Tag: pakistan

pakistan

  • Pakistan News: বালোচ বিদ্রোহীদের নিয়ে জেরবার পাক সেনা, এবার হামলার হুঁশিয়ারি দিল টিটিপি

    Pakistan News: বালোচ বিদ্রোহীদের নিয়ে জেরবার পাক সেনা, এবার হামলার হুঁশিয়ারি দিল টিটিপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)-র আঘাতে জেরবার পাকিস্তান সরকার (Pakistan News)। এ বার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশকে নিশানা বানানোর হুঁশিয়ারি দিল জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-এ-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বালোচিস্তানের বোলানে বালোচ বিদ্রোহীদের হাতে জাফর এক্সপ্রেসের অপহরণের ঘটনা ঘটে। এরপরেই টিটিপির এই হুঁশিয়ারি পাক সরকারের বড় ‘মাথাব্যথার’ কারণ হয়ে উঠেছে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ (Pakistan News)।

    পাক সেনার ওপর আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করেছে এই জঙ্গি গোষ্ঠী

    পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানীয় সংবাদমাধ্যম (Pakistan News) সূত্রের খবর মিলেছে, পাক সেনার ওপর আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনাও করছে এই জঙ্গি সংগঠন। টিটিপি এই অভিযানের পোশাকি নাম রেখেছে ‘অল-খন্দক’। এনিয়ে এক বিবৃতিও জারি করেছে টিটিপি। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অভিযানে অত্যাধুনিক অস্ত্রসমেত হামলা চালাবে সংগঠনের প্রশিক্ষিত সদস্যরা। শুধু তা-ই নয়, ওই জঙ্গি সংগঠন আরও জানিয়েছে নিখুঁত নিশানা, গেরিলা যুদ্ধ এবং আত্মঘাতী হামলার জন্য তাদের বাছাই করা সদস্যদের প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, দিনকয়েক পাঞ্জাব প্রদেশে এই জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পাক সেনা (Punjab Province)। সেই সময় টিটিপির দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে তারা। তখনই আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করেছিল ধৃতরা। এমনটাই দাবি করেছে পাক সেনা।

    বালোচ বিদ্রোহীরাও একই ধরনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে (Pakistan News)

    পাক সেনার (Pakistan News) এই অভিযানের মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা হুঁশিয়ারি দেয় টিটিপি জঙ্গি সংগঠন। এমন ধরনের হুঁশিয়ারি আসায় সতর্ক হয়েছে পাক সেনাও। ঘটনা হল, দু’দিন আগেই বালোচ বিদ্রোহীরাও একই ধরনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বালোচ বিদ্রোহীদের হুঁশিয়ারি, বালোচিস্তানের কোনও মানুষের ওপর যদি পাক সেনা হামলা চালায়, বালোচ বিদ্রোহীদের গায়ে যদি একটিও আঁচড় লাগে, তা হলে তারা পরবর্তী নিশানা করবে ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি এবং লাহোরকে। এমন হুঁশিয়ারিতে কার্যত উদ্বিগ্ন পাক সেনা। বালোচ বিদ্রোহীদের সেই হুঁশিয়ারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আবার নতুন করে টিটিপি হুঁশিয়ারি দিল।

  • Pakistan: এবার পাক সেনার কনভয়ে হামলা, নেপথ্যে কী সেই বালুচ বিদ্রোহীরা?

    Pakistan: এবার পাক সেনার কনভয়ে হামলা, নেপথ্যে কী সেই বালুচ বিদ্রোহীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র চারদিন আগেই হাইজ্যাক করা হয়েছিল আস্ত একটা এক্সপ্রেস ট্রেন। পাকিস্তানের (Pakistan) বালুচিস্তানের ওই ঘটনার সেই রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের খবরের শিরোনামে সেই বালুচিস্তানই (IED Blast)। এবার পাক সেনার কনভয়ে হল হামলা।

    আইইডি বিস্ফোরণ (Pakistan)

    শনিবার তুরবত শহরে সেনার কনভয়ে হল আইইডি বিস্ফোরণ। স্থানীয় সূত্রে খবর, কনভয়ে থাকা বেশ কয়েকজন সেনা জখম হয়েছেন। বিস্ফোরণের অভিঘাতে জখম সেনাদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। যদিও এদিন সন্ধে পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করেনি কেউই। ১১ মার্চ জাফর এক্সপ্রেস অপহরণের ঘটনায় হাত ছিল বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির। এদিনের ঘটনায়ও তাদের হাত রয়েছে বলেই অনুমান পাকিস্তান পুলিশের।

    বালুচ বিদ্রোহীদের হুঁশিয়ারি

    গত মঙ্গলবারই বালুচিস্তানের বোলানে মাশকাফ সুড়ঙ্গে জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক করে বালুচ বিদ্রোহীরা। পণবন্দি করা হয় শ’খানেক যাত্রীকে (IED Blast)। যাত্রীদের উদ্ধার করতে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলে প্রায় ৩০ ঘণ্টা ধরে। পাক সেনার দাবি, এই অভিযানে মৃত্যু হয়েছে সব বিদ্রোহীর। বিদ্রোহীদের পাল্টা দাবি, এই অভিযান চলার সময় সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জন সেনার। এই ঘটনার পরেই বালুচ বিদ্রোহীরা হুঁশিয়ারি দেয়, পাক সেনা যদি তাঁদের ওপর হামলার চেষ্টা করে, তাহলে তাঁদের পরবর্তী নিশানা হবে ইসলামাবাদ। সেই হুঁশিয়ারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হল বালুচিস্তানে সেনার কনভয়ে হামলা।

    শুক্রবার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের (Pakistan) দক্ষিণে ওয়াজজিরিস্তানের একটি মসজিদে আত্মঘাতী হামলা হয়। ওই দিন দুপুরে আজম ওয়ারশাক বাইপাস রোডের মৌলানা আবদুল আজিজ মসজিদে প্রার্থনার সময় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। সেই ঘটনায়ও সন্দেহের তির ছিল বালুচ বিদ্রোহীদের দিকেই।

    প্রসঙ্গত, অতীতেও এই রেলপথে বালুচ বিদ্রোহীরা হামলা চালিয়েছে রকেট কিংবা রিমোট পরিচালিত বোমা দিয়ে। এলাকায় যত হামলার ঘটনা ঘটেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার দায় স্বীকার করে নিয়েছে বালুচ বিদ্রোহীরা। গত বছরের অক্টোবর মাসে পাকিস্তান রেলওয়েজ কোয়েটা থেকে পেশওয়াল পর্যন্ত রেল পরিষেবা সংস্কারের কথা ঘোষণা (IED Blast) করেছিল। তার আগে দেড় মাসেরও বেশি সময় এই পথে রেল চলাচল বন্ধ ছিল (Pakistan)।

  • Pakistan Army: ভুল তথ্য দিচ্ছে পাক-সেনা, ২১৪ পণবন্দি হত, দাবি বালোচ বিদ্রোহীদের

    Pakistan Army: ভুল তথ্য দিচ্ছে পাক-সেনা, ২১৪ পণবন্দি হত, দাবি বালোচ বিদ্রোহীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মঙ্গলবারই ৪০০ জনেরও বেশি যাত্রীবাহি একটি ট্রেন হাইজ্যাক করে বালোচ বিদ্রোহীরা (Balochistan Liberation Army)। এরপরেই পাকিস্তান সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হয় যে ৩৩ জন বালোচ বিদ্রোহীকে তারা হত্যা করতে পেরেছে। যদিও পাকিস্তানের (Pakistan Army) এই দাবিকে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি। তারা জানিয়েছে, এমন বিবৃতি সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা। গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৩ মার্চ এই মর্মে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, পাকিস্তানি সেনার সঙ্গে তাদের তীব্র লড়াই অব্যাহত রয়েছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখেও পড়তে হয়েছে বলে দাবি বিদ্রোহীদের। তাদের এও দাবি যে ২১৪ জন পণবন্দি পাক সেনাকে হত্যা করেছে তারা। এই পণবন্দিদের হত্যার দায় তারা চাপিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ওপরে।

    আলোচনায় না বসে পণবন্দিদের মৃত্যুকে নিশ্চিত করেছে পাক সেনা, তোপ বালোচ বিদ্রোহীদের

    এক্ষেত্রে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি বলছে যে পাকিস্তান (Pakistan Army) সেনাবাহিনী তাদের সঙ্গে কখনও আলোচনায় বসতে চায়নি, যদি তারা আলোচনায় বসত, তাহলে এমনটা হত না। অর্থাৎ পণবন্দিদের মৃত্যুর দায় একেবারে পাকিস্তানের সেনার ওপরেই চাপাচ্ছে বালোচ বিদ্রোহীরা। প্রসঙ্গত, বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির মুখপাত্র হলেন জিয়ান বালোচ। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে আমরা যে ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা দিয়েছিলাম। তারা সেটাকে উপেক্ষা করেছে। এই কারণেই এর ফল ভুগতে হয়েছে ওই রেল যাত্রীদের অর্থাৎ পণবন্দিদের। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর এমন উপেক্ষার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই পণবন্দিদের।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘৪৮ ঘণ্টার সময় সীমার মধ্যে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তাদের দেশের নাগরিকদেরকে বাঁচাতে পারত। কিন্তু তারা সেটা করেনি।’’ একইসঙ্গে পাকিস্তান (Pakistan Army) সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে বিএলএ মুখপাত্র জিয়ান বালোচ আরও বলেন, ‘‘পাকিস্তান প্রথম থেকেই একগুঁয়ে মনোভাব ঔদ্ধত্য ও স্পর্ধা দেখিয়ে গিয়েছে। যেমনটা তারা চিরকাল করে এসেছে। তারা এড়িয়ে গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাগুলি। তাদের এই ধরনের কার্যকলাপের কারণেই তারা বাস্তবতাকে বুঝতে পারেনি। আর এটা না বোঝার কারণে ২১৪ জন পনবন্দিকে তারা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে।’’

    শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে শহিদ হওয়া বালোচ বিদ্রোহীদের উদ্দেশে

    একই সঙ্গে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি পাকিস্তানি (Pakistan Army) সেনার সঙ্গে যুদ্ধে তাদের যে সমস্ত সদস্যরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। বিএলএ-এর মুখপাত্র এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে তাঁদের বারো জন মুক্তিযোদ্ধার প্রতি তাঁরা শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর (Pakistan Army) সঙ্গে যুদ্ধে শহিদ হওয়া ১২ জন মুক্তিযোদ্ধার প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। যাঁরা শত্রুর বিরুদ্ধে এক অসাধারণ যুদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। এই অবিস্মরণীয় যুদ্ধের কারণেই তাঁদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাই। বুধবার রাতে তিনজন মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হন। বৃহস্পতিবার রাতে আরও চারজন যোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়াও মাজিদ ব্রিগেডের পাঁচ জন আত্মঘাতী বাহিনীর সদস্য প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। তাঁরা শত্রুপক্ষকে উচিত জবাবও দিতে পেরেছেন। যার কারণে ইতিহাস তাঁদের সর্বদা মনে রাখবে।’’ বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির তরফ থেকে আরও দাবি করা হয়েছে যে তারা আন্তর্জাতিক আইন সীমার মধ্যেই কাজ করছেন।

    ভুল তথ্য দিচ্ছে পাক সেনা!

    গত মঙ্গলবার, গুদালার এবং পিরু কুনরির কাছে মাশকাফ টানেলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস। এই ট্রেন অপহরণ করে বিএলএ। জানা গিয়েছে, ট্রেনটি বালোচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা থেকে আসছিল। গত বুধবার অর্থাৎ ১২ মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী হাইজ্যাক করা জাফর এক্সপ্রেস থেকে সমস্ত পণবন্দিদের উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে বলে ঘোষণা করে। বিবৃতিতে বলা হয় অভিযানের সময় ৩৩ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন এবং ২১ জন যাত্রী এবং ৪ জন পাকিস্তানি সেনা সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। ট্রেনটিতে মোট ৪৪০ জন ছিলেন বলে জানায় পাক সেনা। কিন্তু পাক সেনার দাবি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উড়িয়ে দেয় বিএলএ। তাদের বক্তব্য ছিল, জাফর এক্সপ্রেস অভিযানে পাক সেনা চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে। নিজেদের সম্মান রক্ষার্থে তাই তারা বাস্তবকে অস্বীকার করছে এবং ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে পাক সেনা। জানা গিয়েছে, বালোচ বিদ্রোহীরা সাধারণ যাত্রীদের মানবঢাল হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। বিস্ফোরক ভর্তি জ্যাকেট পরে যাত্রীদের মধ্যে মিশে গিয়েছিলেন বেশ কিছু বালোচ বিদ্রোহী। তার ফলে পাক বাহিনীকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় ওই অভিযানে। উদ্ধারকাজ নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। তবে পাক নিরাপত্তা বাহিনী (Pakistan Army) পরে জানায়, স্নাইপার বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে বিদ্রোহীদের কৌশলকে ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে। পরে অবশ্য জাফর এক্সপ্রেস অপহরণের নেপথ্যে আফগানিস্তানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেখানকার তালিবান সরকার সাফ জানিয়ে দেয়, এই ঘটনায় তাদের আদৌ কোনও যোগ নেই।

  • Pakistan Train Hijack: বালোচ আন্দোলনের জন্য দায়ী জিন্নার বিশ্বাসঘাতকতা!

    Pakistan Train Hijack: বালোচ আন্দোলনের জন্য দায়ী জিন্নার বিশ্বাসঘাতকতা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন তিনেক আগে পাকিস্তানের বালোচিস্তানে হাইজ্যাক (Pakistan Train Hijack) করা হয়েছিল জাফর এক্সপ্রেস। পণবন্দি করা হয়েছিল বহু যাত্রীকে। পাকিস্তানের অভিযোগ, জাফর এক্সপ্রেস অপহরণের ছক কষা হয়েছে আফগানিস্তান থেকে (Baloch Movement)। ট্রেন অপহরণের পর থেকেই এমনই অভিযোগ ও দাবি তুলেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যে বলে পাল্টা দাবি তালিবানের।

    বালোচিস্তান (Pakistan Train Hijack)

    পাকিস্তানের চারটি প্রদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও কম জনবহুল এলাকা বালুচিস্তান। ১১ মার্চ এখান থেকেই জাফর এক্সপ্রেস ছিনতাই করেছিল বালোচ বিদ্রোহীরা। পণবন্দি করা হয়েছিল নিরাপত্তা কর্মী-সহ ১০০ জন যাত্রীকে। এই বিদ্রোহের মূল কারণ বালোচবাসীর সঙ্গে পাকিস্তানের জনক মহম্মদ আলি জিন্নার বিশ্বাঘাতকতা। ১৯৪৭ সালের ১৪ অগাস্ট জন্ম হয় পাকিস্তানের। তার ঠিক পরের বছর থেকেই সদ্যোজাত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হাতে অস্ত্র তুলে নেন বালোচ জাতীয়তাবাদীরা। তারপর থেকে অশান্তি লেগেই রয়েছে পাকিস্তানের এই অংশে। ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটেছে ১৯৫৮-৫৯, ১৯৬২-৬৩, ১৯৭৩-৭৭ সালে। ২০০৩ সাল থেকে প্রায়ই ঘটছে হিংসার ঘটনা।

    হাইজ্যাক আস্ত এক্সপ্রেস ট্রেন

    চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটল গত ১১ মার্চ। এদিন বালুচ বিদ্রোহীরা হাইজ্যাক করে আস্ত একটা এক্সপ্রেস ট্রেন। পণবন্দি করা হয় যাত্রীদের। বালুচিস্তান একটি শুষ্ক এলাকা (Pakistan Train Hijack)। খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ। ঐতিহাসিকভাবে পাকিস্তানের পাঞ্জাব-প্রভাবিত রাজনীতির দ্বারা উপেক্ষিত এলাকা। বালুচবাসী অর্থনৈতিকভাবে নিপীড়িত। তাদের খনিজ সম্পদ আহরণ করে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থায়নে ব্যবহার করা হয়েছে। অভিজ্ঞ মহলের মতে, বালুচবাসীর অসন্তোষের অন্যতম কারণ এটাই। বালুচবাসীর অসন্তোষের অন্যতম লক্ষ্য হল গওদর বন্দর। চিনের সহায়তায় এই বন্দরের উন্নয়ন করছে পাকিস্তান। বালুচ বিদ্রোহীরা চিনা কর্মীদর ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। প্রসঙ্গত, গওদর বন্দরটি চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের একটা অংশ।

    রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের সাক্ষী

    ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স রিভিউ’য়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “বালোচ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নেতৃত্ব বিভক্ত। ফলস্বরূপ, বালোচ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন তার লক্ষ্য বা কৌশলের ক্ষেত্রে একক নয়।” সশস্ত্র বিদ্রোহের সর্বশেষ পর্বটি শুরু হয় ২০০৪ সালে। ২০০৬ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে প্রভাবশালী বালোচ নেতা আকবর খান বুগতি নিহত হওয়ার পর এটি আরও তীব্রতা পায় (Baloch Movement)। বুগতি বেশি স্বায়ত্তশাসন, সম্পদের নিয়ন্ত্রণ এবং বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক গ্যাস আয় থেকে ন্যায্য ভাগ দাবি করছিলেন। প্রসঙ্গত, এর আগে সাতের দশকে বালোচবাসী বিদ্রোহের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের সাক্ষী হয়েছিলেন (Pakistan Train Hijack)।

    রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের সাক্ষী

    ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে। ওই বছরই স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। তার পরেই অক্সিজেন পান বালোচবাসী। বালোচিস্তানে ন্যাশনাল আওয়ামি পার্টির নেতারা স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে উদ্দীপিত হয়েছিলেন। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, মারি, মেঙ্গল এবং বুগতি গোত্রপ্রধানদের নেতৃত্বে প্রায় ৫৫ হাজার বালোচ যোদ্ধা ৮০ হাজার পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। পাকিস্তান বিমান বাহিনী বালোচিস্তানের বিভিন্ন গ্রামে বোমা বর্ষণ করে। তার ফলে নিহত হন হাজার হাজার সাধারণ বালোচবাসী। একাত্তরের সংঘর্ষ এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল যে ইরান আশঙ্কা করেছিল বালোচ জাতীয়তাবাদের প্রভাব তাদের এলাকায় হয়ত ছড়িয়ে পড়বে। সেই আশঙ্কায়, পাকিস্তানকে সামরিক সহায়তা দিয়েছিল তারা।

    বালোচ বিদ্রোহীদের জন্য মজুত করা অস্ত্র উদ্ধার

    ১৯৭৭ সালে জেনারেল জিয়াউল হক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ভুট্টোকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেন। পরে উপজাতিদের ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। বালোচিস্তান থেকে প্রত্যাহার করা হয় সেনা। তার পরেই বালোচিস্তানে অবসান ঘটে সশস্ত্র সংগ্রামের। প্রথমে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টো এই দাবিগুলো প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তার জেরেই ঢেউ ওঠে প্রতিবাদের (Baloch Movement)। ১৯৭৩ সালে ভুট্টো বালুচিস্তানের প্রাদেশিক সরকার প্রধান আকবর খান বুগতিকে বরখাস্ত করেন। তিনি দাবি করেন, ইরাকি দূতাবাস থেকে বালোচ বিদ্রোহীদের জন্য মজুত করা অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এই অজুহাতে তিনি জানিয়ে দেন, বালুচিস্তানে হবে ব্যাপক সামরিক অভিযান। এরই ফলে একটি পূর্ণাঙ্গ সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হয়। এই সংগ্রাম চলেছিল ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত, টানা চার বছর ধরে। এই ঘটনা চতুর্থ বালুচিস্তান সংঘাত নামে পরিচিত (Pakistan Train Hijack)।

    “ওয়ান ইউনিট” পরিকল্পনা

    ১৯৫৪ সালে পাকিস্তান চালু করে “ওয়ান ইউনিট” পরিকল্পনা। এর মাধ্যমে দেশটির প্রদেশগুলি পুনর্গঠিত করা হয়। এই পরিকল্পনায় বালোচিস্তানকে অন্যান্য প্রদেশের সঙ্গে একীভূত করা হয়। তার জেরে স্বায়ত্তশাসন খর্ব হয় বালোচিস্তানের। এতেই খেপে যান বালোচ নেতারা। ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয় নেতাদের মধ্যে। কালাতের খান, নওরোজ খান ১৯৫৮ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু করেন পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ। ১৯৫৯ সালে পাকিস্তান নওরোজ খানকে আত্মসমর্পণে রাজি করায়। সেজন্য পাক সরকার তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করে বলে অভিযোগ। তাঁকে ক্ষমা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। যদিও আত্মসমর্পণ করার পর রুদ্রমূর্তি ধারণ করে তৎকালীন পাক সরকার। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে তাঁকে ও তাঁর ছেলেদের গ্রেফতার করা হয়। মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তাঁর পাঁচ আত্মীয়কে।

    ক্ষোভের আগুন উসকে দেয়

    পাক সরকারের এই বিশ্বাসঘাতকতা বালোচবাসীদের মধ্যে ক্ষোভের আগুন আরও উসকে দেয়। যার জেরে আরও জোরালো হয় স্বাধীনতাকামী আন্দোলন। তবে বালোচিস্তান বিদ্রোহ শুরুর বীজ অঙ্কুরিত হয় ১৯৪৭ সালে, পাকিস্তান যখন বিচ্ছিন্ন হয় ভারতের থেকে। বালোচিস্তান অঞ্চলটি আগে চারটি দেশীয় রাজ্য হিসেবে ছিল—কালাত, খারান, লাস বেলা এবং মাকরান। সেই সময় তাদের সামনে তিনটি বিকল্প ছিল—ভারতের সঙ্গে যোগদান, পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হওয়া, আর না হয় স্বাধীনতা বজায় রাখা। জিন্নার প্রভাবে তিনটি রাজ্য পাকিস্তানের সঙ্গে মিশে যায় (Pakistan Train Hijack)। কালাতের শাসক খান মীর আহমেদ ইয়ার খান, যিনি খান অব কালাত নামেও পরিচিত, তিনিই বেছে নেন স্বাধীনতা।

    জিন্নাকে তার আইনি উপদেষ্টা

    ১৯৪৬ সালে খান অব কালাত জিন্নাকে তার আইনি উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করেন। তিনি যাতে ব্রিটিশ ক্রাউনের সামনে তাঁর মামলা উপস্থাপন করতে পারেন, তাই এই ব্যবস্থা। ১৯৪৭ সালের ৪ অগাস্ট দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বালোচবাসীর স্বাধীনতার সিদ্ধান্ত সমর্থিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন, খান অব কালাত এবং জওহরলাল নেহরু। ছিলেন জিন্না স্বয়ংও। জিন্নার জোরালো দাবির ফলে খারান ও লাস বেলাকে কালাতের সঙ্গে একীভূত করে একটি সম্পূর্ণ বালুচিস্তান গঠনের পরিকল্পনা করা হয় (Baloch Movement)। প্রসঙ্গত, বালোচরা কখনওই “ওয়ান ইউনিট” নীতিকে মেনে নেয়নি। পাঁচ বছরের মধ্যেই, ১৯৬৩ সালে বালুচিস্তানে তৃতীয় বালোচ বিদ্রোহ দেখা দেয়।

    বিদ্রোহের লক্ষ্য

    শের মুহাম্মদ বিজরানি মারির নেতৃত্বে, এই বিদ্রোহের লক্ষ্য ছিল বালোচিস্তানের গ্যাস সম্পদের রাজস্ব ভাগাভাগির জন্য পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করা, “ওয়ান ইউনিট” পরিকল্পনার বিলুপ্তি এবং বালোচ বিদ্রোহীদের মুক্তি। এই বিদ্রোহ শেষ হয় ১৯৬৯ সালে সাধারণ ক্ষমার মাধ্যমে। বন্দি বালোচ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মুক্তি দেওয়া হয়। ১৯৭০ সালে “ওয়ান ইউনিট” নীতি বাতিল করার পর বালোচিস্তানকে পাকিস্তানের চারটি প্রদেশের একটি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পরে অবশ্য স্বাধীনতা লাভ করে বালোচিস্তান। তবে সেটা মাত্র ২২৬ দিনের জন্য। পরে বালুচবাসীর ইচ্ছায় নয়, বরং জিন্নার বিশ্বাসঘাতকতা ও ইসলামাবাদের সামরিক শক্তির মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হয়। ৭৫ বছর আগের এই বিশ্বাসঘাতকতা ও অঞ্চল (Baloch Movement) এবং জনগণের শোষণ আজও বালুচ জনগণের সশস্ত্র প্রতিরোধের মূল কারণ হিসেবে রয়ে গেছে (Pakistan Train Hijack)।

  • Balochistan Liberation Army: পাক সেনা বালোচ জঙ্গিদের ভিন্ন মত! সত্যি আড়াল করছে পাকিস্তান, কী অবস্থা জাফর এক্সপ্রেসের?

    Balochistan Liberation Army: পাক সেনা বালোচ জঙ্গিদের ভিন্ন মত! সত্যি আড়াল করছে পাকিস্তান, কী অবস্থা জাফর এক্সপ্রেসের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক সেনা সকালে দাবি করেছে, অভিযান শেষ। জঙ্গি মুক্ত জাফর এক্সপ্রেস (Pakistan Train Hijack)। মুক্ত সমস্ত পণবন্দী। ঘটনায় ৩৩ জঙ্গি নিহত হয়েছে। তারপরই বালোচদের পাল্টা ঘোষণা, পাক সেনা মিথ্যে কথা বলছে। বালোচ লিবারেশন আর্মির (Balochistan Liberation Army) পাল্টা দাবি, ১৫৪ জন বন্দী এখনও তাদের কবজায় আছে। সব মিলিয়ে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। দাবি, পাল্ট দাবিতে উত্তপ্ত পাকিস্তান।

    পাক সেনার দাবি

    পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ জানান, সশস্ত্র বাহিনী সব জঙ্গিকে হত্যা করেছে। সব যাত্রীকে নিরাপদে উদ্ধার করে বুধবার সন্ধ্যায় সফলভাবে অভিযান শেষ করেছে সেনা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ৩৩ জঙ্গির সবাই নিহত হয়েছে। তিনি বলেন, “খবর পাওয়ার পরই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। খুব সতর্কতার সঙ্গে এগোতে হয়েছে। কারণ বিএলএ জঙ্গিরা স্যাটেলাইট ফোনে আফগানিস্তানে তাদের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল।’’ ট্রেনে মহিলা ও শিশুদের নিরাপদে বের করে আনাই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রথমেই আত্মঘাতী জঙ্গিদের খতম করে পাকিস্তানি সেনার স্নাইপাররা। যাতে আচমকা বিস্ফোরণে তারা গোটা ট্রেন উড়িয়ে দিতে না পারে। এরপর একে একে ট্রেনের সমস্ত কামরা খালি করা হয়। নির্মূল করা হয় বালোচ জঙ্গিদের। বিএলএ যাত্রীদের মানবঢাল বানিয়ে রেখেছিল। তাই যে কোনও মূল্যে সাধারণ মানুষকে বাঁচানোই পাকিস্তানি সেনার প্রথম কাজ। এমনটাই বলেছেন আহমেদ শরিফ।

    মুক্ত পণবন্দির দাবি

    হামলা থেকে কোনওরকমে প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরেছেন মুশতাক মহম্মদ। তিনি বলেন, “আচমকাই বিশাল বিস্ফোরণ হল। তারপরই এলোপাথাড়ি গুলি চলতে শুরু করল। এই দৃশ্য আজীবন মনে থাকবে।” জাফর এক্সপ্রেসে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে পেশোয়ার যাচ্ছিলেন ইশাক নূর। তিনি বলেন, “গুলির আওয়াজ পেতেই সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরি। স্ত্রীও তাই করেন। গুলি লাগলে আমাদের লাগুক। সন্তানদের যেন কিছু না হয়।’’ মুশতাক জানান, জঙ্গিরা সবার পরিচয়পত্র খুঁটিয়ে দেখে কয়েকজনকে আলাদা সরিয়ে নিয়ে যায়। তাঁর কথায়, “আমাদের কামরার সামনে ৩ জন জঙ্গি পাহারায় ছিল। তারা বলে দিয়েছিল, সাধারণ নাগরিক, বৃদ্ধ, মহিলা এবং বালোচদের কোনও ক্ষতি হবে না।’’ সন্ধ্যা নাগাদ বন্দীদের এক এক করে ছাড়তে শুরু করে বিএলএ। মুক্ত পণবন্দিদের কথায়, ট্রেনের ভিতর সারি সারি লাশ পড়ে রয়েছে। অভিযানের সময় যাঁরা নিহত হয়েছেন বলে অনুমান।

    বালোচ লিবারেশন আর্মির দাবি

    বিএলএ দাবি করেছে যে ট্রেনে মোট ৪২৬ জন যাত্রী ছিল, যার মধ্যে ২১৪ জন পাকিস্তানি সেনা ছিল। বিএলএ জানিয়েছে, তারা ৬০ জন সৈন্যকে হত্যা করেছে এবং ১৫০ জন এখনও তাদের হেফাজতে রয়েছে। এর সাথে সাথে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আক্রমণে তিনজন বিএলএ কমান্ডারও নিহত হয়েছেন। বিপরীতে, পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে যে তাদের সেনাবাহিনী এবং বিমানবাহিনী অভিযান সম্পন্ন করেছে, ২১ জন যাত্রী এবং ৪ জন সৈন্য নিহত হয়েছে। পাকিস্তান বলছে যে ৩৩ জন বিএলএ যোদ্ধা নিহত হয়েছে এবং ২১২ জন নাগরিককে কোনও ক্ষতি ছাড়াই মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

    কূটনৈতিক মহলের অনুমান

    পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং সরকারের আর বালোচিস্তানের উপর নিয়ন্ত্রণ নেই, বলে মনে করছে বিশ্ববাসী। বালোচিস্তানের ৬-৭টি জেলা সম্পূর্ণরূপে সন্ত্রাসবাদীদের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তান সরকার বা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। অনেকের মতে, বালোচিস্তান এবং সিন্ধ প্রদেশের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি এখন একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করছে এই যৌথ বাহিনী। বালোচিস্তানে ট্রেন হাইজ্যাক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

  • Pakistan Train Hijack: পাকিস্তানে আস্ত ট্রেন হাইজ্যাক করল বালুচ জঙ্গিরা, পণবন্দি শতাধিক যাত্রী

    Pakistan Train Hijack: পাকিস্তানে আস্ত ট্রেন হাইজ্যাক করল বালুচ জঙ্গিরা, পণবন্দি শতাধিক যাত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের বালুচিস্তানে আবার জঙ্গি হামলা। একটি ট্রেন লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে, ট্রেন চালককে জখম করে যাত্রী ও নিরাপত্তা রক্ষীদের পণবন্দি করেছে জঙ্গিরা। যাত্রীবোঝাই ট্রেন অপহরণ করে প্রায় ১০০ জনকে পণবন্দি করেছে স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র বালুচ গোষ্ঠী বিএলএ (বালুচ লিবারেশন আর্মি)। ঘটনার জেরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে পাকিস্তান জুড়ে। নামানো হয়েছে সেনা। বালুচিস্তানের কোয়েট্টা থেকে ট্রেনটি খাইবার পাখতুনখোয়ার পেশোয়ারে যাচ্ছিল ট্রেনটি। সেই সময় চলন্ত ট্রেন লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। মঙ্গলবার এই খবর আসা মাত্রই প্রাদেশিক সরকার জরুরি ভিত্তিতে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী পাঠিয়েছে এলাকায়।

    পণবন্দি ১০০ যাত্রী

    বিএলএ-র তরফেও দাবি করা হয়েছে, ১০০ জন যাত্রী তাদের হাতে পণবন্দি! বালুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ বলেন, ‘‘পেহরো কুনরি এবং গাদালারের মাঝামাঝি যাত্রিবাহী ট্রেনটি অপহরণ করা হয়।’’ এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে ছু়ড়তে সশস্ত্র বালুচ বিদ্রোহীরা ট্রেনের দখল নেয় বলে তাঁর অভিযোগ। শাহিদ জানান, প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, পাহাড় ঘেরা রেলপথের আট নম্বর টানেলের ভিতরে অপহৃত ট্রেনটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনার জেরে ‘চূড়ান্ত সতর্কতা’ জারি করেছে বালুচিস্তান প্রাদেশিক সরকার। মনে করা হচ্ছে, অপহৃত ট্রেন দখলমুক্ত করতে অভিযানে নামতে পারে পাক সেনা। পাক রেল দফতরের আধিকারিক মহম্মদ কাশিফ জানিয়েছেন, ন’টি কোচবিশিষ্ট ট্রেনটিতে প্রায় ৫০০ যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গিদের পণবন্দি হয়েছেন।

    পাক সেনা অভিযান নয়

    পাক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুচ লিবারেশন আর্মি অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এই অপারেশন চালিয়েছে। মাশকাফ, ধাদর, বোলান এলাকায় একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটানো হয় রেললাইনে। সংগঠন বিবৃতিতে আরও বলে, এই বিস্ফোরণে রেললাইনে ফাটল ধরায় জাফফর এক্সপ্রেস থামতে বাধ্য হয়। ট্রেন মাঝপথে থেমে গেলে জঙ্গিদল ট্রেনের দখল নেয়। সংগঠনের দাবি, সব যাত্রী ও নিরাপত্তাকর্মীদের বন্দি করা হয়েছে। জঙ্গিদের আরও দাবি, এই হামলায় ৬ পাক সেনা নিহত হয়েছেন। কয়েকশো যাত্রী তাদের হেফাজতে রয়েছেন। পাকিস্তান কোনও ধরনের সেনা অভিযান চালালে সব যাত্রীদের খতম করার হুমকিও দিয়েছে সংগঠনটি।

  • Mufti Shah Mir: বন্ধু মীরের বুকে ‘ছুরি’ বসিয়ে দিল পাকিস্তানের আইএসআই!

    Mufti Shah Mir: বন্ধু মীরের বুকে ‘ছুরি’ বসিয়ে দিল পাকিস্তানের আইএসআই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ বিস্তর। ভারতের প্রাক্তন নৌসেনা কুলভূষণ যাদবকে অপহরণে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে তিনি (Mufti Shah Mir) সাহায্য করেছিলেন বলেও অভিযোগ। পাকিস্তানের স্থানীয় সময় শুক্রবার বালুচিস্তানের তুরবাতে মসজিদ থেকে নমাজ আদায় করে বেরোনোর সময় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজন বন্দুকধারী বাইকে করে এসে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে পাক গুপ্তচর সংস্থার ‘বন্ধু’ তথা ধর্মীয় নেতা মুফতি শাহ মীরকে।

    ‘বন্ধু’র হাতেই বন্ধু খুন! (Mufti Shah Mir)

    এর পরেই জল্পনা ছড়িয়েছে, ‘বন্ধু’ আইএসআইয়ের হাতেই খুন হতে হয়েছে মীরকে। কেন ‘বন্ধু’কে খুন করল আইএসআই? সূত্রের খবর, ইদানিং অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে মীরের সঙ্গে আইএসআইয়ের দূরত্ব বাড়ছিল। তার জেরেই মীরকে খুন করা হয় বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর। মীর যে রাজনৈতিক দল জামাইত উলেমা-এ-ইসলামের সদস্য, গত সপ্তাহেই ওই দলের আরও দুই সদস্য খুন হন রহস্যজনকভাবে। সেবারও দুষ্কৃতীরা বাইকে করে এসে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে গিয়েছিল। হয়তো কাকতালীয়, কিন্তু একই দলের পরপর তিনজন খুন হওয়ার নেপথ্যে পাক গুপ্তচর সংস্থার হাত রয়েছে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। এর আগেও দুবার প্রাণঘাতী হামলা হয়েছিল মীরের ওপর। বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার আর শেষরক্ষা হল না। পুলিশের একটি সূত্রের খবর, আততায়ীরা মীরের গতিবিধির ওপর নজরদারি চালাচ্ছিল। সুযোগ বুঝে শুক্রবারই তাঁকে শেষ করে দেয় দুষ্কৃতীরা।

    মুখ ও মুখোশ

    বালুচিস্তানে মীর ধর্মীয় নেতা হিসেবেই পরিচিত। সূত্রের খবর, এই মুখোশের আড়ালেই আরও একটা পরিচয় ছিল মীরের। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নানা রকম বেআইনি কাজ পরিচালনা করা ও তার নেতৃত্ব দেওয়া (Mufti Shah Mir)। অস্ত্রপাচার, মাদক পাচার এবং মানব পাচারের সঙ্গেও মীর জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। পাকিস্তানের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের দাবি, পাকিস্তানের বিভিন্ন জঙ্গি শিবিরে নিত্য যাতায়াত ছিল মীরের। ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশেও তিনি মদত দিতেন। বালুচিস্তানে তরুণ প্রজন্মকে জঙ্গি দলে যোগদানে উৎসাহও দিতেন মীর। শুধু তাই নয়, আত্মঘাতী হামলাকারী নির্বাচন করা, অপহরণ, বালুচিস্তানের বহু হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগও ছিল মীরের বিরুদ্ধে। বালুচিস্তানের বিদ্রোহীদের সম্পর্কে পাক সেনাকে খবরাখবর আদানপ্রদানও করতেন আইএসআইয়ের এই ‘বন্ধু’। ২০১৬ সালে জইশ-অল-আদল গোষ্ঠীর প্রধান মুল্লা ওমর ইরানি ইরান-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে অপহরণ করেন কুলভূষণকে। সেই কুলভূষণকে আইএসআইয়ের হাতে তুলে দিতে মীর সাহায্য করেছিলেন বলেও অভিযোগ (Mufti Shah Mir)।

  • Pakistan: পাকিস্তানে খতম ভারত বিরোধী মৌলবাদী, অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারীরা গুলিতে করল ঝাঁঝরা

    Pakistan: পাকিস্তানে খতম ভারত বিরোধী মৌলবাদী, অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারীরা গুলিতে করল ঝাঁঝরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুলভূষণ যাদব অপহরণে পাকিস্তানের আইএসআইকে সাহায্য করার অভিযোগ ছিল পাকিস্তানের (Pakistan) অন্যতম ধর্মগুরু মুফতি শাহ মীরের বিরুদ্ধে। বালুচিস্তানের তুরবাতে অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীরা তাঁকেই গুলি করে হত্যা করল। জানা গিয়েছে পাকিস্তানের একটি ইসলামী মৌলবাদী রাজনৈতিক দল জেআইইউ-এফ-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রেখে চলতেন এই মীর। আরও জানা গিয়েছে,  এই ধর্মগুরু নামাজের পর মসজিদ থেকে বের হতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    নিয়মিত জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির পরিদর্শনও করতে তিনি (Pakistan)

    বালুচিস্তানের তুরবাতের বাসিন্দা মুফতি শাহ মীর মানব পাচারেও যুক্ত ছিলেন বলে জানা যায়। এর পাশাপাশি মাদক ও অস্ত্র পাচারের কাজেও তিনি যুক্ত ছিলেন। একটি পাক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে মুফতির হত্যা প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ কর্তা রশিদ-উর-রহমান জেহরি বলেছেন, ‘‘মুফতি শাহ মীর আজিজ মসজিদের ভিতরে নমাজ পড়ছিলেন। তখন বন্দুকধারীদের এক জন মসজিদে প্রবেশ করে এবং মুফতি বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ঝাঁঝরা করে দেয়।’’

    কূলভূষণ যাদবের গ্রেফতারির কাহিনী (Pakistan)

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩ মার্চ গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন অফিসার কূলভূষণ যাদবকে গ্রেফতার করে পাক সেনা। সেসময় আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে (Pakistan) ভারত জানিয়েছিল, অবসরপ্রাপ্ত নৌসেনা অফিসার কুলভূষণকে ইরান থেকে অপহরণ করা হয়। তারপর কূলভূষণের বিরুদ্ধে বালুচিস্তানে বিদ্রোহীদের মদত দেওয়ার মতো মিথ্যা গল্প সাজায় পাকিস্তান। মনে করা হয়, কুলভূষণকে অপহরণে বড় হাত ছিল মুফতির।

    আইএসআইয়ের নির্দেশে আফগানিস্তানেও গিয়েছিলেন মুফতি

    অভিযোগ, আইএসআইয়ের নির্দেশে আফগানিস্তানেও গিয়েছিলেন মুফতি। সেখান থেকে অনেক তথ্য পাক সেনাবাহিনীর কাছে পাচার করেন। বালুচ বিদ্রোহীদের দমনেও নাকি সক্রিয় ছিলেন তিনি। সেই মুফতির মৃত্যুতে পাকিস্তান (Pakistan) জুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে একেবারে। এই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থার মাথাদেরও। ধর্মীয় নেতার উপর কে এমন হামলা চালাল, তা জানতে মাঠে নেমেছে পাক গোয়েন্দারাও।

  • Indian Defence Ministry: রাশিয়ার সঙ্গে ২১,১৬১ কোটির প্রতিরক্ষা চুক্তি ভারতের! ক্ষমতা বাড়বে টি-৭২ ট্যাঙ্কের

    Indian Defence Ministry: রাশিয়ার সঙ্গে ২১,১৬১ কোটির প্রতিরক্ষা চুক্তি ভারতের! ক্ষমতা বাড়বে টি-৭২ ট্যাঙ্কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার (Russian Company) অস্ত্র রফতানিকারক সংস্থা রোসোবারোন এক্সপোর্টের সঙ্গে ২,১৬১ কোটি টাকার চুক্তি নয়াদিল্লির। গতকাল শুক্রবার ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Indian Defence Ministry) এক বিবৃতিতে এমনই তথ্য জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৯৭০-এর দশকে ভারতে প্রথম চালু হয়েছিল টি-৭২ ট্যাঙ্ক, যা ভারতীয় সেনাবাহিনীর অন্যতম প্রধান যুদ্ধ সরঞ্জাম। জানা গিয়েছে, বর্তমানে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ৭৮০ হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিনযুক্ত প্রায় ২ হাজার ৫০০ টি-৭২ ট্যাঙ্ক সক্রিয় রয়েছে। নতুন করে কেনা ১ হাজার হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিন দিয়ে বর্তমান ট্যাঙ্কগুলির ইঞ্জিনকে প্রতিস্থাপন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Indian Defence Ministry) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এতে ভারতীয় সেনার শক্তি আরও বাড়বে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এরফলে উদ্বেগ বাড়ল চিন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের।

    ইঞ্জিন তৈরি হবে চেন্নাইয়ে(Indian Defence Ministry)

    এই চুক্তির আওতায় রাশিয়ান সংস্থ রোসোবারোনএক্সপোর্ট থেকে প্রযুক্তি হস্তান্তর করা হবে ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আর্মার্ড ভেহিক্যালস নিগম লিমিটেডকে। এরফলে চেন্নাইয়ের আভাদিতে অবস্থিত হেভি ভেহিক্যাল কারখানাতে দেশীয়ভাবে এই ইঞ্জিনগুলি তৈরি হবে। মোদি সরকারের এমন উদ্যোগের ফলে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি আরও গতি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে রাশিয়া ভারতের শীর্ষ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহকারী দেশ। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার সরবরাহ ক্ষমতা বেশ খানিকটা কমেছে।

    সম্প্রতি কী বলেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী?

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন যে, যুদ্ধ সরঞ্জামের স্বনির্ভরতার (Indian Defence Ministry) ক্ষেত্রে ভারত ক্রমশই এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেছেন, ‘‘ভারত যুদ্ধ সরঞ্জামের রফতানির দিক থেকেও ক্রমশই এগিয়ে চলেছে। দশ বছর আগে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত রফতানি করত ৬০০ কোটি টাকার যুদ্ধ সরঞ্জাম। কিন্তু বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা। ২০২৯ ও ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত রফতানি করতে পারবে ৫০,০০০ কোটি টাকার যুদ্ধ সরঞ্জাম।’’ অন্যদিকে তথ্য বলছে ২০২৪ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে ভারতের প্রতিরক্ষা খাত প্রতিবছর কুড়ি শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন অস্ত্র, গোলাবারুদ, মহাকাশ সরঞ্জাম, ইলেকট্রনিক্স ও নৌ প্রযুক্তিতে ব্যাপক উন্নতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • Upendra Dwivedi: ‘‘পাকিস্তান ও চিনের মধ্যে ১০০ শতাংশ আঁতাঁত রয়েছে’’, সরব সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী

    Upendra Dwivedi: ‘‘পাকিস্তান ও চিনের মধ্যে ১০০ শতাংশ আঁতাঁত রয়েছে’’, সরব সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান ও চিনের আঁতাঁত নিয়ে এবার সরব হলেন দেশের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী (Upendra Dwivedi)। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একথাই বলেন তিনি। নিজের বক্তব্যে সেনাপ্রধান বলেন, ‘‘এই দুই দেশের মধ্যে অত্যন্ত বড়সড় আঁতাঁত আজও রয়েছে। আমরা যদি ভার্চুয়াল ক্ষেত্রে দেখি তাহলে এই আঁতাঁত একশো শতাংশ রয়েছে। পাকিস্তান যে সমস্ত সরঞ্জাম পায় তা বেশিরভাগই চিনের তৈরি। তাই এই দুই দেশের কাছ থেকে যুদ্ধের হুমকি একটি বাস্তবতা।’’

    ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে অনুপ্রবেশ থামার কোনও লক্ষণ নেই

    এই সাক্ষাৎকারের সময় সেনাপ্রধান (Upendra Dwivedi) উপেন্দ্র দ্বিবেদীকে জিজ্ঞেস করা হয়, পাকিস্তান সম্পর্কিত নানা ইস্যু। উঠে আসে পাকিস্তানের বর্তমান সামরিক অবস্থান, ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত বরাবর পরিস্থিতি এবং অনুপ্রবেশ। এর উত্তরে সেনাপ্রধান বলেন, ‘‘ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যে অনুপ্রবেশ তা থামার কোনও লক্ষণ দেখাই যাচ্ছে না কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। সন্ত্রাসবাদীদের প্রতিহত করার জন্য সবসময় ভারতের সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে হয়।’’

    ২০১৮ সাল থেকে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা কমেছে ৮৩ শতাংশ

    দেশের সেনাপ্রধান (Upendra Dwivedi) এদিন নিজের বক্তব্যে বেশ কিছু তথ্য ও পরিসংখ্যান দেন এবিষয়ে। তিনি বলেন, ‘‘ভারতীয় সেনাবাহিনী সন্ত্রাসবাদ দমনে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। এবিষয়ে দেশ অনেকটা এগিয়েছে।’’ এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ২০১৮ সাল থেকে দেশে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ৮৩ শতাংশ কমানো সম্ভব হয়েছে। সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী (Army Chief) এদিন ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে নিয়োগ নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘‘সেনাবাহিনীর সক্রিয়তার কারণে এই নিয়োগও ব্যাপকভাবে হ্রাস করতে পারা গিয়েছে। সম্প্রতি মাত্র ৪৫ জন ব্যক্তি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়েছে।’’

    জম্মু-কাশ্মীরে পর্যটন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে

    এর পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরে পর্যটন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী (Upendra Dwivedi) জানান। নিজের বক্তব্যে তিনি আরও বলেন,‘‘অমরনাথ যাত্রায় পাঁচ লক্ষেরও বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। জম্মু-কাশ্মীর বর্তমানে সন্ত্রাসবাদ কবলিত এলাকা থেকে পর্যটনে রূপান্তরিত হয়েছে।’’ তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ‘‘যে সমস্ত সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করা গিয়েছে, তাদের ৬০ শতাংশই পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এবং প্রতিবেশী দেশ থেকে ভারতে এভাবেই অনুপ্রবেশ ঘটায় পাকিস্তান।’’ দেশের সেনাপ্রধান নিজের বক্তব্যে আরও জানান যে, পাকিস্তান বর্তমানে আভ্যন্তরীণ সংকটে ভুগছে এবং আরও গভীরভাবে এই দেশটি ডুবে যাচ্ছে। এনিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমরাও চাই পাকিস্তানের স্থিতিশীলতা ফিরে আসুক। একইসঙ্গে আমরা এটাও চাই পাকিস্তান যেন সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থলে পরিণত না হয়।

    আফস্পা আইন নিয়ে কী বললেন?

    দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী (Upendra Dwivedi) বলেন, ‘‘সন্ত্রাস কবলিত জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সশস্ত্র বাহিনী এবং আফস্পা আইন বর্তমানে অপসারণ করা সম্ভব নয়।’’ এমন পরিস্থিকি কাশ্মীরে নেই বলেও জানান তিনি। ঠিক কবে এই কাজ করা যেতে পারে তা নিয়েও তিনি নির্দিষ্ট ভাবে কিছু বলেননি তিনি। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘‘স্থানীয়ভাবে পুলিশ যদি অত্যন্ত কার্যকরভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা করতে পারে তাহলে সেনাবাহিনী নিশ্চিত হলে আফস্পা প্রত্যাহার করা যেতে পারে।’’ এ নিয়ে তিনি আরও বলেন,‘‘আমরা ডোডা, রাজৌরি, কিশতোয়ার প্রভৃতি অঞ্চলগুলিতে ঘুরে দেখেছি এবং নিশ্চিতভাবে বলতে পারি সেখানে সন্ত্রাসবাদ আর কখনও থাবা বসাতে পারবেনা। পর্যটকদের আকর্ষণ করানোর জন্য এই অঞ্চলগুলিকে বিশেষভাবে সাজানো হবে এবং সেখানে সমস্ত রকমের থাকার ব্যবস্থা থেকে খাওয়ার ব্যবস্থা সবকিছুই করা হবে।’’

    চিন সীমানা নিয়ে কী বললেন?

    নিজের বক্তব্য এদেশের সেনা প্রধান উল্লেখ করেন, পূর্ব-লাদাখে দুটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ডেপসাং এবং ডেমচোক। চিন সীমান্তে অবস্থিত এই দুটি অঞ্চলে সেনা প্রত্যাহারের পরে বর্তমান স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। চিন সীমান্তে জীবনযাপন স্বাভাবিক হয়েছে বলেও জানান সেনাপ্রধান। তাঁর মতে, স্থানীয় মানুষজন পশুপালন এলাকাগুলিতেও পশুপালন করতে পারছেন কোনও রকম সমস্যা ছাড়াই।

    অটলবিহারী বাজপেয়ীকে করলেন উদ্ধৃত

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর সম্পদের কথা বলতে গিয়ে জেনারেল দ্বিবেদী জানিয়েছেন যে একটি দেশের সামরিক বাহিনীর কাছে যত সম্পদই থাকুক না কেন! যুদ্ধের সময় সেগুলি কখনও পর্যাপ্ত নয়। যুদ্ধের পরেও কোনও জাতিকে ভবিষ্যতের যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য মোট সম্পদের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ মজুদ রাখতেই হবে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন যে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী একবার বলেছিলেন আপনি আপনার বন্ধু পরিবর্তন করতে পারেন কিন্তু প্রতিবেশী কখনও পরিবর্তন করতে পারবেন না।

LinkedIn
Share