Tag: pakistan

pakistan

  • Manipur: মণিপুরে অশান্তির আগুনে নিত্য ঘি ঢালছে চিন, পাকিস্তান! বলছে গোয়েন্দা রিপোর্ট

    Manipur: মণিপুরে অশান্তির আগুনে নিত্য ঘি ঢালছে চিন, পাকিস্তান! বলছে গোয়েন্দা রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন মাস হতে চলল। এখনও নেভেনি উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুরের (Manipur) অশান্তির আগুন। এই অশান্তির আগুনে নিত্য ঘি ঢেলে চলেছে ভারতের দুই প্রতিবেশী দেশ চিন ও পাকিস্তান। গোয়েন্দা দফতরের রিপোর্টেই এ খবর মিলেছে। জানা গিয়েছে, এই দুই দেশ নেপালের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের হাতে তুলে দিচ্ছে অস্ত্র, জোগাচ্ছে প্রয়োজনীয় অর্থও।

    মণিপুরে পাঠানো হচ্ছে অস্ত্র, অর্থ

    মায়ানমার সীমান্তে মাদক পাচারও নিয়ন্ত্রণ করছে ওই দুই দেশের ‘এজেন্ট’রা। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, অশান্তির আগুনে ইন্ধন জোগাতে নেপালি ব্যবসায়ীদের কাজে লাগাচ্ছে চিন। এজন্য শি জিনপিংয়ের দেশ নিয়োগ করেছে সে দেশের সিক্রেট সার্ভিসকে। এরাই জোগাচ্ছে অর্থ। মণিপুরে সন্ত্রাসবাদী এবং অস্ত্র অনুপ্রবেশের কাজটিও সুচারুভাবে করতে পাকিস্তান ও চিন ব্যবহার করছে নেপালকে।

    ‘আর একটা কাশ্মীর’

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, মণিপুর (Manipur) থেকে উদ্ধার হয়েছে চিনা অস্ত্র। যার অর্থ, বেশ কিছুদিন ধরে মায়ানমারকে ভায়া করে অস্ত্র পাঠাচ্ছে বেজিং। ২৬ জুলাই মোর্চ এলাকায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বেশ কিছু বাড়িতে। এই ঘটনায় মায়ানমারের দুষ্কৃতীদের যোগ থাকার প্রমাণও মিলেছে। এই এলাকায় মেইতেই ও কুকিদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, সংঘর্ষে ব্যবহৃত বেশিরভাগ অস্ত্রই চিনে তৈরি। মণিপুরকে ‘আর একটা কাশ্মীর’ বানাতে চেয়েছে ভারতের চির শত্রু ওই দুই দেশ।

    মণিপুরে অশান্তি জিইয়ে রাখার পিছনে চিন ও পাকিস্তানের অতি-সক্রিয়তার কারণ এই মণিপুর দিয়েই সাউথ এশিয়ান দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যায়। নিত্য অশান্তি লেগে থাকলে ভারত সরকার যে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে কোনও উন্নয়ন করেনি, তা ফলাও করে বলতে পারবে। যদিও তথ্য বলছে, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে কেন্দ্র।

    আরও পড়ুুন: “তৃণমূল এখন জাতও চুরি করছে”, শংসাপত্রকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মণিপুরে (Manipur) অশান্তির নেপথ্যে যে চিনের হাত রয়েছে, তা দাবি করেছেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভানেও। তিনি বলেন, “অস্থিরতা সৃষ্টি করতে মণিপুরে হিংসার ঘটনায় জড়িত একাধিক বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সাহায্য করছে বেজিং। সীমান্ত রাজ্যগুলিতে এই অস্থিরতা বৃদ্ধি দেশের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়।” নারাভানে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলিকে সাহায্য করে আসছে চিন। এখনও জারি রেখেছে সেই সাহায্য।” শান্তি ফেরাতে প্রশাসন তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে বলেও দাবি করেন প্রাক্তন সেনাকর্তা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     

  • Pakistan: হিন্দু ব্যবসায়ীর তিন মেয়েকে অপহরণ করে বিয়ে করল পাক মুসলমান যুবক!

    Pakistan: হিন্দু ব্যবসায়ীর তিন মেয়েকে অপহরণ করে বিয়ে করল পাক মুসলমান যুবক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের প্রকাশ্যে ধর্মান্তরণের ঘটনা। এবং এবারও ঘটনাস্থল সেই পাকিস্তান (Pakistan)। অর্থনীতির হাঁড়ির হাল হওয়া সত্ত্বেও চলছে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা। জানা গিয়েছে, এক হিন্দু ব্যবসায়ীর তিন মেয়েকে অপহরণ করে একজন মুসলমান। পরে তাঁদের বিয়ে করতে বাধ্য করা হয় অপহরণকারীকে। ওই তিন মহিলাকে দীক্ষিত হতে হয় ইসলাম ধর্মে।

    ইসলাম ধর্মে দীক্ষা

    পাকিস্তান হিন্দু সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের ঢারকি এলাকায় বাস করেন হিন্দু ব্যবসায়ী লীলা রাম। দিন কয়েক আগে তাঁরই তিন মেয়েকে অপহরণ করে এক দুর্বৃত্ত। বিয়ে করতে বাধ্য করা হয় তাকে। পরে ইসলাম ধর্মে দীক্ষা দেওয়া হয় তাঁদের। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে পাকিস্তানের হিন্দু সংগঠন দারাওয়ার লেটহ্যাড। অপহরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও জানিয়েছে। ইচ্ছের বিরুদ্ধে তিন হিন্দু মহিলাকে বিয়ে এবং ধর্মান্তরিত করার তীব্র প্রতিবাদও করেছে ওই সংগঠন।

    হিন্দু সংগঠনের প্রতিবাদ

    সংগঠনের (Pakistan) তরফে শিব কাচ্চি বলেন, “ধর্মান্তরিত করেছেন একজনই। তাঁর নাম পির জাভেদ আহমেদ কোয়ারদি। পরে তিন মহিলাকে ওই মুসলমানকে বিয়ে করতে হয়।” সংগঠনের অভিযোগ, তাদের তরফে বারংবার জোর করে ধর্মান্তরনের প্রতিবাদ জানানোর পরেও হিন্দু মেয়েদের ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। পুলিশ কিংবা স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলেও, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তারা কোনও পদক্ষেপ করছে না।

    কাচ্চি জানান (Pakistan), লীলা রামের তিন মেয়েকে বিয়ে করেছে একজনই। সে-ই এঁদের অপহরণ করেছিল। সীমা হায়দরের ঘটনার পরে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর মুসলমানদের অত্যাচার আরও বেড়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সীমা হায়দর চার সন্তানের জননী। ভারতের শচিন মিনার সঙ্গে থাকবেন বলে ভারতে চলে আসেন। তার পর থেকেই পাকিস্তানে বেড়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচার। পাকিস্তানে সব চেয়ে বড় সংখ্যালঘু হলেন হিন্দুরা। এঁদের সিংহভাগই থাকেন সিন্ধ প্রদেশে। সেখানেই তাঁরা তাঁদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ভাষা শেয়ার করেন মুসলমান প্রতিবেশীদের সঙ্গে।

    আরও পড়ুুন: ‘পঞ্চায়েতে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে টিকিট বিক্রি করেছেন জেলা সভাপতি’, বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    সিন্ধ প্রদেশে এই ঘটনা এই প্রথম নয়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই উমেরকোট শহর থেকে অপহরণ করা হয়েছিল বিবাহিত এক হিন্দু মহিলাকে। তাঁকেও ধর্মান্তরিত হতে চাপ দেওয়া হয়। তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় গণধর্ষণ করা হয় তাঁকে। গত (Pakistan) বছরের জুন মাসেও করিনা কুমারি নামে এক তরুণী আদালতে জানিয়েছিলেন, তাঁকে অপহরণ করা হয়, পরে দীক্ষিত করা হয় ইসলাম ধর্মে। গত বছরের মার্চ মাসে সাতরণ ওদ, কবিতা ভিল এবং অনিতা ভিলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আটদিনের মধ্যে তাঁদের ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করতে বাধ্য করে তিন মুসলমান যুবক।

     

    শের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Imran Khan: সাইফার গেট কেলেঙ্কারি মামলায় মৃত্যুদণ্ড হতে পারে ইমরানের?

    Imran Khan: সাইফার গেট কেলেঙ্কারি মামলায় মৃত্যুদণ্ড হতে পারে ইমরানের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইফার গেট কেলেঙ্কারি মামলায় ফেঁসে যেতে পারেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি সুপ্রিমো ইমরান খান (Imran Khan)। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা আশিফ শুক্রবার জানান, তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির প্রধান ইমরান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সরকারি নথি উন্মোচন করে জাতীয় নিরাপত্তাকে বিপন্ন করেছেন বলে অভিযোগ।

    সাইফার কী

    দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে কারাদণ্ড হতে পারে। প্রসঙ্গত, সাইফার হল একটি সরকারি শ্রেণিবদ্ধ নথি, যেটি কখনও প্রকাশ যায় না বা কারও সঙ্গে শেয়ার করা যায় না। পাক সংবিধানের ৬ নম্বর ধারার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির প্রধানের ওপর ৬ নম্বর ধারা প্রয়োগ হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কিংবা মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।” প্রসঙ্গত, ইমরানের এক পদস্থ প্রাক্তন সহযোগী সম্প্রতি স্বীকার করেছেন যে, পাকিস্তানের দূত ওয়াশিংটনকে যে সাইফার পাঠিয়েছিলেন বিরোধীদের বিরুদ্ধে, ইমরান তাকে হাতিয়ার করেছেন রাজনৈতিক লাভের উদ্দেশ্যে।

    সাইফারকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করার অভিযোগ

    পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্যের ঠিক আগের দিনই সে দেশের আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারারও প্রায় একই কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সরকারি নথি প্রাকাশ্যে এনে জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করার অভিযোগ রয়েছে ইমরান খানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর জেল হবে। ইসলামাবাদে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী বলেন, ইমরান সাইফারকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন।

    আরও পড়ুুন: মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই ক্ষোভ উগরে দিলেন হাওড়ার মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা, কেন?

    এ বিষয়ে পাকিস্তান ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি তাঁকে তলবও করেছিল। তিনি বলেন, “সাইফারকে নির্বিচারে ব্যবহার করে জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছিলেন ইমরান খান। এটা তৎকালীন মুখ্যসচিব আজম খানের স্বীকারোক্তি থেকেই স্পষ্ট।” তাঁর দাবি, তিনি যখন সরকারি এই নথি নিয়ে ইমরানের (Imran Khan) সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন, তখন ইমরান উচ্ছ্বসিত ছিলেন। তিনি একে আমেরিকার ভুল বলে উল্লেখ করেছিলেন। তবে যদি গোপন নথিটি প্রকাশ করা হয় এবং নিজের স্বার্থে তার বিষয়বস্তু ফাঁস করা হয়, তবে ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে ইমরানের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu & Kashmir: ভারত সরকারের মাইনে নিয়েও রেখেছিলেন জঙ্গি-যোগ, ভূস্বর্গে বরখাস্ত তিন কর্মী

    Jammu & Kashmir: ভারত সরকারের মাইনে নিয়েও রেখেছিলেন জঙ্গি-যোগ, ভূস্বর্গে বরখাস্ত তিন কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি করছেন ভারত সরকারের। ফি মাসে মাইনে বাবদ নিচ্ছেন মোটা অঙ্কের টাকাও। অথচ নিয়মিত পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) তিন সরকারি কর্মী। জঙ্গি-যোগের কথা প্রকাশ্যে আসতেই বরখাস্ত করা হয়েছে ওই তিন কর্মীকে। যে তিনজনকে বরখাস্ত করার কথা জানা গিয়েছে সোমবার, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক ফাহিন আসলাম, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কনস্টেবল আরশিদ আহমেদ থোকের এবং রাজস্ব দফতরের আধিকারিক মুরুয়া হুসেন মির।

    বরখাস্তের কারণ

    জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা তাঁদের বরখাস্ত করেন। সংবিধানের ৩১১ (২)(সি) ধারায় বরখাস্ত করা হয়েছে ওই তিনজনকে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলছিলেন ওই তিনজন। শুধু তাই নয়, জঙ্গিদের রসদ সরবরাহ, জঙ্গিদের মতাদর্শ প্রচার এবং জঙ্গিদের জন্য অর্থ সংগ্রহের কাজও করছিলেন তাঁরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁদের।

    কে এই ফাহিম?

    জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jammu & Kashmir) ফাহিমকে যে চাকরি দেওয়া হয়েছিল, সেজন্য তাঁর কোনও ইন্টারভিউ নেওয়া হয়নি, হয়নি পুলিশ ভেরিফিকেশনও। কোনও বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়নি। এহেন ফাহিমই উপত্যকায় জঙ্গিবাদের মূল প্রচারক। ২০০৮ সালে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ করা হয় ফাহিমকে। তাঁকে নিয়োগ করেছিলেন কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। প্রথমে তাঁকে চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। গিলানি ঘনিষ্ঠ ফাহিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কাশ্মীরি আর এক বিচ্ছিন্নতাবাদী ইয়াসিন মালিকের। এই ইয়াসিনকে এনআইএর স্পেশাল কোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ সাহায্যে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তাঁকে।  

    আরও পড়ুুন: বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    উপত্যকায় ফাহিম জঙ্গিদের (Jammu & Kashmir) হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করতেন বলে অভিযোগ। ২০০৮, ২০১০ ও ২০১৬ সালে যে হিংসাত্মক আন্দোলন হয় উপত্যকায়, তার আয়োজক ছিলেন ফাহিমই। কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হত, তারও মূল মাথা ছিলেন তিনিই। কাশ্মীর থেকে প্রত্যাহিত হয়েছে ৩৭০ ধারা। তারপর থেকে একটু একটু করে শান্তি ফিরছে ভূস্বর্গে। এমতাবস্থায়ও ফাহিম পড়ুয়াদের মধ্যে বপন করে যাচ্ছিলেন বিচ্ছিন্নতাবাদী মানসিকতার বীজ। জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে তাঁর কার্যকলাপ বিপজ্জনক বলেও দাবি প্রশাসনের।

    এদিকে, নিয়ন্ত্রণ রেখায় ফের ব্যর্থ করে দেওয়া হল অনুপ্রবেশ। রবিবার রাত থেকে সোমবার পর্যন্ত পুঞ্চে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে জঙ্গিরা। নিরাপত্তারক্ষীরা গুলি চালালে মৃত্যু হয় দুই অনুপ্রবেশকারীর। প্রসঙ্গত, ১০ জুলাইও রাজৌরি সেক্টরে নিরাপত্তারক্ষীরা গুলি করে মারে এক অনুপ্রবেশকারীকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Attack on Pak Hindu Temple: পাকিস্তানে পরপর ভাঙা হল দুই মন্দির! বুলডোজারের পর রকেট হামলা

    Attack on Pak Hindu Temple: পাকিস্তানে পরপর ভাঙা হল দুই মন্দির! বুলডোজারের পর রকেট হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে ফের আক্রান্ত হিন্দু মন্দির (Attack on Pak Hindu Temple)। গত ২৪ ঘণ্টায় সিন্ধ প্রদেশে দু’টি হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর ও লুঠপাটের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতেই পাকিস্তানের করাচিতে একরকম নিঃশব্দে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একটি হিন্দু মন্দির। মারি মাতার সেই ১৫০ বছর পুরনো মন্দিরটি ভেঙে শপিং কমপ্লেক্স উঠবে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার ফের পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের কাশমোড় এলাকায় ধ্বংস করা হল আরও একটি হিন্দু মন্দির! এবার রীতিমতো রকেট হামলা চালিয়ে ভাঙা হয়েছে মন্দিরটি (2 Hindu Temples)।

    মন্দিরে রকেট হামলা

    সিন্ধ প্রদেশের কাশমোড় অঞ্চলে রবিবার সকালে একদল দুষ্কৃতী রকেট লঞ্চার নিয়ে আক্রমণ শানায় একটি হিন্দু মন্দিরে (Attack on Pak Hindu Temple)। ওই  এলাকায় বহু সংখ্যক হিন্দু পরিবারের বাস। যে মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে, সেখানে বছরে একবার করে পুজো দেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, রবিবার দুষ্কৃতীরা একেবারে নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে মন্দির চত্বরে এবং রকেট হামলায় মন্দির ধ্বংস করে। ঘটনাচক্রে সে সময়ে মন্দিরটি বন্ধ ছিল বলে হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গিয়েছে। মন্দির সংলগ্ন হিন্দু জনবসতির উপরও নির্মম অত্যাচার ও লুঠপাটের ঘটনা ঘটেছে।

    আরও পড়ুুন: ‘ভারত-ফ্রান্স বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক’, মোদির সঙ্গে সেলফি পোস্ট আপ্লুত মাক্রঁর

    সিন্ধের ঘটনায় (Attack on Pak Hindu Temple) এখনও কাউকে ধরা যায়নি। মোট ৯ জন বন্দুকবাজ জড়িত ছিল বলে অনুমান করছে পুলিশ। স্থানীয় হিন্দুদের বাগরি সম্প্রদায়ের সদস্যরা জানিয়েছেন, কারও ক্ষতি না হলেও, এই হামলার জেরে স্থানীয় সংখ্যালঘু হিন্দুরা আতঙ্কিত। পুলিশের কাছে স্থানীয়দের সুরক্ষারও আবেদন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী তথা বাগরি সম্প্রদায়ের সদস্য ডাঃ সুরেশ জানান, ‘ডাকাত দলের প্রত্যেকের হাতে ছিল বন্দুক। রকেট লঞ্চারের মাধ্যমে মন্দির ধ্বংস করাই ছিল তাদের লক্ষ্য। কিন্তু তাতে ওই ডাকাতদল সফল হয়নি। কারণ, রকেট লঞ্চারটি কাজ করেনি। তার ফলে বড় কোনও বিপদ ঘটেনি।’

    করাচিতে ধ্বংস ১৫০ বছরের পুরনো মন্দির

    অন্যদিকে, করাচির সোলজার বাজারে অবস্থিত ১৫০ বছরের মারি মাতার মন্দিরের (Attack on Pak Hindu Temple) জমি শপিং প্লাজার এক প্রোমোটারকে চড়া দামে বেচে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাক সরকারের বিরুদ্ধে। সেই মতোই শুক্রবার মধ্যরাতে বুলডোজার এনে মন্দির ভাঙা শুরু হয়ে যায়। পুলিশ ছিল ঘটনাস্থলেই। তবে অভিযোগ, বাধা দেওয়া দূরের কথা, দাঁড়িয়ে দেখেছে তারা। এই মন্দিরে আগেও ঝামেলা হয়েছে। গত বছরের জুনেই এই মন্দিরে দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুরের খবর মিলেছিল। ওই মন্দিরের পুরোহিত রাম নাথ মিশ্র জানান, ‘প্রথমে স্থানীয় কর্তপক্ষ বলেছিল মন্দিরের মূল দ্বার ও একটি দেওয়াল ভাঙা হবে। কিন্তু লোডশেডিং করে পুরো মন্দির গুঁড়িয়ে দিল ওরা। ১৫০ বছর ধরে এই মন্দির রয়েছে। বহু ভক্ত সমাগম হয়। আসলে অনেকটা অংশ জুড়ে এই মন্দির। যা ভুয়ো কাগজ বের করে বানিজ্যিক সংস্থাকে বেচে দেওয়া হয়েছে। মন্দির পুরানো হয়ে গিয়েছে, বিপজ্জনক বলে এভাবে ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া অনুচিত। আশা করব প্রশাসন প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেবে।’ উল্লখ্য, পাকিস্তান হিন্দু কাউন্সিলের কাছে হিন্দু সংগঠনগুলি সুবিচারের দাবি জানিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Uttar Pradesh: ভারতের ‘নুন’ খেয়ে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে ধৃত উত্তর প্রদেশের যুবক

    Uttar Pradesh: ভারতের ‘নুন’ খেয়ে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে ধৃত উত্তর প্রদেশের যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের খেয়ে আক্ষরিক অর্থেই বনের মোষ তাড়াচ্ছিলেন তিনি। ভারতের খেয়ে তথ্য পাচার করছিলেন পাকিস্তানে (Pakistan)। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের (ISI) চরবৃত্তি করার অভিযোগে উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) এক যুবককে গ্রেফতার করল এটিএস। মহম্মদ রইস নামের ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ মাত্র ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ভারতীয় সেনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাকিস্তানে পাচার করেছিলেন ওই যুবক।

    দেশের বুকে ছুরি

    ভারতের ক্ষতি করার চেষ্টা অবশ্য এই প্রথম নয়। কেউ কোনও পাক সুন্দরীর প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে আইএসআইকে তুলে দিয়েছেন প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কোনও তথ্য। কেউ আবার টাকার বিনিময়ে ছুরি মেরেছেন দেশের বুকে। এটিএস সূত্রে খবর, উত্তর প্রদেশের গোন্ডা জেলার (Uttar Pradesh) তারাবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা কাজের খোঁজে গিয়েছিলেন মুম্বই। সেখানে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় আরমান নামের এক যুবকের। পুলিশি জেরায় রইস জানিয়েছেন, আরমানই তাঁকে প্রলোভিত করেছিলেন চরবৃত্তিতে।

    গুপ্তচরবৃত্তির প্রস্তাব

    উত্তর প্রদেশের ওই যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি আরমানকে আরব আমিরশাহিতে চাকরি খুঁজে দিতে বলেছিলেন। তখন আরমান তাঁকে আইএসআইয়ের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার প্রস্তাব দেয়। তার বিনিময়ে মোটা টাকা মিলবে বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল আরমান। সে এও জানিয়েছিল, তাকে কিছু করতে হবে না। সে নিজেই রইসের নম্বর আইএসআইয়ের এজেন্টদের দিয়ে দেবে। তারাই যোগাযোগ করে নেবে। ২০২২ সালে ভিন দেশের একটি নম্বর থেকে (Uttar Pradesh) ফোন আসে রইসের কাছে। ফোনের অন্য দিকে থাকা মানুষটি জানিয়েছিল, তার নাম হুসেন। সে পাকিস্তানি গুপ্তচর। রইসকে ভারতীয় সামরিক সেনাঘাঁটিগুলি সম্পর্কে তথ্য চালান করার দায়িত্ব দিয়েছিল হুসেন। এজন্য রইসকে ১৫ হাজার টাকাও পাঠানো হয়। তার পরেই কয়েকজন বন্ধুকে কাজে লাগিয়ে রইস তথ্য পাচার করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: সিবিআইয়ের নজরে ১৪টি পুরসভা! পুর দুর্নীতির আড়ালে কীসের আঁচ?

    উত্তর প্রদেশের বিশেষ ডিজি (আইনশৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার বলেন, “রইস নামের এক যুবককে এটিএস গ্রেফতার করেছে। তিনি গোন্ডার বাসিন্দা। তাঁকে এটিএস দফতরে তলব করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।”

    পাকিস্তানে তথ্য পাচারের অভিযোগে দিন কয়েক আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন ডিআরডিও বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকর। মহারাষ্ট্রের এটিএস গ্রেফতার করেছিল তাঁকে। তিনি অবশ্য টাকা নয়, প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে  তথ্য পাচার করেছিলেন বলে অভিযোগ। আর রইসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তথ্য পাচার করেছেন টাকার লোভে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Shehbaz Sharif: পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস ১৪ অগাস্টে ইস্তফা প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের 

    Shehbaz Sharif: পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস ১৪ অগাস্টে ইস্তফা প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মাসে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে ইস্তফা দেবেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। শুক্রবার রাতে জাতির উদ্দেশে বক্তৃতায় এ কথা জানিয়েছেন তিনি। ‘পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ’ (পিএমএল-এন) নেতা শাহবাজ বলেন, ‘‘চলতি বছরের শেষেই দেশে সাধারণ নির্বাচন হবে। সাংবিধানিক বিধি মেনে অগাস্টে আমি সরে দাঁড়াব। ক্ষমতা তুলে দেব তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে।’’

    কী বললেন শাহবাজ

    চলতি বছরের অগাস্ট মাসে শেষ হচ্ছে পাক পার্লামেন্টের মেয়াদ। প্রবল আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেও প্রয়োজন হয়ে পড়েছে নির্বাচন। পাক সংবিধান মেনে আগামী মাসেই পাক সংসদ ভেঙে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। শুক্রবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় অগাস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি। সেই সঙ্গে গত কয়েক মাস ধরে পাকিস্তান সামলানোর যে দায়িত্ব তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল, তা তিনি যথাযথ পালন করেছেন বলেও দাবি করেন। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘দেশ পরিচালনার যে পবিত্র দায়িত্ব আমাদের দেওয়া হয়েছিল, আমি তা নিরলস ভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি।’’

    আরও পড়ুুন: ‘ভারত-ফ্রান্স বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক’, মোদির সঙ্গে সেলফি পোস্ট আপ্লুত মাক্রঁর

    প্রসঙ্গত, গত বছর এপ্রিল মাসে পাক পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান ইমরান খান। এরপরেই প্রধানমন্ত্রীর আসন বসেন শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তান পিপলস পার্টি, মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমল সহ একাধিক দলের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করেছিল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের প্রধান। প্রসঙ্গত, পাক সংবিধান অনুযায়ী দেশের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। আগামী ১৪ অগস্ট পাকিস্তানে স্বাধীনতা দিবস। সেদিনই শেষ হচ্ছে শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) সরকারের মেয়াদ। স্বাধীনতা দিবসেই পাক প্রেসিডেন্ট  আরিফ আলভির হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দিতে পারেন বলে অনুমান। সেই সঙ্গে সুপারিশ করতে পারেন পাক পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ারও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Espionage: প্রেমের ফাঁদ পাতা পাকিস্তানে! বিজ্ঞানীর পর এবার তথ্য পাচার করে ধৃত বিদেশমন্ত্রকের কর্মী

    Espionage: প্রেমের ফাঁদ পাতা পাকিস্তানে! বিজ্ঞানীর পর এবার তথ্য পাচার করে ধৃত বিদেশমন্ত্রকের কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগে প্রকাশ্যে এসেছিল ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের বিজ্ঞানী গ্রেফতার হওয়ার খবর। যদিও মহারাষ্ট্রের পুণেতে অবস্থিত ওই অর্গানাইজেশনের বিজ্ঞানীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৪ মে। পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির (Espionage) করার অভিযোগে মহারাষ্ট্র পুলিশের এটিএস গ্রেফতার করেছিল বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকারকে।

    প্রেমের ফাঁদ

    সুন্দরী মহিলার ছদ্মবেশে প্রেমের ফাঁদ পেতেছিল পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI)। সেই ফাঁদেই পা দিয়ে প্রদীপ তথ্য পাচার করেছেন বলে অভিযোগ। তার জেরেই হয়েছেন গ্রেফতার। এই ঘটনার রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই এবার পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির (Espionage) অভিযোগ উঠল ভারতের বিদেশমন্ত্রকের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। নবীন পাল নামের ওই কর্মীকে গ্রেফতার করেছে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ পুলিশ।

    মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নবীনের

    নবীনের বিরুদ্ধে যে এফআইআর দায়ের হয়েছিল, তাতে দাবি করা হয়েছে, বিদেশমন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও ভারতে সদ্য সমাপ্ত জি-২০ বৈঠকের গুরুত্বপূর্ণ নথি করাচিতে এক মহিলার কাছে পাঠিয়েছেন তিনি। তথ্য পাঠানো হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। গোয়েন্দারা জেনেছেন, সমাজমাধ্যমে এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় নবীনের। তার পর থেকে ধীরে ধীরে ওই মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে বিদেশমন্ত্রকের ওই কর্মীর। হোয়াটসঅ্যাপে নিয়মিত কথাবার্তা হত তাঁদের। এভাবেই পাচার হয়েছে বহু তথ্য। পুলিশ জানিয়েছে, যে মহিলার (Espionage) নম্বর উদ্ধার হয়েছে, সেটি উত্তরপ্রদেশের বরেলির। কিন্তু আইপি অ্যাড্রেস পরীক্ষা করতেই দেখা যায় নম্বরটি বরেলির নয়, পাকিস্তানের করাচির।

    আরও পড়ুুন: ‘‘পাথর ছোড়ার ঘটনা অতীত, ছন্দে ফিরেছে কাশ্মীর’’, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা কেন্দ্রের

    পুলিশ জানিয়েছে, বিদেশমন্ত্রকের ওই কর্মীর মোবাইল থেকে বিদেশমন্ত্রকের বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। জি-২০ সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্যও মিলেছে। কলকাতার এক মহিলারও খোঁজ নবীনের মোবাইল থেকে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। অঞ্জনি নামের ওই মহিলা নবীনের অ্যাকাউন্টে টাকাও পাঠিয়েছেন বলে জেনেছেন গোয়েন্দারা। টাকার পরিমাণ প্রায় ৮৫ হাজার টাকা। মাস দুয়েক আগে নবীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় তাঁর। এই অঞ্জলি পাকিস্তান কিংবা আইএসআইয়ের সঙ্গে যুক্ত বলেই অনুমান পুলিশের। ডিসিপি (রুরাল) শুভম প্যাটেল বলেন, ক্রসিং রিপাবলিক থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ (Espionage) দায়ের হয়েছে। এদিনই জেলে পাঠানো হবে তাঁকে। বিদেশমন্ত্রককেও ঘটনাটির কথা জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISI: লাস্যময়ীর প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে মিসাইল গবেষণার তথ্য পাচার পাকিস্তানে! গ্রেফতার বিজ্ঞানী

    ISI: লাস্যময়ীর প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে মিসাইল গবেষণার তথ্য পাচার পাকিস্তানে! গ্রেফতার বিজ্ঞানী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর বয়স ৬০ বছর। বিবাহিত। পাকিস্তানি এক লাস্যময়ীর পাতা ফাঁদে পা দিয়ে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে (ISI) প্রতিরক্ষা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ নথি চালান করার অভিযোগে মাস তিনেক আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকরকে। এবার চার্জশিট পেশ হল তাঁর বিরুদ্ধে। পেশ করল মহারাষ্ট্র পুলিশের জঙ্গি দমন শাখা। চার্জশিটে বলা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের পাশাপাশি ভয়েস ও ভিডিও কলের মাধ্যমে আইএসআই এজেন্টের সঙ্গে প্রদীপের যোগাযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মিলেছে।

    গ্রেফতার বিজ্ঞানী

    পুণের ডিআরডিও-র সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবরেটরির ডিরেক্টর পদে নিযুক্ত ছিলেন প্রদীপ। ৩ মে সরকারি গোপনীয় তথ্য ফাঁসের অভিযোগে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এটিএসের দাবি, ১৯৮৮ সাল থেকে সমাজ মাধ্যমে সুন্দরী মহিলাদের ছবি দেখিয়ে ফাঁদে ফেলেছিল আইএসআইয়ের (ISI) এজেন্ট। চার্জশিটে বলা হয়েছে, আইএসআইয়ের ওই এজেন্ট বিভিন্ন নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলে। এভাবেই প্রদীপের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত সে।

    জারা দাশগুপ্ত কে?

    ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলির দুজন ব্যবহারকারীর নাম হল জারা দাশগুপ্ত ও জুহি অরোরা। সুন্দরী জারা নিজেকে ব্রিটেনবাসী সফ্টঅয়্যার ইঞ্জিনিয়র বলে পরিচয় দিয়েছিল। অশালীন টেক্সট মেসেজ ও ভিডিও করে প্রদীপের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়েছিল সে। পরে জারা প্রদীপের কাছে জানতে চায়, অগ্নি ৬ মিসাইল লঞ্চারের পরীক্ষা সফল হয়েছিল কিনা। মেজেজ পাঠিয়ে প্রদীপ নাকি তাকে বলেছিলেন, বেব, ওটা আমার ডিজাইন। সফল না হয়ে যায় না। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর ও ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে আইএসআইয়ের ওই এজেন্টের সঙ্গে কথোপকথন হয় প্রদীপের। সেই সময় মিটিওর মিসাইল, ব্রহ্মোস, রাফাল, আকাশ ও অস্ত্র মিশাইল নিয়ে তার সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলতেন প্রদীপ।

    আরও পড়ুুন: ভোট শুরু ৭টায়, পড়ে গিয়েছে লাশ, কমিশনার দফতরে এলেন ১০টায়!

    ডিআরডিও-র ড্রোন প্রোগ্রাম নিয়েও জারার কাছে তথ্য ফাঁস করেছিলেন প্রদীপ। প্রদীপের গতিবিধিতে (ISI) সন্দেহ হওয়ায় মহারাষ্ট্র এটিএসের দ্বারস্থ হয় ডিআরডিও কর্তৃপক্ষ। মে মাসে গ্রেফতার করা হয় প্রেমের ফাঁদে পড়া ওই বিজ্ঞানীকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।    

  • Emerging Asia Cup 2023: জুলাইয়েই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ! দেখে নিন এমার্জিং এশিয়া কাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি

    Emerging Asia Cup 2023: জুলাইয়েই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ! দেখে নিন এমার্জিং এশিয়া কাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই উত্তেজনা। তা সে ফুটবল হোক বা ক্রিকেট কিংবা হকি। যখন যেখানেই ভারত বনাম পাকিস্তান খেলা হয় আম-জনতা লুটে নেয় সেই ম্যাচের মজা। আর বাইশ গজে দুই দল মুখোমুখি হলে তো কথাই নেই। সেই ম্যাচে নজর থাকে সব ক্রিকেটপ্রেমীদের৷ দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দলের এই লড়াই সব সময়েই একইরকম উত্তেজনা ও উন্মাদনা তৈরি করে৷ এশিয়া কাপ ও একদিনের ক্রিকেটের বিশ্বকাপ এই বছরেই৷ কিন্তু এই দুই মেগা টুর্নামেন্টের আগেও ভারত বনাম পাকিস্তান হতে চলেছে৷  দুই দলই মুখোমুখি হতে যাচ্ছে এমার্জিং এশিয়া কাপে (Emerging Asia Cup 2023)। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল এই সিরিজের সূচি প্রকাশ করেছে যেখানে ভারত ও পাকিস্তান গ্রুপ পর্বেই একে অপরের মুখোমুখি হবে।

    টুর্নামেন্টে কয়টি দল

    আগামী ১৩ থেকে ২৩ জুলাই শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে পুরুষদের এমার্জিং এশিয়া কাপের (Emerging Asia Cup 2023) পঞ্চম আসর। এশিয়ার আটটি দল এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে, যার মধ্যে সাতটি তাদের নিজ নিজ দেশের ‘এ’ দল পাঠাবে। ভারত এর আগে ২০১৩ সালে পুরুষদের এমার্জিং এশিয়া কাপ জিতেছে, শ্রীলঙ্কা দুইবার এবং পাকিস্তান একবার জিতেছে।

    কোন ফরম্যাটে খেলা

    আটটি দলকে চারটি করে দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। ‘গ্রুপ লিগে প্রতিটি দল নিজেদের মধ্যে ১টি করে ম্যাচ খেলবে। প্রতি গ্রুপের প্রথম ২টি দল সেমিফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করবে। এ-গ্রুপের এক নম্বর দল সেমিফাইনালে মাঠে নামবে বি-গ্রুপের দুই নম্বর দলের বিরুদ্ধে। বি-গ্রুপে এক নম্বর দল দ্বিতীয় সেমিফাইনালে লড়াই চালাবে এ-গ্রুপের দুই নম্বর দলের বিরুদ্ধে। দুই সেমিফাইনালের জয়ী দল খেতাবি লড়াইয়ে সম্মুখসমরে নামবে।

    আরও পড়ুন: চোখের জলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবালের

    কোন গ্রুপে কারা

    এ-গ্রুপ: শ্রীলঙ্কা-এ, বাংলাদেশ-এ, আফগানিস্তান-এ ও ওমান-এ

    বি-গ্রুপ: ভারত-এ, পাকিস্তান-এ, নেপাল-এ, আমিরশাহি-এ

    কবে কবে ভারতের ম্যাচ

    ১৪ জুলাই- ভারত ‘এ’ বনাম সংযুক্ত আরব এমিরেট ‘এ’ সকাল ১০টায়।

    ১৭ জুলাই- ভারত ‘এ’ বনাম নেপাল দুপুর ২টোয়।

    ১৯ জুলাই- ভারত ‘এ’ বনাম পাকিস্তান ‘এ’ দুপুর ২টোয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share