Tag: pakistan

pakistan

  • Pahalgam Attack: বন্ধ বাণিজ্য, ফাঁপরে পাকিস্তান, চড়া দরে কিনতে হচ্ছে হাতফের হওয়া ভারতীয় পণ্য

    Pahalgam Attack: বন্ধ বাণিজ্য, ফাঁপরে পাকিস্তান, চড়া দরে কিনতে হচ্ছে হাতফের হওয়া ভারতীয় পণ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওকাণ্ডে (Pahalgam Attack) সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে ভারত। তার জেরে ভারতের সঙ্গে সমস্তরকম বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছে পাকিস্তান। যার চড়া মূল্য চোকাতে হচ্ছে ইসলামাবাদকে। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (জিটিআরআই)-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেলেও, পাকিস্তানে ভারতীয় পণ্যের চাহিদা অপরিবর্তিত রয়েছে। সেই চাহিদা সামাল দিতে পাকিস্তানকে ভারতীয় পণ্য আমদানি চালিয়ে যেতে হবে। এজন্য চড়া মাশুল গুণতে হবে। জিটিআরআই জানিয়েছে, সীমান্ত বন্ধে আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য থেমে গেলেও, চাহিদা কমেনি। পাকিস্তান ভারতীয় পণ্য উচ্চমূল্যে ও তৃতীয় দেশের মাধ্যমে সংগ্রহ করবে।”

    দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কে অবনতি (Pahalgam Attack)

    ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর ভারত পাকিস্তানের মোস্ট ফেভার্ড নেশন মর্যাদা প্রত্যাহার করে এবং পাকিস্তানি পণ্যে ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কে অবনতি শুরু হয়। জবাবে পাকিস্তান ২০১৯ সালের অগাস্ট থেকে সকল দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে কেবল মাঝে মধ্যে ওষুধের মতো মানবিক পণ্য রফতানি হয়েছে পাকিস্তানে। ভারত পাকিস্তান দুই দেশের এই তলানিতে ঠেকে যাওয়া সম্পর্ক সত্ত্বেও, সরকারি তথ্য অনুযায়ী ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ভারত পাকিস্তানে ৪৪৭.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের (Pakistan) পণ্য রফতানি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, ১১০.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ফার্মাসিউটিক্যালস, ১২৯.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সক্রিয় ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান, ৮৫.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের চিনি, ১২.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের অটো পার্টস এবং ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সার (Pahalgam Attack)। এদিকে, পাকিস্তান থেকে ভারতের আমদানি নগণ্য – মাত্র ০.৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ছিল ডুমুর, তুলসি ও রোজমেরির মতো কৃষিজাত পণ্য।

    জিটিআরআইয়ের অনুমান

    জিটিআরআইয়ের অনুমান, আনুষ্ঠানিক পুনঃরফতানি পথে প্রধানত সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও সিঙ্গাপুরের মাধ্যমে এখনও প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয় দুই দেশের মধ্যে। এর মধ্যে ভারতীয় পণ্য ছিল, ফার্মাসিউটিক্যালস, রাসায়নিক দ্রব্য, চা ও কফি, তুলা ও রং, লবণ, চিনি, লোহা ও ইস্পাত, অটো পার্টস এবং পেঁয়াজ, টমেটোর মতো পচনশীল পণ্য। জানা গিয়েছে, এই একই পথে পাকিস্তানের যেসব পণ্য ভারতে প্রবেশ করে, তার মধ্যে রয়েছে, সৈন্ধব লবণ, খেজুর, খোবানি ও বাদামের মতো শুকনো ফল (Pahalgam Attack)। ভারতের এই বাণিজ্য বন্ধের সিদ্ধান্তের ফলে পাকিস্তানে সরবরাহ শৃঙ্খলে জটিলতা ও মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটি ইতিমধ্যেই আইএমএফ, বিশ্বব্যাঙ্ক ও ফিচ রেটিংসের মতো প্রতিষ্ঠানের সতর্কতা সহ অর্থনৈতিক চাপের মুখোমুখি রয়েছে। এমতাবস্থায় ভারতের বাণিজ্য বন্ধের সিদ্ধান্তে পাক সরকার যে আরও বিপাকে পড়বে, তা বলাই বাহুল্য।

    পাকিস্তানে ওষুধের সঙ্কট

    জানা গিয়েছে, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ হওয়ায় পাকিস্তানে ওষুধের সঙ্কট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা পাক রাজনীতিবিদদের। কারণ পাকিস্তানে ওষুধের কাঁচামালের সিংহভাগই যায় ভারত থেকে। সেই সরবরাহ বন্ধ হতেই বিপাকে ইসলামাবাদ (Pakistan)। গত বৃহস্পতিবার ভারতের সঙ্গে যাবতীয় বাণিজ্য বন্ধ করার কথা ঘোষণা করে পাকিস্তান। তার পরেও ওষুধের ভাঁড়ারে টান পড়তে পারে ভেবে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছে পাক সরকার (Pahalgam Attack)।

    ভারত-পাক সম্পর্কে অবনতির জের

    উনিশ সালে পাকিস্তানের বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরেও অবনতি হয়েছিল ভারত-পাক সম্পর্কে। সেই সময়ও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বাণিজ্য। যার জেরে ওষুধের সঙ্কট সৃষ্টি হয় পাকিস্তানে। এবার যাতে সেই পরিস্থিতি তৈরি না হয়, আগেভাগেই তার ব্যবস্থা করে রাখতে চায় ইসলামাবাদ। ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটি অফ পাকিস্তানের এক আধিকারিক বলেন, “২০১৯ সালের সঙ্কটের কথা মাথায় রেখে আমরা এই প্রস্তুতি শুরু করেছি। ওষুধের চাহিদা মেটানোর জন্য আমরা বিকল্পের খোঁজ করছি।” পাক স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, “আমরা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ওষুধ ভারত থেকে আমদানি করি। ক্যান্সার থেরাপি, বিভিন্ন ভ্যাকসিন, সাপের বিষের প্রতিষেধক ভারত থেকে পাকিস্তানের বাজারে আসে।” তাঁর আশঙ্কা শীঘ্রই বাণিজ্য বন্ধের প্রভাব পড়তে চলেছে ওষুধের বাজারে। জানা গিয়েছে, আমদানির পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চিন, রাশিয়া এবং ইউরোপের একাধিক দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে পাকিস্তান। ওই সব দেশ থেকে ওষুধ কেনার কথা ভাবছে (Pakistan) পাক সরকার। যদিও ঠিক কোথা থেকে ওষুধ কেনা হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি বলেই পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর (Pahalgam Attack)।

  • Rajnath Singh: রাজনাথের সঙ্গে চল্লিশ মিনিট রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, দুয়ারে যুদ্ধ!

    Rajnath Singh: রাজনাথের সঙ্গে চল্লিশ মিনিট রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, দুয়ারে যুদ্ধ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই দেশের সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল অনিল চৌহানের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। ঠিক তার পরের দিনই রাজনাথ গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। ২২ এপ্রিল, মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) জম্মু-কাশ্মীরে যে সেনা অভিযান চলছে সেই ব্যাপারে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁকে ব্রিফিং দেন। পহেলগাঁওয়ের ওই হামলায় জঙ্গিরা বেছে বেছে খুন করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। এক জঙ্গির কাছ থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন হন স্থানীয় এক কাশ্মীরি মুসলমান। এদিন প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হয় মিনিট চল্লিশেক।

    রুদ্ধদ্বার বৈঠক (Rajnath Singh)

    রুদ্ধদ্বার ওই কক্ষে ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে রাজনাথ দক্ষিণ ব্লকে যান, যেখানে সেনাপ্রধান তাঁকে কাশ্মীরের পরিস্থিতি, বিশেষত পহেলগাঁওয়ে সর্বশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু হওয়া অঞ্চলটি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্রিফিং দেন। পহেলগাঁওয়ের ওই ঘটনার জেরে ভারতে তো বটেই, আন্তর্জাতিকভাবেও ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভারত সরকার এই হামলার সীমান্ত-পার্শ্ববর্তী সংযোগের কথা উল্লেখ করে জোরালো ও সুনির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’

    রবিবারই তাঁর ১২১তম ‘মন কি বাতে’ দেশবাসীকে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। পহেলগাঁও হামলায় অপরাধী ও ষড়যন্ত্রীদের বিরুদ্ধে সব চেয়ে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। ‘মন কি বাতে’ প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে সমগ্র বিশ্ব ১৪০ কোটি (Rajnath Singh) ভারতবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আমি আবারও আশ্বাস দিচ্ছি, তারা ন্যায়বিচার পাবে। ন্যায়বিচার অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে।” ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করে বলেন, “এটি কাশ্মীর ও দেশের শত্রুদের একটি হতাশাপূর্ণ প্রচেষ্টা, যারা এই অঞ্চলের অসাধারণ অগ্রগতিকে ব্যাহত করতে চায়।”

    এই হামলাকে “সন্ত্রাসবাদে প্রশ্রয়দানকারীদের” হতাশার প্রতিফলন বলেও উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যে সময়ে কাশ্মীরে শান্তি ফিরে আসছিল, স্কুল-কলেজে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছিল, গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়ে উঠছিল, পর্যটন বৃদ্ধি পাচ্ছিল এবং যুবসমাজের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছিল, সেই (Pahalgam Attack) সময়ে জম্মু-কাশ্মীর ও দেশের শত্রুরা এটিকে মেনে নিতে পারেনি। জঙ্গিরা আবারও কাশ্মীরকে ধ্বংস করতে চায় (Rajnath Singh)।”

  • Pakistan: পেটে নেই খাবার, মুখে যুদ্ধের জিগির! পাকিস্তানে মুরগির মাংস ৮০০ টাকা, চালের দর ৩৪০ টাকা কেজি

    Pakistan: পেটে নেই খাবার, মুখে যুদ্ধের জিগির! পাকিস্তানে মুরগির মাংস ৮০০ টাকা, চালের দর ৩৪০ টাকা কেজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদের মদতদাতা পাক নেতারা হুমকি দিচ্ছেন ভারতের ওপর পরমাণু হামলা চালানোর। কিন্তু নিজের দেশের অন্দরের অবস্থা ভাঁড়ে মা ভবানী! খাবার সংস্থান করাই পাকিস্তানের (Pakistan) কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ। সেদেশে খাদ্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। চাল, আটা, সবজি, ফল ও মাংসের দাম অনেক বেশি (Pakistan Faces Food)। অবস্থা এতটাই খারাপ জায়গায় পৌঁছেছে যে মুরগির মাংসের দাম পাকিস্তানি মুদ্রায় ছুঁয়েছে প্রায় ৮০০ টাকা। অন্যদিকে, চালের দাম ছুঁয়েছে ৩৪০ পাকিস্তানি মুদ্রা। এই আবহে অনেকেই কটাক্ষ করে বলছেন, আগে পাকিস্তান নিজেদের খাদ্যের সংস্থান করুক, তারপর না হয় ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের কথা ভাববে।

    নিজের পায়েই কুড়ুল মেরেছে পাকিস্তান (Pakistan)

    ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করতেই পাকিস্তানজুড়ে খাদ্য সংকট আরও কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত অর্থবর্ষেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ৩৮৩৮.৫৩ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছিল। এবার নতুন অর্থবর্ষ শুরু হতেই পাকিস্তানের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত। অমৃতসরের এই সীমান্ত দিয়েই মূলত আমদানি রফতানি হয় পাকিস্তান, আফগানিস্তানে। কিন্তু পাকিস্তান আগ বাড়িয়ে বাণিজ্য স্থগিত করে নিজের পায়েই কুড়ুল মেরেছে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।

    এক কেজি মুরগির মাংসের দাম ৭৯৮ পাকিস্তানি মুদ্রা, চালের দাম ৩৪০ পাকিস্তানি মুদ্রা

    ভারত থেকেই পাকিস্তান (Pakistan) এতদিন অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ, বিভিন্ন কেমিক্যাল, খাদ্যপণ্য, মাছ-মাংস, ফল, সবজি, জিপসাম ও লবণ আমদানি করত। বর্তমানে যদি পাকিস্তানের বাজারের দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানের বাজারে এক কেজি মুরগির মাংসের দাম ৭৯৮ পাকিস্তানি মুদ্রা। অন্যদিকে, চালের দাম ছুঁয়েছে প্রতি কেজি ৩৩৯ পাকিস্তানি মুদ্রা! জানা যাচ্ছে, এক ডজন মুরগির ডিমের দাম পাকিস্তানে ৩৩২ পাকিস্তানি মুদ্রা, এক লিটার দুধের দাম সেখানে ২২৪ পাকিস্তানি মুদ্রা।

    আলুর দাম প্রতি কেজি ছুঁয়েছে ১০৫ পাকিস্তানি মুদ্রা

    অন্যদিকে, ৫০০ গ্রাম পাউরুটির দামই রয়েছে ১৬১ পাকিস্তানি মুদ্রা, আলুর দাম প্রতি কেজি ছুঁয়েছে ১০৫ পাকিস্তানি মুদ্রা। আপেলের দাম সেখানে কেজি প্রতি ২৮৮ টাকা, কলার দাম ছুঁয়েছে ১৭৬ পাকিস্তানি মুদ্রা। এই আবহে পাকিস্তানে ইতিমধ্যেই ওষুধ সঙ্কটের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভারত থেকেই ৩০-৪০ শতাংশ ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য আমদানি করে পাকিস্তান। বাণিজ্য বন্ধ হতেই বাজারে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বিরাট সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    মূল্যবৃদ্ধি আরও বাড়বে পাকিস্তানে

    প্রসঙ্গত, ভারতবর্ষের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য পাকিস্তানের বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তৃতীয় দেশের মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ব্যবসা চলতে থাকে। ভারতের বেশিরভাগ জিনিসই পাকিস্তান আমদানি করতে থাকে আফগানিস্তান এবং অন্যান্য দেশ থেকে। সম্প্রতি, তৃতীয় দেশের মাধ্যমেও বাণিজ্য বন্ধের কথা ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধের ফলে পাকিস্তানের অর্থনীতি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। এর ফলে ওষুধ সহ খাদ্য সামগ্রীর জিনিসপত্রে ঘাটতি তৈরি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যার ফলে যে মূল্যবৃদ্ধি পাকিস্তানে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে তা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাকিস্তানে ভারত জিপসাম এবং লবণ ছাড়াও বিপুল পরিমাণে ওষুধ রাসায়নিক, সবজি, হাঁস মুরগির খাবার এবং শুকনো ফল রফতানি করত এতদিন।

    এক কোটিরও বেশি পাকিস্তানিকে অনাহারে ভুগতে হবে, রিপোর্ট বিশ্ব ব্যাঙ্কের

    অন্যদিকে, পাকিস্তানের অবস্থা যে খুবই খারাপ হতে চলেছে আগামী দিনে, তার ভয়াবহ ভবিষ্যদ্বাণী শোনা গিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্কের একটি রিপোর্টেও। সেখানে বলা হচ্ছে যে তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে চলেছে পাকিস্তান। চলতি আর্থিক বছরে তাদের দারিদ্রতার মাত্রা আরও ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। শুধু তাই নয়, এক কোটিরও বেশি পাকিস্তানিকে অনাহারে ভুগতে হবে বলে নিজেদের রিপোর্টে জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।

    ২০২৫ সালেই চরমভাবে অনাহার দেখা দেবে পাকিস্তানে

    ওই রিপোর্ট অনুসারে, পাকিস্তানের (Pakistan) বর্তমান পরিস্থিতিতে ধান এবং ভুট্টা উৎপাদনের ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এই কারণে এক কোটিরও বেশি পাকিস্তানি তীব্র খাদ্য নিরাপত্তার সম্মুখীন হবেন। ২০২৫ সালেই চরমভাবে অনাহার দেখা দেবে পাকিস্তানে। বিশ্বব্যাঙ্কের ওই রিপোর্টে পাকিস্তানের বর্তমান অর্থনৈতিক নীতি এবং ঋণের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে সতর্ক করা হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে যে সরকার চলছে তা বাজেট ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংঙ্কের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রতিবছর ২ শতাংশ হারে যদি বাড়তেই থাকে, তাহলে আগামী দিনে অর্থনৈতিক অবস্থা দেশটির আরও খারাপ হবে।

  • NIA: হামলায় পাকিস্তান যোগ স্পষ্ট, পহেলগাঁওয়ের তদন্তভার নিল এনআই, ২০ এপ্রিলের আগে রেইকি করে জঙ্গিরা

    NIA: হামলায় পাকিস্তান যোগ স্পষ্ট, পহেলগাঁওয়ের তদন্তভার নিল এনআই, ২০ এপ্রিলের আগে রেইকি করে জঙ্গিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Aerror Attack) ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়। ধর্ম বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করা হয়। পাকিস্তানের মদতে সংঘটিত হওয়া এই হত্যাকাণ্ডে লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট বা টিআরএফ এই হত্যা লীলা চালিয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এবার পেহেলগাঁও কাণ্ডের তদন্তভার নিল এনআইএ (NIA)। রবিবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে। নিজেদের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এনআইএ জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্র উন্মোচনের জন্য পুরো এলাকা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন তাঁরা। অন্যদিকে, এই ঘটনায় পাকিস্তান যোগের প্রমাণও মিলেছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। ২০ এপ্রিলের আগেই জঙ্গিরা হামলার স্থান রেকি করে যায়।

    জঙ্গিদের প্রবেশ ও প্রস্থান পথকে পর্যবেক্ষণ করছে এনআইএ (NIA)

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কাছ থেকে এই মামলার যাবতীয় দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে এনআইএ। এনআইএ-র (NIA) ইন্সপেক্টর জেনারেল বিজয় সাখারের নেতৃত্বে একজন ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল এবং একজন পুলিশ সুপারিটেনডেন্টের সমন্বয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। এরপরেই এনআইয়ের দল পেহেলগাঁওয়ে অবস্থিত বৈসরনে যেখানে হামলা চালানো হয় সেখানে তদন্তে নামে। এনআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। যাঁরা নিজেদের চোখের সামনে এই হত্যালীলা সংঘটিত হতে দেখেছিলেন। সন্ত্রাসবাদীদের গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার জন্য তদন্তকারী দলগুলি বৈসারনে জঙ্গিদের প্রবেশ ও প্রস্থান পথকেও পর্যবেক্ষণ করছে। একইসঙ্গে ফরেনসিক এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞ দল সেখানে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করছে, যাতে সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রকে উন্মোচন করা যায়।

    ২০ এপ্রিলের আগেই পহেলগাঁওয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে জঙ্গিরা

    এনআইএ-র (NIA) তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্যান্য রাজ্যে যে সমস্ত পর্যটক পহেলগাঁও হামলার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন, তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বর্তমানে জেলে থাকা লস্কর-ই-তৈবা, জৈশ-ই-মহম্মদ এবং অন্যান্য মৌলবাদী সংগঠনের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। আতস কাচের তলায় রয়েছে অসংখ্য সহযোগী, তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, পহেলগাঁও হামলায় জড়িতদের খোঁজে চলছে চিরুনি তল্লাশি। এই কাজে একসঙ্গে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। এনআইএ-র তরফ থেকে তদন্তে উঠে এসেছে যে ২০ এপ্রিলের আগেই পেহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Aerror Attack) বৈসরনে এবং আশেপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপরে নজরদারি চালিয়েছিল ওই জঙ্গিরা।

    পাকিস্তান যোগের স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে

    ইতিমধ্যে একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাছে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে মুজাফফরবাদ এবং করাচির কিছু জায়গায় যোগ রয়েছে এই সন্ত্রাসী হামলায়। তাই স্বাভাবিকভাবে এখানে পাকিস্তানের হাত স্পষ্টভাবেই রয়েছে। ঠিক যেমনটা ২৬/১১ তে মুম্বাই হামলার সময় পাকিস্তান করেছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে যে তথ্য অনুযায়ী, চার থেকে পাঁচ জন সন্ত্রাসবাদি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। তাদের কাছে অত্যাধুনিক মাধ্যমের যোগাযোগ যন্ত্র ছিল। এদের মধ্যে কেউ কেউ সামরিক পোশাকও পরেছিল এবং হাতে ছিল একে-৪৭। গোয়েন্দাদের কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সেখানে জানতে পারা যাচ্ছে পাকিস্থানে বসে থাকা এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ডদের সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্র ছিল হামলাকারী সন্ত্রাসবাদীদের। মুজাফফরবাদ এবং করাচিতে বেশ কিছু জায়গায় এমনই ডিজিটাল প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

    স্থানীয় মাঠকর্মীরাই ওই সন্ত্রাসবাদীদের খাদ্য আশ্রয় এবং অন্যান্য ব্যবস্থা করে

    শুধু তাই নয় গোয়েন্দাদের আরও দাবি, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং আইএসআই এই বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ভারতে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশের জন্য সক্রিয়ভাবে সহায়তা করেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এবং মার্চ মাসে এনআইএ জম্মু-কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি স্থানে ব্যাপক তল্লাশি চালায় তখনই উঠে আসে এমন তথ্য।
    এনআইএ-র সন্দেহ ভারতে প্রবেশের পরে স্থানীয় মাঠকর্মীরাই ওই সন্ত্রাসবাদীদের খাদ্য আশ্রয় এবং অন্যান্য ব্যবস্থা করে। জানা গিয়েছে, এনআইয়ে নিজেই মার্চ মাসে একটি বিবৃতি জারি করেছিল। ওই বিবৃতি অনুযায়ী, পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসীরা কাঠুয়া, উধমপুর, ডোডা, কিস্তোয়ার এবং পুঞ্চে উপত্যকায় প্রবেশ করেছে।

    চিহ্নিত আরও ১৪ সন্ত্রাসবাদী

    ইতিমধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ গত শুক্রবারই তিনজন সন্ত্রাসীর স্কেচ প্রকাশ করেছে। যাদের মধ্যে দুজনকে পাকিস্তানি বলে জানা গিয়েছে। এরা হল আলি ভাই এবং হাসিম মুসা। স্থানীয় জঙ্গি আদিলের নাম রয়েছে। এদের প্রত্যেকের মাথার দাম কুড়ি লক্ষ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে যে মুসা জম্মু কাশ্মীরের আগে তিনটি সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল। ২০২৪ সালের মে মাসে পুঞ্চে ভারতীয় বিমানবাহিনীর কনভয়ের ওপর অতর্কিত হামলাতেও সে জড়িত ছিল। এর পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলি আরও ১৪ জন সন্ত্রাসবাদীকে চিহ্নিত করেছে। এদের মধ্যে ৮ জন লস্কর-ই-তৈবার তিনজন জৈশ-ই-মহম্মদের এবং ৩ জন হিজবুল মুজাহিদিনের।

  • IWT: পাকিস্তানের সঙ্গে জল চুক্তি স্থগিত, নয়া জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ছে ভারত! চলছে একাধিক বিকল্পের পরীক্ষা

    IWT: পাকিস্তানের সঙ্গে জল চুক্তি স্থগিত, নয়া জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ছে ভারত! চলছে একাধিক বিকল্পের পরীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে দিয়েছে ভারত। দক্ষিণ কাশ্মীরের পাহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে এই পদক্ষেপ করেছে (IWT) ভারত। এতে একদিকে যেমন বিপাকে পড়েছে পাকিস্তান। তেমনি অন্যদিকে, আখেরে লাভ হয়েছে ভারতের। সিন্ধু অববাহিকার তিন পশ্চিমাঞ্চলীয় নদী সিন্ধু, ঝিলাম এবং চেনাবের জল আরও ভালোভাবে ব্যবহারের জন্য একাধিক বিকল্প সম্ভাবনা পরীক্ষা করে দেখছে ভারত। এর মধ্যে চেনাব (চন্দ্রভাগা) নদী থেকে রাভি (ইরাবতী) নদীতে জল স্থানান্তরের জন্য ১০-১২ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সুড়ঙ্গ নির্মাণের প্রস্তাবও রয়েছে। ইন্ডাস ওয়াটার্স ট্রিটি (আইডব্লিউটি) অনুযায়ী, ভারত পূর্বাঞ্চলীয় নদীগুলো –শতদ্রু, ইরাবতী এবং বিয়াসের (বিপাশা) জল ব্যবহারের দাবিদার। আর পাকিস্তান পেয়ে থাকে পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলির জল ব্যবহারের অধিকার।

    ভারতের অধিকার (IWT)

    পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত হয়ে যাওয়ার পরে এখন সব জলের ওপর কায়েম হয়েছে ভারতের অধিকার। চেনাব নদীতে একটি টানেল নির্মাণের প্রস্তাবটি উঠে এসেছে দুটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে। এই বৈঠক দুটির একটি হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে, অন্যটি হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাপতিত্বে। দুই বৈঠকেই আলোচনা হয়েছে তিনটি পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীর জল কীভাবে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়ে। বৈঠকগুলিতে উপস্থিত ছিলেন পিএমও, স্বরাষ্ট্র, বিদ্যুৎ এবং জলশক্তি মন্ত্রক-সহ বিভিন্ন মন্ত্রকের পদস্থ কর্তারা।

    জোড়া বৈঠক

    বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন এক পদস্থ কর্তা সংবাদ মাধ্যমে বলেন, “এটি বিবেচনাধীন একটি বিকল্প। চেনাবে টানেল নির্মাণের প্রযুক্তিগত ও সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চালানোর নির্দেশ জলশক্তি মন্ত্রককে দেওয়া হয়েছে। কেবলমাত্র যদি এটি সম্ভবপর বলে প্রমাণিত হয়, তবেই আমরা প্রকল্পটি এগিয়ে নেব। সমীক্ষা শেষ হলে কী পরিমাণ জল এবং কোন জায়গা থেকে সরবরাহ করা যাবে – এসব তথ্যই স্পষ্ট হয়ে যাবে।” তিনি বলেন, “চেনাবে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলির কাজ দ্রুত শেষ করার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরে কিশতোয়ার জেলায় অবস্থিত চারটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ৮৫০ মেগাওয়াট রাতলে, ১ হাজার মেগাওয়াট পাকাল দুল, ৬২৪ মেগাওয়াট কিরু এবং ৫৪০ মেগাওয়াট কওয়ারের কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। আর এক সরকারি কর্তা বলেন, “পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলিতে চারটি প্রস্তাবিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ মন্ত্রককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (IWT)।

    সুড়ঙ্গ ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ

    এগুলির মধ্যে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে অবস্থিত ১ হাজার ৮৫৬ মেগাওয়াটের সাওয়ালকোট, ৯৩০ মেগাওয়াটের কীরথাই-২ হাজার ২৬০ মেগাওয়াটের দুলহাস্তি পর্যায়-২ এবং ২৪০ মেগাওয়াটের উরি ১ পর্যায় -২ প্রকল্প।” সুড়ঙ্গ ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ যে দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প, তা স্বীকার করে নেন বৈঠকে উপস্থিত কর্তারা। তিনি বলেন, “এগুলিতে সময় লাগবে। তবে বর্তমানেই পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলিতে আমাদের পরিকাঠামোর ক্ষমতা বাড়ানো শুরু করা উচিত বলে মনে করা হয়েছে।” স্বল্পমেয়াদে ভারত পূর্বাঞ্চলীয় ও পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলিতে যে জলাধারগুলি রয়েছে, সেগুলিতে ড্রাউনডাউন ফ্লাশিং বা পলি অপসারণ পদ্ধতি পরিচালনার কথাও বিবেচনা করছে। সিন্ধু জল চুক্তি অনুযায়ী জলাধারে ড্রাউনডাউন ফ্লাশিং নিষিদ্ধ। ফ্লাশিং না করলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জলাধারে পলি জমে দীর্ঘমেয়াদে সেগুলি অকার্যকর হয়ে পড়ে। ওই কর্তা বলেন, “যেহেতু আইডব্লিউটি বর্তমানে স্থগিত রয়েছে, ভারত পূর্বাঞ্চলীয় নদীগুলির জলাধারেও ড্রাউনডাউন ফ্লাশিং করতে পারবে, যা চুক্তি অনুযায়ী অনুমোদিত নয় (IWT)।”

    ইন্ডাস জল চুক্তি

    ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্ততায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় ইন্ডাস জল চুক্তি। এই চুক্তি অনুযায়ী, ভারতকে ইরাবতী, বিয়াস ও শতদ্রুর পূর্বাংশের জল ব্যবহারের সম্পূর্ণ অধিকার দেওয়া হয়েছে, যা সিন্ধু নদ ব্যবস্থার মোট জলের প্রায় ২০ শতাংশ। অন্যদিকে, পাকিস্তানকে পশ্চিমাংশের সিন্ধু, ঝিলাম ও চেনাব নদীর জল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যা সিন্ধু নদের প্রায় ৮০ শতাংশ জল বহন করে। এই চুক্তি অনুসারে, ভারত এই তিনটি পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীর জল “অ-খরচযোগ্য” উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারে। যেমন, নদীর প্রবাহভিত্তিক জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, কৃষি ও গৃহস্থালির কাজে এই জল ব্যবহার করা যেতে পারে। “রান-অফ-দ্য-রিভার” প্রকল্প বলতে বোঝায় এমন বিদ্যুৎকেন্দ্র যেখানে জলাধার নির্মাণ ছাড়াই সরাসরি নদীর প্রবাহ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।

    জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রভূত সম্ভাবনা

    ভারত পূর্বের নদীগুলির নিজের ভাগের প্রায় ৯৫ শতাংশ জল বাঁধের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্যবহার করলেও, পশ্চিমের নদীগুলির জল ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো এখনও গড়ে ওঠেনি। পশ্চিমের তিন নদীতে ভারতের নির্মিত প্রধান জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে বাগলিহার, সলাল ও কিশনগঙ্গা (IWT)। এক সরকারি আধিকারিকের মতে, “বর্তমানে আইডাব্লুটি স্থগিত থাকায় ভারত এই সুযোগে পশ্চিমের নদীগুলিতে থাকা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলিকে দ্রুত শেষ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জল সংরক্ষণের নতুন পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চাইছে।” প্রসঙ্গত, বর্তমানে পশ্চিমের নদীগুলি থেকে ভারত যে জল ব্যবহার করতে পারে, তা দিয়ে ১৮ হাজার ৫৬৯ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে (IWT)।

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার পাল্টা ভারতের ‘জল-বোমা’! বানের জলে ভাসছে পাকিস্তান

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার পাল্টা ভারতের ‘জল-বোমা’! বানের জলে ভাসছে পাকিস্তান

    সুশান্ত দাস

    পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) প্রেক্ষিতে ভারত সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে দেওয়ায় অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন এসব করে কী লাভ? তাঁদের মতে, পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে হলে সেখানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করতে হবে। এসব জল বন্ধ করে (Water Treaty) লাভের লাভ কিছুই হবে না।

    ভারতের মাস্টারস্ট্রোক! (Pahalgam Attack)

    তাঁদের প্রশ্নগুলোকে সম্মান দিয়েও প্রশ্নকর্তাদের উদ্দেশে কিছু কথা। জল চুক্তি স্থগিত করার বিষয়টি এত হালকাভাবে নিলে হবে না। এই চুক্তির অনেক ভূ-রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তানের। এটা ভারতের একটা মাস্টারস্ট্রোক। কেন? এটা এমন একটা অদৃশ্য অস্ত্র, যা যে কোনও পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের মতোই শক্তিশালী। এর প্রভাব মারাত্মক। কীভাবে? এটা জানতে হলে আগে একটু ইতিহাস আওড়ে নেওয়া যাক। ১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু জল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তিতে সিন্ধু এবং এর উপনদীগুলির জল দুই দেশের মধ্যে ন্যায্যভাবে ভাগ করার কথা বলা হয়েছিল। চুক্তির অধীনে, পূর্বাঞ্চলীয় ৩ নদী- বিয়াস (বিপাশা), রাভি (ইরাবতী) এবং সাতলেজ (শতদ্রু)র জল ভারতকে এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় ৩ নদী- চেনাব (চন্দ্রভাগা), সিন্ধু (ইন্ডাস) এবং ঝিলাম (বিতস্তা)-র জল পাকিস্তানকে বরাদ্দ করা হয়েছিল।

    পাকিস্তানে সিন্ধু নদের গুরুত্ব

    এতদিন ধরে এই চুক্তি লাগু থাকার ফলে, সিন্ধুর জলের ওপর কার্যত দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের কৃষি। পরিসংখ্যান বলছে, পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ কৃষিজমিতে জল সরবরাহ হয় এই চুক্তির মাধ্যমেই। গম, চাল, আখ, তুলো চাষের জন্য এই জল ব্যবহার হয়। পাকিস্তানের সেচের জন্য প্রয়োজনীয় জলের ৯০ শতাংশেরও বেশি আসে সিন্ধু নদ থেকে। এর পাশাপাশি, পাকিস্তানের তারবেলা এবং মাংলার জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রও চলে সিন্ধুর জলেই। ফলে, পাকিস্তানের জিডিপির ২৫ শতাংশ নির্ভর করে এই সিন্ধুর জলের ওপরেই (Water Treaty)। এবার ভারত এই চুক্তি স্থগিত করায় কৃষি থমকে (Pahalgam Attack) যাবে। এমনিতেই, পাকিস্তানে খাদ্যসঙ্কট চূড়ান্ত। তার ওপর কৃষি লাটে উঠলে দেশজুড়ে হাহাকার দেখা দেবে। এমনিতেই পাকিস্তানে প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ থাকে না। তার ওপর বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হলে চরম অন্ধকার নেমে আসবে। সেটাও শরিফ সরকার বিলক্ষণ জানে।

    মসজিদের মাইকে সাইরেন

    এখানেই শেষ নয় কিন্তু। চুক্তি স্থগিত হওয়ার কারণে এবার ভারত আর তথ্য সরবরাহ করবে না। সিন্ধু, ঝিলাম এবং চেনাব- এই তিন নদীর ওপরে কোনও বড় বাঁধ নেই। তথ্য আদান প্রদান বন্ধ হওয়ায় আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনও আপডেট আর পাকিস্তানের কাছে যাবে না। যেমন বন্যার পূর্বাভাস, সেচ ব্যবস্থা -এ সংক্রান্ত তথ্য প্রতি বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে পৌঁছে যেত পাকিস্তানে। সেই মতো ব্যবস্থা গড়ে উঠত পাকিস্তানে। বন্যা-খরার আগাম মোকাবিলাও পাকিস্তান করতে পারত ভারতের দেওয়া তথ্যের ওপরে ভিত্তি করেই। এবার সেসব কিছুই বন্ধ হল। এর প্রভাব কী হতে চলেছে, তার প্রমাণ মিলেছে শনিবারই। এদিন দুপুরবেলা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদে বিপদঘণ্টি (Pahalgam Attack) বেজে ওঠে। চারদিকে হই-হই পড়ে যায়। প্রতিটা মসজিদের মাইকে সাইরেন বেজে ওঠে। জানা যায়, আচমকা ঝিলম নদীর জলস্তর হু-হু করে বাড়তে শুরু করে দিয়েছে। সেকি কাণ্ড! ভরা গ্রীষ্মে প্লাবিত ঝিলম! বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইতে শুরু করে দিয়েছে জল। চকোঠি সীমান্ত থেকে মুজাফফরাবাদ শহর পর্যন্ত, নদীর জল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। যা দেখে স্থানীয়দের আত্মারাম খাঁচা হয়ে যায়। নদী তীরবর্তী সমস্ত গ্রাম – হাতিয়ান বালা, ঘড়ি দুপাট্টা, মাঝোই – সর্বত্র ত্রাহি ত্রাহি রব পড়ে যায়। দ্রুত খালি করা হয় গ্রাম। পরিবারগুলি নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেয় (Water Treaty)।

    প্রমাদ গুণছে পাকিস্তান

    সিন্ধু চুক্তি স্থগিত হওয়ার পর থেকেই পাকিস্তান প্রমাদ গুণতে শুরু করে দিয়েছিল। তবে, তারা যেখানে খরার আশঙ্কা করে প্রস্তুতি নিচ্ছিল, সেখানে প্লাবন চলে এল। যাকে বলে, আউট অফ সিলেবাস কোশ্চেন! এর চেয়ে আরও বড় প্রভাব দেখা যায় পাকিস্তানের অন্য প্রান্তে। পহেলগাঁও হত্যার পরের দিনই হামলার দায় নিয়েছিল লস্কর-এ-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। ঝিলম প্লাবিত হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আগের দায় ঝেড়ে ফেলে তারা (Pahalgam Attack)। অর্থাৎ, মৌচাকে ঢিল পড়েছে! ফলে, যাঁরা বলছিলেন সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা, এটাও একটা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। তফাতের মধ্যে এখানে অস্ত্র আগুন নয়, এখানে অস্ত্র জল। ভারতের পূবদিকের প্রতিবেশীর নোবেলজয়ী সর্বেসর্বা, তিনি খবর শুনছেন তো! নয়তো কোনওদিন তারাও বানের জলে ভেসে (Pahalgam Attack) যেতে পারে…

  • Pakistan: শনিবার মধ্যরাতে ফের নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলি পাক সেনার, পাল্টা জবাব ভারতের

    Pakistan: শনিবার মধ্যরাতে ফের নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলি পাক সেনার, পাল্টা জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার মধ্যরাতে জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় পাক সেনা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। রবিবারই এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে ভারতের সেনা। নিজেদের বিবৃতিতে ভারতীয় সেনা (Indian Army) জানায়, জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনারা বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে। ভারতীয় সেনা এর পাল্টা জবাব দিয়েছে। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার পরে এটা ছিল তৃতীয় রাত, যখন পাকিস্তান (Pakistan) নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায়।

    ভারতীয় সেনার বিবৃতি (Pakistan)

    ভারতীয় সেনা নিজেদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘২৬-২৭ এপ্রিলের মধ্যবর্তী রাতে, পাকিস্তানি (Pakistan) সেনা তুতমারি গালি এবং রামপুর সেক্টরের বিপরীতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলিবর্ষণ করে। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা।’’ এদিকে, শনিবারই সেনাবাহিনী (Indian Army) এবং সিআরপিএফের যৌথ অভিযানে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে। এদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবারই জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরে নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে সে দেশের সেনাবাহিনী গুলিবর্ষণ করছে এমনটাই খবর উঠে আসতে থাকে। শনিবার রাতে ফের চলে গুলি। সাম্প্রতিক সময়ে এই ঘটনা ঘটেনি বলেই জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা। যদিও পাক সেনা যে গুলি চালিয়েছে, তার পাল্টা জবাব ভারতের সেনাবাহিনীও দিয়েছে প্রতিবার। এই হামলাগুলিতে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

    শনিবার গ্রেফতার করা হয় ২ জঙ্গিকে

    জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগে জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাঁও থেকে শনিবারই গ্রেফতার করা হল দুই কাশ্মীরি তরুণকে। ধৃতদের নাম বিলাল আহমেদ ভাট এবং মহম্মদ ইসমাইল ভাট। দুজনেই কুলগাঁও জেলার বাসিন্দা। কুলগাঁও জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দুই তরুণের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, ২৫ রাউন্ড গুলি এবং দুটি ম্যাগাজিন পাওয়া গিয়েছে। পহেলগাঁওকাণ্ডের পর কাশ্মীর উপত্যকাজুড়ে জঙ্গিদের খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ চেক পয়েন্টগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। এই তল্লাশি অভিযানেই কুলগাঁওয়ের কাইমো শহরের ঠোকেরপোরা এলাকায় একটি চেক পয়েন্টে আটক করা হয় দুই কাশ্মীরি তরুণকে। তারা জঙ্গিদের সাহায্য করত বলে অভিযোগ।

  • Sukanta Majumdar: “চোর কি কখনও নিজের চুরির তদন্ত করতে পারে?” প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “চোর কি কখনও নিজের চুরির তদন্ত করতে পারে?” প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চোর কি কখনও নিজের চুরির তদন্ত করতে পারে?” শনিবার এমনই প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বালুরঘাটের সাংসদ বিজেপির সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের নিশানা করেছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা (Pakistan PMs Offer)। ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেসিস্টেন্স ফ্রন্ট।

    সুকান্তর প্রশ্ন (Sukanta Majumdar)

    ওই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের প্রস্তাব দিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তাঁর সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন সুকান্ত এবং জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। পাক প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রস্তাবকে সুকান্ত ‘মুখ রক্ষার হতাশাপূর্ণ চেষ্টা’ বলে অভিহিত করেন। এর পরেই পাক প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে সুকান্ত বলেন, “এরা কী তদন্ত করবে? চোর কি কখনও নিজের চুরির তদন্ত করতে পারে?” কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ভয়ে একথা বলেছেন। এই ভয় ভালো। তাঁর এই ভয় থাকা উচিত। যখন পাকিস্তান প্রস্তুত থাকবে না, ঠিক তখনই আমরা তাদের আঘাত করব। আর সেটা হবে প্রবল আঘাত।”

    কী বললেন ওমর

    এদিকে, রামবান থেকে পাক প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রস্তাব সম্পর্কে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেন, “প্রথমত পহেলগাঁওয়ে কিছু ঘটেছে বলেই তারা স্বীকার করনি। শুরুতে তারা বলেছিল যে এর পেছনে ভারতের হাত আছে।” তিনি বলেন, “যারা শুরুতেই আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল, তাদের ব্যাপারে এখন কিছু বলা কঠিন। আমি তাদের বক্তব্যকে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই না।”

    এদিকে, পহেলগাঁওকাণ্ডের পর উপত্যকায় জঙ্গিদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। আটক করা হয়েছে ১৭৫ জনেরও বেশি সন্দেহভাজনকে। পহেলগাঁওয়ের এই হামলাকে সমর্থন (Sukanta Majumdar) করায় অসমে গ্রেফতার করা হয়েছে ১০জনকে।

    পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী ও পীযূষ গোয়েল। তাঁরা বলেন, “পাকিস্তানকে (Pakistan PMs Offer) এর ভারী মূল্য চোকাতে হবে।” পুরী পাকিস্তানকে “চূড়ান্ত পতনশীল এক দুশ্চরিত্র রাষ্ট্র” বলে আখ্যা দিয়েছেন (Sukanta Majumdar)।

  • Pahalgam Attack: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই হামলার কড়া জবাব দেবেন,” প্রত্যয়ী নাড্ডা

    Pahalgam Attack: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই হামলার কড়া জবাব দেবেন,” প্রত্যয়ী নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “জম্মু-কাশ্মীরে যেভাবে কাপুরুষোচিত হামলা হয়েছে, তাতে গোটা দেশ ক্ষুব্ধ। তারা আশা করছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই হামলার কড়া জবাব দেবেন।” শনিবার এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির (BJP) সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি বলেন, “ভারত পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) জন্য দোষীদের যোগ্য জবাব দেবে। এই সপ্তাহের শুরুতে ওখানে প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন।”

    হামলার কড়া জবাব (Pahalgam Attack)

    শ্রীমন্ত দাগদুশেঠ গণপতির কাছে প্রার্থনা করার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নাড্ডা বলেন, “সমগ্র দেশ আশা করে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই হামলার কড়া জবাব দেবেন।” প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন এলাকায় পর্যটকদের নিশানা করে জঙ্গিরা। জঙ্গিরা বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের গুলি করে হত্যা করে। এক নেপালি সহ মোট ২৮জনের মৃত্যু হয়। এঁদের মধ্যে এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নিতে গিয়ে খুন হন স্থানীয় এক কাশ্মীরি মুসলিম যুবক। ওই ঘটনায় জখমও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা। এই প্রসঙ্গেই এদিন নাড্ডা বলেন, “দেশ যেন দৃঢ়তার সঙ্গে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করে এবং হামলায় দোষীদের যোগ্য জবাব দেয়।” সেজন্য আশীর্বাদ চেয়েছেন তিনি। বিজেপি সভাপতি বলেন, “আমি নিশ্চিত যে গণেশজির আশীর্বাদ, তাঁর প্রজ্ঞা এবং শক্তিতে দেশ এই কঠিন সময় পার করবে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দোষীদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।”

    ইজরায়েল স্টাইলের প্রতিশোধ!

    এদিকে, বিজেপি নেতা রমেশ বিধুরি (Pahalgam Attack) বলেন, “হামাস-স্টাইলের হামলা ঘটলে ইজরায়েল স্টাইলের প্রতিশোধ নেওয়া হবে। জঙ্গি এবং জিহাদিরা যদি ধর্মহীন হয়, তাহলে তারা ধর্ম জিজ্ঞেস করে মানুষ হত্যা করছে কেন? ১৪০ কোটি ভারতবাসী এই প্রশ্ন সেই তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের কাছে করতে চায়।” তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন (BJP), তাদের এমন শাস্তি দেওয়া হবে, যার কথা তারা কল্পনাও করতে পারবে না (Pahalgam Attack)।”

  • Pahalgam Attack: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে পাকিস্তানকে মাত দিলেন মোদি!

    Pahalgam Attack: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে পাকিস্তানকে মাত দিলেন মোদি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) প্রতিবাদে গত ২৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে দেয়। পহেলগাঁওয়ের ওই জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন এক নেপালি সহ মোট ২৮ জন। হামলার পরিকল্পনা করেছিল ‘দ্য রেজিস্টেন্স ফ্রন্ট’ নামে একটি সংগঠন। এটি হাফিজ সৈয়দের নেতৃত্বাধীন ‘লস্কর-ই-তৈবা’র একটি ছায়া সংগঠন। হাতে নয়, পহেলগাঁওকাণ্ডের পর ভারত যে তাদের ‘জলে’ মারবে, তা বোধহয় কল্পনাও করেননি পাকিস্তানের কর্তাব্যক্তিরা। মোদি সরকারের সিদ্ধান্তে তাঁরা যারপরনাই অবাক। প্রশ্ন হল, কেন?

    মুম্বই হামলা (Pahalgam Attack)

    এ প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে ফিরে যেতে হবে ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর। ওই দিন শুরু হয় মুম্বই হামলা, চলে টানা তিন দিন। লস্কর-ই-তৈবার ১০ জন সদস্যের তাণ্ডবে নিহত হন ১৬৬ জন। তখন কেন্দ্রের ক্ষমতায় মনমোহন সিংয়ের সরকার। সেই ঘটনার পরেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা হয়নি। সিন্ধু জল চুক্তি যে স্থগিত করা যায়, এবং এভাবেও যে পাকিস্তানকে ‘শিক্ষা’ দেওয়া যায়, তা স্বপ্নেও ভাবেননি কংগ্রেসের মাতব্বররা। যার কারণে আক্ষরিক অর্থেই পেয়ে বসেছিল পাকিস্তান। ইসলামাবাদের ধারণা হয়েছিল, এবারও ভারত কঠোর কোনও পদক্ষেপ করবে না, কেবল প্রতিবাদ এবং দোষারোপ করেই রণে ভঙ্গ দেবে। পাকিস্তানের অনেকেই ভাবছিল, ১৬৬ জনকে গুলি করে খুন করার পরেও যখন ভারত জোরালো কোনও পদক্ষেপ করেনি, তখন মাত্র ২৭ জন হিন্দু হত্যায় কী আর করতে পারে! তারা বুঝতেই পারেনি, মোদির নীতি আর মনমোহনের নীতিতে আকাশ-পাতাল ফারাক।

    সংসদে হামলা

    মুম্বই হামলার সাত বছর আগে ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর সংসদে হামলার পর সিন্ধু জল চুক্তি বাতিলের হুমকি দিয়েছিল বিজেপির অটল বিহারী বাজপেয়ীর সরকার। সেই হামলার নেপথ্যেও ছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা। সেই ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে আফজল গুরুকে ফাঁসি দেওয়া (Pahalgam Attack) হয়েছিল। সিন্ধু জল চুক্তি (IWT) স্বাক্ষরিত হয় ১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, পাকিস্তানের করাচিতে। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং পাকিস্তানের তরফে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আয়ুব খান। চুক্তির সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাঙ্কের কর্তারা।

    নেহরুকে সতর্ক করেছিলেন বাজপেয়ী

    ১৯৬০ সালের ৩০ নভেম্বর সংসদে নেহরুর পাকিস্তানকে দেওয়া এই নয়া ‘উপহার’ নিয়ে বিতর্ক হয়। সেই সময় ছত্রিশ বছর বয়সি বলরামপুরের সাংসদ অটল বিহারী বাজপেয়ী তাঁর ভাষণে তথ্য, পরিসংখ্যান এবং যুক্তিজাল বিস্তার করে নেহরু সরকারকে কার্যত তুলোধনা করেন। সেই সময়ই বাজপেয়ী নেহরুকে এই বলে সতর্ক করেছিলেন যে, পাকিস্তানের প্রতি এই উদারতার খেসারত দিতে হবে ভারতের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে। মোদি সরকার চুক্তিটি স্থগিত করায়, নেহরু জমানায় নেওয়া কিছু আত্মঘাতী পদক্ষেপ এখন হয়তো উল্টে যাবে, অন্তত আংশিকভাবে হলেও।

    পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচ পদক্ষেপ

    পহেলগাঁওকাণ্ডের পরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি পদক্ষেপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর প্রথম সিদ্ধান্তটি হল সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত রাখা। এটি মোদির তরফে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী কৌশলগত পদক্ষেপ (Pahalgam Attack)। পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য মোদি সরকারের কূটনৈতিক নীতির একটি মূল স্তম্ভ হিসাবে আইডব্লিউটিকে ব্যবহার করা তাঁর ধারাবাহিক কৌশল। এই প্রথম নয়, বরং এটি মোদির পঞ্চমবারের মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অপ্রত্যাশিত সময়ে আইডব্লিউটি ‘হাতিয়ার’ ব্যবহার (PM Modi)।

    আইডব্লিউটি অস্ত্র প্রয়োগ

    প্রশ্ন হল, আগের চারটি তাহলে কখন ছিল? এটা বোঝার জন্য মোদির তিনটি মেয়াদজুড়ে কাজকর্ম পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। তাঁর প্রথম মেয়াদে মোদি পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে দুবার এই চুক্তির উল্লেখ করেন। দ্বিতীয় মেয়াদে ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি সরাসরি আর একবার এটি ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে তৃতীয় মেয়াদে ২০২৪ সালের অগাস্ট ও এবার ২০২৫ সালের এপ্রিলে এটি ব্যবহার করা হল (Pahalgam Attack)। বুধবার পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী তাঁর তিনটি মেয়াদে পঞ্চমবারের মতো আইডব্লিউটি অস্ত্র প্রয়োগ করলেন। এই পাঁচটির মধ্যে কমপক্ষে তিনবারই বড় ধরনের জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে এই চুক্তির প্রসঙ্গ উঠেছে। বুধবারের পদক্ষেপটি আইডব্লিউটির ক্ষেত্রে মোদি সরকারের পঞ্চম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। আগের ঘটনাগুলিতেও প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে এই চুক্তির কথা উল্লেখ করেছিলেন। এটি একটি ক্রমবর্ধমান কৌশল, যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপ আগেরটির চেয়ে এক ধাপ উচ্চতর (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে উরি সেক্টরে পাকিস্তানি হামলার পর প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “রক্ত এবং জল একই সঙ্গে বইতে পারে না” (Pahalgam Attack)।

LinkedIn
Share