Tag: Operation Sindoor

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরের ভয়! ৭২টি জঙ্গি লঞ্চপ্যাড সরিয়েছে পাকিস্তান, বলল বিএসএফ

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরের ভয়! ৭২টি জঙ্গি লঞ্চপ্যাড সরিয়েছে পাকিস্তান, বলল বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঁদুর অভিযানের পরে সীমান্ত থেকে জঙ্গি শিবির এবং লঞ্চপ্যাডগুলি সরিয়ে ফেলেছে পাকিস্তান। সম্প্রতি এ কথা জানাল বিএসএফ। অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর থেকে আরও সতর্ক হয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। জঙ্গি লঞ্চপ্যাডগুলি বন্ধ না করলেও বদলে দেওয়া হয়েছে তাদের ঠিকানা। এখন গভীর জঙ্গলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এই লঞ্চপ্যাডগুলি। এই তথ্য় দিয়েছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF)। তাই সরকার যদি নির্দেশ দেয়, প্রয়োজনে ‘সিঁদুর ২’ অভিযানের জন্যও প্রস্তুত রয়েছে বাহিনী। সিঁদুর অভিযানে সেনার ভূমিকারও প্রশংসা করেছে বিএসএফ। ৭-১০ মে যে ভাবে দেশের বাহিনী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে, তা অনবদ্য বলে জানান বিএসএফের এক শীর্ষ কর্তা।

    জঙ্গি-কারখানা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান

    বদলায়নি পাকিস্তানের জঙ্গি কারখানাগুলো। বর্তমানে পাকিস্তানে কমপক্ষে ৭২টি জঙ্গি লঞ্চপ্যাড সক্রিয় রয়েছে, যার মধ্যে শিয়ালকোট এবং জাফরওয়ালের কাছে ১২টি। সম্প্রতি এই তথ্য় দিয়েছে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী (বিএসএফ)। বিএসএফের তরফে বলা হয়েছে, জম্মু অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশ বন্ধ রাখতে বাহিনী সম্পূর্ণ সতর্ক রয়েছে। বিএসএফের ডিআইজি বিক্রম কুঁয়ার বলেন, ‘‘অপারেশন সিঁদুরের সময় বিএসএফ সীমান্তের ওপারে বহু জঙ্গিশিবির ধ্বংস করেছে। বেশ কয়েকটি লঞ্চপ্যাডও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হামলার মুখে পড়ে পাক সরকার জঙ্গি লঞ্চপ্যাডগুলি সীমান্ত এলাকা থেকে সরিয়ে ফেলেছে। সিয়ালকোট এবং জাফরওয়ালে ১২টি জঙ্গি লঞ্চপ্যাড রয়েছে। যেগুলি সীমান্ত থেকে অনেকটাই ভিতরে। সেগুলি এখনও সক্রিয়।’’

    কোথায়-কোথায় সক্রিয় জঙ্গিঘাঁটি

    তিনি আরও বলেন, ‘‘আজ পর্যন্ত, শিয়ালকোট ও জাফরওয়ালের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে প্রায় ১২টি লঞ্চপ্যাড কাজ করছে, যেগুলি ঠিক সীমান্তে আর নেই। অন্যদিকে ৬০টি লঞ্চপ্যাড নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে গভীরতা এলাকায় কাজ করছে। এই ক্যাম্পগুলি স্থায়ীভাবে এক জায়গায় থাকে না। এই লঞ্চপ্যাডগুলি সাধারণত ভারতে হামলা করার সময় সক্রিয় থাকে। তাদের দুই বা তিনটির বেশি দলে রাখা হয় না। বর্তমানে আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় কোনও প্রশিক্ষণ শিবির নেই।’’ ২০২৫ সালে বাহিনীর সাফল্যের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে অপারেশন সিঁদুরের প্রসঙ্গ টেনে আনেন বিএসএফের ডিআইজি। সাংবাদিক বৈঠকে ডিআইজি ছাড়াও ছিলেন জম্মু ফ্রন্টিয়ারের বিএসএফ আইজি শশাঙ্ক আনন্দ, ডিআইজি কুলবন্ত রাই শর্মা। বিএসএফ জানিয়েছে, জঙ্গি লঞ্চপ্যাডগুলির সংখ্যা অনবরত বদলাতে থাকে। তাদের কথায়, ‘‘এই লঞ্চপ্যাডগুলি কখনওই নিষ্ক্রিয় ভাবে থাকে না। যখনই ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানোর প্রয়োজন হয়, তখনই সেগুলি আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে। এক একটি লঞ্চপ্যাডে জঙ্গিদের দুই থেকে তিনটি দল থাকে।’’

    সুযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ

    ডিআইজি কুঁয়ারের দাবি, অপারেশন সিঁদুরের পর আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে এখন কোনও জঙ্গি শিবির নেই। ডিআইজি জানিয়েছেন, আগে জইশ জঙ্গিগোষ্ঠীর লঞ্চপ্যাডগুলি ছিল নিচু এলাকায়। আর লশকরের লঞ্চপ্যাডগুলি ছিল উপরের দিকে। কিন্তু অপারেশন সিঁদুরের পর সেগুলি সব ওলটপালট হয়ে গিয়েছে। এখন আর আলাদা ভাবে জঙ্গি প্রশিক্ষণের জন্য শিবির নেই। দুই গোষ্ঠীর জঙ্গিরা একসঙ্গে ওই লঞ্চপ্যাডগুলিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এর পরই ডিআইজি বলেন, ‘‘বিএসএফ যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত। সুযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।’’

    অপারেশন সিঁদুর ২.০

    অপারেশন সিঁদুর ২.০-এর ক্ষেত্রে বাহিনীর প্রস্তুতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জম্মু সীমান্তের বিএসএফের ইন্সপেক্টর জেনারেল শশাঙ্ক আনন্দ বলেন, ‘‘সরকার যদি সীমান্তে অভিযান পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে বাহিনী তার নির্দেশ মেনে চলতে প্রস্তুত। আমরা যদি ১৯৬৫, ১৯৭১, ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধ, অথবা অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে কথা বলি, তাহলে বিএসএফের সকল ধরনের যুদ্ধের ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে, তা সে প্রচলিত বা হাইব্রিড যুদ্ধই হোক না কেন। যদি আমরা সুযোগ পাই, আমরা মে মাসে যা করেছি তার চেয়ে বেশি ক্ষতি করতে সক্ষম। সরকার যে নীতিই সিদ্ধান্ত করুক না কেন, বিএসএফ এতে তার ভূমিকা পালন করবে।’’ আইজি আরও বলেন যে, ‘‘অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানি রেঞ্জার্স, যারা তাদের পোস্ট ছেড়ে চলে গিয়েছিল, তারা আবার ফিরে এসেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে, পোস্টগুলিতে ফিরে আসা বাধ্যতামূলক। বিএসএফের দ্বারা সৃষ্ট ক্ষত কাটিয়ে উঠতে তাদের অনেক সময় লেগেছে। কিছু জায়গায়, তারা তাদের প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার চেষ্টা করেছে। তবে তাদের সমস্ত কার্যকলাপ আমাদের নজরদারিতে রয়েছে।’’

  • Rafale Jets: রাফাল নিয়ে অপপ্রচার চিনের! এআই ছবি-ভুয়ো ভিডিও ব্যবহার বেজিংয়ের, দাবি মার্কিন রিপোর্টে

    Rafale Jets: রাফাল নিয়ে অপপ্রচার চিনের! এআই ছবি-ভুয়ো ভিডিও ব্যবহার বেজিংয়ের, দাবি মার্কিন রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে নিজেদের স্বার্থে ভুয়ো প্রচার চালিয়েছিল চিন। বিস্ফোরক রিপোর্ট প্রকাশ করে দাবি আমেরিকার। আমেরিকা-চিন অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা পর্যালোচনা কমিশনের পেশ করা রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে, এআই ব্যবহার করে এবং ভুয়ো সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলিকে কাজে লাগিয়ে রাফালে ধ্বংসের খবর ছড়িয়েছিল চিন। সঙ্গী হয় পাকিস্তানও। কিন্তু আমেরিকার রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, রাফাল নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালিয়েছে চিন। প্রাথমিকভাবে বেজিংয়ের উদ্দেশ্য ছিল, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রাফালের জনপ্রিয়তা কমিয়ে বিকল্প হিসেবে নতুন প্রযুক্তির চিনা জে-৩৫ যুদ্ধবিমানকে তুলে ধরা। তাই অপারেশন সিঁদুরের সময়টাকেই হাতিয়ার করে চিন।

    কেন অপপ্রচার চালায় চিন

    চলতি বছর মে মাসে অপারেশন সিঁদুর চলাকালীনই রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে অপপ্রচার শুরু করে চিন। ভারত-পাক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পাকিস্তান দাবি করেছিল, ভারতীয় বায়ুসেনার অন্তত ৩টি রাফাল যুদ্ধবিমান নামিয়েছে তারা। শুরুতে পাকিস্তানের সেই দাবি নিয়ে ভারত মুখ খোলেনি। এবার জানা গেল, ভারতীয় বায়ুসেনার গর্ব রাফাল যুদ্ধবিমানের সুনাম নষ্ট করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় জঘন্য ষড়যন্ত্র করেছে চিন। সম্প্রতি ‘আমেরিকা-চিন ইকোনমিক অ্যান্ড সিকিওরিটি রিভিউ কমিশন’-এর এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নিজেদের পঞ্চম প্রজন্মের জে-৩৫ যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়াতে মরিয়া বেজিং, ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমানের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচার চালিয়েছে।

    ভুয়ো সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার

    রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের সময় থেকেই চিন এই ‘তথ্য যুদ্ধ’ শুরু করেছিল। এআই দিয়ে তৈরি ভাঙা রাফালের ছবি গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে ভুয়ো সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছে চিন, এমনটাই দাবি আমেরিকা-চিন অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা পর্যালোচনা কমিশনের পেশ করা রিপোর্টে। ভুয়ো ছবি দেখিয়ে দাবি করা হয়, পাকিস্তানের ব্যবহার করা জে-৩৫ যুদ্ধবিমানের সামনে টিকতে পারেনি ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমান। ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আসলে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতের সাফল্যকে খাটো করে এবং রাফালকে দুর্বল প্রমাণ করে ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলির কাছে নিজেদের যুদ্ধবিমান বেচতে চেয়েছিল শি জিনপিংয়ের দেশ। আমেরিকার রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বিনা উস্কানিতে পাকিস্তানের হামলার পরে ভারত যখন তার যোগ্য জবাব দিচ্ছিল, তখন নেপথ্যে থেকে পাকিস্তানের হয়ে এই ডিজিটাল যুদ্ধ চালায় চিন। এমনকি এই সুযোগে পাকিস্তানের কাছে ৪০টি জে-৩৫ বিমান বিক্রির প্রস্তাবও দেয় তারা।

    ফ্রান্সের সংস্থার দাবি

    চিনের এই হীন চক্রান্ত ফাঁস হতেই আন্তর্জাতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রাফাল প্রস্তুতকারী ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের কর্তারা বলছেন, অপারেশন সিঁদুরের পর বিভিন্ন দেশে গিয়ে রাফাল সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে চিন ও পাকিস্তান। ওই দেশগুলি যাতে রাফাল না কেনে সেটা নিশ্চিত করতে চাইছে ওই দুই দেশ। তাদের মূল উদ্দেশ্য, রাফাল যুদ্ধবিমানের ‘সুখ্যাতি’ নষ্ট করা। ফ্রান্সের শীর্ষকর্তারা দাবি করেছেন, রাফাল নিয়ে পাকিস্তানের দাবি সত্যি নয়। রাফাল নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ফ্রান্স দাবি করে, তাদের যুদ্ধবিমান নিখুঁত। রাফালের বিরুদ্ধে ভুয়ো প্রচার অভিযান চলছে এবং ফরাসি আধিকারিকেরা তার মোকাবিলার চেষ্টা করছেন, দাবি করেছিল সে দেশের সরকার। সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ফরাসি গোয়েন্দা সূত্র উল্লেখ করে একটি রিপোর্টে জানিয়েছিল, রাফাল যুদ্ধবিমানের বিক্রি কমানোর জন্য চিনের মদতে এই ধরনের প্রচার চলছে। এ বার মার্কিন রিপোর্টও একই দাবি জানাল। রাফাল নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ফ্রান্সের একটি চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। ভারত-পাক সংঘাতের পর সেই চুক্তি স্থগিত হয়ে যায়। রাফাল জেটের কার্যক্ষমতা নিয়ে সন্দিহান হয়ে ওঠে ইন্দোনেশিয়া সরকার। মার্কিন রিপোর্টে দাবি, এতেও চিনের হস্তক্ষেপ রয়েছে। পাকিস্তান চিনের তৈরি জে-৩৫ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। ২০২৫ সালের জুন মাসে পাকিস্তানের কাছে আরও ৪০টি জে-৩৫ যুদ্ধবিমান, কেজে-৫০০ বিমান এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে চিন। প্রায় একইসঙ্গে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দও বৃদ্ধি করেছে।

    দেশের ভিতরে অপপ্রচার

    বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন তুলেছেন, ভারতের ভিতরে কারা সেদিন চিনের এই মিথ্যা আখ্যানের পালে হাওয়া দিয়েছিল? কারা কয়টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে জানতে চেয়েছিল? তিনি কারও নাম করেননি, তবে তিনি যে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর কথাই বলতে চেয়েছেন, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। অপারেশন সিঁদুরে ভারতের কাছে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ব্রহ্মস মিসাইল, রাফাল যুদ্ধবিমানের মতো অস্ত্রের সামনে পাকিস্তানের হাল খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আর সেই পরিস্থিতিতে নিজেদের মুখ বাঁচাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যে এবং ভুয়ো দাবি করছিল পাকিস্তান। ইসলামাবাদ দাবি করছিল যে ভারতের নাকি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে। প্রমাণ হিসেবে দাবি করছিল যে “সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই দাবি ঘুরে বেড়াচ্ছে।” তারই মধ্যে এখন মার্কিন কংগ্রেসের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, রাফাল ধ্বংস করার যে দাবি করছিল পাকিস্তান, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও জাল ছিল। এর পিছনে চিনের একটি বড় ষড়যন্ত্র ছিল। মার্কিন কমিশন এটিকে চিনের ব্যাপক ‘গ্রে জোন কৌশল’-র অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছে, যেখানে সরাসরি সামরিক সংঘাত ছাড়াই ভূ-রাজনৈতিক সুবিধা অর্জন করা হয়।

  • Jammu Kashmir: ফের হামলার আশঙ্কা, জম্মু-কাশ্মীরে সজাগ সেনা, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের নয়া ষড়যন্ত্র!

    Jammu Kashmir: ফের হামলার আশঙ্কা, জম্মু-কাশ্মীরে সজাগ সেনা, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের নয়া ষড়যন্ত্র!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:পাকিস্তানে ভারতীয় সেনাবাহিনী সশস্ত্র অভিযান চালিয়েছে, ছ’মাসও হয়নি। এর মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) নতুন করে প্রত্যাঘাতের ছক কষছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, লস্কর ই-তৈবা (LeT)এবং জৈশ-ই-মহম্মদ (JeM) কাশ্মীরে হামলার পরিকল্পনা করছে। ইতিমধ্যে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি কাশ্মীরের সীমান্তের বাইরে রসদ সরবরাহ থেকে শুরু করে তথ্য সংগ্রহের কাজে গতি বাড়িয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ এড়িয়ে অনুপ্রবেশেরও চেষ্টা চলছে। তবে সীমান্তে সদা সতর্ক ভারতীয় সেনা। জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা প্রতিহত করছে তারাই।

    ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, লস্কর জঙ্গিদের একটি গোষ্ঠী কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালিয়েছে। কোন কোন অংশে নিরাপত্তাবাহিনীর নজরদারি দুর্বল, তা চিহ্নিত করেছে। এ ছাড়া, পাকিস্তানের স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের (এসএসজি) প্রাক্তন সেনা এবং কিছু জঙ্গিকে নিয়ে নতুন পাকিস্তানি সীমান্ত সক্রিয় গোষ্ঠী বর্ডার অ্যাকশন টিম (বিএটি) গঠন করা হয়েছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে তাদের মোতায়েন করা হয়েছে বলেও খবর। অক্টোবর মাসেই সেখানে একটি উচ্চ পর্যায়ের গোপন বৈঠক হয়ে গিয়েছে। সেখানে ছিলেন পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের আধিকারিকেরা। মনে করা হচ্ছে, অপারেশন সিঁদুরের প্রত্যাঘাতে কোনও বড়সড় হামলার পরিকল্পনা চলছে সীমান্তের ওপারে, যা ঠেকাতে অবিলম্বে উপত্যকায় আরও সক্রিয় হতে হবে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী এবং গোয়েন্দাদের।

    অনুপ্রবেশের চেষ্টা

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ২৬ জন হিন্দু পর্যটকের। সেই ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ করে নয়াদিল্লি। ৬ মে মধ্যরাতে পাক জঙ্গিঘাঁটিগুলি ধ্বংস করতে সে দেশে হামলা চালায় ভারতীয় সেনা। তারই নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’(Operation Sindoor)। তার পর দুই দেশের মধ্যে টানা চার দিন সংঘর্ষ চলেছে। এখন সংঘর্ষবিরতি থাকলেও দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে। অপারেশন সিঁদুরের পর কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের একাধিক গোপন পথ খুঁজে বের করেছিলেন গোয়েন্দারা। সেখানে নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাকিস্তানের স্পেশ্যাল সার্ভিসেস গ্রুপ (SSG) ও আইএসআইয়ের সহযোগিতায় একাধিক লস্কর ও জইশ ইউনিট লাইন অব কন্ট্রোল (LoC) পেরিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছে জম্মু-কাশ্মীরে।

    নিষ্ক্রিয় জঙ্গি সেলগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা

    গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, লস্করের একটি ইউনিটের নেতা পাকিস্তানের দিক থেকে ড্রোনের (Drone) মাধ্যমে এলওসির দুর্বল জায়গাগুলির ছবি জোগাড় করছে। এর মাধ্যমে ফিদায়েঁ হামলা বা অস্ত্র সরবরাহের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে বলেই আশঙ্কা নিরাপত্তা বাহিনীর। জঙ্গি ও প্রাক্তন সেনাদের নিয়ে গঠিত পাকিস্তানের বর্ডার অ্যাকশন টিম (BAT) আবারও মোতায়েন করা হয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK)। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, এই ইউনিটগুলিই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় সেনা ছাউনিতে হামলার চেষ্টা করতে পারে। সূত্রের খবর, অক্টোবরে পিওকে-তে জৈশ, হিজবুল ও জামাত-ই-ইসলামি-সহ একাধিক সংগঠনের নেতারা আইএসআইয়ের (ISI) সঙ্গে বৈঠক করে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, নিষ্ক্রিয় জঙ্গি সেলগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে, পুরানো কমান্ডারদের মাসিক ভাতা দিতে হবে এবং ‘অপারেশন সিঁদুরে’ নিহতদের প্রতিশোধ নিতে নতুন হামলা চালানো হবে।

    ফের সক্রিয় মাদক চক্র

    লস্কর এখন কাশ্মীর উপত্যকায় স্থানীয় সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ পুনর্গঠন করছে। একই সঙ্গে মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানের মাধ্যমে অর্থের জোগানও বাড়ানো হচ্ছে – যেমনটি এ বছর পাঞ্জাব ও রাজস্থানে দেখা গিয়েছিল। এই অবস্থায়, জম্মু ও কাশ্মীরের আপাত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আবারও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় নির্বাচন ও পর্যটনের ফিরতি স্রোতকে ভারতের সাফল্য হিসেবে দেখা হলেও, নিরাপত্তা মহল সতর্ক করছে— আইএসআই সমর্থিত সন্ত্রাস নেটওয়ার্ক আবার সক্রিয় হয়ে সেই স্বাভাবিকতা নষ্ট করার চেষ্টা করছে।

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর সতর্কতা

    নতুন এই গোয়েন্দা রিপোর্টকে কেন্দ্রীয় সরকার ‘গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা’ হিসেবেই দেখছে। উত্তর কমান্ডের সমস্ত সেক্টরে সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই গোয়েন্দা তথ্য এমন সময়ে এসেছে যখন ভারত পশ্চিম সীমান্তে গুজরাট ও রাজস্থানে ‘ত্রিশূল’ যৌথ মহড়া পরিচালনা করছে। শীতকাল আসার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণত অনুপ্রবেশ কমে যায়, কিন্তু বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন— পাকিস্তানের এই নতুন তৎপরতা হয়তো এক “দীর্ঘ শীতকালীন সন্ত্রাসের” সূচনা হতে পারে, যা ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে। সূত্রের খবর, প্রয়োজনে ‘অপারেশন সিঁদুরে’র দ্বিতীয় ধাপও শুরু হতে পারে। পাকিস্তান সীমান্তে সন্ত্রাসের মদত অব্যাহত রাখলে ভারত যে কঠোর পদক্ষেপ করবে, তা আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

  • India Israel Defence Deal: ১ লক্ষ ৩৩ হাজার কোটি টাকা! ‘বন্ধু’ ইজরায়েলের সঙ্গে বিরাট প্রতিরক্ষা চুক্তি ভারতের

    India Israel Defence Deal: ১ লক্ষ ৩৩ হাজার কোটি টাকা! ‘বন্ধু’ ইজরায়েলের সঙ্গে বিরাট প্রতিরক্ষা চুক্তি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান-সৌদির মধ্যে সামরিক সমঝোতার মাস খানেকের মধ্যেই ‘বন্ধু’ ইজরায়েলের (India Israel Friendship) সঙ্গে বিশাল বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি সেরে ফেলল ভারত (India Israel Defence Deal)। মঙ্গলবার তেল আভিভে অনুষ্ঠিত ১৭তম জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। তাতে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি, যৌথ গবেষণা, সাইবার সুরক্ষা এবং সামরিক উৎপাদনের ক্ষেত্রকে আরও জোরদার করার অঙ্গীকার করা হয়েছে। চুক্তির মূল্য প্রায় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ লক্ষ ৩৩ হাজার কোটি)। ভারত ইতিমধ্যেই ইসরায়েলের কাছ থেকে উন্নত নজরদারি ব্যবস্থা, ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি এবং ড্রোন সংক্রান্ত সহায়তা পেয়েছে। এবার সেই সহযোগিতা আরও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেল।

    ৫ হাজার কোটি টাকার ‘র‍্যাম্পেজ’ চুক্তি!

    নতুন চুক্তির আওতায়, ভারত ইজরায়েল থেকে উন্নত অস্ত্র ব্যবস্থা আমদানি করার পাশাপাশি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের আওতায় এর প্রায় ৭০ শতাংশ যৌথভাবে তৈরি করবে। এই চুক্তিতে মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, দূরপাল্লার রকেট, ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ব্যবস্থা এবং উন্নত ট্যাঙ্ক সুরক্ষা প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই চুক্তির একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান হল ৫ হাজার কোটি টাকার ‘র‍্যাম্পেজ’ ক্ষেপণাস্ত্রের (Rampage Missile) চুক্তি, যা অপারেশন সিঁদুর-এর (Operation Sindoor) সময় পাকিস্তানের সুক্কুর বিমানঘাঁটি এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জইশ-ই-মহম্মদের সন্ত্রাসী শিবির ধ্বংস করার সময় নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করেছিল। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তি (India Israel Defence Deal) ভারত-ইজরায়েল প্রতিরক্ষা সহযোগিতার একটি নতুন পর্যায় চিহ্নিত করল, যা সরাসরি ভারতের আক্রমণ এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।

    ভারত-ইজরায়েল কৌশলগত বোঝাপড়া

    তেল আভিভের বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের যৌথ সচিব (প্রতিরক্ষা উৎপাদন), আর ইজরায়েলের তরফে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিভাগের প্রধান। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই নতুন চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশ প্রতিরক্ষা শিল্পে যৌথ উদ্যোগ, প্রযুক্তি ভাগাভাগি এবং প্রশিক্ষণ বিনিময়ের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছে (India Israel Defence Deal)। এতে বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে গবেষণা ও উন্নয়ন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার নিরাপত্তা, আধুনিক অস্ত্র প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। মন্ত্রকের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত ও ইজরায়েলের মধ্যে বিদ্যমান অংশীদারিত্ব ইতিমধ্যেই “গভীর বিশ্বাস ও কৌশলগত বোঝাপড়া”-র ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। উভয় দেশ সন্ত্রাসবাদ, সীমান্ত সুরক্ষা ও তথ্য নিরাপত্তার মতো অভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, ফলে এই সহযোগিতা দুই দেশের প্রতিরক্ষা নীতিকে আরও দৃঢ় করবে।

    কী বললেন ভারতের সেনাপ্রধান?

    ইজরায়েলের সঙ্গে এই চুক্তির প্রেক্ষিতে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী জোর দিয়ে বলেছেন যে, বিশ্বব্যাপী ভূ-রাজনৈতিক গতিশীলতা দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে বলে একই মনোভাবসম্পন্ন দেশগুলির মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর মতে, যে কোনও জাতি বিচ্ছিন্নভাবে নিরাপত্তা বজায় রাখতে পারে না, বিশেষ করে ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক বিপদের মুখে। ১৯৭১ সালের যুদ্ধ থেকে কার্গিল যুদ্ধ পর্যন্ত, ইজরায়েল ঐতিহাসিকভাবে কঠিন সময়ে ভারতকে সমর্থন করেছে (India Israel Friendship), পারস্পরিক বিশ্বাস এবং নিরাপত্তা উদ্বেগের উপর ভিত্তি করে সম্পর্ককে দৃঢ় করেছে।

    পাক-সৌদি বনাম ভারত-ইজরায়েল

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ইজরায়েলের প্রযুক্তিগত সুবিধা ভারতকে সত্যিকারের কৌশলগত সুবিধা প্রদান করতে সক্ষম হবে (India Israel Defence Deal)। অন্যদিকে, যেখানে পাকিস্তান ও সৌদি আরবের চুক্তিটি মূলত আর্থিক-সহায়তা কেন্দ্রিক। ইজরায়েল বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির ভরকেন্দ্র। সেখানে সৌদি আরব নিজে তার বেশিরভাগ অস্ত্র আমদানি করে থাকে। ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত-ইজরায়েলের এই সম্পর্ক ‘‘কৌশলগত নোঙ্গর’’, যা কঠিন সময়ে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রদান করেছে। তাঁরা জানান, এই চুক্তি শুধু প্রতিরক্ষা ক্রয় বা বিক্রির সীমায় সীমাবদ্ধ নয় — বরং এটি ভবিষ্যতের প্রযুক্তি ও স্বনির্ভর সামরিক উৎপাদনের পথ খুলে দেবে।

  • Draupadi Murmu on Rafale: সিঁদুর যোদ্ধা পাইলট শিবাঙ্গীর সঙ্গে ছবি, দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাফালে সওয়ারি দ্রৌপদী মুর্মুর

    Draupadi Murmu on Rafale: সিঁদুর যোদ্ধা পাইলট শিবাঙ্গীর সঙ্গে ছবি, দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাফালে সওয়ারি দ্রৌপদী মুর্মুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাফাল যুদ্ধবিমানে সওয়ার হলেন দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu on Rafale)। বুধবার হরিয়ানার অম্বালা বিমানঘাঁটি পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রপতি। সেখানে তাঁকে ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়া হয়। এরপরেই তিনি ভারতীয় বিমান বাহিনীর রাফাল যুদ্ধবিমানে একটি সর্টি উড়ানে অংশ নেন। সামরিক পোশাক পরেই রাফাল যুদ্ধবিমানে উঠতে দেখা যায় তাঁকে। রাফাল যুদ্ধবিমানের পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার শিবাঙ্গী সিং-এর সঙ্গে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন রাষ্ট্রপতি। গত মে মাসে অপারেশন সিঁদুরের সময় সমাজমাধ্যমে একটি খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। যেখানে দাবি করা হয়েছিল, পাকিস্তান এই পাইলট শিবঙ্গী সিংকে বন্দি করেছে। হাস্যকর সেই দাবি উড়িয়ে বুধবার সিঁদুর যোদ্ধা শিবঙ্গীর সঙ্গে ছবি তুললেন মুর্মু।

    রাষ্ট্রপতির ঐতিহাসিক উড়ান

    এর আগে ২০২৩ সালে ‘সুখোই ৩০ এমকেআই’ যুদ্ধবিমানে সওয়ার হয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি (Draupadi Murmu on Rafale)। হরিয়ানার অম্বালার বায়ু সেনাঘাঁটি থেকেই ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু হয়েছিল। বুধবার সেই বিমানঘাঁটিই পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেখান থেকে রাফাল যুদ্ধবিমান উড়িয়ে ইতিহাস তৈরি করলেন। এই বিশেষ অভিযানে বিমানঘাঁটিতে উপস্থিত ছিলেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং এবং অন্যান্য আধিকারিকরা। রাষ্ট্রপতির এই ঐতিহাসিক উড়ানকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর জন্য গর্ব এবং দেশের মহিলাদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখা হচ্ছে। সামরিক পোশাক এবং চোখে সানগ্লাস পরে রাফালের পাইলটের সঙ্গে ছবি তোলেন মুর্মু। তাঁর হাতে ধরা ছিল হেলমেট। এদিন, বেলা ১১টা ২৭ মিনিটে তাঁকে নিয়ে উড়ে যায় একটি রাফাল। বিমানের ভিতরে বসে হাত নেড়ে অভিবাদন জানাতে দেখা যায় রাষ্ট্রপতিকে।

    রাফাল ভারতের সামরিক সাফল্যের প্রতীক

    প্রসঙ্গত, পদাধিকারবলে রাষ্ট্রপতি ভারতের সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে অসমের তেজপুরের বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানে সওয়ার হয়েছিলেন মুর্মু। তার আগেই অবশ্য মুর্মুর দুই পূর্বসূরি এপিজে আবদুল কালাম এবং প্রতিভা পাটিল ওই যুদ্ধবিমানে সওয়ার হয়েছিলেন। ২০০৬ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি কালাম এবং ২০০৯ সালে প্রতিভা পাটিল যথাক্রমে পুণের লোহেগাঁও বিমানঘাঁটি থেকে সুখোই-৩০ এমকেআই বিমানে উড়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সেই ঐতিহ্যের আধুনিক অধ্যায় খুলে দিলেন রাফাল যুগে। রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতের সাম্প্রতিক সামরিক সাফল্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এপ্রিলের পহেলগাঁও-এ জঙ্গি হামলার পর চালানো ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ এই যুদ্ধবিমানের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন অভিযানে ভারতীয় সেনার দাপুটে ‘অপারেশন সিঁদুর’র পর থেকেই শিরোনামে উঠে এসেছে রাফাল। যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধুলিসাৎ হয়ে যায় জঙ্গিদের ঘাঁটি। পাকিস্তান এবং পাকঅধিকৃত কাশ্মীরে মোট নয় জায়গায় হামলা চালায় ভারত। মাত্র ২৫ মিনিটের হামলায় ভারত মূলত রাফাল যুদ্ধবিমানই ব্যবহার করেছে।

    প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাফালে

    উল্লেখ্য, প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাফালের যাত্রী হলেন মুর্মু (Draupadi Murmu on Rafale)। বিশ্বের প্রথম সারির অতি উন্নত যুদ্ধবিমান হিসাবে খ্যাতি রয়েছে রাফালের। এটির প্রস্তুতকারক সংস্থা ফ্রান্সের দাসো অ্যাভিয়েশন। ফ্রান্সের কাছ থেকে এর আগে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনেছিল ভারত। ২০১৬ সালের চুক্তিতে ভারতে আসা সেই যুদ্ধবিমানগুলি ব্যবহার করছে বায়ুসেনা। ২০২০ সালে রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতীয় বিমানবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তির পর অপারেশন সিঁদুর ছিল প্রথম বড় রাফাল-নেতৃত্বাধীন অভিযান। সম্প্রতি ৬৩ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ফ্রান্সের কাছ থেকে আরও ২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনতে চলেছে ভারত।

  • Turkey-Azerbaijan: মুখ ফিরিয়েছেন ভারতীয় পর্যটকরা! ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর বিরোধিতা করে বিরাট আর্থিক ক্ষতি তুরস্ক-আজারবাইজানের

    Turkey-Azerbaijan: মুখ ফিরিয়েছেন ভারতীয় পর্যটকরা! ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর বিরোধিতা করে বিরাট আর্থিক ক্ষতি তুরস্ক-আজারবাইজানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) নিয়ে ভারতের বিরোধিতা করে সরাসরি পাকিস্তানের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল তুরস্ক এবং আজারবাইজান (Turkey-Azerbaijan)। গত এপ্রিল-মে মাসে কাশ্মীরের পেহেলগাঁও জঙ্গি হামলা এবং পাল্টা প্রত্যাঘাত ইস্যুতে শত্রু রাষ্ট্র পাকিস্তান এবং তাদের মদতপুষ্ট জঙ্গিদের প্রকাশ্যে সমর্থন করেছিল এই দুই দেশ। প্রতিবাদ হিসেবে ভারতীয়রা সবরকম ভাবে বয়কট করেছে এই দুই দেশকে। যার ফলে পর্যটন ক্ষেত্রে ভারতীয় পর্যটকরা ভ্রমণক্ষেত্র হিসেবে বিরাট ধাক্কা দিয়েছে তুরস্ক এবং আজারবাইজানকে। আর্থিক ভাবে বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এই দুই মুসলিম রাষ্ট্র। একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সালের জুন থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত ৭০ শতাংশ ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা কমেছে পাকিস্তানের পরমমিত্র দুই দেশের।

    জঙ্গিদের পরোক্ষ মদত করেছিল (Turkey-Azerbaijan)!

    সম্প্রতি একটি সমীক্ষা করে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাতে জানা গিয়েছে, আজারবাইজানে (Turkey-Azerbaijan) ৭০ শতাংশ এবং তুর্কিতে ৩৮ শতাংশ ভারতীয়রা ভ্রমণ কমিয়ে দিয়েছেন। পেহেলগাঁও হামলার পর ভারতের সঙ্গে এই দুইদেশের কূটনৈতিক লড়াইতে ভারতীয়রা বিরাট ধাক্কা দিয়েছে। পাকিস্তানের ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের শাখা সংগঠন টিআরএফ-এর জঙ্গিরা অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে পেহেলগাঁওতে ২৬ জন ভারতীয়কে ধর্ম জিজ্ঞেস করে হত্যা করেছে। কলমা পড়ার ফতোয়া দিয়ে নবদম্পতিদের চিরতরে সিঁদুর মুছে দিয়েছিল পাক জঙ্গিরা। পাল্টা প্রত্যাঘাত হিসেবে ভারতীয় সেনা অপারেশন সিঁদুর করে পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে ৯টি বড় বড় জঙ্গিশিবির ধ্বংস করেছিল। পাকসেনা ছাউনি এবং জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরগুলিকে ধূলিসাৎ করে দেয়। পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে চুরমার করে দেওয়ায় বাধ্য হয়ে ভারতের ডিজিএমওকে যুদ্ধবিরতির জন্য আবেদন করে পাক সেনা। উল্লেখ্য যুদ্ধকালীন (Operation Sindoor) সময়ে তুরস্ক পাকিস্তানকে ড্রোন সরবরাহ করেছিল। একই ভাবে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে আজারবাইজান প্রকাশ্যে ‘অপারেশন সিঁদুর’-কে নিন্দা করেছিল। কূটনৈতিক ভাবে ইসলামাবাদকে সমর্থন করেছিল এই দুই দেশ।

    পাকিস্তান কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছিল

    ভারতের ক্ষতি চায় এমন জঙ্গি উৎপাদনকারী দেশকে সমর্থন করায় তুরস্ক আর আজারবাইজানের (Turkey-Azerbaijan) বিরুদ্ধে সামরিক এবং কূটনৈতিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য প্রত্যেক ভারতীয়দের মনে ক্ষোভের জন্ম দেয়। এখানেই শেষ ছিল না, পরবর্তী সময়ে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং সেনা প্রধান আসিম মুনির আঙ্কারা এবং বাকুতে গিয়ে তুরস্ক-আজারবাইজানের ব্যাপক প্রশংসা করেন। এরপর ভারতীয়দের আর কিছু বুঝতে বাকি ছিল না ভারতের জন্য এই দুই রাষ্ট্রের মনোভাব কী। ভারতের রাজপথে এবং সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে বয়কটের ডাক ওঠে দুই দেশের বিরুদ্ধে। সন্ত্রাসবাদকে (Operation Sindoor) যারা পূর্ণ সমর্থন করে তাদের দেশে যাওয়াকে নিষিদ্ধ করার অভিযান শুরু হয়। দেশবাসীরা তাই অভিযানে সামিল হন।

    পর্যটক সংখ্যার অনুপাতে কত কম?

    ভারতের নীতিকে বিরোধিতা করে পাকিস্তানকে সমর্থন করার পর কীভাবে পর্যটকদের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে আসুন এক নজরে দেখে নিই। আজারবাইজানে (Turkey-Azerbaijan) মোট ৭০ শতাংশ কমেছে ভারতীয় পর্যটক। ২০২৪ সালের জুন মাসে ভারতীয় পর্যটক ছিল ২৮ হাজার ৩১৫, জুলাই মাসে ছিল ২০ হাজার ১২৪, অগাস্ট মাসে ছিল ২১ হাজার ৩১৭। অপরদিকে ২০২৫ সালে এই পর্যটকদের সংখ্যা নেমে দাঁড়িয়েছে জুন মাসে ৯ হাজার ৯৩৪, জুলাই মাসে ৪ হাজার ৬৬৫ এবং অগাস্ট মাসে ৬ হাজার ০৩২। ২০২৪ সালে ছিল ৬৯ হাজার ৫৭৬ পর্যটক আর এবার হয়েছে ২০ হাজার ৬৩১ পর্যটক। মোট ক্ষতি ৪৯০০ পর্যটক।

    তুরস্কের ক্ষেত্রে ঘটেছে ২০২৪ সালের জুন মাসে পর্যটক ছিল ৩৮ হাজার ৩০৭, জুলাই মাসে ছিল ২৮ হাজার ৮৭৫, অগাস্ট মাসে ছিল ২৬ হাজার ৭৮১। এইবার ২০২৫ সালের জুন মাসে পর্যটক নেমে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ২৫০, জুলাই মাসে ১৬ হাজার ৮২৫ এবং অগাস্ট মাসে ১৭ হাজার ৬৪৯। ২০২৪ সালে মোট সংখ্যা ছিল ৯৩ হাজার ৯৬৩ জন আর এবারে ২০২৫ সালে দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ৫৪৪ জন।

    প্যাকেজ বাতিল করেছে একাধিক সংস্থা 

    তবে ভারত সরকার আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও বয়কটের ডাক না দিলেও ভ্রমের জন্য প্রথম সারির অ্যাপ যেমন মেক মাই ট্রিপ, ইজি মাই ট্রিপ-এর তরফে ভ্রমণের জন্য জনসাধারণকে উক্ত দুই দেশের সমস্ত প্যাকেজ বাতিল করেছিল। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে দেশের স্বার্থে ভারতীয়রা যে সব সময়ে এগিয়ে তা আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে।

  • S-400 Missiles: হতে পারে ১০০০০ কোটির চুক্তি! রাশিয়া থেকে বড় সংখ্যায় এস-৪০০ মিসাইল কেনার পথে ভারত?

    S-400 Missiles: হতে পারে ১০০০০ কোটির চুক্তি! রাশিয়া থেকে বড় সংখ্যায় এস-৪০০ মিসাইল কেনার পথে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের আকাশসীমাকে আরও দুর্ভেদ্য করতে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে মোদি সরকার। খবরে প্রকাশ, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও নিশ্ছিদ্র করতে রাশিয়া থেকে বিপুল সংখ্যায় এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের মিসাইল (S-400 Missiles) কিনতে উদ্যোগী ভারত। প্রায় ১০০০০ কোটি টাকার মূল্যের বিপুল ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি করতে মস্কোর সঙ্গে কথাবার্তা (India Russia Talk) ইতিমধ্যেই শুরু করেছে নয়াদিল্লি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করতেই এই পদক্ষেপ।

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ শক্তি-প্রদর্শন

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) সময়ই এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের কার্যকারিতা ও শক্তি প্রত্যক্ষ করেছিল গোটা বিশ্ব। ‘সুদর্শন চক্র’-র (ভারতে এই নামেই পরিচিত এস-৪০০) সামনে ফালাফালা হয়েছিল পাক ক্ষেপণাস্ত্র থেকে যুদ্ধবিমান। ৩০০ কিলোমিটারেরও বেশি রেঞ্জে ৫ থেকে ৬টি পাক যুদ্ধবিমান এবং একটি গোয়েন্দা বিমান ধ্বংস করে এই মিসাইল। এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র (S-400 Missiles) ব্যবস্থাকে ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ‘গেম চেঞ্জার’ হিসাবে বর্ণনা করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। যে কারণে, এয়ারফোর্স তার আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বড় সংখ্যায় এস-৪০০ কিনতে চাইছে।

    ২টি স্কোয়াড্রন আসছে ২০২৬-এ

    প্রসঙ্গত, ভারত ২০১৮ সালে রাশিয়ার সঙ্গে পাঁচটি এস-৪০০ (S-400 Missiles) স্কোয়াড্রন কেনার চুক্তি সাক্ষর করেছিল। এর মধ্যে তিনটি যথাসময়ে সরবরাহ করা হয়েছে, তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চতুর্থ ইউনিটের সরবরাহ বিলম্বিত হয়েছে। বাকি ২ স্কোয়াড্রনের জন্য ভারত জোর তদ্বির শুরু করে এবং সেই সময় মস্কোকে জানানো হয় যে, ভবিষ্যতে অতিরিক্ত স্কোয়াড্রনও কেনার সম্ভাবনা রয়েছে। রাশিয়া জানায়, প্রথম বরাতের বাকি দুটি ইউনিট ২০২৬ সালেই ভারতে পৌঁছে যাবে।

    পুতিনের সফরে চুক্তি সই?

    জানা গিয়েছে, আগামী ২৩ অক্টোবর প্রতিরক্ষা রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল (Defence Acquisition Council) বা প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ পরিষদের বৈঠক বসতে চলেছে। সেখানেই, বায়ুসেনার এই প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য পেশ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। হতে পারে, সেই সময় এই অতিরিক্ত স্কোয়াড্রন এবং বেশি করে ক্ষেপণাস্ত্র (S-400 Missiles) কেনার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হতে পারে। ক্ষেপণাস্ত্র কেনার পাশাপাশি, ভারত ও রাশিয়া নতুন এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল কেনার বিষয়েও আলোচনা করছে, যা ভারতের ‘বিয়ন্ড-ভিজ্যুয়াল-রেঞ্জ’ সক্ষমতা বাড়াবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ডিসেম্বরে ভারত সফরের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সময় এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।

  • PM Modi: দীপাবলি উপলক্ষে দেশবাসীর উদ্দেশে খোলা চিঠি প্রধানমন্ত্রীর, কী লিখলেন তিনি?

    PM Modi: দীপাবলি উপলক্ষে দেশবাসীর উদ্দেশে খোলা চিঠি প্রধানমন্ত্রীর, কী লিখলেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলি উপলক্ষে দেশবাসীর উদ্দেশে খোলা চিঠি (Deepawali Letter) লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এই চিঠিতে আধ্যাত্মিক ভাবনা ও দেশপ্রেমের অঙ্গীকার গাঁথা রয়েছে এক সূত্রে। প্রধানমন্ত্রীর লেখা চিঠিতে যেমন তুলে ধরা হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুরে’র প্রসঙ্গ, তেমনি উঠে এসেছে মাওবাদী দমনের প্রসঙ্গ এবং দেশিয় জিনিসপত্রের চাহিদার কথাও।

    শ্রীরামের শিক্ষা (PM Modi)

    শ্রীরামের ধর্ম (ন্যায়) ও বীরত্বের আদর্শ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে কীভাবে জাতীয় প্রতিরক্ষা ও সমষ্টিগত উন্নয়নের মাধ্যমে আধুনিক ভারত আজ সেই একই গুণাবলি ধারণ করছে, চিঠিতে তা-ও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের পর এটাই দ্বিতীয় দীপাবলি। শ্রীরাম আমাদের শিখিয়েছেন ন্যায়কে রক্ষা করতে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার সাহস জোগাতে।” তিনি বলেন, “কয়েক মাস আগে পরিচালিত সামরিক অভিযান ‘সিঁদুর’-এর মধ্যেও শ্রীরামের শিক্ষার এক জীবন্ত উদাহরণ আমরা দেখেছি। “অপারেশন সিঁদুরের সময় আমরা এর বাস্তব রূপ প্রত্যক্ষ করেছি।” চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা করেছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাহস ও নিখুঁত পরিকল্পনারও।

    অপারেশন সিঁদুর

    দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে নৃশংসভাবে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তারই প্রতিক্রিয়ায় পক্ষকাল পরে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। ওই সামরিক অভিযানে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি। ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনার যৌথ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ওই অভিযানে সীমান্তের ওপারে থাকা জঙ্গিঘাঁটিগুলি ধ্বংস করা হয়। খোলা চিঠিতে সেই অভিযানেরই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী একযোগে নৈতিক স্বচ্ছতা এবং জাতীয় শক্তির জোরালো বার্তাই দিলেন বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।

    প্রসঙ্গ: মাওবাদ

    দীপাবলি বার্তায় অভিযানটির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) একে ভারতের অন্যায় ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেন। এটি উৎসবের আধ্যাত্মিক ভাবনা, অর্থাৎ অসৎ-এর ওপর সৎ-এর জয়” ধারণার সঙ্গে গভীরভাবে সঙ্গতিপূর্ণ। তিনি বলেন, “এ বছরের দীপাবলি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই প্রথমবার এমন জেলাগুলিতে প্রদীপ জ্বালানো হবে, যেগুলো একসময় নকশালবাদ ও মাওবাদী সন্ত্রাসের জেরে ক্ষতিগ্রল্ত হয়েছিল।” তিনি বলেন, “এগুলো সেই জেলা যেখানে নকশালবাদ ও মাওবাদী সন্ত্রাসকে মূল থেকে সমূলে উপড়ে ফেলা হয়েছে।” হিংসা ছেড়ে সমাজের মূলধারার উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত হওয়া প্রাক্তন উগ্রপন্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধিকে একটি বড় জাতীয় সাফল্য হিসেবে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে (Deepawali Letter) আমরা দেখেছি বহু ব্যক্তি হিংসার পথ ছেড়ে উন্নয়নের মূলধারায় যুক্ত হচ্ছেন। তাঁরা আমাদের সংবিধানের প্রতি আস্থাও প্রকাশ করছেন।”

    অর্থনৈতিক অগ্রগতি

    ভারতের দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতির দিকটিও তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দেশটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার পথে এগোচ্ছে।” এই সাফল্যকে শুধু অর্থনৈতিক মাইলফলক হিসেবে নয়, বরং দেশ-গঠনের প্রতি আমাদের সম্মিলিত দায়িত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “একটি বিকশিত এবং আত্মনির্ভর ভারত (Aatmanirbhar Bharat) গঠনের এই যাত্রায় নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রধান দায়িত্ব হল, জাতির প্রতি আমাদের কর্তব্য সম্পূর্ণভাবে পালন করা।” তিনি সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সংস্কারেরও প্রশংসা করেন এবং উল্লেখ করেন কীভাবে নাগরিকরা কম করের সুবিধা পাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নবরাত্রির প্রথম দিনেই কম জিএসটি হার কার্যকর হয়েছে। এই জিএসটি বচত উৎসব (সঞ্চয় উৎসব)-এর সময় দেশের নাগরিকরা হাজার হাজার কোটি টাকা সঞ্চয় করছেন।”

    এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত

    প্রধানমন্ত্রীর এই চিঠিতে (PM Modi) সামাজিক শৃঙ্খলা ও জাতীয় ঐক্যের বার্তাও স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। দেশবাসীকে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন এমন এক মূল্যবোধ বজায় রাখতে, যা ভারতের ঐক্য ও স্বাস্থ্যকে দৃঢ় করে। তিনি লিখেছেন, “আসুন, এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত-এর চেতনা জাগ্রত করি আমরা। সব ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখি। নিজেদের স্বাস্থ্যের প্রতি অগ্রাধিকার দিই।” স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য একটি ব্যক্তিগত আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, “চলুন আমরা আমাদের খাবারে তেলের ব্যবহার ১০ শতাংশ কমাই এবং যোগকে জীবনের অংশ করি (Deepawali Letter)।” চিঠির শেষে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “দীপাবলি আমাদের শেখায় যে, যখন একটি প্রদীপ আর একটি প্রদীপ জ্বালায় তখন তার আলো কমে না, বরং আরও বেড়ে যায়। ঠিক সেই মনোভাবেই আসুন আমরা এই দীপাবলিতে আমাদের সমাজ ও পরিবেশে সম্প্রীতি, সহযোগিতা এবং ইতিবাচকতার প্রদীপ প্রজ্বলন করি (PM Modi)।”

  • Brahmos Missile Latest: ঘুম উড়বে পাকিস্তানের! ৮০০ কিমি পাল্লার ব্রহ্মস মিসাইলের পরীক্ষা চালাচ্ছে ভারত

    Brahmos Missile Latest: ঘুম উড়বে পাকিস্তানের! ৮০০ কিমি পাল্লার ব্রহ্মস মিসাইলের পরীক্ষা চালাচ্ছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আরও দূরে আঘাত হানতে পারবে ভারতের সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ব্রহ্মস (Brahmos Missile Latest)। পাকিস্তান সহ শত্রুদেশগুলির ঘুম উড়বে অচিরেই। ব্রহ্মস মিসাইলের নতুন সংস্করণ আসতে চলেছে। নতুন ব্রহ্মসের পাল্লা বাড়িয়ে ৮০০ কিলোমিটার করা হচ্ছে। যা এখন পরীক্ষাধীন রয়েছে। এই মিসাইলে একটি নতুন ইঞ্জিন থাকবে। সেই সঙ্গে আরও একাধিক ধরনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি আগামী ২০২৬-২৭ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত হয়ে যাবে। উল্লেখ্য পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের সীমাকে অতিক্রম করে মোট ৯টি জঙ্গি শিবিরে আঘাত হেনেছিল ভারত। সেই সময় দেশীয় ব্রহ্মস দারুণ কার্যকর আঘাত হেনেছিল। এবার এই  ক্ষেপণাস্ত্রকে আরও উন্নীত করা হচ্ছে।

    সুখোই-৩০ বিমান থেকে পাকিস্তানে হয়েছিল আক্রমণ (Brahmos Missile Latest)

    দুই বছরের মধ্যেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে চলে আসবে আরও উন্নত এবং আধুনিক ব্রহ্মস (Brahmos Missile Latest)। সেই সঙ্গে ২০০ কিমির বেশি পাল্লার ‘অস্ত্র’ ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন ২০২৬-২৭ থেকে শুরু হবে। বর্তমানে ব্রহ্মস ক্ষেপাস্ত্রগুলি ৪৫০ কিমি রেঞ্জের। খুব উচ্চগতি সম্পন্ন এবং দ্রুত লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত হানতে পারে এই ব্রহ্মস। কয়েকমাস আগে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) সময় সুখোই-৩০ বিমান থেকে পাকিস্তানে আক্রমণ করতে ব্যবহার হয়েছিল এই ব্রহ্মস। এবার এই মিসাইলের সফটওয়্যারকে আরও উন্নত করা হয়েছে। একইসঙ্গে, কিছু কিছু প্রযুক্তিগত উন্নতির জন্য গতিতে পরিবর্তন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রের স্থল ও নৌ সংস্করণটি প্রথমে তৈরি হবে। বায়ুসেনার জন্য এয়ার-লঞ্চ ক্ষেপনাস্ত্রটি প্রস্তুত হতে আরও কিছু সময় লাগবে।

    ১৬০ কিমি থেকে ২০০ কিমির বেশি

    ‘অস্ত্র মার্ক-২’ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বাড়িয়ে ১৬০ কিমি থেকে ২০০ কিমি করা হচ্ছে। ভারতীয় বিমান বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে ২৮০টির বেশি অস্ত্র মার্ক-১ ক্ষেপণাস্ত্রকে (Brahmos Missile Latest) যুক্ত করেছে। বর্তমানে এই মিসাইলগুলি ১০০ কিমি পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। ‘অস্ত্র মার্ক-২’ মিসাইলগুলির পরীক্ষা সফল হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে মিসাইলের উৎপাদন শুরু হতে পারে। ভারতীয় বায়ুসেনার সুখোই-৩০ এবং তেজস বিমানের জন্য ৭০০টি ‘অস্ত্র’ মার্ক-২ ক্ষেপনাস্ত্র কেনার পরিকল্পনা করা হেয়েছে। সেই সঙ্গে ৩৫০ কিমি পাল্লার মার্ক-৩ সংস্করণ নির্মাণের কাজ করছে যা আগামী বছর তিনেকের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে।

    অপারেশন সিঁদুর ট্রেলার ছিল

    দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গত ১৮ অক্টোবর আত্মনির্ভর ভারত মিশন প্রকল্পের প্রথম ব্যাচ ব্রহ্মস মিসাইলের উদ্বোধন করেছেন উত্তরপ্রদেশে। এখানে ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস প্রোডাকশন ইউনিটে তৈরি হবে জানিয়েছেন তিনি। একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে রাজনাথ সিং বলেছেন, “দেশ আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের প্রতিপক্ষরা আর কোনও ভাবেই ব্রহ্মসের আঘাত থেকে পালাতে পারবে না। অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) যা হেয়েছে তা কবেল মাত্র একটি ট্রেলার ছিল। সেই ট্রেলার বুঝেছে পাকিস্তান। ভারত যদি পাকিস্তানের জন্ম দিতে পারে তাহলে আগামীদিনে ভারত আর কী কী করতে পারে তাও বুঝে নেওয়া উচিত।” শুধু তাই নয় ভারতীয় অস্ত্রের গুরুত্ব এবং উৎপাদন ক্ষমতা ইতিমধ্যে বিশ্বের বাজারে বিরাট চাহিদা বৃদ্ধি করেছে। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা এবং আঘাতহানার ক্ষমতা কতটা মজবুত তাও গোটা বিশ্বের মানুষ বুঝতে সক্ষম হয়েছে। ব্রহ্মসের (Brahmos Missile Latest) আধুনিক ক্ষমতা আরও কতটা শক্তিশালী হবে তা খুব সহজেই অনুমেয়।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বিশেষ অনুদান

    বেসরকারি সংবাদ সংস্থার একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, ভারত-রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে ব্রহ্মোস অ্যারোস্পেসের চুক্তি ৫৮০০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে গিয়েছে। গত বছরের মার্চে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক নৌবাহিনীর জন্য ২২০ টির বেশি ব্রহ্মস ক্ষেপনাস্ত্র কেনার জন্য ১৯৫১৯ কোটি টাকার বৃহত্তম চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। সর্বশেষ ডেস্টায়ার এবং ফ্রিগেট সহপ্রায় ২০টি যুদ্ধজাহাজ ইতিমধ্যে এই অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। অপারেশন সিঁদুরের জন্য রাজনাথ সিং ভারতীয় বায়ু সেনার জন্য ১০৮০০ কোটি টাকায় ১১০টি এয়ার লঞ্চ করা ব্রহ্মস (Brahmos Missile Latest) ক্ষেপনাস্ত্রের জন্য অনুমোদন করেছে।

  • PM Modi on INS Vikrant: ‘পাকিস্তানের ঘুম উড়িয়েছিল আইএনএস বিক্রান্ত’, নৌসেনার সঙ্গে গোয়ায় দীপাবলি মোদির

    PM Modi on INS Vikrant: ‘পাকিস্তানের ঘুম উড়িয়েছিল আইএনএস বিক্রান্ত’, নৌসেনার সঙ্গে গোয়ায় দীপাবলি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় পাকিস্তানের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত।’ দীপাবলির সকালে গোয়ায় আইএনএস বিক্রান্তে (PM Modi on INS Vikrant) বসে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রতি বছরের মতো এ বছরও ভারতের সশস্ত্রবাহিনীর সঙ্গে দীপাবলি (Diwali 2025) পালন করছেন প্রধানমন্ত্রী। আত্মনির্ভর ভারতের অন্যতম গর্ব আইএনএস বিক্রান্তে দাঁড়িয়ে শত্রু পাকিস্তানকে আবারও মনে করিয়ে দিলেন, ভারতের এই যুদ্ধজাহাজ কীভাবে পাক বাহিনীর ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছিল। এখনও সমুদ্রের তরঙ্গের মাধ্যমে পাকিস্তানে আতঙ্ক ধরায় বিক্রান্ত, হুঙ্কার মোদির (PM Narendra Modi)।

    সশস্ত্র বাহিনীকে আত্মনির্ভরতার বার্তা

    প্রতি বছরই দীপাবলি ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) সঙ্গে কাটান প্রধানমন্ত্রী। এবার নৌবাহিনীর (Indian Navy) সঙ্গে কাটালেন। গোয়া ও কারওয়ার উপকূলে আইএনএস বিক্রান্ত-এ (INS Vikrant) রবিবার রাত্রিযাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার সেখান থেকেই দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেন। বিশেষ এই অনুষ্ঠানের জন্য সোমবার সকালে সেনার পোশাকেই দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। সঙ্গে ভারতের তিন সশস্ত্র বাহিনীকে আত্মনির্ভরতার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘‘আজ থেকে মাত্র কয়েক মাস আগে আইএনএস বিক্রান্ত-এর নাম শুনেই গোটা পাকিস্তানের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল।’’ ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) কথা মনে করিয়ে দিয়ে মোদি বলেন, ‘‘ভারতের তিন সশস্ত্রবাহিনীর সমন্বিত শক্তিই সে সময় পাকিস্তানকে নতজানু হতে বাধ্য করেছিল। ব্রহ্মস এবং আকাশের মতো ক্ষেপণাস্ত্রগুলিও অপারেশন সিঁদুরের সময় নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন করেছিল।’’

    বিক্রান্ত-এর নাম শুনে ভয়ে কাঁপে শত্রুরা

    প্রধানমন্ত্রীর কথায়, আইএনএস বিক্রান্ত যে দিন থেকে ভারতীয় নৌসেনার হাতে এসেছে, সে দিন থেকেই নতুন বল পেয়েছে তারা। শুধু তা-ই নয়, আত্মনির্ভর ভারত এবং মেড ইন ইন্ডিয়ার প্রতীকও হয়ে উঠেছে এই রণতরী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘মহাসাগরের বুক চিরে এগোনো স্বদেশি এই রণতরী ভারতীয় বাহিনীর শক্তির প্রতীক, যার নাম শুনেই শত্রুরা ভয়ে কাঁপে।’’ মোদি বলেন, ‘‘সেনার আত্মনির্ভর হওয়া প্রয়োজন। বীর জওয়ানেরাও এই দেশের মাটিতেই জন্মেছেন। যে দিন আমাদের সমস্ত অস্ত্র, যানও দেশের মাটিতে তৈরি হবে, তখনই সেনা আত্মনির্ভরতার দিকে এগিয়ে যাবে।’’ তবে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখন সশস্ত্রবাহিনীর বেশির ভাগ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ভারতেই তৈরি হয়। গত ১১ বছরে প্রতিরক্ষা খাতে উৎপাদন ৩০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। প্রতি ৪০ দিনে একটি করে যুদ্ধজাহাজ কিংবা সাবমেরিন ভারতীয় নৌসেনায় যোগদান করছে। মোদির দাবি, এই হারে চলতে থাকলে অচিরেই বিশ্বের শীর্ষ প্রতিরক্ষা রফতানিকারকদের অন্যতম হয়ে উঠবে ভারত।

    শক্তির প্রতীক আইএনএস বিক্রান্ত

    প্রসঙ্গত, ‘ব্রহ্মস’ও ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি দূরপাল্লার সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী সময়ে গত মে মাসে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নির্দিষ্ট কিছু জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে যে আক্রমণ চালিয়েছিল ভারত, তাতে নিজের ক্ষমতা দেখিয়েছিল ব্রহ্মস। আইএনএস বিক্রান্ত-এর বুকে দাঁড়িয়ে নৌসেনার সাহস ও শৃঙ্খলাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একদিকে সীমাহীন আকাশ, অন্যদিকে অন্তহীন সাগর – তার মাঝে দাঁড়িয়ে আমাদের শক্তির প্রতীক আইএনএস বিক্রান্ত।” মোদির সংযোজন, “এই রণতরীতে কাটানো সময় আমাকে শিখিয়েছে বাঁচার গুরুত্ব। তোমাদের নিষ্ঠা এত গভীর যে আমি তার সামান্যই অনুভব করতে পেরেছি। কিন্তু বুঝতে পেরেছি, প্রতিদিন এইভাবে দায়িত্ব পালন করা কতটা কঠিন।”

    গভীর সমুদ্রের নিস্তব্ধতা আর ভোরের সূর্যোদয়

    প্রধানমন্ত্রী জানান, গভীর সমুদ্রের নিস্তব্ধতা আর ভোরের সূর্যোদয়ের দৃশ্য এই বছরের দীপাবলিকে আরও স্মরণীয় করে তুলেছে তাঁর কাছে। নৌসেনার সদস্যদের দেশপ্রেমের সঙ্গীত ও সিঁদুর অভিযানের মঞ্চায়ন দেখে প্রধানমন্ত্রী এও বলেন, “যুদ্ধক্ষেত্রে একজন সৈনিকের মনের অবস্থা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আজ তোমাদের চোখে সেই জেদ, সেই গর্ব দেখলাম।” প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সফরকে কেন্দ্র করে নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে উৎসবের আবহ। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, দেশের প্রথম স্বদেশী রণতরীতে প্রধানমন্ত্রীকে দীপাবলিতে স্বাগত জানানো তাদের কাছে গর্বের বিষয়। দীপাবলি উপলক্ষে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিশেষ গান লিখে তা প্রধানমন্ত্রীকে শোনান আইএনএস বিক্রান্তের জওয়ানরা। সেই গান শুনে মুগ্ধ মোদি।

LinkedIn
Share