Tag: pakistan

pakistan

  • Bangladesh Border: বাংলাদেশে পাক সেনা-আইএসআইয়ের জোর তৎপরতা! হাই অ্যালার্ট ভারতের পূর্ব সীমান্তে

    Bangladesh Border: বাংলাদেশে পাক সেনা-আইএসআইয়ের জোর তৎপরতা! হাই অ্যালার্ট ভারতের পূর্ব সীমান্তে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের পাশাপাশি বাংলাদেশ সীমান্তেও (Bangladesh Border) দুই কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। কারণ, গত কয়েক মাস ধরেই বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনা এবং গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের তৎপরতা বেড়েছে পদ্মাপাড়ে। মহম্মদ ইউনূস সরকারের আমলে বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সখ্যতাও তৈরি হয়েছে বেশ ভালো। এই কারণেই বাংলাদেশ সীমান্তে চূড়ান্ত হাই অ্যালার্ট বজায় রাখা হয়েছে। অনুপ্রবেশ রোখার জন্য কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা। বাংলাদেশের পাশাপাশি নজরদারি চালানো হচ্ছে মায়ানমার সীমান্তেও।

    মুর্শিদাবাদ হিংসায় উঠে আসে বাংলাদেশি যোগ

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার নামে মুর্শিদাবাদ জেলাতে বিক্ষোভের নামে ভয়ংকর হিংসা ছড়ায়। সেখানে উঠে এসেছে বাংলাদেশি যোগ। এই আবহে বাংলাদেশ সীমান্তে (Bangladesh Border) পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে করতে শুরু করে ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সীমান্তে অবস্থিত মুর্শিদাবাদ জেলায় ওয়াকফ হিংসায় তিনজন মানুষের মৃত্যু হয়। কয়েকশো মানুষ আহত হন। কেন্দ্রের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ যোগের কারণেই এই হিংসা আরও প্রবল আকার ধারণ করেছে। এই আবহে ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে হামলার ঘটনায় ভারত পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। ২৬ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়। ঠিক সেই সময়ই বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্তেও ব্যাপক সতর্ক দৃষ্টি রাখছে ভারত।

    নজরে বাংলাদেশ সীমাও (Bangladesh Border)

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরেই পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি, সেনাবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করা হয়েছে। সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সেনা যে কোনও সময় আঘাত হানতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই আবহে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়ে যাচ্ছে পাক সেনা (Bangladesh Border)। অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের পাল্টা জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। কাশ্মীর সীমানা ছাড়া, বাংলাদেশ সীমাও এখন ভারতের নজরে।

  • Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলার পাল্টা জবাব প্রস্তুত, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে না গিয়ে নিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়ার পথে দিল্লি?

    Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলার পাল্টা জবাব প্রস্তুত, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে না গিয়ে নিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়ার পথে দিল্লি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেরিয়ে গিয়েছে এক সপ্তাহ। কাশ্মীরে পহেলগাঁওয়ে নিরীহ হিন্দুদের হত্যাকাণ্ডের ঘাতকদের খোঁজ চলছে। বৈসরন উপত্যকার জঙ্গি হানায় ২৫ জন হিন্দু পর্যটক এবং এক জন স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু ঘিরে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ উত্তেজনার পারদ এখনও চড়ে রয়েছে। সেই সঙ্গে উপত্যকা জুড়ে চলছে সেনা তৎপরতা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সেনাবাহিনী যুদ্ধের সীমা না পেরিয়ে দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে আঘাত হানার দিকেই এখন বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (CCS)-এর দ্বিতীয় বৈঠকে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

    পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ এড়িয়ে নিয়ন্ত্রিত পদক্ষেপ

    এদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC)-তে ছোট অস্ত্র দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর “উস্কানিমূলক” গুলিবর্ষণের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ডিজিএমও হটলাইনে ভারতীয় সেনাবাহিনী কড়া বার্তা দেয়। মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তান আবার উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে এবং জম্মুর আন্তর্জাতিক সীমান্তে পারগওয়াল সেক্টরে গুলিবর্ষণ শুরু করে। একজন সেনা কর্মকর্তা জানান, “আমাদের বাহিনী সব ধরনের সংঘর্ষবিরোধ লঙ্ঘনের জবাব দ্বিগুণ শক্তিতে দিচ্ছে।” মঙ্গলবার নিজের বাসভবনে সামরিক আধিকারিক এবং গুরুত্বপূর্ণ আমলাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসে সেনাবাহিনীকে পরবর্তী বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী মোদি তিন বাহিনীর প্রধানদের “সম্পূর্ণ অপারেশনাল স্বাধীনতা” দেওয়ার ফলে এখন বিষয়টি আর “পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না” নয়, বরং “কখন নেওয়া হবে”—এই প্রশ্নে এসে দাঁড়িয়েছে। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “পাল্টা জবাবের পরিকল্পনা ও ধাপে ধাপে প্রতিক্রিয়ার কৌশল প্রস্তুত রয়েছে। এটি কোনো আবেগতাড়িত প্রতিক্রিয়া নয়, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ এড়িয়ে বরং হিসেব করে নেওয়া, বিশ্বাসযোগ্য এবং নিয়ন্ত্রিত পদক্ষেপ।” বুধবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি।

    সীমান্তবর্তী পাকিস্তানি ঘাঁটিতে হানা

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাকিস্তান সতর্ক রয়েছে। ইতিমধ্যেই ইসলামাবাদ তার বাহিনী মোতায়েন করেছে এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও সক্রিয় করেছে—ফলে চমকের উপাদান প্রায় নেই। তা সত্ত্বেও, ভারতীয় সেনা ১৫৫ মিমি কামান, ১২০ মিমি মর্টার এবং অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল ব্যবহার করে সীমান্তবর্তী পাকিস্তানি ঘাঁটি ও সন্ত্রাসী লঞ্চপ্যাডে আঘাত হানার উপযোগী অবস্থানে রয়েছে।

    দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহার

    একজন কর্মকর্তা আরও জানান, “নিয়ন্ত্রণ রেখা না পার হয়েও দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহারে পাকিস্তানি সেনা ও তাদের অবকাঠামোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করা সম্ভব। পাকিস্তানি বাহিনী ১৫৫ মিমি গোলাবারুদের ঘাটতির মধ্যে রয়েছে, যা তারা ইউক্রেনে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে রফতানি করছে।” এছাড়া, সীমিত স্থল অভিযানে সেনাবাহিনীর প্যারা-স্পেশাল ফোর্স অংশ নিতে পারে—যেমন ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, যেখানে চারটি আলাদা স্থানে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটিতে আঘাত হানা হয়েছিল। বিমানে হামলা—যেমন ২০১৯ সালের বালাকোট স্ট্রাইক—এবারও বিকল্প হতে পারে, যদিও তা কিছুটা উত্তেজনা বাড়াতে পারে। এবার ভারতের হাতে রয়েছে আধুনিক রাফাল যুদ্ধবিমান, যেগুলো স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল, ইসরায়েলি ক্রিস্টাল মেজ ও স্পাইস ২০০০-এর মতো আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত।

    সংঘর্ষবিরতি ভঙ্গ

    এছাড়া, ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ক্যাবিনেট বৈঠকে কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে পাকিস্তানের ওপর একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে—যার মধ্যে রয়েছে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানি হাই কমিশনের কার্যক্রম সীমিত করা এবং ভারতে অবস্থানরত সব পাকিস্তানি নাগরিকের ভিসা বাতিল। পহেলগাঁও কাণ্ডের আবহে নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি)। নিয়ন্ত্রণরেখায় বরাবর সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে গুলিবর্ষণ করেছে পাক সেনা। ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, কাশ্মীরের কুপওয়ারা এবং বারামুলা জেলার কাছে নিয়ন্ত্রণরেখার অপর প্রান্ত থেকে বিনা প্ররোচনায় গুলিবর্ষণ শুরু করেছে পাকিস্তানি সেনা। কাশ্মীরের আখনুর সেক্টরের বিপরীত প্রান্ত থেকেও গুলি চালিয়েছে পাক ফৌজ। তার জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাও। প্রসঙ্গত, এলওসি এলাকায় সংঘর্ষবিরতি কার্যকর করতে ২০০৩ সালে একমত হয়েছিল নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ। ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ভারত ও পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি চুক্তি পুনর্নবীকরণ করেছিল। খাতায়কলমে এই নিয়ম এখনও বহাল। কিন্তু, অতীতেও দু’দেশের সেনা পরস্পরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষবিরতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে।

    উপত্যকা জুড়ে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান

    কুলগাঁও, ত্রাল, সোপিয়ান-পুলওয়ামার মতো চারটি স্থানে সেনা অভিযান হয়েছে। ত্রালের অদূরে জঙ্গলে একটি জঙ্গিদলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে সেনা সূত্রের খবর। তাদের সঙ্গে সেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনীর গুলির লড়াই শুরু হয়েছে। বৈসরনে হামলায় জড়িত সন্দেহে ১৫ জন স্থানীয়কে গ্রেফতার করে জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের বয়ান থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে সরকারি সূত্রের দাবি। ধরপাকড়ের পাশাপাশি বেশ কয়েক জন সন্দেহভাজন লস্কর জঙ্গির বাড়ি নিরাপত্তাবাহিনী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে।

    পহেলগাঁও প্রসঙ্গ রাষ্ট্রপুঞ্জে

    পহেলগাঁও হামলার প্রসঙ্গ তুলে রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানকে ‘দুর্বৃত্ত দেশ’ (রোগ স্টেট) বলে সমালোচনায় বিঁধেছে ভারত। ২০০৮ সালে ২৬/১১ মুম্বই হামলার পরে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হানাতেই সবচেয়ে বেশি নিরস্ত্র মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। ভারতের প্রতি সংহতির বার্তা দিয়েছে।

  • India Pakistan Relation: পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিল ভারত, বিরাট ক্ষতির মুখে ইসলামাবাদ

    India Pakistan Relation: পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিল ভারত, বিরাট ক্ষতির মুখে ইসলামাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে আরও এক পদক্ষেপ ভারতের। পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিল ভারত (India Pakistan Relation)। বুধবার রাতে নয়াদিল্লির তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে। ভারত সরকারের এই ঘোষণার জেরে এখন থেকে পাক সংস্থার কোনও বিমান (Pakistani Flights) আর ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। কেন্দ্রের তরফে এদিন একটি ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’ জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে নথিভুক্ত বিমান বা পাকিস্তান দ্বারা পরিচালিত কোনও বিমান ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। সামরিক বিমানের ক্ষেত্রেও এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য হবে।

    পহেলগাঁওকাণ্ডের জের! (India Pakistan Relation)

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন করা হয় স্থানীয় এক মুসলিম যুবককেও। এর পরেই সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত-সহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। বুধবার কেন্দ্রের এই ঘোষণা সেই তালিকায় নয়া সংযোজন। ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার পরপরই পদক্ষেপ করে পাকিস্তানও। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ভারতের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া। বলা হয়েছিল, ভারতের কোনও বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। পাক সরকারের সেই ঘোষণার ছ’দিনের মধ্যেই একই পদক্ষেপ করল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার।

    ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’

    বুধবার রাতে ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জারি করে ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’। এটি প্রযোজ্য হবে ২৩ মে পর্যন্ত। বিমানবন্দরের এক কর্তার মতে, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’ হল একটি নোটিশ যাতে বিমান পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য থাকে। আর এক কর্তা জানান (India Pakistan Relation), পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে এই সিদ্ধান্তের কথা জানাল ভারত। পাকিস্তানে নিবন্ধিত বিমানের পাশাপাশি পাকিস্তান বিমান সংস্থা এবং অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত, মালিকানাধীন বা লিজ নেওয়া বিমানগুলির জন্য ভারতীয় আকাশসীমা উপলব্ধ থাকবে না (Pakistani Flights)।

    বিশেষ নজরদারি

    পহেলগাঁওকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানকেই দুষছে নয়াদিল্লি। তবে ইসলামাবাদ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডে তাদের হাত নেই। মুখে এ কথা বললেও, ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় কাঁটা পাকিস্তান। ভারত যে কোনও দিন তাদের বিরুদ্ধে সামরিক কোনও অভিযান করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আশঙ্কায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে পাকিস্তানের আকাশসীমায়। ভারতের বিমান তো সেখানে নিষিদ্ধই, তবে ভারতের আকাশসীমা দিয়ে যদি কোনও বিদেশি বিমানও পাক আকাশে প্রবেশ করে, তাতেও বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। অনুমতি ছাড়া পাক আকাশে কোনও বিমান প্রবেশ করতে পারবে না বলেই জানানো হয়েছে (India Pakistan Relation)। বুধবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সব বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

    গোদের ওপর বিষফোঁড়া

    মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ওশিয়ানিয়ার দেশগুলিতে যাওয়ার জন্য পাকিস্তানের বিমান যাতায়াত করে ভারতের ওপর দিয়ে। সেই পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিরাট সমস্যায় পড়তে হবে ইসলামাবাদকে। কারণ ওই বিমানগুলিকে অনেকটা ঘুরে পৌঁছতে হবে গন্তব্যে। যাত্রাপথ দীর্ঘ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বিমানে জ্বালানিও লাগবে আগের চেয়ে ঢের বেশি। সেই সঙ্গে লাগবে বেশি সময়ও। তাই বাড়তে পারে টিকিটের দাম। কমে যেতে পারে যাত্রী সংখ্যা। এমনিতেই পাক অর্থনীতির হাঁড়ির হাল।  অধিকাংশ ফ্লাইট মধ্যপ্রাচ্য বা মালয়েশিয়ায় যায়। ভারতীয় আকাশসীমা বন্ধ হওয়ায় মালয়েশিয়াগামী বিমানগুলিকে হয় চিন নয়তো শ্রীলঙ্কা হয়ে যেতে হবে। তাই এই সময় (Pakistani Flights) গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে পড়েছে ইসলামাবাদ (India Pakistan Relation)। প্রসঙ্গত, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি কোনও বিমান চলাচল করে না।

    অর্থনৈতিক যুদ্ধ!

    অবসরপ্রাপ্ত এক ভারতীয় কূটনীতিকের মতে, “এটি শান্তিপূর্ণ উপায়ে অর্থনৈতিক যুদ্ধ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও ভারত পাকিস্তানের জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করেছিল। এবার পাকিস্তানের বিপর্যস্ত অর্থনীতির জন্য ঝুঁকি আরও বেশি।” ইউরোপীয় এভিয়েশন সেফটি এজেন্সির নিষেধাজ্ঞার (চার বছর পর গত বছর প্রত্যাহার করা হয়) মধ্যেই সঙ্কটে থাকা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) সামনে এখন নতুন অস্তিত্ব সঙ্কট। সর্বসাকুল্যে মাত্র ৩২টি বিমান রয়েছে পিআইএ-র। সেখানে ভারতের সব মিলিয়ে হাজারের বেশি। এক বিমান বিশেষজ্ঞের মন্তব্য, “এটি পিআইএ-র কফিনে শেষ পেরেক হয়ে উঠতে পারে (Pakistani Flights)।”

    পাকিস্তানের বড় ক্ষতি

    পাকিস্তানের আকাশসীমা দিয়ে আগে সপ্তাহে ৮০০-এরও বেশি ভারতীয় ফ্লাইট চলাচল করত, যার মাধ্যমে তারা দৈনিক প্রায় ১,২০,০০০ মার্কিন ডলার আয় করত। এটি তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রার উৎস ছিল। কিন্তু তাদেরই প্রতিশোধমূলক নিষেধাজ্ঞায় এখন এই আয় বন্ধ হয়েছে। এক ভারতীয় ঊর্ধ্বতন বিমান কর্তৃপক্ষের কথায়, “ভারতীয় এয়ারলাইন্স বন্ধের পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্ত নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারার শামিল। এখন তাদের আরও বড় ধাক্কার জন্য প্রস্তুত হতে হবে (India Pakistan Relation)।”

  • India: ‘একটা দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র’! হাতিয়ার পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর স্বীকারোক্তি, রাষ্ট্রসংঘে ইসলামাবাদকে তুলোধনা ভারতের

    India: ‘একটা দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র’! হাতিয়ার পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর স্বীকারোক্তি, রাষ্ট্রসংঘে ইসলামাবাদকে তুলোধনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বিশ্বের দরবারেও মুখ পুড়ল পাকিস্তানের। পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে ভারত (India) রাষ্ট্রসংঘে (United Nations) পাকিস্তানের তীব্র নিন্দা করে তাকে ‘দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র’ হিসেবে উল্লেখ করল। সম্প্রতি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ টেলিভিশনে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীকে সমর্থন ও অর্থায়নের কথা কবুল করেছেন। ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীরা। জঙ্গিদের ওই হামলায় রক্তাক্ত হয় ভূস্বর্গ। হত্যা করা হয় ২৮ জনকে। এঁদের মধ্যে ২৬ জনই হিন্দু। এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নিতে গিয়ে খুন হন স্থানীয় এক মুসলিম যুবকও। নিহতদের তালিকায় রয়েছেন এক খ্রিস্টানও।

    জঙ্গিদের মদত (India)

    সন্ত্রাসবাদে ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাসোসিয়েশন নেটওয়ার্ক (ভোটান) চালুর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি যোজনা প্যাটেল সরাসরি স্কাই নিউজকে সাক্ষাৎকারে দেওয়া পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যের উদ্ধৃতি দেন। তিনি বলেন, “সম্প্রতি একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ কীভাবে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে প্রশিক্ষণ, অর্থায়ন ও সমর্থন করার পাকিস্তানের ইতিহাস স্বীকার করেছেন, তা গোটা বিশ্বই শুনেছে।”

    খাজা আসিফের স্বীকারোক্তি

    প্যাটেলের এই মন্তব্যের আগে (India) স্কাই নিউজে খাজা আসিফের স্পষ্ট স্বীকারোক্তি, যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আমরা প্রায় তিন দশক ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে এই নোংরা কাজ করেছি। এবং ব্রিটেনসহ পশ্চিমি দেশগুলির (United Nations)। এটা ছিল একটি ভুল। এজন্য আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। যদি আমরা সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এবং পরে ৯/১১-পরবর্তী যুদ্ধে যোগ না দিতাম, তাহলে পাকিস্তানের রেকর্ড ছিল সম্পূর্ণ নির্দোষ।”

    ভারতের প্রতিনিধি পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলিতে বারবার প্রচার ছড়ানো এবং ভারতের বিরুদ্ধে অকারণ অভিযোগ তোলার অপব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। পহেলগাঁও হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এটি ২০০৮ সালের ভয়াবহ ২৬/১১ মুম্বই হামলার পর থেকে সর্বাধিক সংখ্যক বেসামরিক মানুষের হতাহতের ঘটনা (India)।”

    এই ঘটনার পর বৈশ্বিক সমর্থন ও সংহতি প্রকাশের জন্য পটেল কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, “এটি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জিরো টলারেন্সের প্রমাণ। আমরা আবারও জানাচ্ছি, যে সন্ত্রাসবাদের যে কোনও রূপকে দ্ব্যর্থহীনভাবে নিন্দা করতে হবে (United Nations)।”

  • Pahalgam Attack: রাত দেড়টায় সাংবাদিক সম্মেলন! ভারতের ভয়ে ঘুম উড়েছে পাকিস্তানের শীর্ষ কর্তাদের

    Pahalgam Attack: রাত দেড়টায় সাংবাদিক সম্মেলন! ভারতের ভয়ে ঘুম উড়েছে পাকিস্তানের শীর্ষ কর্তাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাস হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান (Pakistan) মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কাশ্মীরে আরও বড় ধরনের হামলার ছক কষছে সন্ত্রাসবাদীরা। মঙ্গলবার জঙ্গি দমনে সেনাবাহিনীকে ফ্রিহ্যান্ড দিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বস্তুত, তার পরেই আতঙ্কে ঘুম উড়ে গিয়েছে পাকিস্তানের। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত-সহ পাঁচ পদক্ষেপের জেরে এমনিতেই বেকায়দায় পড়েছে দুর্বল অর্থনীতির দেশ পাকিস্তান। এবার ভারত সেনাবাহিনীকে ফ্রিহ্যান্ড খেলতে দেওয়ায় আক্ষরিক অর্থেই ঘুম উবে গিয়েছে পাক কর্তাদের। যার জেরে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, “আমরা নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছি, যা থেকে ইঙ্গিত মিলছে যে ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে সামরিক হামলা চালাতে পারে।”

    মধ্যরাতে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট (Pahalgam Attack)

    মধ্যরাতে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি একটি পোস্টও করেন। লেখেন, “পাকিস্তান বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়েছে ভারত চাইছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেনা সংক্রান্ত অ্যাকশনে নামতে পারে আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে। পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার ভিত্তিহীন ও সাজানো অভিযোগের অজুহাতে তা হতে চলেছে।” পাকিস্তানের ওই মন্ত্রী তাঁর পোস্টে দাবি করেন, “একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান খোলাখুলিভাবে সত্য নিরূপণের জন্য বিশেষজ্ঞদের একটি নিরপেক্ষ কমিশন দ্বারা একটি বিশ্বাসযোগ্য, স্বচ্ছ এবং স্বাধীন তদন্তের প্রস্তাব দিয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, যুক্তির পথ অনুসরণ করার পরিবর্তে ভারত স্পষ্টতই অযৌক্তিকতা এবং সংঘাতের বিপজ্জনক পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার পরিণতি সমগ্র অঞ্চল এবং তার বাইরেও ভয়াবহ হবে।”

    কী বললেন পাক মন্ত্রী

    বরাবরের মতো এবারও ‘ভিকটিম কার্ড’ খেলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। তারার বলেন, “পাকিস্তান নিজেও বহুবার সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছে। তাই এই বিষয়ের যন্ত্রণা আমরা ভালোই জানি। আমরা সব সময়ই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, সেটা যেখানেই হোক না কেন।” তিনি বলেন (Pahalgam Attack), “ভারত এখন বিচারক, জুরি আর শাস্তিদাতা হয়ে গিয়েছে। অথচ আমরা চাই, নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটা স্বচ্ছ তদন্ত হোক। এতে (Pakistan) সত্যিটা সামনে আসবে।” পরিস্থিতির গুরুত্ব স্বীকার করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের মন্ত্রী। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা যে কোনও মূল্যে রক্ষা করতে আমরা আমাদের দৃঢ় সঙ্কল্পের কথা ফের মনে করিয়ে দিচ্ছি ভারতকে।”

    মোদির হুঙ্কারে থরহরি কম্প পাকিস্তানের

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই বিহার থেকে পহেলগাঁওকাণ্ডে হুঙ্কার দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, “জঙ্গিদের বেঁচে-বর্তে থাকা জমিও মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার সময় চলে এসেছে।” এরপর মঙ্গলবার রাতে তিনি সেনাবাহিনীকে ফ্রিহ্যান্ড খেলার অনুমতি দিয়ে দেন। তার পরেই প্রমাদ গুণছে পাকিস্তান। ভারত যে ক্রমেই পাকিস্তানের আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠছে, তা সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলে ফেলেছেন পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খ্বজা মহম্মদ আসিফ। তিনি বলেন, “যে কোনও দিনই পাকিস্তানে ঢুকে পড়তে পারে ভারতীয় সেনা। বিষয়টা অবশ্যম্ভাবী পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। সেই কারণে সামরিক প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তানও।”

    রাষ্ট্রসংঘের কাছে কান্না পাকিস্তানের

    সোমবার ইসলামাবাদে নিজের কার্যালয়ে বসে রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খ্বজা মুহম্মদ আসিফ বলেন, “আমাদের সেনা সামরিকভাবে প্রস্তুত হচ্ছে। কারণ এটা (ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ) এমন একটা বিষয়, যা এখন অবশ্যম্ভাবী। তাই এমন সময় কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতেই হয়, সেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে (Pahalgam Attack)।” এদিকে, ভারতের হামলা করার পরিকল্পনার পর পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ চাইছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, “এ সংক্রান্ত স্পষ্ট তথ্য পাওয়া গিয়েছে।” পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের হস্তক্ষেপও চেয়েছে (Pakistan)।

    অন্যদিকে, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমেরিকা উভয় দেশকে পরিস্থিতি আরও জটিল না করতে অনুরোধ জানিয়েছে। মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করবেন বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে তাদের বন্ধুদেশগুলিকেও অনুরোধ জানিয়েছে (Pahalgam Attack)।

  • Jammu Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে তীব্র গতিতে চলছে জঙ্গি নিকেশ অভিযান

    Jammu Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে তীব্র গতিতে চলছে জঙ্গি নিকেশ অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি নিকেশ করতে জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmi) একেবারে তেড়েফুঁড়ে নেমেছে মোদি সরকার। পহেলগাঁও হামলার পরবর্তীকালে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের খতম করতে বদ্ধপরিকর দিল্লি। এই কারণে জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান (Jammu Kashmi) পরিচালনা করা হচ্ছে তীব্র গতিতে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অভিযান জোরকদমে তীব্র গতিতে চলছে। তবে এনিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি সামনে আনছে না প্রশাসন। কারণ এতটাই গোপন রাখা হয়েছে সেই অভিযান।

    কল্পনার থেকেও বেশি শাস্তির কথা ঘোষণা করেছিলেন মোদি

    পহেলগাঁওতে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা (Counter Terror Operations) ঘটে যেখানে ধর্ম বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের গুলি করে হত্যা করা হয়। নিহত হন ২৬ জন মানুষ। সারাদেশের নাগরিকদের মধ্যে এনিয়ে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়। আমেরিকা, ব্রিটেন সমেত অনেক দেশ এই ঘটনার নিন্দা জানায়। হামলার কয়েকদিন পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিহারের মধুবনিতে একটি জনসভা করেন। নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে এই হামলার সঙ্গে যুক্ত এবং হামলার নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদের কল্পনার থেকেও বেশি শাস্তি হবে। পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত এদেরকে তাড়া করা হবে বলেও জানান মোদি।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথাই বাস্তবায়িত হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীরে

    প্রসঙ্গত জম্মু-কাশ্মীরে বিভিন্ন জেলায় তীব্রগতিতে (Counter Terror Operations) নিরাপত্তা বাহিনীর এই অভিযান বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে অনেকেই মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যা বলেছিলেন সেটাই বাস্তবায়িত (Jammu Kashmi) হচ্ছে। গত ২৮ এপ্রিল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন যে, ভারত সামরিক হামলার (Jammu Kashmi) প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই আবহে মঙ্গলবারই সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী, এনএসএ, সিডিএস এবং ৩ বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ওই জরুরি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজনাথ সিং, অজিত দোভাল এবং অনিল চৌহান। কাশ্মীরে কাপুরুষোচিত হামলার পর কীভাবে পাকিস্তানকে জবাব দেওয়া যায়, সেই গুরুত্বপূর্ণ রোডম্যাপই তৈরি করা হয় এই বৈঠকে।

  • PM Modi: প্রত্যাঘাত স্রেফ সময়ের অপেক্ষা! সেনাকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন মোদি

    PM Modi: প্রত্যাঘাত স্রেফ সময়ের অপেক্ষা! সেনাকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সেনাবাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মিশনের জন্য একেবারে প্রস্তুত সেনাবাহিনী। কীভাবে হবে প্রত্যাঘাত তা নিয়েই এদিন জরুরি বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী, এনএসএ, সিডিএস এবং ৩ বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ওই জরুরি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজনাথ সিং, অজিত দোভাল এবং অনিল চৌহান। কাশ্মীরে কাপুরুষোচিত হামলার পর কীভাবে পাকিস্তানকে জবাব দেওয়া যায়, সেই গুরুত্বপূর্ণ রোডম্যাপই তৈরি করা হয় এই বৈঠকে। এবার প্রত্যাঘাত স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।বৈঠকশেষে প্রধানমন্ত্রী মোদির বাসভবনে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠকে সেনার উপরে সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেছেন।

    ভারত একাধিক পদক্ষেপ আগেই করেছে (PM Modi)

    দেশজুড়ে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা ও ক্ষোভের আবহে আগেই পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করেছে কেন্দ্র। একইসঙ্গে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত, এবং আটারি সীমান্ত বন্ধের মতো নানা পদক্ষেপ করেছে মোদি সরকার। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তানি বিমান সংস্থাগুলির জন্য ভারতীয় আকাশসীমা বন্ধ করার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। শুধু যে আকাশসীমা তাই নয়, সরকারি আধিকারিকদের সূত্র বলছে, ভারতীয় বন্দরগুলিতেও পাকিস্তানি জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে।

    মঙ্গলবারই ৭ দিন পূর্ণ হল পহেলগাঁও হামলার (PM Modi)

    মঙ্গলবারই পহেলগাঁও হামলার এক সপ্তাহ পূরণ হয়েছে। ধর্ম বেছে ২৬ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে জঙ্গিরা। এর পরেই কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি অভিযান ও ধরপাকড় চালায় সেনা। ধূলিস্যাৎ করে দেওয়া হয় জঙ্গিদের বাড়ি। এদিকে এই হামলার পরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেন মোদি। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবারের জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। সোমবারও এই একই ধরনের বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে।

  • Indus Water Treaty: সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হওয়ার পর পাকিস্তানের দশা দেখে থরহরি কম্প বাংলাদেশও, কেন?

    Indus Water Treaty: সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হওয়ার পর পাকিস্তানের দশা দেখে থরহরি কম্প বাংলাদেশও, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওকাণ্ডের পর পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি (Indus Water Treaty) স্থগিত করে দিয়েছে ভারত। তার জেরে ভরা গ্রীষ্মে প্লাবিত হয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাংশ (Bangladesh)। ভারতের এহেন পদক্ষেপের জেরে ভীত বাংলাদেশ সরকারও।

    বিপজ্জনক খেলা (Indus Water Treaty)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশকে ভারতের নিরাপত্তাকে হুমকি দেওয়ার বিপজ্জনক খেলা বন্ধ করতে হবে। পাকিস্তানের আইএসআইকে মুক্ত হস্তে কাজ করতে দেওয়া এবং ভারতের শিলিগুড়ি করিডর ও সুন্দরবনের মংলা বন্দরের কাছাকাছি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে চিনকে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানানো থেকে ঢাকাকে সরে আসতে হবে। নাহলে দিল্লি ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল কিংবা আরও কয়েকটি পরিকাঠামো প্রকল্প বন্ধ করার চেয়েও ঢের বেশি কঠোর পদক্ষেপ করার কথা ভাবতে পারে। ৬৫ বছরের পুরনো সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত হওয়ার পর পাকিস্তানের দশা দেখে বাংলাদেশ সহ নিম্নাঞ্চলের দেশগুলিতে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। এই চুক্তি তিনটি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ (কার্গিল সহ) এবং ২০০৮-এর মুম্বই হত্যাকাণ্ডের মতো একাধিক জঙ্গি হামলা সহ্য করেছিল। তাই এই উদ্বেগ যুক্তিসঙ্গত, বিশেষত যখন আগামী বছর ৩০ বছরের পুরানো গঙ্গা জল চুক্তি নবীকরণের কথা রয়েছে।

    ভারতের শতাধিক নদী বাংলাদেশে গিয়েছে

    গঙ্গার বাইরে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র-সহ বারাক, ফেনির মতো শতাধিক নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ২০১৯ সালে ভারত ফেনি নদীর জল বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করে। অন্যান্য নদীর ক্ষেত্রে কোনও চুক্তি নেই। যদিও তাতে উদ্বেগ কমেনি। ভারত ঢাকার সঙ্গে সঠিক সময়ে আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য, বন্যা সতর্কতা আদানপ্রদান করে। এই তথ্য প্রবাহে সামান্য বিঘ্নও বাংলাদেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে (Indus Water Treaty)। দিল্লি জল বা আবহাওয়াকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতেই পারে। কারণ উত্তর ভারতের বেশিরভাগ প্রধান নদীর উৎপত্তিই হয়েছে তিব্বতে। যখনই রাজনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হয়, তখনই বেজিং থেকে তথ্যপ্রবাহ ধীর হয়ে যায়। সৌভাগ্যবশত, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রসহ এই নদীগুলির প্রধান জলাধার রয়েছে ভারতেই। তাছাড়া, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভারত সতর্কও রয়েছে। অতিরিক্ত সতর্কতা হিসাবে, দিল্লি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিশাল জলাধার সহ একাধিক বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করছে। এগুলি উজানের প্রবাহে অপ্রত্যাশিত ওঠানামা মোকাবিলায় সাহায্য করবে (Bangladesh)।

    ঢাকা ভারতের উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারে

    আসল কথা হল, বাংলাদেশকে বুঝতে হবে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি কানাডা ও মেক্সিকোর মতো দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্য সহযোগীর ওপরও পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করতে পারে, তবে কোনও সম্পর্ক বা চুক্তিই যাচাই-বাছাইয়ের ঊর্ধ্বে নয়। ভারত কঠোর শক্তি ব্যবহার এড়িয়ে চলে কারণ সে তার উন্নয়নের গতিপথ থেকে বিচ্যুত হতে চায় না। ১৯৯১ সালে উদারীকরণের পর থেকে ৬ শতাংশেরও বেশি গড় প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিগুলির মধ্যে ভারত অন্যতম (Indus Water Treaty)। ভারতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিনিময়ে ঢাকা ভারতের উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারে। কিন্তু পাকিস্তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করলে তার চরম মূল্য দিতে হবে ইউনূসের দেশকে। শেখ হাসিনা এটি বুঝতে পেরেছিলেন বলেই তিনি ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছিলেন। এর সুবিধা শুধু এই অঞ্চলেই নয়, সমগ্র বিমস্টেক উপঅঞ্চলেও বিস্তৃত হয়েছিল। ২০১৫ সালে গঠিত এই গোষ্ঠীটি দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা বা সার্কের অকার্যকর প্রক্রিয়া এড়িয়ে অগ্রগতির লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছিল।

    সার্কের ব্যর্থতা

    দুর্ভাগ্যবশত, মহম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই এই ধারাকে উল্টে দেন। তিনি কখনও বিবিআইএন (BBIN)-এর উল্লেখ করেননি। বরং বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ককে মজবুত করার দিকে ঝুঁকেছেন। মাত্র আট মাসের মধ্যে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছায় – এমনকি ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগ উপেক্ষা করে বাংলাদেশ পাকিস্তানি পণ্য পরিবহণের শক্তি যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তাও বাতিল করে দেয় (Bangladesh)। সার্কের ব্যর্থতা ও এর পিছনের কারণগুলি সকলেই জানেন। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্কে বাংলাদেশ বা এই অঞ্চলের লাভকে উপেক্ষাই করা যায়। তবুও ইউনূস ইসলামাবাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে রাজনীতিকীকরণের লক্ষ্যেই কেবল সার্ককে সমর্থন করছেন (Indus Water Treaty)। এটি একটি দশক প্রাচীন পরিকল্পনা, যা বর্তমান ভূ-রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক, যেখানে ভারত বৈশ্বিক মহাশক্তির অবস্থান জোগাড় করতে তৎপর। বুধবার, মোদি পাকিস্তানের সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। সকল পাক নাগরিককে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানিদের জন্য সার্ক ভিসা ছাড়ের স্কিমও বাতিল করা হয়েছে।

    ইউনূসের দায়িত্ব গ্রহণ

    ইউনূস দায়িত্ব নিয়েছিলেন উত্তর-পূর্ব ভারতে ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংবেদনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে। সম্প্রতি তিনি দিল্লিকে স্টেকহোল্ডার না করে উত্তর-পূর্ব ভারতীয় বাজার দখলের লক্ষ্যে বাংলাদেশে চিনা বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সন্ত্রাসের সঙ্গে খেলাধুলা করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে বাংলাদেশের। একসময় উত্তর-পূর্বের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। ২০০৪ সালের ১০ ট্রাক অস্ত্রের মামলা আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসকে সমর্থনের একটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত। ইউনূস প্রশাসন সেই মামলায় অভিযুক্ত সকলকেই মুক্তি দিয়েছে (Bangladesh)। মারণাত্মক সন্ত্রাসী সংগঠন আনসারুল্লাহ্ বাংলা টিমের প্রধান এখন মুক্ত। নিষিদ্ধ হিজবুত তাহরিরের পোস্টার বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে আছে। আল-কায়েদার পতাকা চোখে পড়ে ঢাকার যত্রতত্র। এগুলো কি ইউনূসের ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার পরিকল্পনার অংশ?

    ভারতের সন্ত্রাস বিষয়ক মনোভাবের পরিবর্তন

    পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলি ভারতের সন্ত্রাস বিষয়ক মনোভাবের পরিবর্তন নির্দেশ করে। এই পরিবর্তন শুরু হয় ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর। কাশ্মীর হামলা এই দৃঢ়সংকল্পকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। আশা করা যায়, বাংলাদেশ এটি সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করছে (Indus Water Treaty)। প্রসঙ্গত, মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের আলোচনার ধারা নিয়ন্ত্রণে আনতে এক অভিনব কৌশল নিয়েছে। প্রচলিত মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা তাদের রুটিন কাজের অংশ হলেও, আসল দক্ষতা দেখিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াকে প্রাধান্য দিয়ে। সরকারের প্রায় সবাই ফেসবুকে নিজেদের দফতরের দায়িত্বের সীমানা ছাড়িয়ে গিয়ে জটিল ও বিস্তারিত মতামত শেয়ার করছে। যে রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য জবাবদিহিতা ছাড়াই এই পরিকল্পনাটি সযত্নে পরিকল্পিত করা হয়েছে, তা বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এগুলোর মুখোমুখি হলে তারা পোস্ট মুছে দিয়ে নিজেদের দোষ ঢাকবে। তবে স্ক্রিনশটের মাধ্যমেই আলোচনা চলতে থাকে। একজন শীর্ষ মন্ত্রী ভারতের উত্তর-পূর্বকে ছিনিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করার পর ঠিক এমনটাই ঘটেছিল। কাশ্মীর হামলার পরেও তারা একই কাজ করেছিল।

    কাশ্মীর হত্যাকাণ্ডের পেছনের ষড়যন্ত্রকারী

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন আইন অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে সাধারণত জুলাই মাসের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রেরণা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বর্তমানে তিনি ইউনূস মন্ত্রিসভার একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী। ২৩ এপ্রিল তিনি মোদি সরকারকে কাশ্মীর হত্যাকাণ্ডের পেছনের ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে বর্ণনা করে কলকাতাভিত্তিক এক কংগ্রেস সমর্থকের একটি পোস্ট শেয়ার করেন (Indus Water Treaty)। পোস্টটির ভূমিকায় নজরুল লিখেছিলেন, “আমি এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করছি। তবে কে এর পেছনে আছে জানতে এই পোস্টটি পড়ুন।” নজরুলের এই বক্তব্য দ্রুত ডিজিটাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। দৈনিক ইনকিলাবের মতো পাক-সমর্থিত ইসলামিস্ট মিডিয়া একে লিড নিউজ করে। পরে তিনি পোস্টটি মুছে দেন (Bangladesh)। তারপর থেকে বাংলাদেশকে কিছু কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ একটি নিম্ন অববাহিকার দেশ। ফলে ভারতের ছোটখাট কোনও সিদ্ধান্তেরও চড়া মাশুল গুণতে হতে পারে বাংলাদেশকে (Indus Water Treaty)।

  • Anurag Thakur: “সৈফুদ্দিনের মতো নেতারা নির্লজ্জভাবে একটি দুশ্চরিত্র রাষ্ট্রের প্রতি সহানুভূতিশীল,” কংগ্রেসকে তোপ অনুরাগের

    Anurag Thakur: “সৈফুদ্দিনের মতো নেতারা নির্লজ্জভাবে একটি দুশ্চরিত্র রাষ্ট্রের প্রতি সহানুভূতিশীল,” কংগ্রেসকে তোপ অনুরাগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সৈফুদ্দিনের মতো নেতারা নির্লজ্জভাবে পাকিস্তানের পক্ষ নেন। তাঁরা একটি দুশ্চরিত্র রাষ্ট্রের প্রতি সহানুভূতিশীল।” সোমবার কথাগুলি বললেন সাংসদ বিজেপির অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে মন্তব্যের জন্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস (Congress) নেতা সৈফুদ্দিন সোজের উদ্দেশে কটাক্ষ বাণ হেনে অনুরাগ বলেন, “কংগ্রেসের আসল চেহারা প্রতিনিধিত্বকারী সোজের মতো ব্যক্তিরা সরকারের সিদ্ধান্তে বিচলিত।”

    অনুরাগের অভিযোগ (Anurag Thakur)

    এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে অনুরাগ অভিযোগ করেন, “সৈফুদ্দিনের মতো নেতারা যাঁরা নির্লজ্জভাবে পাকিস্তানের পক্ষ নেন, তাঁরা একটি দুশ্চরিত্র রাষ্ট্রের প্রতি সহানুভূতিশীল।” তিনি বলেন, “পাকিস্তান অভ্যাসগতভাবেই অপরাধী, যা সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নকে রাষ্ট্রনীতি হিসেবে নিয়ে ভারতকে ক্ষতবিক্ষত করতে ও বিশ্বকে বিপদে ফেলতে উৎসাহিত করে। তাই তাদের জবাবদিহি করতে হবে। নরেন্দ্র মোদি সরকার সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার মাধ্যমে পাকিস্তানকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে, শত্রুতার বিনিময়ে আতিথেয়তা আশা করো না।”

    নিশানায় কংগ্রেস

    অনুরাগ আরও লিখেছেন, “মোদি সরকারের কূটনৈতিক পদক্ষেপ, যা পাকিস্তান ও তার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংযমের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে, তাকে সমগ্র দেশ অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী সৈফুদ্দিন সোজের মতো লোকেরা, যাঁরা কংগ্রেসের আসল চেহারা তুলে ধরেন, তাঁরা সরকারের সিদ্ধান্তে কষ্ট পাচ্ছেন। পাকিস্তানের পক্ষে নির্লজ্জভাবে দাঁড়িয়ে তাঁদের হৃদয় এই দুশ্চরিত্র রাষ্ট্রের জন্য ব্যাকুল।”

    বিজেপি সাংসদ (Anurag Thakur) বলেন, “পাকিস্তান যদি এই ধরনের হামলা চালাতেই থাকে, তবে ভারত এক ফোঁটা জলও দেবে না। পাকিস্তান ও তার বন্ধুদের ক্লাবকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিই যে তোমরা আমাদের রক্তের এক ফোঁটা ঝরালে, ভারত জল দেবে না এক ফোঁটাও।”

    প্রসঙ্গত, এদিন সকালে সৈফুদ্দিন বলেন, “ভারতের উচিত নয় এতদূর যাওয়া, কারণ সিন্ধু জলচুক্তি যুদ্ধের সময়ও ভালোভাবে কাজ করেছে।” তিনি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে যা ঘটেছে, তা মর্মান্তিক এবং গ্রহণযোগ্য নয়। প্রত্যেক ভারতীয়ের উচিত (Congress) প্রধানমন্ত্রী যে নীতি গ্রহণ করেছেন, তা মেনে চলা (Anurag Thakur)।”

  • Pahalgam Attack: জোরালো বিস্ফোরণে কাঁপল পাকিস্তান, হত অন্তত ৭, নেপথ্যে কি টিটিপি?

    Pahalgam Attack: জোরালো বিস্ফোরণে কাঁপল পাকিস্তান, হত অন্তত ৭, নেপথ্যে কি টিটিপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার (Pahalgam Attack) পর এক সপ্তাহও কাটেনি। এবার জোরালো বিস্ফোরণ হল পাকিস্তানের (Pakistan) দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে। সোমবারের ওই বিস্ফোরণে অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন অনেকে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই অনুমান।

    শান্তি কমিটির বৈঠকে বিস্ফোরণ (Pahalgam Attack)

    এদিন দুপুরে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে স্থানীয় শান্তি কমিটির বৈঠক চলছিল একটি বহুতলে। আচমকাই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বাড়িটি। বিস্ফোরণের অভিঘাতে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা পুলিশের। পাক পুলিশের আধিকারিক উসমান ওয়াজির বলেন, “ওয়াজিরিস্তানের একটি ভবনে শান্তিবৈঠক চলছিল। বিস্ফোরণের ফলে ওই বহুতলের একটি অংশ ধসে পড়ে। তাতেই মৃত্যু হয় সাতজনের। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে যান বেশ কয়েকজন। এই হামলার নেপথ্যে কারা, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।”

    নেপথ্যে কি টিটিপি

    বিস্ফোরণের খবর পেয়ে দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে চলে যান উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। উদ্ধারকারী দলকে সাহায্য করছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান জেলাটি খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে অবস্থিত। এলাকাটি পাক তালিবানদের গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-র ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত। এদিন দুপুরে সেখানকারই প্রধান শহর ওয়ানায় সরকারপন্থী এক শান্তি কমিটির দফতরের বাইরে বিস্ফোরণ হয়। অতীতে বিভিন্ন সময় টিটিপির বিরোধিতা করেছিল এই শান্তি কমিটি (Pahalgam Attack)। তাই বিস্ফোরণের নেপথ্যে তাদের হাত রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, রবিবারই পাকিস্তানের হাসান খেল এলাকায় পাক সেনা ও আফগান অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়।

    সামরিক মিডিয়া উইংয়ের মতে, এবছর ২৫ থেকে ২৭ এপ্রিলের মধ্যে রাতের বেলায় উত্তর ওয়াজিরিস্তানের হাসান খেল এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের কথা জানতে পারে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। রবিবার এই অনুপ্রবেশ ঠেকাতেই দুপক্ষে হয় গুলি বিনিময়। পাক সেনার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, “আমাদের সেনা অনুপ্রবেশের চেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থ করে দিয়েছে। নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে।” সোমবারের (Pakistan) বিস্ফোরণে এদের হাত থাকতে পারে বলেও অনুমান পাক সেনার (Pahalgam Attack)।

LinkedIn
Share