Tag: pakistan

pakistan

  • China: জঙ্গি হামলায় মৃত ৫ চিনা ইঞ্জিনিয়র, পাকিস্তানে বাঁধের কাজ বন্ধ

    China: জঙ্গি হামলায় মৃত ৫ চিনা ইঞ্জিনিয়র, পাকিস্তানে বাঁধের কাজ বন্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়তির দিকে পাকিস্তান-চিন সম্পর্ক! দু’দুটো বাঁধ নির্মাণের কাজ চলাকালীন আচমকাই মাঝ পথে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে চিন (China)। যার জেরে মাথায় হাত পাক সরকারের। কিছুদিন আগেই পাকিস্তানে বাঁধ নির্মাণ চলার সময় হঠাৎই আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পাকিস্তানের এক গাড়ির ড্রাইভার সহ মোট ছ’জনের।

    বাঁধ নির্মাণের কাজ বন্ধ (China)

    এঁদের মধ্যে বাকিরা চিনের ইঞ্জিনিয়র। তার পরেই বাঁধ নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেয় চিনা নির্মাণ সংস্থা। কাজ শুরু করার আগে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের তরফে নিরাপত্তাও দাবি করা হয়। প্রসঙ্গত, এই বাঁধ নির্মাণের কাজে সঙ্গে জড়িত রয়েছেন প্রায় ১ হাজার ২৫০ জন চিনা (China) নাগরিক। জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী বিস্ফোরণটি ঘটে ২৬ মার্চ, মঙ্গলবার। এদিন বাঁধ নির্মাণের কাজ যখন চলছিল পুরোদমে, তখন আচমকাই দাসু বাঁধের সাইটে ঢুকে পড়ে একটি গাড়ি। দ্রুত গতিতে ছুটে আসা গাড়িটি একটি জায়গায় ধাক্কা মারে।

    উপযুক্ত নিরাপত্তার দাবি

    কান ফাটানো আওয়াজে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান পাঁচজন চিনা ইঞ্জিনিয়র। সাইট পরিদর্শন করছিলেন তাঁরা। পাকিস্তানের এক গাড়ি চালকেরও মৃত্যু হয় বিস্ফোরণে। বাঁধ নির্মাণের কাজ করছিল চিনের গেঝৌবা গোষ্ঠী। সঙ্গে সঙ্গে কাজ বন্ধের কথা ঘোষণা করে দেয় তারা। পাক সরকারের তরফে উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা না হলে যে কাজ শুরু হবে না, তাও জানিয়ে দেয় এই চিনা কোম্পানি। জানা গিয়েছে, দাসু বাঁধ প্রজেক্টে কাজ করছিলেন সাড়ে সাতশোর কাছাকাছি চিনা ইঞ্জিনিয়র। অন্য নির্মীয়মাণ বাঁধটির কাজ দেখাশোনা করছিলেন পাঁচশোর মতো চিনা ইঞ্জিনিয়র।

    আরও পড়ুুন: রবিবারই ভারতরত্ন দেওয়া হবে আডবাণীকে, বাড়িতে গিয়ে দিয়ে আসবেন রাষ্ট্রপতি

    খাইবার পাখতুনখাওয়া ইন্টিরিয়রের প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন চিনের পাঁচ ইঞ্জিনিয়র। তাই চিনা গেঝৌবা গ্রুপ কোম্পানি কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। মঙ্গলবারের হামলার পরের দিন থেকেই বন্ধ রয়েছে বাঁধ নির্মাণের কাজ। সরকারের তরফে উপযুক্ত নিরাপত্তা দাবি করেছে ওই নির্মাণ সংস্থা।” জানা গিয়েছে, চিনের তরফেও পাকিস্তান সরকারকে আবেদন করা হয়েছে এই মর্মে যে তারা যেন পাকিস্তানে থাকা চিনা নাগরিকদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে (China)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy: সোমালি দস্যুদের কবল থেকে ২৩ জন পাক নাবিককে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌসেনা

    Indian Navy: সোমালি দস্যুদের কবল থেকে ২৩ জন পাক নাবিককে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌসেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরব সাগরে জলদস্যুদের হাত থেকে ২৩ পাকিস্তানি নাবিককে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। প্রায় ১২ ঘণ্টার অভিযান শেষে সোমালি জলদস্যুদের (Somali Pirates) কবল থেকে ইরানের পতাকাবাহী মাছ ধরার নৌকা ‘আল-কাম্বার ৭৮৬’কে মুক্ত করে সেনা। শুক্রবার আরব সাগরে এই অভিযানে। আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। 

    দুর্ধর্ষ অভিযান

    নৌসেনার (Indian Navy) এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে আরব সাগরের সোকোত্রা লেট থেকে ৯০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে এই নৌকাটি অপহরণ করার উদ্দেশ্যে তাতে উঠে পড়েন ন’জন সশস্ত্র জলদস্যু। অপহরণের খবর পেয়ে নৌসেনার টহলদারি জাহাজ ‘আইএনএস সুমেধা’ শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিছু ক্ষণ পরেই সেখানে পৌঁছয় যুদ্ধাজাহাজ ‘আইএনএস ত্রিশূল’। প্রায় ১২ ঘণ্টার অভিযানের পর তাঁদের আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা হয়। ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, জাহাজের ২৩ জন পাকিস্তানি কর্মীকেও উদ্ধার করা হয়েছে। নৌকাটিকে ভাল করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সেটিকে নিরাপদ স্থানে ফিরিয়ে নিয়ে এসে তার স্বাভাবিক কাজে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

    সক্রিয় ভারতীয় নৌসেনা

    প্রসঙ্গত, এক সময় সোমালিয়ার জলদস্যুদের আতঙ্কে সিঁটিয়ে থাকতেন আন্তর্জাতিক সমুদ্র বাণিজ্যের কারবারিরা। মূলত জাহাজ ছিনতাই করে মুক্তিপণ আদায় করে তারা। মাঝের কয়েক বছর উপদ্রব কিছুটা কমলেও গত কয়েক মাসে ফের জলদস্যুদের তৎপরতা নজরে এসেছে। ভারত মহাসাগর অঞ্চলের একাধিক জায়গায় তাই ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। গত ২৩ মার্চেই ভারতীয় নৌসেনার প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার জানান যে, ভারত মহাসাগর অঞ্চলকে সুরক্ষিত রাখতে ‘ইতিবাচক পদক্ষেপ’ করে যেতে থাকবে নৌসেনা।

    আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের পর শাহজাহানকে জেরা করতে চায় ইডি-ও, কোর্টে আবেদন আজই?

    ‘অপারেশন সংকল্প’-র আওতায় আগের ১০০ দিনে কীভাবে ভারত জলদস্যুদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে, তাও জানান তিনি। ১০০ দিনে ‘অপারেশন সংকল্প’-র আওতায় জলদস্যুদের কবল থেকে মোট ১১০ জনকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌসেনা। তাঁদের মধ্যে ৬৫ জন বিদেশি নাগরিক। এর আগেও জানুয়ারি মাসে আরব সাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল ইরানের পতাকাবাহী মাছধরার একটি নৌকা। সেই নৌকা থেকেও ১৯ জন পাকিস্তানিকে উদ্ধার করে ভারতের নৌসেনা (Indian Navy)। এবারও আন্তর্জাতিক সমস্ত নিয়ম মেনেই জলদস্যুদের মোকাবিলা করে পাক নাবিকদের উদ্ধার করল ভারত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Terrorist Died: পাকিস্তানে ফের রহস্যমৃত্যু মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গির

    Terrorist Died: পাকিস্তানে ফের রহস্যমৃত্যু মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক জঙ্গির (Terrorist Died) রহস্য মৃত্যু। শনিবার মোস্ট ওয়ান্টেড ওই জঙ্গির দেহ উদ্ধার হয় খাইবার পাখতুনওয়ার অ্যাবটাবাদে। মৃত ওই জঙ্গির নাম শেখ জামিল উর রহমান। ইউনাইটেড জিহাদ কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ছিল সে। তেহরিক উল মুজাহিদিনের আমিরও ছিল। এই সন্ত্রাসবাদীর আদত বাড়ি কাশ্মীরের পুলওয়ামায়। ২০২২ সালে রহমানকে জঙ্গি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

    জঙ্গির রহস্য মৃত্যু

    রহমানের মৃত্যু ঠিক কীভাবে হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিল সে। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসএআইয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল (Terrorist Died) তার। জম্মু-কাশ্মীরের যুবকদের জঙ্গি দলে যোগ দেওয়ানোর কাজ, তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং পাকিস্তান থেকে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানোর কাজই মূলত করত রহমান। ভারত থেকে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল পাকিস্তানে। সেখান থেকেই সে জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি নেটওয়ার্ক চালাত। নয়ের দশকে জম্মু-কাশ্মীরে মাথাচাড়া দিয়েছিল তেহরিক উল মুজাহিদিন। ১৯৯১ সালে মৃত্যু হয় এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ইউনিস খান। তার পর আর সেভাবে মাথাচাড়া দিতে পারেনি এই জঙ্গি সংগঠন।

    একাধিক ওয়ান্টেড জঙ্গির মৃত্যু

    গত কয়েক মাসে পাকিস্তানে রহস্য মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজন ওয়ান্টেড জঙ্গির। গত নভেম্বরে আততায়ীর গুলিতে খুন হয় লস্কর কমান্ডার আক্রম গাজি। খাইবার পাখতুনখোয়ায় খুন হয় সে। এর মাসখানেক পরে ফের খুন হয় লস্কর কমান্ডার আনদান আহমেদ। করাচিতে গুলি করে খুন করা হয় তাকেও। মুম্বই হামলার মূল চক্রী জঙ্গি নেতা আজম চিমার মৃত্যু হয় হার্ট অ্যাটাকে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রহস্য মৃত্যু হয় এই লস্কর নেতার।

    আরও পড়ুুন: লোকসভা ভোটের আগে ফের ধাক্কা খেল বিরোধীরা, নীতীশের পরে জোট ছাড়লেন জয়ন্ত

    পাকিস্তানের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন, যারা জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম করে চলেছে, তাদের এক ছাতার তলায় আনতে গড়ে উঠেছিল ইউনাইটেড জিহাদ কাউন্সিল। এই কাউন্সিলে রয়েছে লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ, আল বদর, হিজবুল মুজাহিদিন এবং আরও অনেক। এই কাউন্সিলেরই প্রধান ছিল মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি রহমান (Terrorist Died)। রহমানের তেহরিক উল মুজাহিদিনের সিংহভাগ সদস্যই পাকিস্তানের। পদাতিক কিছু যোদ্ধাও রয়েছে যারা জম্মু-কাশ্মীর থেকে পাকিস্তানে গিয়েছে। তেহরিক উল মুজাহিদিনকে অর্থ জোগায় পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সৌদি আরব, ব্রিটেন, আমেরিকা এবং গলফ দেশগুলি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     
  • Dawood Ibrahim: নিলাম হল দাউদের সম্পত্তি, কিনলেন শিবসেনা নেতা, তৈরি হবে সনাতনী স্কুল

    Dawood Ibrahim: নিলাম হল দাউদের সম্পত্তি, কিনলেন শিবসেনা নেতা, তৈরি হবে সনাতনী স্কুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন হিসাবে মুম্বইয়ে রাজ করতেন, তিনি বলিউডে ছিলেন অত্যন্ত প্রভাবশালী। অন্যদিকে, ভারতের কাছে তিনি একজন জঙ্গি, অপরাধী এবং পলাতক। বর্তমানে তিনি ঠিক কোথায় রয়েছেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। অনুমান করা হয় পাকিস্তানের করাচিতে রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার কুখ্যাত দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim) পৈতৃক সম্পত্তি নিলামে উঠেছিল। নিলামের সম্পত্তি ২ কোটি টাকায় কিনেছেন প্রাক্তন শিবসেনা নেতা।

    ২ কোটি টাকায় বিক্রি হল জমি (Dawood Ibrahim)

    এদিন দাউদের (Dawood Ibrahim) মোট ৪টি সম্পত্তির নিলাম করা হয়। তার মধ্যে জমির সর্বনিম্ন মূল্য ধরা হয়েছিল ১৫ হাজার ৪৪০ টাকা। কিন্তু নিলামে সম্পত্তির মূল্য অতিক্রম করে গিয়েছে কোটি টাকায়। জানা গিয়েছে, ২ কোটি টাকায় দাউদের সম্পত্তি বিক্রি করল স্মাগলার্স অ্যান্ড ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানিপুলেটর্স অথরিটি (এসএএফইএমএ) এবং কিনেছেন শিবসেনার প্রাক্তন নেতা। পাশাপাশি এদিন মহারাষ্ট্রের রত্নগিরির মুম্বকে গ্রামে দাউদের পৈতৃক সম্পত্তির আরও একটি জমির নিলাম হয়েছিল। জমির পরিমাণ ছিল ১৭৩০ বর্গমিটার, ওই জমি বিক্রি হয়েছে ৩ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা। জমির মূল্য ছিল এক লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা।

    কিনে কী বললেন শিবসেনা কর্মী

    কোটি টাকায় দাউদের (Dawood Ibrahim) জমি কিনে শিবসেনার প্রাক্তন কর্তা বলেন, “ওই জমির সমীক্ষা নম্বর তাঁর ‘পয়া’ সংখ্যার সঙ্গে মিলে গিয়েছে। আর এই জন্য এত দাম দিয়ে কেনা হয়েছে। এই জমিতে একটি সনাতন স্কুল খোলা হবে।” উল্লেখ্য ২০২০ সালে তিনি দাউদের আরও একটি বাংলো কিনেছিলেন। এরপর সেখানে সনাতন ধর্ম পাঠশালা ট্রাস্ট তৈরি করেন, এবার জমি কিনে স্কুল খোলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি।

    আগেও সম্পত্তি নিলাম হয়েছে

    গত কয়েক বছরে অন্ধকার জগতের ডন দাউদের (Dawood Ibrahim) অনেক সম্পত্তি নিলাম হয়েছে। ২০১৭, ২০২০ সালেও নিলামে উঠেছিল সম্পত্তি। দুইবারে মোট ১৭টি সম্পত্তির নিলাম হয়েছে। তার মধ্যে দাউদের বাড়ি, হোটেল, গেস্ট হাউস মিলিয়ে মোট ১১ কোটি টাকায় নিলাম উঠেছিল বলে জানা গিয়েছিল। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সম্পত্তি কেনার ক্রেতা পাওয়া যায়নি।

    প্রশাসনের অবশ্য বক্তব্য, এই কুখ্যাত গ্যাংস্টারের হাতে প্রাণের ভয়ের কারণে অনেকে কিনতে বার বার পিছিয়ে গিয়েছিলেন। ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে ১৯৯৩ সালের বোমা বিস্ফোরণের মূলচক্রী ছিলেন দাউদ ইব্রাহিম। অনুমান করা হচ্ছে দাউদ এখন পাকিস্তানের করাচিতে থাকেন। যদিও পাকিস্তান সরকার তার অস্তিত্বের কথা অস্বীকার করেছে। সম্প্রতি বিষ খাইয়ে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mohammed Shami: “আমি গর্বিত ভারতীয়”! সজদা-বিতর্কে পাকিস্তানি ট্রোলারদের কড়া জবাব শামির

    Mohammed Shami: “আমি গর্বিত ভারতীয়”! সজদা-বিতর্কে পাকিস্তানি ট্রোলারদের কড়া জবাব শামির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে গেলে কারুর অনুমতি নিতে হয় না। সজদা বিতর্কে পাকিস্তানকে কড়া জবাব  দিলেন মহম্মদ শামি। বিশ্বকাপে (ICC World Cup 2023) শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৫ উইকেট নেওয়ার পর চর্চায় উঠে এসেছিল তাঁর সেলিব্রেশন। খেলার মাঠে সজদা করতে গিয়েও থেমে যেতে হয়েছে মহম্মদ শামিকে, এমনটাই মনে করেছিল পাকিস্তানি নেট দুনিয়া। অবশেষে সেই বিতর্কে মুখ খুললেন শামি (Mohammed Shami)। সাফ জানিয়ে দিলেন, মাঠের মধ্যে সজদা করতে চাইলে তিনি অবশ্যই করতেন, কেউ তাঁকে বাধা দিত না।

    ভারতে নিজ ধর্মাচরণে বাধা নেই

    সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে ভারতের তারকা পেসারকে  জিজ্ঞাসা করা হয়, সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পরেই পাকিস্তানিদের একাংশ দাবি করেন যে ভারতীয় মুসলিম বলেই খেলার মাঠে সজদা করতে পারেননি শামি। কারণ ভারতে থেকে প্রকাশ্যে সজদা করতে ভয় পেয়েছিলেন তিনি। এর উত্তরে শামি বলেন, “সজদা করতে চাইলে তো কেউ বাধা দিতে পারে না। আমার ধর্ম পালনে কেউ বাধা দেবে না। আমিও কারোওর ধর্ম পালনে বাধা দেব না। যদি সজদা করতে ইচ্ছা হয় তাহলে অবশ্যই করব। গর্বের সঙ্গে বলতে পারি আমি ভারতীয় মুসলিম। আগেও তো পাঁচ উইকেট নিয়েছি, কখনও কি সজদা করতে দেখেছেন? যদি মনে হয় তাহলে আমি যেখানে খুশি সজদা করতে পারি।”

    আরও পড়ুন: আইপিএলে নাইটদের ব্যাটন শ্রেয়সের হাতেই! সহকারী হলেন কে?

    অযথা বিতর্ক তৈরির প্রয়াস

    পাকিস্তানে থাকা একদল মানুষের কাজই  অযথা বিতর্ক সৃষ্টি করা। এসব থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন। অযথা বিতর্ক বন্ধ করা দরকার। শামির কথায়, “সজদা করার জন্য় অনুমতি নিতে হলে আমি ভারতে থাকতাম না। আসলে এরা সবসময় বিতর্ক তৈরি করে সেখান থেকে খবর বের করতে চায়। এরা কাউকেই ভালোবাসে না। আসলে ওইদিন আমি নিজের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে বোলিং করছিলাম। তাই ক্লান্ত হয়ে মাঠে বসে পড়েছিলাম।” 

    বল বিকৃত করার অভিযোগ

    পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার হাসান রাজা বিশ্বকাপে ভারতীয় বোলারদের বিশেষ বল দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, ভারতীয় বোলারেরা বলে অতিরিক্ত সুইং পাচ্ছেন, তাঁদের বলে বিশেষ যন্ত্র লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর  জবাবে শামি বলেন, ‘‘বলে কি কোনও যন্ত্র লাগানো যায়? আমি যখন এই কথা শুনেছিলাম তখন অবাক হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, কেউ কী ভাবে এ কথা বলতে পারে। আমি হাসি চেপে রাখতে পারিনি। আমি ভেবেছিলাম একটা ভিডিয়ো করব। সেখানে বল ফাটিয়ে দেখাব যে ভিতরে কিছু রাখা যায় না। কিন্তু তেমন করলে প্রচণ্ড বিতর্ক হত। সেই কারণে করিনি।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: দেশের গোপন নথি ফাঁস! ফাঁসি হতে পারে ইমরানের? শুনানি শুরু চলতি সপ্তাহেই

    Imran Khan: দেশের গোপন নথি ফাঁস! ফাঁসি হতে পারে ইমরানের? শুনানি শুরু চলতি সপ্তাহেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ফাঁসি হয়েছিল জুলফিকার আলির ভুট্টোর। এবার কি তবে পালা ইমরান খানের (Imran Khan)? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে পাকিস্তানের বিভিন্ন মহলে। প্রসঙ্গত, গোপন রাষ্ট্রীয় তথ্য ফাঁসের মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা পাকিস্তান তেহরক-ই-ইনসাফ পার্টির প্রধান ইমরান খান। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর মৃত্যুদণ্ডের সাজা হতে পারে বলে সে দেশে সরকারি মহল থেকে ইঙ্গিত মিলেছে। প্রসঙ্গত, গোপন রাষ্ট্রীয় তথ্য ফাঁসের মামলার শুনানি চলতি সপ্তাহে শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। এই মামলায় যদি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী (Imran Khan) দোষী প্রমাণিত হন তাহলে পাক আইন অনুযায়ী ফাঁসির সাজা হতে পারে বলে ইমরান খানের (Imran Khan) আইনজীবী নিজেই জানিয়েছেন।

    ২০২২ সালের প্রথমদিকে নথি পাচারের অভিযোগ

    পাকিস্তানের ‘অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট’ এর এই মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের সাধারণ নির্বাচনে অংশও নিতে পারবেন না ইমরান খান। চলতি বছরের অগাস্ট মাসেই ইমরান খানের তিন বছরের জেলের সাজার ওপর স্থগিতাদেশ দেয় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। তোশাখানার উপহার সামগ্রী মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন ইমরান। ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এই মামলায় তাঁকে জামিনও দেয়। কিন্তু গোপন তথ্য ফাঁসে অভিযুক্ত হওয়ায় জেল থেকে মুক্তি পাননি ইমরান। ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ২০২২ সালের প্রথমদিকে আমেরিকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত একটি গোপন নথি পাঠিয়েছিলেন, সে সময়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) এবং তাঁর তিন সহযোগী মিলে সেই তথ্য ফাঁস করেছিলেন।

    কী বলছে পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহল

    পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, জুলফিকার আলি ভুট্টকে ১৯৭৯ সালে ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিলেন জেনারেল জিয়াউল হক। সে বছরই সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পাকিস্তানের ক্ষমতা দখল করেন জিয়াউল হক। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ভুট্টোকে একটি খুনের মামলায় ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তবে ইমরানের অভিযোগ তার থেকেও ভয়ঙ্কর এবং গুরুতর। এখন দেখার বিষয়, ইমরান খানের ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তানের আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Nawaz Sharif: বছর ঘুরলেই নির্বাচন, চার বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন কাটিয়ে পাকিস্তানে নওয়াজ

    Nawaz Sharif: বছর ঘুরলেই নির্বাচন, চার বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন কাটিয়ে পাকিস্তানে নওয়াজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার বছরের স্বেচ্ছা-নির্বাসন কাটিয়ে ভোটের মুখে পাকিস্তানে ফিরলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ( Nawaz Sharif)। প্রসঙ্গত, ৩ বার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ৭৩ বছর বয়সী নওয়াজ। পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) পিএমএলএন পার্টির সুপ্রিমো নওয়াজ শরিফ শনিবার দুবাই থেকে ইসলামাবাদে ফিরেছেন। এদিন তাঁর চাটার্ড বিমানে নওয়াজের ( Nawaz Sharif) পরিবারের কিছু সদস্য এবং তাঁর পার্টির কিছু শীর্ষস্থানীয় নেতাও এসেছেন বলে খবর। 

    বছর ঘুরলেই পাকিস্তানে রয়েছে সাধারণ নির্বাচন

    প্রসঙ্গত, বছর ঘুরলেই পাকিস্তানে রয়েছে সাধারণ নির্বাচন। ঠিক তার প্রাক মুহূর্তে নওয়াজ শরিফের দেশে আগমন রাজনৈতিকভাবে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যতম জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা ইমরান খান বর্তমানে জেলে রয়েছেন। এমতো অবস্থায় নওয়াজ শরিফ ফের সাধারণ নির্বাচনে লড়ে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন কিনা! সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহল।

    কী বললেন নওয়াজ?

    শনিবার বেশ খুশির মেজাজেই দেখা যায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে ( Nawaz Sharif)। দুবাই থেকে বিমানে ওঠার আগে তাঁকে সংবাদমাধ্যমগুলি ঘিরে ধরে এবং সে সময় তিনি বলেন, ‘‘চার বছর পরে আমি পাকিস্তানে ফিরছি। যখন আমি বিদেশে চলে গিয়েছিলাম তখন আমার মনে কোনও আনন্দ ছিল না। তবে আজ আমি অত্যন্ত খুশি।’’ এর পাশাপাশি পাকিস্তান সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘দেশের পরিস্থিতি দেখে আমি হতাশ। অর্থনৈতিকভাবে এবং  ঐক্যের নিরিখে দেশ অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে।’’  প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন নওয়াজ শরিফ ( Nawaz Sharif)। পরবর্তীকালে, ২০১৭ সালে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে সুপ্রিমকোর্ট। পানামা পেপার দুর্নীতির কারণেই তাঁকে অপসারণ করা হয়। আপাতত ইসলামাবাদ হাইকোর্ট তাঁকে রক্ষাকবচ দিয়েছে। যার ভিত্তিতে চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না কোনোভাবেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • G20 Summit: জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে হাজির বাংলাদেশ, কেন নেই পাকিস্তান?

    G20 Summit: জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে হাজির বাংলাদেশ, কেন নেই পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লিতে চলছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন (G20 Summit)। জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশ না হলেও এখানে আমন্ত্রিত রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি পাকিস্তানকে। প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে গঠিত হয় জি২০ (G20 Summit)। বিশ্বের উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির এই সংগঠনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্সের মতো দেশগুলির পাশাপাশি স্থান পেয়েছে আমাদের ভারতবর্ষ। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে বর্তমানে বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতি হল ভারতের। কয়েক বছরের মধ্যেই তৃতীয় স্থান অধিকার করবে ভারত। যদি তৃতীয় স্থান অধিকার করতে পারে তাহলে জি৭ সংগঠনের মধ্যে ভারত চলে আসবে (G20 Summit)। 

    জি২০ (G20 Summit) তে কেন নেই পাকিস্তান?

    অন্যদিকে, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট চরম আকার ধারন করেছে। ১৯৯৯ সালে আর্থিকভাবে সচ্ছল ছিল না পাকিস্তান। এরকম অবস্থায় পুরো দেশ দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার মুখে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জি২০ সংগঠনের সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্ব দেওয়া হয় শক্তিশালী অর্থনৈতিক অবস্থাকে। বর্তমান বিশ্বের প্রথম ৪০টি শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশের মধ্যে নেই পাকিস্তান। তাই পাকিস্তান জি২০ (G20 Summit) এর অন্তর্ভুক্ত দেশ নয়। অন্যদিকে শীর্ষ সম্মেলনে যে দেশ সভাপতিত্ব করবে তারা অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানাতে পারে যে কোনও রাষ্ট্রকে। সেই মোতাবেক এবারের জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত (G20 Summit) না হয়েও এসেছেন শেখ হাসিনা। জানা গিয়েছে ২০২৪ সালে ব্রাজিলে, ২০২৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায়, ২০২৬ সালে জি২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।

    মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সেলফি শেখ হাসিনার

    জি২০ গোষ্ঠীতে (G20 Summit) নেই বাংলাদেশ। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে এসেছেন শেখ হাসিনা। শনিবারই রাষ্ট্রপতির দেওয়া নৈশভোজের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতিকে দেখা গেল খোশ মেজাজে। তাঁরা নিজেদের মধ্যে সেলফিও তুললেন। এ দিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এর সঙ্গে সেলফি তোলার সময় হাজির ছিলেন শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • G20 Summit: ‘‘দেশভাগ ভুল ছিল’’, জি২০-এর জাঁকজমক দেখে মন্তব্য পাকিস্তানের নাগরিকদের

    G20 Summit: ‘‘দেশভাগ ভুল ছিল’’, জি২০-এর জাঁকজমক দেখে মন্তব্য পাকিস্তানের নাগরিকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি২০ শীর্ষ সম্মেলনকে (G20 Summit) ঘিরে সেজে উঠেছে রাজধানী দিল্লি। বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্র নেতাদের মুখে শোনা গিয়েছে ভারতের প্রশংসা। প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের নাগরিকদের মুখে এবার শোনা গেল, দেশ যদি ভাগ না (G20 Summit) হত তাহলেই হয়তো ভালো হতো। ভারতের জি২০ শীর্ষ সম্মেলনকে (G20 Summit) ঘিরে পাকিস্তানের একটি ইউটিউব চ্যানেলে সে দেশের নাগরিকদের বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। সেখানেই তাঁরা ক্ষোভ উগরে দেন। পাকিস্তানের সরকারের বিরুদ্ধে এবং মোদি সম্পর্কে প্রশংসা সূচক মন্তব্যও তাঁদের করতে শোনা যায়। তাঁরা বলতে থাকেন, ভারত অনেক এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তানের থেকে (G20 Summit)।

    পাকিস্তানের নাগরিকরা কী বললেন

    সে দেশের এক নাগরিক জি২০ শীর্ষ সম্মেলন (G20 Summit) প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ভারত যেভাবে এগিয়ে চলেছে আগামী দিনে চিনকেও টক্কর দেবে তারা। এবং ভারতের যেকোনও পণ্যের উৎপাদন চিনের থেকেও বেশি হবে।’’ অপর একজন নাগরিকের সংযোজন, ‘‘বাংলাদেশকেও জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হল, তারা পরমাণু শক্তিধর দেশ নয় তবুও! কিন্তু এটা আমাদের লজ্জার বিষয় যে পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র হওয়ার সত্ত্বেও আমাদেরকে কেউ পাত্তা দিল না।’’

    দেশভাগের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল 

    পাকিস্তানের এক বর্ষীয়ান নাগরিকের কথায়, ‘‘পাকিস্তানের স্বাধীনতা সম্পূর্ণ ভুল ছিল এবং তার খেসারতই এখন আমাদের দিতে হচ্ছে। সেই সময় দেশ ভাগ হওয়া কোনওভাবেই উচিত ছিল না।’’ অন্যদিকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একজন বলেন, ‘‘ভারত আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে আছে। ভারতের কাশ্মীরের মানুষরা, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষদের থেকে অনেক বেশি সমৃদ্ধশালী (G20 Summit)।’’ 

    ভারত চাঁদে চলে গেল অথচ পাকিস্তানে অস্থিরতা কমছে না

    অপর একজন নাগরিক বলেন,‘‘পাকিস্তানের উন্নতি করতে চাইলে ভারতের সঙ্গে আগে সম্পর্ক ঠিকঠাক করতে হবে (G20 Summit)।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পাকিস্তান একটি গরিব দেশ, বর্তমানে ব্যাপক আর্থিক সংকটে ভুগছে। তার সঙ্গে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। এমন দেশের সঙ্গে কেউ সম্পর্ক রাখতে চায় না। যে দেশের কাছেই পাকিস্তান যায় তারা ভাবে পাকিস্তান টাকা চাইতে এসেছে। ভারত চাঁদে চলে গেল আর পাকিস্তানে অস্থিরতা কোনোভাবে কমছে না।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: এবার সাইফার মামলায় জেরা ইমরান খানকে, কী বললেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী?

    Imran Khan: এবার সাইফার মামলায় জেরা ইমরান খানকে, কী বললেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সাইফার মামলায় (Cipher Case) জেরা করা হল পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan)। তোষাখানা মামলায় জেলেই বন্দি রয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। জেলে গিয়েই জেরা করা হয় তাঁকে। পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির সাইবার ক্রাইম সার্কেলের ছয় সদস্যের একটি দল জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইমরানকে। যে দলটি তাঁকে জেরা করছে, তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন এফআইএ-র ডেপুটি ডিরেক্টর আয়াজ খান। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, পুরো জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে শান্তই ছিলেন ইমরান। তবে কোনও সাইফার (গোপন খবরের সাংকেতিক রূপ) তিনি দেখাননি বলেই দাবি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর।

    সাইফার মামলা

    ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ইমরানকে। এরই দিন কয়েক আগে এক জনসভায় তিনি একটি কাগজ দেখিয়ে দাবি করেছিলেন, সেটি সাইফার। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে তাঁকে অপসারণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ষড়যন্ত্র করেছে, তার প্রমাণ তাতে রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। এর পরেই মামলা দায়ের হয় প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এই মামলাই সাইফার মামলা নামে খ্যাত।

    ইমরানের বক্তব্য

    এদিন তদন্তকারীদের ইমরান (Imran Khan) বলেন, “ওই জনসমাবেশে আমি যে কাগজটি প্রদর্শন করেছিলাম, তা ছিল মন্ত্রিপরিষদের কাগজ। সেটা কোনও সাইফার ছিল না।” তিনি এও জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কোনও নথি সঙ্গে রাখার অধিকার তাঁর ছিল। তবে কেন তিনি সেটি জনসভায় দেখিয়েছেন, তার কোনও ব্যাখ্যা ইমরান দিতে পারেননি বলেই পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর।

    জানা গিয়েছে, তদন্তে সহযোগিতা করলেও, সাইফার নিয়ে ইমরান তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করেছেন বারবার। কখনও তিনি বলেন, তাঁর কোড মনে নেই। কখনও আবার বলেন, যে কাগজটি তিনি জনসভায় প্রদর্শন করেছিলেন, সেটি পাক মন্ত্রিসভার বৈঠকের খসড়া। কখনও আবার বলেন, সেটি কোথায় রেখেছেন, তা তাঁর মনে নেই।

    আরও পড়ুুন: “বাংলার সরকার পাকিস্তান প্রেমী”! পাক-গুপ্তচরের গ্রেফতারি নিয়ে মমতাকে তোপ সুকান্তর

    প্রধানমন্ত্রীর (Imran Khan) পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর ইমরানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছে। তোষাখানা মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড হয়েছে তাঁর। এর বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ইমরান। সেখানে জামিন মিললেও, সাইফার মামলায় ফের হতে পারেন গ্রেফতার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share