Tag: PM Modi

PM Modi

  • Tata Group: টাটা গোষ্ঠীর মূলধন পাকিস্তানের মোট অর্থনীতির চেয়েও বেশি!

    Tata Group: টাটা গোষ্ঠীর মূলধন পাকিস্তানের মোট অর্থনীতির চেয়েও বেশি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাটা গোষ্ঠীর (Tata Group) মোট মূলধন ভারতের পড়শি দেশ পাকিস্তানের অর্থনীতির চেয়েও বেশি। ইকনমিক টাইমসের রিপোর্টেই জানা গিয়েছে এই তথ্য। এই গোষ্ঠীর মূলধন ৩৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ৩০.৩ লক্ষ কোটি টাকার সমান। এদিকে, পাকিস্তানের জিডিপির পরিমাণ প্রায় ৩৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অঙ্কের হিসেবে ২৮.২ লাখ কোটি টাকার সমান। আর ভারতের জিপিডির পরিমাণ ৩.৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা পাকিস্তানের তুলনায় ১১ গুণ বেশি। বর্তমানে বিশ্বের অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশগুলির মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। প্রথম চারে রয়েছে যথাক্রমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন, জার্মানি ও জাপান।

    আরও পড়ুুন: ‘পাকিস্তানের মতো অবস্থা বাংলার মহিলাদের’, সন্দেশখালি নিয়ে মমতাকে আক্রমণ লকেটের

    একা টিসিএস-ই পাকিস্তানের অর্থনীতির অর্ধেক!

    টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস। সংক্ষেপে, টিসিএস (TCS)।  টিসিএস টাটা গ্রুপেরই (Tata Group)। এটা যে কেবল ভারতের বৃহত্তম আইটি কোম্পানি তাই নয়, এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কোম্পানিও। এর আগে রয়েছে কেবল রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। ইকনমিক টাইমসের ওই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, কেবল টিসিএসের মূলধনই প্রায় ১৫ লাখ কোটি টাকা। মার্কিন ডলারের নিরিখে দাঁড়ায় ১৭০ বিলিয়ন। এই পরিমাণটি হল পাকিস্তানের অর্থনীতির অর্ধেক। এমনিতেই পাকিস্তানের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল। চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হতে বসেছে দেশটি।

    টাটা গোষ্ঠীর একাধিক ব্যবসা

    টাটা গোষ্ঠীর (Tata Group) অনেক ধরনের ব্যবসা রয়েছে। এর মধ্যে যেমন আইটি সার্ভিস রয়েছে, তেমনি রয়েছে স্টিল উৎপাদন, হসপিটালিটি, কেমিক্যালস এবং ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস (এফএমসিজি)। ওই রিপোর্ট থেকে আরও জানা গিয়েছে, টাটা গোষ্ঠীর সব চেয়ে বেশি লভ্যাংশ আসে টাটা মোটরস এবং ট্রেন্ট থেকে। টাইটান, টিসিএস এবং টাটা পাওয়ারের থেকেও বেশি গ্রোথ টাটা মোটরস ও ট্রেন্টের।

    স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত টাটা গ্রুপের (Tata Group) ২৫টি কোম্পানির মধ্যে একমাত্র টাটা কেমিক্যালসের শেয়ার নিম্নমুখী। গত এক বছরে এই কোম্পানি ডাউন হয়েছে ৫ শতাংশ। রিপোর্ট থেকে এও জানা গিয়েছে, টাটা গোষ্ঠীর কিছু কোম্পানি যেমন টাটা সন্স, টাটা ক্যাপিট্যাল, টাটা প্লে, টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস এবং এয়ারলাইন্স ব্যবসা সমৃদ্ধ হতে পারে অচিরেই। যার পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১৬০ থেকে ১৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumder: রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তর, কী বললেন সাংসদ?

    Sukanta Majumder: রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তর, কী বললেন সাংসদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder)। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশের বিরুদ্ধে কার্যত তোপ দাগেন বালুরঘাটের সাংসদ।

    সুকান্তর অভিযোগ

    তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে আমি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জেড ক্যাটেগরির সুরক্ষা পেলেও, টাকিতে অচেতন হয়ে পড়ার পর সুরক্ষা ছাড়াই নিজেদের গাড়িতে করে বসিরহাট নিয়ে গিয়েছিল রাজ্য পুলিশ। এতে আমার সুরক্ষার সঙ্গে আপোস করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “কে ধাক্কা দিয়েছে সেটা বড় কথা নয়। যতক্ষণ রাজনৈতিক সংঘাত চলছিল, তার জন্য আমি পুলিশকে দায়ী করছি না। সুকান্ত মজুমদারের ওপর লাঠিচার্জ করুন, পা ভাঙুন, কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু আমি অসুস্থ হওয়ার পর পুলিশ কী করেছে? প্রথমত, আমার গাড়িতে আমাকে হাসপাতালে যেতে দেয়নি। আমার গাড়ি আটকে দেওয়া হয়েছে। দম থাকলে পুলিশ বলুক, আমি মিথ্যে কথা বলছি। আমার গাড়িতে পুলিশ উঠে যেতে পারত। বা আমার গাড়িকে সামনে পিছনে পুলিশ দিয়ে ঘিরে দিতে পারত। যাতে আমি অচৈতন্য অবস্থায় অন্য কোথাও চলে না যাই।”

    ‘জেড ক্যাটেগরির সুরক্ষা পাই’

    রাজ্যের পাঁচ প্রশাসনিক কর্তার বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর কারণ ব্যাখ্যা করে সুকান্ত (Sukanta Majumder) বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে আমি জেড ক্যাটেগরির সুরক্ষা পাই। নিশ্চয়ই কোনও কারণ রয়েছে। গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে নিশ্চয়ই। সরকার তো আর খেলা করার জন্য দেয়নি। আমাকে পুলিশের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় দু জন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীকে সঙ্গে নিয়ে। তাদের কাছে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। আমার আপ্তসহায়ককে গাড়িতে উঠতে দেওয়া হয়নি। আমার নিরাপত্তারক্ষীরা বাংলা জানেন না। আমার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে তাঁদের বোঝাবে কে?”

    আরও পড়ুুন: ‘পাকিস্তানের মতো অবস্থা বাংলার মহিলাদের’, সন্দেশখালি নিয়ে মমতাকে আক্রমণ লকেটের

    সুকান্ত বলেন, “কপিল সিব্বল আজ আদালতে সওয়াল করে সাময়িক স্থগিতাদেশ এনেছেন। এরপর আমাদের উকিলরা আমাদের বক্তব্য বলবেন। চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন করবেন। কপিল সিব্বল না কি বলেছেন আমি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেছি। মিথ্যে কথা বলেছেন।” তিনি (Sukanta Majumder) বলেন, “টাকিতে কোথাও ১৪৪ ধারা ছিল না।”

    প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • National Highway: চলতি অর্থবর্ষে প্রতিদিন ২৫ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ হয়েছে!

    National Highway: চলতি অর্থবর্ষে প্রতিদিন ২৫ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ হয়েছে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন গড়ে ২৫ কিমি জাতীয় সড়ক (National Highway) তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রোড ট্রান্সপোর্ট ও হাইওয়ে মন্ত্রক।  জানুয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত, চলতি অর্থবর্ষে ৭ হাজার ৬৫৮ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। আগের ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে  এই একই সময়ে তৈরি হয়েছিল ৬ হাজার ৮০৩ কিলোমিটার রাস্তা।

    বাড়ছে জাতীয় সড়ক নির্মাণের গতি

    গত বছরে প্রতিদিন গড়ে সড়ক নির্মাণ হত ২২.২৩ কিলোমিটার। সেটাই বাড়িয়ে লক্ষ্যমাত্রা করা হয়েছে ২৫ কিলোমিটার। ২০১৪-১৫ থেকে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের মধ্যে জাতীয় সড়ক নির্মাণে গতি এসেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে প্রতিদিন গড়ে রাস্তা নির্মাণ হত ১২ কিলোমিটার। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে সড়ক নির্মাণ বৃদ্ধি (National Highway) পেয়েছে ৩৬.৫ কিলোমিটার প্রতিদিন। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে প্রতিদিন রাস্তা হয়েছে গড়ে প্রায় ২৯ কিলোমিটার।

    ১৩ হাজার কিলোমিটার জাতীয় সড়ক

    এই অর্থবর্ষে সব মিলিয়ে ১৩ হাজার কিলোমিটার জাতীয় সড়ক নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে চায় মন্ত্রক। এই অর্থবর্ষ শেষ হবে ৩১ মার্চ। গত অর্থবর্ষে মন্ত্রক তৈরি করেছে ১০ হাজার ৩৩১ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক। তার আগের অর্থবর্ষে জাতীয় সড়ক নির্মাণ হয়েছে ১০ হাজার ২৩৭ কিলোমিটার। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে সড়ক হয়েছে ১৩ হাজার ৩২৭ কিলোমিটার। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সড়ক হয়েছে ১০ হাজার ৪৫৭ কিলোমিটার। আর ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সড়ক নির্মাণ হয়েছে ১০ হাজার ৩৩১ কিলোমিটার।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিতে যেতে পারবেন শুভেন্দু, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    বর্তমান লোকসভা ভেঙে যাবে মে মাসে। তার সড়ক নির্মাণের গতি হতে পারে শ্লথ। নির্বাচন পর্বে কমে যেতে পারে সড়ক নির্মাণের গতি। লোকসভা নির্বাচনের কারণে আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হয়ে গেলে সাময়িক বন্ধ থাকবে সড়ক নির্মাণের কাজ। নির্বাচন পর্ব মিটে গেলে ফের শুরু হয়ে যাবে কাজ। কাজে আসবে গতিও (National Highway)।মাঝ-এপ্রিলে ঘোষণা হতে পারে লোকসভা নির্বাচন। তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। সূত্রের খবর, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ওই সরকারও সড়ক নির্মাণে গতি আনতে বিশেষ সচেষ্ট হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: শহরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, গঙ্গার নীচে চড়বেন মেট্রো, উদ্বোধন ৩ প্রকল্পের 

    Narendra Modi: শহরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, গঙ্গার নীচে চড়বেন মেট্রো, উদ্বোধন ৩ প্রকল্পের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেট্রোর তিনটি নয়া রুটের উদ্বোধন করতে শহরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সামনেই লোকসভা নির্বাচন তার আগে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ৬ মার্চ দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা তিনটি মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে কলকাতায় আসছেন মোদি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ৬ মার্চ বারাসতে প্রধানমন্ত্রীর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। সেখানে দলীয় অনুষ্ঠানের পর তিনি একটি সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। 

    দেশের প্রথম নদীর তলা দিয়ে মেট্রো

    দেশের প্রথম নদীর তলা দিয়ে মেট্রো চলবে কলকাতায়। গঙ্গার নীচ দিয়ে চলবে পাতাল রেল। এই ঐতিহাসিক সফরে সঙ্গী হবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। মেট্রো রেল সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী এসপ্ল্যানেড মেট্রো (Kolkata Metro) স্টেশন থেকে মেট্রোতে চড়ে গঙ্গার ২৮ মিটার নীচ দিয়ে হাওড়া মদয়ানে যাবেন। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এবিষয়ে রেলকে প্রস্তুতি সেরে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড এই রুটে মেট্রো চালু করার জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে। এছাড়াও কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় পর্যন্ত যে মেট্রো রুটটি রয়েছে তাও এক বছর ধরে তৈরি হয়ে রয়েছে। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে এই রুটটিতে মেট্রো যাতায়াতের জন্য দেওয়া হয় অনুমতি। পাশাপাশি তারাতলা থেকে মাঝেরহাট যে স্টেশন সম্প্রসারিত হয়েছিল তা চালু করার জন্য এর আগেই পাওয়া গিয়েছিল সবুজ সংকেত। এই তিনটি রুটের উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

    আরও পড়ুন: দাঙ্গাকারীদের কড়া বার্তা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু উত্তরাখণ্ড পুলিশের

    মোদির সভার গুরুত্ব

    ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) বাংলা সফর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। জনগণকে কাছে টানতে এই পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার খাতিরে ইতিমধ্যেই স্টেশনগুলি ভালো করে পরিদর্শন করে দেখা হচ্ছে। কোনও বিষয়ে সামান্যতম খামতিও না থাকে, সেই দিকে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ নজর। একই দিনে বারাসতে সভা করে উত্তর ২৪ পরগণার মানুষকে পাশে পেতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। বারাসত থেকে বসিরহাটের সন্দেশখালির দূরত্ব খুব বেশি নয়। যখন সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident)  নিয়ে উত্তপ্ত গোটা রাজ্য, সেই সময় প্রধানমন্ত্রীর বারাসতে জনসভা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: সংবিধান সংশোধন বিজেপির, জরুরি অবস্থায় দলের সভাপতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সংসদীয় বোর্ড

    BJP: সংবিধান সংশোধন বিজেপির, জরুরি অবস্থায় দলের সভাপতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সংসদীয় বোর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) সাংগঠনিক বিষয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল গেরুয়া শিবির। রবিবারই দলের সংবিধানে সংশোধনী আনা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচন বা যে কোনও ধরনের ‘জরুরি পরিস্থিতিতে’ দলের সভাপতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার গুরুদায়িত্ব এবার দেওয়া হল বিজেপির সংসদীয় বোর্ডকে। দলের সভাপতির মেয়াদ বৃদ্ধির মতো সিদ্ধান্তও এবার থেকে নিতে পারবে বিজেপির সংসদীয় বোর্ড। উল্লেখ্য, বিজেপিতে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী ইউনিট হল এই সংসদীয় বোর্ড। এদিন বিজেপির সংবিধান সংশোধনটি আনেন দলের সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল।

    মেয়াদ বৃদ্ধি জেপি নাড্ডার

    প্রসঙ্গত, বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে জেপি নাড্ডার মেয়াদ আগামী জুন মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে বিজেপির জাতীয় কাউন্সিলের বৈঠকে। আগামী জুন মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে তাঁর মেয়াদ। অর্থাৎ, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জেপি নাড্ডার নেতৃত্বেই লড়াই চালাবে। দলের জাতীয় কাউন্সিল সেই মেয়াদ বৃদ্ধিতে সিলমোহর দিয়েছে। এরই পাশাপাশি জেপি নাড্ডাকে স্বাধীনভাবে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, সামনেই লোকসভা নির্বাচন। নাড্ডাতেই আপাতত ভরসা বজায় রাখলেন মোদি-শাহরা।

    সংবিধান সংশোধন করার পথে হাঁটল বিজেপি

    উল্লেখ্য, গেরুয়া শিবিরের (BJP) দলীয় সংবিধান অনুযায়ী, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে বেছে নেওয়া হয় সাংগঠনিক নির্বাচনের মাধ্যমে। রাজ্য সংগঠনগুলির মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ ইউনিটের নির্বাচন সংগঠিত হওয়ার পরে জাতীয় সভাপতি বেছে নেওয়ার নির্বাচন করা হয়। এদিকে রাজ্য ইউনিটগুলির ওপর দায়িত্ব থাকে যাতে জেলা স্তরে সাগঠনিক নির্বাচন সংগঠিত হয়। তবে লোকসভা ভোটের আগে দলের অভ্যন্তরে সাংগঠনিক নির্বাচন করাল না বিজেপি। কারণ এই সময় প্রচারের কাজে বেশি ব্যস্ত থাকবেন নেতা-কর্মীরা। তাই সংবিধান সংশোধন করার পথে হাঁটল বিজেপি। 

    বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

    এদিকে রবিবার বিজেপি (BJP) শাসিত সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হাজির ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দলকে ৩৭০টি আসনে জেতানোর লক্ষ্যে রূপরেখা তৈরির পরিকল্পনা করা হয় সেই বৈঠকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “আয়েগা তো মোদি হি”, প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “আয়েগা তো মোদি হি”, প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আয়েগা তো মোদি হি।” রবিবার দিল্লিতে বিজেপির জাতীয় অধিবেশনে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তৃতীয়বারের জন্য যে তিনি কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরছেন, তা ভালোই জানেন প্রধানমন্ত্রী। আগেও নানা সময় কেন্দ্রে বিজেপি সরকার গড়বে, এমন কথা বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। ৪০০-র বেশি আসন নিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরবে বলেও আশাবাদী তিনি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এদিন দলের জাতীয় অধিবেশনেও সেই প্রত্যয়ীই ধরা পড়ল তাঁর। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নির্বাচন হতে এখনও বাকি। কিন্তু এখনই অন্য দেশগুলো থেকে আমায় আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। জুলাই, অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে আমাকে বিদেশে ডাকছে। এর অর্থ কী দাঁড়ায়? তার মানে বিশ্বের নানা প্রান্তের সমস্ত দেশের মানুষ জানেন, কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। তাঁরা জানেন, আয়েগা তো মোদি হি।”

    উন্নত রাষ্ট্র হবে ভারত

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “যদি নিজের ঘরের কথা ভাবতাম তাহলে দেশের কোটি কোটি মানুষের জন্য ঘর বানাতে পারতাম না। ভারতের জন্য আগামী পাঁচ বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সময়ের মধ্যেই উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে ভারত।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনেকে আমায় বলেন, আপনি তো নিজের সময়কালে অনেক সাফল্য অর্জন করে ফেলেছেন। তাহলে আর খাটছেন কেন? আসলে গোটা দেশ বিশ্বাস করে ১০ বছরে দেশকে সন্ত্রাসবাদ, দুর্নীতি ও দারিদ্রতা থেকে মুক্তি দিয়েছি। মধ্যবিত্তকে নতুন জীবন দিয়েছি।”

    আরও পড়ুুন: মুখ থুবড়ে পড়ল ইংল্যান্ড, রাজকোট টেস্টে জয়ী রোহিতের ভারত

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ক্ষমতা দখলের জন্য বিজেপির তৃতীয় টার্ম চাইছি না। কোটি কোটি মা-বোন গরিবদের স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে আমি সংকল্প নিয়েছি। সেটা পূরণ করতে আমরা সবাই সেবা করার মনোভাব নিয়ে দিনরাত এক করে কাজ করছি। ১০ বছরে অর্জন করেছি, তা একটি মাত্র ধাপ ছিল। লক্ষ্যে পৌঁছনোর একটি বিশ্বাস। এবার আমাদের দেশের জন্য কোটি কোটি ভারতবাসীর জন্য প্রত্যেকের জীবন বদলানোর জন্য অনেক কিছু হাসিল করার স্বপ্ন রয়েছে। আজ, বিজেপি, যুবশক্তি, নারীশক্তি, গরিব ও কৃষকদের জন্য বিকশিত ভারতের শক্তি হিসেবে তৈরি করছি। আগে মানুষের মনে হত, সরকার বদলালেও নিয়ম বদলায় না। কিন্তু সেই পুরানো মানসিকতা থেকে দেশকে বের করে এনেছি। আমিই দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যে লালকেল্লা থেকে মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং মহিলাদের জন্য শৌচালয় নির্মাণ নিয়ে সরব হয়েছিলাম (PM Modi)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Sukanta Majumdar: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সুকান্ত, আজই যেতে পারেন দিল্লি

    Sukanta Majumdar: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সুকান্ত, আজই যেতে পারেন দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। চলতি সপ্তাহের বুধবার, সরস্বতী পুজোর দিনই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। শনিবার সকালে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সুকান্তবাবু বের হতেই পুষ্পবৃষ্টি শুরু করেন অনুরাগীরা। এদিন ছুটি পাওয়ার পর হুইল চেয়ারে করে বের হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বের হতেই বিজেপি কর্মী সমর্থকরা স্লোগান তোলেন। রাজ্য সভাপতি ধরে গাড়িতে তোলা হয়। দেখা যায় সমস্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়েই এদিন গাড়িতে ওঠেন সুকান্ত।

    বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে সুকান্তর। সেসময় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ চলাকালীনই অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। শনিবার থেকেই দিল্লিতে বসছে বিজেপির দু’দিনের রাষ্ট্রীয় অধিবেশন। আজ শনিবার এবং আগামীকাল রবিবার হবে বিশেষ অধিবেশন। মূলত, দিল্লিতে দলের রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে যোগ দেওয়ার প্রবল ইচ্ছের কারণেই চিকিৎসকদের কাছে ছুটির আবেদন জানিয়েছিলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)।  বিজেপি সূত্রে খবর, শনিবারেই বিমান ধরে দিল্লি রওনা যেতে পারেন তিনি।

    বুধবার প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে

    বুধবার প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। পরে সন্ধ্যায় সুকান্তবাবুকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। বিজেপির রাজ্য নেতারা তাঁকে হাসপাতালে গিয়ে দেখে আসেন। রাজ্যপালও হাজির হন সেখানে সুকান্তকে (Sukanta Majumdar) দেখতে। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও হাজির হন হাসপাতালে। প্রসঙ্গত, প্রথমদিন তাঁকে নিউরো আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ডে-কেয়ার বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে (Sukanta Majumdar)।

    বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধিবেশন

    সারা দেশের প্রতিটি রাজ্য থেকে দলের সাংসদ বিধায়ক-সহ জেলা ও রাজ্যস্তরের পদাধিকারীরা যোগ দিচ্ছেন দিল্লিতে। বাংলা থেকেও বিধায়ক সাংসদ-সহ বিভিন্ন দলীয় নেতৃত্ব ও কয়েকশো পদাধিকারী যোগ দিতে ইতিমধ্যে রওনা হয়েছেন দিল্লি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও শনিবারই পৌঁছে যাবেন দিল্লিতে, এমনটাই খবর বিজেপি সূত্রে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সমেত গেরুয়া শিবিরের প্রথম সারির মুখরাও উপস্থিত থাকবেন দলের এই বিশেষ অধিবেশনে। রবিবার বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী সুর বেঁধে দেবেন লোকসভা ভোটের প্রচারের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024:  লোকসভা ভোটের লক্ষ্যে দিল্লিতে শুরু বিজেপির নীতি নির্ধারক কমিটির বৈঠক

    Loksabha Election 2024: লোকসভা ভোটের লক্ষ্যে দিল্লিতে শুরু বিজেপির নীতি নির্ধারক কমিটির বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্য লোকসভা নির্বাচন ২০২৪। আজ শনিবার থেকে দিল্লিতে শুরু হচ্ছে বিজেপির নীতি নির্ধারক কমিটির অধিবেশন। দু দিন ধরে চলবে সেই অধিবেশন। গোটা দেশের প্রায় ১১৫০০ প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকের শুরুতেই ভাষণ দেবেন জে পি নাড্ডা আর রবিবার সমাপ্তি বক্তৃতা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ন্যাশনাল কাউন্সিলের সব সদস্য, গোটা দেশের সব জেলার বিজেপি সভাপতি, লোকসভার কনভেনার, ফিনান্স কমিটি, মিডিয়া সেলের কনভেনার, আইটি সেলের কর্মী- সহ সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা।

    বাংলাকে গুরুত্ব

    সামনেই লোকসভা নির্বাচন। সব রাজ্যে বিজিপির মাটি শক্ত করার লক্ষ্যেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। লোকসভা ভোট নিয়ে রণকৌশল চূড়ান্ত করা হতে পারে এই বৈঠকে। দিল্লির ভারত মণ্ডপমে হবে এই বৈঠক। বৈঠকে উঠে আসতে পারে সন্দেশখালি-সহ বাংলার সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রসঙ্গ। বৈঠকে থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি রাজ্য সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। থাকবেন বাংলার সাংসদ ও বিধায়কেরাও। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ভাল ফল করতে বদ্ধপরিকর বিজেপি। বাংলায় শাসকের অরাজকতা দূর করার জন্য সবরকম প্রয়াস চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে বিজেপির তরফে।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির অশান্তির আবহে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী! মার্চের প্রথম সপ্তাহে বারাসতে সভা?

    লোকসভায় ৩৭০ আসন

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি সংসদে ঘোষণা করেছিলেন যে ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি ৩৭০ টি আসন জিতবে এবং এনডিএ ৪০০টি আসন পাবে। তাই নীতি নির্ধারক কমিটির বৈঠকে ঐতিহাসিক বিজয় অর্জনের জন্য দলীয় নেতা ও কর্মীদের একটি রোডম্যাপ প্রদান করা হবে বলে অনুমান রাজনীতিকদের। বিজেপি সূত্রের খবর, দু’দিনের অধিবেশনে দু’টি রেজোলিউশন পাস করা হবে। রেজোলিউশনের প্রথমটি হতে পারে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে। আর দ্বিতীয়টি হতে পারে দেশের আর্থিক পরিস্থিতিতে বিজেপির অবস্থান প্রসঙ্গে। সে ক্ষেত্রে সংসদে পেশ হওয়া ইউপিএ জামানার আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে শ্বেতপত্রের উপর জোর দেওয়া হবে। এছাড়াও আলোচনা হতে পারে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালির অশান্তির আবহে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী! মার্চের প্রথম সপ্তাহে বারাসতে সভা?

    Sandeshkhali: সন্দেশখালির অশান্তির আবহে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী! মার্চের প্রথম সপ্তাহে বারাসতে সভা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali) রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। ঠির এই আবহে মার্চের প্রথম সপ্তাহে রাজ্যে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপি সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রধানমন্ত্রী মোদি ৬ মার্চ বাংলায় এসে বারাসতে সভা করবেন। তাঁর ভাষণে উঠে আসবে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলা নিগ্রহের ঘটনাগুলিও। রাজ্যে এসে প্রধানমন্ত্রী সন্দেশখালি ইস্যুতে কড়া বার্তা সামনে আনুন, এমনটাই চাইছে বঙ্গ বিজেপি। 

    শাহের সফরে সাংগঠনিক বৈঠক 

    মোদির সফরের আগে রাজ্যে আসার কথা রয়েছে অমিত শাহের। চলতি মাসের ২৯ তারিখ রাজ্যে আসার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। সব ঠিক থাকলে ওই দিন মায়াপুরে ইসকনের মন্দিরে যেতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, রানাঘাট-সহ আশপাশের কয়েকটি লোকসভার নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকেও বসার কথা শাহের। তবে অমিত শাহ কোনও জনসভা করতে পারবেন না। কারণ সেসময়ও রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিক চলবে। প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে মায়াপুরের ইসকনে এসেছিলেন তিনি। সব ঠিক থাকলে শাহের সফরের ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় রাজ্যে পা পড়তে পারে নরেন্দ্র মোদির। 

    সন্দেশখালি ইস্যুতে চড়ছে পারদ

    প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) নিয়ে ক্রমশই চড়ছে রাজনীতির পারদ। বিজেপির অভিযোগ, রাতের বেলা মেয়েদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে অত্যাচার করতো ফেরার তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ ও তাঁর দলবদল। গ্রামবাসীদের একাংশ তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। শাহজাহান বাহিনীর হাতে নিগৃহীত মহিলাদের কথা শুক্রবারই পৌঁছেছে রাষ্ট্রপতি ভবনে। তফশিলি কমিশন সন্দেশখালি ঘুরে জমা করছে রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে— রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার মতো পরিস্থিতি রয়েছে।

    রাজ্যে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম

    অন্যদিকে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশে শুক্রবারই সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বিজেপির ৬ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। সন্দেশখালিতে পৌঁছে পরিস্থিতি অনুসন্ধান করার কথা ছিল। কিন্তু রামপুরের কাছেই নস্কর পাড়ায় আটকে দেওয়া হয় তাদের। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। পরে, রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিত তথ্য পেশ করেন দলের সদস্যরা। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “যাঁরা রামকে কাল্পনিক বলতেন, তাঁরাই জয় সিয়ারাম বলছেন”, বললেন মোদি

    PM Modi: “যাঁরা রামকে কাল্পনিক বলতেন, তাঁরাই জয় সিয়ারাম বলছেন”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যাঁরা ভগবান রামকে কাল্পনিক বলতেন, তাঁরাই এখন জয় সিয়ারাম বলছেন।” শুক্রবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন হরিয়ানার রেউড়িতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি নিশানা করেন কংগ্রেসকে। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ এবং এক পদ এক পেনশন নীতির প্রসঙ্গও উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে।

    ‘তাঁরাও এখন সিয়ারাম গাইছেন’

    তিনি বলেন, “দেশ চেয়েছিল অযোধ্যায় রামের একটি মন্দির নির্মাণ হোক। আজ গোটা দেশ দেখছে, মনোরম রাম মন্দিরে বসে রয়েছেন রামলালা। কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা যাঁরা ভাবতেন রাম একটি কাল্পনিক চরিত্র, যাঁরা কোনওদিনই চাইতেন না রাম মন্দির নির্মাণ হোক, তাঁরাও এখন সিয়ারাম গাইছেন।” দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। এদিন প্রধানমন্ত্রী তারই প্রচার শুরু করলেন রেউড়ি থেকে। মনে রাখতে হবে, ২০১৩ সালে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে এখানেই প্রথম সভা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই এদিন সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। বক্তৃতা শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) রেউড়িতে ৯ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার একাধিক প্রজেক্টের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন তিনি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কিছুক্ষণ আগেই আমার সুযোগ হয়েছিল হরিয়ানায় ১০ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্টের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করার। এর মধ্যে রেউড়ি এইমসও রয়েছে। রয়েছে নয়া রেল লাইন, মেট্রো লাইন এবং একটি মিউজিয়াম। ভগবান রামের ইচ্ছেয় আমি এখন বিভিন্ন জায়গায় এসব পবিত্র কর্মের সঙ্গে যুক্ত হতে পারছি।” আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ ৪০০ আসন পাবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সন্দেশখালি গিয়েই ছাড়ব’’, রাজভবনে রিপোর্ট দিল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম

    তিনি বলেন, “যদি জি২০ সম্মেলন সফল হয়, তার কারণ আপনাদের আশীর্বাদ। যেখানে কেউ এখনও যেতে পারেনি, চাঁদের সেই দক্ষিণ মেরুতেও প্রথম পা রেখেছি আমরা। এসবই হয়েছে আপনাদের আশীর্বাদে। গত দশ বছরে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় এগারো নম্বর স্থান থেকে পাঁচে উঠে এসেছে ভারত। আমার তৃতীয় টার্মে আপানাদের আশীর্বাদে দেশকে আমি ওই তালিকার তিন নম্বরে নিয়ে যাব।” কংগ্রেসকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “যারা ইন্ডি জোটটাই ঠিকঠাক করে গড়ে তুলতে পারল না, তারা দেশ চালাবে!”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share