Tag: pakistan

pakistan

  • India VS Pakistan: বিরাটের দুরন্ত পারফরম্যান্সে শেষ বলে জয় টিম ইন্ডিয়ার

    India VS Pakistan: বিরাটের দুরন্ত পারফরম্যান্সে শেষ বলে জয় টিম ইন্ডিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেলবার্নে বিরাট দীপাবলী পালন করছে ভারতীয়রা। ভারত পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা সাক্ষী রইল মেলবোর্নের ৯০ হাজারের বেশি দর্শক। এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে হারের মধুর প্রতিশোধ নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল ভারত। কোহলীর চওড়া ব্যাটে ভারত পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচটি জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল রোহিতরা।

    গত কয়েক বছর ধরেই বিরাটকে সইতে হয়েছে অবজ্ঞা, অপমান, উপেক্ষার জ্বালা। হাত থেকে গিয়েছে জাতীয় দলের নেতৃত্ব । এমনকি জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার কথাও শুনতে হয়েছে। ‘ফুরিয়ে গিয়েছেন,’ ‘বুড়ো হয়ে গিয়েছেন’ শব্দ বন্ধনী আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরেছে তাঁকে। এর আগে এশিয়া কাপেই নিজের ফর্মের ঝলক দেখিয়েছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও ব্যাটে রান পেয়েছিলেন দুবাইয়ে।

    তবে এই তাঁর মহারাজকীয় প্রত্যাবর্তনের জন্য আরও বড় মঞ্চ তৈরি রেখেছিলেন। যে বিশ্বকাপ থেকে লজ্জার বিদায়ে ক্যাপ্টেন হিসাবে এক বছর আগে মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছিল, সেই বিশ্বকাপ প্ল্যাটফর্মেই অতিমানবীয় ইনিংস খেললেন বিরাট। সম্মোহিতের মত এতে আত্মসমর্পণ করে ছাড়া যাতে উপায় ছিল না পাকিস্তানের।

    [tw]


    [/tw]

    কোহলি যে সময় ব্যাট করতে নেমেছিলেন ভারত তখন অথৈ জলে হাবুডুবু খাচ্ছে। রবিবার ১৬০ স্কোরকেও এক সময় টিম ইন্ডিয়ার কাছে পাহাড়-প্রমাণ ঠেকাচ্ছিল। দ্রুত একের পর এক উইকেট খুঁইয়ে ইনিংসের শুরুতেই ভারতের হার প্রায় নিশ্চিত হতে চলেছিল।

    ভারতের টপ অর্ডার কিন্তু নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। যার চাপ পড়ে টিমের মিডল অর্ডারে। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই দুমড়ে মুচড়ে একাকার হয়ে যায় ভারত টপ অর্ডার । কেএল রাহুল, রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদব আউট হয়ে যাওয়ার পরে লোয়ার অর্ডারকে বাঁচাতে সাত-তাড়াতাড়ি নামানো হয় অক্ষর প্যাটেলকে। তিনিও দ্রুত রান আউট হয়ে যাওয়ার পর মাত্র ৩১ রানে দাঁড়ায়। ১৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ১০ ওভারে ৪ উইকেট খুইয়ে মাত্র ৪৫ জোটে। সেখান থেকে ভারতকে ম্যাচে ফেরানো অকল্পনীয় মনে হচ্ছিল।

    তবে লক্ষ্য কঠিন হলেও তবে অসম্ভব ছিল না। কেন না, ক্রিজে বিরাট-হার্দিক জুটি। ব্যাটে-বলে টাইম করতে গোটা ইনিংস জুড়েই হার্দিক সমস্যায় পড়লেও  ৩৭ বলে ৪০ রানের দাঁত কামড়ে থাকা হার্দিকের সঙ্গেই কোহলি পঞ্চম উইকেটের পার্টনারশিপে তুললেন ১১৩ রান। হঠাৎ যে ম্যাচ ভারতের হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল, সেই ম্যাচেই পাল্টা লড়াই জমিয়ে দেন দুজনে।

    [tw]


    [/tw]

    শেষ ওভার যেন কমেডি অফ এরর। রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ । বাঁ হাতি স্পিনার মহম্মদ নওয়াজকে আক্রমণে আনেন বাবর। হার্দিক পান্ডিয়া বরাবর স্ট্রাইক করতে সমস্যায় পড়ছিলেন। তিনি শেষ ওভারের প্ৰথম বলেই হাঁকাতে গিয়ে সোজা ক্যাচ তুলে বিদায় নিলেন। বিরাট ও হার্দিকের জুটি ভাঙ্গে। পরের দুই বলে উঠল মাত্র ৩ রান। তবে চতুর্থ বলেই নাটকীয় ঘটনা। হাই ফুলটসে কোহলি মাঠের বাইরে বল পাঠানোর পরে আম্পায়ার উচ্চতার জন্য নো দেন। ফ্রি-হিটে কোহলি বোল্ড হলেও দৌঁড়ে তিন রান নেন বিরাট। শেষ ২ বলে ২ রান। পঞ্চম বলে স্টাম্পড দীনেশ কার্তিক।শেষ বলে ২ রান। ক্রিজে অশ্বিন। অশ্বিন মিড অফের উপর দিয়ে খেলে সিঙ্গল নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন। এই মুহূর্তের আগে অবধি ভারতীয় সমর্থকদের যেন হৃদযন্ত্র খুলে বসতে হয়েছিল। জয় নিশ্চিত হতেই বিরাট নিজের আবেগকে আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। হাঁটু মুড়ে বসে পড়েন বিরাট । উইকেটের মধ্যে মারেন ঘুসি।হেলমেট খুলে বার বার আকাশের দিকে তাকাচ্ছিলেন। মাঝে মধ্যে হাঁফ ছাড়তে দেখা যাচ্ছিল। সত্যিই তো, মেলবোর্নের মাঠে ইনিংসের শুরুতে যে ভাবে তিনি দু’রান, তিন রান নিয়েছেন তাতে ক্লান্তি আশা স্বাভাবিক। কিন্তু ক্লান্তির থেকেও অনেক বেশি স্বস্তি দেখা যাচ্ছিল কোহলির মুখে।

    আজীবনের চেজ মাস্টার বিরাট পুনরায় ফর্ম ফেরায় ইনিংস জুড়ে আরও কিছু রেকর্ডের অপেক্ষা করছে ক্রিকেটপ্রেমীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: “সন্ত্রাসবাদকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে”, পাকিস্তানকে নিশানা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “সন্ত্রাসবাদকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে”, পাকিস্তানকে নিশানা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রযন্ত্রের একটি অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।” শনিবার নাম না করে এই ভাষায়ই পাকিস্তানকে নিশানা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এদিন সিঙ্গাপুরে নিজেরই লেখা বই ‘হোয়াই ভারত ম্যাটারর্স’ সংক্রান্ত এক বক্তৃতায় পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদকে নিশানা করেন জয়শঙ্কর।

    প্রসঙ্গ সন্ত্রাসবাদ (S Jaishankar)

    ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অফ সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের ওই অনুষ্ঠানে বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রযন্ত্রের একটি অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিবেশীর এই বিষয়টি যেখানে গোপন নেই, তখন আপনি সেই প্রতিবেশীর মোকাবিলা করবেন কীভাবে? এটি কোনও একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, তারা (পাকিস্তান) এটিকে একটি শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে…সেক্ষেত্রে আমাদের কী করণীয়? আমাদের এর মোকাবিলার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। কারণ সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া কোনও সমাধান নয়, সেটা শুধু সমস্যাকে আরও ডেকে আনে।” তিনি বলেন, “প্রত্যেক দেশই চায় যাতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে একটি স্থিতিশীল সম্পর্ক থাকে। যদি আর কিছু নাও হয়, যাতে অন্তত প্রতিবেশীর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় থাকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, ভারতের ক্ষেত্রে সে রকম নয়।”

    ভারতের জিরো টলারেন্স নীতি 

    সন্ত্রাসবাদকে যে ভারত আর বরদাস্ত করবে না, এদিনও তাও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে ভারত যে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। একদিকে সন্ত্রাসবাদীমূলক কার্যকলাপ চলবে, অন্যদিকে সমানতালেও চলতে থাকবে আলোচনা, এটা যে হতে পারে না, এদিন তাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “আমরা কখনওই তাদের বলতে যাব না যে, আচ্ছা, এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে, আসুন আমরা আলোচনা করি।”

    আরও পড়ুুন: “এটাই হল মোদি কা গ্যারান্টি”, কেন বললেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী?

    পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “আমরা কোনও দেশকেই ফ্রি পাস দেব না। তারা বলবে, এ ব্যাপারে কিছু করার নেই। এটা কোনও কঠিন সমস্যাও নয়। আবার আমরা বিষয়টিকে উপেক্ষাও করতে পারি না।” পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ ভারত করেছে আগেও। এবারও ফের সুযোগ পেয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে কার্যত ধুয়ে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Slams Pakistan: “ফাটা রেকর্ড বাজিয়ে চলেছেন রাষ্ট্রসংঘের কিছু প্রতিনিধি”, পাকিস্তানকে নিশানা ভারতের

    India Slams Pakistan: “ফাটা রেকর্ড বাজিয়ে চলেছেন রাষ্ট্রসংঘের কিছু প্রতিনিধি”, পাকিস্তানকে নিশানা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নির্দিষ্ট একটি ধর্মকে রক্ষার নামে ফাটা রেকর্ড বাজিয়ে চলেছেন রাষ্ট্রসংঘের মুষ্ঠিমেয় প্রতিনিধি।” রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় এই ভাষায়ই পাকিস্তান ও চিনকে নিশানা করল ভারত (India Slams Pakistan)। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার প্লেনারি বৈঠক ছিল। সেখানেই পাকিস্তানের দূত মুনির আক্রম চিনের মদতে ‘ইসলামফোবিয়া’র বিরুদ্ধে মোকাবিলা প্রস্তাব পেশ করেন।

    ভোটদানে বিরত ছিল ভারত (India Slams Pakistan)

    রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় সেটি গৃহীত হয়। রাষ্ট্রসংঘের ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১১৫টি দেশ এর পক্ষে ভোট দেয়। বিপক্ষে কোনও ভোট না পড়লেও, ভোটদানে বিরত ছিল ভারত, ফ্রান্স-সহ বিশ্বের ৪৪টি দেশ। এই প্রস্তাবের ওপর (India Slams Pakistan) বক্তৃতা দিতে গিয়ে পাক দূত সিএএ এবং অযোধ্যার রাম মন্দির প্রসঙ্গ টানেন। এরই প্রেক্ষিতে পাকিস্তানকে নিশানা করেছেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ। তিনি বলেন, “একটি বিষয় খুবই চিন্তার যে, সাধারণ সভার এক সদস্য ও তাঁর মন্তব্য অনেকটা ফাটা রেকর্ডের মতো। যখন পুরো বিশ্ব এগিয়ে চলেছে, তখন দুঃখজনকভাবে স্থবির হয়ে রয়েছে তারা। আমার দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে এই প্রতিনিধির সীমিত এবং বিপথগামী দৃষ্টিভঙ্গী খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আরও উল্লেখযোগ্য যে, সাধারণ সভা এই বিষয়টিকে আরও ব্যাপক আকারে আন্তর্জাতিক স্তরে আলোচনার জন্য গ্রহণ করেছিল। এই সদস্য দেশের ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য নিশ্চয়ই নয়।”

    সংখ্যালঘুদের ওপর হিংসা

    গত সেপ্টেম্বরেও রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় পাকিস্তানকে আক্রমণ (India Slams Pakistan) শানিয়েছিল রাষ্ট্রসংঘে ভারতীয় মিশনের প্রথম সেক্রেটারি পেটাল গেহলট। তিনি বলেছিলেন, “ভারতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও বিদ্বেষপূর্ণ প্রচার ছড়াতে এই প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার করতে পাকিস্তান একটি অভ্যস্ত অপরাধী।” সেদিনও তরুণ এই কূটনীতিক পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সরকারি হিংসার উদাহরণ তুলে ধরেছিলেন। বলেছিলেন, “ফয়সালাবাদের জেরানওয়ালায় সংখ্যালঘু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বড় আকারের হিংসা চালানো হয়েছিল। সেখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রার্থনাস্থল ও তাঁদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

    এদিন রুচিরাও বলেন, “এই ইসলামফোবিয়ার বিরুদ্ধে মোকাবিলা প্রস্তাব আদতে হিংসা ও বৈষম্যের সম্মুখীন হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ-সহ অন্যান্য ধর্মের প্রতি ধর্মভীতির বিস্তার।” স্বমত প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে রুচিরা বিশ্বের হিন্দু, বৌদ্ধ এবং শিখ ধর্মাবলম্বীদের পরিসংখ্যানও তুলে ধরে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী দূত (India Slams Pakistan)।

    আরও পড়ুুন: “দায়বদ্ধতা থেকেই সিএএ চালু করা হয়েছে”, আমেরিকাকে ‘বার্তা’ জয়শঙ্করের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Amit Shah: “হিন্দু হোক বা মুসলিম, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা ভারতীয়”, বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “হিন্দু হোক বা মুসলিম, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা ভারতীয়”, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর (POK) ভারতের অংশ এবং এখানকার জনগণ হিন্দু হোক বা মুসলিম তাঁরা ভারতীয়ই। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা তাঁদের ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ভারতীয়ই, বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এক অনুষ্ঠানে শুক্রবার এই দাবি করেন শাহ। 

    প্রসঙ্গ সিএএ

    ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের জন্য এ দেশে আসা সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ওই দেশগুলি থেকে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি সিএএ-তে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও এই আইনে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্তদের কথা বলা হয়নি, এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “তিনটি দেশই ইসলামিক রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং মুসলমানরা নিপীড়নের মুখোমুখি হতে পারে না।” 

    সকলেই ভারতীয়

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, দেশভাগের সময় প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সহ কংগ্রেস নেতারা বলেছিলেন যে, পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের ভারতে স্বাগত জানানো হবে। দেশভাগের সময় পাকিস্তানে হিন্দু জনসংখ্যা ২৩ শতাংশ ছিল। সেখান থেকে কমে এখন ৩.৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে, ১৯৫১ সালে বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা ২২ শতাংশ ছিল। ২০১১ সালে তা কমে ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ১৯৯২ সালে আফগানিস্তানে শিখ ও হিন্দুদের সংখ্যা ২ লাখ ছিল। আজ মাত্র ৫০০-তে ঠেকেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশ্ন, কোথায় গেলেন বাকিরা? ভারতে তো তাঁরা আসেননি। অর্থাৎ, জোরপূর্বক ধর্মান্তরণ হয়েছে। কংগ্রেস নেতারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদি সরকার তা পূরণ করেছে। কিন্তু পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) ক্ষেত্রে এই বিষয়টি খাটে না বলেও মত দেন শাহ। তিনি বলেন, “পাক অধিকৃত কাশ্মীর হামারা হ্যায়। ওটা ভারতের, তাই ওখানকার সকল বাসিন্দা, হিন্দু হোক বা মুসলিম তাঁরা সকলেই ভারতীয়।”

    আরও পড়ুন: আরএসএস-এর শিবিরগুলির প্রশিক্ষণ পদ্ধতিতে এল বেশ কিছু পরিবর্তন

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর প্রসঙ্গ

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) ভারতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রসঙ্গে অতীতে একাধিকবার শোনা গিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের কথায়। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় ২৪টি আসনও সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে গত কয়েক বছর ধরেই আন্দোলন চলছে। এমনকি বালুচিস্তানেও এ ধরনের একাধিক প্রতিবাদ হয়েছে। পাকিস্তান নয় ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার দাবিও উঠেছে পিওকে থেকে। ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর কাশ্মীরে পরিস্থিতির যে উন্নতি হয়েছে, সে কথাও স্মরণ করিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু তার জন্য আতঙ্কবাদকে কোনও ভাবেই রেয়াত না করার কথা শোনা গিয়েছে শাহের বক্তব্যে। ভারতের ক্ষতি করার কেউ চেষ্টা করলে পাল্টা জোরাল জবাব দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে চান? কী কী লাগবে জেনে নিন

    CAA: ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে চান? কী কী লাগবে জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোম-সন্ধ্যায় লাগু হয়েছে সিএএ (CAA)। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক চালু করে দিল এ সংক্রান্ত ওয়েব পোর্টাল। যাঁরা ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে অনলাইনের দ্বারস্থ হবেন, তাঁদের জন্যই এই ব্যবস্থা। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যাঁরা আবেদন করবেন, তাঁদের জন্য ‘সিএএ-২০১৯’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপও কেন্দ্র চালু করবে বলে খবর।

    সিএএ (CAA)

    ২০১৯ সালে সংসদে পাশ হয় সিএএ বিল। পরে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মেলায় বিলটি পরিণত হয় আইনে। তবে বিরোধীদের অপপ্রচারের জেরে সিএএর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয় বলে অভিযোগ। প্রায় সাড়ে চার বছর পরে সোমবার দেশজুড়ে লাগু হয় সিএএ আইন। এই আইন বলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়িত যেসব শরণার্থী (হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টান) এদেশে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব (CAA) দেওয়া হবে। এই আইন তাঁদের সাংস্কৃতিক, লিঙ্গুইস্টিক এবং সোশ্যাল আইডেন্টিটি রক্ষা করবে। এটা তাঁদের অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, মুক্তভাবে চলাচল করা এবং সম্পত্তি কেনার অধিকারও দেবে।

    কী কী নথি প্রয়োজন (CAA)

    প্রথমেই নথি পেশ করতে হবে যা প্রমাণ করবে যে আবেদনকারী বাংলাদেশ, আফগানিস্তান বা পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত

    • বাংলাদেশ বা আফগানিস্তান কিংবা পাকিস্তান সরকারের দেওয়া পাসপোর্ট।
    • ভারতের ফরেনার্স রিজিয়নাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার কিংবা ফরেনার্স রেজিস্ট্রেশন অফিসারের দেওয়া রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট বা রেসিডেন্সিয়াল পারমিট।
    • আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তান সরকারের দেওয়া জন্মের শংসাপত্র।
    • আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের কোনও স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র।
    • আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের সরকার বা এই তিন দেশের কোনও সরকারি সংস্থার ইস্যু করা যে কোনও ধরনের পরিচয়পত্রের নথি।
    • আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের সরকারি কোনও সংস্থার দেওয়া যে কোনও লাইসেন্স কিংবা সার্টিফিকেট।
    • আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের  জমি কিংবা ভাড়ায় থাকলে তার রেকর্ড।
    • আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তান সরকারের দেওয়া কোনও নথি যা প্রমাণ করে যে আবেদনকারীর বাবা-মা বা পিতামহ কিংবা প্রপিতামহ এই তিন দেশের কোনও একটির নাগরিক ছিলেন।
    • বাংলাদেশ বা আফগানিস্তান কিংবা পাকিস্তানের সরকারি কর্তৃপক্ষ কিংবা সংস্থার দেওয়া কোনও নথি যা প্রমাণ করবে যে আবেদনকারী এই তিন দেশের কোনও একটি থেকে এসেছেন।

    আরও পড়ুুন: লোকসভা ভোটে বাংলায় একক বৃহত্তম দল হবে বিজেপি, ভবিষ্যদ্বাণী পিকে-র

    এ ছাড়াও আরও কিছু তথ্য লাগবে, যা প্রমাণ করবে আবেদনকারী ভারতে এসেছেন ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে (CAA)। এগুলি হল—

    • ভারতে আসার ভিসা এবং ইমিগ্রেশন স্ট্যাম্পের কপি।
    • রেজিস্ট্রশন সার্টিফিকেট বা রেসিডেন্সিয়াল পারমিট যেটা ইস্যু করেছেন ভারতের ফরেনার্স রিজিয়নাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার কিংবা ফরেনার্স রেজিস্ট্রেশন অফিসার।
    • জনগণনার সময় ভারতে যে স্লিপ দেওয়া হয়েছিল।
    • সরকারের ইস্যু করা কোনও লাইসেন্স বা সার্টিফিকেট বা পারমিট (ড্রাইভিং লাইসেন্স, আধার কার্ড ইত্যাদি)।
    • আবেদনকারীর ভারতীয় রেশন কার্ড।
    • অফিসিয়াল স্ট্যাম্প-সহ কোনও চিঠি যা ভারত সরকার কিংবা আদালত আবেদনকারীকে দিয়েছে।
    • আবেদনকারীর ভারতে জন্মের শংসাপত্র।
    • ভারতে আবেদনকারীর নামে থাকা জমি বা ভাড়ায় থাকলে তার রেকর্ড।
    • তারিখ-সহ প্যানকার্ড ইস্যুর নথি।
    • অন্য কোনও নথি, যা কেন্দ্রীয় সরকার কিংবা রাজ্য সরকারের দেওয়া।
    • কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকার বা ব্যাঙ্ক কিংবা অন্য কোনও পাবলিক অথরিটির দেওয়া নথি।
    • গ্রাম কিংবা শহরের কোনও নির্বাচিত সদস্য বা রেভিনিউ অফিসারের দেওয়া সার্টিফিকেট।
    • আবেদনকারীর নামে ব্যাঙ্ক কিংবা পোস্ট অফিসের রেকর্ড এবং অ্যাকাউন্টের ডিটেইলস।
    • আবেদনকারীর নামে ভারতে থাকা কোনও ইন্স্যুরেন্স পলিসির নথি।
    • আবেদনকারীর নামে বিদ্যুৎ সংযোগের কাগজ কিংবা বিদ্যুতের বিল।
    • আবেদনকারীর কোর্ট কিংবা ট্রাইব্যুনাল রেকর্ডের নথি।
    • আবেদনকারী চাকরি করলে তার নথি বা প্রভিডেন্ট ফান্ড বা জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পেনশনের কাগজ।
    • স্টেট ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশনের নথি।
    • আবেদনকারীর ভারতীয় কোনও স্কুল পরিত্যাগের নথি।
    • ভারতের কোনও স্কুল বা কলেজ বা বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারি কোনও প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট।
    • আবেদনকারীর মিউনিসিপ্যালিটি ট্রেড লাইসেন্স।
    • বিয়ের শংসাপত্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • CAA: “আমরাও এখন ভারতীয়”, সিএএ কার্যকর হওয়ার পর বললেন পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দুরা

    CAA: “আমরাও এখন ভারতীয়”, সিএএ কার্যকর হওয়ার পর বললেন পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে দেশজুড়ে কার্যকর হল সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA)। শরণার্থীদের একটা বড় অংশ মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। সিএএ বা নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন পাশ হওয়ায় উচ্ছ্বসিত পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু উদ্বাস্তুরা। দিল্লি, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এমনকী বাংলাতেও এই আইন (Citizen Amendment Act) কার্যকর হওয়ায় খুশিতে মেতে ওঠে বহু শরণার্থী পরিবার। জয়পুরের রাস্তায় বাজি ফাটাতে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্লোগানও দিতে দেখা যায় শরনার্থীদের।

    কী বলছেন পাক-হিন্দু শরণার্থীরা

    দিল্লিতে যে পাকিস্তানি হিন্দু উদ্বাস্তু সম্প্রদায় রয়েছে, তাদের নেতা ধরমবীর সোলাঙ্কি বলেন, “এই আইন কার্যকর হলে আমাদের সম্প্রদায়ের প্রায় ৫০০ জন ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। আমি এবং আমার পরিবার এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই সময়ের অপেক্ষায় ছিলাম। অবশেষে আমাদের ভারতীয় নাগরিক বলা হবে। আমরা সবাই এতে খুব খুশি। আজ মনে হচ্ছে, ভাগ্যিস ২০১৩ সালে আমি স্বদেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। মনে হচ্ছে আমাদের কাঁধ থেকে একটা বিশাল বোঝা তুলে নেওয়া হয়েছে।” সোমবার দেশজুড়ে সিএএ (CAA) আইন কার্যকর হওয়ার খবর শুনে খুশিতে মেতে ওঠে ওই সমস্ত পরিবার। সিএএ কার্যকর করার জন্য অল ইন্ডিয়া মতুয়া সমাজের তরফে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। বাংলায় এই আইনকে স্বাগত জানাতে  ঢাক-ঢোল নিয়ে পথে নামেন সাধারণ মানুষ।

    আরও পড়ুন: হিন্দু বাঙালির দ্বিতীয় স্বাধীনতা, দেশজুড়ে কার্যকর হয়ে গেল সিএএ

    সিএএ (CAA) কী?

    ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতের তিনি মুসলিম প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের জন্য এ দেশে আসা সেদেশের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ওই দেশগুলি থেকে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি সিএএ-তে (CAA) উল্লেখ করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, ভিসা বা পাসপোর্টের মতো নথি না থাকলেও ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: চালু সিএএ, ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে হলে কী করবেন জানেন?

    CAA: চালু সিএএ, ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে হলে কী করবেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইন (CAA) পাশ হয়েছিল বছর চারেক আগে। কার্যকর হল ১১ মার্চ, ২০২৪, সোমবার। এদিন থেকেই দেশজুড়ে চালু হয়ে গেল সিএএ আইন। এই আইনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের জন্য এ দেশে আসা শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ওই দেশগুলি থেকে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই ছয় ধর্মের মানুষ ছাড়া অন্য কোনও দেশ থেকে আসা অন্য কোনও ধর্মের শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না।

    কীভাবে আবেদন করবেন?

    প্রশ্ন হল, সিএএর (CAA) জন্য কীভাবে আবেদন করবেন? indiancitizenshiponline.nic.in এই ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, যাঁরা আবেদন করতে চান, তাঁদের জন্য রয়েছে পৃথক ফর্ম। বিভিন্ন ফর্মের জন্য নানা নথির প্রয়োজন হবে। এগুলি হল, বৈধ বিদেশি পাসপোর্ট, বাসস্থানের অনুমতিপত্র, বাবা-মায়ের জন্ম শংসাপত্র অথবা তাঁদের ভারতীয় পাসপোর্ট, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় জমা করা ৫০০ টাকার একটি ব্যাঙ্ক চালান, আবেদনকারীর স্বামী বা স্ত্রীর ভারতীয় পাসপোর্ট বা জন্মের শংসাপত্র, বিয়ের শংসাপত্র, ভারতে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশনের সার্টিফিকেট থাকতে হবে (যাঁরা অন্য দেশ থেকে আসবেন), ভারতে ব্যবহৃত যে কোনও একটি ভাষা সম্পর্কে কতটা জ্ঞান রয়েছে, তার প্রমাণ হিসেবে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শংসাপত্র থাকতে হবে অথবা আবেদনকারীর জেলায় বসবাসকারী দুজনকে মান্যতা দিতে হবে। আবেদনকারীর চরিত্র সম্পর্কেও দুজনকে দিতে হবে শংসাপত্র। অনলাইন ছাড়াও ফর্ম ফিল-আপ করে জমা দেওয়া যাবে ডিএম বা ডিসি অফিসে গিয়ে।

    ভারতীয় নাগরিক কারা?

    মনে রাখতে হবে, ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে ১৯৮৭ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত যাঁদের জন্ম হয়েছে, তাঁরা জন্মসূত্রেই ভারতীয়। এর পর থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে যাঁরা জন্মগ্রহণ করেছেন, তাঁদের জন্মের সময় বাবা-মায়ের ভারতীয় নাগরিকত্ব থাকলে তবেই তাঁরা ভারতীয় নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত হবেন। এর পর যাঁরা জন্ম গ্রহণ করেছেন, হয় তাঁর বাবা-মাকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে কিংবা দুজনের মধ্যে যে কোনও একজন ভারতীয় ও অন্যজন অনুপ্রবেশকারী নন (CAA)।

    আরও পড়ুুন: সিএএ কার্যকর হতেই ঠাকুরনগরে ঢাক-ঢোল নিয়ে উচ্ছ্বাস হিন্দু শরণার্থীদের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir Ayodhya: প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনই রাম মন্দিরের সাইটে হানা দিয়েছিল চিনা-পাক হ্যাকাররা! তারপর?

    Ram Mandir Ayodhya: প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনই রাম মন্দিরের সাইটে হানা দিয়েছিল চিনা-পাক হ্যাকাররা! তারপর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয়েছে রাম মন্দিরের (Ram Mandir Ayodhya)। লাখ-লাখ ভক্তের পা পড়ছে পবিত্র তীর্থভূমিতে। এরই মাঝে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। রাম মন্দিরের ঠিক প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনই পাকিস্তান এবং চিন থেকে একাধিকবার চেষ্টা করা হয় রাম মন্দির সমেত কতকগুলি ওয়েবসাইটকে হ্যাক করার। যদিও ভারতের সাইবার বিশেষজ্ঞদের দক্ষতায় তা প্রতিহত হয়।

    কোন কোন ওয়েবসাইটকে হ্যাক করার চেষ্টা করা হয়েছিল?

    প্রসঙ্গত, রাম মন্দিরের (Ram Mandir Ayodhya) উদ্বোধন ঘিরে অযোধ্যাকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। সে সময়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানতেন, হ্যাক করার চেষ্টা হতে পারে রাম মন্দিরসমেত বেশ কিছু ওয়েবসাইটকে। অযোধ্যার ওই মেগা ইভেন্টের বিভিন্ন খবর সম্প্রচার ইন্টারনেটের মাধ্যমেই করা হচ্ছিল বিশ্বব্যাপী। তাই সেই মতোই ব্যবস্থা নিয়েছিলেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। জানা গিয়েছে, অজস্রবার চিন এবং পাকিস্তানের সাইবার অপরাধী এবং হ্যাকাররা চেষ্টা করেছে ওয়েবসাইটগুলিকে হ্যাক করার। হ্যাক করার চেষ্টা করা হয় রাম মন্দির (Ram Mandir Ayodhya)  সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট। যেমন ‘রাম মন্দির’, ‘ইউপি ট্যুরিজম’, ‘ইউপি পুলিশ’, ‘প্রসার ভারতী’ এগুলিকে লক্ষ্য বানানো হয়। এই ওয়েবসাইটগুলিতে সাইবার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল ‘টেলিকম সিকিউরিটি অপারেশন সেন্টার’ বা সংক্ষেপে ‘টিএসওসি’।

    কেন রাম মন্দির (Ram Mandir Ayodhya) ওয়েবসাইট হ্যাকের এই প্রচেষ্টা? 

    জানা গিয়েছে, রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময় প্রায় ২৬০টি ওয়েবসাইটে কড়া নজরদারি চালানো হয়েছিল। এরই মধ্যে দেখা যায় ১৪০টি ওয়েবসাইটকে লক্ষ্য বানানো হয়েছে। এক সাইবার বিশেষজ্ঞের কথায়, এই সময়ে ১ হাজার ২৪৪টি আইপি-অ্যাড্রেসকে ব্লক করা হয়েছে। যার মধ্যে বাইরের দেশগুলিরও কিছু আইপি অ্যাড্রেস ছিল। কিন্তু কেন এই ওয়েবসাইটগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হল? বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই প্ল্যাটফর্মগুলিকে হ্যাক করার মাধ্যমে সাইবার অপরাধীরা দেশে রাজনৈতিক অন্তর্ঘাত চালানোর চেষ্টা করেছিল। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে সারা দেশকে অশান্ত করারও চেষ্টা করেছিল হ্যাকাররা। সাইবার হামলার এমন পরিকল্পনা দেখেই বোঝা যায় যে রাম মন্দিরের (Ram Mandir Ayodhya) প্রাণ প্রতিষ্ঠা ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Modi In Kashmir: ‘মোদির সভায় যাবেন না’, বিদেশ থেকে হুমকি-ফোন কাশ্মীরবাসীকে

    Modi In Kashmir: ‘মোদির সভায় যাবেন না’, বিদেশ থেকে হুমকি-ফোন কাশ্মীরবাসীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মোদির সভায় যাবেন না।’ ঠিক এই ভাষায়ই হুমকি দেওয়া হচ্ছে কাশ্মীরবাসীকে। আন্তর্জাতিক একাধিক নম্বর থেকে কল করে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। পাঁচ বছর পরে আজ, বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরে পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi In Kashmir)। শ্রীনগরের বকসি স্টেডিয়ামে জনসভা করবেন তিনি। দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। তাই শ্রীনগরের জনসভায় তিনি কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে উপত্যকাবাসী।

    উপত্যকায় প্রধানমন্ত্রী

    ভূস্বর্গে রদ হয়েছে ৩৭০ ধারা। তার পর এই প্রথম জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। সভা হওয়ার কথা ছিল শ্রীনগরের কনভেনশন সেন্টার হলে। পরে ঠিক হয়, জনসভা হবে শ্রীনগর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বকসি স্টেডিয়ামে। প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভায়ই যোগ না দিতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে উপত্যকাবাসীকে।

    নেপথ্যে আইএসআই!

    জানা গিয়েছে, এই হুমকি ফোনের নেপথ্যে রয়েছে (Modi In Kashmir) পাকিস্তানের আইএসআই। তারাই বিভিন্ন ল্যান্ডলাইন ও মোবাইল ফোন থেকে হুমকি দিচ্ছে কাশ্মীরের বাসিন্দাদের। হুমকি ফোনে প্রধানমন্ত্রীর সভায় যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। গেলে যে ফল ভালো হবে না, তাও শুনিয়ে দিচ্ছে ফোনের অন্য প্রান্তে থাকা মানুষ। সভায় গেলে তাঁদের পরিবারের ক্ষতি করার হুমকিও দিচ্ছে জঙ্গিরা। উপত্যকাবাসীকে এই হুমকি ফোন সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা।

    বকসি স্টেডিয়ামে ‘বিকশিত ভারত, বিকশিত জম্মু-কাশ্মীর’ শীর্ষক সভায় বক্তৃতা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের। এক হাজার কর্মপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্রও তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এই সভাই বয়কট করতে হুমকি ফোন করছে দুর্বৃত্তরা।

    আরও পড়ুুন: “বাংলার অরাজক পরিস্থিতি ঘোচানোর চেষ্টা করব”, পদ্ম-পতাকা নিয়ে বললেন তাপস

    বিজেপি নেতা ফৈয়জ আহমেদ বলেন, “স্থানীয়রা যে এমনতর ফোনকল পাচ্ছেন, তা আমি জানি। দলীয় কর্মীরাও আমায় জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের লোকজনকেও আন্তর্জাতিক নম্বর থেকে ফোন করা হচ্ছে যাতে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর (Modi In Kashmir) সভায় না যান।” তিনি বলেন, “আমি আপনাদের বলতে চাই, শত্রু পক্ষ ক্ষেপে গিয়েছে। তারা সংসার চালাতে পারছে না, পরিবারের সদস্যদের জেলে পাঠাচ্ছে। পরিবারকে তারা খাবার এবং শিক্ষাও দিতে ব্যর্থ। হতাশায় ডুবে যাচ্ছে তারা। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের যে চোখ ধাঁধানো উন্নয়ন হচ্ছে, তা মেনে নিতে পারছে না তারা। তাই দিচ্ছে হুমকি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Shehbaz Sharif: হার ইমরানের দলের প্রার্থীর,পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ

    Shehbaz Sharif: হার ইমরানের দলের প্রার্থীর,পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি যে দ্বিতীয়বারের জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন, তা এক প্রকার নিশ্চিত ছিল। রবিবার হলও তা-ই। পাকিস্তানের পার্লামেন্টের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) পক্ষে পড়ল ২০১টি ভোট। স্বাভাবিকভাবেই তিনি হলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

    পাক পার্লামেন্টে অধিবেশন

    রবিবার পাক পার্লামেন্টে বসেছিল অধিবেশন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজেদের পছন্দের কথা জানান সাংসদরা। এদিন শাহবাজের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের নেতা ওমর আইয়ুব। পাকিস্তানের রাজনীতিতে তিনি একটি উল্লেখযোগ্য নাম। ইমরান পিটিআই গড়ার পরেই তাঁর দলে নাম লেখান আয়ুব। পিটিআই যখন সরকার গড়েছিল, তখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন আয়ুব। এহেন আয়ুব হেরে গেলেন (Shehbaz Sharif) রবিবার, প্রধানমন্ত্রী পদে লড়তে গিয়ে। ভোটাভুটি হলে মাত্র ৯২টি ভোট পান তিনি। পাকিস্তানের সংসদে আসন সংখ্যা ৩৩৬টি। প্রধানমন্ত্রী হতে গেলে অন্তত ১৬৯টি ভোট পেতেই হয়। শাহবাজ পেয়েছেন তার চেয়েও ঢের বেশি ভোট। তাই প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন (Shehbaz Sharif) তিনিই।

    ইমরানের দলের অভিযোগ

    পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল ইমরানের দল। যেহেতু কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি, তাই কারা সরকার গড়বে, তা নিয়ে দড়ি টানাটানি শুরু হয়। পরে জট কাটে পিপিপি পাশে দাঁড়ানোয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ফল ঘোষণা হয় পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের। দেখা যায়, পিএমএল-এন জিতেছে ৭৫টি আসন, পিপিপি পেয়েছে ৫৪টি আসন। ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা জিতেছিলেন ৯৩টি আসনে। কোনও একটি রাজনৈতিক দলই সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পাওয়ায় হ্যাং-পার্লামেন্ট হয়। সমস্যা মেটাতে পিএমএল-এন এবং পিপিপি সরকার গড়ার উদ্যোগ নেয়। তাদের সমর্থন করে দেশের অন্য কয়েকটি রাজনৈতিক দল।

    আরও পড়ুুন: নদিয়ায় দুর্ঘটনার কবলে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতির কনভয়, তদন্তের দাবি জানালেন সুকান্ত

    শাহবাজ শরিফ হতে চলেছেন পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী। তিনি পিএলএমএনএর নেতা নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই। শাহবাজ বিয়ে করেছেন পাঁচ বার। ডিভোর্সের ঘটনা ঘটেছে তিন বার। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে সরকার ফেলার চেষ্টা করেন। বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনে। সেই অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা হারায় ইমরানের দল পিটিআই। তারপর শাহবাজের নেতৃত্বেই সরকার গড়েন বিরোধীরা (Shehbaz Sharif)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share