Tag: pakistan

pakistan

  • Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুর’ পড়ানো হবে উত্তরাখণ্ডের মাদ্রাসায়, তুলে ধরা হবে ভারতীয় সেনার বিজয়গাথা

    Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুর’ পড়ানো হবে উত্তরাখণ্ডের মাদ্রাসায়, তুলে ধরা হবে ভারতীয় সেনার বিজয়গাথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) ঘটনা জানবে স্কুলের পড়ুয়ারাও। উত্তরাখণ্ডের মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে থাকা মাদ্রাসাগুলিতে পড়ানো হবে অপারেশন সিঁদুরের ঘটনা। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখণ্ড মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ। সে রাজ্যের নথিভুক্ত অন্তত ৪৫০টি মাদ্রাসার সিলেবাসে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে পড়ানো হবে। আলিয়া (ইন্টারমিডিয়েট) লেভেল পর্যন্ত পড়ানো হবে এই বিষয়টি। সেই মতো সিলেবাসে বদল আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন এই অধ্যায়টি পড়ানো হবে মাদ্রাসায় (Uttarakhand Madrasas Board)।

    কবে থেকে, কোন ক্লাস পর্যন্ত পড়ানো হবে

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করার পর এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন পর্ষদের (Uttarakhand Madrasas Board) চেয়ারম্যান মুফতি শামুন কাশমি। তিনি জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসলমানদের একটি প্রতিনিধি দল প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথের সঙ্গে দেখা করার পর অপারেশন সিঁদুরের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কাশমি বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীকে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছি যে আমরা তাঁর সঙ্গে রয়েছি। ১৪০ কোটি মানুষের দেশ তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে আছে।’ তিনি জানান অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে মাদ্রাসায় আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে পাঠ্যক্রমে এই অভিযানটি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে থাকবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাহসিকতা এবং দেশের প্রতি তাঁদের নিষ্ঠার অনুপ্রেরণামূলক গল্প। উত্তরাখণ্ডজুড়ে ৪৫১টি নিবন্ধিত মাদ্রাসায় ৫০,০০০ এরও বেশি পড়ুয়া রয়েছে। তাঁদের অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে পড়ানো হবে। দ্রুতই উত্তরাখণ্ডের মাদ্রাসাগুলির পাঠ্যক্রমে এই অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ক্লাসে অপারেশন সিঁদুর অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এপ্রসঙ্গে পাকিস্তানকে তীব্র আক্রমণ করে ‘অপবিত্র দেশ’ বলে উল্লেখ করেন কাশমি। তিনি বলেন, ‘যেভাবে পাকিস্তানের জঙ্গিরা পহেলগাঁওয়ে হামলা চালিয়েছে, নিরস্ত্র পর্যটকদের হত্যা করেছে, তার জন্য তাদেরকে একটি শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন ছিল।’

    শল্যচিকিৎসকের মতো নির্ভুল

    ‘অপারেশন সিঁদুরে’র (Operation Sindoor) সময়ে দক্ষ শল্যচিকিৎসকের মতো নির্ভুল ভাবে অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। মঙ্গলবার কে এন মেমোরিয়াল হাসপাতালের ২৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের ভাষণে এ কথা বলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, “আমাদের বাহিনী শল্যচিকিৎসকদের মতোই নিখুঁত কাজ করেছে। এক জন শল্যচিকিৎসক রোগীর কোন জায়গায় সমস্যা, সেটা বুঝে ছুরিকাঁচি চালান। ভারতীয় বাহিনীও একই কাজ করেছে। সন্ত্রাসবাদের শিকড়ে নির্ভুল ভাবে আঘাত করেছে তারা।”

  • Pakistan: বিশ্বের সামনে হাত পাতছে পাকিস্তান, বিদেশে ভিক্ষে করছে পাকিস্তানিরা! সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

    Pakistan: বিশ্বের সামনে হাত পাতছে পাকিস্তান, বিদেশে ভিক্ষে করছে পাকিস্তানিরা! সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকার ভিক্ষা চাইছে আইএমএফের কাছে, বিদেশে ভিক্ষাবৃত্তিতে লিপ্ত পাক নাগরিকেরা! গত ১৬ মাসে সৌদি আরব ৫,০৩৩ জন পাকিস্তানি (Pakistan) ভিক্ষুককে বিতাড়িত করেছে। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি জাতীয় পরিষদে এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ থেকেও শত শত পাকিস্তানি নাগরিককে বিতাড়িত করা হয়েছে। নকভি জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত সৌদি আরব, ইরাক, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (UAE) থেকে মোট ৫,৪০২ জন পাকিস্তানি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। প্রধান কারণ—বিদেশে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে লিপ্ত হওয়া।

    পাকিস্তানিদের নিয়ে বিরক্ত পশ্চিম এশিয়ার মুসলিম দেশগুলিই

    কিন্তু কেন এ ভাবে পাক নাগরিকদের ফেরত পাঠাচ্ছে দেশগুলি? এর মূল কারণ, ভিক্ষাবৃত্তি! তেমনটাই উঠে এসেছে বিভিন্ন প্রতিবেদনে। ‘পাকিস্তানি (Pakistan) তাড়াও’ নীতি গ্রহণকারী দেশগুলির মধ্যে সবার উপরে রয়েছে সৌদি আরব। সেখান থেকেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পাকিস্তানিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তালিকায় এর পরে রয়েছে ইরাক (২৪৭ জন)। অন্য দিকে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি পাক নাগরিকদের ভিক্ষাবৃত্তি নিয়ে পাকিস্তান সরকারের কাছে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং পাকিস্তানিদের জন্য ভিসা নিয়ম কঠোর করেছে। সেখান থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ৫৮ জন পাক নাগরিককে। রিপোর্টে উঠে এসেছে, পাকিস্তানিরা তীর্থযাত্রার নামে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে যাচ্ছেন এবং সেখানে গিয়ে ভিক্ষা করা শুরু করছেন। ভিক্ষার টাকা জমিয়ে কেউ ফিরে আসছেন, তো কেউ সেখানেই রয়ে যাচ্ছেন পাকাপাকি ভাবে। আর তাতেই তিতিবিরক্ত সে দেশগুলির প্রশাসন। সে কারণেই খুঁজে খুঁজে পাকিস্তানিদের ফেরত পাঠাচ্ছে দেশগুলি।

    পাকিস্তানিদের ভিসা পাওয়াই কঠিন

    পাকিস্তানিদের (Pakistan) বিদেশে গিয়ে ‘ভিক্ষা-প্রেম’-এর বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ পায় ২০২৩ সালে। সে বছর প্রবাসী পাকিস্তানিদের বিষয়ে সেনেটের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সেই উদ্বেগের কথা উঠে আসে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খ্বাজা আসিফ বলেন, “এটা খুব লজ্জার। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, এখন বিদেশে পাকিস্তানিদের ভিসা পাওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে।” তাঁর মতে, প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ পাকিস্তানে কোনও না কোনওভাবে ভিক্ষার সঙ্গে যুক্ত, যা বছরে আনুমানিক ৪২ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি তৈরি করছে। পাকিস্তানের যেকোনও অঞ্চলে ভিক্ষুক পাওয়া যেতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শেয়ার করা তথ্য থেকে দেখা যায় যে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যক্তিরা এই প্রবণতার সঙ্গে জড়িত। যেমন, সিন্ধ প্রদেশ থেকে ২,৭৯৫ জন, পাক পাঞ্জাব থেকে ১,৪৩৭ জন, খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে ১,০০২ জন, বালোচিস্তান থেকে ১২৫ জন এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ৩৩ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাদ নেই রাজধানী ইসলামাবাদও। এখানকার ১০ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

    বিদেশে গ্রেফতার হওয়া ভিখারিদের প্রায় ৯০ শতাংশই পাকিস্তানি

    রিপোর্ট অনুসারে, বিদেশে গ্রেফতার হওয়া ভিখারিদের প্রায় ৯০ শতাংশই পাকিস্তানি নাগরিক। অনেকে হজ, উমরা কিংবা জিয়ারতের ভিসায় বিদেশে যান, কিন্তু পরে সেখানেই ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করেন। পাকিস্তানের এই অবস্থাকে কটাক্ষ করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সম্প্রতি তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের এক অনুষ্ঠানে বলেন, “পাকিস্তানের অবস্থা এতটাই খারাপ যে এখন দেশটির নাম শুনলেই ভিক্ষার ছবি চোখে ভেসে ওঠে।”

    নাগরিকদের ‘সহবত’ শেখানোর উপদেশ

    গত বছরও একটি রিপোর্টে উঠে এসেছিল যে, পাকিস্তানের (Pakistan)  শ্রমিক এবং কর্মীদের কাজ দিতে চাইছে না পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলি। পাকিস্তানি নাগরিকদের সংখ্যা ক্রমে বেড়ে চলা নিয়েও সতর্কতা জারি করেছিল তারা। এমনকি, পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলি ইসলামাবাদকে চিঠি পাঠিয়ে নাগরিকদের ‘সহবত’ শেখানোর উপদেশও দিয়েছিল সে সময়। প্রবাসী পাকিস্তানিদের সচিব সেনেট কমিটিকে সে সময় জানিয়েছিলেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, সৌদি আরব, কাতার এবং কুয়েত চাইছে না, পাকিস্তানি কর্মীরা তাদের দেশে গিয়ে কাজ করুন।

    সমাজমাধ্যমে হাসির রোল

    সম্প্রতি প্রকাশিত এই তথ্য পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয় বিশ্বের দরবারে আবারও স্পষ্ট করে দিয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর সে দেশের জনগণেরই সমালোচনার মুখে পড়েছে পাক সরকার। হাসির রোলও উঠেছে সমাজমাধ্যমে। একজন টুইটার ব্যবহারকারী ব্যঙ্গ করে লেখেন, “পাকিস্তানি ভিখারি—ব্যর্থ জঙ্গি রাষ্ট্রের আসল বিজনেস মডেল। একজন আইএমএফ-এ ভিক্ষা করে, অন্যরা বিশ্বজুড়ে।” আরেকজন লেখেন, “পাকিস্তান অবশেষে স্বীকার করে নিয়েছে যে ২০২৪ সালেই ৫ হাজারের বেশি ভিখারিকে বিদেশ থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।” আরেকজন ব্যবহারকারী লেখেন, “পাকিস্তানে মাদ্রাসা ও জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থাকলেও, ভিক্ষুক তৈরির জন্য কোনও আনুষ্ঠানিক কোচিং সেন্টার নেই। তবুও দেশটি বিশ্বজুড়ে ‘ভিক্ষার জন্য’ পরিচিত।”

  • Pak Spy Jyoti Malhotra: দেশ-বিরোধী তথ্য পাচার, কীভাবে পাক এজেন্টদের সঙ্গে যোগ? জেরায় সব বলল জ্যোতি

    Pak Spy Jyoti Malhotra: দেশ-বিরোধী তথ্য পাচার, কীভাবে পাক এজেন্টদের সঙ্গে যোগ? জেরায় সব বলল জ্যোতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে ভারত-বিরোধী তথ্য পাচারের কথা স্বীকার করল জ্যোতি মালহোত্রা (Pak Spy Jyoti Malhotra)। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় জ্যোতি জানিয়েছে, পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার এজেন্টদের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। একইসঙ্গে পাকিস্তানের হাই কমিশনের আধিকারিক দানিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথাও স্বীকার করেছে সে। তবে দেশ-বিরোধী তথ্য পাচার করার জন্য সে অনুতপ্ত নয়, বলেও জানিয়েছে জ্যোতি। জিজ্ঞাসাবাদের সময় একেবারে ‘শান্ত’ থেকেছে সে। তার চোখে মুখে অনুশোচনার কোন ছাপ পর্যন্ত নেই বলেও জানিয়েছেন তদন্তকারী সংস্থার ঘনিষ্ঠ সূত্র।

    জ্যোতিকে জেরায় উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য

    পুলিশি জেরায় জ্যোতি (Pak Spy Jyoti Malhotra) জানিয়েছে, ‘ট্রাভেল উইথ জো’ নামে ইউটিউব চ্যানেল চালাচ্ছিল সে। ২০২৩ সালে পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য ভিসার প্রয়োজন পড়েছিল। সেই ভিসা জোগাড় করতেই পাকিস্তান হাই কমিশনে গিয়েছিল জ্যোতি। সে সময়ে দানিশ ওরফে এহসার দারের সঙ্গে আলাপ হয় তার। ভারত-পাক সংঘর্ষ পরিস্থিতিতে গত ১৩ মে দানিশকে পাক হাই কমিশন থেকে বহিষ্কার করে ভারত। জ্যোতি জানিয়েছে, দানিশের সাহায্যেই দু’বার পাকিস্তান ভ্রমণ করেছিল সে। সেখানে দানিশের পরিচিত আলি হাসান তার থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করেছিল। এই আলি হাসান জ্যোতিকে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার এজেন্টদের সঙ্গে আলাপ করাতে নিয়ে যায়। সেখানে শাকির এবং রানা শেহবাজের সঙ্গে পরিচয় হয় বলে স্বীকার করে জ্যোতি। শাকিরের নম্বর ‘জট রন্ধওয়া’ নামে সেভ করেছিল জ্যোতি। যাতে কোনওভাবেই কেউ তাকে সন্দেহ করতে না পারে। ভারতে আসার পর হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম এবং স্ন্যাপ চ্যাটে পাক গুপ্তচর এজেন্টদের সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগ করতে শুরু করে জ্যোতি। তবে গ্রেফতারির আশঙ্কায় জ্যোতি সমস্ত চ্যাট ডিলিট করে দেয়। সেই চ্যাটগুলি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে ভারতীয় তদন্তকারীরা। সেগুলি উদ্ধার হলে বিস্ফোরক তথ্য সামনে উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    কোনও অনুশোচনা নেই জ্যোতির

    অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অধীনে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে জ্যোতির (Pak Spy Jyoti Malhotra) বিরুদ্ধে। পাক এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ স্বীকারের পরও জ্যোতি তদন্তকারীদের বলে, “আমার কোনও অনুশোচনা নেই।” তদন্তের সাথে জড়িত একজন কর্মকর্তা বলেন, “জ্যোতি মনে করে সে কোনও ভুল করেননি। সে বিশ্বাস করে যে যা করেছে তা ন্যায্য।” তদন্তকারী আধিকারিকরা তদন্তে জানতে পেরেছে জ্যোতি তিনজন পাকিস্তানি গোয়েন্দা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ রেখেছিল। জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও কাণ্ডের সঙ্গে তার কোনরকমের যোগসূত্র রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এক সিনিয়র অফিসারের কথায়, “আমরা খতিয়ে দেখছি যে তার পহেলগাঁও ভ্রমণের সঙ্গে গুপ্তচরবৃত্তির কোনও যোগসূত্র ছিল কিনা অথবা সেই সময় কোনও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল বা অন্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল কিনা”। বর্তমানে জ্যোতি পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডে আছে। জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ), গোয়েন্দা ব্যুরো (আইবি) এবং হরিয়ানা পুলিশের একটি যৌথ দল তাকে জেরা করছে। তদন্তকারীরা আরও তথ্যের জন্য তার ইলেকট্রনিক ডিভাইস, আর্থিক লেনদেন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ট্রাভেল হিস্ট্রি খতিয়ে দেখেছেন। বৃহস্পতিবার হিসার আদালতে পেশ করা হবে জ্যোতি মালহোত্রাকে।

  • Amir Hamza: পাকভূমে আক্রান্ত লস্করের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আমির হামজা! গুরুতর অবস্থায় লাহোরের হাসপাতালে ভর্তি

    Amir Hamza: পাকভূমে আক্রান্ত লস্করের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আমির হামজা! গুরুতর অবস্থায় লাহোরের হাসপাতালে ভর্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুরুতর আহত অবস্থায় লাহোরের সামরিক হাসপাতালে ভর্তি লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar-e-Taiba) সহ প্রতিষ্ঠাতা আমির হামজা (Amir Hamza)। নিজের বাড়িতেই আক্রান্ত হয়েছে ভারতের হিটলিস্টে থাকা এই জঙ্গি। তবে কীভাবে হামজা আহত হল তা স্পষ্ট নয়। প্রথমে খবর আসে নিজের বাড়িতেই গুলিবিদ্ধ হয়েছে সে। পরে জানা যায়, ‘রহস্যজনক’ভাবে পড়ে গিয়েছে। তবে গুরুতর আহত হয়েছে হামজা। তিনদিন আগে পাকিস্তানের (Pakistan) সিন্ধ প্রদেশে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল লস্কর জঙ্গি আবু সইফুল্লা। এরপর আরও এক শীর্ষ লস্কর জঙ্গি আহত হওয়ায় রহস্য ঘনীভূত হতে শুরু করেছে।

    হাফিজ সইদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হামজা

    লস্কর প্রধান হাফিজ সঈদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হামজা (Amir Hamza)। যে ১৭ জন মিলে লস্করের প্রতিষ্ঠা করে, তাদের মধ্যে অন্যতম হামজা। সংগঠনের প্রধান আদর্শবাদী হিসেবেও দীর্ঘদিন দায়িত্ব সামলাচ্ছে। লস্করের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্যও ছিল একসময়। হাফিজের নির্দেশে অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রাখত হামজা। পাকিস্তানের (Pakistan) পঞ্জাব প্রদেশের গুজরানওয়ালা শহরের বাসিন্দা এই আমির হামজা। ২০১২ সালে একে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করে আমেরিকা। মার্কিন গোয়েন্দারা জানায়, লস্করের যে সেবা সংস্থা, তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিল হামজা। পাশাপাশি, লস্করের ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টেরও মাথায় ছিল সে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, লস্করের প্রচারিত পত্রিকাগুলির সম্পাদক হামজা নিজের বাড়িতেই মঙ্গলবার গুরুতর আহত হয়। এরপর আইএসআই-এর নিরাপত্তায় লাহোরের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে।

    কে এই হামজা

    আফগানিস্তান যুদ্ধে একসময় সশস্ত্র যোদ্ধার ভূমিকায় ছিল হামজা (Amir Hamza)। সেই সময় আফগান মুজাহিদিনের অংশ ছিল সে। সেখানে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে লড়াই করে হামজা। পরবর্তীতে হাফিজের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লস্করের প্রতিষ্ঠা করে। রিপোর্ট বলছে, ২০০০ সাল নাগাদ ভারতে ব্যাপকভাব সক্রিয় ছিল এই সন্ত্রাসবাদী। ২০০৫ সালে বেঙ্গালুরুতে জঙ্গি হামলায় সইফুল্লার সহযোগী ছিল হামজা। ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত লস্করের (Lashkar-e-Taiba) প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর দায়িত্ব ছিল এর উপর। ২০১৮ সালে লস্কর এবং জামাত-উদ-দাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারির পরই হাফিজের কথায় ‘জইশ-ই-মানকাফা’ নামে নতুন এক সংগঠন তৈরি করে হামজা। এই ঘটনায় অনেকের অনুমান ছিল, হয়ত লস্করে ভাঙন ধরেছে। যদিও পরে জানা যায় গোটাটাই ছিল মানুষের চোখে ধুলো দেওয়ার এক পন্থা।

  • Asim Munir: ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত আসিম মুনির, ফের স্বৈরতন্ত্রের পথে পাকিস্তান?

    Asim Munir: ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত আসিম মুনির, ফের স্বৈরতন্ত্রের পথে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত বিদ্বেষ ও পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি পাঠিয়ে ২৬টি নিরীহ প্রাণ কেড়ে নেওয়ার পুরস্কার! না কি পাকিস্তানে (Pakistan) ফের গণতন্ত্রের অবসান! অর্থনৈতিক সঙ্কটে জর্জরিত পাকিস্তান আবারও সামরিক শাসনের পথে? সেনাপ্রধান থেকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত হলেন আসিম মুনির (Asim Munir)। প্রয়াত প্রাক্তন সেনাশাসক আয়ুব খানের পর পাক সেনার দ্বিতীয় অফিসার হিসেবে মুনির ‘পাঁচ তারা জেনারেল’ পদ পেলেন। এই পদোন্নতি মূলত প্রতীকী। তবুও মুনিরকে এই পদে বসানোয় পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনা পাক মুলুকে অতীত সামরিক শাসনের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের ভঙ্গুর গণতন্ত্রে সেনাবাহিনীর আধিপত্য আরও সুদৃঢ় করতে পারে।

    কেন এই পদে মুনির

    মঙ্গলবার পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে (Asim Munir) ফিল্ড মর্শাল পদে বসালেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এটাই পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সামরিক পদ। বস্তুত, ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত হওয়ায় জল, স্থল এবং নৌ-তিন সেনারই নিয়ন্ত্রণ চলে এল মুনিরের হাতে। এমনিতে মুনির শাহবাজ শরিফের ঘনিষ্ঠ। ইমরান খানকে সরিয়ে শাহবাজ শরিফকে পাক প্রধানমন্ত্রীর মসনদে বসানোর নেপথ্যেও এই মুনিরের হাত রয়েছে বলে শোনা যায়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে ‘সফলভাবে’ নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মুনিরের পদোন্নতি হয়েছে। ভারতের সঙ্গে সংঘাতে সেনাপ্রধান হিসাবে তাঁর ‘অনুকরণীয় ভূমিকা’ পালনের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে শরিফ মন্ত্রিসভা। উল্লেখযোগ্যভাবে, পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংঘাতে জয়ের দাবি করলেও, ভারত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মঞ্চে প্রমাণ-সহ ইসলামাবাদের মিথ্যাচার ফাঁস করেছে।

    ইতিহাসের ছায়া, আয়ুব খান ও সামরিক শাসনের শুরু

    ১৯৫৯ সালে যখন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল আয়ুব খান নিজেকে ফিল্ড মার্শাল ঘোষণা করেন, তখন পাকিস্তান প্রবেশ করেছিল সামরিক শাসনের এক নতুন অধ্যায়ে। মাত্র এক দশকেই দেশটির সাতজন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন, কেউই পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। ১৯৫৮ সালে রাষ্ট্রপতি ইস্কান্দার মির্জা সংসদ ভেঙে মার্শাল ল’ ঘোষণা করেন এবং আয়ুব খানকে চিফ মার্শাল ল’ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে নিযুক্ত করেন। কিন্তু খুব অল্প সময়েই আয়ুব খান তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নিজেই রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেন। আয়ুবের ‘ফিল্ড মার্শাল’ উপাধি গ্রহণ ছিল কৌশলগত—তিনি চেয়েছিলেন সামরিক ও অসামরিক উভয় নেতৃত্বের ঊর্ধ্বে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতে। তাঁর শাসনকাল (১৯৫৮-১৯৬৯) ছিল কঠোর নিয়ন্ত্রণ, গণমাধ্যমের উপর সেন্সরশিপ এবং একটি স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি।

    বর্তমান প্রেক্ষাপট, আসিম মুনির ও আঞ্চলিক উত্তেজনা

    ২০২৫ সালে আসিম মুনিরের (Asim Munir) এই পদোন্নতি এসেছে এক জটিল পরিস্থিতিতে। সম্প্রতি পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটিগুলি শেষ করার জন্য ভারত শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুর’। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে ভারত তাদের বিমান ঘাঁটি ও সামরিক পোস্টগুলিতে হামলা চালায়। এই পরিস্থিতিতে ভারত-বিরোধী পাক জেনারেল মুনির, জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সহানুভূতি দেখান। তিনি সম্প্রতি ‘দুই জাতি তত্ত্ব’ উল্লেখ করে ভারতের প্রতি কড়া বার্তা দেন। ফিল্ড মার্শালের পদ, যদিও এখন আর কার্যকরী সেনা পদ নয়, তবে এর প্রতীকী ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক। অনেকেই বলছেন, এটি সেনাবাহিনীর আরও কর্তৃত্ব প্রদর্শনের সংকেত। যা পাকিস্তানের গণতন্ত্রকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারে।

    বিচারবিভাগীয় ক্ষমতা

    পহেলগাঁও হামলার পরই অবশ্য বিভিন্নভাবে মুনিরের ক্ষমতা বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত ৯ মে সেনাপ্রধানের হাত শক্ত করতে একটি তাৎপর্যপূর্ণ রায় দেয় পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। জানিয়ে দেওয়া হয়, এবার থেকে সেনা আদালতে সাধারণ নাগরিকদের মামলারও শুনানি করা যাবে। যার অর্থ, দেশের বিচারব্যবস্থা এবং সামরিক শক্তি পুরোটাই এখন মুনিরের হাতে।

    রাজনৈতিক ও প্রতীকী তাৎপর্য

    পাকিস্তানের (Pakistan) রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনীর প্রভাবাধীন। পাক সরকার, বিশেষ করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, প্রায়শই সামরিক চাপের মুখে পড়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে মুনিরের পদোন্নতি অনেককেই ভাবিয়ে তুলেছে। পাকিস্তানের বিরোধী দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, “এটা একটি বিপজ্জনক বার্তা। ‘ফিল্ড মার্শাল’ কেবল একটি পদ নয়—এটা অবারিত ক্ষমতার প্রতীক। পাকিস্তান আরেকটি স্বৈরাচারী অধ্যায় সহ্য করতে পারবে না।” পহেলগাঁও হামলার পর শুরু হওয়া সংঘর্ষ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম বড় আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মুনিরের পদোন্নতি ও তাঁর কট্টর অবস্থান এই উত্তেজনাকে আরও উস্কে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। জেনারেল আসিম মুনিরের ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদোন্নতি পাকিস্তানের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁক। আয়ুব খানের মতো, তাঁর পদোন্নতি এমন এক সময় এসেছে যখন দেশ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক সংকটে রয়েছে।

  • ISI Spy: ভারতীয় গোয়েন্দাদের ওপর নজরদারি চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আইএসআইয়ের চর জ্যোতিকে!

    ISI Spy: ভারতীয় গোয়েন্দাদের ওপর নজরদারি চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আইএসআইয়ের চর জ্যোতিকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে চর (ISI Spy) জ্যোতি মালহোত্রর (Jyoti Malhotra) সম্পর্ক ছিল, তা আগেই জানিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এবার উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভারতীয় গোয়েন্দাদের চিহ্নিত করতে ও তাদের ওপর নজরদারি করতে ভারতীয় ইউটিউবার জ্যোতিকে ব্যবহার করেছিল আইএসআই। হরিয়ানার ওই ইউটিউবার রয়েছে পুলিশি হেফাজতে। তাকে জেরা করেই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। আইএসআইয়ের সঙ্গে জ্যোতির করা সব হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তাদের হাতে এসেছে। প্রতিটিতে একটি করে কোড ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করা হয়েছে। আরএসআইয়ের এক এজেন্ট জ্যোতিকে নির্দেশ দেয়, ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে ঢোকার সময় সে যদি কোনও ভারতীয় গুপ্তচরকে বিশেষ কোনও দায়িত্ব নিতে দেখে, তা যেন তাকে জানায়। আপাতত এই চ্যাটের মাধ্যমেই জ্যোতির আসল সত্যিটা খোঁজার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

    জ্যোতি ও আলি হাসান (ISI Spy)

    সূত্রের খবর, জ্যোতি এবং আলি হাসান নামে একজন আইএসআই চরের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। সেখানে সাংকেতিক ভাষায় দু’জনের কথাবার্তা হয়েছে। আলি জ্যোতিকে জিজ্ঞেস করে, আটারি সীমান্তে জ্যোতি কোনও ভারতীয় এজেন্টকে বিশেষ প্রোটোকল পেতে দেখেছে কিনা। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, গোটা চ্যাটে ‘প্রোটোকল’ এবং ‘আন্ডারকভার এজেন্ট’ এই দুই শব্দের ব্যবহার হয়েছে একাধিকবার। এ থেকেই গোয়েন্দাদের ধারণা, জ্যোতিকে ভারতীয় এজেন্টদের তথ্য সংগ্রহের কাজে ব্যবহার করাত আইএসআই।

    ষড়যন্ত্র ফাঁস

    জ্যোতির গ্রেফতারের মাধ্যমে আইএসআইয়ের একটি বড় মডিউলের সঙ্গে জড়িত একটি ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়েছে। দেখা গিয়েছে, কীভাবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভারতে একটি গুপ্তচর (ISI Spy) নেটওয়ার্ক পরিচালনা করা হচ্ছিল। তদন্তে জানা গিয়েছে, জ্যোতি পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত পর্যন্ত যোগাযোগ স্থাপন করেছিল। এই অঞ্চলটি জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য বিখ্যাত। এই অঞ্চলে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সীমিত।

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, আইএসআই একটি পরিকল্পিত মডিউল তৈরি করে এমন ব্যক্তিদের নিয়োগ করেছে, যাদের সামাজিক মাধ্যমে প্রচুর প্রভাব রয়েছে। শুধু গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করাই নয়, পাকিস্তানের ইতিবাচক ভাবমূর্তি প্রচারের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল জ্যোতিদের। প্রসঙ্গত, জ্যোতির (Jyoti Malhotra) ইউটিউবে প্রায় ৪ লাখ সাবস্ক্রাইবার ও ইনস্টাগ্রামে ১ লাখ ৩২ হাজার ফলোয়ার রয়েছে (ISI Spy)।

  • Pahalgam: বিশ্বমঞ্চে ভারতের বক্তব্য তুলে ধরতে প্রয়োজন শক্তিশালী সরকারি প্রচার মাধ্যমের, উঠছে দাবি

    Pahalgam: বিশ্বমঞ্চে ভারতের বক্তব্য তুলে ধরতে প্রয়োজন শক্তিশালী সরকারি প্রচার মাধ্যমের, উঠছে দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এটাই সেই মোক্ষম সময়! এখন ভারত (India) একটি গ্লোবাল সরকারি প্রচার মাধ্যমে বিনিয়োগ করে তার সফট পাওয়ার ঘাটতিকে বিশ্ব প্রভাবের এক মজবুত ভিত্তিতে রূপান্তর করতে পারে। এটা করা হলে ভারতের কণ্ঠস্বর (Pahalgam) প্রতিধ্বনিত হত এশিয়া মহাদেশজুড়ে।

    ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা (Pahalgam)

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার প্রেক্ষিতে গত ৭ মে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংসে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। নয়াদিল্লির এই কৌশলগত সামরিক অভিযান সফল হয়। শুধু তাই নয়, এটি চিহ্নিত হয় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি ঐতিহাসিক জয় হিসেবে। যাদের আশ্রয় এবং প্রশ্রয়ে পশ্চিম আকাশে সন্ত্রাসবাদের কালো মেঘ জমা হয়, অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হয়েছে তাদেরও।

    ভারতের এই বিজয়গাথা পৌঁছে দেওয়া যায়নি তামাম বিশ্বে

    ভারতের এই বিজয়গাথা পৌঁছে দেওয়া যায়নি তামাম বিশ্বে। সমরাঙ্গনে ভারতীয় বাহিনী জয়ী হলেও, পাকিস্তানের নিরবচ্ছিন্ন প্রচারযুদ্ধ এবং পশ্চিমি গণমাধ্যমগুলির পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি সত্যকে বোতলবন্দি করে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরে একটি বিকৃত চিত্র। এই জন্যই ভারতের অবশ্যই প্রয়োজন একটি রাষ্ট্র-সমর্থিত শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সম্প্রচার মাধ্যম গড়ে তোলা। এই মাধ্যমে ভারত তার কণ্ঠস্বর পৌঁছে দেবে বিশ্ববাসীর দরবারে। এটি চালু হলে শত্রুপক্ষকে টক্কর দেওয়া যাবে সমানতালে। অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় সৈন্য যে বিক্রম দেখিয়েছে, তা আদৌও প্রচার করেনি বিবিসির মতো প্রচারমাধ্যমগুলিও। বরং তারা পাকিস্তানের ভিত্তিহীন বক্তব্যকে তুলে ধরেছে অতিরঞ্জিতভাবে।

    মিথ্যা খবর প্রচার!   

    ভারতের সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের সামরিক কাঠামো ও জঙ্গিঘাঁটির ওপর পরিচালিত নির্দিষ্ট হামলার চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ-সহ সুস্পষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করলেও, অনেক সংবাদমাধ্যম কোনও কিছু বিচার-বিবেচনা না করেই এই সংঘাতকে “অচলাবস্থা” হিসেবে উপস্থাপন করেছে এবং একতরফাভাবে “উভয় পক্ষই দোষী”— এই সরলীকরণ করে ফেলেছে (Pahalgam)। আল জাজিরার কথাই ধরা যাক। এই সংবাদ মাধ্যমটি মিথ্যাভাবে এক ভারতীয় মহিলা পাইলটের গ্রেফতারের খবর প্রকাশ করে (India)। পরে অবশ্য দুই দেশের কর্তারাই ঘটনাটিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন। এর পাশাপাশি মিডল ইস্ট আই এমন কিছু যাচাই না করা ভিডিও প্রচার করে যাতে দাবি করা হয় ভারত নিজেই উদ্যোগী হয়ে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা চেয়েছে — যা একেবারেই ভিত্তিহীন। ঘটনা হল, পাকিস্তান নিজেই চুপ করে থেকেছে ভারতের ওই দাবির পর, যেখানে নয়াদিল্লি জানিয়েছিল পাকিস্তানই ব্যাপক ক্ষতির পর যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানিয়েছে।

    ভারতের কৌশলগত সাফল্য তুলে ধরা হয়নি

    পশ্চিমি গণমাধ্যমগুলি পাকিস্তানের “পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে” এমন দাবি যাচাই না করেই একতরফাভাবে প্রচার করেছে। সিএনএন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফরাসি কর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে একটি যুদ্ধবিমানের ক্ষতির কথা বলেছে, আর দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট তো এসব সন্দেহজনক দাবির ভিত্তিতে পাকিস্তানের “নিঃসন্দেহ বিজয়” ঘোষণা করেছে। অতিরঞ্জিত প্রশংসা করেছে চিনা ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির। এইসব প্রতিবেদনে ভারতের কৌশলগত সাফল্য, যেমন নৌবাহিনীর করাচির ওপর চাপ সৃষ্টি করে পাকিস্তানকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করা — এসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা উপেক্ষিত থেকে গিয়েছে (Pahalgam)।

    প্রতিবেদনে পক্ষপাতিত্ব

    এই পক্ষপাতিত্ব আরও প্রকট হয়ে ওঠে যখন অনেক সংবাদমাধ্যম ভারত ও পাকিস্তানকে সমান দায়ী হিসেবে তুলে ধরেছে বিশ্বমঞ্চে। তারা ভারতকে একই বন্ধনীভুক্ত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানও, যারা জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির আশ্রয়দাতা হিসেবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমালোচনার মুখে পড়েছে একাধিকবার (India)। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সন্ত্রাসে জড়িত থাকার কথা কবুল কিংবা পাকিস্তানের দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থা — যা একটি অনেক বেশি শক্তিশালী দেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী সংঘর্ষে তাকে আরও বেশি দুর্বল করে তোলে — এসব বিষয় খুব কম প্রতিবেদনেই উল্লেখ করা হয়েছে।

    চিনের মিথ্যা প্রচার

    এদিকে, চিনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমগুলি জে-১০সি যুদ্ধবিমানের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে, দাবি করেছে এটি ভারতের রাফালের চেয়ে উন্নত— এমন একটি বিভ্রান্তিকর প্রচার, যেটি দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস ও রয়টার্সের মতো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলিতেও প্রতিধ্বনিত হয়েছে। সংবাদমাধ্যমগুলির এই ভ্রান্ত প্রচার শুধুমাত্র জনমতকেই প্রভাবিত করেনি, শেয়ার বাজারেও প্রভাব ফেলেছে। চিনের জে-১০ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বেড়েছে ৩৬ শতাংশ, আর রাফালের শেয়ার কমেছে ৫ শতাংশ (Pahalgam)। যদিও, পরবর্তীকালে, সত্য প্রকাশ পেতেই চিনা সংস্থার শেয়ার জোর ধাক্কা খায়। সেখানে রাফালের শেয়ার দর আবার দ্রুত উঠতে শুরু করে।

    ভারতের রাষ্ট্রীয় আন্তর্জাতিক সম্প্রচারমাধ্যমের লক্ষ্য

    একতরফা সাংবাদিকতা না হলে পাকিস্তানের অবাস্তব দাবিগুলিকে — যেমন ভারতের প্রমাণিত আঘাতের বিরুদ্ধে তাদের প্রমাণবিহীন “জয়ে”র দাবি বিচার করে প্রকাশ করত। তামাম বিশ্বকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিত, কোনটা সত্য, মিথ্যাই বা কোনটা (India)।ভারতের রাষ্ট্রীয় আন্তর্জাতিক সম্প্রচারমাধ্যমের লক্ষ্য হওয়া উচিত একটি বিশ্বাসযোগ্য, কর্তৃত্বপূর্ণ এবং সংস্কৃতিমূলকভাবে প্রাসঙ্গিক কণ্ঠস্বর হিসেবে বিশ্বমঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা। এর মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত পহেলগাঁও হামলার মতো সঙ্কটকালে ভ্রান্ত তথ্যের মোকাবিলা করা, কৌশলগত স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, এবং ভারতের সভ্যতাগত ভাবধারাকে বিশ্বে তুলে ধরা। এটি প্রসার ভারতীর সম্প্রসারিত কাঠামোর অধীনে পরিচালিত হতে পারে (India)। তবে এটি একটি আইনত স্বায়ত্তশাসিত সত্তা হিসেবে কাজ করবে যাতে সরাসরি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ সীমিত থাকে (Pahalgam)।

  • Terror Funding: প্রবাসী বাঙালিদের মাধ্যমে বিদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে টাকা পাঠাচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলি! রহস্য ফাঁস গোয়েন্দাদের

    Terror Funding: প্রবাসী বাঙালিদের মাধ্যমে বিদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে টাকা পাঠাচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলি! রহস্য ফাঁস গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপার বাংলায় তুষ্টিকরণের রাজনীতি, আর ওপার বাংলায় অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নৈরাজ্য – এই জোড়া যোগে রমরমা জঙ্গিদের (Terror Funding)। ডামাডোলের বাজারে সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়ছে জঙ্গিরা (Jihadist Outfits)। তারপর মিশে যাচ্ছে এ রাজ্যের জনারণ্যে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের আমলে এ রাজ্যে বাড়ছে জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনা। এই জঙ্গিদের রসদ জোগাচ্ছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলি। প্রশ্ন হল, কীভাবে? সাধারণত প্রচলিত ব্যাঙ্কিং চ্যানেলের মাধ্যমে হঠাৎ করে বড় অঙ্কের টাকা পাঠানো হলে তা সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত হয়। সেই কারণে জঙ্গিরা পশ্চিমবঙ্গের প্রবাসীদের মাধ্যমে ৫ কিংবা ১০ হাজার করে টাকা পাঠাচ্ছিল। এই জঙ্গি সংগঠনগুলি মূলত মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় কর্মরত পশ্চিমবঙ্গের প্রবাসীদের মাধ্যমে টাকা পাঠাচ্ছিল পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে জঙ্গি মডিউলে কাজে লাগাতে। জঙ্গিদের এই কৌশলটি প্রকাশ্যে আসে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) দ্বারা আর একটি ইসলামপন্থী জঙ্গি মডিউল ধ্বংস করার মাধ্যমে। ৯ মে এসটিএফ বীরভূমের নলহাটি থেকে মডিউলটির প্রধান বছর আঠাশের আজমল হোসেনকে গ্রেফতার করে। ওই দিনই মুরারই থেকে গ্রেফতার করা হয় তারই সমবয়সি মডিউলের আর এক শীর্ষ সদস্য সাহেব আলি খানকে। ১০ মে কলকাতার ডায়মন্ড হারবারের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা মডিউলের আর এক সদস্য বছর পঁচিশের আব্বাসউদ্দিন মোল্লাকে।

    জঙ্গি মডিউলে মোটা অঙ্কের টাকা (Terror Funding)

    এসটিএফের সিনিয়র কর্তারা টানা জেরা করেন ওই জঙ্গিদের। তখনই জানা যায়, মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, দুই বর্ধমান এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দারা যাঁরা মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় সাধারণ শ্রমিকের কাজ করেন, তাঁদের মাধ্যমে এই জঙ্গি মডিউলে মোটা অঙ্কের টাকা পাঠানো হচ্ছিল। এসটিএফ সমস্ত তথ্য শেয়ার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সঙ্গে। আইবি-র (ইনটেলিজেন্স ব্যুরো) এক শীর্ষ কর্তা সংবাদ মাধ্যমে বলেন, “প্রবাসীদের মাধ্যমে জঙ্গিদের অর্থ পাঠানোর পদ্ধতি একটি নয়া প্রবণতা। এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলি এই পদ্ধতিতে অর্থ পাঠাচ্ছে কারণ হাওলা লেনদেনের ওপর নজরদারি অনেক বেড়েছে। হাওলার মাধ্যমে টাকা পাঠানো এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই তারা এই নতুন পথ বেছে নিয়েছে।”

    কী বলছেন আইবি কর্তা?

    তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ থেকে হাজার হাজার মানুষ বিদেশে কাজ করেন। তাঁদের পাঠানো টাকার ওপর নজরদারি করা আমাদের সংগঠনগত সম্পদের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করবে।”  গোয়েন্দাদের অনুমান, কয়েকশোরও বেশি প্রবাসীকে ব্যবহার করে নিয়মিতভাবে এমন ছোট ছোট অঙ্কের অর্থ পশ্চিমবঙ্গের ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে (Jihadist Outfits) পাঠানো হচ্ছিল। আইবির ওই কর্তা বলেন, “উদ্বেগের বিষয় হল — এই প্রবাসীরা, যাঁরা তাঁদের অ্যাকাউন্ট সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির টাকা লেনদেনের জন্য ব্যবহার করতে দিয়েছেন, তাঁরা সেই সংগঠনের সঙ্গেই যুক্ত হয়ে গিয়েছেন। এর মানে তাঁরা চরমপন্থায় প্রভাবিত হয়েছেন এবং স্বেচ্ছায় সন্ত্রাসবাদে সহায়ক হয়ে উঠেছেন (Terror Funding)।”

    ধৃতেরা জেএমবির নির্দেশে কাজ করছিল!

    গত সপ্তাহে যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) নির্দেশে একটি জঙ্গি মডিউল গঠন করেছিল। জেএমবির সঙ্গে ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এই মডিউলের প্রধান আজমল হোসেন বছর ছয়েক আগে বাংলায় জেএমবির সদস্যদের দ্বারা চরমপন্থায় দীক্ষিত হয় এবং তারাই তাকে নিয়োগ করে। ২০২২ সালের কোনও এক সময় তাকে একটি পৃথক জঙ্গি মডিউল গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। হোসেনকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি)-এর কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এটি বাংলাদেশভিত্তিক একটি জঙ্গি সংগঠন, যারা অসম, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং ভারতের আরও অনেক রাজ্যে স্লিপার সেলের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। এই এবিটির সঙ্গে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার (LeT) সম্পর্ক রয়েছে। হোসেন ও খান লস্কর-ই-তৈবার কাছ থেকেই আগ্নেয়াস্ত্র চালানো এবং ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (IED) তৈরির প্রশিক্ষণ পেয়েছে।

    আজমল হোসেনের হ্যান্ডলার

    এক আইবি কর্তা বলেন, “আজমল হোসেনের এক হ্যান্ডলার রয়েছে। সে রয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK)। ওই হ্যান্ডলার নিয়মিতভাবে তাকে নির্দেশ পাঠাত। বছর দুই আগে পর্যন্ত এই হ্যান্ডলার হাওলা পদ্ধতিতে তাকে বড় অঙ্কের টাকা পাঠাত। কিন্তু ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কড়া নজরদারির কারণে সম্ভবত সেই পথটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “মোল্লা সম্প্রতি তার পাকিস্তানি হ্যান্ডলারের কাছ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করার নির্দেশ পেয়েছে। এর বিনিময়ে তাকে বড় অঙ্কের অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় (Terror Funding)।”

    আজমলের দায়িত্ব

    এসটিএফ সূত্রে খবর, আজমল হোসেনকে বীরভূম, মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং দুই ২৪ পরগনার বিভিন্ন জেলায় সমর্থক ও সদস্যদের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এসটিএফের এক কর্তা বলেন, “তাকে (আজমল) স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কীভাবে একটি জঙ্গি মডিউল গঠন করতে হবে এবং কীভাবে প্রতিটি স্লিপার সেল গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটিতে ২-৩ জন কট্টরপন্থী ইসলামপন্থী থাকবে। এরা ছড়িয়ে থাকবে দক্ষিণবঙ্গ, অসম এবং ত্রিপুরাজুড়ে। তাদের বলা হয়েছিল মুসলিম যুবক ও কিশোরদের মৌলবাদে উদ্বুদ্ধ করতেও। কীভাবে তরুণ মুসলিমদের (Jihadist Outfits) র‍্যাডিকালাইজ করা যায়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।” এসটিএফের এক কর্তার মতে, প্রথম ধাপ ছিল দুর্বল কিশোর ও তরুণদের শনাক্ত করা। পরে তাদের মগজ ধোলাই করা হয়। তারা যাতে ভারতীয় মুসলিমদের ওপর নিপীড়নের মিথ্যে কথা প্রচার করে, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, আজমল হোসেন ও তার শাগরেদরা মালদা ও মুর্শিদাবাদে ধর্মীয় মেহফিলের আয়োজন করছিল, যার মাধ্যমে তারা মৌলবাদী ইসলাম প্রচার করত।

    এসটিএফের কর্তার বক্তব্য

    এসটিএফের এক কর্তা বলেন, “সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই তরুণদের উগ্রপন্থার পথে পরিচালিত করা হয় এবং তারপর তাদের মধ্যে দেশদ্রোহী ও জেহাদি সাহিত্য বিলি করার পর দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়। তাদের মধ্যে প্রচুর জেহাদি মতাদর্শ ঢোকানো হয় এবং মগজধোলাই করে জেহাদি বানানো হয়, তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে জেএমবি বা এবিটিতে নিয়োগ করা হয়। এই সদস্যদের সঙ্গে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী (Jihadist Outfits) সংগঠন এবং আইএসআইয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।”  তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড সীমান্তের কাছাকাছি একটি নিরাপদ জায়গা বেছে নেওয়া হয়েছিল, যেখানে পশ্চিমবঙ্গ ও অসম থেকে আসা নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আমরা যখন এই মডিউলটি ভেঙে দিই, তখন অস্ত্র সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছিল (Terror Funding)।”

    পলাতক স্লিপার সেলের অধিকাংশ সদস্য

    নয়া জঙ্গি মডিউলের তিন শীর্ষ সদস্য গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই পালিয়ে গিয়েছে স্লিপার সেলের অধিকাংশ সদস্য ও নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা। আইবির ওই কর্তা বলেন, “তাদের খুঁজে বের করতে কিছুটা সময় লাগবে। আরও একটি গুরুতর বিষয় হল — বাংলা থেকে প্রবাসীদের জঙ্গি নেটওয়ার্কে সহযোগী হিসেবে নিয়োগ করা। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব রয়েছে। আমাদের এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার সরকারের সঙ্গে। তারপর ওই ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে এনে (Jihadist Outfits) বিচার প্রক্রিয়ার আওতায় আনতে হবে (Terror Funding)।”

  • Operation Sindoor: ‘‘লুকোতে হলে ওদের…’’, পাকিস্তানের সর্বত্র আঘাত হানতে পারে ভারত, বললেন সেনাকর্তা

    Operation Sindoor: ‘‘লুকোতে হলে ওদের…’’, পাকিস্তানের সর্বত্র আঘাত হানতে পারে ভারত, বললেন সেনাকর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘সমগ্র পাকিস্তানে আঘাত করার ক্ষমতা ভারতের রয়েছে। পাকিস্তান যদি তাদের সেনাঘাঁটি রাওয়ালপিন্ডি (Operation Sindoor) থেকে স্থানান্তর করে, তাহলে ওদের লুকোনোর জন্য অনেক বড় গর্ত খুঁজে বের করতে হবে।’’ পাকিস্তানকে এভাবেই কড়া আক্রমণ করলেন বিআর্মি এয়ার ডিফেন্সের ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুমের ইভান।

    পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে হামলা চালানোর জন্য যথেষ্ট পর্যাপ্ত অস্ত্র রয়েছে ভারতের

    সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথাই বলেন তিনি। সুমের ইভান আরও জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে হামলা চালানোর জন্য যথেষ্ট পর্যাপ্ত অস্ত্র রয়েছে ভারতের। পুরো পাকিস্তানই ভারতের মিসাইল রেঞ্জের মধ্যে পড়ে বলে তিনি জানিয়েছেন। একেবারে রাওয়ালপিন্ডি থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ (Operation Sindoor) পর্যন্ত যেখানেই খুশি যেতে পারে কিন্তু সর্বত্রই ভারতের মিসাইল তাদের তাড়া করবে।

    ভারতের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

    ভারত (India) পাকিস্তানের সাম্প্রতিক উত্তেজনার আবহে দিল্লি পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। প্রতিটিই ধ্বংস করে দেয়। সম্প্রতি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং তাঁর এক ভাষণে উল্লেখ করেন যে, রাওয়ালপিন্ডি পর্যন্ত ভারতীয় সেনার গর্জন শোনা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এই অভিযানের ভারত (India) দূরপাল্লার বিভিন্ন ড্রোন এবং মিসাইল ব্যবহার করে। বিমান প্রতিরক্ষা বিভাগের মহানির্দেশক লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুমের ইভান জানিয়েছেন, পাকিস্তান চারদিনে পশ্চিম সীমান্তে ৮০০ থেকে ১০০০ ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। কিন্তু ভারতের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (Operation Sindoor) তা সফলভাবে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। পাকিস্তান মানববিহীন যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছিল এবং তাদের উদ্দেশ্য ছিল দেশের নিরীহ নাগরিকদেরকে হত্যা করা। কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। প্রসঙ্গত, বাইশে এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ২৬ জনকে হত্যা করে। যার মধ্যে ২৫ জন ছিলেন হিন্দু পর্যটক। তাঁদেরকে ধর্ম বেছে বেছে হত্যা করা হয়। হিন্দু হওয়ার অপরাধে তাঁদেরকে হত্যা করা হয়। গত ৭ মে মধ্যরাতে পাকিস্তানের ওপর অপারেশন সিঁদুর-এর মাধ্যমে প্রত্যাঘাত করে ভারত।

  • India Pakistan Conflicts: ‘‘রানাকে টেনে এনেছি, হাফিজ সঈদকেও…’’, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের

    India Pakistan Conflicts: ‘‘রানাকে টেনে এনেছি, হাফিজ সঈদকেও…’’, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসের সঙ্গে আপস নয়। পথ একটাই। তা হল হাফিজ সঈদদের ভারতের হাতে তুলে দেওয়া। আমেরিকা যেভাবে ২৬/১১ মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত তাহাউর হুসেন রানাকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে, পাকিস্তানকেও তেমনভাবে দোষীদের হস্তান্তর করতে হবে। তবেই সীমান্ত সমস্যার সমাধান সূত্র বেরোতে পারে। সোমবার ইজরায়েলের এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই বললেন সেদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত জেপি সিং (Indian Diplomat JP Singh)। তাঁর কথায়, “অপারেশন সিঁদুর স্থগিত হয়েছে, বন্ধ নয়। সন্ত্রাসবাদীরা পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ধর্ম পরিচয় জেনে তাদের হত্যা করেছিল। তাই ভারতও পাকিস্তানের (India Pakistan Conflicts) গোটা জঙ্গি পরিকাঠামোটাই ভেঙে দিয়েছে।”

    অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি

    সংঘর্ষ বিরতির (India Pakistan Conflicts) প্রসঙ্গ তুলে জেপি সিং জানান, অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি। তাঁর সংযোজন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলতে থাকবে। ভারত একটা নিউ নর্ম্যাল আবহ তৈরি করেছে। যা শুধুমাত্র আক্রমণাত্মক কৌশলেই বিশ্বাসী। সন্ত্রাসবাদীরা যেখানে নিজেদের পরিকাঠামো গড়ে তুলবে। আমরা সেখানে ঢুকে তা ভেঙে আসব।” ওয়াকিবহাল মহল বলে, ভারতে সন্ত্রাসের শুরুটা লস্করদের হাত ধরেই। বর্তমানে ওদের মাথায় বসে আছে জঙ্গিনেতা হাফিজ সঈদ। এই সন্ত্রাসবাদীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিক অভিযোগ থাকলেও, পাকিস্তান কোনও ভাবে একে হাতছাড়া করে না। ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেপি সিং বলেন, “পাকিস্তান আমাদের হাতে হাফিজ সঈদ, সাজিদ মীর ও জাকিউর রহমানদের তুলে দিক। ঠিক যেমন ভাবে আমরা তাহাউর রানাকে টেনে এনেছি।”

    পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ করা হয় না

    অপারেশন সিঁদুর যে জৈশ-প্রধান মাসুদ আজহারকে একেবারে নাজেহাল করে দিয়েছে, সেই খবর ইতিমধ্যেই জেনে গিয়েছে গোটা বিশ্ববাসী। ৭ মে ভারতীয় সেনার চালানো অভিযানে রাতারাতি ‘অনাথ’ হয়ে যায় মাসুদ। ভারতের প্রত্যাঘাতে শেষ হয়ে যায় তার গোটা পরিবার। এদিন আবারও ইজরায়েলে ভারতের রাষ্ট্রদূত জেপি সিং (Indian Diplomat JP Singh) স্পষ্ট করে দেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন। সীমান্তের ওপার থেকে কোনও সন্ত্রাস মেনে নেওয়া হবে না।” পহেলগাঁও নিয়ে পাকিস্তানের (India Pakistan Conflicts) তদন্তের ডাক দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মুম্বই, পাঠানকোট, পুলওয়ামা হামলার প্রেক্ষিতেও ভারতের তরফে পর্যাপ্ত তথ্য, প্রমাণ দেওয়া হলেও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।”

    আমরা জল প্রবাহ করেছি, ওরা রক্ত

    পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির নূর খান ঘাঁটিতে ভারতের ১০ মে-র হামলাকে ‘গেম চেঞ্জার’ বলে আখ্যা দেন জেপি সিং। তিনি বলেন, এর ফলে ইসলামাবাদে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই পাকিস্তানের ডিজিএমও ভারতীয় ডিজিএমও-র সঙ্গে যোগাযোগ করে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানান। সিন্ধু জলচুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই চুক্তির মূল ভিত্তিই ছিল সদিচ্ছা ও বন্ধুত্ব। কিন্তু পাকিস্তান সেই নীতি মানেনি। আমরা জল প্রবাহ করেছি, ওরা রক্ত।” তিনি জানান, জনগণের মধ্যে পাকিস্তান-ঘনিষ্ঠ সন্ত্রাসবাদে ক্ষোভ থেকেই জলচুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। তাঁর কথায়, “ এক আইডব্লুটি (Indus Waters Treaty) এখন স্থগিত, তবে আরেক আইডব্লুটি চালু আছে—India’s War on Terrorism।” আন্তর্জাতিক স্তরে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জোট গঠনের ডাক দেন জেপি সিং। তিনি বলেন, “ভারত ও ইজরায়েলের মতো দেশগুলির উচিত একজোট হয়ে সন্ত্রাসবাদ এবং যারা তাকে সমর্থন করে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থান নেওয়া।”

LinkedIn
Share