Tag: NIA

NIA

  • Khalistan: লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে খালিস্তানপন্থীদের হামলার ঘটনার তদন্ত করবে এনআইএ

    Khalistan: লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে খালিস্তানপন্থীদের হামলার ঘটনার তদন্ত করবে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ১৯ মার্চ লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখান খালিস্তানপন্থী (Khalistan) বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। দূতাবাস থেকে খুলে ফেলা হয় ভারতীয় তিরঙ্গা পতাকা খুলে ফেলার। সেই ঘটনার তদন্তভার নিল এনআইএ (NIA)। ভারতের কাউন্টার টেররিজম এবং কাউন্টার রেডিকালাইজেশন ডিভিশনের তরফে এই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় এনআইএর হাতে। প্রথমে দিল্লি পুলিশের একটি বিশেষ সেল এই ঘটনার তদন্ত করছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এ ব্যাপারে সবুজ সংকেত মিলতেই তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় এনআইএর হাতে।

    খালিস্তানপন্থী (Khalistan) বিচ্ছিন্নতাবাদ…

    সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাথাচাড়া দিয়েছেন খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খালিস্তানের দাবিতে ভারতীয়দের ওপর হামলা চালাচ্ছেন তাঁরা। কখনও কোনও মন্দির ভাঙচুর করা হচ্ছে, কখনও আবার মন্দিরের গায়ে লিখে দেওয়া হচ্ছে ভারত বিরোধী স্লোগান। মন্দিরে আসা ভক্তদেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে কোনও কোনও জায়গায়। তবে সব চেয়ে বড় ঘটনাটি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা (Khalistan) ঘটান ১৯ মার্চ। ওই দিন লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাস থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা খুলে নেন ভারতের ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা।

    তার আগে দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভও দেখান খালিস্তানপন্থীরা। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠানো হয়। ভারতের তরফে প্রশ্ন তোলা হয় দূতাবাসের সামনের নিরাপত্তা নিয়ে। পাল্টা হিসেবে দিল্লিতে ব্রিটিশ দফতর থেকেও তুলে দেওয়া হয় ব্যারিকেড। এর পরেই দিল্লি পুলিশকে লিগ্যাল অ্যাকশন নিতে বলে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মামলা দায়ের করে শুরু হয় তদন্ত। ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনারকেও তলব করে কেন্দ্র। চাওয়া হয় ব্যাখ্যা।

    আরও পড়ুুন: ‘অহঙ্কারীকে ধ্বংস করার জন্য এক হাজার বার গুন্ডামি করব’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    ভারতে ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালেক্স এলিস ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। ঘটনাটি অসম্মানজনক ও একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় বলেও জানিয়ে দেন তিনি। প্রসঙ্গত, স্বঘোষিত ধর্মগুরু অমৃতপাল সিংহের হাতেই বর্তমানে রয়েছে খালিস্তানপন্থী (Khalistan) আন্দোলনের রাশ। তাঁর খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। যদিও এখনও ছোঁওয়া যায়নি তাঁর টিকি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
  • Calcutta High Court: রামনবমীর শোভাযাত্রায় এনআইএ তদন্তের দাবি, রায় ঘোষণা স্থগিত রাখল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: রামনবমীর শোভাযাত্রায় এনআইএ তদন্তের দাবি, রায় ঘোষণা স্থগিত রাখল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল রাজ্যে। তার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন তিনি। সোমবার রায়দান হওয়ার কথা ছিল ওই মামলার। তবে এদিন রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও এনআইএর তরফে আদালতে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা এই ঘটনার তদন্ত করতে প্রস্তুত।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ…

    হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, কারা এই অশান্তির ঘটনায় জড়িত, কারাই বা উসকানি দিয়েছে, তা জানা রাজ্য পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের প্রয়োজন। হাইকোর্টের এও পর্যবেক্ষণ, পুলিশের রিপোর্টে স্পষ্ট যে অশান্তি হয়েছে। পুলিশের রিপোর্টে কোথাও কোনও বোমার উল্লেখ নেই, মন্তব্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির। ইসলামপুরের গন্ডগোলে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। পুলিশ সুপার সহ অনেক পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন। মামলা দায়ের হয়েছে, গ্রেফতারও হয়েছে বলে রাজ্য জানিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত বিচারপতির প্রশ্ন, এই ধরনের গন্ডগোল নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যেক বছর ৬,৭, ৮টা করে ঘটনা ঘটছে। এটা কীভাবে আটকানো সম্ভব?

    আরও পড়ুুন: প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি! বালুরঘাটের দণ্ডি-কাণ্ড নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি সুকান্তর

    ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, বোমাবাজি, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়া, অশান্তির সব ঘটনাই সাধারণ মানুষকে উদ্বিগ্ন করে। তাঁর প্রশ্ন, আদালতের (Calcutta High Court) আগের নির্দেশও কার্যকর হয়নি কেন? পুলিশের অদক্ষতা? গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা? নাকি অন্য কিছু? রিষড়া ও শিবপুর সহ রাজ্যের সর্বত্র গোলমালে এনআইএ অনুসন্ধানের পক্ষে সওয়াল কেন্দ্রের। বোমা বিস্ফোরণের কোনও ঘটনার উল্লেখই নেই রাজ্যের রিপোর্টে। বিস্ফোরণ ও নাশকতা যোগ খতিয়ে দেখতে এনআইএ অনুসন্ধান কেন্দ্রীয় আইনসঙ্গত। নাশকতা ও বিস্ফোরণের কিছু পাওয়া না গেলে সেখানে এনআইএ তদন্ত করবে না। সওয়াল কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এবং ডেপুটি সালিসিটর জেনারেলের। পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ জনস্বার্থ মামলায় প্রথম দিন থেকেই।

    হাওড়া সিপির রিপোর্টে তার কোনও উল্লেখই নেই! পুলিশ কমিশনারের রিপোর্ট অবশ্যই অর্থবহ হওয়া উচিত, মন্তব্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির। রাজ্যকে দু দিন সময় দেওয়া হোক। সর্বশেষ তদন্তের অগ্রগতি সহ রিপোর্ট পেশ করবে রাজ্য। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিওর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • NIA: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিকাশ ভবনের কর্মী বিস্ফোরক-যোগে অভিযুক্ত! গ্রেফতার করল এনআইএ

    NIA: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিকাশ ভবনের কর্মী বিস্ফোরক-যোগে অভিযুক্ত! গ্রেফতার করল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিকাশ ভবনের কর্মী বিস্ফোরক-যোগে অভিযুক্ত! এখান থেকেই এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল এনআইএ (NIA)। অন্যদিকে, বীরভূমের মহম্মদবাজারে ৮১ হাজার জিলোটিন স্টিক ও অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধারের ঘটনায় এদিন আরও ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA)।

    ধৃতদের পরিচয় 

    ধৃতদের মধ্যে মির মহম্মদ নুরুজ্জামান পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তিনি বিকাশ ভবনে কর্মরত বলেই জানা গেছে। শনিবার দুপুরে নুরুজ্জামানকে সেখান থেকে গ্রেফতার করে এনআইএ (NIA)। অন্যদিকে আরেক অভিযুক্ত মিরাজুদ্দিনকে ধরা হয় রানিগঞ্জ থেকে। এনআইএ বলছে, মিরাজুদ্দিন, অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ। বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় এর আগে মহম্মদবাজার থেকে রিন্টু শেখ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। রিন্টুকে জেরা করে পাওয়া যায় নুরুজ্জামান এবং মিরাজুদ্দিনের নাম। রানিগঞ্জ, রাজারহাট ও মঙ্গলপুরে শুরু হয়েছে এনআইএ তল্লাশি। সূত্রের খবর, এনআইএ গ্রেফতারি এড়াতে বিকাশ ভাবনে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন মীর মহম্মদ নুরুজ্জামান। NIC প্রজেক্টে কাজ করছিলেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, প্রভাবশালীদের সাহায্যেই দিনের পর দিন প্রচুর পরিমানে বিস্ফোরক সরবরাহ করে গেছে এই ২ জন। পুলিশের সাহায্যেও এই কাজ চলত কিনা তাও খতিয়ে দেখছে এনআইএ। সূত্রের খবর, ৮১ হাজার জিলেটিন স্টিক আর ২৭ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সাপ্লাই করেছিল এরা।

    বারুদের স্তূপে বীরভূম

    বারুদের স্তূপে বীরভূম! বিরোধীদের এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এদিনই মল্লারপুরের জবুনি গ্রামে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির মশলা, আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে। অন্যদিকে, নলহাটিতে উদ্ধার তাজা বোমা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। ধৃত রমজান শেখের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ১৮০ কেজি বোমা তৈরির মশলা। ৩টি দেশি পাইপগান ও ১২ রাউন্ড গুলি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিজের বাড়িতেই বোমা তৈরির মশলা ও আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করেছিলেন ধৃত। উদ্ধার হওয়া মশলা থেকে এক হাজারের বেশি দেশি বোমা তৈরি হত বলে পুলিশের অনুমান। এনআইএ-র ওপর আস্থা প্রকাশ করে বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, গোটা বীরভূমের অবস্থা একইরকম। শাসকদল এবং পুলিশের একাংশ জড়িত এ কাজে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • PFI: ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে ইসলামিক দেশ বানানোর ষড়যন্ত্র করছিল পিএফআই, চার্জশিটে এনআইএ

    PFI: ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে ইসলামিক দেশ বানানোর ষড়যন্ত্র করছিল পিএফআই, চার্জশিটে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে নিষিদ্ধ পিএফআই বা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI)। তবুও ভারতের বেশ কিছু জায়গায় এই সংগঠনের কার্যক্রমের খবর সামনে এসেছে। রাজস্থানে এই সংগঠনের কিছু উগ্রবাদী কার্যকলাপের একটি মামলায় এবারে চার্জশিট পেশ করেছে এনআইএ। এই মামলায় পিএফআই-এর দুজন সদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, পিএফআই একটি উগ্রপন্থী ইসলামিক সংগঠন। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে বেআইনি অস্ত্র রাখা, অপহরণ, খুন, সাধারণ মানুষের মধ্যে ঘৃণা ছড়ানো, দাঙ্গা, লাভ জিহাদের মত একাধিক অপরাধমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

    এনআইএ-র চার্জশিট দাখিল

    সূত্রের খবর, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পিএফআই-এর (PFI) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগ, এই সংগঠন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টির চেষ্টা করছিল। এর পাশাপাশি মুসলিম যুবকদের মগজ ধোলাই করে তাঁদের অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এসব করে ২০৪৭ সালের মধ্যে ইসলামিক জাতি গঠনের প্রস্তুতি চলছে। আর এই মামলাতেই পিএফআই-এর সদস্য মোহাম্মদ আসিফ ওরফে আসিফ ও সাদিক সরফকে অভিযুক্ত করেছে এনআইএ। এই দুই অভিযুক্তই শুধু মুসলিম যুবকদের প্রশিক্ষণই দিচ্ছিল না, ধারাবাহিকভাবে প্রশিক্ষণ শিবিরেরও আয়োজন করে আসছিল। এই দুজনের বিরুদ্ধে আইপিসির ১২০বি, ১৫৩এ ধারা, ১৩, ১৭, ১৮,  ১৮এ  এবং ১৮বি  ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    চার্জশিটে কী বলা হয়েছে?

    এনআইএ-এর দাখিল করা চার্জশিটে বলা হয়েছে, এই অভিযুক্তরা প্রশিক্ষিত পিএফআই-এর (PFI) সদস্য, যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য মুসলিম যুবকদের নিয়োগ করত এবং নিজেরাও সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত। এছাড়াও এই অভিযুক্ত দুজন অস্ত্র ও বিস্ফোরক পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ শিবির সংগঠিত করত, পিএফআই ক্যাডারদের অস্ত্র তুলতে এবং হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালানোর জন্য অর্থ সংগ্রহ করত। এরা ভারতে বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা তৈরি করতে এবং দেশে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য যুবকদের প্ররোচিত করত। তাদের প্রধান লক্ষ্য, ইসলাম বিপদে রয়েছে, মুসলিম যুবকদের মধ্যে এমন ভয় সৃষ্টি করা। সেই ভয়ে তারা নিজেদের প্রসারিত করার চেষ্টা করছিল ও দেশ ভাগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। একই সঙ্গে ২০৪৭ সালের মধ্যে ইসলামিক জাতি গঠনের কথাও ছিল। কিন্তু এনআইএ তাদের (PFI) এই ষড়যন্ত্র ফাঁস করতে সক্ষম হয়েছে ও তাদের বিরুদ্ধে প্রথম চার্জশিটও দাখিল করেছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভারত হিন্দুরাষ্ট্রই, পৃথক ঘোষণার দরকার নেই’’, বললেন সঙ্ঘনেতা দত্তাত্রেয় হোসাবলে

    জম্মু কাশ্মীর জুড়ে তল্লাশি এনআইএ-র

    অন্যদিকে জম্মু কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে এনআইএ। জঙ্গি সংগঠনগুলিকে কে বা কারা অর্থের জোগান দিচ্ছে, সেই খোঁজ করতেই জম্মু কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করে এনআইএ। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং সিআরপিএফের সহায়তায় এনআইএ মঙ্গলবার জম্মু কাশ্মীরের কুলগাম, পুলওয়ামা, অনন্তনাগ এবং সোপিয়ানে তল্লাশি শুরু করে। কুলগাম, সোপিয়ানের জয়নাপোরা এলাকায় একজন দুধওয়ালা, একজন কৃষক এবং একজন চালকের বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়। একইভাবে শ্রীনগরেও অভিযান চালানো হয়। উল্লেখ্য, এই তল্লাশি অভিযান ছাড়াও এনআইএ বহু ক্ষেত্রে তদন্ত চালাচ্ছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA Raid: পাকিস্তান থেকে অস্ত্রপাচার, রয়েছে আইএসআই-গ্যাংস্টার যোগ! দেশের ৭২ টি জায়গায় তল্লাশি এনআইএর

    NIA Raid: পাকিস্তান থেকে অস্ত্রপাচার, রয়েছে আইএসআই-গ্যাংস্টার যোগ! দেশের ৭২ টি জায়গায় তল্লাশি এনআইএর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধে বড় ধরণের অভিযানে নামল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিভ এজেন্সি। এবারে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসএআই এবং গ্যাংস্টারদের যোগসাজশের পর্দা ফাঁস করল এনআইএ। গোপন সূত্রে খবর পেতেই দেশের একাধিক জায়গায় হানা দেয় এনআইএ। উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান সহ দেশের ৭২টি জায়গায় মঙ্গলবার একযোগে তল্লাশি চালাচ্ছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা।

    আটটি রাজ্যে এনআইএ অভিযান

    এনআইএ সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটে তল্লাশির সময় একটি বাড়ি থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তাদের দাবি, এই অস্ত্রগুলি পাকিস্তান থেকে ভারতে পাচার করা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই এবং নীরজ বাওয়ানা গ্যাংয়ের বেশ কয়েক জন সদস্যকে দিন কয়েক আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আর তাঁদের জেরা করেই দেশের বেশ কয়েকটি জায়গার হদিশ পেয়েছিল এনআইএ। আর তার পরই আজ, মঙ্গলবার তল্লাশি অভিযানে নেমেছে তদন্তকারী সংস্থাটি।

    এদিন সকালে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, দিল্লি, চণ্ডীগড়, উত্তর প্রদেশ, গুজরাট ও মধ্যপ্রদেশে এনআইএ অভিযান শুরু করে। পাঞ্জাবের অন্তত ৩০ টি জায়গায় অভিযান চালানো হয়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে পাঞ্জাবের গিদ্দারবাহায় তল্লাশি চালাচ্ছেন এনআইএ আধিকারিকরা।

    উল্লেখ্য, আইএসআই-গ্যাংস্টার যোগসাজশের মামলায় এই নিয়ে চতুর্থ বার অভিযানে নামল এনআইএ। তদন্তকারী সংস্থাটির এক সূত্রের দাবি, ধৃতদের জেরা করে আইএসএআই এবং গ্যাংস্টারদের যোগসাজশের তথ্য প্রকাশ্যে আসে। ইতিমধ্যেই ধৃত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলেও ওই সূত্রের দাবি।

    এর আগেও গত বছরের অক্টোবর মাসে সন্ত্রাসী, গ্যাংস্টার এবং মাদক পাচারকারীদের যোগসাজশ লক্ষ্য করে দেশের পাঁচটি রাজ্যের ৫০টিরও বেশি জায়গায় অভিযান চালায় এনআইএ। এনআইএর তরফে তখনই জানানো হয়েছিল যে, এই নেটওয়ার্ক যত দিন না ভেঙে ফেলা হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত এই অভিযান চলবে।

  • NIA: ছত্তিশগড়ে ফেরার মাওবাদী নেত্রীকে গ্রেফতার করল এনআইএ

    NIA: ছত্তিশগড়ে ফেরার মাওবাদী নেত্রীকে গ্রেফতার করল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী দমনে আবারও সাফল্য পেল কেন্দ্রীয় সরকার। ফেরার এক মাওবাদী নেত্রীকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হল এনআইএ (NIA)।

    কোথা থেকে গ্রেফতার করা হল ওই নেত্রীকে

    ২০২১ সালে মাওবাদীদের অতর্কিত আক্রমণের মুখে ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে মৃত্যু হয়েছিল ২২ জন পুলিশ কর্মীর এবং তার সঙ্গে জখম হয়েছিলেন আরও ৩০ জন। এই হামলার ঘটনাতেই সরাসরি যুক্ত ছিলেন ওই মহিলা বলে জানা যাচ্ছে।

    মাদকাম উঙ্গি আলিয়াস কমলা নামের ওই মহিলা নেত্রীকে গতকাল ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলার ভোপালপাটানাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাওবাদী হামলায় ২২ জন পুলিশকর্মীর মৃত্যুর এই ঘটনায় এফআইআর করা হয়েছিল ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলার তাররেম পুলিশ স্টেশনে। ২০২১ সালে ৫ জুন এই এফআইআর-কে পুনরায় নথিভুক্ত করে এনআইএ (NIA) ।

    এনআইএ (NIA) কী বলছে

     তদন্তের বিষয়ে এনআইএ (NIA) বলে যে, আমাদের কাছে সূত্র মারফত খবর আসে যে এক ফেরার মহিলা মাওবাদী নেত্রী লুকিয়ে রয়েছে বিজাপুর জেলার ভোপালপাটানাম এলাকাতে।

    তৎক্ষণাৎ এনআইএ-র (NIA) একটি বিশেষ প্রশিক্ষিত দল রায়পুর থেকে পৌঁছে যায় ওই নির্দিষ্ট এলাকায়, যেখানে ওই মাওবাদী মহিলা লুকিয়ে ছিলেন। এবং এই মহিলাকে সাফল্যের সঙ্গে ধরতে সক্ষম হয় এনআইএ (NIA)। এরপরেই ওই মহিলাকে এনাআইএ-র (NIA) বিশেষ আদালতে তোলা হয়।

    মাওবাদী দমনে বড় সাফল্য মোদি সরকারের  

    প্রসঙ্গত মাওবাদী দমনে মোদি সরকারের এই সাফল্য গত ১০ বছর ধরেই চলছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৩ সালে ১০ টি রাজ্যের ৭৬ টি জেলার ৩৩০ টি থানাতে মাওবাদীদের প্রভাব ছিল এবং ২০২১ সালে দেখা যাচ্ছে যে মাওবাদীদের প্রভাব রয়েছে ৮ টি রাজ্যের ৪৬ টি জেলায় ১৫১ টি থানাতে। গত ১০ বছরে মাওবাদী হিংসা ৫৫ শতাংশ কমেছে এবং মাওবাদীদের হাতে সাধারণ মানুষের হত্যার ঘটনা ৬৩ শতাংশ কমেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • PFI: ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় পিএফআই! কী বলছে এনআইএ-এর চার্জশিট?

    PFI: ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় পিএফআই! কী বলছে এনআইএ-এর চার্জশিট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশকে ইসলামিক রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে চায় পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI)। এই ধরনের ভাবধারায় বিশ্বাসী সংগঠনের কাজকর্ম মেনে নেওয়া যায় না। তারা নানা ধরনের অশান্তির ঘটনায় যুক্ত ছিল। সংগঠনটি শরিয়তি শাসন ব্যবস্থা কায়েমের পক্ষে। এই ভাবধারা প্রচারের জন্য তারা অর্থ সংগ্রহ করে। এমনই বিস্ফোরক তথ্য উঠে এল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ-র (NIA) পেশ করা চার্জশিটে।

    পিএফআই-এর কিলার স্কোয়াড

    ভারতকে মুসলিম রাষ্ট্র (Islamic Country) বানানোর লক্ষ্যেই ‘কিলার স্কোয়াড’ বা ‘সার্ভিস টিম’ তৈরি করছিল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI)। ২০৪৭ সালের মধ্যেই ভারতকে মুসলিম রাষ্ট্র হিসাবে দেখতে চায় পিএফআই। বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ২০২২ সালের ২৬ জুলাই দক্ষিণ কর্ণাটকের সুলিয়া জেলায় প্রভীন নেত্রু নামে এক বিজেপি কর্মী খুন হন। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পিএফআই-এর প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে বলে দাবি এনআইএ-র। এনআইএ-র চার্জশিটে বলা হয়েছে, ‘পিএফআই-এর কর্মীরা সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ এবং টার্গেট কিলিং-এর জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাদেরকে পরিচালনা করত এই মুসলিম কট্টরপন্থী সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃত্ব।’ এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশ জুড়ে।এনআইএ-র চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে, পিএফআই-র একটি মিটিং হয় বেঙ্গালুরুর সুলিয়া শহর এবং বেলারি গ্রামে। সেই মিটিং-এ জেলা সেবা দলের প্রধান মুস্তফা পাচার নির্দেশ হিন্দু ধর্মের কোনও নেতাকে টার্গেট করা হয়। সেই লক্ষ্যেই খুন হন প্রভীন নেত্রু।

    আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র ভিত্তিহীন, দাবি ভারতের, সংবাদ সংস্থার সমালোচনা সুনাকেরও

    এনআইএ জানায়, মোট চারজনকে টার্গেট করে পিএফআই। এই তালিকায় নাম ছিল বিজেপির যুব মোর্চার সদস্য প্রভীন নেত্রু। গতবছরের ২৬ জুলাই অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। তাঁকে হত্যা করা হয় শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য। জানা যাচ্ছে, মোট ২০ জন পিএফআই সদস্যের নাম রয়েছে ওই চার্জশিটে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, মুস্তফা পাচার, মাসুদ কেএ, কোদাজি মহম্মদ শরিফ, আবু বক্কর সিদ্দিকী, উমর ফারুখ। এর পিছনে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের মদত রয়েছে বলে ইতিপূর্বে একাধিক মামলায় জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • STF: আইএস জঙ্গি কুরেশি ও সাদ্দামের কীভাবে যোগাযোগ হয়? মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার সিদ্ধান্ত এসটিএফ-র

    STF: আইএস জঙ্গি কুরেশি ও সাদ্দামের কীভাবে যোগাযোগ হয়? মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার সিদ্ধান্ত এসটিএফ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি দমনে মরিয়া কলকাতার এসটিএফ। নতুন বছরের শুরুতেই আইএস জঙ্গি সন্দেহে হাওড়া থেকে দুজনকে গ্রেফতার করেছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF)। এদের নাম মহম্মদ সাদ্দাম ও সৈয়দ আহমেদ। এখানেই শেষ না, কলকাতা এসটিএফের জালে আসে আরও এক আইএস (ISIS) জঙ্গি। মধ্যপ্রদেশ থেকে এই জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ৩৩ বছর বয়সি ওই ধৃত জঙ্গির নাম আব্দুল রাকিব কুরেশি। আর এদেরকে জেরা করতেই তদন্তকারীদের হাতে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে উঠে এসেছে, সাদ্দাম ও কুরেশির সঙ্গে এক যোগ-সূত্র রয়েছে এবং তাদের এক বড়সড় হামলার ছক ছিল। ফলে তাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে আরও তথ্য বের করার জন্য একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।

    কে এই আব্দুল রাকিব কুরেশি ও কীভাবে তার সাদ্দামের সঙ্গে আলাপ হয়?

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি প্রাক্তন সিমি সদস্য। ২০০৯ সালে তাকে একবার গ্রেফতার করা হয়েছিল। খুনের চেষ্টার অভিযোগেও তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে তিনিই আবার তালিবানের পক্ষে স্লোগান দিয়েছিলেন আদালতে। এসটিএফ-এর আধিকারিকরা আগেই জানিয়েছিলেন যে, সাদ্দাম ও কুরেশির যোগাযোগ রয়েছে। এসটিএফ আধিকারিকদের দাবি, ২০১৯ সালে জেল থেকে বের হওয়ার পরেও কুরেশি হাওড়া আইএস মডিউলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলত। এর পর সে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে তার মত লোকজনকে খুঁজে বেড়াত। মূলত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার জন্য সে এইভাবে সংগঠনে নতুন করে নিয়োগ করত। এদিকে সেই সূত্র ধরেই টেলিগ্রামের মাধ্যমে তার সঙ্গে হাওড়ার আইএস অপারেটিভ মহম্মদ সাদ্দামের সঙ্গে তার আলাপ হয়। এর পর তারা দুজনেই যুব সমাজের ব্রেন ওয়াশ করে আইএস মডিউলে নাম লেখানোর চেষ্টা করত। এর কিছু নজিরও পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। তারা ঠিক কোথায় যাতায়াত করত, আর কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত সবটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: আদালতে তালিবানি স্লোগান দিয়েছিল কুরেশি! আইসিস নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে সাদ্দামের!

    আবার সাদ্দাম পুলিশকে জানিয়েছে, সে অস্ত্রের জন্য কুরেশির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই তাদের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে ওঠে। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই পুরানো কিছু চ্যাট সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন। অস্ত্র সংক্রান্ত ক্ষেত্রে কুরেশির পুরানো কোনও মামলা রয়েছে কি না, আর কার সঙ্গে তারা যোগাযোগ রাখত এসব জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। জঙ্গি মডিউলের সম্পর্কেও আরও তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করে চলেছে এসটিএফ। এর জন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সাদ্দাম ও কুরেশির বিষয়ে আরও বেশি তথ্য জানার জন্য এসটিএফ আধিকারিকরা তাদের একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করার পরিকল্পনা করেছেন।

    জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ মামলায় চার্জশিট জমা এনআইএ-এর

    একদিকে এসটিএফ যেমন সন্ত্রাস দমনে তৎপর হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে এনআইএ এদিন ২০২২ সালে দাখিল হওয়া জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ মামলায় এক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশের ভোপালের একটি বিশেষ আদালতে সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট জমা করল। এই মামলায় ২০২২ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী ৬ জন সহ মোট ১০ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ঢাকার একটি জনপ্রিয় ক্যাফেতে জেএমবি জঙ্গি গোষ্ঠী হামলা চালানোর পর সেখানে ১৭ জন বিদেশী সহ ২২ জন নিহত হয়েছিলেন। পরে এনআইএ জানিয়েছিল যে, এই জঙ্গি গোষ্ঠী ভারতেও এমনই করার চেষ্টা করছিল।

  • NIA: ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যোগ! কর্নাটকে এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার আরও দুই

    NIA: ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যোগ! কর্নাটকে এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার আরও দুই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী সংস্থা ইসলামিক স্টেটের (IS) সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে গ্রেফতার আরও দুই। মঙ্গলবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA) তাদের গ্রেফতার করেছে। শিবমগ্গা ইসলামিক স্টেট ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ওই দুজনকে।  

    এনআইএ… 

    এর আগে ওই মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের সঙ্গে যোগ ছিল মহম্মদ শারিকের। সম্প্রতি তাকে গ্রেফতার করা হয়। মেঙ্গালুরুতে একটি অটোরিক্সায় করে কুকার বম্ব নিয়ে যাচ্ছিল সে।  তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। জখম হন সে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। পরে করা হয় গ্রেফতার।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আমি না জিতলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবান্নে বসতে পারবেন না’’! বেফাঁস হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক

    জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার যে দুজনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ (NIA) তারা হল মাজিন আবদুল রহমান এবং নাদিম আহমেদ কেএ। মাজিনকে গ্রেফতার করা হয় মেঙ্গালুরুর পারমান্নুরের হীরা কলেজের কাছ থেকে। এই মেঙ্গালুরু দক্ষিণাখণ্ড জেলার হেডকোয়াটার্স টাউন। নাদিমকে গ্রেফতার করা হয় দাভানাজেরে জেলার হোন্নালি তালুক থেকে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ধৃত মাজিন আবদুল রহমান ও নাদিম আহমেদ সরাসরি নাশকতামূলক কার্যকলাপে যুক্ত ছিল। এর আগে কর্নাটক থেকে সন্দেহভাজন ৪ আইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। তাদের জেরা করেই খোঁজ মেলে মাজিন ও নাদিমের।

    তদন্তে প্রকাশ, অভিযুক্ত মাজ মুনির এবং সঈদ ইয়াসিন মাজিন ও নাদিমকে ভারতে সন্ত্রাসমূলক কাজকর্ম চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিয়োগ করেছিল। এনআইএ (NIA) জানিয়েছে, অভিযুক্তরা অন্তর্ঘাত এবং অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করেছিল। এগুলি ইসলামিক স্টেটের ষড়যন্ত্র। প্রসঙ্গত, গত বছর শিবামগ্গা টেরর মডিউল তুঙ্গা নদীর তীরে ট্রায়াল ব্লাস্ট করেছিল বলে অভিযোগ। গত বছর ১৯ সেপ্টেম্বর কর্নাটকের শিবামগ্গা জেলার শিবামগ্গা রুরাল থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ওই বছরেরই ৪ নভেম্বর তদন্ত শুরু করে এনআইএ (NIA)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • NIA Arrest: হাওড়া থেকে ধৃত দুই আইএস জঙ্গি, তদন্তে এনআইএ

    NIA Arrest: হাওড়া থেকে ধৃত দুই আইএস জঙ্গি, তদন্তে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে শুক্রবার মহম্মদ সাদ্দাম এবং মহম্মদ সৈয়দ নামের দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাদ্দাম হাওড়া থানার আফতাবউদ্দিন মুন্সি লেনের বাসিন্দা। সইদ হাওড়ার শিবপুর থানা এলাকার গোলাম হোসেন লেনের বাসিন্দা। এবার এই ঘটনার তদন্তে নামল এনআইএ (NIA Arrest)! 

    কী জানা গেল? 

    দুই জঙ্গিকে জেরা করতে প্রথমে লালবাজার যায় এনআইএ (NIA Arrest) টিম। সেখান থেকে তাঁরা যান রিপন স্ট্রিটে। এই দুই জঙ্গির আইএস যোগ রয়েছে বলে জানতে পেরেছে এসটিএফ। এসটিএফের থেকে দুই জঙ্গির বিষয়ে তথ্য নেয় এনআইএ। সূত্রের খবর, আইএসের হয়ে শপথ নিয়েছিল ধৃত ২ জঙ্গি। এসটিএফ সূত্রে খবর, ধৃত ২ জন, সৈয়দ ও সাদ্দামের ডায়েরিতে শপথবাক্য মিলেছে।  

    এসটিএফের দাবী, ধৃত সাদ্দাম ও সৈয়দের পরিকল্পনা ছিল ২৬ জানুয়ারির আগে নাশকতা করার। এসটিএফ জানিয়েছে, ভিন রাজ্যের দুই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ধর্মীয় ব্যক্তিকে টার্গেট করেছিল এই দুই জঙ্গি। তাঁদের উপর হামলার ব্লু প্রিন্ট তৈরী করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছে এসটিএফ। আর সেকারণে অস্ত্র জোগাড় করা হচ্ছিল এই রাজ্য থেকে। আর সে বিষয়েই এসটিএফের থেকে তথ্য নিয়েছে এনআইএ (NIA Arrest)।

    আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের খাবারে সাপ! স্কুলেই অসুস্থ একাধিক পড়ুয়া

    এরাজ্য থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করার জন্য কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ওই দুই জঙ্গি তা জানতেই সাদ্দাম এবং সৈয়দকে জেরা করতে চায় এনআইএ (NIA Arrest)? ওই দুই যুবকের কল লিস্ট খতিয়ে দেখছে এসটিএফ। সাদ্দাম ও সৈয়দের মোবাইল ল্যাপটপ ফরেন্সিকে পাঠানো হবে। আইএস সংগঠনের  হয়ে প্রচার করত সাদ্দাম, ফলে এদের মোবাইল ল্যাপটপ ঘেঁটে এদেরকে কে নিয়োগ করেছিল সেই আইএস মাথারও হদিশ পেতে চাইছে এসটিএফ। এ রাজ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে সংগঠনের সদস্য হিসাবে শিক্ষিত যুবকদের সাদ্দাম নিয়োগ করত তার তালিকা খোঁজার চেষ্টা চলছে।

    কী উদ্দেশ্যে ঘাঁটি গেড়েছিল সন্দেহভাজন জঙ্গিরা, জানতে লাগাতার জেরা চালাচ্ছেন এনআইএ গোয়েন্দারা। লালবাজারের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছে এনআইএ, ধৃত ২ জনকেও জেরা করেছেন তাঁরা। ২ জঙ্গিকে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে এনআইএ (NIA Arrest)।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share