Tag: pakistan

pakistan

  • Siraj Mohammed Khan: “মুসলমান হওয়ায় ভারতে কখনও অপমানিত হইনি”, অকপট পাকিস্তানির ভারতীয় স্ত্রী

    Siraj Mohammed Khan: “মুসলমান হওয়ায় ভারতে কখনও অপমানিত হইনি”, অকপট পাকিস্তানির ভারতীয় স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মুসলমান হওয়ার জন্য ভারতে কোনও দিন অপমানিত হয়নি।” অকপটে কথাগুলো বললেন সিরাজ মহম্মদ খানের (Siraj Mohammed Khan) স্ত্রী। বাইশ বছর ধরে ভারতে রয়েছেন সিরাজ (Pakistan)। স্বদেশে তাঁকে ‘কাফের’ (বিধর্মী) বলে দেগে দেওয়া হয়েছে। ভারতে দিব্যি ছিলেন তিনি।

    ভুল করে ভারতে আসা (Siraj Mohammed Khan)

    সিরাজের বয়স ৩৮। ছোটবেলায় ভুল করে ভারতে ঢুকে পড়েন তিনি। দিল্লিগামী সমঝোতা এক্সপ্রেসে করে ১৯৯৬ সালে ভারতে চলে আসেন। খাইবার পাখতুনখাওয়া অঞ্চলের বাসিন্দা সিরাজ করাচি দেখবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। ভুল করে চড়ে পড়েন ভারতগামী ট্রেনে। তার পর থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সিরাজ ঘুরে বেড়িয়েছেন দিল্লি, মুম্বই এবং আমেদাবাদ। জীবনের ২২টা বছর সিরাজ কাটিয়েছেন মুম্বইয়ে। বিয়ে করেছেন এক ভারতীয়কে। স্ত্রীর নাম সাজিদা। তার পর ভারতকে ভালোবেসে ‘ভারতীয়’ই হয়ে গিয়েছেন সিরাজ।

    পাকিস্তানে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা

    স্বদেশে ফিরে তাঁর আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলে ভেবেছিলেন সিরাজ। গিয়েওছিলেন ২০১৮ সালে। সেখানে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। তিনদিন লাগাতার জেরা করার পর সিরাজকে মনসেরায় তাঁর আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে যেতে দেওয়া হয়। সিরাজ জানান, আত্মীয়-স্বজন তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করেন। তাঁকে কাফের, হিন্দু মায় ভারতীয় চরের তকমাও দেন তাঁর আত্মীয়-স্বজন। পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ নিতে এসেছেন বলে অভিযোগ করতে শুরু করেন সিরাজের (Siraj Mohammed Khan) নিজের ভাই।

    আরও পড়ুন: ভয়েই মৃত্যু নাসরাল্লার! ইজরায়েলি হানায় নিহত হিজবুল্লা প্রধানের দেহ উদ্ধার

    ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন সিরাজের স্ত্রী। ভারতীয় বলে সিরাজের বাড়ির লোক তাঁদের বাসনকোসন ব্যবহার করতে দেননি তাঁদের। সিরাজ যাতে তাঁকে তালাক দেন, সেজন্য ব্রেনওয়াশও করা হতে থাকে। সাজিদা বলেন, “ওঁরা আমার গায়ের রং নিয়েও কটূক্তি করেন।” তিনি বলেন, “আমাদের বলা হয় মুসলমানদের জন্য নিরাপদ নয় ভারত। তবে পাকিস্তানে নিজের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে যে ঘৃণা আমরা পেয়েছি, ভারতে তা কল্পনাও করতে পারিনি।” ভারতীয় হওয়ায় সিরাজের ছেলেমেয়েদের সে দেশের স্কুলে ভর্তি নেওয়া হয়নি। স্ত্রী, ছেলেমেয়েদের নিয়ে ভারতেই ফিরতে চান সিরাজ। কিন্তু সেজন্য মোটা টাকা ঘুষ চাওয়া হয়েছে। অগত্যা পাকিস্তানেই (Pakistan) কষ্টে দিন কাটছে ভারতীয় সিরাজের (Siraj Mohammed Khan)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rajnath Singh: “সুসম্পর্ক রাখলে আইএমএফের চেয়েও বেশি সাহায্য পেত পাকিস্তান”, বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: “সুসম্পর্ক রাখলে আইএমএফের চেয়েও বেশি সাহায্য পেত পাকিস্তান”, বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নয়াদিল্লির সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখলে পাকিস্তান (Pakistan) আইএমএফের চেয়ে ঢের বেশি সাহায্য পেত।” রবিবার কথাগুলি বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, “আমি আমার পাকিস্তানি বন্ধুদের বলতে চাই, কেন সম্পর্ক স্বাভাবিক করছেন না? আমরা তো প্রতিবেশী।” এর পরেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “যদি আমাদের মধ্যে সুস্পর্ক বজায় থাকত, আমরা আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডারের চেয়ে অনেক বেশি অর্থ দিতাম।”

    কী বললেন রাজনাথ (Rajnath Singh)

    এদিন রাজনাথ বান্দিপোরা জেলার গুরেজ বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখছিলেন। তিনি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নে সরকার উৎসর্গীকৃত।” তিনি জানান, ২০১৪-২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৯০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই প্রতিশ্রুতিগুলি স্পষ্টতই আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তার ওপর পাক-নির্ভরতার উল্টো পিঠ।”

    আরও পড়ুন: “বিশ্বকে আর সন্ত্রস্ত্র করতে পারবে না”, নাসরাল্লাহকে খতম করে দাবি ইজরায়েলের

    পাকিস্তানকে পরামর্শ রাজনাথের

    এদিন রাজনাথের ভাষণে প্রত্যাশিতভাবেই উঠে আসে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর নাম। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “আমরা বন্ধু পরিবর্তন করতে পারি, কিন্তু আমরা কখনওই আমাদের প্রতিবেশী বদলাতে পারি না।” ভারতের সঙ্গে তলানিতে ঠেকে যাওয়া সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করার পরামর্শও দেন রাজনাথ। ভারতের সঙ্গে হারানো সম্পর্ক ফিরে পাওয়া যায় কিনা, পাকিস্তানকে তা-ও ভাবনা চিন্তা করার কথা বলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নের জন্য আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে।” উপত্যকাটি আবার পৃথিবীর স্বর্গ হয়ে উঠতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    রাজনাথ বলেন, “এটা বাজপেয়ীজির ইনসানিয়াত, জামহুরিয়াত ও কাশ্মীরিয়াত পুনঃপ্রতিষ্ঠার দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh) বলেন, “সন্ত্রাসবাদকে ভারতের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মঞ্চে এক ঘরে হয়ে গিয়েছে। তাদের ঐতিহ্যবাহী মিত্ররাও দূরত্ব বজায় রাখছে।” তিনি বলেন, “যখনই আমরা সন্ত্রাসবাদের তদন্ত করেছি, আমরা পাকিস্তানের যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছি।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, “পাকিস্তানের কেউ যদি ভারতের ওপর আক্রমণ করে, তাহলে আমরা সীমান্ত (Pakistan) পেরিয়ে গিয়ে তার জবাব দিতে পারি (Rajnath Singh)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “ওরা মৌলবাদ দিয়ে জিডিপি মাপে”, এবার পাকিস্তানকে তোপ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “ওরা মৌলবাদ দিয়ে জিডিপি মাপে”, এবার পাকিস্তানকে তোপ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওরা মৌলবাদ দিয়ে জিডিপি মাপে!” বিশ্বমঞ্চে এই ভাষায়ই পাকিস্তানকে (Pakistan) তোপ দাগলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শনিবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৭৯তম অধিবেশনে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। সেখানেই জয়শঙ্কর বলেন, “পাকিস্তান তার কর্মের জন্যই ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে বিশ্বের তালিকায়।”

    পাকিস্তানকে নিশানা করেছিলেন ভাবিকাও (S Jaishankar)

    শুক্রবারই রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি ভাবিকা মঙ্গলনন্দন নিশানা করেছিলেন পাকিস্তানকে। বিশ্বমঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, “আমরা এমন এক দেশকে নিয়ে কথা বলছি, যে দেশটা সেনা চালায়। সন্ত্রাসের জন্য দেশটা সারা বিশ্বে পরিচিত। এমন দেশ যেখানে ওসামা বিন লাদেন আশ্রয় নিয়েছিল। এমন এক দেশ যার আঙুলের ছাপ বিশ্বের সব জঙ্গি হামলায় রয়েছে।”

    জয়শঙ্করের তোপ 

    এর ঠিক পরের দিনই ফের পাকিস্তানকে নিশানা করলেন জয়শঙ্কর। বলেন, “দুঃখজনকভাবে ওদের খারাপ কাজের ফল অন্যদেরও প্রভাবিত করে। বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলোকে। যখন রাজনীতি জনগণের মধ্যে ধর্মান্ধতা জাগিয়ে তোলে, তখন দেশের জিডিপি শুধুমাত্র মৌলবাদের পরিপ্রেক্ষিতে ও সন্ত্রাসবাদের আকারে এর রফতানির ভিত্তিতেই পরিমাপ করা হয়।” তিনি বলেন, “বহু দেশ পিছিয়ে পড়ে এমন কিছু পরিস্থিতির জন্য, যা তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। কিন্তু আবার নিজেদের ভেবেচিন্তে নেওয়া সিদ্ধান্তের কারণেও পিছিয়ে পড়ে অনেক দেশ। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল পাকিস্তান।” জয়শঙ্কর বলেন, “পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অন্য কাউকে দোষ দেওয়া উচিত নয়। বরং এটা তার কর্মের ফল।” তিনি (S Jaishankar) বলেন, “যে দেশ অন্যের জমি দখল করার চেষ্টা করে, তাদের মুখোশ খুলে দেওয়া ও পাল্টা জবাব দেওয়া জরুরি।”

    আরও পড়ুন: ফের অশান্ত মণিপুর, জিরিবামে কুকি-মেইতেই সংঘর্ষে চলল গুলি, হতাহতের খবর নেই

    রাষ্ট্রসংঘের এই মঞ্চেই পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে প্যালেস্তাইনের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “আমি ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিতে চাই। পাকিস্তানের এই সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাসবাদ পরিচালনের নীতি কখনওই সফল হবে না। ওরা এর দায়ও এড়াতে পারে না। কর্মের ফল ওদের (Pakistan) ভুগতেই হবে (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bhavika Mangalanandan: “এত ঔদ্ধত্য”! রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিলেন ভাবিকা মঙ্গলানন্দন

    Bhavika Mangalanandan: “এত ঔদ্ধত্য”! রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিলেন ভাবিকা মঙ্গলানন্দন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসের জন্য পরিচিত পাকিস্তানের এত ঔদ্ধত্য!” রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে কথাগুলি বললেন ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি ভাবিকা মঙ্গলানন্দন। তিনি বলেন, “যে দেশের সন্ত্রাসবাদের কথা তামাম বিশ্ব জানে, তারা ভারতের মতো দেশের বৃহত্তম গণতন্ত্রকে আক্রমণ করে কীভাবে?” সন্ত্রাস বাড়ালে তার ফল ভুগতে হবে বলেও এদিন ফের একবার পাকিস্তানকে (Shahbaz Sharif) হমকি দিয়েছে ভারত।

    পাকিস্তানকে ধুয়ে দিল ভারত (Bhavika mangalanandan)

    রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উঠতেই পাকিস্তানকে একেবারে ধুয়ে দিল নয়াদিল্লি। প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি ভারতের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কার্যত, তার পরেই পাকিস্তানকে আক্রমণ শানান ভাবিকা (Bhavika mangalanandan)। ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেয়। সে প্রসঙ্গও তোলেন শরিফ। তার পরেই পাকিস্তানকে চাঁদমারি করেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের প্রতিনিধি। ভাবিকা বলেন, “যে দেশটি সেনার দ্বারা পরিচালিত হয় এবং যে যাদের সন্ত্রাসবাদের কথা সবারই, সে দেশের ঔদ্ধত্য সবারই জানা।”

    কী বললেন ভাবিকা

    এর পরেই ভাবিকা বলেন, “ওদের এত ঔদ্ধত্য যে ভারতের মতো বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক একটা দেশকে আক্রমণ করে!” তিনি বলেন, “পাকিস্তানের চেহারাটা যে ঠিক কেমন, তা সবারই জানা।” এ প্রসঙ্গে তিনি ২০০১ সালের সংসদে হানা এবং ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার প্রসঙ্গ টানেন। ভাবিকা বলেন, স্মৃতি এখনও আমাদের মলিন হয়নি।” ভারতীয় এই কূটনীতিক বলেন, “পাক প্রধানমন্ত্রীর কথা যে ফাঁকা আওয়াজ, তা সকলেরই জানা। সত্যি কথার জবাব দিতে পাকিস্তান বারবার মিথ্যা কথা বলে। মনে রাখতে হবে, আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট।”

    আরও পড়ুন: ‘গান পয়েন্টে ধর্ষণ আইএএসের স্ত্রীকে’! পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের, রাজ্যকে আক্রমণ মালব্যর

    তিনি বলেন, “পাকিস্তান হল সেই দেশ, যারা গোটা বিশ্বের ত্রাস ওসামা বিন লাদেনকে বছরের পর বছর ধরে আশ্রয় দিয়েছিল। একাত্তরের যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে ভাবিকা বলেন, “১৯৭১ সালে পাকিস্তান যেভাবে দেশের পূর্বপ্রান্তে সংখ্যালঘুদের নিকেশ করার চেষ্টা করেছিল, এখনও সেভাবেই করে চলেছে। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চলছে আজও।” তাঁর প্রশ্ন, “এমন একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক মঞ্চে (Shahbaz Sharif) দাঁড়িয়ে ভারতের দিকে আঙুল তোলেন কোন সাহসে (Bhavika mangalanandan)?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
  • Yogi Adityanath: ‘‘বিধানসভা ভোট মিটলেই পাক-অধিকৃত কাশ্মীরও যুক্ত হবে ভারতের সঙ্গে’’, বড় দাবি যোগীর

    Yogi Adityanath: ‘‘বিধানসভা ভোট মিটলেই পাক-অধিকৃত কাশ্মীরও যুক্ত হবে ভারতের সঙ্গে’’, বড় দাবি যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন (Jammu Kashmir Assembly Election 2024) শেষ হলেই ভারত সরকার পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দাদের জন্য লড়াই শুরু করবে। তাদেরও ভারতের অংশ হিসেবে নিয়ে আসা হবে।  এমনই দাবি করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। বৃহস্পতিবার জম্মুর আরএস পুরা এলাকায় বিজেপির নির্বাচনী সভায় তিনি বলেন, ‘‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর আদতে জম্মু ও কাশ্মীরেরই অংশ। এই বিধানসভার ভোট শেষ হলে পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে আবার জম্মু ও কাশ্মীরের অংশ করে তোলা হবে।’’

    যোগীর অভিমত

    নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়ে যোগী (Yogi Adityanath) বলেন, ‘‘পাকিস্তান এখন ভিখারিতে পরিণত হয়েছে। তারা নিজেরদেরই সামলাতে পারছে না, অধিকৃত কাশ্মীর কী করে সামলাবে? পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারাই এখন পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আন্দোলন করছেন।’’ ঘটনাচক্রে, গত মে মাসের গোড়া থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজফ্‌ফরাবাদ-সহ সামাহনি, সেহানসা, মিরপুর, রাওয়ালকোট, হাত্তিয়ান বালা, খুইরাট্টা, তত্তাপানির মতো এলাকায় ইসলামাবাদ-বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। রাজস্ব, মূল্যবৃদ্ধি এবং বিদ্যুৎ সংকটের কারণে ক্ষুব্ধ পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। 

    ভালো নেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর

    লোকসভা ভোটের প্রচারে বিজেপি নেতা তথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী (Yogi Adityanath) বলেছিলেন, “আমরা আমাদের শত্রুর পুজো করব না। যদি কেউ আমাদের মানুষদের হত্যা করে, আমরা তাদের পুজো করব না। তাদের যোগ্য জবাব দেব। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরকে রক্ষা করা পাকিস্তানের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হলে, ছয় মাসের মধ্যে পিওকে ভারতের অংশ হয়ে যাবে।” সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বিক্ষোভ চলছে। অভিযোগ, ওই অঞ্চলে উৎপন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে পাকিস্তানের অন্যান্য শহরে। অথচ অন্ধকারে দিন কাটছে ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদর। এর প্রতিবাদে পথে নেমেছেন অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। খোলাখুলি পাকিস্তান বিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা। পাক পুলিশ ও আধাসেনার গুলিতে ইতিমধ্যেই বহু বিক্ষোভকারী হতাহতও হয়েছেন। পাকিস্তানের শাসন থেকে মুক্ত হওয়াই ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের লক্ষ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ভারতের কোনও অংশকে পাকিস্তান বলা যাবে না, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ভারতের কোনও অংশকে পাকিস্তান বলা যাবে না, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের কোনও অংশকে, কেউ পাকিস্তান বলে উল্লেখ করতে পারবেন না, সাফ জানালেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। বুধবারই একটি মামলার শুনানিতে বুধবার এই মন্তব্য করে দেশের শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘দেশের কোনও অংশকে, কেউ পাকিস্তান বলতে পারেন না। এমন মন্তব্য দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতার পরিপন্থী। আদালতে যা কিছু ঘটে, তা কিছুই গোপন রাখা উচিত নয়।’’

    বিতর্ক শুরু কীভাবে?

    বিতর্ক শুরু কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারপতি বেগব্যাসাচর শ্রীষনন্দার একটি মন্তব্য ঘিরে। পরে সেই বিতর্কের জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। এনিয়েই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিল এদিন সুপ্রিম কোর্ট। জানা গিয়েছে, কর্নাটকের একটি মামলা ছিল বাড়ির মালিক এবং ভাড়াটের বিবাদ সংক্রান্ত। এই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি শ্রীষনন্দা বেঙ্গালুরুর সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাকে পাকিস্তান বলে উল্লেখ করেন। শুধু তাই নয়, এক মহিলা আইনজীবীকে নিশানা করে তিনি নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। এনিয়ে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়। এর পরে প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়ে নেন ওই বিচারপতি। কিন্তু পরবর্তীকালে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছায়।

    আদালতে বিচারপতিরা কী ধরনের মন্তব্য করতে পারেন, তা নিয়ে নির্দেশিকা তৈরির কথাও বলে শীর্ষ আদালত

    এদিনই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ কর্নাটক হাইকোর্টের ওই বিচারপতির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়াও বন্ধ করে দিয়েছে। এনিয়ে প্রধান বিচারপতি (DY Chandrachud) জানিয়েছেন, বিচার ব্যবস্থার স্বার্থে ও মর্যাদার প্রশ্নেই এমন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কর্নাটকের ওই মামলার শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি এস খন্না, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি এস কান্ত এবং বিচারপতি এইচ রায়কে নিয়ে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ গঠিত হয়। এদিন আদালতে বিচারপতিরা কী ধরনের মন্তব্য করতে পারেন, তা নিয়ে নির্দেশিকা তৈরির কথাও বলে শীর্ষ আদালত।

    প্রধান বিচারপতির (Supreme Court) আরও বক্তব্য

    আজ বুধবার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) আরও বলেন, ‘‘হালকা চালে কোনও মন্তব্য করা হলেও, তা কোনও বিশেষ সম্প্রদায় বা লিঙ্গের মানুষের প্রতি ব্যক্তিগত পক্ষপাত ইঙ্গিত করে।  এই ধরনের বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত। বিশেষ সম্প্রদায় বা বিশেষ লিঙ্গের মানুষের প্রতি এমন মন্তব্যে আমরা উদ্বিগ্ন, বিষয়টিকে নেতিবাচক ভাবেই দেখা উচিত।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: সন্ত্রাসবাদে মদত জোগানো বন্ধ করলেই পাকিস্তানের সঙ্গে কথা, বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: সন্ত্রাসবাদে মদত জোগানো বন্ধ করলেই পাকিস্তানের সঙ্গে কথা, বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একমাত্র সন্ত্রাসবাদে মদত জোগানো বন্ধ করলেই পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।” রবিবার কথাগুলি বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। পাকিস্তান-সহ পড়শি দেশগুলির সঙ্গে ভারত যে সুসম্পর্ক বজায় (Jammu Kashmir Polls) রাখতে চায়, এদিন তাও জানিয়ে দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এর পরেই তিনি বলেন, “পাকিস্তান সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বন্ধ করলেই আলাপ-আলোচনা শুরু হতে পারে।”

    রাজনাথের বার্তা (Rajnath Singh)

    পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী, এদিন তা আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। মানবতা, গণতন্ত্র ও কাশ্মীরিয়তের ওপরও ফোকাস করেছিলেন তিনি।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীজি মানবতা, গণতন্ত্র এবং কাশ্মীরিয়তের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তবে এখানকার রাজনৈতিক দলগুলো শুধুমাত্র রাজনীতি, রাজনীতি এবং রাজনীতিতেই গুরুত্ব দিয়েছে।”

    ‘শান্তিতে থাকতে চাই’

    তিনি বলেন, “আমাদের একটা নীতি আছে: যদি আমরা শান্তিতে থাকতে চাই, আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। আমরা আমাদের সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চাই, এমনকি পাকিস্তানের সঙ্গেও।” রাজনাথ (Rajnath Singh) বলেন, “তারা সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করছে। তারা যদি সন্ত্রাসবাদের অবসান ঘটানোর গ্যারান্টি দেয় যে ভারতের মাটিতে তারা আর সন্ত্রাসবাদ চালাবে না, তাহলে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।”

    আরও পড়ুন: আইএমএ-র বৈঠকে ধুন্ধুমার, বের করে দেওয়া হল তিন চিকিৎসককে

    পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফের প্রসঙ্গও তোলেন রাজনাথ। বলেন, “কংগ্রেস ও তার সহযোগী দল ন্যাশনাল কনফারেন্স জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনার পক্ষে। পাকিস্তানও একই জিনিস চায়। প্রশ্ন হল, কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্স কি পাকিস্তানের প্রক্সি হিসেবে কাজ করছে? কেন কংগ্রেস ও ভেঙে পড়া ইন্ডি জোট বারবার সেই একই বিষয়গুলো উত্থাপন করে, যেগুলো পাকিস্তান থেকে আসে?” রাজনাথ বলেন, “এরা সেই লোক যারা পুলওয়ামা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও এয়ার স্ট্রাইকের প্রমাণ চেয়েছিল। এ সবই স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে পাকিস্তানের এজেন্ডা চালানোর চেষ্টা চলছে। তবে পাকিস্তানের (Jammu Kashmir Polls) এই কু-এজেন্ডা জম্মু-কাশ্মীরে সফল হতে দেব না (Rajnath Singh )।”


    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “পাকিস্তান আর কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা একই”, কাটরার সভায় সরব মোদি

    PM Modi: “পাকিস্তান আর কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা একই”, কাটরার সভায় সরব মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্সের নির্বাচনী ইস্তাহার দেখে খুশি পাকিস্তান। কাশ্মীরে পাকিস্তানের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেয় কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্স জোট। কাটরায় নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জম্মু-কাশ্মীরে দাঁড়িয়ে মোদির দাবি, ভারতে কেউ কংগ্রেস ও তার জোটসঙ্গীদের পাত্তা দেয় না। কিন্তু পাকিস্তানে তাদের নিয়ে রীতিমতো ‘বল্লে বল্লে’ শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ পাকিস্তান আর কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা একই।

    পাকিস্তানের আগ্রহ

    ন্যাশনাল কনফারেন্স নিজেদের ইস্তাহারে স্পষ্ট বলেছে রাজ্যে তারা ক্ষমতায় এলে ৩৭০ ধারা ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী পিডিপিও। কংগ্রেস সরাসরি ৩৭০ ধারা ফেরানোর কথা না বললেও এই ইস্যুতে রাহুল গান্ধীরা নীরব। কংগ্রেস অবশ্য কাশ্মীরকে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা নিজেদের ইস্তাহারে জানিয়েছে। একটি সাক্ষাৎকারে সেই ইস্তাহার নিয়ে মুখ খুলেছেন পাক সরকারের বিদেশমন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। তিনি বলেন, সংবিধানের ৩৭০ ধারা এবং ৩৫-এ অনুচ্ছেদ ফেরানো নিয়ে কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোটের সঙ্গে পাকিস্তানের ভাবনা মিলে যায়। পাক বিদেশমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, “ভারতে কেউ কংগ্রেসের জোটকে গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু পাকিস্তানে এই জোটের যথেষ্ট কদর রয়েছে। পাকিস্তানে তাদের নিয়ে রীতিমতো ‘বল্লে বল্লে’ শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ, পাকিস্তান আর কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা একই। আসলে পাকিস্তানের অ্যাজেন্ডাকে কাশ্মীরে বাস্তবায়িত করতে চাইছে কংগ্রেসের জোট।”

    প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন

    এক দশক পরে বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে কাশ্মীরে। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর প্রথমবার। ইতিমধ্যেই প্রথম পর্বের ভোট মিটেছে। প্রথম পর্বে মানুষ বিপুল ভোট দেওয়ায় খুশি প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। তিনি জানান মানুষ গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোট কাশ্মীরকে আবার পিছনের দিকে ঠেলতে চায়। প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, “কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্স জোট বলছে পুরোনো সময় ফেরাবে। আপনারা চান আবার হরতাল হোক? খুন হোক? মেয়েরা অধিকার থেকে বঞ্চিত হোক? স্কুলে আগুন লাগুক? সিনেমা হল বন্ধ হোক? ব্যবসা নষ্ট হোক?”

     কাশ্মীরে এখন ইদ, দিওয়ালি দুই হয়

    কাশ্মীরে (Jammu Kashmir Election) প্রথম দফা নির্বাচনে ভোটারদের ভোটদানে আগ্রহ দেখে মোদি (PM Modi) বলেন,  “কিশতওয়ারে ৮০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে, ডোডায় ৭১ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। এই পরিসংখ্যান বেশ কয়েকটি নির্বাচনী এলাকায় আগের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এর থেকে বোঝা যায়, উপত্যকাবাসী সেই দলগুলোকে প্রত্যাখ্যান করেছে যারা পাথর ছোড়া এবং সন্ত্রাসবাদের প্রতি সহানুভূতিশীল।” প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবারের সভায় বললেন, “আমরা যা বলি, তাই করি। বলেছি যখন রাজ্য বানাবই। আপনারা বিজেপিকে সুযোগ দিন, আমাদের প্রার্থীরা আপনাদের সঙ্গে আছে। আপনারা কেশর, টিউলিপ তৈরি করেন, এবার পদ্ম তৈরি করুন।” প্রধানমন্ত্রীর দাবি, “দিল আর দিল্লির দূরত্ব মেটাচ্ছি। গোটা দুনিয়া দেখছে আর অবাক হচ্ছে। জি-২০ হল, খেলো ইন্ডিয়া হল, আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হল। এটাই তো কাশ্মীর। কাশ্মীরের মানুষ আর পাথর ছোড়ে না। আজ সবার হাতে কলম, বই। কাশ্মীরের যুব প্রজন্ম আর মজবুর নয়, মজবুত হচ্ছে। এখন ইদ, দিওয়ালি দুই-ই হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: “৩৭০ ধারা নিয়ে কংগ্রেস-এনসি জোট একই পৃষ্ঠায়”, পাক মন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক

    Pakistan: “৩৭০ ধারা নিয়ে কংগ্রেস-এনসি জোট একই পৃষ্ঠায়”, পাক মন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা (Article 370) পুনর্বহালের বিষয়ে পাকিস্তান ও সেখানকার কংগ্রেস-এনসি জোট একই পৃষ্ঠায় রয়েছে।” কথাগুলি বলেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তাঁর এই মন্তব্যে দেশজুড়ে উঠেছে প্রতিবাদের ঢেউ।

    অমিত মালব্যের তোপ (Pakistan)

    বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, “সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র পাকিস্তান কাশ্মীর নিয়ে কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের (এনসি) অবস্থানকে সমর্থন করছে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ হামিদ মিরের ক্যাপিটাল টক অনুষ্ঠানে বলেছেন, কাশ্মীরে ৩৭০ এবং ৩৫এ অনুচ্ছেদ পুনর্বহালের বিষয়ে পাকিস্তান ও ন্যাশনাল কনফারেন্স জোট একই পৃষ্ঠায় রয়েছে। কীভাবে পান্নুন থেকে পাকিস্তান পর্যন্ত, রাহুল গান্ধী ও তার কংগ্রেসকে সর্বদা ভারতের স্বার্থের বিরোধী পক্ষের সঙ্গে থাকতে দেখা যায়?”

    পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য

    ক্যাপিটেল টকের অন্য একটি অনুষ্ঠানেও ভূস্বর্গে ৩৭০ ধারা ফেরানো প্রসঙ্গে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, “আমাদের দাবিও একই।” জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষমতায় কংগ্রেস-এনসি জোট ফিরলেই ৩৭০ ধারা পুনর্বহাল হবে (Pakistan) বলেও আশাবাদী পাকিস্তানের এই মন্ত্রী। জিও নিউজের একটি অনুষ্ঠানে তিনি এও বলেছিলেন, “আমি মনে করি এটা (জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরানো) সম্ভব। বর্তমানে এনসি এবং কংগ্রেসের সেখানে খুব বড় গুরুত্ব রয়েছে। উপত্যকার জনসংখ্যাকে এই বিষয়ে অনেকটাই অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। আমি এ-ও বিশ্বাস করি, এনসি-র ক্ষমতায় আসার সুযোগ রয়েছে।” তিনি বলেন, “তারা এটিকে নির্বাচনী ইস্যু করেছে যে জম্মু ও কাশ্মীরের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করা উচিত।”

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অনুরোধ ফেরাল ভারত, মার্কিন মুলুকে হচ্ছে না মোদি-ইউনূস বৈঠক

    প্রসঙ্গত, এর আগে এনসি সুপ্রিমো ফারুক আবদুল্লা ও তাঁর ছেলে তথা জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন। ফারুক বলেছিলেন, “বিজেপি কত বছর সময় নিয়েছিল এটি (৩৭০ ধারা) বাতিল করতে। আল্লাহ চাইলে আমরাও একে (Article 370) পুনরুদ্ধার করব। এটি জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের হৃদস্পন্দন। এর পরেই তিনি বলেছিলেন, ধারা ৩৭০ ও ৩৫ এ পুনরুদ্ধার করা হবে।”

    প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দিন পরে জম্মু-কাশ্মীরে হচ্ছে বিধানসভা নির্বাচন (Pakistan)। ভোট হবে তিন দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হয়েছে ১৮ সেপ্টেম্বর। আর দ্বিতীয় দফার নির্বাচন হবে ২৫ তারিখে। তৃতীয় দফার নির্বাচন হবে ১ অক্টোবর। অক্টোবরের ৮ তারিখে হবে ফল ঘোষণা (Article 370)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Nuclear Treaty: ভারত বিরোধিতা! পাকিস্তানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির আহ্বান ঢাকার অধ্যাপকের

    Bangladesh Nuclear Treaty: ভারত বিরোধিতা! পাকিস্তানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির আহ্বান ঢাকার অধ্যাপকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের অত্যাচার থেকে মুক্তি দিতে এবং স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল ভারত। ৫০ বছর পর সেই ভারতের বিরুদ্ধে গিয়ে এবার পাকিস্তানের সঙ্গেই পরমাণু চুক্তির (Bangladesh Nuclear Treaty) দাবি করলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। বাংলাদেশকে পারমাণবিক সক্ষম করার দাবি তুললেন অধ্যাপক শাহিদুজ্জামান। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ভারত বিরোধিতা এবং জামাত প্রভাবিত ইসলামি গোঁড়ামি দিনে দিনে বাড়ছে পদ্মাপারে। ভারতের সহায়তা ছাড়া যে স্বাধীন বাংলাদেশ সম্ভবই ছিল না, তা ভুলতে বসেছে ঢাকা। তাঁকে এও দাবি করতে শোনা গিয়েছে যে, পাকিস্তান নাকি বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত নিরাপত্তা সহযোগী! বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মূর্তি যারা ভাঙতে পারে তাদের থেকে এর বেশি কিছুই প্রত্যাশা করা যায় না, এমনই অভিমত কূটনীতিকদের। 

    পাকিস্তানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি

    শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে ভারতের প্রতি বিরূপ মনোভাব বাড়ছে এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের দিকে আরও ঝোঁক দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার, সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ নিত্য-ঘটনা। ভারত-বিরোধিতায় কোনও কসুর করছে না জামাতের মতো সংগঠন। এমন পরিস্থিতিতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাহিদুজ্জামান সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে একটি পারমাণবিক চুক্তি (Bangladesh Nuclear Treaty) করার আহ্বান জানালেন। তাঁর মতে, এই চুক্তি ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। অধ্যাপক শাহিদুজ্জামান বলেন, “ভারতের সাধারণ ধারণা পরিবর্তনের জন্য সঠিক উত্তর হবে আমাদের পারমাণবিক সক্ষম হওয়া। পারমাণবিক সক্ষম হওয়া মানে পারমাণবিক শক্তিধর হওয়া নয়, বরং পাকিস্তানের সঙ্গে একটি পারমাণবিক চুক্তিতে প্রবেশ করা।” 

    ভারতকে ঠেকাতে পাক সহায়তা

    শাহিদুজ্জামান আরও বলেন, পাকিস্তানের কারিগরি সহায়তা (Bangladesh Nuclear Treaty) ছাড়া ভারতকে প্রতিহত করা সম্ভব নয়। তাঁর কথায়, “পাকিস্তান সবসময়ই বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত নিরাপত্তা সহযোগী ছিল। কিন্তু ভারতীয়রা চায় না আমরা এটা বিশ্বাস করি। আওয়ামি লিগও চায় না আমরা এটা বিশ্বাস করি। কিন্তু এটাই সত্য। বাংলাদেশকে পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তানিরা আমাদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রয়োজন মনে করে না, তবে তারা চায় না আমরা ভারতের সঙ্গে থাকি। তারা আমাদের রক্ষা করতে যে কোনও কিছু করতে প্রস্তুত।”

    জামাত পন্থী অধ্যাপক

    অধ্যাপক শাহিদুজ্জামান পাকিস্তান থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র (Bangladesh Nuclear Treaty) সংগ্রহ করে উত্তরবঙ্গ ও চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলে মোতায়েন করার প্রস্তাব দেন। এর ফলে ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়া সহজ হবে বলে তিনি মনে করেন। তাঁর দাবি, বাংলাদেশের কিছু অংশ দখল করে এটিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় ভারত এবং পাকিস্তানের পারমাণবিক চুক্তি ও ক্ষেপণাস্ত্র সাহায্য ভারতের এই পরিকল্পনা প্রতিহত করতে পারে। তিনি পাকিস্তানকে “বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বস্ত নিরাপত্তা মিত্র” হিসেবে অভিহিত করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক জামায়াত-ই-ইসলামীপন্থী মন্তব্যের জন্য কুখ্যাত। 

    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আহ্বান

    সম্প্রতি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা বলেছিলেন। টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে ইউনূস বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সহ বেশ কয়েকটি দেশের নেতারা তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “আমরা ভারতের সঙ্গে এবং অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই, তবে এই সম্পর্কগুলো ন্যায্যতা এবং সমতার ভিত্তিতে হওয়া উচিত।” যদিও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ইউনূসের মতকে মান্যতা দেয় না।

    আরও পড়ুন: ফের হত্যার চেষ্টা ট্রাম্পকে! গল্ফ ক্লাবে চলল গুলি, অল্পের জন্য বাঁচলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট

    বাংলাদেশের ঐতিহ্য বিলুপ্তপ্রায়

    জামাত-পন্থী ইসলামি শক্তিগুলি শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের (Bangladesh Nuclear Treaty) দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে, সম্প্রতি ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে জিন্নার ৭৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে উর্দু গান, কবিতা এবং সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজন করা হয়, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবার ঘটেছে। ইসলামপন্থী বক্তারা অনুষ্ঠানে বলেন, পাকিস্তান ছাড়া বাংলাদেশও অস্তিত্ব লাভ করতে পারত না। বক্তারা জিন্নাকে বাংলাদেশের সৃষ্টিকর্তা এবং পিতা হিসেবে অভিহিত করেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ (সাবেক পূর্ব পাকিস্তান) একটি রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে উর্দু চাপিয়ে দেওয়া জিন্নার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। যেখানে বাংলা ভাষাই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। তবে, জামাত-সহ প্রতিক্রিয়াশীল ইসলামী শক্তিগুলি শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশকে সেই উর্দু ভাষার দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যেটি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে তারা তীব্রভাবে বর্জন করেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share