Tag: PM Modi

PM Modi

  • PM Modi: “ভারতে নিরাপদ স্বর্গ খুঁজে পেয়েছেন মুসলমানেরা”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “ভারতে নিরাপদ স্বর্গ খুঁজে পেয়েছেন মুসলমানেরা”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতে নিরাপদ স্বর্গ খুঁজে পেয়েছেন মুসলমানেরা।” ব্রিটেনের এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “অন্যান্য দেশের চেয়ে এ দেশে ভালো রয়েছেন মুসলিমরা। তাঁরা এখানে স্বর্গ খুঁজে পেয়েছেন। এদেশে সুখে-সমৃদ্ধিতে রয়েছেন। এর অর্থ হল, ভারতীয় সমাজ কোনও ধর্ম কিংবা সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে না।”

    বৈষম্যমূলক আচরণ নেই

    এ প্রসঙ্গে ভারতে বসবাসকারী অতি সংখ্যালঘু পার্শিদের কথাও তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় পার্শিরা এ দেশে আর্থিক সাফল্য পেয়েছেন। সুখে-শান্তিতে বাস করছেন।” প্রসঙ্গত, ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, ভারতে প্রায় ২০ কোটি মুসলমান রয়েছেন। শতাংশের হিসেবে তাঁরা মোট জনসংখ্যার ১৪.২৮। ভারতে যে মুসলমানদের প্রতি বৈষম্যমূলক কোনও আচরণ করা হচ্ছে না, তা জুন মাসে রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকায় গিয়ে বুক বাজিয়ে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২৩ জুন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতে বসবাসকারী মুসলমান ও অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকারের শ্রীবৃদ্ধি ঘটাতে কী কী পদক্ষেপ তিনি করেছিলেন। তাঁদের বাক স্বাধীনতাও এদেশে রক্ষিত হয়েছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    দেশে রয়েছে বাক স্বাধীনতা 

    গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গ উত্থাপন হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশে তো বাক স্বাধীনতা রয়েছে। কাগজে, টিভি চ্যানেলে, সোশ্যাল মিডিয়ায়, ভিডিও, ট্যুইট-বার্তায় তাঁরা তো এসব নিয়ে যুক্তিপূর্ণ আলোচনায় অংশ নিতেই পারেন। তাঁদের এই অধিকার রয়েছে। তাঁদের মতো অন্যদেরও তো এমনই অধিকার রয়েছে।” তিনি বলেন, “১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা লাভের সময় ব্রিটিশরা ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক ভবিদ্ব্যবাণী করেছিল। আমরা দেখেছি, সেসবই মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। ভবিষ্যতেও মিথ্যে প্রমাণ করব।”

    আরও পড়ুুন: “ভোটের আগে ললিপপ”! চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ শুভেন্দুর

    সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে তিনটিতে উড়েছে গেরুয়া নিশান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারের সময় সে প্রসঙ্গও ওঠে। সে প্রসঙ্গ টেনেই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত তিনি। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “জয়ের ব্যাপারে আমি পুরোপুরি নিশ্চিত। ভারতের সাধারণ মানুষের জীবন-যাপনের মনোন্নয়ন হওয়ায় ধন্যবাদ সবাইকে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Criminal Law Bills: লোকসভায় পাশ ফৌজদারি আইন সংক্রান্ত তিন বিল, কী আছে জানেন?  

    Criminal Law Bills: লোকসভায় পাশ ফৌজদারি আইন সংক্রান্ত তিন বিল, কী আছে জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় পাশ হয়ে গেল ফৌজদারি আইন সংক্রান্ত (Criminal Law Bills) তিনটি বিল। কেন্দ্রের তরফে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল বিলগুলির বিষয়ে। তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন বিজেপি বিরোধী দলগুলির সাংসদরা। পরিমার্জন করে এই বিলগুলিই পেশ হয়েছিল লোকসভায়। বুধবার সংসদে পাশও হয়ে গেল বিল তিনটি।

    ফৌজদারি আইন সংক্রান্ত ৩ বিল

    এদিন যে তিনটি বিল পাশ হল, সেগুলি হল ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য সংহিতা। আইপিসির পরিবর্তে এসেছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা। কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিওরের পরিবর্তে এসেছে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা। ইন্ডিয়ান এভিডেন্ট অ্যাক্টের পরিবর্তে এসেছে ভারতীয় সাক্ষ্য সংহিতা। বিল পেশের সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “নয়া ফৌজদারি আইনের প্রতিটি দাঁড়ি, কমা খতিয়ে দেখেছি।” তিনি জানান, মোদি সরকারের তরফে এই বিল সংক্রান্ত ১৫৮টি বৈঠক করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই বিলের ক্ষেত্রে ভারতীয়তা, ভারতীয় সংবিধান ও জনগণের কল্যাণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।”

    যৌন নিপীড়নের জন্য সাজা

    নয়া বিলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৭৩ (অনুমতি ছাড়াই আদালতে কার্যক্রম প্রকাশ), ৮৬ (নিষ্ঠুরতা) ধারার পরিবর্তন করা হয়েছে। ধারা ৭৩-এ অনুমতি ছাড়া ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়নের জন্য দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। নতুন বিলগুলিতে পুরানো ফৌজদারি আইনে ‘মানসিক অসুস্থতা’র মতো শব্দও বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রতিস্থাপন করা হয়েছে ‘অস্থির মন’।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা (Criminal Law Bills) ও জঙ্গি দমনে কঠোর পদক্ষেপের উদ্দেশ্যে এই তিনটি বিল আনা হয়েছে। ব্রিটিশ জমানায় রাজদ্রোহ আইন শুধু নাম বদলে স্বাধীন ভারতে দেশদ্রোহ আইন হিসেবে কার্যকর হয়েছিল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই দাসত্বের সব চিহ্ন মুছে দিতে চলেছেন।” তিনি বলেন, “স্বাধীনতা-উত্তরকালে নরেন্দ্র মোদির সরকারই এক মাত্র নির্বাচনের আগে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে চলেছে।” তিনি জানান, সিআরপিসিতে ৪৮৪টি ধারা ছিল। বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৩১টি। ১৭৭টি ধারায় পরিবর্তন করা হয়েছে। যোগ করা হয়েছে ৯টি নয়া অনুচ্ছেদ। যোগ হয়েছে ৩৯টি উপধারাও। নয়া ধারা নিয়ে আসা হয়েছে ৪৪টি।

    আরও পড়ুুন: গ্যাসেও কাটমানি! আধার সংযোগ করতে মন্ত্রীর স্ত্রী নিচ্ছেন ২০০ টাকা! বাড়ির সামনে বিক্ষোভ

    শাহ বলেন, “গণপিটুনি একটি জঘন্য অপরাধ। এই আইনে আমরা এই অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান দিয়েছি। সাইবার অপরাধের জন্যও অনেক বিধান রাখা হয়েছে।” তিনি বলেন, “নয়া তিনটি বিলে পুলিশ ও নাগরিকের অধিকারের মধ্যে ভারসাম্য রাখা হয়েছে। এর ফলে শাস্তি দেওয়ার সংখ্যা বাড়বে। ন্যায়বিচার, সমতা ও নিরপেক্ষতার ধারণাকে বিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ফরেনসিক বিজ্ঞানও (Criminal Law Bills)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: নাবালিকার মুখে হিন্দুস্তান-প্রশস্তি, ‘কবি-বন্ধু’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: নাবালিকার মুখে হিন্দুস্তান-প্রশস্তি, ‘কবি-বন্ধু’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনে দাঁড়িয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে অকুতোভয় এক নাবালিকা। গড়গড়িয়ে বলে যাচ্ছে কবিতা। মোহিত হয়ে শুনলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আবৃত্তি শেষে ‘জয় মোদি’, ‘জয় হিন্দুস্তান’ বলে শেষ করে কবিতা। ছোট বালিকার এই প্রতিভায় মুগ্ধ প্রধানমন্ত্রী। প্রশংসা করেন তার। শুরু হয় আলাপচারিতা। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, “তুমি কি সবজি খাও?” প্রধানমন্ত্রীর ‘বন্ধু’টি ‘হ্যাঁ’ বলায় তিনি ফের প্রশ্ন করেন, “সব সবজি খাও?” এবারও ‘হ্যাঁ’ বলায় প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেন, “নিশ্চয় এমন কিছু সবজি রয়েছে, যা তুমি খেতে পছন্দ কর না।” নাবালিকাটি জানায়, সে করলা খেতে পছন্দ করে না মোটেই।

    প্রধানমন্ত্রীর ‘কবি-বন্ধু’

    দু’ দিনের সফরে রবিবার বারাণসী  গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। এই বারাণসী তাঁর নির্বাচনী ক্ষেত্র। রবিবার রোড-শো করার সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কনভয় থামিয়ে অ্যাম্বুলেন্সকে পথ ছেড়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভাইরাল হওয়া সেই ছবির অমলিন স্মৃতি ফিকে হওয়ার আগেই ফের এক মন ভাল করা ছবির কোলাজ। বারাণসীর এই বালিকার হিন্দুস্তান-স্তুতি যে নাড়া দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে, তা পরিষ্কার। ইনস্টাগ্রামে বারাণসী-বালার সঙ্গে তাঁর সংক্ষিপ্ত কথোপকথনের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। লিখেছেন, “বারাণসীতে এক বন্ধু সে বিজ্ঞান জানে এবং সে একজন মহান কবিও বটে।”

    প্রধানমন্ত্রীর মুখে খুদে-স্তুতি

    প্রসঙ্গত, বারণসীতে কর্মসূচির ফাঁকেই একটি প্রদর্শনীতে ঢুঁ মারেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই চতুর্থ শ্রেণির ওই পড়ুয়া প্রধানমন্ত্রীকে গাছপালা ও সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া সম্পর্কে বোঝায়। এটা বোঝাতে গিয়েই সে শুনিয়েছে কবিতা। তার পরেই খুদে বন্ধুর প্রশস্তি প্রধানমন্ত্রীর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে। বারাণসীতে এদিন প্রধানমন্ত্রী সূচনা করেছেন ৩৭টি প্রকল্পের। শহর ও পূর্বাঞ্চল মিলিয়ে ১৯ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। সূচনা করেন কাশী-তামিল সঙ্গমের। কন্যাকুমারী থেকে বারাণসী পর্যন্ত একটা ট্রেনেরও সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন কাশীতে রোড শো-ও করেন প্রধানমন্ত্রী। সূচনা করেন ‘বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রা’ প্রদর্শনীর। অনুষ্ঠানটি হয়েছে কাটিং মেমোরিয়াল ইন্টার কলেজ মাঠে। সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সঙ্গে আলাপ হয় ওই নাবালিকার।

    আরও পড়ুুন: আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে দাউদ ইব্রাহিম, বিষ খাওয়ানো হল বিশ্বমানের জঙ্গিকে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • PM Modi: ফের অ্যাম্বুল্যান্সকে পথ ছেড়ে দিল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়, ভাইরাল মোদির ‘কীর্তি’  

    PM Modi: ফের অ্যাম্বুল্যান্সকে পথ ছেড়ে দিল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়, ভাইরাল মোদির ‘কীর্তি’  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি প্রধানমন্ত্রী। নিরাপত্তা পান ভিভিআইপির। তিনি রাস্তায় থাকলে সরে দাঁড়াতে হয় গাড়ি-ঘোড়াকে। রাস্তার দু’ ধারে আঁটসাঁট নিরাপত্তার বেড়াজাল থাকে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাস্তায় বেরলে এই দৃশ্যই দেখা যেত। হ্যাঁ, যেত। এখন আর যায় না। কারণ তিনি দেশবাসীর ‘চৌকিদার’ (PM Modi)। অন্তত এমনই বলে থাকেন তিনি নিজেই।

    ‘রাস্তা কারও একার নয়’

    রবিবার আরও একবার প্রমাণ মিলল তার। এদিন উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে রোড-শো করছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাস্তার দুপাশে তিল ধারনের জায়গা ছিল না। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) এক ঝলক দেখতে চান যাঁরা, সারবদ্ধ জনতার ভিড়ে ছিলেন তাঁরাও। এমন সময় ওই রাস্তায় চলে আসে একটি অ্যাম্বুল্যান্স। নিরাপত্তার পরোয়া না করেই ব্যারিকেড ভেঙে অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য রাস্তা ছেড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে গেল প্রধানমন্ত্রীর ওই কীর্তি।

    অ্যাম্বুল্যান্সকে পথ ছাড়ল মোদির কনভয়

    প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী ক্ষেত্র বারাণসী। রবিবার সেখানে রোড-শো করছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নিরাপত্তারক্ষীতে ঠাসা কনভয়ের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। পিছনে অ্যাম্বুল্যান্স দেখতে পেয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে যায় প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। তার পরেই কনভয়ের মাঝখান দিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটে যায় অ্যাম্বুল্যান্স। দেশের প্রধানমন্ত্রীর এহেন আচরণে খুশির বাঁধ ভেঙেছে। মোদির কাছে যে নিজের জীবনের নিরাপত্তার চেয়ে অন্যের জীবন বেশি দামী, এদিন ফের একবার তার প্রমাণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এ দৃশ্য আগেও দেখা গিয়েছে একাধিকবার। গত বছর ৯ নভেম্বর হিমাচল প্রদেশের কাংড়ায় দেখা গিয়েছিল একই ছবি। ৩০ সেপ্টেম্বর এই ঘটনা দেখা গিয়েছিল গুজরাটের গান্ধীনগরেও। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে আগে এক জনসভা চলাকালীন আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন এক চিত্র সাংবাদিক। বক্তব্য থামিয়ে তাঁর জন্য অ্যাম্বুল্যান্স ডাকার ব্যবস্থা করেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। প্রসঙ্গত, একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করতে দু দিনের সফরে বারাণসী গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    আরও পড়ুুন: চোখ উপড়ে, পুরুষাঙ্গ কেটে খুন পুরোহিতকে, রণক্ষেত্র বিহারের গোপালগঞ্জ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Parliament Security Breach: “সংসদের ঘটনার গুরুত্বকে ছোট করে দেখা উচিত নয়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Parliament Security Breach: “সংসদের ঘটনার গুরুত্বকে ছোট করে দেখা উচিত নয়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সংসদের ঘটনার (Parliament Security Breach) গুরুত্বকে ছোট করে দেখা উচিত নয়।” লোকসভাকাণ্ডে এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর মতে, বিষয়টি উদ্বেগজনক। তাই এনিয়ে রাজনীতি না করে সমস্যার সমাধানে জোর দেওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি। যেহেতু বিষয়টি জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তও চান প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সকলের এই ঘটনার গুরুত্ব বোঝা উচিত। ঘটনার গভীরে গিয়ে সকলে মিলে একটি সমাধান সূত্র খুঁজে বের করা উচিত। যাতে বিষয়টির পুনরাবৃত্তি না হয়। লোকসভার স্পিকার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের সকলের বিশ্বাস, খুব শীঘ্রই ষড়যন্ত্র ফাঁস হবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই ঘটনার পিছনে অভিযুক্তদের উদ্দেশ্য কী ছিল এবং এর নেপথ্যে কাদের মাথা কাজ করছে, তা জানা খুবই জরুরি।” তিনি বলেন, “এই জাতীয় বিষয়ে বিতর্ক বা প্রতিবাদ থেকে প্রত্যেকেরই বিরত থাকা উচিত। এই ঘটনার পর লোকসভার অধ্যক্ষ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা সবাই নিশ্চিত যে এই ষড়যন্ত্র ফাঁস হবে।”

    ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন?

    প্রসঙ্গত, গত বুধবার অধিবেশন চলাকালীন আচমকাই লোকসভার দর্শক গ্যালারি থেকে অধিবেশন (Parliament Security Breach) কক্ষে ঝাঁপ দেয় দুই হানাদার। হানাদাররা যখন লাফিয়ে নীচে পড়ে, তখন প্রশ্ন করছিলেন মালদহ উত্তরের সাংসদ বিজেপির খগেন মুর্মু। হঠাৎ করে এই ঘটনা ঘটায় হতচকিত হয়ে পড়েন সাংসদরা। এই সুযোগে জুতোয় লুকিয়ে রাখা স্মোক ক্যানে বিস্ফোরণ ঘটায় হানাদাররা। অধিবেশন কক্ষ ভরে যায় রঙ্গিন ধোঁয়ায়। প্রাথমিক ঘোর কাটিয়ে দুই সাংসদ ধরে ফেলেন সাগর শর্মা ও মনোরঞ্জন ডি নামে দুই হানাদারকে। তার আগে তারা এগোচ্ছিল অধ্যক্ষের দিকে। পরে মার্শাল ডেকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সাগর ও মনোরঞ্জনকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘যখন অন্যদের থেকে প্রত্যাশা শেষ হয়, তখনই মোদির গ্যারান্টি শুরু হয়’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    অধিবেশন কক্ষে যখন এসব চলছে, তখন সংসদ চত্বরে ‘তানাশাহি নেহি চলেগি’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দিচ্ছিলেন অমল শিন্ডে ও নীলম দেবী নামে দুজন। ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা চত্বরের বাইরে থেকে সেই ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং করে পোস্ট করছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই পাঁচজনকেই গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। শনিবার গ্রেফতার করা হয় মহেশ কুমাওয়াতকে। ললিতকে দিল্লি থেকে পালাতে সাহায্য (Parliament Security Breach) করেছিল সে-ই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vijay Diwas 2023: “দেশ এবং জাতির জন্য এটা একটা গৌরবময় দিন” , বিজয় দিবস নিয়ে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    Vijay Diwas 2023: “দেশ এবং জাতির জন্য এটা একটা গৌরবময় দিন” , বিজয় দিবস নিয়ে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ১৯৭১ সালে আজকের দিনেই ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানকে হারিয়েছিল। তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই দিনের কথা স্মরণ করে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘দেশ এবং জাতির জন্য এটা একটা গৌরবময় দিন। যেভাবে এই যুদ্ধের জন্য দেশের জওয়ানরা আত্মত্যাগ করেছিল সেজন্য তারা সর্বদাই দেশের মানুষের হৃদয়ে থাকবে। ভারত আজকের দিনে এই বীর সেনানিদের সেলাম করে তাদের সাহসের জন্য।’ 

    বিজয় দিবসের কাহিনী

    প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের আজকের দিনেই ভারতীয় সেনার হাতে পাকিস্তান পরাস্ত হয়েছিল। সেবার নিজেদের হার মেনে নিয়েছিল পাক সেনাবাহিনী। ১৯৭১ সালে এই দিনে পরাজিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ্‌ খান নিয়াজি ঢাকার রমনা রেসকোর্সে ৯৩,০০০ সেনাদলের সঙ্গে জেনারেল জগজিৎ সিং আরোরার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। যুদ্ধের সমাপ্তিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একতরফা ও নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে। জন্ম হয় বাংলাদেশের। এই দিনটিকে স্মরণ করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও।

    নানা প্রান্তে শ্রদ্ধার্ঘ্য সেনাদের

    ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান, সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে, আইএএফ ভাইস চিফ এয়ার মার্শাল অমর প্রীত সিং এবং নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার নিহত সৈন্যদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানান। ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে একটি শ্রদ্ধাঞ্জলিতে, প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাটও বিজয় দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে নিহত সৈন্যদের শ্রদ্ধার্ঘ্য জ্ঞাপন করেন। কলকাতার ফোর্ট উইলিয়মেও দিনটি পালন করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

        

  • Haldia: “মোদিজির পা ধরে লাভ নেই, কিছুই পাবেন না”, দিল্লিতে বৈঠকের আগে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Haldia: “মোদিজির পা ধরে লাভ নেই, কিছুই পাবেন না”, দিল্লিতে বৈঠকের আগে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২০ ডিসেম্বর, সকাল ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সময় দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূল নেত্রী কেন্দ্রের কাছে বড় অঙ্কের বকেয়া দাবি করে বঞ্চনার রজনীতি করার অভিযোগ তুলেছেন বার বার। সেই প্রেক্ষাপটে ওই বৈঠকে বকেয়া নিয়েই আলোচনা হবে, এটাই স্বাভাবিক। তার আগে এই বৈঠক নিয়ে মমতাকে কটাক্ষবাণে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার হলদিয়ার (Haldia) এক সভা থেকে তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, মমতার আশা আদৌ পূরণ হবে না। তিনি সরাসরি আক্রমণ হেনে বলেন, “মোদিজির পায়ে ধরে লাভ নেই। কিছুই পাবেন না।” শুভেন্দুর সংযোজন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোনও মুখ্যমন্ত্রী সময় চাইলে উনি দেবেন, এটাই সৌজন্য। কিন্তু এভাবে দরবার করে কোনও আর্থিক সাহায্য মিলবে না।

    টাকা ফেরত পাবেন, আশ্বাস শুভেন্দুর (Haldia)

    শুভেন্দু এদিনের সভা থেকে আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘোষণা করেন। তৃণমূলের ক্যাডাররা যেভাবে বিভিন্ন প্রকল্পে মানুষকে বঞ্চিত করে নিজেদের আখের গুছিয়েছে, তা নিয়ে সরব হন তিনি। বলেন, “সব চোর জেলে যাবে। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হল, জনগণের টাকা যারা মেরেছে, তাদের জেলে পোরা।” বঞ্চিত এবং হতাশ মানুষকে আশার কথাও শুনিয়েছেন তিনি। বিরোধী দলনেতা বলেন, “আপনারা সব কাগজ গুছিয়ে রাখবেন। সব টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করব। আবাস যোজনায় চোরেদের নাম কেটে প্রকৃত উপভোক্তার নাম ঢোকাতে হবে।” এদিন তিনি ঘোষণা করেন, আগামী ২০ ডিসেম্বরও শাসক দলের অন্যায় এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি। উল্লেখ্য, সতীশ সামন্তর জন্ম বার্ষিকীতে এদিন দলের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল হলদিয়ায় (Haldia)।

    তৃণমূলকে সরিয়ে দিল পুলিশ (Haldia)

    এদিনই আর একটি উলট পুরাণের সাক্ষী থাকল হলদিয়া (Haldia)। বিজেপির সভামঞ্চের কাছেই দু’দিন ধরে ধর্না কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিল তৃণমূল। শুক্রবার আচমকাই তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। এই ধর্নার জন্য পুলিশের কোনও অনুমতি ছিল না বলে প্রশাসনের বক্তব্য। যদিও এই বিষয় নিয়ে এদিন শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোটে। তাই কি আদালতের তিরস্কার আটকাতেই আগেভাগে অতি সক্রিয়তা দেখালো পুলিশ? স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের এই নজিরবিহীন পদক্ষেপে আদালত অবশ্য সন্তোষ প্রকাশ করেছে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছেন, এই ধরনের সমস্যায় পুলিশকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। বহু বছর পর তিনি দেখলেন, তারা এই ধরনের ব্যাবস্থা নিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: “রাজনীতি করবেন না”, লোকসভাকাণ্ডে বিরোধীদের পরামর্শ শাহের

    Parliament Security Breach: “রাজনীতি করবেন না”, লোকসভাকাণ্ডে বিরোধীদের পরামর্শ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপদের সময় একজোট হওয়াটাই দস্তুর। এমন উদাহরণ রয়েছে ‘মহাভারতে’ও। তবে বিজেপি-বিরোধী দলগুলি আবার কবে মান্যতা দিয়েছে ‘রামায়ণ’-‘মহাভারত’কে? তাই লোকসভাকাণ্ডের (Parliament Security Breach) পরেও সরকারের পাশে না থেকে লড়াই করছেন রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে! অন্তত এমনই অভিযোগ শাসক দলের।

    কী বললেন শাহ?

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “এটি একটি সিরিয়াস ঘটনা। বিরোধীরা এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছে। নিশ্চয়ই কোথাও একটা ফাঁক ছিল। কিন্তু সবাই জানে, সংসদের নিরাপত্তা স্পিকারের অধীনে থাকে ও স্পিকার ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি লিখেছেন। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গড়েছি। খুব শীঘ্রই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে স্পিকারের কাছে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, লোকসভায় নিরাপত্তা লঙ্ঘন কেন হল, তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশের পাশাপাশি লোকসভার নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে তদন্ত (Parliament Security Breach) কমিটিকে। তিনি বলেন, “কোনও ফাঁক থাকা উচিত নয়। যদি কোনও ফাঁক থেকে যায়, তা পূরণ করার দায়িত্ব আমাদের। আমাদের আবেদন, এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করবেন না।”

    নেপথ্য কাহিনি

    প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুরে অধিবেশন চলাকালীন আচমকাই লোকসভার দর্শক গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দেয় দুই হানাদার। যে সময় তারা লাফিয়ে পড়েছিল, সেই সময় ছিল লোকসভার জিরো আওয়ার। প্রশ্ন করছিলেন মালদহ উত্তরের সাংসদ বিজেপির খগেন মুর্মু। হঠাৎ করে এই ঘটনায় হকচকিয়ে যান সাংসদরা। সেই সুযোগে হানাদাররা জুতোয় লুকিয়ে রাখা স্মোক গ্রেনেডের ক্যান দেয়। রঙিন ধোঁয়ায় ঢেকে যায় অধিবেশন কক্ষ। সেই সময় কোনওমতে দুই সাংসদ – উত্তরপ্রদেশের বহুজন সমাজবাদী পার্টির মালুন নাগর ও রাজস্থানের রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির হনুমান বেনীওয়াল ধরে ফেলেন হানাদারদের।

    আরও পড়ুুন: বৈঠক ডাকতে পারেন অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা, সাফ জানালেন রাজ্যপাল

    সাগর শর্মা ও মনোরঞ্জন ডি নামের ওই দুই হানাদারকে তুলে দেওয়া হয় মার্শালের হাতে। পরে সংসদের বাইরে একই কাণ্ড ঘটানোয় গ্রেফতার করা হয় আরও দুজনকে। চারজনকেই তুলে দেওয়া হয় দিল্লি পুলিশের হাতে। ঘটনার দিন লোকসভায় ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরের দিনই তিনি প্রবীণ মন্ত্রীদের ডেকে সবিস্তারে অবগত হন বিষয়টি। সেই সময়ই তিনিও জানিয়েছিলেন, এটা নিরাপত্তার বিষয়। এটা নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। প্রধানমন্ত্রীর সেই বার্তারই (Parliament Security Breach) প্রতিধ্বনি শোনা গেল তাঁরই সতীর্থ অমিত শাহের মুখেও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “সাজঘরে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি মনোবল ফিরিয়ে দেয়”, মোদি-তে মুগ্ধ শামি

    PM Modi: “সাজঘরে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি মনোবল ফিরিয়ে দেয়”, মোদি-তে মুগ্ধ শামি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপে টানা ১০টি ম্যাচ জেতার পর ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারতে হয়েছিল ভারতকে। দুমাসের কঠিন পরিশ্রম বৃথা হয়ে যায়। মাঠেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সিরাজ। থমথমে মুখ নিয়ে কোনওরকমে মাঠ ছাড়েন রোহিত-কোহলিরা।  সেই যন্ত্রণার কথা ২৫ দিন পরেও ভুলতে পারেননি শামি। তিনি বলেন, ‘‘আমরা কী করব বুঝতে পারছিলাম না। কয়েক ঘণ্টায় সব বদলে গিয়েছিল। সবাই ভেঙে পড়েছিলাম। সেই সময় সাজঘরে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এসে দলের সবাইকে উজ্জীবিত করেছিলেন। তিনি আসায় খুব সুবিধা হয়েছিল।’’

    মন বোঝেন মোদি

    গোটা টুর্নামেন্ট ভালো খেলেও শেষ অবধি বিশ্বকাপ জিততে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। ব্যাট হাতে বোলারদের আক্রমণ করা থেকে শুরু করে বল হাতে বিপক্ষ দলের ব্যাটিং অর্ডার গুঁড়িয়ে দেওয়া, সবকিছুই স্বাচ্ছন্দে করেছে ‘মেন ইন ব্লু’। কিন্তু দুই বিভাগই দাগ কাটতে পারেনি ফাইনালে। ভেঙে পড়েছিল ভারত। ক্রিকেটারদের মনের অবস্থা বুঝেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে শামি বলেন, “বিশ্বকাপ হারার পর সকলের মানসিক পরিস্থিতি যেমন হয়, আমাদেরও তাই ছিল। আমরা পুরোপুরি মানসিক দিক থেকে ভেঙে পড়ে ছিলাম। যেন মনে হচ্ছিল সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছে। যেন মনে হচ্ছিল আমাদের দুই মাসের পরিশ্রম পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে।” 

    চমকে দেন মোদি

    ফাইনালে হারলেও ক্রিকেটাররা কেউ কাউকে দোষারোপ করেননি। কারণ, তাঁরা জানতেন দলের প্রত্যেকে নিজের সেরাটা দিয়েছেন। শুধু বাস্তবটা মেনে নিতে পারছিলেন না। শামি জানান,”দলের সকল ক্রিকেটারদের মনের অবস্থা ভালো ছিল না। পুরো দিনটাই আমাদের জন্য খারাপ যায়। কিন্তু সেই সময় হঠাৎ ড্রেসিংরুমে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উনি এসে আমাদের বোঝান। আমাদের সকলের সঙ্গে হাত মেলান এবং আমাকে জড়িয়ে ধরেন। আমরা জানতামই না যে প্রধানমন্ত্রী আসবেন। কিন্তু হঠাৎ উনি এসে আমাদের চমকে দেন। আমরা তখন চুপ করে সবাই বসেছিলাম। কারও কথা বলতে ইচ্ছা করছিল না। কিছু খেতে ইচ্ছা করছিল না। সাজঘরে এসে আমাদের সকলের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরই আমরা সবাই একে অপরের সঙ্গে কথা বলা শুরু করি।”

    আরও পড়ুন: “আমি গর্বিত ভারতীয়”! সজদা-বিতর্কে পাকিস্তানি ট্রোলারদের কড়া জবাব শামির

    দক্ষিণ আফ্রিকায় অনিশ্চিত শামি

    বিশ্বকাপের পর ভারতীয় দল এখন দক্ষিণ আফ্রিকায়। গোড়ালির চোট থেকে ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন শামি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তাঁকে ঘিরে অনিশ্চয়তা রয়েছে। টেস্টে সিরিজের স্কোয়াডের প্রায় সমস্ত তারকা দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছে গেলেও এখনও যাননি শামি। শেষ ল্যাপে রোহিত শর্মা ১৫ ডিসেম্বর রওনা দেবেন। রোহিতের সঙ্গেই দক্ষিণ আফ্রিকায় পা রাখবেন জসপ্রীত বুমরা, বিরাট কোহলি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সকলেই দুবাই থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় রওনা দেবেন। এঁদের সঙ্গেই প্রোটিয়া সফরে যাওয়ার কথা ছিল শামির। তবে আপাতত তা হচ্ছে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: লোকসভার অন্দরে হানাদার, সংসদের সুরক্ষা নিয়ে বৈঠক উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: লোকসভার অন্দরে হানাদার, সংসদের সুরক্ষা নিয়ে বৈঠক উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের সুরক্ষা নিয়ে মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবার ওই বৈঠক হয়। বুধবার লোকসভায় দর্শক গ্যালারি থেকে অধিবেশন কক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুই হানাদার। এদিন মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগড়ে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল দুই মুখ্যমন্ত্রীর। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় লোকসভায় গরহাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    উদ্বেগে প্রধানমন্ত্রী

    তাই এদিন বুধবারের ঘটনা সম্পর্কে বিশদে অবহিত হন তিনি। বিষয়টিকে তিনি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে বলেছেন মন্ত্রীদের। তিনি বলেছেন, “বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করার সময় নয়। আমাদের সকলকে এক সঙ্গে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।” মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বিরোধীদের চাপের মুখে রণকৌশল স্থির করার বিষয়েও পরামর্শ করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বিষয়টি নিয়ে তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গেও আলোচনা করেন।

    সাসপেন্ড ১৫ সাংসদ

    এদিকে, লোকসভাকাণ্ডের জেরে বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে বৃহস্পতিবার দফায় দফায় মুলতুবি হয় সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন। ঘটনার জেরে সাসপেন্ড হয়েছেন দুই কক্ষের ১৫ জন সাংসদ। অন্যদিকে, সুরক্ষা ব্যবস্থায় গাফিলতির অভিযোগে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আট রক্ষীকে সাসপেন্ড করেছে লোকসভার সচিবালয়। বুধবার যে সময় লোকসভায় ঘটনাটি ঘটে, সেই সময় সংসদ ভবনের মূল প্রবেশপথ সহ গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথগুলিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ওই আটজন।

    ২৮ মে উদ্বোধন হয় নয়া সংসদ ভবনের। উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংসদ ভবনের নিরাপত্তায় রয়েছে ত্রিস্তরীয় সুরক্ষা বলয়। সেই বেড়া ভেঙে কীভাবে চার হানাদার ‘স্মোক গ্রেনেড’ নিয়ে সংসদ ভবনের সংরক্ষিত এলাকায় ঢুকে পড়ল, কীভাবেই বা তাদের মধ্যে দুজন দর্শক গ্যালারি থেকে ঝাঁপ মারল অধিবেশন কক্ষে, তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। এই প্রশ্নগুলোকে হাতিয়ার করছে বিজেপি-বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।

    আরও পড়ুুন: মথুরার শাহি মসজিদে সমীক্ষায় সায় আদালতের, হদিশ মিলবে শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানের?

    এদিন যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের ৯জন, সিপিএমের ২জন, ডিএমকের ২জন এবং সিপিআইয়ের একজন সাংসদ। লোকসভাকাণ্ডে বাংলা যোগ নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। সন্দেহভাজনের তালিকায় যে ললিত ঝায়ের নাম রয়েছে, সেই ললিতের বাড়ি কলকাতায়। ঘটনার (PM Modi) ভিডিও রেকর্ডিং করেছিলেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share