‘শিখস ফর জাস্টিসে’র মূল চালিকাশক্তি। সংগঠনকে নিয়ন্ত্রণ করে সে-ই। ২০১৯ সালের ১০ জুলাই ভারত সরকার পান্নুর সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ২০২০ সালের জুলাই মাসে পান্নুকে জঙ্গি ঘোষণা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ২০২১ সালে তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় ওয়ারেন্ট জারি করে এনআইএ কোর্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share