Tag: pakistan

pakistan

  • Pakistan: “এটি নতুন ভারত, যা কোনও আপস করে না”, লালকেল্লা থেকেই পাকিস্তানকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    Pakistan: “এটি নতুন ভারত, যা কোনও আপস করে না”, লালকেল্লা থেকেই পাকিস্তানকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে (Pakistan) সতর্ক করে বলেন যে ভারত আর পারমাণবিক হুমকির কাছে নতি স্বীকার করবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটি নতুন ভারত, যা কোনও আপস করে না। ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আর কোনওভাবেই পরমাণু হুমকি সহ্য করবে না। আমরা কোনও ধরনের ব্ল্যাকমেলের ফাঁদে পা দেব না।” শুক্রবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। পাকিস্তানকে সতর্ক করে তিনি জানান, ভারত এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে রক্ত ও জল একই সঙ্গে প্রবাহিত হবে না।

    রক্ত ও জল এক সঙ্গে প্রবাহিত হবে না (Pakistan)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রক্ত ও জল এক সঙ্গে প্রবাহিত হবে না। মানুষ এখন বুঝতে পেরেছে যে সিন্ধু জল চুক্তি অন্যায্য। সিন্ধু নদী ব্যবস্থা থেকে প্রবাহিত জল শত্রুর জমি সেচের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে, অথচ আমাদের দেশের কৃষকরা ভুগছেন। কেমন ধরনের চুক্তি এটি, যা গত সাত দশক ধরে আমাদের কৃষকদের এত বড় ক্ষতির কারণ হয়েছে?” প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে ভারতকে হুমকি দিয়েছিলেন। এদিন লালকেল্লার অনুষ্ঠান থেকে তাকে কার্যত ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী।

    ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীকে ব্ল্যাক চেক!

    শাহবাজ শরিফ মঙ্গলবার বলেন, “দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের প্রাপ্য এক ফোঁটা জলও ভারতকে ছিনিয়ে নিতে দেওয়া হবে না।” প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার একদিন পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়, যার মধ্যে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি (IWT) স্থগিত রাখাও অন্তর্ভুক্ত। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “ভারত জঙ্গি ও যারা তাদের সমর্থন করে, তাদের মধ্যে কোনও পার্থক্য করবে না এবং প্রতিবেশী দেশ থেকে ভবিষ্যতে কোনও ধরনের দুঃসাহসিক কর্মকাণ্ড ঘটলে তার শাস্তি কী হবে, তা ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীই ঠিক করবে (Pakistan)।”

  • Pak F-16: নীরব স্বীকারোক্তি? অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের এফ-১৬ ধ্বংস নিয়ে প্রশ্নে এড়ালো আমেরিকা

    Pak F-16: নীরব স্বীকারোক্তি? অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের এফ-১৬ ধ্বংস নিয়ে প্রশ্নে এড়ালো আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তান তাদের একটি এফ-১৬ (Pak F-16) যুদ্ধবিমান হারিয়েছে কিনা এই প্রশ্নে সম্পূর্ণ নীরব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত চলা ৮৮ ঘণ্টার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর তিন মাস কেটে গেলেও, এই প্রসঙ্গে মুখ খুলছে না ওয়াশিংটন। এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন বিদেশ দফতর সংক্ষিপ্ত উত্তর দেয়, “এ বিষয়ে যা বলার পাকিস্তান সরকারই বলতে পারবে।”

    আমেরিকার কাছে তথ্য রয়েছে

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের এফ-১৬ (Pak F-16) ব্যবহার নিয়ে কঠোর চুক্তি রয়েছে। যার অধীনে মার্কিন “টেকনিক্যাল সাপোর্ট টিম” সব সময় পাকিস্তানে থাকে। এই দল পাক এফ-১৬ (F-16) বিমানের অবস্থান, সংখ্যা এবং কার্যক্ষমতা সবসময় নজরদারিতে রাখে। এর ফলে আমেরিকার কাছে প্রতিটি বিমানের তথ্য থাকে। ২০১৯ সালে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পর ভারতের এফ-১৬ (F-16) ভূপাতিত করার দাবিকে আমেরিকা সরাসরি অস্বীকার করেছিল। তবে এবার, অপারেশন সিঁদুরের তিন মাস পর, এ নিয়ে ভারতের দাবিকে সরাসরি খন্ডন করেনি আমেরিকা।

    কেন কিছু বলছে না আমেরিকা

    সম্প্রতি, ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং এক বিবৃতিতে বলেন, “শাহবাজ জ্যাকোবাবাদ বিমানঘাঁটি ছিল আমাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু। ওখানে একটি এফ-১৬ (Pak F-16) হ্যাঙ্গার ছিল, যার অর্ধেক ধ্বংস হয়েছে। আমি নিশ্চিত, সেখানে কিছু বিমান থাকতেই পারে।” ভারতের বায়ুসেনা (IAF) দাবি করছে, এই যুদ্ধে তারা ছয়টি পাকিস্তানি বিমান গুলি করে নামিয়েছে — যার মধ্যে পাঁচটি যুদ্ধবিমান এবং একটি বড় ইলেকট্রনিক বিমান রয়েছে। পাকিস্তান অবশ্য এই দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেছে। তবে পেন্টাগন ও মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্রদের কাছে এই বিষয়ে প্রশ্ন পাঠানো হলেও কোনও জবাব মেলেনি। ফলে এখনও পর্যন্ত, অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তান আদৌ এফ-১৬ (F-16) হারিয়েছে কিনা — সেটি নিশ্চিত নয়। তবে, আমেরিকার কাছে সমস্ত তথ্য থাকার কথা, কিন্তু তারা এই নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলছে না। এ থেকে কূটনৈতিক মহলের অনুমান, পরোক্ষে চুপ থেকে ভারতের দাবিকে মৌন সম্মতি জানাচ্ছে ওয়াশিংটন।

  • Donald Trump: দুবার মার্কিন সফর মুনিরের! হঠাৎ পাক-প্রেমে মজেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, নেপথ্যে কোন অঙ্ক?

    Donald Trump: দুবার মার্কিন সফর মুনিরের! হঠাৎ পাক-প্রেমে মজেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, নেপথ্যে কোন অঙ্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সঙ্গে পাকিস্তানের গলাগলির সম্পর্ক ক্রমশ উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে নয়াদিল্লির। ক্রিপ্টো অংশীদারিত্ব ও তেল সরবরাহ থেকে শুরু করে বিরল খনিজ সহযোগিতা-সহ বিভিন্ন পদক্ষেপে এটা স্পষ্ট। এই পরিবর্তনটা এসেছে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক-সমর্থিত জঙ্গি হামলার জবাবে নয়াদিল্লির অপারেশন সিঁদুরের পর (Pakistan)।

    ট্রাম্পের দাবি (Donald Trump)

    ট্রাম্প স্বয়ং বারবার নিজেকে কৃতিত্ব দিয়েছেন দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তানের সম্ভাব্য সংঘাত প্রশমিত করার জন্য। তিনি পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্বের প্রশংসাও করেন। সমর্থন করেন পাকিস্তানের বাণিজ্য চুক্তিকেও। এই প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাকিস্তান অপরিশোধিত তেল আমদানি করবে। পাকিস্তান তার কূটনীতিকে সাধুবাদ জানালেও, ভারতের সমালোচকরা এর নেপথ্যে দেখছে কৌশলগত, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। এর মধ্যে রয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সি উদ্যোগ ও খনিজ সম্পদে প্রবেশাধিকার থেকে শুরু করে চিনা প্রভাব মোকাবিলা করা পর্যন্ত সব। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছু বিশ্লেষক মনে করেন, মার্কিন দেশের এই উৎসাহ তেলের চেয়েও বেশি বিরল খনিজ পাওয়ার প্রবেশাধিকারের বিষয়ে, যা মার্কিন অর্থনীতি ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবুও, এই সময় পাকিস্তানের জেনারেলদের প্রতি প্রকাশ্য প্রশংসা এবং সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এই দুয়ে মিলে ইঙ্গিত দেয় যে ট্রাম্পের নীতিগত পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ।

    পাকিস্তান পেতে চলেছে অপরিশোধিত তেলের চালান

    জানা গিয়েছে, পাকিস্তান এ বছরের শেষের দিকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাদের প্রথম অপরিশোধিত তেলের চালান পেতে চলেছে। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসলামাবাদের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণা করার পর, এই প্রথম হবে অপরিশোধিত তেলের ব্যবসা (Pakistan)। ইসলামাবাদকে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি, ওয়াশিংটন পাকিস্তানকে বৃহৎ তেল মজুদ উন্নয়নে সাহায্য করবে। আমেরিকা ও পাকিস্তানের এই চুক্তি একাধিক দফা আলোচনার ফল। এই আলোচনা শুরু হয়েছিল এপ্রিলে, যখন ট্রাম্প পাকিস্তানি আমদানির ওপর ২৯ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছিলেন। চুক্তির আওতায় পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় রিফাইনারি, সিনার্জিকো, আমেরিকান অপরিশোধিত তেল আমদানির জন্য ভিটল কোম্পানির সঙ্গে এক মিলিয়ন ব্যারেলের চুক্তি চূড়ান্ত করেছে। এটি পাকিস্তানের প্রথমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল কেনার ঘটনা। ভাইস চেয়ারম্যান উসামা কুরেশি দুই দেশের এই চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তেল পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় আমদানি পণ্য, যার মূল্য ১১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (Donald Trump)।

    ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ক্রিপ্টো চুক্তি

    গত এপ্রিলে ভারত–পাকিস্তান উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার সময় পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফাইন্যান্সিয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এটি একটি বিকেন্দ্রীভূত অর্থায়ন (ডি-ফাই) প্ল্যাটফর্ম, যার ৬০ শতাংশ মালিকানাই ট্রাম্পের পরিবারের। এই প্রতিষ্ঠান পাকিস্তান ক্রিপ্টো কাউন্সিলের সঙ্গে একটি প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর লক্ষ্য হল দেশের ব্লকচেইন প্রযুক্তির উন্নয়ন। উল্লেখ্য যে, এই পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছিল পহেলগাঁওয়ে যেদিন পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করেছিল ২৬ জন পর্যটককে, তার মাত্র পাঁচ দিন পরেই (Pakistan)। দ্য ডন  নামের সংবাদপত্র জানিয়েছে, ওয়ার্ল্ড লিবার্টির একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী এবং সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। সেখানে তারা পাকিস্তান জুড়ে ব্লকচেইন উদ্ভাবন, স্টেবলকয়েন গ্রহণ এবং বিকেন্দ্রীভূত অর্থায়ন একীকরণকে ত্বরান্বিত করতে ইন্টেন্ট লেটারে স্বাক্ষর করেছে। ডিটি মার্কস ডি-ফাই এলএলসি যুক্ত ট্রাম্প (Donald Trump) পরিবারের সঙ্গে। এটি ওয়ার্ল্ড লিবার্টির মূল প্রতিষ্ঠানের ৬০ শতাংশ শেয়ারের মালিক এবং নির্দিষ্ট ক্রিপ্টো রাজস্বের ৭৫ শতাংশ পাওয়ার দাবি করে। উল্লেখ্য যে, ট্রাম্প আছেন ‘চিফ ক্রিপ্টো অ্যাডভোকেট’ পদে, এরিক ও ডোনাল্ড জুনিয়র ‘ওয়েব৩ অ্যাম্বাসাডর’ এবং ব্যারন ট্রাম্প ‘ডি-ফাই ভিশনারি’ হিসেবে যুক্ত এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।

    আমেরিকার সঙ্গে দোস্তি

    আমেরিকার সঙ্গে দোস্তি বজায় রাখতে ইসলামাবাদ ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে। পাকিস্তানের বক্তব্য, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে তাঁর সিদ্ধান্তমূলক কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের কৃতিত্বের জন্যই এই পুরস্কার পাওয়া উচিত। আর ট্রাম্প স্বয়ং দাবি করেছেন, “আমার তো চার-পাঁচবার এটা পাওয়া উচিত ছিল। তারা আমাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেবে না। কারণ তারা কেবল এটা উদারপন্থীদেরই দেয়।” পহেলগাঁও হামলার পর যুদ্ধবিরতিতে তাঁর ভূমিকার দাবি প্রথম থেকেই প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। ট্রাম্প বলেছিলেন, “হ্যাঁ, আমিই যুদ্ধ থামিয়েছি। আমি পাকিস্তানকে ভালোবাসি। আমি মনে করি মোদি একজন অসাধারণ মানুষ। তবে আমিই পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ থামিয়েছি (Pakistan)।” ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, কিছু মার্কিন আধিকারিক আবার পাকিস্তানের অনাবিষ্কৃত বিরল খনিজ ভাণ্ডারের দিকে শ্যেন দৃষ্টি দিচ্ছেন, যা ইলেকট্রনিকস ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিন এই খনিজের প্রধান সরবরাহকারী। সেই চিনের সঙ্গে বেড়ে চলা উত্তেজনার জেরে ওয়াশিংটনের আগ্রহ বেড়েছে বিকল্প উৎসের প্রতি। মার্কিন আধিকারিকরা এপ্রিলে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান মিনারেলস ইনভেস্টমেন্ট ফোরামেও অংশ নিয়েছিলেন বলে খবর (Donald Trump)।

    পরিবহণ নেটওয়ার্ক নির্মাণে চিনের ভূমিকা

    চিন ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলকে দক্ষিণের গভীর সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যুক্ত করে ২ হাজার মাইল দীর্ঘ পরিবহণ নেটওয়ার্ক নির্মাণ করছে। তবে বালুচিস্তানে স্বাধীনতাকামীদের বিদ্রোহ এবং খাইবার পাখতুনখোয়ায় তালিবানদের তৎপরতা এসব প্রকল্পকে হুমকির মুখে ফেলেছে। সম্প্রতি বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা খনির ট্রাকে হামলা চালিয়ে সতর্ক করেছে যে, যে কেউ বালুচ জাতীয় সম্পদ লুটে জড়িত থাকবে, তাদেরই টার্গেট করা হবে। এদিকে, সোমবারই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (BLA) এবং এর সশস্ত্র শাখা সংগঠন মাজিদ ব্রিগেডকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণাটি ট্রাম্প প্রশাসনের ভাষায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। তার আগে অবশ্য সমস্ত রীতি ভেঙে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে মধ্যহ্নভোজ সারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, কিছু মার্কিন আধিকারিক পাকিস্তানের অপ্রচলিত রেয়ার আর্থ খনিজ ভান্ডারের দিকে নজর দিচ্ছেন, যা ইলেকট্রনিক্স ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Donald Trump)।

    মুনিরের আমেরিকা সফর

    এদিকে, মার্কিন কংগ্রেসের এক প্যানেলের সাক্ষ্যে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল মাইকেল কুরিলা পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে এক অসাধারণ অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি জানান, তারা মার্কিন স্বার্থে হামলা চালানো জঙ্গিদের প্রত্যর্পণে সদিচ্ছা দেখিয়েছে। কুরিলা ভূয়সী প্রশংসা করেন পাক সেনাপ্রধান মুনিরের, যিনি ২০২১ সালের কাবুল বিমানবন্দর হামলার মূল পরিকল্পনাকারী মোহাম্মদ শরিফুল্লাহকে গ্রেফতার করে প্রত্যর্পণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ওই হামলায় ১৩ জন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছিল (Pakistan)। মাত্র দু’মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের জন্য মুনির আমেরিকা সফর করেন। কিন্তু মুনিরের এই সফর পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকদের প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে। তারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণতন্ত্র দমন করার অভিযোগ এনেছেন। ওয়াশিংটন ও নিউইয়র্কের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভকারীরা মুনিরকে “স্বৈরাচারী” ও “প্রতারক” আখ্যা দেন (Donald Trump)।

    সমালোচনা সত্ত্বেও ট্রাম্প প্রশাসন পাক সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখে চলেছে। সমালোচকদের মতে, অসামরিক নেতৃত্বকে উপেক্ষা করে আমেরিকার সরাসরি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর প্রভাব আরও শক্তিশালী করছে (Pakistan)।

  • Pakistan: “আসিম মুনির হলেন স্যুট পরা ওসামা বিন লাদেন,” তোপ প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার

    Pakistan: “আসিম মুনির হলেন স্যুট পরা ওসামা বিন লাদেন,” তোপ প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আসিম মুনির (Asim Munir) হলেন স্যুট পরা ওসামা বিন লাদেন।” পাক (Pakistan) সেনাপ্রধান সম্পর্কে এমনই মন্তব্য করলেন প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তা মাইকেল রুবিন। তিনি বলেন, “ইসলামাবাদ যুদ্ধোন্মাদ আচরণের মাধ্যমে একটি জঙ্গি রাষ্ট্রের মতো আচরণ করছে।” রুবিন পাকিস্তানের কার্যত সামরিক শাসক মুনিরকে ৯/১১ হামলার মূল হোতা ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, “মুনিরের সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলি বিশ্বের কাছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর বক্তব্যের মতো শোনাচ্ছে।”

    বিতর্কের সূত্রপাত (Pakistan)

    বিতর্কের সূত্রপাত মুনিরের একটি বক্তব্যকে ঘিরে। সোমবারই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ট্যাম্পায় পাকিস্তানের কনসাল আদনান আসাদ আয়োজিত ব্ল্যাক-টাই ডিনারে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মুনির বলেছিলেন, “আমরা একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। যদি আমরা মনে করি আমরা ডুবে যাচ্ছি, তাহলে আমরা বিশ্বের অর্ধেককে আমাদের সঙ্গে নিয়ে ডুবব।” ভারত মুনিরের পারমাণবিক যুদ্ধের এই হুমকির আনুষ্ঠানিকভাবে নিন্দে করেছে। বিদেশমন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “পারমাণবিক অস্ত্রের ঝনঝনানি পাকিস্তানের চিরাচরিত কৌশল এবং দুঃখের বিষয় হল এ ধরনের মন্তব্য একটি বন্ধুত্বপূর্ণ তৃতীয় দেশের মাটি থেকে করা হয়েছে (Asim Munir)।”

    মুনিরকে ধুয়ে দিলেন রুবিন

    কেবল ভারত নয়, মুনিরকে ধুয়ে দিয়েছেন রুবিনও। তিনি বলেন, “আমেরিকানরা সন্ত্রাসবাদকে ক্ষোভের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে। তারা অনেক জঙ্গির আদর্শগত ভিত্তি বোঝে না।” এর পরেই তিনি বলেন, “আসিম মুনির হলেন স্যুট পরা ওসামা বিন লাদেন (Pakistan)।” প্রাক্তন মার্কিন আধিকারিক রুবিনের ইঙ্গিত, পাকিস্তানের পারমাণবিক হুমকি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে পারে। তাঁর যুক্তি, পাকিস্তান ঐতিহ্যগত কূটনৈতিক বিরোধের তুলনায় মৌলিকভাবে এক ভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করছে। রুবিন বলেন, “মুনিরের বক্তব্য অনেকের মনেই প্রশ্ন তুলছে, তাহলে কি পাকিস্তান একটি রাষ্ট্র হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম?” তিনি বলেন, “একজন ফিল্ড মার্শালের কথাবার্তা আমাদের ইসলামিক স্টেটের কাছ থেকে শোনা বক্তব্যের মতো শোনাচ্ছে।”

    রুবিনের প্রস্তাব

    রুবিনের প্রস্তাব, আন্তর্জাতিক (Asim Munir) সম্প্রদায়ের উচিত পাকিস্তানকে তার ভাষায় পরিকল্পিত পতনের মধ্যে দিয়ে যেতে দেওয়া, যার মধ্যে বালুচিস্তানের মতো বিচ্ছিন্ন অঞ্চলগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়াও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। তিনি এমনকি ভবিষ্যতে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার সুরক্ষার জন্য সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনাও উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, “সময় প্রায় এসে গিয়েছে যখন ভবিষ্যতের কোনও প্রশাসনকে অন্য এসইএএল টিম পাঠিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে তার পারমাণবিক অস্ত্র সুরক্ষিত করতে হবে। কারণ বিকল্পটি এতটাই ভয়াবহ যে সেটি সহ্য করার মতো নয়।”

    পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত

    রুবিনের মতে, এমন (Pakistan) কোনও কারণ নেই যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে একটি প্রধান অ-ন্যাটো মিত্র হিসেবে বিবেচনা করবে। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের হওয়া উচিত প্রথম প্রধান অ-ন্যাটো মিত্র, যাকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হবে এবং তার আর যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের সদস্য থাকা উচিত নয়।” কঠোর কূটনৈতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে রুবিন বলেন, “আসিম মুনিরকে আমেরিকার উচিত অবাঞ্ছিত ব্যক্তি ঘোষণা করা এবং যেন কখনওই তিনি আমেরিকান ভিসা না পান। একই সঙ্গে কোনও পাকিস্তানি কর্মকর্তাও নয়, যতক্ষণ না পাকিস্তান নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে এবং মুনিরের এহেন বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চায় (Asim Munir)।”

    ওসামা বিন লাদেনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে

    রুবিন বলেন, “আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের এহেন হুমকি মেনে নেওয়া যায় না। ইসালামাবাদের এই হুমকি বিশ্বের সামনে গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এই দেশ কি আদৌ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করবে অথবা শেষ সময় চলে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।” তিনি বলেন, “পাকিস্তানি (Pakistan) ফিল্ড মার্সালের উসকানিমূলক ধমক ওসামা বিন লাদেনের মুখের কথাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। আমেরিকা সন্ত্রাসবাদকে দেখে অভাব-বঞ্চনার চশমা চোখে। তারা বোঝে না বহু জঙ্গির মনে আদর্শগত আক্রোশ চোরা স্রোতের মতো ঘুরে বেড়ায়।”

    ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন

    মার্কিন ভূখণ্ডে দাঁড়িয়ে মুনিরের এহেন মন্তব্যের পরেও ট্রাম্প কোনও পদক্ষেপ না করায় ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পেন্টাগনের এই প্রাক্তন কর্তা। তিনি বলেন, “আসিম মুনির যখন এই মন্তব্য করেছিলেন, তার আধ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে টাম্পা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে গিয়ে আমেরিকা থেকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো উচিত ছিল।” একই সঙ্গে ভারতের বক্তব্যকে সমর্থন করে (Asim Munir) পেন্টাগনের এই প্রাক্তন আধিকারিক বলেন, “পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ঘোষণা করা হোক (Pakistan)।”

  • US: স্বাধীনতাকামী বালুচ গোষ্ঠী বিএলএ-কে বিদেশি জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা ট্রাম্প প্রশাসনের

    US: স্বাধীনতাকামী বালুচ গোষ্ঠী বিএলএ-কে বিদেশি জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা ট্রাম্প প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াল আমেরিকা (US)। স্বাধীনতাকামী বালুচ গোষ্ঠী বালুচিস্তান (Balochistan) লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)-কে বিদেশি জঙ্গি সংগঠন বলে ঘোষণা করে দিল ট্রাম্প প্রশাসন। বিএলএ-র সহযোগী মজিদ ব্রিগেডকেও জঙ্গিগোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে মার্কিন প্রশাসন। সোমবারই এক বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো এ কথা জানিয়েছেন। ২০১৯ সালেই বিএলএকে ‘স্পেশাল ডেজিগনেটেড গ্লোবাল টেরটিস্ট’ বলে দেগে দিয়েছিল আমেরিকা। মাত্র দু’মাসের ব্যবধানে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির দ্বিতীয়বার আমেরিকা সফরে যাওয়ার পরেই এই বিবৃতি দেওয়া হল মার্কিন প্রশাসনের তরফে।

    স্বাধীনতাকামী বালুচ বিদ্রোহী (US)

    বালুচিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে ধারাবাহিকভাবে পাকিস্তানি সেনা ও নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চালিয়ে যাচ্ছে স্বাধীনতাকামী বালুচ বিদ্রোহীরা। গত মঙ্গলবার রাতেও বালুচিস্তানের নৌশকি জেলায় বিএলএর বিদ্রোহীদের হামলায় নিহত হন এক মেজর-সহ তিন পাক সেনা। তার আগে গত মে মাসে বালুচ বিদ্রোহীদের হামলায় ১৪ জন পাক সেনাকর্মীর মৃত্যু হয়। সাম্প্রতিক এই ঘটনাগুলির জেরে নাকানিচোবানি খাচ্ছিল পাক সরকার ও পাক সেনাপ্রধান। এই আবহেই বালুচ স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের ঘোষণা করা হল জঙ্গি গোষ্ঠী হিসেবে।

    জঙ্গিগোষ্ঠীর তালিকায় ঢুকল বিএল

    সোমবার বিবৃতি জারি করে বিএলএ এবং তার শাখা সংগঠন মজিদ ব্রিগেডকে বিদেশি জঙ্গিগোষ্ঠীর তালিকায় ঢুকিয়ে দিল আমেরিকা। বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশ দফতরের দাবি, ২০১৯ সাল থেকে বিএলএ এবং মজিদ ব্রিগেডে বিভিন্ন হামলার দায় স্বীকার করেছে। ২০২৪ সালে করাচি বিমানবন্দর এবং গ্বদর বন্দরের কাছে আত্মঘাতী হামলার দায়ও স্বীকার করেছে বিএলও। গত মার্চ মাসে জাফর এক্সপ্রেস অপহরণের কথাও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে মার্কিন বিদেশ দফতর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ওই ট্রেন (US) অপহরণের ঘটনায় সাধারণ মানুষ এবং সেনাকর্মী-সহ ৩১ জন নিহত হন।

    ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্ত ইসলামাবাদের স্বঘোষিত সন্ত্রাসবিরোধী কর্মসূচির সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই ঘোষণা করা হল এমন একটা সময়ে যখন পাকিস্তান প্রতিবেশী দেশ ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে যে তারা বিএলএ কর্মীদের আশ্রয় দিচ্ছে, যা তেহরান (ইরানের রাজধানী) প্রায়ই অস্বীকার করে। তবে এই সহযোগিতা এমন একটা প্রেক্ষাপটে হচ্ছে যেখানে পাকিস্তান নিজেই বালুচিস্তানে (Balochistan) কঠোর দমননীতির অভিযোগের মুখে যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী নির্বিচারে শক্তি প্রয়োগ করে স্থানীয়দের প্রতিরোধ দমন করছে, অসামরিক জনগণকে টার্গেট করছে এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করছে (US)।

  • India-Pakistan: বন্ধ জল-গ্যাস-সংবাদপত্র! ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাস কর্মীদের হেনস্তা

    India-Pakistan: বন্ধ জল-গ্যাস-সংবাদপত্র! ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাস কর্মীদের হেনস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পর থেকেই ইসলামাবাদে চূড়ান্ত হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে ভারতীয় কূটনীতিকদের! এর ফলে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন চরম আকার ধারণ করেছে। ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসের (India-Pakistan) কর্মীদের জল, রান্নার গ্যাসের পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁদের দৈনিক সংবাদপত্র দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। এর ফলে ভারতীয় কূটনীতিকরা তাঁদের দৈনন্দিন জীবনযাপনে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। দূতাবাস কর্মীদের উপর এরকম অমানবিক আচরণের তীব্র নিন্দা করেছে ভারত।

    ভিয়েনা চুক্তি লঙ্ঘন

    সূত্রের খবর, পাকিস্তানে ভারতীয় হাইকমিশন এবং ভারতীয় কূটনীতিকদের বাসভবনে সংবাদপত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর জবাবে ভারতও দিল্লিতে অবস্থিত পাকিস্তানি কূটনীতিকদের জন্য একই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এছাড়াও জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে ভারতীয় কূটনীতিকদের উপর নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাঁদের বাসভবন ও অফিসে বিনা অনুমতিতে প্রবেশেরও অভিযোগ উঠেছে। প্রসঙ্গত, এই ধরনের কার্যকলাপ ‘ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্স’(Vienna Convention on Diplomatic Relations)-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন, যা কূটনৈতিক কর্মীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করে। উল্লেখ্য, এই ধরনের হয়রানির ঘটনা এর আগেও দেখা গেছে। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার প্রত্যুত্তরে ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরেও পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ একই ধরনের কৌশল গ্রহণ করেছিল।

    নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বন্ধ

    একটি সরকারি সূত্রে জানিয়েছে, পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতের দূতাবাস কর্মীদের হেনস্তার পরিকল্পনা করেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। যাতে করে তাঁদের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রা এবং কাজ ব্যাহত হয়। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সুই নর্দার্ন গ্যাস পাইপলাইনস লিমিটেডের (এসএনজিপিএল) গ্যাস পাইপলাইন রয়েছে দূতাবাসে। ইচ্ছাকৃতভাবে সেই সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতারা, যাঁরা ইতিপূর্বে জ্বালানি সরবরাহ করতেন, তাঁদেরও পাক কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছে—তাঁরা যেন ভারতীয় কর্মীদের কাছে গ্যাস বিক্রি না করেন। এই অবস্থায় খোলা বাজার থেকে বেশি দাম দিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার কিনছেন দূতবাস কর্মীরা। জানা গিয়েছে, একই ভাবে পানীয় জল সরবরাহকারী ভেন্ডারের মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁর যেন ভারতীয় দূতাবাসে পানীয় জল সরবরাহ না করেন। এর ফলে চরম বিপদে পড়েছেন দূতাবাস কর্মীরা। যেহেতু পৌরসভার জল ফিল্টার না করে খাওয়া বিপজ্জনক, তাই সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। একইভাবে সংবাদপত্র ব্যবসায়ীদেরও দূতাবাস কর্মীদের কাছে সংবাদপত্র বিলি করতে বারণ করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ভারতীয় দূতাবাস যাতে স্থানীয় সংবাদ সম্পর্কে অবগত না হতে পারে, সেই ব্যবস্থাই করা হয়েছে কৌশলে।

    অমানবিক আচরণ

    আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতে মিসাইল হামলার হুমকি দিয়েছেন পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির। তার পরে ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। এ বার ভারতীয় হাই কমিশনের কূটনীতিকদের গ্যাস, পানীয় জল, সংবাদপত্রের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় এবং অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী দেওয়া বন্ধ করে দিল শেহবাজ শরিফের সরকার। দিও বিদেশ মন্ত্রক এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে, পাকিস্তানের এই আচরণ ক্রমশ ভঙ্গুর ভারত-পাক সম্পর্কের জন্য বিপজ্জনক।

  • Operation Sindoor: আর কত নিচে নামবে পাকিস্তান! ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই-কমিশনে সরবরাহ বন্ধ জল-গ্যাস এবং সংবাদপত্রের

    Operation Sindoor: আর কত নিচে নামবে পাকিস্তান! ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই-কমিশনে সরবরাহ বন্ধ জল-গ্যাস এবং সংবাদপত্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে এঁটে উঠতে না পেরে এবার পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের ওপর ‘প্রতিশোধ’ (Operation Sindoor) নিতে শুরু করেছে পাকিস্তান। যার জেরে ফের একবার বিশ্বের দরবারে মুখ পুড়ল ইসলামাবাদের (Pakistan)। শুধু তাই নয়, এর ফলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে গিয়েছে। প্রবীণ সরকারি আধিকারিকদের মতে, এই পদক্ষেপ ইচ্ছাকৃত, পরিকল্পিত এবং ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন।

    অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)

    ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া অপারেশন সিঁদুর। সেই অভিযানে কার্যত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল খায় পাক সেনাবাহিনী। পরে পাল্টা প্রতিশোধ নিতে শুরু করে তারা। যদিও ভারতের কাছে পরাস্ত হয়ে শেষমেশ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠায় ভারতের কাছে। তাতে সাড়া দেয় ভারত।

    বন্ধ গ্যস, জল এবং খবরের কাগজ

    পাকিস্তানে ভারতীয় হাই কমিশন প্রাঙ্গনে গ্যাস পাইপলাইন বসিয়েছে সুই নর্দার্ন গ্যাস পাইপলাইন্স লিমিটেড। এতদিন তারাই গ্যাস সরবরাহ করছিল ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের বাড়ি এবং তাঁদের অফিসে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই গ্যাস সরবরাহ। এর ফলে ভারতীয় কূটনীতিক ও তাঁদের পরিবারকে বাধ্য হয়ে খোলাবাজারে চড়া দরে সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে। নিতান্তই তা সম্ভব না হলে ব্যবস্থা করতে হচ্ছে বিকল্প জ্বালানির।

    কেবল জ্বালানি নয়, বন্ধ (Operation Sindoor) করে দেওয়া হয়েছে জল সরবরাহও। ইসলামাবাদের সব বিক্রেতাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন ভারতীয় হাই কমশনকে মিনারেল ওয়াটার সরবরাহ না করেন (Pakistan)। এই ফতোয়ার জেরে ঘোর বিপাকে পড়েছেন ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীরা। পানীয় জলের পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সংবাদপত্র বিক্রিও। তথ্য প্রবাহ সীমিত করতেই ভারতীয় দূতাবাস ও তাদের কর্মীদের বাড়িতে কোনও প্রকাশনা সংস্থাই যেন খবরের কাগজ কিংবা ম্যাগাজিন বিক্রি না করে, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, পাকিস্তানের এই সব নির্দেশ ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্সের বিরোধী। এই ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্স ভারতীয় দূতাবাসগুলির নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ কার্যকলাপ নিশ্চিত করে (Operation Sindoor)।

  • Attacks on Hindu: ২০২১ থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ৩,৫৮২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে, পিছিয়ে নেই পাকিস্তানও!

    Attacks on Hindu: ২০২১ থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ৩,৫৮২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে, পিছিয়ে নেই পাকিস্তানও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ২০২১ সাল থেকে মোট ৩,৫৮২টি হিংসার ঘটনা ঘটেছে বলে জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও ৩৩৪টি গুরুতর হামলার ঘটনা সরকারিভাবে উত্থাপন করা হয়েছে ইসলামাবাদের কাছে। এই তথ্য রাজ্যসভায় জানিয়েছেন ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং। তিনি জানান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান-সহ প্রতিবেশী দেশগুলিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন, সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলি ভারত সরকার নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে এবং যথাযথ ভাবে কূটনৈতিক স্তরে উত্থাপন করে।

    পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ

    পাকিস্তান সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “২০২১ সাল থেকে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অন্তত ৩৩৪টি গুরুতর হামলার ঘটনা ঘটেছে। মোদি সরকারের তরফে পাক সরকারকে তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের জন্য এবং সাম্প্রদায়িক হিংসা ও ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে।” ভারত রাষ্ট্রসংঘ মানবাধিকার পরিষদে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের প্রতি নির্যাতনের বিষয়টি নিয়মিত উত্থাপন করে আসছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ, পাকিস্তানে এসব হামলা ‘অঘোষিত সরকারি মদতে’ হচ্ছে এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারছে না।

    বাংলাদেশে ৩,৫৮২টি হামলার ঘটনা

    এদিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (Human Rights Watch) জানিয়েছে, বাংলাদেশে নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো প্রতিশ্রুত মানবাধিকার সংস্কার বাস্তবায়নে পিছিয়ে আছে। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের পতনের পর গত এক বছরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গ্রেফতার, নিরাপত্তা বাহিনীর জবাবদিহির অভাব এবং সংখ্যালঘুদের উপর সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি রংপুর জেলায় একদল দাঙ্গাবাজ হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্তত ১৪টি বাড়ি ভাঙচুর করে। চট্টগ্রাম হিল ট্র্যাক্টস এলাকায়ও সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চলছে বলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, যদিও ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন ও রাষ্ট্রসঙ্ঘের ‘বাধ্যতামূলক গুম’ সংক্রান্ত চুক্তি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদন করেছে, তবে নিরাপত্তা বাহিনীর বাধার কারণে বিচারপ্রক্রিয়া ধীরগতিতে চলছে। প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, “প্রতিটি দেশের সরকারের উপরই তাদের সকল নাগরিকের – সংখ্যালঘুদেরও – জীবন, স্বাধীনতা ও অধিকার রক্ষার দায়িত্ব রয়েছে। ভারত এই বিষয়টি স্পষ্টভাবে জানিয়ে এসেছে।”

  • Asim Munir: মার্কিন-ভূমে দাঁড়িয়ে ভারতকে ফের পরমাণু বোমার হুমকি মুনিরের! নেপথ্যে ট্রাম্পের ইন্ধন?

    Asim Munir: মার্কিন-ভূমে দাঁড়িয়ে ভারতকে ফের পরমাণু বোমার হুমকি মুনিরের! নেপথ্যে ট্রাম্পের ইন্ধন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন-ভূম থেকে পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির (Asim Munir) পারমাণবিক হামলার হুমকি দিলেন ভারতকে। এর পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, মার্কিন ভূমে দাঁড়িয়ে ভারতকে সরাসরি হুমকি কী করে দিচ্ছেন মুনির? ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এর নেপথ্যে নিশ্চয়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইন্ধন রয়েছে, নয়তো, এত দুঃসাহস মুনিরের হত না।

    ঠিক কী বলেছেন মুনির?

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্যাম্পায় পাকিস্তানের কনসাল আদনান আসাদ আয়োজিত ব্ল্যাক-টাই ডিনারে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মুনির বলেন, “আমরা একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। যদি আমরা মনে করি আমরা ডুবে যাচ্ছি, তাহলে আমরা বিশ্বের অর্ধেককে আমাদের সঙ্গে নিয়ে ডুবব।” তিনি আরও বলেন, “আমরা শুরু করব ভারতের পূর্ব দিক থেকে, যেখানে তাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ রয়েছে, তারপর পশ্চিম দিকে এগোব (Asim Munir)।” সিন্ধু জল চুক্তির প্রসঙ্গে মুনির বলেন, “এই চুক্তি স্থগিত করে ভারত ২৫ কোটি মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। আমরা অপেক্ষা করব ভারতের বাঁধ নির্মাণ করা পর্যন্ত। যখন তারা এটা করবে তখন ১০টি মিসাইল দিয়ে তা ধ্বংস করে দেব।” তিনি বলেন, “সিন্ধু নদ ভারতীয়দের পারিবারিক সম্পত্তি নয়। আমাদের মিসাইলের কোনও অভাব নেই (Asim Munir)।”

    ভারত-মার্কিন বাণিজ্য জটকে হাতিয়ার

    এর পরেই ভারত ও পাকিস্তান প্রসঙ্গে (Inflammatory Nuke Speech) মুনির একটি মার্সিডিজ গাড়ি এবং নুড়ি-পাথর ভর্তি ট্রাকের উদাহরণ দেন। তিনি বলেন, “পরিস্থিতি বোঝাতে আমি একটি সরল উদাহরণ ব্যবহার করছি। ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, যা হাইওয়েতে ছুটছে, আর আমরা নুড়ি-পাথরে ভর্তি একটি ডাম্প ট্রাক। যদি ট্রাকটি গাড়িটিকে ধাক্কা দেয়, তবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কে?”  ভারত-আমেরিকার মধ্যে বর্তমান বাণিজ্যিক উত্তেজনার প্রসঙ্গও তোলেন মুনির। ট্রাম্পের অধীনে ওয়াশিংটনের সঙ্গে নয়াদিল্লির বর্তমান বাণিজ্য উত্তেজনাকে নিশানা করে তাঁর কটাক্ষ, পাকিস্তানের উচিত প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির ভারসাম্য রক্ষায় মাস্টারক্লাস অফার করা। মুনির বলেন, “আমাদের সাফল্যের আসল কারণ হল আমরা কৃপণ নই। কেউ ভালো কাজ করলে আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁকে স্বীকৃতি দিই। এই কারণেই আমরা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছি।”

    মুনিরের বক্তব্য ওড়ালেন বিশেষজ্ঞরা

    মুনিরের উসকানিমূলক ভাষণে কী বললেন সেটা নয়, বরং কোথায় দাঁড়িয়ে মুনির কথাগুলি বললেন, সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। মুনিরের এই বক্তব্যকে আসলে আমেরিকার তরফে একটি পরোক্ষ হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রাক্তন রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র’)-এর প্রধান বিক্রম সুদ। তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তানকে বোঝাতে মুনির যে উদাহরণ দিয়েছেন – ভারতকে মার্সিডিজ-বেঞ্জ এবং পাকিস্তানকে কাঁকরবাহী ট্রাকের সঙ্গে তুলনা—তা যথার্থ।  এক্স হ্যান্ডেলে বিক্রম বলেন, এক অর্থে, মার্কিন ভূমিতে মুনিরের ঘোরাঘুরি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পরোক্ষ হুমকি। এটিকেই সেইভাবে দেখা উচিত। মার্সিডিজ আর ডাম্প ট্রাকের উদাহরণটি সঠিক—শুধু পার্থক্য হল, ডাম্প ট্রাকে এক কণা নুড়িও নেই (Inflammatory Nuke Speech)।” মুনিরের বক্তব্য খারিজ করে দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল পিকে সেহগলও। তিনি বলেন, “পারমাণবিক অস্ত্র হল প্রতিরোধের অস্ত্র এবং সেগুলি কখনওই ব্যবহার করা যাবে না।”

    কেন আমেরিকার ভূমিকে বাছলেন মুনির?

    প্রশ্ন হল, কেন মুনির ভারতকে হুমকি দিলেন মার্কিন ভূখণ্ড থেকে? মুনিরের আমেরিকাকে তাঁর উসকানিমূলক মন্তব্যের মঞ্চ হিসেবে বেছে নেওয়ার পরিকল্পনার নেপথ্য কারণ হল ট্রাম্পের আমলে পাক-মার্কিন সম্পর্কের সাম্প্রতিক উন্নতি। তাই আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে মুনিরের (Asim Munir) এই হুমকি মোটেই বিস্ময়ের নয়। আয়ুব থেকে জিয়া এবং মোশাররফ থেকে মুনির—প্রত্যেকেই ভেবেছিলেন আমেরিকানরাই তাঁদের প্রকৃত বন্ধু। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁরা হচ্ছেন আদতে দাবার বোড়ে। তাই মুনিরের পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি দেওয়ার মূল কারণ হল ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুরে’ পাকিস্তানের পারমাণবিক ভয় দেখানোর কৌশল ভেঙে দেওয়া।

    উগ্রপন্থীদের আশ্বস্ত করার প্রয়াস মাত্র!

    মুনিরের হুমকি ছিল ভারতের সাহসী সামরিক অভিযানের জবাব, যেখানে ‘অপারেশন সিন্দুরে’ পাক ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি শিবিরগুলিকে টার্গেট করা হয়েছিল। এমনকি প্রতীকী বার্তা হিসেবে কাইরানা পাহাড়েও আঘাত হানা হয়, যা দেশটির পারমাণবিক অস্ত্রের (Asim Munir) ভান্ডার হিসেবে পরিচিত।ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মুনিরের এই সব মন্তব্য পাকিস্তানের উগ্রপন্থীদের আশ্বস্ত করার উদ্দেশ্যেও করা হয়েছে, বিশেষত যখন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে একের পর প্রশ্নবাণে বিদ্ধ মুনিরের নেতৃত্ব।

    প্রসঙ্গত, এর আগে গত জুন মাসে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে আমেরিকায় গিয়েছিলেন মুনির। সেবার ট্রাম্পের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজও সেরেছিলেন তিনি। সেই প্রথম কোনও সরকারি আধিকারিক ছাড়াই পাক সেনাপ্রধানকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন কোনও প্রেসিডেন্ট। সেই সময় ভারত-পাক (Inflammatory Nuke Speech) উত্তেজনা প্রশমনেও মুনিরের ভূমিকার প্রশংসা করেছিলেন ট্রাম্প। তার পরেই পরমাণু যুদ্ধ রোখার জন্য ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব দেন পাক সেনাপ্রধান (Asim Munir)।

  • Asim Munir: “ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, পাকিস্তান একটি ডাম্প ট্রাক”, অদ্ভূত তুলনায় হাসির খোরাক হলেন আসিম মুনির

    Asim Munir: “ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, পাকিস্তান একটি ডাম্প ট্রাক”, অদ্ভূত তুলনায় হাসির খোরাক হলেন আসিম মুনির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির (Asim Munir) সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমন এক তুলনা টেনেছেন, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে প্রবল ট্রোল ও সমালোচনা। ঘটনার সূত্রপাত হয় পাক সেনাপ্রধানের এক বক্তব্য ঘিরে। আসিম মুনির বলেন, “আমি একটি রূঢ় উপমা দিয়ে বোঝাতে চাইছি। ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, যা হাইওয়েতে ছুটছে ফেরারির মতো। আর আমরা একটি ডাম্প ট্রাক, যা ভর্তি কাঁকর-নুড়িপাথর দিয়ে। এখন যদি এই ট্রাক গিয়ে মার্সিডিজকে ধাক্কা দেয়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত কে হবে?” এই বক্তব্যে মুনির বোঝাতে চেয়েছিলেন, পাকিস্তান হয়তো মার্সিডিজের মতো ঝকঝকে নয়, কিন্তু একটি ডাম্প ট্রাকের মতো ভারি ও ধাক্কা দিতে সক্ষম। তবে তাঁর এই উপমা ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে আসে।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল

    এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকার হন মুনির। এক নেটিজেন বলেন, “এই তুলনায় আসলে পাকিস্তানকেই তিনি ‘ডাম্প ট্রাক’ বলে স্বীকার করেছেন, যা একধরনের আত্ম-অপমান।” একজন ব্যবহারকারী লেখেন, “মুনিরের বক্তব্যে একমাত্র সত্য হলো, ভারত একটি মার্সিডিজ, আর পাকিস্তান একটি ডাম্প ট্রাক। বাকিটা কল্পনা।” আরেকজন লিখেছেন, “অন্তত পাকিস্তান নিজেদের বাস্তবতা জানে… তারা ডাম্প ট্রাক ছাড়া অন্য কিছুই নয়। ব্যর্থ মার্শাল স্বীকার করলেন যে তারা কতটা করুণ অবস্থায় আছেন।” কেউ আবার এআই জেনারেটেড ছবি দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছেন, মার্সিডিজ ও ডাম্প ট্রাকের সংঘর্ষে কী হতে পারে। একজন মজা করে লেখেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম এটা মজা। পরে বুঝলাম, না — এটা আসলেই বলেছে! পাকিস্তান সত্যিই আসিম মুনিরের মতো সেনাপ্রধানকে ডিজার্ভ করে।”

    মার্কিন মুলুকে মুনির

    একদিকে ভারতের উপরে ক্রমাগত চাপাচ্ছেন ট্যারিফ, অন্যদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্যতা বাড়িয়েই চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দিন কয়েক আগেই পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এবার ফের মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সেনা প্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। বিগত দুই মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মার্কিন সফরে আসিম মুনির। আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে সরাসরি ভারতকে পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকিও দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে পাকিস্তান যদি অস্তিত্বের সংকটে পড়ে, তাহলে পাকিস্তান পুরো অঞ্চলকে পারমাণবিক সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দেবে।

LinkedIn
Share