Tag: NIA

NIA

  • NIA Raids: গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ, দিল্লি-সহ দেশের ৫০টি জায়গায় তল্লাশি এনআইএ-র

    NIA Raids: গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ, দিল্লি-সহ দেশের ৫০টি জায়গায় তল্লাশি এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে এবারে গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধে বড়সড় তল্লাশি অভিযানে নামল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। দেশের গ্যাংস্টারদের দৌরাত্ম্য থামাতে এবারে মরিয়া হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্যাংস্টারদের ধরতে আজ সকাল থেকেই দিল্লি সহ পুরো উত্তর ভারত জুড়ে অভিযান শুরু করেছে এনআইএ। পাঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসেওয়ালার হত্যার কয়েক মাস পর থেকেই  জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) উত্তর ভারত জুড়ে প্রায় ৫০ টি স্থানে অভিযান চালিয়েছে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, দিল্লি সহ একাধিক রাজ্যের গ্যাংস্টারদের ধরতেই এই পদক্ষেপ। তবে শুধু ভারতই নয়, বিদেশ থেকেও যেসমস্ত গ্যাংস্টাররা নিজেদের কার্যকলাপ চালায় এদেশে, তাদের বিরুদ্ধেও তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। এমনকি যারা সিধু মুসেওয়ালার খুনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে, যেমন- কানাডা-ভিত্তিক গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার এবং জগ্গু ভগবানপুরিয়া, এদের বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চালানো হবে।

    আরও পড়ুন: ভারত-পাক সীমান্তে সিধু মুসেওয়ালার গান বাজাল পাকিস্তানি সেনা, নেচে উঠলেন ভারতীয় জওয়ানরা

    আরও জানা গিয়েছে দেশের কিছু গ্যাংস্টাররা সন্ত্রাসী মামলা ও সন্ত্রাসীদের সঙ্গেও জড়িত রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে লরেন্স বিষ্ণোই। সম্প্রতি পাঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসেওয়ালার খুনের মূল ষড়যন্ত্রী হিসাবে উঠে এসেছে এর নাম। লরেন্সকে রাজস্থান থেকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। তারপর দিল্লি পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন তিনি। কিন্তু জানা গিয়েছে জেলের ভিতর থেকেও পরিচালিত হচ্ছে বিভিন্ন দুষ্কর্ম।

    সিধু মুসেওয়ালার হত্যার পর থেকেই সন্ত্রাসবাদী এবং পাঞ্জাব-ভিত্তিক গ্যাংস্টারদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নজরে এসেছিল। ফলে এই গ্যাংস্টারদের ধরতেই আজ অভিযান চালিয়েছে এনআইএ। এনআইএ-এর কর্মকর্তাকরা জানিয়েছেন, রাজ্য-ভিত্তিক গ্যাংস্টারদের ক্রমবর্ধমান নেটওয়ার্ক সম্পর্কে কেন্দ্র গত দুই মাসে পাঞ্জাব পুলিশকে একাধিক সতর্কতা পাঠিয়েছিল।

    উল্লেখ্য, গত ২৯শে জুন পাঞ্জাবের মানসা জেলার মুসার গ্রামের কাছে গুলি করে হত্যা করা হয় গায়ককে। আর তাঁর মৃত্যুর পরেই গোল্ডি ব্রার একটি ফেসবুক পোস্টে স্বীকার করেছিলেন যে তিনি অন্য গ্যাংস্টারের হত্যার প্রতিশোধ নিতে এটি পরিকল্পনা করেছিলেন। আর গোল্ডি ব্রার হলেন লরেন্স বিষ্ণইয়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। ফলে এই গোল্ডি ব্রার সহ অন্যান্য গ্যাংস্টার ধরতে মরিয়া এনআইএ।

  • Dawood Ibrahim: দাউদ ইব্রাহিমের মাথার দাম ২৫ লক্ষ টাকা, বাকিদের কত জানেন?

    Dawood Ibrahim: দাউদ ইব্রাহিমের মাথার দাম ২৫ লক্ষ টাকা, বাকিদের কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী (Global Terrorist) দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim) মাথার দাম ঘোষণা করল দুর্নীতি দমন শাখা। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ (NIA) তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করেছে ২৫ লক্ষ টাকা। তাঁর সাগরেদ ছোটা শাকিলের (Chhota Shakeel) খোঁজ দিতে পারলে ইনাম মিলবে ২০ লক্ষ টাকা। আর নগদ ১৫ লক্ষ করে টাকা করে দেওয়া হবে তিন সন্ত্রাসবাদী অনীশ ইব্রাহিম, জাভেদ চিকনা এবং টাইগার মেননের খোঁজ দিতে পারলে।

    ১৯৯৩ সালে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ হয় মুম্বই। ভারতের দাবি, ওই বিস্ফোরণের মূল চক্রী দাউদ। বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী দাউদ পাকিস্তানে রয়েছেন বলে দাবি করে আসছে ভারত। যদিও দাউদ পাকিস্তানে নেই বলেই দাবি ইসলামাবাদের। এহেন দাউদকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। এনআইয়ের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দাউদ ইব্রাহিম ও অন্য সন্ত্রাসবাদীরা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তইবা (Lashkar-e-Taiba), জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed) এবং আল কায়দার (Al Queda) সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে।   

    আরও পড়ুন : দাউদ ঘনিষ্ঠ ছোটা শাকিলের আত্মীয়কে গ্রেফতার করল এনআইএ

    গত বছরও রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভারত বলেছিল, মুম্বই বিস্ফোরণের মূল চক্রী দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তানের নিশ্চিন্ত আশ্রয়ে রয়েছেন। দাউদ যে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন লক্সর-ই-তইবা এবং জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত, তাও জানিয়েছিল ভারত। এহেন মোস্ট ওয়ান্টেডেড সন্ত্রাসবাদীর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছে ২৫ লক্ষ টাকা। গত বছর এক বিবৃতিতে ভারত বলেছিল, ডি-কোম্পানি একটি সংগঠিত অপরাধ চক্র। এরা সোনা পাচার করে। ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে যে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ হয়েছিল, তার মূল চক্রী এই ডি কোম্পানি। ধারাবাহিক ওই বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু হয়েছিল ২৫০ জন সাধারণ মানুষের। হানি হয়েছিল কোটি কোটি ডলার মূল্যের সম্পত্তি।

    প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ের ওই বিস্ফোরণে বিভিন্ন জায়গায় ১২টি বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল। নিরীহ মানুষের মৃত্যুর পাশাপাশি ধারাবাহিক ওই বিস্ফোরণে জখম হয়েছিলেন ৭০০জন। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ তাঁকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসেবে ঘোষণা করে। তার পর থেকে তার খোঁজে হন্যে ভারতও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • ISIS Suicide Bomber: রাশিয়ায় গ্রেফতার হওয়া আইএস জঙ্গিকে হেফাজতে নিতে চায় ভারত

    ISIS Suicide Bomber: রাশিয়ায় গ্রেফতার হওয়া আইএস জঙ্গিকে হেফাজতে নিতে চায় ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ায় (Russia) গ্রেফতার হওয়া ইসলামিক স্টেট (আইসিস) জঙ্গিকে (ISIS Terrorist) নিজের হেফাজতে নিতে চায় ভারত। এর জন্যে রাশিয়ার তদন্তকারী সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের (FCS) কাছে আবেদনও জানাবে ভারতীয় এজেন্সি। এর আগে ঠিক ছিল ওই জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রাশিয়া যাবেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) এবং ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (IB)-এর আধিকারিকরা। কিন্তু এখন তাকে দেশে এনেই জেরা করতে চাইছেন গোয়েন্দারা। 

    আরও পড়ুন: পয়গম্বরকে অপমানের বদলা নিতে ভারতে হামলার ছক, রাশিয়ায় গ্রেফতার আইএস জঙ্গি

    উজবেকিস্তানের ওই জঙ্গিকে (Suicide Bomber) দেশে এনে জেরা করার জন্যে রাশিয়া, উজবেকিস্তান দুই দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছে ভারত। 

    রাশিয়ায় ধৃত ওই আইএস জঙ্গিকে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma) হত্যা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল৷ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের শীর্ষ সূত্রে এমনই খবর মিলেছে৷ আজামভ নামে ওই আইএস জঙ্গির জন্ম হয় ১৯৯২ সালে৷ তুরস্কে তাকে দলে নেয় আইএস৷ সেখানেই প্রশিক্ষণ চলে তার৷

    আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে আমদানি কমিয়েছে ভারত, বেড়েছে সৌদি আরব থেকে তেল কেনা

    নুপূর শর্মাকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েই রাশিয়ায় পৌঁছয় সে৷ লক্ষ্য ছিল রাশিয়া থেকে ভিসা নিয়ে দিল্লি পৌঁছনো৷ সূত্রের খবর, দিল্লিতে পৌঁছলে স্থানীয় ভাবে তাকে সহযোগিতা করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল৷ জেরায় আজামভ স্বীকার করেছে, অনলাইন প্রশিক্ষণেই তাকে চরমপন্থার প্রতি আকর্ষিত করা হয়েছিল৷ কোনও আইএস নেতার সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়নি তার৷ অপারেশনের দ্বিতীয় পর্যায়ে রাশিয়ায় পৌঁছয় বলে দাবি করেছে আজামভ৷ 

    গত ২৭ জুলাই একটি বিদেশী সন্ত্রাস দমন এজেন্সির মাধ্যমে রাশিয়ায় একজন জঙ্গির গ্রেফতার হওয়ার খবর পায় ভারত৷ ওই এজেন্সি জানিয়েছিল, কিরঘিজস্তান এবং উজবেকিস্তানের দুই আত্মঘাতী জঙ্গি ভারতে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল৷ তাদের মধ্যে একজন তুরস্ক থেকে এসেছে৷

    ভারতের কাছে খবর ছিল, ওই দুই জঙ্গি রাশিয়ার মস্কো অথবা অন্য কোনও দূতাবাসের মাধ্যমে ভারতে আসার জন্য ভিসার আবেদন জানাবে৷ এই তথ্য হাতে পেয়েই রাশিয়াকে জানায় ভারত৷ সেই সূত্র ধরেই আজামভকে আটক করে সেদেশের ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস৷ 

    এর আগেই পয়গম্বর বিতর্ক নিয়ে হামলার ছক হতে পারে বলে ভারতকে সতর্ক করেছিল গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। সেইমতো ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় কড়াকড়ি করেছে ভারত। তুর্কি, কাতার, কুয়েত, মধ্য এশিয়ার দেশগুলিকে ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া আঁটসাঁট করা হয়েছিল। আর সেই কারণেই রাশিয়া  হয়ে ভারতে ঢোকার ছক কষেছিল ওই জঙ্গি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Chhota Shakeel Aide Arrested: দাউদ ঘনিষ্ঠ  ছোটা শাকিলের আত্মীয়কে গ্রেফতার করল এনআইএ 

    Chhota Shakeel Aide Arrested: দাউদ ঘনিষ্ঠ  ছোটা শাকিলের আত্মীয়কে গ্রেফতার করল এনআইএ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় কয়েক দশক ধরেই শীর্ষে রয়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim) নাম। ভারতের পুলিশ থেকে গোয়েন্দা সংস্থা সবারই নজরে দাউদ ইব্রাহিমের গ্যাং। কিন্তু কিছুতেই এই গ্যাং- কে ছোঁয়া গেল না। অবশেষে আংশিক সফলতার মুখ দেখলেন গোয়েন্দারা। 

    দাউদ ইব্রাহিমের ডান হাত ছোটা শাকিলের (Chota Shakeel) এক আত্মীয়কে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার মুম্বই থেকে সালিম কুরেশি (Salim Qureshi) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে এনআইএ (NIA)। 

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বসেই ভাইবোনদের প্রতিমাসে ১০ লক্ষ টাকা পাঠায় দাউদ! দাবি ইডি-র

    জানা গিয়েছে, চলতি বছরের মে মাসেই সালিম কুরেশিকে আটক করেছিল সন্ত্রাস দমন শাখা। মুম্বই ও থানে মিলিয়ে ২০ জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছিল দাউদ ইব্রাহিম, ছোটা শাকিল ও তাদের পুরো গ্যাংয়ের খোঁজে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর এনআইএ দাউদ ইব্রাহিম, ছোটা শাকিল ও তাদের ঘনিষ্ঠ সঙ্গীদের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়। 

    অর্থপাচার, নাশকতা, আলকায়দা-জেইএমের মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে অর্থ যোগানোর মতো অপরাধমূলক ঘটনায় জড়িত ছিলেন এই সালিম কুরেশি। এমনটাই দাবি এনআইএ-র। এমনকী ছোটা শাকিল পাকিস্তানে বসে গ্যাং পরিচালনা করতেন, আর ভারতে তার দায়িত্বে ছিলেন এই সালিম ফ্রুট। তোলাবাজি থেকে নাশকতার ছক সবকিছুই পরিচালনা করত সালিম। 

    আরও পড়ুন: মুম্বইজুড়ে দাউদ-সঙ্গীদের খোঁজে হানা এনআইএ-র, গ্রেফতার ছোটা শাকিলের ভগ্নিপতি

    সালিম কুরেশিই সালিম ফ্রুট নামেও পরিচিত। তাঁকে জেরা করেই জানা গিয়েছে, পাকিস্তান থেকে বসেই ভারতে হামলা চালানোর ছক কষেছিলেন দাউদ ইব্রাহিম। এই হামলা চালানোর জন্য একটি বিশেষ দলও গঠন করেন দাউদ। মূলত দেশের বড় রাজনীতিবিদরাই তাদের টার্গেট ছিল। পুলিশের এফআইআরেও উল্লেখ করা হয়েছে, যে দাউদ ইব্রাহিম ও ছোটা শাকিল পাকিস্তান থেকে এখনও ভারতে নাশকতার ছক কষছেন।   
     
    এর আগে ইডি যখন সালিম কুরেশিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ, সেই সময় সালিম জানিয়েছিল যে পাকিস্তানের করাচিতে ক্লিফটন এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন দাউদ ইব্রাহিম ও ছোটা শাকিল।  

    ১৯৯৫-৯৬ সালে ভারত ছেড়ে পালান ছোটা শাকিল। কিন্তু বন্ধ হয়নি তাঁর ভারতে অপরাধমূলক কার্যকলাপ। পাকিস্তানে বসেই তিনি ভারতীয় গ্যাং পরিচালনা করতেন। সালিম ফ্রুটের দাবি, বর্তমানে তিনি ছোটা শাকিলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেন না। ২০০৬ সাল অবধি তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা হত। ২০০০ সাল থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে তিন-চারবার পাকিস্তানে ছোটা শাকিলের বাড়িতেও যান সালিম। কিন্তু বেআইনি কার্যকলাপের বিষয়ে জানতে পেরেই ধীরে ধীরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।         
     
    দাউদের সঙ্গে কখনও সাক্ষাৎ হয়নি। পুলিশের সামনে এমনটাই দাবি করেছেন সালিম। তবে ছোটা শাকিল যে মুম্বইয়ে দাউদের যাবতীয় বেআইনি কার্যকলাপ পরিচালনা করতেন, সে বিষয়ে জানতেন তিনি। করাচির ওই এলাকায় ছোটা শাকিলের থাকার ব্য়বস্থাও খোদ দাউদই করিয়ে দিয়েছিলেন বলে দাবি রয়েছে।  

    দাউদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে নাশকতা, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে যোগসাজস, অর্থপাচারসহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। কিন্তু আজও দাউদ সেই অধরাই। 

  • ISIS modules: নতুন আইএসআইএস মডিউলের খোঁজ, ছয় রাজ্যে তল্লাশি চালাল এনআইএ

    ISIS modules: নতুন আইএসআইএস মডিউলের খোঁজ, ছয় রাজ্যে তল্লাশি চালাল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসআইএস (ISIS) জঙ্গি মডিউলের খোঁজে সারা দেশের ছয়টি জেলায় ১৩টি জায়গায় (13 premises raided in six states) চালাল এনআইএ (NIA)। তল্লাশি চলে মধ্যপ্রদেশ, বিহার, গুজরাট, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গায়। এদিন ভোর থেকে তল্লাশি শুরু হয়। কর্ণাটকের ভাটকল এবং উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দেও চলে বিশেষ তল্লাশি অভিযান। প্রচুর গোপন নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়। গত জুন মাসে নানা জায়গা থেকে খবর পেয়ে এব্যাপারে নতুন কেস নথিভুক্ত করেছিল এনআইএ।

    আরও পড়ুন: জঙ্গির গুলিতে নিহত ‘শহিদ’ অ্যাক্সেলকে শেষ বিদায় ভারতীয় সেনার

    নির্দিষ্ট সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে বেশ কিছুদিন ধরে নজরদারি চালাচ্ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। যার পরেই মামলা দায়ের করে এনআইএ। মধ্যপ্রদেশের ভোপাল এবং রেসিনে এদিন তল্লাশি চালান হয় বলে জানায় এনআইএ। অন্যদিকে বিহারের আরারিয়া এবং মহারাষ্ট্রের দুটি জায়গায়া তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এনআইএ-র তরফে জানানো হয়েছে, সেইসব জায়গায় যারা থাকেন, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করা হতে পারে।

    আরও পড়ুন: ফের এনকাউন্টার কাশ্মীরে! রাতভর অভিযানে নিকেশ লস্কর জঙ্গি

    তল্লাশি চলে গুজরাটের ভারুচ, সুরাট, নবসারি এবং আহমেদাবাদেও। তল্লাশির পর এখনও পর্যন্ত কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বা কী ধরনের কাগজপত্র এবং নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সে বিষয়ে বিশদে জানায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। আইআইএস-এর মডিউলের খোঁজে এর আগেও দেশের বহু প্রান্তে তল্লাশি চালানো হয়। কিছুদিন আগেই উত্তরপূর্বের রাজ্য আসামে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। তল্লাশি চলে দিল্লি, কেরলেও। সময় বিশেষে বাংলার সীমানাতেও অভিযান চালায় এনআইএ। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দেশে জঙ্গিদের সঙ্গে পাকিস্তানের সরাসরি যোগ রয়েছে। এরা স্থানীয় মুসলিম যুবকদের নিশানা করছে। এব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখান থেকেই যুবকদের মধ্যে নানাভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে। যুবকদের নির্দিষ্ট করার পর তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কখনও কখনও সেই প্রশিক্ষণ চলে দেশের বাইরেও। শেষে আক্রমণের পরিকল্পনা।

  • Suvendu Adhikari: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অমিত শাহকে চিঠি শুভেন্দুর, দাবি এনআইএ তদন্তেরও

    Suvendu Adhikari: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অমিত শাহকে চিঠি শুভেন্দুর, দাবি এনআইএ তদন্তেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) চিঠি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুর্শিদাবাদের ডোমকলে বিস্ফোরণ ও বীরভূমে বিস্ফোরক উদ্ধারের মতো ঘটনায় এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবিও জানান তিনি।

    গত সপ্তাহে পাণ্ডবেশ্বরে বোমা বিস্ফোরণ হয়। ৩০ জুন বীরভূমে প্রচুর পরিমাণ জিলেটিন স্টিক, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের মতো বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। সোমবার মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাঘারপুর রমনা এলাকায় প্রবল বিস্ফোরণ হয়। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা তল্লাট। মৃত্যু হয় সিরাজুল শেখ নাম বছর সাতাশের এক যুবকের। বিস্ফোরণের অভিঘাতে হাত উড়ে গিয়েছে তার সঙ্গী নাজমুল শেখের। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাজমুল। স্থানীয়দের অভিযোগ, বোমা বাঁধতে গিয়েই বিস্ফোরণ হয়েছিল। পুলিশও ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার করে।

    আরও পড়ুন : আগামী ৩০-৪০ বছর ভারতে বিজেপি-রাজ, শীঘ্রই দখলে বাংলাও, প্রত্যয়ী শাহ

    এই প্রথম নয়, জানুয়ারি মাসে বেলডাঙায়ও একইরকম ঘটনা ঘটেছিল। এরকম একের পর এক ঘটনার কথা স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) , মালদহ (Malda) এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Pargana) নিয়মিত এমন ঘটনা ঘটছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

    আরও পড়ুন : আগামী ৯ জুলাই রাজ্যে প্রচারে আসতে পারেন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু, প্রস্তুতি তুঙ্গে

    শুভেন্দু বলেন, গত সপ্তাহে বীরভূম থেকে ২৪ হাজার কোটি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও ৮১ হাজার টুকরো ডিটোনেটর উদ্ধার করা হয়েছে। যা গোটা বীরভূমকে উড়িয়ে দেওয়ার জন্যে যথেষ্ট। এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরণ কাদের মারফত পাচার হয়েছিল, আর কোথা থেকে এল, তা জানতেই তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। 

    রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও চিঠিতে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু। বলেন, পশ্চিমবঙ্গ বারুদের স্তূপে রয়েছে। জিলেটিন স্টিক বাজেয়াপ্ত করছেন তদন্তকারীরা। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছি এবং ই-মেইলও করেছি। একের পর এক ঘটনায় এনআইএ তদন্ত চাই।

     

  • Udaipur Tailor Killing: প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ হিন্দু দর্জির, উত্তাল রাজস্থান, বন্ধ ইন্টারনেট  

    Udaipur Tailor Killing: প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ হিন্দু দর্জির, উত্তাল রাজস্থান, বন্ধ ইন্টারনেট  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক হিন্দু দর্জি (Tailor) খুনের জেরে উত্তাল রাজস্থানের উদয়পুর (Udaipur)। বিজেপির (BJP) সাসপেন্ডেড মুখপাত্র নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ওই দর্জি। অভিযোগ, তার জেরেই দোকানে ঢুকে কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। গোটা খুনের পর্বটি ভিডিও করা হয়েছে। সেখানে হুমকিও দিতে শোনা গিয়েছে। অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ। অভিযুক্তদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদয়পুরের পুলিশ সুপার মনোজ কুমার। ঘটনার জেরে কংগ্রেস শাসিত এই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে প্রবল বিক্ষোভ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বর্বরোচিত এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র হাতে। 

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    জানা গিয়েছে, উদয়পুরের ধানমান্ডি এলাকায় কানাইয়ালাল নামের এক ব্যক্তি নূপুর শর্মার সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। তার জেরে খুন করা হয় তাঁকে। প্রথমে একটি খুনের ভিডিও করা হয়। পরে করা হয় আরও একটি ভিডিও। দুটোই ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।  দ্বিতীয় ভিডিওয় বলা হয় সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জন্য শিরশ্ছেদ করা হয়েছে লালের। ওই ভিডিওয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। গাউস মহম্মদ ও রিয়াজ আহমেদ নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টের জেরে গ্রেফতার করা হয়েছিল লালকে। পরে জামিনে ছাড়াও পান। তার পর থেকে তাঁকে লাগাতার ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলেও পুলিশকে জানিয়েছিলেন ওই হিন্দু দর্জি।

    আরও পড়ুন : নূপুর শর্মা বিতর্কে অশান্তি, ঝাড়খণ্ডে মৃত ২, তপ্ত বাংলা, ভূস্বর্গে জারি কার্ফু

    ঘটনার জেরে দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয় উদয়পুরেও। সেখানকার হাতিপোল এালাকায় দুটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ধানমান্ডি এলাকায় একটি মসজিদ লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট-পাটকেল। 

    নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের কড়া নিন্দা করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)। দোষীদের কড়া শাস্তির আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন শান্তি বজায় রাখার আবেদনও।বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে ২৪ ঘণ্টার জন্য গোটা রাজস্থানে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। আগামী একমাসের জন্য জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।

    গোটা ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি। রাজস্থানের বিজেপি নেতা গুলাব চাঁদ কাটারিয়া লেন, দোষীদের কড়া শাস্তি দিতে হবে। মৃতের পরিবারকে সাহায্য করতে হবে। হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও।

    এদিকে, খুনের ঘটনার তদন্তে চারজনের সিট গঠন করেছে রাজ্য সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে এনআইএর হাতেও। ঘটনার নেপথ্যে কোনও জিহাদি গোষ্ঠীর হাত রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এক ট্যুইট বার্তায় বলা হয়েছে, উদয় পুরের খুনের ঘটনার সঙ্গে কোনও সংস্থা কিংবা আন্তর্জাতিক কোনও গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। 

    [tw]


    [/tw]

     

     

  • Udaipur Killing: বাইকের নম্বর হবে ২৬/১১! বেশি টাকা দেয় উদয়পুরের হত্যাকারীরা  

    Udaipur Killing: বাইকের নম্বর হবে ২৬/১১! বেশি টাকা দেয় উদয়পুরের হত্যাকারীরা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদয়পুর (Udaipur) হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তের বাইকের নাম্বার ২৬/১১। এনআইএ (NIA)-এর তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে রয়েছে কি জঙ্গী যোগ? এনিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার (BJP Leader Nupur Sharma) সমর্থনে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট (Social Media Post) করায় উদয়পুরে এক দর্জিকে তাঁর দোকানের ভিতরে ঢুকে খুন করে দুজন। এখানেই শেষ নয়, নৃশংস এই ঘটনার ভিডিও তুলে ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। পালানোর সময় তাড়া করে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবার অভিযুক্ত মহম্মদ রিয়াজের বাইকের নাম্বার প্লেটের নাম্বারই চমকে দিল সবাইকে। অভিযুক্তের বাইকে নাম্বার হল ২৬/১১। যা দেখলেই মনে পড়ে যায় মুম্বই হামলার কথা।

    [tw]


    [/tw]

    সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, অভিযুক্ত মহম্মদ রিয়াজের বাইকের নাম্বার প্লেটের নাম্বার RJ 27 AS 26 11। এই নাম্বার দেখলেই টাটকা হয়ে ওঠে মুম্বই হামলার ১৪ বছর আগের স্মৃতি। তবে যে এই নাম্বার ক্রমান্বয়ে মহম্মদ রিয়াজ পেয়েছে তাও নয়, এই নাম্বার প্লেটের জন্য রীতিমতো টাকা খরচ করতে হয়েছে তাকে। নাম্বারটি রেজিস্ট্রেশনের জন্য দুই অভিযুক্ত রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিসে অতিরিক্ত পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছিল বলেও জানতে পেরেছেন এনআইএ তদন্তকারীরা৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারেরা জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সংশ্লিষ্ট বাইকের রেজিস্ট্রেশনের যাবতীয় নথি শীঘ্র্রই খতিয়ে দেখবেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: বিচার নয়, ফাঁসি চাই! উদয়পুর-হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের হয়ে দাঁড়াতে রাজি নয় আইনজীবীরা

    কেন এমন নাম্বার প্লেট বসাল রিয়াজ, প্রশ্ন উঠছে সকলের মনেই। তাহলে কি এর সঙ্গে মুম্বই হামলার কোনও যোগাযোগ রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে সামনে এসেছে, ২০১৩ সালে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে বাইকটি কিনেছিল ওই অভিযুক্ত। তদন্ত আরও গভীর হলে প্রকাশ্যে আসবে উদয়পুরের ঘটনায় দুই অভিযুক্তের সঙ্গে আদৌ মুম্বই-হামলার যোগ রয়েছে কি না ৷

  • Tamilnadu: আরএসএস নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে ছোঁড়া হল পেট্রোল বোমা, গত ২৪ ঘণ্টায় এটি তৃতীয় ঘটনা

    Tamilnadu: আরএসএস নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে ছোঁড়া হল পেট্রোল বোমা, গত ২৪ ঘণ্টায় এটি তৃতীয় ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তামিলনাড়ুতে (Tamilnadu) বোমা ছুঁড়ে হামলা করার অভিযোগ উঠে এল। গত ২৪ ঘণ্টায় এটি তিন নম্বর ঘটনা। এ বার আরএসএস নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ উঠল চেন্নাইয়ে। শনিবার সকালে আরএসএস নেতা সীতারামনের বাড়ি লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয় বলে অভিযোগ। পেট্রোল বোমা হামলার পরেই গোটা এলাকা জুড়ে ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের কাছে আরএসএস নেতা সীতারামনের বাসভবন, তাম্বারামে একটি পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল। ওই এলাকায় দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি সীতারামনের বাড়িতে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মারে। ফলে তাদের খুঁজে বের করার জন্য তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

    আরআরএস নেতা সীতারামন জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা ভোর ৪ টের দিকে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, “ভোর চারটার দিকে আমরা একটা বিকট শব্দ শুনতে পাই এবং বাইরে আগুন দেখতে পাই। আমরা এটাকে শর্ট সার্কিট বলে ভেবেছিলাম কিন্তু তা হয়নি। আমরা আগুন নেভাই এবং পুলিশকে ফোন করি। পুলিশরা অভিযুক্তের ফুটেজ পেয়েছেন।”

    গত কয়েকদিন ধরেই এমন হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে। কোয়েম্বাটোরের কোভাইপুদুরে এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল। এই ঘটনাতেও কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তিরা আরএসএস কর্মীর বাসভবনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছিল, যার পরে এই অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। যদি এই গঠনায় কোনও ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। আবার কেরালার কান্নুরেও আরএসএসের একটি অফিসে এমনই হামলা চালানো হয়েছিল। এই ঘটনায় দুই দুষ্কৃতি স্কুটারে করে এসে, অফিসে পৌঁছে জানালার কাঁচ ভেঙে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মারে। ফলে এই ঘটনারও তদন্ত চালানো হচ্ছে। এছাড়াও শুক্রবার ওই এলাকায় পুলিশ, পরিবহন বাস, দোকানের ওপর পাথর ছুঁড়ে হামলা করা হয়। ফলে এই ঘটনায় কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন ও বাসের জানালাগুলোর কাঁচগুলো পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে।

    বারবার দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে এই হামলা নিয়ে সরব হয়েছেন আরএসএস কর্মীরা। এই ঘটনাগুলোর পেছনে ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’-র (পিএফআই) ভূমিকা থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হয়েছে। সম্প্রতি এই সংগঠনের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল এনআইএ।

  • NIA:  জেএমবি জঙ্গি-যোগের খোঁজে ৩ রাজ্যে হানা এনআইএ-র

    NIA:  জেএমবি জঙ্গি-যোগের খোঁজে ৩ রাজ্যে হানা এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের তিন রাজ্যের ছ’ জায়গায় হানা দিলে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ এবং বিহারে হানা দেন তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সম্প্রতি বাংলাদেশের (Bangladesh) জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিনের (JMB) ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করে এনআইএ। সেই সূত্রেই ওই ছয় জায়গায় হানা দেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের ভোপালে চার জায়গায়, বিহারের কাটিহারে এবং উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরে একযোগে হানা দেন তদন্তকারীরা।

    জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার এক আধিকারিক জানান, জেএমবি-র ছয় সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। ভোপালের একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের। তিনি জানান, তারা জেএমবি-র আদর্শ প্রচার করছিল। ভারতে জিহাদি কাজকর্ম চালানোর জন্য তারা তরুণদের উৎসাহিতও করছিল। এদিনের তল্লাশিতে বেশ কিছু ডিজিটাল ডিভাইস, মোবাইল ফোন, সিমকার্ড এবং মেমরি কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে জিহাদি পুস্তিকাও। হদিশ মিলেছে ব্যাংক অ্যাকাউন্টেরও।  

    আরও পড়ুন : আইএস জঙ্গি মুসাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা এনআইএ আদালতের

    এদিকে, রাজ্যের সাম্প্রতিক অশন্তির ঘটনার নেপথ্যেও বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির যোগ রয়েছে বলে আশঙ্কা গোয়েন্দাদের। নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যকে ঘিরে দিন কয়েক আগে অশান্ত হয়ে ওঠে হাওড়া, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার বিভিন্ন জায়গা। হাওড়ার উলুবেড়িয়া, পাঁচলা এবং সলপে ব্যাপক অশান্তি হয়। গোয়েন্দাদের অনুমান, এই অশান্তির নেপথ্যে রয়েছে জেএমবি-র স্লিপার সেলের হাত।

    আরও পড়ুন : নেপথ্যে জঙ্গি-যোগ? পঞ্জাবে পুলিশের সদর দফতরে গ্রেনেড হামলার তদন্ত পেতে পারে এনআইএ

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এ রাজ্যে যখন সিএএ বিরোধী আন্দোলন হচ্ছিল, তখনও রাজ্যের যেসব জায়গায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছিল। সেবারও মূলত অশান্তি হয়েছিল হাওড়া, উলুবেড়িয়া সাবডিভিশন এবং মুর্শিদাবাদের একাংশে। তার পিছনেও জেএমবির স্লিপার সেলের হাত রয়েছে বলে অনুমান।

    সূত্রের খবর, মাসখানেক আগেও হাওড়া, উলুবেড়িয়া মহকুমার একাধিক জায়গায় জেএমবির প্রথম সারির কয়েকজন জঙ্গি নেতা রাত কাটিয়েছে। কেবল জেএমবি নয়, গোয়েন্দা সূত্রে খবর, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার যে সব জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি হয়েছে তার পিছনেও ছিল পড়শি বাংলাদেশের একাধিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেলের দীর্ঘ হাত।

     

LinkedIn
Share