Tag: pakistan

pakistan

  • Pakistan: ফের হিন্দুদের ধরে জোর করে ইসলামে দীক্ষিতকরণ পাকিস্তানে

    Pakistan: ফের হিন্দুদের ধরে জোর করে ইসলামে দীক্ষিতকরণ পাকিস্তানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হিন্দুদের ধরে জোর করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিতকরণ করা হল পাকিস্তানে (Pakistan)। সিন্ধ অঞ্চলের একটি পরিবারের তিন বোন ও তাদের এক ভাইকে (Hindu Siblings) অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করা হয়। যাদের ধর্মারিত করা হয়েছে, তারা হল বছর বাইশের জিয়া বাই, বছর কুড়ির দিয়া বাই, বছর ষোলোর দিশা বাই এবং তাদের বছর তেরোর ভাই হরজিত কুমার। এদের মায়ের অভিযোগ, স্থানীয় কম্পিউটার শিক্ষক ফারহান খাসখেলি তাঁর সন্তানদের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে। তিনি বলেন,  “আমার তিনটি মেয়ে ছিল। ফারহান সবাইকে নিয়ে গিয়েছে।” তিনি তাঁর ছেলেমেয়েদের ফেরত পেতে চান। এজন্য তিনি পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির হস্তক্ষেপও দাবি করেন। পঞ্চায়েতের হিন্দু প্রধান রাজেশ কুমার একে পরিবারের জন্য ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেন।

    ধর্মান্তকরণ (Pakistan)

    এদিকে, পরিবারের প্রতিবাদের পর পুলিশ ভাইবোনদের শাহদাদপুর আদালতে হাজির করে। আদালতের নির্দেশে দুই প্রাপ্তবয়স্ক বোন জিয়া ও দিয়া (যারা মেডিকেল শিক্ষার্থী), তাদের করাচির একটি শেল্টার হোমে পাঠানো হয়। আর অপ্রাপ্তবয়স্ক দিশা ও হরজিৎকে তাদের অভিভাবকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনাকে স্বেচ্ছায় ধর্মান্তকরণ বলে দাবি করেছে। যদিও অপহৃতদের পরিবার ও তাদের আইনজীবী এই দাবি খারিজ করে দেন। তাঁরা জানান, ওই শিশুদের শাহদাদপুর থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। জোরপূর্বক তাদের ধর্মান্তরিত করা হয়। পরে করাচি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। তাঁদের দাবি, আদালতে অপহৃতরা পুলিশের চাপে কথা বলছিল। তাই দুই অভিযুক্ত জুলফিকার খাসখেলি এবং ফরহান অপহরণের অভিযোগ থেকে মুক্তি পায় (Pakistan)।

    মানবাধিকার সংস্থাগুলির রিপোর্ট

    প্রসঙ্গত, মানবাধিকার সংস্থাগুলি যেসব তথ্য নথিভুক্ত করেছে, তা থেকে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই হাজারেরও বেশি হিন্দু কন্যাকে অপহরণ করে জোরপূর্বক ধর্মান্তরণ ও বিয়েতে বাধ্য করা হয়। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার হাতিয়ার হিসেবে ধর্ম অবমাননার আইন ব্যবহৃত হয়। প্রভাবশালী গোষ্ঠীগুলি পরিকল্পিতভাবে (Hindu Siblings) হিন্দু পরিবারগুলিকে জমি দখল করে উচ্ছেদ করে। যদিও পাক সংবিধানে সংখ্যালঘুদের অধিকার ও সংরক্ষিত আসন রয়েছে, বাস্তবে এসব সুরক্ষা প্রয়োগ হয় না বলেই অভিযোগ (Pakistan)।

  • Amit Shah: “সিন্ধু জলচুক্তি আর কখনওই কার্যকর হবে না”, সাফ জানিয়ে দিলেন শাহ

    Amit Shah: “সিন্ধু জলচুক্তি আর কখনওই কার্যকর হবে না”, সাফ জানিয়ে দিলেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিন্ধু জলচুক্তি (Indus Waters Treaty) আর কখনওই কার্যকর হবে না।” ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে সাফ জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “নরেন্দ্র মোদি সরকার ১৯৬০ সালের এই চুক্তিকে সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। কারণ পাকিস্তান বারবার ভারতের শান্তি ও অগ্রগতির মূলে কুঠারাঘাত করে চলেছে। অথচ এর ওপর ভিত্তি করেই এই চুক্তি হয়েছিল।” তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলো একতরফাভাবে বাতিল করা যায় না। তবে স্থগিত রাখার অধিকার আমাদের ছিল। এবং আমরা তা-ই করেছি।”

    জল পাঠানো হবে রাজস্থানে (Amit Shah)

    শাহ বলেন, “যে জল অন্যায়ভাবে পাকিস্তানে প্রবাহিত হচ্ছিল, তা এখন রিডিরেক্ট করে ভারতের রাজস্থান প্রভৃতি রাজ্যে পাঠানো হবে। ভারত নিজের প্রাপ্য জলের ব্যবহার নিশ্চিত করতে একটি খালও নির্মাণ করবে।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা সেই জল ব্যবহার করব যা ভারতের প্রাপ্য। পাকিস্তান যে জল এতদিন অন্যায়ভাবে পাচ্ছিল, তা আর পাবে না।” শাহি সাক্ষাৎকারে অবধারিতভাবেই উঠে এসেছে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের কথা। যে হত্যাকাণ্ডের পরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। এই হত্যাকাণ্ডকে শাহ পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ইচ্ছাকৃত ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দেন। যার উদ্দেশ্য উপত্যকায় শান্তি বিঘ্নিত করা। তিনি বলেন, “কাশ্মীরের যুব সমাজ এখন এই দুষ্ট পরিকল্পনা বুঝতে পারছে। হামলার পর উপত্যকার প্রতিটি শহরে প্রতিবাদ হয়েছে।” তিনি বলেন, এটি ছিল কাশ্মীরবাসীর পক্ষ থেকে অভূতপূর্ব ঐক্য ও প্রতিবাদের প্রকাশ (Indus Waters Treaty)।

    কংগ্রেসকে শাহি জবাব

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তানও। তা নিয়ে সমালোচনা করা হয় কংগ্রেসের তরফে।। এই সাক্ষাৎকারে তারও জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ভারত পাকিস্তানের বিমান ঘাঁটিগুলিতে বড় ক্ষতি করেছে। কিন্তু অসামরিক লক্ষ্যে আঘাত করা থেকে বিরত থেকেছে।” ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ খণ্ডন করে তিনি (Amit Shah) বলেন, “ভারতীয় সংস্থা ও বিজ্ঞানীরা অত্যন্ত কার্যকর অস্ত্র ব্যবস্থাপনা তৈরি করেছেন এবং তাঁদের নিখুঁত পরিকল্পনার জন্যই এই সফলতা এসেছে।” শাহ বলেন, “আমাদের বাহিনী সম্পূর্ণ শক্তি নিয়ে হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তান খুব দ্রুত হামলা বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছিল।”

    প্রসঙ্গ জম্মু-কাশ্মীর

    এই সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও একবার ভারত সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ভবিষ্যতে যে কোনও জঙ্গি হামলাকে যুদ্ধ হিসেবে গণ্য করা হবে। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারবার এটা বলেছেন। তাই এ নিয়ে আর কোনও বিভ্রান্তির সুযোগ নেই।” পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, “ইসলামাবাদের কোনও নতুন দুঃসাহসিকতায় ভারত পুরো শক্তি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে দ্বিধা করবে না।” জম্মু ও কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে শাহ বলেন, “উপযুক্ত সময়ে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এ নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয়।” তিনি জানান, সরকার নির্বিঘ্নে নির্বাচন পরিচালনা করেছে এবং ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির মাধ্যমে বিচ্ছিন্নতাবাদের অন্তর্নিহিত অনুভূতিকে শেষ করে দিয়েছে।” প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বলেছিলেন, ঠিক সময়েই জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে (Indus Waters Treaty)।

    আমাদের দেশ কোনও ধর্মশালা নয়

    ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার প্রেক্ষিতে শাহ বলেন, “জল ও সীমান্ত সংক্রান্ত আগ্রাসনের প্রতি কঠোর অবস্থান মোদি সরকারের বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থকেন্দ্রিক নীতির অংশ। আমাদের দেশ কোনও ধর্মশালা নয়। ভারতে আসতে চাইলে বৈধ ভিসা থাকতে হবে।” তিনি (Amit Shah) সাফ জানিয়ে দেন, “ভারতের নিরাপত্তা তা নদীই হোক বা সীমান্ত বা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কোনওভাবেই আপস করা হবে না।”

    প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় সিন্ধু জলচুক্তি। সেই চুক্তিই ভারত স্থগিত করে দেয় দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার পর। সেদিন পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে খুন করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। এই ঘটনার জেরে ভারতের কূটনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে এই জলচুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারতের এই সিদ্ধান্তের জেরে বিপাকে পড়ে পাকিস্তান। দেশের বিস্তীর্ণ অংশে দেখা দেয় জলসংকট। তার পরেই পাকিস্তানের জলসম্পদ মন্ত্রকের সচিব সৈয়দ আলি মুর্তজা ভারতের জল শক্তি মন্ত্রককে একের পর এক চারটি পাঠিয়ে ভারতের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান (Indus Waters Treaty)। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের পাঠানো সব চিঠিই পাঠানো হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের কাছে। তবে এখন অবধি ভারতের তরফে কোনও সাড়া মেলেনি (Amit Shah)।

  • Trump Munir Meet: ট্রাম্প-মুনির বৈঠক! কেন পাকিস্তানের প্রতি ‘হঠাতই সদয়’ আমেরিকা?

    Trump Munir Meet: ট্রাম্প-মুনির বৈঠক! কেন পাকিস্তানের প্রতি ‘হঠাতই সদয়’ আমেরিকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানি অভিবাসীদের হাতে ট্রোলড হন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির (Trump Munir Meet)। জনসমক্ষে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তবে এতকিছুর পরও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর এক গোপন বৈঠক হয়। এই বৈঠক ঘিরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তানের প্রতি ‘হঠাতই সদয়’ হওয়ার পিছনে একাধিক কৌশলগত স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে।

    পারমাণবিক অস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্র

    প্রথমত, ধারণা করা হচ্ছে যে, পাকিস্তানের (Trump Munir Meet) কয়েকটি অঞ্চলে — বিশেষ করে নূর খান ও কিরানা হিলস এলাকায় — আমেরিকার গোপন পারমাণবিক অস্ত্র মজুদ রয়েছে। ভারতের বিমান হামলার পর ওই অঞ্চলগুলিতে মার্কিন উপস্থিতি ও নিয়ন্ত্রণ স্পষ্টভাবে বেড়ে যায় বলে অনেকেই দাবি করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিও, যেখানে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ইমতিয়াজ গুল দাবি করছেন, নুর খান এয়ারবেস এখন আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানের সেনা আধিকারিকরাও প্রবেশ করতে পারছেন না। তাদের কোনও কিছু করতে দেওয়া হচ্ছে না। ওই বিশেষজ্ঞের বক্তব্য, পাকিস্তানের নূর খান এয়ারবেসে আমেরিকার কার্গো আসা-যাওয়া করত। ওই কার্গোর ভিতরে কী থাকে, সেই সম্পর্কে পাকিস্তান সেনাও জানে না। একদিন যখন মালপত্র নামানো হচ্ছিল, পাক বায়ুসেনার এক শীর্ষ আধিকারিক, মার্কিন মেরিনকে প্রশ্ন করেন যে কার্গোর ভিতরে কী রয়েছে। মার্কিন নৌসেনা সাফ জানায়, তারা কিছু জানাতে পারবে না। জোরাজুরি করতেই, সঙ্গে সঙ্গে তার মাথায় পিস্তল তাক করে ওই মার্কিন সেনা। অর্থাৎ এখন পাকিস্তানের এয়ারবেসের ভিতরে কী হচ্ছে, তা পাকিস্তান নিজেই জানতে পারছে না। আমেরিকা এই এয়ারবেসের কার্যত দখল নিয়ে নিয়েছে। তাই পাকিস্তানকে ভেঙে পড়তে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নিরাপদ নয়। প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক দীপক ভোরার মতে, আসলে পাকিস্তানের নিজের বলে কিছুই নেই পুরোটাই অন্যের থেকে নেওয়া।

    ট্রাম্প পরিবারের ক্রিপ্টো ব্যবসা

    দ্বিতীয়ত, ট্রাম্প (Trump Munir Meet) পরিবারের পাকিস্তানে বড়সড় ক্রিপ্টো ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে বলে গুঞ্জন। পাকিস্তানের মুদ্রার প্রতি জনগণের আস্থা কমে যাওয়ায় অনেকেই এখন ক্রিপ্টোকারেন্সির দিকে ঝুঁকছেন। এই নতুন বাজারে প্রবেশের একটি সুবর্ণ সুযোগ দেখছে ট্রাম্প পরিবার। পাকিস্তানে ব্লকচেইন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি খাতে প্রবেশ করছে ট্রাম্প পরিবার-নিয়ন্ত্রিত কোম্পানি ‘ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফাইন্যান্সিয়াল’ (ডব্লিউএলএফ)। ২০২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ডিফাই ও ক্রিপ্টোকারেন্সি কোম্পানির ৬০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুই পুত্র এরিক ট্রাম্প ও ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র এবং জামাতা জ্যারেড কুশনারের হাতে। ডব্লিউএলএফ-এর সহ-সভাপতি হিসেবে আছেন জ্যাকারি উইটকফ, যিনি ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক অংশীদার স্টিভ উইটকফের পুত্র। কোম্পানিটি ব্লকচেইন প্রযুক্তি, স্টেবলকয়েন এবং ডিফাই খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে কাজ করছে।

    ২০২৫ সালের ২৬ এপ্রিল, ইসলামাবাদে পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রকের উদ্যোগে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে পাকিস্তান ক্রিপ্টো কাউন্সিলের সঙ্গে একটি ‘লেটার অফ ইনটেন্ট’ (প্রস্তাবপত্র) সই করে ডব্লিউএলএফ। এই কাউন্সিলটি গঠিত হয় মাত্র এক মাস আগে, যার নেতৃত্বে আছেন বিলাল বিন সাকিব – পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রীর উপদেষ্টা। চুক্তির আওতায় পাকিস্তানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও ডিজিটাল রূপান্তরের লক্ষ্যে ব্লকচেইন প্রযুক্তির ব্যবহার, সম্পদ টোকেনাইজেশন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও রেমিট্যান্সের জন্য স্টেবলকয়েন চালু এবং ডিফাই পাইলট প্রকল্পের জন্য নিয়ন্ত্রক স্যান্ডবক্স তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। ফলে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটির অস্তিত্ব রক্ষা করা আমেরিকার নিজেদের আর্থিক স্বার্থ রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

    ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের আবহ

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের আবহে পাকিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের কারণেও ট্রাম্প (Trump Munir Meet) কাছে টানছেন মুনিরকে। আমেরিকা এই যুদ্ধে সরাসরি যোগ দিলে হয়তো ইরানের পাশের দেশ পাকিস্তানে ফের ঘাঁটি গাড়তে চাইবে তারা। সেই লক্ষ্যেই পাকিস্তানকে নিরপেক্ষ অবস্থান নিতে বাধ্য করছে আমেরিকা। ইসলামিক বিশ্বের যে কথা এতদিন ইসলামাবাদ বলে এসেছে। তা-ও আসলে ভাঁওতা। ইসলামিক বিশ্বে সংঘাত একটি জটিল সমস্যা। তা সে শিয়া-সুন্নি বিভেদই হোক বা বিভিন্ন দেশ ও গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষমতা এবং প্রভাব বিস্তারের আকাঙ্খা। আর আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে স্থায়ী বন্ধু বা শত্রু বলেও কিছু নেই — আছে কেবলমাত্র স্থায়ী স্বার্থ। ভূরাজনীতির জগৎ আবেগের উপর নির্ভর করে না, বরং জনগণের চাহিদার উপর নির্ভর করে। একটি দেশের জন্য যা কিছু ভালো তা তার স্থায়ী স্বার্থ এবং যে দেশ এটি অর্জনে তাকে সহায়তা করে সেই দেশ তার বন্ধু। এই নীতিকেই সামনে রেখে ভারতও তার বিদেশনীতি পরিচালনা করছে, যেখানে দেশের স্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দেওয়া হচ্ছে।

  • Donald Trump: “ওরা দুজনই পরমাণু শক্তিধর দেশ, সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওরাই”! ভোল বদল ট্রাম্পের

    Donald Trump: “ওরা দুজনই পরমাণু শক্তিধর দেশ, সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওরাই”! ভোল বদল ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওরা দুজনই পরমাণু শক্তিধর দেশ। সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত ওরাই নিয়েছে।” ঠিক এই ভাষাতেই ভারত-পাকিস্তানকে সংঘর্ষ বিরতির (India Pakistan Ceasefire) ক্রেডিট দিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। মঙ্গলবার পর্যন্তও ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতির ক্রেডিট নিজেকেই দিচ্ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বুধবার তিনি ফোনে প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। সেই সময় মোদি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিয়েছে ভারত-পাকিস্তান নিজেরাই। তৃতীয় কোনও পক্ষকে হস্তক্ষেপ করতে হয়নি। তার পর এদিন প্রায় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দিলেন, ওরা পরমাণু শক্তিধর দেশ। সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত ওরাই নিয়েছে।

    ট্রাম্পের বক্তব্য (Donald Trump)

    বুধবার হোয়াইট হাউসে পাক সেনাপ্রাধন আসিম মুনিরের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারেন ট্রাম্প। ‘পাকিস্তানকে ভালোবাসি’ বলেও মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এহেন আবহেই সুর বদলে ফেললেন মিস্টার প্রেসিডেন্ট। মধ্যাহ্নভোজ শেষে ট্রাম্প বলেন, “আমি ওঁকে (মুনিরকে) ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ ওঁরা যুদ্ধের পথে হাঁটেননি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই। ভারতের সঙ্গে আমরা বাণিজ্যিক চুক্তি করছি। পাকিস্তানের সঙ্গেও বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়ে কাজ চলছে।” তিনি বলেন, “কয়েক সপ্তাহ আগেই মোদির সঙ্গে দেখা হয়েছিল। কথাও হয়েছে। আমি খুব খুশি যে, দুই স্মার্ট ব্যক্তি যুদ্ধের পথে হাঁটেননি। উভয় দেশের নেতারা খুবই বিচক্ষণ। সময়ে যুদ্ধ থামিয়েছে। পরমাণু যুদ্ধ হতে পারত। কারণ দুটিই পরমাণু শক্তিধর দেশ। ওরাই সিদ্ধান্ত নিল।”

    ‘অপারেশন সিঁদুর’

    দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। তার জেরে কার্যত লেজেগোবরে দশা হয় ইসলামাবাদের (Donald Trump)। তার পরেই ভারতকে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দেয় পাকিস্তান। সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয় ভারত। স্থগিত রাখা হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারত ও পাকিস্তানের তরফে এই যুদ্ধবিরতি (India Pakistan Ceasefire) ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ট্রাম্প বারংবার বলতে থাকেন, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত করার কৃতিত্ব তাঁরই। তিনি দাবি করেছিলেন, তিনি উভয় পক্ষের সঙ্গে অনেক বাণিজ্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই শান্তি স্থাপন করেছেন। পাক সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের পর বস্তুত ঢোক গিললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানিয়ে দিলেন, সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত ওরাই (ভারত-পাকিস্তান) নিয়েছে (Donald Trump)।

  • Pakistan: ইরানের পিঠে ছুরি মারতে কি গোপনে আমেরিকাকে সাহায্য করছে পাকিস্তান?

    Pakistan: ইরানের পিঠে ছুরি মারতে কি গোপনে আমেরিকাকে সাহায্য করছে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে ইসলামিক রাষ্ট্র ইরানকে সমর্থন করেছে আরও এক মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তান (Pakistan)। আপাতদৃষ্টিতে বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক বলে মনে হলেও, আদতে তা নয় বলেই (Viral Posts) দাবি সোশ্যাল মাধ্যমে একাধিক ভাইরাল হওয়া পোস্টে। এই পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের পাশে দাঁড়ালেও, আসলে গোপনে বন্ধু ইরানকে পিছন থেকে ছুরি মারতে চায় ইসলামাবাদ! ভাইরাল হওয়া কোনও কোনও পোস্টে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তান আসলে আমেরিকাকে সাহায্য করছে ইরানের ওপর নজরদারি চালিয়ে।  এ নিয়ে কিছু প্রমাণও দেখানো হয়েছে। ওই সব পোস্টের বক্তব্য, ইজরায়েলি হামলার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে ইরানকে সমর্থন করার পর পাকিস্তান ছুরি মেরেছে ইরানের পিঠে।

    ইউজারের পোস্ট (Pakistan)

    এক্স হ্যান্ডেলে এক ইউজার একটি পোস্টে বলেছেন, পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটেলফিল্ড এয়ারবোর্ন কমিউনিকেশনস নোড ব্যবহার করে ইরানের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে দিচ্ছে। ভাইরাল হওয়া পোস্টগুলির একটিতে, ফ্লাইটরাডার২৪-এ বিএসিএম ১১-৯০০১ বিমানটি দেখা যাওয়ার একটি স্ক্রিনশটও শেয়ার করা হয়েছে। তাদের পরামর্শ, সোমবার ইজরায়েলি হামলার জন্য ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার কেন্দ্র আইআরআইসি-র তেহরানে অবস্থিত সদর দফতরের স্থানাঙ্ক পাকিস্তানের সহায়তায় সরবরাহ করা হয়েছে ইজরায়েলিদের। তবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারের তরফে কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি। ব্যাটলফিল্ড এয়ারবোর্ন কমিউনিকেশনস নোডকে একটি উড়ন্ত গেটওয়ে হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফোরকাস্ট ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএসিএন হল একটি সামনের সারির বিমানে রাখা যোগাযোগ পুনঃপ্রেরণ এবং নেটওয়ার্ক-কেন্দ্রিক তথ্য বিনিময়ের মাধ্যম, যা বহু সামরিক, সরকারি ও বেসরকারি যোগাযোগ ব্যবস্থার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে (Pakistan)।

    ইরানের পিঠে ছুরি!

    পাকিস্তান ইরানের পিঠে ছুরি মারতে পারে এমন কিছু ভাইরাল পোস্ট সামনে এল ঠিক সেই সময়, যখন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা। মুনির বর্তমানে পাঁচ দিনের সফরে আমেরিকায় রয়েছেন। তাঁর মূল লক্ষ্য হল, দুই দেশের মধ্যে সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা। এই সফরে মুনিরকে আমেরিকায় পড়তে হয়েছে বিক্ষোভের মুখে। পাক নাগরিক এবং প্রবাসী পাকিস্তানিদের একটা অংশ তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান (Viral Posts)। মুনির “পাকিস্তানের অপরাধী স্বৈরাচার” ও “ফ্যাসিবাদের সমর্থক” বলেও স্লোগান দেন তাঁরা। মুনিরকে “গণহত্যাকারী” বলেও দেগে দেন বিক্ষোভকারীরা।

    মুনিরকে ঘিরে বিক্ষোভ

    পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে করা একটি পোস্টে বলা হয়, “ওয়াশিংটন ডিসিতে বসবাসকারী পাকিস্তানি-আমেরিকানরা ফোর সিজনস হোটেলের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, জেনারেল আসিম মুনিরকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন পাকিস্তানের জনগণের বিরুদ্ধে তাঁর করা অপরাধের কথা (Pakistan)।” প্রসঙ্গত, এর আগে এই সপ্তাহেই ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্তা জেনারেল মোহসেন রেজায়ী এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “যদি ইজরায়েল ইরানের ওপর পারমাণবিক হামলা চালায়, তাহলে পাকিস্তান ইজরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা পারমাণবিক হামলা চালাবে। এই মন্তব্যের পর পাকিস্তান অবশ্য দ্রুত তা অস্বীকার করে এবং জানিয়ে দেয়, তারা এরকম কোনও প্রতিশ্রুতি ইরানকে দেয়নি।

    পাকিস্তানের বক্তব্য

    ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের এক সিনিয়র অফিসার এবং ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক সদস্য বলেন, “ইজরায়েল যদি ইরানের ওপর পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করে, তাহলে পাকিস্তান ইজরায়েলের ওপর পারমাণবিক হামলা চালাবে — এমন আশ্বাস আমাদের দিয়েছে পাকিস্তান।” যদিও এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা মহম্মদ আসিফ বলেন, এমন কোনও প্রতিশ্রুতি তারা দেয়নি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আমাদের পারমাণবিক সক্ষমতা আমাদের জনগণের কল্যাণ এবং দেশের প্রতিরক্ষার জন্য, শত্রুদের শত্রুতামূলক পরিকল্পনার বিরুদ্ধে (Viral Posts)। আমাদের প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে আধিপত্য বিস্তারের কোনও নীতি নেই, যা ইজরায়েল বর্তমানে স্পষ্টভাবে প্রদর্শন করছে (Pakistan)।”

    ইরান-পাকিস্তান সম্পর্ক

    প্রসঙ্গত, দক্ষিণ-পশ্চিমের বালুচিস্তান প্রদেশে ৯০৫ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে ইরান-পাকিস্তানের। গত বছরের জানুয়ারি মাসে সেই বালুচিস্তান সীমান্তেই সংঘর্ষে জড়িয়ে ছিল ইরান ও পাকিস্তান। ওই প্রদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জইশ-আল-আদেলের ঘাঁটি রয়েছে বলে দাবি করে মিসাইল ছুড়েছিল ইরান। পাকিস্তানও পাল্টা মিসাইল ছোড়ে ইরানে। যদিও ইরানে বালুচ বিদ্রোহীদের ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে বলেই সেই সময় দাবি করেছিল ইসলামাবাদ।

    ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ইরান-ইজরায়েলের সম্প্রতিক বিবাদে মূলত বালুচিস্তান নিয়েই শঙ্কিত পাকিস্তান। এমনিতেই সেখানে বালুচ বিদ্রোহীদের কার্যকলাপ নিয়ে চিন্তা রয়েছে পাকিস্তানের। তার ওপর যদি প্রাণ বাঁচাতে ইরান থেকে বহু মানুষ দলে দলে সেখানে ভিড় করে, সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হতে পারে আঁচ করে তড়িঘড়ি সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান (Viral Posts)। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। তাই আমেরিকাকে চটানো পাকিস্তানের পক্ষে সম্ভব নয় (Pakistan)।

    অতএব, …

  • PM Modi in Croatia: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা, প্রধানমন্ত্রী মোদির ঐতিহাসিক ক্রোয়েশিয়া সফরে চার-চুক্তি

    PM Modi in Croatia: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা, প্রধানমন্ত্রী মোদির ঐতিহাসিক ক্রোয়েশিয়া সফরে চার-চুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউরোপ হোক বা এশিয়া— সংঘর্ষের সমাধান যুদ্ধক্ষেত্রে নয়, সংলাপ ও কূটনীতির মাধ্যমেই হওয়া উচিত। ক্রোয়েশিয়ায় (PM Modi in Croatia) ফের একবার শান্তির পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি ভারতের অবিচল অবস্থানের কথাও তুলে ধরেন তিনি। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সাইপ্রাস, কানাডার পর ক্রোয়েশিয়া সফরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের এই গুরুত্বপূর্ণ দেশে মোদির সফর ছিল কর্মব্যস্ত ও তাৎপর্যপূর্ণ, যা ভারত-ক্রোয়েশিয়া সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে।

    মোদিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা

    বুধবার ক্রোয়েশিয়ার জাগরেবে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এই দেশে মোদি (PM Modi in Croatia) প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পা রাখলেন। ঐতিহাসিক এই মুহূর্তে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। বিমানবন্দরে মোদিকে স্বাগত জানান ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লেনকোভিচ (Andrej Plenkovic)। অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথম ত্রিদেশীয় সফর করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ক্রোয়েশিয়া সফর তাঁর তালিকায় আগে থেকেই ছিল। এই সফরে দুই দেশ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে সই করেছে।

    ক্রোয়েশিয়ায় প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ

    ক্রোয়েশিয়ার প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi in Croatia)। এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলে পৌঁছানোর পর, সেখানকার ভারতীয়রা “বন্দে মাতরম” এবং “ভারত মাতা কি জয়” ধ্বনি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় নৃত্যও পরিবেশন করা হয়। এদিন সাদা পোশাক পরা ক্রোয়েশিয়ান নাগরিকদের একটি দল ‘গায়ত্রী মন্ত্র’ এবং অন্যান্য সংস্কৃত শ্লোক উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে স্বাগত জানান। এই অনুষ্ঠান ভারত ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে শক্তিশালী সাংস্কৃতিক বন্ধন তুলে ধরে। এই মুহূর্তের ভিডিওটি প্রধানমন্ত্রীর অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করা হয়েছে। পোস্টে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, “সংস্কৃতির বন্ধন দৃঢ় এবং প্রাণবন্ত! জাগরেবে স্বাগত জানানোর একটি অংশ এখানে দিলাম। ক্রোয়েশিয়ায় ভারতীয় সংস্কৃতির এত শ্রদ্ধা দেখে খুশি হলাম।” আরেকটি পোস্টে, প্রধানমন্ত্রী মোদি জাগরেবে তাঁর উষ্ণ অভ্যর্থনার একটি সুন্দর দুই মিনিটের ভিডিও শেয়ার করেছেন। এর মধ্যে প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও রয়েছে। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “জাগরেবে স্মরণীয় স্বাগত, উষ্ণতা এবং স্নেহে পরিপূর্ণ!”

    প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লেনকোভিচের সঙ্গে বৈঠক

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi in Croatia) জাগরেবে ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রে প্লেনকোভিচের সঙ্গে প্রতিনিধি-স্তরের বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে এক যৌথ প্রেস বিবৃতিতে উভয় নেতা বিশ্ব শান্তি, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও সরবরাহ শৃঙ্খল শক্তিশালী করার পাশাপাশি, ওষুধ শিল্প, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি, পরিচ্ছন্ন ও ডিজিটাল প্রযুক্তি, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ও সেমিকন্ডাক্টরের মতো খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জাহাজ নির্মাণ, সাইবার নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান মোদি। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরক্ষা সহযোগিতা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে, যার আওতায় যৌথ প্রশিক্ষণ, সামরিক বিনিময় এবং শিল্প পর্যায়ের অংশীদারিত্ব থাকবে।

    সফরকালে দুই দেশের মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে:

    কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সহযোগিতা

    ২০২৬-২০৩০ সালের সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি

    ২০২৫-২০২৯ সালের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক কর্মসূচি

    জাগরেব বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দি চেয়ার স্থাপন

    রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ

    আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে, প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi in Croatia) ক্রোয়েশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোরান মিলানোভিচের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁরা গণতন্ত্র, বহুত্ববাদ ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি প্রতিশ্রুতির কথা পুনরুল্লেখ করেন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক ফোরামগুলিতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি ক্রোয়েশিয়ায় যোগব্যায়ামের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস যথাযোগ্য উৎসাহে পালিত হবে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়ে মোদি বলেন, সন্ত্রাসবাদ মানবতার শত্রু। তিনি এপ্রিল ২২ তারিখে ভারতের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর ক্রোয়েশিয়ার জনগণ ও সরকারের সহানুভূতির জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।

    ভারত-ক্রোয়েশিয়া সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা

    প্রধানমন্ত্রী প্লেনকোভিচ জাগরেবে প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi in Croatia) সম্মানে এক নৈশভোজের আয়োজন করেন। যা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে এক নতুন মাত্রা দেয়। বিদায় বেলায় প্রধানমন্ত্রী মোদি ক্রোয়েশিয়ার সরকার ও জনগণের উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাঁর কথায়, এই সফর ভারত-ক্রোয়েশিয়া সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে যা শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিন্ন লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত। এই ঐতিহাসিক সফরের মাধ্যমে ভারত ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে বন্ধুত্ব ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও সুদৃঢ় হয়েছে, বলে মনে করছে কৃটনৈতিক মহল।

  • Yogi Model: পাক সংসদে ‘যোগী মডেলে’র প্রশস্তি, ইসলামাবাদের হল টা কী?

    Yogi Model: পাক সংসদে ‘যোগী মডেলে’র প্রশস্তি, ইসলামাবাদের হল টা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) সংসদে শোনা গেল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির যোগী আদিত্যনাথের মডেলের (Yogi Model) প্রশস্তি! শুনতে অবাক লাগলেও, এটাই সত্যি। যোগীর নেতৃত্বাধীন উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রশংসা করে পাকিস্তানের এক সাংসদের একটি ভিডিও ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ফুটেজটিতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের সংসদ ‘জাতীয় পরিষদে’ ভাষণ দিচ্ছেন এক সাংসদ। তিনি পাকিস্তানের ফেডারেল পরিসংখ্যানের সঙ্গে রাজ্যের (উত্তরপ্রদেশের) বাজেট এবং কর রাজস্বের তুলনা করেছেন। উভয়ের মধ্যে আর্থিক ব্যবধানও তুলে ধরেছেন। পাক সাংসদের এই ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হতেই ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয় দুই দেশেই।

    পাক সাংসদের বক্তব্য (Yogi Model)

    পাকিস্তানের ওই সাংসদ সরকারি পরিসংখ্যান ব্যবহার করে দেখিয়েছেন, ভারতের একটি অঙ্গ রাজ্য উত্তরপ্রদেশ বাজেটের আকার এবং রাজস্ব সংগ্রহের দিক থেকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া ইউজাররা ভিডিও ক্লিপটি প্রচার করেছেন। তাঁদের মতে, এটি মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথের আর্থিক পদ্ধতির জনসমক্ষে সমর্থন বলে অভিহিত করেছেন। আর পাকিস্তানে এই বিবৃতিটি ফেডারেল সম্পদ কীভাবে বরাদ্দ করা হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ভাইরাল হওয়া ক্লিপে ওই সাংসদ বলেন, “পাকিস্তানের মোট বাজেট ৬২ বিলিয়ন ডলার, অথচ উত্তরপ্রদেশের বাজেট ৯৭ বিলিয়ন ডলার।”

    ‘যোগী মডেলে’র বিরল সমর্থন

    তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তানের মোট কর রাজস্ব ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, অথচ উত্তরপ্রদেশের কর রাজস্ব ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।” সাংসদ মনে করিয়ে দেন, পাকিস্তানের কর রাজস্ব উত্তরপ্রদেশের চেয়ে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কম। ভারতের অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার একে ‘যোগী মডেলে’র (Yogi Model) এক বিরল সমর্থন হিসেবে দেখছেন। এই শব্দটি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের শাসনশৈলীকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

    প্রসঙ্গত, এই ক্লিপটি পাকিস্তান কীভাবে তার রাজস্ব পরিচালনা করে এবং সম্পদ বণ্টন করে, তা নিয়ে আলোচনায় নয়া মাত্রা যোগ করেছে। পাক সংসদে বর্তমানে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট নিয়ে বিতর্ক চলছে (Pakistan)। ভাইরাল মন্তব্যগুলি সেই আলোচনায় নয়া দিক উন্মোচন করেছে (Yogi Model)।

  • Jaffar Express: আবার বালোচ বিদ্রোহীদের নিশানায় জাফর এক্সপ্রেস! বিস্ফোরণে লাইনচ্যুত ট্রেনের ছ’টি বগি

    Jaffar Express: আবার বালোচ বিদ্রোহীদের নিশানায় জাফর এক্সপ্রেস! বিস্ফোরণে লাইনচ্যুত ট্রেনের ছ’টি বগি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তিন মাসের মধ্যে বালোচ বিদ্রোহীদের নিশানায় জাফর এক্সপ্রেস (Jaffar Express)! বালোচিস্তানের কাছে বুধবার সকালে পাকিস্তানের (Pakistan) জাকোবাবাদে ব্যাপক বিস্ফোরণের পর লাইনচ্যুত হল জাফর এক্সপ্রেসের ৬টি কামরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কোয়েটা থেকে পেশোয়ারের দিকে যাচ্ছিল জাফর এক্সপ্রেস। ঘটনাটি ঘটে সিন্ধ প্রদেশের কাছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন রেল আধিকারিক ও পাক সেনা। কীভাবে এই বিস্ফোরণ তার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    কীভাবে হল?

    বালোচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ার রেলপথে প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মধ্যে দিয়ে জাফর এক্সপ্রেস (Jaffar Express) প্রতি দিনই যাতায়াত করে। ওই ট্রেনে কোয়েটা থেকে পেশোয়ার যেতে সময় লাগে প্রায় ৩০ ঘণ্টা। জানা যাচ্ছে, এদিনও কোয়েটা থেকে পেশোয়ারের উদ্দেশে যাচ্ছিল ট্রেনটি। তখনই ঘটে এই ঘটনা। রেললাইনের পাশে একটি গরুবাজারে তীব্র বিস্ফোরণ হয়। তার অভিঘাতেই লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি। হতাহতের কোনও খবর মেলেনি এখনও। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে। এই দুর্ঘটনার পর আপাতত ওই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে ৷ এমনিতে স্বাধীনতার দাবিতে অশান্ত বালুচিস্তান ৷ স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র বালুচ গোষ্ঠী বালুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এর আগে মার্চে জাফর এক্সপ্রেস অপহরণ করেছিল ৷

    অতীতেও নিশানায় জাফর এক্সপ্রেস

    প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, এই ঘটনার পিছনে হাত রয়েছে বালোচ বিদ্রোহীদের। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও সংগঠন এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। উল্লেখ্য, এই নিয়ে চলতি বছরে দ্বিতীয়বার বড় হামলা হল জাফর এক্সপ্রেসে। এর আগে গত মার্চ মাসে জাফর এক্সপ্রেস অপহরণ করে বালোচ লিবারেশন আর্মি। পাক সেনাকর্মী থেকে শুরু করে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ও নিরাপত্তা বাহিনীর অনেকেই ছিলেন ওই ট্রেনে। প্রায় ৫০০ যাত্রী-সহ এই ট্রেনের দখল নেয় বালোচ বিদ্রোহীরা। পণবন্দি করা হয় ট্রেনে থাকা পাক সেনাদের। পালটা বালোচদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পাক সেনা। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় ৬৪ জনের। যার মধ্যে ছিলেন, ১৮ জন পাক সেনা ও ৩৩ জন বিদ্রোহী।

     

  • Asim Munir: ‘‘আপনি কাপুরুষ’’! আমেরিকায় ‘স্বদেশি’দের হাতেই বিক্ষোভের মুখে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির

    Asim Munir: ‘‘আপনি কাপুরুষ’’! আমেরিকায় ‘স্বদেশি’দের হাতেই বিক্ষোভের মুখে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশে গিয়েও রক্ষে নেই পাকিস্তানের (Pakistan) সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনিরের (Asim Munir)। পাঁচ দিনের আমেরিকা সফরে গিয়েছেন তিনি। উঠেছেন ওয়াশিংটনের একটি হোটেলে। সেখানে হাজির হন পাকিস্তানের নাগরিক এবং পাক-বংশোদ্ভূত প্রচুর মানুষ। তাঁরা পাকিস্তানে নিরবচ্ছিন্ন গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে সোচ্চার হন। ওয়াশিংটনের এই বিক্ষোভের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে শোনা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিচ্ছেন, ‘আসিম মুনির আপনি একজন কাপুরুষ। আপনি গণহত্যাকারী, ধিক্কার আপনাকে’। পরে ফের বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন, ‘ধিক্কার আপনাকে, একনায়ক এবং পাকিস্তানিদের হত্যাকারী’। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। সেখানে উপস্থিত সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। কারণ তাঁরা তাঁদের হোটেলের বিল্ডিংয়ে ঢুকতে বাধা দিচ্ছিলেন।

    আসিম মুনির গণহত্যাকারী (Asim Munir)

    ভাইরাল হওয়া অন্য একটি ভিডিও ফুটেজে একটি মোবাইল ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড দেখা গিয়েছে। বিল্ডিংয়ের সামনে পার্ক করে রাখা ওই বিলবোর্ডে লেখা, ‘আসিম মুনির (Asim Munir), গণহত্যাকারী’ এবং ‘যখন বন্দুক কথা বলে, তখন গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়’। জানা গিয়েছে, যাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন, তাঁরা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সমর্থক। এঁরা বরাবরই বর্তমান পাক সরকারের বিরোধিতা করে আসছেন। মুনিরের সফর সরকারিভাবে ঘোষণার আগেই ওয়াশিংটনে পাকিস্তানি দূতাবাসের বাইরে প্রতিবাদ জানিয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল।

    ওয়াশিংটনে মুনির

    রবিবার ওয়াশিংটনে পৌঁছন মুনির। উদ্দেশ্য, আমেরিকার সঙ্গে সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করা। ‘প্রাথমিকভাবে দ্বিপাক্ষিক প্রকৃতি’র এই সফর ১৪ জুন মার্কিন সেনাবাহিনীর ২৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। কারণ ওই দিন মুনির ওয়াশিংটনে গেলেও যোগ দেননি মিলিটারি প্যারেডের অনুষ্ঠানে। অবশ্য জল্পনা ছড়িয়েছিল শনিবার ওয়াশিংটনে মিলিটারি প্যারেডে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শালকে। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দেয় হোয়াইট হাউস।

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। ভারতের ওই অভিযানে কার্যত ল্যাজেগোবরে দশা হয় পাকিস্তানের। তা সত্ত্বেও সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে প্রমোশন দেয় শাহবাজ শরিফের সরকার (Pakistan)। তাঁকে উন্নীত করা হয় পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সামরিক পদ ফিল্ড মার্শাল পদে (Asim Munir)।

  • Israel Iran Conflict: ইজরায়েলের অপারেশন চলাকালীনই ভূমিকম্প ইরানে, একই ঘটনা ঘটেছিল অপারেশন সিঁদুরের সময়ও!

    Israel Iran Conflict: ইজরায়েলের অপারেশন চলাকালীনই ভূমিকম্প ইরানে, একই ঘটনা ঘটেছিল অপারেশন সিঁদুরের সময়ও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল-ইরান সংঘাতের (Israel Iran Conflict) জেরে আরও উত্তপ্ত হল পশ্চিম এশিয়া। ইজরায়েল ইরানে চালিয়েছিল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’। তার পাল্টা ইরান চালিয়েছে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’। রবিবার রাত (Operation Sindoor) থেকে দু’পক্ষের লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। এদিকে, সোমবার সকালে ইরানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পটি হয়েছে ইরানের ফরদো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছেই। দুইয়ে মিলে আতঙ্ক গ্রাস করেছে স্থানীয়দের মধ্যে।

    রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা (Israel Iran Conflict)

    গত সপ্তাহেই ইরানের কোম শহরে একবার কম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ২.৫। ফরদো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও এর কাছাকাছি। ইরানের আগে ভূমিকম্পে কেঁপেছিল পাকিস্তান। সে দেশের সিস্তান এবং বালুচিস্তানের ওই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩। জানা গিয়েছে, ইরানের ফরদোয় এদিন যে ভূমিকম্প হয়েছে, সেখানে বিস্ফোরণও ঘটে একই সময়ে। এর পরেই উঠে আসে ভারত-পাক সংঘাতের জেরে ‘অপারেশন সিঁদুরে’র অনুষঙ্গ। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। সেই সময়ও ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে উঠেছিল পাকভূম। আতঙ্ক ছড়িয়েছিল পাকিস্তানে।

    ইরানের তিন পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা

    এদিকে, ইজরায়েল হল প্রথম দেশ, যারা ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক কেন্দ্র – নাতাঞ্জ, ইসফাহান এবং ফরদোয় হামলা চালিয়েছে। গত সপ্তাহের প্রথম দফার হামলায় নাতাঞ্জ সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্র এবং ইসফাহানে ইউরেনিয়াম পরিবর্তন কেন্দ্রে আঘাত হানা হয়। ফরদোয় হামলা চালানো হয় পরে। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে (Israel Iran Conflict)।

    সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গিয়েছে, নাতাঞ্জে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন, যার মধ্যে রয়েছে এর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও। এ থেকে স্পষ্ট হামলার পরিমাণ ও তীব্রতা। সংঘর্ষ ক্রমশ তীব্রতর হচ্ছে। কারণ সামরিক অভিযানের পাশাপাশি রহস্যময় ভূকম্পনও দেখা যাচ্ছে। এই ঘটনাগুলি পাকিস্তানে ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুরে’র সময় দেখা ভূকম্পন ও সামরিক হামলার স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে।

    রবিবার ইজরায়েল-ইরান সংঘর্ষ আরও তীব্র রূপ নিয়েছে। দুই দেশই ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক কেন্দ্রে আঘাত হানার পর ইজরায়েল তাদের আক্রমণের পরিসরও বিস্তৃত করেছে (Operation Sindoor)। ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, তারা রাতারাতি ইরানের রাজধানীর ৮০টিরও বেশি জায়গায় হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে ছিল ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণকের সদর দফতর এবং এসপিএনডি নামে পরিচিত পারমাণবিক কর্মসূচির কার্যালয়ও (Israel Iran Conflict)।

LinkedIn
Share