Tag: NIA

NIA

  • Ram Navami: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের! রামনবমীতে হিংসার ঘটনায় বহাল এনআইএ তদন্ত!

    Ram Navami: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের! রামনবমীতে হিংসার ঘটনায় বহাল এনআইএ তদন্ত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার রামনবমীর (Ram Navami) হিংসায় এনআইএ তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়ে রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, মার্চ মাসের শেষে রাজ্যজুড়ে রামনবমীর মিছিলের উপর হামলার ঘটনায় এনআইএ (NIA) তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ডালখোলা, রিষড়া এবং হাওড়ার শিবপুরে রামনবমী মিছিলের উপর হামলার ঘটনায় এনআইএ তদন্তে দাবি মেনে নেয় হাইকোর্ট এবং সেই মতো নির্দেশ দেয়।

    হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয় রাজ্য

    হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। কিন্তু এনআইএ (NIA) তদন্তের উপর স্থগিতাদেশের বিষয়ে রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। জানা গেছে এই (Ram Navami) মামলার পরবর্তী শুনানি হবে জুন মাসে গ্রীষ্মের ছুটির পরে। গত মাসের ২৭ এপ্রিল এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলাকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয় যে মিছিলে হামলা চালাতে দুর্বৃত্তরা বিস্ফোরক ব্যবহার করেছিল। এই পর্যবেক্ষণের পরে হাইকোর্ট এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয়। রাজ্যের আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি এই জনস্বার্থ মামলায় তদন্তের ভার এনআইকে দেওয়া যায় না বলে সরব হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টে।

    কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন পর্যবেক্ষণ…

    হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ ছিল, কারা এই (Ram Navami) অশান্তির ঘটনায় জড়িত, কারাই বা উসকানি দিয়েছে, তা জানা রাজ্য পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের প্রয়োজন। হাইকোর্টের এও পর্যবেক্ষণ ছিল, পুলিশের রিপোর্টে স্পষ্ট যে অশান্তি হয়েছে। পুলিশের রিপোর্টে কোথাও কোনও বোমার উল্লেখ নেই, মন্তব্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির। ইসলামপুরের গন্ডগোলে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। পুলিশ সুপার সহ অনেক পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন। মামলা দায়ের হয়েছে, গ্রেফতারও হয়েছে বলে রাজ্য জানিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত বিচারপতির প্রশ্ন ছিল, এই ধরনের গন্ডগোল নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যেক বছর ৬,৭, ৮টা করে ঘটনা ঘটছে। এটা কীভাবে আটকানো সম্ভব?

    জানা গেছে শিবপুর, রিষড়া এবং ডালখোলার অশান্তির ঘটনায় মোট ছ’টি এফআইআর দায়ের করেছে এনআইএ। এবং এই মামলাগুলিতে রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতেও চেয়েছে এনআইএ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Egra: এগরাকাণ্ডে এনআইএ-কে রিপোর্ট পাঠাবে সিআইডি, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Egra: এগরাকাণ্ডে এনআইএ-কে রিপোর্ট পাঠাবে সিআইডি, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরা (Egra) বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত করছে সিআইডি (CID)। তবে তদন্তের রিপোর্ট পাঠাতে হবে এনআইএকে (NIA)। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সিআইডির প্রাপ্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাই ঠিক করবে, তারা তদন্ত করবে কি না। এই মামলায় এনআইএকে পার্টি করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

    এগরা (Egra) বিস্ফোরণে গ্রেফতার ভানু

    মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রামের এক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ (Egra) ঘটে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ৯ জনের দেহ। জখমও হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন বাজি শ্রমিক। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, বাজি কারখানার আড়ালে তৃণমূল নেতা ভানু বাগের বাড়িতে তৈরি হত বোমাও। বিস্ফোরণে জখম হয়েছিলেন ভানু নিজেও। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বাইকে চেপে ওড়িশায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। ওড়িশার কটক হাসপাতালে চলছিল চিকিৎসা। তাঁর শরীরের ৭০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিছুটা সুস্থ হলেই ভানুকে কলকাতায় নিয়ে আসা হবে। রাজ্য সরকারের নির্দেশে ওই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি।

    এনআইএ-র দাবি শুভেন্দুর

    যদিও এনআইএ তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সিআইডি তদন্ত জারি রাখতে বলে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে আদালতের নির্দেশ, এনআইএ (Egra) আইনের ৬ নম্বর ধারার বিধানগুলি মেনে চলবে হবে। ওই বিধানে বলা হয়েছে, একটি নির্ধারিত অপরাধের ক্ষেত্রে তদন্তের যাবতীয় কাগজপত্র এনআইএকে পাঠাতে হবে। সেই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে এনআইএ সিদ্ধান্ত নেবে তারা তদন্ত করবে কি না।

    আরও পড়ুুন: “গুরু পাপে, লঘু দণ্ড”! এগরায় গিয়ে রাজ্য সরকার ও পুলিশের বিপক্ষে বিস্ফোরক দিলীপ

    এদিন শুনানির সময় খাদিকুলের ওই বাজি কারখানার বিস্ফোরণে ছবি দেখে শিউরে ওঠেন প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম। তিনি বলেন, “হে ভগবান, কী হয়েছে? দেহগুলি ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে”। ঘটনার পরে রাজ্য সরকার যে এফআইআর করেছে, তাতে বিস্ফোরক দ্রব্য সংক্রান্ত কোনও ধারা দেওয়া হয়নি। যদিও আদালত সেই ধারা যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। খাদিকুলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশও দিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, ঘটনার(Egra) পর বিরোধীরা এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। সে প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এনআইএ তদন্ত করলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kashmir: জঙ্গি নিশানায় কাশ্মীরের জি-২০ সম্মেলন! উপত্যকায় অভিযান এনআইএ-র

    Kashmir: জঙ্গি নিশানায় কাশ্মীরের জি-২০ সম্মেলন! উপত্যকায় অভিযান এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের নিশানায় কাশ্মীরে জি-২০ সম্মেলন! তার জন্যই চলছে জঙ্গিদের অর্থ সংগ্রহ ও অস্ত্র মজুতের কাজ। জঙ্গিদের নাশকতার ছক বানচাল করতে তৎপর নিরাপত্তা বাহিনী থেকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সোমবার দক্ষিণ কাশ্মীরে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে অর্থায়নের মামলায় পুলওয়ামা ও সোপিয়ানের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। 

    জি-২০র পর্যটন সংক্রান্ত বৈঠক

    প্রসঙ্গত, মে মাসের ২২ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত শ্রীনগরের মাটিতে জি-২০র পর্যটন সংক্রান্ত বৈঠক হবে। দেশের নানা প্রান্তেই জি-২০ সম্মেলনের একাধিক বৈঠক হয়েছে। কিন্তু শ্রীনগরের মতো স্পর্শকাতর কেন্দ্রে এই প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন হবে। শ্রীনগর ছাড়া লেহ ও লাদাখেও এই সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। পাকিস্তান সব সময় এর বিরোধিতা করছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই দক্ষিণ কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তানের মদতে কয়েকটি গোষ্ঠী ছদ্মনাম নিয়ে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে উসকানি দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সম্প্রতি একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, “পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিরা ড্রোন ব্যবহার করে অস্ত্র, বোমা, মাদক ইত্যাদি সরবরাহ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কাশ্মীর উপত্যকায় তাদের কর্মী এবং ক্যাডারদের কাছে সাহায্য পৌঁছে দিতে চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। কিন্তু তা কখনওই সফল হবে না।”

    আরও পড়ুন: কাশ্মীর ঘুরতে যাচ্ছেন? জানুন উপত্যকার ৭ মোহময়ী স্থান সম্পর্কে

    জোরদার নিরাপত্তা 

    জি-২০ সম্মেলনকে নজরে রেখে উপত্যকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গত ১১ মে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে কানসিপোরাতে আব্দুল খালিক রেগুর বাসবভবনে তল্লাশি চালানো হয়। এর পাশাপাশি বারামুল্লা জেলার সাংরি কলোনিতে সোয়েব আহমেদ চুরের বাড়িতে এবং সৈয়দ করিমে জাভেদ আহমেদ ধোবির বাড়িতে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর আগে আদালতের নির্দেশে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের আওতায় কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় তিন অভিযুক্তের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তও করেছিল এনআইএ। এবার নতুন করে অভিযান শুরু করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: দাড়িভিটে এনআইএ তদন্তে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে, ফের বেসুরো আব্দুল করিম চৌধুরী

    NIA: দাড়িভিটে এনআইএ তদন্তে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে, ফের বেসুরো আব্দুল করিম চৌধুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। মান, অভিমান ভুলে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেও ছিলেন করিমসাহেব। কিন্তু, মনের মধ্যে দলের একাংশের প্রতি তাঁর রাগ যে কোনও অংশে কমেনি তা আবারও প্রমাণিত হল তাঁর ফের বেসুরো মন্তব্যে। এনআইএ (NIA) তদন্তের তিনি প্রশংসা করেছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক?

    উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে নবজোয়ার কর্মসূচি পালিত হলেও করিমসাহেবকে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এমনকী অভিষেকের বাড়িতে তাঁর আসার কথা থাকলেও তিনি যাননি। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সামনে বারে বারে এভাবে অপমান আর তিনি মেনে নিতে না পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন। দলের বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান তিনি স্পষ্ট করেছিলেন। এমনকী অভিষেকের ডাকা বৈঠকে তিনি যোগ দেননি। পরে, অভিষেকের নির্দেশে দলের জেলা সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের পর দুদিন চুপচাপ থেকে ফের বেসুরো করিমসাহেব। তিনি দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে বলেন, নেতাদের উপস্থিত বুদ্ধির অভাবে দাড়িভিট হাইস্কুলের প্রাক্তন দুই ছাত্রের অকাল মৃত্যু হয়েছে। এন আই এ (NIA) তদন্ত হলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে। প্রবীণ তৃণমূল বিধায়কের মুখে এই ধরনের মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইসলামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ১১ বারের বিধায়ক তিনি। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে কানাইয়ালাল আগরওয়াল কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল দল। লোকসভা প্রার্থী হওয়ায় কানাইয়ালাল আগরওয়াল বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। এই সামান্য কয়েকটা বছর তিনি ইসলামপুরের বিধায়ক ছিলেন না। সেই সময়েই দাড়িভিট হাইস্কুলে আন্দোলনরত দুই ছাত্রের গুলিবিদ্ধ হয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমি বিধায়ক থাকলে হয়তো এমন ঘটনা ঘটত না। সরকার সি আই ডি তদন্ত দিল, মৃতের পরিবার সেই তদন্তে রাজি হননি। হাইকোর্ট এন আই এ (NIA) র হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছে। তারাই প্রকৃত ঘটনা সামনে আনবে বলে তিনি দাবি করেন।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    রাজ্যের মন্ত্রী তথা গোয়ালপোখরের বিধায়ক গোলাম রব্বানি বলেন, আমি তৎকালীন ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে নিয়ে গিয়ে এলাকার স্বজনহারা পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তাদের ক্ষতিপূরনসহ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই প্রস্তাব তারা মেনে নেয়নি। তবে হারা এম এল এ ওই এলাকায় যাননি বলে নাম না করে করিম চৌধুরীকে তিনি খোঁচা দেন। সি আই ডি এই মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। এন আই এ (NIA) তদন্ত নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: রামনবমীর মিছিলে অশান্তি, ৬টি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু এনআইএ-র

    Ram Navami: রামনবমীর মিছিলে অশান্তি, ৬টি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রা ঘিরে ব্যাপক অশান্তি হয়েছিল হাওড়া এবং হুগলিতে। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে ওই অশান্তির ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় এনআইএ-কে (NIA)। তার পরেই হাওড়ার পুলিশ কমিশনার, চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার ও এডিজি সিআইডিকে চিঠি দেয় এনআইএ। অশান্তির মামলার তদন্ত কীভাবে এগোবে, তা নিয়েও বৈঠক করেন এনআইএ-র কলকাতা শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিআইজি।

    রামনবমীর (Ram Navami) অশান্তিতে এফআইআর…

    হাওড়া ও হুগলির ওই অশান্তির ঘটনায় এফআইআর দায়ের করেছে এনআইএ। বৃহস্পতিবার তা আদালতে পেশ করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। হাইকোর্টের নির্দেশে হাওড়ার শিবপুরে একটি, হুগলির শ্রীরামপুরে দুটি, রিষড়ায় একটি এবং উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় রামনবমীর মিছিলে গোলমালের ঘটনার প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করেছে এনআইএ। প্রসঙ্গত, রামনবমীর (Ram Navami) মিছিলে অশান্তির জেরে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। এনআইএকে দিয়ে তদন্তের দাবিতে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন তিনি। ২৭ এপ্রিল তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয়।

    আরও পড়ুুন: ফের সভার অনুমতি দেওয়া হল না শুভেন্দুকে, আদালতে যাচ্ছে বিজেপি!

    দু সপ্তাহের মধ্যে মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি এনআইএকে হস্তান্তর করার নির্দেশও রাজ্যকে দেয় আদালত। আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, পুলিশের রিপোর্টে স্পষ্ট যে অশান্তি হয়েছে। কারা এই অশান্তির ঘটনায় জড়িত এবং কারা উসকানি দিয়েছে, তা জানা রাজ্য পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করা প্রয়োজন। তার পরেই এনআইএ তদন্তের নির্দেশ। সচরাচর তদন্ত শুরু করার আগে এনআইএ এফআইআরের একটি খসড়া তৈরি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠায়। তার ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সবুজ সংকেত মিললেই শুরু হয় তদন্ত। ইতিমধ্যেই সেই এফআইআরের খসড়া পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। 

    ৩০ মার্চ রামনবমীর (Ram Navami) মিছিলকে কেন্দ্র করে দু পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে হাওড়ার শিবপুর থানার জিটি রোড এলাকা। পুলিশের গাড়ি, বাস, টোটো, অটো, বাইকে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইটপাটকেল। সেদিনই অশান্তি হয় উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায়ও। রামনবমীর দু দিন পরে অশান্ত হয়ে ওঠে হুগলির রিষড়াও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amritsar: ৭ দিনে ৩ বার! অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরের কাছে ফের বিস্ফোরণ, গ্রেফতার ৫

    Amritsar: ৭ দিনে ৩ বার! অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরের কাছে ফের বিস্ফোরণ, গ্রেফতার ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঞ্জাবের (Punjab) স্বর্ণ মন্দিরের (Golden Temple) কাছে আবার বিস্ফোরণ (Blast)। বুধবার মধ্য রাতে অমৃতসরে (Amritsar) স্বর্ণ মন্দিরের কাছে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এই নিয়ে স্বর্ণ মন্দিরের কাছে গত এক সপ্তাহে তৃতীয়বার বিস্ফোরণ হল। ক্রুড বোমা (Crude Bomb) বিস্ফোরণ করানো হয়েছিল বলে অনুমান। ইতিমধ্যেই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, স্বর্ণ মন্দিরের কাছে অশান্তি সৃষ্টি করাই তাঁদের লক্ষ্য ছিল।

    হতাহতের খবর নেই

    পুলিশ সূত্রে খবর, রাত সওয়া ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে স্বর্ণমন্দির এলাকার শ্রী গুরু রামদাস নিবাসের কাছে বিস্ফোরণ ঘটে। হরমন্দির সাহিবের কাছে যে উদ্যান রয়েছে, তার সামনের গলিপথেই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই বলে পাঞ্জাব পুলিশ সূত্রে খবর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় স্থানীয় পুলিশ এবং দমকল। পুলিশ স্বর্ণ মন্দির সহ গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে। যে ঘরে বিস্ফোরণ হয়, সেখানে দুই ব্যক্তি ও এক মহিলা ছিলেন। তাদের ইতিমধ্যেই জেরা করা শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে বড় কোনও নাশকতার ছক ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এখনও অবধি কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি বলেই জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর মুকুটে নয়া পালক! বিশ্বে প্রথম হেরিটেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি

    তদন্তে পাঞ্জাব পুলিশ

    এই প্রথম বার নয়, সাত দিনের মধ্যে পর পর তিন বার স্বর্ণ মন্দির (Amritsar) এলাকায় বিস্ফোরণ হয়েছে। চলতি বছরের ৬ মে স্বর্ণ মন্দিরের কাছে হেরিটেজ সরণিতে প্রথম বিস্ফোরণ হয়। তার ঠিক দু’দিন পর একই এলাকায় আবার বিস্ফোরণের প্রবল শব্দ পাওয়া যায়। গত ৬ মে-র বিস্ফোরণের ঘটনায় ৬ জন আহত হন। বেশ কিছু বিল্ডিংয়ের কাঁচ ভেঙে যায় বিস্ফোরণের জেরে। এর ৩০ ঘণ্টা বাদেই ফের আরেকটি বিস্ফোরণ হয়। তবে এই বিস্ফোরণের মাত্রা কিছুটা কম ছিল। ওই বিস্ফোরণে ১জন আহত হন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যায় এনআইএ-র দলও। পুলিশের দাবি, বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থল থেকে কিছু লিফলেট পাওয়া গিয়েছে। বোমা ফাটার পর তার অবশিষ্টাংশও উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই বিস্ফোরণগুলির নেপথ্যে কার হাত রয়েছে, তা জানার জন্য তদন্ত চলছে। পাঞ্জাব পুলিশ ইতিমধ্যেই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পটাশপুরে শুভেন্দুর সভা বাতিল প্রশাসনের! রবিবার ফের জনসভার ডাক বিরোধী দলনেতার

    Suvendu Adhikari: পটাশপুরে শুভেন্দুর সভা বাতিল প্রশাসনের! রবিবার ফের জনসভার ডাক বিরোধী দলনেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার শেষ মুহূর্তে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভা বাতিল করে প্রশাসন। এবার আগামী রবিবার সেখানেই জনসভার ডাক দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তবে এই প্রথম নয় আগেও একাধিকবার শুভেন্দু-সুকান্তর সভা বাতিল করেছে প্রশাসন। প্রতিবারই হাইকোর্ট থেকে সভার অনুমতি আনতে হয়েছে এই দুই গেরুয়া শিবিরের নেতাকে।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    পটাশপুরে এদিনের সভার অনুমতি না থাকায়, মিছিল করে পথসভায় বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সেখানে তিনি বলেন, আমি ঠান্ডা করার লোক। নন্দীগ্রাম ঠান্ডা হয়েছে। মোমিনপুর ঠান্ডা হয়েছে। শিবপুর, রিষড়া, ডালখোলাও ঠান্ডা করছে এনআইএ। এ বার একই কায়দায় ময়নার বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার এলাকাও ঠান্ডা হবে বলে জানান বিরোধী দলনেতা। বনধ্-এর দিন দুই বিজেপি নেতা কৃষ্ণগোপাল এবং মোহনলালকে গ্রেফতার করে পুলিশ, তাদেরকে বের করার দায়িত্ব নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, পটাশপুর থানার সামনেই মালা পড়াব দুজনকে। তারপর ডুগডুগি বাজিয়ে মিছিল করব। মিছিল শেষে হবে জনসভা।

    কেন সভা পটাশপুরে?

    ১ মে রাতে ময়নায় খুন হন বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া। অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে বাড়ি থেকে পরিবারের সদস্যদের সামনেই তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করে। এই ঘটনার পরেই ১২ ঘণ্টা ময়না বনধ্-এর ডাক দেয় বিজেপি। পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা ঘোষণা করেন জেলাজুড়ে পথ অবরোধের। সেই দিন ওসির নেতৃত্বে পটাশপুরে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উপর সিভিক ভলান্টিয়াররা নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে, গুরুতরভাবে আহত হন জেলা বিজেপির সভাপতি মোহনলাল। বিরোধী দলনেতা তখন অভিযোগ তোলেন, হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও সিভিকরা কীভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করছেন। প্রসঙ্গত, উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সিভিকদের আইন-শৃঙ্খলা জনিত কাজে লাগানো যায়না। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার পটাশপুরে জনসভা করার কথা ছিল শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সভার অনুমোদন বাতিল করে স্থানীয় দুর্গাপুজো কমিটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: রামনবমী কাণ্ডে তদন্তভার এনআইএ-র হাতে যেতেই মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দু-সুকান্তর

    NIA: রামনবমী কাণ্ডে তদন্তভার এনআইএ-র হাতে যেতেই মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দু-সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যে রামনবমীর শোভাযাত্রায় একের পর এক হামলা ও পরবর্তী হিংসার ঘটনার তদন্তভার NIA-র হাতে যেতেই একযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করল বিজেপি। এদিন আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ট্যুইট করে রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হিংসার জন্য মমতাকে আক্রমণ করেন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাজ্যে রামনবমীর মিছিলে হামলায় NIA তদন্তের দাবিতে দায়ের মামলায় হার হয় রাজ্যের। আদালতের নির্দেশ ২ সপ্তাহের মধ্যে হাওড়া, রিষড়া, ডালখোলাসহ রামনবমীর মিছিলে সমস্ত হামলার ঘটনার তদন্তের নথি NIA-র হাতে তুলে দিতে হবে রাজ্যকে।

    কী লিখলেন শুভেন্দু অধিকারী?

    শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে রামনবমীর মিছিলে হামলা ও উপদ্রবের NIA তদন্তের নির্দেশ দিয়ে ভারতীয় সংবিধানের অভিভাবক জনমানসে ফের আস্থা ফিরিয়েছেন। তথ্য গোপন করতে ও NIA তদন্ত এড়াতে রাজ্য সরকারের চালাকি কলকাতা হাইকোর্ট আরও একবার ধরে ফেলেছে। আমি কলকাতা হাইকোর্টের এই ঐতিহাসিক নির্দেশকে স্বাগত জানাই। জয় শ্রী রাম।

    কী লিখলেন সুকান্ত মজুমদার?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার NIA তদন্তের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন। সুকান্ত হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে রামনবমীতে ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনাগুলির তদন্তের দায়িত্ব NIA-এর হাতে দেওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই৷ ওই হিংসার ঘটনাগুলি পূর্বপরিকল্পিত। তৃণমূল সরকার তাতে উস্কানি দিয়েছিল।’’ রামনবমীকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সুকান্ত।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: ভারতীয় দূতাবাসে খালিস্তানপন্থীদের হামলা, তদন্তে লন্ডনে যাচ্ছে এনআইএ

    NIA: ভারতীয় দূতাবাসে খালিস্তানপন্থীদের হামলা, তদন্তে লন্ডনে যাচ্ছে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লন্ডনে যাবে এনআইএ (NIA)। গত মাসে লন্ডনে (London) ভারতীয় দূতাবাসের সামনে তাণ্ডব চালিয়েছিল খালিস্তানপন্থীরা (Pro Khalistan)। সেই ঘটনার তদন্ত করতেই এবার ব্রিটেন যাচ্ছেন এনআইএর তদন্তকারী আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, লন্ডনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। তাঁদের সেই বিবৃতি করা হবে রেকর্ডও। ভারতীয় দূতাবাসের সামনে থাকা সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এনআইএ তদন্তের ব্যাপারে সবুজ সংকেত মিলেছে। তার পরেই রাজার দেশে যাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    তদন্তে এনআইএ (NIA)…

    সম্প্রতি খালিস্তানের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু তথা ওয়ারিশ পঞ্জাব দে-র নেতা অমৃতপাল সিংহ। বিস্তর খোঁজাখুঁজির পর প্রায় ৩৬ দিন পরে গ্রেফতার করা হয় বিচ্ছিন্নতাবাদী ওই নেতাকে। অমৃতপালের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান শুরু হতেই লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের বাইরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান খালিস্তানপন্থীরা। সেই সময় ভারতীয় দূতাবাসে ভাঙচুরও চালানো হয়। খালিস্তানের সমর্থনে স্লোগান দিতে দিতে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে টাঙানো জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলেন বিক্ষোভকারীরা। দ্রুত সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয় সেই ছবি। তার পরেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দেয় ভারত (NIA)। ঘটনার পরে পরেই ব্রিটেনের কাছে এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নয়াদিল্লি। নয়াদিল্লিতে ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালেক্স এলিসকে তলব করে বিদেশ মন্ত্রক।

    আরও পড়ুুন: কোচির রাস্তায় মোদি-ম্যাজিক! আজ কেরলে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    খালিস্তানপন্থীদের আচরণের তীব্র নিন্দা করেন অ্যালেক্স। ঘটনাটিকে মর্যাদাহানিকর ও সম্পূর্ণ অবাঞ্ছনীয় বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার। লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালানোর ঘটনায় ইউএপিএ আইনের ধারা সহ একাধিক ধারায় এফআইআর করা হয়েছে। তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। তার পরেই এনআইএকে তদন্তের নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই তদন্ত করতেই লন্ডনে যাচ্ছেন এনআইএর তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    লন্ডনের ওই ঘটনার পরে কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় ভারত। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে বেনজির হামলা, জাতীয় পতাকার অবমাননাকে লঘু করে দেখছে না ভারত। শুধুমাত্র পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়ে কাজ হবে না। অপরাধীদের খুঁজে বের করে কড়া শাস্তিও দিতে হবে। দূতাবাসের (NIA) নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে ব্রিটিশ প্রশাসনকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Poonch Terror Attack: ইফতারের ফল নিয়ে যাচ্ছিলেন নিহত জওয়ানরা! ইদ পালন হচ্ছে না কাশ্মীরের এই গ্রামে

    Poonch Terror Attack: ইফতারের ফল নিয়ে যাচ্ছিলেন নিহত জওয়ানরা! ইদ পালন হচ্ছে না কাশ্মীরের এই গ্রামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে খুশির ইদ। অথচ, কাশ্মীরের সাঙ্গিওতে গ্রামের বাসিন্দারা উৎসব পালনে না জানিয়ে দিয়েছেন। চারদিকে যেখানে উৎসবের রোশনাই, সেখানে এই গ্রাম ডুবে গিয়েছে শোকের অন্ধকারে। বৃহস্পতিবার, জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে (Poonch Terror Attack) ভারতীয় সেনার ট্রাকে হামলা চালিয়ে পাঁচ সেনা জওয়ানকে হত্যা করে জঙ্গিরা। হামলার খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শোকে মুহ্যমান গোটা গ্রামে বিষাদের সুর।

    ইফতারির ফল নিয়ে যাচ্ছিলেন জওয়ানরা

    না, জঙ্গিহানায় (Poonch Terror Attack) রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের যে ৫ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁরা কেউ এই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন না। কিন্তু, সেইদিন সেনার তরফে ইফতারি পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল গ্রামে। তাতেই যোগ দেওয়ার কথা ছিল ওই জওয়ানদের। তাঁরা ওই গ্রামের মানুষদের জন্যই ওই ট্রাকে করে ইফতারের ফল-মিষ্টি নিয়ে যাচ্ছিলেন। এই ৫ জওয়ানকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। রোজা শেষে যাতে ফল-মিষ্টি মুখে দিতে পারেন গ্রামের মানুষ, সেই জন্য ট্রাকবোঝাই করে বালাকোটের বাসুনির রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের হেডকোয়ার্টার থেকে জিনিস নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ, শহিদ ৫ জওয়ান, জখম ১

    কোথায় হয় হামলা?

    সেনা ট্রাক ভিমবার গলি দিয়ে যাওয়ার সময়েই আতর্কিতে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা (Poonch Terror Attack)। অনুমান, গুলি চালাতে চালাতেই আচমকা গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। ট্রাকের গায়ে গিয়ে লাগে গ্রেনেড। দাউদাউ করে আগুন ধরে যায়। ভেতরেই ঝলসে মৃত্যু হয় পাঁচ জওয়ানের। শহিদ জওয়ানদের নাম – হাভিলদার মনদীপ সিং, সিপাই হরকৃষণ সিং, ল্যান্সনায়েক কুলবন্ত সিং, সিপাই সেবক সিং, ল্যান্সনায়েক দেবাশিস। 

    আরও পড়ুন: হামলা চালিয়েছিল সাত জঙ্গি! পুঞ্চে সেনার ট্রাকে হামলার নেপথ্যে লস্কর-ই-তৈবা?

    কী বললেন গ্রাম প্রধান?

    ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন গ্রামের প্রধান মুখতিয়াজ খান সহ অনেকেই। হামলার (Poonch Terror Attack) খবরে অনুষ্ঠান বাতিল হয়। প্রধান মুখতিয়াজ বলেন, ‘‘যেখানে আমাদের পাঁচ জওয়ান শহিদ হয়েছেন সেখানে কি ইফতার আর কি ইদ। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গ্রামের মানুষরা এই হামলার খবর পেতেই গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।’’

     

LinkedIn
Share