Tag: pakistan

pakistan

  • PM Modi: “পাকিস্তান যদি চুড়ি না পরে, আমরা পরাব”, ‘ইন্ডি’ নেতাদের জবাব মোদির

    PM Modi: “পাকিস্তান যদি চুড়ি না পরে, আমরা পরাব”, ‘ইন্ডি’ নেতাদের জবাব মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান যদি চুড়ি না পরে, আমরা তাদের পরাব।” সোমবার এই ভাষায়ই ইন্ডিয়া ব্লকের নেতা ফারুক আবদুল্লা ও মণিশঙ্কর আইয়ারের ‘পাকিস্তান-স্তুতি’র জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছিলেন, “পাক-অধিকৃত কাশ্মীর আমরা ফিরিয়ে আনবই।”

    কী বলেছিলেন ফারুক?

    দিন কয়েক আগে তারই জবাব দিয়েছিলেন ইন্ডি জোটের শরিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা। তিনি বলেছিলেন, “প্রতিবেশি দেশ(পাকিস্তান) হাতে চুড়ি পরে বসে নেই।” এদিন বিহারের মুজফফরপুরের জনসভায় ফারুকের এই মন্তব্যকেই হাতিয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ফারুকের নাম না নিয়েই তিনি বলেন, “পাকিস্তান যদি চুড়ি না পরে, আমরা তাদের পরাব। তাদের কাছে ময়দা নেই, বিদ্যুৎ নেই। এখন আমি জেনেছি যে, তাদের চুড়িরও অভাব রয়েছে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এর পরেই প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “ইন্ডিয়া ব্লকে বোধহয় এমন কিছু নেতা রয়েছেন যাঁরা পাকিস্তানের ভয়ে ভীত। পাকিস্তানে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে এমন দুঃস্বপ্নও দেখেন তাঁরা।” ফারুকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় যে ইন্ডি জোটের আরও এক শরিক কংগ্রেসের মণিশঙ্কর আইয়ারও, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। দিন কয়েক আগে প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা বলেছিলেন, “পারমাণবিক বোমা থাকায় ভারতের উচিত পাকিস্তানকে সমঝে চলা।” কংগ্রেসের এই নেতার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “কংগ্রেস জনগণের মধ্যে ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করতে চাইছে। কংগ্রেসের এই ভীরু মনোভাবই আগে সীমান্তে সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করেছিল।” নিম্নমানের হওয়ায় পাকিস্তানের পরমাণু বোমা যে কেউ কিনছে না, সেকথাও জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।   

    আরও পড়ুুন: চতুর্থ দফায় ভোট পড়ল প্রায় ৬৩ শতাংশ, বাংলায় ছাপ্পা রুখল এআই

    এই সভার আগে প্রধানমন্ত্রী জনসভা করেন হাজিপুরে। সেখানেও তাঁর চাঁদমারি ছিলেন বিরোধী নেতারা। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা দেশের গরিব মানুষের টাকা। আমি আপনাদের বলব, ইডির মতো সংস্থা ব্যবস্থা নিতেই কেন তাঁরা কান্নাকাটি শুরু করেছেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পূর্বতন কংগ্রেস জমানায় ইডি উদ্ধার করেছিল মাত্র ৩৫ লাখ টাকা। এই পরিমাণ টাকা স্কুল ব্যাগেই রাখা যায়। আর আমাদের জমানায় সংস্থা উদ্ধার করেছে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এই পরিমাণ টাকা বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন ৭০টি ছোট ট্রাকের (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • POJK Violence: গণবিদ্রোহে উত্তাল পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর, ভারতভুক্তির দাবি, উড়ল তেরঙ্গাও

    POJK Violence: গণবিদ্রোহে উত্তাল পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর, ভারতভুক্তির দাবি, উড়ল তেরঙ্গাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণবিদ্রোহের জেরে উত্তাল পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর (POJK Violence)। অন্তত একজন পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন ৯০ জন। রবিবারও প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে। পালিত হয়েছে হরতালও। সামাহিনি, সেহানসা, মিরপুর, রাওয়ালকোট, খুরিট্টা, তত্তপানি হাট্টিয়ান বালা – পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের এই সব অঞ্চলেই হয়েছে প্রবল প্রতিবাদ।

    পাকিস্তানে উড়ল তেরঙ্গা (POJK Violence)

    রাওয়ালকোটে ভারতের তেরঙ্গা ঝান্ডা উড়িয়েছেন প্রতিবাদকারীরা। পাকিস্তানের ইতিহাসে এই ঘটনা এই প্রথম। মিরপুরের পুলিশ সুপার কামরন আলি আডনান কুরেশি ডিউটি করছিলেন ইসলামগড়ে। সেখানে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। প্রতিবাদকারীদের বাধা দেওয়ায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এদিন কোটলি এবং পুঞ্চ জেলায় প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে জয়েন্ট আওয়ামি অ্যাকশন কমিটির ব্যানারে। পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের (POJK Violence) মুজফফরবাদে উত্তেজিত জনতা বেধড়ক পেটায় পাক রেঞ্জার্সের জওয়ান ও পুলিশ কর্মীদের। তাঁদের ইউনিফর্ম ছিঁড়ে দেয়। আজাদির স্লোগানও দেন আন্দোলনকারীরা। ভারতভুক্তির দাবির পাশাপাশি তাঁরা ওড়ান ভারতের তিরঙ্গা পতাকাও।

    অশান্তির সূত্রপাত

    মে মাসের ৮-৯ তারিখে জয়েন্ট আওয়ামি অ্যাকশন কমিটির প্রায় ৭০ জন কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার আগে তল্লাশি চালানো হয় তাঁদের বাড়িতে। তার পরেই করা হয় গ্রেফতার। এর পরেই ১০ মে চাক্কা জ্যাম ও হরতালের ডাক দেয় কমিটি। রবিবার মুজফফরবাদের দিকে মিছিলও করেন প্রতিবাদীরা। ১০ তারিখের এই হরতালের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। মুজফফরবাদের বিভিন্ন পকেটে ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষের আগুন। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে উত্তেজিত জনতা। প্রতিবাদীদের দমন করতে এবং নিরাপত্তার খাতিরে কর্তৃপক্ষ ইন্টিরিয়র ডিভিশনের সেক্রেটারিকে কয়েক প্লেটুন সিভিল আর্মড ফোর্স পাঠানোর অনুরোধ জানায়।

    আরও পড়ুুন: শুভেন্দুর পোস্টারে আপত্তি! বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা তৃণমূলের, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ

    পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতা আমজাদ আয়ুব মির্জা বলেন, “পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের এই পরিস্থিতিতে হাত গুটিয়ে থাকতে পারে না ভারত। অবিলম্বে পদক্ষেপ করুক।” জারি করা বিবৃতিতে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের লোকজন লড়াই করছে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীরা তামাম পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে হরতাল পালন করছেন। পাকিস্তানি পুলিশ, পাঞ্জাব পুলিশ, এফসি এবং আজাদ কাশ্মীর পুলিশ তাদের পেটাচ্ছে, গুলি চালাচ্ছে।” তিনি বলেন, “ভারত সরকার যদি এখনই পদক্ষেপ না করে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর ও গিলগিট বাল্টিস্তানকে পাকিস্তানের খপ্পর থেকে মুক্ত করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাবে (POJK Violence)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Wheat import scam: পাকিস্তানে ফাঁস বিরাট গম আমদানি দুর্নীতি! শুরু কৃষক বিদ্রোহ

    Wheat import scam: পাকিস্তানে ফাঁস বিরাট গম আমদানি দুর্নীতি! শুরু কৃষক বিদ্রোহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আবার জেরবার পাকিস্তান। বর্তমানে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে লড়াই করছে পাকিস্তান। সে দেশে গত কয়েক মাসে মূল্যবৃদ্ধির হার ৩৮ শতাংশ, যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ। খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৮ শতাংশ। ফলে ভারতের প্রতিবেশী দেশটির (Pakistan) অর্থনৈতিক অবস্থার আবারও অবনতি শুরু হয়েছে। আকাশ ছুঁয়েছে জিনিসপত্রের দাম। সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যের ওপর। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, আটা-রুটির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী  কিনতে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। তার মধ্যেই সে দেশে উঠেছে গম আমদানি সংক্রান্ত দুর্নীতির (Wheat import scam) অভিযোগ।

    কিন্তু কী এই গম আমদানি দুর্নীতি? (Wheat import scam)

    ২০২৩ সালে পাকিস্তানের (Pakistan) তৎকালীন সরকার বেসরকারি ব্যবসায়িক সংস্থাগুলিকে গম আমদানি শুরু করার অনুমতি দিয়েছিল। অভিযোগ, দেশের অভ্যন্তরে কতটা গম উৎপাদন হচ্ছে তা বিবেচনা না করেই সেই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। জানা গিয়েছে ২০২৩ সালের অগাস্ট থেকে ২০২৪ সালের মার্চ অবধি বেসরকারি সংস্থাগুলিকে ৩,৩০,০০০ কোটি পাকিস্তানি টাকার গম আমদানির (Wheat import scam) অনুমতি দিয়েছিল তৎকালীন পাক সরকার। ফলে এর পর থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম পড়তে শুরু করেছে।   

    কৃষক আন্দোলন

    ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের কৃষক সংগঠন ‘কিসান ইত্তেহাদ পাকিস্তান’ গম নিয়ে তৈরি হওয়া এই সঙ্কটের (Wheat import scam) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নেমেছে। দেশ জুড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পাকিস্তানের হাজার হাজার কৃষক। শুক্রবার মুলতান থেকে মিছিল শুরু করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।  

    কেন এই প্রতিবাদ? 

    জানা গিয়েছে গম আমদানি সংক্রান্ত দুর্নীতির (Wheat import scam) জন্য পাকিস্তানের বাজারে গমের দাম কমেছে। বর্তমানে সে দেশে ৪০ কেজি গমের ন্যূনতম সহায়ক পাকিস্তানি মুদ্রামূল্য অনুযায়ী ৩৯০০ টাকা। যা ভারতীয় মুদ্রায় ১,১৭২ টাকা। কিন্তু পাকিস্তানের বাজারে গমের দাম এতটাই কমেছে যে, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের থেকেও কমে গম বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন গমচাষিরা। আর এই ঘটনার প্রতিবাদেই বিক্ষোভে সামিল হন হাজার হাজার কৃষক। 

    প্রভাব  

    অভিযোগ করা হয়েছিল যে পাকিস্তানে (Pakistan) যে গম আমদানি হয় তা অত্যন্ত নিম্নমানের যা ব্যবহারের যোগ্য নয়। শুধু তাই নয় বেসরকারি সংস্থাগুলি অত্যন্ত কম দামে সেই পণ্য আমদানি করে বাজারে চড়া দামে বিক্রি (Wheat import scam) করে বিপুল পরিমাণে মুনাফা অর্জন করে। অন্যদিকে, এ বছর পাকিস্তানে গমের ফলন ভাল হয়েছে। কিন্তু বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ গম আমদানির কারণে দেশের কৃষকদের থেকে গম কেনার পরিমাণ প্রায় ৫০ শতাংশ কমিয়েছে সরকার। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা। 

    আরও পড়ুন: বসিরহাট নিয়ে বাড়তি সতর্কতা কমিশনের! ভোটে রেকর্ড সংখ্যক বাহিনী থাকার সম্ভাবনা

    অভিযোগ, পাকিস্তানের বাজারে অতিরিক্ত পরিমাণ বিদেশি গম (Wheat import scam) আসার কারণে গমের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যও পাচ্ছেন না কৃষকেরা। কৃষকদের দামের সঙ্গে টক্কর দিতে বেসরকারি সংস্থাগুলিও গমের দাম উল্লেখযোগ্য ভাবে কমিয়ে দিয়েছে। ফলে আরও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। ফলে পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে যে, কৃষকরা বাধ্য হয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Pakistan Relation: “পাকিস্তান আগে দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোগাড় করুক”, শ্লেষের সুর মোদির গলায়

    India Pakistan Relation: “পাকিস্তান আগে দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোগাড় করুক”, শ্লেষের সুর মোদির গলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোগাড় করুক। প্রতিবেশীকে নিয়ে ভেবে ভেবে সময় নষ্ট করতে চায় না ভারত।” কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (India Pakistan Relation)। নির্বাচনী প্রচারে দিনভর ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী। তারই ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত তার প্রতিবেশী পাকিস্তান নিয়ে কিছু ভাবছে না। ভারত আপাতত তার নিজের লক্ষ্য পূরণেই অবিচল।” দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান, তাই পাকিস্তান ইস্যুতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (India Pakistan Relation)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তানকে (India Pakistan Relation) নিয়ে বেশি মাতামাতি করা আমাদের উচিত নয়। দেশটি তার দৃষ্টিভঙ্গী বদল করুক চাই না করুক। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাই গত দশ বছর ধরে পাকিস্তান ইস্যুতে আমি তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি।” প্রতিবেশী এই দেশটিকে ভারত যে বিশেষ পাত্তা দিচ্ছে না, তা স্পষ্ট প্রধানমন্ত্রীর কথায়। তিনি বলেন, “পাকিস্তান আগে দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোগাড় করুক। আমাদের ওদের নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নেই। ভারত এখন অনেক এগিয়ে গিয়েছে। তাই উন্নয়নের বিষয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের কোনও তুলনাই চলে না।” অন্য কিছু নিয়ে ভাববার বদলে আগামী প্রজন্মকে নিয়ে ভারতীয়দের চিন্তাভাবনা করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী।

    নিশানায় কংগ্রেস

    সম্প্রতি বিভিন্ন নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর মুখে উঠে এসেছে পাকিস্তানের প্রসঙ্গ। জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থে ভারত যে পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে গিয়ে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে এসেছে, সে প্রসঙ্গও শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মুখে। এ প্রসঙ্গে তিনি পূর্বতন কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের দুর্বলতার বিষয়টিও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “কংগ্রেস ওদের (পাকিস্তানকে) দলিল পাঠিয়ে জায়গা পছন্দ করে নিতে বলত। আর আমরা ওদের ঘরে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে আসি।”

    আরও পড়ুুন: প্যালেস্তাইনে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইজরায়েলের, শিশুসহ হত ২১

    প্রসঙ্গত, মনমোহন সিংহের প্রধানমন্ত্রিত্বকালে ৭৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সিয়াচেন হিমবাহ পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে দিন কয়েক আগে দাবি করেছিলেন ভূতপূর্ব এক সেনা প্রধান। সোনিয়া গান্ধীকে মহান করে দেখাতেই এটা করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। রাজনৈতিক মহলের মতে, দলিলের বিষয়টির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আসলে ওই বিষয়টিকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন (India Pakistan Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “পাকিস্তান পরমাণু বোমা বানায় বিক্রির জন্য”, আইয়ারকে মুখের মতো জবাব মোদির

    PM Modi: “পাকিস্তান পরমাণু বোমা বানায় বিক্রির জন্য”, আইয়ারকে মুখের মতো জবাব মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কংগ্রেসকে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শনিবার ওড়িশার কান্ধামালে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, “পাকিস্তান পরমাণু বোমা তৈরি করে বিক্রির জন্য। কারণ আর্থিক দৈন্য মেটানোই এখন তাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।”

    কী বলেছিলেন আইয়ার? (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের একটি প্রেক্ষাপট রয়েছে। সেটি হল, ১৫ এপ্রিল কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ার বলেছিলেন, “পাকিস্তান একটি শ্রদ্ধেয় দেশ। তাদের পরমাণু বোমাও রয়েছে। তাই ভারতের অবশ্যই তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন।” আইয়ারের সেই মন্তব্যকেই হাতিয়ার করে কংগ্রেসকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি (PM Modi) বলেন, “পাকিস্তানের পরমাণু বোমা নিয়ে ভারতবাসীকে ভূতের ভয় দেখাচ্ছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের এই দুর্বল মনোভাবের ফলেই সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদ চালাচ্ছিল পাকিস্তান। কংগ্রেস লাগাতার নিজের দেশের মানুষকেই ভয় দেখানোর চাল চালছে। ওরা বলে চলেছে, পাকিস্তান সম্পর্কে সাবধান। ওদের হাতে পরমাণু বোমা রয়েছে।”

    মোদির জবাব

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সব দুর্বল মানুষ ভারতের জোশকে খুন করার চেষ্টা করছে। আজ নয়, কংগ্রেস চিরকাল এটাই করে এসেছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “পাকিস্তান এখন এমন একটা দেশে পরিণত হয়েছে যে ওদের নিজেদের পরমাণু বোমা মজুত করার ক্ষমতা নেই। ওরা অন্য দেশকে পরমাণু বোমা বিক্রি করতে চাইছে। কিন্তু কেউ কিনছে না। কারণ সেগুলোর মান খুবই খারাপ।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ওদের এই ভীরু মনোভাবের কারণেই জম্মু-কাশ্মীরকে জঙ্গিদের উপদ্রব সহ্য করতে হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: “সংখ্যালঘুরা বিপদে রয়েছেন, এ দাবি সর্বৈব মিথ্যা”, বললেন মোদি

    লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন আইয়ারের বেফাঁস মন্তব্যে বিপাকে পড়েছে কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই আইয়ারের থেকে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেছে সোনিয়া গান্ধীর দল। দলের নেতা পবন খেরা বলেন, “আইয়ারের এই দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে এক মত নয় কংগ্রেস। এটা দলেরও মত নয়। আইয়ার কোনও অধিকারেই দলের তরফে এমন (PM Modi) মন্তব্য করার হকদার নন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Amit Shah: কেন পাকিস্তানের নয়নমণি রাহুল! ব্যাখ্যা দিলেন অমিত শাহ

    Amit Shah: কেন পাকিস্তানের নয়নমণি রাহুল! ব্যাখ্যা দিলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান কেন রাহুল গান্ধিকে (Rahul Gandhi) সমর্থন করে তার ব্যাখ্যা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) । দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে যেহেতু রাহুল গান্ধি পাকিস্তানের অ্যাজেন্ডাকে সমর্থন করেন তাই পাকিস্তান তাঁকে সমর্থন করে।

    রাহুল গান্ধিকে পাকিস্তানের সমর্থনের বিস্তারিত ব্যাখ্যা

    বুধবার রাহুল গান্ধিকে পাকিস্তানের সমর্থনের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) । তিনি বলেন, “এখন পাকিস্তান রাহুল বাবার খুব প্রশংসা করছে। একজন সাংবাদিক আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন কেন এমনটা হচ্ছে? আমি তাঁকে বলেছি, এমনটা তো হওয়ারই কথা। কারণ যখন সার্জিক্যাল হয়েছিল রাহুল বাবা প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেনাবাহিনীকে নকশালপন্থীরা হত্যা করলে রাহুল বাবা চুপ থাকেন। কিন্তু সেনাবাহিনী যখন নকশালদের উপরে অভিযান চালায় রাহুল বাবা তার বিরোধিতা করেন। তখন রাহুল বাবার মানবাধিকারের কথা মনে পড়ে যায়। আগে যে ঘটনাগুলি বললাম সব ক্ষেত্রে পাকিস্তানও বিরোধিতা করেছিল। ফলে রাহুল বাবা এবং পাকিস্তানের অ্যাজেন্ডা মিলে যাচ্ছে। এর জন্যই পাকিস্তানের নেতাদের নয়নমনি হয়ে উঠেছেন রাহুল বাবা।”

    আরও পড়ুন: https://www.madhyom.com/india/india-russia-relation-russia-says-us-trying-to-destabilize-india-during-lok-sabha-polls-24988

    ফওয়াদ চৌধুরীর মন্তব্যের পর ঘটনার সূত্রপাত 

    প্রসঙ্গত ২ মে গুজরাটে ভোট প্রচারে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) । তিনিও রাহুলের পাক সমর্থক যোগ উস্কে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “কংগ্রেসের (Congress) শাহজাদাকে জেতাতে পাকিস্তান উতলা হয়ে পড়েছে। বিজেপি (BJP) মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদীও চলতি সপ্তাহে দাবি করেছিলেন পাকিস্তান নাকি রাহুল গান্ধীকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেখতে চায়। প্রসঙ্গত এই বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল ইমরান খানের (Imran Khan) ক্যাবিনেটে থাকা মন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরীর মন্তব্যের পর। ফওয়াদ গত মাসে বলেছিলেন রাহুল গান্ধীর তোলা ইস্যুগুলিকে তিনি সমর্থন করেন। তিনি ভারতে যে কেউই সঠিক ইস্যু (পাকিস্তানের মতে) তুলবে তাঁকে তাঁরা সমর্থন করবেন। ভারতের মসনদে তিনি রাহুল গান্ধীকে দেখতে চান। প্রসঙ্গত ফওয়াদ চৌধুরীকে এর আগেও বহুবার ভারত সরকার এবং ভারতীয় মন্ত্রীদের কটাক্ষ করতে দেখা গেছে। কিন্তু কংগ্রেস বা রাহুল গান্ধীর বিষয়ে তিনি কখনও কুমন্তব্য করেননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Congress Treachery Exposed: পাকিস্তানের হাতে সিয়াচেন তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী?

    Congress Treachery Exposed: পাকিস্তানের হাতে সিয়াচেন তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা ফাটালেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেজে সিং। তাঁর দাবি, ইউপিএ সরকার সিয়াচেন হিমবাহ তুলে দিতে চেয়েছিল পাকিস্তানের হাতে (Congress Treachery Exposed)। ভারতীয় সেনার ওপর আস্থা না রেখেই এহেন সংবেদনশীল একটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রায় নিয়েই ফেলেছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ইউপিএ সরকার।

    প্রাক্তন সেনা প্রধানের অভিযোগ (Congress Treachery Exposed)

    জেনারেল সিং জানান, ২০০৬ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় ছিল ইউপিএ সরকার। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিং। সেই সময় ভারতীয় সেনা ও ভারতীয় গোয়েন্দাদের ওপর ভরসা করতে পারেনি সরকার। জেনারেল সিংয়ের কথা যে নিছক গল্পকথা নয়, তার প্রমাণ প্রায় একই দাবি করেছেন প্রাক্তন বিদেশ সচিবও। তিনিও জানিয়েছিলেন, ২০০৬ সালে দুই দেশের পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে দুই দেশই সিয়াচেন থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তাব নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছিল।

    কাঠগড়ায় ইউপিএ সরকার

    নানা দিক থেকে সিয়াচেন ভারতের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণে ঝড়-বৃষ্টি-তুষারপাত উপেক্ষা করে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন ভারতীয় সেনার জওয়ানরা। এই সিয়াচেনকে রক্ষা করতেই হয়েছিল অপারেশন ‘মেঘদূত’। সেই অভিযানে প্রাণ হারিয়েছিলেন আটশোরও বেশি জওয়ান। সেই সিয়াচেনকেই পাকিস্তানের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলেন ইউপিএ সরকার প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের মনমোহন সিং। জানা গিয়েছে (Congress Treachery Exposed), জম্মু-কাশ্মীরে লাগাতার পাক জঙ্গিদের সন্ত্রাস কড়া হাতে সামলাতে ব্যর্থ মনমোহন চেয়েছিলেন সীমান্ত সমস্যায় জর্জরিত সিয়াচেনকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়ে ভূস্বর্গে শান্তি ফিরিয়ে আনতে। এর পুরো কৃতিত্ব কংগ্রেস নেত্রী তথা ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীকে দিয়ে তাঁর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে চেয়েছিলেন ইউপিএর শরিক দলের নেতারা। তবে তৎকালীন সেনা প্রধান ও সশস্ত্র বাহিনীর আধিকারিকদের তীব্র বিরোধিতায় স্বপ্ন সফল হয়নি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউপিএ সরকারের ওই স্বপ্ন সফল হলে আর সুরক্ষিত থাকত না ভারতের সীমান্ত। কারগিল যুদ্ধের সময় পাক সেনা যেভাবে সিয়াচেন দখল করতে চেয়েছিল, সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হতে পারত ২০০৬ সালেই। সেক্ষেত্র গোটা কাশ্মীরের রাশ চলে যেত পাকিস্তানের হাতে।

    বড় প্রশ্ন

    ভারতীয় সেনার (Congress Treachery Exposed) ভূতপূর্ব জেনারেল বলেন, “প্রশ্নটা হল, যে সিয়াচেন রক্ষা করতে গিয়ে শহিদ হচ্ছেন জওয়ানরা, সেই সেনাই যখন সরকারকে পিছু হটার পরামর্শ দেয়নি, তখন কীসের ভিত্তিতে তৎকালীন সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে গিয়েছিল? এরকম ক্ষেত্রে সরকারের এই জাতীয় কাজ দেশের প্রত্যেক নাগরিককে বিস্মিত করেছিল।” তিনি বলেন, “সিয়াচেনে ভারত যে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে, তার চেয়ে ঢের বেশি সমস্যার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে পাকিস্তান। কারণ হাই অলটিটিউডে যুদ্ধ করার অভিজ্ঞতা ভারতীয় সেনার রয়েছে। যা তাদের প্রতিবেশী দেশগুলির সেনাদের নেই।” প্রাক্তন সেনা প্রধান বলেন, “ভারত সরকার এই প্রস্তাব (সিয়াচেন হিমবাহকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া) বিবেচনা করতে শুরু করলেও, আমার সঙ্গে একবারও কথা বলেননি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী।” তাঁর অভিযোগ, পুরু বরফের চাদরে মোড়া সিয়াচেন রক্ষা করতে গিয়ে যেসব জওয়ান প্রাণ দিয়েছেন, কংগ্রেস সেই সব শহিদদের অপমান করার চেষ্টা করেছিল।

    বিশ্বের উচ্চতম রণাঙ্গন সিয়াচেন

    মনে রাখতে হবে, বিশ্বের উচ্চতম রণাঙ্গন হল সিয়াচেন। এই হিমবাহ প্রহরায় থাকা সেনা জওয়ানদের সব চেয়ে বড় শত্রু হল প্রতিকূল আবহাওয়া। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৫ হাজার মিটারেরও বেশি। কখনও কখনও তাপমাত্রা পৌঁছে যায় মাইনাস ৬০ ডিগ্রিতে। এখানে অক্সিজেনের মাত্র সমতলের প্রায় ১০ শতাংশ। তাই ৭৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই হিমবাহে পৌঁছলেই কমতে থাকে ওজন। বমি হতে থাকে। খিদে থাকেই না। সিয়াচেনে প্রায়ই ঘণ্টায় একশো মাইল বেগে ঝড় ওঠে। কখনও কখনও এই ঝড় টানা তিন সপ্তাহ পর্যন্ত চলে। এহেন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকাটাই কঠিন নয়, কঠিনতম। সেসব বাধা-বিপত্তি-প্রতিকূলতা উপেক্ষা করেই বছরভর ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন দেশপ্রেমিক ভারতীয় জওয়ানরা।

    আরও পড়ুুন: “গায়ের রংয়ের ভিত্তিতে অপমান হজম করব না”, পিত্রোদার মন্তব্যকে কটাক্ষ মোদির

    সারা বছরে সিয়াচেনে বরফ পড়ে ৩০-৪০ ফুট উঁচু। মাসের পর মাস স্নান না করেই থাকেন জওয়ানরা। কারণ স্নান করলেই বিপদ। দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়া একপ্রকার নিশ্চিত। অক্সিজেন কম থাকায় অনেক জওয়ান হারিয়ে ফেলেন স্মৃতি। শরীরে থাবা বসায় তুষারক্ষত। এই ক্ষতের জেরে হাত-পা-আঙুল খোয়ানোর নজিরও রয়েছে। বিশেষ হেলিকপ্টারে করে এখানে থাকা সেনাদের পৌঁছে দেওয়া হয় রসদ। সেই কাজটাও করতে হয় ৩০ সেকেন্ডেরও কম সময়ে। কারণ না হলেই পাক গোলায় ধ্বংস হয়ে যাবে হেলিকপ্টারটিই।

    প্রাক্তন সেনাপ্রধান বলেন (Congress Treachery Exposed), “দেশের সীমান্তের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষা করতে আত্মবলিদান দিচ্ছেন সেনারা। কিন্তু দুঃখের কথা কী জানেন, কংগ্রেস সরকার এটা ভুলে গিয়েছে। সিয়াচেনের অছিলায় ভারতের এই ভূখণ্ডটিকে পাকিস্তানকে উপহার দিতে প্রস্তুত ছিল তারা। সিয়াচেন হিমবাহ থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথাও ভেবেছিল কংগ্রেস সরকার। শান্তি ফেরাতেই এটা করতে চেয়েছিল তারা। তবে এর চেয়ে বোকা বোকা সিদ্ধান্ত আর কিছুই হতে পারে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Champions Trophy: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে  যাবে ভারত! কী শর্ত দিল বিসিসিআই?

    Champions Trophy: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাবে ভারত! কী শর্ত দিল বিসিসিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy) খেলতে পাকিস্তানে যেতে পারে ভারত। কেন্দ্র সরকারের অনুমতি মিললে লাহোরে ম্যাচ খেলতে যাবেন রোহিতরা বিসিসিআই -এর তরফে এমনই জানানো হয়েছে। 

    কী বলল বিসিসিআই

    ২০০৮ সালে এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে গিয়েছিল ভারতীয় দল। ভারত-পাকিস্তান শেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয়েছে ২০১২-২০১৩ মরসুমে। ভারতের মাটিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে এসেছিল পাকিস্তান। কয়েক মাস আগেই আইসিসি ওয়ান ডে বিশ্বকাপ হয়েছে ভারতে। সেখানে অনেক শর্ত আরোপের পর খেলতে এসেছিল বাবররা। তার আগে এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যায়নি ভারত। ভারতীয় দল না যাওয়ায় হাইব্রিড মডেলে হয় টুর্নামেন্ট। ফাইনাল সহ ভারতের সব ম্যাচই শ্রীলঙ্কায় হয়েছিল। এবার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসার কথা পাকভূমে। 

    ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সহ সভাপতি রাজীব শুক্ল বলেছেন, একটা শর্তেই পাকিস্তানে খেলতে যাবে ভারত। বোর্ডের সহ সভাপতি পরিষ্কার বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাওয়া প্রসঙ্গে আমরা একটা কথাই বলতে পারি, সরকার যা বলবে আমরা তাই করব। সরকার অনুমতি দিলে অবশ্যই টিম পাঠানো হবে। সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে সরকারের অনুমতির উপরই।’

    আরও পড়ুন: জাতীয় দলে মোহনবাগানের ৮ ফুটবলার! স্টিমাচের শিবিরে ৪১ জন

    ভারত যদি না যায়

    ২০১৭ সালের পর আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy) হয়নি। আগামী বছর পাকিস্তানকে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা। কিন্তু পাকিস্তানে আদৌ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে কিনা, এ নিয়ে ধোঁয়াশা থাকছেই। ভারতীয় দল যদি খেলতে না যায়, সেক্ষেত্রে টুর্নামেন্ট হতে পারে হাইব্রিড মডেলেই। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড চাইছে, ভারতীয় দল খেলতে যাক। আইসিসির কাছে খসরা সূচিও দিয়েছে পাকিস্তান। মোট তিনটি ভেনু বাছাই করা হয়েছে। এর মধ্যে ভারতের ম্যাচ রাখা হয়েছে লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে। এই ভেনুতে ফাইনালও হওয়ার কথা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • T20 World Cup 2024: টি-২০ বিশ্বকাপে জঙ্গি হামলার হুঁশিয়ারি! নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    T20 World Cup 2024: টি-২০ বিশ্বকাপে জঙ্গি হামলার হুঁশিয়ারি! নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি-২০ বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2024) শুরু হতে আর একমাসও বাকি নেই। আর এরই মধ্যে জঙ্গি হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তানের (Pakistan) একটি জঙ্গি সংগঠন। ফলে নিরাপত্তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ১ জুন থেকে শুরু হতে চলেছে ২০ ওভারের (T20 World Cup 2024) বিশ্ব যুদ্ধ। আর এই বিশ্বকাপের লড়াইয়ের আগে এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকায় জঙ্গি হামলা হতে পারে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে বিশ্বকাপ চলাকালীন হতে পারে জঙ্গি হামলা। 

    জঙ্গি হামলার হুঁশিয়ারি (T20 World Cup 2024) 

    ক্রিকেট ওয়েবসাইট ‘ক্রিকবাজ’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী,উত্তর পাকিস্তানের প্রো-ইসলামিক স্টেট (IS) এবার লক্ষ্য করছে খেলাধুলোর অনুষ্ঠানগুলিকে। আইএস-র পাকিস্তান-আফগানিস্তান শাখা আইএস-খোরাসান থেকে ভিডিওর মাধ্যমে নাশকতার বার্তা ছড়াচ্ছে। সেখানে বিভিন্ন দেশের জঙ্গিকাণ্ডের খবর তুলে ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের সমর্থকদের যুদ্ধে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদের মূল লক্ষ্য ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের স্টেডিয়ামগুলি।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের বার্তা

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড এ প্রসঙ্গে জানিয়েছে, বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দেশের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ এবং দর্শকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব তাদের। সেই কাজ তারা করবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সিইও জনি গ্রেভস বলেন, “আমরা আইসিসির সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছি। যে কয়েকটি মাঠে বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2024) হবে সেই স্টেডিয়ামগুলি সহ স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিভিন্ন হোটেলে যাতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকে তা নিশ্চিত করা হবে। আমি সব দেশকে জানিয়ে দিতে চাই, যে ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ ও দর্শকদের নিরাপত্তা আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”

    আরও পড়ুন: ভোটের আগে আবাসের টাকা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তৃণমূলের, কমিশনে যাবে বিজেপি

     
    উল্লেখ্য, এই প্রথম কোনও বিশ্বকাপে (T20 World Cup 2024) ২০টি দেশ খেলবে। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ম্যাচগুলি হবে অ্যান্টিগা ও বারবুডা, গায়ানা, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে। আমেরিকার ফ্লোরিডা, নিউ ইয়র্ক এবং টেক্সাসে শহরেও হবে টি-টোয়েন্টির মহাযুদ্ধ। ৫ জুন নিউ ইয়র্কে ভারতের প্রথম ম্যাচ আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে। আর ৯ জুন নিউ ইয়র্কে রয়েছে ভারত (India) ও পাকিস্তানের (Pakistan) হাই টেনশনের ম্যাচ। তবে এই ম্যাচের দর্শকদের উন্মাদনার পাশাপাশি নিরাপত্তার দিকেও নজরে থাকবে আয়োজকদের।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “পাকিস্তান চায় রাহুল প্রধানমন্ত্রী হোন”, তোপ মোদির

    PM Modi: “পাকিস্তান চায় রাহুল প্রধানমন্ত্রী হোন”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “শান্তির আশায় পাকিস্তানকে প্রেমপত্র পাঠাত কংগ্রেস। কিন্তু সেই সব চিঠির প্রেক্ষিতে আরও বেশি করে জঙ্গি পাঠাত ভারতের প্রতিবেশী দেশটি।” শনিবার ঝাড়খণ্ডের পালামৌয়ের নির্বাচনী জনসভায় এই ভাষায়ই কংগ্রেসকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার গঠিত হওয়ার পর সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে পাকিস্তানের প্রতি যে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গী বদলেছে, তাও মনে করিয়ে দেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রীর মোক্ষম বাণ (PM Modi)

    এর পরেই মোক্ষম বাণটি নিক্ষেপ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “এই লোকসভা নির্বাচনে জিতে রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে আশা করছেন পাকিস্তানি নেতারা। এক সময় নিরীহ পর্যটককে খুন করত সন্ত্রাসবাদীরা। তার পরেও সরকার পাকিস্তানকে প্রায়ই প্রেমপত্র পাঠাত। তার প্রেক্ষিতে পাকিস্তান আরও বেশি করে জঙ্গি পাঠাত। কিন্তু আপনাদের মূল্যবান একটি ভোটের শক্তিতে আমি বললাম, ঢের হয়েছে। আজকের নয়া ভারত আর কোনও দলিল পাঠাবে না পাকিস্তানকে। এই হল নয়া ভারত – ‘ঘর মে ঘুষ কে মারতা হ্যায়’ (ঘরে ঢুকে গিয়ে মারছে)।” তিনি (PM Modi) বলেন, “একটা সময় ছিল যখন বিহার ও ঝাড়খণ্ডের লোকজন আমাদের দেশকে রক্ষা করতে যেতেন। সীমান্তে তাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দিতেন। এ ছবি প্রায় প্রতি মাসেরই ছিল। কংগ্রেসের ভীরু সরকার গোটা বিশ্বে এনিয়ে কান্নাকাটি করত।”

    আরও পড়ুুন: নিজ্জর খুনে কানাডায় ধৃত ৩ শিখ, নেপথ্যে বিষ্ণোই গ্যাং?

    দুই স্ট্রাইকের ‘গল্প’

    প্রধানমন্ত্রীর এদিনের বক্তৃতায় অনিবার্যভাবে উঠে আসে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও বালাকোট স্ট্রাইকের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও বালাকোট স্ট্রাইক পাকিস্তানকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এখন পাকিস্তান বিশ্বের দরবারে গিয়ে কাঁদছে আর বলছে, বাঁচাও, বাঁচাও। তাই পাকিস্তানের নেতারা প্রার্থনা করছেন যাতে কংগ্রেসের শাহাজাদা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। কিন্তু শক্তিশালী ভারত এখন একটা শক্তিশালী সরকার চায়।” তিনি বলেন, “পাকিস্তানের মন্ত্রী ফুয়াদ চৌধুরী রাহুল গান্ধীর প্রশংসা করছেন এই বলে যে তাঁর মধ্যে সোশ্যালিস্টিক ইডিওলজি রয়েছে।” এদিনের জনসভায় ফুয়াদের এই মন্তব্যকেই হাতিয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে যে নকশালবাদ, সন্ত্রাসবাদের অবসান হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরে রদ হয়েছে ৩৭০ ধারা, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share